Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Jeta Majumder

Pages: [1] 2 3 4
1
কোন ধরণের খাবারে ফ্যাট বেশি? বা কোন ধরণের খাবার খেলে ওজন বাড়ে? মানুষ মোটা হয়? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রোটিন জাতীয় খাবার নয় বরং ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবারই শরীরের ওজন বেশি বাড়ায়৷
 খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যারা ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খায়, তাদের খাবারের তালিকায় ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে৷ কিন্তু তা তারা টের পায় না৷ অজান্তেই তাদের ওজন বাড়ে দ্রুত৷ অন্যদিকে যাদের খাবারের তালিকায় প্রোটিন খুব কম তাদের ওজন সহজে বাড়ে না৷ তারা সহজে যা টের পায় না তাহল তাদের পেশি শিথিল হয়ে যায়, পেশির জোরও কমে যায়৷

ডঃ জেমস লেভাইন মিনেসোটার মায়ো ক্লিনিক রচেস্টারে স্থূলতা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তিনি জানান,‘‘প্রোটিন কখনোই শরীরের মোটা করে না, ওজন বাড়ায় না৷ এই কাজগুলো করে ক্যালোরি৷''

অথচ এর আগে বেশ কিছু গবেষণায় জানানো হয়েছিল যে যত বেশি খাবে সে তত মোটা হবে৷ তবে তা অনেক ক্ষেত্রে মানুষের দেহের ক্যালোরি ক্ষয় হওয়ার ওপর নির্ভর করে৷ একেক জনের শরীর একেক রকম৷ একই ডায়েটে কার শরীরে কতটুকু ফ্যাট জমা হয় তা নির্ধারণ করা কঠিন৷
 সম্প্রতি লুইসিয়ানার পেনিংটন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ব্যাটন রুজের আরেকটি জরিপে আরেক বিশেষজ্ঞ ড. জর্জ ব্রে একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন ২৫ জনের ওপর৷ এদের সবার বেশ ভাল স্বাস্থ্য৷ ডঃ ব্রে'র ল্যাবে তারা তিন মাস সময় কাটান৷ এবং ডঃ ব্রে'র দেয়া একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করেন৷ ড.ব্রে'র প্রথম কয়েক সপ্তাহ লাগে শুধু বের করতে যে, সুস্থ থাকতে, ওজন ঠিক রাখতে কার শরীরে কতটুকু পরিমাণে ক্যালোরি প্রয়োজন৷       

পরবর্তী আট সপ্তাহে এদের শরীরে প্রায় এক হাজার গ্রাম ক্যালোরি জমা হয়৷ এক তৃতীয়াংশকে স্ট্যান্ডার্ড ডায়েটে রাখা হয়৷ তাদের খাবার থেকে শতকরা ১৫ শতাংশ ক্যালোরি আসো প্রোটিন থেকে৷ অন্যদের দেয়া হয় আরেকটি ডায়েট৷ প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে তাদের শরীরে প্রতিদিন প্রায় ২৫ শতাংশ ক্যালোরি আসে৷ অর্থাৎ প্রতিদিন একদলের শরীরে আসে ৪৭ গ্রাম প্রোটিন, অন্যদলের ১৩৯ গ্রাম৷     

এই ডায়েটের ফলে সবারই ওজন বাড়ে কিন্তু ভিন্ন মাত্রায়৷ যারা স্বল্প প্রোটিন ডায়েটে ছিল তাদের শরীরে বাড়তি সাত পাউন্ড যোগ হয় অন্যদের ১৩ থেকে ১৪ পাউন্ড৷ অন্যদিকে দেখা গেছে যারা স্বল্প প্রোটিনের ডায়েটে ছিল তাদের শরীরে ৯০ শতাংশ ক্যালোরি ফ্যাট হয়ে জমেছে কিন্তু তাদের পেশীর জোর কমে গেছে, দুর্বল হয়ে গেছে৷ অন্যদের  পেশীতে জোর বাড়লেও তাদের শরীরে ফ্যাটও অন্যদের চেয়ে বেশি বেড়েছে বলে জানানো হয়৷

ব্রে আরো জানান, খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমালে ওজন কমে ঠিকই কিন্তু তাতে শরীরের ক্ষতিও হয়৷ শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন হারায়৷ এটা ভাল লক্ষণ নয়৷ তবে আসল কথা হল, ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার মাত্রাধিক খেলে ওজন বাড়বে, শরীর মোটা হবে – সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই৷ যে ধরণের ডায়েট অনুসরণ করা হোক না কেন যদি তা ক্যালোরি সমৃদ্ধ হয় তাহলে যে কোন শরীরেই বাড়তি ওজন যোগ হবে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

