Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Ishtiaque Ahmad

Pages: 1 ... 6 7 [8] 9 10
106
‘ ী’ কার উচ্ছেদ করা হলে সেই প্রবণতা ধরে ‘ক্ষ’, ‘ঙ’, ‘জ্ঞ’ বর্ণগুলোও উচ্ছেদের স্লোগান উঠবে। তাতে ভাষার মাথা ন্যাড়া করে শীর্ণ, দরিদ্র, হতশ্রী করা হবে বলেই আমার বিশ্বাস। এসব বর্ণ আপাতত অপ্রয়োজন মনে হলেও ভাষার সামগ্রিক গাঁথুনিতে অদৃশ-অপরিহার্য সৌন্দর্যময় উপাদান হিসেবে কাজ করছে। আঙুলের মাথায় পিন ফোটালে যে ব্যথা হয়, অকারণে ভাষার শরীর থেকে একটি বর্ণ ছেঁটে ফেললে ভাষাও ব্যথায় জর্জরিত হবে।

‘বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’
কবিতায় আক্ষেপ করে বলেছেন
‘তোমাকে উপড়ে নিলে, বলো তবে, কী থাকে আমার?
………………………………………………………….
এখন তোমাকে নিয়ে খেঙরার নোংরামি
এখন তোমাকে ঘিরে খিস্তি-খেউড়ের পৌষ মাস।’

পঞ্চাশ দশকের কবি ভাষা আন্দোলনের মহত্ত্বকে সামনে রেখে পাকিস্তানি দুঃশাসকদের বিরুদ্ধে কবিতাটি লিখেছিলেন। দুঃশাসকরা বাংলা ভাষাকে গলাটিপে মারতে চেয়েছিল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রক্ত ঢেলে সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়ার পর বাংলা ভাষার বর্ণমালা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
বাংলা ভাষা জন্মেরও আগে ব্রাহ্মলিপি থেকে বাংলা বর্ণমালার উদ্ভব ঘটেছে। বর্ণমালা ভাষার ভিত্তি। লাখ লাখ কথাকে, ইতিহাস-বিজ্ঞান-সাহিত্যকে বর্ণমালায় সাজিয়ে তুলতে হয়। বর্ণমালা একটি জাতির ভাষার সামগ্রিক দিব্যকান্তিপূর্ণ অবয়ব থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। দাঁত যতো ছোটই হোক, মুখ গহ্বরের ভেতর থেকে তার একটি উপড়ে ফেললে সৌন্দর্য ক্ষুণœ হয়। উচ্চারণ ভঙ্গির লাবণ্য বিনষ্ট হয়। মুখের সব ক’টি দাঁতই কিন্তু এক রকম কাজে লাগে না। খাদ্য চিবিয়ে খেতে মাড়ির দাঁত যতো কাজ লাগে, সামনের দাঁত ততো লাগে না। তাই বলে সামনের দাঁতগুলোকে অপ্রয়োজনীয়, অপাঙ্ক্তেয় মনে করবো!
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তাহারই মধ্যে কারারুদ্ধ হইয়া থাকা মানবজীবনের ধর্ম নহে।’
ভাষার বেলায়ও এ কথা খাটে। পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষার বর্ণমালা বদলাতে চেয়েছিল বাংলা ভাষার প্রাণ কেড়ে নেয়ার জন্য। কেননা প্রতিক্রিয়াশীলরা প্রাণের অপ্রতিরোধ্যতাকে ভয় পায়।
নন্দিত কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর একটি গল্পের নাম ‘গ্রীষ্মের ছুটি’। ওই গল্পে সেলিনা নামের এক উঠন্ত বালিকার মাথায় গোছা গোছা সুন্দর চুল ছিল। দেখতে মেয়েটি সুন্দরী ছিল। এক মৌলবাদী মৌলভি তাকে অপকৌশলে নষ্ট করতে চেয়েছিল। তাতে মেয়েটি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। আবার ওই মৌলভিই ফতোয়া দেয়, সুন্দর চুলের জন্য মেয়েটিকে শয়তানে ধরেছে। চুল কেটে ফেলা হোক। সেলিনার অপূর্ব, নয়নশোভন, মেঘবরণ চুল কর্তন করা হলে তাকে ন্যাড়া, রোগা, কুৎসিত দেখায়।
পাকিস্তানি মৌলবাদীরা বাংলা ভাষাকে অমনই ন্যাড়া, রোগা, কুৎসিত করার জন্য বাংলা বর্ণমালা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। প্রথমে ফতোয়া দেয়া হলো ধর্মের। তারপর বলা হলো, বাংলা বর্ণমালার মধ্যে অনেক ঝামেলা, অনেক জটিলতা আছে; একে সহজ করতে হবে। এ বক্তব্যের অন্তরালে বদমতলব আছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. আহমদ শরীফ, শহীদ মুনীর চৌধুরী, শহীদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ বিদ্যান। তারা এর বিরোধিতা করেন, যৌক্তিক-ভাষাতাত্ত্বিক বক্তব্য তুলে ধরেন।
বর্ণমালা ভাষার অঙ্গ। এই অঙ্গ ছেদ করতে হলে বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরী, ড. সুনীতি কুমার ও ড. শহীদুল্লাহর মতামত সামনে রাখতে হবে। বঙ্কিমচন্দ্র তার একটি কালোত্তীর্ণ প্রবন্ধ ‘বাঙ্গালা ভাষায়’ বলেছেন, ‘আমরা দেখিয়াছি, সরল প্রচলিত ভাষা অনেক বিষয়ে সংস্কৃত বহুল ভাষার অপেক্ষা শক্তিমতী। কিন্তু যদি সে সরল প্রচলিত ভাষায় সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হয়, তবে কাজে কাজেই সংস্কৃত বহুল ভাষার আশ্রয় লইতে হইবে। প্রয়োজন হইলে নিঃসঙ্কোচে সে আশ্রয় লইবে।’
অর্থাৎ অকারণে ভাষাকে সরল করার দরকার নেই, অকারণে গম্ভীর করারও দরকার নেই। মনের ভাব সুন্দর, সুমার্জিত করে প্রকাশ করার জন্য সংস্কৃত শব্দ পরিহার করতে হবে, আবার গ্রহণও করতে হবে। অকারণে ‘ভ্রাত’ শব্দ উচ্ছেদ করলে ভাষার ধ্বনি গাম্ভীর্য নষ্ট হবে, তাতে ভাষা দরিদ্র হবে। বরেণ্য কথাশিল্পী শওকত ওসমান আপনজনকে সর্বদা ‘ভ্রাত’ বলে ডাকতেন। শব্দটি নিষিদ্ধ হলে বিপদে পড়তেন না তিনি?
এ প্রবন্ধটি লিখতে বসেছি একজন বিদূষী লেখিকার বাংলা বানান সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ পড়ে। তাতে তিনি প্রস্তাব করেছেন, বাংলা বর্ণমালা থেকে ‘ঈ’ এবং ‘ ী’ কার উঠিয়ে দেয়ার। আমি এ প্রস্তাবে একমত হতে পারিনি। আমি মনোপলির পক্ষে নই, আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরলতার পক্ষে নই। ভাষার সামগ্রিক কাঠামো থেকে বর্ণমালা বিচ্ছিন্ন নয়, তা আগেও বলেছি। সস্তার বস্তাও ভালো নয়Ñ প্রবাদে আছে। সাহিত্যকে প্রমথ চৌধুরী খেলার সঙ্গে তুলনা করতে যেতে এও বলেছেন, সাহিত্য ছেলের হাতের মোয়া নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়। ভাষা ও বর্ণমালার ব্যাপারেও কথাটা মনে রাখা দরকার। একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বরবর্ণকে বাস্তুভিটা থেকে বিতাড়িত করার আগে ভাষাকে ন্যাড়া, হীনশ্রী এবং ছেলের হাতের মোয়া করা হচ্ছে কি না, তা ভাবতে হবে।
একটা ‘ঈ’ বর্ণ এবং ‘ ী’ কারের জন্য বাংলা ভাষা ক্লান্তিকর জটিল হয়ে পড়েছে, আমি তা মানি না। তবে আজকাল বাংলা বানানে ‘ ী’ কারের ওপর যথেষ্ট আঘাত এসেছে, ‘ি ’ কারের ব্যবহার বেড়েছে। এটা দোষের নয়। এটাকে বলে সংস্কার। ভাষার সংস্কার হতেই পারে; কিন্তু তার বিজ্ঞানমনস্ক প্রয়োজন-অপ্রয়োজন এবং সীমারেখা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
ড. মাহবুবুল হক ‘বাংলা বানানের নিয়ম’ নামে একটি অসাধারণ বই লিখেছেন। বইটি বাঙালি জাতির কাছে সমাদৃত হয়েছে। বইটি আমি ডিগ্রি ক্লাসে পড়িয়েছি। সেখানে ড. হক প্রতিটি বর্ণের এবং প্রতিটি ‘কারের’ (া, ,ি ী, ু, ূ) ব্যবহারের সঠিকতা-বেঠিকতা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বাংলা ভাষার বিদ্বানরা ড. হকের শ্রমনিষ্ঠ, শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রস্তাবনা ও বানান বিন্যাসকে মেনে নিয়েছেন। ড. হক অধুনাকালের ‘ ী’ কার ধস মেনে নিয়ে ‘ি ’ কার প্রাধান্য নিয়েছেন। যেসব শব্দে ‘ ী’ কার ও ‘ি ’ কার দুটিই শুদ্ধ, সেখানে ‘ি ’ কারকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সুদীর্ঘ গবেষণামূলক পর্যবেক্ষণ শেষে একটা পরিসংখ্যান দিয়েছেন, কোন কোন শব্দে ‘ি ’ কার হবে এবং কোন কোন শব্দে ‘ ী’ হবে। ড. হক ‘ ী’ কার ব্যবহারের ওপর ষোলোআনা অনাস্থা দেননি।
ড. মাহবুবুল হক ‘বাংলা বানানের নিয়ম’ গ্রন্থে ‘ ী’ কার লোপের যে সীমা নির্দেশ করেছেন, ‘ি ’ কার ব্যবহারের সীমা বাড়িয়ে দিয়েও সেসব বাংলা শব্দে ‘ি ’ কারের পরিবর্তে ‘ ী’ কার বহাল রেখেছেন, তাতে বিবেচনাবোধের পরিচয় রয়েছে। আমরা কোনো কোনো শব্দের অর্থের ভিন্নতা বোঝাতেও ‘ ী’ কার ব্যবহার করে থাকি। এ ক্ষেত্রে ‘ ী’ কার লোপ করলে ভাষায় ক্লান্তিকরতা বাড়বে, ভাষার চেহারা ন্যাড়া মাথার মতো হবে, অর্থের সূক্ষ্ম বিভ্রাট ঘটবে।
এবার ড. হকের বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিচ্ছি :
“কৃতি অর্থ রচনা,
কৃতী অর্থ গুণবান,
দিন অর্থ দিবস,
দীন অর্থ ধর্ম, দরিদ্র,
নিচ অর্থ নিম্ন,
নীচ অর্থ হীন,
কালি অর্থ মসি,
কালী অর্থ দুর্গা।”
বিভিন্ন সূত্র দেখিয়ে ড. হক ‘ ী’ ব্যবহারের পক্ষে রীতিমতো বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা প্রতিপন্ন করেছেন। তিনি এক জায়গায় বলেছেন, তৎসম শব্দে ‘ ী’ কার হয়, যেমন ‘পক্ষী’; কিন্তু দেশি শব্দে হবে ‘পাখি’। তৎসম শব্দ ‘কুম্ভীর’ কিন্তু দেশি বা তদ্ভব শব্দে হবে ‘কুমির’। এ ক্ষেত্রে গায়ের জোরে তৎসম শব্দ উচ্ছেদ করা যাবে না। আবার তৎসম শব্দে গলায় ‘ি ’ কার পরানো হলে ভাষারীতির শৃঙ্খলা দুমড়ে-মুচড়ে দেয়া হবে।
‘ ী’ কার উচ্ছেদ করা হলে সেই প্রবণতা ধরে ‘ক্ষ’, ‘ঙ’, ‘জ্ঞ’ বর্ণগুলোও উচ্ছেদের স্লোগান উঠবে। তাতে ভাষার মাথা ন্যাড়া করে শীর্ণ, দরিদ্র, হতশ্রী করা হবে বলেই আমার বিশ্বাস। এসব বর্ণ আপাতত অপ্রয়োজন মনে হলেও ভাষার সামগ্রিক গাঁথুনিতে অদৃশ-অপরিহার্য সৌন্দর্যময় উপাদান হিসেবে কাজ করছে। আঙুলের মাথায় পিন ফোটালে যে ব্যথা হয়, অকারণে ভাষার শরীর থেকে একটি বর্ণ ছেঁটে ফেললে ভাষাও ব্যথায় জর্জরিত হবে।

