Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mousumi Rahaman

Pages: 1 ... 10 11 [12] 13 14 15
166
সারা দিনের সতেজতার জন্য দিনের শুরুর খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। সকালের খাদ্যতালিকায় কেউ খান ব্রাউন ব্রেড, কেউ হোয়াইট ব্রেড। আসলে কোনটি খাবেন?

পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার বলেন, হোয়াইট ব্রেডে আঁশের পরিমাণ কম, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি। হোয়াইট ব্রেড তৈরিতে সাধারণত ময়দার সঙ্গে চিনি বা চর্বি যেমন ডালডাও ব্যবহৃত হয়। গ্লাইসেমিক সূচকের দিক দিয়ে হোয়াইট ব্রেড আর সহজ শর্করার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। ডায়াবেটিস ও ওজনাধিক্য রোগীদের জন্য নিয়মিত না খাওয়া ভালো। রুটি যদি খেতে হয়, তাহলে ব্রাউন ব্রেড খাওয়া উচিত।

হোয়াইট ব্রেডের চেয়ে ব্রাউন ব্রেড বেশি পুষ্টিকর। ব্রাউন ব্রেড শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হোয়াইট ব্রেডের তুলনায় ব্রাউন ব্রেডে অনেক কম ক্যালরি থাকে। তাই ব্রাউন ব্রেড খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।

ব্রাউন ব্রেড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ব্রাউন ব্রেড হজম করতে যেমন কষ্ট হয় না, তেমনি এতে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার করণে এটি খেলে নানা ধরনের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

হোল গ্রেন দিয়ে তৈরি হওয়ার করণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে ব্রাউন ব্রেড। প্রতিদিন ব্রাউন ব্রেড খেলে প্রায় ৪০ শতাংশ ওজন হ্রাস পায়। ব্রাউন ব্রেড রক্তচাপ কমায়। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে।
তবে হোয়াইট ব্রেড পাকস্থলীর জন্য উপকারী। হোয়াইট ব্রেড পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে। পাকস্থলীতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবাইয়োম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। এগুলো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। মাইক্রোবাইয়োমের ঘাটতি মানুষকে ভাইরাস, ইনফেকশন ও অ্যালার্জির শিকারে পরিণত করতে পারে। আর হোয়াইট ব্রেড শরীরে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাসের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ব্রাউন ব্রেডে ভিটামিন ও মিনারেলের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে। এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও খুব পুষ্টিকর। খেতে সুস্বাদু হলেও রিফাইন বা পরিশোধিত হোয়াইট ব্রেডের পুষ্টিগুণ কম। পরিশোধনের ফলে দেহের জন্য উপকারী কিছু ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। আঁশের পরিমাণ কম, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি। ব্রাউন ব্রেড অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। লিগনান নামক এক ধরনের উপাদান থাকায় ক্যানসার প্রতিরোধ করে। অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ ডায়াবেটিস রোগের জন্য উপকারী। কারণ, এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হৃদ্‌যন্ত্রের জন্যও উপকারী। প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্রাউন ব্রেড ওজন কমাতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। বাদামি যেকোনো খাবারই অন্যান্য সাদা খাবারের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী।

 অনেকের শরীরে হোয়াইট ব্রেড বেশি তাড়াতাড়ি পরিপাক হয়, কারও শরীরে ব্রাউন ব্রেড পরিপাক হয় সহজে। তাই যদি হোয়াইট ব্রেড খেয়ে কোনো সমস্যা না হয়, আপনি স্বাস্থ্যের চিন্তা না করেই তা খেতে পারেন।

বেশি বয়সী ও শিশুদের হোয়াইট ব্রেড আর মধ্যবয়সীদের ব্রাউন ব্রেড খাওয়া উচিত।

167
Faculty Sections / নতুন সবজির রান্না
« on: November 20, 2017, 01:36:10 PM »
পুরভরা বাঁধাকপি

উপকরণ

বাঁধাকপি ১টি, সবজি কুচি (ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, স্প্রিং অনিয়ন, মটরশুঁটি) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, ঢাকাই পনির কুচি আধা কাপ, পুদিনা পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম কুচি ৩ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ ও তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি

বাঁধাকপির একটা একটা করে পাতা ছাড়িয়ে গরম পানিতে ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সমস্ত সবজি আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন। তেল গরম করে পেঁয়াজ-মরিচ ভেজে সমস্ত সবজি দিয়ে ভেজে নিন। বাঁধাকপি, পনির, পুদিনাপাতা বাদে বাকি সমস্ত উপকরণ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। এবার পনির ও পুদিনা দিয়ে নামিয়ে নিন। একটা করে পাতা নিয়ে সবজির পুর দিয়ে রোল করে বেকিং পাত্রে সাজিয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড প্রিহিটেড ওভেনে দিতে হবে ১০-১২ মিনিটের জন্য। ওভেনে দেওয়ার আগে রোলগুলোর ওপর মাখন ব্রাশ করে নিতে হবে।

রেসিপি -সিতারা ফিরদৌস

168
১. নিয়ম করে ঘুমান
পরীক্ষার আগে কিংবা কাজের চাপে কখনো কখনো আমরা ‘ঘুম’কে অবহেলা করি। অনেক বড় বড় দায়িত্বের ভার কাঁধে থাকার পরও কিন্তু সফল মানুষেরা নিয়ম মেনে ঘুমান। টিভি ব্যক্তিত্ব এলেন ডিজেনারেস যেমন প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমান। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, নারী উদ্যোক্তা আরিয়ানা হাফিংটন ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমান। পেপসির প্রধান নির্বাহী ইন্দ্রা নুয়ি ঘড়ি ধরে ৫ ঘণ্টা ঘুমান নিয়ম মেনে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান তাঁরা। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে গেলে আমাদের শরীরের লুকানো দেহঘড়িটা কার্যকর থাকে। তাই ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ঘুম কম হলে শরীর ও মনে হতাশা ভর করে, কাজের আগ্রহ কমে যায়। সপ্তাহখানেক চেষ্টা করলেই আপনার ঘুমকে নিয়মে বেঁধে ফেলতে পারবেন।

২. ভোরের আলো দেখুন
নিয়ম করে ঘুমাতে গিয়ে রাত তিনটায় ঘুমাবেন আর সকাল দশটা-এগারোটায় উঠবেন, সেটা কিন্তু ঠিক হবে না। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক প্রতিদিন ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘুম থেকে ওঠেন। টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জ্যাক ডর্সির ঘুম ভাঙে ভোর পাঁচটায়। দ্য রক খ্যাত হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসন প্রতিদিন ভোর ৪টায় ওঠেন। এই অভ্যাস তৈরির জন্য আগে ঘুমানোর সময় মুঠোফোন দূরে রাখার অভ্যাস করুন। সকালের জন্য প্রতিদিন কিছু নির্দিষ্ট কাজ ঠিক করে নিন, তাহলে প্রতিদিন সকাল-সকাল ঘুম ভাঙবেই। টানা ৩ সপ্তাহ সকালে ওঠার চেষ্টা করতে পারলে আপনার সকালে ওঠার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সপ্তাহে ৬ দিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করেন। যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখনো একইভাবে ব্যায়াম করতেন তিনি। আমরা অনেকেই আক্ষেপ করি বলি, কাজের চাপে ব্যায়াম করার সময় পাচ্ছি না! অথচ ভেবে দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট তাঁর শত কাজের ভিড়ে শরীরচর্চাকেও একটা ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ হিসেবেই বিবেচনা করেন। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন প্রতিদিন কাজ শুরুর আগে দৌড়ানো থেকে শুরু করে পাহাড়ে চড়ে এক ঘণ্টা ঘাম ঝরান। টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অপরাহ্ উইনফ্রে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত দুবার করে ২০ মিনিটের জন্য ধ্যান করেন। বয়স ৬০ পেরিয়েছে, এখনো প্রতিদিন অনন্ত ৪৫ মিনিট সময় দেন ব্যায়ামাগারে। আপনিও প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটুন কিংবা দৌড়ান। বাড়িতেই ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
৪. অনেক বই পড়ুন
বিখ্যাতজনদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শত কাজের মধ্যেও নিয়মিত বই পড়েন। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বছরে ৫০টি বই পড়েন, প্রতি সপ্তাহে পড়েন অন্তত একটি। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও ২০১৫ সাল থেকে সপ্তাহে একটি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন। ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ১০০০ পৃষ্ঠা পড়ার চেষ্টা করেন। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত বই পড়ার বাইরে নন-ফিকশন ধরনের বই দিয়ে শুরু করুন। শুরুটা করতে পারেন বারাক ওবামার লেখা ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার কিংবা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনী দিয়ে। প্রথম দিকে অনভ্যাসের কারণে বই পড়তে বিরক্তি লাগতে পারে। শুরুতে প্রতিদিন ৫-৬ পৃষ্ঠা করে পড়ুন। যানজটে বসে থাকার সময়টা বই পড়ে কাজে লাগান।