2
অনেক সময় দেখা যায় অনেক চেষ্টা, ব্যায়াম এবং ডায়েট মেনে চলার পরেও ফিট থাকা কঠিন হয়ে যায়। এর পেছনে মূল কারণ হতে পারে আমাদের রক্তের গ্রুপ। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমাদের রক্তের গ্রুপ বুঝে খ্যাদ্য নির্বাচন করতে হবে। আর রক্তের গ্রুপ বুঝে খাদ্য নির্বাচনেরএই পদ্ধতিটির নাম ‘ব্লাড গ্রুপ ডায়েট’।
 সুস্বাস্থ্যের রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের রক্তের মধ্যে। কিন্তু আমরা তা না বুঝে আমদের জন্য উপকারী খাদ্যগুলোকে অনেক সময় এড়িয়ে যাই। আমাদের রক্তের গ্রুপ অর্থাৎ এ, বি, এবি অথবা ও বুঝে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।
 একেক ধরনের রক্তের গ্রুপধারীদের পাচক প্রক্রিয়া একেক রকমের হয়ে থাকে। পাচক প্রক্রিয়ার এই ভিন্নতার জন্য প্রধান হিসেবে লেকটিনকে বিবেচনা করা হয়। যদি আমরা এমন কিছু খাই যা আমাদের লেকটিনের উপযোগী না তাহলে তা আমাদের দেহের উন্নয়নে কোনো কাজেই আসবে না। কিন্তু লেকটিনের চাহিদা বুঝে খাদ্য গ্রহণ করা গেলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি, দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
যাদের রক্তের গ্রুপ এ (পজেটিভ এবং নেগেটিভ উভয়ই), তারা সবজির ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারেন। সবজি কখনোই তাদের নিরাশ করবে না। সবজির পাশাপাশি নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে সুস্বাস্থ্য অর্জন আরো সহজ এবং দ্রুত হবে। তবে এই গ্রুপের রক্তধারীদের উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন।
 রক্তের গ্রুপ যাদের বি, তারা বেশি করে দুধ খেলে দ্রুত উপকার পাবেন। কিন্তু যদি ভুট্টা, মটরশুঁটি এবং বাদাম জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে যান তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ এই খাবারগুলোর উপকারী উপাদন ‘বি’ গ্রুপের মানুষদের দেহে খুব বেশি কাজ করে না।
অন্যদিকে ‘এবি’ গ্রুপের মানুষরা ‘এ’ এবং ‘বি’ দুই গ্রুপের জন্য উপকারী খাবারগুলো খেতে পারবে। কারণ এরা দুই গ্রুপের মধ্যেই পরে।
তবে সবচেয়ে খুশির খবর হচ্ছে ‘ও’ গ্রুপধারীদের জন্য। এরা ‘ইউনিভার্সালি একসেপ্টেড গ্রুপ’।
এই গ্রুপের মানুষের দেহে সব ধরেনর পুষ্টিকর খাবারই দ্রুত কাজে আসে। এদের জন্য কোনো বিশেষ ‘ব্লাড গ্রুপ ডায়েট’ নেই।
তবে, ব্যায়ামের ক্ষেত্রে একেক গ্রুপের মানুষকে একেক রকমের পদ্ধতি। ‘ও’ গ্রপের জন্য দৌড়ানো ভালো, ‘বি’ গ্রুপের জন্য হাঁটা অনেক উপকারী এবং ‘এ’ গ্রুপের জন্য যোগব্যায়াম ভালো ফল দিবে।
তবে সাবধান, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। সব কিছুর পরিমিত মাত্রা, সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য সবচেয়ে উত্তম।


Jeta Majumder
Lecturer
Department of Business Administration
Faculty of Business and Economics

3
ডায়াবেটিক রোগী রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে অসুধ বা ইনসুলিন ব্যবহার করে তার মাত্রা যদি খুব বেশী হয়ে যায় অথবা রোগী যদি সময় মতো খাবার না খায়, কিংবা বমি বা পাতলা পায়খানা করে তাহলে হঠাৎ করে রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা খুব কমে যেতে পারে।

যখন এর মাত্রা খুবই কমে যায় তখন রোগী অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। কাজেই এই ব্যপারে শুরু থেকেই সকল রোগীর খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং জেনে নিতে হবে এমন অবস্থা হলে কি করতে হবে।

অসুধ বা ইনসুলিন ব্যবহার করার পরে রোগী যদি অসুস্থ বোধ করে, বুক ধড়ফড় করে, শরীর থরথর করে কাপতে থাকে, প্রচুর ঘাম দেয়, ক্ষুধার্ত লাগে, হঠাৎ করে দাঁড়ানো বা বসা অবস্থা থেকে পড়ে যায় কিংবা অজ্ঞান হয়ে যায় ধরে নিতে হবে এটা রক্তে আকস্মিক সুগার কমে যাওয়ার কারণে হয়েছে। এমনটি হলে সাথে সাথে রোগীকে এক গ্লাস পানিতে ৭/৮ চামচ চিনি/গ্লুকোজ বা গুড় মিশিয়ে খাইয়ে দিতে হবে। চিনি/গুড় না থাকলে মিষ্টি জাতীয় যে কোনো খাবার দ্রুত খাইয়ে দিতে হবে এবং এই ফাঁকে চিনির ব্যবস্থা করতে হবে।

রোগী যদি পুরোপুরি অজ্ঞান হয়ে যায় তাকে খুব দ্রুত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে হবে এবং শিরায় স্যালাইনের মাধ্যমে গ্লুকোজ ইঞ্জেকশন দিতে হবে। এমন ঘটনা ঘটে রোগীর যেনো বিরাট কোনো ক্ষতি না হয়ে যায় এজন্য সবসময় ডায়াবেটিক রোগীর নাগালের মধ্যে কিছু চিনি বা গ্লুকোজ রাখতে হবে। রোগী অশিক্ষিত হলে বা কম বুঝে থাকলে তাকে খুব ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে যে অসুধ বা ইনসুলিন নেবার পরে এমন খারাপ লাগলে সাথে সাথে চিনি/গুড় খেতে হবে।


Source: http://www.susastho.com/diabetes/33-hypoglycemic-attack.html

Jeta Majumder
Lecturer
Department of Business Administration
Faculty of Business and Economics

4
আমাদের ব্যস্ত প্রজন্মের খাবারের ধরণ দিন দিন বিগড়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের ত্বকে। তাই, তাদের আরো বেশি ফল ও সবজির দিকে ঝুঁকতে হবে। আপনি যদি সৌন্দর্য্য সচেতন হন তাহলে নতুন বছরের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সালাদ বেছে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সেই সালাদ যাতে গাজরের পরিমাণ থাকবে বেশি। এই গাজরই আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয়, ত্বক রাখবে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল।

