Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Alamgir Hossan

Pages: 1 ... 37 38 [39] 40 41 ... 44
571
পর্যটন এখন একটি শিল্প, যা অনেক দেশের অর্থনীতির একটি মুখ্য উপাদান। এ শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি দ্রুত বিকাশমান খাত হিসেবে চিহ্নিত। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়াও বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পর্যটন অনেক দেশেরই শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত হয়েছে।

পর্যটন একটি ব্যতিক্রমধর্মী রপ্তানি-বাণিজ্য। অন্য বাণিজ্যে বিদেশে পণ্য পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। কিন্তু পর্যটনের ক্ষেত্রে বিদেশিদের দেশ ভ্রমণে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে আসে বৈদেশিক মুদ্রা। পর্যটনে বিদেশি পর্যটক নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণে এসে থাকা-খাওয়া, যাতায়াত বিনোদন ইত্যাদিতে যে অর্থ ব্যয় করে তা অন্য দেশের বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে অর্জিত হয়।

পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হোটেল, মোটেল ও অন্য সহ-সংস্থার অর্জিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অন্য রপ্তানির তুলনায় পর্যটনশিল্প থেকে আয় দ্রুত বর্ধনশীল।

একটি পর্যটন অঞ্চল গঠন ও উন্নয়নের ফলে সেখানে পর্যটকের সমাগমের মাধ্যমে অর্থপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। কম শিল্পায়িত এলাকায় পর্যটনশিল্পের বিকাশের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা আশপাশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। পর্যটন কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের বহু দেশ প্রমাণ করেছে পর্যটন অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম।

নেপাল, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকং, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জাতীয় আয়ের একটা বড় অংশ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। মালদ্বীপের অর্থনীতির প্রধান অংশ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল।

ইউএনডব্লিউটিওর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে বিশ্বে পর্যটকের সংখ্যা ছিলো মাত্র আড়াই কোটি। ২০১২ সালে বেড়ে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১শ ৩৫ কোটি। অঞ্চলভিত্তিতে ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে ইউরোপ, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০১২ সালে বিশ্ব পর্যটন আয় জিডিপির ৯ শতাংশ, যা বিশ্ব রপ্তানির ৬ শতাংশ। এর রপ্তানিমূল্য ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ খাতে প্রতি ১০ জনে একজনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

বাংলাদেশের রয়েছে অসংখ্য নৈসর্গিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, ধর্মীয় নিদর্শন ও স্থান। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায় সমুদ্রকন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিচ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, যা বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি হিসেবে পরিচিত, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী সমুদ্রসৈকত, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, মহেশখালী, টেকনাফ, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, কাপ্তাই, বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা, চট্টগ্রামের দিগন্তজোড়া সবুজ আর পাহাড়ের গা ঘেঁষে যাওয়া আঁকাবাঁকা লেক, মায়া হরিণের জাদুমাখা সোনার চর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার সিলেটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানিতে মাছের খেলা।

ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে বগুড়ার মহাস্থানগড়, নওগাঁর পাহাড়পুর, কুমিল্লার ময়নামতি, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, ষাট গম্বুজ মসজিদ, আহসান মঞ্জিল ও কুষ্টিয়ার লালন শাহের আখড়া। রয়েছে ঐতিহাসিক কীর্তির ঐতিহাসিক স্থান, যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় শহীদ মিনার, জাতীয় কবির কবরস্থান, বাহাদুর শাহ পার্ক, রমনার বটমূল, কার্জন হল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে তার অপরূপ সৌন্দর্যে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালে পর্যটন খাত থেকে বাংলাদেশ আয় করেছিল ২শ ৬৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ২০১০ সালে এসে আয় দাঁড়িয়েছে ৫শ ৫৬ কোটি ২৭ লাখ টাকায়। বাংলাদেশ ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা ২০০১ সালে ছিল দুই লাখ সাত হাজার ১৯৯ জন এবং ২০০৮ সালে এযাবৎকালের সবচেয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক চার লাখ ৬৭ হাজার ৩৩২ জন।

ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পর্যটনশিল্পের সরাসরি অবদান ছিলো ২ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ লোকের। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ সরাসরি পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালে কর্মসংস্থানের এ প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

বর্তমানে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল ১০টি পর্যটন মার্কেটের একটি হিসেবে ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। ২০২০ সালে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। কারণ, মানুষের অবসর দিন দিন বাড়ছে আর হাতে রয়েছে পর্যাপ্ত টাকা, যা খরচ করার জন্য পর্যটনকেই মানুষ বেছে নেবে। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিপুলসংখ্যক পর্যটকের মধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবে এশিয়ার দেশগুলোয়। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৮ সালের মধ্যে এ শিল্পে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখবে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ যদি এ বিশাল বাজার ধরতে পারে, তাহলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্প বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে পর্যটনপণ্যের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার অভাব, অপ্রতুল অবকাঠামো ও অপর্যাপ্ত পর্যটন স্থাপনা, নিম্নমানের যোগাযোগব্যবস্থা, মানসম্মত আবাসনের অভাব, সমন্বিত পর্যটন আইন কাঠামোর অভাব, উপযুক্ত বিনোদনব্যবস্থার অভাব, সুষ্ঠু পর্যটন নীতিমালার অভাব, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের অভাব, সাবলীল উপস্থাপনা ও প্রচারের অভাব।

