Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - momin

Pages: [1] 2
1

অহংকার মানব স্বভাবের একটি নিকৃষ্ট অংশ। আপনি যদি দুটি কাজ করেন, তাহলে বুঝবেন আপনার অহংকার আছে।

প্রথমত হচ্ছে, আপনি যদি হককে কবুল না করেন। এটা খুব সহজেই আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন। কাউকে যদি দেখেন যে, সে হককে কবুল করছে না, তাহলে বুঝতে হবে যে তাঁর মধ্যে অহংকার আছে। তবে হকটা হক হিসেবেই হতে হবে, হক কবুল করার বিষয়টি খায়েশ অনুযায়ী হলে চলবে না। আপনি বলছেন যে, এটা কবুল করল না, এ জন্য আপনি মনে করলেন এই লোক অহংকারী, ব্যাপারটি এমন নয়। প্রকৃত হক বা সত্যকে কেউ ইচ্ছা করে কবুল করতে না পারলে বুঝতে হবে অহংকার তাঁকে বাধা দিচ্ছে।
.
দ্বিতীয় হচ্ছে, মানুষদের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছজ্ঞান। মানুষদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা, ছোট করার চেষ্টা করা। যদি এটি কোনো লোকের বক্তব্য বা আচরণের মাধ্যমে অথবা কোনো ইঙ্গিতের মাধ্যমে, কোনো লেনদেনের মাধ্যমে বোঝা যায়, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর মধ্যে অহংকার রয়েছে। সেটা আপনার মধ্যে থাকলে আপনিই সেটা বুঝতে পারবেন।
.
আর এই বিষয়টিকে সত্যিকার পরিচর্যা করার জন্য যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটি হলো, আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন যে, ‘আমি একটু বড়’ এই ভাবটি আপনার মধ্যে জাগ্রত হচ্ছে কি না, এই অহমিকা ভাব, বড়ত্বের ভাব আসছে কি না। এই ভাবটি যদি আপনার অন্তরের মধ্যে আসে, তাহলে আপনি মনে করবেন যে, অহংকার এখনো রয়ে গিয়েছে। এর মাত্রা হয়তো কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু অহংকার এখনো রয়ে গিয়েছে।
.
কিন্তু যদি দেখেন যে কোনো ব্যক্তির অবস্থান এবং আপনার অবস্থান অন্তরের মধ্যে সমান মনে হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন যে আপনার অন্তর থেকে আসলেই অহংকার চলে গিয়েছে, আপনার অন্তর অহংকার থেকে মুক্তি লাভ করতে পেরেছে।

অহংকারের পরিণতি কত ভয়ংকর তা নিছে বর্ণিত হাদিসটি থেকে বুঝা যায়।

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিনাম অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।" (সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ ৯১)


আমরা নিজ নিজ অহংকার কতটুকু পরিমাপ করতে পারি ! একে অপরের অহংকার অনুভব করতে পারলেও আমরা নিজের বেলায় তা মানতে নারাজ ! এ সমাজে অহংকার মূক্ত মানুষ খুব অল্পই খুজে পাওয়া যাবে। সে অর্থে জান্নাতি লোকের সংখ্যা যে অনেক অল্পই হবে তা অনুমান করা যায়।

জান্নাতি হতে হলে আমাদেরকে অহংকার সম্পূর্নরূপে পরিহার করতে হবে।

হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে অহংকার থেকে হেফাজত কর এবং জান্নাতিদের দলে অর্ন্তরভূক্ত কর। আমিন।।

2

: Notice:------------

This is hereby notified that the students of DIU of  BBA,LLB,BRE, NFE, English, JMC program ID code (11,26,27,10,34 & 24) will be deposited their Academic Fee to Southeast Bank Ltd. Dhanmondi Branch, Navana New Berry Place, 1st floor, 4/1/A Mirpur Road, Sabhanbag, Dhanmondi Dhaka-1207.

