Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - masud.eng

Pages: [1] 2
1
Various Resource for Career Development / Learn to say NO
« on: September 12, 2015, 01:46:27 PM »
"When you say YES to others
Make sure you are not saying NO to yourself"

- Paulo Coelho

2
Scholarship / Re: স্বপ্ন পূরণের এক ধাপ
« on: September 12, 2015, 11:44:01 AM »
Informative. Thanks for sharing.

4
Learning English / Re: Learn English : be smart !!
« on: September 12, 2015, 11:11:59 AM »
If we follow the Speaking of Native Speaker, it will help us to get the correct pronunciation. Watching movie will be helpful for this step.

Thanks for the post.

5
Yes. It is Learning from Rejecting. :)

6
English / Re: “ Weaver of Raveloe ”
« on: September 06, 2015, 05:19:42 PM »
Nice one. :)

7
Teaching & Research Forum / Re: How to Analyse Questions
« on: September 06, 2015, 05:11:37 PM »
It will help the students. Thanks for sharing.



8
প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যান হয়েছি
জ্যাক মা

জ্যাক মা অনলাইনভিত্তিক পৃথিবীর অন্যতম বড় কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তাঁর আসল নাম মা ইয়ুন, জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে ১৯৬৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে জ্যাক মা পৃথিবীর ৩৩ তম শীর্ষ ধনী, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি এই বক্তব্য দেন।

