Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Lazminur Alam

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 22
61
Heritage/Culture / হলদেলেজি ফুলঝুরি
« on: December 07, 2016, 11:29:24 AM »
ছোট্ট-সুন্দর পাখিটির নাম হলদেলেজি ফুলঝুরি। পেটের তলা থেকে শুরু করে লেজের তলাটা এদের টকটকে হলুদ। ঋতুভেদে এই হলুদের সঙ্গে হালকা কমলা রঙের আভা দেখা যায়। গলা, বুক ও শরীরের দুপাশজুড়ে লম্বালম্বি রেখা টানা; রং কালচে-বাদামি। মাথা ও পিঠ জলপাই-বাদামি, ডানা ও খাটো লেজের উপরিভাগ কালচে-বাদামি। আগার দিকটা সামান্য বাঁকানো ছোট ঠোঁটটির রং কালচে। পা ও আঙুল কালচে-সবুজ।
এরা মূলত টিলা ও পাহাড়ি বনের পাখি। সমতলের জাতভাইদের (অন্যান্য ফুলঝুরি) মতোই স্বভাব-চরিত্র। খাদ্যসহ বাসার ধরন-গড়ন একই রকম। বসন্ত-বর্ষায় গাছের ডালে থলের মতো বাসা বানায় এরা নরম তন্তুজাতীয় উপকরণ দিয়ে। যেমন মাকড়সার জাল-মস-ঘাস-তুলা ইত্যাদি। ডিম পাড়ে দু-তিনটি।
মূল খাদ্য এদের নানান রকম ফল। পাকা আতা, বিলেতি গাব, সাগরকলা ইত্যাদি বড় ফল খেতে খেতে এরা ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঠোকরায়, ফল নড়ে, ব্যাপারটি ভৌতিক বলেই মনে হয় তখন।
উড়লেই ডাকে, বাসা বাঁধার সময়ও ডাকে। কণ্ঠস্বর ধাতব ‘ডিজিপ ডিজিপ’ ধরনের। এরা এবং এদের জাতভাই অন্যান্য ফুলঝুরি হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পাখি। এদের খাদ্যতালিকায় আরও আছে পোকামাকড়সহ বিভিন্ন ফুলের মধুরেণু। এরা দুলে দুলে ওড়ে।
ইংরেজি নাম Yellow-vented Flowerpecker। বৈজ্ঞানিক নাম Dicaeum chrysorrheum। দৈর্ঘ্য ৯-১০ সেন্টিমিটার।

62
Through your post I want share my opinion that a rules needs to circulate that the writings of any prescription should clear so that the patient can understand. Why they will write in obscure ? As  the patient pay for the prescription.

63
Heritage/Culture / খেলারাম দাতার মন্দির
« on: December 05, 2016, 06:21:17 PM »
ভবনটি খেলারাম দাতার বাড়ি ও বিগ্রহ মন্দির। সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত একটি পুরাকীর্তি।
গুলিস্তান থেকে বাসে বড়জোর দেড় ঘণ্টার পথ ঢাকার নবাবগঞ্জ। উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে দোহারের পথে যেতে একটু এগোলেই কলাকোপা ইউনিয়ন। কলাকোপা থেকে ছোট্ট একটি রাস্তা চলে গেছে বান্দুরার দিকে। সেই পথেই পড়বে খেলারাম দাতার মন্দির।

খেলারাম দাতা সম্পর্কে এলাকায় নানা কথা প্রচলিত। কেউ বলেন, তিনি ছিলেন জমিদার। আবার কারও মতে, তিনি ভয়ানক দস্যু ছিলেন। তবে খেলারামের দানের হাত ছিল বড়। তিনি ধনীদের কাছ থেকে ডাকাতি করে টাকাপয়সা, মালামাল গরিবদের বিলিয়ে দিতেন। শেষ জীবনে তিনি অতিশয় ধার্মিক ব্যক্তিতে পরিণত হন। কথিত আছে, খেলারাম দাতার বাড়ি থেকে ইছামতীর পাড় পর্যন্ত সুড়ঙ্গ পথ ছিল। নদীপথে ধনসম্পদ এনে এ সুড়ঙ্গ পথেই বাড়ি নিয়ে আসতেন তিনি।
নামটি নিয়েও আছে মতভেদ। কেউ বলেন, তাঁর নাম ছিল ‘খেলারাম দত্ত’। কেউ বলেন ‘খেলারাম দাদা’। আর স্থানীয় ব্যক্তিরা বলে থাকেন ‘খেলারাম দাতা’।

