Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - chhanda

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8 9 ... 20
91
ব্যাকপেইন আমাদের খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যখনই আপনি এ সমস্যায় পড়বেন নিজের সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে বসে থাকবেন না। সচল থাকুন, দেখবেন ব্যথা আর বাড়তে পারবে না। আর বাড়িতে একটু চেষ্টা করলেই কমাতে পারেন এই অসহ্য ব্যথা। জেনে নিন কীভাবে করবেন এই কাজগুলো।

# অফিসে অনেকক্ষণ টানা বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে উঠুন, একটু হাঁটাচলা করুন। আর গদি চেয়ার পরিহার করে চেষ্টা করুন কাঠের অথবা প্লাস্টিকের চেয়ার ব্যবহার করতে।

# ভারী জিনিস বেশিক্ষণ টানাটানি করলে ব্যাকপেইন হতে পারে। খুব বেশি সময় এই কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন।

# আর ব্যাকপেইনের সমস্যা নিয়মিত দেখা দিলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

# ব্যাকপেইন কমানোর জন্য ফিটনেস এক্সপার্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করার জন্য। আমরা জানিয়ে দিচ্ছি কিছু এক্সারসাইজের নিয়মাবলি।

স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ

# লো ব্যাকপেইন কমানোর জন্য এই এক্সারসাইজ করতে পারেন। সিঁড়ির সামনে সোজা হয়ে দাঁড়ান। সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে ডান পা রাখুন। এরপর মেরুদণ্ড সোজা রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা হাঁটুর কাছে নিয়ে যান। ১৫-২০ মিনিট এই অবস্থায় থেকে আবার ফিরে আসুন। এবার বাম পা সামনে নিন। পুনরায় একই কাজ করুন। তবে লক্ষ রাখবেন খুব বেশি সময় যেন না করে ফেলেন। এতে ক্ষতি হতে পারে।

# মিড ব্যাকপেইনের জন্য এই এক্সারসাইজ। হাঁটুর তলায় দু’হাত রেখে পা বুকের সামনে নিয়ে আসুন। এই অবস্থায় কয়েক সেকেন্ড থেকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুন। বিশ্রাম নিন।

# পা সোজা করে মাটিতে দাঁড়ান। ব্যালেন্স পাওয়ার জন্য দু’পায়ের মাঝে হাল্কা ফাঁকা রাখতে পারেন। এরপর মাথা ঝুঁকিয়ে পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। দু’ পা জোড়া করে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে ঝোঁকার সময় দু’ হাত হাঁটুতে রাখুন সাপোর্ট হিসেবে। এরপর হাত সরিয়ে নিন। ২০ সেকেন্ডের মতো এই অবস্থায় থেকে আবার সোজা অবস্থায় ফিরে আসুন, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।

নিয়মিত ব্যায়ামগুলো করতে থাকলে আস্তে আস্তে ব্যথা কমে যাবে। চেষ্টা করুন সময় মেনে করার। আর ব্যায়াম করে শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

92
শরীরে মূত্র তৈরি এবং দেহ থেকে তা নিঃসরণের জন্য যে অঙ্গসমূহ কাজ করে সেগুলোতে কোনো কারণে ইনফেকশন দেখা দিলে তাকে ইউনারি ট্রেক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই বা UTI) বলে। আজকাল মেয়েদের মধ্যে এ অসুখটির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে খুব বেশি। তবে একটু সতর্ক হলে এ রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।

মূত্র নালীর সংক্রামন বা ইউটিআই রোগের কারণ:
♣ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া (৯৫% ) এবং কিছু ক্ষেত্রে ফাঙ্গাস,প্রোটিয়াস,কেবসিয়েলা,সিউডোমনাস অন্যতম।
♣ এ ছাড়া অনেকের এলার্জি জনিত কারনেও হতে পারে (সাময়িক হতে দেখা যায়)
♣ দীর্ঘসময় মূত্রতন্ত্রে জীবাণু অবস্থান করলেই UTI এর লক্ষণ গুলো দেখা যায়।
♣ মূত্রনালীর সক্রমন খুব বেশী হয় মেয়েদের। কারণ মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য ছোট,মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য মাত্র ১.৫ ইঞ্চি, অথচ ছেলেদের ৮ ইঞ্চি।
♣ মেয়েদের মূত্রদ্বার ও যোনিপথ খুব কাছাকাছি, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অনেক মেয়েরা ময়লা, ছেরা ও নোংরা জাতীয় কাপড় ব্যবহার করেন, এতে জীবানু প্রথমে যোনিপথে ও পরে সংলগ্ন মূত্রনালীকে সংক্রমিত করে
♣ মেয়েদের প্রস্রাব না করে আটকে রাখার প্রবণতা বেশি, তাই প্রস্রাবে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
♣  যারা পানি কম পান করেন
♣ ডায়াবেটিস আছে যাদের
♣ প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলে
♣ ষাটের বেশি বয়স হলে, যাদের রোগ অথবা প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বেলায়।

লক্ষণসমূহ:
১) ঘন ঘন প্রস্রাব
২) প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব
৩) প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, জ্বালাপোড়া ও অসহ্য অনুভূতি
৪) তল পেটে স্বাভাবিকভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব
৫) ঘন ফেনার মত অথবা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
৬) জ্বর-কাঁপুনিসহ অথবা কাঁপুনি ছাড়া
৭) বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
৮) কোমরের পাশের দিকে অথবা পিছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যাথা
৯) প্রস্রাবের চাপে রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।