এসব সমস্যার সমাধানে সব পর্যটন স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা খুব দরকার। পর্যটন স্থানগুলোয় উন্নত মানের হোটেল, মোটেল ও বিনোদনের ব্যবস্থা করাতে হবে। দক্ষ ও পেশাদার জনবল তৈরি করতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে, যাতে পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও মুক্ত মনের প্রয়োজন।

এ পদক্ষেপগুলোর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এক উল্লেখযোগ্য খাতে পরিণত হতে পারে।

572
Science and Information / Recent Information
« on: October 06, 2016, 09:20:45 AM »
সাম্প্রতিক তথ্য
=============
১। ৩ অক্টোবর ২০১৬ নোবেল পুরস্কার ঘোষিত "ফিজিওলজি ও মেডিসিন"এ পদক প্রাপ্ত বিজ্ঞানীর নাম...
==ইয়োশিনোরি ওশুমি। অটোফ্যাগির মেকানিজম আবিষ্কারের জন্য পেয়েছেন এ স্বীকৃতি।
২। সম্প্রতি বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে-
=বজ্রপাতকে ( বাংলাদেশ মোট ১৩টি)
৩। EU থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে (‘ব্রেক্সিট’) জনগণের রায় নিতে সেদেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় --
=২৩ জুন, ২০১৬
৪। WHO এর মতে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর কোনটি?
=ইরানের জাবল
৫। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কোন পুরস্কার পান?

প্লানেট ফিফটি-ফিফটি ও এজেন্ট অফ চেঞ্জ পুরস্কার লাভ।
.
উল্লেখ্য , বাংলাদেশি আরেকজন গবেষক ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শাহরিয়ার আহমেদ জাতিসংঘের মোমেন্টাম অফ চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তি স্মার্ট ভিলেজ ন্যানোগ্রিড। গত বছর এই প্রযুক্তির জন্য তাকে জার্মানীর সোলার এ্যাওয়ার্ডও প্রদান করা হয়।
.
৬। সার্জিকেল স্ট্রাইক কী?
.
সার্জিকেল স্ট্রাইক হচ্ছে আগে থেকে নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ডে বা স্থাপনায় আকস্মিক ঘোষণা করে খুব দ্রুততার সহিত ফিরে আসা। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। কাউকে গ্রেফতার বা আটকের জন্য এই অভিযান পরিচালিত হয় না আর কোন ভূ-খণ্ডে আভিযান পরিচালনা করে সেটা দখল থাকা এটাও এই পরিচালনায় করা হয় না।
সম্প্রতি পাকিস্তানে পরিচালিত ভারতের কমান্ডো বাহিনীর আকস্মিক অভিযান। এর আগে জঙ্গী দমনের জন্য মায়ানমারেও এই ধরনের অভিযান চালানো হয়।
.
৭। থাড কী ?
==এটি হচ্ছে ক্ষেপনাস্ত্র দ্বারা একধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সম্প্রতি পঞ্চমবারের মত উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক বোমা পরীক্ষার পর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট যৌথভাবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
.
৮। স্মার্ট ভিলেজ ন্যানোগ্রিড কী?
==বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ এক বাসা থেকে অন্য বাসায় ট্রান্সফারের প্রযুক্তি হচ্ছে স্মার্ট ভিলেজ ন্যানোগ্রিড।
.
৯। অতিদারিদ্র্য কমে ১২.৯ শতাংশ: বিশ্ব ব‌্যাংক
.
১০।জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ করা হয়
----- 2 অক্টোবর 2016
সর্বপ্রথম স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়------
প্রথমে ---- রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
দ্বিতীয় ---- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তৃতীয় ---- মাশরাফি বিন মর্তুজা

573
২০১৫ সালের সেরা খেলোয়াড়দের নানা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। তাদের বিচারে ২০১৫ সালে সেরা অভিষিক্ত খেলোয়াড় হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

mustafiz won debutante of the year award

২০১৫ সালের ১৮ জুন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুস্তাফিজেই। অভিষেকই ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। পরের ম্যাচে নেন ছয় উইকেট। তিন ম্যাচের ওই সিরিজে মোট ১৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান।

ওই সিরিজে রোহিত শর্মাকে তিনবার আউট করেন তিনি। সুরেশ রায়না, অজিঙ্কা রাহানে, এমএস ধোনিরাও ছিলেন মুস্তাফিজের শিকার। সব মিলিয়ে নিজের অভিষেকেই বিশ্ব কাঁপিয়ে দেন সাতক্ষীরার এই তরুণ। চোখে-মুখে তখনও তার শৈশবের ছাপ থাকলেও বোলিংয়ে বুঝিয়ে দেন, বিশেষ কিছু করতেই তার আবির্ভাব।

মুস্তাফিজের আবির্ভাবের গল্প বলতে গেলে কেবল উইকেট শিকারের কথা বলে অবশ্য কিছুই বলা হয় না। এখানে জরুরি ভিত্তিতে বলা প্রয়োজন তার বোলিং বৈচিত্রের কথা। মুস্তাফিজ সবচেয়ে বেশি আলোড় তুলেছেন তার অফকাটার দিয়ে।

আধুনিক ক্রিকেটে সবচেয়ে ভালো অফকাটার পারা একমাত্র বোলার তিনিই। এ ছাড়া সুইং ও বাঁহাতি পেসারদের মৌলিক ডেলিভারিগুলো তো আছেই।

