Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - irin parvin

Pages: [1] 2
1
                       


উপরে ছবি দেখে শিখে নিন কী টাইপ করলে কোন সিম্বল আসে। কীভাবে করবেন? মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড ফাইল খুলুন। আপনার পছন্দের মতো সিম্বল পেতে ছবি দেখে টাইপ করুন। দেখুন তো আপনার কাজে আসে কিনা?

Source: http://www.kalerkantho.com/online/info-tech

2
                                 



Source:http://www.kalerkantho.com/feature/doctor-asen

3
Fashion / ঘাড় ব্যথায় কাহিল?
« on: November 26, 2015, 11:24:03 AM »


অনেক সময় ঘাড়ের মেরুদণ্ডের হাড় বা সন্ধি বা পেশির সমস্যার জন্য ঘাড়ে ব্যথা হয়। এটি বেশ ভোগায়। ঘাড়ে ব্যথা থাকলে কিছু সতর্কতা জরুরি।

     নিচু টেবিলে লেখাপড়া, সেলাই করা, ইস্ত্রি করা—এসব কাজে ব্যথা বাড়বে। এগুলো সাময়িকভাবে পরিহার করুন।
     টেলিভিশন ও কম্পিউটার সঠিক উচ্চতায় থাকবে যেন তা চোখের সমান্তরালে থাকে, ঘাড় বাঁকা করে যেন দেখতে না হয়।
     ঘাড়ে বা মাথায় ওজন বহন করবেন না, শিশুদেরও নয়।
     পড়ার টেবিল বুকসমান উচ্চতার হলে ভালো।
     রান্নার চুলো উঁচু হবে, ঘাড় নিচু করে কাটাকাটি, মসলা বাটা এড়িয়ে চলুন।
     বালতি বা কলস বহন করবেন না। ভারী হাঁড়িপাতিলও নয়।
     উবু হয়ে কাপড় কাচা বাদ দিতে হবে।
     ঘাড়ে সারভাইকেল কলার পরলে আরাম পাবেন, তবে শোবার সময় পরা যাবে না। চলাফেরার সময় পরলেই ভালো।
     ঘাড়ের ব্যথা প্রশমনের ব্যায়ামগুলো শিখে নিয়ে নিয়মিত করুন, গরম সেঁক দিন।

নিউরোসার্জারি বিভাগ, জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
Source:http://www.prothom-alo.com/life-style/article/695020

4
আমাদের চলাফেরা, বসা কিংবা দাঁড়ানোর ভঙ্গি কখনো কখনো সঠিক থাকে না। পরিণতিতে কোমরব্যথা ও মাজাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয় বা অন্য কোনো সমস্যার পরিণামেও অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়। কারণ যা-ই হোক, কোমরব্যথার রোগীদের কিছু বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। যেমন:
*সামনে ঝুঁকে বা নিচু হয়ে কোনো জিনিস মেঝে থেকে তুলবেন না। এ রকম প্রয়োজনে হাঁটু গেড়ে বসে তারপর জিনিসটি তুলতে হবে। নলকূপ বা টিউবওয়েল চেপে পানি তোলার মতো কাজ থেকেও বিরত থাকুন।
*নিচু হয়ে বঁটিতে কিছু কাটাকাটি করা বা মসলা বাটাও নিষেধ। দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করার উপযোগী চুলা ব্যবহার করতে হবে। পিঁড়ি বা মোড়ায় বসবেন না। হাই কমোড ব্যবহার করতে পারেন।
*ভারী জিনিস তুলবেন না। বহনও করবেন না। মেরুদণ্ডে সমস্যা থাকলে নিচু বা উবু হয়ে কাপড় কাচা বা ঘর মোছার মতো কাজও করবেন না।|
*জুতা বা মোজা পরার সময় টুলের ওপর বসে কোমর সোজা রাখুন।
*বসার চেয়ার যেন স্প্রিংয়ের না হয়। হাতলযুক্ত চেয়ার ভালো। দীর্ঘ সময় বসে কাজ করলে পিঠে বা মাজায় হালকা কুশন ব্যবহার করুন। পিঠ যেন সোজা থাকে।
*বিছানায় নরম ফোমের বদলে তোশক বা জাজিম ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যসম্মত (স্পাইন গ্রেডেড) ম্যাট্রেস ব্যবহার করা যেতে পারে। শোয়া থেকে ওঠার সময় একদিকে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে তারপর উঠুন।
*পেছনে ব্যথা যাঁদের, তাঁরা মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল কিছুদিন এড়িয়ে চলুন। গাড়ি বা বাসের সামনের আসনে বসার চেষ্টা করুন।
*উঁচু হিলের জুতা, ব্যাকপকেটে মোটা মানিব্যাগ বা ভারী জিনিস রাখবেন না। বেশি ওজনের হাতব্যাগ বা ব্রিফকেস বহন করবেন না।
*ওজন নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যকর চলাফেরার অভ্যাস করুন। তাহলেই ব্যথামুক্ত থাকবেন।


