Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Mizanur Rahman

Pages: [1] 2 3
1


শিশু কাঁদছে। তাকে ভোলাতে তার হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল। বাবা-মা জরুরি কাজে ব্যস্ত। শিশুকেও ব্যস্ত রাখতে তার হাতে গুঁজে দিচ্ছেন মোবাইল গেম। আমাদের চারপাশে এ ছবি নতুন নয়।

কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা সন্তানের কতটা ক্ষতি করছি তা নিজেরাও ভাবছি না।

তবে তথ্যপ্রযুক্তির সম্রাট বিল গেটস বলেছেন, ১৪ বছরের আগে সন্তানের হাতে কোনোভাবেই মোবাইল দেয়া যাবে না।

তার মতে, বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন খুব সহজ কাজ নয়। অভিভাবকরাই ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দেবেন, সে সিদ্ধান্তও অভিভাবকের।

বিল গেটসের তিন সন্তানের বয়স যথাক্রমে ২০, ১৭ ও ১৪। এদের কেউ-ই হাইস্কুলে ওঠার আগে মোবাইল হাতে পায়নি। এর আগেও সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দেয়া নিয়ে একই কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

সন্তানদের হাতে মোবাইল দেয়ার বিষয়ে একই মতামত চিকিৎসকদেরও। অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি শিশুদের মধ্যে নানা রকম অসুখের জন্ম দেয় বলে দাবি তাদের।

মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়া থেকে শুরু করে চোখের নানা রোগ, মানসিক অসুখের প্রকোপ বাড়ছে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে।

Source: https://www.jugantor.com/lifestyle/106771/%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

2
বাজারে এখন প্রচুর তরমুজ পাবেন। লাল টুকটুকে ফালি করা তরমুজ জিবে জল এনে দেবে। কেউ কেউ গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও প্রচুর তরমুজ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু তরমুজ বেশি খাওয়া কি ঠিক?

তরমুজকে ফল ও সবজি উভয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে পানির পরিমাণ ৯২ শতাংশ। তরমুজ কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, শরীর-স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এতে চর্বি নেই। প্রচুর ভিটামিন এ, বি৬, সি, পটাশিয়াম, লাইকোপেন ও সিট্রুলিনের মতো উপাদান থাকে।
যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য তরমুজ আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। তরমুজের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও একবারে খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। একবারে বেশি তরমুজ খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জেনে নিন:

হজমে গন্ডগোল
তরমুজে প্রচুর পানি ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা তৈরি করে।

গ্লুকোজের স্তর বাড়ায়
যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। তাঁদের রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তরমুজ। এটিকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭২। কোন খাবারে রক্তে শর্করা কতটা বাড়ে, তা নির্ভর করে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোডের ওপর। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০-এর বেশি হলে তা উচ্চ মাত্রা, ৫৫-এর নিচে হলে কম মাত্রার। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত উচ্চ, তা রক্তে শর্করা তত বেশি বাড়ায়। আবার গ্লাইসেমিক লোড ২০-এর বেশি হলে তা উচ্চ, ১১-এর নিচে কম। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার আগে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

যকৃতে প্রদাহ
যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে তাঁদের যকৃতে প্রদাহ হতে পটারে। এতে প্রচুর লাইকোপেন থাকায় অ্যালকোহলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রদাহ তৈরি করে। যকৃতে এ ধরনের প্রদাহ যথেষ্ট ক্ষতিকর।

শরীরে অতিরিক্ত পানি
বেশি তরমুজ খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীর থেকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। শরীর থেকে যদি এ পানি বেরোতে না পারে, তখন নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়া, ক্লান্ত বোধ করা বা কিডনি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।

হৃদ্‌রোগ
তরমুজে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা শরীর ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরমুজ খেলে হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ থাকে। এ ছাড়া হাড় ও মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় পটাশিয়াম শরীরে গেলে হৃদ্‌যন্ত্রে নানা সমস্যা, যেমন: অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, নাড়ির গতি কমে যাওয়ার মতো নানা ঘটনা ঘটে।

গবেষক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রামে ৬ গ্রাম চিনি থাকে। তরমুজে যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি, তাই ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া অনেকের কাছে সহজ মনে হতে পারে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

3
Pain / শীতে ব্যথা বাড়ে কেন?
« on: January 15, 2018, 04:12:44 PM »
শীতকালে অনেকেই ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। শুধু আর্থ্রাইটিসজনিত জয়েন্টের ব্যথা ছাড়াও ঘাড়, কোমর ও মাংসপেশির ব্যথায় অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন বা আগের ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়।


এ বিষয়ে জাতীয় নিউরো সায়েন্স ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, কারও কারও বেশি ঠান্ডায় মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা বেড়ে যায়। আবার কারও সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে সাইনোসাইটিস হয়ে মাথাব্যথা হতে পারে। তাই যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আগে থেকেই আছে, তাঁরা ঠান্ডা থেকে বেছে চললেই মাথাব্যথা অনেকাংশে কমে যায়।

শীতকালেই কেন বেশি?

