Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - khadija kochi

Pages: [1] 2 3 ... 7
1

পৃথিবীর কেন্দ্রে এক কাঠামো পাওয়া গেছে।
পৃথিবীর কেন্দ্রে কী আছে, এ নিয়ে অনেকের মনে কৌতূহল জন্মাতে পারে। গবেষকেরা এ নিয়ে নতুন এক বিস্ময়কর খবর জানালেন। গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিচে কোরের কাছাকাছি বিশাল এক কাঠামো রয়েছে, যা তাঁরা ভূকম্পন তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছেন।

সম্প্রতি সায়েন্স সাময়িকীতে গবেষণাবিষয়ক এ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।


বিজ্ঞান সাময়িকী নিউ সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের তরঙ্গ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পৃথিবীর পৃষ্ঠের ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার নিচে পৃথিবীর গলিত কোর ও শক্ত আবরণের সীমানায় দৈত্যকার কাঠামোটি রয়েছে।

বড় ধরনের কয়েক শ ভূমিকম্পের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক দোয়েওন কিম এবং তাঁর সহকর্মীরা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয় মার্কেসাস দ্বীপের নিচে একটি নতুন কাঠামো পেয়েছেন। কিম বলেছেন, কাঠামোটি আলট্রা লো ভেলোসিটি (ইউএলভি) অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এটি প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার ব্যাসের এবং ২৫ কিলোমিটার পুরু।

এ কাঠামোকে আলট্রা লো ভেলোসিটি বলার কারণ হচ্ছে, এখান দিয়ে ভূমিকম্পের তরঙ্গ ধীরগতিতে যায়। তবে এটি তৈরির বিষয়টি এখনো রহস্য। এ কাঠামো পৃথিবীর আয়রন, নিকেল অ্যালয় কোর এবং সিলিকেট রক ম্যান্টল থেকে রাসায়নিকভাবে পৃথক হতে পারে বা বিভিন্ন তাপীয় বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে।

গবেষক দলটি আরও জানতে পেরেছে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের নিচে আগে আবিষ্কৃত একটি ইউএলভি অঞ্চল আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি বড়।

গবেষক কিম বলেন, পৃথিবীর ম্যান্টল অধ্যয়ন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পৃথিবীর কাঠামো কীভাবে গড়ে উঠেছে এবং সময়ের সঙ্গে তা পরিবর্তন হয়েছে, তা জানা যাবে। পৃথিবীর ম্যান্টল হলো যেখানে পরিচালন ঘটছে এবং এটি টেকটোনিক প্লেট ও হটস্পট আগ্নেয়গিরির জন্য চালিত প্রক্রিয়ার অঞ্চল।

ইউএলভি অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা গেলে কিছু আগ্নেয়গিরির উৎস পৃথিবীর তলদেশের নিচে রয়েছে কি না এবং পৃথিবীর নিম্ন ম্যান্টলের গঠনও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।


2
Faculty Forum / রঙের ছোঁয়ায় রঙিন ঘর
« on: June 15, 2020, 10:11:12 AM »
শুরু হয়ে গেছে বিয়ের মৌসুম। বিয়ের নানা প্রস্তুতি তো চলতেই থাকে। এর পাশাপাশি নবদম্পতির ঘরটির অন্দরসজ্জা কেমন হবে, তা নিয়েও কিন্তু ভাবনার অন্ত থাকে না। কারণ, এই ঘর থেকেই তো শুরু তাঁদের নতুন জীবনের পথচলা।

 নবদম্পতির ঘরের আসবাব পছন্দ করার সময় আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ড্রেসিং টেবিল, আলমারির নকশা হালকা হওয়া ভালো। এতে ঘর বেশ ফাঁকা দেখায়। এদিকে ঘরে জায়গা কম থাকলে দেয়ালজোড়া আসবাব বানানো ভালো। বিছানার চাদর ও বেডকভার বাছাই করার সময় পছন্দের সঙ্গে আরামের দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বিছানায় ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম কুশন। পর্দা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তা যেন অপেক্ষাকৃত ভারী কাপড়ের হয়। বেডের পাশে রাখতে পারেন কার্পেট বা শতরঞ্জি। আসবাবের পাশাপাশি ঘরে প্রাকৃতিক আবহের জন্য রাখতে পারেন তাজা ফুলসহ ফুলদানি ও নানা রকম ইনডোর প্ল্যান্টস। ল্যাম্পের আলোর ব্যবহারে ঘরে আনতে পারেন রোমান্টিক আবহ।

শোয়ার ঘরকে একটি নির্দিষ্ট রঙে রাঙানো বা থিম ধরে সাজানোর প্রচলন বেশ আগে থেকেই জনপ্রিয়। আধুনিক গৃহসজ্জায় ঘরকে রাঙানোর ক্ষেত্রে যোগ হয়েছে নতুন চিন্তাভাবনা। দিন শেষে বিশ্রাম নিতে এবং সকালে নতুন উদ্যমে দিন শুরু করা হয় এই শোয়ার ঘর থেকেই। তাই শোয়ার ঘরের অন্দরসজ্জা ও রঙের বিন্যাস এমন হওয়া উচিত, যা একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করে এনে দিতে পারে সতেজতা। সে ক্ষেত্রে আকাশি বা ময়ূরকণ্ঠী নীল, ফিরোজা, জলপাই বা শেওলা সবুজ, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি রং বেছে নিতে পারেন। এসব রং মনকে সতেজ ও প্রশমিত করে। গোলাপি বা লাল হলো রোমান্টিকতার প্রতীক। তাই বহু আগে থেকেই শোয়ার ঘরের রং হিসেবে লাল, মেরুন, গোলাপি স্থান দখল করে রেখেছে। এর পাশাপাশি হলুদ বা কমলা উষ্ণ ও আরামদায়ক রং হিসেবে শোয়ার ঘরে বেশ মানিয়ে যায়।

যদি আপনি ঘরকে বেশি রংচঙে না করতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন সাদাকালো বা নিউট্রালের মতো কালার স্কিম। সাদাকালো সব সময়ই স্থানকালপাত্রভেদে জনপ্রিয় এবং এই দুটি রং পরস্পরের সঙ্গে দারুণভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে। নিউট্রাল বা নিরপেক্ষ রঙের ক্ষেত্রে অফহোয়াইট, ছাই, বাদামি, ধূসর ইত্যাদি রংও মানানসই। তবে ঘরকে সাজানো বা রাঙানোর নানা রকম উপায় থাকলেও এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে নবদম্পতির ব্যক্তিগত পছন্দ ও রুচি।

এদিকে পছন্দের রং দিয়ে ঘর সাজানোর জন্য দেয়াল থেকে মেঝে পর্যন্ত সবকিছু সেই রঙের প্রলেপে মুড়ে দিতে হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। পছন্দের রং বা কালার স্কিম বেছে নেওয়ার পর ঘরের এক পাশের দেয়ালে সেই রঙের ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত এ ক্ষেত্রে বিছানার পেছনের দেয়ালটি বেছে নেওয়া ভালো। দেয়াল ছাড়াও বিছানার চাদর, পর্দা অথবা কার্পেটের রং মিলিয়েও ঘরকে রঙিন আবহ দেওয়া যেতে পারে। দুটি রং ব্যবহার করলে একটি দেয়াল ও কুশন এক রঙের এবং পর্দা ও চাদর আরেক রঙের করলেও ভালো দেখাবে। এ ছাড়া গাছের টব, ফুলদানি—এমন ছোট ছোট অনুষঙ্গের মাধ্যমেও রঙের ছোঁয়া আনা যায়

3
Faculty Forum / সংসারের শুরুতে
« on: June 15, 2020, 10:09:42 AM »
বিয়ের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। বিয়ের পর নবদম্পতিকে সবকিছু নতুন করে সাজাতে হয়। কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আছে, যা সংসারের শুরু থেকে দরকার পড়ে। বসার ঘর থেকে শোবার ঘর, এমনকি রান্নাঘরেও সবকিছু ঢেলে সাজাতে হয়। আর ঘর সাজানোর জন্য বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঘরগৃহস্থালি সামগ্রী।

নবদম্পতিদের ঘর সাজাতে সিঙ্গারের রয়েছে সাধ্যের মধ্যে নান্দনিক ডিজাইন, বাহারি নকশার টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এসব গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালিসামগ্রী তাঁদের অন্দরের চেহারায় বদল এনে দেবে।

বিয়ের মৌসুমের প্রভাব পড়ে ইলেকট্রনিকসের বাজারে। নানা মূল্যছাড় আর আকর্ষণীয় সুবিধা নিয়ে হাজির হয় প্রতিষ্ঠানগুলো। যেন রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে নতুন দম্পতিকে টার্গেট করে। ঘরগৃহস্থালির প্রসঙ্গ এলেই প্রথমে চলে আসে রেফ্রিজারেটরের কথা। নগরজীবন এবং মফস্বলের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে দরকারি পণ্যের মধ্যে ফ্রিজ অন্যতম। সদ্যবিবাহিত জুটির জন্য তা অনেকটাই আশীর্বাদস্বরূপ। দুজনেই কর্মজীবী হলে তো আর কথাই নেই। আপনজনেরা তাই এর প্রয়োজন বুঝতে পেরে ইদানীং নতুন যুগলদের উপহার দিচ্ছেন ফ্রিজ।