২০১৫ সালে ৩০ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজের স্ট্রাইকরেটই সবচেয়ে ভালো। ২০১৫ সালে অভিষেক হওয়াদের মধ্যে ক্রিকইনফোর পুরস্কার তালিকায় আরো ছিলেন ক্যাগিসো রাবাদা, তিনি এখন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিয়মিত মুখ। এছাড়া শ্রীলঙ্কার দুশমন্থ চামিরা ও ইংল্যান্ডের মার্ক উডও ছিলেন তালিকায়। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে মুস্তাফিজ জিতে নেন পুরস্কার।

ক্রিকইনফোর পুরস্কার জেতার পিছনে ভূমিকা রেখে থাকতে পারে মুস্তাফিজ যাদের শিকার করেছেন, তাদের নামগুলোও। রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না ও কুইনটন ডি ককের মতো ব্যাটসম্যানদের তিনবার করে আউট করেছেন মুস্তাফিজ। তার বলে উইকেট বিলিয়ে দিতে হয়েছে জেপি ডুমিনি, রেজিস চাকাভা, শহিদ আফ্রিদি, শেন উইলিয়ামস, হাশিম আমলা ও মোহাম্মদ হাফিজরাও।

574
ক্যারিয়ারে বাজে সময় খুব একটা দেখেননি সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাব বেশ কয়েকবার দখল করেছেন। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে এক নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার বিরল সম্মানও অর্জন করেছেন। ব্যাটে- বলে সব সময়ই দলের সেরা পারফর্মার তিনি। মাঝখানে কিছু খারাপ দিন যাওয়ার পর আবার স্বরূপে সাকিব। তাকে ফর্মে ফিরতে দেখে খুশি অধিনায়কও।

mash happy with performance of shakib

গতকাল ওমানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার ম্যাচে সাকিবের ব্যাট থেকে ৯ বলে এসেছে ১৭ রান। মেরেছেন দুটি চার ও একটি ছয়। প্রতিটি শটেই ছিলো হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়ার আভাস। পরে বল হাতে তিনিই দলের এক নম্বর বোলার। সাকিবের এমন পারফর্ম্যান্স নিশ্চয় তার নিন্দুকদেরও মুখ বন্ধ করে দিবে। একই সঙ্গে উচ্ছ্বাস ছড়াবে ভক্তদের মধ্যে।

তিন ওভার বোলিং করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে একে একে তুলে নিয়েছেন ওমানের চারটি উইকেট। তার বাঁহাতের স্পিন বোঝা বড্ড কঠিন ছিলো ওমানের মতো ছোটদলের। এর আগে এশিয়া কাপে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাটিংয়ে দারুণ চমক দেখানো ওমান সাকিবের সামনে কিছুই করতে পারেনি।

ব্যাটে-বলে সাকিবের এমন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতে দারুণ খুশি মাশরাফি। দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হওয়ার পর মাশরাফি বলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে আমার কখনোই সংশয় ছিলো না। আমি জানতাম ও ফর্মে ফিরবেই। মাঝখানে বেশ কিছুদিন ওর ফর্ম যেমন ছিলো, আমার বিশ্বাস তা নিয়ে ও নিজেই খুশি ছিলো না।’

মাশরাফি মনে করেন এখন কিছু রান ও বল হাতে চারটি উইকেট পেয়ে আবারও নিজের সেরা রূপে ফিরবেন সাকিব। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশকে খেলতে হবে বড় বড় দলগুলোর সঙ্গে। সেখানে সাকিবের ভালো পারফর্ম নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে দলকে আরো এগিয়ে নিবে।

575
বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরন্তন হাহাকারের গল্প লেখতে গেলে সবার আগে আসবে বোধহয় ওপেনিং জুটির কথা। এই একটা জায়গায় কখনোই শক্তি খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু সেই দিন এখন আর নেই। তামিম ও সৌম্যর ব্যাটে ঘুচে হাহাকার। নায়ক হয়ে উঠছেন সৌম্য। তামিম তো নায়ক হয়ে আছেন অনেক দিন ধরেই। ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে নিজের নায়কোচিত ভূমিকাটা আরো স্পষ্ট করেছেন তামিম। সেই তামিমের কাছে নায়ক কে জানেন? সাব্বির!

tamim praised sabbir for his good batting

ওমানের বিপক্ষে ৫৪ রানের সহজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাব্বিরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা রান পাইনি। শট খেলা কষ্টকর ছিলো। এ কারণে বেড়ে গিয়েছিলো চাপ। কিন্তু সাব্বির উইকেটে এসে দ্রুত রান করতে থাকে। ফলে আমার উপর থেকে চাপ নেমে যায়। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে।’

সাব্বির এ দিন ২৬ বলে ৪৪ রান করেন। আউট হন দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড। যে বলটিতে তিনি আউট হন, তা খুবই মৃদুভাবে আঘাত করে সাব্বিরের স্ট্যাম্পে। বল উড়ে কিপারের কাছে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড পর পড়ে যায় উইকেট। ওইভাবে আউট না হলে হয়তো আরো বড় রানই আসতো তার ব্যাট থেকে।

বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সাব্বির। তার অন্তর্ভুক্তিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টপঅর্ডারের চেহারাই গেছে বদলে। সাব্বির আছেন বলেই বাংলাদেশের টপঅর্ডারকে নির্দ্বিধায় আক্রমণাত্মক টপঅর্ডার বলা যায়।

তামিমের মতো সাব্বিরকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মাশরাফিও। ওমানের বিপক্ষে জয়ের পর ম্যাচসেরা তামিমের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন তিনিও। এ সময় সামনে আসে সাব্বিরের প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সাব্বিরকে টপঅর্ডারে আনার পিছনে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিলো, তা ঠিকঠাক সফল হচ্ছে। সাব্বির জানে ওকে কী করতে হবে।

