Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Hadith => Topic started by: arefin on February 13, 2012, 01:55:29 PM

Title: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on February 13, 2012, 01:55:29 PM
সায়ীদ ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ, যে তার পরিবার-পরিজনদের রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ, যে দ্বীন রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ এবং যে তার জীবন রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৭৭২;
তিরমিযী, হাদীস : ১৪১৮
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 14, 2012, 10:33:17 AM
আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না।"

-সুনানে কুবরা,নাসায়ী,হাদীস নং ৯৯২৮
-- আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ,হাদীস : ৭৫৩২
--- আলমুজামুল আওসাত, তবারানী (হাদীস : ৮০৬৪)
----আততারগীব ওয়াততারহীব,মুনযিরী, হাদীস : ২৩৭৬
-----মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১২৮
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 23, 2012, 10:08:35 AM
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-হে বনী হাশেম! তোমরা নিজেদের জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর। হে বনূ আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদের জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর। হে ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর। আমি আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাদের রক্ষায় কিছুই করতে পারবো না।
{মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৫২২, তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-৪৯৮৪, তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩১৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৬৪৬, সুনানে নাসায়ী-হাদিস নং-৬৪৭১, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৮৪০২}

কুরআনে এসেছে যে," কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না"। {সূরা আনআম-১৬৫}

## প্রিয় পাঠক এবার দেখুন আটরশীর পীর কী বলে-

দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তোমরা খোদা প্রাপ্তির পথে যে, যতটুকুই অগ্রসর হওনা কেন, তোমাদের ছায়ের ছুলুক যদি জীবৎকালে সম্পন্ন নাও হয়, তবুও ভয় নাই। মৃত্যুর পরে কবরের মধ্যে দুই পূণ্যাত্মা [হযরত মুহাম্মদ সাঃ ও স্বীয় পীর] তোমাকে প্রশিক্ষণ দিবেন। মা’রেফতের তালিম দিবেন। ফলে হাশরের মাঠে সকলেই আল্লাহর অলী হইয়া উঠিবেন। এই কারণেই বলা হয় যে, এই তরীকায় যিনি দাখিল হন, তিনি আর বঞ্চিত হন না। {সাহসূফী হযরত ফরিদপূরী [মাঃ জিঃ আঃ] ছাহেবের নসিহত-৪/৯৩, প্রকাশক পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুর, ৪র্থ মুদ্রণ, ৮ই এপ্রিল ১৯৯৮ ইং}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 24, 2012, 11:56:22 AM
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো ভাল পথে আহবান করে, তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পুরস্কারের সমপরিমাণ পুরস্কার সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পুরস্কারের কোনো ঘাটতি হবে না। আর যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বিভ্রান্তির দিকে আহবান করে তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পাপের সমপরিমাণ পাপ সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পাপের কোনো ঘাটতি হবে না।

-- সহীহ মুসলিম,হাদিস, ২৬৭৪

_______________________________________________________

তাই আমাদেরন উচিৎ ভালকাজে আহ্বান করা এবং খারাপ কাজে মানুষকে সহযোগিতা না করা এবং খারাপ কাজে মানুষকে উৎসাহিত না করা। আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদেরকে মানুষকে ভাল কাজে ডাকার এবং মন্দকাজে নিষেধ করার তাওফীক দান করুন। আমিন
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 25, 2012, 06:39:49 PM
হযরত আবু যর (রা) বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করলেন!শেষ পর্যায়ে আমি আরয করলাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে খোদা-ভীতির উপদেশ দিচ্ছি। কেননা এটা তোমার যাবতীয় কাজকে অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত করবে। আমি বললাম, আরও অধিক কিছু বলুন। তিনি বললেনঃ কোরাআন তেলাওয়াত ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ তা'আলার যিকিরকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও। এটা তোমার ঊর্ধ্ব আকাশে স্মরণযোগ্য এবং পৃথিবীতে তোমার জন্য আলো হবে। আমি পুনরায় বললাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ নীরবতা দীর্ঘ কর। কেননা এটা শয়তানকে দূরে সরিয়ে দিবে এবং দীনী কাজে তোমার সহায়ক হবে। আমি আরয করলাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ অধিক হাসা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। কেননা এটা অন্তরকে মেরে ফেলে এবং চেহারার জ্যোতি বিদূরিত করে দেয়। আমি আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ ন্যায় কথা বল! যদিও তা (কারো কাছে) তিক্ত হয়। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় কাজ করতে কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করো না। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ তোমার মধ্যে যে দোষ-ত্রুটি তুমি জান , তা যেন তোমাকে অন্য লোকের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা থেকে তোমাকে বিরত রাখে।
-- বায়হাকী, মিশকাতঃ ৪১৫
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 27, 2012, 10:46:47 PM
হযরত মাসরূক (রা) বলেন, আমি হযরত আয়েশা (রা)-এর নিকট গেলাম। তিনি আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেন আর বললেন, আমি যখনই পেট ভরে খাবার খাই,তখনই আমার হৃদয় কাঁদতে চায়,ফলে আমি কাঁদি। হযরত মাসরূক (রা) বললেন, আপনার হৃদয় কেন কাঁদতে চায়? তিনি বললেনঃ আমার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই অবস্থার মনে পড়ে যায়,যে অবস্থায় তিনি চিরবিদায় নিয়ে গেছেন। আল্লাহর শপথ! একদিনে দু'বার গোশত বা রুটি খাবার সুযোগ তার কখনো আসে নি।
---তিরমিযীঃ ২/৫৮, শামায়েলঃ ১০
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 27, 2012, 10:47:52 PM
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, -----অনন্তর জাহান্নামের উপর পুল স্থাপন করা হবে। শাফা’আত সংঘটিত হবে। লোকেরা বলবে- হে আল্লাহ! নিরাপত্তা দাও নিরাপত্তা দাও। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল-“পুল কি?” তখন তিনি বললেন-“পদস্খলন ঘটার এক পিচ্ছিল স্থান। তাতে থাকবে সাঁড়াশি ও আংটা। ------তখন মুমিনরা কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ পাখির মত, কেউ দ্রুতগামী অশ্বের ন্যায়, এবং কেউ সাধারণ সাওয়ারীর গতিতে সে পুল পার হয়ে যাবে। তখন কেউ অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পাবে, আর কেউ জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।

সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৭২,
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯১৯৮,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৭৩৭৭,
সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭০০১,
মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২১৭৯}

### হাদীস দ্বারা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত যে, জাহান্নামের উপর স্থাপিত হবে পুল, যাকে বলা হয় পুলসিরাত। যেটার উপর দিয়ে যাবে সকল মানুষ হাশরের ময়দানে। কিন্তু দেওয়ানবাগীর ভন্ড পীর হাদীসে বর্ণীত পুলসিরাতকে অস্বিকার করে বলে-

“পুলসিরাত পার হওয়া বলতে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঈমানের উপর কায়েম থাকা, এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করাকে বুঝায়”। {আল্লাহ কোন পথে? ৩য় সংস্করণ, ১৯৯৭ ঈসাব্দ, পৃষ্ঠা নং-৬০}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: safiqul on February 28, 2012, 08:45:17 PM
Thanks sir for sharing. Looking forward to see more.
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on February 28, 2012, 11:51:43 PM
হযরত উসমান বিন আফফান রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“ যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এই দুআ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ পড়বে ৩ বার তার উপর সকাল পর্যন্ত কোন বিপদ আপতিত হবেনা। আর যে তা সকালে পড়বে ৩ বার,তার উপর সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন বিপদ আপতিত হবেনা।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৫০৯০,
সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-৩৩৮৮,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৮৫২,
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৪৪৬}

# দু’আটির বাংলা উচ্চারণ-বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদুর রু, মাআস মিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি’ ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম”।

*******************
সুতরাং এই দুআটি আমরা নিয়মিত সকাল সন্ধ্যা পড়ার অভ্যাস করি। ইনশা'আল্লাহ মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের হিফাযত করবেন।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 01, 2012, 11:23:33 PM
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন। মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সকল আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি পথ ছাড়া।
একটি হল সদকায়ে জারিয়া,
দ্বিতীয় হল ঐ দ্বীনী কাজ যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়,
তৃতীয় হল নেক সন্তান যে তার জন্য দুআ করে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৮২,
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৬৪৭৮,
সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৭৬,
সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-১২৪১৫,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩০১৬,
সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২৪৯৪

###সদকায়ে জারিয়া যেমন-মাদরাসা মসজিদ নির্মাণ, জনকল্যাণ মূলক কাজ করা, যেমন রাস্তা করে দেয়া, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদী।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের যেকন একটি আমল জারি রেখে কবরের অন্ধকারে যাবার তৌফিক দান করুন। আমীন।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 03, 2012, 07:44:41 AM
আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে- নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুমিনের দুঃখ দূর করে দেয়, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার দুঃখ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ্ দুনিয়াতে ও আখেরাতে তার বিপদ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ্ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। যে বান্দা আপন ভাইকে সাহায্য করবে, আল্লাহ্ সে বান্দাকে সাহায্য করবেন। যে ব্যক্তি জ্ঞান লাভের জন্য রাস্তা অতিক্রম করে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন। যেসব লোক আল্লাহর ঘরসমূহের মধ্যে কোন ঘরে (অর্থাৎ, মসজিদে) সমবেত হবে, কুরআন পড়বে, সকলে মিলিত হয়ে তার শিক্ষা নেবে ও দেবে, তাদের উপর অবশ্যই প্রশান্তি অবতীর্ণ হবে, রহমত তাদের ঢেকে নেবে, ফিরিশ্তাগণ তাদের ঘিরে থাকবে আর আল্লাহ্ তাদের কথা এমন সকলের মধ্যে উল্লেখ করবেন যারা তাঁর কাছে উপস্থিত। যে ব্যক্তি আপন কাজে অলস তার বংশ পরিচয় তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।

[মুসলিম: ২৬৯৯]
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 05, 2012, 10:47:28 AM
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি গুণ মুমিন ছাড়া কারো মাঝে পাওয়া যায় না-
১) নীরব থাকা
২)বিনয়াবনত হওয়া
৩)আল্লাহর জিকির করা
৪)কারো ক্ষতি না করা।

{মুসতাদারেক হাকিমঃ ৪/৩১১, তারগীব ওয়া তারহীবঃ ৩/৫৩৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ১০/২৮৫}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: jas_fluidm on March 05, 2012, 03:30:50 PM
very important to know
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 10, 2012, 09:39:45 PM
Not very important to know....It is most important to follow.
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 10, 2012, 09:40:11 PM
হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-" এক ব্যক্তি গুনাহ করল।তারপর সে বলল হে আমার প্রতিপালক! আমি তো গোনাহ করে ফেলেছি। আমাকে তুমি মাফ করে দাও। তার প্রতিপালক বললেনঃ আমার বান্দা কি একথা জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছে যিনি গোনাহ মাফ করে দেন এবং এর জন্য শাস্তিও দেন। আমার বান্দাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। তারপর সে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছুকাল অবস্থান করল এবং সে আবারো গোনাহতে লিপ্ত হল।বান্দা আবার বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আবার গোনাহ করে বসেছি, আমার এ গুনাহ তুমি ক্ষমা করে দাও। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহ্‌ পাক বললেনঃ আমার বান্দা কি একথা জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছে যিনি গোনাহ মাফ করে দেন এবং এর জন্য শাস্তিও দেন। আমি আমার বান্দার গোনাহ মাফ করে দিয়েছি এরপর সে বান্দা আল্লাহর ইচ্ছায় কিছুকাল সে অবস্থায় অবস্থান করল।আবারো সে গুনাহতে লিপ্ত হয়ে গেল।সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আরো একটি গুনাহ করে ফেলেছি। আমার এ গুনাহ তুমি ক্ষমা করে দাও। তখন আল্লাহ্‌ তা'আলা বললেন,আমার বান্দা কি একথা জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছে যিনি গোনাহ মাফ করে দেন এবং এর জন্য শাস্তিও দেন। আমি আমার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। এরূপ তিনবার বললেন। "

{সহীহ বুখারী, হাদিসঃ ৬৯৯৮}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 12, 2012, 11:19:41 AM
আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরাশাদ করেছেন-
> যে ব্যক্তি ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকে যদিও সে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে আমি তার জন্য জান্নাতের কিনারের একটি গৃহের জিম্মাদারী নিচ্ছি।
>আর যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকে যদিও তা ঠাট্টার ছলে হয়, ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যবর্তি স্থানে একটি গৃহের জিম্মাদারী নিচ্ছি।
>আর যে ব্যক্তির চরিত্র উন্নত তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে একটি গৃহের জিম্মাদারী নিচ্ছি ।
{আবু দাউদ ৪৮০০, বাইহাক্বি ২১৭৮০, শুআবুল ঈমান ৮০১৭}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: sonia_tex on March 13, 2012, 09:07:54 AM
keep it up Sir.....thanks....
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 13, 2012, 11:53:47 AM
হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরাশাদ করেছেন,"যখন কোন মুসলমান নাময আদায় শেষে সেই স্থানেই বসে থাকে,তখন ফেরেশতাগণ তার জন্য ঐ সময় পর্যন্ত দু'আ করতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে ঐ জায়নামাযে থাকে" (যেখানে সে নামায আদায় করেছে ); ফেরেশতাদের দো'আ হচ্ছে- اللهم اغفر له اللهم ارحمه অর্থাৎ, আল্লাহ আপনি তাকে মাফ করে দিন।তার উপর রহম করুন।
{বাইহাকী, কানযুল উম্মাল,হাদিসঃ ১৯০৭২}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 14, 2012, 06:11:14 PM
হযরত সুফিয়ান ইবনে আসীদ হাযরামী(রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরাশাদ করেছেন- এটা অনেক বড় খিয়ানত যে, তুমি তোমার ভাই এর কাছে মিথ্যা কথা বল, আর সে তোমার এই কথাকে সত্য মনে করে।
{সুনান আবু দাউদ,হাদিস-৪৯৭১}

## মিথ্যা এমনিতেই কবিরাহ গুনাহ,কিন্তু কোন কোন অবস্থায় এর কঠোরতা আরো বেড়ে যায়। তার মধ্যে একটি অবস্থা হল, এক ব্যক্তি কারো উপর পূর্ণ আস্থা রাখে। আর সে তার ঐ আস্থার অপব্যবহার করে তাকে মিথ্যা বলে এবং ধোঁকা দেয়।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 15, 2012, 05:53:19 PM
হযরত আদি ইবনে হাতেম (রা) বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -" তোমাদের প্রত্যেকের সাথে তার প্রতিপালক কথা বলবেন। তার এবং আল্লাহর মাঝে কোন দোভাষী থাকবে না। সেখানে সে তার ডানদিকে তাকিয়ে তার পূর্বে পাঠানো আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না; আবার বামদিকে তাকিয়েও নিজের আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না।আর সামনে তাকিয়ে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। তাই তোমরা এক টুকরা খেজুর সদকা করে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা কর।

সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৪১৩,১৪১৭,৩৫৯৫,৬০২৩,৬৫৩৯,৬৫৬৩,৭৪৪৩,৭৫১২
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১০১৬
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-২৫৫২,২৫৫৩
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৭৮২
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 16, 2012, 11:14:53 AM
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি বান্দার সাথে ঐরূপ ব্যবহার করি যেরূপ সে আমার প্রতি ধারণা রাখে। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সাথে থাকি। সে যদি আমাকে অন্তরে স্মরণ করে আমিও তাকে অন্তরে স্মরণ করি। সে যদি কোনো মজলিসে আমার কথা আলোচনা করে তবে আমি তার চেয়ে উওম মজলিসে(ফেরেশতাদের মজলিসে) তার আলোচনা করি।

সহীহ বুখারী,হাদীস নং- ৭৪০৫;৭৫০৫,৭৫৩৬,৭৫৩৭
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং - ২৬৭৫
সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৩৮৮,৩৬০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৮২২
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ৭৩৭৪,৮৪৩৬,৮৮৩৩,৯০০১,৯০৮৭,৯৩৩৪,৯৪৫৭, ১০১২০,১০২৪১,১০৩০৬,১০৩২৬,১০৪০৩,১০৫২৬,১০৫৮৫,২৭২৭৯,২৭২৮৩
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 16, 2012, 11:33:43 AM
হযরত জাবির ইবনে ওতাইক বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলার পথে নিহত হওয়া ছাড়াও আরো সাত শ্রেণীর শহীদ আছেন। যথা-
প্লেগ রোগে মৃত্যুবরণকারী শহীদ, পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী শহীদ, যাতুল জাম্বে (ফুসফুসের একটি বিশেষ ব্যাধি) মৃত্যুবরণকারী শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণকারী শহীদ, আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারী শহীদ, ধ্বসের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণকারী শহীদ। সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যুবরণকারী নারী শহীদ।
{মুসনাদে আহমদ ৫/৪৪৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩১১১; সুনানে নাসায়ী ৪/১৩-১৪}

## সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জে লঞ্চডুবিতে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে । আল্লাহ্‌ তাদেরকে শহীদী মৃত্যুর মর্যাদা দান করুন এবং তাদের পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করুন। আমিন
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: nature on March 17, 2012, 11:06:30 PM
Not very important to know....It is most important to follow.