ইলেকট্রনিকসের বাজারে এ সময় টেলিভিশনের কদরও থাকে বেশ। মূলত বিয়েতে উপহারসামগ্রী হিসেবে অনেক আগে থেকেই টেলিভিশনের যথেষ্ট কদর আছে। বিশেষত, বিয়ের অনুষ্ঠানে কী উপহার দেওয়া যায়, এমন চিন্তার একটি সহজ সমাধান হতে পারে টেলিভিশন।


কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য ওয়াশিং মেশিন এখন আর বিলাসিতা নয়, অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্র। একজন মানুষের স্মার্টনেস এবং ব্যক্তিত্বের অনেকটাই প্রকাশ করে তাঁর পোশাক। সে জন্য পরনের কাপড় হওয়া চাই পরিষ্কার ও পরিপাটি। আর কাজটি সহজ করে দিতে আছে ওয়াশিং মেশিন।

শীতকালের এসির উপযোগিতা কম হলেও প্রয়োজনটা একেবারে কম নয়। শহুরে জীবনে শীত তো আজ আসে,
 কাল নেই। আবার এই মৌসুমে যেহেতু চাহিদা কম, তাই তুলনামূলক অল্প দামে কিনে রাখাটাও বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে।

ব্যস্ত জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনের গুরুত্ব কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। যদিও গড়পড়তা বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে রান্নার কাজটা হেঁশেলেই সেরে ফেলার চল আছে, তবু ওভেন বাঁচিয়ে দিতে পারে অনেক মূল্যবান সময়। তাই নতুন সংসারে ওভেন হতে পারে চমত্কার একটি সামগ্রী। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে ঝটপট গরম করে নিলেই হবে। চুলা জ্বালিয়ে খাবার গরম করার প্রয়োজন পড়বে না।

নতুন সংসার সাজাতে নবদম্পতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন প্রয়োজনীয় ঘরগৃহস্থালির জিনিসপত্র কেনাকাটায়। আর নববিবাহিতদের এই চাহিদার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে টিভি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসেছে স্যামসাং। ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতারা যেকোনো স্যামসাং গৃহস্থালি পণ্য কিনলেই জিতে নিতে পারবেন টিভি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন কিংবা মাইক্রোওয়েভ ওভেন।

স্যামসাং টিভি, রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে যেকোনো দুটি পণ্য একসঙ্গে কিনলে ক্রেতারা পাবেন অতিরিক্ত ৩ শতাংশ মূল্যফেরত। পাশাপাশি যেকোনো তিনটি পণ্য একত্রে কিনলেই ক্রেতারা পাবেন ৫ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্যফেরত। সুবিধাটির আওতায় একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। টিভি এবং রেফ্রিজারেটরের ক্ষেত্রে থাকছে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা সমপরিমাণের বিনিময় সুবিধা। মেগা-গিফট হিসেবে ভাগ্যবান ক্রেতারা পেয়ে যেতে পারেন ১০০ শতাংশ মূল্যফেরত সুবিধা। এই আয়োজন প্রসঙ্গে স্যামসাং বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুত্ফর জানান, স্যামসাং হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলোতে রয়েছে দারুণ সব উদ্ভাবনী ফিচার এবং প্রযুক্তি, যা একটি পরিবারের সাংসারিক কাজগুলোকে করে আরও নিখুঁত। এগুলো দৈনন্দিন কাজ সহজ করার পাশাপাশি নবদম্পতিদের জন্য সাবলীলভাবে নতুন সংসার শুরু করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে।

বিয়ের মৌসুমকে ঘিরে সিঙ্গার নবদম্পতিদের জন্য এনেছে ‘যুগলবন্দী অফার’। এ অফারের মধ্যে ১২টি বান্ডেল থেকে নতুন দম্পতিরা বেছে নিতে পারেন তাঁদের পছন্দমতো নান্দনিক ডিজাইনের পণ্যসামগ্রী। এ অফারের আওতায় সর্বনিম্ন ২৯ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে শুরু করে ৭৩ হাজার ৯৯০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের পণ্য কেনা যাবে। এ ছাড়া সিঙ্গার এই অফারের আওতায় বাছাই ১০ নবদম্পতিকে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত গ্র্যান্ড সুলতান টি–রিসোর্টে দুই রাতের স্পেশাল কাপল প্যাকেজ উপহার হিসেবে দেবে। এ জন্য এই অফারের আওতায় পণ্যসামগ্রী কিনে এসএমএস করতে হবে এবং ভাগ্যবান বিজয়ীদের পরে সিঙ্গারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিয়ের মৌসুম উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা অফার ঘোষণা করেছে।

শেষ হচ্ছে ২০১৯ সাল। নতুন বছরকে সামনে রেখে দেওয়া সুবিধাগুলো থেকে বেছে নিন আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যটি। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করে নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি পণ্য ঘরে আনার উপযুক্ত সময় তাই এখনই।

4
Faculty Forum / অন্দরে অরণ্য
« on: June 15, 2020, 10:08:37 AM »
‘ঘরের ভেতর তো একদম সবুজ বানিয়ে ফেলেছ!’—এমন এক মন্তব্য থেকেই মাথায় এল শিরোনামটা। ঘরের মধ্যে থাকা মানুষের মন যদি অরণ্যমুখী হয়, তিনি ঘরকে সবুজ করতে চাইতেই পারেন। অন্দরে চলে আসে ছোটখাটো নিজস্ব অরণ্য। তবে যত্ন–আত্তিও জানা থাকা চাই, না হলে তো অরণ্য জঙ্গলে পরিণত হতে সময় লাগবে না।

অন্দরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু গাছই বেছে নিতে হয়। ঘরের ভেতরের গাছে (বারান্দা নয়) ২-৩ দিন পর পানি দিতে হয়, তবে এটি নির্ভর করে মাটির আর্দ্রতার ওপর। ৩-৪ দিন পরপর মাটি নিড়িয়ে দিলে গাছের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাবে, আপনিও মাটির আর্দ্রতার ধারণা পেয়ে যাবেন। তবে যেদিন মাটি নিড়িয়ে দেবেন, সেদিন পানি দেবেন না। ঘরের গাছগুলো সপ্তাহে এক দিন রোদে রাখতে চেষ্টা করুন। রোদে গাছ নিজের খাবার তৈরি করে। ঘরের কৃত্রিম আলোতে গাছের সেই চাহিদা পূরণ হয় না। ফুলগাছ ঘরে নয়, বারান্দায় রাখুন (যেখানে অন্তত একটা বেলা পর্যাপ্ত রোদ আসে)। অন্দরের জন্য বাহারি পাতার গাছ বেছে নিন (যেমন—এরিকা পাম)। রঙিন পাতাবাহারের পাতার রং অবশ্য রোদ পেলে একধরনের হয়, রোদ না পেলে সাধারণত যেকোনো একটা রং হয়ে যায়। রাজধানীর আসাদ গেটে অবস্থিত ফলবীথি হর্টিকালচার সেন্টারের উপসহকারী হর্টিকালচার কর্মকর্তা জান্নাতুল মার্জিয়া জানালেন এমন নানা তথ্য।


জেনে রাখুন

রাসায়নিক সারের মাত্রা ঠিক রাখা জরুরি। ১২ থেকে ১৮ ইঞ্চি মাপের টবের জন্য ১ চা-চামচ টিএসপি, ১ চা-চামচ পটাশ আর পৌনে এক চা-চামচ বোরন সার দিতে হবে।
গোবর পচা মাটি ব্যবহার করতে হবে।
শর্ষের খৈল অল্প পানিতে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন। ১০ দিন পর পানি মিশিয়ে পাতলা করে (লাঠিজাতীয় কিছু দিয়ে নেড়ে) গাছে দিন। তবে এতে বেশ দুর্গন্ধ হয়। সইতে পারলে তবেই ঘরের গাছে দিন। মাটিতে একটা স্তর পড়ে। ২-৩ দিন পর মাটি নিড়িয়ে মিশিয়ে দিতে হয়, তখন আর দুর্গন্ধ থাকে না। গাছে খৈল দেওয়ার আগের দিন মাটি খুঁচিয়ে নিতে হবে।
বাড়ির ছাদে মাটির বড় পাত্রে সবজির খোসা কুচি (পেঁয়াজ বা রসুন নয়), ব্যবহৃত চা-পাতা (দুধ-চিনি দিয়ে চা তৈরি করলে ধুয়ে নিতে হবে) গোবর সারের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন কিংবা গোবর সারের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
গাছের আরও পুষ্টি

৩-৪ মাস পরপর গাছে সার দেওয়া ভালো। ১ বার রাসায়নিক সার, ১-২ বার শর্ষের খৈল, ১-২ বার গোবর সার কিংবা সবজি ও চা-পাতা পচিয়ে করা সার দিতে পারেন। খৈল বাদে বাকি সার দেওয়ার পরপরই মাটি খুঁচিয়ে দিয়ে হালকাভাবে পানি দিন।