প্রতিদিন আমাদের সাইটে কয়েক কোটি ক্রেতা প্রবেশ করেন। আমরা চীনে প্রায় ১৪ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি করেছি। আমাদের শুরুটা ছিল মাত্র ১৮ জন মানুষ দিয়ে। এখন আমরা ৩০ হাজার মানুষ কাজ করি। ছোট একটি রুম থেকে শুরু করে আমাদের এখন কয়েক গুণ বড় অফিস হয়েছে। ১৫ বছর আগে আমরা কিছুই ছিলাম না। ১৫ বছর আগের কথা ভাবলে আমরা এখন বেশ বড় কোম্পানি, কিন্তু আগামী ১৫ বছর পরের কথা চিন্তা করলে আমরা এখনো শিশু, ছোট বাচ্চা। আমার বিশ্বাস, ১৫ বছর পর মানুষ ই-কমার্সের কথা ভুলে যাবে। তাদের কাছে ই-কমার্সের অস্তিত্ব বিদ্যুতের মতো স্বাভাবিক মনে হবে।
আমাদের কোম্পানি আলিবাবার আইপিওর মূল্যের পরিমাণ বেশ ছোটই, মাত্র ২৫ বিলিয়ন। আমরা সারা পৃথিবীর অন্যতম বড় মার্কেট ক্যাপিটাল কোম্পানি এখন। আমার দল আর আমাকে আমি মাঝেমধ্যেই বলি, এটা কি সত্য কিছু? আমরা ততটা বড় নই, যতটা দেখায়। বছর খানেক আগেও মানুষ বলত, আলিবাবার ব্যবসার মডেল ভয়ংকর। আমাদের চেয়ে অ্যামাজন ভালো, গুগল অসাধারণ বলে সবাই ভাবত। আসলে তখন আলিবাবার মতো ব্যবসার মডেল যুক্তরাষ্ট্রে ছিল না বলেই আমাদের নিয়ে সবাই এমনটা বলত। আমি নিজেকে ও অন্যদের বলতাম, লোকজন যা ভাবে, আমরা তার চেয়ে ভালো। কিন্তু এখন সবাই বদলে গেছে, আমাদের অনেক বড় বলে ভাবে সবাই। আমি সবাইকে বলতে চাই, আমরা বড় কেউ নই। আমরা ১৫ বছরে পা রাখা একটি কোম্পানি মাত্র। এই কোম্পানির জন্য ২৭ বা ২৮ বছরের কিছু তরুণ এমন কিছু কাজ করছেন, যা কিনা মানুষ এর আগে কখনো চেষ্টা করেনি।
১৯৬৪ সালে আমার জন্ম। চীনে তখন সবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয়, আমি সেখানে তিনবার ফেল করেছিলাম। আমি আরও অনেকবারই ফেল করেছি। প্রাইমারি স্কুলে পরীক্ষার সময় দুবার ফেল করেছিলাম। মাধ্যমিক স্কুলেও তিনবার ফেল করেছি। আমার শহর হাংজুতে মাত্র একটি মাধ্যমিক স্কুল ছিল। বেশ খারাপ ছাত্র ছিলাম দেখে আমাদের প্রাথমিক স্কুল থেকে পড়া কাউকে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করতে চাইত না কেউ। বারবার ভর্তিতে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেশ উপকারই হয়েছিল আমার!
এখনো আমাকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে আমি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। সেখানেও আমাকে ৩০ বারের মতো প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। যখন চীনে কেএফসি আসে, তখন ২৪ জন লোক চাকরির জন্য আবেদন করেন। সেখানে ২৩ জন মানুষ চাকরির সুযোগ পান। শুধু একজনই বাদ পড়েন, সেই মানুষটি আমি। এমনও দেখা গেছে, পাঁচজন মানুষের মধ্যে চারজনের চাকরি হয়েছে, আর বাকি একজন আমি নেই। প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যও আবেদন করেছিলাম, সেখানে আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ১০ বার লিখেছিলাম, ‘আমি ভর্তি হতে চাই।’ ১০ বার আবেদন করেছি, আর প্রতিবারেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি।
আমি ১২–১৩ বয়স থেকে ইংরেজি শেখা শুরু করি। চীনে তখন ইংরেজি শেখার সুযোগ ছিল না। কোনো ইংরেজি বইও পাওয়া যেত না। আমি যে হোটেলে বিদেশি পর্যটক আসত, সেখানে গিয়ে বিনে পয়সায় পর্যটকদের গাইডের কাজ করতাম। এরপর নয় বছর এই কাজ করে গেছি। তাতেই আমি পশ্চিমা ঢঙে ইংরেজি বলা শিখেছি। বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে ঘোরাফেরা আমার মনকে অনেক বড় করে দিয়েছে। স্কুল আর মা-বাবার কাছ থেকে যা শিখতাম, আর পর্যটকদের কাছ থেকে যা জানতাম, তা ছিল ভিন্ন। সে জন্যই আমি নিজের জন্য ভিন্ন এক অভ্যাস গড়ে তুলি নিজের মধ্যে। আমি যা দেখি, যা পড়ি, তা মন দিয়ে পড়ি-চিন্তা করি।
১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরে সিয়াটলে আমি প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাই। ইন্টারনেটের গতি ছিল তখন ভীষণ ধীর। আমার বন্ধু আমাকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়। ভয়ে কম্পিউটার স্পর্শ করিনি সেদিন। চীনে কম্পিউটারের দাম ছিল অনেক, নষ্ট হয়ে গেলে তখন দাম দিতে পারতাম না। বন্ধুর উৎসাহে ইন্টারনেটে সার্চ করি। সেবারই প্রথম ই-মেইল শব্দটি শুনি।
আমি ইন্টারনেটভিত্তিক কিছু করার চেষ্টা শুরু করি। সেই সময়টায় বেশ জনপ্রিয় একটি নাম ছিল ইয়াহু। আমাদের কোম্পানির নাম আলিবাবা দিতে চেয়েছিলাম। ১০ থেকে ২০ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞেস করি, আলিবাবাকে তারা চিনে নাকি? সবাই বলেছিল ‘হ্যাঁ’। ‘আলিবাবা ও ৪০ চোর’ গল্পের কারণে সবাই আলিবাবাকে চিনে। তাই আমি এই নামই গ্রহণ করি।
শুরু থেকেই আমরা অনলাইনে বিশ্বাসের একটি জায়গা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষ একে অন্যকে কম বিশ্বাস করে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন বার লেনদেন করি। অনলাইনে মানুষ একজন আরেকজনকে চেনে না। আমি আপনাকে চিনি না, কিন্তু আমি আপনাকে পণ্য পাঠাই। আপনি আমাকে চিনেন না, কিন্তু আপনি আমাকে টাকা ঠিকই পাঠান। বিশ্বাসের জায়গাটা বড় করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আলিবাবার সাফল্যের অন্যতম লুকানো সূত্র হচ্ছে আমাদের এখানে অনেক নারী কাজ করেন। শুধু আলিবাবায় ৪৭ শতাংশ কর্মী হচ্ছেন নারী। আমাদের সব অফিস মিলিয়ে ৫৩ শতাংশ কর্মী নারী। আমাদের ম্যানেজমেন্টে ৩৩ শতাংশ হচ্ছেন নারী, আরও উচ্চপর্যায়ে আছেন ২৪ শতাংশ। একুশ শতকে আপনাকে জিততে হলে অন্যকে স্বাবলম্বী করতে হবে। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি অন্যের অবস্থা উন্নতি করতে পারলেই আপনি সফল। চীনের ৮০ শতাংশ তরুণ সফল হয়েছেন শুধু কাজের গুণে। তাঁদের বড়লোক বাবা নেই বা ব্যাংকের লোন নেই; শুধু কাজ করেই তাঁরা সফল। জীবনে সফল হতে গেলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে হয়।