ডা. সুদীপ্ত কুমার মুখার্জি নিউরোসার্জারি বিভাগ জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
Source:http://www.prothom-alo.com/life-style/article/692596

5
Fashion / শীতে শিশুর গলাব্যথা
« on: November 25, 2015, 01:44:33 PM »
‘গলাব্যথা’ বা ‘সোর থ্রোট’ শিশুদের অসুখবিসুখের এক সাধারণ উপসর্গ। তবে মৌসুম বদলের এই সময়ে বা শীতের শুরুতে এই সমস্যা বেড়ে যায়। সাধারণত খাদ্যনালির ওপরের অংশ, টনসিল ও তার চারপাশের অংশে প্রদাহের কারণে গলাব্যথা হয়।
পাঁচ থেকে আট বছর বয়সী শিশুরা এ সমস্যায় সাধারণত বেশি ভোগে। বর্ষা শেষে বা শীতকালে গলাব্যথা বাড়তে পারে। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে প্রদাহ হয়। ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী জীবাণু হলো গ্রুপ-এ বিটা হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস। এটি সংক্রামক। লালা বা শ্লেষ্মার মাধ্যমে ছড়ায়।
ভাইরাসজনিত গলাব্যথায় শিশুর সর্দি-জ্বর, কাশি, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। আবার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে হঠাৎ করে তীব্র গলাব্যথা, অনেক জ্বর, মাথায় যন্ত্রণা, বমি বা বমির ভাব, পেটব্যথা, গলার পাশে ব্যথাসহ ফুলে যেতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সোর থ্রোটের কারণে টনসিল ও তার চারপাশের অংশ লাল হয়ে যায়। মাঝে মাঝে শরীরে ফুসকুড়ি বা র্যা শ দেখা যায়।
গলাব্যথা সারাতে হলে সঠিক মাত্রায় প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ওষুধ সেবন করলে স্বস্তি মিলবে। লবণ পানিতে গলা গরগর করতেও ভালো লাগবে। এ সময় শিশুকে যথেষ্ট পানি ও তরল খাবার দিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। শিশুর ঢোক গিলতে বা শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হলে, লালা ঝরলে বা শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা (১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি) ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বজায় থাকলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
Source:http://www.prothom-alo.com/life-style/article/693736

6


এ বছর ৬০ বছরে পা রাখল গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। ১৯৫৫ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এর পথচলা, তারপর থেকেই দুনিয়াজুড়ে এর তুমুল জনপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের বই বিক্রি হয়েছে ১৩২ মিলিয়ন কপি, এক শটিরও বেশি দেশে।



ওলগা লিয়াশচুক: ঊরু দিয়ে তিনটি তরমুজ দুমড়েমুচড়ে ফেলেছেন সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে! ছবি: র‍্যানাল্ড ম্যাকেশনি (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



জগদীশ: সবচেয়ে বেশি দূর পাড়ি জমিয়েছেন অটো-রিকশা কাত করে! ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



ডমিনিক ল্যাকেস: সবচেয়ে বেশি বার ঘুরপাক খেয়েছেন অনুভূমিক অবস্থায়!ছবি: রায়ান শুড (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



লিনসে লিন্ডবার্গ: সবচেয়ে বেশি সংখ্যক টেলিফোন ডিরেক্টরি ছিঁড়েছেন মাত্র এক মিনিটে! ছবি: র‍্যানাল্ড ম্যাকেশনি (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



বিজয় কুমার: মুখে তাঁর সবচেয়ে বেশি দাঁত! ছবি: রিচার্ড ব্র্যাডবারি (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



তামেরু জেগেই: সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ১০০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছেন ক্রাচে ভর দিয়ে! ছবি: কেভিন স্কট র‍্যামোস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



মার্কাস ডেইলি: হট ডগের একটা কার্ট বানিয়েছেন, যেটা দুনিয়ায় সবচেয়ে বড়। ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



তাকেরু কোবায়াসি: সবচেয়ে বেশি হ্যাম বার্গার পেটে চালান করেছেন মাত্র তিন মিনিটে! ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



লি লংলং: ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে বেশিবার সিঁড়ি বেয়ে উঠেছেন, তবে সেটা মাথা দিয়ে! ছবি: গিল মোন্টানা (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



জেইসন ওরলান্দো রদ্রিগেজ হার্নান্দেজ: জীবিত মানুষের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা পা-ওয়ালা। ছবি: জেমস এলেরকার (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



ফ্রানচেসা: তাঁর একটা পোষা খরগোশ আছে, সেটির আছে আবার দুনিয়ার সবচেয়ে লম্বা পশম।ছবি: র‍্যানাল্ড ম্যাকেশনি (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



দেবেন্দ্র সুতার: হাত ও পায়ে সবচেয়ে বেশি আঙুলের মালিক! ছবি: র‍্যানাল্ড ম্যাকেশনি (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



ভারত সিন পারমার: সবচেয়ে লম্বা মোটরসাইকেলের মালিক। ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