বাড়ি ও মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের তরফে একজন লোক আছেন। যাঁর কাজ পর্যটকেরা এলে খুলে দেওয়া এবং দেখানো। তবে অনেকেরই অভিযোগ, তাঁকে দায়িত্ব পালনে ঠিকমতো পাওয়া যায় না। তাই বাড়ির খোলা ফটক দিয়ে যে যখন খুশি ভেতরে ঢোকে। বিড়ি-সিগারেটের শেষ অংশ, পরিত্যক্ত পানির বোতল পড়ে থাকে যেখানে-সেখানে।

বর্তমানে ভবনের শুধু ওপরের দোতলা টিকে রয়েছে। খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ভেতরে গিয়ে কারুকার্যমণ্ডিত মন্দিরটির সৌন্দর্য দৃশ্যমান হয়। ভবনের ভারী দেয়াল ও পিলার দেখে নির্মাণকৌশল সম্পর্কে ধারণা মেলে। দোতলার চারপাশে ও চার কোণে বাংলা ঘরের আকৃতিতে এক কক্ষবিশিষ্ট আটটি ঘর। মাঝে মঠ আকৃতির আরেকটা ঘর।

 মূল মন্দিরের রংটি ছিল লালচে। মন্দিরের গায়ে সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে, বছর খানেক আগে। কিছু কিছু জায়গায় দিতে হয়েছে আস্তর।

মন্দির ভবনটির নকশা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ঔপনিবেশিক সময়ে নির্মিত ভবনগুলোর নির্মাণকৌশলে মোগল রীতির প্রতিফলন রয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউরোপীয় ধারা। মোগল যুগে চুন-সুরকির ব্যবহার ছিল। এর সঙ্গে এসেছে বিম-বর্গা। তাঁর মতে, খেলারাম দাতার মন্দিরটি উনিশ শতকের শেষ দিকে অথবা বিশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত।

এম এ করিমের লেখা ইছামতির বাঁকে বইতে খেলারাম দাতার মন্দির নিয়ে যৎসামান্য বর্ণনা রয়েছে।

এটি একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। এমনকি এটি যে একটি ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’, সেই ঘোষণাটিও কোথাও নেই।

64
নলখাগড়ার নাড়ার ওপর চমৎকার ভঙ্গিতে বসে ছিল কালো মাথা ও কমলা বুকের সুদর্শন পাখিটি। রোদের আলোয় ওর কালো মাথাটি চকচক করছিল। পাখিটাকে কিছুটা ছটফটে স্বভাবের মনে হলো। হঠাৎই লাফ দিয়ে চরের বালুমাটিতে নেমে পড়ল। পোকা মুখে ফিরে এল নলখাগড়ার নাড়ার ওপর। আয়েশ করে খেল পোকাটি। কিছুক্ষণ পর আবারও পোকা ধরতে নিচে নামল। ওর ঠিক দু-তিন ফুট পাশেই অন্য একটি নলখাগড়ার নাড়ার ওপর একই ধরনের আরেকটি পাখি এসে বসল। তবে ওর দেহের রং বেশ মলিন, মাথা-বুকে নেই রঙের চাকচিক্য। তবে সে-ও একই কায়দায় পোকা শিকার করে ক্ষুধা মেটাতে লাগল।
এরা হলো বিরল সাদালেজি শিলাফিদ্দা (White-tailed Stonechat or White-tailed Bushchat)। সুদর্শন পাখিটি পুরুষ আর মলিন পাখিটি স্ত্রী। Muscicapidae গোত্রের এই পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Printicola leucura.
সাদালেজি শিলাফিদ্দা দৈর্ঘ্যে মাত্র ১২-১৪ সেন্টিমিটার। প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-পুরুষের পালকের রঙে ভিন্নতা রয়েছে। পুরুষের মাথা, মুখ ও গলা কালো। পিঠ ও দেহের ওপরটা কালচে-বাদামি। ঘাড়ের সুস্পষ্ট সাদা পট্টি গলার পাশ পর্যন্ত চলে গেছে। বুক গাঢ় কমলা ও পেট ফিকে সাদাটে। ডানার পট্টি, কোমর ও লেজের মাঝের অংশ সাদা। স্ত্রীর মাথা, ঘাড় ও মুখণ্ডল ধূসর-বাদামি। পিঠে ধূসর-বাদামি লম্বা দাগ। গলা সাদা। বুক-পেট-দেহতল ফিকে ও তাতে পীতাভ আভা। ডানার পট্টি সাদা, পালকের ফিকে প্রান্তদেশসহ লেজ ফিকে বাদামি। চোখ, ঠোঁট, পা, পায়ের পাতা ও নখ কালো। লেজের সাদা অংশ ছাড়া পুরুষটি দেখতে অনেকটা পুরুষ পাতি শিলাফিদ্দার (Common Stonechat) মতো, তবে মাথা ও পিঠ বেশি কালো। অন্যদিকে স্ত্রীটিও অনেকটা স্ত্রী পাতি শিলাফিদ্দার মতো তবে দেহের ওপরটা বেশি ধূসর ও নিচটায় কমলার আভা রয়েছে।
সাদালেজি শিলাফিদ্দা বাংলাদেশের বিরল আবাসিক পাখি। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, নেপাল, ভারত ও মিয়ানমারে দেখা মেলে। এ দেশে এরা মূলত পদ্মা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করে। চরাঞ্চলের বড় বড় ঘাস, নলখাগড়া ও ঝোপঝাড়ে বসে থাকে। এরা ঘাস বা নলখাগড়ার ওপর থেকে মাটিতে নেমে কীটপতঙ্গ ধরে খায়।
মার্চ থেকে মে প্রজননকাল। পানির ধারে উঁচু ঘাস, নলখাগড়া বা ঝোপঝাড়ে শেওলা, শিকড়, লোম ও পালক দিয়ে বাটির মতো বাসা বানায়। স্ত্রী তাতে তিনটি ধূসরাভ-নীল ডিম পাড়ে। ডিম ফোটা ও প্রজননসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য খুব একটা জানা যায় না।