গাজরে আছে এক ধরনের হলুদ বর্ণের রঞ্জক পদার্থ, এর নাম ক্যারোটিনোয়েডস। এই উপদানটি আমাদের ত্বক কোষে পৌঁছে, একে পরিষ্কার করে এবং সেই রঞ্জক পদার্থের আভাই আমাদের ত্বকে পরিলক্ষিত হয় এবং কম সময়েই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যায়। নিয়মিত গাজর খেলে দুই মাসের মধ্যেই ত্বকে এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। আজকাল কোনো তরুণ-তরুণীকে যদি বলা হয় সবজি খাও, তা না হলে ৪০ বছর বয়সে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তখন, তারা এক গাল হেসে উত্তর দেবে বয়স ৪০’র কাছাকাছি আগে যাক এরপর তা দেখা যাবে। কিন্তু সুদর্শন কিংবা আকর্ষণীয় হতে হলে এই খাবারটি অত্যাবশ্যক তা হলে দেখবেন কেউ আর দেরি করবেন না।

গাজরের সালাদ প্রস্তুত প্রণালী:
উপকরণঃ
একঃ গাজর-২৫০ গ্রাম
দুইঃ লবণ-পরিমান মত
তিনঃ ধনেপাতা কুচি-অল্প
চারঃ রসুন পাতা বা রসুনকুচি-২ চাঃ চামচ
পাঁচঃ শুকনা লাল মরিচ-চার পাঁচটা
ছয়ঃ তিলের তেল- ২চাঃ চামচ
সাতঃ চিনি- দেড় চাঃ চামচ
আটঃ ভিনিগার বা লেবুর রস- দেড় চাঃ চামচ

পদ্ধতিঃ
গাজর ধুয়ে লম্বা ও চিকন কুচি করে কেটে নিন। লবণ মেখে একটি জালিতে রাখুন, যাতে গাজরের ভিতরের অতিরিক্ত পানি বেড়িয়ে যায়। আরেকবার পানি দিয়ে পাজরে দেয়া লবণ ধুয়ে ফেলুন এবং হাতে নিয়ে হাত দিয়ে চেপে পানি ফেলে দিন। একটি পাত্রে নিয়ে ধনে পাতা, রসুন ও মরিচ কুচি,লবণ তিলের তেল চিনি ও ভিনিগার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

Source: http://deho24.blogspot.com/2012/12/blog-post_8171.html

5
মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসছে৷ তবে তাতে কি মানুষ আরো বোকা হয়ে যাচ্ছে? এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা৷ অবশ্য আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে বুদ্ধির যন্ত্রটি আকারে ছোট হলেও কাজে আরো দক্ষই হয়ে উঠছে৷
বিগত ৩০ হাজার বছরে মানুষের মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ৷ বিজ্ঞানের ভাষায়, হোমো স্যাপিয়েন্স নামের এই আধুনিক মানুষের মস্তিষ্ক ১,৫০০ থেকে ১,৩৫৯ ঘন সেন্টিমিটার কমেছে৷ অর্থাৎ একটি টেনিস বলের সমান ঘনত্ব হ্রাস পেয়েছে৷ আর মস্তিষ্কের এই পরিবর্তন শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই নয়৷ বরং নারীদের মস্তিষ্কেও ঘটেছে একই ধরণের পরিবর্তন৷ এমনিতেই গড়ে পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের মস্তিষ্ক ছোট, তার উপর বিবর্তনের ধারায় একই হারে ছোট হয়ে আসছে৷ ফলে মেয়েরা কি তাহলে আরো বিচক্ষণ আরো দক্ষ হয়ে উঠছে? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও অমীমাংসিত৷ চলছে তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক৷

তবে মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় পাওয়া পুরনো দিনের মাথার খুলিগুলো নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে৷ ‘ডিসকভার' নামক সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হকস বলেন, ‘‘বিবর্তনের দৃষ্টিতে বেশ উচ্চ মাত্রায় ক্ষুদ্রতর হওয়ার ঘটনা ঘটছে৷'' তবে অপর কিছু নৃতত্ত্ববিদ মস্তিষ্ক ছোট হওয়ার ঘটনায় আশ্চর্য নন৷ তাঁরা বলছেন, দেহের আকার যতো বড়ো এবং শক্তি যতো বেশি হবে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ততো বেশি বড়ো মস্তিষ্কের প্রয়োজন হওয়াটাই স্বাভাবিক৷

মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড গিয়েরি বলছেন, প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের বেঁচে থাকার জন্যই আকার-আকৃতির বিশালতা প্রয়োজন ছিল৷ তিনি ১০ হাজার বছর আগের মাথার খুলির বিবর্তন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন৷ গিয়েরি এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষক দল মনে করেন, মানুষের ঘনত্ব বৃদ্ধির সাথে মস্তিষ্কের আকার হ্রাসের সম্পর্ক রয়েছে৷ অবশ্য, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ব্রায়ান হেয়ার এর মতে, মস্তিষ্কের আকার ছোট হলেও তাতে মানুষ আরো নির্বোধ হয়েছে এমনটি নয়৷ বরং মানুষের বুদ্ধিমত্তা আরো প্রখর হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
source:http://www.dw.de

6
একেবারে আচমকাই ঘটতে পারে এই অসুস্থতা৷ যার ফলে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যেতে পারে৷ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বাকশক্তি৷ মস্তিষ্কে কী ঘটে তখন? শরীর কী সতর্কবাণী পাঠাতে চায়?