3
https://m.youtube.com/watch?v=wZ-Cn7-QAIA (মে'রাজ: এক বিস্ময়কর যাত্রা, পর্ব ১)

https://www.facebook.com/baseeramedia/videos/2008043082807793/UzpfSTEyODY3NTMzNzA6MTAyMTQyMTg2MDA3MjA3NDk/(মে’রাজ: এক বিস্ময়কর যাত্রা – পর্ব ২)

https://www.facebook.com/baseeramedia/videos/2015120735433361/UzpfSTEyODY3NTMzNzA6MTAyMTQzNjcxNDA5MTQxNjE/মে'রাজ: এক বিস্ময়কর যাত্রা -পর্ব ৩)

6
Islam & Science / সফরের সুন্নাত সমূহ
« on: April 04, 2018, 12:53:10 PM »
সফরের সুন্নাত সমূহ

১. কমপক্ষে দুই ব্যক্তি এক সাথে সফরে যাওয়া, পারতপক্ষে একা সফর না করা। (তিরমিযী, হাদীস নং- ২১৬৫)

২. বাড়ী থেকে بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهْ পড়ে বের হওয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৫০৯৫)

৩. যানবাহনের দরজায় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে বলতে পা রাখা। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ২৬০২)

৪. যানবাহনে ভাল ভাবে আসন গ্রহণের পর তিনবার আল্লাহু আকবার বলে এই দু‘আ পড়াঃ

اَلْحَمْدُ لِلّهِ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنْ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ
- اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الْأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَسُوْءِ الْمَنْظَرِ فِيْ وَ الْمَالِ الْأَهْلِ.

(মুসলিম, হাদীস নং-১৩৪২/ নাসাঈ, হাদীস নং ৫৫১৩/ আবু দাউদ, হাদীস নং ২৫৯৮, ২৫৯৯)

৫. সফরে কোথাও অবস্থানের প্রয়োজন হলে, কোন জায়গায় এমনভাবে অবস্থান করা, যাতে মানুষের চলাফেরা ইত্যাদির ব্যাঘাত না ঘটে। (বুখারী, হাদীস নং- ৬২২৯)

৬. নিজে বা যানবাহন উপরের দিকে উঠতে লাগলে আল্লাহু আকবার বলা। (মুসলিম, হাদীস নং- ১৩৪৪)

৭. নিজে বা যানবাহন নীচের দিকে নামতে বা অবতরণ করতে লাগলে সুবহানাল্লাহ বলা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ২৯৯৩)

৮. দূর হতে গন্তব্যস্থান দৃষ্টিগোচর হতেই এই দু‘আ তিন বার পাঠ করাঃ

اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهَا
(তাবারানী আউসাত, হাদীস নং- ৪৭৫৫)

৯. গন্তব্যস্থানে প্রবেশ কালে এই দু‘আ পড়াঃ

اَللّهُمَّ ارْزُقْنَا جَنَاهَا وَحَبِّبْنَا إلَى اَهْلِهَا وَحَبِّبْ صَالِحِىْ اَهْلِهَا إلَيْنَا.
(তাবরানী আউসাত, হাদীস নং- ৪৭৫৫)

১০. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন : সফরের কার্য শেষ হলেই তাড়াতাড়ি বাড়ী ফিরে আসবে। অযথা সফরকে দীর্ঘ করা ভাল নয়। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ১৮০৪)

১১.দীর্ঘ দিনের সফর শেষে বাড়ী প্রত্যাবর্তনকালে হঠাৎ করেই ঘরে প্রবেশ না করা। বরং প্রথমে নিজ গ্রাম বা মহল্লার মসজিদে এসে অবস্থান করা ও দু‘রাক‘আত নামায পড়া। অতঃপর বাড়ীতে আসার সংবাদ পৌঁছিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করে নিজ বাড়ীতে প্রবেশ করা। তেমনিভাবে দীর্ঘদিন সফর হতে পিরে এসে গভীর রাতে বাড়ীতে প্রবেশ না করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২৭৬৯/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ১৮০০)