* শীতে হাত ও পায়ের দিকে রক্তসঞ্চালন কমে যায়। ফলে জয়েন্টসমূহের প্রদাহ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যথা, ধীরে ধীরে জয়েন্ট ও মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন জয়েন্টের চারপাশের ত্বক খুব বেশি ঠান্ডা হলে স্নায়ু প্রান্তগুলোর সংবেদনশীলতা বেশি হয়। শীতকালে শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে আঘাত বা স্পর্শ লাগলে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়।

* শীতকালে শরীরের অনেক ক্ষেত্রে ভিটামিন-ডির পরিমাণ হ্রাস পায়, যা মুড বা ভাব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড় ও জয়েন্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। বংশগতভাবে শীতকালে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা বা ফোলা দেখা দিতে পারে।

* বাতাসের চাপের সঙ্গে শীতকালে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। আমরা নিশ্বাসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ অক্সিজেন পাই, যা শরীরে সহজেই ক্লান্তি নিয়ে আসে এবং যেকোনো কাজে আলস্যতা এনে দেয়।

উপসর্গ

খুবই কষ্টকর যন্ত্রণা ও অসহনীয় ব্যথা, কখনো কখনো জয়েন্ট ফুলে যায়, শক্ত হয়ে যায়, লাল হয়ে গরম হতে পারে। ঘাড় ও কোমরের ক্ষেত্রে ব্যথা হাত বা পায়ে আসতে পারে এবং অবশ লাগতে পারে। অনেকক্ষণ বিশ্রামে থাকার পর চলাচলের সময় ব্যথা ও মাংসপেশির স্টিফনেসের সমস্যা দেখা যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্ট শক্ত হয়ে থাকে, কাজকর্ম শুরু হলে আস্তে আস্তে সচল হয়ে যায়।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

* কেউ আগে থেকেই ওষুধ সেবন করলে এই সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ডোজ ঠিক করে নিতে হবে। তাঁর পরামর্শমতো চলতে হবে।

* ব্যথাযুক্ত স্থানে দিনে দুইবার গরম সেঁক দিলে কিছুটা উপশম পাওয়া যায়।

* তাতে কাজ না হলে ফিজিওথেরাপির শেখানো ব্যায়াম ভালো করে করা। ইলেকট্রোথেরাপি, ম্যানুয়ালথেরাপি চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।

* ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ব্যথানাশক ওষুধ বেশি দিন সেবন না করাই ভালো

* পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ খুব জরুরি।

* সর্দি-কাশি যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক

Source: http://www.prothomalo.com/life-style/article/1405641/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8

4
পরিবারের সবাই যেন একসঙ্গে বিনোদনের সুযোগ পায়, এমন উদ্দেশ্য থেকে ‘ফ্যামিলি শেয়ারিং’ নামে ইউটিউবে নতুন একটি সুবিধা এনেছে গুগল। সহজেই পরিবারের সঙ্গে বিনোদন ভাগাভাগি করে নিতে গুগলের এই সুবিধা। পরিবারের সর্বোচ্চ ছয়জন সদস্য একসঙ্গে ইউটিউব, গুগল নোট সেবা ইত্যাদি ভাগ করে নিতে পারবেন। গুগল গত মঙ্গলবার নতুন এই সুবিধার কথা ঘোষণা করে।

নতুন এই সুবিধার ফলে ইউটিউব থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি টিভি দেখা যাবে। প্রতি মাসে ৩৫ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে অফুরন্ত ক্লাউড সংরক্ষণের সুবিধা। এর ফলে ইউটিউবে চলা সরাসরি টিভি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ নোট, গুগল ক্যালেন্ডারসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা শেয়ার করা যাবে নতুন এই পদ্ধতির আওতায়।

ইউটিউবে এই শেয়ার সুবিধাটি এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো, বে-এরিয়া, নিউইয়র্ক সিটি এবং শিকাগোতে চালু করা হয়েছে। তবে শিগগিরই তা বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত করা হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবারকে সংযুক্ত করতে গুগলের এটি আরেকটি ধাপ। এর আগে গত মার্চ মাসে গুগল ১২ বছর বয়সীদের জন্য অ্যান্ড্রয়েড চালিত যন্ত্রে গুগল অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা চালু করে। যদিও ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জিমেইল কিংবা ইউটিউবে মন্তব্য করা যায় না। সে যা-ই হোক, প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নের যুগে পরিবারের সবাইকে এক করে রাখতে গুগলের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

শাওন খান সূত্র: সিনেট

Source: http://www.prothom-alo.com/technology/article/1194681/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E2%80%98%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%82%E2%80%99-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE

5
ঢাকা শহরের বহু মানুষ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই দুই ধরনের জ্বরই এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। এ দুই রোগে জ্বর, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ হয়ে থাকে। খুব দুর্বল লাগে, মাথা ঘোরে, কারও কারও বমি হয়। রক্তচাপও কমে যেতে পারে। বলতে গেলে রোগী প্রায় কিছুই খেতে চায় না। বিশেষ করে, শিশু ও বয়স্ক মানুষকে নিয়ে সমস্যা বেশি হয়। খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন রোগীকে খাওয়ানোর ব্যাপারে কয়েকটি পরামর্শ:

* জ্বর হলে শরীরে ক্যালরির চাহিদা বাড়ে। কারণ, তখন বিপাক বেড়ে যায়, বেশি পুষ্টির দরকার হয়। তাই খাওয়া বন্ধ করে দিলে বিপদ বাড়বে। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়।

* ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া হলে প্রচুর তরল পান করতে হয়, দিনে কমপক্ষে আড়াই লিটার। পানির পাশাপাশি লবণ ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শরবত, ফলের রস) পান করা উচিত। এতে করে রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। তবে অতিমিষ্টি পানীয় বমির উদ্রেক করতে পারে। বাজারের কোমল পানীয় বা আইসক্রিম সহজে পিপাসা মেটায় না।

* অরুচি বা বমি ভাবের মধ্যে তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন: ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন। রাখুন প্রোটিনও, যেমন: দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস ও স্যুপ।

* অনেক ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া রোগীর খেতে গেলেই বমি আসে। তারা হালকা শুকনো খাবার খেতে পারে। যেমন বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি। এতে বমি ভাব কমবে। এ ছাড়া আদা-চা, গ্রিন টি বা শুকনো আদা বমি ভাব কমায়। এ সময় ফলমূল খেতে হবে বেশি করে।

ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন

মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

Source: http://epaper.prothom-alo.com/view/dhaka/2017-05-27/17

6
ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল সেবা জিমেইলের দুই স্তরের নিরাপত্তা সক্রিয় (অ্যাকটিভ) করার জন্য প্রথমে জিমেইলে ঢুকে (লগ-ইন) ওপরে ডান পাশে আপনার ছবির আইকনে ক্লিক করে তারপর My Account-এ ক্লিক করুন। কিংবা সরাসরি https://myaccount.google.com  ঠিকানার ওয়েবসাইটে যান। তারপর Sign-in & security-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে নিচে ডান পাশে 2-step verification: off-এ ক্লিক করুন। এরপর Start Setup বাটনে ক্লিক করুন।
আবার লগ-ইন করার পেজ এলে লগ-ইন করুন। এখন Phone number: বক্সে আপনার মোবাইল ফোন নম্বর লিখে Send Code বাটনে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি সাংকেতিক নম্বর আসবে। এটি কোড বক্সে লিখে Verify-এ ক্লিক করুন। Next-এ ক্লিক করুন। তারপর Confirm করুন।
এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোনো কম্পিউটার থেকে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে চাইলে আপনার মোবাইল ফোনে একটি সাংকেতিক নম্বর আসবে এবং সেই নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Verify-এ ক্লিক করলেই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাবে। তাই আপনার জিমেইলের পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনেও যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না মোবাইলের কোড নম্বর না জানার কারণে।
আপনার ফোন নম্বর যদি হারিয়ে ফেলেন তাহলে যেকোনো সময় আপনার কম্পিউটার থেকে জিমেইলে লগ-ইন করে ফোন নম্বর পরিবর্তন করতে পারবেন বা এই সুবিধা বাদ দিতে পারবেন।

Source: http://www.prothom-alo.com/technology/article/1068117/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE

7
একটু ফাঁকা সময় পেলে অনেকেই মোবাইল ফোনে গেম খেলতে শুরু করেন। এখনকার স্মার্টফোনগুলো রীতিমতো গেম খেলার যন্ত্র। কিন্তু একসময় দুর্বল ইন্টারনেটের কারণে অনেকেই জনপ্রিয় গেমগুলো খেলতে পারেননি। কিন্তু এখন ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই অনেক গেম খেলা যায়। সময় কাটাতে অনেকেই এসব গেমে মজে থাকেন। জেনে নিন এ রকম কয়েকটি গেম সম্পর্কে:

টেম্পল রান: টেম্পল রান গেমটি উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে বেশ জনপ্রিয়। এই গেমে অন্তহীন দৌড়াতে হয়। এ সময় পড়ে যাওয়া বা কোনো ফাঁদে পড়া যাবে না। পেছনে লেগে থাকে ভয়ংকর শত্রু। দৌড়ানোর সময় কয়েন সংগ্রহ ও অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করা যায়।

সাবওয়ে সারফারস: টেম্পল রানের মতোই সাবওয়ে সারফার দৌড়ানোর গেম। অ্যান্ড্রয়েডে সবচেয়ে ডাউনলোড হওয়া গেমগুলোর একটি। পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়াতে হয় এতে। যেকোনো সময় পুলিশ ধরে ফেলতে পারে। পুলিশকে পেছনে ফেলে দৌড়ানোর সময় কয়েন সংগ্রহের পাশাপাশি জেটপ্যাকস ও উপহার সংগ্রহ করা যায়।

ব্যাডল্যান্ড: ঘন বনের পটভূমিতে অ্যাকশন রোমাঞ্চকর গেম ব্যাডল্যান্ড। বনের মধ্যে কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা একটি প্রাণীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বের করতে হয়। বিভিন্ন ফাঁদ ও বাধা ডিঙিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। এতে ২৩টি স্তর আছে এবং মাল্টিপ্লেয়ার মোডে খেলা যায়।

ফ্রুট নিনজা: আঙুলের ব্যায়াম করতে চাইলে ফ্রুট নিনজা খেলতে পারেন। স্ক্রিনে আসা সব ফল দ্রুত আঙুল চালিয়ে কাটতে হবে। তবে এর মধ্যে বিস্ফোরকগুলো কিন্তু এড়াতে হবে।

অ্যাসফল্ট ৮ এয়ারবোর্ন: এ গেমটি ছাড়া অফলাইন মোবাইল গেমের কোনো তালিকা পূর্ণ হওয়ার নয়। অ্যান্ড্রয়েডে অন্যতম সেরা রেসিং গেম এটি। এতে চারটি নিয়ন্ত্রণ অপশন থাকে। অবশ্য গেমটি খেলতে মোবাইলে স্টোরেজ বেশি থাকা দরকার।

8


চা বাগান বেড়ানোর আসল সময় বর্ষাকাল। আর এ বছরের ঈদের ছুটিটা পড়েছে বর্ষাতেই। ছুটির এ সময়ে তাই চা বাগান ঘুরেই কাটাতে পারেন।

আর এ ভ্রমণে যদি চা বাগানের ভেতরে কিংবা আশপাশের কোনো টিনের চালের বাংলোতে থাকতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই।

টিনের চালে রাতের ঝুম বৃষ্টিও উপভোগ করতে পারবেন প্রাণ ভরে। এবারের ঈদের ভ্রমণ সূচি তাই ঠিক করে নিতে পারেন মৌলভী বাজারের চা বাগানগুলোতে।