65
History / কীভাবে এল লাল গালিচা
« on: November 12, 2016, 02:15:58 PM »
রেড কার্পেট বা লালগালিচা, নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানানোর কোনো দৃশ্য কিংবা অস্কার-গ্র্যামি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের ছবি। শুরু থেকেই অবশ্য এই লালগালিচা সম্রাট কিংবা উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পায়ের ধুলোকেই সঙ্গী করে চলেছে।
প্রাচীন গ্রিসের ইস্কিলুসের ট্র্যাজেডিতে এই লালগালিচার উল্লেখ পাওয়া যায়। যখন গ্রিসের সম্রাট আগামেমনন ট্রোজান যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে দেশে ফিরে আসেন, তখন সম্রাজ্ঞীর নির্দেশে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালগালিচা বিছানো হয়েছিল। অর্থাৎ খ্রিষ্টের জন্মেরও ৫০০ বছর আগে রাজকীয় সংবর্ধনায় লালগালিচা ব্যবহৃত হতো বলে ধারণা পাওয়া যায়।
মধ্যযুগের ইউরোপে লাল রংকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হতো। তাই রেনেসাঁ যুগের শিল্পকর্মে সাধু, সম্রাট কিংবা অভিজাত ব্যক্তিদের পায়ের নিচে লালগালিচার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
আধুনিক যুগে, ১৮২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেমস মনরোর সাউথ ক্যারোলাইনায় আগমনকে স্বাগত জানাতে সেখানে লালগালিচা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা যায় এবং এরপর থেকেই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শনে লালগালিচা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে লালগালিচাকে আধুনিককালে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় করেছেন হলিউড তারকারা। মূলত বিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্রশিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটে এবং হলিউডের তারকাদেরও অভিজাত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো ১৯৬১ সালে অস্কার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্মানে লালগালিচার প্রচলন করা হয়।

66
History / How does it come first ?
« on: November 12, 2016, 02:11:19 PM »
We may post here, how does any thing or object comes first around the world.

67
Heritage/Culture / পুটিয়াল ধনেশ
« on: November 10, 2016, 12:04:33 PM »
ধূসর এই পাখি এ দেশের সাবেক আবাসিক পাখি পুটিয়াল ধনেশ (Common Grey Hornbill or Indian Grey Hornbill)। Bucerotidae গোত্রের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Ocyceros birostris।
পুটিয়াল ধনেশ লম্বায় প্রায় ৬১ সেন্টিমিটার। পুরুষের ওজন প্রায় ৩৭৫ গ্রাম। একনজরে পুরো দেহ রুপালি-ধূসর। চোখের ওপরের পালক ফ্যাকাশে ও কান-ডাকনি কালচে। পেট হালকা ধূসর। লেজের আগা সাদা এবং তাতে কালো বন্ধনী। চোখের মণি বাদামি-লাল ও চোখের পাতায় লোম থাকে। পায়ের পাতা ও নখ কালো। পুরুষের ওপরের ঠোঁট গাঢ় ও নিচের ঠোঁট হলদে। স্ত্রীর হলুদ ঠোঁটের গোড়া কালো। ওপরের ঠোঁটের বর্ধিত অংশ বা বর্ম কালো, যা অন্যান্য ধনেশ প্রজাতির তুলনায় ছোট ও চোখা। পুরুষের বর্ম স্ত্রীর তুলনায় বড়। বাচ্চাদের বর্ম নেই।
রাজশাহী বিভাগের একসময়ের আবাসিক পাখি পুটিয়াল ধনেশ বর্তমানে এ দেশে আবাসিক না অনিয়মিত, তা জানতে গবেষণার প্রয়োজন। তবে আশার কথা, ওরা হারিয়ে যায়নি এ দেশ থেকে। এরা মূলত ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের আবাসিক পাখি। শুষ্ক বন, ফলের বাগান ও কুঞ্জবনে এরা বাস করে। শহরাঞ্চলের খোঁড়লযুক্ত পুরোনো গাছসমৃদ্ধ রাজপথেও এদের দেখা যায়। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায়ও থাকতে পারে। এরা মূলত বৃক্ষচারী। পাকা ফল ও বাসার জন্য মাটি সংগ্রহ ছাড়া সহজে মাটিতে নামে না। মূলত ফলখেকো হলেও ফুলের পাপড়ি, কীটপতঙ্গ, গিরগিটি, ইঁদুর ইত্যাদিও খায়। চেঁচামেচি আর মারামারিতে ওস্তাদ।
এপ্রিল-জুন প্রজননকাল। ডিমের রং সাদা ও সংখ্যায় এক থেকে পাঁচটি। জন্মের ১৩ দিন পর বাচ্চারা উড়তে শেখে।