বার্টি: পুরস্কারটি উঠেছে একটি কচ্ছপের হাতে! না উঠে উপায় কী! সে যে সবচেয়ে দ্রুতগতির কচ্ছপ! ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



সান মিংমিং ও জু ইয়ান: সবচেয়ে লম্বা বিবাহিত জুটি। ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)



আলবার্তো বুসনারি: পমেল হর্সে (শারীরিক কসরতে ব্যবহৃত বিশেষ অনুষঙ্গ) সবচেয়ে বেশি বার থমাস ফ্লেয়ার (জিমন্যাস্টিকসের একটি কসরত​) করেছেন মাত্র এক মিনিটে।


ছবি: পল মাইকেল হিউস (গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড)
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ডটকম, যুক্তরাজ্য
 

7
মাথা নাড়াতে বা একটু এপাশ-ওপাশ করতে গিয়েই হঠাৎ মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হয়তো সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ সমস্যার নাম বিনাইন পারঅক্সিসমাল পজিশনাল ভারটিগো।
এ সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা নাড়ানোর সময় মনে হতে পারে, তাঁর মাথা ঘুরছে বা চারপাশের সবকিছু ঘুরছে। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এই অস্বস্তিকর অবস্থা। বিছানা থেকে মাথা তোলার সময় বা বইয়ের তাকে বই খোঁজার সময় মাথা নাড়াতে গিয়ে এ সমস্যায় আক্রান্ত হন অনেকে। কানের ভেতরের কিছু রাসায়নিক পদার্থের স্থান পরিবর্তনের ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর সুনির্দিষ্ট কারণ অজানা। তবে সাধারণত মাথায় কোনো আঘাত পেলে অথবা কানে প্রদাহ বা অস্ত্রোপচারের পর এ সমস্যা হয়ে থাকে।
সাধারণত এ রোগ তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। তবে বারবার এ সমস্যা ফিরেও আসতে পারে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এ সমস্যার কারণে পরবর্তী সময়ে বড় কোনো জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কাও নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, মাথা ঘোরানোর সময় ভারসাম্য হারিয়ে যেন রোগী পড়ে না যায়। এ জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। যাঁদের এ ধরনের মাথা ঘোরার সমস্যা আছে, তাঁদের যেকোনো কাজে মাথা নাড়াতে হবে ধীরে ধীরে। যেমন বিছানা থেকে ধীরে ধীরে মাথা তুলতে হবে, ঘুম ভেঙেই চট করে মাথা তোলা যাবে না। শোয়া অবস্থা থেকে দাঁড়ানোর আগে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হবে, এরপর ধীরেসুস্থে দাঁড়াতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু ওষুধের ব্যবস্থাপত্রও নেওয়া যায়।
সহযোগী অধ্যাপক, নাক-কান-গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

Source:http://www.prothom-alo.com/life-style/article/691834

8
Life Style / রাতে গোড়ালিতে ব্যথা?
« on: November 16, 2015, 01:37:56 PM »
সারা দিনের ক্লান্তির পর রাতে গোড়ালি ব্যথা করলে কার ভালো লাগে? চিনচিনে এই ব্যথা বা অস্বস্তির কারণে অনেক সময় ভালো ঘুম হতে চায় না। সকালে পা মেঝেতে ফেলতে গেলেও ব্যথা লাগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ রকম গোড়ালি ব্যথার কারণ পায়ের পাতার নিচে প্রদাহ বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস।
মধ্যবয়সীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সারা দিন হাঁটাহাঁটির মধ্যে এই ব্যথা বেশি অনুভূত হয় না, বাড়ি ফিরলেই শুরু হয়। এই যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সহজ কয়েকটি ব্যায়াম করতে পারেন। রাতে শোবার আগে কয়েক মিনিটের এই ব্যায়াম সেরে নিলেই পাওয়া যাবে আরাম।

                                                                         

১. একটা চেয়ারে বসে দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতার সামনের অংশ ধরুন। এবার নিজের দিকে অর্থাৎ ওপরের দিকে পায়ের পাতাটিকে টানুন। আরও সহজ হলো, একটা তোয়ালে রোল করে পায়ের পাতা তার মধ্য দিয়ে রোলের দুই মাথা হাত দিয়ে নিজের দিকে টানতে থাকুন। দুই পায়ে ৩০ সেকেন্ড এই ব্যায়াম করুন।
২. দেয়ালের দিক মুখ করে দাঁড়ান। বাঁ পা সোজা রাখুন কিন্তু ডান নিতম্ব এমনভাবে সামনে দেয়ালের দিকে বাঁকা করুন, যাতে পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে। ৩০ সেকেন্ড এই চর্চা করুন। এবার পা বদলে অন্য পায়ে একই ব্যায়াম করুন। দুই থেকে তিনবার করতে হবে।
৩. মেঝেতে একটা তোয়ালে বা ন্যাকড়া ফেলে দিন। এবার ওটার ওপর পা দিয়ে সামনের আঙুলগুলো দিয়ে তোয়ালেটাকে আঁকড়ে ধরুন এবং নিজের দিকে আনতে চেষ্টা করুন। অন্য পা দিয়েও করুন ব্যায়ামটা।
৪. ব্যায়ামের পর একটা স্বস্তিকর আরামদায়ক ঘুমের জন্য খানিকক্ষণ পায়ের পাতায় মালিশ (ফুট ম্যাসাজ) করে নিন। সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো, ছোট্ট একটা প্লাস্টিকের বল মেঝেতে রেখে তার ওপর পায়ের পাতা দিয়ে চেপে ধরে নাড়ানো। কয়েক মিনিট এই ম্যাসাজটা করলে সারা রাত চমৎকার কাটবে।