৫. প্রতিদিন সকালে নাশতা করুন
ব্যস্ততার কারণে অনেকে সকালে নাশতা খেতে চান না। আপনার সারা দিন কতটা কর্মোদ্দীপ্ত হবে, তা কিন্তু নির্ভর করে সকালের নাশতার ওপর। অপরাহ্ উইনফ্রে প্রতিদিন সকালে ডিম ও টোস্ট খান। মিশেল ওবামা ও বারাক ওবামাও সকালে ডিম দিয়ে নাশতা সারেন। গায়িকা বিয়ন্সের পাতে সকালে থাকে ডিম, সবজি ও লো-ফ্যাট দুধ। অভিনয়শিল্পী এমা ওয়াটসনের টেবিলে রুটি আর ডিম থাকে সকালের নাশতায়।

৬. প্রতিদিনের একটা পরিকল্পনা জরুরি
বিল গেটস, রিচার্ড ব্র্যানসন আর এলন মাস্ক প্রতি রাতে আগামীকাল কী কী করবেন, তা ঠিক করে নেন। কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে রাখলে তাড়াহুড়া করে কোনো কাজ করতে হয় না। ঘুমানোর আগে পরদিনের পরিকল্পনা এক টুকরো কাগজে লিখে রাখতে পারেন। কয়েক দিন এই নিয়ম মেনে চললে নিজের অগ্রগতি আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

৭. ফেসবুক ও ই-মেইলের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার
নারী উদ্যোক্তা ও লেখক আরিয়ানা হাফিংটন প্রতিদিন ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে থেকে ফেসবুক আর ই-মেইল ব্যবহার করেন না। শুধু তা-ই নয়, ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টা পরে তিনি ই-মেইল পড়েন। এ ছাড়া সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় তিনি ফেসবুক বা ই-মেইল থেকে দূরে থাকেন। লিংকডইনের সিইও জেফ ওয়েনার ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনে ২ ঘণ্টার বেশি সময় দেন না। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে চোখ রাখবেন না। আবার রাতে ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে ফেসবুক আর মুঠোফোন থেকে দূরে থাকুন।

৮. নোট নিন
সেকালের বিখ্যাত মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েন থেকে শুরু করে একালের উদ্যোক্তা মার্ক জাকারবার্গ—সফলদের মধ্যে অনেকেরই একটা জায়গায় মিল। তাঁরা সব সময় কোনো ভাবনা মাথায় এলে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পেলে সেটা টুকে রাখেন। ক্লাসে, অফিসের মিটিংয়ে কিংবা নিজের একাকী সময়েও একটা নোটবুক সঙ্গে রাখতে পারেন।

৯. প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন
মার্ক জাকারবার্গ শত ব্যস্ততার মধ্যেও ম্যান্ডারিন ভাষা শিখেছেন। মার্কিন উদ্যোক্তা শন পার্কার কিংবা অভিনয়শিল্পী অ্যাস্টন কুচারও প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করেন। এই আগ্রহ আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বিস্তৃত করে। আপনি হয়তো সাইকেল চালাতে জানেন না, সময় করে শিখে ফেলছেন না কেন? নতুন কিছু শেখার আনন্দ আপনাকে অন্যান্য কাজেও আগ্রহ জোগাবে। নতুন একটা ভাষা শিখতে পারেন। এই অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াবে।

১০. মেধাবী ও বুদ্ধিমান বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
মার্ক জাকারবার্গের নাকি বিল গেটসের সান্নিধ্য খুব পছন্দ। আবার বিল গেটস নাকি ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গ পছন্দ করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের ভিড়ে কিংবা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে খুব আগ্রহ নিয়ে সময় ব্যয় করেন এই সফল মানুষেরা। এভাবে তাঁরা নতুন কিছু শিখতে, জানতে চেষ্টা করেন। আপনিও নতুন নতুন বন্ধু তৈরির চেষ্টা করতে পারেন। বিভিন্ন বিতর্ক উৎসব, প্রতিযোগিতা বা কুইজে অংশ নিয়ে নতুন বন্ধু তৈরি করুন।


169
ব্যস্ত জীবনে ছুটছে সবাই। আলাদা করে নিজের শরীর ও মনের খেয়াল রাখার সময় কোথায়? তবে নিজের শরীর ও মন ভালো রাখতে যোগব্যায়াম বা ইয়োগা একটা ভালো উপায়


কেন করবেন যোগব্যায়াম?
রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইয়োগা প্রশিক্ষক শ্যামলী মণ্ডল বললেন, বর্তমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে মানুষের মধ্যে নানা রকম টেনশন, হতাশা দেখা দেয়। যোগব্যায়াম চর্চা করলে শরীরের পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দূর করা যায়। কারণ যোগব্যায়ামে শুধু শারীরিক সুস্থতাই নয়, মানসিক সুস্থতার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব পায়।

তিনি জানালেন যেসব কারণে যোগব্যায়াম করা উচিত—

  যোগব্যায়াম শরীরকে সঠিক করে দেয়। যার জন্য যে ওজন থাকা প্রয়োজন সেই ওজনে যেতে সাহায্য করবে।
 যোগব্যায়ামে শরীরের কোনো ক্ষয় হয় না। এ জন্য অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় না।
 যোগব্যায়ামের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
 প্রচলিত ব্যায়াম কিছুদিন করে পরে ছেড়ে দিলে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু কোনো কারণে যদি যোগব্যায়াম না-ও করতে পারেন, তবু সহজে মোটা হয়ে যাবেন না।


কোথায় করবেন যোগব্যায়াম

ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার
ঢাকার ধানমন্ডি ২ নম্বর রোডে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে শনি, সোম ও বুধবার যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সকাল ৭, ৮ ও ৯টায় এবং সন্ধ্যা ৫, ৬ এবং ৭টায় ক্লাস করানো হয়। ক্লাসের সময় এক ঘণ্টা। প্রতি ব্যাচে মোট ২৫ জনকে নেওয়া হয়। এখানে তিন মাসের জন্য ভর্তি করা হয়। ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা। ঠিকানা: বাড়ি ২৪, সড়ক ২, ধানমন্ডি, ঢাকা।


নিয়ম মেনে যোগব্যায়াম করুন
 

গোল্ডেন লাইফ ইয়োগা সেন্টার
সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। প্রতিটি ব্যাচে চার মাসের জন্য ভর্তি করানো হয়। সপ্তাহে ৬ দিন এক ঘণ্টা করে যোগব্যায়ামের ক্লাস করানো হয়। ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা। মাসিক ফি ২ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিনা মূল্যে ক্লাস করানো হয়। ঠিকানা: বাড়ি ৬৯/২, রোড ৭/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।

জয়সান ইয়োগা অ্যান্ড হেলথ স্কুল
প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেয়েদের যোগব্যায়াম শেখানো হয়। এ ছাড়া একই দিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রয়েছে চাকরিজীবীদের জন্য ব্যাচ। বাকি সময়টা সবার জন্য উন্মুক্ত।
যোগাযোগ: বাড়ি ৪১, রোড ৩/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।

এভারগ্রিন ইয়োগা ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
সপ্তাহে ৬ দিন এখানে যোগব্যায়াম করানো হয়। সকাল ৭টা থেকে ৮টা শুধু পুরুষদের জন্য। মেয়েদের জন্য সকাল ৮টা থেকে ৯টা। মাসিক ফি ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ইয়োগা প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তনু তাঁর ফেসবুকে সপ্তাহে ২ বা ৩ দিন লাইভে এসে ইয়োগার ক্লাস নেন।
ঠিকানা: বাড়ি ৫, রোড ১১, সেক্টর ১, জসীমউদ্‌দীন রোড, উত্তরা, ঢাকা।
৬৯/এম চতুর্থ তলা, পান্থপথ, ঢাকা।

