Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - syful_islam

Pages: [1] 2 3 4
1
অ্যালোভেরার ভেষজ উপাদান ত্বকের যত্নে অনন্য। ত্বকের পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুল ঝলমলে করতে পারে এই ভেষজ উপাদান।

অ্যালোভেরার রস
সপ্তাহে দুইবার অ্যালোভেরার রস দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি নিয়মিত করলে দূর হবে খুশকি। এছাড়া শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে মাথার তালু থেকে সম্পূর্ণ চুলে অ্যালোভেরার রস লাগান। তারপর সুতির কাপড় দিয়ে ১৫ মিনিট মুড়ে রাখুন। চুল খুলে প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে নিন।     
অ্যালোভেরার পেস্ট

অ্যালোভেরার পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মাথার তালুতে ঘষে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মাথা। প্রতি মাসে দুইবার করলে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।

অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল সংগ্রহ করে মাথার তালু থেকে শুরু করে চুলের নিচ পর্যন্ত লাগান। পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরার জেল প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে চুল।

অ্যালোভেরা হেয়ার প্যাক
৩ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। মিশ্রণটি চুলে লাগান। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি জৌলুস বাড়বে চুলের। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
Published on 24th July 2019 in the online version of The Bangladesh Protidin

2
Faculty Sections / মশা তাড়ানোর ৮ উপায়
« on: July 21, 2019, 11:43:31 AM »

মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি মারাত্মক রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি বেড়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। তাই এসব রোগ থেকে বাঁচতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে ঘরের মশা তাড়ানো।

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরের মশা তাড়ানো যায়। আগের যুগে মশার কয়েল, স্প্রে তো কিছুই ছিল না। তখনকার মানুষ কিভাবে মশার হাত থেকে রক্ষা পেতেন? আসুন জেনে নেই যেভাবে ঘরের মশা তাড়াবেন-

১. লেবু খণ্ড করে কেটে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন।

২. সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না।

৩. ছোট গ্লাসে একটু পানি নিয়ে তাতে ৫ থেকে ৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর পানি বদলে দেবেন। জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে, তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা।

৫. প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৬. মশার উৎপাত কমাতে চাইলে, ঘরের বৈদ্যুতিক আলোটি হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন।

৭. মশাদ তাড়াতে আপনার টেবিল ফ্যান বা পেডাল ফ্যানটি চালু রাখুন। মশাদের হাত থেকেও যেমন নিস্কৃতি পাবেন তেমনি গরমেও পাবেন আরাম।

৮. কর্পূরের ব্যবহার মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোনো ফার্মেসিতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন।

Published on 21st July in the online version of The Daily Jugantor

3
প্রকাশ : ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০৮:৪৩
অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ডেস্ক
খুশকির সমস্যা দূর করে আমের আঁটি

আমের আঁটি ফেলে না দিয়ে যত্নে রাখুন কেননা এটির রয়েছে নানা গুণাগুণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম আমের আঁটিতে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২। এছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান।

আমের আঁটি নানা সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে প্রথমে এটি গুঁড়া করে নিন। এবার জেনে নিন আমের আঁটির গুঁড়ার গুণাবলিগুলো-
১. আপনি যদি খুশকির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যান তবে আমের আঁটি ব্যবহার করতে পারেন। এক চিমটি আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে ২-৩ চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভাল করে মালিশ করুন। এতে চুল উজ্জ্বল হবে পাশাপাশি খুশকির সমস্যা দূর হবে।

২. শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের আমের আটির জুড়ি নেই। এজন্য আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ত্বক তেলতেলে ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

৩. দাঁতের যত্নেও আমের আঁটি ব্যবহার করতে পারেন। ঝকঝকে দাঁত আর সুস্থ মাড়ি পেতে আমের আঁটির গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজুন।

৪. পিঁপড়া, মৌমাছি বা অন্যান্য কীট কামড়ালে জ্বালা-পোড়া করে। এই জ্বালা-পোড়া দূর করতে আক্রান্ত স্থানে আমের রস বা আমের আঁটির গুঁড়া লাগালে সাময়িক ভাবে ব্যথার বোধ দ্রুত কমে যায়।

