Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Mahfuzul Islam

Pages: 1 [2] 3
16
প্রথমে আপনার ডিভাইসকে ডাটা ক্যবলের মাধ্যমে পিসির সাথে কানেক্ট
করুন।

২।Turn on storage চাইলে  অন করার প্রয়োজন নেই।Back করুন ।

৩। USB Debugging Mode অন করার প্রয়োজন নেই। USB
Debugging Mode অন থাকলে অফ
করুন।USB Debugging  টিক চিহ্ন থাকলে আন মার্ক করুন-->
Settings এ যান >Developer options এ যান > USB Debugging (টিক চিহ্ন থাকলে আনমার্ক করুন)
৪।তারপর Settingsএ যান >Wireless
& Networks>Tethering & portable
hotspot>USB tethering (Select)
ফোনে আগেই data connection on রাখতে হবে।

17
১. সমস্যাঃ
অনেকের কম্পিউটারেই মাঝে মাঝে সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যা দেখা দেয়। যখন কোন গান প্লে করা হয় তখন এই বার্তাটি দেখা দিতে পারে “There may not be a sound device installed on your computer“।

সমাধানঃ
যদি আপনার সাউন্ড সিস্টেমটি বিল্টইন হয়, তবে আপনাকে আবার নতুন করে সাউন্ড কার্ডটি ইন্সটল করতে হবে। আর যদি এক্সটারনাল হয়, তাহলে সাউন্ড সিস্টেমটি খুলে ভালো করে মুছে ঠিকভাবে সংযোগটি লাগান। আশা করি আপনার সাউন্ড সিস্টেম ঠিক হয়ে যাবে।

২. সমস্যাঃ
যদি আপনার কম্পিউটারে অফিস সেটআপ দেয়ার পরে বুঝতে পারেন বাঁ দেখেন কোন মেনু বাদ পড়েছে, তাহলে আপনি কি করবেন???

সমাধানঃ
আপনি যেই অফিসটি সেটআপ দিয়েছেন তাতে সমস্যা আছে, তাই আপনি একটি ভালমানের অফিস সংগ্রহ করে পুনরায় সেটআপ দিন। এতে করে আপনার সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।

৩. সমস্যাঃ
অনেকে পুরনো মডেলের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন, যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মাঝ থেকে একটি সমস্যার কথা উল্যেক্ষ করছি। তা হল কম্পিউটার অন করার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আবার অফ হয়ে যায়।

সমাধানঃ
এমন সমস্যার ক্ষেত্রে বেশির ভাগই পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাই পাওয়ার সাপ্লাই চেঞ্জ করতে হবে। তাছাড়াও র‍্যাম, মাদারবোর্ড ও প্রসেসর চেঞ্জ করে ফেলুন, এতে করে আপনারই ভালো। তানাহলে এই সমস্যাগুলো ক্যান্সারে রুপান্তরিত হবে।

৪. সমস্যাঃ
কিছু কম্পিউটারে একই সাথে অনেকগুলো ওয়ার্ডের ফাইল অন করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

সমাধানঃ
এই ধরনের সমস্যা স্বাভাবিকভাবে কম্পিউটারের গতি কম থাকলে ঘটে থাকে। তাই কম্পিউটারের র‍্যামটি বাড়িয়ে ফেলুন, তাছাড়াও হার্ডডিস্কের যেসব ফাইল আপনার প্রয়োজন নেই সেগুলোকে ডিলেট করে দিন।

৫. সমস্যাঃ
বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যাবহার করার সময় অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকতে পারেন। ব্রাউজার ওপেন করার সময়, “windows cannot find c:program filesjavajre6.exe” লেখাটি দেখাতে পারে।

সমাধানঃ
এই ক্ষেত্রে যেই ব্যাপারটি ঘটে থাকে টা হল ব্রাউজার ইন্সটলেশন লোকেশনে প্রবলেম থাকে। তাই আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্রাউজারটি আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল দিন। আশা করছি তাহলেই আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। :)

18
১। প্রথমে আপনার কম্পিউটারের ফ্রী ডেক্সটপে মাউসের কারসর উপরের ডান কোনায় নিয়ে যান। এবার এখান থেকে দেখতে পাবেন সার্চ,শেয়ার ইত্যাদি আসছে।এখানকার সবার নিচেরটা অর্থাৎ সেটিংসে যান।
২। তারপর Change PC Settings এ যান।
৩। এরপর এখান থেকে Users এ যান।
৪। এবার Create a Picture Password ক্লিক করুন।
৫। এখন যদি পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে সেটা চাবে। আপনি সেটা দিন।
৫। তারপর ব্রাউজ করে আপনার Choice করা একটা ফটো দিয়ে দিন।
৬। এরপর Use This Picture  এখানে ক্লিক করুন।
৭। এবার আপনার পছন্দমত তিনটা জায়গা মাউস ক্লিক করতে বলা হবে।
৮। আপনি মনে রাখতে পারেন এমন তিনটা জায়গা সিলেক্ট করুন।এভাবে ২ বার সিলেক্ট করে  কনফার্ম করুন।
৯। Finish করে বেরিয়ে আসুন।
ব্যাস।কাজ শেষ। এবার লগ অফ করে দেখুন। দেখবেন পিকচার আসছে। এখন আপনি যে তিনটা জায়গায় মাউস ক্লিক করেছিলেন সেই তিনটা জায়গায় মাউস ক্লিক করুন। দেখবেন পি সি খুলে গেছে।

19
অাসসালামুআলাইকুম।

একটি সচেতনমূলক টিউন।

এই ব্যাপারটা নিশ্চই অনেকেই জানেন যে ডিলিট করা ডাটা সব ফিরিয়ে আনা সম্ভব এতে যেমন আপনার প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে এবং সমাজে সম্মানহানি হতে পারে তাই আপনার পুরানো হ্যান্ডসেট কাউকে দেয়ার আগে সাবধান হোন।

সম্প্রতি প্যারাগুয়ের অ্যাভাষ্ট সর্তক করে এক পরীক্ষা করে দেখেছে অ্যান্ড্রয়েড খেকে রিমুভকৃত ডাটা,  সেলফি কিংবা ইমেল মুছে ফেলার পরও তারা  ব্যবহারক্রয়কৃত ২০ টি  স্মার্টফোন ক্রয় করে এর পূর্ববর্তী মালিকের ডিলিটকৃত ৪০,০০০.০০ ফটো এবং ১,০০০ টি  সেলফি এবং অন্যান্য তথ্য ফিরিয়ে এনেছে।

তাই তারা এই সমস্যা সমাধানে একটি কৌশলের প্রয়োগ করতে বলেছে যেটা অাপনার মোবাইল থেকে ইনফরমেশন ডিলিট করার পর ফ্যাকটরি রিসেট দিন, এরপর আরো কিছু ডামি ইনফরমেশন দিয়ে সেটটির ম্যামরি ফুল করুন, আবার ডামি ইনফরমেশনগুলো ডিলিট করুন, এভাবে ৪/৫ বার করলে মোটামুটি সেফ হওয়া যায়।