বি.দ্র. সফরের প্রোগ্রামই এরূপ বানাবে যাতে সকাল হলে বাড়ী পৌঁছা যায়। তবে ঘরের লোকদের যদি তার গভীর রাতে পৌঁছার সংবাদ জানা থাকে এবং তারা তার জন্য অপেক্ষায় থাকে, তবে রাতে এসে সরাসরি ঘরে প্রবেশ করায় কোন দোষ নেই। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫২৪৭)

১২. সফরে কুকুর, ঘুঙরু ও গলঘন্টী সঙ্গে না রাখা। কেননা, শয়তান এগুলোর পিছু নেয়, তাতে সফরের বরকত চলে যায়। উল্লেখ্য, সখ করে বাড়ীতে কুকুর পালা শরী‘আতে নিষেধ। (মুসলিম, হাদীস নং- ১৫৭৪/ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ২১১৩)

১৩. সফর হতে প্রত্যাবর্তন করে এই দু‘আ পড়া : آيِبُوْنَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ.
(তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪৪০)

7
জামা‘আতে নামায পড়ার ফযীলত:-

(১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, জামা‘আতের সাথে আদায়কৃত নামায একাকী নামাযের চেয়ে ২৭ গুন বেশী ফযীলতপূর্ণ। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৬৪৫)

(২) হযরত উসমান ইবনে আফ্ফান রাযি.-এর সূত্রে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইশার নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করল সে যেন অর্ধরাত দাঁড়িয়ে ইবাদত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন সারারাত নামায পড়ল। (মুসলিম শরীফ হাদীস নং ৬৫৬)

(৩) হযরত আনাস রাযি.-এর সূত্রে অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য লাগাতার ৪০ দিন ক্রমাগত তাকবীরে উলার সাথে জামা‘আতে নামায আদায় করবে, তার জন্য দুটি সনদ লিখে দেয়া হবে, ১টি হল তার জাহান্নাম থেকে মুক্তির। অপরটি হল মুনাফেকীর ফিরিস্তি থেকে মুক্তির। (তিরমিযী শরীফ হাদীস নং-২৪১)

(৪) হযরত আবু মূসা আশআরী রাযি. থেকে বর্ণিত- অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে যতদূরে অবস্থান করে, সে দূর থেকে মসজিদে আসার দরুন ততবেশী সওয়ারে অধিকারী হবে। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৬৫১, মুসলিম শরীফ হাদীস নং ৬৬২)

(৫) হযরত আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত- অন্য এক হাদীসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঘর থেকে উযূ করে ফরয নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদ পানে রওনা হল, সে ইহরাম বেঁধে গমনকারীর প্রাপ্ত সওয়াবের পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হবে। (আবূ দাউদ শরীফ হাদিস নং ৫৫৮)

8
আসুন আমরা সবাই অহংকার সম্পর্কে জানি এবং উহা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।

অন্যের চাইতে নিজেকে বড় মনে করাকেই মূলত অহংকার বলে।
অহংকার মানব স্বভাবের একটি নিকৃষ্ট একটি অংশ।
একে দমন করে সৎকর্মে লাগানোর মধ্যেই মানুষের কৃতিত্ব নির্ভর করে।

আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন,
অহংকারের বশবর্তী হয়ে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করোনা এবং পৃথিবীতে গর্বভরে বিচরণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ কোন অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
সূরাঃ লুকমান, আয়াতঃ ১৮

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিনাম অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
- সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ ৯১

একজন আলেম উক্ত হাদিছের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, অহংকার ঈমানকে ধ্বংস করে। কোন লোকের মধ্যে অহংকার থাকলে তিনি ঈমানদার হতে পারেন না এবং ঈমানদার না হলে তিনি জান্নাতে যেতে পারবেন না।