৫. যে কোনও খাবারের সঙ্গে আমের আঁটির গুঁড় মিশিয়ে খেতে পারলে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

4
প্রকাশের সময় : জুলাই ১৩, ২০১৯, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

আপডেট সময় : জুলাই ১৩, ২০১৯ at ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

মুসবা তিন্নি : অনেকেই একবারে বেশি রুটি বানিয়ে পরে খেতে পারেন না কারণ রুটিগুলো পরে শক্ত হয়ে যায়। আসুন জেনে নেই এই সমস্যার সমাধান কী।

    আটা মেখে নেয়ার সময় হালকা তেল দিয়ে মাখুন
    এতে আটা নরম হবে এবং সংরক্ষণে সুবিধা হবে
    রুটি বানিয়ে হালকা করে সেঁকে নিন
    টেবিলে বড় করে পত্রিকা বিছিয়ে সেঁকে নেয়া রুটিগুলো বিছিয়ে শুকিয়ে নিন
    জিপলক ব্যাগ বা এয়ার টাইট বক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন
    খাওয়ার আগে বের করে সেঁকে নিন
    ছুটির দিনে সময় করে বেশি করে রুটি বানিয়ে রাখুন
    এভাবে ফ্রিজে রাখা রুটি ৭ দিনের বেশি রাখবেন না
    আগেরগুলো খেয়ে আবার নতুন করে বানিয়ে রাখুন।

Published in the online version of The Amader Shomoy on 14-07-2019.

5
প্রকাশের সময় : জুলাই ৬, ২০১৯, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

আপডেট সময় : জুলাই ৬, ২০১৯ at ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

মুসবা তিন্নি : সুগার নিয়ন্ত্রণ করা এখনকার সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের খাওয়া-দাওয়ায় অনেক বাধানিষেধ রয়েছে। অনেক ভেবে চিন্তে খেতে হয় তাদের। তবে একটি খাবার খুব নিশ্চিন্তে তারা খেতে পারেন। সেটি ঢেঁড়শ। ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পুষ্টি, ফাইবার, ভিটামিন বি-সিক্স, আর ফলিট। এছাড়া সুগারকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঢেঁড়শ।

ঢেঁড়শের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই রোগ হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। এর মধ্যে থাকা ফাইবারও একই ভাবে সুগার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ঢেঁড়শে রয়েছে আরও নানা গুণ। উচ্চমাত্রার আঁশের কারণে এটি হজম শক্তি বাড়ায়। ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Published in the Amader Shomoy on 7-7-19.

6

অনলাইন ভার্সন

যেভাবে ভরপেট ভাত খেলেও জমবে না মেদ!
অনলাইন ডেস্ক
যেভাবে ভরপেট ভাত খেলেও জমবে না মেদ!

বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা, ভাত বেশি খেলে ওজন বাড়ে। ধারণাটা পুরোপুরি মিথ্যে নয়। চালে থাকা স্টার্চের কারণেই বেশি ভাত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ার শঙ্কা বেশি। কিন্তু খাঁটি বাঙালির তো ভাত ছাড়া চলে না। একটি কৌশল অবলম্বন করলে ইচ্ছেমতো ভাত খেতে পারেন আপনি। তাও আবার মোটা হওয়ার ঝুঁকি ছাড়াই।

তার জন্য ভাত রান্নার কৌশলে আনতে হবে পরিবর্তন। গরম ফুটন্ত পানিতে চাল দেওয়ার আগে একটু নারিকেল তেল যোগ করুন। মোটামুটি যে পরিমাণ চাল নেওয়া হচ্ছে তার তিন শতাংশ পরিমাণ তেল হলেই চলবে। হাফ কাপ চালের ভাত রান্না করতে চাইলে এক চা-চামচ তেল যোগ করুন। ভাত হওয়ার পর তা রেফ্রিজারেটরে ঠাণ্ডা করুন ১২ ঘণ্টা। খাওয়ার সময় শুধু গরম করে নিন।
নারিকেল তেল মেশানোর কারণে চালের মধ্যে থাকা স্টার্চ ভেঙে গ্লুকোজ ও গ্লাইকোজেনে পরিণত হয়। এই গ্লাইকোজেনের কারণেই মেদ জমে। রান্নার আগে নারিকেল তেল যোগ করার ফলে তেলের লিপিড এর মধ্যে ঢুকে পড়ে। ফলে স্টার্চের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন ঘটে। এর কারণেই এভাবে রান্না করা ভাত খাওয়ায় মেদ জমার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