শুরুর দিকে আমাকে সবাই পাগল বলত। টাইম ম্যাগাজিনে আমাকে পাগল জ্যাক বলা হয়েছিল। আমার মনে হয় পাগল হওয়া ভালো। আমরা পাগল, কিন্তু আমরা নির্বোধ নই। কোনো একদিন আমি স্কুলের শিশুদের আমার কথা বলতে যাব। আমি তাদের বলতে চাই, নিজের মনকে বড় করো, নিজের সংস্কৃতিকে বড় করো। নিজের মূল্যবোধকে শক্ত করো, নিজের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাও। তুমি যদি কিছু করতে চাও, তাহলে প্রত্যাশা করা শিখতে হবে।
সূত্র: ইন্টারনেট। ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ সুইজারল্যান্ডে দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘অ্যান ইনসাইট, অ্যান আইডিয়া উইথ জ্যাক মা’ নামের বিশেষ সেশনে দেওয়া বক্তব্যের নির্বাচিত অংশের অনুবাদ করেছেন জাহিদ হোসাইন খান

কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক প্রথম আলো

9
চাই সমালোচনা গ্রহণের শক্তি
কুমার সাঙ্গাকারা

কুমার সাঙ্গাকারা সম্প্রতি কলম্বো টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে ইতি টানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। তাঁর জন্ম ১৯৭৭ সালের ২৭ অক্টোবর। উইজডেন তাঁকে ২০১১ ও ২০১৫ সালের লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড তকমা দেয়। ১৩৪ টেস্টে ৩৮টি সেঞ্চুরিসহ সাঙ্গাকারার সংগ্রহ ১২ হাজার ৪০০ রান এবং ৪০৪ ওয়ান ডেতে ২৫টি সেঞ্চুরিসহ সংগ্রহ ১৪ হাজার ২৩৪ রান।