আরও কিছু

দুই-আড়াই মাস অন্তর ভিটামিন স্প্রে করতে পারেন (নিয়ম অনুসারে)।
গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে এলে পাতায় ফলিয়ার স্প্রে (এক লিটার পানিতে এক গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে) করতে পারেন। বিবর্ণতা প্রতিরোধে প্রতি দুই-আড়াই মাসে একবার এই স্প্রে করা যায়। এক গ্রাম পরিমাণের সাধারণ একটা ধারণা হলো চা-চামচের উল্টো পিঠে যতটা উঠে আসে।
পোকামাকড় হতে পারে গাছে। মাকড় দেখতে বাদামি রঙের ছোট্ট উকুনের বাচ্চার মতো, যাদের নড়াচড়া খুব ভালোভাবে লক্ষ না করলে বোঝা যায় না। মাকড় দেখা দিলে মাকড়নাশক আর পোকা হলে কীটনাশক দিতে হবে। ছত্রাক হলে দাগ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে ছত্রাকনাশক প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রতিরোধের জন্য প্রতি মাসে একবার (রোদে দেওয়ার আগে) ছত্রাকনাশকের সঙ্গে কীটনাশক/মাকড়নাশকের যেকোনোটি (এক এক মাসে এ দুটোর এক একটি) প্রয়োগ করুন।
যেকোনো রাসায়নিক প্রয়োগের আগে নিরাপত্তার নির্দেশনা জেনে নিতে হবে, পরিমাণমতো ব্যবহার করতে হবে।
স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে বিনা মূল্যে ১-২ দিনের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। ছাদবাগানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও তা অন্দরের অরণ্য সাজাতে আপনাকে সাহায্য করবে।

5
Faculty Forum / পরিবেশনায় পরিপাটি
« on: June 15, 2020, 10:07:03 AM »
এই করোনাকালে ঈদের দিন ঘরোয়া আমেজে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছোট আয়োজন তো থাকতেই পারে। ঈদের দিন বাড়িতে থাকা বাসনকোসন ও টেবিল সজ্জার উপকরণ দিয়েই আপনি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করতে পারেন।

টেবিল সাজানোর জন্য প্রথমেই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ঘরে থাকা উপাদানে সাজাতে পারেন ঈদের দিনের টেবিল। খাবার টেবিলের আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করে তার সজ্জার বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে। খাবার ঘরে বেশি জায়গা থাকলে টেবিলের স্থান পরিবর্তন করলেও আসবে ভিন্নতা—এমনটাই জানালেন অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরীন চৌধুরী। এ ছাড়া ঘরে থাকা বাসন ও অন্য উপকরণ দিয়ে টেবিলে পরিবর্তন আনতে দিয়েছেন কিছু পরামর্শ।

এখন গ্রীষ্ম। তাই প্রকৃতিতে গরমের প্রাধান্যও বেশি। ঈদের সকালের সময়টাতে তাই টেবিলে সাদা রঙের ক্লথ শুভ্রতা ও আরামদায়ক অনুভূতি দেবে। তবে এই সময়ে বাসায় সাদা টেবিল ক্লথা না থাকলে যেকোনো বিছানার সাদা চাদর বা সাদা ওড়না ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া পুরোনো জামদানির পাড় বা ফেলে রাখা শাড়ি কেটে নকশা করতে পারেন।

টেবিল ক্লথ যেহেতু সাদা তাই খাবার পরিবেশনের বাসন হওয়া চাই একটু রঙিন। ঘরে থাকা রঙিন বাসন ভিন্ন রূপ এনে দেবে। রঙিন সিরামিক বা মেলামিনের বাসনে সকালের নাশতা পরিবেশন করতে পারেন। চামচ ব্যবহার করতে পারেন সিরামিকের বা কাঠের। টেবিলে সামান্য স্নিগ্ধতা আনতে পারে ফুল। তবে বাইরে গিয়ে নয়, বরংআপনার বারান্দায়, ছাদে বা বাগানে ফোটা ফুল বা শুধু সবুজ পাতাও পানিতে ধুয়ে এক কোণে সাজাতে পারেন।


দুপুরের খাবার পরিবেশনের আগে টেবিল ক্লথটা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। কারণ টেবিল সাজাতে টেবিল ক্লথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এ সময়ে একটু ভারী খাবার পরিবেশন হবে তাই টেবিল ক্লথের রং হতে পারে হালকা গোলাপি বা নীল ধরনের। ক্লথ না থাকলে একই রকম ভাবে এই রঙের নকশা বা ছোট ফুলের ছাপা চাদর বা ওড়না বিছানো যাবে অনায়াসে। আর সব সময়ে ব্যবহারের সময় প্লাস্টিকের টেবিল ম্যাট বিছিয়ে নিলে পরিষ্কার করাও সহজ হবে।

দুপুরের খাবার পরিবেশনের জন্য স্বচ্ছ কাচের বাসন ব্যবহার করা যেতেই পারে। সকালে গোল আকারের বাসন ব্যবহার করলে দুপুরে একটু পরিবর্তন এনে ঘরে থাকা চারকোনা আকারের বাসন টেবিলে সাজানো যায়। রুপালি রঙের চামচ এই বাসনের সঙ্গে মানানসই হবে। টেবিলের এক পাশে ঘরে থাকা ফল ঝুড়িতে বা কাচের বোলে সাজিয়ে রাখলে কিছু নতুনত্বআসবে।

রাতের জন্য টেবিল ক্লথ হিসেবে লাল রঙের কোনো কাপড় বেছে নিতে পারেন। তার ওপর সাদা বা হালকা রঙের টেবিল ম্যাট ও রানার বিছিয়ে দিন। একরঙা সাদা বা কালোর পাশে সোনালি বর্ডার করা সিরামিকের ডিনার সেট ভালো লাগবে। এর সঙ্গে সোনালি রঙের চামচ ব্যবহার করতে পারেন। আর টেবিলের পাশে ঘরে থাকা মোম গ্লাসে সাজালে টেবিলের সাজে আসবে

6
একটানা অনেক দিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে কি একঘেয়েমিতে পেয়ে বসেছে? এবার তাহলে ঘরের সাজের দিকে বিশেষ মনোযোগ তো দিতেই পারেন। এতে যেমন অন্দরসাজে আসবে নতুনত্ব তেমনি একই ঘরে থাকতে যে বিরক্তি আপনাকে ঘিরে ধরেছিল তারও খানিকটা হবে অবসান। আর সামনেই ঈদুল ফিতর। নাই–বা হলো এবার বাইরে ছুটে বেড়ানো, তাই বলে কি ঘরে আনা যাবে না উৎসবের আবহ।
যেহেতু বাড়িতে বসে আছেন তাই ঘর সাজাতে বসে গেছেন অভিনেত্রী অর্চিতা স্পশিয়া। জানালেন, শুধু ঘরের নান্দনিকতার দিকেই নয়, পরিচ্ছন্নতার দিকে সব সময়ই মনোযোগ দিয়ে থাকেন তিনি। ‘আর এখন তো করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে সবকিছুতেই মেনে চলতে হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত ঘর তো পরিষ্কার করছিই পাশাপাশি সুইচ বোর্ড, দরজার হাতল, ছিটকিনি—এসব পরিষ্কার করছি নিজ হাতেই।’ বলছিলেন স্পর্শিয়া। আমাদের দেশে ধুলার পরিমাণ এত বেশি যে নিয়মিত ঘরের আসবাব ও অন্যান্য উপকরণ পরিষ্কার না করলে ঘরটাই যেন কেমন হয়ে ওঠে। তাই স্পর্শিয়া এ কাজটা সব সময়ই করেন।
ঘর মানেই তো নিজস্ব জায়গা। সেটা যদি পরিচ্ছন্ন না হয়, ঘরের সাজ যদি মনের মতো না হয় তাহলে তো সেই ঘরকে আপন বলে মনে হয় না। এমনটাই ভাবনা অর্চিতা স্পর্শিয়ার। হালকা আসবাব ভালোবাসেন। ঘরে অপ্রয়োজনীয় জিনিস একেবারেই তাঁর অপছন্দ। পুরোনো দিনের কিছু জিনিসপত্র আর নিজের আঁকা ছবি, ঘরে শুধু এটুকুই।

নান্দনিক তার পাশাপাশি ঘরের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া।ছবি: সংগৃহীত
নান্দনিক তার পাশাপাশি ঘরের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া।ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে ঘরেই কাটছে সময়। এখন সচেতনতার বড় এক বিষয় পরিচ্ছন্নতা। ঘরদোর পরিষ্কার আর পরিপাটি রাখলে অন্দরও হয়ে ওঠে নান্দনিক। ঘরের থাকা আসবাবসহ নানা উপকরণের স্থান বদল করলেও অন্দরসাজে আসে নতুনত্ব।
একটানা অনেক দিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে কি একঘেয়েমিতে পেয়ে বসেছে? এবার তাহলে ঘরের সাজের দিকে বিশেষ মনোযোগ তো দিতেই পারেন। এতে যেমন অন্দরসাজে আসবে নতুনত্ব তেমনি একই ঘরে থাকতে যে বিরক্তি আপনাকে ঘিরে ধরেছিল তারও খানিকটা হবে অবসান। আর সামনেই ঈদুল ফিতর। নাই–বা হলো এবার বাইরে ছুটে বেড়ানো, তাই বলে কি ঘরে আনা যাবে না উৎসবের আবহ।