চা বাগান ভ্রমণে গিয়ে সবার আগে দেখা উচিত চা-কন্যাকে।

ঢাকা-শ্রীমঙ্গল মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার শেষ প্রান্তে এবং মৌলভীবাজার জেলার প্রবেশ মুখে ‘চা কন্যা’ ভাস্কর্য। ঢাকা থেকে যেতে রশিদপুর চা বাগান ছাড়িয়ে একটু সামনেই সড়কের বাঁকে সাদা ধবধবে চা কন্যা ঠায় দাঁড়িয়ে।

সাদা ধবধবে এক নারী, পিঠে ঝোলানো ঝুড়ি, কোমল হাতে তুলে চলছেন চা পাতা।

সাতগাঁও চা বাগানের সহায়তায় দৃষ্টিনন্দন এ ভাস্কর্য তৈরি করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। প্রায় চব্বিশ ফুট উঁচু ভাষ্কর্যটি চায়ের রাজধানীতে সব পর্যটককে যেন স্বাগত জানাতেই দাঁড়িয়ে আছে।
সুন্দর এটি নির্মাণ করেন শিল্পী সঞ্জিত রায়। ‘চা কন্যা’ ভাস্কর্যের পাশেই সুন্দর চা বাগান ‘সাতগাঁও’। পাহাড়ের গায়ে গায়ে এ চা বাগানের সৌন্দর্যও অবর্ণনীয়।

সাতগাঁও চা বাগান থেকে শ্রীমঙ্গল খুব একটা বেশি দূরে নয়। শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজ্য বললে ভুল হবে না। শহরের কোলাহল ছেড়ে একটু বাইরে গেলেই একেবারেই নির্জন সব চা বাগান এখানে।

শ্রীমঙ্গলের মৌলভীবাজার সড়ক ছেড়ে শহর। এরপরেই ভানুগাছ সড়ক। এপথে শুধুই চা বাগানের রাজত্ব। আরেকটু সামনে গেলেই হাতের বাঁয়ে চা বাগানের ভেতর থেকে একটি পাকা সড়ক সোজা দক্ষিণে চা গবেষণা কেন্দ্রের দিকে চলে গেছে।

এ সড়কের আরেকটু ভেতরে গেলে শুধুই চা বাগান। ভানুগাছ সড়কে টি রিসোর্ট ফেলে সামনে গ্রান্ড সুলতান রিসোর্ট লাগোয়া সড়কের হাতের ডানে সড়কটি চলে গেছে নূরজাহান টি এস্টেটের দিকে।
এ পথে আরও বেশ কিছু সুন্দর চা বাগানও আছে।

শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়ক ধরে কমলগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। সেখান থেকে আরও কয়েক কিলোমিটার গেলে মাধবপুর। এখানে বিশাল এক হ্রদ ঘিরে আছে বেশ কিছু চা বাগান।

সরকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানির বাগান এগুলো। মাধবপুর লেকের আশপাশের এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ বাগানের সৌন্দর্য একেবারেই আলাদা।

মাধবপুর লেক থেকে বেড়িয়ে হাতের বাঁয়ে পিচঢালা পথ চলে গেছে ধলই সীমান্তে। এ পথেও আছে শুধুই চা বাগান। প্রায় দুই কিলোমিটার চলার পর শুরুতেই দেখে নিন ‘শ্রীগোবিন্দপুর’ চা বাগান।

এ বাগান ছেড়ে আরও দক্ষিণে গেলে বাংলাদেশ সীমানার আগে ছোট সড়কের দুই পাশে শুধুই চা বাগান। এ বাগান থেকে একেবারে সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ।

তবে বিজিবি ক্যাম্পের আগে ইট বাঁধানো একটি পথ চলে গেছে হাতের পশ্চিমে। নির্জন এ পথের শুরুতেই ধলই চা বাগান। এখানে উঁচু উঁচু পাহাড়ের গায়ে গায়ে কেবল চা বাগানেরই সৌন্দর্য। এ পথে চা বাগান দেখতে দেখতে চলে আসা যায় শ্রীমঙ্গল শহরে।

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে রেল কিংবা সড়ক পথে সরাসরি শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়।

ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাস যায় শ্রীমঙ্গল। ভাড়া সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস, প্রতিদিন দুপুর ১২টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টায় কালনী এক্সপ্রেস, বুধবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৫০ মিনিটে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল অথবা কুলাউড়া নামা যায়।

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের ভাড়া শোভন ২শ’ টাকা। শোভন চেয়ার ২৪০ টাকা, প্রথম চেয়ার ৩২০ টাকা, প্রথম শ্রেণি বার্থ ৪৮০ টাকা, স্নিগ্ধা ৪৬০ টাকা, এসি সিট ৫৫২ টাকা, এসি বার্থ ৮২৮ টাকা।

এছাড়া চট্টগ্রাম থেকেও সরাসরি ট্রেনে যাওয়া যায় মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গল কিংবা কুলাউড়া।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন দুটিতে নামা যায়।

শ্রীমঙ্গল থেকে থেকে শনিবার ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং রোববার ছাড়া প্রতিদিন রাত ১১টা ২৪ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, সৌদিয়া পরিবহনের নন এসি বাস শ্রীমঙ্গল হয়ে মৌলভী বাজার। ভাড়া নন এসি বাসে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩৮০ টাকা।


কোথায় থাকবেন
শ্রীমঙ্গল শহরে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল রিসোর্ট আছে। শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘেঁষে আছে আছে পাঁচ তারকা মানের গ্রান্ড সুলতান গলফ রিসোর্ট (০২-৯৮৫৮৮২৭)।

তবে মধ্যম বাজেটে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা ভানুগাছ সড়কে টি রিসোর্ট (০৮৬২৬-৭১২০৭, ০১৭১২৯১৬০০১)।