ক্রিকেট খেলা আমার জন্য সব সময়ের জন্য আশ্চর্যের এক খেলা। ছোটবেলা থেকেই আমি ক্রিকেটের মধ্যে অদ্ভুত জাদুর বিস্ময় দেখে আসছি। আপনি যদি খেলা উপভোগ না করেন, তাহলে খেলার মধ্যে আনন্দ খুঁজেই পাবেন না। আনন্দ না পেলে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়ে ভালো খেলাও প্রদর্শন করা যাবে না।
যদি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পেছনে তাকাই তাহলে আমার অনেক গল্প মনে ভেসে ওঠে। ক্রিকেটে আসলে কোনো কিছু একাকী করা যায় না। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে আমাদের নানা কিছু শিখে শিখে সামনে এগোতে হয়। নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তুলে সামনে যেতে হয়। আমার জীবনে ক্রিকেটের মাধ্যমে অনেক মানুষের স্পর্শ পেয়েছি। আমার বন্ধু, পরিবার, কোচ আর নিজের দল ও প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের নিয়েই আমি সামনে এগিয়ে এসেছি। আমি অনেক ভাগ্যবান ছিলাম বলেই এত এত সব মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। আর সেই আশীর্বাদের কারণেই আমি খুব বিনয়ের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করে গেছি।
শুধু ক্রিকেটেই নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী মার্জিত ব্যক্তিত্ব মানুষকে তার অন্তরের আসল ছবি তুলে ধরতে সহায়তা করে। ব্যক্তিত্বই আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আর আত্মশক্তির বিকাশ ঘটায়। জীবনে এগিয়ে চলার জন্য সমালোচনা গ্রহণের শক্তি থাকতে হবে আমাদের। নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শেখা উচিত আমাদের। নিজের ভেতরের সব শক্তিকে ভালো কাজ আর আনন্দময় কোনো কাজে আমাদের সব সময় ব্যয় করা উচিত।
আমি গত দশকের শুরু থেকেই ফাউন্ডেশন অব গডনেস নামের স্পোর্টস একাডেমির সঙ্গে যুক্ত। কুশিল গুনাসেকারা ও মুত্তিয়া মুরালিধরন এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিবছর আমরা ৫০ হাজারের বেশি জনের সঙ্গে এই একাডেমির মাধ্যমে যুক্ত হতে পারছি। আমরা খেলার জন্য চিকিৎসা, ওষুধ, ব্যায়ামের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি নানা ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। কারিগরি শিক্ষা, ইংরেজি ভাষা শিক্ষাসহ বিভিন্ন জীবনসংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। গৃহযুদ্ধ শেষে পুরো শ্রীলঙ্কাজুড়ে আমরা এমন সব কাজ করে যাচ্ছি।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তাদের ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ম্যান অব দ্য সিরিজের অর্থ তুলে দেয়। নানান সময়ে আমরা নানা ধরনে দাতব্য কাজে অর্থ তুলতে সহায়তা করি।
ক্রিকেট জীবনে আমি অধিনায়কত্বের সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। ২০১০ সালে আমরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সিরিজ জয় করি। ২০০৯ সালে আমরা পাকিস্তানকে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মাটিতে পরাজিত করি। তখন আমাদের দলের সঙ্গে ছিল ট্রেভর বেইলিস আর সহকারী কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। তরুণ আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশেলে আমরা ছিলাম বেশ ভয়ংকর একটি ক্রিকেট দল। পরবর্তী সময়ে চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে আমরা শ্রীলঙ্কা দলের জন্য পরিপূর্ণ কাজে লাগাতে পারিনি। তার হাতেই তো অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিত দারুণভাবে শাণিত হয়ে ওঠে। আর এরপরে চন্দিকা তো পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বদলে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া দেখা যায়। ভয়হীন একদল ক্রিকেটার মাঠে খেলছে—এটা চন্দিকারই জাদু। সে ক্রিকেটারদের অকুতোভয় হতে শেখায়। আমি চন্দিকা আর তার কাজ নিয়ে ভীষণ গর্ব অনুভব করি। শুধু আমাদের জন্য নয় বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য সে দারুণ কাজ করেছে।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের দেশকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করতে পারা ভীষণ গর্বের। খেলা বা যেকোনো কাজ করতে হয় মন দিয়ে। মন দিয়ে কাজ করলে কাজে আটকানোর কোনো কারণই থাকে না। কেউ যদি সামনে তাকায় আর এগিয়ে চলা শুরু করে একদিন সে লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।
সূত্র: ইন্টারনেট। শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ডে ২০ আগস্ট প্রকাশিত সাক্ষাৎকার অবলম্বনে ভাষান্তর করেছেন জাহিদ হোসাইন খান

কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক প্রথম আলো

10
অন্যের কথা শুনে কে বড় হয়েছে
মিশেল ইয়েও

মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী মিশেল ইয়েও। জন্ম ১৯৬২ সালের ৬ আগস্ট। জেমস বন্ড সিরিজের টুমরো নেভার ডাইস (১৯৯৭) সিনেমায় বন্ড গার্ল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আলোচিত তিনি। ২০০৯ সালে পিপল ম্যাগাজিন তাঁকে পৃথিবী সেরা ৩৫ অভিনেত্রীর একজন হিসেবে ঘোষণা দেয়।