20
প্রতিমাসে ৩০-৫০ লাখ স্মার্টওয়াচ তৈরি করে আগামী অক্টোবর থেকেই তা বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ‍অ্যাপল।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলা শনিবার এ খবর জানিয়েছে।

সূত্রের খবর, প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে প্রতিমাসে ৩০-৫০ লাখ স্মার্টওয়াচ তৈরি করবে। এরপর বাজারে ছাড়বে অক্টোবর থেকেই।

এখন স্মার্টওয়াচটির মডেল চূড়ান্তের কাজ চলছে বলে সূত্র জানায়।

কার্ভ আকৃতির ওএলইডি (অর্গানিক লাইট ইমেটিং ডায়ড) ডিসপ্লে সংবলিত এ স্মার্টওয়াচে ব্যবহৃত সেন্সর রক্তের গ্লুকোজ থেকে স্বাস্থ্য সর্ম্পকিত বার্তা দেবে।

এছাড়া, ঘুমানোর সময় কী পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় তাও বলে দেবে এ সেন্সর। 


21
'টাইজেন' অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোন তৈরি করেছে স্যামসাং।

'স্যামসাং জেড' নামের স্মার্টফোনটি আগামী মাস থেকে বাজারে আসতে পারে। নিজেদের বেশির ভাগ স্মার্টফোনে গুগলের অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করলেও এবারই প্রথম এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করল স্যামসাং। উল্লেখ্য, ইন্টেলের সহায়তায় অপারেটিং সিস্টেমটি নিজেরাই তৈরি করেছে স্যামসাং।

সূত্র : বিবিসি

22
খুব শিগগির বাজারে আসছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড টেলিভিশন। চলতি মাসের ২৫ ও ২৬ জুন সানফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠেয় গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলন ‘গুগল আইও’তে নতুন এ টেলিভিশন উন্মোচন করা হবে। গুগলের তৈরি বিশেষ এ অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি একটি টপ বক্স সেট থাকবে। এর সাহায্যে অনলাইন থেকেও সরাসরি টেলিভিশন কনটেন্ট দেখা যাবে। সরাসরি ইন্টারনেট কনটেন্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে গুগল। আর নতুন এ পণ্য বাজারজাত করতে নেটফ্লিক্স ও হুলুপ্লাস গুগলের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানা গেছে। এর আগে ২০১০ সালের সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া গুগল টিভিতেও প্রায় একই রকম সুবিধা ছিল। তবে গুগলের সে টিভির জন্য বেশির ভাগ অ্যাপস কিনে ব্যবহার করতে হতো। তবে সে টিভির চেয়ে এবারের অ্যান্ড্রয়েড টিভির সঙ্গে থাকছে বিশেষ পরিবর্তন। অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে শুধু সরাসরি ইন্টারনেট থেকে কনটেন্ট দেখার পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড গেমও খেলা যাবে।

23
অ্যাভাস্ট: কম্পিউটারের ক্ষমতা (সিস্টেম রিসোর্স) কম ব্যবহার করায় এবং নিজের ই-মেইল দিয়ে নিবন্ধন করে নিলে এক বছরের জন্য বিনা গ্রাহক হওয়ার সুবিধা থাকায় অ্যাভাস্টের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অ্যান্টিভাইরাস পরীক্ষায় এর ফলাফলও অনেক ভালো। http://goo.gl/ubHLTR ঠিকানায় গিয়ে অ্যাভাস্ট ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস নামাতে হবে৷ তারপর ইন্টারনেটে যুক্ত থাকা অবস্থায় প্রোগ্রামটি হালনাগাদ করতে হবে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে অফলাইনেও হালনাগাদ করা যাবে। এ জন্য অ্যাভাস্ট ২০১৪ ভাইরাস ডেফিনিশন ফাইলটি লাগবে৷ নামানোর ঠিকানা: http://goo.gl/7P5giK

এভিজি: এভিজির বিনা মূল্যের সংস্করণটি ব্যবহার করে যেসব মৌলিক সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে বাড়ি কিংবা ছোটখাটো অফিসের কম্পিউটারে নিরাপত্তার কাজটা ভালোই চলে৷ http://goo.gl/OzgZx3 ঠিকানায় গিয়ে ফ্রি ডাউনলোড বোতামে ক্লিক করে এভিজি ২০১৪ নামানো যাবে। ইনস্টলের পর ইন্টারনেটে হালনাগাদ করতে হবে। অফলাইনে অ্যান্টিভাইরাসটি হালনাগাদ করতে চাইলে  http://goo.gl/Nde6Bf ঠিকানা গিয়ে  Iavi নামের ভাইরাস ডেফিনিশনের বাইনারি ফাইল নামাতে হবে।

কমোডো: যেসব কম্পিউটারে সিস্টেম মেমোরি একেবারেই কম, তাদের জন্য এটি ভালো সমাধান। নামাতে হবে  http://goo.gl/0w2cyV ঠিকানা থেকে। এর আকার ২২০ মেগাবাইট। ইনস্টলেশনের সময় বেশ কিছু অপশন পাওয়া যাবে। সম্পূর্ণ সুরক্ষা পেতে নিজস্ব ফায়ারওয়ালসহ অপশনগুলো পড়ে চালু করতে পারেন৷

24
এত সুন্দর এই মহা বিশ্বের একটি বস্তু মলিকিউল বা পার্টিকেল হল ডিএনএ। আমরা প্রায়ই সংবাদপত্রে ডিএনএ নিয়ে নানা সংবাদ শিরোনাম দেখি। কিন্তু খুব বেশি মানুষই ডিএনএ কী তা জানার জন্য মাথা ঘামাই না। অথচ মাথা থেকে পা পর্যন্ত আমাদের শরীরের সর্বত্র রয়েছে ডিএনএর সদর্প কারসাজি। কখনো কি নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেছি কী করে আমরা পেলাম আমাদের নাক, চোখ, কান, আঙুল ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ? কীভাবে ডিএনএ এসব এনে দিল? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের আগে জানা দরকার ডিএনএ সম্পর্কে কিছু সরল তথ্য। চলুন সামান্য কিছু জেনে নেয়া যাক-

ডিএনএ হচ্ছে জেনেটিক কোডের সংক্ষিপ্ত নাম। এর পুরো পুরো নাম deoxyriboneucleic acid. এটি মূলত অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন, এবং হাইড্রোজেন এর দ্বারা গঠিত মাইক্রোমলিকিউল। এটি রাসায়নিক তথ্যের অনুবর্তী ফিতার মতো বস্তু। আমাদের দেহকোষ বা সেলের নিউক্লিয়াসে এর অবস্থান। নিউক্লিক এসিড নামে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণু বা মলিকিউল দিয়ে ডিএনএ তৈরি। আমাদের ডিএনএর এসব ক্ষুদ্রতর অণু একটি সুনির্দিষ্ট ধারাক্রমে সাজানো থাকে, ঠিক যেমনটি সাজানো থাকে একটি বাক্যে একের পর এক অক্ষর।

