Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Lazminur Alam

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8 9 ... 22
91
Heritage/Culture / নীল দোয়েল
« on: July 20, 2016, 12:22:07 PM »
এই পাখিটি হলো এ দেশের এক দুর্লভ পরিযায়ী পাখি নীল দোয়েল (Blue Rock Thrush)। অবশ্য এ নামে সে বেশি পরিচিত নয়। নীল শিলাদামা বা নীল থ্রাস নামেই বেশি পরিচিত। তবে এ দেশের গ্রামাঞ্চলে নীল দোয়েল নামে পরিচিত। Muscicapidae গোত্রের এই পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Monticola solitarius।

নীল দোয়েল দৈর্ঘ্যে ২০-২৩ সেন্টিমিটার ও ওজনে মাত্র ৩৭-৭০ গ্রাম। স্ত্রী ও পুরুষের পালকের রঙে পার্থক্য থাকে। তা ছাড়া পার্থক্য থাকে প্রজনন ও অপ্রজনন মৌসুমের পাখির পালকের রঙে। প্রজননকালে পুরুষের পুরো দেহের পালকের রং হয় গাঢ় নীলচে-ধূসর; আর ডানা ও লেজ হয় কালচে-বাদামি। কিন্তু অন্য সময় নীলচে দেহে থাকে বাদামি-পীতাভ আভা। অন্যদিকে, প্রজননকালে স্ত্রীর দেহের পালকের রং হয় ধূসর-বাদামি; গলা, কান-ঢাকনি ও বুকে থাকে গাঢ় আঁশের মতো ডোরা ও নীলচে আভা। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই চোখ বাদামি।
সরু ও লম্বা ঠোঁটের রং কালচে-বাদামি। পা ও পায়ের পাতা কালো। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি দেখতে অনেকটা স্ত্রী পাখির মতো।

নীল দোয়েল মাল্টার জাতীয় পাখি। মূলত দক্ষিণ ইউরোপ, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আবাসিক পাখি এটি। শীতে এ দেশের প্রায় সবখানেই দেখা মেলে, তবে সংখ্যায় বেশ কম। এরা সচরাচর পাথরের ঢাল, পাথুরে নদীতট, পাথরের খাদ, উন্মুক্ত বন, পতিত জমি ও লোকালয়ে বিচরণ করে। প্রজননকাল ছাড়া অন্য সময় একাকী দেখা যায়। বাঁশের খুঁটি, মরা তাল-নারকেলগাছের শীর্ষদেশ, পুরোনো মঠ, মন্দির ও মসজিদের ছাদ বা চূড়া প্রভৃতিতে বসে থেকে শিকার খোঁজে। বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ, ছোট ব্যাঙ, টিকটিকি ইত্যাদি শিকার করে খায়। তা ছাড়া পাকা ও রসাল ফল খেতেও পছন্দ করে। এমনিতে তেমন একটা ডাকাডাকি না করলেও প্রজননকালে পুরুষ পাখি ‘টক-টক, চ্যার-চিট...’ স্বরে ডাকে।

এপ্রিল থেকে জুলাই প্রজননকাল। এ সময় এদের মূল আবাসভূমিতে খাড়া পর্বত, শিলা, দেয়ালের ফাটল বা গাছের গর্তে ঘাস, গাছের শিকড় ও চুল দিয়ে বাটির মতো বাসা বানায়। বাসা তৈরি হয়ে গেলে তাতে ৩-৫টি নীল রঙের ডিম পাড়ে। স্ত্রী একাই ডিমে তা দেয় ও প্রায় ১৫ দিনে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ে বাচ্চার যত্ন নেয় এবং ১৫-১৭ দিনে বাচ্চারা উড়তে শেখে।

92
Heritage/Culture / সরষে টুনি
« on: July 20, 2016, 12:19:01 PM »
ছোট সুন্দর পাখিটির নাম সরষে টুনি। সরষে ফুলের মতো হলুদ বুক-পেট-পেটের তলা ও গলা। চোখের মণির পাশের গোলাকার বৃত্তটাও সোনালি-হলুদ, তাই বুঝি সুন্দর এই স্থানীয় নামটি। আরও স্থানীয় নাম হলো পিত্লা টুনি, সোনাচোখা ও হলদে মুনি। কেতাবি নাম ‘চোখের সোনালি বলয়যুক্ত পাতা ফুটকি’। ইংরেজি নাম Green Crowned Warbler। বৈজ্ঞানিক নাম Scicercus burkii। মাপ ১০ সেন্টিমিটার। ওজন ১০ গ্রাম। পাখিটির মাথার তালু ঘন সবুজ, চোখের ওপর দিয়ে চওড়া ভ্রুর মতো কালো চওড়া রেখা বয়ে গেছে। ঘাড়, পিঠ ও লেজের উপরিভাগ জলপাই-বাদামি। পা, পায়ের পাতাসহ নখের রং হলুদাভ-বাদামি। ঠোঁটও তাই। চঞ্চল-চতুর এই পাখিটি আমাদের দেশের গরমকালের পরিযায়ী।
প্রিয় চারণক্ষেত্র ঘন ঝোপজঙ্গলের ভেতরটা ও বন-বাগানের তলদেশ। এদের দেখা যেতে পারে দেশের টিলা-পাহাড়ি বনাঞ্চল, চা-বাগান এলাকাসহ বৃহত্তর রাজশাহী, বৃহত্তর খুলনা, ঢাকা ও ফরিদপুর জেলায়। একে তো পাখিটি অতি বিরল, তার ওপর ভালোবাসে লুকিয়ে-ছাপিয়ে থাকতে, দেখতে পাওয়া তাই দুষ্কর।
কণ্ঠটা সুরেলা মিষ্টি, সব সময় ডাকে না। ‘ছি-ইউ’ সুরেও গান গায়। মূল খাদ্য এদের ছোট ছোট পোকামাকড়, লার্ভা ইত্যাদি। ধারণা করা হয়, আমাদের দেশে বাসা করে এরা। বাসার উপকরণ হলো বাঁশপাতা, বাঁশের শিকড়, কলাগাছের আঁশ, শুকনো সরু ঘাস ইত্যাদি। বাসা গোলগাল। মাটির ওপরে বা গাছের শিকড়ের ফাঁকে বাসা করে তাতে দুই থেকে চারটি ডিম পাড়ে। মেয়ে ও পুরুষ পাখি মিলে তা দেয় ডিমে। নিজেরা যেমন চুপচাপ থেকে গেরিলা কৌশলে চলাফেরা ও শিকার করে, তেমনি বাসাটাও করে গোপন জায়গায়। এমনিতেই চঞ্চল, চতুর ও বুদ্ধিমান পাখি এরা।