মাহমুদুল বাসার : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক, গবেষক।

107
পানিই জীবন বা জীবনের অপর একটি নাম পানি। এটি পান করে তেষ্টা নিবৃত হওয়া পর্যন্তই কেবলমাত্র পানির উপকারীতা সীমাবদ্ধ নয়। পরিমিত পরিমাণে পানি পান করা আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের অসুখের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। আপনার ত্বককে করে তুলতে পারে উজ্জ্বল। আজকের ব্যস্ত জীবনে নিজের ত্বক ও শরীরের যত্ন নেওয়ার একটুও সময় নেই আপনার হাতে। কিন্তু পরিমানমত পানি খান আপনার শরীর থাকবে শান্ত রক্ষা পাবেন বহু অসুখ থেকে। আজ জেনে নিন পানি ঠিক কতটা উপকারী মানুষের জীবনে।
১) ওজন কমাতে সাহায্য করে: অতিরিক্ত ওজন বা ফ্যাট বেড়ে যাওয়া নিয়ে এখন মহিলা থেকে পুরুষ সবাই খুব চিন্তায়। প্রতিদিন সঠিক পরিমানে পানি পান করুন আর নিস্কৃতি পান এই চিন্তার হাত থেকে। পরিমিত পানি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় খিদের হাত থেকে মুক্তি দেয় আপনাকে। পানির মধ্যে যেহেতু ক্যালোরির পরিমান একদম শূন্য তাই আপনার দেহের মেটাবলিসম বাড়াতে সাহায্য করে যা মুক্তি দেয় আপনাকে অতিরিক্ত মেদের হাত থেকে।
২) ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ায়: এই পাণীয়টি বাড়ায় মানবশরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা। মানবশরীরের প্রায় সমস্ত অসুখ হয় ইমিউনিটি ক্ষমতা কম থাকার জন্য। একটু খেয়াল করে দেখবেন কিছু মানুষ ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন, এর একমাত্র কারণ হল তাদের দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বা আত্মরক্ষার শক্তি খুবই কম। তাই নিজেদের দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন খান ১ লিটার পানি।
৩) ত্বক উজ্জ্বল রাখে: আপনারা প্রত্যেকেই নিশ্চয় চান আপনার ত্বক ভাল থাকুক। তাহলে আজ থেকেই পরিমিত পরিমাণ পানি খাওয়া শুরু করুন। দিনে ১লিটার পানি পান করা শুধু আপনার স্বাস্থ্য না আপনার ত্বকের জন্য খুব উপকারী। পানি আপনার ত্বককে কোন ধরনের অ্যালার্জী বা ব্রণর হাত থেকে প্রতিরোধ করে। পানি হল আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করার সবথেকে সস্তা একমাত্র উপায়।
৪) ব্যাথা থেকে মুক্তি: কর্পোরেট অফিস হোক বা অন্য যে কোন কাজ, আজকাল প্রায় সমস্ত কাজই হয় কম্পিউটারের সামনে। কম্পিউটারের সামনে বেশিক্ষন বসে কাজ মানেই স্পন্ডিলাইটিশ থেকে মাথা ব্যাথা যে কোন ব্যাথা হবেই। এই ব্যাথা বেদনাকে খুব একটা আমল না দিলেও বয়সকালে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে এগুলি। তাই সেই পর্যায় যাওয়ার আগেই মুক্তি পান ব্যাথার হাত থেকে। কিভাবে মুক্তি পাবেন? খুবই সহজ উপায় অকারনে পানি কম খাবেন না, কাজ করার ফাঁকে খান প্রচুর পরিমানে পানি। এই পানিই আপনাকে মুক্তি দেবে ব্যাথার প্রকোপ থেকে।