Thanks sir for sharing, we must try to follow it.
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 17, 2012, 11:20:28 PM
হযরত হুজাইফা (রা) বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (ফিতনার যুগে) কিছু লোক এমন হবে যারা জাহান্নামের দরজার দিকে ডাকবে(অর্থাৎ তাদের দাওয়াত এমন ভ্রষ্টতাপূর্ণ হবে, যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে);যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে!(হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন) আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমাদেরকে তাদের বিবরণ দিন। তিনি বললেনঃ তারা আমাদের সম্প্রদায়ই এবং আমাদের ভাষায়ই কথা বলবে! ( অর্থাৎ, পরিচয়ে তারা মুসলমান বলবে এবং নিজেদের মতলব সিদ্ধির জন্য ইসলামী পরিভাষাসমূহ নিজেদের মনগড়া অর্থে ব্যবহার করবে)।(হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন) আমি আরয করলামঃ আমি যদি এই অনিষ্টকালের মুখোমুখি হই তাহলে কি করব বলে দিন! তিনি বললেনলঃ মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও তাদের ইমামের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকবে। আরয করলামঃ যদি তখন মুসলমানদের কোন সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এবং ইমামও না থাকে তাহলে? ইরশাদ করলেনঃ তাহলে সকল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থেক। যদি বৃক্ষের শেকড়ের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় তাহলে তাই করো এবং যেন ওই অবস্থাতেই তোমার মৃত্যু হয়।
{সহীহ বুখারীঃহাদীস নং- ৬৬৭৯,৩৩৩৬; সহীহ মুসলিমঃহাদীস নং-৩৪২৬; সুনান ইবনে মাজাহঃহাদীস নং- ৩৯৬১;মেশকাত শরীফঃ ৪৬১}

##এই হাদিসে ফিতনার যুগে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার একটি উৎকৃষ্ট পদ্ধতি বলে দেওয়া হয়েছে।আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকল প্রকার ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখুক। আমিন।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: shaikat on March 18, 2012, 08:41:58 AM
সুবহানাল্লাহ...
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: sethy on March 18, 2012, 10:31:51 AM
Very good effort. Thanks sir for sharing.
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 18, 2012, 08:11:46 PM
হযরত ইমরান ইবন হুসাইন (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই উম্মতের মাঝে ভূমিধস,গঠন বিকৃতি,আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণের আযাব অবতীর্ণ হবে। এক সাহাবী আরয করলেনঃ হে রাসূল! কবে হবে এই আযাব? তিনি ইরিশাদ করলেনঃ "যখন গান-বাদ্য, নর্তকী, বাদ্যযন্ত্র আর মদে সয়লাব হবে তখন!
{তিরমিযযী শরীফঃ ২/৪৪}

অন্য হাদিসে আছে, হযরত ইবনে আব্বাস(রা) বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন কোন এলাকায় জিনা এবং সুদ ছড়িয়ে পড়বে, তখন সেই এলাকার লোকেরা তাদের উপর আল্লাহর আযাব ডেকে নিয়ে আসলো।
{মাজমাউয যাওয়ায়েদ,মুসতাদারেক হাকেম}

## ভূমিকম্প,ভূমিধস ইত্যাদি আল্লাহর আযাব আমাদের নিজ হাতের কামাই। আমাদের পাপের কারণেই এগুলো বারবার আসছে,আজকেও কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকাতে ভূমিকম্প অনুভুত হয়েছে। তবুও আমরা সতর্ক হচ্ছি না; গান-বাদ্য,সুদ, মদ, ব্যবিচার থেকে থাকছি না।আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদেরকে এই সব পাপ থেকে বাঁচিয়ে রাখুক এবং তার আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমিন
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 18, 2012, 08:12:15 PM
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়কে তার মর্যাদা ও অধিকার দেয় না সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: jas_fluidm on March 21, 2012, 10:40:35 AM
thanks sir
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 21, 2012, 10:49:33 PM
হযরত আবু উসামা [রাযি] থেকে বর্ণিত, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, দুটো ফোঁটা এবং দুটো চিহ্ন থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় আর কিছু নেই।
[ফোটা দুটো হল] আল্লাহর ভয়ে রোদনের অশ্রুফোটা এবং আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তের ফোটা।
আর দুটো চিহ্ন হল, আল্লাহর পথে [আঘাতের] চিহ্ন এবং আল্লাহর নির্দ্ধারিত কোন ফরজ ইবাদত আদায়ের চিহ্ন।

{সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৬৭৫}

কতই না সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী যাঁরা আল্লাহর প্রিয় এই জিনিসগুলা অর্জন করতে পারে।
হে মালিক! অন্তরের অন্তস্থল থেকে বলছি, আমাদেরকেও তোমার এই প্রিয় জিনিসগুলো অর্জন করার তৌফিক দাও।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 23, 2012, 07:10:23 PM
হযরত আবু হুরাইরা(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেয়ামতের দিন নেয়ামত সম্পর্কে বান্দাকে প্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে সেটি হলো- আমি কি তোমাকে সুস্বাস্থ্য দান করিনি? ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কি তোমার পিপাসা নিবারণ করিনি?
{কানযুল উম্মাল,হাদিস নং- ৬৪১৬ ,সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-৩৩৬৯, মিশকাত শরীফঃ ২/৬৫৬}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 26, 2012, 11:49:39 AM
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর(রা) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- একটি অন্যতম কবিরা গুনাহ হলো নিজ পিতা-মাতাকে গালি দেওয়া। সাহাবারা বিস্ময়মাখা কন্ঠে বললেন-' নিজ পিতা-মাতেক কিভাবে মানুষ গালি দেয়?!' তিনি ইরশাদ করলেন- ' সে অন্যের পিতা-মাতাকে গালি দেয়, আর তার গালির জবাবে ঐ ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে গালি দেয়।' (এটি প্রকারান্তরে তার নিজ পিতা-মাতাকেই গালি দেওয়া)

{ আল আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী, হাদিস নং-২৭}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 26, 2012, 11:52:52 AM
হযরত সাওবান [রাযি] হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ [ﷺ] সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "কোন মুসলমান যখন তার কোন রোগী মুসলমান ভাইকে দেখতে যেতে থাকে, তখন সে বেহেশতের ফল আহরণ করতে থাকে [অথবা বেহেশতের পথে চলতে থাকে] যতক্ষণ না সে প্রত্যাবর্তন করে । {মুসলিম, মেশকাত-১৪৪১}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 26, 2012, 07:03:16 PM
আয়েশা (রা) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সা) বলেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং কুরআনে অভিজ্ঞও- সে ব্যক্তি অতি সম্মানিত ফেরেশতাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠের সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে পড়ে, তার জন্য দু’টি বিনিময়(দ্বিগুণ সাওয়াব) অবধারিত।

{সুনান আবু-দাউদ ,হাদীস নং-১৪৫৪}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 26, 2012, 10:07:01 PM
ইবনে ওমর [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ "আল্লাহর লানত মদের উপর, তা পানকারীর উপর, যে পান করায় তার উপর, যে বিক্রি করে তার উপর, যে খরিদ করে তার উপর, যে নিংড়ায় তার উপর এবং যার নির্দেশে নিংড়ায় তার উপর, আর যে ব্যক্তি তা বহন করে এবং যার জন্য বহন করে, সকলের উপর।" {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৬৩৩}

~~ মদের সাথে সম্পর্কিত সবার উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়ছে, কি পরিমান ভয়াবহ ব্যাপার, একটু চিন্তা করে সতর্ক হতে চেষ্টা করি।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 29, 2012, 11:03:13 AM
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ এবং শেষদিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়; আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ এবং শেষদিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার মেহমানকে ইকরাম (মেহমানদারি করা, তার আগমনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা ইত্যাদি) করে; আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ এবং শেষদিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে,অথবা নীরব থাকে।

{সহীহ বুখারী,হাদিস নং-৬০০৮, সহীহ মুসলিম,হাদিস নং-৪৭}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: sonia_tex on March 29, 2012, 11:58:16 AM
Thank you Sir for your nice attempt..we all should know and follow them....looking forward for more.......
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 29, 2012, 08:24:33 PM
আবু হুরায়রা [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দুনিয়ার কোন একটি পেরেশানী দূর করবে আল্লাহ তায়া'লা তার আখেরাতের একটি পেরেশানী দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের একটি দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ তায়া'লা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ ঢেকে রাখবেন। আল্লাহ ততক্ষণ কোন বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার এক ভাইয়ের সাহায্যে ব্যস্ত থাকে।"
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on March 31, 2012, 09:59:50 PM
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ
তোমাদর কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন সে আল্লাহর সঙ্গে একান্তে কথা বলে, যতক্ষণ সে তার জায়নামাযে (নামাযের স্থানে ) থাকে।

{সহীহ বুখারী,হাদিস নং- ৪২৬}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 02, 2012, 10:14:26 PM
হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মুসলমানদের ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে আল্লাহ্‌ তা'আলা কেয়ামতের দিন তার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে দিবেন।

{ সহীহ ইবনে হিব্বানঃ ১১/৪০৫}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 05, 2012, 06:01:08 PM
আবু সা'ঈদ খুদরী(রা) থেকে বর্ণত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, কাউকে ছবর (ধৈর্য্য) অপেক্ষা উত্তম ও প্রশস্ত কোন কিছু দান করা হয় নাই।

{সহীহ বুখারী,হাদিস নং-১৬৯}

## ধৈর্য্য মানে ছবর আসলেই আল্লাহ তা'আলার বিশেষ পুরস্কার। ধৈর্য্যশীলদের জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়স্থানেই শান্তি।আর আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেছেন-إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। (সূরা আনফালঃ ৮)
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 06, 2012, 07:56:11 PM
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাঃ বলনে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,সুন্দর করে কুরআন তিলাওয়াতকারীকে জান্নাতে বলা হবে ধীর-ধীরে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক,আর উচ্চাসন লাভ করতে থাক। যে আয়াতে তোমার তিলাওয়াত শেষ হবে সেই উচ্চাসনে তোমার স্থান হবে।

{আবু দাউদ , হাদিস নং-১২৫২ }
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 06, 2012, 10:39:35 PM
হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক, পুনরায় ধ্বংস হোক!! সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কার কথা বলছেন? তিনি বললেন, যে তার পিতা-মাতা উভয়কে বা কোনো একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েছে, অথচ সে (তাদের খিদমত করে) জান্নাতে যেতে পারে নি।

{সহীহ মুসলিম,হাদিস নং-৪৬০৫}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 07, 2012, 12:46:03 PM
হযরত আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সত্যবাদী বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী নবী, সিদ্দিক এবং শহীদদের সাথে থাকবে।

{সুনান তিরমিযী, হাদিস নং-১২০৯}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 08, 2012, 12:49:42 PM
হযরত আবু মাস'ঊদ বদরী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় মানুষ নবুওয়াতের কালাম (বাক্য) থেকে যা কিছু লাভ করেছে, তার একটি এই যে, যখন তুমি লজ্জা করবে না তখন তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পার।

{ সহীহ বুখারী, হাদিস নং-৩৪৮৪}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 09, 2012, 02:43:30 PM
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বলেছেন, তোমরা হিংসা থেকে দূরে থাক। কারণ হিংসা নেক আমলসমূহকে এমনভাবে গ্রাস করে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে (বা তৃণকে) গ্রাস করে।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 11, 2012, 11:33:04 AM
আবু হুরায়রা [রাযি] থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ জুতা পরতে ইচ্ছা করে তখন যে যেন ডান পা প্রথমে পরিধান করে। আর যখন জুতা খুলে তখন যেন বাম পা থেকে খুলে। জুতা পরিধান করতে ডান পা প্রথম হবে, আর জুতা খুলতে ডান পা শেষে হবে।

{মুয়াত্তা ইমাম মালিক[রহ] অধ্যায়-৪৮,হাদিস নং-১৫}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: nafrin on April 11, 2012, 12:05:58 PM
subhan Allah
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 11, 2012, 03:37:51 PM
হযরত হাফসা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ফজর উদিত হবার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন নামায পড়তেন না।

সহীহ মুসলিম হাদীস নং-১৭১১,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৫৮৭,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪২২৫,
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৪২২৭,
সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-৯৭৯,
আল মু’জামুল কাবীর হাদীস নং-৩৮৫

### ফজরের সুন্নাত পড়ে যদি কেউ মসজিদে গমণ করে তাহলে তার জন্য তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া জায়েজ হবে না। কারণ এমনটি রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত নয়। তাই এমনটি করলে তা সুষ্পষ্ট বিদআত হবে। তবে ফজর ও মাগরীব ছাড়া অন্য নামাযের সময় মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায পড়া মুস্তাহাব। খুবই সওয়াবের বিষয়।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 12, 2012, 12:02:09 AM
আবু উমামা বাহেলী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার সৎ কাজ তাকে আনন্দিত করবে আর মন্দ কাজ ব্যথিত করবে, সে মুমিন।