93
Leadership & Teamwork / Leadership is not about Size.
« on: July 16, 2016, 05:14:45 PM »
Leadership is not about size. It's about wisdom & knowledge.

94
Heritage/Culture / সবুজ সুইচোরা
« on: July 14, 2016, 06:00:41 PM »
রাজা রায় বাহাদুর সড়ক ধরে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দিকে এলেই লেক। লেকের চারপাশে পুরোনো গাছপালার মধ্যে কিছু রেইনট্রিগাছ ছিল কালের সাক্ষী হয়ে। বর্তমানে শুধু একটি গাছ টিকে আছে। রেইনট্রিগাছের পাতি ডালে সব সময় ডাকাডাকি করে ঘাস-সবুজ রঙের সুন্দর পাখি। লেকের জলের ওপর দিয়ে উড়ে উড়ে এরা শিকার ধরে আবার ফিরে যায় পাতি ডালে। সকাল, দুপুর ও বিকেলে ওখানে গেলেই সবুজ রঙের এ পাখি দেখা যাবে। পাখিটি গ্রামের খেতের প্রান্তর, জলাভূমির কাছে গাছপালায় বেশি সময় কাটায় এবং উড়ে উড়ে পোকা ধরে খায়। শরীরের একহারা সবুজ বর্ণসুষমা ও কীটপতঙ্গ ধরার জন্য এ পাখিটির ইংরেজি নাম হয়েছে গ্রিন বি-ইটার।
সবুজ সুইচোরা বা বাঁশপাতি বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের গ্রামীণ কুঞ্জবন, খামার ও খোলা মাঠে চোখে পড়ে। সবুজ সুইচোরা বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে থাকা গাছপালা, আবাদি জমি, বেলাভূমি ও চারণভূমিতে বিচরণ করে। সচরাচর ছোট দলে থাকে। খাবারের তালিকায় আছে ডানাওয়ালা পোকা-মৌমাছি, উইপোকা, ফড়িং, প্রজাপতি, বোলতা, মথ, গুবরে পোকা ও পিঁপড়া। দ্রুত ডানা ঝাপটে ও অনমনীয় মুক্ত ডানায় সুন্দরভাবে ধীরে ধীরে উড়ে চলে। মধুর গলায় কাঁপিয়ে অনুক্রমিকভাবে ডাকে ট্রি ট্রি ট্রি...সুরে। বালুময় ভূমি, বিশেষ করে রাস্তার পাশের কাটা পাড়ে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। ডিমগুলো সাদা, সংখ্যায় ৪ থেকে ৭।
সবুজ সুইচোরা ছোট ঘাস-সবুজ পাখি। দৈর্ঘ্য ২১ সেমি, ওজন ১৫ গ্রাম। সোনালি বা লালচে ঘাড়ের নিচের অংশ ছাড়া পুরো শরীরই সবুজ। কালো মাশকারা চোখ বরাবর চলে গেছে। ফিকে নীল গলায় কালো বেড় থাকে। লেজের কেন্দ্রীয় পালক জোড়ার অভিক্ষেপ ভোঁতা আলপিনের মতো। বাঁকা ঠোঁট বাদামি-কালো ও মুখ পাটল বর্ণের। চোখ গাঢ় লাল। পা ও পায়ের পাতা হলুদাভ-বাদামি। নখ শিং বাদামি। পুরুষ ও স্ত্রী পাখির চেহারা অভিন্ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখিতে ফ্যাকাশে কিনারার পালকসহ গলার ফিকে ও কালো বেড় নেই। ঢাকার পুরোনো বিমানবন্দর লেক, রমনা পার্ক, চিড়িয়াখানার আশপাশে পাখিটির দেখা পাওয়া সহজ। রমনা পার্কে শীতের সময় লেকের কাছের গাছপালায় বেশ কয়েক জোড়া সবুজ সুইচোরা বাস করে।

