Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - diljeb

Pages: [1] 2 3 ... 8
1
কনটেন্ট ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম জুমলা নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা ।

এখানে আমি  বর্তমানে বিশ্বের একটি জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম [CMS] জুমলা সম্পর্কে জানব এবং এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করব ।
প্রথমেই আসা যাক , জুমলা কি ?
জুমলা ওপেন সোর্স ম্যাটার্সের তত্বাবধানে পিএইচপিতে লেখা একটি উন্মুক্ত সোর্সের সিএমএস সফটওয়ার। জুমলা ম্যাম্বো নামক আরেকটি সিএমস থেকে জন্ম দিয়ে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই দ্রুত জনপ্রিয়তার কারন হলো, প্রচুর সংখ্যক এক্সটেনশনের সহজলভ্যতা, নির্ভরযোগ্য সহায়তার জন্য সক্রিয় ফোরাম এবং সর্বোপরি জুমলা ব্যবহারে সহজতা। জুমলা.অরগ ও এর বিভিন্ন সাব সাইটে জুমলা সম্পর্কিত সব তথ্য পাওয়া যাবে।
সিএমএস বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি ?
সিএমএস কোন ওয়েব সাইটকে চালানোর উপযোগী একটি সফটওয়ার। যখন কোন ভ্রমণকারী ওয়েবসাইটের কোন কিছু দেখতে চান, তখন সিএমএস সফটওয়ার সেটা যোগান দেয়। পাশাপাশি, সিএমএস এর সুবিধা ব্যবহার করে ওয়েব মাস্টার প্রয়োজনে তার ওয়েব সাইটে বাড়তি তথ্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি যোগ করেন। পুরোনো তথ্য ইত্যাদি আর্কাইভ করে রাখার সুবিধাও থাকে। নিবন্ধিত সদস্যসরা তাদের নিজেদের খবর, তথ্য ইত্যাদি জমা দিতে পারেন। কোন সম্পাদক তা অনুমোদন করলে তা প্রকাশ পাবে, এমন ব্যবস্থাও থাকে। এ ধরনের সব সুবিধা থাকে সিএমএস এর ব্যাক এন্ডে।
যে সব ওয়েব সাইটের বিষয় বস্তু প্রায়ই পরিবর্তিত হয়, সেসব ওয়েব সাইট দেখভাল করার জন্য সিএমএস এর চাইতে ভাল আর কিছু হতে পারে না। যে সব সাইট সদস্য ব্যস্থাপনা করে তাদেরও অনেক কিছু দিতে পারে সিএমএস।
 
ওযেব সাইট তৈরির জন্য জুমলা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর ব্যবহার কত যে আকর্ষনীয়,আপনি ব্যবহার না করলে বুজবেন না।এর সবচেয়ে বড় দিক হল এটি ওপেন সোর্স সি.এম.এস.।যার দরুন যেকোন কেউ এটি ফ্রি ডাউনলোড ও ব্যবহার করে ওযেব সাইট ও ওযেব এপলিকেশন তৈরি করতে পারবেন ।এতে আপনাকে কোনও টাকা দিয়ে কিনতে হবেনা।
 
 
জুমলা দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে –
 
কর্পোরেট ওয়েবসাইট বা পোর্টাল
কর্পোরেট ইন্ট্রানেট এবং এক্ট্রানেট
অনলাইন ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র এবং বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা
ই-কমার্স সাইট এবং অনলাইন রিজার্ভেশন
সরকারী বিভিন্ন সাইট
মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট
অলাভজনক এবং বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট
কমিউনিটি নির্ভর পোর্টাল
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট
ব্যক্তিগত বা পারিবারিক হোমপেইজ
 
 
 
 
বর্তমানে ই-কমার্স এর মত সাইটও সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে জুমলা ব্যবহার করে,পারবেন আপনার পছন্দ মত Image Gallery,From বানানো,Download Manager,Guestbook ,স্লাইড শো,এডসেন্স প্রোগাম আরও অসংখ্য প্রোগাম যোগ করতে ।Custom Html নামক একটি এক্সটেনশন যা দিয়ে এমন কোন প্রোগাম নেই যে আপনি যোগ করতে পারবেন না,প্রয়োজনীয় কোড কপি করে এনে এক্সটেনশনটি পেস্ট করলেই কাঙ্কিত আউটপুট দেখতে পারবেন ।হাজার হাজার টেমপ্লেট ও প্রয়োজনীয় এক্সটেনশন রয়েছে ইন্টারনেটে ।www.joomla24.com এই সাইটিতেই রয়েছে ৩০ হাজারেরও অধিক টেমপ্লেট,আর http://www.extensions.joomla.org এ রয়েছ অসংখ্য এক্সটেনশন ।এই সাইট ২টিই সব ধরনের টেমপ্লেট ও প্রয়োজনীয় এক্সটেনশন এর জন্য অনেক সিকিউর ।
 
 
পিএইচপি দিয়ে এই সি.এম.এস. টি তৈরি এবং এটি মাইসিকুয়েল ডাটাবেজ ব্যবহার করে ।অনেক Freelancing সাইট রয়েছে যেখানে শুধু Joomla এর ই রয়েছে হাজার হাজার ডলার এর কাজ ।আপনিও Joomla’য় দক্ষ হয়ে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারবেন ।এজন্য শুধু Joomla’র জন্য রয়েছে একটি Freelancing সাইট http://joomlancers.com.
এছাড়া oDesk, rentacoder, getafreelancer ইত্যাদি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইটগুলোতেও প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।
 

2
১৯৩০ সালে শুরু হয়ে চলতে চলতে ২০ টা আসর শেষ করে ২০১৪ সালে এসে ব্রাজিলে
এর মধ্যে বিশ্বকাপ ফুটবল তৈরি করেছে নানা ইতিহাস, নানা রেকর্ড।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এর কিছু রেকর্ড ও ইতিহাস...............।
প্রথম আয়োজক দেশ           : উরুগুয়ে
প্রথম বিজয়ী                            : উরুগুয়ে
সর্বোচ্চ শিরোপা বিজয়ী দেশ         : ব্রাজিল(৫ বার শিরোপা)
সর্বোচ্চ রানার্স-আপ            : জার্মানি (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২)
শীর্ষ গোলদাতা                   : রোনালদো (ব্রাজিল)           
দ্রুততম গোল                    : হাকান শুকুর (তুরস্ক)
বেশিবিশ্বকাপে অংশনেয়া খেলোয়াড়       : Antonio Carbajal (মেক্সিকো ),
                      Lothar Matthäus  (জার্মানি)  ৫ বিশ্বকাপ
সর্বোচ্চ গোল্ডেন বুট বিজয়ী দেশ         : ব্রাজিল(৫ বার)
সর্বোচ্চ গোল্ডেন বল বিজয়ী দেশ         : ব্রাজিল(৭ বার)
সর্বোচ্চ Golden Glove বিজয়ী দেশ    : উরুগুয়ে (৩ বার)
সর্বোচ্চ Fair Play Trophy Win দেশ   : ব্রাজিল(৪ বার)

দেখা হল কিছু গুরুত্ব পূর্ণ বিশ্ব রেকরদ।ফুটবল মানেই রেকর্ড এবার ও হবে নানা রকম বিশ্ব রেকর্ড। আর তো মাত্র কয়েক টা দিন।
এবার সব দল যে ভাবে নিজেদের তৈরি করেছে তাতে আমরা অনেক সুন্দর একটা খেলা দেখতে পারবো আসা করি। এবার প্রস্তুতির জন্য সবার বাজেট অনেক। আর এই বাজেট দৌরে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন। দেখি সেরা দল গুলো কার কত বাজেট।