108
প্রতিদিনের কাজকর্ম ভুলে যাওয়া, বাচ্চাদের জন্য খুবই সাধারণ বিষয়। ক্লাসের সময় তারা অমনোযোগী থাকবে এটা একটা নিত্য দিনের ব্যাপার। কিন্তু প্রতিদিনের ক্লাসে বসে দিবাস্বপ্ন দেখা, চিন্তা না করে কাজ করা, খাবারের টেবিলে উদ্বিগ্ন হয়ে যাওয়া এটা চিন্তার বিষয়। অসাবধানতা, ও অমনযোগীতা আপনার শিশুর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এ ধরণের সমস্যাকে মনোযোগ ঘাটতি জনিত বিশৃঙ্খল (ADD/ADHD in Children) বলা হয়,আর যে সকল শিশুর এ ধরণের সমস্যা থাকে ধিরে ধিরে এ সকল সমস্যা বেড়ে গিয়ে তাদের কাজ করার সামর্থ নষ্ট করে দিতে পারে।

কি করে বুঝবেন আপানার শিশুর মনোযোগ ঘাটিত জনিত বিশৃঙ্খলা আছে?

মনোযোগ ঘাটতি একপ্রকার হাইপারেক্টিভিটি ব্যাধি (ADHD) যা শৈশবে বাচ্চাদের মধ্যে প্রদর্শিত হয়। ফলে বাচ্চাদের মনোযোগ ঘাটতি এক ধরণের ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে তাদের মধ্যেকার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।

যে কারনে এ সমস্যা হয়ে থাকে:
এ রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ নিয়ে নানা মত রয়েছে, প্রত্যক্ষ কোনো বিশেষ কারণ জানা না গেলেও বলা হয়, মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল অংশে কিছু রাসায়নিক পদার্থের (নিউরোট্রান্সমিটার) অস্বাভাবিকতার জন্য শিশুর এমন আচরণ হয়ে থাকে। এ ছাড়া রোগটির সঙ্গে বংশগতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেসব শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠে কিংবা শিশুসদনে বা আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় হয়, তাদের মধ্যে এ সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় বেশি। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্কের (খনিজ খাদ্য-উপাদান) ঘাটতি ও খাদ্যদ্রব্যে কৃত্রিম রঙের কারণেও এডিএইচডি হতে পারে।

লক্ষ করলে দেখতে পাবেন এডিএইচডি উপসর্গ সাধারণত সাত বছর বয়সের আগে প্রদর্শিত হয়। যাইহোক, এটা মনোযোগ ঘাটতি জনিত বিশৃঙ্খলা এবং স্বাভাবিকতার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হতে পারে।

করণীয়:
এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের দৈনন্দিন কাজের জন্য রুটিন তৈরি করে দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। বাসার সবার জন্য সাধারণ পালনীয় কিছু নিয়ম তৈরি করতে হবে। যে কোনো নির্দেশনা শিশুকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। শিশুর প্রত্যাশিত আচরণের জন্য তাকে পুরস্কৃত করতে হবে, কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য কোন প্রকার মারধর বা বকাঝকা করা যাবে না।

109
আমরা জানি যে, সফল ব্যক্তিরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং বিশ্বজয় সম্পর্কে চিন্তা করে যখন পৃথিবীর বাকি মানুষেরা সকালের কফির স্বাদ নিতে থাকে। কিন্তু তারা সারাদিন কি কাজ করে থাকে তা আমরা জানি না। তবে রাতে শোবার আগে তারা কি করে? জানতে চান এই গোপন তথ্য? তারা পরবর্তী দিন যেন আরও সুন্দর করতে পারে সে প্রত্যয় নিয়ে চিন্তা করে। যে কাজ গুলো করতে তারা অভ্যস্ত-

# এক ঘণ্টা বই পড়া
মাইক্রোসফট এর মালিক বিল গেটস প্রত্যক রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক ঘণ্টা বর্তমান ইভেন্ট ও রাজনীতির উপর লিখা বই পরেন। বই পড়ার কারনে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্ট্রেস কমে ও মেধা বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেসে ৬ মিনিট বই পড়লে সারাদিনের ৬৮% স্ট্রেস কমে যায়। প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস করলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো হয়।

# অসংযুক্ত
আরিআন্না হাফিংটন তার মাথায় আঘাত পাবার পর থেকে রাতে ঘুমাবার আগে তার ফোন অন্য কক্ষে রেখে আসে। যাতে তার ঘুমে কোন সমস্যা না হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, মোবাইলের লাইট ও আওয়াজ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য খারাপ হতে পারে। এতে আমাদের ব্রাইন এর সমস্যা হতে পারে।

# হাটা
বাফার এর সিইও ঘুমাতে যাবার আগে হাঁটাহাঁটি করেন। এতে তার সারাদিনের অফিসের চিন্তা দূর হয় এবং তিনি আসতে আসতে ক্লান্তিবোধ করেন।
একজন ব্যস্ত মানুষের জন্য সারাদিনের কাজের পর রাতে রুটিন করে প্রতিদিন হাটা একটি ভালো বিষয়। এতে তার সারাদিনের স্ট্রেস দূর হয়। তাছাড়া কাজ করার সময় কোন কিছু মুক্তভাবে চিন্তা করা যায় না। হাটার সময় অনেক কিছু নিয়ে মুক্তভাবে চিন্তা করা যায়।

# মেডিটেশন
মিডিয়া ম্যাভেন প্রতিদিনই রাতে মেদিতাতিওন করেন। সারাদিনের স্ট্রেস দূর করার সব থেকে কার্যকর উপায় হল মেডিটেশন। সবসময়ই একটি তর্ক ছিল যে মেডিটেশন কি আদৌ কোন উপকারে আসে কিনা। তবে ২০১৪ সালে ১৯০০০ লোকের উপর একটি গবেষণায় এই কথা প্রমাণিত হয় যে, মেডিটেশন মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