এছাড়া শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য রিসোর্ট হল- হবিগঞ্জ সড়কে রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট (০২-৯৫৫৩৫৭০, ০১৯৩৮৩০৫৭০৭) ও টি টাউন রেস্ট হাউস (০৮৬২৬-৭১০৬৫)। রাধানগরে চমৎকার দুটি রিসোর্ট হল- নিসর্গ নিরব ইকো রিসোর্ট (০১৭১৫০৪১২০৭) এবং নিসর্গ লিচিবাড়ি ইকো রির্সোট (০১৭১৬৯৩৯৫৪০)।

এছাড়া রাধানগরের আরও দুটি অসাধারণ রিসোর্ট শান্তি বাড়ি রিসোর্ট (০১৭১৬১৮৯২৮৮), হারমিটেজ কটেজ (০১৯৩২৮৩১৬৫৩)। লাউয়াছড়া জঙ্গল সংলগ্ন লেমন গার্ডেন রিসোর্ট (০১৭৬৩৪৪৪০০০, ০১৭৫৮৭৭১৪৯২)।

এসব হোটেল রিসোর্টে ১ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় কক্ষ আছে।

Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1165870.bdnews

9
Life Style / গড়িমসি থেকে অনিদ্রা
« on: June 27, 2016, 06:08:28 PM »
কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা থেকে ‘ইনসমনিয়া’তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগ হলে ঘুমাতে বা ঘুমিয়ে থাকা কঠিন হয়ে যায়।



‘লাইভ সাইন্স’ এর একটি প্রতিবেদনে গবেষকরা জানায়, গড়িমসি ও ঘুমের সমস্যার মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তা হতে পারে এরকম যে, ঘুমের আগে কাজ শেষ করার দুশ্চিন্তা।

“যারা শেষ সময়ে করার জন্য কাজ ফেলে রাখেন তাদের মধ্যে- কাজটা শেষ হয়নি এবং তা শেষ করতে হবে এমন চিন্তা থেকে যায়। শেষ সময়ে এসে কাজটা করতে বসলে তা ঘুমের সময়ে গিয়েই ঠেকে। ফলে ঘুমাতে বা ঘুমের ওপরে প্রভাব ফেলে। এভাবেই অনিন্দ্রার সঙ্গে শেষ সময়ে করার জন্য কাজ ফেলে রাখাকে সম্পর্কিত করেন ইসরায়েলের অ্যাকাডেমিক কলেজ অফ তেল আভিবের গবেষক ইলানা হেয়ারস্টন।

হেয়ারস্টনের মতে, "একদম শেষ মুহূর্তে যাদের কাজ করার প্রবণতা থাকে তারা আসলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অসমাপ্ত কাজের চিন্তা মাথায় নিয়েই বসে থাকেন। এই চিন্তা তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।”

অনিদ্রা বিষয়ক এই গবেষণায় প্রায় ৬০০ জন মানুষ অংশ নেন। অনলাইনে প্রশ্নপত্র বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হওয়া এই গবেষণায় অংশ নেওয়া মানুষেদের কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা, পাশাপাশি তাদের ঘুমের সমস্যা এবং আবেগপ্রবণতার বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়।

গবেষক হেয়ারস্টন অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাওয়া ফলাফল থেকে জানান, কাজ ফেলে রাখা অনিদ্রার একটি কারণ হতে পারে।

এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল পারসোনালিটি অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল ডিফারেন্স নামক জার্নালের আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এই গবেষণা থেকে মানুষের চরিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক জানা যায়। যারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে এবং দেরিতে ঘুমাতে যায় তাদের তুলনায় সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা এবং তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া মানুষরা কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা এবং ঘুমের সমস্যা তুলনামূলক কম বলে জানান।

এ থেকে আরও জানা যায়, যারা সন্ধ্যাবেলার মানুষ তাদের মধ্যে গড়িমসি করার প্রবণতা ভোরের পাখি যারা তাদের চাইতে বেশি।

Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1172813.bdnews

10
Life Style / লম্বা দেখানোর উপায়
« on: June 27, 2016, 06:02:37 PM »
ছেলেদের অন্যতম চিন্তার বিষয় হল তাদের উচ্চতা। অনেক ছেলেই কম উচ্চতার কারণে কিছুটা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। আবার ওজন কিছুটা বেশি হলেও অনেক সময় আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়। তবে সাধারণ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই, প্রত্যক্ষভাবে অন্যের দৃষ্টিতে নিজেকে কিছুটা লম্বা দেখানো সম্ভব।



হাফিংটনপোস্ট ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ছেলেদের পোশাকের উপর তাদের উচ্চতা ও গড়ন কেমন দেখাবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে। তাই পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু দিকে লক্ষ রাখা জরুরি।

- সঠিক মাপের প্যান্ট পরা উচিত। নিজের মাপের তুলনায় বেশি বড় প্যান্ট পরার ফলে পায়ের গোড়ালির কাছে গিয়ে কাপড় অনেকটা কুঁচকে থাকে। যা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। ফলে দেখতে কিছুটা খাটো দেখায়। তবে সঠিক মাপের প্যান্ট পরলে নীচের দিকে অন্যের চোখ তেমন আকৃষ্ট হয় না। তাই উচ্চতাও নিয়ে মাথাও ঘামায় নায়।

- যাদের উচ্চতা কিছুটা কম তারা লম্বা, স্ট্রাইপ নকশার পোশাক পরতে পারেন। এতে তাদের দেখতে কিছুটা লম্বা দেখায়। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা ডিজাইনের পোশাকে খাটদের আরও খাট দেখায়।

