Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - mahzuba

Pages: [1] 2 3 ... 16
1
Teaching & Research Forum / Re: Writing the Statement of Purpose
« on: December 08, 2014, 10:50:20 AM »
Thanks for this helpful post.

2
Faculty Sections / প্যারাসুটের রহস্য
« on: December 08, 2014, 10:46:50 AM »


সম্ভব। প্যারাসুট দিয়ে খুব সহজেই এভাবে নামা সম্ভব। কেমন হয়, যদি চট করে এমন একটা প্যারাসুট তুমিও বানিয়ে ফেলতে পার? আজ তাহলে চমৎকার এই কাজটি শিখে ফেলা যাক। সেই সঙ্গে শেখা যাক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্যারাসুট তৈরি করার জন্য আমাদের দরকার হবে ৪ টি জিনিস:

১) একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ (হালকা কিছু বা পলিথিন)

২) কাঁচি

৩) তার বা সুতো

৪) একটা ছোট্ট ভারি কিছু (মানুষ আকারের পুতুল বা অ্যাকশন ফিগার হলে ভালো হয়)

যেভাবে করব:

প্রথমে প্লাস্টিকের ব্যাগটা বড় করে চারকোণা আকৃতিতে কেটে নেব। এবার কোণাগুলা এমনভাবে ভাঁজ করে ফেলব যেন মনে হয় এর আটটি তল আছে। প্রত্যেকটা তলের প্রান্তের ঠিক কাছ থেকে একটি ছোট করে ছিদ্র করতে হবে। এবার প্রত্যেকটা ছিদ্রতে একটা করে তার বা সুতোর এক প্রান্ত যুক্ত করে মোট ৮ টা তারের বাকি প্রান্তগুলো একসঙ্গে জড়ো করব। খেয়াল রাখতে হবে, আটটা তারই যেন সমান দৈর্ঘ্যের হয়। এবার ৮টা তারের মুক্ত প্রান্তগুলোতে ভারি বস্তু বা অ্যাকশন ফিগারকে বেঁধে ফেলতে হবে। তৈরি হয়ে গেল আমাদের প্যারাসুট।

এবার চেয়ার বা টেবিলের উপর থেকে অ্যাকশন ফিগারটাসহ প্যারাসুট ছেড়ে দেই। যদি ঠিকঠাক ভাবে বানাতে পার, তাহলে খুব ধীরে ধীরে প্যারাসুটটা অ্যাকশন ফিগারসহ মাটিতে নেমে আসবে।

এবার প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন এবং কীভাবে এতটা ধীরে মানুষসহ প্যারাসুট নিচে নেমে আসে? কেননা শুধুমাত্র অ্যাকশন ফিগারটা উপর থেকে ছাড়লে তো সেটা খুব দ্রুত নেমে আসে।

আসলে বিষয়টি খুবই সোজা, যখন প্যারাসুটটা নিচে নামতে শুরু করে তখন সুতো বা তারের জন্য উপরের হালকা অংশটা বিশাল একটা জায়গা নিয়ে মেলে যায়। ঐ বিশাল অংশটুকুতে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী বল কাজ করে এবং একে নিচে আসতে বাধা দেয়। বাতাসের এই বাধাকে কাজে লাগিয়ে প্যারাসুট আস্তে আস্তে নিচে নামতে থাকে। ঐ হালকা অংশটা যত বেশি জায়গা নিবে, তত বেশি বাতাসের বাধা কাজে লাগাতে পারবে এবং তত আস্তে প্যারাসুটটা নিচে নামবে।

প্যারাসুটের মাঝের দিকে যদি ছোট একটা ছিদ্র করা হয়, তাহলে আস্তে করে ঐ জায়গাটুকু দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হতে পারবে। ফলে বাতাস প্যারাসুটের এক পাশে বেশি চাপ দিবে না এবং প্যারাসুটটা সোজা হয়ে নিচে নামবে।

প্যারাসুটের পেছনের বিজ্ঞান তো জেনেই ফেললে, আর কীভাবে বানাতে হবে তাও জেনে গিয়েছ। এবার বানিয়েই ফেল একটি প্যারাসুট। নিজের বানানো প্যারাসুট দিয়ে সারাদিন খেলতে তোমার খুব আনন্দ হবে। আর যদি তোমার বাসায় বড় একটি ছাদ বা মোটামুটি বড় একটি মাঠ থাকে থাকলে তো কথাই নেই! তবে সাবধান! তোমার বানানো প্যারাসুট দিয়ে অ্যাকশন ফিগারের বদলে নিজেকে জুড়ে দিয়ো না যেন! প্যারাসুট নিয়ে যদি উড়তে মন চায়, তাহলে বড় হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে একটু অপেক্ষা কর।