# পরের দিনের পরিকল্পনা করা
দ্যা আমেরিকান এক্সপ্রেস এর সিইও তার সময় কে অনেক প্রাধান্য দেন। উনি প্রতি রাতে পরবর্তী দিনে করণীয় তিনটি কাজ চিন্তা করে রাখেন। যাতে পরের দিন সকালে উঠে তা সময় মত করতে পারে।

110
ঘুম হচ্ছে বিধাতার সর্বশ্রেষ্ঠ দানের মধ্যে একটি। রাতের ফ্রেশ ঘুম একটি কর্মময় সুন্দর দিনের নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো ঘুমের মধ্যে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কী রকম ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। হ্যাঁ, অনেকের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের অবস্থাকে স্লিপ এপনিয়া বলা হয়। শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে চিকিৎসাবিদ্যায় এপনিয়া বলে। তাই স্লিপ
এপনিয়া মানে ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে। টানা ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি
সময় শ্বাস বন্ধ থাকলে বা একেবারে কমে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

কাদের হয়
এটা সাধারণত বড়দের রোগ এবং শিশুরা খুব কম ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা সাধারণত এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে বয়স ৫০ পার হলে মহিলা পুরুষ উভয়ই সমানভাবে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। স্থূলকায় লোকদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া হার্টের রোগসহ বেশকিছু রোগ আছে, যেগুলোতে আক্রান্ত হলে স্লিপ এপনিয়া হতে পারে। এ ধরনের রোগীরা সাধারণত একটু ঘুমালেই নাক ডাকতে থাকে। এসব রোগীর রাতে ঘুম ঠিকমতো না হওয়ায় এরা সারাদিন ঘুম ঘুমভাব নিয়ে চলাফেরা করে। ফলে কাজ-কর্মে ঠিকমতো মন বসে না। এদের স্মৃতিশক্তি একেবারে কমে যায়। এমনকি মিটিং চলাকালীনও এরা ঘুমিয়ে পড়ে। এমন লোকেরা ড্রাইভিং পেশার সঙ্গে জড়িত থাকলে অ্যাক্সিডেন্টের ঝুঁকি মারাত্মক বেড়ে যায়।
কীভাবে হয়
স্লিপ এপনিয়া কিভাবে হয়, সেটা বুঝতে হলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে আমরা কিভাবে শ্বাস নিই। আমরা নাক ও মুখ দিয়ে যে বাতাস গ্রহণ করি, তা শ্বাসনালি নামক লম্বা পথ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছায়। স্লিপ এপনিয়ার শুরুতে ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালিপথ বন্ধ বা কলাপস হয়ে যায়। এ অবস্থায় রোগী একটু জোরে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না। ফলে রোগীর ব্রেইনে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। ব্রেইন তখন বাধ্য হয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে। ফলে রোগী হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে তীব্র শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। জেগে জেগে বেশ কিছুক্ষণ শ্বাস নেয়ার পর এরা একটু স্বস্তি পায়। আপনি যদি এ জাতীয় রোগীর পাশে শুয়ে থাকেন, তাহলে দেখবেন এরা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে নিশ্চুপ হয়ে যায় এবং
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘুম থেকে জেগে খুব তীব্রভাবে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করে।

কী কারণে হয়
আমরা যখন ঘুমাই, তখন ব্রেইন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত মাংসপেশিগুলোকে নির্দেশ দেয় সুন্দরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য। অনেক সময় ব্রেইন এ ধরনের নির্দেশ পাঠায় না। তখন স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ব্র্র্রেইন হয়তো নির্দেশ পাঠালো; কিন্তু শ্বাসনালিপথ যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে থাকে, তখনো শ্বাস নেয়া সম্ভব হয় না। একই সঙ্গে দুই ঘটনাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ ব্রেইন নির্দেশ পাঠালো না এবং শ্বাসনালিপথও বন্ধ থাকলো, তখন তীব্র শ্বাসকষ্টে রোগী ঘুম থেকে জেগে ওঠে।

স্লিপ এপনিয়া কেন এতো ভয়াবহ
স্লিপ এপনিয়া বেশিরভাগ সময় মারাত্মক কোনো রোগের ইঙ্গিত বহন করে তা হলো :
. হার্টের রোগ যেমনÑ হার্ট ফেইলিওর, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ইত্যাদি
. ব্রেইনের রোগ
. জন্মগত কোনো ত্রুটি
. কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
. উচ্চ রক্তচাপ।

প্রতিকার বা চিকিৎসা
সঠিক চিকিৎসায় এ ধরনের সমস্যা একেবারেই ভালো হয়ে যায়। তবে চিকিৎসা শুরু করার আগে খুব ভালোভাবে দেখে নিতে হয় রোগীর প্রকৃত কোন সমস্যার কারণে স্লিপ এপনিয়া হচ্ছে। এ জন্য রোগের ইতিহাস জানতে হয়। এছাড়া বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে, যেগুলোর সাহায্যে রোগ ও রোগের তীব্রতা নির্ণয় করা যায়।
সঠিক চিকিৎসার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয় সেগুলো হলো :
. শোয়ার স্টাইল পরিবর্তন। কারণ চিত হয়ে শুয়ে থাকলে স্লিপ এপনিয়া বাড়ে
. ওজন কমানো। ১০ ভাগ ওজন কমালে স্লিপ এপনিয়া ২৫ ভাগ কমে যায়।
.সুষম খাবার গ্রহণ
.নিয়মিত ব্যায়াম
. কিছু ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা
. অপারেশন বা সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা।

চিকিৎসার জন্য কার কাছে যাবেন
স্লিপ এপনিয়া কোনো নিদির্ষ্ট অঙ্গের রোগ নয়। ফলে একজন বিশেষজ্ঞের নাম এক কথায় বলে দেয়া মুশকিল। বিদেশের হাসপাতালগুলোতে স্লিপ সেন্টার নামে আলাদা ইউনিট থাকে, যেখান থেকে এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। বিদেশি আদলে আমাদের দেশেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ধরনের সেন্টার গড়ে উঠেছে, যারা স্লিপ এপনিয়া রোগীর সুচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তবে যেখানেই যান একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও একজন ডেন্টিস্টের সহায়তা ছাড়া এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা দেয়া প্রায় অসম্ভব।
তাই বুঝতেই পারছেন। নাকডাকা রোগ থাকলে নাকে তেল দিয়ে না ঘুমানোই উত্তম। কেননা ছোট্ট এ সমস্যাটি অনেক জটিল রোগের বাহক হতে পারে।
ডা. সাকলায়েন রাসেল
কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ
বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল)