95
Heritage/Culture / রুপাচিল
« on: July 12, 2016, 07:46:07 PM »
সরষেখেতের মাথা ছুঁই ছুঁই করে সরলরেখায় উড়ে চলেছে পাখিটি। হলুদ কার্পেটের ওপর দিয়ে যেন উড়ে যাচ্ছে একটি খেলনা বিমান। পাখিটি চলেছে বাতাসের অনুকূলে, লেজটা তাই বাতাসের ঝাপটায় উল্টে যেতে চাইছে মাঝেমধ্যে। পাখিটির নজর নিচের দিকে। হঠাৎ শূন্যেই পাখার ব্রেক কষল, ছিটকে ওপরে উঠেই মোহনীয় ভঙ্গিতে একটা পাক খেয়ে মাটিতে নামল তিরবেগে। নখরে গেঁথে গেল গর্ত থেকে রোদ পোহাতে বেরোনো দুটি ধেনো ইঁদুরের পিচ্চি ছানা। খুশিতে পাখিটি ডেকে উঠল একবার। মাটিতে বসেই পুঁচকে ইঁদুর ছানা দুটি গিলে পাখিটি আবারও দিল উড়াল। চলতে চলতেই আবারও শূন্যে ব্রেক। পাক দিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ল একটি পোষা শিকারি ঘুঘুর খাঁচার ওপর। ঘুঘুর মালিক চৌদ্দ বছরের রাখাল বালক ‘খাঁচা-ফাঁদটি’ মাটিতে পেতে রেখেছিল এই আশায় যে, রোজ ভোরে ওখানে ঘুঘুরা নামে। এই পাখিটি খাঁচার ওপরে লাফালাফি করছে, ভেতরের ঘুঘুটা আতঙ্কে দাপাদাপি করছে। পাখিটি পা ফেলল ফাঁদে, ঝট করে জালবন্দী হয়ে গেল ওটা। বালক অদূরেই অপেক্ষায় ছিল। দৌড়ে এসে হাত দিয়ে ফাঁদ থেকে যেই না ধরেছে পাখিটিকে, অমনি বড়শি-ঠোঁটে কামড়ে ধরল ছেলেটির হাত। ভয় ও যন্ত্রণায় ছেলেটি দিল পাখিটিকে ছেড়ে। পাখিটি দ্রুত উড়ে পার হয়ে গেল সরষের মাঠ।

তুখোড় শিকারি এই পরিযায়ী পাখিটির নাম রুপাচিল, চিলেচিল, রাখাল ভুলানী। আরও স্থানীয় নাম আছে এটার। ইংরেজি নাম Pied Harrier। বৈজ্ঞানিক নাম Circus melanoleucos। শরীরের মাপ ৪০-৪৬ সেন্টিমিটার। ওজন ২৫৪ গ্রাম। শিকারি এই পাখি তাদের লম্বা পাখা দুখানা, পা ও লেজ ব্যবহার করতে পারে হাতের মতো। পলাতক শিকারকে এরা ফুটবলের মতো লাথি যেমন দিতে পারে, তেমনি মাথা দিয়ে হেড ও লেজ দিয়ে আঘাত করতে পারে। তীক্ষ দৃষ্টিশক্তি ও শিকার-কুশলতার কারণে এদের খাদ্য সংগ্রহে কষ্ট হয় না। বুকভরা সাহস এদের, চোখভরা রোষ। জাতভাই ট্যাপাচিল, নাচুনে বাজদের সঙ্গে অনেক সময় দ্বন্দ্ব লাগে এদের, একে অন্যে শিকার ছিনিয়ে নিতে চায়।

পাখিটি দেখতে সুন্দর। বিশেষ করে পুরুষটি। মাথা-গলা-ঘাড়-পিঠ চকচকে কালো, বুক-পেট-লেজের তলা ধাতব সাদা। দুই পাখার ডগার পালক কালো, উড়ন্ত অবস্থায় পাখিটিকে বেশি সুন্দর লাগে। ডানা রুপালি-ধূসর। পা কমলা-হলুদ। মূল খাদ্য এদের পোকা-পতঙ্গ-ইঁদুর-নানান প্রজাতির ঘাসফড়িং, ছোট পাখি, পাতিঘুঘুর ডিম-ছানা, তক্ষক, গিরগিটি। খোলা মাঠের এই শিকারি পাখিটিকে অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেই দেখা যায়।

96
Heritage/Culture / Birds of Bangladesh
« on: July 11, 2016, 10:51:39 AM »
We will post here recognized, beautiful & rare birds of Bangladesh.

97
Heritage/Culture / নীলকান মাছরাঙা
« on: July 11, 2016, 10:47:09 AM »
নীলকান মাছরাঙার ইংরেজি নাম Blue-eared Kingfisher। নীলকান মাছরাঙা নীল কান-ঢাকনি পরা মাছ শিকারি পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ১৬ সেন্টিমিটার, ওজন ২৭ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির পিঠ ঘন নীল ও দেহতল গাঢ় কমলা। গালের চারপাশ, ঘাড়, ডানা-ঢাকনি বেগুনি নীল। পিঠের নিচ থেকে লেজ বরাবর নীল ডানা নেমে গেছে। গলা ও ঘাড়ের পাশে সাদা পট্টি, কান-ঢাকনি উজ্জ্বল নীল। পা, পায়ের পাতা ও নখর কমলা রঙের। ঠোঁট দুই রঙের, ওপরের অংশ কালচে বা শিং-বাদামি, ঠোঁটের নিচের অংশ কমলা, মুখ বাদামি-কমলা। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন।