স্পেন : ৪৮৬.৯ মিলিয়ন ইউরো

আর্জেন্টিনা : ৪৭৪.১ মিলিয়ন ইউরো

ব্রাজিল : ৪৭০.২ মিলিয়ন ইউরো

জার্মানি : ৪৪৫.৬ মিলিয়ন ইউরো

ফ্রান্স : ৩৯৮.৬ মিলিয়ন ইউরো

ইংল্যান্ড : ৩৫৪.২ মিলিয়ন ইউরো

বেলজিয়াম : ৩৩৬.১ মিলিয়ন ইউরো

ইতালি : ৩২২.৪ মিলিয়ন ইউরো



3
ফুটবল খেলার আদি ইতিহাস(সৃষ্টি রহস্য)।

আর কিছু দিন পর অনুষ্ঠিত হতে চলছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৪।এই নিয়ে মাতামাতির শেষ নাই।পতাকা বানাও, সাপোর্ট কর, খেলা দেখ আরও কত কি।সারা বিশ্বেই চলে এই উম্মাদনা।কিন্তু আমারা যারা ফুটবলকে ভালবাসি, মনে ধারন করি তারা অনেকেই জানেন না এই খেলার আদি উৎপত্তি কোথায় বা প্রাচীন যুগে ফুটবল কারা খেলত বা আদও কেউ খেলত কিনা বা এই ফুটবল প্রাচীন থেকেই এমন ছিল কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই বিশ্বকাপকে সামনে ভক্তদের ফুটবল সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি আরও একটু বিস্তৃত করতে নিয়ে এলাম ফুটবল সম্পর্কে কিছু প্রাচীন এবং অজানা তথ্য। আশাকরি ফুটবল প্রেমিদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে একটু হলেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ধারনা করা যায় ফুটবল খেলা প্রথম শুরু করেছিল গ্রিক এবং রোমান সম্প্রদায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ সালের দিকে। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা বল দিয়ে বিভিন্ন রকমের খেলা খেলত, তার মধ্যে কিছু কিছু খেলা পা ব্যবহার করে খেলত। রোমান খেলা Harpastum এসেছে গ্রিক খেলা Episkyros থেকে যা গ্রিক নাট্যকার  Antiphanes (388–311 BC) এবং পরে ক্রিস্টিয়ান দার্শনিক Clement of Alexandria (c.150-c.215 AD) তাদের বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ করেছেন।এই খেলাটা রাগবি ফুটবল খেলার মত ছিল।রোমান রাজনীতিবিদ Cicero (106–43 BC) বর্ণনা করেছেন ঐ খেলার সময় একজন মানুষ নাপিতের দোকানে সেভ হওয়ার সময় বলের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন।ঐ বল গুলো বাতাস দ্বারা পূর্ণ থাকত অনেকটা বেলুনের মত।


                                                                                                         ছবিঃ প্রাচীন গ্রিক ফুটবল প্লেয়ার বল নিয়ে খেলতেছে।

ফিফার তথ্য অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক খেলা cuju ই হল  ফুটবল খেলার সর্বপ্রথম রুপ যার বৈজ্ঞানিক প্রমান আছে।যদিও ফিফা প্রাচীন গ্রিক খেলা Episkyros কে ফুটবল খেলার সর্বপ্রথম রুপ হিসাবে আগে স্বীকৃতি দিয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে মিলিটারিরা অনুশীলন হিসাবে এটা খেলত।ঐতিহাসিক চাইনিজ মিলিটারি গ্রন্থ Zhan Guo Ce যা প্রণীত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় থেকে ১ম শতাব্দীর মধ্যে যা তে ফুটবল কথাটি খুঁজে পাওয়া যায়। ইহাতে মিলিটারিদের একটা অনুশীলনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে যা cuju নামে পরিচিত(cuju মানে kick ball) আর ইহা খেলার জন্য একটা চামড়ার বল প্রয়োজন ছিল যাকে পা দিয়ে লাথি মারা হত এবং সিল্কের কাপর দিয়ে ছোট হোল তৈরি করা থাকত মাটি থেকে ৯ মিটার উপরে বাশের সাথে।চীনের হ্যান সাম্রাজ্যের সময় (206 BC–220 AD), cuju  খেলার নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

ছবিঃ চীনা শিশু cuju খেলতেছে।

পরবর্তীতে এই খেলার বিভিন্ন রুপ জাপানে এবং কোরিয়াতে বিস্তার লাভ করে, জাপানে এই খেলা  kemari  এবং কোরিয়াতে chuk-guk নামে পরিচিত।পরে আরেক ধরনের গোলপোস্ট বানানো হয় যা মাঠের মাঝখানে বসানো থাকত।অশোকা সাম্রাজ্যের সময় জাপানে kemari খেলা বিকাশ লাভ করে।kemari খেলার নিয়ম ছিল কয়েক জন মানুষ একটা বৃত্তাকার মাঠের ভিতর বল লাথি দিয়ে খেলবে তবে তারা চেষ্টা করত বল যেন মাটিতে ড্রপ না পড়ে বা যেন শূনে ভেসে থাকে।



ছবিঃ জাপানিজ kemari  খেলা।

তবে বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে বল খেলা বিভিন্ন দেশে মানুষরা খেলত।যেমন ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ অনুসন্ধানকারী John Davis গ্রিনল্যান্ডের Inuit দের সাথে ফুটবল খেলেছিল। ১৬১০ সালে আমেরিকানদের খেলা লিপিবদ্ধ করেছিলেন  William Strachey নামের একজন ঔপনিবেশিক।তবে অস্ট্রেলিয়ায় লাথি মেরে বল খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়ান উপজাতিরা যা বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের গ্রন্থে প্রমান পাওয়া যায়। নিউজিল্যান্ডে Māori রা প্রথম বল খেলা শুরু করে যার নাম ছিল Ki-o-rahi এবং এই খেলার নিয়ম ছিল একটা বৃত্তাকার মাঠকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে একটা করে দল থাকত এবং প্রত্যেক দলে ৭ জন করে খেলোয়াড় থাকত এবং মাঠের মাঝখানে একটা বৃত্তাকার সীমানা থাকত।দুই ভাবে এই খেলার পয়েন্ট নির্ধারিত হত তা হল একদন আরেক দলের সীমানা পার করে দিতে পারলে এবং মাঝের বৃত্তটা স্পর্শ করতে পারলে বল দিয়ে। ইউরোপে তথা ইংল্যান্ডে বল খেলা শুরু হয়েছিল ৯ম শতাব্দীতে যা Historia Brittonum বইতে উল্লেখ পাওয়া যায়।ইংল্যান্ডে প্রথম দিকে যে বল খেলা হত তার নাম ছিল "mob football" এবং যা খেলা হত মূলত প্রতিবেশী শহরগুলোর মধ্যে এবং ইহা খেলা হত বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে। এই খেলায় দুই দলে অগণিত খেলোয়াড় থাকত এবং এরা একটা বলকে গায়ের জোরে ধাক্কা ধাক্কি করে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেতে পারলে পয়েন্ট হত।