Source:http://www.prothom-alo.com/life-style/article/684049

9
অফিস ঘর তিনতলায়, ৬০টি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয়। মূল গেট দিয়ে ভবনে ঢুকেই পাশে সিঁড়ি। তিনতলায় উঠলে সামনেই অফিস ঘর। আর লিফটে উঠতে হলে অন্তত ২০০ কদম হেঁটে যেতে হয়। আবার লিফট থেকে নেমে অফিস ঘরে যেতে আরও ২০০ কদম হাঁটতে হয়। এখন আমার স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো—সিঁড়ি, না লিফট? সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। এখানে লিফট বা সিঁড়ি, যেটাই ব্যবহার করি না কেন, দুটিতেই কিছু ব্যায়াম হয়ে যায়। কিন্তু কোনটি বেশি ভালো? এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ নিতে পারি।
১. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুটির যেকোনো একটি বেছে নেওয়া যায়। দুটিই উপকারী। একেবারে হাঁটাহাঁটি না করার চেয়ে কয়েক শ কদম হাঁটা বা কষ্ট করে কিছু সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, এর যেকোনোটিই ভালো।
২. তবে সম্ভব হলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ, সমতলে হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে বেশি শ্রম দিতে হয়।
৩. সাম্প্রতিক এক হিসাবে দেখা গেছে, সাধারণ গতিতে সমতলে হাঁটার তুলনায় ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে প্রতি মিনিটে প্রায় দ্বিগুণ শক্তি ব্যয় করতে হয়। তার মানে, সিঁড়ি ব্যবহার করলে হাঁটার তুলনায় প্রতি মিনিটে প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরি ব্যয় হয়।
৪. এমনকি সিঁড়ি দিয়ে নামলে সমতলে হাঁটার তুলনায় আরও বেশি ক্যালরি ব্যয় হয়।
৫. সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত উঠলে সমতলে হাঁটার তুলনায় হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা আরও বেশি কার্যকর হয়। তবে বয়স, হৃদ্যন্ত্রের অবস্থা ও অন্যান্য কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। যেমন ভরা পেটে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার বাড়তি পরিশ্রম না করাই ভালো। কারও হার্টের অসুস্থতা থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


Source:http://www.prothom-alo.com/life-style/article/656989

10
সঠিক পরিমাণে খাবার না খাওয়া এবং দেহের পরিমিত ভিটামিনের চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিনের অভাব। স্বাদের কথা ভেবে যখন আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে নানা ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিই, যার প্রতিফল হিসেবে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয় না এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার কারণে আমরা ভুগি নানা ধরণের রোগে। লক্ষণ বোঝা গেলে একটু হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব এই ভিটামিনের চাহিদা, কিন্তু যদি লক্ষণ টের না পাওয়া যায় তাহলে বাড়তেই থাকে সমস্যা। কিন্তু ভিটামিনের অভাব দেহে হলে অদ্ভুত ধরণের কিছু লক্ষণ দেখা যায় যার সাথে অনেকেই পরিচিত নন।

১. দেহের নানা অংশ অবশ হয়ে যাওয়া:
দেহের নানা অংশে অবশবোধ হওয়া খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। অনেকসময় আমরা ভাবি একটানা একভাবে বসে থাকা কিংবা নার্ভের ওপর চাপ পড়ার কারণে এটি ঘটে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ভিটামিন বি৯, বি৬ এবং বি১২ এর অভাব দেহে হলে এই লক্ষণটি দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিনের অভাবের কারণে বিষণ্ণতা, রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।
ভিটামিনের অভাব পূরণ:
সামুদ্রিক মাছ, লাল চালের ভাত, বাদাম, ডিম, মুরগীর মাংস, কলা, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং সবুজ শাক রাখুন খাদ্যতালিকায়।

২. লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র্যা শ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া
আমরা ধারণা করি মুখের ত্বকে লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র্যা শ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া যত্নের অভাব এবং কোনো কসমেটিকের জিনিস ত্বকের সাথে মানানসই না হওয়ার লক্ষণ। কিন্তু এটি কোনো ধরণের কেমিক্যালের প্রভাব নয় বা যত্নের অভাব নয়। এটি ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর অভাবজনিত সমস্যার লক্ষণ।
ভিটামিনের অভাব পূরণ:
মাছ, ডিম, মাশরুম, ফুলকপি, বাদাম ও কলা রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।

