76
Nutrition and Food Engineering / এক মুঠো লালশাকে এত পুষ্টি!
« on: December 04, 2016, 03:37:20 PM »
কুঁচো চিংড়ি কিংবা মাছ দিয়ে রান্না লালশাকের ঝোল কে না পছন্দ করে? পাতের ভাতের চেহারাই পাল্টে দেয় এই শাক। ঝোল ছাড়াও লালশাক ভাজাও খেতে অতি উপাদেয়। নিয়মিত লালশাক যাঁরা খান, তাঁরা রোগ-বালাই দূরে রাখতে পারেন সহজেই। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরা এই শাক শিশু ও বয়স্ক লোকজনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়।
শীতকালীন সবজি হলেও এখনো বাজারে লালশাক পাওয়া যাচ্ছে। দামেও খুব সস্তা। এক অাঁটি লালশাকে যে পুষ্টিগুণ আছে, অনেকগুলো দামি খাবার একসঙ্গে করলেও সেই পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব নয়। রঙের কারণে শিশুরাও লালশাক খুব পছন্দ করে। তাই খাবার টেবিলে লালশাক পৌঁছাতে দেরি কেন? তার আগে জেনে নিন এই শাকের পুষ্টিগুণ।
১০০ গ্রাম লালশাকে রয়েছে ৮৮ গ্রাম জলীয় অংশ, ১ দশমিক ৬ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৪৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৫ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম চর্বি, ৫ মিলিগ্রাম শর্করা, ৩৭৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১১৯৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, শূন্য দশমিক ১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ৪৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। লালশাকের খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, দস্তা ইত্যাদি।
· লালশাক খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করা যায়। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লালশাকে প্রচুর লোহা থাকায় এটি শরীরের রক্ত বাড়ায়। এ ছাড়া এটি রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়, যার ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এর বিটা-ক্যারোটিন হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
এ ছাড়া লালশাক মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে, দাঁত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে, দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও লালশাক যথেষ্ট উপকারী। এ ছাড়া এটি শরীরের ওজন কমায়। লালশাকের আঁশ–জাতীয় অংশ পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি ভিটামিন ‘সি’র অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/923293
শীতকালীন সবজি হলেও এখনো বাজারে লালশাক পাওয়া যাচ্ছে। দামেও খুব সস্তা। এক অাঁটি লালশাকে যে পুষ্টিগুণ আছে, অনেকগুলো দামি খাবার একসঙ্গে করলেও সেই পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব নয়। রঙের কারণে শিশুরাও লালশাক খুব পছন্দ করে। তাই খাবার টেবিলে লালশাক পৌঁছাতে দেরি কেন? তার আগে জেনে নিন এই শাকের পুষ্টিগুণ।
১০০ গ্রাম লালশাকে রয়েছে ৮৮ গ্রাম জলীয় অংশ, ১ দশমিক ৬ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৪৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৫ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম চর্বি, ৫ মিলিগ্রাম শর্করা, ৩৭৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১১৯৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, শূন্য দশমিক ১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ৪৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। লালশাকের খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, দস্তা ইত্যাদি।
· লালশাক খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করা যায়। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লালশাকে প্রচুর লোহা থাকায় এটি শরীরের রক্ত বাড়ায়। এ ছাড়া এটি রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়, যার ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এর বিটা-ক্যারোটিন হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
এ ছাড়া লালশাক মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে, দাঁত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে, দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও লালশাক যথেষ্ট উপকারী। এ ছাড়া এটি শরীরের ওজন কমায়। লালশাকের আঁশ–জাতীয় অংশ পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি ভিটামিন ‘সি’র অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/923293