ছবিঃ "mob football" খেলা।

আয়ারল্যান্ডে ১৩০৮ সালে ফুটবল খেলা হয়েছিল যা John McCrocan নামের একজন দর্শক খেলাটা দেখেছিল যা তার বইতে উল্লেখ পাওয়া যায়। ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালির  Florence শহরে যে বল খেলা হত তার নাম ছিল "calcio storico" এবং পরবর্তীতে এই calcio storico ই হল আধুনিক ফুটবলের প্রাথমিক রুপ। এই খেলায় সর্বচ্চ ২৭ জন খেলোয়াড় থাকত এবং প্রত্যেক দলে বিভিন্ন সংখ্যার খেলোয়াড় থাকত যেমন কোন দলে ১৫ জন আবার কোন দলে ২০ জন এবং গোলরক্ষক থাকত ৫ জন।কিন্তু এই নিয়ম বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে তাই পরবর্তীতে ১৮৭০ সালে আইন করা হয় যে প্রত্যেক দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকতে হবে এবং এর মধ্য থেকে একজন গোলরক্ষক থাকবে একটি দলে।তাই ১৮৭০ সাল থেকেই আধুনিক ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়।অনেক গবেষণা করে দেখা যায় যে ১০+১০=২০ জন খেলোয়াড়ই যথেষ্ট পুরো মাঠটা কভার করতে।তাই এই ১১+১১=২২ জনের  নিয়ম করা হয়। ১৯২৮ সালে সর্বপ্রথম আর্সেনালের পরিচালক পর্ষদ সহজে চেনার জন্য খেলোয়াড়দের জার্সিতে নাম্বা্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। তখন স্বাগতিক দলের জার্সি নাম্বার থাকত ১-১১ পর্যন্ত এবং সফরকারী দলের নাম্বার থাকত ১২-২২ পর্যন্ত। কিন্তু ১৯৪০ সালে সিদ্ধান্ত হয় যে একই নাম্বার বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও নিতে পারবে কিন্তু নাম্বার ঐ ১-২২ পর্যন্ত থাকতে হবে। ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম জার্সিতে খেলোয়াড়ের নাম লেখা হয় এবং যেকোন নাম্বার খেলোয়াড় নিতে পারবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।তারপর থেকেই মুলত ফুটবল বাধা মুক্ত হয়।



ছবিঃ calcio storico খেলা ।

ফুটবল সম্পর্কিত কিছু প্রথম ঘটনাঃ

ফুটবলে প্রথম বুট ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫২৬ সালে।
নারীরা প্রথম ফুটবল খেলেছিল ১৫৮০ সালে।
প্রথম ফুটবলে গোলের ব্যবহার শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে।
নথিভুক্ত প্রথম ফুটবল ক্লাবের নাম Foot-Ball Club (১৮২৪-৪১) যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে।
প্রথমদিকে ফুটবল তৈরি করা হত পশুদের মুত্রথলি দিয়ে বিশেষত শুকুরের মুত্রথলি দিয়ে।
সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭০ সালের ৫ই মার্চ ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে।যার ফলাফল ছিল ০-০।
সর্বপ্রথম ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭২ সালে  ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে।যারও ফলাফল ছিল ০-০।
১৮৭৫ সালে সর্বপ্রথম ক্রসবারের আবির্ভাব হয়।
১৮৭৭ সালে সর্বপ্রথম ফুটবল খেলার দৈর্ঘ্য ৯০ মিনিট নির্ধারণ করা হয়।
১৮৯০ সালে সর্বপ্রথম গোলপোস্টে জাল ব্যবহার করা হয়।
১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম পেলান্টি কিকের আবির্ভাব হয়।
১৯০৪ সালের ২১শে মে FIFA প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩ই জুলাই ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে।
প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে উরুগুয়ে।
ফ্রান্সের Lucien Laurent বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন মেক্সিকোর বিপক্ষে।
 

4
কখন হয় হার্ট এ্যাটাক
হূদযন্ত্রকে রক্ত সরবরাহ করে যে ধমনীগুলো এর একটি অবরুদ্ধ হলে পরিণতিতে ঘটতে পারে হার্ট এ্যাটাক। এর অন্তর্গত কারণ হরো করোনারি হূদরোগ। এর ঝুঁকিগুলো হলো ধূমপান, রক্তে উচুমান কোলেস্টেরল, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত বয়স।
হার্ট এ্যাটাক হলো জরুরী অবস্থা। হৃদযন্ত্র কর্মচঞ্চল থাকার জন্য, হৃদপেশীর চাই প্রচুর অক্সিজেন ও পুষ্টি উপকরণ। হৃদযন্ত্রকে রক্ত সরবরাহ করে করোনারি ধমনী,এর মাধ্যমে রক্ত যায় হৃদপেশীতে, রক্তের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছায় অক্সিজেন ও পুষ্টি উপকরণ। হৃদপেশীতে যে ধমনী রক্তের জোগান দেয় এর একটি রুদ্ধ হলে ঘটে হার্ট এ্যাটাক। অন্তর্গত কারণ হলো করোনারি হৃদরোগ। করোনারি ধমনীর ভেতরের দেয়ালে ধীরে ধীরে জমে উঠে চর্বির স্তর। চর্বিপুঞ্জ হয় জমা। একে বলে প্লাক বা এথারোমা। তাই ক্রমে ক্রমে ধমনীপথ হয়ে যায় অপ্রশস্ত।

হার্ট এ্যাটাক হার্ট এ্যাটাক সম্পর্কে জানুন

হার্ট এ্যাটাক
এই সরুপথ ধমনীতে রক্ত জমাট বাধে, হৃদযন্ত্রের একটি অংশে রুদ্ধ যদি হয় রক্ত চলাচল; তাহলে হয় হার্ট এ্যাটাক। হৃদপেশীর কতটুকু স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হলো এর উপর নির্ভর করে কতগুরুতর হবে হার্ট এ্যাটাক। হার্ট এ্যাটাক অবশ্য একটি জরুরী অবস্থা। সতর্ক সংকেত ব্যক্তিভেদে সতর্ক সংকেতগুলোও হতে পারে নানা ধরণের। সব সময় যে তা ইঠাত্ ঘটবে বা গুরুতর হবে তাও নয়। যদিও বুক ব্যথা বা অস্বস্তি হলো হার্ট এ্যাটাকের সবচেয়ে সচরাচর উপসর্গ তবুও কারো কারো বুক ব্যথার অভিজ্ঞতা হয়ই না। আবার কারো কারো হয়ত হয় বুকে মৃদু ব্যথা বা অস্বস্তি। হার্ট এ্যাটাক যখন হয়, তখন শরীরের উর্দ্ধাঙ্গে ব্যথা, চাপ ও ভারি বোধ বা আটসাট ভাব অনুভব করা বিচিত্র নয়, সঙ্গে থাকতে পারে অন্যান্য উপসর্গ। কেউ বলেন, যেন হাতি চড়ে বসেছে বুকে, বুককে যেন শক্ত বেল্ট দিয়ে কেউ চেপে ধরেছে, খুব বদহজম, কেমন যেন ভালো লাগছেনা শরীর-এরকম সব অভিজ্ঞতা।
হার্ট এ্যাটাকের সচরাচর সতর্ক সংকেতগুলো হলো-