অহংকারের কতিপয় নিদর্শনঃ

১) অন্যকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা,
২) অন্যের কাছে নিজের বড়ত্ব যাহির করা,
৩) অধীনস্তদের সাথে দুর্ব্যবহার করা,
৪) অন্যের আনুগত্য ও সেবা করাকে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করা,
৫) দাম্ভিকতার সাথে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা,
৬) নিজের ভুলের উপরে জিদ করে অটল থাকা,
৭) মানুষের সাথে নম্রতা পরিহার করে সর্বদা কঠোর আচরণ করা,
৮) নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করা,
৯) জ্ঞান অর্জন না করা,
১০) অন্যের উপদেশ গ্রহণ না করা ইত্যাদি

অহংকারের কারন সমূহঃ

১) জ্ঞানের স্বল্পতা,
২) বংশ মর্যাদা,
৩) পদমর্যাদা,
৪) ভালর প্রতি হিংসা,
৫) ধন- সম্পদ ,
৬) নেক আমল ।

অহংকার দূরীকরণের উপায় সমূহঃ

১) নিজের সৃষ্টি নিয়ে ভাবা,
২) মৃত্যুর কথা সর্বদা স্মরণ করা,
৩) হাশরের ময়দানে জবাবদিহিতার ভঁয়ে ভীত থাকা,
৪) আমার প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহ্‌ দেখেন এই ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
৫) গরীব ও ইয়াতীমের সহযোগিতা করা,
৬) অসুস্থকে সেবা প্রদান অথবা সেবা প্রদানে সহযোগিতা করা,
৭) দম্ভভরে পৃথিবীতে পদচারনা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা,
৮) গোপন ও রিয়ামুক্ত আমলে নিজেকে অভ্যস্ত করা,
৯) আল্লাহর ভঁয়ে গোপনে ক্রন্দন করা,
১০) অন্যের সাথে নম্র আচরণ করা,
১১) অন্যের ভুল ক্ষমা করা,
১২) অহংকার বশত অন্যের সাথে অসদাচরণ করে ফেললে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়া,
১৩) ভুলক্রমে অহংকার প্রকাশ পেলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া,
১৪) অহংকার থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া।
১৫) অগ্রগামী হয়ে অন্যের আগেই সালাম দেয়া,

হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের সবাইকে অহংকারমূক্ত জীবন দান করুক। আমিন।।

9
নবীর প্রতি দরূদ পাঠের প্রয়োজনীয়তা

দরূদ অর্থ শুভকামনা বা কল্যাণ প্রার্থনা। আরবি সালাত শব্দের সমার্থক দরূদ। সালাতের মূল চারটি অর্থ। সেগুলো হলো- শুভকামনা, গুণকীর্তন, দয়া-করুণা ও ক্ষমা প্রার্থনা।

সাধারণভাবে দরূদ বলতে ‘সালাত আলান নবী’ অর্থা‍ৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পঠিত শুভকামনা, গুণকীর্তন, তার প্রতি আল্লাহর দয়া-করুণা ও প্রার্থনাকে বোঝায়। দরূদ অতীব মর্যাদা ও সম্মানের। আরবিতে ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’ বা ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ই হলো- দরূদ।

নবীর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ আল্লাহতায়ালা নিজেই দিয়েছেন। নবীর প্রতি দরূদ পড়ার অর্থই হলো- আল্লাহর আদেশের বাস্তবায়ন ও হুকুম পালন করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ -সূরা আহজাব: ৫৬

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরূদ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার দরূদ পাঠ করবেন।’ –সহিহ মুসলিম: ৩৮৪

হজরত ইবনে মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি সব লোকের তুলনাঢ আমার বেশি নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার ওপর দরূদ পড়বে।’ –সুনানে তিরমিজি: ৪৮৪

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আমার কবরকে উৎসব কেন্দ্রে পরিণত করো না। তোমরা আমার প্রতি দরূদ পেশ কর। কারণ, তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের পেশকৃত দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।’ –সুনানে আবু দাউদ: ২০৪২

হজরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম শোনার পর দরূদ না পড়লে তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদদোয়া করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম শুনে যে ব্যক্তি দরূদ পড়ে না তার জন্য হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম বদদোয়া করেছেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমীন বলেছেন।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অভিশাপ দিলেন যে, ‘সেই ব্যক্তির নাক ধূলা-ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হল, অথচ সে (আমার নাম শুনেও) আমার প্রতি দরূদ পড়ল না।’ (অর্থাৎ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলল না)। -তিরমিজি: ৩৫৪৫

হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হল), অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।’ –সুনানে তিরমিজি: ৩৫৪৬

হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা মিম্বরের কাছে একত্রিত হও। আমরা উপস্থিত হলাম। যখন তিনি মিম্বরের প্রথম স্তরে চড়লেন তখন বললেন, হে আল্লাহ কবুল করুন। তারপর যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লেন তখনও বললেন, হে আল্লাহ কবুল করুন। তারপর তৃতীয় স্তরে চড়ে আবারও বললেন, হে আল্লাহ কবুল করুন। খুতবা শেষে যখন মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন, তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আজ আমরা আপনার থেকে এমন কিছু শুনলাম যা এর পূর্বে আর কখনও শুনিনি। তখন তিনি বললেন, আমার কাছে জিবরাইল (আ.) এসে বলল, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও তাকে ক্ষমা করা হলো না- সে বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লাম তখন তিনি বললেন, যার কাছে আপনার নাম উল্লেখ করা হলো কিন্তু সে আপনার ওপর দরূদ পড়ল না- সেও বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন তৃতীয় স্তরে চড়লাম, তখন তিনি বললেন, যে পিতা-মাতাকে অথবা তাদের কোনো একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েও তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারল না সেও বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। -বায়হাকি: ১৪৬৮

অজ্ঞতার কারণে সমাজে দরূদের নামে বিভিন্ন ধরনের বানোয়াট ও উদ্ভট কথা-বার্তার প্রচলন রয়েছে। অনেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অতিভক্তি প্রদর্শন করে এবং তাকে অধিক সম্মান দেখাতে গিয়ে তার সম্পর্কে এমন উদ্ভট কথা-বার্তা বলে থাকে- যা তার জন্য প্রযোজ্য নয়। ফলে দেখা যায়, দরূদের নামে রাসূল সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলা হয়- যা শিরকের পর্যায়ভুক্ত। এমন মনগড়া কাজ কাম্য নয়।

মনগড়া কাজের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসগুলো প্রত্যেক মুসলমানের মেনে চলা উচিত- যেন সংক্ষিপ্ত ও অতি মূল্যবান জীবনে ব্যয়কৃত সময়, সম্পদ এবং অন্যান্য যোগ্যতা কিয়ামতের দিন ধ্বংস না হয়ে যায়।
সংগ্রহীত.....

10
তাকওয়া মানব জীবনের একটি মহৎ চারিত্রিক গুন। তাকওয়া মানুষকে ইহকালীন পরকালীন উভয় জীবনকেই সম্মান-মর্যাদা ও সফলতা দান করে।

আল্লাহ তায়ালার নিকট জবাবদিহি করার ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়।

অন্যকথায় সকল প্রকার পাপাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করে কুরআান সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করাকে তাকওয়া বলা হয়। তাকওয়াবানদের মুত্তাকি বলা হয়।

তাকওয়া সম্পর্কে আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা যা বলেছেন:
"যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হওয়ার ভয় করবে ও কুপ্রবৃত্তি থেকে বেচে থাকবে, তার স্থান জান্নাত।" (সূরা আন-নাযিআত, আয়াত ৪০-৪১)

"নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী তাকওয়াবান।" (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত ১৩)

"নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালবাসেন।" (সূরা আত্ তাওবা, আয়াত ৪)

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, "যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারনাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করবেন।" (সূরা আত্-তালাক, আয়াত ২-৩)