হঠাৎ করে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে হতে পারে স্ট্রোক৷ যে কোনো সময় যে কোনো বয়সেই ঘটতে পারে মস্তিষ্কের এই বৈকল্য৷ স্ট্রোক দুই ধরনের হয়ে থাকে৷ মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হলে অথবা রক্তনালী কোনো ভাবে ব্লক হয়ে গেলে৷ দেরিতে ধরা পড়লে দুই ধরনের স্ট্রোকই বিপজ্জনক৷ এর ফলে শরীরে কোনো অংশ অসাড় হয়ে যেতে পারে৷ বাকশক্তি ও দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে৷ এটা নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশ স্ট্রোক হয়েছে বা আঘাতটা কতটুকু তার ওপর৷

অসংখ্য মানুষ স্ট্রোকের কবলে পড়েন

জার্মানিতে প্রতি বছর ২৬০.০০০ মানুষ স্ট্রোকে আক্রন্ত হচ্ছে৷ মৃত্যুর কারণ হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রোগটি৷ বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যেমন ভারতেই আট বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে সংখ্যাটা৷ ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, স্ট্রেস ইত্যাদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷ এজন্য স্ট্রোক নিয়ে গবেষণাটাও জরুরি হয়ে পড়েছে৷ জার্মানিতে গত ২০ বছরে স্ট্রোক থেরাপি বেশ শক্তিশালী হয়েছে৷ বলেন হামবুর্গের আসক্লেপিয়োস ক্লিনিকের প্রফেসর ইওয়াখিম রোটার৷
 স্ট্রোকে আক্রান্ত পুরুষদের গড় বয়স ৭০৷ মেয়েদের ৭৫৷ শিশু কিশোররাও স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে৷ জার্মানিতে প্রতিবছর ৩০০ শিশু আক্রান্ত হয় স্ট্রোকে৷ এক তৃতীয়াংশ নবজাত শিশু৷ এমনকি মাতৃগর্ভেও আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চা৷ ‘অটোইমিউন' বা বংশগত কারণে এমনটি হতে পারে৷ বাচ্চাদের বেলায় অনেক সময় কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর মস্তিষ্কের ক্ষতিটা বোঝা যায়৷

এক নিমিষেই সব অন্যরকম স্ট্রোক হলে এক নিমিষে মানুষ অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ হয়ে পড়তে পারে পরের মুখাপেক্ষী৷ যারা অল্পের ওপর দিয়ে রক্ষা পান, তাদেরও ধাতস্থ হতে সময় লাগে৷ এজন্য সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির প্রয়োজন৷ খাওয়া দাওয়া বুঝে শুনে করতে হয়৷ করতে হয় স্পোর্টস৷ এড়িয়ে চলতে হয় স্ট্রেস৷ এইসব ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য গুটার্সলোহতে এক জন ‘স্ট্রোক গাইড' পাশে এসে দাঁড়ান৷ তাঁর নাম আনকে সিবার্ট৷ এক বছর ধরে তিনি এই কাজটি করছেন৷

‘‘কী হবে এখন? আমি কী করতে পারি? কী ভাবে দিন যাবে?'' রোগীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেন তিনি৷ বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত৷ এর্গোথেরাপিস্টের কাজ করেছেন ৩৪ বছর বয়সি আনকে সিবার্ট৷ তাই চিকিত্সা ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ অবশ্য স্ট্রোক রোগীদের সহায়ক হিসাবে তাঁকে আর একটি প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে৷

হাসপাতাল থেকেই শুরু তত্ত্বাবধান শুরু হয় হাসপাতাল থেকেই৷ তারপর পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসার পরও চলতে থাকে দেখাশোনা৷ সেখান থেকে বের হলেও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হন রোগীরা৷ তখনও পাশে থাকেন আনকে৷ ডাক্তার, নার্স ও থেরাপিস্টদের মধ্যে সমন্বয় করে থাকেন তিনি৷ ব্যবহারিক বিষয়গুলিও দেখাশোনা করেন আনকে৷ যেমন প্রতিবন্ধীর পরিচিতি পত্র কিংবা পেনসনের জন্য আবেদন করা৷
 ৪০ জনের মতো স্ট্রোক রোগীর দেখাশোনা করেন আনকে৷ এদের মধ্যে একজন ডিয়র্ক ফেনিয়াকব৷ নার্স হিসাবে কাজ করতেন তিনি৷ তিন মাস আগে ছোটখাট একটা স্ট্রোক হয়েছে তাঁর৷ চিন্তাভাবনা ও বাকশক্তির কোনো ক্ষতি হয়নি৷ ডান হাত ও ডান পা আক্রান্ত হয়েছে৷ ‘‘মনে হয় যেন অসাড় হয়ে গেছে৷ তবে শিরশির করে না৷ অনুভূতি ও শক্তি কমে গেছে৷ প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমার নাম লিখতে পারতাম না৷ সেটা আবার শিখতে হয়েছে'', বলেন ডিয়র্ক৷ আনকে সিবার্টের সাহায্য তাঁর খুব কাজে দিয়েছে৷ ‘‘রোগের কারণে কিছুটা তো ক্ষতি হয়েইছে৷ যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করা যায় না৷ তাই কেউ পাশে থাকলে, চিন্তাভাবনা করলে বেশ সাহায্য হয়৷''

‘স্ট্রোকের গাইড' আনকে ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ঠিক করে দেন৷ খেয়াল রাখেন রোগী ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছে কিনা৷ নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করাচ্ছে কিনা৷
দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে৷ ডিয়র্ক তাঁর নির্দেশ ঠিকমতোই মেনে চলছেন৷ স্ট্রোকের ধাক্কাটা সামলে উঠেছেন৷ সেরকম কোনো ক্ষতি আর থাকবে না৷

Source: DW.DE

7
মানবদেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে অনেক ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয় বলে ধারণা করা হতো৷ কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ভিটামিন ডি-এর অভাবে নয়, বরং অসুস্থতার কারণেই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা যায়৷

এতদিন প্রচলিত ছিল, হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ক্যানসার বা হাড় ভাঙা – এসব রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি আছে এমন খাবার বা ওষুধ ব্যবহার করা উচিত৷ কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, এ সব রোগের উপর ভিটামিন ডি-এর কোনো প্রভাব নেই৷ শুক্রবার একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে৷