ব্যথা, চাপ বা আটসাট ভাব
বুকে
ঘাড়ে
স্কন্দে
বাহুতে
চোয়ালে
পিঠে
আরো যা হতে পারে
বমি বমি ভাব
মাথা ঝিমঝিম বা মাথা হালকা লাগা
শীতল ঘাম ঝরা
শ্বাস কষ্টের অনুভূতি
কোনও সময় যে কোনও একটি উপসর্গ বা অনেকগুলো একত্রেও হতে পারে। উপসর্গ আসতে পারে হঠাত্ করে বা এক অথবা কয়েক মিনিটের মধ্যে। এবং ক্রমে ক্রমে তা শোচনীয় আকার ধারণ করতে পারে। উপসর্গ সাধারণত: স্থায়ী হয় ১০ মিনিট। তাই সতর্ক সংকেত গুরুতর হলে এম্বুলেন্স ডাকা উচিত তত্ক্ষণাতভাবে। কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স ডাকতে অনেক সময় ০০০ ডায়াল করা হয়। দ্রুত এম্বুলেন্স, ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে চাই চিকিত্সা সেবা।
এম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষার সময় কি করা উচিত
এম্বুলেন্সের প্যারামেডিকরা জীবন রক্ষাকারী বিশেষ যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষ থাকে এবং এম্বুলেন্সের ভেতরেই হার্ট এ্যাটাকের রোগীকে আগাম চিকিত্সা দিতে শুরু করতে প্রশিক্ষিত থাকেন। আগাম চিকিত্সা হৃদযন্ত্রের ক্ষতি অনেক কমাতে পারে। হাসপাতালে যাবার জন্য সবচেয়ে দ্রুত, সবচেয়ে নিরাপদ বাহন হলো এম্বুলেন্স। এতে সরাসরি দ্রুত চিকিত্সা নজর লাভ করা যায়।
কিভাবে হার্ট এ্যাটাক নির্ণয় করা যাবে
১. ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি): হৃদযন্দ্রের স্পন্দনের তড়িতলখ। অনেক সময় ব্যায়াম করার সময়, বাইকে বা ট্রেডমিলে ব্যায়াম করার সময় হৃদ তড়িতলখ রেকর্ড করা হয় একে বলে এক্সারসাইজ বা স্ট্রেস ইসিজি।
২. রক্ত পরীক্ষা: হূদপেশী ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তে উত্সারিত রাসায়নিকদের পরিমাপ।
৩. এনজিওগ্রাম (কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেসন): করোনারি ধমনীর বিশেষ এক্সরে।
করোনারি হূদরোগের ঝুঁকি
ধূমপান, উচুমান রক্ত কোলেস্টেরল, শরীর চর্চার অভাব, অস্বাস্থ্যকর আহার, শরীর ভারি হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বিষন্নতা, নি:সঙ্গতা, সামাজিক অবলম্বনের অভাব। অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে-বুড়ো হওয়া, করোনারি হূদরোগের পারিবারিক ইতিহাস, ৬০ বছরের নিচে বয়স, ঋতু বন্ধ উত্তর স্বাস্থ্য।
ঝুঁকি কমাতে পারে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে
ব্যবস্থাপত্র ও পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ
ধূমপান বর্জন, তামাক-জর্দা সেবন বর্জন, ধূমপায়ীদের সিগারেটের ধোয়া থেকে দূরে থাকা
স্বাস্থ্য সম্মত আহার
শরীরর্চ্চা করা, সক্রিয় থাকা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
কোলেস্টেরল ও রক্তের লিপিড নিয়ন্ত্রণে রাখা
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা

5
কিছু বদভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব ক্ষতিকর অভ্যাস এর একটি তালিকা দেয় হল। এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
স্নায়ুর চাপে আমরা অনেক সময় বিচলিত হই। তখন এমন সব কাজ করি যা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। নার্ভাস হ্যাবিট বললে সঠিক বলা হবে এদের। নিজের কাছে সেগুলো হয়ে উঠে বিরক্তিকর এমনকি চার পাশের লোকদের কাছেও। কিছু কিছু স্নায়ুবিক অস্থিরতা বা অকিঞ্চিত্ বিষয়ে এস্তব্যস্বতা স্বাস্থ্যের সত্যিকারের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, নখ-কামড়ানো, কেশ মোচড়ানো, এরকম আরও কিছু নিরীহ অভ্যাসগুলো সত্যি স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হতে পারে।
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস
নখ কামড়ানো
OVLd09R স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস
নখ কামড়ানো
ভয়ের কোন ছবি ছবিঘরে দেখে স্নায়ুবিক উত্তেজনা বশে নখ কামড়াতে পারেন, কিন্তু নখ কামড়ানো যদি নিয়মিত অভ্যাস হয় তাহলে এতে নখ এবং চারপাশের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বলেন নিউ ইউর্ক সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা: মাইকেল শাপিরো। মুখগহ্বর থেকে জীবানু স্থানান্তরিত হতে পারে ত্বকে এমনকি ত্বক থেকে মুখেও অনুরূপ স্থানান্তরিত হতে পারে। ডা: শাপিরো বলেন, নখের নিচে রোগ জীবানু যেতে পারে মুখগহ্বরে, হতে পারে মাড়ি ও গলদেশের সংক্রমণ। নখ রাঙ্গালে হয়ত নখ কামড়ানো নিরুত্সাহিত হতে পারে।
চুল মোচড়ানো ও টানা
EUE7qCF স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া
আঙ্গুল দিয়ে চুল মোচড়ানো, পেঁচানোর অভ্যাস হলে কালক্রমে চুলের গোড়ার অনেক ক্ষতি হয়। এমনি অভিমত নিউ ইয়র্কের আর একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা: এরিয়েল ওস্টাড-এর। এতে কোনও কোনও স্থান কেশহীন হয়ে যেতে পারে। এমনকি হতে পারে সংক্রমণও। ডা: ওস্টাড বলেন, বাঁধাহীনভাবে কেশ আকর্ষণ মানসিক রোগের লক্ষণ হতে পারে। চিকিত্সা বিজ্ঞানে বলে, ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। এর জন্য প্রয়োজন হয় সাইকোথেরাপি ও ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা।
হঠাত্ করে ঘাড় মটকানো
twBe7Eu স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস
ঘাড় মটকানো
এতে আকষ্মিক আওয়াজ হয়। গলাকে হঠাত্ জোর করে একদিকে মোচরানো হলে কশেরুকাগুলোর মধ্যবর্তী সন্ধিস্থলে যে গ্যাস তৈরি হয়ে থাকে সেই গ্যাস উত্সারিত হয় এবং ফট ফট আওয়াজ করে। এতে আরাম বোধ হলেও বারবার গলদেশকে এমন মোচড়ালে পরিপার্শ্বের সন্ধিবন্দনীগুলো অতিসচল হয়ে উঠে। ফলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনি অভিমত দিয়েছেন, ফ্লোরিডার অর্থপেডিক সার্জন ডা: মাইকেল গ্লিবারের। এছাড়া হাড়ের গিটের এত অতিরিক্ত চলনের জন্য এতে ক্ষয় হতে পারে। পরিনামে আথ্রাইটিসের মত সমস্যা। বিরল ক্ষেত্রে এরকম বারবার ঘাড় মটকালে স্টোকও হতে পারে।
বারবার মুখমন্ডল স্পর্শ করলে
Ws3wmlG স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস
মুখমন্ডল স্পর্শ
বারবার মুখমন্ডল স্পর্শ করলে বা ব্রণ খোটালে ত্বকের উপরের অনুক্ষুদ্র স্তরের ক্ষতি হয়। বলেন ত্বক চিকিত্সক জেসিকা ক্রান্টি। এথেকে রক্তক্ষরণ হলে ত্বকে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়। তাই ব্রণ খোটা বা যে স্থানে চুলকাচ্ছে সেখানে চুলকানো ঠিক নয়। এতে আলতোভাবে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ করা ভালো।
দাঁত কিড়মিড় করা
মানসিক চাপে দাঁত কিড়মিড় করা বা দাঁত জোরে ঘষা মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। দাঁত কিড়মিড় করলে দাঁত চূর্ন হতে পারে বা দাঁতে ফাটল লাগতে পারে, তখন দাঁতের মেরামতি বা রুট ক্যানাল প্রয়োজন হতে পারে। চোয়ালের হাড়ের গিট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দন্ত চিকিত্সক জাস্টিন ফিলিপ বলেন, মানুষ মানসিক চাপে দাঁত কিড়মিড় করে বা ঘষে। তবে বেশিরভাগ ঘটে নড়বড়ে দাঁত, দন্তহীন হওয়া বা ত্রুটিপূর্ণভাবে দাঁত লাগানোর জন্য। প্রয়োজন হতে পারে অর্থোডন্টিক চিকিত্সকের।