{মুসনাদে আহমাদঃ ৫/২৫১, মুসতাদারেক হাকিমঃ ১/১৪}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 16, 2012, 07:26:31 PM
হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞেস করা হল-কোন দুআটি অধিক কবুল হয়? তিনি বললেন-যে দুআ শেষ রাতে ও ফরয নামাযের পর করা হয়।

সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৩৪৯৯,
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯৯৩৬,
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৯৪৮
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 16, 2012, 10:56:03 PM
হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল ইরশাদ করেছেন-আমিতো একজন মানুষ মাত্র। আমি আপন প্রতিপালকের নিকট বলে রেখেছি যে, আমি যদি কোন মুসলমানকে মন্দ বলি, তাহলে সেটি যেন তার জন্যে পবিত্রতা ও সাওয়াবের কারণ হয়।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৭৭৯,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৭৬৫,
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৮১৪৮}

হাদীসের ব্যাখ্যা

কাউকে গালি দিলে বা অপ্রয়োজনে মন্দ বললে যার মন্দ বলা হল তার সওয়াব হয়।

নিম্নে বর্ণিত কথাটি হাদীস নয়

“আমি [মুহাম্মদ সাঃ] আল্লাহ তায়ালার নূরের [সৃষ্টি] আর আমার নূর থেকে সব কিছু [সৃষ্টি]

আল মুগীর আলাল আহাদীসিল মাওযুআতে ফির জামিয়িস সাগীর-৪,
আত তালীকাতুল হাফেলা আলাল আজবিবাতিল ফাযেলা-১২৯,
আল বুসীরী মাদেহুর রাসূলিল আযম-৭৫,
মাযমুয়াতে ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া-১৮/৩৬৬-৩৬৭
আল আসারুল মারফুআ-৪৩
তাহকীকাতুন ওয়া আনযারুন ফিল কুরআনি ওয়াস সুন্নাহ-১৫১-১৫৬
আল আসারুল মারফুআ-৪৩

বিঃদ্রঃ রাসূল সাঃ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। কিন্তু তিনিও মাটির তৈরী মানুষ।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 18, 2012, 05:39:02 PM
আবু হুরায়রা [রাযি] সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহান্নামের আগুন সিজদার চিহ্নসমূহ ব্যতীত আদম সন্তানের সারা শরীর ভক্ষণ করবে। আল্লাহ তায়া'লা সিজদার চিহ্নসমূহ জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করেছেন। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৪৩২৬}

~~ যারা এখনো নামাজ পড়েন নাই কষ্ট করে উঠে আল্লাহ দরবারে সিজদায় অবনত হয়ে যাই। আলসামী না করি উঠে নামাজ পড়ে নেই। নিজ নিজ বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদেরকেও নামাজ পড়ার ব্যপারে বলতে চেষ্টা করি।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 19, 2012, 07:31:25 PM
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস [রাযি] বলেন, যা মনে চায় খাও, যা মনে চায় পরিধান কর যে পর্যন্ত দুটি বিষয় না থাকে; অপচয় ও অহংকার। {বুখারী ১০/১৫২}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 20, 2012, 05:58:41 PM
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু'আ করতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ ، وَفُجَأَةِ نِقْمَتِكَ ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
" আয় আল্লাহ্‌! আমি আপনার নিকট পানাহ চাচ্ছি আপনার দেওয়া নেয়ামতের ক্ষয়-লয় ও ধ্বংস থেকে, আপনার দেওয়া আফিয়তের (সুখ-শান্তি এবং সুস্থ-নিরাপদ দেহ-মন ও জীবনের) অশুভ পরিবর্তন থেকে, আকস্মিক বালা-মুসিবত থেকে এবং আপনার সবধরনের অসন্তুষ্টি থেকে।"

{আবু দাউদ-১৩২৫, আদাবুল মুফরাদঃ৬৮৩, মুসনাদে বাযযারঃ১৬৯৭, মুজমাউল আওসাতঃ৩৭০৮,মুসতাদারেক হাকেমঃ১৮৭৯,শুয়াবুল ঈমানঃ ৪২২০, সহীহ মুসলিমঃ৪৯২৯,শরহুস সুন্নাহ-১৩৫৭,সুনানে নাসায়ীঃ ৭৬৪৯}

## নিয়ামত, আফিয়াত বা সুখ-শান্তি লাভ ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ জীবনের পাওয়ার জন্য এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টির কাজ থেকে বেঁচে থাকার জন্য এই দু'আ বেশী করে পড়া উচিৎ।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: hassan on April 22, 2012, 10:33:38 AM
It's a great initiative by you to share hadith with us.
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 22, 2012, 11:32:27 PM

সর্ব শেষ যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে,

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
সর্ব শেষ যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে একজন পুরুষ। কখনো সে হাটবে, কখনো উপুড় হয়ে চলবে, কখনো আগুন তাকে ঝলসে দিবে। যখন এ পথ অতিক্রম করে সামনে চলে যাবে, তখন সে তার দিকে ফিরে বলবে : বরকতময় সে আল্লাহ, যিনি আমাকে তোমার থেকে মুক্তি দিয়েছে। আল্লাহ আমাকে এমন জিনিস দান করেছেন, যা আগে-পরের কাউকে তিনি দান করেননি। অতঃপর তার জন্য একটি বৃক্ষ উম্মুক্ত করা হবে। সে বলবে, হে আল্লাহ! এ বৃক্ষের কাছে নিয়ে যাও, যাতে এর ছায়াতলে আশ্রয় নিতে পারি, এর পানি পান করতে পারি। আল্লাহ বলবেন : হে বনি আদম, আমি যদি তোমাকে এটা প্রদান করি, তুমি নিশ্চয় আরেকটি প্রার্থনা করবে। সে বলবে : না, হে আমার রব। সে এর জন্য ওয়াদাও করবে। আল্লাহ বার বার তার অপরাগতা গ্রহণ করবেন। কারণ, সে এমন জিনিস দেখবে যার উপর তার ধৈর্যধারণ সম্ভব হবে না। অতঃপর আল্লাহ তার কাছে নিয়ে যাবেন, সে তার ছায়ায় আশ্রয় নিবে, তার পানি পান করবে। অতঃপর আগের চেয়ে উত্তম আরেকটি বৃক্ষ তার জন্য উম্মুক্ত করা হবে। তখন সে বলবে: হে আমার রব! এ বৃক্ষের কাছে নিয়ে যাও, এর ছায়াতলে আশ্রয় নিব, এর পানি পান করব। এ ছাড়া আর কিছু প্রার্থনা করব না। তখন আল্লাহ তাকে মনে করিয়ে দিবেন : হে বনি আদম, তুমি কি আমার সাথে ওয়াদা করনি যে, আর কিছু প্রার্থনা করবে না? এর কাছে যেতে দিলে তুমি আরো অন্য কিছু প্রার্থনা করবে। অতঃপর সে প্রার্থনা না করার ওয়াদা করবে। আল্লাহ তার অপরাগতা কবুল করবেন, কারণ সে এমন জিনিস দেখবে, যার ওপর তার ধৈর্যধারণ সম্ভব হবে না। অতঃপর তাকে সে গাছের নিকটবর্তী করা হবে। সে তার ছায়াতলে আশ্রয় নিবে, তার পানি পান করবে। অতঃপর জান্নাতের দরজার নিকট আরেকটি বৃক্ষ উম্মুক্ত করা করা হবে, যা আগের দু’বৃক্ষ থেকেও উত্তম। সে বলবে : হে আল্লাহ! এ বৃক্ষের নিকটবর্তী কর, আমি তার ছায়াতলে আশ্রয় নিব, তার পানি পান করব, আর কিছু প্রার্থনা করব না। তিনি বলবেন : হে বনি আদম, তুমি আর কিছু প্রার্থনা না করার ওয়াদা করনি? সে বলবে, হ্যাঁ, তবে, এটাই শেষ, আর কিছু চাইব না। আল্লাহ তার অপরাগতা কবুল করবেন। কারণ, সে এমন জিনিস দেখবে, যার ওপর ধৈর্যধারণ করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। আল্লাহ তার নিকটবর্তী করবেন। যখন তার নিকটবর্তী হবে, তখন সে জান্নাতবাসীদের আওয়াজ শুনতে পাবে। সে বলবে : হে আমার রব! আমাকে এতে প্রবেশ করাও। আল্লাহ বলবেন : হে বনি আদম, তোমার চাওয়া আর শেষ হবে না। তোমাকে দুনিয়া এবং এর সাথে দুনিয়ার সমতুল্য আরো প্রদান করব, এতে কি তুমি সন্তুষ্ট হবে? সে বলবে : হে আল্লাহ, তুমি দুজাহানের রব, তা সত্বেও তুমি আমার সাথে উপহাস করছ!? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ঘটনা বলতে বলতে হেসে দিলেন। সাহাবারা তাকে বলল : হে আল্লাহর রাসূল! কেন হাসছেন? তিনি বললেন : আল্লাহর হাসি থেকে আমার হাসি চলে এসেছে। যখন সে বলবে : আপনি দু’জাহানের মালিক হওয়া সত্বেও আমার সাথে উপহাস করছেন? তখন আল্লাহ বলবেন : আমি তোমার সাথে উপহাস করছি না; তবে কি, আমি যা-চাই তা-ই করতে পারি। আরো প্রার্থনা করার জন্য আল্লাহ তাকে বললেন : এটা চাও, ওটা চাও। যখন তার সব চাওয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন আল্লাহ বলবেন : এ সব তোমাকে দেয়া হল এবং এর সাথে আরো দশগুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : অতঃপর সে তার ঘরে প্রবেশ করবে এবং সাথে সাথে তার স্ত্রী হিসেবে দু’জন হুরও প্রবেশ করবে। তারা তাকে বলবে : সমস্ত প্রসংশা সে আল্লাহর, যিনি আপনাকে আমাদের জন্য জীবিত করেছেন এবং আমাদেরকে আপনার জন্য জীবিত করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : সে বলবে : আমাকে যা দেয়া হয়েছে, তার মত কাউকে দেয়া হয়নি। (সহীহ মুসলিম ১৮৭)—
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 23, 2012, 10:58:51 AM
হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের দুই রাকা'আত (সুন্নাত) দুনিয়া এবং দুনিয়াতে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম

{ সহীহ মুসলিম, হাদিস নং- ৭২৫}

##সুবহানাল্লাহ! এর গুরুত্ব এত বেশী যে, ফজর- আল্লাহ্‌ না করুন- কাযা হলে কোন কোন অবস্থায় ফজরের সাথে সুন্নাতও কাযা করতে হয়। সুতরাং ফযরের দুই রাক'আত সুন্নাতের বিষয়ে কোন মুসলিমের শিথিলতা ও অলসতা করা উচিৎ নয়।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 26, 2012, 09:22:46 AM
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ জ্বর এবং অন্য যেকোন ব্যথা বেদনায় এই দুআটি পড়ার তালিম দিতেন-بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ ، أعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ ، وَمِنَ شَرِّ حَرِّ النَّارِ অর্থাৎ আমি মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রত্যেক উতলা বা অস্থির শিরার মন্দতা থেকে, এবং আগুনের মন্দতা থেকে।

তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-২০৭৫,
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৩৫২৬
মুসনাতে আহমাদ, হাদীস নং-২৭২৯
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 29, 2012, 10:44:13 AM
হযরত আবু হুরায়রা [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কাপড়ের যে অংশ টাখনুর নীচে যাবে তা [টাখনুর নীচের অংশ] জাহান্নামে জ্বলবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭৮৭}

এই বিধান পুরুষের জন্য আর মেয়েদের জন্য বিধান হল নিচ পর্যন্ত কাপড় ঝুলিয়ে রাখবে যা নাকি উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা [রাযি] থেকে আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী শরীফে বর্নিত হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, কারণ এটিই তাদের জন্য অধিক আবৃতকারী। আর এখন আমাদের সমাজে এর উলটা ছেলেরা টাকনুর নিচে একেবারে মাটি টেনে কাপড় পড়ে আর মেয়েরা টাকনুর উপরে যতটুকু পারে উঠিয়ে। আল্লাহর রাসূল [সাঃ] আমাদের কত ভালবাসতেন। সারাটা জীবন আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী কি আমরা চলতে পারি না।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 29, 2012, 10:44:43 AM
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তা'আলা তিন শ্রেণীর লোকদের দিকে তাকাবেন না- পিতামাতার অবাধ্য সন্তান, মাদকাসক্ত এবং যে দান করে খোঁটা দেয়।

{ মুসতাদরাকে হাকিমঃ ৪/১৪৬}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 29, 2012, 10:45:48 AM
উম্মে হাবীবা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যোহরের পূর্বে চার রাকা'আত এবং যোহরের পরে চার রাকা'আত নিয়মিত পড়ে আল্লাহ্‌ তা'আয়ালা তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।{সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং-১২৬৯ জামে তিরমিযি, হাদিস নং-৪২৮ সুনান নাসায়ী, হাদিস নং-১৮১৭}

~~ এখানে জোহরের ফরয নামাজের আগের চার রাকা'আত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং জোহরের ফরয নামাজের পরের দুই রাকা'আত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ও দুই রাকা'আত নফলের কথা বলা হয়েছে।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on April 30, 2012, 12:22:26 PM
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা (খারাপ) ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কারণ ধারণা হচ্ছে নিকৃষ্টতম মিথ্যা। তোমরা আঁড়ি পেতো না, গোপন দোষ অন্বেষণ করো না, স্বার্থের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ো না, হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না, পরস্পর কথাবার্তা বন্ধ করো না, একে অপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিও না, দাম-দস্ত্তরে প্রতারণা করো না এবং নিজের ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের মাঝে ক্রয়-বিক্রয়ের চেষ্টা করো না। হে আল্লাহর বান্দারা! আল্লাহ যেমন আদেশ করেছেন, সবাই তোমরা আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।’

{সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫১৪৩, ৬০৬৪, ৬০৬৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৬৩/২৮, ২৯, ৩০ ও ২৫৬৪/৩২, ৩৩}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 01, 2012, 01:38:08 PM
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেনঃ " আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য (জান্নাতে) এমন সমস্ত নেয়ামত প্রস্তুত করে রেখেছি, যা কোন চোখ অবলোকন করে নি, কোন কান শোনে নি এবং কোন মানুষের চিন্তায় উদিত হয় নি।"

{ বুখারী, হাদিস নং-৩২৪৪; মুসলিম, হাদিস নং-২৮২৪}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 01, 2012, 01:38:50 PM
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।

{সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-২৪৩৩, সুনান বাইহাকী,হাদিস নং- ১১৪৩৪, মেশকাত শরীফ, হাদিস নং-২৯৮৭}

