Daffodil International University

Faculties and Departments => Allied Health Science => Life Science => Topic started by: tnasrin on February 11, 2019, 12:07:29 PM

Title: খাওয়া নিয়ে অতিরিক্ত খুঁতখুঁত?
Post by: tnasrin on February 11, 2019, 12:07:29 PM
আমি দুধজাতীয় কিছু খাই না—এটা খেলে পেটে সমস্যা হয়’, ‘মাছটাছ খাই না, গন্ধ লাগে, বমি বমি লাগে’—অনেকেই নানান খাবার নিয়ে এমন অভিযোগ করেন। খাওয়া নিয়ে এমন বাছবিচার করতে দেখা যায় শিশুসহ বড়দেরও।

|দেখা যায়, একটি শিশু ছোটবেলা থেকে পূর্বধারণাপ্রসূত বিশ্বাস থেকে কোনো মাছ না খেয়েই বড় হচ্ছে। এতে সে বিচিত্র সব খাবারের স্বাদ তো পেলই না, পুষ্টিগুণ থেকেও বঞ্চিত হলো। কোনো শিশু হয়তো প্রতি বেলায় মুরগি খেতে চায় বলে অন্যান্য খাবার আর গ্রহণই করে না। এভাবে নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণের প্রবণতা অনেক শিশুরই থাকে। সব সময় যে এটা কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য হয়, তা নয়, বেশির ভাগ সময় শিশু তার অপছন্দের খাদ্যটি সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শোনে, নেতিবাচক আচরণ দেখে এবং বাবা-মায়েরা নিজেদের অজান্তেই শিশুটির মনে বিশেষ খাদ্যটি সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে। এতে শিশুটি অভ্যস্ত হয়ে যায়। তার বিশ্বাস দৃঢ় হয়। এরপর হাজার সাধাসাধির পরও শিশু আর সেই খাবার খেতে চায় না। পরিণত বয়সেও তার স্বাদগ্রন্থি ওই বিশেষ খাদ্যের উপযোগী হয় না বলে নির্দিষ্ট খাবারগুলো আর খেতেই পারে না।

‘অ্যাভয়ড্যান্ট/রেসট্রিকটিভ ফুড ইনটেক ডিসঅর্ডার’ নামের একটি বিশেষ খাদ্যাভ্যাসজনিত মানসিক সমস্যার কারণে বিশেষ রং, আকৃতি বা গন্ধের খাদ্যের প্রতি বিতৃষ্ণা থাকে। এ সমস্যায় আক্রান্ত শিশু বা ব্যক্তির ওজন কমতে থাকে, শরীরের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না, পুষ্টিহীনতা হয়, পছন্দের খাবারের প্রতি একধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তার মনোসামাজিক আচরণগুলোরও পরিবর্তন হতে থাকে। এই সমস্যা ছাড়াও ‘অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি)’ বা ‘অটিজম’ আছে, এমন শিশু বা ব্যক্তিদের মধ্যেও খাবার নিয়ে খুঁতখুঁতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এমন সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের পর্যায়েই মা–বাবাকে দায়িত্ব নিয়ে নানা ধরনের, নানা স্বাদের ও নানা রঙের সুষম খাবার খাওয়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করতে হবে। কোনো খাবার নিয়ে মা–বাবা কখনোই বিরূপ মন্তব্য করবেন না। শিশু এটা খায় না ওটা খায় না—এ অজুহাতে তাকে একই ধরনের খাদ্য সব সময় পরিবেশন করবেন না। বৈচিত্র্যময় খাবার পরিবেশন করুন নানাভাবে, নানান কায়দায়, এতে আগ্রহ তৈরি হবে। শিশু দু–এক বেলা যদি খাবার না–ও খায়, তাতে বিচলিত না হয়ে তার দীর্ঘমেয়াদি উৎকর্ষের জন্য খাবারে বৈচিত্র্য আনুন। যেকোনো পরিবেশে, যেকোনো এলাকায়, যেকোনো ধরনের খাবারে শিশুকে অভ্যস্ত করতে চেষ্টা করুন। এরপরও কারও মধ্যে যদি এই খাবার বাছাবাছির সমস্যা প্রকটভাবে দেখা দেয়, তবে প্রথমে দেখতে হবে ওসিডি কিংবা অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। থাকলে মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ

সহযোগী অধ্যাপক, শিশু–কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
Title: Re: খাওয়া নিয়ে অতিরিক্ত খুঁতখুঁত?
Post by: Md. Alamgir Hossan on March 28, 2019, 01:41:29 AM
Informative