হালকা আসবা বেশৈল্পিক আবহ
হালকা আসবা বেশৈল্পিক আবহ
যেহেতু বাড়িতে বসে আছেন তাই ঘর সাজাতে বসে গেছেন অভিনেত্রী অর্চিতা স্পশিয়া। জানালেন, শুধু ঘরের নান্দনিকতার দিকেই নয়, পরিচ্ছন্নতার দিকে সব সময়ই মনোযোগ দিয়ে থাকেন তিনি। ‘আর এখন তো করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে সবকিছুতেই মেনে চলতে হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত ঘর তো পরিষ্কার করছিই পাশাপাশি সুইচ বোর্ড, দরজার হাতল, ছিটকিনি—এসব পরিষ্কার করছি নিজ হাতেই।’ বলছিলেন স্পর্শিয়া। আমাদের দেশে ধুলার পরিমাণ এত বেশি যে নিয়মিত ঘরের আসবাব ও অন্যান্য উপকরণ পরিষ্কার না করলে ঘরটাই যেন কেমন হয়ে ওঠে। তাই স্পর্শিয়া এ কাজটা সব সময়ই করেন।

ঘর মানেই তো নিজস্ব জায়গা। সেটা যদি পরিচ্ছন্ন না হয়, ঘরের সাজ যদি মনের মতো না হয় তাহলে তো সেই ঘরকে আপন বলে মনে হয় না। এমনটাই ভাবনা অর্চিতা স্পর্শিয়ার। হালকা আসবাব ভালোবাসেন। ঘরে অপ্রয়োজনীয় জিনিস একেবারেই তাঁর অপছন্দ। পুরোনো দিনের কিছু জিনিসপত্র আর নিজের আঁকা ছবি, ঘরে শুধু এটুকুই।

মায়ের সঙ্গে থাকেন স্পর্শিয়া। মা–মেয়ে দুজনেরই পছন্দ নান্দনিক অন্দরসাজ। স্পর্শিয়া বলছিলেন, এই বাসার মূল প্রাণ হচ্ছে বই ও গাছ। আর এ কারণে এই বন্দী সময়েও একঘেয়েমি পেয়ে বসেনি তাঁদের। ঈদের দিন বাড়িতে কী করবেন, তা নিয়ে এখন থেকেই চলছে পরিকল্পনা। ‘আসলে ঘরে যা যা আছে সেসবের মধ্যে একটু অদল–বদল করব আর কী।’ উত্সবে–আয়োজনে ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে ভালো লাগে স্পর্শিয়ার। এবার যদি সুযোগ মেলে তবে দোলনচাঁপায় সাজাবেন ঘর। মোমের আলো আর ল্যাম্পশ্যাডের আলো–ছায়ার খেলায় ঘরগুলো সেজে উঠবে নতুন সাজে।
এদিকে ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে এভাবে নতুনত্ব আনার কথা বললেন স্থপতি ও অন্দরসজ্জাবিদ রাফিয়া মারিয়াম আহমেদ। যেমন আলমারিতে অনেক শাড়ি থাকে, যেগুলো হয়তো আর পরা হবে না। এখন সেখান থেকে কিছু শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে ঘর সাজানোর জন্য। এবার আসবাব ও দেয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে এসব শাড়ি দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন জানালার পর্দা। সঙ্গে ম্যাচিং কুশন কভারও বানিয়ে নিতে পারেন। যদি পুরোনো জামদানি থাকে তাহলে ঘরের জানালায় থাকা পর্দার চারধারে সেই জামদানির পার জুড়ে নিন। এসব বানাতে যে সব সময়ই সেলাই মেশিন লাগবে, তা কিন্তু নয়। সুই–সুতা দিয়েও নিজ হাতেই আপনি কাপড় জোড়া লাগাতে পারেন পর্দায়। যদি বসার ঘরে কুশন থাকে সেখানেও কাভারের চারদিকে এমন কাপড় জুড়ে দিতে পারেন। অনেকের বাড়িতে শীতল পাটি থাকে, এমন পাটিতেই বসার আয়োজন করতে পারেন। এখানেও পাটিরচারধারজুড়ে লাগিয়ে নিতে পারেন পুরোনো নকশাওয়ালা কাপড়। অনেকেই ঘর সাজাতে গাছ ব্যবহার করে থাকেন। যেহেতু এখন ডেঙ্গুর সময়, তাই এই দিকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন মনে করেন রাফিয়া মারিয়াম। যেমন, ঘরে যদি গাছ দিয়ে সাজাতে চান তবে সেখানে যেন পানি না জমে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। গাছে পানি দেওয়ার প্রয়োজন হলে বারান্দায় নিয়ে পানি দিন। পানি মাটির ভেতর ঢুকলে তবেই সেই গাছটি ঘরে আনুন। পানিতে বেড়ে ওঠা গাছ এই সময় ঘরে না রাখাই ভালো।
বাড়িতে যদি এনামেল রং থাকে তবে, তা দিয়ে মাটির টবগুলো রাঙিয়ে নিতে পারেন। একই ভাবে ঘরের যেকোনো একটি দেয়ালকেও রাঙাতে পারেন।
আসবাবের জায়গার একটু অদলবদল এই সময় ঘরকে দিতে পারে এক নতুন রূপ। সারা বছর যাদের আলাদা করে ঘর গোছানোর সময় হয় না, এই বন্দী সময়ে তাঁরা কাজে লাগাতে পারেন। পরিচ্ছন্ন করতে পারেন ঘরের চারপাশ। এতে আপনার মনও হয়ে উঠবে প্রফুল্ল।

7
Faculty Forum / স্বস্তির বারান্দা
« on: June 15, 2020, 10:01:58 AM »


গুছিয়ে রাখলে বারান্দাই হতে পারে স্বস্তির এক জায়গা। কৃতজ্ঞতা: ফারাহ জাবীন, ছবি: খালেদ সরকার
শুধু গাছ দিয়েই হয়তো বারান্দা সাজিয়েছেন এত দিন, একটু হয়তো বসার ব্যবস্থা। চাইলে বাড়ির বারান্দা মনের মতো করে সাজাতে পারেন। চলতি পথে কত কিছুই না পড়ে থাকতে দেখা যায় এদিক-ওদিক। যেমন গাড়ির টায়ার বা তেলের ড্রাম। কখনো ভেবে দেখেছেন, ফেলে দেওয়া এসব জিনিস ব্যবহার করেও সাজানো যায় বারান্দা?


বছর কয়েক আগেও লেটার বক্স ভরে থাকত প্রিয়জনদের বার্তা। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিঠির বাক্স হারিয়ে গেছে। এই ব্যাপারটা খুব মিস করতেন ফারাহ জাবীন। বারান্দা সাজাতে গিয়ে ভাবলেন, কেমন হয় যদি দেয়ালে শোভা পায় একটি চিঠির বাক্স। ভাবনামতোই জোগাড় করলেন এবং বারান্দার দেয়ালে ঝুলিয়ে দিলেন চিঠির বাক্স।


চাকার টায়ারে বারান্দায় বসার আয়োজন, আদৌ কি সেটা সম্ভব? এমনটাই দেখা গেল ফারাহ জাবীনদের বাসার বারান্দায়। লাল, সবুজ আর নীল রঙে রাঙানো টায়ারে করা হয়েছে বসার আয়োজন। টায়ার এক মাথা থেকে আরেক মাথায় জালি বেতের সাহায্যে এই বসার ব্যবস্থা হয়েছে। এর ওপরে কুশন পেতে বসার আয়োজন করা হয়েছে। তেলের ড্রামে লাগিয়েছেন মাধবীলতা। এসবেই এই বারান্দা হয়েছে অন্য রকম।

কাজের প্রয়োজনে এখন অনেককেই যেতে হচ্ছে বাড়ির বাইরে। তবে যাঁরা বাসায় থাকছেন, তাঁদের কিন্তু কাজের হ্যাপা কম নয়। যেহেতু কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া এখন উচিত নয়, তাই বাসার এক চিলতে বারান্দায় যেন মিলছে স্বস্তির আশ্রয়। এই সময়ে তাই বারান্দার অন্দরসাজে একটু এদিক–ওদিক বদল তো আনা যেতেই পারে। এই যেমন অনেকে বাড়িতেই তো অব্যবহৃত দেয়াল ঘড়ি থাকে, তা এই সময় ঝুলিয়ে দিতে পারেন বারান্দার দেয়ালে, দুই পাশে থাকতে পারে দুটি ঝুলন্ত পট। চাইলে দেয়ালে রাখতে পারেন হারিকেনও। যদি এসব কিছু না থাকে, তাহলে একটি বড় কুশন পেতে তাতে একটি গামছার কাপড় জড়িয়ে নিলেও বারান্দায় আসবে স্নিগ্ধ আবহ—এমনটাই বলছিলেন অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু। যদি বাড়িতে পুরোনো টুল বা টেবিল থাকে, নিজের হাতে তা রং করে বারান্দায় রাখতে পারেন। ছোট ছোট টিপট, ফুলদানি আর কলম–ডায়েরি সাজিয়ে রাখা টেবিলেই জমে উঠতে পারে বিকেলে চায়ের আয়োজন। একটু যদি লেখালেখি বা গান শোনার অভ্যাস থাকে, তাহলে তো আর কথাই নেই। এদিকে মাটির চাড়িতে যদি পানি দিয়ে কিছু গাছ বা লতাপাতা রেখে দিলে পরিপূর্ণ হবে বারান্দার সাজ।

গাছপালা তো থাকবেই, তার সঙ্গে খুব সামান্য আয়োজনে সাজানো বারান্দা ঘরে থাকার এই সময়ে আপনাকে দেবে একটু নিশ্বাসের জোগান। আসছে বর্ষার দিন। তো আর দেরি কেন? শুরু হয়ে যাক আজই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে ঘরের বারান্দাটাই হয়ে উঠুক আপনার বৃষ্টিবিলাসের এক টুকরো আঙিনা।