3


ঠিক কতদিন হয়েছে তুমি এই শূন্য শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছ? অঙ্কের শূন্যকে তুমি ঠিক কতদিন ধরে চেন? নিশ্চয় হাত গুনে গুনে অনেকগুলো বছরের হিসেব বলবে। শূন্য কি আর যেমন তেমন ব্যাপার? সেই ছোট্টবেলায় পড়াশোনা শুরুর আগ থেকেই ওই গোল জিনিসটাকে দেখে ফেলেছ তুমি। এ নাহয় গেল তোমার সঙ্গে শূন্যের পরিচয়ের কথা।

কিন্তু সত্যিকার শূন্যের পরিচয় কী তুমি জান? বলতে পার শূন্যে বয়স কত? উহু! এটি কিন্তু যেমন তেমন ব্যাপার নয়। এক নয়, দুই নয়, হাজার বছর আগে জন্ম শূন্যের। সেই পঞ্চম শতাব্দীতে। তখন পাটিগণিত করতে গিয়েই জান বেরিয়ে যেত সবার। এত শত প্যাঁচালো অংক তখন ছিলই না।

প্রথমে শূন্যের জন্ম হয়েছিল ব্যাবিলনীয়, মায়া আর ভারতীয় সভ্যতায়। তবে অনেকে বলে ব্যাবিলিয়ানদের কাছ থেকেই এসেছিল ভারতের প্রথম শূন্য। তবে সংখ্যা কী করে গুনতে হয় সেটা কিন্তু ব্যাবিলিয়ানরা শিখেছিল সুমেরীয়দের কাছে।

ওদের কাছে শুরুর অর্থ ছিল ফাঁকা। ওরা শূন্যের জায়গাটা ফাঁকাই রেখে দিত। তবে ব্যাবিলিয়ানরা জায়গাটাকে ফাঁকা না রেখে সেখানে রেখে দিত কাঠ বা বাঁশের টুকরা। তবে ওরাও কিন্তু সংখ্যা হিসেবে শূন্যের জন্ম দেয়নি তখনও।

এর প্রায় ৬০০ বছর পর মায়াসভ্যতায় শুরু হয় শূন্যের বেড়ে ওঠা। ওখানেই ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রথম জায়গা করে নেয় শূন্য। তবে এতকিছুর পরেও কিন্তু যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ এসবের ধারকাছ দিয়েও শূন্যকে নিয়ে যায়নি মায়ানরা।

তবে শূন্যকে সমীকরণের রূপ দিতে এগিয়ে আসে ভারতীয়রা। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫৮ সালে প্রথম শূন্য আসে ভারতে। এখানেই প্রথম শব্দটি সংকেতের রূপ নেয়। গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম শূন্যকে একটি গাঠনিক রূপ দেন। যোগ-বিয়োগের নিয়ম বানান। এর পরের কয়েক শতাব্দীতে হুট করে শূন্য চলে যায় চীন আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। বাগদাদে জন্ম নেয় শূন্যের আরবি রূপ। পারস্যের এক গণিতবিদ মুহাম্মাদ ইবনে মুসা আল খারিজমি প্রথম ভাবেন শূন্যকে একটি গোলাকার রূপ দেওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, বীজগণিত আবিষ্কার করেন তিনি। আবিষ্কার করেন দ্রুত গুণ আর ভাগ করবার নতুন নতুন পদ্ধতি।

স্পেনে কিছু নতুনত্ব পাওয়ার পর ইটালিতে গিয়ে গণিতবিদ ফিবোনাক্কির সহায়তায় আরও কিছুটা উন্নত হয় শূন্য। শূন্যকে ব্যবহার করে কোনো রকম অ্যাবাকাস ছাড়াই গণিত, বিশেষ করে পাটিগণিত করার উপায় বের করেন তিনি। অ্যাবাকাস চেন তো? অ্যাবাকাস হচ্ছে গণনা করার প্রাচীনতম যন্ত্র। সেখানে থাকত কতগুলো গোল গোল গুটি। এই গুটিগুলোকে একটি অক্ষপথ ধরে একপাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে গণনার কাজ চালান হত।