নীলকান মাছরাঙা পাহাড়ি নদী, প্রশস্ত পাতার চিরসবুজ বন ও উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন, জোয়ার-ভাটার সিক্ত খাঁড়ি ও প্যারাবনে বাস করে। সাধারণত একাকী বা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। পানির ওপর ঝুলন্ত ডালে অনেকক্ষণ বসে থাকে এবং সুযোগ হলে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাছ ধরে। খাদ্যতালিকায় আছে মাছ, জলজ পোকামাকড়। সাধারণত পাতার আড়ালে বসে থাকে। তীব্র কণ্ঠে চি চি সুরে ডাকে। ডাকের ধরন শুনে কেবল একে পাতি মাছরাঙা থেকে আলাদা করা যায়। মার্চ-জুলাই মাসে বনের ধারে প্রবহমান খালের কাছে, নদীর কিনারে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম উজ্জ্বল সাদা, সংখ্যায় ৫ থেকে ৮টি। নীলকান মাছরাঙা আমাদের সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনের ছড়ায় ও কাপ্তাই লেকের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। তা ছাড়া বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট জেলার ঘন গাছপালাপূর্ণ এলাকায় দেখা যায়।

98
Inspiration Stories / A Revolutionary Entrepreneur.
« on: July 10, 2016, 12:13:49 PM »
বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্যের এক পথিকৃতের নাম আমজাদ খান চৌধুরী। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলধারাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এ দেশে এক শিল্পবিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি।
যখন দেশের মানুষের কাছে মাশরুমের কোনো পরিচিতি ছিল না। সবাই সেটিকে ব্যাঙের ছাতাই মনে করত। আমজাদ খান চৌধুরী এর বছর দু-এক আগে কৃষিপণ্যকে শিল্পপণ্যে রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন প্রাণ।  তিনি চিন্তা করছিলেন মাশরুমের মতো পণ্যকে টিনজাত খাদ্যপণ্য হিসেবে বিদেশে বাজারজাত করা যায় কি না। তখন বিদেশ থেকে টিনজাত মাশরুম বাংলাদেশে আসত। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে এ দেশের জন্য এটি ছিল দারুণ এক উদ্ভাবনী চিন্তা। একজন শিল্পোদ্যোক্তা অনেক কৃষি ফসল বাদ দিয়ে মাশরুম নিয়ে এমন চিন্তা করছেন জেনে তাঁর চিন্তার জায়গাটি আমার কাছেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি বলছিলেন প্রাণ নিয়ে তাঁর স্বপ্নের যাত্রার কথা। কীভাবে বাংলাদেশের কৃষির সঙ্গে শিল্পের এক বিশাল সংযোগ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে তাঁর স্বপ্নের নানা দিক আমার সামনে তুলে ধরেন। তাঁর চিন্তার সঙ্গে আমার মনের ভেতরে তৈরি একটি দৃশ্যপটের যেন মিল খুঁজে পেলাম। মাটি ও মানুষ করতে করতেই বারবার কাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপটটি চোখে ভাসত। গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাইওয়ে দিয়ে একটি দামি গাড়ি কৃষকের খেতের পাশে গিয়ে থামল, সফেদ স্যুট-কোটের ভেতর থেকে একটি হাত বেরিয়ে এসে কৃষকের কাদামাখা হাতের সঙ্গে যুক্ত হলো। সংযোগ তৈরি হলো প্রান্তিক কৃষকের সঙ্গে একজন শিল্পোদ্যোক্তার। মনে হলো, আমজাদ খান চৌধুরীর মতো মানুষের মাধ্যমেই এমন দৃশ্যপট রচিত হতে পারে। সেই থেকে আমজাদ খান চৌধুরীর সঙ্গে সখ্য। এই সখ্য টিকে ছিল তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
কৃষিতে এসে আমজাদ খান চৌধুরী প্রাণ কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শুরু করেন। শুরুটা নরসিংদীর রূপগঞ্জে পেঁপে চাষের মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ঘোড়াশাল এলাকায় যুক্ত হলো কলা আর আনারস চাষ। সেখান থেকেই তাঁর মাথায় এল কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন করা এবং ফসল খেত থেকে তোলার পর তার স্থায়িত্ব (Shelf life) বাড়ানোর চিন্তা। ভাবলেন, কৃষিপণ্যের বহুমুখী মূল্য সংযোজন ছাড়া কৃষক যেমন লাভবান হতে পারবেন না, একইভাবে এর বাণিজ্যিকীকরণও সফল হবে না। এখান থেকেই একে একে শিল্পের বিশাল সাম্রাজ্যে তাঁর সাফল্যের পথচলা। ১৯৯২ সালে নরসিংদীর ঘোড়াশালে গড়ে তোলা হলো প্রথম ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। শুরু হলো আনারস প্রক্রিয়াজাতকরণ। সেই থেকে শুরু হয়ে সেই প্রাণ আজ বহু দূর। বাংলাদেশ নয় শুধু, সারা পৃথিবীতে শিল্পে কৃষিপণ্যের ব্যবহারের সংখ্যার হিসাবে প্রাণ এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রাণের কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্যের সংখ্যা এখন দুই হাজারের ওপরে। পৃথিবীর ১২৪টি দেশে প্রাণের পণ্যের একচ্ছত্র বাজার।

সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয়টি হচ্ছে, দেশের এক লাখের মতো কৃষক সরাসরি প্রাণের চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এটি যেন সেই স্বপ্নের সঙ্গে মিলে যায়। নগরের শিল্পোদ্যোক্তার সঙ্গে লক্ষাধিক কৃষকের মাটিমাখা হাত যুক্ত হয়ে গেছে। প্রাণের এই সফলতার পথ ধরে একে একে বহু শিল্পোদ্যোক্তা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
নিজস্ব শিল্প পরিমণ্ডলে আমজাদ খান চৌধুরী ছিলেন আর দশজন কর্মীর মতোই। তাঁর শিল্পবাগানে দিনে দিনে তিনি বৈতনিক কর্মী হিসেবে যোগ করেছেন ৮০ হাজার মানুষকে। দেশে-বিদেশে তাঁর কর্মযজ্ঞের সরাসরি সুফলভোগী ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। এ দেশে কৃষিপণ্যকে শিল্পপণ্যে রূপ দেওয়ার সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজক আমজাদ খান চৌধুরী। নাটোরের প্রাণের প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে গিয়ে জেনেছি, ওই এলাকার আমবাগানের মালিক থেকে শুরু করে সাধারণ চাষি ও স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে এক সুদিন ফিরে এসেছে প্রাণের কারখানাকে ঘিরে। একসময় আশ্বিনা আম, দেশীয় গুটি আম টক হওয়ার কারণে বাগানেই পড়ে নষ্ট হতো, সেগুলো ভালো দামে প্রাণ কিনে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ম্যাঙ্গো জুস করছে, ম্যাঙ্গো বার করছে—এগুলোই কৃষকের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতার জন্ম দিয়েছে। আজ প্রাণের ১৩টি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাকে ঘিরে অজস্র কৃষক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।

আমজাদ খান চৌধুরী ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী একজন মানুষ। দেশের কৃষি ও শিল্পের মধ্যে অনেক বড় একটি জায়গা তৈরির পর তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আমাদের দুগ্ধশিল্প নিয়ে। ভারতের আমুল দুগ্ধশিল্প বিশ্বের মধ্যে আজ এক উদাহরণ। মিল্ক ভিটাকে ঘিরে তেমনি আমাদের বিরাট একটি সাফল্যের গল্প তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের রয়েছে নানা সংকট। কিন্তু এই জায়গা থেকেই দুগ্ধশিল্প পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে এমন স্বপ্নই দেখতেন আমজাদ খান চৌধুরী। তিনি দুগ্ধশিল্পের সমস্ত ব্যর্থতা ও সংকটকে স্বীকার করে নিয়েই বলেছিলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যেই আমরা দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।’ যখন আমাদের উৎপাদন মাত্র ২০ শতাংশ, সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁর এই উচ্চারণ সত্যিই অবাক করার মতো।

99
First see the attached images carefully & then find out.  Good Luck....

জঙ্গলের ছবিতে কী কী রয়েছে? বনের ভেতর একটি শিয়াল আর তিনটি পাখি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর কিছু রয়েছে কি? ছবিতে শিয়াল আর তিনটি পাখি ছাড়াও রয়েছে ১২টি প্রাণী, সঙ্গে রয়েছে গাছের পাতা ও বাকলে চিত্রায়িত বেশ কয়েকটি নারী অবয়ব। খুঁজে বের করুন তো!


মার্কিন প্রিন্টমেকার কুরিয়ার অ্যান্ড আইভস ১৮৭২ সালে শিশুদের বুদ্ধি পরীক্ষার জন্য ‘পাজেলড ফক্স’ ছবিটি প্রকাশ করে। দেড়শো বছর বাদে আই পাওয়ার টেস্টের জন্য পুরোনো পাজেলটি নতুন করে আবার প্রকাশ করা হয়েছে।

প্লেবাজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিটি ভিউয়ারদের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ দেওয়া হয়। ছবিটি ফ্লিপ না করেই মোট ১৬টি ফিগার চিহ্নিত করতে বলা হয় ভিউয়ারদের।


গাছের উপর দু’পা তুলে দেওয়া হন্তদন্ত শিয়াল ছাড়াও ছবিতে রয়েছে একটি ঘোড়া, মেষশাবক, বা’পাশের গাছের নিচে শুয়ে থাকা একটি ভেড়া ও লতাগুল্মোর ভেতর থেকে মুখ বের করা একটি শুকোর।

আরও রয়েছে বা’পাশের গাছের সঙ্গে তিনটি মুখাবয়ব ও ডানপাশের গাছের সঙ্গে আরও দুটো মুখাবয়ব। বাকি ফিগারগুলো লুকোনো ঝোপঝাড়ের ভেতর।

মূলত শিশুদের জন্য এই পাজল তৈরি করা হয়েছে।

গবেষকরা মনে করেন, শিশুর পরিপূর্ণ মেধা বিকাশে পাজল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক্রসওয়ার্ড, সুডোকু, লজিক পাজল, ভিজুয়্যাল কোনানড্রাম মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়ায়।

100
First see the attached images & then find out. Good Luck....

লাল বৃত্তটি দেখতে পাচ্ছেন? উত্তরটি সহজ- অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু এটি শুধুই কি একটি লাল বৃত্ত, এর ভেতরে কিছু রয়েছে বলে মনে হয়? এবার মাথা খাটান।

সম্প্রতি পাজেলাররা লাল বৃত্তের ভেতর থেকে লুকোনো ছবি খুঁজে বের করার একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দিকে।

ইন্টারনেট ভিশন পরীক্ষার এ ধাঁধায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কেউ  কেউ বৃত্তের ভেতর শুধুমাত্র একটি আউটলাইন, কেউ সম্পূর্ণ ছবি দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে, অনেকে শুধুমাত্র বৃত্ত ছাড়া কিছুই দেখতে পাননি। আবার অনেকেই জানিয়েছেন, বৃত্তের ভেতর কিছু রয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে তবে তা কী তা বোঝা  যাচ্ছে না।

অতঃপর লাল বৃত্তটি ফ্লিপ করে দেখা গেলো বৃত্তের পেছনে কেশর, লেজ, জিন ও লাগামসহ একটি ঘোড়ার ছবি। ঘোড়াটির পায়ের চারপাশে কিছু ঘাসও রয়েছে।