যখন আমাদের শরীরে নতুন কোষের জন্ম হয়, পুরনো কোষের ডিএনএ নতুন কোষের ডিএনএ গঠন নির্দেশ করে। এমনকি একটি সরলতম প্রাণীতেও ডিএনএর নিউক্লিক এসিডগুলো এলোমেলো অনুক্রমে থাকে। একটি বানরকে কম্পিউটারের কি বোর্ডে বসিয়ে দিলে যেমন এলোমেলোভাবে কি চেপে অক্ষর বসাবে ঠিক তেমনি।

কেউই এমনটি দেখাতে পারেননি যে হঠাৎ করেই ডিএনএ অস্তিত্ব পেয়েছে। ডিএনএ পেতে প্রয়োজন ডিএনএ। অন্য কথায়, আরো ডিএনএ তৈরির জন্য আগে থেকেই ডিএনএর উপস্থিতি থাকতে হবে। হ্যাঁ, এ কথা সত্যি, ডিএনএ যে বিশেষ কোনো অণুর জন্ম দেয় তা হঠাৎ করেই জন্ম হতে পারে। কিন্তু কখনোই এটা দেখানো সম্ভব হয়নি এই অণুবিশেষ যে ডিএনএ তৈরি করে তা হঠাৎ করে অস্তিত্ব পায়নি অণুগুলো পাশাপাশি এসে। এই ডিএনএই হচ্ছে জেনেটিক কোড।

যখন বাবা মায়ের ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর সংমিশ্রণ হয় , তখন দুটোর মিশ্রণে বাচ্চার প্রথম ডি এন এ তৈরি হয়, যা থেকে ধীরে ধীরে কোষ বিভাজনের সময় আরও ডি এন এ তৈরি হতে থাকে, ডি এন এ যে কোন সেল এর নিউক্লিয়াস এর মাঝে কন্ডেন্সেড এবং সামান্য পরিমাণে মাইটোকন্ড্রিয়া এবং ক্লোরোপ্লাস্ট এর মাঝে থাকে। যে কোন জীবের প্রায় সকল ডি এন এ একই হয়ে থাকে। যেমন যেকোনো পদার্থের সব এটম এক হয়ে থাকে। আমরা যখন মায়ের পেটে বেড়ে উঠতে শুরু করি, তার শুরু এক আউন্সেরও কম ওজনের একটি কোষ থেকে। পরে ক্রমান্বয়ে গঠিত হয় আমাদের বাহু, হাত, পা, পায়ের পাতা, মগজ, গুর্দা, ফুসফুস, যকৃৎ, পাকস্থলী-যতক্ষণ না আমরা পরিপূর্ণ দেহরূপ পাই। একটি একক কোষ থেকে বেড়ে বহু কোষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এ কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু একটি কোষ থেকে কোটি কোটি কোষ তৈরির মালমসলা আসে কোত্থেকে, যেখানে নতুন কোষের আকার শুরুর কোষটির মতোই। শুরুতে যেখানে দেহের ওজন ছিল এক আউন্সেরও কম, সেখানে পূর্ণদেহী মানুষ হয় এর চেয়ে বহু গুণ বেশি ওজনের। নতুন কোষের মালমসলা আসে গর্ভবতী মা যা খান তা থেকে। খাবার হজম হওয়ার পর তা ভেঙে জন্ম নেয় মৌলিক কিছু অ্যামাইনো এসিড। বিভিন্ন অ্যামাইনো এসিড তখন নতুন করে একটি অনুক্রমে পাশাপাশি বসে তৈরি করে বিভিন্ন টিস্যু বা অর্গান। এই অ্যামাইনো এসিডের অনুক্রম কী হবে তা নির্ধারিত হয় ডিএনএর অনুক্রমের মাধ্যমে।

একটি মুরগির ডিমের ডিএনএতে অণুর অনুক্রম মুরগির ডিমের খাদ্যবস্তুকে পরিণত করে গাঢ় ছোট ছোট গুটিতে। এক ব্যক্তি থেকে আরেক বক্তির ডিএনএর অনুক্রম ভিন্ন। এক প্রজাতির থেকে আরেক প্রজাতির ডিএনএ ভিন্ন। বিষয়টি  বোঝার জন্য একটি লাইব্রেরির কথা ভাবুন, যে লাইব্রেরিতে সব বই-ই একই ভাষার। কিন্তু বিভিন্ন বই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। সব বইয়ে আছে একই বর্ণমালা। কিন্তু অক্ষরগুলো সাজানো বিভিন্ন অনুক্রমে বিভিন্ন বইয়ে। এই অনুক্রমই একটি বইকে করেছে অন্যটি থেকে আলাদা, সে জন্য একটা উপন্যাসকে আমরা আলাদা করতে পারছি একটি বিজ্ঞানের বই থেকে। তা সত্ত্বেও জীববিজ্ঞানের একটা মজার বিষয় হচ্ছে প্রজনন কোষগুলো বাদে আমাদের দেহের সব কোষে রয়েছে গোটা দেহে পূর্ণ তথ্য।

ডি এন এ কে বংশ বিস্তারের ব্লু প্রিন্ট বলা যেতে পারে, ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিশ্রণের সময় শুক্রাণুর  মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি এন এ বাদ যায়, এবং শুধু মায়ের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি এন এ  স্থান পায়। তবে নিউক্লিয়ার ডি এন এ অপরিবর্তিত থাকে। আর এভাবে পরীক্ষা করেই পূর্ব পুরুষের সাথে আপনার পরিচয় মেলাতে পারেন!!!!

একেকটি ডি এন এ যেন একটি একটি ছোট অন্তর, যা সবকিছু পরিচালনা করে, ধরুন আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। আপনার একটি রক্তকণিকায় ২৮০ মিলিওন হিমোগ্লোবিন এটম রয়েছে জাত প্রত্যেকটি আট টি অক্সিজেন এর সাথে রি-একশন করে। এভাবে আপনার শরীরে প্রতিটি নিঃশ্বাসে ১১ ০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ (১০^২১) অক্সিজেন প্রবেশ করছে!!!!!  আর এর সবকিছুই পরিচালিত হচ্ছে ডি এন এর মাধ্যমে, এমনকি আপনার চিন্তাশক্তি ও আপনার ডি এন এ দ্বারা পরিচালিত।