8
বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরি বললেন, নারী বিজ্ঞানী বলে কেউ যেন হেয় করতে না পারে, তাও মাথায় রাখতে হবে। মেয়েরা সবকিছু করতে পারে।

উন্নয়নশীল দেশে শিশুদের সংক্রামক রোগ চিহ্নিতকরণ ও বিশ্বব্যাপী এর বিস্তার রোধে প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম এবং টিকাদান কর্মসূচি জোরদারে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘লরিয়েল-ইউনেস্কো উইমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ (এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল) পেয়েছেন বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরি।


‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব উইমেন অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স’ দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মিউকোসাল ইম্যুনোলজি অ্যান্ড ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের প্রধান জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৗসী কাদরিকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সেরা বিজ্ঞানী নির্বাচিত করা হয়েছে।

ফেরদৌসী কাদরি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণায় যুক্ত। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গবেষণা করে যেতে চান।

ফেরদৌসী কাদরি বললেন, কলেরা, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন রোগনির্ণয়, এসব রোগের টিকা সম্প্রসারণ, রোগপ্রতিরোধসহ বিভিন্ন গবেষণায়  সব সময় মাথায় রাখেন, গবেষণার ফলটি যাতে সব জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয় এবং তা মানুষের উপকারে লাগে।

ফেরদৌসী কাদরির তিন সন্তান। সংসার ও গবেষণায় তাল মেলাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক স্বামী সালেহীন কাদরির সার্বিক সহায়তার কথা উল্লেখ করলেন।

ফেরদৌসী কাদরির মতে, একজন নারীর পাশে আরেকজন নারী যদি সহায়তার হাত বাড়ান, তাহলে চলার পথটা একটু বেশি মসৃণ হয়। বাসার কাজের সহকারী বুলবুলি এবং নানি ফেরদৌসী বানুর কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তিনি।

ফেরদৌসী কাদরি বললেন, রোল মডেল হতে চাইলে ভালো কাজ করতে হবে।  আর নারীর ক্ষমতায়নে ছেলে বা পুরুষদেরও সচেতন করতে হবে। স্বামী যদি বলেন, স্ত্রীকে বাইরে কাজ করতে দেবেন না, তবে ওই নারীর সংগ্রামটা আরও বেড়ে যায়।

9
Faculty Forum / রঙের ছোঁয়ায় রঙিন ঘর
« on: March 11, 2020, 04:59:50 PM »
শুরু হয়ে গেছে বিয়ের মৌসুম। বিয়ের নানা প্রস্তুতি তো চলতেই থাকে। এর পাশাপাশি নবদম্পতির ঘরটির অন্দরসজ্জা কেমন হবে, তা নিয়েও কিন্তু ভাবনার অন্ত থাকে না। কারণ, এই ঘর থেকেই তো শুরু তাঁদের নতুন জীবনের পথচলা।

 নবদম্পতির ঘরের আসবাব পছন্দ করার সময় আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ড্রেসিং টেবিল, আলমারির নকশা হালকা হওয়া ভালো। এতে ঘর বেশ ফাঁকা দেখায়। এদিকে ঘরে জায়গা কম থাকলে দেয়ালজোড়া আসবাব বানানো ভালো। বিছানার চাদর ও বেডকভার বাছাই করার সময় পছন্দের সঙ্গে আরামের দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বিছানায় ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম কুশন। পর্দা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তা যেন অপেক্ষাকৃত ভারী কাপড়ের হয়। বেডের পাশে রাখতে পারেন কার্পেট বা শতরঞ্জি। আসবাবের পাশাপাশি ঘরে প্রাকৃতিক আবহের জন্য রাখতে পারেন তাজা ফুলসহ ফুলদানি ও নানা রকম ইনডোর প্ল্যান্টস। ল্যাম্পের আলোর ব্যবহারে ঘরে আনতে পারেন রোমান্টিক আবহ।
শোয়ার ঘরকে একটি নির্দিষ্ট রঙে রাঙানো বা থিম ধরে সাজানোর প্রচলন বেশ আগে থেকেই জনপ্রিয়। আধুনিক গৃহসজ্জায় ঘরকে রাঙানোর ক্ষেত্রে যোগ হয়েছে নতুন চিন্তাভাবনা। দিন শেষে বিশ্রাম নিতে এবং সকালে নতুন উদ্যমে দিন শুরু করা হয় এই শোয়ার ঘর থেকেই। তাই শোয়ার ঘরের অন্দরসজ্জা ও রঙের বিন্যাস এমন হওয়া উচিত, যা একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করে এনে দিতে পারে সতেজতা। সে ক্ষেত্রে আকাশি বা ময়ূরকণ্ঠী নীল, ফিরোজা, জলপাই বা শেওলা সবুজ, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি রং বেছে নিতে পারেন। এসব রং মনকে সতেজ ও প্রশমিত করে। গোলাপি বা লাল হলো রোমান্টিকতার প্রতীক। তাই বহু আগে থেকেই শোয়ার ঘরের রং হিসেবে লাল, মেরুন, গোলাপি স্থান দখল করে রেখেছে। এর পাশাপাশি হলুদ বা কমলা উষ্ণ ও আরামদায়ক রং হিসেবে শোয়ার ঘরে বেশ মানিয়ে যায়।



 নবদম্পতির ঘরের আসবাব পছন্দ করার সময় আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ড্রেসিং টেবিল, আলমারির নকশা হালকা হওয়া ভালো। এতে ঘর বেশ ফাঁকা দেখায়। এদিকে ঘরে জায়গা কম থাকলে দেয়ালজোড়া আসবাব বানানো ভালো। বিছানার চাদর ও বেডকভার বাছাই করার সময় পছন্দের সঙ্গে আরামের দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বিছানায় ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম কুশন। পর্দা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তা যেন অপেক্ষাকৃত ভারী কাপড়ের হয়। বেডের পাশে রাখতে পারেন কার্পেট বা শতরঞ্জি। আসবাবের পাশাপাশি ঘরে প্রাকৃতিক আবহের জন্য রাখতে পারেন তাজা ফুলসহ ফুলদানি ও নানা রকম ইনডোর প্ল্যান্টস। ল্যাম্পের আলোর ব্যবহারে ঘরে আনতে পারেন রোমান্টিক আবহ।


শোয়ার ঘরকে নির্দিষ্ট রঙে রাঙানো যায়।

শোয়ার ঘরকে একটি নির্দিষ্ট রঙে রাঙানো বা থিম ধরে সাজানোর প্রচলন বেশ আগে থেকেই জনপ্রিয়। আধুনিক গৃহসজ্জায় ঘরকে রাঙানোর ক্ষেত্রে যোগ হয়েছে নতুন চিন্তাভাবনা। দিন শেষে বিশ্রাম নিতে এবং সকালে নতুন উদ্যমে দিন শুরু করা হয় এই শোয়ার ঘর থেকেই। তাই শোয়ার ঘরের অন্দরসজ্জা ও রঙের বিন্যাস এমন হওয়া উচিত, যা একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করে এনে দিতে পারে সতেজতা। সে ক্ষেত্রে আকাশি বা ময়ূরকণ্ঠী নীল, ফিরোজা, জলপাই বা শেওলা সবুজ, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি রং বেছে নিতে পারেন। এসব রং মনকে সতেজ ও প্রশমিত করে। গোলাপি বা লাল হলো রোমান্টিকতার প্রতীক। তাই বহু আগে থেকেই শোয়ার ঘরের রং হিসেবে লাল, মেরুন, গোলাপি স্থান দখল করে রেখেছে। এর পাশাপাশি হলুদ বা কমলা উষ্ণ ও আরামদায়ক রং হিসেবে শোয়ার ঘরে বেশ মানিয়ে যায়।



এদিকে পছন্দের রং দিয়ে ঘর সাজানোর জন্য দেয়াল থেকে মেঝে পর্যন্ত সবকিছু সেই রঙের প্রলেপে মুড়ে দিতে হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। পছন্দের রং বা কালার স্কিম বেছে নেওয়ার পর ঘরের এক পাশের দেয়ালে সেই রঙের ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত এ ক্ষেত্রে বিছানার পেছনের দেয়ালটি বেছে নেওয়া ভালো। দেয়াল ছাড়াও বিছানার চাদর, পর্দা অথবা কার্পেটের রং মিলিয়েও ঘরকে রঙিন আবহ দেওয়া যেতে পারে। দুটি রং ব্যবহার করলে একটি দেয়াল ও কুশন এক রঙের এবং পর্দা ও চাদর আরেক রঙের করলেও ভালো দেখাবে। এ ছাড়া গাছের টব, ফুলদানি—এমন ছোট ছোট অনুষঙ্গের মাধ্যমেও রঙের ছোঁয়া আনা যায়।

10
Faculty Forum / কাপড়চোপড় রাখতে
« on: March 11, 2020, 04:58:18 PM »
মৌসুম বদলে গেছে। এসেছে শীতকাল। গরমের সময়কার অনেক কাপড়ই এখন তুলে রাখতে হচ্ছে আলমারিতে, ওয়ার্ডরোব আর ড্রয়ারে ড্রয়ারে। কাপড় সংরক্ষণে ও গুছিয়ে রাখতে ঘরে ওয়ার্ডরোব বা ড্রয়ারের ব্যবহার জরুরি। তাই জরুরি আসবাবের নান্দনিক দিকটাও ভাবতে হবে, তাতে ঘর হবে নান্দনিক।