576
বাংলাদেশ ৫: পাকিস্তান ০!
অবিশ্বাস্য এই স্কোরলাইন তামিম ইকবালের মনে ছিল না। গত পরশু ওমানকে হারিয়ে সুপার টেন নিশ্চিত করার সংবাদ সম্মেলনে যা শোনার পর একটু অবাক হয়েই মনে মনে হিসাব করলেন। হিসাব মেলায় মুখে মৃদু হাসিও ফুটল।
গত মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০। এরপর সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিটিতেও জয়। সেখানে ৪-০ হয়ে ছিল। এশিয়া কাপেও পাকিস্তানকে হারানোর পর সর্বশেষ ৫টি ওভার-নির্দিষ্ট ম্যাচে দুই দলের দ্বৈরথে ওই স্কোরলাইন!
আগামীকাল ইডেন গার্ডেনে প্রতিপক্ষ সেই পাকিস্তান। খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পর নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। তবে এর আগে এই ইতিহাস কিছুটা হলেও বাংলাদেশকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন তামিম। ‘ওদের তো নিশ্চয়ই এটা মনে থাকবে’—কাল দুপুরে ধর্মশালা বিমানবন্দরে ভাড়া করা বিশেষ বিমানে ওঠার আগে বললেন এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য এটা মনেই রাখতে চান না। সংবাদ সম্মেলনেই বলে দিয়েছেন, ‘আগে কী হয়েছে না হয়েছে, এটা কোনো কাজে আসবে বলে আমি মনে করি না। নতুন খেলা নতুনভাবেই শুরু হয়।’
ধর্মশালা পর্ব শেষ করে বাংলাদেশ এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে। সেই মঞ্চে দাঁড়াতেই কাল ধর্মশালা থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদের পথটা অবশ্য এক দিনের জন্য দিল্লি থেকে আলাদা হয়ে গেছে। দিল্লি থেকেই পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিককে নিয়ে চেন্নাই উড়ে গেছেন। আজ বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। গত শনিবার পরীক্ষা দিয়ে আসা আরাফাত সানির চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার রেখা পরিষ্কার পড়া যাচ্ছে। তবে তাসকিন একেবারেই নির্ভার। মুখে সেই নিষ্পাপ হাসিটা ফুটিয়ে বললেন, ‘কাল নেটে যে বোলিংটা করতাম, নেটের বদলে সেটি ল্যাবরেটরিতে করে আসব। ওদের এটাও বলব, অনেক ধন্যবাদ। চেন্নাইটা ঘুরে যেতে পারলাম।’
পারফরম্যান্স ভালো হলে ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে একটা আলো খেলা করে। কাল বিমানবন্দরে মাশরাফিদের মুখগুলো দেখতে দেখতে ২০১৫ বিশ্বকাপের সঙ্গে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া গেল। সুপার টেনে প্রথম ম্যাচই এখনো হয়নি, অথচ সেমিফাইনালটা মুম্বাইয়ে খেললে ভালো নাকি দিল্লিতে, এ নিয়েও পর্যন্ত কথাবার্তা শোনা গেল।
বাংলাদেশের যে টি-টোয়েন্টি ইতিহাস, তাতে সেমিফাইনালের এই স্বপ্ন সত্যি হলে সেটি ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার চেয়েও বড় বিস্ময় হবে। সেই বিস্ময় উপহার দেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে একটা কথাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সবার মুখে। প্রথম ম্যাচটা জিততে হবে।
তা জেতায় সবচেয়ে বড় বাধা কি মোহাম্মদ আমির? আমিরকে একটু এগিয়ে রাখলেও পাকিস্তানের পুরো বোলিং আক্রমণ নিয়েই অনেক সমীহ তামিমের, ‘ওদের বোলিং খুব ভালো। আমাদের ব্যাটসম্যানদের ওপর তাই অনেক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালো একটা স্কোর এনে দিতে পারি, তাহলে আমরা জয়ের আশা করতেই পারি।’
মাশরাফি একসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্ধকার সময়টা দেখেছেন, এখন দেখছেন আলোর সময়টা। ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস আর অতি আত্মবিশ্বাসের মধ্যে যে সূক্ষ্ম সীমারেখা, এ নিয়ে এমন সচেতনতা হয়তো এ কারণেই এত সহজেই চলে এসেছে। মাহমুদউল্লাহ এই বিশ্বকাপের প্রথম পর্বকে ‘ওয়ার্মআপ ম্যাচ’ বলায় আপত্তি করেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক আধিপত্যকেও যেমন মনেই রাখতে চাইছেন না। আমিরই বাংলাদেশের মূল হুমকি কি না—এই প্রশ্ন করায় যেমন জবাব দিলেন, ‘কী বলেন! ওদের দলে বেশ কজন আছে যারা একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে।’ তাঁরা কারা? ‘আহমেদ শেহজাদ দলে এসেছে। উমর আকমল আছে। শহীদ আফ্রিদিকেই বা বাদ দেন কীভাবে? ওকে সব সময়ই হিসাবে রাখতে হবে। ও যেকোনো সময় ১৫ বলে ৩০ রান করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট গত কিছুদিন ঘোর দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুশি হওয়ার বদলে এটিকে মাশরাফি দেখছেন উল্টো দুশ্চিন্তা হিসেবে, ‘পাকিস্তান টিম নিয়ে কিচ্ছু বলা যায় না। ওরা এমন সময়ই বরং আরও বেশি জ্বলে ওঠে। সেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে তো দেখে আসছি।’
শুরুতে যে ৫-০ স্কোরলাইনের কথা বলা হলো, সেটির তাহলে কোনো মূল্য নেই? অবশ্যই আছে। তবে আগামীকাল বিকেলে ইডেনে প্রথম বলটি হওয়ার আগ পর্যন্তই!