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্ক বোল্যান্ডের নেতৃত্বে এক দল গবেষক এই গবেষণা করেছেন৷ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি-এর প্রভাব কি তা নিয়ে ৪০টি পরীক্ষা করেছেন তাঁরা৷ কেননা পুরোনো বেশ কিছু গবেষণায় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ও রুগ্ন স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে৷
 ল্যানসেট ডায়বেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজি-তে নতুন এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণ রুগ্ন স্বাস্থ্য নয়৷ অর্থাৎ, ভিটামিন ডি-এর অভাবে স্বাস্থ্য খারাপ হয় না, বরং শরীর খারাপের কারণে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা দেখা দেয়৷

গবেষণাটির লেখকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য যদি চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন, তবে তা সঠিক হবে না৷ শরীরে হাড়, দাঁত এবং মাংসপেশি গঠনের অন্যতম উপাদান ভিটামিন ডি৷ সূর্যরশ্মি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রাকৃতিক ভাবেই ভিটামিন ডি উৎপাদন হয়৷ এছাড়া মাছের তেল, ডিমের কুসুম এবং পনির থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়৷

গত বছরের মার্চে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা চার হাজার নারীর উপর একটি পরীক্ষা করেন, যেখানে দেখা যায় কোনো নারী গর্ভবতী থাকাকালীন ভিটামিন ডি ট্যাবলেট গ্রহণ করলে শিশুর স্বাস্থ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ে না৷

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণায় ভিটামিন ডি-এর সাথে কোলেস্টোরল কমার কোনো সম্পৃক্ততা পাননি৷

এপিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

8
 স্বাস্থ্য রক্ষায় পেঁয়াজের গুণাগুণ অনেক। আমাদের হাতের নাগালে থেকেও আমরা এর অনেক গুণ সম্পর্কে ভাল করে জানি না। একটি বড় মাপের পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন এ, বি ও সি থাকে। এবার পেঁয়াজের কিছু গুণাগুণ জানা যাক।

*ঠান্ডা লেগে মাথা ব্যথা হলে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে দ্বিগুণ পানি মিশিয়ে একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।
*জ্বর জ্বর ভাব হলে পেঁয়াজের রস নাক দিয়ে টেনে নিলে জ্বর জ্বর ভাব চলে যাবে।
*বার বার কমি হলে চার-পাঁচ ফোঁটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে সেই পানি খেলে বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
*হেঁচকি উঠলে পেঁয়াজের রস মিশানো পানি খেলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
*পেঁয়াজ খেলে শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের হয়ে যায়।
*পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়া নামক গুণাগুণ রয়েছে। তাই ফোঁড়া বা ঘা হলে তা পেঁয়াজের রস দিয়ে ধুলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
*চুল ধোবার আগে মাথায় আধঘন্টা পেঁয়াজের রস মেখে রাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
*বাত ব্যথার রোগীরা নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ব্যথা কম থাকবে।

9
বাদাম খেলেই মোটা হয়ে যাবেন_ এই ভয়ে বাদামের ধারেকাছে ঘেঁষেন না অনেকেই। অথচ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের জরুরি উৎস বাদাম। তবে মুখরোচক বলে অল্প খাওয়াও মুশকিল। তাই পরিমিত পরিমাণে বাদাম খান এবং সুস্থ থাকুন। নিচে বিভিন্ন বাদামের পুষ্টিগুণ দেওয়া হলো...

চিনাবাদাম
...
প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সি।

উপকারিতা
* প্রোটিনের সম্পূর্ণ উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।
* নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আখরোট
ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন।

উপকারিতা
* হাড় শক্ত করে।
* ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।

পেস্তা বাদাম
ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।

উপকারিতা
* রক্ত শুদ্ধ করে।
* লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।

কাজু বাদাম
আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ভিটামিন-এ।

উপকারিতা
* অ্যানিমিয়া ভালো করে।
* ত্বক উজ্জ্বল করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আমন্ড
বাদামের রাজা আমন্ড। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই।

উপকারিতা
* শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
* নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
* কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটে।
* আমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
* আমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

10
অনেক সময় কিছু রোগীকে দীর্ঘ মেয়াদি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা যায় যার সঠিক কারন জানা যায়না এবং অনেক অষুধ খাবার পরেও নিরাময়ের কোনো লক্ষন দেখা যায়না। এমন একটি জ্বরই পি,ইউ,ও বা Pyrexia of Unknown Origin. সাধারনত এই জ্বর তিন সপ্তাহের বেশী স্থায়ী হয় এবং রোগীর তাপমাত্রা ৩৮.৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশী থাকে।

টিবি, ম্যালেরিয়া, কালাজর, লিভারের ফোড়া, হৃদপিন্ডের ইনফ্লামেশন (Endocarditis), কিছু ক্যান্সার জাতীয় রোগ, এসএলই(SLE), পিএএন(PAN), গ্রানুলোমেটাস ডিজিজ (Granulomatous disease), শিরার ইনফ্লামেশন (Thromboflebitis) সহ নানা কারনে পিইউও হতে পারে।

এ ধরনের রোগীকে জ্বরের কারন নির্নয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব, সিরাম, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, লিভার ও বোন মেরো বায়োপসি সহ নানাবিধ পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হতে পারে। PUO এর নিরাময় সম্ভব। অভিজ্ঞ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি থেকে এ রোগের চিকিৎসা করানো উচিত।

11
বার্জারস ডিজিজ মূলত ধুমপায়ীদের একটি রোগ। দরিদ্র, অশিক্ষিত যুবক (বয়স ত্রিশ এর নীচে) যারা খালি পায়ে মাঠে বা রাস্তায় কাজ করে তাদেরই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। অনেক সময় রাস্তাঘাটে একধরনের অল্প বয়সের ভিক্ষুক দেখা যায় যাদের পায়ের আঙ্গুল বা পাতার অর্ধেক অথবা হাটুর নীচের অংশ কাটা থাকে। এদের একটা বিশাল অংশ বার্জারস ডিজিজ এর শিকার হয়ে ঐ পথ বেছে নিয়েছে।