Published on 12 June in online version of the Bangladesh Protidin

7
প্রকাশের সময় : জুন ১১, ২০১৯, ৪:১৩ অপরাহ্ণ

আপডেট সময় : জুন ১১, ২০১৯ at ৪:১৩ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক: অনেকেই আঁচিল নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছেন। ডাক্তার কাছে গিয়েও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের এই উপবৃদ্ধি থেকে নিস্তার মেলে না। এবার জেনে নিন টাকা খরচ না করে ওষুধ না খেয়েও ঘরোয়া জিনিস দিয়ে এর আঁচিল দূর করার উপায়।অ্যাপল সিডার ভিনিগার : ভিনিগারে ভেজানো তুলা আঁচিলের উপর রেখে দিন সারা রাত। পাঁচ দিন করুন। অ্যাপল সিডার ভিনিগারে প্রচুর অ্যাসিড রয়েছে। এই অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে আঁচিল পুড়িয়ে দেয়। ফলে আঁচিল বৃদ্ধি রদ হয়।

অ্যালভেরা : একটা অ্যালভেরা পাতা কেটে নিন। ভিতরের থকথকে জেলিটা ওই জায়গায় লাগিয়ে দিন। কয়েকদিন করলেই আঁচিল শুকিয়ে যাবে। নিজে থেকে ঝরেও যাবে। অ্যালোভেরার মধ্যে উপস্থিত ম্যালিক অ্যাসিড এই ম্যাজিক করে দেখাবে।

বেকিং পাউডার : ক্যাস্টর অয়েল এবং বেকিং পাউডারের একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। মিশ্রণটা আঁচিলের উপর ভালো করে লাগিয়ে বেঁধে রাখুন জায়গাটা। সারারাত এইভাবে ফেলে রাখুন। দু-তিন দিন পর থেকেই ফল পেতে শুরু করবেন। ক্রমশ আঁচিল অদৃশ্য হয়ে যাবে।

রসুন : ত্বকের যত্নে রসুন খুবই উপকারি। অ্যালিসিন রয়েছে রসুনে। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল। রসুন ছেচে ওই জায়গায় লাগালে উপকার হবে।

কলার খোসা : প্রতিদিন কলার খোসা আঁচিলের উপর ঘঁষলে আঁচিল দূর হবে।

Published on 12 June 2019 in the online version of the Daily Amader Shomoy

8
 যুগান্তর রিপোর্ট ০৯ জুন ২০১৯, ২১:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
মিষ্টি কুমড়ার বীজ ।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ । ছবি সংগৃহীত

মিষ্টি কুমড়া সবার প্রিয় না হলেও খুবই পরিচিত সবজি। মিষ্টি কুমড়া কথা আমরা জানলেও এর বীজের গুণের কথা আমাদের অনেকের অজানা। মিষ্টি কুমড়ার বীজের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ।

আমাদের অনেকের অজানা যে মিষ্টি কুমড়া অনেক রোগের ওষুধ। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আসুন জেনে নেই যেসব অসুখ সারাবে মিষ্টি কুমড়া বীজ।

বাতের ব্যথা

অনেকে বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। আর মিষ্টি কুমড়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হতে দেয় না।এভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাতের ব্যথা কমিয়ে থাকে।

হাড়ক্ষয় রোধ

হাড়ক্ষয় রোধ করে মিষ্টি কুমড়া। হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ হলো শরীরে জিংকের অভাব। জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এটি হাড়ক্ষয় রোধ করে।

কোলেস্টেরল কমায়

খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উৎস হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ।

মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেলের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। যার পরিমাণ ২৬৫ মিলিগ্রাম বা ১০০ গ্রাম।

প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়

মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক।মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার মাধ্যমে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করে।

লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ

মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন আছে। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩০% পূরণ হবে। লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ।

প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার

মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।

9

  নয়া দিগন্ত অনলাইন ০৭ মে ২০১৯, ১২:৩৭

রান্নার গ্যাসের একটা সিলিন্ডার কতদিন চলতে পারে, সে সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা ব্যবহারকারীদের অনেকেরই আছে। কিন্তু যতই ধারণা থাকুন না কেন, একটা দুশ্চিন্তা কিন্তু বার বার ফিরে আসে... এই বুঝি গ্যাস ফুরিয়ে গেল!