25
কিছু দরকারি সফটওয়্যারের নতুন সংস্করণ ইন্টারনেট থেকে নামাতে গেলে দেখা যায় সেগুলোর ওয়েব ইনস্টলেশন শুরু হয়। অর্থাৎ পুরো সফটওয়্যারটি সরাসরি না
নেমে আংশিক ইনস্টলারটি নেমে থাকে। সেটি চালু করলে ইন্টারনেটে থাকা অবস্থায় পরে ইনস্টল হয়। এভাবে সফটওয়্যারটি নিজের কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে না৷
পরে অন্য কোনো কম্পিউটার বা নতুন অপারেটিং সিস্টেমে নতুন করে সফটওয়্যার ইনস্টল করতে গেলে প্রতিবার সময় এবং ব্যান্ডউইথ দুটোরই অপচয় হয়। এর
বিকল্প ব্যবস্থাও আছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সফটওয়্যারের পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ নামানোর ঠিকানা নিচে দেওয়া হলো।
মজিলা ফায়ারফক্স: ফায়ারফক্সের ২৯.০.১ সংস্করণটি নামাতে হলে প্রথমে (http://goo.gl/P8VnSv) ঠিকানায় যেতে হবে। তারপর তালিকায় থাকা ইংরেজি
ভাষার সারি থেকে উইন্ডোজ কলামের ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন ফায়ারফক্সের পুরো ইনস্টলারটি।
গুগল ক্রোম: ক্রোম সরাসরি নামাতে হলে (http://goo.gl/cPxR8h) ঠিকানায় গিয়ে ডাউনলোড ক্রোম বোতামে ক্লিক করলে সরাসরি সেটি নামতে থাকবে।
ফ্ল্যাশ প্লেয়ার: এই সময়ের সব ওয়েবসাইটেই ফ্ল্যাশযুক্ত বিষয়বস্তু থাকায় সেগুলো দেখতে হলে অবশ্যই ব্রাউজারের সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাশ প্লেয়ারও ইনস্টল করতে হবে। প্লেয়ার
দুটি নামাতে চাইলে প্রথমে (http://goo.gl/mEsZeC) ঠিকানায় গিয়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জন্য তালিকার প্রথম সারি থেকে ডাউনলোড ইএক্সই ইনস্টলার
লিংকে ক্লিক করতে হবে। ফায়ারফক্স এবং অন্যান্য ব্রাউজারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সারি থেকে একইভাবে ইএক্সই ফাইলটি নামিয়ে ইনস্টল করতে হবে।
স্কাইপ: নতুন গ্রুপ ভিডিও চ্যাটিং সুবিধাসহ স্কাইপের পুরো সংস্করণ পেতে (http://goo.gl/m1scLt) ঠিকানায় গেলেই চলবে৷
অ্যাডবি রিডার: পিডিএফ ফাইল পড়ার জনপ্রিয় এ সফটওয়্যারটি সরাসরি নামাতে চাইলে যেতে হবে (http://goo.gl/TMQs2a) ঠিকানায়। তারপর নিচে থাকা
প্রথম মেনু থেকে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম, দ্বিতীয় মেনু থেকে ইংরেজি ভাষা বাছাই করলে শেষ ধাপের মেনুতে অ্যাডবি রিডারের বিভিন্ন সংস্করণ দেখা যাবে।
সেখান থেকে ১১তম সংস্করণটি নির্বাচন করে নিচে থাকা ডাউনলোড নাউ বোতামে ক্লিক করলে সেটি নামতে শুরু করবে।

26
ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরা

স্মার্টফোনকে ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে রূপান্তর করার বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটপ্লেসে পাবেন। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আইপি ওয়েবক্যাম, আইওএসের জন্য আইভিজিলো স্মার্টক্যাম কাজে আসতে পারে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরার সাহায্যে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং করতে পারে যা অন্য কোনো স্ট্রিমিং সমর্থিত পণ্যের যেকোনো ব্রাউজারে বা ভিডিও প্লেয়ারে দেখা যায়। এজন্য পুরোনো স্মার্টফোনটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে, চার্জার প্লাগ ইন করতে হবে। স্ট্রিমিং অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকলে এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকলেই আপনার পুরোনো মোবাইল ফোনটি ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরার কাজ করবে।

পিসির রিমোট কন্ট্রোলার

আপনার পুরোনো মোবাইল ফোনটিকে পিসির রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। পিসির কন্ট্রোলার হিসেবেও যদিও ওয়্যারলেস মাউস সবচেয়ে সুবিধার, কিন্তু যদি দূরে সোফা বা চেয়ারে বসে কম্পিউটার চালানোর প্রয়োজন হয়, তখন পুরোনো স্মার্টফোনটিকেও কন্ট্রোলার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। কম্পিউটারের ব্রাউজিং বা কোনো ভিডিও যদি বড় স্ক্রিনে দেখতে চান তবে পুরোনো মোবাইলটি কাজে লাগান। বিনামূল্যের অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল মাউস লাইট এক্ষেত্রে আপনার কাজে লাগতে পারে। অ্যাপ্লিকেশনটির পাশাপাশি মোবাইল মাউসের ওয়েবসাইট থেকে সার্ভার সফটওয়্যারটিও ডাউনলোড করে নিতে হবে। মোবাইল ফোনটিকে পিসি রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে মোবাইল ও পিসি উভয়ই একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে থাকতে হবে আর বাকি কাজটি সফটওয়্যারই সম্পন্ন করবে। মোবাইল মাউস অ্যাপটির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনটি দিয়েই মাউস, কিবোর্ড কিংবা ইউনিভার্সাল রিমোটের কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য
লজিটেকের টাচ মাউস অ্যাপটিও কাজে লাগানো যেতে পারে।

ওয়্যারলেস রাউটার

আপনার পুরোনো স্মার্টফোনটি কী বিল্ট ইন ওয়াই-ফাই হটস্পট? এই ফিচারটি থাকলে আপনি সহজেই পুরোনো স্মার্টফোনটিকে পোর্টেবল রাউটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। থ্রিজি সিমকার্ড দিয়ে এই সুবিধা নিতে পারেন। পকেট ওয়াই-ফাই হিসেবে এই পুরোনো স্মার্টফোনটি ব্যবহারের ফলে প্রতিটি ইন্টারনেট সুবিধার পণ্যে আলাদা আলাদা ইন্টারনেট নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। নিরাপদ অ্যাকসেস পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজের হটস্পট তৈরি করে নিতে পারেন নিজেই।

27
IT Forum / ভালো ছবি তোলার কৌশল
« on: May 15, 2014, 10:38:52 AM »
ভালো ছবি তোলার কৌশল

 দিনের আলোতে ছবি তুলতে হলে সকালে অথবা বিকেলে ছবি তুললে ভালো হয়। সূর্য ওঠা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত এবং ডুবে যাওয়ার আগের দুই ঘণ্টার মধ্যে ছবি তোলা ভালো। তবে বিশেষ ঘটনা বা সংবাদচিত্রের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মেনে চলা যায় না।