111
বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি কবিদের মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত ও পঠিত। ফারসি ভাষাভাষীদের গবেষকেরা জালালউদ্দিন রুমিকে তাদের সবচেয়ে বড় কবি হিসেবে দেখেন। পশ্চিমা বিশ্বে তার জনপ্রিয়তার কারণ তিনি তার কবিতার মাধ্যমে যে বার্তা তুলে ধরেছেন তা তার ভাষার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি তার কাব্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দর্শন দিয়েছেন যা নিছক ফারসি ভাষা বা সংস্কৃতির বিষয় নয়, বরং মানবজাতির আত্মার রহস্যের বিষয়। কাব্য-সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি গদ্যও রচনা করেছেন। তার গদ্য সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে কিছু সংলাপ, যেগুলোর মানসম্পন্ন অনুবাদ করেছেন এ জে আরবেরি। মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি যে বিশ্বের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সুফি তা বোঝার জন্য কাউকে তার কাব্যের সমঝদার হতে হবে এমনটি নয়।
সাহিত্যের সামগ্রিক বিচারে রুমির মাহাত্ম্য নিহিত এখানে, তিনি ইসলাম ধর্মের একেবারে নির্যাসটুকু হাজির করতে পেরেছিলেন। যা মানুষকে পবিত্র ও সৌন্দর্য দান করে। আর স্বভাবতই একটি সার্বজনীন ধর্ম হিসেবে ইসলামের মর্মবাণী সব দেশের সব কালের প্রতিনিধিত্ব করে। মানব সন্তান সীমাহীন স্বাধীনতা ও অফুরন্ত স্বর্গীয় মহিমা নিয়ে জন্মলাভ করেছে। এ দু’টি পাওয়া তাদের জন্মগত অধিকার। তবে এ মহামূল্যবান দু’টি জিনিস পেতে হলে তাদের অবশ্যই ভালোবাসার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কেউ হয়তো বা প্রশ্ন করতে পারেন এর মধ্যে নতুন কী আছে? দুনিয়ার তাবত মহাপুরুষই তো এ কথা বলে গেছেন। রুমির মাহাত্ম্য এখানেই নিহিত যে, তিনি অত্যন্ত সরাসরি দৈনন্দিন জীবনাচরণ থেকে উদাহরণ টেনে মহাসত্যকে জীবন্তভাবে উপস্খাপন করতে পেরেছেন। উন্মোচন করেছেন মানবাত্মার রহস্য।
জালালউদ্দিন রুমি ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান আফগানিস্তানের বালাখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাহা ওয়ালাদ ছিলেন সর্বজনবিদিত পণ্ডিত ও সুফি। বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহর ভালোবাসা কিভাবে হাসিল করা যায় তার ওপর অনেক চিত্তাকর্ষক লেখা তিনি লিখেছেন। মোঙ্গলদের আসন্ন আক্রমণের সময় ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় থাকাকে নিরাপদ মনে না করায় তিনি ১২২০ সালের দিকে তার পরিবারকে আনাতলিয়ায় সরিয়ে নেন। বর্তমান তুরস্কের কনিয়ায় তিনি স্খায়ীভাবে বসতি স্খাপন করেন। এবং সেখানেই তিনি তৎকালীন শ্রেষ্ঠ আলেম হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। ১২৩১ সালে মৃত্যুর পর তার পুত্র জালালউদ্দিন পিতার স্খলাভিষিক্ত হন। এর অনেক আগেই জালালউদ্দিন স্বনামধন্য অধ্যাপক ও ধর্মপ্রচারক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি আইন ও ধর্মতাত্ত্বিক বিজ্ঞানকে এক সূত্রে গ্রোথিত করেছিলেন এবং সুফিবাদকে আরো বেশি আধ্যাত্মিক মাত্রা দিয়েছিলেন। তবে তখনো তিনি কবিতা রচনা করেননি বা সুফি বিজ্ঞানের অথরিটি হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। রুমির জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে ১২৪৪ সালে, অর্থাৎ তার বয়স যখন ৪০ বছর। এ বছর তিনি কনিয়ায় একজন অতি আশ্চর্যজনক ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে আসেন। তার নাম শামস আল-দীন তাবরিজ বা শামস-ই তাবরিজ। তারা দু’জন নিষ্কাম প্রেমের বìধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। শামস রুমিকে আধ্যাত্মিক প্রেমের ব্যাপারে এমন উৎকৃষ্ট সবক দিলেন যা তিনি ইত:পূর্বে কল্পনাও করতে পারেননি। এ অবস্খায় রুমির কাছে শামস যেন সৌন্দর্য ও মহত্বের মূর্ত প্রতিক হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি তিনি উপলব্ধি করতে থাকেন, তিনি যেন আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় পাচ্ছেন। এমতাবস্খায় এক দিন শামস নিরুদ্দেশ হয়ে যান। শামস নিহত হয়েছেন বলে গুজব শোনা গেলেও রুমি নিজে তা বিশ্বাস করতেন বলে মনে হয় না। তবে এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, শামসের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার পরই রুমির কলম দিয়ে ঝরনা ধারার মতো কবিতা বেরোতে থাকে। রুমি অবশ্য তার অনেক লেখার মাধ্যমে এ কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