যাত্রা বিরতি
ফ্যাশন হাউস যাত্রার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যাত্রা বিরতিতে ইয়োগার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাত্রা বিরতির ব্যবস্থাপক ইসরাত জেরিন বললেন, এখানে শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা ও দুপুর ১২টায় ইয়োগার ক্লাস নেওয়া হয়। এককালীন ভর্তি ফি চারটা ক্লাসের জন্য ৩ হাজার টাকা এবং ৮টা ক্লাসের জন্য ৫ হাজার টাকা। ঠিকানা: ৬০ কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকা।


ইয়োগানিকা
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি মাসেই নতুন কোর্স চালু করা হয়। প্রতি কোর্সে ৬টি ক্লাস থাকে। ভর্তি হতে লাগবে ৫ হাজার টাকা। সপ্তাহে সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ক্লাস করানো হয়। রোববার বন্ধ থাকে। ইয়োগানিকার প্রধান ইয়োগা প্রশিক্ষক আনিকা রাব্বানি বলেন, একটি কোর্স বা ৬টি ক্লাস করার পর বাড়িতে নিজে নিজে ইয়োগা করতে পারবেন। চাকরিজীবীদের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ৭টা থেকে ৮টা এবং শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।

170
Faculty Sections / নানা রকম চপ
« on: November 07, 2017, 12:00:04 PM »

মুরগির কিমার ভাপা চপ
 উপকরণ: মুরগির কিমা (মিহি করা) ১ কাপ, বাসমতী চাল (ধুয়ে রাখা) আধা কাপ, পাউরুটি ২ টুকরা, ডিম ১টি, টমেটো সস আধা কাপ, কাবাব মসলা ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়া সামান্য।

প্রণালি: পাউরুটির ধার ফেলে টমেটো সসে ভিজিয়ে নিতে হবে। এবার চাল ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে ৫-৬টি ভাগে ভাগ করুন। প্রতি ভাগ চপ আকারে গড়ে বাসমতী চালের ওপর গড়িয়ে নিন। যেন প্রতিটি চপে ভালো করে চাল লাগে। এ চপগুলো স্টিম করে অথবা প্রেশারকুকারে সেদ্ধ করে পরিবেশন করুন।

মাছের চপ
 উপকরণ: কাঁটা ছাড়া মাছের ফিলে (ভেটকি বা রুই) ৪০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, পুদিনা পাতা কুচি ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ফেটানো ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, গরমমসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ ও তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: মাছে লবণ ও লেবুর রস মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও মাছ দিয়ে কষিয়ে নিন। মাছ সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। মাছের মিশ্রণ ঠান্ডা হলে তাতে পুদিনা পাতা কুচি, গরমমসলা গুঁড়া ও চালের গুঁড়া দিয়ে মেখে চপ আকারে তৈরি করে নিন। ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে পরিবেশন করুন।

ভাতের চপ
 উপকরণ: পোলাওয়ের চালের সেদ্ধ ভাত বা পোলাও ২ কাপ, সেদ্ধ কিমা আলু (মুরগি বা গরুর মাংসের) ১ কাপ, ডিম ১টি, চিংড়ি মাছ কুচি ৪-৫টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ (কুচি) ২টি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো ও তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: তেল ছাড়া ওপরে সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি মণ্ড তৈরি করুন। পছন্দমতো আকারে চপ গড়ে ডুবো তেলে ভেজে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

সয়া চপ
 উপকরণ: সয়াবিন (৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে) ১ কাপ অথবা সয়াবড়ি ১ কাপ (গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে ছেঁকে নিয়ে হাতে ভেঙে নিতে হবে), গ্রেট করা সেদ্ধ ডিম ১টি, মুরগির মাংসের কিমা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, কাবাব মসলা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ভাজার জন্য ও ময়দা ১ কাপ।

প্রণালি: গ্রেট করা ডিমের সঙ্গে গোলমরিচ গুঁড়া ও লবণ মেখে একটি পুর তৈরি করে নিন। শুকনো ময়দার সঙ্গে লবণ ও গোলমরিচ মেখে রাখতে হবে। এবার সয়াবিন, মুরগির কিমা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, কাবাব মসলা গুঁড়া দিয়ে মেখে মণ্ড তৈরি নিতে হবে। এ মণ্ড থেকে চপ আকারে গড়ে মাঝখানে গর্ত করে গ্রেট করা ডিমের পুর দিয়ে আবার চপ তৈরি করে ময়দায় গড়িয়ে কিছুক্ষণ রেখে ডুবো তেলে ভেজে নিন।



মগজের চপ
 উপকরণ: গরু অথবা খাসির মগজ ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ আলু (গ্রেট করা) ২টি, পেঁয়াজ কুচি (মিহি) আধা কাপ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, গরমমসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, ফেটানো ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: মগজ ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে অল্প পানি, হলুদ গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। একটু ঠান্ডা হলে তাতে আলুসেদ্ধ পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, গরমমসলার গুঁড়া ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। পছন্দমতো আকারে তৈরি করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে পরিবেশন করুন।

ছানার চপ

উপকরণ: ছানা ১ কাপ, মুরগির মাংসের কিমা আধা কাপ, আলুসেদ্ধ (গ্রেট করা) আধা কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ মিহি কুচি ১ চা-চামচ, গরমমসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ফেটানো ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: ছানা, আলু, কিমা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, গরমমসলা, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে একটি মণ্ড তৈরি করে নিতে হবে। ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে সস ও সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপি দিয়েছেন শাহানা পারভীন

171


স্বাস্থ্যহানি ঘটে কিংবা শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এমন যেকোনো কিছু আমরা এড়িয়ে চলি। আবার এমন অনেক খাবার সম্পর্কে আমাদের আছে ইতিবাচক ধারণা। বিজ্ঞান কিন্তু বলছে, অতিরিক্ত যেকোনো কিছুই খারাপ। নিরীহ বলে বিবেচিত এমন অনেক খাবারই হতে পারে মৃত্যুর কারণ। যদি সেটা মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন। আসুন, জেনে নিই এমন কিছু খাবার বা পানীয়র কথা, যেগুলো আপাত নিরীহ হলেও হতে পারে মৃত্যুর কারণ:

৬ লিটার পানি ‘আততায়ী’
পানির অপর নাম জীবন। তবে সীমা অতিক্রম করলে মরণ! শরীরের পানির অভাব পূরণে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি করলেই চলে। এখন ১৬৫ পাউন্ড (৭৪.৮ কেজি) ওজনের কারও যদি প্রতিদিন ৬ লিটার করে পানি পানের অভ্যাস থাকে? তাহলে সেটা অভ্যাস নয়, বদভ্যাস এবং প্রাণ বাঁচাতে আজই সীমার মধ্যে চলে আসুন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘কেমিস্ট্রি সোসাইটি’র মতে, ১৬৫ পাউন্ড ওজনের কেউ প্রতিদিন ৬ লিটার করে পানি খেলে তা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
অতিরিক্ত পানি শরীরে জমা হওয়া লবণের সঙ্গে খুব বিপজ্জনক মাত্রায় মিশে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যার অপর নাম, ‘হাইপোন্যাট্রেমিয়া’। এতে মস্তিষ্কের কোষগুলো ফুলে ওঠে এবং বমি বমি ভাব ছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। ২০০৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি রেডিও স্টেশনে পানি পানের প্রতিযোগিতায় প্রায় ৬ লিটারের মতো পানি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জেনিফার স্ট্রেইঞ্জ। বমি এবং প্রচণ্ড মাথাব্যথা নিয়ে বাসায় ফেরার পর তিনি মারা যান।

কফি মাত্র ৭০ কাপ!
শরীরে অতিমাত্রায় ক্যাফেইনের আধিক্য ঘটলে বুক ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘হার্ট প্যালপিটেইশন’। এতে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে, যা গড়াতে পারে ‘হার্ট অ্যাটাক’ কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত! এখন প্রশ্ন হলো, ঠিক কী পরিমাণ ক্যাফেইন মৃত্যু ডেকে আনতে পারে?