বার্জারস ডিজিজ এ আক্রান্ত হয় মাঝারি মাপের ধমনীগুলো যা সাধারনত পা এবং হাতকে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। অতিরিক্ত ধুমপান করার ফলে ধমনীর ভিতরের দিকে একধরনের প্রদাহ হয় এবং তা সরু হয়ে যেতে থাকে, এই প্রদাহ একসময় নিকটবর্তী স্নায়ু বা নার্ভেও (Nerve) ছড়িয়ে। এভাবেই ধীরে ধীরে তা বার্জারস ডিজিজ এ রুপান্তরিত হয়।

এই রোগের শুরুতে রোগী শুধু বেশ কিছুদূর হাটার পরে বা দৌড়ালে পায়ের মাংশপেশীতে (Calf muscle) ব্যথা অনুভব করে (Claudication pain), কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলে আবার সেই ব্যথা ভালো হয়ে যায়। এ অবস্থায় ও রোগী যখন ধুমপান চালিয়ে যেতে থাকে রোগ ও তখন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। আগের তুলনায় কম দুরত্ব অতিক্রম করলেও তখন রোগীর পায়ে ব্যথা দেখা দেয়। এক সময় বসে থাকা বা বিশ্রাম নেয়া অবস্থায়ও রোগী ব্যথা (Rest pain) অনুভব করে। এই অবস্থায় রোগটি বেশ জটিল অবস্থায় চলে গেছে বলে ধরে নেয়া হয়। এ সময় রোগীর পা ধীরে ধীরে সরু ও ঠান্ডা হয়ে যেতে শুরু করে। রোগীকে রাত্রে তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রনার কারনে নিদ্রাহীন ভাবে বিছানার পাশে পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। একসময় পায়ে ঘা বা ulcer দেখা দেয় এবং পরিশেষে পচন (Gangrene) ধরে। এই গ্যাঙ্গরিন পায়ের আঙ্গুল থেকে ক্রমশ উপড়ের দিকে উঠতে থাকে এবং এক সময় মুল্যবান পা টি কেটে ফেলে দেবার (Amputation) মাধ্যমে এই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। এরপরও যদি রোগী ধুমপান চালিয়ে যায় তবে আবার আগের সমস্যা গুলো শুরু হয় এবং একসময় উরুর (Thigh) মাঝ বরাবর পা কেটে ফেলে দিতে হয়।

বোঝাই যাচ্ছে যে বার্জারস ডিজিজ এর শেষ পরিণতি পঙ্গুত্ব বরণ করা। তারপরও কিন্ত রোগটির বেড়ে চলা থেমে থাকেনা। এজন্য রোগটি নিয়ন্ত্রনে বিশেষ কিছু নিয়ম ও উপদেশ মেনে চলতে হয়। যেমন ধুমপান ও তামাক ব্যবহার ত্যাগ করা, খালি পায়ে না থাকা, বিশেষ ধরনের জুতা ব্যবহার করা, জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তন করা, নিয়মিত কিছু অসুধ সেবন করা ইত্যাদি। রোগের শুরুতেই যত্নবান হলে রোগটির বেড়ে চলাকে সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়। যে সকল রোগীকে পেশার কারনে অনেক দুরুত্ব অতিক্রম করতে হয় তারা সাইকেল ব্যবহার করে এই সমস্যা এড়াতে পারেন।

একসময় বার্জারস ডিজিজ এর জন্য পেট কেটে লাম্বার সিমপ্যাথেকটমি (Lumbar sympathectomy) অপারেশন করা হতো, কিন্ত তা স্থায়ী সমাধান দেয়না বলে এখন আর এর প্রচলন নেই। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ধমনীতে বাইপাস (Bypass) অপারেশন করে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে দেখা গেছে। ভাসকুলার সার্জন গন বার্জারস ডিজিজ এর স্থায়ী চিকিৎসা বাইপাস অপারেশন করে থাকেন।

12
ব্লাড প্রেসার (Blood pressure) নামে অতিপরিচিত রোগটিই আসলে হাইপারটেনশন। হাইপারটেনশন রোগটি সকলের না থাকলেও সুস্থ্য অসুস্থ প্রতিটি মানুষেরই ব্লাড প্রেসার থাকে, আসলে হৃদপিন্ড রক্তকে ধাক্কা দিয়ে ধমনীতে পাঠালে ধমণীর গায়ে যে প্রেসার বা চাপ সৃষ্টি হয় তাই হলো ব্লাড প্রেসার। এই চাপ এর একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে আর যখন তা স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনি তাকে বলা হয় হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ।

স্বাভাবিক প্রেসারঃ ধরে নেয়া হয় পূর্ণ বিশ্রামে থাকা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেসার হবে ১২০/৮০ মিলি মিটার পারদ চাপ। এক্ষেত্রে ১ম সংখাটি (১২০) দ্বারা হার্ট এর সংকোচনের সময় ধমণীর ব্লাড প্রেসার এবং ২য় সংখাটি দ্বারা হার্ট এর প্রসারণের সময়ে ধমণীর ব্লাড প্রেসার কে নির্দেশ করা হয়। এই ১ম প্রেসার সংখাটি যা সিস্টোলিক প্রেসার নামে ডাকা হয় সবসময়ই ২য় টি থেকে বেশি এবং এর স্বাভাবিক মাত্রা ১৪০ মি.মি এর নীচে এবং ৯০ মি.মি এর উর্ধে । অন্য দিকে ২য় প্রেসার সংখাটি কে ডায়াস্টোলিক প্রেসার ডাকা হয় এবং এর স্বাভাবিক মাত্রা ৯০ মি.মি এর নীচে এবং ৬০ মি.মি এর উর্ধ্বে। তাই যখন উপড়ের প্রেসার টি ১৪০ বা তার উর্ধ্বে অথবা নীচের প্রেসার টি ৯০ বা তার উর্ধ্বে পাওয়া যায় তখন ধরে নিতে হবে রোগীর ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক এর উর্ধ্বে অর্থাৎ তিনি উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন রোগে ভূগছেন। তবে বয়সের উপর ভিত্তি করে এই মাত্রার কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