68
Heritage/Culture / মটরঘুঘু
« on: October 02, 2016, 01:47:51 PM »
শীত বিকেলে পাতাঝরা মাদারগাছটার সরু ডালপালায় বুক-পেট মিশিয়ে বসে আছে ৯-১০টি পাখি। রোদ পোহাচ্ছে পরম আয়েশে। ওর ভেতরে চারটি আছে সদ্য উড়তে শেখা ছানা।
দুরন্ত তিন বালক গুলতি হাতে এগিয়ে এল গাছটার তলায়, একজন খুব নিরিখ করে ছুড়ল গুলতি—একখানা ডালে গুরোল লেগে শব্দ হতেই ঝট করে উড়াল দিল সব কটি পাখি, একটু দূরে গিয়ে ঝাঁক বেঁধে চলে এল পশ্চিম দিকে।
এই পাখিদের নামও মটরঘুঘু। জাঁতায় যখন দ্রুতবেগে মসুর-মুগ বা মটর ডাল ভাঙা হয়, তখন যে রকম শব্দ হয় ‘মটর মটর’, এদের ডাকের শব্দটাও তেমনি। উঁচু গাছের ডালে বসে প্রজনন মৌসুমে পুরুষটি দ্রুততালে ডাকে, মাথা দোলায় নান্দনিক ভঙ্গিতে, বুক ফুলিয়ে আর ঘাড়-মাথা দুলিয়ে তালে তালে নাচে আর ডাকেও দ্রুততালে। ঠোঁট-পা ঠোকে গাছের ডালে, লম্ফঝম্ফ করে—মনের আনন্দে পতপত ডানায় উড়াল দিয়ে খাড়া উঠে পড়ে শূন্যের দিকে। স্ত্রী-পাখিটি চুপচাপ বসে তা উপভোগ করে।
বাসা করে জিকল, খুদিজাম, লোহাজাম, বাবলা, বরই, কলা, তাল ও খেজুরগাছের ডালে। শুকনো সরু ঘাস-লতা হলো বাসার প্রধান উপকরণ। তবে এদের বাসায় শরতে দুয়েক টুকরো কাশফুল ও গ্রীষ্মে দু-চারটা সাদা ঘাসফুল দেখা যাবেই। এরা সারা বছরই বাসা করে। দুজনে মিলে বাসার জায়গা নির্বাচনে ব্যয় করে দুই থেকে পাঁচ দিন। বাসা বানাতে সময় লাগে তিন থেকে ছয় দিন। তারপর স্ত্রী-পাখি ডিম পাড়ে দুটি, কখনো তিনটি। দুজনেই পালা করে তা দেয় ডিমে। ছানা ফোটে ১০-১৫ দিনে। প্রথম প্রথম ছানাদের কবুতরের দুধ (Pegion Milk) পান করায় এরা।
মটরঘুঘুর প্রধান খাবার নানা রকম শস্যবীজসহ ধান-তিল-কাউন-ডাল-সরষে ও ধুলোমাটি। ধুলোমাটি খায় শরীরের লবণের চাহিদা পূরণের জন্য। মটর ডাল এদের সবচেয়ে প্রিয়। শীতে এরা নাড়া ও ঘাসবনে নেমে ডানা ঝাপটে শিশির পান করে।
এদের ইংরেজি নাম Red Collared Dove। বৈজ্ঞানিক নাম Streptopelia tranquebarica। দৈর্ঘ্য ২৩ সেন্টিমিটার। ওজন ৯০ থেকে ১১০ গ্রাম। এদের পিঠের রং ইটগুঁড়ো করা সুরকির মতো লাল, তাতে হালকা গোলাপি আভা, ঘাড়-মাথা ঘন ছাই ও ধূসর। ঘাড়ে সাদা টানের ওপরে কালো বন্ধনী। চিবুক ও লেজের তলা সাদাটে। বুক হালকা গোলাপি। কালচে ঠোঁট। গোলাপি পা। মেয়েটি এক নজরে বাদামি রঙের পাখি। এদের দেখা মেলে সারা দেশেই। না দেখেও ডাক শুনে অনায়াসে শনাক্ত করা যায় পাখিটিকে। ঢোল ঘুঘু, ছোট ঘুঘু, পেঁচি ঘুঘু ও জংলাঘুঘু নামেও পরিচিত এরা।