577
ধর্মশালায় ওমানকে হারিয়ে রোববার রাতেই সুপার টেনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির মূল মিশন।

ওমানকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করতে চায় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলে সীমিত ওভারের সর্বশেষ যে পাঁচটি ম্যাচ বাংলাদেশ খেলেছে, সবগুলোই জিতেছে টাইগাররা।

এছাড়া, মুস্তাফিজ ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি অধিনায়ক।

এর বাইরে আরাফাত সানি চেন্নাইতে বোলিং এ্যকশনের পরীক্ষা দিয়ে ফেরত এসেছেন। আর তাসকিনও যাচ্ছেন বোলিং এ্যকশনের পরীক্ষা দিতে।

তাদের দু'জনকেই খেলানোর ঘোষণা বাংলাদেশ প্রথম থেকেই দিয়ে আসছে।

ফলে ওই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন নোমান।

পাকিস্তান ছাড়া সুপার টেনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড।

578
অস্বস্তির গুমোট হাওয়া আসলে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরো দলেই। যেখানে হওয়ার কথা ছিল উল্টো। হল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অমন লড়াকু জয়। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নামার কথা ছিল ফুরফুরে এক বাংলাদেশের। এই ম্যাচে জিতলেই সুপার টেন একরকম নিশ্চিত। সেটিতে পুরো মনোযোগ ঢেলে দেওয়ার বদলে কিনা নামতে হচ্ছে আইসিসির সঙ্গে ‘যুদ্ধে’! একরকম যুদ্ধই তো! হল্যান্ডকে হারিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরোনোর পরই ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট চিঠি ধরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের হাতে। যাতে দুই বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ারদের সংশয়ের কথা লেখা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে কোনো বোলারকে নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠলে ১৪ দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়।

এছলাম সরকার
অনেক আগুনের সমুদ্র পেরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। তাই ভারত-নিয়ন্ত্রিত আইসিসির নতুন চক্রান্তে ভীত হওয়ার কিছু নেই। ঠিক আছে, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নাহয় বাদই গেল, আরও মাঘ মাস আসবে। ভারতের হাঁটুকাঁপা তথাকথিত বিলবোর্ড হিরোদের একসময় না একসময় বাংলাদেশি বেকারদের বোলিংয়ের সামনে ব্যাট হাতে দাঁড়াতে হবে। তখন মাসি আইসিসি কোনো কাজে লাগবে না।

নাশিদ কোরেশি
স্পিনারদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে কিন্তু তাসকিন কীভাবে!!!! তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সংশয় কেন হবে? তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিখুঁত।

আজিজুল হক
আমাদের তাসকিন আর সানির আগে ভারতের বুমরাহ ও অশ্বিনের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করানো উচিত। অবশ্য পরীক্ষা করিয়েও কোনো লাভ নেই, কারণ পরীক্ষাও করবে তারা, প্রতিবেদনও দেবে তারা।

এন আহমেদ
ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতির জবাব কারও না কারও দেওয়া উচিত। এখন আমাদের তাসকিন ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে তারাই প্রশ্ন তুলেছে। তাসকিনের ধারেকাছে কোনো ভারতীয় বোলার নেই।

579
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধর্মশালা থেকে : রোববার প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল। ওমানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।

 

ক্রিকেটের সবচেয়ে সীমিত পরিসরের এ আসরে সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়ে তামিম জানান, সামনে আরও অনেক সেঞ্চুরি করবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

 

রোববার ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। আশা করি সামনে আরও অনেক সেঞ্চুরি হবে।  যেভাবে সাব্বির ও সৌম্যরা খেলছে তাতে দ্রুত সেঞ্চুরি চলে আসবে। সাকিব ও মুশফিক তো আছেই।’

 

৮৮ থেকে ৬ মেরে ৯৪ এ পৌঁছান তামিম। এরপরই সেঞ্চুরির চিন্তা আসে তামিমের মাথায়। তামিম বলেন, ‘যখন ৬ মেরে ৯৪ রানে গেলাম, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে সেঞ্চুরি করার একটা সুযোগ আছে। তার আগ পর্যন্ত ওই রকম কিছু আমার মাথায় ছিল না। ’

 

কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে সবার আগে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করার ওয়াদা করেছিলেন তামিম। সে ওয়াদা রাখতে পেরে তামিম খুশি। উচ্ছ্বাস নিয়ে তামিম বলেন, ‘কোচ জিজ্ঞেস করেছিল কে  সবার আগে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করতে পারবে? তখন আমি বলেছিলাম আমি আগে সেঞ্চুরি করবো। সৌভাগ্যবশত আজকে হয়ে গেছে। বেশ ভালোই লাগছে।’

 

এদিকে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির ইনিংস খেলার পথে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। দেশসেরা এ ওপেনার জানান, এ অর্জনকে অনেক বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান তিনি, ‘এ অর্জন এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই;  যাতে করে এটা ভাঙ্গতে অন্যদের কষ্ট হয়।’