তৈরির উপকরণে ভিন্নতা
ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারের জন্য আলমারি তৈরি করা হয় ভিন্ন ভিন্ন উপকরণে। একই সঙ্গে ড্রয়ার তৈরির উপকরণে রয়েছে ভিন্নতা। এ ভিন্নতার কারণে তৈরিতে আভিজাত্য ও রুচির ছাপ থাকে। বাজারে কাঠ, স্টিল, প্লাইউড, প্লাস্টিক থেকে শুরু করে নানা ধরনের ড্রয়ার পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে কাঠ ও প্লাস্টিকের ড্রয়ার বাজারে বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া পার্টিকেল বোর্ডে তৈরি ড্রয়ার বাজারে পাওয়া যায়। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের ড্রয়ার বেছে নিতে পারেন।

বাহারি ব্যবহার


উপকরণের ওপর ড্রয়ারের ব্যবহার অনেকাংশে নির্ভর করে। স্টিলের ড্রয়ারে সাধারণ ভারী ও মৌসুমি ব্যবহারের উপকরণ রাখার কাজে ব্যবহার করা হয়। কাঠের ড্রয়ারে নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণের বেশি রাখা হয়। কারণ কাঠের ব্যবহার সহজ ও আরামদায়ক। বর্তমানে প্লাস্টিকের ড্রয়ারের ব্যবহার বাড়ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে কাঠের পরিবর্তে প্লাস্টিকের ড্রয়ার কেনার আগ্রহ বেড়েছে। রামপুরার আরএফএলের বেস্ট বাই শোরুমে প্লাস্টিকের ড্রয়ার কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী রুবানা আক্তার। তিনি জানালেন, ‘চাকরির সুবাদে যাঁদের ঢাকায় বসবাস, তাঁদের জন্য প্লাস্টিকের ড্রয়ারের বিকল্প নেই। এগুলো যথেষ্ট হালকা বলে বাসা পরিবর্তনের সময় কম ঝক্কি পোহাতে হয়। তা ছাড়া প্লাস্টিকের আসবাবগুলো খুব আধুনিক ও আকর্ষণীয়।’

আরএফএলের বাড্ডা শোরুমের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. রুবেল হোসেন জানান, ‘বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ব্যবহারের বাহারি নকশার ড্রয়ার পাওয়া যায়। বয়সের ওপর নির্ভর করে এসব ড্রয়ার তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ছোটদের জন্য তৈরি ড্রয়ারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।’

চাহিদামতো

রিগ্যাল, পারটেক্স, অটবি, লেগাসি, ব্রাদার্স ফার্নিচারে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডের ড্রয়ার। এগুলোতে কয়েক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্লাস্টিকের ড্রয়ার পাবেন আরএফএলে। এ ছাড়া চাইলে বানিয়েও নিতে পারেন শখের কাঠের ড্রয়ার। সে ক্ষেত্রে পছন্দমতো নকশাটি মিস্ত্রিকে ধরিয়ে দিলেই হলো। বাকি দায়িত্ব তিনিই পালন করবেন। কাঠ পাবেন কাঠের দোকানে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় কাঠের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম উত্তরা ও বাড্ডা-রামপুরা মেইন রোডের দুই পাশেও রয়েছে কাঠের দোকান ও স-মিল। দোকান বা স-মিল থেকে কাঠ বাসায় নিয়ে এসে ড্রয়ার বানানো ভালো।

বানাতে সতর্কতা

ড্রয়ার বানিয়ে নিতে চাইলে মিস্ত্রি নির্বাচন করতে হবে বুঝেশুনে। আগেভাগেই তাঁর মজুরি নির্ধারণ করে নিন। বাজারের কোনো ড্রয়ারের মডেল পছন্দ হলে তার ছবি মিস্ত্রিকে সরবরাহ করুন। কাঠ যদি শুকানো না থাকে তাহলে সময় নিয়ে তা শুকাতে হবে। কাঠ শুকানো না থাকলে পরে বেঁকে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ড্রয়ারের কাজে ফিনিশিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালোমতো ফিনিশিং না হলে ড্রয়ারে রাখা মূল্যবান কাপড়চোপড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ জন্য তৈরির সময় ফিনিশিংয়ের ব্যাপারটা অবশ্যই ভালোমতো খেয়াল রাখতে হবে।

ড্রয়ারের যত্ন

নিয়মিত ড্রয়ারের যত্নও নিতে হবে। ড্রয়ারের ভেতরটা যাতে স্যাঁতসেঁতে হয়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ড্রয়ারের ভেতরে যাতে তেলাপোকা, ছারপোকাসহ অন্যান্য পোকামাকড় বাসা বাঁধতে না পারে, সে জন্য নিয়মিত ড্রয়ারের ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। পোকা এড়াতে ড্রয়ারের ভেতরে ন্যাপথলিন রাখতে পারেন। এতে যদি কাপড়ে গন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তবে বিকল্প হিসেবে দারুচিনি বা লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে ড্রয়ারের ভেতরে শুকনো নিমপাতাও রেখে দিতে পারেন। এতে পোকার ভয় কমবে।

কাঠের ড্রয়ারে ঘুণ পোকার ভয় থাকে। এ জন্য ড্রয়ারে ভেতরে বার্নিশ বা কেরোসিন দিয়ে নিলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে ড্রয়ার খুলে ঘরের ফ্যান চালু করে দিন। এতে আলমারির ভেতরে বাতাস ঢুকে কাপড়চোপড়কে ভ্যাপসা গন্ধ থেকে রেহাই দেবে।

দরদাম ও যেখানে পাবেন

তৈরির উপকরণের ভিন্নতার কারণে ড্রয়ারের দামের পার্থক্য রয়েছে। ড্রয়ার সাধারণত ৩৫০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ঢাকা শহরের প্রায় সব এলাকায়ই ড্রয়ার পাওয়া যায়। এ ছাড়া নিউমার্কেট, চকবাজার, পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের মার্কেটগুলো, গুলশান ডিসিসি মার্কেট, বনানী সুপার মার্কেটসহ দেশের প্রায় সব ছোট–বড় ফার্নিচারের দোকানে ড্রয়ার পাওয়া যায়।

11
Faculty Forum / বাদামের মাখন
« on: March 11, 2020, 12:12:39 PM »

উপকরণ: চিনাবাদাম ২৫০ গ্রাম, পিংক সল্ট আধা চা-চামচ, আইসিং সুগার ১ চা-চামচ।

প্রণালি: চিনাবাদাম অল্প আঁচে টেলে ওপরের লালচে আবরণ পরিষ্কার করে নিন। এবার গ্রাইন্ডারে বাদাম, পিংক সল্ট ও আইসিং সুগার ভালোভাবে পেস্ট করে নিলেই বাদামের মাখন তৈরি হয়ে যাবে।


পনির

উপকরণ: তরল দুধ ১ লিটার, সিরকা বা ভিনেগার ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে দুধে বলক ওঠার পর চুলা বন্ধ করে দিন। ২ টেবিল চামচ ভিনেগারের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে অল্প অল্প করে দুধে দিয়ে নাড়তে থাকুন। ছানা জমে পানি আলাদা হয়ে যাবে। ছানা ধুয়ে একটা সাদা পাতলা সুতি কাপড়ে ছানা টাঙিয়ে রেখে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। হাত দিয়ে চেপে পানি ফেলে দেবেন, যাতে কোনো পানি না থাকে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। এবার গ্রাইন্ডারে দুধের ছানা গ্রাইন্ড করে নিন। গোল গোল করে নরমাল ফ্রিজে কয়েক ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। জমে গেলেই ছানা তৈরি হয়ে যাবে।

12
Faculty Forum / বারবার হাত ধোবেন কেন
« on: March 11, 2020, 12:05:50 PM »
নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হাত ধোয়াকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থার তালিকায় ১ নম্বরে রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

হাত দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত মুঠোফোন, টিভির রিমোট, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং, পানির কল, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, চাবি, টাকা, কাঁচা মাছ-মাংস, সবজি ইত্যাদি কত কিছুই না ধরি। এসব জিনিসে লেগে থেকে অসংখ্য জীবাণু। হাত দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলেও হাতে জীবাণু লেগে যায়। এরপর হাত না ধুয়ে খাবার প্রস্তুত বা খাওয়া হলে, অথবা মুখ–চোখ–নাক স্পর্শ করা হলে জীবাণু শরীরে ঢুকে যায়।

সাবান-পানি দিয়ে নিয়মিত এবং নিয়মমতো হাত ধুলে করোনাভাইরাসসহ যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার আগে ও টয়লেটের পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। কাঁচা মাছ-মাংস বা পশু–পাখি স্পর্শ করলেও ভালো করে হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে বা হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলেও হাত ধুতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

সাবান-পানি দিয়ে ধোয়ার সময় প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভেজাতে হবে। তারপর সাবান নিয়ে দুই হাতের উভয় দিকে, আঙুলের ফাঁকে এবং নখের নিচে খুব ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সাবান-পানি না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যায়।

13
Faculty Forum / ছাদবাগানের সবজি
« on: October 03, 2018, 02:38:46 PM »


 

 

ছাদবাগানে চাষ করে তাজা সবজি পেতে পারেন। ছবি: নকশাছাদবাগানে চাষ করে তাজা সবজি পেতে পারেন। ছবি: নকশাশাকসবজি তো বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। তবে একবার ভাবুন তো, বাজার নয়, বাড়ির ছাদ বা ঘরের কোণের বারান্দা থেকে তুলে আনছেন কচি লাউ, তরতাজা ধনেপাতা আর ডগডগে পুঁইয়ের লতা। কি নিজ হাতে তুলে আনা সবজিতে অন্য রকম ভালো লাগায় ভরে গেছে না মনটা?

পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় বাড়ির ছাদ বা বারান্দার অল্প পরিসরে রান্নাঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর চাষাবাদ কিচেন গার্ডেন নামে পরিচিত। বর্তমানে আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ধারা। নিসর্গী ও লেখক মোকারম হোসেন বলছিলেন, আমাদের এখানে গত ১০ বছরে ছাদের ফাঁকা জায়গায় বাগান করার বিষয়টি ব্যাপক হারে বাড়ে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে কিচেন গার্ডেনের ধারণা। রান্নার কাজে প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহার করা হয় এমন শাকসবজি ছাদে লাগানোর বিষয়টি মানুষের কাছে এখন বেশ পরিচিতি পেয়েছে।

ছাদবাগানে চাষ করে তাজা সবজি পেতে পারেন। ছবি: নকশাছাদবাগানে চাষ করে তাজা সবজি পেতে পারেন। ছবি: নকশাকিচেন গার্ডেনে পাওয়া যাবে বিষমুক্ত অর্গানিক শাকসবজি। মাটি একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে আলাদা করে আর সার দেওয়ার ঝামেলাও থাকে না। বাড়িতে সবজি কাটার পর তার খোসা আর চা–পাতা, এসবই সার হিসেবে মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। আবার কিছু কিছু শাক-পাতা আছে, যেগুলো বাড়িতে আনার পর তার শিকড় পুঁতে দিলেই হলো। মাটির টবে আবার গজাবে নতুন চারা। এসব কারণেই অনেকেই কিচেন গার্ডেনের প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠছেন।

নিজের ছাদে এমনই বাগানের আয়োজন করেছেন রেবেকা সুলতানা। ১০ বছর ধরে ঘরের রান্নায় ব্যবহার করছেন নিজের ছাদবাগানের শাকসবজি। কিচেন গার্ডেনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন, এই ধরনের বাগান করার আগে মাটিটাকে একটু বিশেষভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তাহলে শাকসবজির ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে যতটুকু মাটি তার সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ গোবর মেশাতে হবে। গোবরটা যাতে পচানো ও শুকনো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে আরও মেশাতে হবে কেঁচো সার, নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়া, হাড়ের গুঁড়া আর অল্প পরিমাণে চুন। মাটির জীবাণু ধ্বংস করতে দিতে হবে ব্লিচিং পাউডার। এসব একসঙ্গে মিশিয়ে বস্তাবন্দী করে দুই থেকে তিন দিন রাখতে হবে। তবে মাটির সঙ্গে কোন উপকরণের উপাদানটা কেমন হবে, তা কোনো বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে করা ভালো। এখন ইন্টারনেটেও এই বিষয়ে নানা তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে পানি দেওয়ার ব্যাপারেও মেনে চলতে হবে কিছু সতর্কতা, এমনটাই বলছিলেন মোকারম হোসেন। অনেকে যখন-তখন গাছে পানি দিয়ে থাকেন। এই কাজ একেবারেই করা যাবে না। তাহলে ধনেপাতা, পুঁইশাক বা লাউ, করলার মতো সবজির শিকড় মরে যাবে। এ জন্য খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় গাছে পানি দিতে হবে। তবে পানি দেওয়ার সময় খুব তীব্র নয়, হালকাভাবে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর যত দিন না গাছ সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে, তত দিন পর্যন্ত তা খুব বেশি রোদ আসে, এমন জায়গা রাখা যাবে না।

14
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো স্তন ক্যানসার বাংলাদেশে নারীদের এক নম্বর ক্যানসার সমস্যা। ক্যানসারে আক্রান্ত প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। পুরুষেরাও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম। প্রতি ১০০ জন নারী আক্রান্ত হলে ১ জন পুরুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসারের সংখ্যা ২০০৮ সালের জরিপের তুলনায় বর্তমানে ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার আরও বেশি।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ৪০-৪৯ বছর বয়সী নারীরা। গড় বয়স ৪৬.৮৬ বছর। পশ্চিমা নারীদের তুলনায় কম বয়সে স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হন বাংলাদেশের নারীরা।

বাংলাদেশের প্রায় সব রোগীই (১০০ শতাংশ) স্তনে চাকা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হন। আক্রান্ত হওয়ার আগে ৮০ শতাংশ রোগী এ রোগের নামই শোনেননি। ৯৫ শতাংশ রোগী জীবনে কোনো দিন নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করে দেখেননি। তবে স্তনে চাকা অনুভব হলেও রোগ নির্ণয় করতে বিলম্ব হয় ৩ মাস থেকে ৫ বছর; গড়ে ১৮ মাস। [জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৫৫৪ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর ওপর পরিচালিত গবেষণা (অক্টোবর ২০১২–এপ্রিল ২০১৩)।]

ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হয় মাত্র ২ শতাংশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ১৬ শতাংশ। উন্নত দেশের নারীরা স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ে নিয়মিত অংশ নেন। এতে ৬২ শতাংশ রোগ নির্ণয় হয় প্রাথমিক পর্যায়ে। শুরুতেই রোগ ধরা পড়লে তা নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় শতভাগ (৯৯ শতাংশ)।

সচেতনতা ও আতঙ্ক

স্তনে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন স্তনে ব্যথা, চাকা বা পিণ্ড বোধ হওয়া, স্তন ফুলে ওঠা, ভারী ভারী বোধ হওয়া, স্তনবৃন্ত থেকে তরল ঝরা, বৃন্ত দেবে যাওয়া, বৃন্তর ত্বক শুষ্ক হওয়া, ক্ষত হওয়া ইত্যাদি। এসব উপসর্গ সব সময় যে রোগের কারণে হয়ে থাকে তা নয়। এর বেশির ভাগই স্তনের স্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে।

জন্ম থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে স্তনে যে পরিবর্তন হয়, দেহের আর কোনো অঙ্গে এ রকম পরিবর্তন হয় না। স্তনের এ স্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণ বিভিন্ন ধরনের হরমোন ও গ্রোথ ফ্যাক্টরের প্রভাব। স্তনের গ্রন্থি (গ্ল্যান্ড) এবং গ্রন্থিকে ঘিরে থাকা অন্যান্য টিস্যু প্রভাবিত হয়। এ ছাড়া অন্যান্য অনেক কারণে স্তনে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয়।

স্তনে ব্যথা ও স্তন ক্যানসার

স্তনে ব্যথা নিয়েই বেশির ভাগ নারী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। পুরুষেরও কদাচিৎ স্তনে ব্যথা হয়ে থাকে। ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ নারীর জীবনে কোনো না কোনো সময় স্তনে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। স্তনে ব্যথা, অপর কথায় বলা হয় মাস্টালজিয়া। এটি একটি উপসর্গ, রোগ নয়। স্তনের এ রকম ব্যথা এক বা দুই স্তনেই হতে পারে, আবার বগলের নিচেও হতে পারে। ব্যথার মাত্রা ও ধরন সবার বেলায় এক রকম নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্তনের এ ব্যথার কোনো চিকিৎসারও প্রয়োজন হয় না। ১৫ শতাংশের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

স্তনে ব্যথা কি স্তন ক্যানসারের লক্ষণ?

প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হওয়া স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সাধারণত স্তনে ব্যথার উপসর্গ থাকে না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর রোগ শনাক্তকরণের সময় মাত্র ১.২ থেকে ৬.৭ শতাংশের ব্যথার উপসর্গ থাকে। শারীরিক পরীক্ষায় যদি স্তনে কোনো অস্বাভাবিকতা না থাকে এবং বিভিন্ন রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা যেমন ম্যামোগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টও যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে শুধু স্তনে ব্যথা নিয়ে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার ঘটনা বিরল।
স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণ (স্ক্রিনিং) পদ্ধতির বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, উপসর্গসহ যেসব নারীর স্তন ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই উপসর্গ হলো স্তনে চাকা বা পিণ্ড। শুধু স্তনে ব্যথা রয়েছে এমন প্রায় এক হাজার এবং স্তনে ব্যথা নেই এমন এক হাজার নারীকে নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণ গবেষণা করা হয়। তাঁদের ওপর দুই বছর ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের ফলোআপ করার পর দেখা গেছে, ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার হার দুই দলেরই সমান।
শুধু স্তনে ব্যথা স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে দেখা যায় না। তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং ব্যথার সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্তনে চাকা এবং স্তন ক্যানসার

স্তনে চাকা নিয়ে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় সব রোগীর রোগ শনাক্ত হয়। চাকা অনুভূত হলে ক্যানসার ভেবে আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক।