 সবচেয়ে ভালো হয়, ভোরবেলা অথবা সন্ধ্যার আগে আগে ছবি তুললে। তখন ছবিতে অনেক ভালোভাবে আলোর ব্যবহার করা যায়। সকালে ও বিকালে সূর্যের আলো কিছুটা হেলে পড়ার কারণে আলো-ছায়ার পার্থক্য অনেক ভালোভাবে ধরা যায়।

 সকালে বা বিকেলে মানুষের মুখোচ্ছবি (পোর্ট্রেট) তুললে ভালো ছবি পাওয়া যায়।  বিয়েবাড়িতে ছবি তুলতে হলে ফ্ল্যাশ লাইট কম ব্যবহার করুন। বিয়েবাড়িতে সাজগোজের ক্ষেত্রে মেকআপের ব্যবহার বেশি হওয়ায় ফ্ল্যাশের আলো দিয়ে ছবি তুললে ছবি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্যামেরার সঙ্গে থাকা (বিল্ট-ইন) ফ্ল্যাশ দিয়ে ছবি তুললে ছবি ভালো পাওয়া যাবে।  ছবি তোলার সময় ছবির পেছনে সাদা রং না রাখাই ভালো।

 আপনি কী তুলবেন, সেটা সবার আগে আপনার মাথায় নিয়ে আসতে হবে। প্রথমেই ছবি তোলার বিষয়বস্তু ঠিক করতে হবে।

 পোর্ট্রেটের ক্ষেত্রে আপনি যার ছবি তুলবেন, তার মুখের যে দিকটা দেখতে সুন্দর, সেদিকে খেয়াল করে ছবি তুলতে পারেন।

 কোনো শিশুর ছবি তুলতে হলে তার আকারের (উচ্চতা) কথা চিন্তা করে ছবি তুলুন।  কোনো ব্যক্তি যদি রেগে থাকেন, সেই অবস্থায় ছবি না তোলাই ভালো। আনন্দময় অভিব্যক্তির ছবি তুললে যে কারোরই ছবি ভালো হবে।

 কোনো অনুষ্ঠানের ছবি তুলতে হলে (বাড়িতে কারও নাচের ছবি) তার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবি তোলার চেষ্টা করতে হবে। তা হলে কোনো একটি ভালো ছবি পেয়ে যাবেন।  গ্রুপ ছবিতে যেন সবাই সাবলীল থাকে, সেভাবে ছবি তুলবেন। যেন ছবিটায় একটা আনন্দময় অনুভূতি পাওয়া যায়।

 ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে হলে, যার ছবি তুলবেন সে যেন সাবলীল ও হাস্যোজ্জ্বল থাকে।  বেশি আলোতে ছবি তুললে, যার ছবি তুলবেন তার চোখেমুখে আলো পড়ে খারাপ যাতে না দেখায় সেদিকে লক্ষ রাখুন।

 দর্শনীয় স্থাপনার ছবি তুলতে গেলে (সংসদ ভবন, শহীদ মিনার) স্থাপনা থেকে কিছুটা দূরে এসে ছবি তুললে ভালো হয়। স্থাপনা থেকে দূরে এসে ছবি তুললে সেটির আশপাশের অনেক কিছুই ভালোভাবে তোলা যাবে।

 মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তুলতে গেলে পুরো দৃশ্য আসে—এমন জায়গা থেকে ছবি তুললে অনেক ভালো ছবি পাওয়া যাবে।

 বাইরে সূর্যের আলোতে ছবি তুলতে হলে লক্ষ রাখবেন, ক্যামেরার লেন্সে যেন কোনোভাবেই আলো প্রবেশ না করে।

 সমুদ্রের পানিতে সূর্যের ছবি তোলার জন্য ক্যামেরায় জুম লেন্স ব্যবহার করতে পারেন। এতে সূর্যের অনেক ভালো ছবি তোলা যাবে।

 কক্সবাজারে সূর্য ওঠার সময় থেকে সকাল ১০টার মধ্যে অনেক ভালো ছবি পাওয়া যাবে।

 প্রখর রোদে (বেলা ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত) ছবি না তোলাই ভালো।

 গ্রুপ ছবি তোলার সময় ক্যামেরায় ওয়াইড লেন্স ব্যবহার করলে ভালো।

 দূরের ছবি তোলার জন্য টেলিলেন্স ব্যবহার করলে অনেক ভালো ছবি পাওয়া যায়।

 কোনো পোর্ট্রেট বা শিশুর ভালো ছবি তুলতে হলে, তাকে না জানিয়ে ছবি তুলুন।এতে স্বাভাবিক ছবি পাওয়া যাবে। তাই যার ছবি তুলবেন, তাকে না জানিয়ে তুলুন।

 ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি তুলতে চাইলে, ছবি তোলাকে ভালোবাসতে হবে।

 ছবি নিয়ে সৃষ্টিশীল কাজ করতে চাইলে অন্তর্দৃষ্টি অনেক বেশি প্রখর হওয়া প্রয়োজন।

 আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ছবি তুলতে চান, সেটা আগে থেকে ঠিক করে নিন।

 ছবিতে কী রাখবেন, কী রাখবেন না, সেটা আগে থেকে পরিষ্কার চিন্তা করতে হবে।

 কারও পোর্ট্রেট সরাসরি না তোলার চেয়ে কিছুটা কৌণিকভাবে ডানে-বাঁয়ে ঘুরিয়ে তুললে ছবিটা খুব ভালো হবে।

 যার ছবি তুলবেন, তার চোখে যদি চশমা থাকে, খেয়াল রাখুন চশমা থেকে আলোর প্রতিফলন যেন না হয়।

 রাতে ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে পারেন। আলো থাকলে ফ্ল্যাশ ব্যবহার না করে ছবি তোলার চেষ্টা করুন। তখন আইএসও বাড়িয়ে দিতে পারেন।

 অনেকে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের ছবি তুলতে পছন্দ করেন। শহীদ মিনারের ছবি তুলতে হলে ভোরের আগে যেতে হবে। এ সময় অনেক ভালো ছবি পাওয়া যাবে।

 আলোকসজ্জার ছবি তুলতে চাইলে একেবারে অন্ধকারে না গিয়ে আকাশের আলো বা অন্য আলোর সঙ্গে তুললে ভালো ছবি পাওয়া যাবে।

 পয়লা বৈশাখে অনেক বেশি রঙের ব্যবহার করা হয়। তাই মানুষ, পোশাক, মুখোশ বা শোভাযাত্রার ছবি তোলার জন্য সকালটাকে বেছে নিতে হবে।

 যার ছবি তুলবেন, তার থেকে যেন পটভূমির (ব্যাকগ্রাউন্ড) আলো বেশি উজ্জ্বল না হয়।  কারও পোর্ট্রেট তুলতে চাইলে, ঘুমের পরে ছবি তুললে অনেক ভালো ছবি পাওয়া যাবে।

 পোর্ট্রেট তোলার সময় লক্ষ রাখতে হবে, যার ছবি তুলবেন সে যেন কখনো মূর্তির মতো হয়ে না থাকে। তাকে সাবলীল রাখার চেষ্টা করুন।