ইউটিউবে ভীষণ জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক চ্যানেল ‘এএসএপি সায়েন্স’ জানাচ্ছে, যমদূতের সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় সাক্ষাৎ করতে হলে আপনাকে দিন-রাত মিলিয়ে ঘণ্টায় তিন কাপ করে কফি খেতে হবে। ২৪ ঘণ্টার হিসেবে মোট ৭২ কাপ কফি। চ্যানেলটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মিচেল মোফিটের মতে, ‘এ পরিমাণ কফি আপনার প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের বিপরীতে প্রায় ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন উৎপাদন করবে।’ তাঁর ব্যাখ্যা, ১৪৫ পাউন্ড ওজনের কেউ দিন-রাত মিলিয়ে ন্যূনতম ৭০ কাপ কফি খেলেই মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। তবে কাপের সংখ্যাটা নির্ভর করছে কফির জাত এবং বানানোর প্রক্রিয়ার ওপর।


চকলেটে সাবধান
চকলেট দেখলে অনেকের জিবে জল আসে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এ প্রবণতা একটু বেশি। চকলেটে পুষ্টি কম নেই। খান ঠিক আছে, তবে সীমা অতিক্রম করবেন না। চকলেট ‘বার’-এ থাকে বিষাক্ত থিওব্রোমাইন। চকলেট তৈরি হয় ‘কোকোয়া’র বীজ থেকে। এই কোকোয়া বীজে থাকে থিওব্রোমাইন অ্যালকালয়েড। থিওব্রোমাইন এমনিতে ছোটখাটো পশুপাখিকে মেরে ফেলতে পারলেও হজমশক্তি ভালো হওয়ায় আমরা বেঁচে যাই। তবে পরিমাণটা বেশি হলে নিস্তার নেই। যেমন ধরুন, এক বসায় ৮৫টি চকলেট ‘বার’ সাবাড় করে দিলে মারাও যেতে পারেন! অর্থাৎ প্রতি কিলোগ্রামে ১০০০ মিলিগ্রাম থিওব্রোমাইন গ্রহণ করলে মৃত্যু ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

আপেল ও চেরি ফলের বীজ জীবনঘাতী
কথায় আছে, ‘অ্যান অ্যাপল অ্যা ডে কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে’। সত্যিই আপেল ভীষণ পুষ্টিকর ফল আর উপাদেয়ও। আবার একই সঙ্গে ফলটি হতে পারে জীবনঘাতী! এর বীজ খেয়ে ফেললে বিপদে পড়তে পারেন। আপেলের বীজ শরীরের মধ্যে ‘হাইড্রোজেন সায়ানাইড’-এ পরিণত হয়। এই বিষাক্ত জিনিসটি মানুষের শরীরে বেশ দ্রুত কাজ করে, যে কারণে বমি বমি ভাব থেকে শুরু করে কিডনি পর্যন্ত বিকল হতে পারে! বিজনেস ইনসাইডার বলছে, আপেলের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটি হলো, একটানা ন্যূনতম ২২টি আপেলের বীজ খেয়ে ফেললে মৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু নয়।

চেরি ফল খেতে দারুণ হলেও ভুলেও বীজ খাবেন না। ছবি: এএফপি
চেরি ফলের বিপদ আরও বেশি। ন্যূনতম দুটি চেরি ফলের বীজে যে পরিমাণ ‘সায়ানাইড’ থাকে, তা একজন মানুষের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। ‘সায়ানাইড’ আমাদের শরীরে কোষের অক্সিজেন ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করে। গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাশায়ারের এক ব্যক্তি দুটি চেরি ফলের বীজ খেয়ে ফেলার পর ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

শেষ কথা
অতিরিক্ত যেকোনো কিছুই খারাপ। যেমন ধরুন, টানা ১৩ পেয়ালা মদ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে, যার পরিণতি মৃত্যু। কিংবা ১৫ মিনিটে ৬৮০ কিলোগ্রাম মারিজুয়ানা সেবনে একই পরিণতি ঘটতে পারে। যদিও এটা বাস্তবে কতটুকু সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু টানা ১১ দিনের বেশি না ঘুমানোর খেসারত গুনে মৃত্যুর ঘটনা আছে। আবার ১৮৫-২০০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ আপনার জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। অর্থাৎ শুধু খাবার নয়, আসলে অতিরিক্ত যেকোনো কিছুই জীবনঘাতী। তাই সীমার মধ্যে থাকুন; জানেন তো, নিয়ন্ত্রণই জীবন।

 

172
ব্যায়ামের রুটিন হতে পারে নানাভাবেই। হালকা ব্যায়াম বা ভারী ব্যায়াম, একেকজন একেকভাবে করেন। গবেষণা বলছে, একই সময়ে মিলিয়ে-মিশিয়ে ভারী আর হালকা ব্যায়াম করা হলে কিংবা ভারী ব্যায়াম আর বিশ্রাম হলে তা শরীরের জন্য ভালো। এতে ক্যালরি বেশি ক্ষয় সম্ভব; আবার এমনভাবে ব্যায়াম করলে নিয়মিত ব্যায়ামের ধৈর্যও রাখতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে ব্যায়ামের মাত্রা বারবার পরিবর্তন করে সব ধরনের ব্যায়াম করা যায়।
এক মিনিট হয়তো সর্বোচ্চ শক্তিতে ব্যায়াম করলেন। কিংবা গতি বাড়িয়ে দিলেন। পরের মিনিট বিশ্রাম নিন কিংবা হালকা গতিতে ব্যায়াম করুন। এরপরের মিনিট আবার সর্বোচ্চ শক্তিতে ব্যায়াম করলেন, তো পরের মিনিট আবার বিশ্রাম বা হালকা ব্যায়াম। এভাবে ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে ভারী ব্যায়াম হলো ১০ মিনিট; কিন্তু পুরো সময়ই আপনার জন্য উপকারী। একটানা ১০ মিনিট প্রচণ্ড শক্তিতে ব্যায়াম করলে আপনি যতটা উপকার পেতেন, এই নিয়মে ব্যায়াম করলে উপকার মিলবে তার চেয়ে বেশি।
আপনার শরীরের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে আপনি এই বিশ্রাম বা হালকা ব্যায়ামের সময়টুকু কমাতে-বাড়াতে পারেন। প্রতিদিন এ পদ্ধতির প্রয়োগ করতে না চাইলেও সপ্তাহে এক-দুদিন এই নিয়মে ব্যায়াম করতে পারেন। পার্কে দৌড়ানো, ট্রেডমিলে দৌড়ানো বা ওজন তোলা, যেকোনো ব্যায়ামেই করতে পারেন এ পদ্ধতির প্রয়োগ।
এভাবে ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুললে শরীরের চর্বি ঝরার পাশাপাশি মাংসপেশি গঠন হয়। ঘুমও ভালো হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এভাবে ব্যায়ামের গতি কম-বেশি করতে গিয়ে যেন আঘাত না লাগে। ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম আপ করে নিন, ব্যায়াম শেষে কুল ডাউন করুন। এ ছাড়া যাঁদের ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এভাবে ব্যায়াম করবেন না।

ডা. রাফিয়া আলম, স্কয়ার হাসপাতাল

173
প্রতিবছর ২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস পালিত হয়। এবারে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল হাড়কে ভালোবাসুন, আপনার ভবিষ্যৎ রক্ষা করুন।

অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় বলতে শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে বোঝায়। এতে হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো হয়ে যায়। এতে হাড় ঝাড়রা বা ফুলকো হয়ে যায়। এতে হাড় অতি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মারাত্মক হাড় ক্ষয়ে হাঁচি বা কাশি দিলেও তা ভেঙে যেতে পারে।

৫০ বছর পেরুবার পর থেকে শরীরের হাড় ক্ষয় বা এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। কারও কারও আগেও হয়।

যাঁদের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি তাঁদের দ্রুত হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। নারীদের পিরিয়ডের পর হাড় ক্ষয়ের হার বেড়ে যায়।

উপসর্গ

প্রথমত, কোনো শারীরিক লক্ষণ না-ও থাকতে পারে। কোমরে বা পিঠে বা অন্য কোথাও ব্যথা, বিশেষ করে তা ব্যথানাশকে কমছে না, এমন চরিত্রের। কারও কারও দৈহিক উচ্চতা কমে থাকবে, কুঁজো হয়ে যাওয়া বা সামনে ঝুঁকে থাকা। তবে সংগোপনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হলো, মেরুদণ্ডে ফাটল বা চিড় ধরা এবং ঠুনকো আঘাতেই হাড় ভাঙা।

কাদের হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি?