আবার ৮০ শতাংশ চাকাই ক্যানসার নয়। স্তনে বিভিন্ন কারণে চাকা হয়। যেমন ফাইব্রোএডনোমা, ফাইব্রোসিস্টিক চাকা, ইন্ট্রাডাক্টাল পেপিলোমা, চর্বি জমে যাওয়া, ফোঁড়া এবং ক্যানসার। স্তন ক্যানসারের চাকা হঠাৎ করে বেড়ে ওঠে না। খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

স্তন ক্যানসারের চাকা সাধারণত শক্ত, অসমান ও অমসৃণ। স্তনের যেকোনো স্থানে হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্তনের ওপরের দিকে বেশি হয়। এ ধরনের চাকা রাতারাতি সৃষ্টি হয় না। প্রাথমিক অবস্থায় কোনো ব্যথা থাকে না। তবে স্তনের চাকা বড় হয়ে উঠলে ব্যথা হতে পারে।

যা জানা জরুরি

স্তন ক্যানসার কেন হয়, তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও এর ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। ক্যানসারের ঝুঁকি কথাটির মানে ক্যানসার হবেই তা নয়, তবে আশঙ্কা থাকে। স্তন ক্যানসারের কিছু ঝুঁকি কমানোও যায়। নিজে স্তন স্তন ক্যানসারের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা অবশ্যই জানতে হবে।

*  সব নারীই সমান ঝুঁকিপূর্ণ নন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বিশ বছরের নিচে ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে।

*  কম বয়সে মাসিক শুরু ও বেশি বয়সে (৫৫ বছর) মাসিক বন্ধ হওয়া, গর্ভধারণ না হওয়া। বেশি বয়সে সন্তান ধারণ হলে।

*  অধিক গ্রন্থিসম্পন্ন স্তন।

*  পরিবারের (রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়) স্তন, ডিম্বাশয়, এন্ডোমেট্রিয়াম, জরায়ু বা কোলন ক্যানসারের ইতিহাস থাকা।

*  আগে বুকে রেডিওথেরাপি চিকিৎসা নেওয়া হলে।

*  অতিরিক্ত ওজন।

*  অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস (অধিক পরিমাণ লাল মাংস, চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়া।)

*  অলস জীবনযাপন করা।

*  শিশুকে মায়ের দুধ পান না করানো।

*  রাত জাগার অভ্যাস।

*  অযথা বুকের এক্স–রে করানো।

*  সময়ের আগে ঘন ঘন ম্যামোগ্রাফি করানো।

*  মেনোপজ (মাসিক বন্ধ) হওয়ার পর টানা পাঁচ বছর হরমোনের বড়ি সেবন

 স্তন ক্যানসারের অন্তত ৭টি সতর্কসংকেত

*   স্তন বা বগলে চাকা বিশেষ করে ব্যথাবিহীন চাকা।

*  স্তনের আকার–আকৃতির পরিবর্তন।

*  স্তনবৃন্ত দেবে যাওয়া।             

*  স্তনবৃন্ত থেকে তরল নির্গত হওয়া।

*  স্তনের ত্বক কমলার খোসার মতো পুরু হয়ে ওঠা।

*  স্তনবৃন্ত এবং সংলগ্ন স্থানে দীর্ঘদিন খসখসে ভাব হয়ে যাওয়া।

*  স্তনের ত্বকের কোনো স্থানে রং লাল বা কালো হওয়া এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।

এসব উপসর্গ অন্যান্য রোগেও হয়ে থাকে। তাই এসব উপসর্গ দেখা দিলেই ক্যানসার হয়েছে, তা মনে করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার নির্ণয়

দুটি উপায়ে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা যায়।

*  স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ও সতর্কসংকেতগুলো জানা এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলা।

*  স্তন ক্যানসারের স্ক্রিনিং করানো।

ক্যানসার স্ক্রিনিং শব্দটি এখনো খুব বেশি পরিচিত নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের প্রধান উপায় এটি। বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে স্তন ক্যানসারের চিহ্ন খুঁজে দেখা হয় এই পদ্ধতিতে।

স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের তিনটি পদ্ধতি

১. নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা (সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন): নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে শেখা এবং ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে একবার নিজেকে নিজে পরীক্ষা করা উচিত। সারা জীবন তা চালিয়ে যাওয়া। এ পরীক্ষার জন্য নিজের স্তনের স্বাভাবিকতা বুঝতে পারা এবং কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে যাতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায়।

২. চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো (ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন): প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো। ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত তিন বছরে একবার এবং ৪০ পার হলে প্রতিবছর একবার এ পরীক্ষা করা ভালো।

৩. ম্যামোগ্রাফি এবং অন্যান্য রেডিওলজি ও ইমেজিং পরীক্ষা: আলট্রাসনোগ্রাফি, এমআরআই স্তন ক্যানসার নির্ণয়ের পদ্ধতি। পরে প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য পরীক্ষা যেমন এফএনএসি (ফাইন নিড্ন অ্যাসপিরেশন) অর্থাৎ সূক্ষ্ম সুই ফুটিয়ে রস বের করে প্যাথলজিক্যাল (মাইক্রোস্পিক্যাল) পরীক্ষা করে রোগ শনাক্ত করা।

ঠিক কত বছর বয়স থেকে স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাফি শুরু করতে হবে, এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংগঠন বয়সটি নির্ধারণ করতে না পারলেও সাধারণভাবে ৪০ বছর পার হলেই স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং করা যৌক্তিক বলা যেতে পারে।

সাধারণভাবে ৫০ বছর হওয়ামাত্রই বায়োগ্রাফি শুরু করা এবং সুস্থ–সবল দেহ বজায় থাকলে তিন বছর পরপর তা ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত। ৩০ বছরের নিচে স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাফির অনুমোদনযোগ্য নয়। অল্পবয়সী নারীর স্তনগ্রন্থি অত্যন্ত ঘন হয়ে থাকে। ম্যামোগ্রাফিতে কোনো ছবি থাকলে তা ঘন গ্রন্থির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। রোগ শনাক্ত হয় না। অল্পবয়সী নারীদের অহেতুক ম্যামোগ্রাফি করা হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। কারণ ম্যামোগ্রাফি একধরনের তেজস্ক্রিয় রশ্মি। ঝুঁকিপূর্ণ অল্পবয়সী নারীদের জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি, এমআরআই ম্যামোগ্রাফি করার জন্য পরামর্শ হতে পারে।

কোথায় স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং করা যায়

হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডাক্তারের চেম্বারে এ স্ক্রিনিং করা যায়। তবে এ ধরনের পরীক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত আয়োজন থাকতে হবে।

15
হুট করেই কি নিজেকে বদলে ফেলা যায়? সকালে ঘুম ভেঙেই কি নিজেকে বদলে ফেলতে পারবেন? নিজেকে ইতিবাচক উপায়ে পরিবর্তন করতে হলে নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। মনে মনে যদি পরিবর্তন চান, তাহলে কখনই নিজেকে বদলে ফেলা যাবে না। একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক মেহেদী মাহবুব বলেন, ‘জীবনে যদি অভ্যাসগত কিংবা আচরণগত পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে আমাদের কাগজ-কলম নিয়ে বসতে হবে। কাগজ-কলমে লক্ষ্য লিখে এরপর সময় দিয়ে নিজেকে বদলাতে হবে। একটু সময় নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ালেই কিন্তু জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ তরুণ পেশাজীবীদের দক্ষতা নিয়ে কাজ করা মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ মেহেদী মাহবুব নিজেকে ছয় মাসে পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন।

যা পরিবর্তন করতে চান তা নির্ধারণ করুন: মনে করুন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আপনি প্রতিদিন সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। তাহলে একটি কাগজে তা লিখে প্রতিদিন চোখে পড়ে এমন জায়গায় সাঁটিয়ে রাখুন। এভাবে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। হুট করেই কাল সকালেই আপনি ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। আর উঠলেও পরশু দিন আবার ওঠার আগ্রহও চলে যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী করবেন, তা ঠিক করুন। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। পত্রিকায় চোখ বোলানোর অভ্যাস করতে পারেন। সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারেন। সকালের সময়টাতে লেখালেখির কাজও করতে পরেন।

সারা দিন গুছিয়ে নিন: জীবনের একটি বিষয়ে ইতিবাচক পরিবতন আনতে চাইলে আপনার পুরো দিনকেই সেভাবে সাজাতে হবে। আপনি হয়তো সকালে ঘুম থেকে ওঠেন কিন্তু সারা দিন কোনো রকমেই হাঁটাচলা না করে পার করে দেন। এমনটা করবেন না, একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

ইতিবাচক মনের মানুষদের খুঁজে বের করুন: একা একা নিজেকে পরিবর্তন করা বেশ কঠিন একটি কাজ। সমমনা মনের মানুষ বা বন্ধুদের খুঁজে বের করুন। তাঁদের সহায়তা নিন। যাঁরা নেতিবাচক কথা বলেন, তাঁদের এড়িয়ে চলুন।

যেখানে আগ্রহ, সেখানে সময় দিন: আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগত মান উন্নয়নে সময় দিন। কীভাবে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন নিজেকে ১ ভাগ করে ছাপিয়ে গেলে ছয় মাস পরেই নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শিখুন: প্রতিদিন নিজের শেখার পরিবেশে রাখুন। চারপাশ থেকে শিখুন। নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরোনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখু

Pages: [1] 2 3 ... 7