6
বেশীর ভাগ মানুষই মনে করেন শুধুমাত্র ব্রেনের সমস্যার কারণেই মাথা ব্যথা হয়। আসলে এ ধারনা ঠিক নয়। চোখ, কান, নাক, দাঁত এসবের সমস্যার কারণেও কিন্তু মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।
চোখের সমস্যার কারণে মাথা ব্যথা
Headache Myopia চোখের সমস্যার কারণে মাথা ব্যথা
চোখের সমস্যার কারণে মাথা ব্যথা
আমাদের দেশের রোগীরা মাথা ব্যথা হলেই নিউরোলোজিস্ট বা  নিউরোসার্জনের কাছে ছুটে যান। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে যে মাথা ব্যথা হতে পারে তার কোন চিন্তাও তারা করেন না। ফলে অনেক রোগীর সময় এবং অর্থ দু’ই নষ্ট হয়।
মাথা ব্যথা হলে চোখের সমস্যার কথা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। মায়োপিয়া বা হ্রস্ব দৃষ্টি খুব পরিচিত। এ কারণে কিন্তু মাথা ব্যথা হয়।
সঠিক পাওয়ারের চশমা ব্যবহারকলেই এই মাথা ব্যথা ভাল হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় চশমা না নিয়ে বা চোখের ত্রুটি সংশোধন না করে রোগীরা প্যারাসিটামল,
প্রপানলল, এমিট্রিপটাইলিন, টলফেনামিক এসিড ইত্যাদি খেয়ে যান। এর ফলে রোগী সামায়িক আরাম পেলেও কষ্ট কিন্তু চলতেই থাকে। আর প্রত্যেক ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
তাই রোগ নির্ণয়ের জন্য সঠিক ডায়াগনসিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার অনেক শিশুদের ট্যারা চোখের জন্যও মাথা ব্যথা হতে পারে। অথচ অপারেশন করলে ট্যারা চোখ ভাল করা সম্ভব।তখন চিরস্থায়ী ভাবে মাথা ব্যথার সমাধান হয়। মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ চোখের ত্রুটি। তাই মাথাব্যথা হলে অবশ্যই চোখের কথাও মনে রাখতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শে একজন চক্ষু ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

7
এই শীতে পি.এইচ ( pH) কি জানতে হবে???

রসায়নে পি.এইচ (ইংরেজি: pH) হচ্ছে দ্রবীভূত হাইড্রোজেন আয়নের সক্রিয়তার পরিমাপ। পি.এইচ দ্বারা মূলত হাইড্রজেন আয়নের ঘনত্ব বোঝায়। ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ পানির পি.এইচ ৭ যাকে পি.এইচ স্কেলের নিরপেক্ষ মান হিসেবে ধরা হয়। পানি বিক্রিয়ক বিশেষে কখনও অম্ল আবার কখনও ক্ষারকের মত আচরণ করে এজন্য পানিকে Amorphous বা, অনিয়তাকার পদার্থ বলা হয়ে থাকে। পি.এইচ স্কেলে নিরপেক্ষ পানির পি.এইচ কে মধ্যমান ধরে যাদের পি.এইচ ৭ এর নিচে তাদের অম্ল এবং যাদের পি.এইচ ৭ এর ওপরে তাদের ক্ষারক বলা হয়। জলীয় দ্রবণের পি.এইচ মাপার জন্য পি.এইচ নির্দেশক, গ্লাস-ইলেকট্রড অথবা পি.এইচ মিটার ব্যবহার করা হয়।
জীববিজ্ঞান,রসায়ন,কৃষিবিজ্ঞান,বনবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান, ফরেনসিক,খাবারের মান যাচাই,গবেষণাগারের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা সহ অসংখ্য ক্ষেত্রে পি.এইচ পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
@@ক্ষার ও ক্ষারকঃ ক্ষারক এক শ্রেণীর রাসায়নিক যৌগ যা হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করতে সক্ষম। যেমন ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইডসমূহ ক্ষার। পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারক যা হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH−) প্রদান করে তাকে ব্রনস্টেড-লাউরির মতবাদ অনুযায়ী ক্ষার বলা হয়। ক্ষারকের অন্যান্য মতবাদ বা সংজ্ঞার্থের মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রন জোড় দান, হাইড্রোক্সাইড আয়নের উৎস বা আরহেনিয়াস মতবাদ। এইসব রাসায়নিক যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন অবমুক্ত করে দ্রবণের pH এর মান প্রশম পানির চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭ এর বেশি করে। সবচেয়ে প্রচলিত ক্ষারক সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NaOH, KOH, Ca(OH)2, NH4OH,CuO,Al(OH)2. এদের মধ্যে CuO,Al(OH)2. ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।
রাসায়নিকভাবে অম্লের বিপরীতধর্মী পদার্থ হল ক্ষারক। অম্ল এবং ক্ষারকের মধ্যে বিক্রিয়াকে বলা হয় প্রশমন বিক্রিয়া। অম্ল এবং ক্ষারককে বিপরীতধর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ অম্ল পানিতে হাইড্রোনিয়াম আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি করে ; অপরদিকে ক্ষারক তা হ্রাস করে। ক্ষারক অম্লের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে বলে ক্ষার ; পক্ষান্তরে যেসব ক্ষারক পানিতে অদ্রবনীয় তারা ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়। তাই বলা হয় সকল ক্ষারক ক্ষার নয়, কিন্তু সকল ক্ষারই ক্ষারক।এদের জলীয় দ্রবন লাল লিটমাস কাগজকে নীল রঙে পরিণত করে।
@@ বৈশিষ্টঃ ক্ষার ও ক্ষারক পিচ্ছিল হয়। এরা তিতা স্বাদ যুক্ত হয়। যেমন—সাবান।
@@ এসিডঃ অম্ল (acid) একটি রাসায়নিক যৌগ যাকে পানিতে দ্রবীভূত করলে এমন একটি দ্রবণের সৃষ্টি হয় যার পিএইচ মান ৭.০ -এর কম হয়। এই সংজ্ঞাটি বিজ্ঞানী ইয়োহানেস নিকোলাউস ব্রনস্টেড এবং মার্টিন লাউরি প্রদত্ত আধুনক সংজ্ঞার খুব কাছাকাছি। তারা প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে সংজ্ঞা দিয়েছিলেন যে, অম্ল এমন একটি রাসায়নিক যৌগ যা অন্য কোন যৌগকে (সাধারণত ক্ষার) এক বা একাধিক হাইড্রোজেন H+ আয়ন প্রদান করতে পারে। কিছু অম্লের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, HCl,H2SO4,NHO3,H2CO3 ইত্যাদি। অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া থেকে এ দিক দিয়ে পৃথক যে, অম্ল-ক্ষারের ক্ষেত্রে জারণ অবস্থায় কোন আধান থাকেনা এদের জলীয় দ্রবন নীল লিটমাস কাগজকে লাল রঙে পরিণত করে।এটাকে পানিতে ফেললে এটি ধনাত্মক ও ঋণাত্মক দুই আয়নে পরিণত হয়।
@@ বৈশিষ্টঃ এসিড টক স্বাদ যুক্ত। যেমন—লেবু(সাইট্রিক এসিড)
@@পি.এইচ মিটার (ইংরেজি: pH মিটার)ঃ pH মিটার একটি বৈদ্যুতিক পরিমাপের যন্ত্র যার সাহায্যে তরলের pH (অম্লতা বা ক্ষারতা) মাপা যায়। একটি আদর্শ pH মিটারে বিশেষ ধরনের পরিমাপের প্রোব (একটি কাচের ইলেক্ট্রোড) এবং মান প্রদর্শনী পরিমাপযন্ত্র থাকে। আর্নল্ড অরভিল বেকম্যান আবিষ্কার করেন।