অসংশোধনযোগ্য ঝুঁকি

l বয়ঃবৃদ্ধি

l স্ত্রী লিঙ্গ
l জিনগত ত্রুটি
l অপারেশনের কারণে ডিম্বাশয় না থাকা
l হায়পোগোনাডিজম (পুরুষ ও নারীর)
l অতি খর্বাকৃতি

সংশোধনযোগ্য ঝুঁকি

l ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি
l ধূমপান

l অপুষ্টি [ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, কে ইত্যাদি]
l ক্ষীণকায় দৈহিক আকার
l আমিষনির্ভর খাদ্যাভ্যাস
l বেশি বয়সে অতিরিক্ত চা/কফি/চকলেট গ্রহণের অভ্যাস
l খাদ্যে বা বাতাসে ভারী ধাতু
l কোমল পানীয় ও মদ্যপান

যাঁরা দীর্ঘ দিনের অচল, যাঁরা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করেন, তাঁদের হতে পারে। অন্যান্য হরমোনজনিত রোগ—হাইপারথাইরয়িডিজম, হাইপারপ্যারাথাইরয়িডিজম, কুসিং সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, অ্যাডিসন রোগ, রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, এসএলই, কিডনি অকার্যকারিতা ইত্যাদি।

চিকিৎসা

এ রোগে প্রধান ও প্রথম পদক্ষেপ হবে ঝুঁকি শনাক্তকরণ, সম্ভব হলে তা রোধ করা।

এরপর বেশ ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করা যেতে পারে।

যেহেতু হাড় ক্ষয় (অস্টিওপরোসিস) একবার হলে আর রিকভারের সম্ভাবনা থাকে না, তাই একে আগেভাগেই রোধ করার জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচি নিতে হবে। এর অংশ হিসেবে কারা কতটুকু ঝুঁকিতে আছেন বা কারা ইতিমধ্যেই হাড় ক্ষয়ে ভুগছেন, তা নির্ধারণ করতে হবে এবং উপযোগী চিকিৎসা নির্বাচন ও প্রয়োগ করতে হবে।

কীভাবে হয় হাড় ক্ষয় রোধ?

অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগ একটি নীরব ঘাতক, যার জন্য প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার উত্তম।

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়ামে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এতে হাড়ের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে জয়েন্টগুলো সচল রাখে। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে হাড় ক্ষয় কমায়।

২. নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-জাতীয় খাবার খান:

হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি। ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিতভাবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার খান।

ভিটামিন ডি-এর ৯০ ভাগ উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন, পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খান। এতে হাড় ভালো থাকবে।

৩. ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন। কারণ, এতে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি করে।

৪. ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৫. হাড় ভাঙা রোধে বাথরুমের পিচ্ছিল ভাব দূর করুন।

৬. রাতে ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখুন। অন্ধকারে চলাফেরা করবেন না।

৭. অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না।


সহকারী অধ্যাপক, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

174
আজকাল অনেককেই বলতে শোনা যায়, লিভারে চর্বি জমেছে। এ জন্য কী করা যায়? কী খাব, কী খাব না? এমন প্রশ্ন অনেকের।

ফ্যাটি লিভার আসলে দুই ধরনের। একটা হলো অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ, যারা মদ্যপান করেন তাদের হয়। তাদের জন্য অ্যালকোহল বর্জনীয়। অন্যটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এটাই বেশি দেখা যায় আমাদের দেশে।

শর্করা ও ফ্যাট বিপাকক্রিয়ায় নানা ধরনের অসামঞ্জস্যের কারণে এ রোগ হয়। ওজনাধিক্য, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি এর জন্য দায়ী।

অবশ্য চর্বির চেয়ে ফ্যাটি লিভারের জন্য বেশি দায়ী চিনি বা শর্করা। অতিরিক্ত শর্করাই চর্বি হিসেবে যকৃতে জমা হয়। তাই এদের উচিত হবে শর্করাজাতীয় খাবার, বেশি চিনি, কোমল পানীয়, জুস, শরবত, মিষ্টি ইত্যাদি পরিহার করা। ভাত কম খেয়ে বরং রুটি, ওটমিল ও জটিল শর্করা গ্রহণ করা।

ওমেগা ৩ তেলযুক্ত মাছ, যেমন—ইলিশ, রুপচাঁদা, স্যামন, টুনা লিভারের চর্বি শোধনে সহায়ক। এর বাইরে নানা ধরনের বাদাম বিশেষ করে আখরোট ফ্যাটি লিভারের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে এমন শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খেতে হবে। ফুলকপি, ব্রকলি, সবুজ শাক, অঙ্কুরোদগমসহ ছোলা বীজ ভালো। খেতে হবে আমিষের উৎস হিসেবে নানা ধরনের ডাল ও লো ফ্যাট দুধ।

ব্ল্যাক কফি ও সবুজ চা লিভারে চর্বি কমায় বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে। ইদানীং ভিটামিন ডি-এর অভাবের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই ত্বকে সূর্যালোক লাগানো ভালো।

 ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

175

http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/640x355x1/uploads/media/2017/07/03/db24e9e70949dc951c54fd80e1f350b8-595a8360a3847.gif
দেশ থেকে দেশের বাইরে কী উপহার পাঠানো যায়। সবই তো আছে ওখানে। অন্দরসজ্জা সাজানোর উপকরণগুলোর কথাই যেন তখন বেশি মনে পড়ে। দেশীয় উপকরণে তৈরি বিভিন্ন জিনিস যেন বিদেশে পৌঁছে দেয় দেশের ভালোবাসা। অনেকে মনে করেন, দেশীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি জিনিস অন্দরসজ্জায় ভালো লাগে না। কিন্তু যদি সাজাতে পারেন, তাহলে জানালার চিকই পুরো ঘরের চেহারা বদলে দেবে। এথনিক ভাব নিয়ে আসবে অন্দরসজ্জায়।
র্যাডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের প্রধান ও অন্দরসজ্জাবিদ গুলসান নাসরীন চৌধুরী জানালেন, অন্দরসজ্জায় দেশীয় উপকরণ ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যেতে থাকা ঐতিহ্য রোজকার জীবনে যেমন ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তেমনি এগুলোর মাধ্যমে শিশুকে এ দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই অভ্যস্ত করে তোলা যায়। সমাজের অস্থিরতা আর অপরাধপ্রবণতা কমিয়ে আনতে শিশুর বেড়ে ওঠার সময়টাতেই দেশীয় চেতনা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় ঘটানো প্রয়োজন। আর এর শুরুটা বাড়ির ভেতর থেকেই। অন্দরসজ্জার উপাদান শিশুর বিকাশেও ইতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে।


চিক ঘরের সাজে এনে দেয় ভিন্নতা।
প্রবেশপথে
বাড়িতে ঢোকার পথে মাটি বা টেরাকোটার সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। আয়না রাখতে চাইলে মাটি, বেত বা কাঠের ফ্রেমের আয়না বেছে নিতে পারেন। পাটের শিকা ঝুলিয়ে দিতে পারেন। শখের হাঁড়ি সাজিয়ে রাখুন শিকায়। চাইলে এসব রঙিন হাঁড়ির মধ্যে প্লাস্টিকের পাত্রে মানিপ্ল্যান্ট জাতীয় গাছও রাখতে পারেন; পরিচর্যার প্রয়োজনে প্লাস্টিকের পাত্রটি সরিয়ে নিতে পারবেন, আবার পরে রেখেও দেওয়া যাবে।