 পেশাদার আলোকচিত্রি হতে চাইলে অনেক বেশি ছবি তোলার দরকার নেই। কম ছবি তোলার মধ্যে আপনার চাহিদামতো ছবিটি পেয়ে যেতে পারেন।

 বিশেষ পেশা বা কারণ ছাড়া অনেক বেশি ছবি তুললে আপনার সৃষ্টিশীলতা কমে যেতে পারে। তাই কম ছবি তুলে উপযুক্ত ছবিটি নির্বাচন করাই ভালো।

ডিজিটাল ক্যামেরার কথা

সাধারণ ডিজিটাল ক্যামেরা বা ডিজিক্যামে ছবি বা ভিডিও ধারণ করা হয় ইলেকট্রনিক ইমেজ সেন্সর দিয়ে। ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি ধারণের তিন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো নির্ভর করে ক্যামেরার যন্ত্রাংশ, রং ও ফিল্টারের ওপর। প্রথম পদ্ধতিটিকে বলে সিঙ্গেল শট। এটি নির্ভর করে কত সময় পরপর ক্যামেরার আলো ক্যামেরার লেন্স থেকে ক্যামেরার সেন্সরের ওপর পড়ে। সিঙ্গেল শট একটি সিসিডি (চার্জড কাপলড ডিভাইস) ও বায়ার ফিল্টার মোজাইক ব্যবস্থায় কাজ করে অথবা তিনটি আলাদা সেন্সর ব্যবহার করে কাজ করে। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো মাল্টি শট। এ পদ্ধতিতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে যে ছবিটি তোলা হবে, তার কাছে সেন্সরটি ধারাবাহিকভাবে তিনবার প্রদর্শিত হয়। তৃতীয়টিকে বলা হয় ইমেজ স্ক্যানিং পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সেন্সরটি ডেস্কটপ স্ক্যানারের মতো ফোকাল প্ল্যানের চারদিকে ঘুরতে থাকে।

28
আমরা অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে এন্ড্রয়েড ব্যাবহার করছি । এন্ড্রয়েড এর প্রচুর সুবিধা আছে তবে অনেক দিন ব্যাবহার এর ফলে অনেকটা একঘেয়ামি চলে এসেছে । আমি এখানে উইন্ডোজ ফোন এর ভাল খারাপ দিক তুলে ধরবো .

প্রথমেই জেনে নেই উইন্ডোজ ফোন এর অনন্য ফিচারগুলো যার কারনে আপনি উইন্ডোজ ফোন কিনবেন

১. কর্টানা – উইন্ডোজ ফোন ৮.১ এ কর্টানা নামক পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট যোগ হয়েছে । যার কাজ আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোকে সহজ করে তোলা। এটা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে তবে এখনই এটা আইফোন সিরি বা গুগল নাওকে হার মানায় । ইউটিউবে কর্টানা চ্যালেঞ্জগুলো দেখতে পারেন -https://www.youtube.com/watch?v=-HJodK56EsU

২. ক্যামেরা – আমরা সকলেই জানি নোকিয়া ১০২০ ফোনের ক্যামেরার কথা । এখন পর্যন্ত এটাই স্মার্টফোনের সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা । এছাড়াও লুমিয়া ৭২০, ৮২০, ৯২০, ৯২৫, ১৫২০ ইত্যাদি ফোনগুলোর ক্যামেরাও যথেষ্ট ভাল মানের । এগুলো সহজেই আইফোন ৫ বা স্যামসাং গালাক্সির মতো ফোনের সাথে কম্পেয়ার করা যায় । এই পেজে ভিডিওগুলো দেখতে পারেন - http://www.windowsphone.com/en-us/cmpn/windows-phone-challenge

৩. স্টোর - উইন্ডোজ ফোনের স্টোরে রয়েছে প্রচুর অ্যাপ । যার মাঝ থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের অ্যাপ খুঁজে নিতে পারেন । অনেকে বলে উইন্ডোজ স্টোরে যথেষ্ট অ্যাপ নেই কথাটা আসলে সম্পূর্ণ ভুল । আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপ দ্বারা প্রতিনিয়তই উইন্ডোজ অ্যাপ স্টোর সমৃদ্ধ হচ্ছে ।

৪. লাইভ টাইলস – এটা উইন্ডোজ ফোনের একটি অনন্য ফিচার যা অন্য কোন ফোনে নেই । এটা দেখতে খুবই চমৎকার এবং এর জন্য ফোন কখনো স্লো হয় না । সব ফিচার গুলো আপনি এই লিঙ্কে দেখতে পারেন –

http://www.windowsphone.com/en-us/features

৫. অফলাইন ম্যাপ – আইফোনের মত উইন্ডোজ ফোনেও রয়েছে অফ্লাইন ম্যাপ । অর্থাৎ আপনি নেট কানেকশন ছাড়াই ম্যাপ ব্যাবহার করতে পারবেন । এটা এন্ড্রয়েড এর বেশিরভাগ ফোনেই অনুপস্থিত

৬. বাংলা কীবোর্ড – উইন্ডোজ ফোনের এই বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে । উইন্ডোজ ফোন ৮.১ এ দেয়া হয়েছে অফিসিয়াল বাংলা কীবোর্ড যা সকল স্মার্টফোনের মাঝে প্রথম । উইন্ডোজ ফোনে তাই পৃথিবীর প্রায় সকল ভাষা উন্মুক্ত

এছাড়াও উইন্ডোজ ফোনকে বলা হয় The World’s Most Personal Smartphone কারন এই ফোনকে আপনি আপনার মনের মত খুব সহজেই সাজিয়ে রাখতে পারবেন ।

এতক্ষন উইন্ডোজ ফোনের ভাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম । এবার আসছি উইন্ডোজ ফোনের সমস্যাগুলো নিয়ে

১. ন্যাটিভ 3G ভিডিও কল – উইন্ডোজ ফোনে ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল নেই এর কারন উন্নত বিশ্ব এই ডায়রেক্ট থ্রিজি ভিডিও কলের যুগ অনেক আগেই পার করে এসেছে । এর মান যেমন খারাপ তেমনি ভিডিও কোয়ালিটিও ভাল নয় এর জন্য উন্নত দেশগুলোতে মানুষ এখন স্কাইপ ব্যাবহার বেশি করে কারন স্কাইপ সাশ্রয়ী এবং মানও যথেষ্ট তাই উইন্ডোজ ফোনে ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল রাখা হয়নি । তবে আমরা নতুন থ্রিজি ব্যবহার করছি বলে আমাদের এই ব্যাপারে আগ্রহ বেশি তাই ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল খুব বেশি প্রয়োজন হলে আপনি অবশ্যই উইন্ডোজ ফোন কিনবেন না ।