চিকিৎসা:
♣ ড্রাগ থেরাপি হিসাবে চিকিৎসকরা নিম্ন লিখিত গ্রুপের ঔষধ সমুহ ব্যাবহার করে থাকেন, সেফালোস্পরিন, লিভোফক্সাসিন, গ্যাটিফক্সাসিন ইত্যাদি – খুবই ভাল যা ৯৬% কার্যকর ব্যাক্টেরিয়া জনিত কারনে হলে।
♣ অন্যদিকে ফাংগাসের কারনে হলে এন্টি ফাংগাল ড্রাগস দিয়ে থাকেন সেই সাথে চুলকানি থাকলে তা রোধ করার জন্য এন্টি ফাংগাল বা করটিকস্টারয়েড জাতীয় ক্রিম ও দেওয়া হয় বাহিরের চুলকানি দূর করার জন্য এবং বেশি বেথা থাকলে নিউরোস্পাস্মটিক ঔষধ বেশ আরাম দায়ক। পুনরাবৃত্তি সংক্রমণ না হওয়ার জন্য একি সাথে সহবাস সঙ্গীকে প্রতিষেধক এন্টিবায়োটিক দেওয়া উচিৎ।
♣ হারবাল: যেহেতু ইহা ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণে হয়ে থাকে তাই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস কারি এন্টবায়োটিক ছাড়া এখন ও অন্য কিছু নাই, তবে সাপ্লিমেন্টারী হিসাবে WHO কৃতক অনুমদিত এবং সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে নিম্নের দুটি ঔষধ ভাল ফল দায়ক
– ( Cranberry 750mg Extract Super Strength ট্যাবলেট , যা দিনে তিনটি পর্যন্ত খেতে হবে – কেনবারি জুস খুভি ফল দায়ক যা দিনে ৩/৪ কাপ খেলে উপকৃত হবেন , তবে যাদের এলার্জি আছে তাদের জন্য নিষেধ।
অথবা ট্যাবলেট Bromelain 80 mg দিনে দুবার খেতে পারেন, তবে ইহা শিশুদের জন্য নিষেধ – (বারমুলিন মুলত আনারস কে বলা হয়েছে — অর্থাৎ আনারসের সিরাপ দিনে ২/৩ বার খেলে ভাল উপকার পাওায়া যাবে)

সঠিক চিকিৎসা হলে সাধারণত UTI ২-৩ দিনেই ভাল হয়ে যায়। তবে যাদের UTI কমপ্লিকেটেড (যাদের বার বার UTI হয়, যাদের Sexual অভ্যাস স্বাভাবিক নয়, সাথে ডায়াবেটিস বা অন্যান্য অসুখের উপস্থিতি যেগুলোতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ইত্যাদি কমপ্লিকেটেড UTI) সেটা ভাল হতে ১-২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। দরকার হলে শিরা পথেও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। মনে রাখবেন রোগের লক্ষণ উপশম হওয়া মানেই রোগমুক্তি নয়, চিকিৎসক যতদিন চিকিৎসা চালাতে বলবেন ততদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। কমপ্লিকেটেড UTI তে সাধারনত ৩-৪ সপ্তাহ অসুধ খেতে হয়।

সতর্কতা: কোন ওষুধই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতিত সেবন করা নিষেধ।

প্রতিরোধrupcare_UTI2
যে কোন অসুখে প্রতিরোধই সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা। জেনে নিন এই অসুখ প্রতিরোধের কিছু টিপস-

১) দিনে বার বার পানি ও অন্যান্য তরল যেমন ফ্রুট জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়া। পানি ও অন্যান্য তরল জীবাণুর সংক্রামণ ও বৃদ্ধি প্রতিহত করে মূত্রতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
২) বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা- যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে।
৩) যৌন সহবাসের আগে ও পরে অবশ্যই প্রস্রাব করা-যাতে মূত্র নালীতে আগত সকল জীবাণু পরিষ্কার হয়। অনেকের সহবাসের পরই UTI শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী UTI প্রতিরোধক এন্টিবায়োটিক সহবাসের পর নেয়া যেতে পারে।

তাই উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এক্ষেত্রে একজন ইউরোলজিস্ট আপনার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পরামর্শদাতা হতে পারে।

মনে রাখবেন, চিকিৎসায় যার প্রথমবার UTI ভাল হয়েছে, তার ২০% সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয়বার ইনফেকশন হওয়ার, যার দ্বিতীয়বার ভাল হয়েছে, তার ৩০% সম্ভাবনা রয়েছে তৃতীয় বার ইনফেকশন হওয়ার- এভাবে সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। তাই প্রতিরোধের উপায়গুলো অভ্যাস করুন, সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সুস্থ থাকুন।

লেখক-ডাঃ আওরঙ্গজেব আল হোসাইন
রেসিডেন্ট, ইউরোলজী ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশন
এপোলো হসপিটালস ঢাকা।

93
রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে অনেকেরই। ফলে ঘুম কম হওয়ায় সকালে ওঠার পর থেকেই অবসাদগ্রস্থ লাগে। কোনো কাজে মন বসানো কঠিন হয়ে পড়ে। যারা সকালে উঠেই অফিসে দৌড়ান তারা পড়েন বেশী সমস্যায়। কারণ ঘুম কম হওয়ায় সারাদিন ক্লান্ত লাগে কিন্তু কাজের চাপে একটু চেয়ারে গা এলিয়ে নেয়ার কোনো উপায় নেই। দুপুর হলেই ঢুলু ঢুলু চোখে কাজে মন দিতে হয়। ভাবছেন কিছুই কিছুই করার নেই? আপনাদের জন্যই আজ রইলো একটি ছোট্ট খাবার তালিকা। রাতে ঘুম কম হলে বা সারাদিন ক্লান্ত লাগলে সকালে নাস্তার সাথে খেতে পারেন এই খাবার গুলো। তাছাড়া অফিসে কাজের ফাঁকেও খেয়ে নিতে পারেন। নিমিষেই অবসাদগ্রস্থতা কেটে দেহে আনবে সতেজ ভাব।

ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে কোকোর পরিমাণ বেশী থাকে। আর এই কোকো জাতীয় ফ্লেভানয়েড উপাদান সমূহ দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেহকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে কোকো। সকালে এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেয়ে নিতে পারেন। কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে একটু ডার্ক চকোলেট খেয়ে দূর করুন অবসাদ।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শুধুমাত্র শুঁকে নিলেই শরীরে স্ফূর্তি আসে। সকালের নাস্তায় কিংবা কাজের কোন এক ফাঁকে একটি কমলা লেবু বা মাল্টা খান কিংবা এক টুকরো লেবু চুষে নিন। দেখবেন দেহে সতেজতা ভর করেছে নিমিষেই।

চা/ কফি
চা কফি কে আমরা রিফ্রেশিং এনার্জি ড্রিংক হিসেবেই নিয়ে থাকি। ক্যাফেইন এর কারনে ঘুম ঘুম ভাব কিংবা শরীরের অবসাদগ্রস্থতা দূর করতে এর জুরি নেই।

94
উৎসবে না চাইলেও একটু বেশিই খাওয়া হয়ে যায়। এবং এই খাবারের মধ্যে গুরুপাক, তেল চর্বি এবং মসলা জাতীয় খাবারই বেশি থাকে। ফলে অনেক সময়েই বদহজমের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। ভীষণ অস্বস্তিকর এই বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এন্টাসিড খেয়ে ফেলেন। এতে কিছুটা উপশম হলেও সমস্যার সমাধান হয় না একেবারে। তাই ঘরোয়া কিছু চমৎকার প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে পারেন।

আদার ব্যবহার

- ১ টেবিল চামচ আদার রস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি লবণ ভালো করে মিশিয়ে পানি ছাড়া পান করে ফেলুন। দেখবেন বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে।
- আদা কুচি লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেলেও উপশম হবে সমস্যার।
- ২ কাপ পানিতে আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিয়ে ১ কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে আদা চা তৈরি করে পান করে নিন। এতে অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে হজমের সমস্যা।

দারুচিনির ব্যবহার

- ২ কাপ পরিমাণ পানিতে ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো অথবা ৪ টুকরো মাঝারি আকারের দারুচিনি ছেঁচে দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
- ১ কাপ পরিমাণে পানি কমে আসলে নামিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে গরম গরম পান করে নিন দারুচিনির চা।
- অনেক দ্রুত বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

বেকিং সোডার ব্যবহার

- পাকস্থলীর অপ্রয়োজনীয় অ্যাসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলেই বদহজম হয়ে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর বেকিং সোডা।
- আধা গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দ্রুত বদহজমের সমস্যা দূর হবে।
- আধা গ্লাসের চাইতে বেশি পরিমাণে পান করেবেন না।

সাদা ভিনেগারের ব্যবহার

- ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
- এই পানীয়টি পান করুন দিনে ৩-৪ বার। হজমের সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে।

95
খুশকি দূর করতে বাজারে পাওয়া সব শ্যাম্পুই পরীক্ষা করে দেখেছেন…কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছেন না কোনোটা ব্যবহারেই! এ নিয়ে অত চিন্তা না করে নিজের জন্য ঘরেই বানিয়ে নেন খুশকি-রোধক শ্যাম্পু! সহজে খুশকি-রোধক শ্যাম্পু বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে টাইমস নিউজ নেটওয়ার্ক (টিএনএন)।

খুশকি-রোধক শ্যাম্পুর উপাদান

বেকিং পাউডার: দুই টেবিল চামচ বা ৩০ মিলিলিটার
গরম পানি: এক কাপ
ভিনেগার: এক টেবিল চামচ বা ১৫ মিলিলিটার
পুদিনার রস: দুই টেবিল চামচ বা ৩০ মিলিলিটার

যেভাবে এই শ্যাম্পু বানাবেন

প্রয়োজনীয় সব উপাদান হাতের নাগালে রেখে প্রথমে তাজা পুদিনার পাতা ছেঁচে পরিমাণমতো রস বানিয়ে ফেলুন। এবার পরিষ্কার একটা পাত্রে বেকিং পাউডার এবং গরম পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর মেশান ভিনেগার। পুদিনা পাতার রস ভালো করে ছেঁকে ঘন ভারী অংশটা পরিমাণমতো মিশিয়ে নিন। সবকিছু মেশানো হলে কিছুক্ষণ ভালো করে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর গোসলের সময় তা ব্যবহার করুন।

ঘরে বানানো এই খুশকি-রোধক শ্যাম্পু সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে টানা মাস খানেক ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পেতে পারেন।

96
বিজ্ঞানীরা সহনীয় পর্যায়ের উষ্ণ পানিতে গোসল করাটা উত্তম বলে মত দেন। তাই বলে ঠান্ডা পানিতে (স্বাভাবিক তাপমাত্রা) গোসল করা যে ক্ষতিকর তা কিন্তু নয়। বরং ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে উপকৃত হবেন এমন ৭টি বিষয় দেওয়া হলো। আবার গরম পানিতে এই ৭টি সুবিধা যে অপকারে পরিণত হবে, তাও কিন্তু নয়।

ঠান্ডা পানিতে গোসলের সুবিধাসমূহ:

১. দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বাড়িয়ে দেয়: মানুষের ত্বক ঠাণ্ডা পানির স্পর্শ পাওয়া মাত্রই সঙ্কুচিত হয়ে আসে। কারণ এসময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়। ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হতে থাকে। আবার এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রক্ত চলাচল আরো বেড়ে যায়।