##ইসলামে শ্রমিকের অধিকার অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ।আজ প্রয়োজন মালিক-শ্রমিক সবার অধিকার সংরক্ষণ করা। এখন যেন শ্রমিকের অধিকার শুধু মে দিবসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 02, 2012, 06:54:21 PM
আবু হুরাইরা [রাযি] থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন "যে ব্যক্তি শিকার বা পাহারাদারীর উদ্দেশ্য ব্যতীত [শুধুমাত্র শখের বসে] কুকুর পালবে, প্রতিদিন তার আমলের একটি বিরাট অংশ নষ্ট হয়ে যাবে। {বুখারী,মুসলিম, মিশকাত-৩৫৯পৃঃ}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 02, 2012, 06:55:07 PM
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্ব করে এবং হজ্বের প্রক্কালে অশ্লীল কথা ও কাজ এবং পাপ থেকে বিরত থাকে, সে মায়ের পেট থেকে জন্মগ্রহণের দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।

এ হাদীসটি নিম্ন বর্ণিত হাদীসের কিতাবে বর্ণিত

১-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৮৩
২-সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৪৪৯২
৩-সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৩৩
৪-শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৮৮
৫-মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৬১৯৮
৬-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭৩৮১
৭-মুসনাদে ইবনুল জা’দ, হাদীস নং-৮৯৬
৮-মুসনাদে হুমায়দী, হাদীস নং-১০০৪
৯-মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২৫১৯
১০-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৮৮৯
১১-সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২১৩
১২-সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৭৯৬
১৩-সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬৯৪
১৪-সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৩৫৭
১৫-কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১১৮২৯
১৬-মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়াহ, হাদীস নং-১৯৪
১৭-মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৮৮০০
১৮-মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১১৩৯
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 04, 2012, 11:59:38 AM
হযরত উবাই ইবনে কাব (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আবুল মুনযির! ( এটি ইবনে কাব রাঃ এর উপনাম) তোমার জানা আছে কি, তোমার কাছে কিতাবুল্লাহর সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ আয়াত কোনটি? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার জিজ্ঞাসা করলেন, আবুল মুনজির! তোমার জানা আছে কি, কিতাবুল্লাহর সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ আয়াত তোমার নিকট কোনটি? আমি বললাম,اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ( আয়াতুল কুরসী)। তিনি আমার বুকের উপর হাত মারলেন ( যেন এরূপ উত্তরের জন্য বাহবাদিলেন) এবং বললেন, হে আবুল মুনযির! তোমার জন্য ঈলম মোবারক হোক।

{ সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১৮৮৫}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 04, 2012, 12:00:12 PM
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন মানুষের প্রথম যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে তা হল নামায। তিনি বলেছেন, আমাদের মহান রব তাঁর ফেরেশতাদেরকে বলবেন, অথচ তিনি অধিক অবগত,আমার বান্দার নামায দেখ, সে কি তা পূর্ণ করেছে, না অসম্পূর্ণ রেখেছে? যদি পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য পূর্ণরূপেই লেখা হবে। আর যদি তাতে কোন অসম্পূর্ণতা থাকে তাহলে তিনি বলবেন, দেখ আমার বান্দার কি কোন নামাজ (নফল) আছে? যদি তার কোন নফল থাকে, তাহলে তিনি বলবেন, আমার বান্দার ফরযকে তার নফল থেকে পূর্ণ করে দাও। অতঃপর অন্যান্য আমল এই নিয়মে গ্রহণ করা হবে।

 { সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৬৪, জামে তিরমিযি, হাদিস নং-৪১৩}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 05, 2012, 07:12:06 PM
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-দুআ হল ইবাদতের মগজ। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৩৩৭১}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 06, 2012, 12:51:09 PM
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের ঘর-বাড়িকে কবরখানায় পরিণত করো না (অর্থাৎ ইবাদাত শূন্য রেখো না)। যে ঘরে সূরা বাকারা পড়া হয়, সে ঘরে শয়তান ঢূকতে পারে না।

১)তিরমিযি, ফী সাওয়াবিল কোরআন, বাব- ২
২)মুসলিম, মিনাল মুসাফিরিন, হাদিস-২১২
৩)মুসনাদে আহমাদঃ ২/২৮৪,৩৩৭,৩৭৮,৩৮৮
৪)আবু দাউদ, মানাসিক,বাব-৯৯
৫)শারহুস সুন্নাহঃ ৪/৪৫৬
৬)কানযুল উম্মাল-৪২৫১১
৭)তারগীব ওয়া তারহীবঃ ২/৩৬৯
৮) দুরুরল মানসুরঃ ১/১৯
৯)ফাতহুল বারীঃ ১/৫৩০
১০) যাদুল মাইয়াসসারঃ ১/১৯
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 06, 2012, 09:21:27 PM
ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধ ধরে বললেন:
দুনিয়াতে অপরিচিত অথবা ভ্রমণকারী মুসাফিরের মত হয়ে যাও। ইবনে উমার (রাঃ) বলতেন, সন্ধ্যা বেলা যখন তোমার সাধ্য হবে, তখন সকালের অপেক্ষা করো না। আর সকাল আসলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। অসুস্থতার পূর্বে সূস্থতার মূল্য অনুধাবন কর, আর মৃত্যুর জন্য জীবিত অবস্থায় সংগ্রহ করে নাও।

[বুখারী: ৬৪১৬]
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 07, 2012, 10:38:15 PM
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, “এ কালিজিরা সাম ব্যতীত সমস্ত রোগের নিরাময়। আমি বললাম, সাম কি? তিনি বললেন: মৃত্যু!” [বুখারী: ৫৬৮৭]
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 08, 2012, 06:41:39 PM
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না।
 তারা হলো:
 ১) ন্যায়পরায়ন শাসক,
 (২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে বড় হয়েছে,
 (৩) যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অন্তর এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে,
 (৪) এমন দু’জন লোক যারা আল্লাহর জন্য পরস্পর ভালবাসা স্থাপন করেছে; এই সম্পর্কেই একত্র থাকে এবং বিচ্ছিন্ন হয়,
 (৫) এমন ব্যক্তি যাকে কোন অভিজাত পরিবারের সুন্দরী রূপসী নারী (খারাপ কাজে) আহ্বান করেছে কিন্তু সে তাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে; আমি আল্লাহকে ভয় করি,
 (৬) এমন ব্যক্তি যে এত গোপনের দান-সদকা করেছে যে, তার ডান হাত যা দান করেছে তার বাম হাতও তা জানতে পারেনি যে, ডান হাত কি দান করেছে,
 (৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করেছে এবং তার দু’চোখ বয়ে পানি পড়েছে।”
 [বুখারী: ৬৬০, মুসলিম: ১০৩১]
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 08, 2012, 06:43:41 PM
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সালাত আদায়ের পর বান্দা যতক্ষন নিজ সালাতের স্থানে অবস্থান করে ফেরেশতাগণ তার জন্য এ বলে দোয়া করতে থাকে- "ইয়া আল্লাহ্‌ আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন" আর বান্দা যতক্ষন সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষন পর্যন্ত সে সালাত রত বলে গন্য হয়।

[বুখারী, ৬১৮ অংশবিশেষ]
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 08, 2012, 09:28:14 PM
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেন,
‘মানুষ যখন মরে যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি উৎস থেকে তার নেকী প্রাপ্তি বন্ধ হয় না : সাদাকায়ে জারিয়া, এমন কোনো ইলম যা থেকে মানুষ উপকৃত হয় এবং সুসন্তান যে তার জন্য দু‘আ করে।’

{তিরমিযী : ১৩৭৬; মুসলিম : ১৬৩১; ইবন খুযাইমা : ২৪৯৪}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 10, 2012, 06:16:34 PM
সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের সৌভাগ্যের লক্ষণ এই যে, আল্লাহ্‌ তা'আলার তার জন্য যা ফয়সালা করেছেন, তাতে সে সন্তুষ্ট থাকে; দুর্ভাগ্যের লক্ষণ এই যে, আল্লাহ্‌ তা'আলা তার জন্য যা ফয়সালা করে রেখেছেন, তাতে সে অসন্তুষ্ট হয় এবং স্বীয় মঙ্গলের জন্য প্রার্থনাও করে না, চেষ্টাও পরিত্যগ করে।

{সুনান তিরিমিযী, হাদিস নং-২১৫১, মুসতাদারেক হাকেমঃ১/৫১৮,মুসনাদে আহমাদঃ ৫/২৮০, সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৪০২২, মুসনাদ আবু ইয়ালাঃ২/৬০, মেরকাত শরহে মেশকাত, হাদিস নং-৫৩০৩,ফতহুল বারীঃ ১১/১৮৪}

(https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/292278_330162487054464_156963547707693_836408_420069393_n.jpg)
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 12, 2012, 10:14:43 PM
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশাজ্জ আল আসরী (রা) বলেছেন, ‘আমি তোমার মধ্যে দুটি গুণ দেখেছি, যা আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন। একটি হচ্ছে হিলম (ধৈর্য্য ও সহনশীলতা এবং প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা)। আর অপরটি হল আনাত ( চঞ্চলতাশূন্য ধীর শান্ত স্বভাব এবং বিচারবিবেচনার গুণ)।

{সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-২৫,২৬,আল আদাব, বাইহাকী, হাদিসঃ ১২৯, দালায়ইলুল নবুওয়াহ, হাদিস নং-২০৮৪,মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং- ২৩৪২৭,শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং-৭৯১৫,সুনান কুবরা,বাইহাকী,হাদিস নং-২০১৯৫}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 15, 2012, 08:41:49 AM
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-

যখন মানুষ গনীমতের সম্পদকে নিজের সম্পদ মনে করতে থাকবে।

আমানতের সম্পদকে গনীমতের সম্পদ মনে করতে থাকবে।

যাকাতকে বোঝা মনে করতে থাকবে।

দ্বীনী ইলম অর্জন করবে দুনিয়ার উদ্দেশ্যে।

স্ত্রীর আনুগত্ব করবে, মাকে কষ্ট দিবে।

বন্ধুকে আপন মনে করবে, পিতাকে পর মনে করবে।

মসজিদে হৈচৈ করবে।

ধর্মহীন লোকেরা গোত্রপতি হবে।

নীচ শ্রেণীর লোকেরা জাতির নেতৃত্বের আসনে সমাসীন হবে।

অনিষ্টতার ভয়ে মানুষের সম্মান করা হবে।

গায়িকা নারী ও বাদ্যযন্ত্রের প্রাবাল্য হবে।

মানুষ ব্যাপকভাবে মদ পান করবে।

পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের অভিসম্পাত করবে।

তখন রক্তিম ধোঁয়া এবং কঠিন প্রকম্পনের অপেক্ষা করবে। অপেক্ষা করবে মাটি ধ্বসে যাওয়ার। আকৃতি বিকৃত হয়ে যাওয়ার। আর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণের। এসব আযাবের সাথে সাথে কেয়ামতের অন্যান্য আলামতেরও অপেক্ষা করবে। যখন সুতাছেঁড়া তাসবীর গোটার মত একটার পর একটা আপতিত হতে থাকবে।

{সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২১১, কানুযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৩৮৭১৪, আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৬৯, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৯১}
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 16, 2012, 08:12:28 PM
আয়েশা (রা) হতে বর্ণীতঃ
 রাসূল (সা) বলেছেনঃ ফজরের দু' রাকআত (সুন্নাত) পৃথিবী ও তাতে যা কিছু আছে সবার চেয়ে উত্তম। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, ঐ দু রাকআত আমার নিকট দুনিয়ার সবকিছু থেকে অধিক প্রিয়।

 সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫
Title: Re: একটি হাদিস
Post by: arefin on May 22, 2012, 10:09:43 AM

উবাদা ইবনে সামেত রাযি. থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , পৃথিবীর বুকে কোনো মুসলমান যখন আল্লাহ তা'আলার কাছে কোনো দুআ করে, তখন আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে তাকে সেই বস্তু দান করেন অথবা ঐ বস্তুর সমপর্যায়ের কনো বিপদ সরিয়ে নেন। তবে শর্ত হলো সে দু'আ যেন গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দুআ না হয়।’

{মুসনাদে আহমাদ,হাদিস নং-২২২৭৭, তিরমিযি,হাদিসঃ৩৩৯২,আল মুজামুল আওসাত,হাদিস নং-১৪৭, তাহাবী শরীফ}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on May 23, 2012, 03:27:20 PM
আবু সাঈদ খুদরী [রাযি] থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে এমন গাছ আছে যে, কোন আরোহী এর ছায়ায় যদি একশ' বছরও চলে তবুও তা শেষ করতে পারবে না।

{সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৫২৬}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on May 23, 2012, 03:44:27 PM
আলী [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন কেউ যদি এতটুকু পাথেয় ও বাহনের অধিকারী হয় যা তাকে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে এরপরও যদি সে হজ্জ পালন না করে তবে সে ইয়াহুদী হয়ে মরল বা নাসারা হয়ে মরল এই বিষয়ে [আল্লাহর] কোন পরওয়া নেই। কারণ আল্লাহ তায়া'লা তাঁর পবিত্র কিতাবে ইরশাদ করেন "মানুষের মাঝে যার সেখানে [কাবা শরীফে] যাবার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ্ব করা তার উপর আবশ্য কর্তব্য।" {সুনানে তিরমিযী-৮১০}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on May 27, 2012, 10:18:58 AM
হযরত আমের ইবনে রবীআহ (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি- "আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম।"

{মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on May 28, 2012, 03:07:19 PM
হযরত আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার দুইজন প্রতিবেশী আছে। আমি (কোনো কিছু হাদিয়া দিতে চাইলে) তাদের কোন জনকে দিব?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘দু’জনের মধ্যে যার ঘর তোমার বেশি নিকটে।’

{সহীহ বুখারী ১/৩০০}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on May 29, 2012, 05:16:56 AM
হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রা) ইরশাদ করেছেন,কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মোমিন হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে এই ঈমান রাখবে যে, যাবতীয় ভালমন্দ তাকদীরের যা আছে তাই হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়।

{ মুসনাদে আহমাদঃ ২/১৮১}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on June 01, 2012, 11:00:42 AM
হযরত আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিসের কথা বলব না, যা তোমাদের সমস্ত আমলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ; তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সবচেয়ে পবিত্র; তোমাদের মর্যাদাকে আরো বুলন্দকারী; আল্লাহর রাস্তায় সোনা-রুপা খরচ করা থেকে এবং জিহাদের ময়দানে শত্রুর প্রাণ নেওয়া ও শত্রুর হাতে প্রাণ দেওয়া থেকেও উত্তম? সাহাবারা বললেন, অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, তা হল আল্লাহর যিকির।

{জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৩৭৭; ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৩৭৯০}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on June 08, 2012, 12:03:20 PM
হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে তার প্রতিপালককে স্মরণ করে আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হল জীবিত ও মৃতের মতো। (অর্থাৎ যে আল্লাহকে স্মরণ করে সে জীবিত। আর যে স্মরণ করে না সে মৃত)।

{সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৪০৭; মুসলিম, হাদীস : ৭৭৯}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: sumon_acce on June 16, 2012, 05:25:10 PM
Thanks for sharing.
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on June 27, 2012, 10:27:55 AM
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন। মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সকল আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি পথ ছাড়া। একটি হল সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হল ঐ দ্বীনী কাজ যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, তৃতীয় হল নেক সন্তান যে তার জন্য দুআ করে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৮২,
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৬৪৭৮,
সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৭৬,
সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-১২৪১৫,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩০১৬,
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on July 04, 2012, 12:35:31 PM
►মধ্য শাবানের রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দু’টির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ

إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ – سورة الدخان:3ـ4
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ “অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়”।
এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শা’বানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।

আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ – سورةالقدر:1
আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ- سورة البقرة:185
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
যিনি এ রাত্রিকে শা‘বানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন, যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ করেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযান মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে’। (তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।

অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এ মত প্রকাশ করেছেন। (তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (৪/৭০৯)।

►সুতরাং ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল ক্বাদর যা রমযানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত্রিগুলো।

আর এতে করে এও সাব্যস্ত হলো যে, এ আয়াতের তাফসীরে ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মতভেদ করলেও তিনি শা’বানের মধ্য তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল বারা’আত নামকরণ করেননি।

►শাবান মাসের মধ্য রজনীতে ইবাদাত সম্মন্ধে কিছু হাদিস◄

শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
১. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।

►হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করে বলেন, এ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত।

২. আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

►আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)।

৩. আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।

►হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন। তাই হাদীসটি বানোয়াট।
উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, শা‘বানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা বানোয়াট, আর তাই গ্রাহ্যতারহিত।

►প্রথম হাদীসটি দুর্বল, দ্বিতীয় হাদীসটিও অধিকাংশ আলেমের মতে দুর্বল, যদিও কোন-কোন আলেম এর বর্ণনাকারীগণকে শক্তিশালী বলে মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেবলমাত্র বর্ণনাকারী শক্তিশালী হলেই হাদীস বিশুদ্ধ হওয়া সাব্যস্ত হয়না।

►মোট কথাঃ প্রথম ও দ্বিতীয়, এ হাদীস দুটি দুর্বল। খুব দুর্বল বা বানোয়াট নয়। সে হিসেবে যৎকিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে এ রাত্রির ফযীলত রয়েছে।

►কিন্তু আমরা যদি উপরে উল্লিখিত প্রথম ও দ্বিতীয় হাদীসটি পাঠ করে দেখি তাহলে দেখতে পাব —আল্লাহ তা‘আলা নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানাতে থাকেন — হাদীসদ্বয়ে এ বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে। মুলত সহীহ হাদীসে সুস্পষ্ট এসেছে যে, “আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষাংশে – শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারী, হাদীস নং ১১৪৫, মুসলিম হাদীস নং ৭৫৮]

সুতরাং আমরা এ হাদীসদ্বয়ে অতিরিক্ত কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং এ রাত্রির বিশেষ কোন বিশেষত্ব আমাদের নজরে পড়ছে না। এজন্যই শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) সহ আরো অনেকে এ রাত্রির অতিরিক্ত ফযীলত অস্বীকার করেছেন।

►►শা‘বানের মধ্যরাত্রির পরদিন কি রোযা রাখা যাবে?

উত্তরঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বহু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি শা‘বান মাসে সবচেয়ে বেশী রোযা রাখতেন। (এর জন্য দেখুনঃ বুখারী, হাদীস নং ১৯৬৯, ১৯৭০, মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৬, ১১৬১, মুসনাদে আহমাদ ৬/১৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৩১, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ২০৭৭, সুনানে তিরমিঝি, হাদীস নং ৬৫৭)।
সে হিসাবে যদি কেউ শা‘বান মাসে রোযা রাখেন তবে তা হবে সুন্নাত। শাবান মাসের শেষ দিন ছাড়া বাকী যে কোন দিন রোযা রাখা জায়েয বা সওয়াবের কাজ। তবে রোজা রাখার সময় মনে করতে হবে যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহেতু শা‘বান মাসে রোজা রেখেছিলেন তাকে অনুসরন করে রোযা রাখা হচ্ছে।

অথবা যদি কারও আইয়ামে বিদের (সকল মাসেই) নফল রোযা তথা মাসের ১৩,১৪,১৫ এ তিনদিন রোযা রাখার নিয়ম থাকে তিনিও রোযা রাখতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র শা‘বানের পনের তারিখ রোযা রাখা বিদ‘আত হবে। কারণ শরীয়তে এ রোযার কোন ভিত্তি নেই।

আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের পরিপূর্ণ পদাঙ্ক অনুসরন করে চলার তৌফিক দিন। আমীন।
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: Noman_1450 on July 19, 2012, 12:20:36 PM
রোয়াদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজাঃ

হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জান্নাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে শুধু রোযাদাররা প্রবেশ করবে। ঘোষণা করা হবে রোযাদাররা কোথায়? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। যখন তারা প্রবেশ করবে তখন ঐ দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করবে না।
- সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৯৬।
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on August 03, 2012, 10:35:33 AM
আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ একদিন জিবরাঈল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বসেছিলেন। সেই সময় তিনি উপর দিক থেকে দরজা খোলার একটা প্রচন্ড আওয়াজ শুনতে পেয়ে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ এটি আসমানের একটি দরজা। আজকেই এটি খোলা হলো ইতিপূর্বে আর কখনো খোলা হয়নি। আর এই দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসলেন। আজকের এই দিনের আগে আর কখনো তিনি পৃথিবীতে আসেননি। তারপর তিনি সালাম দিয়ে বললেনঃ আপনি আপনাকে দেয়া দু'টি নূর বা আলোর সু-সংবাদ প্রহণ করুন। আপনার পূর্বে আর কোন নবীকে তা দেয়া হয়নি। আর ঐ দুইটি নূর হলো ফাতিহাতুল কিতাব বা সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষাংশ। এর যে কোন হরফ আপনি পড়বেন। তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় আপনাকে দেয়া হবে।

 (সহীহ মুসলিম - ১৭৫৪)
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on August 05, 2012, 06:11:50 PM
আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মাঝে ভাগ করে দিয়েছি। এবং আমার বান্দা যা চায় তা তাকে দেয়া হবে। সে যখন ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ বলে, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে’।
যখন সে বলে ‘আর রাহমানির রাহীম’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে’।
যখন সে বলে ‘মালিকি ইয়াইমিদ্দীন’, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার সম্মান করেছে’।
যখন সে বলে ‘ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতায়ীন’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘এটা আমার আর আমার বান্দার ব্যাপার। আর আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা দেয়া হবে।’
যখন সে বলে, ‘ইহদিনা. …. …. ضالين’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘এটা আমার বান্দার। সে যা চায়, তাকে তা-ই দেয়া হবে।

[মুসলিম শরীফ : ৯০৪]
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: najim on September 02, 2012, 02:16:44 PM



রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন জিনিস অধিকহারে মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে ? তিনি উত্তরে বলেন, মুখ ও লজ্জাস্থান।

[তিরমিযী, ২০০৪]

Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: najim on September 02, 2012, 02:17:45 PM



নম্র আচরণের মর্যাদা:

প্রখাত সাহবী জারির বিন আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি:

“যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বঞ্চিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বঞ্চিত।” (সহীহ মুসলিম)
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: goodboy on September 03, 2012, 12:09:01 PM
Righteousness is good morality:
On the authority of Al-Nawwas bin Samaan, that the prophet said:

"Righteousness is good morality, and wrongdoing is that which wavers in your soul and which you dislike people finding out about."

related by Muslim.
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: najim on September 13, 2012, 12:11:10 PM
সুবহানাল্লাহ!!

উকবা ইবন আমির (রা) বলেনঃ আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনিয়াছিঃ যাহার তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাহার ব্যাপারে ধৈর্য ধারন করে (তাহাদিগকে বোঝাস্বরূপ মনে করে না) এবং তাহাদিগকে সাধ্যানুসারে ভাল (খাওয়ায়) পরায়...
, উহারা তাহার জন্য দোযখের আগুন হইতে রক্ষাকারী অন্তরাল হইবে।

বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, অনুচ্ছেদ ৪১, হাদীস ৭৬

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণীতঃ

রাসূল (সা) বলেছেনঃ যে মুসলমানের দুইটি কন্যা সন্তান হইবে এবং সে উহাদিগকে উত্তমভাবে রাখিবে, তাহারা তাকে বেহেশতে পৌছাবে।

বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, অনুচ্ছেদ ৪১, হাদীস ৭৭
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on September 14, 2012, 02:34:00 PM
হযরত উসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমার প্রতি যদি কেউ কৃতজ্ঞতার আচরণ করে তখন যদি তুমি তাকে জাযাকাল্লাহ খাইরান (আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন) বল তাহলেই তুমি তার যথাযোগ্য প্রশংসা করলে।

{জামে তিরমিযী, হাদীস : ২০৩৫; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৩৪১৩}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on September 14, 2012, 02:37:47 PM
জুম’আর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে। প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, ও সর্বশেষ পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওাব্ব লিখে থাকেন। আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের এ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান।” (বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬)
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on September 16, 2012, 10:16:28 AM
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি রাত-দিনে বারো রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে। যোহরের আগে চার রাকাত, যোহরের পর দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, ইশার পর দুই রাকাত এবং ফজরের আগে দুই রাকাত।

{মিশকাত, পৃ : ১০৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৩; জামে তিরমিযী, হাদীস : ৪১৪}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: faizun on September 16, 2012, 05:32:31 PM
Sir,

thank you very much for continuing this topic.
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on September 25, 2012, 10:13:46 AM
হযরত জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-“যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ল সে আল্লাহর নিরাপত্তায় চলে আসবে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা যেন তার নিরাপত্তার ব্যাপারে তোমাদেরকে পাকড়াও না করেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা যাকে তার নিরাপত্তার কারণে পাকড়াও করবেন তাকে ধরে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-১৫২৫, সুনানে বায়হাকী, হাদিস নং-২০১৪)

# অর্থাৎ ফজর নামায ঘুম থেকে উঠে আদায় করতে হয়। সে সময় উঠাটা কষ্টকর। সেই সময় যে ব্যক্তি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ফজরের নামায আদায় করবে তাকে আল্লাহ তায়ালা নিজ জিম্মায় নিয়ে নেন। সুতরাং সেই ব্যক্তিকে যদি কেউ কষ্ট দেয় তাহলে পরোক্ষভাবে আল্লাহর জিম্মায় থাকা ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়া হল। তাই সেই কষ্টদাতাকে আল্লাহ তায়ালা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (নাউজুবিল্লাহ)
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on September 25, 2012, 10:14:50 AM
আলী (রা) থেকে বর্ণিত।
নবী (সা) বলেন, কোন মুসলমান যদি অপর কোন অসুস্থ মুসলমান ভাইকে সকাল বেলা দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোআ করতে থাকে আর কোন মুসলমান যদি অপর কোন অসুস্থ মুসলমান ভাইকে সন্ধ্যা বেলা দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য ভোর পর্যন্ত দোআ করতে থাকে। এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরি করা হয়।

[সহীহ আত্‌ তিরমিযী, ৯৬৯]
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: najim on October 09, 2012, 02:42:40 PM

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সবাইকে বললেন,

 â€˜তোমরা কি জানো নিঃস্ব কে? তারা বলল, আমাদের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি যার কোন টাকা-পয়সা ও ধন-সম্পদ নেই। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যে ক্বিয়ামতের দিন ছালাত, ছিয়াম, যাকাত ইত্যাদির নেকী নিয়ে হাযির হবে। কিন্তু দেখা যাবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারু মাল আত্মসাৎ করেছে, কারু রক্ত প্রবাহিত করেছে ও কাউকে মেরেছে। তখন তার নেকীসমূহ থেকে তাদের বদলা দেওয়া হবে। এভাবে দিতে দিতে তার সব নেকী শেষ হয়ে গেলে বাকী বদলার জন্য দাবীদারদের পাপসমূহ তার উপরে চাপানো হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (এভাবেই নেকীর পাহাড় নিয়ে আসা লোকটি অবশেষে নেকীহীন নিঃস্ব ব্যক্তিতে পরিণত হবে এবং জাহান্নামে পতিত হবে)। [12]
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on October 18, 2012, 01:12:13 PM
“রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদেরকে অভিশম্পাত করেছেন যারা সুদ খায়, যারা সুদ দেয়, যারা সুদের টাকার কথা লিখে রাখে এবং যারা সুদের টাকার স্বাক্ষী থাকে। তারা সবাই একই রকম।”
 সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৯৮।
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on October 18, 2012, 01:13:13 PM
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না সেদিন তিনি সাত শ্রেণীর লোককে তার ছায়ায় স্থান দেবেন। তারা হলেন-

 (১) ন্যায় পরায়ন শাসক

 (২) যৌবন কাল আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছে এমন যুবক

 (৩) সে লোক যার মন মসজিদের সাথে যুক্ত থাকে। মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার পর আবার ফিরে যাবার জন্য মন ব্যাকুল থাকে

 (৪) সে দু’ব্যক্তি যাদের ভালবাসার ভিত্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি। যাদের একত্রিত হওয়া এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া একমাত্র আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে

 (৫) ঐ ব্যক্তি যে, নিভৃতে আল্লাহকে স্মরণ করে চোখের পানি ফেলে

 (৬) ঐ ব্যক্তি যে, আল্লার ভয়ে কোন উচ্চ বংশের সুন্দরী যুবতীর বদ কাজের আহবানকে প্রত্যাখান করেছে ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’ বলে

 (৭) ওই ব্যক্তি সাদকা করার সময় যার বাম হাত টের পায় না, ডান হাত কী দান করেছে।”

 {বুখারী, মুসলিম}
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on December 02, 2012, 07:49:43 PM
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধ ধরে বললেন:
 দুনিয়াতে অপরিচিত অথবা ভ্রমণকারী মুসাফিরের মত হয়ে যাও। সন্ধ্যা বেলায় উপনীত হলে সকালের অপেক্ষা করো না। আর সকালে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। অসুস্থতার জন্য সুস্থতাকে কাজে লাগাও, আর মৃত্যুর জন্য জীবিত অবস্থা থেকে (পাথেয়) সংগ্রহ করে নাও।

 [বুখারী: ৬৪১৬]
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on December 04, 2012, 11:16:40 AM
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে , তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ”।

[বুখারি ও মুসলিম]
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: Md. Khairul Bashar on December 04, 2012, 04:53:13 PM
আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সকলের জীবনের সকল গুনাহ্‌ ক্ষমা করে দিন।
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: arefin on December 14, 2012, 06:27:04 PM
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আকস্মিক মৃত্যু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম আল্লাহর নবী বললেন, ‘এটি ঈমানদারের জন্য স্বস্তি ও শান্তির কারণ। আর অক্ষম (পাপাচারীর) জন্য দুঃখ ও আফসোসের কারণ।’

{মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৪৯২৩}
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: arefin on December 14, 2012, 06:27:52 PM
সাওবান (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) সালাত শেষে তিনবার ক্ষমা চাইতেন, ‘আস্তাগ ফিরুল্লাহ, আস্তাগ ফিরুল্লাহ, আস্তাগ ফিরুল্লাহ’ অর্থঃ আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি| অতঃপর বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল জালা-লী ওয়াল ইকরাম’ অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার নিকট থেকেই শান্তির আগমন, তুমি বরকতময় হে পরতাম ও সম্মানের অধিকারী| (মুসলিম, মিশকাত); সালাম ফেরানোর পর কমপক্ষে এতটুকু করা হচ্ছে সুন্নত| কমপক্ষে এই সুন্নত করে তারপর সালাতের স্থান থেকে প্রয়োজনে নড়া উচিত|

প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জন্য জান্নাতে যেতে আর কোনো বাধা থাকেনা মৃত্যু ব্যতীত| (নাসাই)
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: najim on December 19, 2012, 11:03:34 AM



‎"দশ (১০)টা কাজ বিপদ ডেকে আনে"
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মত
১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, কী কী?
তিনি বললেনঃ
▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে।
▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল
হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)।
▣ যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে।
▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে।
▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে।
▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে।
▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী।
▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে।
▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে।
▣ উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে।
তখন আগুনের বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।”
*** সহীহ তিরমিযী; আততার গীবওয়াত তারহীবঃ ৩য় খন্ডঃ ১৫৪১।

Title: Re: One Hadith A Day
Post by: najim on December 20, 2012, 10:49:30 AM

●|●আপনি কি পাহাড় পরিমাণ সওয়াব চান?