101
First download the attached images & analysis: Good Luck...

ছবিতে এক বাঘ দম্পতি তাদের দুই সন্তান নিয়ে বসে আছে। এক্ষেত্রে যদি প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়, ছবিটিতে ক’টি বাঘ, তাহলে নিঃসন্দেহে তা অবান্তর বলে মনে হবে। যদি বলা হয়, এখানে ১৬টি বাঘ রয়েছে, তাহলে হয়তো চোখ কপালে উঠে যাবে অনেকের।

সোজাভাবে দেখলে চারটি বাঘই নজরে পড়বে এখানে। কিন্তু ‘অপটিক্যাল ইলাসস্ট্রেশন’ পোস্টারটিতে একটু ভালো করে তাকালেই দেখতে পাবেন এখানে চারটি নয় মোট ১৬টি বাঘ রয়েছে।

মূলত শিশুদের জন্য এই ‘লজিক পাজল’ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ১২টি বাঘের মুখ লুকিয়ে রয়েছে।

গবেষকরা মনে করেন, শিশুর পরিপূর্ণ মেধা বিকাশে পাজল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্রসওয়ার্ড, সুডোকু, লজিক পাজল, ভিজুয়্যাল কোনানড্রাম মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়ায়।

ছবিটির ফোরগ্রাউন্ড-ব্যাকগ্রাউন্ড সব দিকে মনোযোগ দিলেই এখানে ১৬টি বাঘ খুঁজে পাবেন।

ছবির একদম উপরে গাছের শাখার দিকে মনোযোগ দিলেই লুকিয়ে থাকা পাঁচটি বাঘের মুখ খুঁজে পাওয়া যাবে। দু’টি বাঘ খুঁজে পাওয়া যাবে দৃশ্যমাণ বাঘের পায়ের নিচে। বামদিকে একটি, ডানদিকে তিনটি আর শেষ বাঘের মুখটি রয়েছে মাটিতে।

102
ওয়ারেন বাফেটের বাবা হাওয়ার্ড বাফেট ছিলেন শেয়ারবাজারের একজন বিনিয়োগকারী। ছোটবেলায় দেখতেন বাবা ওয়ালস্ট্রিট থেকে একগাদা কাগজপত্র নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছেন। একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর বাবা আসলে কী করেন? মায়ের উত্তর ছিল, ‘ইনভেস্টর’।
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম ১৯৩০ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ওমাহায়। ছেলেবেলায় সব শিশুরই নায়ক তার বাবা। বাফেটেরও তাই। তখনই ঠিক করে ফেললেন তাঁকেও ইনভেস্টর হতে হবে। যখন ছয়-সাত বছর বয়স, স্কুলের খাতায় নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন ‘ওয়ারেন বাফেট: ফিউচার ইনভেস্টর’। বাফেট সেটাই হয়েছেন। তাঁর বয়সের অন্য শিশু-কিশোরেরা যখন ব্যস্ত ছিল খেলার মাঠে, তিনি তখন ব্যস্ত থেকেছেন অর্থ উপার্জনে।
দাদার ছিল গ্রোসারি বা মুদির দোকান। বাফেট সেই বয়সেই নিজের সম্পদমূল্য বাড়াতে সপ্তাহে ৫ ডলার বেতনে দাদার দোকানে কাজ নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই দাদার দোকান থেকে ২৪ সেন্টে ৬ প্যাকেট কোকাকোলা কিনে একটু দূরে গিয়ে বিক্রি করে ৫ সেন্ট মুনাফা করেছিলেন। এরপর কিছু অর্থ জমিয়ে ১১ বছর বয়সে ৩৮ ডলার করে সিটিজ সার্ভিসের ছয়টি শেয়ার কেনেন তিনি। এর তিনটি দিয়ে দেন বোনকে। তবে জীবনের প্রথম শেয়ার ব্যবসা শুরুতে হতাশ করেছিল তাঁকে। কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম কমে ২৭ ডলার হয়ে যায়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন। শেয়ারের দর বেড়ে ৪০ ডলার হতেই বিক্রি করে দেন। তিনি এখনো মানেন, সেটি ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই ওই শেয়ারের দাম আরও বেড়ে ২০০ ডলার হয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকে তিনি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা পেয়েছিলেন। আর তা হলো অধ্যবসায়, যার প্রতিফলন পুরো জীবন জুড়েই ছিল।
কিন্তু তিনটি শেয়ার কিনে সামান্য লাভে সন্তুষ্ট ছিলেন না বাফেট। লক্ষ্য ছিল আরও বড়। পুঁজি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুইংগাম, পত্রিকা ও কোকাকোলা বিক্রি করা শুরু করেন। স্থানীয় এক সেলুনে পোকার খেলার যন্ত্রও বসান তিনি। এতে কিছু আয় বাড়লে বাবা ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে দেন। একসময় ব্যাংক থেকে নোটিশ এল যে ওয়ারেন বাফেটের নামে কিছু ডলার জমা পড়েছে। ফলে এখন আয়কর দিতে হবে। সেই সময়ে ওয়ারেন বাফেটের বাবা ছিলেন একজন কংগ্রেসম্যান। শেয়ার ব্যবসা ছেড়ে নির্বাচন করে জিতেছেন। ছেলেকে বললেন আয়কর দিতে। কারণ, তখন থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখতে হবে। বাফেটের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় আয়কর বিভাগ ৩৫ ডলার ফেরত দিলে বাফেট তা দিয়ে একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। সেই বাইসাইকেল তিনি চালাতেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও।