সিনেমার পর্দায় নিজের অ্যাকশন দৃশ্যে আমি নিজে অভিনয় করি। স্টান্টম্যান ছাড়া নিজেই ঝুঁকি নিয়ে নানা দৃশ্যে অভিনয় করি। আমাকে অনেকেই বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে আমি ঝুঁকির দৃশ্যে অংশ নিতে পারব না।’ আমি সবার কথা এড়িয়ে নিজের অভিনয় নিজে করে যাই। অন্যের কথা শুনে কে বড় হতে পেরেছে? আর আমি যদি ঝুঁকিই না নিতে পারি তাহলে আমি কিসের জন্য নারী! নারীকে সব সময় অভিযাত্রীর মতো ঝুঁকি নেওয়া জানতে হয়, শিখতে হয়। তুলার চাদরে মুড়িয়ে থাকার জন্য নারীর জন্ম নয়। দরজা ভেঙে মানুষের মতো নিজের স্বপ্নের সিঁড়ি দিয়ে ঘাড় উঁচিয়ে দৌড়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাই নারীর সগৌরব।
আমার জন্ম চীনা-মালয় এক পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই আমি নিজেকে প্রকাশের জন্য মনের চেয়ে শরীরে জোর দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। শারীরিক ভাষা মুখের ভাষার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। পৃথিবীতে যাঁরা প্রভাব রাখেন, তাঁরা সবাই কিন্তু শরীর দিয়ে কথা বলতে জানেন, সেভাবেই কথা বলেন। শারীরিক ভাষা কিন্তু মুখের কথার প্রভাব বাড়িয়ে দেয়। অভিনয়শিল্পী হতে চাইলে শব্দের ভাষার চেয়ে শরীর আর মনের ভাষায় শক্ত ধার আনা প্রয়োজন। সাধারণত দেখা যায়, আমাদের মুখের বলা কথায় তেমন বৈচিত্র্য নেই। কিন্তু আমাদের তাকানোর ধরন, চোখের পাতা নাড়ানোর ভাষায় প্রতিমুহূর্তে বদল আনা যায়। সিনেমার দর্শকেরা যদি সব সিনেমায় একই আমাকে দেখে তাহলে আমি অভিনয়শিল্পী নই। সে-ই প্রকৃত অভিনয়শিল্পী যিনি নিজে কোনো চরিত্রকে শরীর আর মনে ধারণ করে দর্শককে তার মধ্যে টেনে নেন।
১৬ বছর বয়সে আমি পিঠের ব্যথার জন্য ব্যালে নাচ ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি লন্ডনের রয়েল একাডেমি অব ড্যান্সে নাচ শিখতাম তখন। তার আগে আমি মানুষের কাছে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার নানা গল্প শুনতাম। ১৬ বছরে আমার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। চিকিৎসক আমাকে নাচের বদলে অন্য কিছু করার পরামর্শ দেন। সেই অন্য কিছু শব্দটাই আমাকে বদলে দেয়। ব্যালে নাচে কিন্তু নাচের চেয়ে অভিব্যক্তিই বেশি। আমি নাচ শেখা বাদ দিই, কিন্তু অভিব্যক্তি শেখার জন্য নাচের একাডেমিতে থেকে যাই। আমি নাটক শেখার চেষ্টা করি। চোখ দিয়েও যে নাচা যায় সেটা সেখানেই শিখি।
হলিউডে এশীয়দের বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হয় কম। অনেক বছর ধরে কখনো রাঁধুনি, কখনো রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবেই এশীয়দের হলিউডে অভিনয় করতে হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে এই ধাঁচে অন্যরকম পরিবর্তন আসে। এখন এশিয়ানরাও হলিউড সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করছে। সেই সময়টায় কেউ আমাকে যদি এশিয়ান চরিত্রে অভিনয় করতে বলত, আমি অভিনয় করতাম না। আমি একজন অভিনয়শিল্পী; এশিয়ান বা আফ্রিকান বা মঙ্গলগ্রহের কোনো প্রাণী আমার পরিচয় হতে পারে না।
আমি প্রতিদিন নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। নারী হিসেবে সমাজ আমাকে অনেক নিয়ম আর শৃঙ্খলে আটকে রাখার চেষ্টা করে, আমি প্রতিদিন নিয়ম করে সেসব নিয়ম ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাই। নারীর শক্তি অনেক।
শিশুরা সব সময় অনুপ্রেরণা পায় এমন কাজই আমি করার চেষ্টা করি। শিশুদের সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রতি মাসেই কোনো না-কোনো স্কুলে যাই। আমি সবাইকে একটা কথাই বোঝানোর চেষ্টা করি, দুর্ঘটনায় যে মানুষটি মরে যায় সে কিন্তু আসলে বেঁচে যায়, তার বেঁচে থাকা পরিবারের সদস্যদের এই পৃথিবীতে সে মেরে রেখে যায়।
আমি পশ্চিমের দুনিয়ায় অভিনয় করলেও আমার শিকড়ের কথা ভুলে যাই না। শিখরে উঠতে গেলে শিকড় ভুললে চলবে না। আমি নারী অধিকার নিয়ে সব সময় সচেতন। এশিয়ার নারীদের পায়ের সামনে অনেক বাধা থাকে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নারীরা সম্মান পান না। এই অঞ্চলের পরিবারের কাছে ছেলেসন্তানই মানুষ। নারীদের ইচ্ছে করেই দরজার বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। এই বাধা সমাজের মানুষেরাই নিজেরা তৈরি করে রেখেছে। আমাদের সবার প্রচেষ্টা দিয়ে এই বাধা দূর করতে হবে। আমরা রাতারাতি বাধা-বিপত্তি ডিঙাতে পারব না, কিন্তু চেষ্টা করতে দোষ কোথায়?
সিনেমায় অভিনয় করার সময় আমাকে সবাই বলে, ‘আরে তুমি তো নারী হিসেবে অনেক অ্যাকশন দেখাতে পারো।’ জেমস বন্ডের টুমরো নেভার ডাইস সিনেমার পরিচালক আমার সব ধারণা বদলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মিশেল, তুমি অ্যাকশন পারো বলে তোমাকে সিনেমায় নেওয়া হয়নি। তুমি অভিনয় জানো বলে তোমাকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মেধা আর মাথা দিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করে যাও।’ সেই থেকে মেধা, মাথা আর পরিশ্রম দিয়েই আমি এগিয়ে যাচ্ছি।
ব্যক্তিজীবনে আমি পাঁচজন সন্তানের মা। এই পাঁচ সন্তানের জন্ম আলাদা আলাদা পাঁচ মায়ের গর্ভে হলেও তারা সবাই আমার সন্তান। মানুষ যখন নিজের সন্তান ছাড়িয়ে অন্যের সন্তানকে ভালোবাসতে শেখে সে আসলে তখন ঈশ্বরকে খুশি করে। আমি ঈশ্বরকে পাঁচ গুণ খুশি করতে পারি।