রোগের কারণঃ হাইপারটেনশন রোগের শতকরা ৯৫ ভাগ কারনই বলতে গেলে এখনো সঠিকভাবে জানা হয়ে উঠেনি এবং একে বলা হয় এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন, বাকী ৫% হলো সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন এর মধ্যে কিছু আছে কিডনির রোগ, কিছু হরমোনের সমস্যা জনিত রোগ তাছাড়া ধমনীর রোগ, অসুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং গর্ভাবস্থা ও এর জন্য দায়ী হতে পারে।

লক্ষনঃ রোগের প্রাথমিক অবস্থায় অনেক সময়ই রোগীর কোনো অভিযোগ থাকেনা। তবে কিছু রোগী মাথার পিছনের দিকে ব্যাথা, বেশী প্রসাব হওয়া, হঠাৎ হঠাৎ ঘেমে যাওয়া, বুক ধড়ফর করা ইত্যাদি উপসর্গ অনুভব করতে পারে। ব্লাড প্রেসার খুব বেশী হলে উপসর্গ ও বৃদ্ধি পেতে পারে। দীর্ঘ দিন ব্লাড প্রেসার অনিয়ন্ত্রিত থাকলে তা বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ অংগের স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং সেই জাতীয় সমস্যা নিয়েও রোগী অসুস্থ্য হতে পারেন।

রোগ নির্ণয়ঃ ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্র দিয়ে মাপলে কারো প্রেসার যদি বেশি পাওয়া যায় সেটাই হাইপারটেনশন নির্ণয় করার জন্য যথেস্ট। তবে দীর্ঘ দিন অনিয়ন্ত্রিত হাইপারটেনশন বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ অংগের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকলে সেসকল অংগের কার্যকারীতা দেখার পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।

জটিলতাঃ অনিয়ন্ত্রিত হাইপারটেনশন ষ্ট্রোক, এনকেফালোপ্যাথি, চোখের রেটিনার প্রভুত ক্ষতি সাধন ও অন্ধত্ব, হৃদপিন্ডের দেয়ালের পুরুত্ব বাড়ানো, হার্ট এটাক ও হার্ট ফেইলুর,কিডনী ফেইলুর সহ বিভিন্ন জটিল জটিল রোগের কারণ হতে পারে।

চিকিৎসাঃ হাইপারটেনশন চিকিৎসার প্রথম স্তরটিই হলো জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তন (lifestyle modification) করা। এর মধ্যে আছে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা- যেমন খাবারে লবনের পরিমান কমিয়ে আনা, আতিরিক্ত শর্করা বা চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া, ধুমপান বা এলকোহলের অভ্যাস থাকলে তা সম্পুর্ণ রুপে ত্যাগ করা, শরীরের বাড়তি ওজন কমানো, ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রন করা, নিয়মিত হাল্কা শরীরচর্চা করা, উপাসনা বা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। অনেক সময় শুধু এইসব পরামর্শ মেনে চলার মাধ্যমেই হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রন করা যায়। এর পরেও যদি নিয়ন্ত্রন করা না যায় সেক্ষেত্রে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শঅনুযায়ী অসুধ খাওয়া লাগতে পারে। কার্ডিওলজিস্টগণ সাধারনত ডায়েরুটিক্স, বিটা ব্লকার, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, এসিই ইনহিবিটর, এআরবি ব্লকার, আলফা ব্লকার বা মস্তিস্কের কেন্দ্রে কাজ করে প্রেসার কমানোর এমন অসুধ গুলো বিভিন্ন মাত্রায় রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ব্যবহার করে উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করেন।

13
সাধারণত পারিবারিক (জেনেটিক) কারণে হয়, এছাড়া ইমিউনোলজিকাল বা কোনো অষুধের (ক্যান্সার কেমোথেরাপি) পার্শ-প্রতিক্রিয়া হিসাবেও এ রোগ হতে পারে। তরুণ বয়সে হয়ে থাকলে সাধারণত এর উৎস মূলত পারিবারিক এবং এক্ষেত্রে চুল পরা শুরু হয় মাথার সামনের দিক থেকে এবং পরে মাথার পেছনের অংশেও হয়। যদিও পুরুষের ক্ষেত্রেই এর প্রাদুরভাব বেশি তবে মহিলারাও বৃদ্ধ বয়সে পারিবারিক কারনে টাক সমস্যায় ভূগতে পারেন। এর সাথে যদি মহিলাদের ব্রণ অথবা মাসিক এর সমস্যা থেকে থাকে তবে গাইনি (ওভারির সিস্ট - Ovarian Cyst) অথবা এন্ডক্রাইন (Endocrine) বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে।
চিকিৎসা: সাধারণত কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৫% মিনক্সিডিল লোশন অথবা ১ মিগ্রা ফিনাস্টেরাইড ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে। টাক রোগকে যারা বড় সমস্যা হিসেবে দেখেন তাদের জন্য অবশ্য হেয়ার ইমপ্লান্টেশন (hair implantation) বা চুল প্রতিস্থাপন করে নেবার সুযোগ রয়েছে। এ পদ্ধতিতে মাথার যেসব জায়গায় চুল আছে সেখান থেকে চুল নিয়ে চুল না থাকা স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটা স্থায়ী পদ্ধতি, এর কার্যকারীতাও অনেক আর খুব বেশী যে খরচ হয় তাও কিন্ত না।