২. পুরুষের শুক্রাণু পরিপূর্ণতা পায়: অনেকেই হয়তো এ তথ্যটি জানেন না। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। কারণটি হলো, পুরুষের বীজাণু ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় দ্রুত পরিপূর্ণতা লাভ করে। আর তাদের জন্য এ পরিবেশটি দেয় ঠাণ্ডা পানি। আবার বিপরীতটাও ঘটে। অর্থাৎ, গরম পানি শুক্রাণু বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। তবে তা এর জন্মকে বাধাগ্রস্ত করে না।

৩. সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির সুফল: ঠাণ্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। কারণ ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে মানাসই হতে তখন দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য কিছু কার্বহাইড্রেট পোড়াতে হয়। গোটা ঘটনা দেহের সহজাত রাসায়নিক প্রক্রিয়া। আর এই রাসায়নিক প্রক্রিয়াটিকে সচল রাখা ভাল।

৪. প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়াতে চাইলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। ঠাণ্ডা ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদনের সময় অধিক পরিমাণে শ্বেত কণিকার জন্ম দেয়। আর রক্তের এ কণিকা হলো আপনার দেহের সেনাবাহিনী। যেকোনো রোগের আক্রমণ ঠেকাতে এরাই যুদ্ধ করে।

৫. পেশীর ক্ষত নিরাময় করে: পরিশ্রমের সময় পেশীর কাজ হয়। তখন এর সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আবার পূর্বের সুস্থতা ফিরিয়ে দিতে বিশ্রামের দরকার। ঠাণ্ডা পানি পরিশ্রমের পর পেশীকে আরাম দেয়।

৬. দেহের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনে: ঠাণ্ডা পানি মুহুর্তেই দেহে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয় তারা উপকার পেতে পারেন।

৭. অন্যান্য উপকারিতা: পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে, চুলকানি দূর হয়, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং কিছু স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।

97
শহুরে জীবনে দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করার কারণে ও দৈহিক পরিশ্রম কম করার কারণে পেটে মেদ জমে যাওয়া খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। কিন্তু যত সহজে পেটে মেদ জমে, এটাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াটা যেন ততটাই কঠিন। কিন্তু ছোট্ট কিছু কৌশল জানা থাকলে আর প্রতিদিনকার কিছু সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি নিজেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার পেটের এই বাড়িতি মেদ ভুঁড়ি! জিমে গিয়ে টাকা নষ্ট করার কোন দরকারই নেই।

কীভাবে? জেনে নিন ৮ টি সহজ উপায়। ভুঁড়ি কমাবার এরচাইতে সহজ উপায় আর হতেই পারে না!

১। রোজ সকালে এক গ্লাস গরম লেবুর শরবতঃ
হ্যাঁ! কিন্তু একেবারেই চিনি ছাড়া। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আর রাতে ঘুমুতে যাবার ঠিক আগে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়!

২। সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাতঃ
সাদা ভাতের বদলে বেছে নিতে পারেন লাল চালের ভাত, ব্রাউন ব্রেড, আটার রুটি। এতে আপনার দেহে ক্যালোরি অতিরিক্ত ঢুকবে না। পেটে জমা চর্বি কমে আসবে ধীরে ধীরে।

৩। চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই নাঃ
মিষ্টি, মিষতিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং তেলে ভাজা স্ন্যাক্স থেক ১০০ হাত দূরে থাকুন। কেননা এ জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত পেট ও উরুতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এগুলো খাওয়ার চেয়ে ফল খান।

৪। প্রচুর পানি পান করুনঃ
প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করার ফলে এটা আপনার দেহের মেটাবলিজম বাড়ায় ও রক্তের ক্ষতিকর উপাদান প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। মেটাবলিজম বাড়ার ফলে দেহে চর্বি জমতে পারে না ও বাড়তি চর্বি ঝরে যায়। চেষ্টা করুন বরফ ঠান্ডা পানি না পান করে, খানিকটা উষ্ণ পানি পান করার।

৫। রোজ তিন কোয়া রসুনঃ
রোজ সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পর পরই পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরো বেশী সহজ করবে এটি।

৬। মসলা খানঃ
রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু মশলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতন? রান্নার ব্যবহার করুন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

৭। প্রচুর ফল ও সবজিঃ
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই।

৮। মাংস থেকে দূরে থাকুনঃ
বিশেষত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত গরু ও খাসির মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিতে পারেন কম তেলে রান্না করা মাছ।

ব্যায়াম করার সময় নেই তো হয়েছে, তাই বলে কি ভুঁড়ি কমবে না? আজ থেকেই মেনে চলুন উপরের নিয়মগুলো আর ফিরে পান আপনার মেদহীন সুন্দর স্বাস্থ্য। সুস্থ থাকুন।

98
যতো বয়স বাড়তে থাকে ততোই মানুষের মনে হতে থাকে নিজের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। বিশেষ করে বয়স যখন চল্লিশের কোঠা পার হয় তখন অনেকেই নিজেকে আয়নায় দেখে ভেবে থাকেন বছর দশেক আগেকার কথা। নিজের কল্পনায় নিজের ফেলে আসা দিনগুলোকে দেখতে থাকেন। কিন্তু কেমন হয় যদি চল্লিশের কোঠা পার হয়েও নিজের মধ্যে সেই ত্রিশের লুকটা ধরে রাখতে পারেন? অবশ্যই ভালো। ভাবছেন কীভাবে করবেন এই অসম্ভবকে সম্ভব? তাহলে মেনে চলুন এই ৫ টি ধাপ।