@@@@পি.এইচ স্কেল (ইংরেজি: pH স্কেল) অম্ল ও ক্ষারের জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা প্রকাশের জন্য pH স্কেল নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা বুঝাবার জন্য ব্যবহৃত সংকেত পিএইচ (pH)। ফরাসি শব্দ Pouvior Hydrogene অর্থাৎ হাইড্রোজেন শক্তি, সংক্ষেপে pH। পিএইচ-এর স্কেল ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত বিস্তৃত। pH ৭-এর নিচে হলে দ্রবণটি অম্লীয়, ৭-এর উপরে হলে দ্রবণটি ক্ষারীয় এবং pH=7 হলে দ্রবণটি নিরপেক্ষ বা প্রশমিত দ্রবণ বা পানি।
@@@ এই শীতে জানতে হবে পি. এইচ “PH”
এই শীতে আমরা আমাদের ত্বক ভাল রাখার জন্য বাজারে প্রচলিত নানা রকম ক্রিম, ভেসলিন, বডি লোশন........................... ইত্যাদি ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো কি একবার ভেবে দেখেছি যে এই সব ক্রিম আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আর এই সব ক্রিম আমাদের জন্য ক্ষতিকারক কি না তা জানার জন্য অর্থাৎ এই সব ক্রিমে কি পরিমাণ এসিড/ ক্ষার আছে তা পরিমাপের এদের গায়ে লিখা থাকে। এই পি এইচ “PH” এর তারতম্য হলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন এমন কি মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের ত্বকের জন্য যেমন অতি এসিড ক্ষতিকর তেমনি অতি ক্ষারও ক্ষতিকর। আমাদের ত্বক সাধারণত এসিডিও হয়। স্বকের “PH” ৪-৬ এর মধ্যে। তাই প্রসাধনী কিনার আগে একটু খেয়াল করে দেখতে হবে এর “PH” কত। সাধারণত বাজারে যে সব প্রসাধনী পাওয়া যায় এদের গায়ে এদের “PH” ৫.৫ লিখা থাকে। তাই যে সব প্রসাধনীতে “PH” মান লিখা থাকে না তা না কিনায় ভাল। আর বিশেষ করে আমাদের শিশুদের ব্যবহারের জন্য বড়দের প্রসাধনী ব্যবহার হতে বিশেষ বিশেষ ভাবে সাবধান থাকতে হবে। কারন নবজাতক শিশুদের ত্বকের “PH” ৭ এর কাছা কাছি থাকে। তাই বড়দের ব্যবহৃত প্রসাধনী এদের ব্যবহার করা সম্পূর্ণ হারাম। ব্যবহার করলে শিশুদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই তো শিশুদের ব্যবহারের জন্য মেরিল বেবি লোশন/জনসনের তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকে। এর একটিই কারন এই প্রসাধনী শিশুদের ত্বকের উপযোগী করে বানানো। একটু খেয়াল করলে দেখবেন এদের “PH” মান একটু বেশি। প্রায় পানির কাছা কাছি। কারন পানি নিরপেক্ষ ।এর “PH”=৭।
@@ আমাদের শরীরে “PH” মানঃ আমাদের ধমনির রক্তের “PH” প্রায় ৭.৪। এর সামান্য হের ফের হলে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে, এমন কি মৃত্যও হতে পারে। আমাদের জিহ্বার লালা “PH” ৬.৬ এর কাছা কাছি থাকলে তা আমাদের পরিপাকে ভাল কাজ করে। আবার আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করার জন্য “PH” হল ২। এর মান ০.৫ এর মত হের ফের হলে বদহজম শুরু হয়। যা আমাদের প্রায় হয়ে থাকে। আমাদের প্রসাবের “PH” ৭ এর কম থকা ভাল এবং স্বাভাবিক। তা না হলে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হয়।
@@ আরও যে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে “PH” মানঃ ঔষধ, কলমের কালি, লজেন্স জাতীয় মিষ্টি খাবার, রঙ, সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য,চামড়া, রাসায়নিক দ্রব্য, জাংক ফুড( ফাস্ট ফুড), কোমল পানিয় ইত্যাদি।
@@ কৃষিতে “PH” মানঃ মাটির পি.এইচ ( pH) সাধারণত ৪-৮ হয়ে থাকে। মৃত্তিকার পিএইচ মান ৭-এর কম থাকলে তাকে এসিড মৃত্তিকা বা অম্লমাটি (Acid soil) বলে। পরিবর্তনযোগ্য হাইড্রোজেন ও অ্যালুমিনিয়াম আয়নের উপস্থিতির কারণে এই অম্লতা। এসিড মৃত্তিকায় হাইড্রক্সিল আয়নের তুলনায় হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ বেশি থাকে। মাটির “PH” ৩ এর কম হলে অর্থাৎ এসিডিও হলে মাটির অনেক দরকারি Ca ও Mg চলে যায়। ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। আবার মাটি খুব ক্ষারীয় হলে “PH” মান ৯.৫ এর বেশি হলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। অর্থাৎ মাটিতে অতিরিক্ত ক্ষার/এসিড দুইই মাটির জন্য ক্ষতিকর। মাটির দ্রবণে হাইড্রোজেন যোগানের উৎসের মধ্যে রয়েছে অম্লযুক্ত মূল উপাদানসমূহ, উদ্ভিজ্জ সার, বৃক্ষমূল, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অ্যালুমিনো সিলিকেট, আয়রন পাইরাইটস এবং অ্যামোনিয়া সার। সাধারণত মৃদু ও মধ্যম এসিড মৃত্তিকা চাষাবাদের জন্য উত্তম।
এ জন্য জমির মাটির “PH” মাঝে মাঝে পরীক্ষা করা উচিত। আর এই পরীক্ষা খুব অল্প ব্যায়ে থানা মিতৃকা পরীক্ষা গারে পরীক্ষা করতে পারবেন অথবা ইউনিয়ন কৃষি অফিসারের কাছে সাহায্য নিতে পারেন।
এসিডিও মাটির জন্য Ca ও Mg যুক্ত সার এবং ক্ষারীয় মাটির জন্য নাইট্রেট ও ফসফেট জাতীয় সার ব্যবহার করে মাটির “PH” নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