580
দিনে দিনে কী ভয়ঙ্করই না হয়ে উঠছেন তামিম ইকবাল। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ধর্মশালার ক্রিকেটপ্রেমীরা গত তিন ম্যাচে তামিমের বিধ্বংসী রুপ দেখেছেন। গত তিনটি ম্যাচের একটিতে মাত্র আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং এই ওপেনার। তাও ২৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়েছেন। বাকি দুটি ম্যাচের একটিতেও তামিম ইকবালকে সাজঘরের পথ দেখাতে পারেননি প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা। বরং প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ছড়ি ঘুড়িয়েছেন তামিমই। অবিশ্বাস্য ভাবে ২৩৩ গড় নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার বাংলাদেশের তামিম ইকবাল।

৬ষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড শেষ হচ্ছে আজ রবিবার। গ্রুপ ‘বি’ থেকে এরই মধ্যে সুপার টেন নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। রবিবার ওমানকে বিপক্ষে জিতলেই গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার টেন নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড শেষে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে তামিম ইকবাল। ৩ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও এক হাফসেঞ্চুরিতে তামিমের সংগ্রহ ২৩৩ রান। তামিম একটি মাত্র ম্যাচে আউট হয়েছেন বলে তার গড়ও ২৩৩! এখন পর্যন্ত তামিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ওমানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রান।

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ। তিনি ৩ ম্যাচে এক হাফসেঞ্চুরিতে সংগ্রহ করেছেন ১৪২ রান। তার সর্বোচ্চ স্কোর ৬১; ব্যাটিং গড় ৪৭.৩৩।

581
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দু’দিন বাকি। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত দল প্রথমবারের মতো স্বাগতিক দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে বদ্ধপরিকর। কিন্তু তাদের সে স্বপ্নে ঘি ঢেলে দিলেন তাদেরই স্বদেশী এক জ্যোতিষী।

বললেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতীয় দল ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ধোনির দলের ছোট ইভেন্টগুলোতে জেতার সম্ভাবনা কম যদিও তার দলের অনেক নামী ক্রিকেটার রয়েছে কিন্তু তারা বড় ম্যাচে জয় পাবে না।

বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা করে ভারতের গ্রিনস্টোন লোবো এমন কথা বললেন। এটা শুনে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা আহত হলেও হতে পারেন; কিন্তু লোবো পরবর্তীতে যা বললেন সেটা হয়তো তারা কোনোদিনই মেনে নিতে পারবেন না। লোবো আরো বলেছেন, পাকিস্তান এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতবে, যদি তারা ফাইনালে উঠতে পারে।

`What Is Your True Zodiac Sign?` নামক বইটিও লেখেছেন এই জ্যোতিষী। জ্যোতিষী আরো বলেছেন, ১৯ মার্চ ইডেন গার্ডেনে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে ভারতই শেষ হাসি হাসবে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ই মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে স্বাগতিক ভারত।

582
দারুণ উপভোগ করলাম বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রত্যাশার চেয়েও সাবলীল ছিলেন ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে তামিম ও সাব্বির। কাল আমাদের এই দুই ব্যাটসম্যান দেখিয়ে দিলেন ফর্মে থাকলে তাঁরা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। আশা করছি, এই ফর্ম তাঁরা সুপার টেনেও ধরে রাখবেন।
দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিটি করার জন্য তামিমকে অভিনন্দন। আগাগোড়াই দারুণ ছন্দময় ছিলেন তিনি। অসম্ভব প্রত্যয়ী মনে হয়েছে। মনে হচ্ছিল, বিশেষ কিছু করতেই বুঝি তিনি মাঠে নেমেছেন। সাব্বিরের কথাও আলাদাভাবেই বলতে হয়, স্ট্রাইক বদল করে পুরোটা সময় তিনি রানের চাকা সচল রাখলেন। সাব্বিরের এই ব্যাটিং উল্টো দিকে তামিমকেও বড় শট খেলতে সাহসী করে তুলেছিল।
সৌম্যর প্রতি আমি সহানুভূতিশীল। খারাপ লাগছে, দেশের ক্রিকেটের এই সম্পদ হঠাৎ করেই কেমন যেন নিষ্প্রভ হয়ে গেল। আমার মনে হয় তাঁর ব্যাট-সুইং, ব্যাক লিফট দুই জায়গাতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যাটিংয়ের সময় ওঁর চেহারা দেখেই মনে হচ্ছে, আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে। অনেক সময় বিশ্রাম এই আত্মবিশ্বাস ফেরাতে ভূমিকা রাখে। আমার মনে হয়, সৌম্যর ওপর চাপ তৈরি না করে ওঁকে দু-একটি ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। এতে ওঁর জন্যই ভালো হবে। তবে আমি নিশ্চিত—সৌম্য ফিরবেন, বড় কিছু করেই ফিরবেন। এটা সময়ের ব্যাপার।
সুপার টেনে সৌম্যকে বিশ্রাম দিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। মিঠুনকে সাত নম্বরে খেলানোটা আমার ভালো লাগছে না। এশিয়া কাপে ওঁকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানো হয়েছে। এখানে যদি ওঁকে সাত নম্বরে খেলানো হয়, সেটা একটু অন্যায়ই হয়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওমানের স্পিন-নির্ভরতা আমাকে অবাক করেছে। ওরা চেষ্টা করেছে, কিন্তু টার্নগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং কিন্তু স্পষ্ট করে দিয়েছে একটি সহযোগী দেশের সঙ্গে টেস্ট খেলুড়ে দেশের পার্থক্য। যদিও ইনিংসের শুরুতে ওমান ভালো বোলিং করেছে। বাঁহাতি পেসার বিলাল খানের বোলিং দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ।
আমাদের ব্যাটসম্যানদের রিভার্স সুইপ খেলার প্রবণতাটা আমাকে ভাবাচ্ছে। এটা কমানো দরকার। সৌম্য রিভার্স সুইপ করে কয়েকটি বল নষ্ট করেছেন, এর বদলে তিনি যদি সাধারণ সুইপ খেলতেন, সেটা ওঁর নিজের ব্যাটিংয়ের জন্যও ভালো হতো। সাব্বিরের মধ্যেও এই প্রবণতা আছে। সুপার টেনে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রিভার্স সুইপের কারণে মূল্য দিতে হতে পারে।
দলে চতুর্থ সিমার হিসেবে দলে আবু হায়দারের অন্তর্ভুক্তি মন্দ ছিল না। সুপার টেনের আগে ওঁকে পরখ করে দেখা গেল। তবে ওঁর বোলিং নিয়ে একটু চিন্তার কারণ আছে। কাল দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও তাঁর বোলিং কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ছিল না। লেগের দিকে বল করার প্রবণতা দেখলাম। এটা শুধরে নিতে হবে। সুপার টেনের প্রতিপক্ষগুলো যে এই বোলিংকে কোনো দয়া দেখাবে না, সেটা বলাই বাহুল্য।
প্রথম পর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে তৃপ্তির জায়গা অনেক। হল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ রেখেছে। আমাদের ব্যাটিংয়েও প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা ছিল। এটা ভালো লেগেছে।
সুপার টেনে বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা।