লো ফ্যাট ডায়েটের কথা ভুলে যান
নিজের শরীরটাকে ফিট রাখতে অনেকেই বেশ অল্প বয়স থেকেই সব কিছুতে লো ফ্যাট খুঁজে থাকেন। একেবারেই ফ্যাটের ধারে কাছে যেতে চান না। কিন্তু আপনি যদি চল্লিশের পরও নিজের চেহারায় ত্রিশের লুক ধরে রাখতে চান তবে এই লো ফ্যাট ডায়েটের কথা একেবারেই ভুলে যেতে হবে। কিছুটা ফ্যাট আমাদের দেহের ক্ষতি নয় বরং উপকারেই আসে। ফ্যাট আমাদের দেহের পাওয়ার হরমোনগুলোকে রেগুলেট করে। এবং আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

একই গতিতে শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন
নিয়মিত ব্যায়াম দেহকে ফিট রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন বছরের পর বছরে গৎবাঁধা নিয়মে শারীরিক ব্যায়াম করেই যেতে থাকেন তাহলে তা কিন্তু আপনার দেহ ও ত্বকের ওপর বেশ বড় প্রভাব ফেলবে। মাঝে মাঝে দেহকে কিছুদিনের বিশ্রাম দেয়া এবং বয়সের সাথে সাথে ব্যায়ামের নিয়মাবলী পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি যেমনটি ৩০ বছর বয়সে করেছেন তা আপনি ৪০ পেরিয়ে করতে পারবেন না। এতে দেহে চাপ পড়বে।

‘বয়স হয়ে গিয়েছে’ কথাটি বলবেন না
৪০ পার হতে না হতেই যদি আপনি নিজেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভাবতে থাকেন তাহলে আপনার দেহ এবং ত্বকে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। বয়স হয়েছে বলে আপনি ত্বকের যত্ন করবেন না, আগের মতো পরিশ্রম ও ব্যায়াম করবেন না। এই ধরণের কাজ থেকে দূরে থাকুন। সবকিছুর দোষ নিজের বয়সের কাঁধে চাপিয়ে দেবেন না। মনের ভেতর ইচ্ছেশক্তি জাগিয়ে তুলুন। দেহ ও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করুন।

পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করুন
দেহে পানিশূন্যতা বাসা বাধতে দেবেন না। পানি আপনার দেহ, ত্বক ও দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য বিশেষভাবে জরুরী। পানিশূন্যতার ফলে ত্বকের নিষ্প্রাণ ভাব চলে আসে, কিডনির ক্ষতি হয়, দেহে ভর করে দুর্বলতা এবং সেই সাথে মনে চলে আসে বার্ধক্য। নিয়মতি দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান দেহকে রাখে টক্সিনমুক্ত, সুস্থ ও সবল এবং ধরে রাখে তারুণ্য।

ব্যায়াম করা কমিয়ে ফেলুন
কথাটি শুনে হয়তো অনেকের কাছে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু সত্যিকার অর্থেই অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে আমাদের দেহের ওপরে। শারীরিক ব্যায়াম আমাদের ফিট রাখে ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের কারণে দেহের মাংপেশি ও হাড়ের দুর্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং ত্বকের ওপরেও পড়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তাই শারীরিক ব্যায়াম কম করে সঠিক নিয়মে করুন।

99
ধুলো ময়লা, আবহাওয়া, রোদ এবং সঠিক যত্নের অভাবে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। চুলের ফলিকল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। যার ফলে নতুন করে চুল গজানোর হার একেবারেই কমে যায়। এবং চুল পড়ার হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এসকল কারণে চুল হয়ে যায় পাতলা এবং একেবারে নিষ্প্রাণ।

কিন্তু ঘন, কালো ও লম্বা চুলের সৌন্দর্য সকলেরই কাম্য। এতোসব যন্ত্রণার পরও সামান্য যত্নে চুলের ঘনত্ব এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি সম্ভব। সপ্তাহে মাত্র ২/৩ দিন খানিকটা সময় বের করে নিয়ে দুটো হেয়ার মাস্কের ব্যবহারেই পেতে পারেন ঘন, কালো ও উজ্জ্বল চুল।

সরিষার তেল ও মেহেদী পাতা

সাধারণত চুলে সরিষার তেল একেবারেই ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু সরিষার তেল চুলের গোঁড়া মজবুত করে তুলতে বিশেষ ভাবে কার্যকর একটি উপাদান, যা চুল পড়া রোধ করে দেবে একেবারে। এর পাশাপাশি মেহেদী পাতা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ফলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় বেশ কয়েকগুন।

পদ্ধতিঃ
২০০ গ্রাম সরিষার তেল একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। এবার এতে ১ কাপ পরিমাণ মেহেদী তাজা পাতা দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। যখন দেখবেন মেহেদী পাতা পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে তখন তা চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে নিন। একটি এয়ার টাইট বোতলে এই তেল সংরক্ষণ করুন। এই তেল সপ্তাহে ৩ দিন চুলে লাগান। সব চাইতে ভালো ফল পাবেন সারারাত চুলে তেল লাগিয়ে রেখে সকালে সাধারণভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেললে।

ডিম ও অলিভ অয়েল

চুলের ঘনত্ব ব্রদ্ধির জন্য ডিম ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক প্রাচীন কাল থেকেই। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুল পরা রোধ করে। এছাড়া ডিমে আরও রয়েছে সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়োডিন যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।

পদ্ধতিঃ
একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল(জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন( চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

100
ত্বকের যত্নে সবচাইতে বেশী প্রয়োজন ত্বক পরিষ্কার রাখা। তবে কেবল ফেসওয়াশ দিয়ে ধুলে কিংবা ফেসপ্যাক মাখলেই হবে না। যদি ত্বক আক্ষরিক অর্থেই পরিষ্কার রাখতে চান, তাহলে প্রয়োজন ডিপ ক্লিনজিং বা ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করা। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই ডিপ ক্লিনজিং করার উপায়। বরং ভুল ভাবে ডিপ ক্লিনজিং করতে গিয়ে উল্টো ত্বকের ক্ষতি করে বসেন ও ব্রণের ম্পত সমস্যা বাড়িয়ে ফেলেন। আসুন, জেনে নেই ত্বক ডিপ ক্লিন করার বিস্তারিত পদ্ধতি।