রান্নাবান্না জোর কদমে চলছে, এরই মধ্যে হঠাৎ গ্যাস ফুরিয়ে গেলেই সর্বনাশ! কারণ, রান্না চলাকালীন এমনটা হলে ঝক্কি তো কম হয় না! কিন্তু সিলিন্ডারে আর কতটা গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে তা কী করে বুঝবেন?

অনেকেই এ ক্ষেত্রে এলপিজি সিলিন্ডার হাতে তুলে ধরে বা ঝাঁকিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন যে, সিলিন্ডারে আর কতটুকু গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে। কিন্তু এ পদ্ধতিতেও অনুমানের উপরেই নির্ভর করতে হয়। নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। তবে একটা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সহজেই বুঝে নেওয়া যায় যে, সিলিন্ডারে আর ঠিক কতটা গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়...

পদ্ধতি :
১. প্রথমে একটা ভিজে কাপড় দিয়ে এলপিজি সিলিন্ডারটিকে খুব ভালো করে মুছে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন, সিলিন্ডারের গায়ে যেন কোনো ধুলোর আস্তরণ জমে না থাকে।

২. সিলিন্ডার ভালো করে মোছা হয়ে গেলে ২-৩ মিনিট পর দেখবেন, সিলিন্ডারের কিছুটা অংশের ভিজে ভাব শুকিয়ে গিয়েছে আর বাকি অংশ তখনো ভিজে রয়েছে।

৩. সিলিন্ডারের যে অংশটা শুকোতে বেশি সময় নিচ্ছে, সেই অংশটুকুই রান্নার গ্যাসে ভরা রয়েছে। আর যে অংশটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গিয়েছে, সিলিন্ডারের সেই অংশটি খালি! কারণ, সিলিন্ডারের যে অংশে তরল রয়েছে, সেখানকার তাপমাত্রা খালি জায়গার তুলনায় কিছুটা হলেও কম হবে। তাই সিলিন্ডারের যে অংশে গ্যাস রয়েছে, সেই অংশটির তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম বলে শুকোতে বেশি সময় লাগে।

সুতরাং, ‘এই বুঝি গ্যাস ফুরিয়ে গেল’ ভেবে দুশ্চিন্তা করার আর প্রয়োজন নেই। সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে নিজেই দেখে নিন। সূত্র : জি নিউজ

10
মাছ একটি সুস্বাদু খাবার। অধিকাংশ মানুষই মাছ খেতে ভালবাসে। কিন্তু কিছু কিছু মাছ যেগুলোতে কাটার পরিমাণ একটু বেশি। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে গলায় বিঁধে যায় কারও কারও। কখনো গলায় মাছের কাটা বিঁধলে ৫টি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন, সহজেই সমাধান হয়ে যাবে আপনার সমস্যা।

১) গলায় কাঁটা বিঁধলে উষ্ণ পানিতে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ওই মিশ্রণ খান। পাতিলেবুর রসের অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দেবে। ফলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে গলা থেকে।
২) লবণ কাঁটা নরম করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে শুধু লবণ না খেয়ে এক কাপ উষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ মেশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ-পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই গলা থেকে নেমে যাবে।

৩) গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে সামান্য অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় একটু বেশিই পিচ্ছিল। ফলে অলিভ অয়েল খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা পিছলে সহজেই নেমে যাবে।

৪) গলায় কাঁটা বিঁধলে এক কাপ পানির সঙ্গে ২ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করতে সক্ষম। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে।

৫) গলায় কাঁটা বিঁধলে খানিকটা ভাত বা পাউরুটি চটকে ছোট ছোট মণ্ড করে নিন। এবার একবারে গিলে ফেলুন। ভাত বা পাউরুটির মণ্ডের ধাক্কায় গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।