বসার ঘরের একটা কোণ এভাবে সাজানো যায়
বসার ঘর
বেত, বাঁশ বা কাঠের সোফা রাখতে পারেন। সোফা না চাইলেও দুটি উঁচু চেয়ার রাখতে পারেন। সোফার মতো আরামদায়ক চেয়ারও হতে পারে এ দুটি, তবে একটু উঁচু তৈরি করা উচিত। অনেক সময় বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাভাবিক উচ্চতার সোফায় বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়। তাঁদের জন্য বাঁশ বা বেতের তৈরি এ ধরনের চেয়ারের ব্যবস্থা রাখুন। ঘরের এক পাশে বাঁশ বা বেতের নিচু ডিভান কিংবা শতরঞ্জি রাখতে পারেন শিশু আর তরুণদের গল্প-আড্ডার জন্য।
সোফা আর ডিভানের কুশন কভারেও রাখুন দেশীয় নকশার ছোঁয়া। পাটের তৈরি টেবিল ম্যাচ ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া রাখতে পারেন পাটের তৈরি টিস্যু বক্স। পাটের কার্পেটও পাওয়া যাচ্ছে আজকাল।
গ্রামীণ চেকের কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। তাঁত, জামদানি, কাতান বা সুতি কাপড়ের পর্দাও মানানসই। পেলমেট ব্যবহার না করাই ভালো। লুপ লাগানো পর্দা বেশ মানাবে। লুপের জায়গাটাতে নারকেলের খোলের বোতাম লাগানো যায়।
ল্যাম্পশেড রাখতে চাইলে সেটিও বেত, বাঁশ বা মাটির তৈরি হলে ভালো দেখাবে। ঘরে আলো আসলে এক কোণে বনসাই রাখতে পারেন। একই সঙ্গে দুটি বনসাইয়ের ব্যবস্থা রাখা ভালো; একটি বসার ঘরে, আরেকটি বারান্দা বা ছাদে রাখতে পারবেন। এক সপ্তাহ পরপর গাছ দুটি অদল-বদল করে নিন। এর ফলে দুটি গাছই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাবে।
সাজানোর জন্য নানা ধরনের দেশীয় উপকরণে তৈরি শোপিস কিনতে পাওয়া যায়। পাট, বেত, কাঠ ও মাটির হরেক রকম শোপিস বিভিন্ন মেলায় পাওয়া যায়। আড়ং, যাত্রা বা আইডিয়া ক্রাফটসেও মিলবে এমন জিনিস।


খাবার টেবিলে রানার ও টুকটাক জিনিসপত্র এনেছে নান্দনিকতা
খাবার ঘর
বসার ঘর আর খাবার ঘরের মাঝে পাটের তৈরি উপকরণ সুন্দর বিভাজকের কাজ করবে। শিকাজাতীয় বুননে তৈরি পাটের লম্বা স্তরে ঝিনুক লাগানো থাকলেও বেশ লাগবে। খাবার টেবিলটা কাঠের হতে পারে, আবার ওপরটায় কাচও থাকতে পারে। টেবিলের ওপর তাঁতের রানার (যেটি লম্বাভাবে খাবার টেবিলে বিছিয়ে দেওয়া হয়) রাখতে পারেন। খাবার টেবিলের ওপর পাটের তৈরি নান্দনিক ঝুরিতে দরকারি জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখা যায়। ঝুরির ঠিক মাঝ বরাবর সাধারণ কাচের বোতলে বালু ভরে ঝুরিজাতীয় ফুল রেখে দিতে পারেন।
আজকাল খাবার ঘরের চেয়ারে কভার লাগানোর পুরোনো রীতিটা নতুনভাবে ফিরে আসছে। এই কভারও দেশি কাপড়ে তৈরি করে নিতে পারেন। অনেক বাড়ির খাবার ঘরে মাইক্রোওয়েভ ওভেন, টোস্টার, জুসার ইত্যাদি রাখার জন্য মেঝে থেকে ফুট তিনেক উঁচু তাক থাকে। এই তাকেও দেশীয় উপকরণে তৈরি শোটি বা ফুলদানি রাখতে পারেন।

শোয়ার ঘর
বেত বা বাঁশের সুন্দর খাট রাখতে পারেন শোয়ার ঘরে। বেডকভার হতে পারে নকশিকাঁথা। দেয়ালেও বাঁধানো নকশিকাঁথা সাজিয়ে রাখতে পারেন। মাটির পাত্রে পানিতে গোলাপের পাপড়ি বা ছোট মোমবাতি ভাসিয়ে রাখতে পারেন। মাটির বড় ফুলদানিতে রজনীগন্ধা বা দোলনচাঁপা রাখা যায়। ল্যাম্পশেডেও দেশীয় উপকরণ থাকতে পারে। এ ঘরেও তাকের পর্দা লাগালে ভালো দেখাবে।

শিশুর ঘর
শিশুর ঘরের মেঝেতে শতরঞ্জি বিছিয়ে রাখতে পারেন। অনেক সময় শিশুরা খেলনা নিয়ে মেঝেতেই বসে পড়ে। শতরঞ্জি থাকলে ওরা এর ওপর বসে খেলতেও পারবে। দেয়ালে দেশের পতাকা, কাজী নজরুল ইসলামের ছবি রাখতে পারেন। এতে ওদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই দেশীয় সাহিত্যে আগ্রহ তৈরি হবে। ছবির ফ্রেমও দেশীয় উপকরণে তৈরি হলে ভালো।
বারান্দায় ঝোলানো বেতের দোলনা রাখা যায়। এ ছাড়া রাখুন গাছ। গাছে ফুল ফুটলে শিশু আনন্দ পাবে। অযত্নে গাছ মারা যায়, এই বিষয়টি দুঃখের—এমন বোধ ওর মধ্যে তৈরি হলে বড় হতে হতে ও যত্নশীল হয়ে উঠবে। আবেগ-অনুভূতিগুলো সুস্থ পরিবেশের মাঝেই তৈরি হবে। এ ধরনের উপকরণ শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক।

176
পেটে ছুঁচোদের ডন-বৈঠক চললে মনে হয় সামনে যা পাই, তা-ই খেয়ে ফেলি! যেমন ধরুন, অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভীষণ খিদে পায়। তখন কোনো কিছু বাছবিচার না করেই আমরা বাসায় যা আছে, তা খেয়েই কাজে যাই। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, খালি পেটে একদমই খাওয়া উচিত নয়। নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আসুন জেনে নেই খালি পেটে কোন খাবারগুলো পরিহার করা উচিত:

ফল খান বেছে বেছে
মানুষের মধ্যে প্রচলিত ধারণা হলো, যেকোনো ফলই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু সেটা কোন অবস্থায় খাওয়া উচিত, সে সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি না। যেমন ধরুন, কলা স্বাস্থ্যকর ফল হলেও তা খালি পেটে খাওয়া ক্ষতিকর। হজম-সহায়ক কলায় রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। খালি পেটে কলা খেলে এসব উপাদান রক্তে অন্য উপাদানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট করে। বিশেষ করে শরীরে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা হৃৎপিণ্ড ও রক্তের ধমনির জন্য ক্ষতিকর।

খালি পেটে টমেটো খেলে পাকস্থলীতে পাথর হতে পারে।

অনেকে টমেটো খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু খালি পেটে একদম টমেটো খাবেন না। পুষ্টিগুণে ভরপুর টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন ও ট্যানিক অ্যাসিড। খালি পেটে টমেটো খেলে পেকটিন ও ট্যানিক অ্যাসিডের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া ঘটে থাকে। এতে পাকস্থলীতে এক অদ্রবণীয় জেলের সৃষ্টি হয়, যেখান থেকে পরবর্তী সময়ে পাকস্থলীতে পাথর হয়। এ ছাড়া খালি পেটে টমেটো খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
খালি পেটে টকজাতীয় কিংবা ‘সাইট্রাস’ (কমলা) ধরনের ফল পরিহার করাই ভালো। টকজাতীয় ফল, যেমন আমলকী, করমচা, তেঁতুলে প্রচুর অ্যাসিড থাকে। এতে পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি হয়। খালি পেটে ‘সাইট্রাস’ ফল আপনার শৈষ্মিক ঝিল্লিকে (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে মারাত্মকভাবে, এ ছাড়া বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি হয়।