২. ফ্ল্যাশ প্লেয়ার – ফ্ল্যাশ প্লেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর দ্বারা আপনি লাইভ টিভি দেখতে পারবেন । তবে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার উইন্ডোজ ফোনে নেই । যদিও আপনি বিভিন্ন অ্যাপ এর মাদ্ধ্যমে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল দেখতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনার মেগাবাইট একটু বেশিই খরচ হবে । তবে ইউটিউব বা অন্যান্য সাইটে ভিডিও দেখতে আপনার কোন সমস্যা হবে না

৩. ব্রাউজার – উইন্ডোজ ফোনে আপনি গুগল ক্রোম বা অপেরা মিনি ব্রাউজার পাবেন না তবে অন্যান্য প্রায় সব ব্রাউজারই আপনি পাবেন ।

আপাতাত এই তিনটিই মূল ও বড় সমস্যা আমার কাছে মনে হয়েছে । আপনি উইন্ডোজ ফোন কেনার সময় অবশ্যই ভেবেচিন্তে কিনবেন ।

আর ছোট্ট একটা টিপস আপনাদের দেই উইন্ডোজ ফোন সেকেন্ডহ্যান্ড কিনতে গেলে অবশ্যই উইন্ডোজ ফোন ৮ সাপোর্টেড ফোন কিনবেন কারন লুমিয়া ৭১০ বা ৫১০ সিরিজের ফোন গুলো আপনি উইন্ডোজ ফোন ৮ বা ৮.১ এ আপগ্রেড করতে পারবেন না । সেক্ষেত্রে আপনার অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে । আর উইন্ডোজ ফোন কেনার আগে উইন্ডোজ ফোনের অফিসিয়াল সাইট Windowsphone.com থেকে ঘুরে আসুন যেখানে আপনি সহজেই উইন্ডোজ ফোন সম্পর্কে ভাল ধারনা পাবেন ।

29
আজ আপনাদের সাথে কিছু আশ্চর্যজনক সত্যি তথ্য শেয়ার করব। Believe it or not.  তবে চলুন জেনে নেই ...

> আমরা তো খাবার খেয়েই ভাবি কাজ শেষ কিন্তু এ খাবার পুরোপুরি হজম করতে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে।

> ফ্লেমিঙ্গো পাখি তখনই খেতে পারে যখন তাদের মাথা পুরোপুরি উলটো করে ফেলে।

> মানুষের চোখ ৫৭৬ মেগা পিক্সেল। একজন স্বাভাবিক মানুষ মিনিটে ১২ বার চোখের পলক ফেলে এবং একদিনে দশহাজার বার।

> চোখের কর্ণিয়া একমাত্র টিস্যু যার রক্তের প্রয়োজন হয় না। চোখ ২ মিলিয়ন কর্মরত প্রত্যঙ্গ এর সমন্বয়ে গঠিত। চোখ প্রতি ঘন্টায় ৩৬০০০ বিট (একক) তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে।

> পৃথিবীর বিখ্যাত ও রহস্যময় সভ্যতা হলো মায়ান সভ্যতা। এই মায়ানরা বিজ্ঞান, জ্যোতিষচর্চা ও মহাকাশ জ্ঞানের দিক থেকে সব সময়ের সবাইকে অতিক্রম করেছিল। তাদেরই একটি বিখ্যাত শহরের নাম পালাঙ্কি। এ শহরটির অবস্থান মেক্সিকোর চিয়াপাস রাজ্যের গহিন অরণ্যে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ফ্রান্স ব্লুম নামে একজন আবিষ্কারক মেক্সিকোর একটি অরণ্যে পালাঙ্কির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান।

> আলবার্ট আইনস্টাইনকে ১৯৫২ সালে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হবার জন্যে অফার করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

> মোনালিসা’র কোন ভ্রু ছিল না। কারণ রেনেসার যুগে ভ্রু শেভ করে ফেলাটাই ছিল তখনকার ফ্যাশন।

> কানের পাশে কোন একটা কিছু (ফানেল জাতীয় যেমন কাপ) ধরি তখন যে গর্জন শুনতে পাই তা আসলে সাগরের শব্দ নয়। রক্ত আমাদের কানের শিরা দিয়ে যে প্রবাহিত হচ্ছে তার শব্দ।

> আদি গ্রীসে কোন একটা মেয়ের দিকে আপেল ছোড়া বিয়ের অফিশিয়াল প্রপোজাল হিসেবে গণ্য হত। আর মেয়েটা যদি সেটা ধরতো তার মানে হচ্ছে সে এই প্রস্তাবে রাজি।

> আদিকালে অপরিচিত মানুষরা হ্যান্ডশেক করতো এটা বোঝানোর জন্যে যে তারা নিরস্ত্র।

> কিছু লোক প্রকৃতপক্ষে খুব সুখি হলে ভয় পায় কারণ তারা মনে করে এর পিছনে কিছু মর্মান্তিক ঘটনা আসন্ন। এটি Cherophobia নামে পরিচিত।

> আপনি আপনার নাক দুই আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে মুখ বন্ধ করে mmmmm ৭ সেকেন্ডের বেশি করতে পারবেন না

> Steve Jobs যখন অসুস্থ ছিলেন তখন অক্সিজেন মাস্ক লাগান নি। কারণ এটা যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে তা তার পছন্দ হয় নি।

> অস্ট্রেলিয়াতে বাচ্চারা সিগারেট কিনতে পারবে না!! কারণ এটা আইনবিরোধী!! কিন্তু সিগারেট খেতে/টানতে পারবে!!
এতে কোনো বাধা নেই!!

> গাধা একমাত্র চতুষ্পদ প্রাণী যে নিজের চারটি পা-ই দেখতে সক্ষম ।

> পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান বা দামী পানি হল হাওয়াইয়ের গভীর সমুদ্র তলদেশ থেকে তুলে আনা উচ্চ খনিজ সমৃদ্দ ও বিশেষ উপায়ে লবণমুক্ত করা 'কণা নিগারি' পানি। এর এক আউন্স পানির দাম সাড়ে ১৭ ডলার।

> রবিবার দিয়ে শুরু হওয়া মাসে ১৩ তারিখ শুক্রবার হবে।

> পৃথিবীতে কতই না প্রাণী। এতো বড় থেকে শুরু করে চোখে দেখা যায় না এমন প্রাণীও রয়েছে। তবে আমাদের পৃথিবীতে ৯৫% প্রাণীই একটা মুরগীর ডিমের চেয়েও ছোট।

> ঢাকায় প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জলে - ৭ ডিসেম্বর ১৯০১ সালে আহসান মঞ্জিলে।

> চা আবিষ্কার হয় চীনে, আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কে ১৯০৯ সালে টমাস স্যুলিভান প্রথম টি-ব্যাগের প্রচলন করেন।