Published on 7th May 2019 in the Bangladesh Protidin (online version)

11
তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির জুড়ি নেই। ডাবের পানি যে শুধু তৃষ্ণা মেটায় তা নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। ডিহাইড্রেশনের মোকাবিলা থেকে শুরু করে শরীরের ইমিউনিটি গড়ে তোলা, নানা গুণ রয়েছে ডাবের পানির।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন বলেন, ডাবের পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তিনি বলেন, আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় এমন কিছু ফল আছে তা যদি কেমিক্যালমুক্ত হয় তবে অনেক রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। তেমনি একটি ফল হচ্ছে ডাব। পেটের পীড়া থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো, প্রস্রাবের সমস্যা, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডাবের পানি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু গরমকাল নয়,সারা বছর নিয়ম করে ডাবের পানি খাওয়া উচিত। ডাবের পানি নিয়মিত খেলে অনেকে রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক নানাভাবে শরীরে গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব উপাদানই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন পরে।

আসুন জেনে নেই যেসব রোগ থেকে মুক্তি দেবে ডাবের পানি।

১. ডাবের পানি ত্বককে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে, ব্রণর প্রকোপ কমাতেও সার্বিকবাবে স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বাড়ায়।

২. পানি শরীরে লবণের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে গিয়ে ওজন ওজন কমায়।

৩. ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।

৪. ডাবের পানিতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৫. মানুষের শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন এবং পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারি উপাদানে ভরপুর ডাবের পানি প্রতিদিন পান করলে শরীরের অন্দরের শক্তি এতটা বৃদ্ধি পায় যে জীবাণুরা কোনওভাবেই ক্ষতি করার সুযোগ পায় না।

৬.ডাবের পানি শরীরের কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্যে করে।ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যায়।

৮. ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনর অ্যাটাক হলে খেতে পারেন এক গ্লাস ডাবের পানি।

৯. ডাবের পানি রয়েছে সাইটোকিনিস নামে নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের উপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না।

১০. প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ডাবের পানি কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

Published on 24th April in the online version of the daily Jugantor

12
চলছে বৈশাখ মাস। এ মাসে প্রচুর মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। গরমে অনেকের প্রিয় একটি ফল হচ্ছে তরমুজ। গরমে এক গ্লাস ঠাণ্ডা তরমুজের রস দূর করতে পারে ক্লান্তি। তবে তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকে যান অনেকে। বুঝতে পারেন না কোনটি মিষ্টি ও খেতে সুস্বাদু তরমুজ।

অনেক তরমুজ ফ্যাকাশে, খেতেও পানসে হয়।তাই দেখে শুনে তরমুজ কিনুন।

আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন লাল এবং মিষ্টি তরমুজ।

মিষ্টি তরমুজ চিনবেন যেভাবে

১. তরমুজ কেনার সময় খেয়াল করে দেখবেন তরমুজের মাথার দিকে হলুদ রঙ ধরেছে। তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।

২. তরমুজ হাতে নেয়া পরে যদি ভেতরটা ফাঁপা মনে হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও কাঁচা রয়েছে।

৩. পাকা তরমুজে প্রচুর রস থাকে। ফলে তরমুজ ভারি হয়।

৪. তরমুজ কেনার সময় গায়ে টোকা দিন। ভারি আওয়াজ হলে বুঝবেন তরমুজ পেকে গেছে।

৫. যদি তরমুজ পুরো সমান হয়, তাহলে বুঝবেন পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৬. পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ়, কালচে হয় দেখতে।

তথ্য: নিউজ এইটিন

Published on 24th April 2019 in the online version of the Daily Jugantor

13

  যুগান্তর ডেস্ক ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:১০ | অনলাইন সংস্করণ
জেনে নিন কালোজিরার আশ্চর্যসব ওষধিগুণ!