Jeta Majumder
Lecturer
Department of Business Administration
Faculty of Business and Economics

14
Faculty Forum / পেপটিক আলসার
« on: April 20, 2014, 04:56:05 PM »
খালিপেটে থাকলে আমাদের পেটের উপরিভাগে যদি ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভুত হয় তবে তাকে আমরা সাধারণত গ্যাস্ট্রিক পেইন বলে ডেকে থাকি। আসলে গ্যাস্ট্রিক শব্দের প্রকৃত অর্থ কিন্ত পাকস্থলি বা (Stomach) আর যাকে আমরা গ্যাস্ট্রিক পেইন বলে থাকি তা কিন্ত আসলে সম্ভবত পেপটিক আলসার এর ব্যথা।

তারপরও বলা প্রয়োজন যে পেটের উপরি অংশে শুধু পেপটিক আলসার এর কারনেই ব্যথা হয়না , ব্যাথা বা জ্বালাপোড়ার অন্য কারন ও আছে।

মানুষের পাকস্থলি খুব শক্তিশালী এসিড উৎপন্ন করে থাকে, আর একে নিস্ক্রিয় করার জন্য রয়েছে বেশ শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থাও, যখন এদের মধ্যে ভারসাম্য নস্ট হয়ে এসিডের আধিক্য দেখা দেয় তখন পাকস্থলির গায়ে, গলনালির শেষে বা ক্ষুদ্রান্তে ঘা হয়। এর নামই পেপটিক আলসার (Peptic Ulcer)। অবশ্য হেলিকোব্যক্টার পাইলোরি (Helicobacter pylori) নামক জীবানুটিকে সরাসরি আলসার হবার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে অনেক আগেই, তবে ব্যথানাশক বা অন্যান্য কিছু অসুধও আলসার হবার জন্য সরাসরি দায়ী। ধুমপান, এলকোহল সেবন, অতিরিক্ত ক্রোধ বা উত্তেজনা প্রদর্শণ ইত্যাদি পেপটিক আলসারের ঝুকি অনেক গুনে বাড়িয়ে দেয়।

বার বার পেটের উপরি অংশের মাঝ বরাবর ব্যথা বা জ্বালা পোড়া করা যা সাধারণত খাবার পরে কমে যায় এবং বছরে বেশ কয়েকবার হয় এমনটি হলেই ধরে নেয়া হয় যে রোগীর পেপটিক আলসার জাতীয় রোগ রয়েছে। তবে অমন উপসর্গ হবার নানাবিধ কারন রয়েছে। এন্ডোসকোপি (Endoscopy) পরীক্ষার মাধ্যমে আলসার আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা যায় সেই সাথে বায়োপসি (Biopsy) করে বোঝা যায় সেটা অন্য কোনো রোগ থেকে হয়েছে কিনা কিংবা জীবানু আছে কিনা।

চিকিৎসা শুরুর আগেই নিশ্চিত হওয়া জরুরী যে এটা পেপটিক আলসার রোগ কিনা কারণ পাকস্থলির ক্যান্সার, জি,ই,আর,ডি (GERD) এই জাতীয় রোগ গুলোতেও একই রকম উপসর্গ থাকে। আর চিকিৎসা শুরু করে দিলে ঐ রোগ গূলো নির্ণয় করা বেশ জটিল হয়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই এর চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

ধুমপান, এলকোহল ও ব্যথানাশক অসুধ কম খেলে এই রোগ অনেকাংশে নিয়ন্রন করা যায়। জীবানুর আক্রমনে এই রোগ হলে নিয়ম অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ও আলসার প্রতিরোধক অসুধ খেতে হবে। এন্টাসিড জাতীয় অসুধ এ রোগের সাময়িক নিরাময় করে; রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, ইসমিপ্রাজল, রাবিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল ইত্যাদি অসুধ আলসার ভালো হতে যথেষ্ট ভুমিকা রাখে।

15
ত্বকের মরা কোষ, ময়লা,দূষণ এবং শারীরিক নানা সমস্যার কারণে আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধুলা ময়লা ত্বকে জমে রোমকূপ বন্ধ করে ফেলে। ফলে সৃষ্টি হয় ব্রণের। বিশেষ করে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেশি থাকলে তা সহজেই ময়লা আকর্ষণ করে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। অনেকেই নোংরা হাতে ব্রণ খুঁটে থাকেন। এটা একেবারেই উচিত নয়, এতে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং দাগ পড়ে যায়। ত্বকের সামান্য যত্ন নিলেই ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রইল ব্রণের হাত থেকে নিস্তার পাবার কিছু ভেষজ উপায় -

    ১) ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। তাই স্ক্রাবিং পুরো দেহের জন্যই প্রযোজ্য। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশা এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।

    ২)পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলো দূর করতেও পুদিনা পাতা উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট এরপর ধুয়ে ফেলুন।

    ৩)পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সাথে ত্বকের জ্বালাপোড়াও দূর করবে।

    ৪) লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে তা খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

    ৫) টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

    ৬) নিমপাতা খুব ভালো জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সাথে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ পর ধুয়ে ফেলুন।

    ৭) যাঁদের ব্রণের পরিমাণ অত্যধিক বেশি তাঁরা পাতিলেবুর রস দিনে দুই তিনবার ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

    ৮)ধনিয়াপাতাও ব্রণ সারাতে কার্যকর। ধনিয়াপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ পর ধুয়ে ফেলুন।

    ৯) ১ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা জ্বাল দিন। পানির পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এই পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

    ১০)গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

Source: http://news.iportbd.com/health/2013-09-15-13-31-36-4-17396

Jeta Majumder
Lecturer
Department of Business Administration
Faculty of Business and Economics

Pages: [1] 2 3 4