- যাদের শরীর বা পেট কিছুটা মোটা তারা একটু গাঢ় রংয়ের পোশাক পরতে পারেন। হালকা রংয়ে সবাইকেই কিছুটা মোটা দেখায়। সেক্ষেত্রে গাঢ় রংয়ের পোশাকে মোটাভাব কিছুটা কম চোখে পড়ে। তাছাড়া যাদের পেটের পাশ বেশি মোটা তারা বেল্ট পরার অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ বেল্ট পরলে পেটের বাড়তি অংশ বেশি চোখে পড়বে।

- এমন পোশাক পরা উচিত যাতে সবার নজর উপরের দিকে হয়। কারণ যখন নজর শরীরের উপরের অংশে থাকবে তখন অন্যের দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষভাবে দেখতে কিছুটা লম্বা দেখাবে। তাই এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই পোশাক নির্বাচন করা উচিত।

Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article865001.bdnews

11
এই সময়ে শুধু কঠোর পরিশ্রমই নয় পেশাগত জীবনে পোশাকেও সচেতন হতে হয়। তাই সহকর্মী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি পেতে কিছু নিয়ম মেনে পোশাক পছন্দ করা উচিৎ।



অফিসের জন্য কীভাবে তৈরি হতে হবে তা নিয়ে কিছু টিপস দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লাক্সারি একাডেমির পরিচালক মোনিকা গার্গ।

- উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সামনে যাওয়ার আগে শার্ট বা কোটের বোতাম অবশ্যই ভালোভাবে আটকে রাখতে হবে।

- দৌড়ানোর জুতা পরে অফিসে যাওয়া উচিৎ নয়।

- অফিসের সবসময়ই মাপ-মতো বানানো পোশাক পরা জরুরি। নিজের মাপের চেয়ে ছোট বা বড় পোশাক পরা উচিৎ নয়।

- অফিসের জন্য সবচেয়ে সাধারণ, জনপ্রিয় এবং চলতি রংয়ের পোশাকে নিজের ওয়াড্রব সাজিয়ে তুলুন।

- ‘ক্লাসিক’ পোশাকের উপর বিনিয়োগ করুন। কারণ এগুলোর বিভিন্ন উপলক্ষ্যে পরিধান করা যায়, দামেও সাশ্রয়ি।

- নিজের ব্যক্তিত্ব আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলতে ঘড়ি, টাই, জুতা, ব্যাগ, গয়না ইত্যাদি অনুসঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

- কর্মক্ষেত্রের স্টাইলের ক্ষেত্রে সব ঋতুতেই মানানসই এমন ধরনের কাপড় এবং রংয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1000126.bdnews

12
Beauty Tips / ঈদের আগে ত্বকের যত্ন
« on: June 27, 2016, 05:44:52 PM »
নতুন জামা-জুতা কেনার পাশাপাশি ত্বকেরও কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হয়

রোজার এই এক মাস অনেক সময়ই নানা কাজে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অপর্যাপ্ত পানি পান, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া ইত্যাদি কারণে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত।

ত্বকের ধরণ যত্ন নেওয়া দরকার। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারের কর্ণধার জুলিয়া আজাদ। 

তৈলাক্ত ত্বকে গ্রন্থির আধিক্য থাকে আর তাই প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে।

আবার কিছু ত্বকের অংশ বিশেষ তৈলাক্ত থাকে এবং বাকি অংশ শুষ্ক হয়। এ ধরনের ত্বককে মিশ্র ত্বক বলা হয়।


তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ উপকারী। গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাস্ক।
পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্রাবিংও করতে হয়।

চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে হালকা ভেজা ত্বকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্রাব ব্যবহারে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমবে।

তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্রাব করা উচিত নয়। অথবা ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্রাবিং করতে হবে।

শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়।

বাজারে নানা ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যায়। যেগুলো না বুঝে ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উপকারের বদলে অপকারই বেশি হতে পারে। এতে ত্বকে বলিরেখাও দ্রুত পড়তে পারে।

অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে। তাছাড়া শুষ্ক ত্বকের উপর মৃত কোষের স্তরও পড়ে দ্রুত। তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হয়।

জুলিয়া আজাদ বলেন, “শুষ্ক ত্বক দেখতে প্রাণহীন মনে হয় কারণ আলাদা কোনো আভা থাকে না। তাই এমন মাস্ক ব্যবহার করা উচিত যাতে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।”

“দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে উপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানি ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কভাব অনেকটাই কমে আসবে,” বললেন তিনি।

জুলিয়া আজাদ আরও পরামর্শ দেন, “মধুর সঙ্গে মাল্টার রস মিশিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ‍কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি বলিরেখা দূর করতেও এই মিশ্রণ উপকারী।”

আর এসব পদ্ধতি ঈদের আগ থেকে পালন করলে উৎসবে পাওয়া যাবে সজীব ত্বক।
 Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1174366.bdnews

13
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিনের নাম গুগল, এ তথ্য হয়তো নতুন করে কাউকে দেওয়ার কিছু নেই। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য সার্চের কাজ করে যাচ্ছে এই সার্চ ইঞ্জিন। তবে এমন কিছু শব্দ কিংবা বাক্য রয়েছে, যেসব লিখে সার্চ করলেই অদ্ভুত আচরণ করে বসে গুগল!

এই অদ্ভুত বিষয়টা কিন্তু কারিগরি কোনো ত্রুটি নয়! বরং নিছক মজা করার জন্যই গুগলের প্রোগ্রামাররা এগুলো তৈরি করেছেন। তবে এসব কিওয়ার্ডের পেছনের কিছু উপলক্ষ বা ঘটনা রয়েছে।

ব্যবহারকারীদের চমক কিংবা আনন্দ দেওয়ার উপলক্ষ হয়ে যায় এসব মজার সার্চ কিওয়ার্ড! এগুলোর আবার পোশাকি নামও রয়েছে। গুগলের পক্ষ থেকে কিওয়ার্ডগুলোকে ডাকা হয় ‘ইস্টার এগ’!