নানা ধরনের রান্নায় ও মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবারে স্বাদ বাড়াতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল কালোজিরা।

তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞানীরা বলেন - একাধিক আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ কালোজিরা। কালোজিরার এতোসব গুণের কথা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা।

পুষ্টিবিদরা বলেন, কালোজিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফসফেট, ফসফরাস আর আয়রন, যা দেহের জন্য অতিমাত্রায় উপকারী।

নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন - এই কালোজিরা 'সাম' (মৃত্যু) ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। (সহীহ বুখারী)

আসুন জেনে নিই কালো জিরার আশ্চর্য সব স্বাস্থ্যগুণ -

যৌন দুর্বলতা

কালোজিরা চুর্ণ ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামুচ করে খান। এতে গোপন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে

কালোজিরাতে থাকা ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে যে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরার ভূমিকা অতুলনীয়।

মাথাব্যথা

মাথাব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩-৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। তিন দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন উপকার পাবেন।

চুলপড়া

লেবু দিয়ে সব মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তার পর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।

কফ ও হাঁপানি

বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ক্ষেত্রে হাঁপানিতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সঙ্গে এটি মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।

মুত্রথলির সংক্রমণ ঠেকাতে

কালোজিরা দুর্দান্ত অ্যান্টি টক্সিনের কাজ করে। তাই যন্ত্রণামুক্ত ও পরিষ্কার প্রস্রাবের জন্য খাবারের সঙ্গে রাখুন কালোজিরা। এতে মুত্রথলির সংক্রমণ রোধ হবে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও অ্যাজমায় উন্নতি ঘটে

এক চামচ মধুতে একটু কালোজিরা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিলিয়ে ৪৫ দিনের মতো খেলে অ্যাজমার সমস্যার উন্নতি ঘটে।

ডায়াবেটিস

কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।

মেদ ও হৃদরোগ

চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক: এক কাপ দুধ ও এক টেবিল চামুচ কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে। এতে গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে।

চোখে সমস্যা

রাতে ঘুমানোর আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।

উচ্চ রক্তচাপ

যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুণ। এটি ২-৩ দিন পরপর করা যায়।

জ্বর

সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামুচ কালোজিরা তেল পান করুণ। আর কালোজিরার নস্যি গ্রহণ করুন।

স্ত্রীরোগ

প্রসব ও ভ্রুণ সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার খান।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি

অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে মেখে এক ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।

বাত

পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ছাড়া মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

দাঁত শক্ত করে

দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন দুবার দাঁতে ব্যবহার করুন। এতে দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে।

ওজন কমায়

যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় উষ্ণ পানি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখন এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন। পান করে দারুণ উপকার পাবেন।

14
 যুগান্তর ডেস্ক ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
তেলাপিয়া মাছ
তেলাপিয়া মাছ। ছবি: সংগৃহীত

একসময় তেলাপিয়া মাঝে বাঙালি নাট সিঁটকালেও বর্তমানে এ মাছই খাবারের তালিকায় অন্যতম। তেলাপিয় এখন বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি মাছ।

এ মাছের পুষ্টিগুণ নিয়ে এখনও কোনো দ্বিমত হয়নি পুষ্টিবিদদের মাঝে।

তেলাপিয়ায় প্রোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাসের মতো একাধিক অপরিহার্য উপাদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।

সেকারণেই তেলাপিয়া বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি মাছ। যদিও প্রথম দিকে এ মাছে তেমন একটা আগ্রহী ছিল না এ দেশের মানুষ।

তবে সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় তেলাপিয়া মাছের বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পেয়েছে।

তেলাপিয়া মাছ খেলে মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গবেষকরা।

এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া তেলাপিয়া মাছগুলোর ওপর গবেষণা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ।

গবেষণায় তারা এসব তেলাপিয়া মাছের দেহে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক বিষ খুঁজে পান।

৮০০-র বেশি নমুনা পরীক্ষা করেন তারা। সে পরীক্ষায় ‘ডিবিউটিলিন’ এবং ‘ডাইঅক্সিন’ নামের মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি পান এসব তেলাপিয়ার মাংসে।

প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই ‘ডিবিউটিলিন’ যা মানবদেহে প্রবেশ করলে স্থুলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং নানা রকমের বিপাকীয় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এর চেয়েও ভয়ংকর রাসায়নিক ‘ডাইঅক্সিন’ যা মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তেলাপিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত মাছেদের খাদ্য হাঁস, শূকর বা মুরগির দেহাবশেষ থেকে এসব বিষ জন্মেছে তাদের শরীরে।