583
Cricket / আহত বাঘ বেশি মারাত্মক
« on: March 14, 2016, 10:21:30 AM »
‘আর কী করলে আপনারা মেনে নেবেন যে তামিম আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান?’ ফোনের ওপারে হাসছেন জনাব গোলাম মুর্তজা। মাশরাফি বিন মুর্তজার গর্বিত পিতা। তামিম তখন ৮৫ পার হয়েছেন। বললেন, ‘বুঝলেন তো আপনার গত লেখা পড়েছি। প্রথম ৫ ওভারে যা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ। ১০ ওভারে সত্তরের কোঠায় পৌঁছালে আমার জানে পানি এসেছে। আপনারা যে কী করে খেলা দেখেন!’ হল্যান্ডের সঙ্গে খেলার পরে লিখেছিলাম, নিজের মধ্যে বাবা বাবা অনুভূতি হচ্ছে। আরহামের বাবা তামিম ইকবাল শতক করার পরে শূন্যে লাফ দিলেন, একটু পরে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন আলায়নার বাবা সাকিব আল হাসান। তখন মনে হলো, আরে আমাদের খেলোয়াড়েরাও তো বাবার গৌরব নিয়েই খেলছেন।
তামিমের প্রশংসা আজ সারা পৃথিবী করবে। তিনি কেবল বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান নন, উইজডেন সাময়িকীর প্রচ্ছদে আসা বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। অথচ আমরা, বাংলাদেশের ধৈর্যহারা সমর্থকেরা, তাঁকে কত দুঃখই না দিয়েছি। গভীর দুঃখের সঙ্গে তামিম বলেছিলেন, আমার সমালোচনা করার সময় এমনকি আমার পরিবারকেও টেনে আনা হয়েছে। কত যে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ হয়েছে তাঁকে নিয়ে! বেগম রোকেয়া একবার তাঁর স্কুলের ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, তোমরা যে স্কুলভবন দেখছ, তার জন্য কত মাটি নিজেকে পুড়িয়ে ইট হয়েছে, কত শামুক নিজেকে পুড়িয়ে চুন হয়েছে। আজকে তামিমের সেঞ্চুরির দিনে, বাংলাদেশের বিজয়ের দিনে বলতে পারি, তামিমের শিশুসন্তান এখনো ব্যাংককের হাসপাতালে। সাকিব যেদিন ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনালে নামবেন, খেলার আগে মাঠে অনুশীলন করছিলেন, খুব কাছ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটছেন, ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে তিনি খেলতে নেমেছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজার সন্তান হাসপাতালে আইসিইউতে ছিল, আর তিনি মাঠে খেলেছেন, এমন দিনও তো গেছে। আমরা এই ছেলেদের কাছে কেবল জয় চেয়েছি, কিন্তু খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব দেখিয়ে কজনই বা বলতে পেরেছি, খেলায় জয়-পরাজয় আছেই, তোমরা তোমাদের শতভাগ উজাড় করে দাও, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, সুদিনেও যেমন, দুর্দিনেও তেমনি। নিশ্চয়ই বেশির ভাগ সমর্থকই তাই বলেছি, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে অল্প কয়েকজন নিন্দুকই যথেষ্ট আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করার জন্য।
বাংলাদেশ এই সেদিন টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাকে হারাল, তবুও তাকে ওমানের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপের সুপার টেনে যেতে হলো। কী আর করা, আমরা তো টি-টোয়েন্টি খেলতে জানতাম না। কীভাবে ব্যাট করতে হয় এই ছোট ক্রিকেটে, তা অবশ্য দেখালেন তামিম। প্রতিটি বলে ছয় মারার চেষ্টা করার দরকার পড়ে না, প্রতিটি ওভারেও না। ১ ওভারে গোটা দুয়েক চার-ছয়ই যথেষ্ট। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওমানের জয়ের নায়ক আমীর আলী ওমানে প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া নামের রেস্তোরাঁয় কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছেলেরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই তারা খেলেছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মাহমুদউল্লাহ বলে ফেলেছিলেন, প্রথম রাউন্ডের খেলাগুলো আমাদের ওয়ার্মআপ ম্যাচ। মাশরাফি তাঁকে নাকি নিষেধ করেছেন—এমন করে বলতে হয় না।
এখন অবশ্য রসিকতার সময়। ফেসবুকে স্ট্যাটাস আসছে, আইসিসির আম্পায়াররা বলবেন, তামিমের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকেছে, ওর ব্যাটিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ! দুজন বোলারকে ডেকে পাঠিয়ে আইসিসি আমাদের আহত করেছে। তবে বাঘের চেয়ে আহত বাঘ আরও বেশি মারাত্মক। কাজেই আমরা মনোবল হারাচ্ছি না।
এরপরের খেলা ইডেনে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কাল যখন বাজছিল ধর্মশালায়, আমাদের ক্রিকেটারদের চোখের কোণ চিকচিক করছিল। ওই গান কলকাতার দর্শকদের কেমন উদ্বেলিত করে, দেখার বিষয়। আর আমরা, বাংলাদেশের সমর্থকেরা, যে যেখানে খেলা দেখব, দাঁড়িয়ে গলা মেলাব—আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