69
জনপদটি বেশ শান্ত। সড়কে গাড়ি-অটোরিকশার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। জায়গাটির নাম বেরাইদ। রাজধানীর বারিধারা নতুন বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে এই শহরতলি। ৬০ হাজার মানুষের এই ইউনিয়ন সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বালু নদ-তীরবর্তী এ জনপদের ভূঁইয়াপাড়ায় একটি প্রাচীন মসজিদ আছে। নাম ‘ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদ’। মসজিদটির বয়স নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত। কারও দাবি এর বয়স ২০০ বছর, কেউ বলেন ৪০০। তবে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, মসজিদটি সুলতানি আমলে নির্মিত। ঢাকার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরেরও সে রকম মত।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রকাশনা) মোহাম্মদ আতাউর রহমান গত শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মসজিদটির কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। শিলালিপি পেলে মসজিদটি প্রতিষ্ঠার তারিখ, প্রতিষ্ঠাতার নাম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলত। তবে গঠনশ্রেণি দেখে মনে হয়, এটি সুলতানি আমলের একটি প্রাচীন স্থাপনা। প্রসঙ্গত, বাংলায় সুলতানি আমল দ্বাদশ শতকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল ১৫৩৮ সালে।
মোহাম্মদ আতাউর রহমান তাঁর একাধিকবার বেরাইদ এলাকা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানকার কিছু প্রাচীন ভবনের ইটের গাঁথুনি দেখে মনে হয়, এখানে মুসলিম প্রশাসনের কার্যক্রম ছিল।

বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক ছিলেন আবদুস সালাম। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের আগ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন তিনি। খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল হায়াতের শ্বশুর আবদুস সালাম ছিলেন এই জনপদের এক আলোকিত মানুষ। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে বংশপরম্পরায় এখানকার বাসিন্দা ও সাংবাদিক এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, ১৯৮৫ সালে তিনি আবদুস সালামের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। আবদুস সালাম তাঁকে বলেন, তিনি ধারণা করেন, মসজিদটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহর (১৪৯৫-১৫১৯) আমলে তৈরি। তাঁর মতে, মসজিদটির নির্মাণশৈলীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় অবস্থিত বাবা সালেহ মসজিদ (১৫০৫) ও সোনারগাঁওর গোয়ালদি শাহি মসজিদের (১৫১৯) মিল আছে।

বেরাইদের মানুষেরা জানালেন, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গোটা মসজিদটি ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা ওঠে। কিন্তু ঐতিহাসিক স্থাপনার গুরুত্ব বিবেচনায় অনেকেই দ্বিমত করেন। তখন আদি অংশটি অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটি পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করা হয়।বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের আদি অংশটুকু সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে।

বেরাইদ গণপাঠাগারের প্রকাশিত (২০১৫-এর ১ জানুয়ারি) পুস্তিকা থেকে জানা যায়, এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির উচ্চতা ১৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। আদি গৃহের ভেতরকার আয়তন ১৬ ফুট বাই ১৬ ফুট। এর মেঝে ছিল লাল রঙের। পরবর্তী সময়ে তিন ইঞ্চি পুরু মোজাইক করা হয়। আদি অবস্থার ভেতরে তিন সারিতে একসঙ্গে ৩৩ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন।

ওই পুস্তিকা থেকে আরও জানা যায়, মসজিদের পূর্ব দিকের মূল দেয়াল ভেঙে প্রথম সম্প্রসারণ করা হয় ১৯০৬ সালে। পুব দিকের দেয়ালে মসজিদে প্রবেশের একটিমাত্র দরজা ছিল। প্রথম পর্যায়ে পুব দিকে ১৬ ফুট বাই ১৬ ফুট বাড়ানো হয়। পরে ৫২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৪ ফুট প্রস্থের টিনের ছাউনির বারান্দা নির্মাণ করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ১৯৮২ সালে মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণের আদি দেয়াল ভেঙে উভয় দিকে বাড়ানো হয়। পাকা করা হয় পূর্ব দিকের টিনের ছাউনির বারান্দা। আদি দেয়ালের নিচে প্রাচীন আমলের ‘কড়ি’ পাওয়া যায়। চতুর্থ পর্যায়ে ১৯৯৯ সালে পূর্ব দিকের বারান্দা দোতলা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের কেবলা দেয়াল ও গম্বুজ অক্ষত আছে। কেবলার দেয়ালে রয়েছে মেহরাব। বর্তমানে মসজিদের পশ্চিম দিক ছাড়া অন্য তিন দিকের আদি দেয়াল অবশিষ্ট নেই।