8
সোসাল বুকমার্কিং এখনও SEO করার অন্যতম হাতিয়ার। সাইটের ভিজিটর বাড়াতে, গুগল পেজ রেঙ্ক পেতে অথবা এলেক্সা রেঙ্ক কমাতে সোসাল বুকমার্কিং খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অনেকেই শতাধিক সোসাল বুকমার্কিং সাইটে বুকমার্কিং করেও প্রত্যাশিত ফলাফল পান না। কারন তারা না জেনেই চোখ বন্ধ করে বুকমার্কিং করে গেছেন। যাই হোক এখানে নিজস্ব রিসার্স এর মাধ্যমে আমি ২০১৪ সালের সেরা ১০টি সোসাল বুকমার্কিং সাইট লিষ্ট তৈরি করেছি প্রয়োজন হলে দেখে নিতে পারেন।



লিষ্টটি করা হয়েছে ট্রাফিক এর উপর বেস করে। অর্থাৎ যে সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায় সেটি ১ এ, তার পরে যে সাইট থেকে বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায় সেটি ২ এ, এভাবে ক্রমান্বয়ে।

SL   Site Address   PR   Alexa Rank   Avowzone Comment
1   http://www.stumbleupon.com   8   151   Best (10 out of 10)
2   https://www.diigo.com   7   2098   Best (9 out of 10)
3   http://www.reddit.com   8   62   Best (10 out of 10)
4   http://www.tumblr.com   8   35   Best (10 out of 10)
5   http://digg.com   7   500   Best (9 out of 10)
6   http://slashdot.org   7   1625   Best (10 out of 10)
7   https://www.xing.com   9   368   Best (10 out of 10)
8   https://delicious.com   8   1194   Best (8 out of 10)
9   http://www.newsvine.com   7   3776   Best (7 out of 10)
10   http://www.squidoo.com   6   824   Best (7 out of 10)
 

9
Common Forum/Request/Suggestions / Be Yourself
« on: December 14, 2014, 01:24:30 PM »

Are you compelled to be somebody you're not. Do you live in a big house because you think it is required to fit the mold of others. Does your choice of furniture reflect what you think others would expect you to have.

Did You Ever
Have you ever stopped to think how much energy, or for that matter, how much you complicate your life, by pretending to be someone you're really not?

Maybe this is partly a reflection of a portrayed lifestyle you see every day on the television, or those latest magazines depicting a glamorous lifestyle. Who are you trying to impress - you, or everyone else?

Think how simple your life would be if you stopped for a moment and just learned to be yourself.

Karen's Story
Take one of my previous co-workers, Karen, for example. Karen spends most of her day worrying about what other people think about her.

She buys furniture in a style that she thinks would impress her friends even though this furniture is very uncomfortable.

Every time she goes out the door, she worries whether what she wears or how she looks is up to the standards of those people she knows that she just might meet at the neighbourhood store.

In Short, Who Cares
Be yourself, enjoy who you are. For example, if you want comfy furniture that really invites you to curl up and relax, then do it. After all, whom are you trying to impress with uncomfortable furniture? You're the one who has to live there. You're the one who should be comfortable in your own home.

One thing I've come to realize is that it really doesn't matter what other people may think. If they are that small minded, or if they want to impress whomever, let them. I for one don't care. I don't have to spend any energy or complicate my life by what others may think. Isn't it really a matter of the person - what's inside of you - who you really are as a person?

Don't waste your time, your energy, or complicate your life by worrying about what other people may think. It really boils down to this - if they shun me, or look down their noses at me because of my furniture, or the house I live in, or the car I drive, then do I really want or need them as friends? Simply no.

Did It Help?
Several years ago, I was in a position to see what happens to people who . . . .   

10
Common Forum/Request/Suggestions / Luck Do You Have It
« on: December 14, 2014, 01:23:54 PM »

Luck comes to those who work. You may think that other people are just plain lucky.   


Barbara Bush once said, "You don't just luck into things as much as you would like to think you do. You build step by step, whether it is friendships or opportunities." Her words of wisdom are ones that we need to remember.

And to use the wisdom said by Thomas Jefferson, "I'm a great believer in luck,and I find the harder I work,the more I have of it." How you define luck - Jefferson defines luck as work. If the results of that work is luck then it changes your preception of what luck is.

The truth is, some people do do not see the effort lucky people put in. Like everything else in this life, you must put in effort.

To quote Zig Ziglar, "This I do know beyond any reasonable doubt. Regardless of what you are doing, if you pump long enough, hard enough and enthusiastically enough, sooner or later the effort will bring forth the reward." You see the same theme running through the words of these famous people - it appears to them that luck is actually the results of taking action and persevering.

Good fortune does not happen because of luck. When someone gets a promotion, some people see this as luck. If they took a closer look, however, they would soon recognize how much harder successful people have worked, how much effort they've given, and how much dedication and commitment they've demonstrated in order to go that extra mile.

Carl Zuckmeyer said, "One-half of life is luck; the other half is discipline - and that's the important half, for without discipline you wouldn't know what to do with luck."

Robert Collier said it best when he said, "All of us have bad luck and good luck. The man who persists through the bad luck, who keeps right on going, is the man who is there when the good luck comes, and is ready to receive it."

So next time you feel like you don't have any luck, remember these wise words and keep on going - step by step, with enthusiasm, discipline and persistence, and you will find luck!

11
Common Forum/Request/Suggestions / Your Example
« on: December 14, 2014, 01:22:01 PM »
   
The personal example you set will do more to convince someone than all the eloquent speeches in the world. When you expect others to demonstrate a certain type of behaviour, ask yourself if your behaviour exemplifies what you expect of others.

Personal examples of behavior not only include verbal messages you send by the way you speak to others but also how you encourage others.

Consistency Is Key
The best part of setting examples is that you have a constant influence but you must be aware that everything you say is being watched. It is something like training a dog to adopt a new behavior. One thing about training, or setting examples, is that you must be consistent. For example, in training a dog to sit you must always get the dog to sit every time you give the command. You cannot allow the dog to disobey at any time or, the dog will think that this command only applies once and awhile. Consistency is the key just as it is in setting an example for human consumption.

As Oliver Goldsmith once said, "You can preach a better sermon with your life than with your lips."

Pull By Example
If you take a piece of string and push it, it will not go in the direction you want. But, if you take that same piece of string and pull it along, the string will move in the same direction. That principle applies to people. Don't push them along; pull them along by your own actions, your behaviour, your enthusiasm, and your determination. Reflect on the words of Albert Schweitzer, "Example is not the main thing in influencing others. It is the only thing."

Everyone has an opportunity to set an example even if they think they do not. We set an example with every word, with every motion, and with everything we do or do not say. Some of these examples of behavior are those that we do that we do not expect to observe by others but they happen all the time.

A Misstep To Watch For
Some of those occasions when we would rather not be observed setting a poor example can happen to us all at anytime and at any place. Some of these times can occur quite innocently especially when we are over tired or under extreme stress. These are the times, though, that we need to exercise tremendous control over our raw emotions and understand that what we do is what others may also do. This is extremely important in any family unit despite the fact that they are our closest loved ones. But, it doesn?t matter when you slip up and show uncontrolled emotion, it is invariably more often remembered rather than all those times when we were in absolute control and showed the right way to deal with any situation. The advent of not being in control and thereby not setting a proper example is easy to do rather than being in control. Take for example when a driver cuts you off in traffic. The normal reaction is to get angry or give them a rude gesture. But, this only shows that you are letting a circumstance that has no emotion attached to it, the power to exact a response from you.