ইস্টার এগ ছাড়াও গুগলের সার্চের প্রথম পাতা থেকেই বেশ মজার আর প্রয়োজনীয় কিছু কাজ সেরে ফেলা যায়। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ইস্টার এগসহ মজার কিছু কিওয়ার্ডের নাম :


১. Do a Barrel roll/ z or r twice

গুগলের সবচেয়ে পুরোনো ইস্টার এগের একটি। ‘Do a Barrel roll’ কিংবা ‘z or r twice’ লিখে সার্চ দিলেই সার্চ রেজাল্টের পাতাটি একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে আগের জায়গায় পৌঁছে যাবে! সার্চ রেজাল্টের পাতার এপিঠ-ওপিঠ ঘুরে আসার পেছনে কিছু মজার একটা কারণও রয়েছে।

নিন্টেন্ডোর ‘স্টার ফক্স’ গেম যাঁরা খেলেছেন, তাঁরা সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন কারণটি। গেমারকে জেড কিংবা আর বাটন দুবার চেপেই ‘ফক্স’কে এপাশ-ওপাশ ঘুরিয়ে নিতে হতো।



২. A long time ago in a galaxy far, far away

স্টারওয়ার্স ভক্তদের কাছে বহু পরিচিত একটি বাক্য! প্রতিটি স্টারওয়ার্স সিনেমার শুরুতে মহাকাশে ভেসে উঠতে থাকে বহুকাল আগের অনেক দূরের নক্ষত্রপুঞ্জের মহাকাব্য! একবার ভাবুন, অন্তর্জালের এই সীমাহীন ভুবনে আপনার সার্চের ফলাফল যদি স্টারওয়ার্সের প্রোলোগের মতো ভেসে আসত!

সে কাজটাই আপনার জন্য গুগল করবে যদি সার্চ বক্সে ওপরের বাক্যটি লিখে ফেলেন।



৩. <blink>

সার্চবক্সে লিখে সার্চ দিলে সাধারণ সার্চ রেজাল্টের মতই ফলাফল চলে আসবে নিমেষে। শুধু একটু ফারাক আছে এই সার্চের বেলায়। blink শব্দটি কিন্তু বারবার পলক ফেলেই যাবে!



৪. google in 1998

সেই ১৯৯৮ সালে এই মর্ত্যধামে আলোর মুখ দেখেছিল গুগল। তার পর অনেক কাটাছেঁড়া-ঘষামাজা করে আজকের এই গুগল। তবে কেমন ছিল একদম শুরুর সে সময়ের সার্চ ইঞ্জিনটি? এ রকম যদি কখনো কৌতূহল জাগে, তবে ঝটপট গুগলেই সার্চ দিন ‘google in 1998’। সঙ্গে সঙ্গে গুগল আপনাকে নিয়ে হাজির হবে ১৯৯৮ সালের গুগল হোমপেজে!



৫. Zerg rush

এই শব্দ দুটো লিখে সার্চ দিলেই রেজাল্টের পেজে হানা দেবে ছোট ছোট ইংরেজি ‘O’ বর্ণ! আর এক এক করে আপনার সব সার্চ রেজাল্ট ধ্বংস করে দিতে থাকবে তারা। তবে আপনি চাইলেই বাঁচাতে পারেন আপনার মূল্যবান সার্চ রেজাল্ট। মাউস কার্সার হানাদার ও এর ওপর নিয়ে বারবার ক্লিক করে শেষ করে দিতে পারবেন ‘O’ বাহিনীকে।



৬. atari breakout

‘atari breakout’ লিখে গুগলে ইমেজ সার্চ দিন! সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যাবে ‘ব্রিক ব্রেকার’ ধাতের এক গেম। মূল লক্ষ্য থাকবে সার্চ রেজাল্টে আসা সব ছবিকে ধ্বংস করা!



৭. Flip a coin

হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দোটানায় পড়ে গেলেন, ভাবলেন টস করেই না হয় এর মীমাংসা হোক। কিন্তু টস করার জন্য কোনো কয়েন হাতের কাছে নেই! চিন্তা নেই, গুগল আপনার জন্য এই কাজ করে দেবে। Flip a coin লিখে সার্চ দিয়ে টসের ঝামেলা মিটিয়ে নিতে পারবেন সার্চ রেজাল্ট থেকেই।

৮. Roll a die

কয়েনের মতো ছক্কার সমস্যাও মিটিয়ে দিচ্ছে গুগল। লুডু থেকে শুরু করে যেকোনো প্রয়োজনে ছক্কা হারিয়ে গেলে ত্রাতা হিসেবে গুগল হাজির হতে পারে।

৯. askew

এই কিওয়ার্ড সার্চ পেজকে ডান পাশে হেলিয়ে দেখাবে! সঙ্গে সার্চ রেজাল্টকে একটু ঘোলা করে দেখাবে।

১০. গুগলের বিশেষ ভাষা

পৃথিবীর বহু ভাষার মাধ্যমে গুগলে সার্চ করা যায়। তবে এসব প্রচলিত ভাষা ছাড়াও বিভিন্ন অদ্ভুত ভাষা সংযুক্ত আছে গুগলে। এই যেমন ‘হ্যাকার গুগল’, ‘পাইরেট গুগল’ কিংবা ‘ক্লিনগন গুগল’। যেমন আপনার ব্রাউজারে https://www.google.com/?hl=xx-klingon ইউআরএল লিখলে গুগল সম্পূর্ণ ক্লিনগন ভাষায় সার্চ রেজাল্টে দেখাবে! আর যাঁরা মাথা চুলকিয়ে ভাবছেন এই ভাষা ঠিক কোন দেশের, তাঁদের জন্য জানিয়ে রাখছি, এটি জনপ্রিয় সিনেমা স্টারট্রেকের ব্যবহৃত এক কাল্পনিক ভাষা!