২.
ওয়ারেন বাফেটের এখন অনেকগুলো পরিচয়। তিনি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৬৬৪ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। একটু মনে করিয়ে দিই আমাদের নতুন বাজেটটি হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার।
ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীর একজন। তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দান করেছেন ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার।
যারা শেয়ারবাজারে আজ বিনিয়োগ করে কালই লাখপতি হতে চান তাঁদের অবশ্যই ওয়ারেন বাফেটের জীবনীটা পড়ে নেওয়া উচিত। কারণ, কেবল শেয়ার ব্যবসা করেই তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী হয়েছেন।
ওয়ারেন বাফেট নিয়ে একটা মধুর বিতর্ক আছে। তিনি বিনিয়োগকারী হিসেবে বেশি ভালো নাকি ব্যবস্থাপক হিসেবে। বেশির ভাগই মনে করেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। ব্যবসা-বাণিজ্য কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে ভালো কে আর জানে। তারপরও যাদের মনে সন্দেহ আছে তাদের জন্য বলছি, বিল গেটসও ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকেই ব্যবসা পরিচালনা পরামর্শ নেন।
ইউএসএ টুডে ২০০৮ সালে হিসাব দিয়ে বলেছিল ওয়ারেন বাফেটকে নিয়ে লেখা বইয়ের সংখ্যা ৪৭। জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি বই রয়েছে কেবল দালাই লামাকে নিয়ে। এর পরের আট বছরে নিঃসন্দেহে বইয়ের সংখ্যা আরও অনেক বেড়েছে। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন ওয়ারেন বাফেটকে সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষদের একজন বলেছিল। সেই প্রভাব একটুও কমেনি।
ওয়ারেন বাফেট এখন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ১৯৬৫ সালে ডুবতে থাকা এ প্রতিষ্ঠানটি কিনেছিলেন। আর এখন প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ৫৫ হাজার ২২৫ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে নিট আয় ছিল ২ হাজার ৪০৮ কোটি ডলার। এখানে কাজ করেন ৩ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তালিকাভুক্ত হোল্ডিং কোম্পানি।

৩.
ওয়ারেন বাফেটের সাফল্যের রহস্য কী? বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টি। কোনো প্রতিষ্ঠানেই নাক গলান না তিনি। তাঁর কাজ কেবল বার্ষিক সভায় যোগ দেওয়া। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা সিইও নিয়োগ দেওয়া আছে। তাদের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন সব।
বাফেটের নীতি হলো, প্রতিষ্ঠানকে প্রধান নির্বাহী-ম্যানেজারের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। সুতরাং মূল কাজ হচ্ছে একজন যোগ্য সিইও বা ম্যানেজার খুঁজে বের করা। বিশেষ মানবিক গুণ থাকলেও বুদ্ধিহীন লোকের পক্ষে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আরামপ্রিয়দের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েন তাঁরা। আন্তরিকতা কম থাকা ব্যক্তিদের আবার উন্নতির চেষ্টা থাকে না খুব একটা। একধরনের মানুষ আছেন, যাঁদের পেশা শুধু উপার্জনের মাধ্যম নয়, ব্যক্তিগত গর্বও বটে। পেশাগত সমস্যা-জটিলতায় আক্রান্ত হলে এঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার, অনুকূল সময়ে তাঁদের চেষ্টা থাকে উন্নতির। এ ধরনের ব্যক্তিকেই খুঁজে বের করেন তিনি।
ওয়ারেন বাফেট মনে করেন, সর্বোচ্চ সুফল পেতে চাইলে ওই রকম ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিতে হবে। এ ধরনের ব্যক্তিরা কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনচেতা হন। মানুষ কোনো ক্ষেত্রকে আপন ভাবতে শুরু করলে সেখানে স্বাধীনতা চায়ই। ঠিক এই স্বাধীনতাটাই তিনি দেন।
বছরে একবার বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বার্ষিক সভা হয়। সেখানে ওয়ারেন বাফেট প্রতিষ্ঠানের সবাই এবং সব শেয়ারধারীর উদ্দেশে একটি দীর্ঘ চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সবকিছু উল্লেখ থাকে। ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি প্রতিবছর একটি করে চিঠি লিখে আসছেন। বলা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ পরামর্শ লুকিয়ে থাকে ওয়ারেন বাফেটের ওই বার্ষিক চিঠিতেই। বিল গেটসও এই চিঠির অপেক্ষায় থাকেন প্রতিবছরই।
প্রতিবছর নিয়ম করে চিঠি লিখলেও ২০১৪ সালের চিঠিটিকে বলা হয় বিশেষ কিছু। ওই চিঠির দ্বিতীয় অংশের শিরোনাম ছিল ‘বার্কশায়ার-অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস বলার পাশাপাশি আগামী ৫০ বছরে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কীভাবে চলবে তার একটি রূপরেখাও দিয়েছেন তিনি। বিল গেটস লিখেছেন, তিন বাফেটের ৫০টি চিঠিই পড়েছেন। কিন্তু এই চিঠিটি সেরা।
চিঠিটির শুরুতেই তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার সম্ভাবনা শূন্য।
একসময় তিনি থাকবেন না। তাঁর উত্তরসূরির জন্য সবচেয়ে বড় পরামর্শ হচ্ছে, তাঁকে অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্যের তিনটি খারাপ দিক থেকে দূরে থাকতে হবে। যাকে তিনি বলেছেন, ‘এবিসি অব বিজনেস ডিকেই’। যেমন: অ্যারোগেন্স (ঔদ্ধত্য), ব্যুরোক্রেসি (আমলাতন্ত্র) এবং কমপ্লাসেন্সি (আত্মতুষ্টি)।
বাফেটের উত্তরসূরি কীভাবে সিইও বাছাই করবেন তাও চিঠিতে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। আর সিইও হতে হবে তুলনামূলকভাবে তরুণ, যাতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারেন, ৬৫ বছরে অবসর নেওয়ার ভাবনায় আচ্ছন্ন না থাকেন।

