Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Disease Outbreak => Topic started by: deanoffice-fahs on July 21, 2019, 02:22:57 PM

Title: কিডনিকে সুস্থ রাখতে জল খান প্রতিদিন, মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
Post by: deanoffice-fahs on July 21, 2019, 02:22:57 PM
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় আছে ‘‌শরীরের নাম মহাশয়, যেমন সয়াবে , তেমন সয়’‌। কথাটা একদম ঠিক। শরীরকে যেভাবে রাখবেন, তার ওপরই নির্ভর করছে আপনার সুস্থতা। শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ–প্রত্যঙ্গকেই তাই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা উচিত। সম্প্রতি ক্যান্সারের পাশাপাশি কিডনির রোগেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী এই রোগ প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে অনেকের। ১৪ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল কিডনি ডে। এই উপলক্ষ্যে ফর্টিস হাসপাতালের রেনাল বিভাগের চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত জানালেন কিভাবে আমরা আমাদের কিডনিকে যত্নে রাখব।
ডাঃ উপল সেনগুপ্ত প্রথমেই জানান যে ক্রনিক কিডনির রোগকে দূরে সরিয়ে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল শরীরে রক্তচাপ ও সুগারের স্তর যেন স্বাভাবিক থাকে। নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর অবশ্যই নিয়মিত রক্তচাপ–সুগার পরীক্ষা করানো উচিত। আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালের রেনাল কেয়ার বিভাগের আর এক চিকিৎসক পার্থ কর্মকার জানান, গরমের সময় মানুষের শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে যাতে শরীরে জলাভাব না থাকে। কারণ জলাভাবের জন্য অনেকসময় কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে কিডনিতে পাথরও জমে না। শুধু তাই নয়, যঠিক পরিমাণে জল পান করলে পলিসিস্টিক কিডনির রোগ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ডাঃ পার্থ কর্মকার জানালেন কিডনিকে সুস্থ রাখতে কি কি মেনে চলা উচিত।
১)‌ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা। শরীরে যাতে জলাভাব না থাকে।
২)‌ প্রত্যেকের শরীরের নিয়ম আলাদা আলাদা থাকে। তবে নিজের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যতটা দরকার ততটাই জল পান করুন প্রতিদিন।
৩)‌ তবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জল খেলে শরীরে সোডিয়াম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ক্ষতিকর হতে পারে।   
৪)‌ ব্যাথার ওষুধ খাওয়ার সময় বেশি করে জল পান করা উচিত।
৫)‌ কিডনি বিকল হওয়া শুরু করলে জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত জানালেন উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ সুগারের লেভেল শরীরে বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্রনিক কিডনি রোগ হয়। তাই সময় থাকতে রক্তচাপ–সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে রাখা দরকার। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়া,
১)‌ ব্যাথা জাতীয় ওষুধ বা মাদকাদ্রব্য থেকে দূরে থাকা ভাল।
২) ভুলভাল ওষুধের থেকে শরীরকে দূরে রাখা।
৩)‌ গরমের সময় যেন শরীরে জলাভাব না থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া।
৪)‌ ৪০ বছরের পর নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ এই সময়েই শরীরে উচ্চ রক্তচাপ ও সুগারের লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫)‌ বেশ কিছু মহিলা গর্ভবতী হওয়ার সময় এসএলই ধরা পড়ে, যা পরে গিয়ে ক্রনিক কিডনি রোগে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগে থাকতেই নেফ্রোলজিস্টকে দেখিয়ে রাখা দরকার। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।  ‌