মসজিদটির মোতওয়াল্লি হাজি বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া জানান, দূর-দূরান্ত থেকে প্রায়ই মানুষ আসে মসজিদটি দেখতে।

70
Heritage/Culture / Archaeological Architecture of Bangladesh
« on: September 29, 2016, 04:31:14 PM »
We will post here all archaeological architectures of Bangladesh.

71
Heritage/Culture / ফটিক সিন্ধু
« on: September 22, 2016, 02:30:02 PM »
এরা এ দেশের দুর্লভ এক সুন্দর প্রজাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক ড. বাশার ওদের নাম দিয়েছেন ফটিক সিন্ধু (Common Bluebottle বা Blue Triangle)। পশ্চিমবঙ্গে এটি তুঁতচিল নামে পরিচিত। Papilionidae পরিবারভুক্ত প্রজাপতিটির বৈজ্ঞানিক নাম Graphium sarpendon।
প্রসারিত অবস্থায় ফটিক সিন্ধুর সামনের এক ডানার প্রান্ত থেকে অন্য ডানার প্রান্ত পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৮০-৯০ মিলিমিটার। ডানা ও দেহের ওপরটা কালো ও নিচটা বাদামি। সামনের ডানার শীর্ষ থেকে পেছনের ডানার ভেতরের প্রান্ত পর্যন্ত ওপর ও নিচে একটি ফ্যাকাশে সবুজ বা নীলচে-সবুজ থেকে গাঢ় নীল ডোরা চলে গেছে। পেছনের ডানার নিচের কিনারার দিকে এক সারি নীল ফোঁটা, অতিরিক্ত এক সারি লাল ফোঁটা ও ডানার গোড়ায় একটি লাল ফোঁটা রয়েছে। লম্বালম্বি সাদা ডোরাসহ দেহ ধূসর। শুঙ্গ (অ্যান্টেনা) ও চোখ কালো। শুঁড় ও পা ধূসর। পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাপতি দেখতে একই রকম।
ফটিক সিন্ধু সচরাচর কম দেখা যায়। মূলত ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বন ও বনের কিনারা, উন্মুক্ত তৃণভূমি, ফুলের বাগানে বিচরণ করে। এরা বেশ চটপটে। দ্রুততার সঙ্গে গাছের ওপরের দিকে ওড়ে। বিভিন্ন ধরনের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের ফুলের রস পান করে।
স্ত্রী দেবদারু, কর্পূর, দারুচিনি, অ্যাভোকাডো প্রভৃতি গাছের কচি পাতার ওপর পাতাপ্রতি একটি করে হলদে ও গোলাকার ডিম পাড়ে। ডিম ফোটে তিন দিনে। শূককীট প্রথম দিকে কালচে বা গাঢ় সবুজ হলেও পরে সবুজাভ হয়। ১২ দিনে পাঁচবার রূপান্তরিত হয়ে শূককীট সবুজ রঙের মূককীটে পরিণত হয়। ১০ দিন পর মূককীটের খোলস কেটে পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতি বের হয়ে নীল আকাশে ডানা মেলে।
বাংলাদেশ ছাড়াও পুরো ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ায় এদের দেখা যায়।

72
Its a very very nice post which is helpful for all. All we should abide the rules regarding Heart disease. Because this a fatal  disease. Simply if we do exercise that is walking everyday & avoid oily & junk food, we can easily keep our heart in good & healthy

All everybody, please follow these & live long.