চা-কফি-সোডাকে ‘না’ বলুন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চায়ের পেয়ালায় চুমুক না দিলে অনেকের দিন শুরু হয় না। সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যাস আজই পাল্টান। চা-কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। খালি পেটে এই ক্যাফেইন বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির পাশাপাশি হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়। চা-কফি গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়, এতে হজম প্রক্রিয়ায় অসুবিধা হয় এবং গ্যাসের উদ্রেক ঘটে। তাই চা-কফি খাওয়ার আগে অন্তত কিছু খেয়ে নিন, অন্তত এক গ্লাস পানি হলেও খান। সকালে সব সময় নাশতার পর চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। খালি পেটে চা-কফি শরীরে সেরাটোনিনের কমতি ঘটায়, ফলে সারা দিন মন-মেজাজ খারাপ থাকতে পারে।
খালি পেটে সোডা ওয়াটার বা কোমল পানীয়ও খাবেন না।

চা-কফিতে পেটে গ্যাস জমে।

দুগ্ধজাত খাবার পরিহার করুন
খালি পেটে আপনি এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন, কিন্তু দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। গাজন প্রক্রিয়ায় বানানো দুগ্ধজাত খাবার, যেমন দই; এ ধরনের খাবার খালি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিডের গুণাগুণ নষ্ট করে। এতে অ্যাসিডিটির সৃষ্টি হয়। তাই দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার আগে অন্য কিছু খেয়ে নিন।

ঝাল-মসলা শত্রু
বেশির ভাগ বাঙালিই একটু ঝাল ঝাল তরকারি খেতে ভালোবাসেন। তবে পেট খালি থাকলে এমন ভালোবাসা বিসর্জন দেওয়াই নিরাপদ। ঝাল তরকারিতে অ্যাসিডিক বিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, যা খালি পেটে অসহনীয় জ্বালাপোড়া তৈরি করে। পেটের ভেতরকার পেশিতে সংকোচন হওয়ার ফলে পেটব্যথাও হতে পারে।

খালি পেটে দই না খাওয়াই ভালো।

শাকসবজিতে সাবধান
প্রচলিত ধারণা হলো, সবুজ শাকসবজি সব সময়ই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন অবস্থায় ভালো? সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিড শরীরের জন্য যেমন ভালো, তেমনি খালি পেটে বিষম গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি করতে পারে। শাকসবজির ‘ফাইবার’ ঠিকভাবে হজম না হলে তলপেটে ব্যথাও হতে পারে।

শেষ কথা
মদপান এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খালি পেটে খাওয়া মানে বিষপান। এতে কিডনি, লিভার ও হৃৎপিণ্ড ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খালি পেটে মিষ্টি আলু বেশি পরিমাণ অ্যাসিড ক্ষরণ করে, এতে পাকস্থলীর পেশি সংকুচিত হয় এবং তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি করে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়াও পরিহার করুন। খালি পেটে অতিরিক্ত বাদাম খেলে পেটব্যথার সৃষ্টি হয়। মোট কথা, খালি পেটে খাদ্যাভ্যাস খানিকটা সাবধানতা মেনে চললে জীবন হবে আরও সুন্দর।

শাকসবজির আঁশ খালি পেটে হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

177
 দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর আপনি কী করেন? এক কাপ চা পান করেন, নাকি সিগারেট খান? নাকি একটু ঘুমিয়ে নেন? এর কোনটাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। প্রতিনিয়ত আমরা খাওয়ার পর এমন কিছু কাজ করি যে কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ খাবার খাওয়ার পর হয় ঘুমায়, না হয় সিগারেট খায়। কিন্তু এই অভ্যাসগুলো শরীরে নানা রোগ সৃষ্টি করে থাকে এমনকি ক্যান্সারের মত ভয়ংকর রোগ হতে পারে। কারণ এসবের ফলে খাদ্য হজমে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যার কারণে অকারণে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সহ নানান রোগ দেখা দিতে পারে।

১। ধূমপান
খাবার খাওয়ার পর একটি সিগারেট খাওয়া ১০ টি সিগারেট খাওয়ার সমান। দশটি সিগারেট আপনার ফুসফুসের যে ক্ষতি করে খাবার খাওয়ার পর একটি সিগারেট তা করে থাকে। যা কারণে ফুসফুস, গলা, পাকস্থলী ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ।

২। চা পান
খাবার খাওয়ার পর অনেকেই এক কাপ চা পান করে থাকেন। চায়ের থাকা ক্যাফেইন আয়রনকে আবদ্ধ করে ফেলে আর হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। এই প্রভাব রক্ত স্বল্পতা মানুষদের উপর বেশি হয়ে থাকে। তাই রক্ত স্বল্পতা মানুষদের কমপক্ষে খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পর চা পান করা উচিত।

৩। গোসল করা
বিশেষজ্ঞদের মতে খাওয়ার সাথে সাথে গোসল করা উচিত নয়। পেটভরা অবস্থায় গোসল করলে আপনার হজমে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

৪। ফল খাওয়া
অনেকের অভ্যাস রয়েছে খাওয়ার পরে ফল খাওয়ার। খাওয়ার সাথে সাথে ফল খেলে এটি আপনার পাকস্থলিতে বাতাসে ভরে দেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত।

৫। ঘুমানো
দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ আমরা যখন শুয়ে পড়ি তখন পরিপাক  রস  পেটথেকে  অন্ননালী  মধ্যে  প্রবাহিত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি পেটের ভিতরে স্তরে প্রভাব ফেলে যা অ্যাসিডিটি সমস্যার তৈরি করে।

৬। শারীরিক পরিশ্রম
অনেকে মনে করেন খাওয়ার পর শারীরিক পরিশ্রম করা ভাল। কিন্তু কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়।  খাওয়ার পর হালকা হাঁটা যেতে পারে, কিন্তু কোন ভারী কাজ করা উচিত নয়।

৭। নাচা
খাবার খাওয়ার পর অনেকেই নাচ অনুশীলন করে থাকেন। এই কাজটিও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি অন্ত্রের পুষ্টি শোষণ করে থাকে।
 
লিখেছেন-
নিগার আলম
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

178
মশার কামড়ে জীবন ধ্বংসকারী অনেক অসুখ হতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য মশার কামড়ের যন্ত্রণাই অনেক ভয়ংকর হয়। হাফিংটন পোস্ট এর মতে ব্যথার প্রাথমিক স্তর হচ্ছে চুলকানি। কোন মশা যখন কামড় দেয় তখন সে আপনার ত্বকে এমন একটি উপাদান নিঃসৃত করে যা ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে যার ফলে ওই জায়গাটি লাল হয়ে ফুলে যায় ও গরম অনুভূত হয়। তারপরই চুলকানি হয়। ত্বক মশার কামড়ের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য হিস্টামিন নামক উপাদান নিঃসৃত করে ও অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের সিগন্যাল দেয় যা চুলকানি সৃষ্টি করে। এই চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ঔষধ গুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। মশার কামড়ের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায় ও আছে। আসুন জেনে নেই সেই উপায় গুলো কী কী।


১। বেকিং সোডা
আধা কাপ পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।  পরিস্কার আঙ্গুল বা কটন বাড দিয়ে মশার কামড়ের স্থানটিতে পেস্টটি আস্তে আস্তে লাগান। কয়েক মিনিট রাখুন, তারপর গরম পানি দিয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। বেকিং সোডার মিস্রণ চুলকানি কমাবে।

২। বরফ
আক্রান্ত স্থানে বরফ দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষুন বা ফ্রিজের একটি ঠাণ্ডা প্যাকেট কিছুক্ষণ দিয়ে রাখুন।  এটা চুলকানি কমাবে এবং ফোলা ও কমে যাবে ।  বরফ স্নায়ুকে অবশ করে তাই চুলকানি ও ব্যথা অনুভূত হয় না।

৩। ভিনেগার
অনেক বেশি মশার কামড়ের চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে বাথ টাবে বা বালতিতে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে ২/৩ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে গোসল করতে পারেন।যেহেতু ভিনেগার এসিডিক তাই এটা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।  অল্প কামড়ের ক্ষেত্রে কটন বলে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার নিয়ে ফোলা জায়গায় লাগান। আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করা ভালো, কারণ এটা কম এসিডিক।
এছাড়াও মধু, টুথপেস্ট,নেইল পলিশ এবং সাবান ও ব্যবহার করা যায়। মজার একটি উপায় হচ্ছে আক্রান্ত স্থানে স্কচ টেপ লাগিয়ে রাখতে পারেন যা আপনার চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।

(প্রিয়.কম)