584
প্রথমবারের মত বাবা-মা হওয়ার অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছেন তামিম ইকবাল ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ইকবাল। তারা এখন অবস্থান করছেন ব্যাংককে। সেখানেই মা হওয়ার প্রাক্কালে এক বার্তা দিলেন আয়েশা। লিখলেন তামিমকে নিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি তুলে ধরেছেন তামিমের অজানা অনেক দিক। লিখেছেন– তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ ও পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশের মানুষ তাকে চেনে তার ক্রিকেট প্রতিভার জন্য, তার দারুণ সব ইনিংসের জন্য, নায়কোচিত স্কোরের জন্য। তবে এর বাইরেও এই মানুষরটার এমন কিছু গুণ আছে যা সকলের অজানা। তিনি শুধু দারুণ একজনই স্বামীই নন, খুবই নরম মনের একজন। বলা যায়, ওই আমাদের পরিবারের মেরুদণ্ড। সবার জন্য ওর ভালবাসা আর ত্যাগ দেখে প্রায়ই আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।
কেউ যদি তার সাহায্য ও উপদেশের জন্য অপেক্ষা করে, তাহলে তিনি কখনওই নিরাশ হবেন না। আমি প্রতিটা দিন ওর সাথে থাকি আর অবাক হয়ে ভাবি কিভাবে ও এত-শত কাজ এতটা যত্ন নিয়ে করে। একজন মায়ের জন্য ও সেরা সন্তান, সেরা বন্ধু, সেরা স্বামী আর ইনশাল্লাহ একটা সন্তানের সেরা বাবা হবে। আশা করি তুমি কখনও বদলে যাবে না। আল্লাহ সব সময় তোমার পাশে থাকুক আর পৃথিবীর সবটুকু সুখ তুমি পাও। অনেক ধন্যবাদ জীবনের এই কঠিন নয়টি মাস পাশে থাকার জন্য! তোমাকে ভালবাসি।

585


    প্রচ্ছদ
    খেলা
    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬

‘বদলে যাওয়া’র রহস্য জানালেন তামিম
অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ০০:৩৫, মার্চ ১৪, ২০১৬
৫ Like

 
 
 
 
 
 

তামিম, ঝড় আর ক্ল্যাসিক ব্যাটিংয়ের মিশেল। ছবি: এএফপিতাঁর নিন্দুকদের সংখ্যাই বেশি। এ কথা এক সাক্ষাৎ​কারেই বলেছিলেন তামিম ইকবাল। সমালোচনা বেশি হওয়ার কারণ তাঁর ওপর প্রত্যাশাটাও বেশি। ক্যারিয়ারের শুরুতে যে ঝলক দেখিয়েছিলেন, তামিম প্রায়ই ধারাবাহিকতা হারিয়ে সেই প্রত্যাশার প্রতিদান রাখতে পারেননি। কিন্তু এই তামিম যেন গত বেশ কিছুদিন ধরে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক। গত বিপিএল, এরপর পিএসএল সেই ফর্মটাই তামিম টেনে এনেছেন বিশ্বকাপে। যে বিশ্বকাপে তামিমের গড় ২৩৩!

তামিম জানিয়ে দিলেন বদলে যাওয়ার রহস্য। রহস্যটা আর কিছুই নয়, আগের মতো আর তাড়াহুড়ো না করা। প্রতিটি বলের ঠিকানা গ্যালারি করতে না-চাওয়া। কদিন আগে প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ​কারে যা বলেছিলেন, সে কথা বললেন আজও, ‘আমি এখন আগের চেয়ে অনেক ঠান্ডা মাথায় খেলার চেষ্টা করি। তাড়াহুড়ো করতে চাই না। বল বুঝে খেলি। অবশেষে সেঞ্চুরিটা পেলাম, এটা পাওনা হয়ে ছিল।’
তামিম ধরে খেলছেন, কিন্তু তাই বলে চার-ছক্কার কমতি কিন্তু নেই। এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তাঁর তিনটি ইনিংস অপরাজিত ৮৩, ৪৭ আর আজ অপরাজিত ১০৩। দুইবারই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে এসেছেন। কিন্তু স্ট্রাইক রেট কখনোই পড়তে দেননি। আজকে ১০৩ রানের ইনিংসটিও যেমন এসেছে ৬৩ বলে। এর মধ্যে দশটির চার ও পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন। চার-ছক্কা থেকেই ৭০।

Pages: 1 ... 37 38 [39] 40 41 ... 44