যেভাবে করবেন ডিপ ক্লিনজিং

দিনে অন্তত একবার এভাবে ত্বক পরিষ্কার করবেন। সবচাইতে ভালো হয় বাইরে থেকে এসে করতে পারলে। বাজারে অনেক রকম কিনজিং মিল্ক বা লোশন পাওয়া যায়। এর মধ্যে নির্ভরযোগ্য উৎপাদকের জিনিসটিই বেছে নেবেন ও ব্যবহারের আগে প্রস্তুতকারকের তরফে দেয়া নির্দেশাবলি ভালোভাবে পড়ে নেবেন।

প্রথমে মুখটা আলতো করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে আলতো করেই মুছে নিন। একটু ভেজা ভেজা থাকবে। এবার অল্প পরিমাণ লোশন বা ক্লিনজিং মিল্ক হাতে ঢেলে নিন। এবার দু’হাতে মেখে নিয়ে মুখমণ্ডল, ঘাড়, গলার ত্বকে মিল্ক বা লোশন লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন হালকাভাবে।

ম্যাসাজ করার সময় আঙুল চালাবেন নিচ থেকে ওপরে। কপাল ম্যাসাজ করবেন দু’হাতের মাঝের ছয় আঙুলের ডগার সাহায্যে নিচ থেকে ওপর টানে। দু’চোখের চার পাশে ম্যাসাজ করবেন বুড়ো আঙুলের সাহায্যে অর্ধচক্রাকারে। দু’গালে ম্যাসাজ করবেন চিবুক থেকে কানের পাশ পর্যন্ত নিচ থেকে উপর টানে। মাথা পেছনে হেলিয়ে টান টান গলায় ম্যাসাজ করবেন দু’হাতের সাহায্যে নিচ থেকে উপরে লম্বা টানে। নাক ম্যাসাজ করবেন গোড়া থেকে ডগার দিকে ছোট টানে। কিন্তু ঘাড় ম্যাসাজ করবেন উপর থেকে নিচ টানে।

দু’মিনিট ম্যাসাজ করার পর মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ের ক্লিনজিং মিল্ক বা লোশন টিস্যু/তুলার সাহায্যে তুলে ফেলবেন। তারপর আবার ভেজা তুলা বোলাবেন মুখে। এরপর আপনার নিয়মিত ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন মুখ। মনে রাখবেন, ফেসওয়াশ কখনই ৩০/৪০ সেকেন্ডের বেশী ত্বকে রাখা ঠিক নয়।

সতর্কতা

-দীর্ঘক্ষণ ধরে বা বেশি পরিমাণে ত্বকে কিনজিং করবেন না। কারণ বেশি ধোয়া-মোছার কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। শুধু ত্বকের ধুলো-ময়লা, মেকআপ ও সানস্ক্রিন তোলার জন্য যতখানি পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন ততখানিই করবেন।
-যাদের ত্বক শুষ্ক তারা পানি ব্যবহার না করে শুধু কোনো সফট বা ন্যাচারাল কোল্ডক্রিম ম্যাসাজ করে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন। বিশেষ করে শীতের দিনে।
-ত্বক পরিষ্কার করার জন্য উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে পোর বা লোমকূপগুলো খুলে যাবে এবং ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার হবে।
-কিনজিং করার সময় চোখের মেকআপ পুরোপুরি তোলা হলো কি না সেদিকে নজর দিন। চোখের মেকআপ ভালোভাবে তুলে ফেলুন; কারণ চোখের চার পাশের ত্বক খুবই নরম হয়। এ জন্য তুলায় সামান্য অলিভঅয়েল নিয়ে চোখ মুছে নিতে পারেন প্রথমেই।
-ক্লিনজিং করার সময় ত্বক বেশি জোরে রগড়াবেন না, এতে ত্বকে ভাঁজ পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

101
বর্তমান সময়ে সৌন্দর্য ঠিক রাখার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো চুলপরা। অনেকেরই এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। প্রতিদিন গড়ে ১০০টা করে চুল পরা শরীরের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া। কিন্ত যদি এর বেশি চুল পরে তাহলে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। এটি রোধ করার জন্য অনেকেই অনেক পন্থা অবলম্বন করে। তবে আপনি যদি চুল ঝরার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চান তাহলে মানতে হবে পাঁচটি কথা। দেখা যাক কি সেই পাঁচ কথা।

প্রথমত, খেতে হবে সঠিক খাবার:
চুলপরা রোধে প্রথম ধাপ হলো সঠিক খাবার। আপনার শরীর যদি সঠিক পুষ্টি না পায় তাহলে আপনার চুলও দূর্বল হয়ে যাবে, যার ফল হলে চুলঝরে যাওয়া। আপনার খাবারে থাকতে হবে প্রচুর ভিটামিন-ই এবং আয়রন যা আপনি পেতে পারেন সয়াবিন থেকে। বর্তমানে বাজারে সয়া নাগেটস্‌ খুবই জনপ্রিয়। আয়রন মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ভিটামিন-ই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।

ভেজিটেবল প্রোটিনও চুলের জন্য খুবই দরকারী, করণ এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা চুলপরা রোধে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এর জন্য খেতে হবে মাছ এবং প্রচুর শাক-সব্জি। ভিটামিন সি একইভাবে কাজ করে যা পাবেন লেবু এবং কমলা থেকে। ছোলার ডালে আছে জিংক এবং ভিটামিন বি৬। এই দুটোর অভাবে চুল খুশকি দ্বারা আক্রান্ত হয়, যা চুল পরার অন্যতম কারণ।