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি কোন জানাযায় সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত শরীক হয়, তার জন্য রয়েছে এক ক্বীরাত পরিমাণ সওয়াব; আর যে ব্যক্তি দাফন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত শরীক হয়, তার জন্য রয়েছে দু’ ক্বীরাত্’ পরিমাণ সওয়াব। একজন প্রশ্ন করল, ‘দু’ ক্বীরাত্ কী?’ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন: (২ কিরাত হলো) ‘দুইটি বড় পাহাড়ের সমান’।’ [বুখারী : ১৩২৫ ও মুসলিম : ৯৪৫]

Title: Re: One Hadith A Day
Post by: najim on December 24, 2012, 12:30:23 PM


●|●আবূ হুরায়রা(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী(সাঃ) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে সাবধান থাক। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বললেনঃ
১) আল্লাহর সাথে শিরক করা,
২) যাদু করা,
৩) অন্যায়ভাবে কোন মানুষকে হত্যা করা,
৪) সুদ খাওয়া,
৫) ইয়াতীমের মাল(অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা,
৬) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা,
৭) নির্দোষ সতীসাধ্বী মু‘মিনা মহিলাকে অপবাদ দেয়া।
[সহীহ বুখারী, পর্ব ৫৫: ওয়াসিয়াত, অধ্যায় ২৩, হাঃ ২৭৬৭ ; সহীহ মুসলিম, পর্ব ১: ঈমান, অধ্যায় ৩৭, হাঃ৮৯]
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: najim on December 24, 2012, 12:31:28 PM

●|●আপনি কি প্রতিদিন সহজেই এক হাজার নেকী অর্জন করতে চান?

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে প্রতিদিন এক হাজার নেকী অর্জন করতে চায়?’ তার সাথে বসা এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করল: ‘একদিনে এক হাজার নেকী- এটা কী ভাবে সম্ভব?’ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘এক শ বার তাসবীহ পাঠ করলে (অর্থাৎ ১০০ বার সুবহানাল্লাহ পড়লে) এতে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা এক হাজার গুনাহ্ তার আমলনামা থেকে মুছে যাবে।’ [মুসলিম : ২৬৯৮]

Title: Re: One Hadith A Day
Post by: arefin on January 04, 2013, 05:30:17 PM
আবূ মালিক হারিস ইবনে আ’সেম আশআরী(রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল(সাঃ) বলেন, “পবিত্রতা অর্ধেক ঈমান। আর ‘আলহামদু লিল্লাহ’ (কিয়ামতে নেকীর) দাঁড়িপাল্লাকে ভরে দেবে এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ ও ‘আলহামদুলিল্লাহ’ আসমান ও যমীনের মধ্যস্থিত শূন্যতা পূর্ণ করে দেয়। সালাত হচ্ছে জ্যোতি। সাদকাহ হচ্ছে প্রমাণ। ধৈর্য হল আলো। আর কুর’আন তোমার স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল। প্রত্যেক ব্যক্তি সকাল সকাল স্বকর্মে বের হয় এবং তার আত্মা ব্যবসা করে। অতঃপর সে তাকে (শাস্তি থেকে) মুক্ত করে অথবা তাকে (আল্লাহর রহমত থকে বঞ্চিত করে) বিনাশ করে।” [সহীহ বুখারী ২২৩; সহীহ মুসলিম ৩৫১৭; ইবনু মাজাহ ২৮০; মুসনাদে আহমাদ ২২৩৯৫, ২২৪০১; দারেমী ৬৫৩]
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: Md. Khairul Bashar on January 12, 2013, 09:57:13 AM
(http://sphotos-h.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc6/s480x480/226639_357471891018094_863311445_n.png)
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: wahid on January 13, 2013, 02:33:06 PM
(http://sphotos-a.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/75295_320671488042427_1814408402_n.jpg)
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: arefin on January 25, 2013, 06:57:03 PM
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?” তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোন আসবাব-পত্র নেই।’ তিনি বললেন, “আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাজির হবে। কিন্তু এর সাথে সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো মাল (অবৈধভাবে) ভক্ষণ করেছে। কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর এ (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [সহীহ মুসলিম ২৫৮১; তিরমিযী ২৪১৮; মুসনাদে আহমাদ ৭৯৬৯, ৮২০৯, ৮৬২৫]
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: arefin on February 01, 2013, 06:09:33 PM
আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) একদা জুম’আর দিন সম্বন্ধে আলোচনা ক’রে বললেন, “ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে দান ক’রে থাকেন।” এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।(সহীহ বুখারী – ৯৩৫,৫২৯৫,৬৪০০; সহীহ মুসলিম – ৮৫২)
আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু সালামের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে এ হাদীস প্রসঙ্গে জানালাম। তিনি বলেন আমি সে সময়টি জানি। আমি বললাম, তাহলে আমাকেও বলে দিন, এ ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না। তিনি বললেন, এ সময়টি আসরের পর হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। আমি বললাম, তা কি করে আসরের পর হতে পারে? অথচ রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, বান্দা নামাযরত অবস্থায় এই মুহূর্তটি পেয়ে...। অথচ আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন তো নামায আদায় করা হয় না।আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম(রাঃ)বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কি বলেননি ‘যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে প্রকারান্তে সে নামাযের মধ্যেই থাকে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন সেটাই এ সময়। (সহীহ আত তিরমীযী – ৪৯১; ইবনু মাযাহ – ১১৩৯; মুয়াত্তা মালিক,৭ম পরিচ্ছেদ; নাসায়ী – ১৪৩৩)
Title: Re: One Hadith A Day
Post by: arefin on February 22, 2013, 10:15:51 AM
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মাঝে দু’ভাগে ভাগ করেছি, আমার বান্দার জন্য সে যা চাইবে।

বান্দা যখন বলে: ﴿ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ﴾ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব”।
আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।

বান্দা যখন বলে: ﴿ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ﴾ “দয়াময়, পরম দয়ালু”।
আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে।

বান্দা যখন বলে: ﴿مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ﴾ “বিচার দিবসের মালিক”।
আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছে। (একবার বলেছেন: আমার বান্দা তাকে আমার ওপর ন্যাস্ত করেছে),

বান্দা যখন বলে: ﴿إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ﴾ “আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই”।
আল্লাহ বলেন: এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে, আর আমার বান্দার জন্য যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে:
﴿ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [الفاتحة: 1، 7]
“আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন তাদের পথ, যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন। যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়”।
আল্লাহ বলেন: এটা আমার বান্দার জন্য, আমার বান্দার জন্য যা সে চাইবে”। [মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: najim on April 01, 2013, 02:09:42 PM


হাফস ইবন আসেম থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেনে, ‘ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলবে।’ (মুসলিম : ৫)

ইমাম নববি (রহ.) বলেন,
এ সব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যা যা শোনা যায় তার সব কিছু বলা নিষেধ। কারণ, প্রতিনিয়ত সত্য-মিথ্যা অনেক কিছুই শোনা যায়, অতএব যে ব্যক্তি সব কিছু বলে বেড়াবে তার দ্বারা মিথ্যা প্রচারিত হওয়াই স্বাভাবিক, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে না। আর এটাই হচ্ছে মিথ্যা, মিথ্যার জন্য ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দখল নেই। হ্যাঁ, গোনাহগার হওয়ার ইচ্ছা শর্ত।আল্লাই ভাল জানেন।’ (মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থ : ১/৭৫)
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on April 17, 2013, 09:50:38 AM
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাকে প্রথম তিন জান্নাতীকে এবং প্রথম তিন জাহান্নামীকে দেখানো হয়েছে।

প্রথম তিন জান্নাতী হলঃ
১) শহীদ। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে।
২)ক্রীতদাস। যে দুনিয়ায় মনিবের দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ থাকা স্বত্বেও কখনো আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগী থেকে বিরত থাকেনি।
৩) দুর্বল ও দরিদ্র অধিক সন্তান-সন্তুতির পিতা। যে নিজ অবস্থায় সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ও ধৈর্যশীল রয়েছে।

প্রথম তিন জাহান্নামী হলোঃ
১) অত্যাচারী শাসক।
২)অধিক সম্পদশালী ব্যক্তি, যে যাকাত প্রদান করে না।
৩) অহংকারী দরিদ্র ব্যক্তি, যে দারিদ্র্য ও নিঃস্বতা সত্ত্বেও অহংকার ত্যাগ করে না।

>>তিরিমিযী, মুসনাদে আহমাদ<<
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: jas_fluidm on April 17, 2013, 03:55:51 PM
thanks sir
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: arefin on April 23, 2013, 07:37:25 PM
একদিন সাহাবী হযরত সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস (রা.) বসে ওজু করছিলেন এবং ওই সময় রাসূল (সা.) তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার পানির ব্যবহার দেখে রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘এতো অপচয় কেন? সাহাবী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, অজুর মধ্যেও কি অপচয় হয়? রাসূল (সা.) বললেন, হ্যাঁ, এমন কি প্রবাহিত নদীর পাশে বসেও অজু করার সময় (পানি অযথা খরচ করলে অপচয় হিসেবে গোনাহ হবে)। (ইবনে মাজাহ)
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: jas_fluidm on April 27, 2013, 12:19:14 PM
thanks for the post
Title: Re: প্রতিদিন একটি হাদিস
Post by: Omar Faruk Mazumder on May 08, 2013, 11:55:12 AM
May Allah forgive us from all of ours sins and give us Hedayet.
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on May 17, 2013, 10:25:46 AM
(https://fbcdn-sphotos-f-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/p480x480/943491_468646743220533_276133504_n.jpg)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on May 24, 2013, 06:27:19 PM
আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) একদা জুম’আর দিন সম্বন্ধে আলোচনা ক’রে বললেন, “ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে দান ক’রে থাকেন।” এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।(সহীহ বুখারী – ৯৩৫,৫২৯৫,৬৪০০; সহীহ মুসলিম – ৮৫২)
আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু সালামের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে এ হাদীস প্রসঙ্গে জানালাম। তিনি বলেন আমি সে সময়টি জানি। আমি বললাম, তাহলে আমাকেও বলে দিন, এ ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না। তিনি বললেন, এ সময়টি আসরের পর হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। আমি বললাম, তা কি করে আসরের পর হতে পারে? অথচ রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, বান্দা নামাযরত অবস্থায় এই মুহূর্তটি পেয়ে...। অথচ আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন তো নামায আদায় করা হয় না।আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম(রাঃ)বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কি বলেননি ‘যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে প্রকারান্তে সে নামাযের মধ্যেই থাকে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন সেটাই এ সময়। (সহীহ আত তিরমীযী – ৪৯১; ইবনু মাযাহ – ১১৩৯; মুয়াত্তা মালিক,৭ম পরিচ্ছেদ; নাসায়ী – ১৪৩৩)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 03, 2013, 08:03:13 PM
আবূ হুরায়রা(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী(সাঃ) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে সাবধান থাক। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বললেনঃ
১) আল্লাহর সাথে শিরক করা,
২) যাদু করা,
৩) অন্যায়ভাবে কোন মানুষকে হত্যা করা,
৪) সুদ খাওয়া,
৫) ইয়াতীমের মাল(অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা,
৬) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা,
৭) নির্দোষ সতীসাধ্বী মু‘মিনা মহিলাকে অপবাদ দেয়া।
[সহীহ বুখারী, পর্ব ৫৫: ওয়াসিয়াত, অধ্যায় ২৩, হাঃ ২৭৬৭ ; সহীহ মুসলিম, পর্ব ১: ঈমান, অধ্যায় ৩৭, হাঃ৮৯]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 09, 2013, 11:27:20 AM
উমার বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: “সব কাজই নিয়তের উপর নির্ভর করে। আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করে সে তাই পায়। অতএব, যার হিজরত দুনিয়া লাভের আশায় বা কোন মেয়েকে বিয়ে করার নিয়তে হয়েছে, তার হিজরত উক্ত উদ্দেশ্যেই হয়েছে।” [বুখারী: ১, মুসলিম: ১৯০৭]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: najim on June 10, 2013, 11:45:59 AM


হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু বলেন,
একবার রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের জন্য
মাসজিদে আসলেন। দেখলেন যে, হাসির
কারণে কিছু লোকের দাঁতদেখা যাচ্ছে। রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ
করলেন,
যদি তোমরা স্বাদবিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী
করতে তবে তোমাদের এই অবস্থা হত
না যা আমি দেখছি।
সুতরাং স্বাদবিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ
কর। কেননা কবরের উপর এমন কোনদিন যায়
না যেদিন সে এই আওয়াজ দেয় না যে,
আমি অপরিচিতের ঘর, আমি একাকিত্বের ঘর,
আমি মাটির ঘর,আমি পোকামাকড়ের ঘর। যখন
মুমিন বান্দা কে দাফন করা হয় তখন কবর
তাকে বলে, তোমার আগমনবরকতময় হউক। খুব
ভাল করেছ যে তুমি এসে গেছ। যত লোক আমার
উপর চলাফেরা করত তাদের সকলেরমধ্যে তুমিই
আমার নিকট সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় ছিলে। আজ
যখন তোমাকে আমার কাছে সোপর্দ
করা হয়েছে এবং আমার নিকট এসেছ তখন আমার
উত্তম ব্যবহারও দেখতে পাবে। অতঃপর যতদূর
পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির দৃষ্টি পৌঁছতে পারে কবর
তার জন্য প্রশস্ত হয়ে যায়। এবং তার জন্য
একটা দরজা জান্নাতের দিকে খুলে দেওয়া হয়।
আর যখন কোন গুনাহগার
অথবা কাফেরকে কবরে রাখা হয় তখন কবর বলে,
তোমার আগমন বরকতময় না হউক, তুমি এসে খুব
মন্দ করেছ, যত লোক আমার উপর চলাফেরা করত
তাহাদের সকলের মধ্যে তোমার প্রতিই আমার
বেশী ঘৃণা ছিল। আজ যখন তুমি আমার
কাছে সোপর্দ হয়েছ, তখন আমার দুর্বাব্যহারও
দেখতে পাবে। অতঃপর কবর তাকে এমনভাবে চাপ
দেয় যে, একদিকের পাঁজর অন্য দিকের
পাঁজরে ঢুকে যায়। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একহাতের আঙ্গুলসমূহঅন্য
হাতের আঙ্গুলসমূহের মধ্যে ঢুকিয়ে বললেন যে,
এইভাবে একদিকের পাঁজর অন্যদিকে ঢুকে যায়। আর
আল্লহতায়া’লা তার উপর এমন সত্তরটি অজগর
সাপ নিযুক্ত করে দেন যার মধ্য হতে একটিও
যদি জমিনের উপর শ্বাস ফেলে তবে এর (বিষের)
প্রভাবে কিয়ামাত পর্যন্ত জমিনে ঘাস উৎপন্ন
হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তারা তাকে কিয়ামাত
পর্যন্ত কামড়াতে ও দংশন করতে থাকবে।
নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহিওয়া সাল্লাম
এরশাদ করেছেন, কবর জান্নাতের একটি বাগান
হবে অথবা জাহান্নামের একটি গর্ত। (তিরমিযী)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 12, 2013, 02:07:40 PM
আব্দুল্লাহ্ বিন আমর বিন ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনমা বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার মধ্যে চারটি অভ্যাস বিদ্যমান সে খাঁটি মোনাফেক। আর যার মধ্যে এগুলোর একটি অভ্যাস থাকে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মোনাফেকীর একটি স্বভাব থাকে। (১) তার কাছে আমানত রাখা হলে সে তার খেয়ানত করে (২) কথা বললে মিথ্যা বলে (৩) চুক্তি করলে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং (৪) ঝগড়া করলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে।” [বুখারী: ৩৪, মুসলিম: ৫৮]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 13, 2013, 09:28:26 PM
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমার মু’মিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন পুরস্কার নেই, যখন আমি তার দুনিয়ার প্রিয়তম কাউকে কেড়ে নিই এবং সে সওয়াবের নিয়তে সবর করে।’’

[ সহীহুল বুখারী ১২৮৩, ১২৫২, ১৩০২, ৭১৫৪, মুসলিম ৯২৬, তিরমিযী ৯৮৮, নাসায়ী ১৮৬৯, আবূ দাউদ৩১২৪, ইবনু মাজাহ ১৫৯৬, আহমাদ ১১৯০৮, ১২০৪৯, ১২৮৬০]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 28, 2013, 06:28:58 PM
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে, আরেক মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে। তাদের অবস্থা যেন এমন না হয় যে, দেখা সাক্ষাৎ হলে একজন অন্য জনকে এড়িয়ে চলে। এ দুজনের মাঝে ঐ ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে প্রথম সালাম দিয়ে পুনরায় সম্পর্ক করবে।

{মুসলিম : ৬৬৯৭}
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on July 07, 2013, 10:02:24 PM
রত সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-জান্নাতে একটি দরজা আছে, যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে শুধু রোযাদাররাই প্রবেশ করবে। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে-কোথায় রোযাদারগণ? তখন তারা উঠে দাড়াবে। তারা ব্যতীত কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অতঃপর রোযাদারগণ যখন প্রবেশ করবে, তখন তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে অন্য কেউ ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

 {সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৮৯৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৫২; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২২৮১৮, ২২৮৪২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস : ১৯০২; জামে তিরমিযী, হাদীস : ৭৬৫; সুনানে কুবরা, হাদীস : ২৫৪৪}
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on July 11, 2013, 09:25:41 AM
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মিম্বরে আরোহণ করলেন। অতপর বললেন, আমীন, আমীন আমীন। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, এটা আপনি কী করলেন? তিনি বললেন, জিবরীল আমাকে বললেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিধুসরিত হোক যার সামনে রমযান প্রবেশ করলো অথচ তাকে ক্ষমা করা হলো না। আমি শুনে বললাম, আমীন (আল্লাহ কবূল করুন) এরপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিধুসরিত হোক যার সামনে আপনার কথা আলোচিত হয় তথাপি সে আপনার ওপর দরূদ পড়ে না। তখন আমি বললাম, আমীন (আল্লাহ কবূল করুন) অতপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিধুসরিত হোক যে তার পিতামাতা বা তাঁদের একজনকে পেল অথচ সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলো না। তখন আমি বললাম, আমীন (আল্লাহ কবূল করুন)।[বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ : ৬৪৬; শায়খ আলবানী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। সহীহ ইবন খুযাইমাহ : ১৮৮৮; বাইহাকী : ৮২৮৭]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on July 11, 2013, 09:26:40 AM
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন-
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্ন জিজ্ঞেসা করার আগে বনী আদমের পা এক কদমও নড়তে পারবেনা। সেগুলো হলোঃ

১. সে নিজের জীবনটা কোন্‌ পথে কাটিয়েছে?

২. যৌবনের শক্তি কোন্‌ কাজে লাগিয়েছে?

৩. ধন সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছে?

৪. কোন পথে ধন সম্পদ ব্যয় করেছে?

৫.দীন ইসলাম সম্পর্কে যতোটুকু জানতো, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।
{তিরমিযী}
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: najim on July 13, 2013, 11:03:26 AM


নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"ফেরেশতা মন্ডলী যেমন তাদের প্রভুর সামনে কাতারবদ্ধ
হয় তোমরা কি তেমন কাতারবদ্ধ হবে না ?
আমরা জিজ্ঞাসা করলাম: হে আল্লাহর রাসুল!
ফেরেশতা মন্ডলী তাদের প্রভুর সামনে কিভাবে কাতারবদ্ধ
হয় ? তিনি বললেন: তারা আগের কাতারগুলো পূর্ণ
করে এবং মাঝখানে ফাঁক না রেখে মিলিতভাবে দাড়ায়।"
(সহীহুল মুসলিম - ৪৩০)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"তোমাদের নামাযে কাতারগুলোকে মিলাও এবংপরস্পর
নিকটবর্তী হয়ে যাও, আর কাঁধের সাথেকাঁধ মিলাও।সেই
সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রণ, অবশ্য
আমি শয়তানকে কাতারের
মধ্যে এমনভাবে ঢুকতে দেখি যেমন ছোট ছাগল ঢোকে।"
(আবু দাউদ - ১০৯২)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা,
আমি আমার পিছনের দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই।
আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা প্রত্যেকই তার
পার্শ্ববর্তী ব্যাক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের
সাথে পা মিলাতাম।"
(সহীহুল বুখারী - ৬৮৯)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: najim on July 13, 2013, 11:09:41 AM

“জান্নাতে প্রতি জুম’আর দিনে জান্নাতীদের হাট
বসবে।
জান্নাতী লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত
হবেন। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর হাওয়া বইবে,
যে হাওয়ায় জান্নাতীদের সৌন্দর্য অনেক
গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত
হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে।”-
[মুসলিম;২৮৩৩, ৭১/৭৫৩]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on July 23, 2013, 10:14:57 AM
আবু মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,'যখন কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয় অথবা সফর করে, তার জন্য সে সুস্থ্য ও ঘরে থাকতে যেরূপ নেকি কামাই করতো অনুরূপ নেকি লেখা হয়।'[বুখারী : ২৯৯৬; আহমদ, মুসনাদ : ১৯৬৯৪]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: rumman on July 24, 2013, 10:14:43 AM
(https://lh3.googleusercontent.com/Nen9dPIEs6OFS5LsRHf_S6fgETpR8LS51sP7cFRt_w=w261-h207-p-no)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 07, 2013, 01:54:11 PM
হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর (সা.) ইরশাদ করেছেন, যাকে আল্লাহ্ পাক মাল-সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার যাকাত আদায় করল না, কিয়ামতের দিন তার মালকে তার জন্য একটি টেকো সাপে (অত্যন্ত বিষের কারণে) পরিণত করা হবে। যার চক্ষুর উপর দুটি কালো দাগ থাকবে। ঐ সাপকে ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় বেড়ী স্বরূপ পরানো হবে। সে আপন মুখের দুই দিক দ্বারা তাকে দংশন করতে থাকবে এবং বলবে, আমি তোমার মাল, আমি তোমার গচ্ছিত অর্থ। অতঃপর নবী কারীম (সা.) (এর সমর্থনে) এই আয়াত নাযিল হয়- (অর্থাৎ-) “যারা কৃপণতা করে থাকে, আল্লাহ্ পাক তাদেরকে যে মাল দিয়েছেন তা নিয়ে তারা যেন মনে না করে যে, এটা তাদের জন্য উত্তম, বরং এটি তাদের জন্য মন্দ। অতি শীঘ্র ক্বিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী স্বরূপ করা হবে, যা নিয়ে তারা কৃপণতা করছে।"

{সহীহ বুখারী ,হাদিস-১৩২১; সুনান কুবরা,বাইহাকী,হাদিস-১২৭৪৭, মুসনাদ আহমাদ,হাদিস-৮৪৪৭; সুনান নাসায়ী,হাদিস-২২৭৩;শরহুস সুন্নাহ;হাদিস-১৫৬০;মেরকাত,হাদিস-১৭৭৪}
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 13, 2013, 10:05:47 PM
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা যা উপকারে আসবে তার প্রতি লালায়িত হও এবং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর, হীনবল হয়ো না। কোন দুঃখ-কষ্ট দেখা দিলে এমন বলো না যে, আমি যদি এমন করতাম তাহলে এই হতো, ওই করলে ওই হতো। বরং বলো, আল্লাহ্‌ তা'আলাই এটা স্থির করেছেন। তিনি যা ইচ্ছে করেছেন তাই করেছেন। কেননা 'যদি' বলাটা শয়তানের কাজ করার পথ খুলে দেয়।
[মুসলিম,হাদিস-৪৮১৬; ইবনে মাজাহ,হাদিস-৪১৫৮]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 30, 2013, 10:30:55 AM
“জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on September 01, 2013, 04:01:49 PM

“আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ফাতেমা পায়ে হেঁটে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে আসছিলেন। তার হাঁটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাঁটার মতই ছিল। তাকে দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, স্বাগতম আমার মেয়ের প্রতি! তার পর তাকে তার ডান বা বাম দিকে বসালেন, তারপর তার কানে কানে কিছু কথা বললে, তিনি কেঁদে দিলেন, তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কেন কাঁদছ? তারপর আবারও তিনি কানে কানে কিছু কথা বললেন , তখন তিনি হেসে দিলেন। তখন আমি বললাম, আজকের দিনের মত এত বেশি খুশি তোমাকে আমি আর কখনো দেখিনি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলছে্ন? তখন ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপন কথা কারও নিকট প্রকাশ করব না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তখন তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, "জিবরীল (আ) প্রতি বছর একবার করে আমার নিকট কুরআন পেশ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর তিনি দুইবার কুরআন পেশ করেছেন। এর কারণ, এটাই যে, আমার সময় ফুরিয়ে আসছে। আর আমার পরিবারের মধ্যে তুমিই সবার আগে আমার সাথে সম্পৃক্ত হবে।" এ কথা শুনে আমি কাঁদি। তারপর তিনি বললেন, "তুমি কি এতে খুশি নও যে, তুমি জান্নাতী নারীদের বা মুমিন নারীদের সরদার হবে?" এ কথা শুনে আমি হাসলাম।[ বুখারি, হাদিস: ২৬২৪]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on September 04, 2013, 12:48:34 PM
ওযু শেষ হলে এই দু’আটি পাঠ করবেঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ
“আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজ্ আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ্ আলনী মিনাল মুতাতাহ্হেরীন।” অর্থ- “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত উপাসনার যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই। তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। হে আল্লাহ্! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে শামিল কর।” যে ব্যক্তি এই দুয়া পাঠ করবে তার জন্য বেহেস্তের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

[মুসলিম, অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুচ্ছেদঃ ওযুর পর মুস্তাহাব দু’আ। তিরমিযী, অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হা/ ৫০।]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on September 07, 2013, 07:06:55 PM
আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
‘‘কুরআন পাঠকারী মুমিনের হচ্ছে ঠিক কমলা লেবুর মত; যার ঘ্রাণ উওম এবং স্বাদও উওম । আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট । (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসি) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উওম কিন্ত স্বাদ তিক্ত । আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’’ [বুখারী ৫০২০, মুসলিম ৭৯৭]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on October 03, 2013, 09:15:42 PM

আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান গরীব কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নাই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব যে, কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল খেয়েছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। [তিরমিযী:২৪১৮]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on October 03, 2013, 09:16:22 PM
আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে শত্রুতা রাখে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার বান্দা ফরয ইবাদতের চাইতে আমার কাছে অধিক প্রিয় কোনো ইবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে পারে না। আমার বান্দা নফল ইবাদত দ্বারাই সর্বদা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয়পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমি তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলে। সে আমার কাছে কোনো কিছু চাইলে আমি অবশ্যই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় চায় আমি তাকে অবশ্যই আশ্রয় দেই। আমি যে কোনো কাজ করতে চাইলে তাতে কোনো রকম দ্বিধা-সংকোচ করি না, যতটা দ্বিধা-সংকোচ করি মুমিন বান্দার প্রাণহরণে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে থাকে অথচ আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি।’ [বুখারী : ৬৫০২]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on October 27, 2013, 11:51:15 AM
আবদুস সালাম ইবন মুতাহ্হার (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) সাহায্য চাও। [সহীহ বুখারি, অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান - হাদিস নাম্বারঃ 38]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on December 08, 2013, 10:22:03 PM
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, (সেগুলো হচ্ছে) আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।
(সহীহ বুখারীঃ ২৪৭৭)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on December 10, 2013, 05:22:27 PM
হযরত উসামা ইবনে যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে হাজির করা হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তার নাড়ীভুড়ি আগুনের মাঝেই বেরিয়ে আসবে। এরপর সে এটাকে এমনভাবে পিষবে যেমনভাবে গাধা চাক্কি পিষে। এ অবস্থা দেখে অন্য জাহান্নামবাসীরা তার নিকট এসে জড়ো হবে এবং জিজ্ঞেস করবে, তোমার এ অবস্থা কেনো? তুমি কি আমাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দান এবং অন্যায় কাজ করা হতে নিষেধ করোনি? এরূপ নেক কাজ করা সত্ত্বেও তুমি এখানে এলে কিভাবে?
সে ব্যক্তি জবাবে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎকাজের দীক্ষা দিতাম ঠিকই। কিন্তু আমি তার ধারে কাছেও যেতাম না এবং পাপ কাজ হতে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলতাম কিন্তু আমি নিজে তা করতাম। [বুখারী, মুসলিম}

হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমরা কি জান, দরিদ্র কে? তাঁরা বললেন, আমাদের মধ্যে যার অর্থ সম্পদ নেই, সে দরিদ্র। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ব্যক্তি সে, যে কিয়ামতের দিন প্রচুর নামায, যাকাত, রোযা ও হজ্জ্ব সাথে করে আনবে, কিন্তু সে এমন অবস্থায় আসবে, কাউকে গালি দিয়ে এসেছে, কারো উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এসেছে, কারো সম্পদ হরণ করে এসেছে, কারো রক্তপাত করেছে উকে প্রহার করেছে। রপর এ ব্যক্তির সৎ কর্মগুলো তাদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হবে। এভাবে মযলুমদের ক্ষতি পূরণের সাথে তার সৎ কাজগুলো শেষ হয়ে গেলে মযলুমদের গুনাহগুলো একে একে তার ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
[মুসলিম, তিরমিযি]

হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে (তার সত্যতা যাচাই না করে) তাই বলে বেড়ায় বা প্রচার করে।
[মুসলিম]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on December 23, 2013, 10:35:10 AM
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
‘বান্দা যখন আল্লাহকে সিজদা করে ঐ সময় সে তার রবের সবচেয়ে নিকটে পৌঁছে যায়। সুতরাং সে অবস্থায় তোমরা বেশী বেশী করে দো‘আ কর। (কারণ এটি দু‘আ কবূলের উত্তম সময়) [মুসলিম -৪৭৯]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on January 09, 2014, 03:02:54 PM
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) তুমি আল্লাহর পথে ব্যয় কর, এক দীনার ক্রীতদাস মুক্ত করার কাজে ব্যয় কর, এক দীনার কোন মিসকীনকে সাদাকাহ কর এবং এক দীনার তুমি পরিবার পরিজনদের জন্য ব্যয় কর। এসবের মধ্যে ঐ দীনারের বেশী নেকী রয়েছে যেটি তুমি পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করবে।”
[সহীহ মুসলিম ৯৯৫; মুসনাদে আহমাদ ৯৭৬৯, ৯৮১৮]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on February 24, 2014, 10:42:21 PM
(https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-frc3/t1/1662420_609238049161401_1330915015_n.jpg)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on April 07, 2014, 12:58:34 PM
আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে বললেন, হে আব্দুল্লাহ আমর! তুমি তো একাধারে সওম পালন করে যাচ্ছ । সারা রাত ইবাদতে দাড়িয়ে থাক । তুমি এরুপ করলে-তাহতে তোমার-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবে । যে ব্যক্তি সর্বদা সওম পালন করল, সে মূলত সওম-পালন করল না । মাসে তিন দিন সওম পালন কর । পূর্ণ মাস সওম পালনের সমতূল্য । আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশি সামর্থ্য রাখি । তিনি বললেন, দাঊদ (আঃ)-এর ন্যায় সওম পালন কর । তিনি একদিন সওম পালন করতেন এবং একদিন ছেড়ে দিতেন এবং পলায়ন করতেন না যখন তিনি শক্রর সম্মুখীন হতেন ।

[কিতাবুস সিয়াম :: সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৬ :: হাদিস ২৫৯২]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on May 02, 2014, 07:05:08 PM
উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম্মার দিন এটি একটি মহান দিন । জুম'আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল । অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল।
[ { বুখারী ৮৭৬, ইফা ৮৩২, আধুনিক ৮২৫; মুসলিমঃ ৮৫৫ }]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 05, 2014, 11:29:39 AM
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ পাঁচটি বিষয়ের ওপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছেঃ একথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর রাসূল, নামায কায়েম করা, যাকাত দেয়া, বায়তুল্লাহর হজ্জ করা এবং রমযানের রোযা রাখা।

[রিয়াযুস স্বা-লিহীন :: বই ১১ :: হাদিস ১২৭১]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on June 09, 2014, 10:17:35 AM
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেছেন : যে ব্যক্তি মৃতের জন্য সালাত আদায় করা পর্যন্ত জানাযায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কীরাত (সাওয়াব), আর যে ব্যক্তি মৃতের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার জন্য দু’ কীরাত (সাওয়াব) । জিজ্ঞাসা করা হল দু’ কীরাত কি ? তিনি বললেন, দু’ টি বিশাল পর্বত সমতুল্য ।

[সহিহ বুখারী :: খন্ড ২ :: অধ্যায় ২৩ :: হাদিস ৪১০]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: jas_fluidm on July 21, 2014, 05:32:41 PM
May Allah forgive us from all of our sins and give us Hedayet.
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 01, 2014, 10:32:54 AM
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বসেছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমাদের সামনে উপস্থিত হয়, যার কাপড় ছিল ধবধবে সাদা, চুল ছিল ভীষণ কালো; তার মাঝে ভ্রমণের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। আমাদের মধ্যে কেউ তাকে চিনতে পারে নি। সে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে গিয়ে বসে, নিজের হাঁটু তার হাঁটুর সঙ্গে মিলিয়ে নিজের হাত তার উরুতে রেখে বললেন: “হে মুহাম্মাদ, আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন”। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন: “ইসলাম হচ্ছে এই- তুমি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল, সালাত প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত আদায় কর, রমাদানে সওম সাধনা কর এবং যদি সামর্থ থাকে তবে (আল্লাহর) ঘরের হজ্জ কর।” তিনি (লোকটি) বললেন: “আপনি ঠিক বলেছেন”। আমরা বিস্মিত হলাম, সে নিজে তার নিকট জিজ্ঞাসা করেছে আবার নিজেই তার জবাবকে ঠিক বলে ঘোষণা করছে। এরপর বলল: “আচ্ছা, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন”। তিনি (রাসূল) বললেন: “তা হচ্ছে এই- আল্লাহ্, তাঁর ফিরিশ্‌তাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ ও আখেরাতর উপর ঈমান আনা এবং তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনা।” সে (আগন্তুক) বলল: “আপনি ঠিক বলেছেন”। তারপর বলল: “আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন”। তিনি বলেন: “তা হচ্ছে এই- তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ, আর তুমি যদি তাঁকে দেখতে নাও পাও তবে তিনি তোমাকে দেখছেন”। সে (আগন্তুক) বলল: “আমাকে কেয়ামত সম্পর্কে বলুন”। তিনি (রাসূল) বললেন: “যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে সে জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশী কিছু জানে না”। সে (আগন্তুক) বলল: “আচ্ছা, তার লক্ষণ সম্পর্কে বলুন”। তিনি (রাসূল) বললেন: “তা হচ্ছে এই- দাসী নিজের মালিককে জন্ম দেবে, সম্পদ ও বস্ত্রহীন রাখালগণ উঁচু উঁচু প্রাসাদে দম্ভ করবে”। তারপর ঐ ব্যক্তি চলে যায়, আর আমি আরো কিছুক্ষণ বসে থাকি। তখন তিনি (রাসূল) আমাকে বললেন: “হে উমার, প্রশ্নকারী কে ছিলেন, তুমি কি জান? আমি বললাম: “আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল অধিক ভাল জানেন”। তিনি বললেন: “তিনি হলেন জিবরীল। তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিক্ষা দিতে তোমাদের কাছে এসেছিলেন।” [সহীহ্ মুসলিম: ৮]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 02, 2014, 06:52:09 PM
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ হাই তুলবে, তখন সে যেন আপন হাত দিয়ে নিজ মুখ চেপে ধরে রাখে। কেননা, শয়তান (মুখে) প্রবেশ করে থাকে।’’[আবূ দাউদ ৫০৩৮, তিরমিযী ২৭৩৯,আহমাদ ১৯০৮৯, ১৯১৮৫]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 02, 2014, 06:53:01 PM
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "প্রত্যেহ যখন সূর্য উঠে মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক গ্রন্থির সাদকাহ্ দেয়া অবশ্য কর্তব্য। দু'জন মানুষের মাঝে ইনসাফ করা হচ্ছে সাদকাহ্, কোন আরোহীকে তার বাহনের উপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সাদকাহ্, ভাল কথা হচ্ছে সাদকাহ্, সালাতের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ হচ্ছে সাদকাহ্ এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সাদকাহ্।"
[বুখারী: ২৯৮৯, মুসলিম: ১০০৯]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on August 04, 2014, 11:15:45 AM
‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনে ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, “তোমরা যখন আযান শুনবে, তখন (আযানের উত্তরে) মুয়াজ্জিন যা কিছু বলবে, তোমরাও ঠিক তাই বলবে। তারপর আযান শেষে আমার উপর দরূদ পাঠ করবে। কেননা, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, তার বিনিময়ে তার প্রতি আল্লাহ দশটি রহমত নাযিল করবেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট আমার জন্য ‘অসীলা’ প্রার্থনা করবে। কারণ, ‘অসীলা’ হচ্ছে জান্নাতের এমন একটি স্থান, যা সমস্ত বান্দার মধ্যে কেবল আল্লাহর একটি বান্দা (তার উপযুক্ত) হবে। আর আশা করি, আমিই সেই বান্দা হব। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য অসীলা প্রার্থনা করবে, সে (আমার) সুপারিশ প্রাপ্ত হবে।”
[সহীহুল বুখারী ৬১১, মুসলিম ৩৮৩, তিরমিযী ২০৮, নাসায়ী ৬৭৩, আবূ দাউদ ৫২২, ইবনু মাজাহ ৭২০, আহমাদ ১০৬৩৭, ১১১১২, ১১৩৩৩, ১১৪৫০, মুওয়াত্তা মালিক ১৫০, দারেমী ১২০১]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on November 14, 2014, 08:05:15 AM
(https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-xpa1/v/t1.0-9/10391454_744233358995202_4128821182370295213_n.jpg?oh=9f8e17836a5039b3394d6856353632a9&oe=54ED9F31&__gda__=1427927177_cadd6f5ef172500b62d973d76cbcb172)
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: mrchawdhury on November 19, 2014, 03:18:12 PM
alhamdulillah. nice initiative by respected Arefin sir.Barakallahu fik.
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on January 26, 2015, 05:58:11 PM
মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে আছেন। সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময় মহানবী (সাঃ)বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের প্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসার সাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত জানা ছিল না অধিকাংশের। এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই সাহাবী। তৃতীয় দিন নবীজি(সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন। পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর, সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেই সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে। বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এই সাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলে তাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়ে বললেন,“আমার বাবার সাথে আমার মনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতে কি আমাকে তিন দিনের জন্য থাকতে দেবে?’’ সেই সাহাবী রাজী হলেন। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন,খুঁজতে থাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন। সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়ল না। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাত জেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামায পড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন। উঠলেন সেই ফজর পড়তে। পরের দুটি দিনও এভাবে কেটে গেল। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণ আবিষ্কার করতে পারলেন না যা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকে বললেন, “দেখ আমার বাবার সাথে আমার কোন মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল তুমি আলাদা কী এমন আমল করো?’’ সেই সাহাবী বললেন, “তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমি তেমনই,আলাদা কিছুতো আমার মনে পড়ছে না।” এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন। এমন সময় সেই সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন, ‘আমার একটা অভ্যাসেরকথা তোমায় বলা হয়নি – "রোজরাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে। তাদের প্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না” হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) এ কথা শুনে বললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যই তুমি জান্নাতি”। রাসূল (সাঃ)বলেছেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। [বুখারী ও মুসলিম]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on January 26, 2015, 06:00:13 PM
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, কী কী?
তিনি বললেনঃ
▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে।
▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)।
▣ যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে।
▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে।
▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে।
▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে।
▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী।
▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে।
▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে।
▣ উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে।
তখন আগুনের বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।”
[সহীহ তিরমিযী; আততারগীব ওয়াত তারহীবঃ ৩য় খন্ডঃ ১৫৪১]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on January 29, 2015, 08:19:33 PM
Dua: During Walking to the mosque

Allahummaj'al fee qalbee nooran wa fee lisaanee nooran waj'al fee sam'iee nooran, waj'al fee basaree nooran, waj'al fee khalfee nooran wa min amaamee nooran waj'al min fauqee nooran wa min tahtee nooran . Allahumma i'itinee nooran.

Translation: O Allah, please put light into my heart. Turn my hearing into light. Let there be light in front of me, above, and below me/ O Allah, grant me light. [Source: Muslim]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on February 02, 2015, 06:12:18 PM
اللّهُـمَّ إِنّـي أَعـوذُبِكَ أَنْ أُشْـرِكَ بِكَ   وَأَنا أَعْـلَمْ، وَأَسْتَـغْفِرُكَ لِما لا أَعْـلَم
Dua for Protection from SHIRK

Transliteration : Allaahumma 'innee 'a'oothu bika 'an 'ushrika bika wa 'anaa 'a'lamu, wa 'astaghfiruka limaa laa 'a'lamu.

Translation: O Allah, I seek refuge in You lest I associate anything with You knowingly, and I seek Your forgiveness for what I know not.

[Ahmad 4/403. See also Al-Albani, Sahih ul-Jami' As-Saghir 3/233 and Sahih ut-Targhib wat- Tarhib 1/19.]

Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on February 15, 2015, 08:06:53 AM
মা আয়িশাহ (রাঃ) একবার রাসুল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার রহমত এবং করুণা ছাড়া কেউ কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে?”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহ তায়ালার রহমত ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে এমন কেউ নেই।”
তখন মা আয়িশাহ (রাঃ) আবার জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি ও নন ইয়া রাসূলুল্লাহ?”
তিনি বললেন, “না, এমনকি আমিও না। তবে আল্লাহ তায়া’লা আমাকে তাঁর স্বীয় রহমত দ্বারা ঢেকে রাখবেন।”
এ কথাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বললেন। [মিশকাতুল মাসাবিহঃ ৪০৮ পৃষ্ঠা]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on March 25, 2015, 02:16:40 PM
Narrated from ‘Abdullah ibn ‘Amr ibn al-‘Aas (may Allah be pleased with him) that the Prophet (blessing and peace of Allah be upon him) passed by Sa‘d when he was doing wudoo’, and he said, “What is this extravagance, O Sa‘d?” He said: Can there be any extravagance in wudoo’? He said, “Yes, even if you are on the bank of a flowing river.”
[Imam Ahmad (6768) and Ibn Maajah (419) ]
Title: Re: One Day One Hadith (প্রতিদিন একটি হাদিস)
Post by: arefin on March 25, 2015, 02:17:24 PM
On the authority of Ibn Abbas (RA), from the Messenger of Allah (SAW), from what he has related from his Lord: Verily Allah ta’ala has written down the good deeds and the evil deeds, and then explained it [by saying]: "Whosoever intended to perform a good deed, but did not do it, then Allah writes it down with Himself as a complete good deed. And if he intended to perform it and then did perform it, then Allah writes it down with Himself as from ten good deeds up to seven hundred times, up to many times multiplied. And if he intended to perform an evil deed, but did not do it, then Allah writes it down with Himself as a complete good deed. And if he intended it [i.e., the evil deed] and then performed it, then Allah writes it down as one evil deed." [related by al-Bukhari (6491) and Muslim (131)]