73
এখন এমন একটা আবহাওয়া, কখনও বৃষ্টি কখনও গরম। এই সময়টা গরমের প্রভাব অতিরিক্ত হয়ে থাকে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি বিরক্তিকর উপদ্রব বাড়তে থাকে। এই বিরক্তিকর উপদ্রব হচ্ছে মশা। অতিরিক্ত গরম আর মশার যন্ত্রণার কারণে মশারির ভেতরে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
মশার স্প্রে, মশার কয়েল কোন কিছুতেই যেন কাজ হয় না। যদি এই দুটার একটাও শেষ হয়ে যায় তাহলে তোহ রক্ষা নাই। আপনার রাতের ঘুম হারাম। কিন্তু আপনি কি জানেন খুব সহজে এই মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আগেকার যুগে মশার কয়েল, স্প্রে তো কিছুই ছিল না। তখনকার মানুষ কিভাবে মশার হাত থেকে রক্ষা পেত? অবাক হলেও এটা সত্যি যে তারা প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়াত। ভাবচ্ছেন কিভাবে সম্ভব? তাহলে আজ জানাবো আপনাদের প্রাকৃতিক উপায়ে মশার হাত থেকে মুক্তি পাবার উপায়।
লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহারঃ
একটি গোটা লেবু খণ্ড করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেক গুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরা গুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।
mosha3কর্পূরের ব্যবহারঃ
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোন ফার্মেসিতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন।
এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন।
আগের পানিটুকু ফেলে দিবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।
রসুনের স্প্রেঃ
রসুনের স্প্রে মশা তাড়াতে খুবই কার্যকারী প্রাকৃতিক উপায়। ৫ ভাগ পানিতে ১ ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে শরীরের যেসব স্থানে মশারা কামড়াতে পারে সেসব স্থানে স্প্রে করুন। এতে করে যে কোন ধরণের রক্ত চোষারা আপনার ধারে কাছেও আসবেনা।
নিমের তেলের ব্যবহারঃ
নিমের মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না এবং সেই সাথে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।
পুদিনার ব্যবহারঃ
জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয় পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।

74
গুগল ম্যাপস শুধুই মানচিত্র দেখায় না, কীভাবে কোথায় যেতে হবে সে নির্দেশনাও দেয়। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে গুগল ম্যাপস থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

গুগল ম্যাপে আপনার বাসস্থান এবং কাজের অবস্থান উল্লেখ করে দিন। এতে আপনার কার্যক্ষেত্রে যাওয়া এবং কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় গুগল সহজে পথ চিনিয়ে দেবে।

গুগল ম্যাপে আপনার পছন্দের জায়গা সংরক্ষণ (সেভ) করে রাখুন। এতে দ্রুত সেসব জায়গায় যাওয়ার রাস্তা দেখাবে।

ম্যাপসের সার্চ বার থেকেই বন্ধুদের অবস্থান খুঁজে নেওয়া যায়। এ জন্য অবশ্য ফোন নম্বর তালিকার নম্বরগুলো যোগ করতে হবে। সে বন্ধুর ঠিকানা যদি গুগল ম্যাপসে সংরক্ষণ করা থাকে এবং আপনার তা দেখার অনুমতি থাকে তবে ম্যাপস আপনাকে তা দেখিয়ে দেবে।

মধ্যাহ্নভোজে কী খাবেন তা যদি নিশ্চিত না হন তবে সার্চে ক্লিক করে Explore Nearby নির্বাচন করুন। আপনার আশপাশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং সেগুলোর পর্যালোচনাসহ দেখাবে।

ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধা না থাকলেও অচেনা শহরে বিপদ থেকে রক্ষা করবে গুগল ম্যাপস। সহজেই কাছের বাসস্ট্যান্ড এবং রাস্তা দেখিয়ে দেবে।

সবচেয়ে বড় কথা, আপনি হয়তো এমন কোথাও যাচ্ছেন যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। সেখানে যাওয়ার আগে অফলাইন ম্যাপ নামিয়ে নিন। এরপর সে এলাকায় সহজেই প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তা দেখাবে, ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না।