দ্বিতীয়ত, চুলে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন:

প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট চুলের ম্যাসাজ মাথার ত্বকে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে। যার ফলে চুলপরা রোধ এবং নতুন করে চুল গজানোর সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। কোকোনাট কিংবা এলমন্ড অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুলপরা রোধ হওয়ার সাথে সাথে খুশকি দূর হবে এবং চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল ঝলমলে হয়ে উঠবে।

102

রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি সৌন্দর্য চর্চায়ও নারিকেলের দুধ বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড, মিনারেলস এবং নিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ এই নারিকেল দুধ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য রক্ষায়ও সমানভাবে কার্যকর। তাই বিভিন্ন স্কিন ও হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের উপাদানে নারিকেলের দুধের ব্যবহার বেশ লক্ষণীয়। নারিকেলের দুধ বাসায় বসে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন অথবা বিভিন্ন সুপার শপে কিনতে পাবেন, দাম ১৫০-৪৫০ টাকার মধ্যে। তবে ঘরে বসে সহজেই এটি বানানোর একটি পদ্ধতি আপনাদের জন্য দেয়া হল।

নারিকেলের দুধ বানানোর পদ্ধতিঃ

একটি হিট প্রুফ বাটিতে এক কাপ নারিকেল কুঁচি এবং দেড় কাপ গরম পানি নিয়ে চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ মিশিয়ে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন এবং ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে দুধ আলাদা করে নিন। এবার এটি ফ্রিজে রেখে দিন।

ত্বক ও চুলের যত্নেঃ

- নারিকেলের দুধ প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। শ্যাম্পুর সাথে সমপরিমাণ নারিকেলের দুধ মিশিয়ে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের ময়লা দূর হওয়ার সাথে সাথে চুল নরম এবং সিল্কি হবে। এছাড়াও শ্যাম্পু করার পর নারিকেলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে চুল ভালো মতো ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের ফ্রিজি ভাব দূর করে যার ফলে চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুল পড়াও কমে।

- নারিকেলের দুধ স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলে আগা পর্যন্ত পর্যাপ্ত ময়েশ্চার সরবরাহ করে যার ফলে চুল নরম ও সুন্দর থাকে। ফ্রেশ নারিকেলের দুধ নিয়ে স্ক্যাল্পে ৪-৫ মিনিট হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুলের আগা ফাটা এবং রুক্ষতা দূর করতে বেশ কার্যকর। 

- হাত পায়ের শুষ্কতা দূর করে ত্বক নরম ও মসৃণ করতে গোসলের পানিতে এক কাপ গোলাপ ফুলের পাপড়ি, আধা কাপ গোলাপ জল এবং এক কাপ নারিকেলের দুধ মিশিয়ে সেই পানি গোসলের সময় ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ময়েশ্চার ঠিক থাকবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে। এছাড়াও যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক তারা শুধু নারিকেলের দুধ কিছুক্ষণ মুখে ম্যাসাজ করে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিমিষেই ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে মসৃণ ও সুন্দর হবে।   

- ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে নারিকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নারিকেলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে দাগের মধ্যে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও বাইরে থেকে এসে রোদে পোড়া জায়গায় নারিকেলের দুধ ম্যাসাজ করতে পারেন। এর ফলে দাগ দূর হয়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।   

- অকালেই চুল পাকা নিয়ে যারা বিপাকে রয়েছেন তারা এই প্যাকটি লাগিয়ে দেখতে পারেন। নারিকেল তেল, আমলা পেস্ট এবং নারিকেলের দুধ সমান পরিমাণে নিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে এটি চুলের গোড়ায় ভালো মতো ম্যাসাজ করে সারা চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অকালে চুল পাকা রোধ করে এবং চুল ঠিক মতো বাড়তে সাহায্য করে।

- ত্বকের বিভিন্ন রোগ যেমন একজিমা, ডার্মাটাটাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে নারিকেল দুধ খুব কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং শুষ্ক ত্বকের ময়েশ্চার বজায় রাখে।   

- ত্বকের ইলাস্টিসিটি ইম্প্রুভ করতে এবং বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা দূর করতে নারিকেলের দুধ ব্যবহার করুন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কপার। এই নিউট্রিয়েন্টস গুলো শরীর ও ত্বকের বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ধীর করে। যার ফলে নারিকেলের দুধ খাবারে বা ত্বকের যত্নে ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের রিংকেল, দাগ এবং ফাইন লাইন্স প্রতিরোধ করা সম্ভব।

- নারিকেলের দুধ খুব ভালো মেকাপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে। ১ চামচ নারিকেলের দুধের সাথে ২ চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে চোখ এবং মুখে হালকা ম্যাসাজ করে মেকাপ তুলুন। এরপর ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

103


সারাদিন আমাদের নানা রকম কাজ করতে হয়। বিশেষত যারা গৃহিণী, তাদেরতো কাজের না আছে শেষ, না আছে রকম। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘর পরিষ্কার, ঘর গোছানো কতকিছুই না তাদের করতে হয়। তাদের এসব কাজকেই সহজ করবার জন্য কিছু ছোট ছো্ট টিপস নিয়ে এই আয়োজন।

১। আমরা সময় বাঁচাতে ডাল সাধারণত প্রেসার কুকারে রান্না করি। যদি প্রেসার কুকার না থাকে তবে কি ডাল দ্রুত রান্না করা যাবে না? এক্ষেত্রে ডাল সিদ্ধ করার সময় এতে কিছু চাল দিয়ে দিন। হয়ত প্রেসার কুকারের মত দ্রুত সিদ্ধ হবে না, তবুও স্বাভাবিকের চেয়ে কম সময় নেবে।