30
আপনার দামি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ট্যাবের ওপর এখন চোখ রাখছে দুর্বৃত্তরা। কীভাবে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনটি?
প্রযুক্তি গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্ড্রয়েড এখন অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তার একটি মূল কারণ হচ্ছে সহজ  কাস্টমাইজেশানের ও নানারকম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে অনেক সমস্যার একটি হচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন। অনেক সময় গুগলের প্লে স্টোরের বাইরে থেকেও অ্যাপ ডাউনলোড করা হয় যা অ্যান্ড্রয়েডকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়।
ইন্টারনেট সুরক্ষা পণ্য নির্মাতা ইসেটের গবেষকেদের মতে, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে মানুষের নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। এ ধরনের যন্ত্রে আমরা ব্যক্তিগত তথ্য বেশি বেশি করে সংরক্ষণ করে রাখছি যা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
আপনার ট্যাব থেকে মূল্যবান তথ্য চুরি ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেবেন? অ্যান্ড্রয়েড পণ্য ব্যবহারকারীদের জন্য তাঁদের পণ্য সুরক্ষার ১০ উপায়  নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন
প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে নিরাপত্তা হিসেবে স্ক্রিন লক করার সুবিধা রয়েছে। পিন, পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন লক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার পণ্যটিকে লক করে রাখতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটি সেটিংসে গিয়ে লক সক্রিয় করা যায়। স্বয়ংক্রিয় বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর লক করা বিষয়টিও সেট করা যায়।

ডিভাইস এনক্রিপ্ট করুন

আপনার পণ্যের সব ডাটা এনক্রিপ্ট করার সুবিধা দেয় অ্যান্ড্রয়েড। অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটি সেটিংস থেকে ডাটা এনক্রিপ্ট করা যায়। এতে মোবাইল বা ট্যাব প্রতিবার চালু করার সময় ডাটা বা তথ্যে ঢুকতে আলাদা করে পাসওয়ার্ড ও পিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এনক্রিপশন করা থাকলে ফোন যদি দুর্বৃত্তের হাতে পড়ে এবং একবার বন্ধ করে তা আবার চালু করে তবে পিন বা পাসওয়ার্ড ছাড়া তথ্য চুরি করতে পারবে না। ডাটা এনক্রিপশন করলে ফোনের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে।

অফিসের কাজে নিজের পণ্য নয়

আপনার নিজের মোবাইল বা ট্যাব কী অফিসের কাজে ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট নিরাপত্তা পণ্য নির্মাতা ইসেটের গবেষকেরা বলছেন, অফিসের কাজে নিজের পণ্য ব্যবহার করার সময় ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস আক্রমণের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই নিজের পণ্যটি অফিসের কাজে যখন ব্যবহার করা হবে তখন অফিসের তথ্যপ্রযুক্তি দল বা কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ নিন এবং তাদের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার ফোনে জমা রাখুন।

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার সচল করুন

আপনার মোবাইল ফোন যদি বেহাত হয়ে যায় তখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ফিচারটির কল্যাণে আপনার পণ্যটিকে গুগল ম্যাপে ট্র্যাক করতে পারবেন। এ ছাড়াও মোবাইল ফোনটি চালু থাকলে পূর্ণ ভলিউমে টানা পাঁচ মিনিট কল দিতে পারবেন। এমনকি দূর থেকেই আপনার সব তথ্য মুছে দিতে পারবেন। আপনার মোবাইল ফোনে ডিভাইস ম্যানেজার চালু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে সেটিংস থেকে সিকিউরিটিতে যেতে হবে। সিকিউরিটি সেটিংসের ডিভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থেকে আপনি ডিভাইস ম্যানেজার চালু করতে পারেন।

এসডি কার্ডে স্পর্শকাতর তথ্য নয়

আপনার মোবাইলের এসডি কার্ডে ব্যক্তিগত কিংবা আর্থিক তথ্য জমা রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এসডি কার্ডের তথ্য সহজে মুছে ফেলা এবং হাতিয়ে নেওয়া সহজ বলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে এসডি কার্ডে ভরসা না করাই ভালো। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ যদি করতেই হয় তবে তা ইন্টারনাল মেমোরিতেই করুন।

যেখান সেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড নয়

অপিরিচিতি কোনো উত্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগলের প্লে স্টোরের অ্যাপসই ডাউনলোড করুন। গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, কেবল উত্স নিশ্চিত হয়ে এবং পরিচিত প্ল্যাটফর্ম থেকেই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন। কোনো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার আগে আপনার অনুমতি চাওয়া হচ্ছে কিনা তা খেয়াল করুন এবং অনুমতি দেওয়ার আগে অ্যাপসটির উত্স সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

অ্যাপসের জন্যও তালা লাগান

আপনার স্মার্টফোন বা ট্যাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অ্যাপস লক ব্যবহার করতে পারেন। গ্যালারি কিংবা মেসেজিংয়ের সুরক্ষা হিসেবে গুগল প্লে থেকে অ্যাপ লক ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনাকে আলাদা করে পাসওয়ার্ড বা পিন কোড সেট করে দিতে হবে যাতে কোন নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে গেলে আগে পাসওয়ার্ড খুলে তারপর ঢুকতে হয়।

ফোন রুট করবেন না

ফোন রুট করা হলে কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড রমের পাশাপাশি ক্ষতিকর অ্যাপসও ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। রুট অ্যাকসেস সুবিধার অ্যাপ পণ্যের ফাইল সিস্টেমকে অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যাপসের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারে। এ ছাড়াও ফোন রুট করার বিষয়টি ফোন ওয়্যারেন্টির লঙ্ঘন হতে পারে।

ব্রাউজিং করুন ছদ্মবেশে

আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন বা ট্যাব থেকে ব্রাউজ করার সময় ছদ্মবেশে ব্রাউজ করুন। যদি ক্রোম দিয়ে ব্রাউজ করেন তবে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট হয়ে ব্রাউজ করবেন। আপনার পণ্যটি যদি একাধিকজন ব্যবহার করেন তবে ইনকগনিটো মোড বা পরিচয় গোপন রেখে ব্রাউজ করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ক্রোম ব্রাউজার আপনার সার্চ ও ব্রাউজিংয়ের ইতিহাস সংরক্ষণ করে এবং আপনার সাইন-ই থাকা অন্যান্য ডিভাইসেও তা সিনক্রোনাইজ করে।

সফটওয়্যার হালনাগাদ রাখুন

গুগল সফটওয়্যার আপডেট উন্মুক্ত করে যার মধ্যে বেশ কিছু নিরাপত্তা প্যাচ দেওয়া থাকে। ডিভাইস সেটিংস থেকে সফটওয়্যার আপডেটের বিষয়টি দেখে নেওয়া যেতে পারে। সেটিংসের  অ্যাবাউট ডিভাইস মেনু থেকে সিস্টেম আপডেটের বিষয়টি দেখে নেওয়া যায়।

Pages: 1 [2] 3