"হে মুমিনগন! যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ অতিশয় মংগলময়।" (সূরা আল-আনফাল,আয়াত ২৯)

"নিশ্চয়ই মুত্তাকিগনের জন্য রয়েছে সফলতা।" (সূরা আন্-নাবা, আয়াত ৩১)

মহান আল্লাহ্ পাকের উপরোক্ত বানীসমুহ থেকে তাকওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। নৈতিক চরিত্র গঠনে তাকওয়ার কোন বিকল্প নেই। আসুন আমরা সকলে তাকওয়াবান হওয়ার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের সফলতা লাভের চেষ্টা করি।

হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে তোমার তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে তোমার সন্তুষ্টি লাভ করার তৌফিক দান কর। আমিন।।

11

ইসলামি পরিভাষায় কারও সাথে কোনরূপ প্রতিশ্রুতি দিলে, অংগীকার করলে বা কাউকে কোন কথা দিলে তা যথাযথভাবে রক্ষা করাকে ওয়াদা পালন বলে।

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ওয়াদা পূ্র্ন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন,

"হে ঈমানদারগণ! তোমরা অংগীকারসমুহ পূর্ন কর।" (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত ১)

"তোমরা প্রতিশ্রুতি পালন কর। নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।" (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৩৪)

"হে মুমিনগণ! তোমরা যা পালন করো না এমন কথা কেন বলো?" (সূরা আস-সাফ, আয়াত ২)

একটি হাদিসে মহানবি(স:) বলেছেন,

"যে ব্যক্তি ওয়াদা পালন করে না, তার দ্বীন নাই।"(মুসনাদে আহমাদ)

আসুন আমরা সকলে আল্লাহ্ ও আল্লাহর রসূল(সঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক ওয়াদা পালন মাধ্যমে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজেও লাভবান হই এবং আমাদের সামাজকে শান্তিময় করে গড়ে তুলি।

হে আল্লাহ্‌ তুমি আমাদের তোমার নির্দেশ অনুযায়ী ওয়াদা পালন করে তোমার সন্তুষ্টি অর্জন করার তৌফিক দান কর। আমিন।।

12

ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ।

 দ্বীনি ইলম মানে দ্বীনের জ্ঞান। ইসলামি পরিভাষায়, ইলম হলো কোন বস্তুর প্রকৃত অবস্হা উপলব্ধি করা। অপরদিকে ইসলাম অর্থ আনুগত্য করা ও আত্মসমর্পণ করা। তাই প্রতিটি মুসলিম কার আনুগত্য করবে এবং কীভাবে করবে? ইলম ব্যতিত তা জানা যাবে না। আল্লাহপাকের আদেশ নিষেধকে মানতে হলে আগে উহা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই তো ইসলামে ইলমের গুরুত্ব এত বেশী।

আসুন দেখে নেই আল্লাহপাকের কুরআন ও রসুল (স:) এর হাদিসে এ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে।

"পড়ুন আপনার প্রভুর নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন।"(সূরা আলাক, আয়াত ১)

" দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।" (ইবনে মাজাহ)

উপরের আলোচনার দ্বারা বুঝা যায় আমাদের পরকালীন কল্যান সাধনের জন্য দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ছাড়া কোন বিকল্প নাই।

হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী আমল করে তোমার সন্তুুষ্টি অর্জন করার তৌফিক দান কর। আমিন।।


13
ঈমানের অর্থ- বিশ্বাস করা, আস্হা স্হাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, নির্ভর করা, মেনে নেওয়া ইত্যাদি।

অাল্লাহকে বিশ্বাস করা এবং তার আাদেশ নিষেধকে মেনে চলার নাম ঈমান।

ঈমান হচ্ছে- "অাল্লাহ, তার ফেরেশতাকুল, কিতাবসমুহ, রাসুলগন, পরকাল এবং তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করা।" - ( মুসলিম)।