রুমি ৩ হাজার গজল (প্রেমের গান) রচনা করেছেন। আর এসব গজলের অনেকগুলোর সাথেই শামসের নাম বিজড়িত। শামসের জন্য উৎসর্গীকৃত তার দিওয়ান-ই শামস-ই তাবরিজ হচ্ছে গজল ও বিভিন্ন শ্লোকের সমাহার, যার মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার পংক্তি। ২৫ হাজার শ্লোক নিয়ে রচিত তার সঙ্কলনের নাম মসনবি। মসনবি হচ্ছে শিক্ষামূলক নীতিবাক্যের সমাহার। এবং মানুষকে নীতিবোধে উজ্জীবিত করাই এর একমাত্র লক্ষ্য।  Literary History of the Arabs গ্রন্থের বিখ্যাত লেখক R A Nicholson (1868-1945) মসনবির পুরোটাই ইংরেজিতে অনুবাদ করে ইংরেজি ভাষাভাষীদের কাছে মাওলানা জালালউদ্দিন রুমিকে একজন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ও আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবে তুলে ধরেছেন। রুমি বিশারদ নাদের খলিল তার ‘সুফি পাথ টু লাভ’ গ্রন্থে ৭৫টি গজল ও বিক্ষিপ্তভাবে ১ হাজার শ্লোক অনুবাদ করেছেন।
অতি সম্প্রতি কয়েকজন কবি দিওয়ান থেকে কিছু গজল তাদের কাব্য সৌন্দর্য অক্ষুণí রেখে অনুবাদকর্ম প্রকাশ করেছেন। এবং এর ভিত্তি হিসেবে তারা ইত:পূর্বে অন্যদের দ্বারা আক্ষরিকভাবে অনুবাদগুলোকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তবে যারা ফারসি ভাষাভাষী তারা উপলব্ধি করতে পারবেন, অনুবাদগুলো সাদামাটা এবং অনেক ক্ষেত্রেই দুর্বল। এতদসত্ত্বেও তারা এ জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তারা এটা মনে করেছেন যে রুমির মতো একজন উঁচুদরের কবি শুধু পারস্যের গণ্ডীর মধ্যে আটকে থাকতে পারেন না। তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।
তবে এখনো পর্যন্ত দেওয়ানের ওপর যতগুলো ইংরেজি অনুবাদ বেরিয়েছে তন্মধ্যে নাদের খলিলের অনুবাদই মানসম্পন্ন হয়েছে। অনুবাদের ক্ষেত্রে তিনি অন্যদের তুলনায় সুবিধাজনক অবস্খানে আছেন। কেননা তার মাতৃভাষা ফারসি এবং ইংরেজিতেও তিনি তুখোড়। এ ছাড়া তার মধ্যে অসাধারণ কাব্য প্রতিভা লুকায়িত আছে। কবি ছাড়া আর কেই-বা কবিতার মাহাত্ম্য সর্বাধিক উপলব্ধি করতে পারে? এ জন্যই তিনি রুমির কর্মকে তার অন্তর্নিহিত ভাবধারাকে অক্ষুণí রেখে হৃদয়গ্রাহী করে উপস্খাপন করতে পেরেছেন। আজকের দিনে যারা রুমির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন তাদের সম্পূর্ণ বিপরীতে নাদের খলিলি রুমির বাণীর যে বাস্তব প্রাসঙ্গিকতা আমাদের দৈনন্দিন জগতে রয়েছে সেটা নিংড়িয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। রুমি বিশ্বাস করেন, সৌন্দর্য মানব মনের চিরন্তন কাম্য। কেননা আল্লাহ নিজেই সুন্দর এবং তিনি সব সৌন্দর্যের উৎস। আর মানবাত্মার প্রকৃত চাহিদা হচ্ছে খোদ আল্লাহ পাক। নাদের এই সৌন্দর্যকে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের মাধ্যমে ভাষাগত রূপায়নের পাশাপাশি স্খাপত্য কর্মের মাধ্যমেও তুলে ধরে মানব সভ্যতাকে উপকৃত করেছেন। নাদেরের সিরামিকের বাড়ি ও মৃত স্খাপত্যের দিকে তাকালেই এই সত্য মূর্ত হয়ে ধরা দেবে।
R A Nicholson, Arther John Arbery, William C Chittick, Ancara University’s History of Religions-এর Professor Annemarie Schimmel এবং আমেরিকার শৌখিন রুমি গবেষক ইব্রাহিম গামার্দ (Ibrahim Gamard)-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অনুবাদ কর্মের দ্বারা আজকের ইউরোপের শিক্ষার্থীরা ব্যাপকহারে রুমির সাহিত্য কর্মের রস আস্বাদন করতে পারছেন। ইতোমধ্যে তারা যে রুমির সাহিত্যকর্মের রস নিংড়ে পরিতৃপ্তির সাথে পান করছেন তা-ও জোরালোভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। গবেষকরা এখন বিশ্ব সাহিত্যের বদ্ধমূল ধারণায় অন্তত কিছুটা হলেও চিড় ধরাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাহিত্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নতুন করে বোধদয় ঘটতে শুরু করেছে। রুমির সাহিত্যকর্ম অধ্যয়নের পর এতকাল দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ইংরেজ সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মকে রীতিমতো পানসে বলে মনে হচ্ছে। তারা এখন রীতিমতো নিক্তি দিয়ে ওজন করছেন কার সাহিত্যকর্মের গভীরতা কতটা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্স স্কলার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সামির আসাফ The Poet of the Poets– শীর্ষক এক নিবìেধ লিখেছেন, গভীরতার মানদণ্ডে রুমির তুলনায় শেক্সপিয়রের মান হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। পশ্চিমা সাহিত্যিকদের মান প্রসেঙ্গ তিনি আরো লিখেছেন, ‘পাশ্চাত্যের গ্যাটে, চসার ও ইমারসন পর্যন্ত রুমির প্রভাব প্রতিপত্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, রুমির সমকক্ষ­ যেমন গাজ্জালি, গালিব, জামি, সাদি, জিবরান, এমনকি কাজমি, দেহলভি বা জাউকের (Zauk) সাহিত্যকর্মের তুলনায় পশ্চিমা সাহিত্য বলতে গেলে হাস্যকর পর্যায়ের অগভীর।
ভাষাবিদরা পশ্চিমা সাহিত্য, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যের এই অগভীরতার পেছনে অন্যতম তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে­ উর্দু বা ফারসির তুলনায় এসব ভাষার প্রকাশভঙ্গির অন্তর্নিহিত সীমাবদ্ধতা, পাশ্চাত্যে মরমিবাদের সহজাত ঘাটতি এবং সামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতি তুলনামূলকভাবে অস্খিতিশীল। পক্ষান্তরে রুমি এ জগতের মানুষ হয়েও সম্পূর্ণ ভিন্ন জগতের বাসিন্দা তথা আধ্যাত্মিক চেতনার মানুষ ছিলেন। তার কবিতা তাই যেন আকাশ থেকে বারিধারার মতো নেমে আসত।
রুমির সাহিত্যকর্ম স্খান-কাল-পাত্রের সীমা অতিক্রম করে অমরত্ব লাভ করেছে। আজ বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ম্যাডোনা ও তার মতো আরো অনেকে রুমির কবিতাকে গানে রূপ দিয়ে গেয়ে বিশ্বের দরবারে তাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করার প্রয়াস পাচ্ছেন।

112
যান্সার এমন একটি মরণব্যাধি যার চিকিৎসা আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ক্যান্সারের হাত থেকে হয়তো বেঁচে যাওয়া সম্ভব কিন্তু একটু দেরি হলেই নিশ্চিত মৃত্যু। এই ব্যাপারটি জেনেও আমরা আমাদের জীবনযাপনে কোনো পরিবর্তন আনতে পারছি না। না জেনে প্রায় প্রতিদিনই এমন কিছু খাবার খেয়ে যাচ্ছি যা ক্যান্সারের জন্য দায়ী। যদি জেনেও একই ভুল বারবার করতে থাকা হয় তাহলে তাকে আর ভুল বলা চলে না। আমাদের উচিত এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলা,যতোটা সম্ভব এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

চিনে নিন ভয়াল সেই খাবারগুলোকে।
১) সফট ড্রিংকস
গরমকাল মানেই নানান ধরণের সফট ড্রিংকস অতিরিক্ত পান করার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু এই সফট ড্রিংকসের চিনি, ফুড কেমিক্যাল এবং রঙ দেহকে অ্যাসিডিফাই করে যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে সাহায্য করে। সুতরাং এই ব্যাপারে সর্তক হোন।
২) পপকর্ন
মুভি হলে গিয়ে পপকর্ন না খেলে অনেকের মুভিই দেখা হয় না। কিন্তু আপনি জানেন কি, ইনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি এই পপকর্নের ভেতর খুঁজে পেয়েছেন পারফ্লুরোক্টেনোয়িক অ্যাসিড যা মানব দেহে টিউমার গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও পরকর্ন খাওয়ার ফলে লিভার, টেস্টিকুলার এবং পাঙ্ক্রেটিক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩) ডায়েট খাবার
ওজন কমানোর আশায় আর্টিফিশিয়াল চিনি, ডায়েট সোডা খাচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন, ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটির একটি গবেষণায় পাওয়া যায় ডায়েট খাবারের সুক্রালোজ, স্যাকারিন এবং অন্যান্য আর্টিফিশিয়াল চিনি ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এছাড়াও এই ডায়েট খাবারের কারণে জন্মগত সমস্যা তৈরি হয় শিশুদের মধ্যে।
৪) আলুর চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
আলুর চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সকলেরই বেশ পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু আলুর মতো স্টার্চ জাতীয় খাবার অতিরিক্ত তাপে ভাজা বা বেক করার কারণে এতে উৎপন্ন হয় আক্রিলামাইড নামক একটি কারসিনোজেনিক উপাদান, যা দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে সহায়ক। এছাড়াও প্যাকেটজাত আলুর চিপসে থাকে আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার যা টিউমার গঠন করে।
৫) কীটনাশক সমৃদ্ধ ফলমূল
ফলমূল না ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু ফলমূল চাষের সময়ে এতে অনেক কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা ফলের গায়েই লেগে থাকে। তাই না ধুয়ে এই ফল খাওয়া আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ এইসকল কীটনাশকের উপাদান দেহে গঠন করে টিউমার ও ক্যান্সারের কোষ। সুতরাং অভ্যাস পরিবর্তন করুন।
সূত্রঃ lolwot.com

113
Different animals see the world differently; dogs and cats, for example, are partially colour-blind. This means that they may not see things in the exact same way that we see them. Human eyes are trichromatic – possessing three types of photoreceptors – and these are sensitive to red, green, and blue colours. However, not all animals have trichromatic eyes: some only have two kinds of photoreceptors, while others have four. A cat may, then, see the world differently than we do. Most of the differences between the ways in which different animals see the world mainly have to do with colour and visibility.