৪.
ওয়ারেন বাফেটের লেখা চিঠি বিশ্লেষণ করে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। এর মধ্যে বিখ্যাত হয়ে আছে ‘ম্যানেজমেন্ট সিক্রেটস’। সেখান থেকে কিছু কথা বলা যেতে পারে।
ক. ওয়ারেন বাফেট প্রতিবছর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওর কাছে একটি চিঠি দেন। সেখানে লেখা থাকে, আজ মারা গেলে কাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানে আপনার পদে কে যোগ দিতে পারবে লিখে পাঠান। বাফেটের মতে, কোম্পানির ভেতর থেকেই উত্তরসূরি খুঁজে নেওয়া ভালো
খ. বাফেট মনে করেন, যে জিনিস আমি নিজের জন্য কিনব না, তা অন্যকে কেনার উপদেশ দেব না
গ. বাফেটের নীতি হলো, ভুল যত ক্ষুদ্র বা অগুরুত্বপূর্ণই হোক, বোঝামাত্র সেটি অকপটে স্বীকার করে নেওয়া এবং শোধরানোর চেষ্টা চালানো প্রয়োজন। ব্যবসার জন্য এটা জরুরি।
ঘ. বাফেটের পরামর্শ হচ্ছে, সুসময়ে কৃচ্ছ্র সাধন ও দুঃসময়ে সঞ্চিত অর্থ ব্যয়।
ঙ. বাফেট বলতেন, একজন ভালো ম্যানেজার বড় ফুটবল কোচের মতো। তাঁরা নিজে মাঠে না নেমেও দলকে খেলান ও জিতিয়ে আনেন। আবার জয়ী হওয়ার উপাদান রেখে যান টিমের মধ্যে, যাতে তিনি না থাকলেও জিততে পারে দলটি।
তথ্যসূত্র: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ওয়েবসাইট, ব্লুমবার্গ, দি বাফেট রিপোর্ট-অধ্যাপক জন প্রাইস, দি ওয়ারেন বাফেট ওয়ে-রবাট জি হাগস্ট্রর্ম, ম্যানেজমেন্ট সিক্রেটস-বণিক বার্তা।

103
Humanities & Social Science / Master of Development Studies.
« on: July 02, 2016, 05:02:04 PM »
Master of Development Studies (MDS) has launched at Daffodil International University from Fall' 2016 semester. The program in under the faculty of Humanities &Social Science.

Program Objectives:
1. To make students capable of approaching and analyzing development theories, concepts, debates and issues in the field of globalization, economic transformation, socio-cultural and political changes and environmental impacts.
2. To build constructive thinking among learners about the development policies, strategies, plans and projects. 
3. Facilitate students develop the skills required to undertake development research with a focus on appropriate methodology, data collection, policy design and implementation, monitoring and evaluation.
4. Prepare graduates for promoting careers in teaching, research and management of development organizations.

Admission Requirements:
The candidate must have a Bachelor’s degree with a second class/division or CGPA 2.5 in any discipline from a recognized public and private university.
Candidates who have CGPA less than 2.50 at any level of education are not eligible to apply.

Credit Requirements and Duration of Program:
For MDS, a student has to complete 45 credits, with 14 courses of 3 credits each plus a dissertation of 3 credits. Of the 14 courses, 4 will be foundation courses, 7 will be core courses and 3 will be elective courses. The students have to score a minimum GPA of 2.5 for acquiring the degree. The duration of the program is one and half academic years having 4 semesters and each semester will be for 4 (four) months.

For more details please visit http://mds.daffodilvarsity.edu.bd/index.php

104
Post Graduate Diploma in Information Science & Library Management has launched in Daffodil International University from Summer'2016 semester. The department name is Information Science & Library Management (ISLM) under the faculty of Humanities & Social Science.

The program is one year & equally distributed in three semester duration basis & each semester is four months duration. All classes will be conducted in the evening.

Admission eligibility is, the candidate shall have a graduate degree in any discipline or its equivalent degree.

Program Objective:
The aim of this program is to establish the significance of the dynamic role of information & library work in today's information society & knowledge based economy. And to develop the knowledge & skills needed to handle effectively the strong, retrieval, analysis & communication of information.

The program provides students with a professionally & nationally recognized qualification in library & information management & prepares students  for career as skilled librarians or knowledge and information management professionals.

For more details, you may visit http://daffodilvarsity.edu.bd/2015-06-13-06-56-45/information-science-and-library-management.html

105
Use of Forum / Re: How to use Forum A to Z with image-DIU by bbasujon
« on: June 30, 2016, 09:41:56 AM »
Yes, forum is a huge information zone for all. So all we post very informative theme. Though some of we post very short greeting which is very much irrelevant. Also some of we post such type of matter from where nobody can get help like one posted that "This time the government has declared 9 days as Did ul fitr holiday" in Bengali it is posted. From this type of post we can not learn anything.

So everybody please post very relevant post so that anyone can get positive information. Thank you all.

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8 9 ... 22