ঈমানে মুফাসসালে ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো একত্রে বর্নিত হয়েছে।

অর্থ: "আমি ঈমান আনলাম আাল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাগনের প্রতি, তার কিতাবসমুহের প্রতি, তার রাসুলগনের প্রতি, আখিরাতের প্রতি, তকদিরের প্রতি যার ভালো-মন্দ আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকেই হয় এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।"

হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের বিষয়টি বুঝার এবং মেনে চলার তৌফিক দান কর। আামিন।।

14
কুফর সম্পর্কে অামাদের সকলের ধারনা থাকলেও একটু মিলিয়ে নিতে পারি। যাতে করে আমরা সতর্ক থাকতে পারি।

কুফর শব্দের আভিধানিক অর্থ অস্বীকার করা, অবিশ্বাস করা, ঢেকে রাখা, গোপন করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি।

আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোন একটিরও প্রতি অবিশ্বাস করাকে কুফর বলা হয়।
কুফর হলো ইমানের বিপরীত। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাসের নাম ইমান। আর এসব বিষয়ে অবিশ্বাস করা হলো কুফর। যে ব্যক্তি কুফরে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় কাফির। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি ইসলামের কোন মৌলিক বিষয়ে অবিশ্বাস করে তখন তাকে কাফির বলা হয়।

মানুষ নানাভাবে কাফির বা অবিশ্বাসী হতে পারে যেমন: আল্লাহ্তায়লার অস্তিত্ব অবিশ্বাস বা অস্বীকার করা, আল্লাহর গুনাবলি অশ্বিকার করা, ইমানের মৌলিক সাতটি বিষয়ে অবিশ্বাস করা, মৌলিক ইবাদতগুলো অশ্বীকার করা, হালালকে হারাম মনে করা, হারামকে হালাল মনে করা ইত্যাদি।

হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের বিষয়টি বুঝার এবং তা থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান কর। আামিন।।

15
ইসলামের একটি মৌলিক বিষয় সম্পর্কে বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি খুব সহজ মনে হলেও জীবনের কঠিন বাস্তবতায় আমরা খুব কমই মনে রাখতে পারি। অথচ এই মৌলিক বিষয়গুলো ভুলে গেলে জীবনের মানে হারিয়ে যাবে। আজকের বিষয় হলো শিরক।

আল্লাহর সাথে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তার সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয়।

যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক। শিরক হলো তাওহিদের বিপরীত।

আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং আল কোরআনের মাধ্যমে শিরকের ধারনা খন্ডন করেছেন।

"বলুন (হে নবি!) তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়।" (সূরা আল-ইখলাস, আয়াত ১)

"কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়।" (সূরা আশ্-শূরা, আয়াত ১১)

"যদি সেথায়(আসমান ও জমিনে) আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোনো ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যত।" (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ২২)

আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে। যথা- আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা, আল্লাহ তায়ালার গুনাবলিতে শিরক করা, সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো এবং এবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা।

অনেক সময় আমরা অজ্ঞতা কিংবা অসতর্কতা বশত শিরকের মত কাজ করে থাকি যেমন: এই রূপ মনে করা যে ঔষধ রোগ সাড়ায়, চাকুরী না থাকলে চলতে পারতাম না, স্মৃতিসৌধ কিংবা শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে শহীদদের অন্তর শান্তি পাবে ইত্যাদি।

শিরক অত্যন্ত জগন্য ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

অাল্লাহ তায়ালা বলেন-
"নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম।" (সূরা লুকমান,আয়াত ১৩)

"নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত যেকোনো পাপ যাকে ইচছা ক্ষমা করেন।" (সূরা আন-নিসা,আয়াত ৪৮)

"যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার জন্য অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম।" (সূরা আল- মায়িদা,অায়াত ৭২)

হে আল্লাহ তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং শিরক থেকে বেচে থাকার তৌফিক দাও। আমিন।।


Pages: [1] 2