৩. ঠোঁটের কিনারে ফেটে যাওয়া:
ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের কিনার ফাটা একই জাতীয় সমস্যা বলে ভুল করে থাকি আমরা। আমরা মনে করে ঠোঁট ফাটার মতোই ঠোঁটের কিনার ফাটা শীতকালের সমস্যা অথবা একটু পানিশূন্যতার লক্ষণ। কিন্তু এই সামান্য ঠোঁটের কিনার ফেটে যাওয়া ভিটামিন বি৩, বি২ ও বি১২ এবং আয়রন, জিংক ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবের লক্ষণ।
ভিটামিনের অভাব পূরণ:
সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মুরগীর মাংস, টমেটো, চীনাবাদাম, ডাল, দই, পনির, ঘি এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।

৪. দেহের বিভিন্ন অংশে লাল ও সাদা রঙের ব্রণ ওঠা:
মুখ, বাহু, উরু এবং দেহের পিঠের নিচের পেছনের অংশে লাল ও সাদাটে রঙের ব্রণ উঠলে আমরা তা নিয়ে একটুও ভাবি না। কারণ আমাদের কাছে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা এবং যত্ন ও হরমোনের তারতম্যের কারণে ঘটা ব্যাপার। কিন্তু আসলে দেহের এইসকল স্থানে লালচে ও সাদাটে রঙের ব্রণ উঠা ভিটামিন এ ও ডি এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবের লক্ষণ।
ভিটামিনের অভাব পূরণ:
একটানা অনেকক্ষণ এসি ঘরে থাকবেন না, সূর্যের আলোতে বের হন, প্রচুর পরিমাণে মাছ, শাকসবজি ও ডিম রাখুন খাদ্য তালিকায়।

৫. হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা এবং পায়ের পেছনের অংশে ব্যথা অনুভব:
হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা, পায়ের পাতা, তালু এবং পায়ের পেছনের অংশে ব্যথা অনুভব করার সমস্যায় পড়েন কমবেশি অনেকেই। আমরা ধরেই নেই এসকল সমস্যার কারণ একটানা বসে থাকা ও নার্ভে চাপ পড়া। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর মূলে রয়েছে ওয়াটার স্যলুবল বি ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব।
ভিটামিনের অভাব পূরণ:
সবুজ শাক, কাঠবাদাম, তাল, কমলা, কলা, চীনাবাদাম, ডাবের পানি, কিশমিশ, কাজু বাদাম ইত্যাদি রাখুন খাদ্যতালিকায়।

Source: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/10/12/278308

11
Fashion / ওটস দিয়ে তৈরি খাবার
« on: August 05, 2015, 04:48:34 PM »



খিচুড়ি ও মিষ্টি।
যারা ডায়েট করছেন বা স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই আজকাল এটা খেয়ে থাকেন। তবে সবসময় একভাবে বানিয়ে খেতে তেমন ভালো লাগে না। তাই ওটস দিয়ে খিচুড়ি আর মিষ্টি খাবার তৈরির রেসিপি দিয়েছেন সামিয়া রহমান।

ওটসের খিচুড়ি

উপকরণ: ওটস দেড় কাপ। মুগডাল ৩ টেবিল-চামচ। মসুর ডাল ৩ টেবিল-চামচ। মুরগির মাংস টুকরা করা (হাড় ছাড়া আর পরিমাণ ইচ্ছা মতো)। গাজর, ছোট আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, ক্যাপসিকাম সব মিলিয়ে ১ কাপ অথবা ইচ্ছামতো যে কোনো সবজি নিতে পারেন। কাঁচামরিচের কুচি ইচ্ছা মতো। টমেটোকুচি ১টি। পেঁয়াজকুচি ১টি। ছোট রসুনকুচি ২ কোয়া। জিরাগুঁড়া সামান্য।হলুদগুঁড়া সামান্য। ধনেগুঁড়া সামান্য। লবণ স্বাদমতো। তেল ১ টেবিল-চামচ। পানি ২ কাপ অথবা প্রয়োজন মতো। ধনেপাতার কুচি ইচ্ছা মতো।

পদ্ধতি: প্রথমে ওটস ভেজে নিন। প্যানে তেল দিয়ে মুরগির মাংস ভাজা ভাজা করে পেঁয়াজকুচি ও রসুনকুচি দিয়ে ভাজুন। মাংস একটু নরম হলে সবজি দিয়ে সব গুঁড়ামসলা আর লবণ দিয়ে ভাজুন।

এবার ডালগুলো দিয়ে পানিসহ ঢেকে রান্না করতে থাকুন। সবকিছু আধা সিদ্ধ হলে ভাজা ওটস আর কাঁচামরিচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে দিন। আবার ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন। পানি শুকিয়ে ভাজা ভাজা হলে ধনেপাতার কুচি ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