২। চিনাবাদাম কাঁচ বা প্লাসটিকের বয়ামে রাখলে অনেক সময় মিইয়ে যায়। এক্ষেত্রে বয়ামে কয়েকটা আস্ত গোলমরিচ রেখে দিলে বাদাম অনেকদিন পর্যন্ত নরম হবে না।

৩। তাড়াতাড়ি তেঁতুলের পাল্প তৈরি করতে চান? তাহলে তেঁতুল কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।

৪। রসুন ছিলতে বিরক্ত লাগে? আর লাগবে না। রসুনের কোয়াগুলো আধাঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার দেখুন ছিলকা কত দ্রুত খুলে আসছে।

৫। আটা বা ময়দা ময়ান দেয়ার সময় কিছুটা গরম পানি দিয়ে ময়ান দেবার চেষ্টা করবেন। এভাবে ময়ান দিলে সময় কম লাগে। সেই সাথে রুটিও অনেক বেশি নরম হয়।

৬। গ্রেটারে চিজ গ্রেট করার সময় বেশ কিছুটা চিজ গ্রেটারে আটকে থাকে। এই চিজগুলো ব্যবহার করা যায় না। পরবর্তীতে গ্রেটারটিও পরিষ্কার করা ঝামেলার কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে চিজ গ্রেট করার আগে গ্রেটারে একটু তেল মাখিয়ে নিন। এবার যতই গ্রেট করুন, চিজ আর গ্রেটারে আটকাবে না।

৭। আঁশ ছাড়া মাছ যেমন শিং, মাগুর, বাইন এসব মাছ ভাজার সময় ফাটতে শুরু করে। এক্ষেত্রে মাছ হলুদ, নুন দিয়ে মাখার সময় এতে সামান্য তেলও দিতে হবে। সেই সাথে মাছ ভাজার তেল গরম হলে তাতে এক চিমটি হলুদগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে হবে।

৮। করলা খুবই উপকারী একটা খাবার। কিন্তু এর তেঁতো স্বাদের জন্য কেউ সহজে এটা খেতে চায় না। সেক্ষত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন। করলা রান্না করার আগে পানিতে একটু লবণ ও লেবুর রস দিয়ে করলা কিছুটা সিদ্ধ করে নিয়ে পানিটা ছেকে নিন। এতে তেঁতোভাব অনেকটাই কমে যাবে।

৯। রান্নার কড়াইতে পোড়া দাগ একটা অতি সাধারণ এবং বিরক্তিকর সমস্যা। সাধের নতুন কড়াইতে যদি রান্নার সময় পোড়া দাগ ধরে যায় তবে কার ভালো লাগে বলুন? এই সমস্যা দূর করতে আপনি একটা কাজ করতে পারেন। যখনি রান্না করতে যাবেন, শুরুতেই কড়াইতে তেল ঢেলে দেবেন না। আগে শুকনা কড়াই চুলায় একটু গরম করে নিন। তারপর এতে তেল দিন। এরকম করলে কড়াইতে সহজে পোড়ার দাগ ধরে না।

১০। বাঙ্গালি রান্নায় সরষের ব্যবহার অনেক বেশি। কিন্তু সরষে ব্যবহারের একটা বড় সমস্যা হল এটা বাটতে গেলে তেঁতো হয়ে যায়। তাই সরষে বাটার সময় এর সাথে সামান্য লবণ ও একটি কাঁচামরিচ দিয়ে বাটুন। কোনো তেঁতোভাব থাকবে না।

104

তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘরোয়া প্যাক

|আফরোজা আলী|


বর্তমান আবহাওয়ায় গরমের কারণে তৈলাক্ত ত্বকে নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়। গরমে ঘেমে তৈলাক্ত ত্বক একদম মলিন হয়ে পড়ে।

তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিচের জিনিস গুলো জোগাড় করে প্যাক বানিয়ে নিয়ে ঘরোয়াভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

১। ২ টেবিল চামচ লেবুর রস

২। ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন

৩। ৩ টেবিল চামচ গোলাপ জল

-এবার এই উপাদান গুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিন। এটা বেশ ঘন একটা প্যাক তৈরি হবে।

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার ত্বকের রঙ উজ্জল করার একটি অনন্য ঘরোয়া প্যাক।

105
আমরা সবাই মশুরের ডালকে ভাল করে চিনি। কারণ বাঙালীর খাবার টেবিলে ডালভাত না থাকলে রসনা বোধহয় অপূর্ণই রয়ে যায়।  সবাই প্রতিদিন হয়তো ডাল খেয়ে থাকি। কিন্তু এই মশুরের ডাল যে ত্বকের জন্য কত উপকারি এটা আমরা সবাই হয়তো জানি না।

ত্বকে যত্নে যা যা ভূমিকা মশুরের ডালের—

১। ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

২। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।

৩। ত্বক অর্থাৎ স্কিনকে টান টান রাখে।

৪। ত্বকের বলিরেখা দূর করে।

৫। রঙ ফর্সা করে।

৬। ত্বকের লুকানো ময়লা পরিষ্কার করে।

উপরোক্ত সকল কিছু আপনি ত্বকের যত্নে মশুরের ডালে পেয়ে থাকবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কিভাবে এ ডাল আপনি ত্বকে ব্যবহার করবেন।

মশুরের ডালের প্যাক তৈরির নিয়ম—

মশুরের ডালকে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ডালের পেষ্ট তৈরী করুন। এরমধ্যে ২ চামচ দুধ দিন। এরপর মিক্স করে ভাল করে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার আপনি মশুরের ডালের প্যাকটিকে আপনার ত্বকে প্রতিদিন ১ বার করে ব্যবহার করুন।

খুব তাড়াতাড়িই আপনি এর সুফল দেখতে পারবেন।

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8 9 ... 20