179
১. রক্তরস বা প্লাজমা ডোনেটিং প্লাজমা. অর্গানাইজেশনের মতে নার্স বা ডাক্তার কর্তৃক আপনার রক্ত সংগ্রহ করে নেওয়ার পর যদি সেদিকে খেয়াল করেন, দেখবেন তলায় বেশ স্পষ্ট দেখতে প্লাজমা বা রক্তরস রয়েছে। এটিকে আপনার শরীর থেকে খানিকটা বের করে নিলে আপনার কোন সমস্যাই হবেনা। তবে সাহায্য হবে অন্যদের। অনেক জীনগত সমস্যার অন্যতম চিকিত্সার শুরু হয় রক্তরস দিয়ে। আর সেজন্যে রক্তরসের চাহিদাটাও বেশ ভালো। তবে আপনার রক্তরসের মূল্য কত হবে সেটা সবসময় নির্ভর করবে আপনার ওজনের ওপর। ওজন বেশি হলে আপনার রক্তরসের দামটাও খানিকটা বেশিই পাবেন আপনি। 

 ২. চুল বিশ্বের সব স্থানেই চুল বিক্রির বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার চুলগুলো বিক্রি করে আয় করতে পারেন বেশ কিছু টাকা। এক্ষেত্রে আপনাকে রাখতে হবে যতটা সম্ভব দীর্ঘ আর প্রাকৃতিক চুল। এরমানে কোন ক্ষতিকারক হেয়ার ড্রায়ার বা রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবেনা যেটা আপনার চুলকে নষ্ট করতে পারে। ( বিজনেস ইনসাইডার )   

৩. পুরোটা শরীর অনেকসময় নতুন কোন পদ্ধতি বা যন্ত্র পরীক্ষা করতে চিকিত্সকদের দরকার পড়ে মানব দেহের। আর এক্ষেত্রে তারা সেই নির্দিষ্ট সময় আর পরীক্ষার জন্যে কিনে নিতে পারে একটি মানবদেহ। এক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে আপনার শরীরের ওপর পরীক্ষা চালাতে দেবেন আপনি। তবে এগিয়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোর কথা মাথায় রাখা দরকার। ( বিজনেস ইনসাইডার )   

৪. শুক্রাণু ভিকি ডোনার চলচিত্রটির কথা মনে আছে যেখানে নায়ক নিজের শুক্রাণু বিক্রি করে টাকা আয় করতেন? আর এই স্পার্মগুলো সাধারণত তাদেরকেই দেওয়া হয় যারা সন্তান জন্মদানে অক্ষম। এটি কেবল আপনার নিজের আয়ই বাড়াবে না, হাসি ফোটাবে অন্যদের মুখেও। স্পার্ম ব্যাংক অব ক্যালিফোর্নিয়ার মতে এ পদ্ধতিতে মাসে আপনি নিজের আয় প্রায় ৬০০ ডলার বাড়াতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে হবে আপনাকে। যার ভেতরে পড়বে বয়স থেকে শুরু করে চিকিত্সার প্রতিবেদন পর্যন্ত।   

৫. বোন ম্যারো বা অস্থি মজ্জা অন্যান্য অঙ্গ বিক্রি করার ক্ষেত্রে নানারকম ঝামেলা থাকলেও উপরের কিছু ব্যাপার ছাড়া শরীরের আর যে জিনিসটি বিক্রি করতে একদমই সমস্যা নেই সেটি হচ্ছে বোন ম্যারো। ( বিজনেস ইনসাইডার )।  মানুষের সুস্থ থাকার জন্যে বোন ম্যারোর দরকার পড়ে যেটা অনেকের ক্ষেত্রে নেই হয়ে যায়। আর তাদেরকে সাহায্য করার পাশাপাশি বোনম্যারো বিক্রি করে বেশ ভালো আয় করতে পারেন আপনি।   

৬. রক্ত এটাতো প্রায় সবারই বেশ জানা কথা যে রক্ত আমাদের কতটা দরকারী আর বিপদের সময় সবারই অন্যতম আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায় ব্লাড ব্যাংক। কিন্তু এই ব্লাড ব্যাংকের রক্তগুলো আসে কোথা থেকে? নিশ্চয় কারো না কারো শরীর থেকে। রক্ত কয়েক মাস পরপর নতুন করে তৈরি হয় দেহে। আর তাই একটুও চিন্তা না করে আপনি রক্ত বিক্রি করতে পারেন বেশ ভালো দামে। তবে রক্ত দেওয়ার সময়ের ভেতরে ৫৬ দিনের বিরতি থাকাটা বাঞ্ছনীয়। ( দি রিচেস্ট )   

- See more at: http://www.priyo.com/2015/Nov/03/177283-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-

180
 প্রাণী আমাদের আনন্দ দেয় এবং আমাদের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।সাধারণত কুকুর, বিড়াল, হরিণ, ঘোড়া, খরগোশ, টিয়াপাখি ইত্যাদি প্রাণীকে পোষ মানানো হয় বলে আমরা জানি। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা চান একেবারেই অদ্ভুত কোন প্রাণীকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে। আসুন এমনই কিছু বিচিত্র প্রানীর কথা আজ আমরা জেনে নেই।
১। ট্যারান্টুলা
বিষাক্ত মাকড়সা ট্যারান্টুলাকে পোষ মানান যায়।ট্যারান্টুলা ২৫ বছর বেঁচে থাকে।এর থাকার উপযুক্ত করে কাঁচের তৈরি বাসা(টেরারিয়াম) প্রস্তুত করে নিতে হবে ও যত্ন নিতে হবে।এটা যেন বাসা থেকে বের হতে না পারে সেদিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখতে হয়।
২।ফিনেক ফক্স
বেশির ভাগ শিয়াল পোষ মানানোর জন্য ভালো নয়, তবে ফিনেক ফক্স খুব ভালো পোষ মানে। বিড়ালের চেয়ে ছোট এই প্রাণীটি বুদ্ধিমান। এরা খেলতে পছন্দ করে এবং এদের ব্যায়াম করা প্রয়োজন হয়। গৃহের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিষ গোছানোর কাজটি একে শিখিয়ে নেয়া যায়। এরা মানুষের জন্য ক্ষতিকর না।
৩।মিনিয়েচার ডাঙ্কি
এই প্রাণীটি ৩ ফুট লম্বা ও ৩০০ পাউন্ড ওজনের হয়। যাদের বাড়িতে বাড়তি জায়গা আছে তাঁরা মিনিয়েচার ডাঙ্কি রাখেন। তবে মিনিয়েচার ডাঙ্কি একা থাকতে পছন্দ করেনা। পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে চাইলে ২টি গাধা রাখতে হয়। এরা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা এবং শিশুদের ভাল বন্ধু হতে পারে।   
৪।মাদাগাস্কার হিসিং ককরোচ
তেলাপোকার নাম শুনে অবাক হচ্ছেন! অনেকে এই তেলাপোকা পোষা প্রানী হিসেবে বাসায় রাখেন। মাদাগাস্কারের এই তেলাপোকা ১-৩ বছর পর্যন্ত বাঁচে। মাদাগাস্কারের পাওয়া যায় এবং হিস হিস শব্দ করতে পারে বলে এর নামকরণ হয়েছে মাদাগাস্কার হিসিং ককরোচ। এরা উড়েনা এবং কামড় দেয়না।
৫।স্কাঙ্ক
স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি ছোট বিড়াল ছানার সমান হয়। এর কালো শরীরের উপরে দুইটি সাদা ডোরা থাকে। দেখতে কাঠবিড়ালির মত এই প্রাণীটি আত্মরক্ষার জন্য দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই প্রাণীটি চমৎকার ভাবে পোষ মানে এবং বেশি যত্ন নিতে হয়না। তবে একে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে চাইলে এর গন্ধ গ্রন্থি ফেলে দিতে হবে। গন্ধ গ্রন্থি ফেলে দেয়ার পর একে আবার জঙ্গলে ফিরিয়ে দেয়া যাবেনা।   
এমন আরো কিছু প্রাণী যেমন – ওয়াল্লাবি, সজারু, সুগার গ্লাইডার ইত্যাদি প্রাণীকেও পোষা প্রাণী হিসেবে রাখেন অনেকেই। 
লেখক-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার
প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

Pages: 1 ... 10 11 [12] 13 14 15