ওটসের পায়েস।

উপকরণ: ওটস ২ টেবিল-চামচ। তরল দুধ ১ কাপ। নন ফ্যাট দই ১ টেবিল চামচ। তোকমা ১ চা-চামচ। পাকাআম, স্ট্রবেরি কুচি করা আধা কাপ। চিনি ১ চা-চামচ (চিনির পরিবর্তে মধু অথবা লো ক্যালোরিযুক্ত চিনি দিতে পারেন)। শুকনা ফল, বাদাম ও কিশমিশ।

পদ্ধতি

সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। অন্তত তিন ঘণ্টা অথবা সারারাত রেখে সকালে খেতে পারেন বা যে কোনো সময় ঠাণ্ডা হলে খাবেন।

Source:http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article973689.bdnews

12
কখনও এমন কোন ছবি দেখেছেন, যা দেখতে বাস্তব মনে হয়? বর্তমান প্রজন্মে এমন কিছু আর্টিস্ট রয়েছেন, যারা এমন কিছু ছবি আর্ট করেছেন, যা দেখতে একদম বাস্তব মনে হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক, সে সকল ছবির কথা-



১. পৃথিবীর মুখ:
সুইডেনে মানুষের চলাচলের স্থানে একটি আর্ট করা রয়েছে। যা পৃথিবীর মুখ নামে পরিচিত। এই ছবিটি ফটোশপের কোন কারসাজি নয়। মানুষ যখন এখানে চলাচল করেন, তখন তারা মাঝে মাঝে ধোঁকা খায়, আসলেও কি এটা গর্ত নাকি শুধু আর্ট।



২. দৈত্যাকার মাছ:
ছবিতে যে মাছটি রয়েছে, তা গোল্ডফিশের ন্যায় দেখতে। কিন্তু, এটা মেনে নেয়া অনেক দুরূহ। কারণ, সাধারণত একটি গোল্ডফিশ ১০ ইঞ্চির বেশী লম্বা হয় না। তবে, রাফায়েল বাগিনি এই গোল্ডফিশ ধরার জন্য ছয় বছর অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে তিনি এই মাছ শিকার করেন।



৩. এলিয়েনের আগমন:
এই ছবিটি কোন এলিয়েন আসার ছবি নয়। একটি উষ্ণপ্রস্রবণ এর উৎপাত হবার কিছু সময় পূর্বে এই ছবিটি তোলা হয়। এটি দেখতে এলিয়েনের আবির্ভাব মনে হলেও, তা কিন্তু নয়। তবে এটা ফটোশপের কারসাজিও নয়। এটি আইসল্যান্ড এর স্ট্রোক্কুরে অবস্থিত।
 


৪. ফাঁকা চোখ:
এটা ভয়ানক কোন সিনেমার অংশ নয়। বেলি অয়েন মস্তিষ্ক ক্যান্সারের কারণে তার চোখ হাড়িয়ে ফেলেন। এখন তিনি তার এই চোখের অভাবকে তার জীবিকা নির্বাহের কাজে লাগিয়েছেন। তিনি এখন বিভিন্ন ভৌতিক ছবিতে ভূতের অভিনয় করেন।
 


৫. ভাসমান কল:
এই ছবিটি দেখে আপনি আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। এই কলটি স্পেনে অবস্থিত। এই পানির কলকে সবাই যাদুর কল বলে। কোথা থেকে এখানে পানি আসে তা দেখা যায় না। পরে জানা যায়, যেদিক থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে, সেদিক দিয়েই পানি আসে।

Source: http://www.bd24live.com/bangla/article/53640

13
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কানের ভেতরের অংশে থাকা ‘ভেস্টিবুলার সিস্টেম’ নামক এক ধরনের ফ্লুইড ‘মোশন সিকনেস’ বা ভ্রমণ অসুস্থতার কারণ। যানবাহনে থাকাবস্থায় মাথার নড়াচড়ার কারণে এই ফ্লুইডও নড়তে থাকে, যা মস্তিষ্কে এই নড়াচড়ার সংকেত পাঠায়।

এই নড়াচড়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে বমি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, ঘাম হওয়া, অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি। কারও ক্ষেত্রে আবার মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি এবং মাথা ব্যথার লক্ষণও চোখে পড়ে। শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্যে পরিবর্তন এসেছে এমন মনে হলে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

এই অসুস্থতার সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি উপায়।

- পেট অতিরিক্ত ভরা অনুভব হয় এমন কিছু ভ্রমনের আগে খাওয়া উচিৎ নয়। ঝালজাতীয় এবং ভারি খাবার খেলেও সমস্যা বেড়ে যায় অনেকের। অল্প দূরত্বের ভ্রমণের না খেয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। আর দূরপাল্লার যাত্রায় অল্প পরিমাণে খাবার ও পানীয় খাওয়া উচিৎ।

- যাত্রার আগে কড়া সুগন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এধরনের খাবার খেলে বমিভাব হতে পারে। লোভনীয় গন্ধযুক্ত তৈলাক্ত খাবারের চাইতে ক্র্যাকার্স, শুকনা টোস্ট ইত্যাদি খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

- যাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি হয় তাদের যানবাহন যেদিকে চলছে সেটার উল্টা মুখ করে বসা উচিৎ নয়।

- গাড়ির পেছনের সিটের পরিবর্তে সামনে সিটে বসার চেষ্টা করুন। গাড়ির বাইরের পরিবেশের উপর চোখ রাখতে পারলে কানের ভেতরের অংশ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বর রাখা সহজ হবে।

- চলন্ত গাড়িতে বসে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে দিগন্তের দিকে চোখ রাখতে পারেন। আশপাশের চলন্ত বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকলে শারীরিক ভারসাম্যে গড়বড় হতে পারে।

- চলন্ত গাড়িতে বসে বই না পড়াই উত্তম। দিক নির্দেশনার প্রয়োজন থাকলে মানচিত্র বা গাড়ির জিপিএস না দেখে ‘ভয়েস কমান্ড’ ব্যবহার করা উচিৎ।

- সম্ভব হলে গাড়ির জানালা খুলে বাইরের সতেজ বাতাস গায়ে লাগার সুযোগ দিন। এতে ভ্রমণের অস্বস্তি কিছুটা কমবে। বিমান বা ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে সিটের উপরের ‘এয়ার ভেন্ট’ ফুল স্পিডে চালু করে রাখতে পারেন। নৌকা বা জাহাজে সফরকালে যতটা সম্ভব ডেকের বাইরে থাকার চেষ্টা করুন।

- ভ্রমণে অসুস্থতা আছে এমন যাত্রীদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ভ্রমণে অসুস্থতা নিয়ে আলোচনা করলে বা শুনলে এবং অন্যদের অসুস্থ হতে দেখলেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

- গাড়ির গতি কম অনুভূত হয় এমন স্থানে বসার চেষ্টা করুন। বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের মাঝামাঝি বসাই ভালো। পানি পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাহাজ বা লঞ্চের নিচের কেবিনগুলোতে থাকলে উপকার পেতে পারেন।

- সফরকালে চোখ বন্ধ করে থাকলে কিংবা ঘুমালে বমিভাব কমে।

- যাত্রা শুরুর আগে মাথা ঝিমঝিম করা বা বমির ওষুধ খেলে উপকার পেতে পারেন। ভেষজ চিকিৎসায় বিশ্বাসী হলে যাত্রা শুরুর আগে আদা খেতে পারেন।


Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1002674.bdnews

14
Life Style / চিনে নিন খাঁটি ইলিশ
« on: July 27, 2015, 09:46:21 AM »
জানেন কি যে ইলিশ মাছ যত সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিকর৷ কারণ তার নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ গুণ। মাছ খেতে অল্প বিস্তর সব বাঙালিই ভালোবাসে। আর ইলিশ মাছ হলে তো কথাই নেই। দুপুরের খাবার টেবিলে যদি পাতে ইলিশ পড়ে তাহলে, আর অন্য কোনও পদের আর দরকার পড়বেই না। ইলিশের তেল দিয়েই তো অর্ধেক ভাত খাওয়া হয়ে যাবে৷ তবে ইলিশ মাছ কিন্ত্ত স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি তার পুষ্টি গুণও কিন্ত্ত কম কিছু নয়৷ তবে কী ধরনের ইলিশ খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে, যে সেই ইলিশ থেকে আপনি কতটা পুষ্টি পাচ্ছেন৷ আমরা সাধারণত দুই ধরনের ইলিশ খেয়ে থাকি৷ এক মিষ্টি পানির ইলিশ৷ অন্যটা হলো সমুদ্রের ইলিশ৷ মাথায় রাখবেন এদের মধ্যে পুষ্টিকর ইলিশ কিন্ত্ত একমাত্র মিষ্টি পানির ইলিশ। সামুদ্রিক ইলিশ কিন্ত্ত ততটা পুষ্টিকর নয়৷ এবার ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণগুলি একে একে জেনে নিন৷ আমরা জানি ইলিশ মাছে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি৷ সেটা সত্যি৷ তবে সেগুলি হলো ভালো ফ্যাট৷

অর্থাত্‍ ইলিশ মাছে পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণই বেশি৷ ভালো ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য সবসময়েই উপকারী৷ তবে এটাও মাথায় রাখবেন যে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছই কিন্ত্ত আসলে সবচেয়ে পুষ্টিকর৷ মোটামুটি সাতশো থেকে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছের মধ্যেই একমাত্র পলি ও মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়৷ তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মাছ হলেই জানবেন সেটিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি৷ সেটা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর৷ আবার আমরা অনেকেই তার কম ওজনের ইলিশ মাছও খাই৷ খোকা ইলিশও কিন্ত্ত ততটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নয়৷ বিশেষ করে এই মাছে একেবারেই প্রোটিন নেই৷