The following pictures will give you a clear definition of how distinct human eyesight is from those of other creatures. It is pretty mind-blowing!


114
Dinosaurs have caught people’s fancy since a long time, with books and movies about dinosaurs doing unusually well. However, have you ever given a thought about what it would actually be like if dinosaurs actually lived amongst us? Turns out, they probably wouldn’t even have looked very much like the dinosaurs we know. In fact, they would probably be more human: a study surmised that had dinosaurs managed to survive, they would have evolved into intelligent “dinosauroids” – a humanoid dinosaur.

According to Dale Russell, who discovered the Troodon (also called the Stenonychosaurus), dinosaurs were on the way to becoming intellectual beings. These “dinosauroids” would have borne a strikingly close resemblance to humans. The Troodon possessed several features which hinted at this evolution, opposable thumbs and binocular vision amongst them. They are also thought of as being social animals. This has led to the belief that these dinosaurs were on the way to evolving into intelligent life forms.

Russell, during his experiment, realised that the Troodon’s brain size was much larger in comparison to its relative body size, as well as larger than was usual for dinosaurs. He ran the figures and came up with the fact that the dinosaur’s modern-day descendants would have pretty much the same brain volume as humans do.

This evolving brain would have changed dinosaurs’ appearance as well, moulding them into a humanoid figure. These “dinosauroids” would be capable of standing upright while still retaining reptilian features such as the scaly skin and lack of external genitals.

Come to think of it, had dinosaurs actually managed to survive to this day, they would probably have interacted with humans as freely and actively as other animals do, and while paleontologists have dismissed Russell’s theory for being a bit too improbable, it still remains an interesting way thought.

115
History / Aztec Skull Rack Unearthed in Mexico
« on: August 22, 2015, 11:19:22 AM »
In the ruins of the great Aztec site of Templo Mayor, archaeologists have unearthed a massive tzompantli, or trophy skull rack, that was built between 1485 and 1502. These racks were used by the Aztecs to display the heads of their enemies, who may have been sacrificed atop nearby pyramids. Paintings and descriptions of the racks from the early colonial period suggest the Aztecs used wooden poles to suspend the skulls between vertical posts. The recently discovered tzompantli differs from others that have been depicted and discovered in that rows of skulls seem to have been mortared to one another and formed a circle in which the skulls were arranged to look at the center. “There are 35 skulls that we can see, but there are many more,” National Institute of Anthropology and History archaeologist Raúl Barrera told The Guardian. “As we continue to dig the number is going to rise a lot.”


116
The glass manufacturing craft has been around for over 4,500 years. Closely guarded techniques, dating back to Mesopotamia and Ancient Egypt, were passed on from generation to generation, constantly evolving with every scientific discovery – including contemporary ones. Recently, a group of researchers led by Prof. Neri Oxman, founder and director of Mediated Matter, collaborated with MIT’s Department of Mechanical Engineering, Wyss Institute and MIT’s Glass Lab to develop an advanced glass 3D printer, or G3DP – “an additive manufacturing platform designed to print optically transparent glass”, as they explain. The group of researchers – with members John Klein, Michael Stern, Markus Kayser, Chikara Inamura, Giorgia Franchin, Shreya Dave, James Weaver, Peter Houk – combined latest technologies with traditional tools to create the advanced 3D printer.

Additive manufacturing is a common technical process used in 3D printing. The principle is based on adding layer-upon-layer of material. Until now, materials with a low melting point were used – primarily plastics. Glass, on the other hand, has a high melting temperature, completely liquefying at approximately 1400°C to 1600°C. Although previous attempts to print glass have been conducted – by Micron3DP, a small Israeli company, for instance – results were never as accurate as the ones reached by the team of researchers at Mediated Matter. Moreover, by experimenting with optically transparent glass, the team expanded the research on light transmission, optical variation, transparency and color variation.

G3DP’s platform evolves around a dual heated chamber concept. The first one acts as a small kiln where glass is melted at a temperature of approximately 1900°F (1037°C). The lower section of the printer consists of an alumina-zircon-silica nozzle which funnels down the molten glass, similarly to a hotend on a desktop FDM 3D printer. Compressed air lowers the temperature of the nozzle to stop the printing. The movement process is similar to typical Cartesian-based 3D printers. With dimensions of approximately 4.5mm and 7.95mm, the printed glass samples were extremely accurate. A full description of “Additive Manufacturing of Optically Transparent Glass” will appear in the September 2015 issue (Vol. 2, Issue 3) of 3D Printing and Additive Manufacturing  (3DP+). Furthermore, a selection of Glass pieces will be exhibited at Cooper Hewitt, Smithsonian Design Museum in 2016.

117
প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের রাণী নেফারতিতির দেহ সমাধিতে এখনো অক্ষত রয়েছে বলে জানা গেছে। তার ছেলে রাজপুত্র তুতেনখামেনের পাশে একটি গুপ্ত ঘরে তার মমি সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্মতত্ত্ববিদেরা।

এ বিষয়ে ব্রিটেনের এক গবেষক জানিয়েছেন, উচ্চ প্রযুক্তির ইমেজের মাধ্যমে দেখা গেছে, নেফারতিতির দেহ এখনো অক্ষত রয়ে গেছে।

নেফারতিতির ছেলে তুতেনখামেনের সমাধি কেভি৬২ নামে পরিচিত। তিনি ১২২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মারা যান। তখন তিনি কিশোর। তার দেহও অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কার করা হয়। এখন থেকে ৯৩ বছর আগে তার দেহ আবিষ্কার করে প্রত্মতত্ত্ববিদেরা।

মিশরীয়বিদ নিকোলাস রীভসের নেতৃত্বে স্পেনিশ প্রত্মতত্ত্ববিদদের একটি দল গত বছর সমাধি ক্ষেত্রের ছবি তুলে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান করে তা প্রকাশ করেন।

এদিকে, আমারনা রয়েল টমস প্রজেক্টের আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রকাশিত নিবন্ধে লেখেন, সমাধি ক্ষেত্রের স্ক্যানের সতর্ক মূল্যায়নে বলা যায়, সমাধি ক্ষেত্রে দুটি দরজার খোঁজ পাওয়া গেছে। এর একটিতে বড় দেওয়াল রয়েছে এবং দুটি অক্ষত মরদেহ দেখা যাচ্ছে।

তিনি নিবন্ধে লেখেন, এই ডিজিটাল ইমেজকে যদি আমরা বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি, তাহলে দেখা যাবে, সমাধি ক্ষেত্রের পশ্চিমপাশে প্রাচীন মিশরের তুতেনখামেন যুগের দুটি কক্ষ দেখা গেছে।