Tests of Positive Actions and Behavior
Circumstances we meet throughout the day or week or month do not possess a soul nor do they have emotion. We are the ones who give them life through how we react or do not react. Take that driver, for example, that cut you off. Maybe they didn?t even realize they did it and off they go on their merry way without a care in the world while, in the meantime, you are fuming with fists gesturing and blood pressure rising. What is the better way to handle this especially if you have passengers like young adults who are about to get their license? Well, for sure, a negative behavior, or an inappropriate behavior or response does not set a positive example.


12

Most Of Us Think That We Are Fine Human Beings
And, for the most part this is true. But, maybe we should sit back for a few minutes and look deeply into our own inner spaces. Think about how a normal day progresses for you from the time you wake up to the time when you go to sleep.

Think About This
Here are some behaviours, attitudes and thoughts to reflect on as you sit quietly:

1) As you arrive at your place of work, do you warmly and genuinely greet colleagues, or are you to wrapped up in your own world that you ignore them?
2) Do you normally smile at everyone you meet during your day, or are you prone to frown?
3) Are you known as an open and receptive person who welcomes others ideas or opinions, or do you have a tendency to immediately discount other people's opinions when they do not match your own thinking?
4) Does your usual behaviour include praising others for their work, or their contributions, or are you apt to criticize first by finding fault?
5) Are you able to appreciate that everyone has feelings no matter who they are or where they fit into the social fabric of society, or do you shun or avoid some people because they do not fit within your social circle?
6) You may be a busy person but do you volunteer or help others outside of your work, or do you prefer to let others give of their time and energy to assist others in need?
7) Are you really interested in other people and who they are and what they are like, or are you more likely to speak or associate only with people that feed your ego?
8) Are you known as a friendly person whom is easy to speak with, or are you known as the type of person who is difficult to approach or is full of themselves, rude, or arrogant?

There Are More Qualities That Can Be Listed
But I think you get the main point. You may not feel you possess any of the negative aspects spoken of but others may see you in a different light.

The Main Thing To Consider Is
How you want to be known as the years roll by. It is comforting to know as your life winds to an end that you have been a wholesome, valuable, giving, caring, and influential person to those you meet along life's pathway.      
The winner asks,
"May I help?"
The loser asks,
"Do you expect me to do that?"
William Arthur Ward



Related:
Positive Attitude Quotes

Making A Difference

Optimistic Quotes

Positive Thinking Quotes


"Rejoice while you are alive; enjoy the day; live life to the fullest; make the most of what you have. It is later than you think."
Horace


   

13
Common Forum/Request/Suggestions / Honesty A Core Value
« on: December 14, 2014, 01:20:29 PM »



One of the most basic core values is honesty. W. Clement Stone gave us an example of honesty in the wisdom when he said, "Have the courage to say no. Have the courage to face the truth. Do the right thing because it is right. These are the magic keys to living your life with integrity."

An Example
I saw honesty in action when I was at a checkout counter in a Wal-Mart store. The line ups were long and we all patiently waited. There was a teenage girl ahead of me. She paid for her items and left. As the cashier was ringing in my items the teenage girl who had been ahead of me in the line, came back and gave the cashier $5.00 because the cashier had given the teenager too much change. The cashier was shocked that the teenager returned it. She thanked the teenager for her honesty. Once the teenager left, the cashier said to me, "That is a rare occurrence."

The teenage demonstrated the meaning in the quote by Spencer Johnson, "Integrity is telling myself the truth. And honesty is telling the truth to other people."

Another Example
This time it involved an individual who left a firm that engaged in questionable practices. He was selling advertising space, however, the magazine was not being published on a regular basis. But he was expected to sell the advertising as if the magazine was published weekly. Although, he needed the money to support his family, he was unwilling to work for a firm that had questionable practices so he resigned. .

Edward R. Murrow once said, "To be persuasive we must be believable; to be believable we must be credible; credible we must be truthful." The individual could not sell something he did not believe in because he knew the truth about the publication of the magazine.

Choices We Make
In both of these examples, the people could have chosen a different action, however there own values allowed them to make a choice that they could be proud of! And in life, it is all about choices we make. And how the direction of our lives comes down to the choices we choose. Honesty is not only doing the right thing, it is living with yourself with the choices you make.


14
Common Forum/Request/Suggestions / All Is Going Well
« on: December 14, 2014, 01:02:08 PM »


Find wisdom in this thought about all is going well when in fact all may not be going that great.   


The wisdom from George S. Patton contain thoughts to inspire
"I don't measure a man's success by how high he climbs but how
high he bounces when he hits bottom."


The true test in life does not occur when all is going well. The true test takes place when we are faced with challenges. Some people have a positive attitude towards life only when all is well. However, when the going gets tough, their attitude changes instantly, and they become very negative or are consumed with self pity.

There are many examples of people who have hit bottom. Christopher Reeve is an example of someone who had faced challenges. He was a person who was very successful and active, however, he had a riding accident that left him paralyzed. He could have felt sorry for himself. Instead, since the accident he has raised money for research on paralysis, directed a film, and has written his autobiography Still Me.

I recently talked with someone who was having difficulties; part of the problem was they were sitting around just feeling sorry for themselves. My advice to them was "do something productive" rather than sit and think!

Your problems seem larger when all you do is sit around and think about them. When you are active and doing something productive you will find that your mind is no longer focusing on your issues and in fact you may find yourself feeling better.

Be conscious of your attitude. Work extra hard at keeping your attitude positive in all kinds of weather, through all the challenges of life. I know this is very easy to say and at times, can be difficult to put into practice. But you almost have to force your mind to stay focused on the positive things in your life.

I will leave you with wisdom from Norman Vincent Peale,
"Any fact facing us is not as important as our attitude towards it,
for that determines our success or our failure."

15
Common Forum/Request/Suggestions / Stones of Life
« on: December 14, 2014, 01:01:30 PM »


Have you ever seen or found a river stone that was perfectly smooth? Did the stone start out this way, or did it change over time? To most of us, the answer is obvious. Over time, the forces of the river current changed the river stone. And, like the river stone, forces in our lives are constant and never ending causing changes whether we like it or not.

The important question for all of us though is how do we respond to change?

Past Is Not Present
Many of us, have to work to support ourselves, or our family. But, does change in the work environment, or changes in our lives go unnoticed, or is of little concern?

Take our working environment in particular. No longer can we rely on past experience to gives us a safety net. No longer can we count on seniority to guarantee us a job. Nor, can we count on the company we work for either being bought out or going out of business entirely.

Are You Properly Prepared?
Let's be honest. You can resist change but it's going to happen anyway. Ask yourself, what are your chances of surviving if you continue to resist change?

Change is hardly new to our society. Just look at your daily newspaper, or T.V. newscast, or Internet stories. Change is everywhere. It has been a constant companion for as long as people have roamed the earth. The most important and significant aspect about change is that it has accelerated over the last couple of decades due to technological advances, and a more global society.

Change Your Thinking
In order to benefit from change we need to focus more on the advantages rather than the negative. Remember, change is going to happen anyway; wouldn't it be better to be part of it rather than a fallout statistic because of it.

If you find yourself resisting a new process, a new strategy, a new way of doing business, a good question to ask yourself is why the change is necessary. It is easier to adapt to change when you understand the reasons the change is required.

Take Charge Today
Taking the inevitability of change one step further, it is vitally important to keep expanding your knowledge, and to upgrade your skills, or learn a new skill. Don't wait for someone else to suggest upgrading, or enrolling in a specialized course. If you wait, you may never get the opportunity because others may have already completed what you should have done. Sometimes, it will make the difference from keeping your job to having no job at all.

Change, adapt, and continue to learn. Change will affect you one way or the other, just like change happened to the river-stone.


Pages: [1] 2 3 ... 8