তাই মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ খান৷ কারণ এই মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, এবং জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ৷ ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন৷ জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো৷ সেলেনিয়াম আবার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণও৷ ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের তেল হার্টের জন্যও খুব ভালো৷ যাদের হাইপার কলেস্টরল আছে, তারাও ইলিশ মাছ খান৷ কারণ তা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে দেয়৷ এলডিএল বেড়ে গেলে কিন্ত্ত হার্ট ব্লকের সমস্যা হতে পারে৷ ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই৷ বিশেষ করে ভিটামিন ডি কিন্ত্ত খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়৷ অস্টিওপোরোসিসের জন্যও ইলিশ মাছ খুব ভালো৷ ইলিশ মাছে আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো৷ তাছাড়া ইলিশ মাছ ক্যান্সার প্রতিরোধক৷ হাঁপানি-র উপশমেও উপকারী৷ আবার সর্দি কাশির জন্যও ভালো৷ তবে ইলিশ মাছ আরা বছর নয়, শুধু ইলিশের মরশুমেই খান৷ যদি রোজ ইলিশ খেতে চান, তাহলে হালকা ইলিশের ঝোল খান৷ খুব কড়া করে ভাজা ইলিশ মাছ না খাওয়াই ভালো৷ তাছাড়া রোজ যদি সর্ষে বাটা দিয়ে কষে ইলিশ রান্না খান, তা হলে তা শরীরের পক্ষে খারাপ তো বটেই৷ জেনে রাখুন ইলিশ ডিম দেওয়ার আগেই কিন্ত্ত ভালো খেতে৷ মজার কথা হলো ইলিশ মাছ যত জলে সাঁতার কাটে তত তার শরীর টোনড হয়ে ওঠে৷ আর তত ইলিশ মাছ সুস্বাদু হয়৷ জানবেন যে ইলিশ মাছের যত স্বাদ সেই ইলিশ তত পুষ্টিকর৷

Source: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle

15
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিশেষ করে নাশতায় অনেকেই ডিম খেতে পছন্দ করেন। সময় স্বল্পতার জন্য ভাতের সঙ্গে তরকারির বিকল্প হিসেবে ডিম ভাজি বা ভর্তা করেও অনেককে খেতে হয়। প্রশ্নটা হলো প্রতিদিন বা নিয়মিত ডিম খাওয়া যাবে কি যাবে না, এ নিয়ে চিকিৎসক, রোগী এমনকি সুস্থ মানুষের মাঝেও বিভ্রান্তি বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল এবং এখনো আছে। বিশেষ করে যাঁদের বয়স একটু বেশি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন রোগী অথবা যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির পরিমাণ বেশি, তাঁদের ডিম খেতে নিষেধ বা সম্পূর্ণ বর্জন করতে বলা হতো। অনেকেই আবার ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটুকুই খেতে বলতেন। এর কারণ একটাই, তা হলো ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, তাতে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এত দিনের এ ধারণা আসলে সত্যি নয়।
ডিম খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ততটা বৃদ্ধি পায় না। একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারে। আর একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল।
তাই বিশেষজ্ঞরা, এমনকি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এখন আর তাদের খাদ্যের গাইড লাইনে ডিম খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করছে না। যেকোনো ব্যক্তি ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনো সমস্যা তো হবেই না, এমনকি কুসুমসহ সম্পূর্ণ ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি থাকে না। একটি গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে পাঁচ-ছয়টি ডিম আহারে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক বা অন্যান্য ধরনের হৃদ্রোগের কোনো ঝুঁকি নেই।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে বলা হয়, দিনে একটি ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয়। সকালের নাশতায় একটি ডিম কোলেস্টেরল প্রোফাইলের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না, যতটা প্রভাব ফেলে আপনার সকালের নাশতায় মিষ্টি বা চর্বি জাতীয় খাবার থাকলে।
ডিমের মধ্যে যে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লোবিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে, তা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়। এমনকি অনেক দিন সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার চেয়ে ডিম ভালো বিকল্প খাদ্য হতে পারে।
অনেকে হাঁস বা মুরগির ডিম এমনকি সাদা বা লালচে ডিম খাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, আসলে সব ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণ একই রকম। কেউ কেউ আবার কাঁচা ডিম খেতে পছন্দ করেন, এমনকি কাঁচা ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন, এ ধারণাটাও সত্যি নয়। বরং কাঁচা ডিম খেলে সালমোনেলা জাতীয় ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তরুণেরা এবং যাঁরা বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁরা নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। এমনকি বয়স্করা সপ্তাহে কয়েকটি ডিম খেতে পারবেন। আর যাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত। তবে কিডনি অকেজো বা রেনাল ফেইলুরের রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাবেন, কারণ কিডনি ফেইলুরে প্রোটিন কম খাওয়া উচিত। তবে কারও কারও বেলায় ডিম খেলে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সুস্বাস্থ্য এবং খাদ্যের জরুরি উপাদান প্রোটিন গ্রহণের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া নিয়ে কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।


লেখক: ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
www.prothom-alo.com/life-style/article/581536

Pages: [1] 2