প্রাচীন চীনা সাহিত্যে নারীদের সব সময় শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যায়। যোদ্ধা, তলোয়ারবিদ হিসেবে নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিভিন্ন রূপকথা আমরা পড়ি। রূপকথা কেন বাস্তব হতে পারে না? নারীরাও তো সব পারে, কেন তাদের আটকে রাখা হবে? চীনা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আমি বাঘের বছরে জন্মেছি, আমার রাশি হলো সিংহ। আমি কেন সমাজকে ভয় পাব?
সূত্র: ইন্টারনেট। ম্যারি ক্ল্যায়ার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার অবলম্বনে ভাষান্তর করেছেন জাহিদ হোসাইন খান


কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক প্রথম আলো

11
Helpful post. Thanks for sharing.

Md. Masud Parvaj
Research Associate
Department of English
Daffodil International University

12
Helpful post. But if you can give space after each question then it will be easy to identify.

Thanks for sharing.

Md. Masud Parvaj
Research Associate
Department of English
Daffodil International University

13
Helpful post. Thanks for sharing.

Md. Masud Parvaj
Research Associate
Department of English
Daffodil International University

14
Helpful post. Thanks for sharing.

Md. Masud Parvaj
Research Associate
Department of English
Daffodil International University

15
Guidance for Job Market / Re: Be positive
« on: September 06, 2015, 11:34:52 AM »
Thanks for sharing.

Md. Masud Parvaj
Research Associate
Department of English
Daffodil International University

Pages: [1] 2