এগুলো খেলে মাছগুলো দ্রুত বেড়ে ওঠলেও একই সঙ্গে বিষাক্ত হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া তেলাপিয়া মাছের বাজারের ৭০ শতাংশই চীনের দখলে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৫টিরও বেশি দেশে বর্তমানে তেলাপিয়া মাছের চাষ হয়।

বাংলাদেশে উৎপাদিত তেলাপিয়াতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই বলে দাবি করা হয়েছিল বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিউটটের (বিএফআরআই) পক্ষ থেকে।

২০১৬ সালে বিএফআরআই এর এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান বলেছিলেন ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা ঝুঁকি নেই। এখানকার তেলাপিয়া মাছে কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নেই। স্বাস্থ্যের জন্য শতভাগ নিরাপদ এবং পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। তাই দেশের মানুষ বিনা ভয়ে তেলাপিয়া মাছ খেতে পারবেন।’

15
Faculty Sections / পেঁপের বীজে এত গুণ!
« on: February 16, 2019, 08:06:36 PM »
পেঁপেকে পুষ্টির রত্নঘর বলা হয়। শিশুদের কাছে পছন্দের ফল না হলেও স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের কাছে এটি জনপ্রিয়। সাধারণত পাকা পেঁপে আমরা বীজ ও ছাল ফেলে খাই। কিন্তু অনেকের কাছে এটা অজানা যে পেঁপের বীজে রয়েছে উচ্চ পুষ্টিগুণ ও  প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এটি ফ্লেভনয়েড ও পলিফেনরস এর উৎস, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং শরীরের বিকাশে সাহায্য করে। এ ছাড়া পেঁপের বীজে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো  শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে।

পেঁপের বীজের গুণ সম্পর্কে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই। আসুন জেনেনিই সেসব গুণ সম্পর্কে....

হজমশক্তি বাড়ায়

গবেষণায় প্রমাণিত, পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তা হজমশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পরিপাক নালীকে চনমনে রাখে। ফলে দ্রুত হজম হয়। এতে পাকস্থলির উপর চাপও কম পড়ে।

ক্যানসার প্রতিরোধে

পেঁপের বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার বিরোধী। একটি গবেষণায় দেখা গেছে,  পেঁপের বীজে ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি রোধ করে এবং প্রদাহ কমায়।

লিভার পরিষ্কার করে

পেঁপের মধ্যে ডিটক্সের গুণ রয়েছে, যা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাজেই যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা না-ভুগলেও লিভার ভালো রাখতে চান তারা নিয়মিত পেঁপে খান।

লিভার রোগীদের জন্য উপকারী

বহু গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য পাকা পেঁপের দানা খুব ভালো ওষুধ। রোজ এক চামচ করে পেঁপে বীজ গুঁড়ো করে খান। এটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করবে। এর পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ায় ও লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনুন। তবে ভালো ফল পেতে চাইলে সবার আগে মদ্যপান বন্ধ করুন।

কিডনি ফিট রাখে

লিভারের মতো কিডনি থেকেও ক্ষতিকারক জিনিস বের করে দেয় পাকা পেঁপের বীজ। কাজেই কিডনির সুরক্ষায় নিয়মিত এই খাবারটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পাকা পেঁপের পাশাপাশি এর বীজও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেঁপেতে থাকা কারপেইন নামে বিশেষ এক যৌগ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। কাজেই যারা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, তারা বেশি করে পেঁপে খান।

প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক

প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক হিসেবে পাকা পেঁপের বীজের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। গর্ভবতী হতে চাইলে ওই সময়ে পেঁপের বীজ মোটেই খাওয়া ঠিক নয়। আবার পুরুষদেরও স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয় এই দানা। কাজেই যৌবনকালে কোনো পুরুষেরই একটানা পেঁপের বীজ খাওয়া ঠিক নয়।

Published in the online version of The Daily Amader Shomoy on 16th Feb. 2019

Pages: [1] 2 3 4