75
কোন ব্যবসায়ে বা শিল্পে ভাগ্য গড়া সহজ এবং খুব দ্রুত কোনো দেশ বা অঞ্চলের সেরা ধনী হয়ে ওঠা যায়? এমন প্রশ্ন শুনে আপনার মনে সম্ভবত আজকালকার দিনের প্রবল সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি ও তেলের ব্যবসার কথাই ভেসে উঠবে।
আর কেউ যদি তুলনামূলক সস্তায় বাজারে ফাস্ট ফ্যাশন বা দ্রুত নিত্যনতুন নকশার পোশাকের ব্যবসার কথা বলেন, তাহলে হয়তো অনেকের মতো আপনার মনেও খটকা লেগে যেতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, পোশাকের ব্যবসা করে কিছু ব্যক্তি ও পরিবার শুধু নিজ দেশ বা অঞ্চলই নয়, বরং গোটা পৃথিবীরও সেরা ধনীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
যেহেতু সব সময়ই মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ প্রয়োজন হয়, সেহেতু পণ্যটি বিক্রি হবে, এটি একটি সাধারণ যুক্তি। দাম মোটামুটি কম করে ধরলে যে বিক্রি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়, সেটিও জানা কথা। কিন্তু কম দামে নিত্যনতুন বা হালফ্যাশনের পোশাক বিক্রি করেও যে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় নাম ওঠানো যায়, সেটি প্রমাণ করেছেন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। কোয়ার্টজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি এ রকম একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই তালিকায় নাম আসা স্পেনের আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারার মূল কোম্পানি ইনডিটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামানসিও ওর্তেগা এখন শুধু নিজ দেশেই নন, বরং ইউরোপের এক নম্বর ও বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে এই পোশাক ব্যবসায়ীর মোট সম্পদের মূল্য ৭ হাজার ৫৩০ কোটি মার্কিন ডলার। এমনকি গত বছর অল্প সময়ের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিল গেটসকে টপকে শীর্ষ ধনী হন।
বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী সুইডেনের এইচঅ্যান্ডএমের মালিক স্টেফানের মোট সম্পদের মূল্য এখন ২ হাজার ২০ কোটি ডলার। বদৌলতে তিনি এখন সারা বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় ৩২তম। স্টেফান পারসনের পিতা ১৯৪৭ সালে এইচঅ্যান্ডএম নামের পারিবারিক ব্যবসাটি শুরু করেন।
জাপানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্পবাণিজ্য বলতে প্রথমেই তো উঠে আসে গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের নাম। কারণ, যুগ যুগ ধরে জাপানি গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও বাজার রয়েছে। অথচ এই দেশের শীর্ষ ধনী পোশাক ব্র্যান্ড ইউনিক্লোর মূল প্রতিষ্ঠান ফাস্ট রিটেইলিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তাদাশি ইয়ানাই ও তাঁর পরিবার। গত বছর তাঁর সম্পদের মূল্য ৪৮০ কোটি ডলার কমার পরও ১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার নিয়ে তিনি এখন সেই দেশের সেরা ধনী। অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান জে ব্র্যান্ড ও থিওরি অ্যান্ড জিইউও তাঁর ধনাঢ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠার পেছনে বেশ কাজ করেছে।

নেদারল্যান্ডসের ফাস্ট ফ্যাশন বা পোশাক ব্র্যান্ড সিঅ্যান্ডএ ভাগ্য বদলে দিয়েছে সেই দেশের ব্রেনিনকমেইজার পরিবারের। এই ডাচ পরিবার অতীতে কখনোই তাদের আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ২০১২ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন পরিবারটির ধনসম্পদের একটি প্রাক্কলিত মূল্য প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী ব্রেনিনকমেইজার পরিবারের সম্পদমূল্য ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি ডলার। এই তথ্য
অবশ্য কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি। ১৭৫ বছর আগে ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএর মালিক পরিবারটি এখন সেই দেশের সবচেয়ে ধনী।

আট বছর ধরে আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ ধনী হয়েছেন হিলারি ওয়েস্টন ও তাঁর পরিবার। পরিবারটি বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর সেলফ্রিজেস ও থমাস লাক্সারির মালিক। তবে তাদের আয়ের বড় অংশই আসে রিটেইল পোশাক ব্র্যান্ড প্রাইমার্ক থেকে, যেটি ওই পরিবারকে সেই দেশের সবচেয়ে ধনীর আসনে বসিয়েছে। সানডে টাইমস-এর তথ্যমতে, হিলারি ওয়েস্টনের বর্তমান সম্পদের মূল্য ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার, যা তাঁর ঠিক পেছনেই থাকা, অর্থাৎ আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা ধনী ব্যক্তির তুলনায় তিন গুণ বেশি।

এসব ব্র্যান্ডের সফলতার একটি দিক হলো তারা খুব কম সময়ের মধ্যেই নিত্যনতুন নকশার পোশাক নিয়ে আসে এবং বিক্রিও করে থাকে তুলনামূলক কম দামে। ফলে বাজারের প্রতিযোগিতায় তারা অনায়াসেই এগিয়ে যায়। এ ছাড়া তারা পোশাক আমদানি করে সেই সব দেশ থেকে, যেখানে শ্রমিকের মজুরি খুবই নগণ্য। স্বভাবতই এ ধরনের দেশের পোশাকের দামও হয় অনেক কম। পোশাকশ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়ার জন্য অবশ্য রপ্তানিকারক দেশের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এসব আমদানিকারক ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

কম দামে পোশাক বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুবিধা নেওয়ার প্রতি বেশ মনোযোগী থাকে। যেমন  ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব দ্রুতই হালফ্যাশনের পোশাক ও এ-সংক্রান্ত তথ্য দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভোক্তাদের মনেও দোলা দিয়ে যায়। অর্থাৎ নতুনত্বের আবাহনে ভোক্তারা দ্রুত সাড়া দেন। এর মানে বাজারে নিত্যনতুন পণ্য তথা পোশাক এলে তাঁরা সেটি লুফে নেন। কারণ, তাঁদের ধারণা, এসব ব্র্যান্ড সব সময়ই নতুন পোশাক নিয়ে আসে।

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 22