Source: http://m.ntvbd.com/tech/36790/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1

14
পৃথিবীর যে দেশেই ছবি মুক্তি পাক সেটা দেখতে এখন আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না বাংলাদেশের দর্শকদের। কারণ মুক্তির দিনেই অনলাইনে চলে আসে এর পাইরেটেড কপি। এরপর দিন গেলে আরো ভালো মানের ভিডিও চলে আসে।

আর চলচ্চিত্র, সিরিয়াল বা গান ডাউনলোডের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে টরেন্ট। পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্তের মানুষই টরেন্ট থেকে ফাইল ডাউনলোড করে থাকেন।

কিন্তু টরেন্ট কি বৈধ না অবৈধ সেটা ভেবে দেখেছেন কখনো? আর এত এত চলচ্চিত্র বা সিরিয়াল আপলোড করার পরও কীভাবে নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এটি? অন্যান্য সাইটের তুলনায় টরেন্ট সাইটগুলো থেকে ফাইল কীভাবে দ্রুত আপলোড বা ডাউনলোড হয়?

এখানেই আর সবার থেকে আলাদা টরেন্ট। আপনি যখন কোনো ছবি বা ফাইল ডাউনলোড করছেন টরেন্ট থেকে সেটা আপনি একটি ফাইল ডাউনলোড করলেও সেটা আসলে একটি ফাইল নয়। আদতে ব্যবহারকারীরা একটি ফাইল ডাউনলোড করছেন মনে হলেও পুরো প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। কারণ আপনি যে মুভি ফাইলটা ডাউনলোড করছেন সেটি একটি ফাইল নয় এবং এটি এক জায়গাতেও নেই। পুরো ফাইলটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট ছোট আকারে ছড়িয়ে আছে। ইউটরেন্ট বা বিটটরেন্টের মতো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ব্যবহারকারীরা ডাটা ডাউনলোড করেন।

ব্যবহারকারীরা যে ক্লায়েন্টের মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোড করেন, সেই ক্লায়েন্টই এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অংশগুলোকে একত্রিত করে এবং একটি ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করতে সহায়তা করে।

আর ঠিক এ কারণেই টরেন্ট থেকে যেকোনো ফাইল দ্রুত ডাউনলোড বা আপলোড করা যায়। কারণ এটি একটি সার্ভার থেকে নয় বরং অনেকগুলো সার্ভার থেকে ছোট ফাইল একত্রিত করে ডাউনলোড হয়।

Source: http://m.ntvbd.com/tech/50015/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F

15
অফলাইনে ইউটিউব ভিডিও দেখার সেবা চালু হতে যাচ্ছে ভারতে। ‘স্মার্ট অফলাইন’ নামের ফিচারটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত ভিডিও ডাউনলোড করে রাখবে যা পরে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই নির্বিঘ্নে দেখা যাবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে এই খবর।

ভারতে ইন্টারনেট খরচ পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বেশ ব্যয়বহুল। তবে বিভিন্ন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অফপিক আওয়ার বা মধ্যরাতে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহারের সুযোগ দেয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব তাদের অফলাইন সেবা চালু করেছে ভারতে।

স্মার্ট অফলাইন মধ্যরাতের স্বল্প খরচের ডাটা প্যাক ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দসই সব ভিডিও ডাউনলোড করে ফেলবেন স্মার্টফোনে। এসব ভিডিও পরে দেখতে আর ডাটা খরচ করার কোনো প্রয়োজন হবে না।

স্মার্ট অফলাইন প্রথম পর্যায়ে ভারতের দুটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের অধীনে ব্যবহার করা যাবে। ভারতের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটর এয়ারটেল এবং এ তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা টেলিনর তাদের গ্রাহকদের জন্য চালু করছে স্মার্ট অফলাইন সেবা। তবে ইউটিউব জানিয়েছে তারা এই দুটি নেটওয়ার্কেই আটকে থাকতে চায় না, ভবিষ্যতে এ তালিকা আরো লম্বা হবে।

গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অফলাইনে ইউটিউব ব্যবহারের সুবিধা চালু হয়। অবশ্য সেটি ইউটিউবের প্রিমিয়াম সংস্করণ ইউটিউব রেডের ক্ষেত্রে চালু করা হয়।

স্মার্ট অফলাইন ফিচার ব্যবহার করতে হলে এয়ারটেল এবং টেলিনর গ্রাহকদের অবশ্যই সেলুলার ডাটা ব্যবহার করতে হবে, ওয়াইফাই ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ফিচার কাজে আসবে না। তা ছাড়া ইউটিউব অ্যাপ সর্বশেষ সংস্করণে হালনাগাদকৃত থাকতে হবে।

ভিডিও ডাউনলোডের জন্য ইউটিউব ভিডিওর পাশে ছাই রঙের তীর চিহ্নে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর স্ক্রিনে আসা মেন্যু থেকে বাছাই করে নেওয়া যাবে ভিডিও ডাউনলোড হওয়ার নির্দিষ্ট সময়।

ইউটিউবের প্রোডাক্ট ম্যানেজার জেসিকা জু তার ব্লগপোস্টে এক লাইনে স্মার্ট অফলাইনের কার্যপদ্ধতি বুঝিয়ে বলেছেন, ‘যখন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠবেন ততক্ষণে আপনার সব ভিডিও অফলাইনে দেখার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকবে এবং কোনো বাফারিং ছাড়াই!’

Source: http://m.ntvbd.com/tech/55021/%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93

Pages: [1] 2 3