এর মধ্যে উত্তরদিকের কক্ষে (যার সাংকেতিক নাম কেভি৬২) নেফারতিতির দেহ রাখা আছে। তিনি সফল শাসক ফারাও আখেনাতেনের জীবনসঙ্গী ছিলেন।

তারা দুজন প্রাচীন মিশরে সফল শাসক দম্পতি হিসেবে পরিচিতি পান। গবেষক রীভস মনে করেন, সেই সময় পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা বিদ্যমান ছিল প্রাচীন মিশরে।

নেফারতিতি ৪০ বছর বয়সে ১৩৩০ খ্রিস্টপূর্বে মারা যান। তুতেনখামেন মারা যাওয়ার মাত্র কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুর কারণ ছিল প্লেগ।

১৮ শতকের রাজ্য শাসকেরা ‘ভ্যালি অব কিংস’-এলাকায় নেফারতিতির সমাধি খুঁজে পাননি। যদিও এখানে খ্রিস্টপূর্ব ১৬ থেকে ১১ শতকে ফারাওকে সমাহিত করা হয়।

নেফারতিতির নামের অর্থ হচ্ছে- ‘অপূর্ব সুন্দরীর আগমন ঘটেছে’। তার নামের প্রভাব তার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় জীবনেও প্রভাব ফেলেছিল।

গবেষক রীভস এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, নেফারতিতির মরদেহ প্রস্তর খণ্ডের ওপর রাখা এবং দেওয়ালে তার কীর্তিগাথা আঁকা রয়েছে। তার মুখ মুখোশ পরিহিত।

নেফারতিতিকে সমাহিত করার সময় ভাবা হয়নি যে, তুতেনখামেনের স্থানও একই সমাধি ক্ষেত্রে হবে।

পরে দশক জুড়ে যুদ্ধে রাজা ফারাওয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়। নেফারতিতির সমাধি ক্ষেত্র খননের সুযোগ ঘটলেও সংরক্ষিত বিধায় রাজা ফারাওয়ের সমাধি খনন করা হয়নি বলে রীভস উল্লেখ করেন।

118
Our world produces some incredible rocks. Take the opal, a precious stone that forms out of silica, in the dark under the surface of the earth. When cut and polished, it flashes with a gorgeous array of colours, from pale milky hues to deep reds and blacks.

Now, an opal that has been named the finest ever unearthed will be making its public debut next month as the centrepiece of an exhibition opening at the South Australian Museum, Adelaide.

Called the Virgin Rainbow, it was discovered in the opal fields of Coober Pedy by opal miner John Dunstan in 2003.

It's actually an opalised fossil, from an extinct cephalopod called belemnitida that existed during the Mesozoic era. During that time, much of South Australia was under a vast inland sea filled with prehistoric aquatic reptiles called plesiosaurs. These died and sank to the bottom of the sea, buried over the millennia by sediment.

When the sea dried up and the land turned into a desert, the acidity levels in the shallow top layer of the sandstone increased. This released silica from weathering sandstone into the layer of clay beneath, where bones and pockets left by disintegrated bones lay buried, carried down via groundwater.
The South Australian desert, once under water millions of years ago. South Australian Museum

Further weathering lowered the acidity levels, which allowed the silica gel to harden into opals in the pockets and impressions left by decayed animal material, like cake poured into a mould, or to soak into bones and create a replica of the internal structure.

The famous Australian opal fields of Coober Pedy are located in this region. No other environment in the world is known to have undergone this same process, which is possibly why over 90 percent of the world's opals come from South Australia.

Opalised fossils in this region are not uncommon. In fact, the South Australian Museum is home to another spectacular opal structure: an almost complete opalised skeleton of a six-metre (20-foot) plesiosaur known as the Addyman Plesiosaur, although you have to look closely to see its opalescent sheen.

Not so with the Virgin Rainbow, which spits a rainbow of coloured sparks from its heart.

"You'll never see another piece like that one, it's so special. That opal actually glows in the dark -- the darker the light, the more colour comes out of it, it's unbelievable," Dunstan told the ABC.

"I've done a lot of cutting and polishing [of opals], I've been doing it for 50 years, but when you compare it to the other pieces that claim to be the best ever, this one just killed it."

119
A new report from tech giant Samsung proposes that a fleet of roughly 4,600 micro-satellites orbiting Earth could solve our impending data crisis.

Predicting that by 2028, 5 billion Internet users around the world will be collectively chewing through at least 1 zettabyte per month - to put that in perspective, 1 zettabyte is 1,000 exabytes, 1 exabyte is 1,000 petabytes, and 1 petabyte is 1,000 terabytes - the report says we’re going to have to think seriously about how we can deliver that. A constellation of tiny Internet-beaming satellites could be a viable option, it says, and Samsung could be the one to build it.

he report, entitled Mobile Internet from the Heavens, describes an Internet satellite system that will avoid the latency issues of current communications satellites by being positioned much closer to Earth. "Most modern communications satellites live in geostationary orbit, roughly 35,000 kilometres above the surface, and this imposes a hard limit on speed due to travel time for the data transmissions," Graham Templeton writes for ExtremeTech. "Samsung wants to position its constellation in Low Earth Orbit (LEO) and thus reduce this delay."

Since the fleet of micro-satellites will be constantly moving around, with no one satellite dedicated to a particular patch of Earth, Samsung predicts that it will need about 4,600 of them to ensure constant coverage everywhere on the planet.

This is not the first time a universal 'space Internet' has been proposed. In June, SpaceX’s Elon Musk requested permission from the FCC to launch a constellation of Internet-beaming satellites into Low Earth Orbit for testing, and Sir Richard Branson has raised US$500 million to develop and launch his own OneWeb space telescope system by 2019.

Closer to the ground, we have Google working on making Sri Lanka the first country on Earth with universal Internet coverage via its helium ballon system, and Facebook is following close on its heals with plans to launch Internet-beaming drones.

It's not really a surprise that some of the biggest technology companies in the world are vying for control over where we'll be getting out Internet from in the coming decades. As Templeton points out, the philanthropic bonuses for connecting the poorest and most remote regions in the world will be substantial, but what it's really about is finding a way to push your own products and services.

"Not only do you get to sell high-speed Internet to the remaining global majority that still lives without it, but you also get to bias them toward using your services on the Internet," he says. "Though it wasn’t as tied to the launch of satellites, Facebook’s Internet.org is an attempt to achieve much the same thing: give people without adequate access to the Iinternet a subsidised version of it, in exchange for the chance to expose them to your version of the Internet, first."

Getting an Internet-beaming satellite constellation up and running won't be easy - as Bill Gates knows all too well - and Samsung hasn't even announced whether it plans to do anything with this proposal yet. We'll just have to wait and see. I suspect the idea is an inevitability, and right now, it's anyone's game.

120
Marks on a pair of 3.4-million-year-old animal bones found at the site of Dikka, Ethiopia, appear to have been caused by butchering with stone tools, argue Jessica Thompson of Emory University and her colleagues in the Journal of Human Evolution. The new study uses statistical analysis of marks on more than 4000 bones found at the same site to refute a claim made by other scientists in 2011 that the marks were caused by incidental trampling. The bones date to long before the emergence of the genus Homo and appear to significantly push back the evidence for the earliest known instance of large animal butchering. "Our analysis shows with statistical certainty that the marks on the two bones in question were not caused by trampling," Thompson said in a press release. "While there is abundant evidence that other bones at the site were damaged by trampling, these two bones are outliers. The marks on them still more closely resemble marks made by butchering."

Pages: 1 ... 6 7 [8] 9 10