ফিবনক্কির পর শূন্যের অগ্রযাত্রা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল মাঝখানে ইতালিয়ার সরকার আরবীয় সংখ্যার উপর বেশ কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু সংখ্যাগুলো এতই জনপ্রিয়তা ততদিনে পেয়ে গিয়েছে যে অবৈধভাবেই সেগুলোকে ব্যবহার করতে থাকে ইতালিয়ানরা।

১৬০০ শতকের দিকে স্যার আইজাক নিউটন আর অন্যসব মনীষীদের সহায়তায় শূন্য পাকাপোক্ত একটিজায়গা করে নেয় গণিতের জগতে। সেই শূন্যই আমরা আজ পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছি। 

4

পৃথিবীতে শত শত বিজ্ঞানী ছিলেন ও আছেন। তারা প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের জাদুকরী জগতটাকে নানাভাবে ভ্রমণ ও বিচার-বিশ্লেষণ করে চলেছেন। ভাবছেন, বিজ্ঞানকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে আরও বেশি বেশি করে কাজে লাগান যায়-- এসব নিয়ে পরিশ্রম করেই কেটে যায় তাদের দিন-রাত্রি। কিন্তু এদের মধ্যে এমন কয়েকজন বিজ্ঞানী আছেন, যাদের অসাধারণ চিন্তাশক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা দিয়ে আমাদের পৃথিবীটাকেই বদলে দিয়েছেন।

পৃথিবীকে বদলে দেয়া তেমন একজন বিজ্ঞানী হলেন, ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ চার্লস ডারউইন। তার ‘বিবর্তনবাদ ও প্রাকৃতিক নির্বাচন’ সংক্রান্ত মতবাদ দিয়ে আমাদের চারপাশের জীবন ও জগত সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষের ধারণাটাই পুরোপুরি পালটে দিয়েছেন। মানুষকে শিখিয়েছেন সম্পূর্ণ নতুনভাবে নিজেকে দেখতে। চল, আজ আমরা জেনে নেই এই মহান বিজ্ঞানী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য—

কালজয়ী বৈজ্ঞানিক চার্লস ডারউইনের জন্ম হয় ১৮০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডে। আজীবন বিজ্ঞান সাধনার পর সেই ইংল্যান্ডেই তিনি ১৮৮২ সালের ১৯শে এপ্রিল, ৭৩ বছর বয়সে  মৃত্যুবরণ করেন।

ডারউইনের সব গবেষণাই খুব গুরুত্বের সঙ্গে  বিবেচনা করা হয়। তবে, সবচেয়ে বিখ্যাত গবেষণামূলক কাজ ছিল, প্রাকৃতিক নির্বাচন নিয়ে ধারণা। যার মূল কথা হল-- পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী প্রজাতিই একই পূর্বপুরুষের কাছ থেকে এসেছে এবং সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। এর মূল সূত্রটি কিন্তু বেশ মজার। প্রাণীর যখন সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন ঘটে, যেটাকে উনি বিবর্তন বলে অভিহিত করেছেন, তখন তাদের যে বৈশিষ্ট্যগুলো তার পরিবেশের সঙ্গে মিলে যায় সেগুলো রয়ে গেছে আর যেগুলোর তেমন দরকার হয়নি সেগুলো হারিয়ে গেছে। কি কঠিন খুব মনে হচ্ছে কথাটা? আচ্ছা সহজ করে বলি। ধর তোমার বাসায় একটা দাবার কোর্ট আছে কিন্তু ফুটবল খেলার জায়গা নেই। তাহলে এই সূত্র অনুযায়ী তোমার শারীরিক শক্তির বিকাশের তুলনায় বুদ্ধির বিকাশ বেশি হবে। আরও সহজ করে বললে তোমাকে যদি তখন একটা ইট সরাতে বলা হয়, তুমি হাত দিয়ে না সরিয়ে কীভাবে অন্যভাবে করা যায় এটা ভাবতে বসবে। কেননা তোমার বৈশিষ্ট্যটিই যে হারিয়ে গেছে।

ডারউইন কিন্তু শুধু তার এই প্রাকৃতিক নির্বাচন বিষয়ক মতবাদ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। তিনি বিস্তারিত গবেষণার মাধ্যমে তার এই যুগান্তকারী তত্ত্বের সপক্ষে শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। সেটা করার জন্যে পাঁচ বছর ধরে ‘এইচএমএস বিগল’ নামের একটি নৌ জাহাজে গবেষণায় কাটিয়েছিলেন। ভাবছ জাহাজে করে আবার কীভাবে গবেষণা হয়? উনি আসলে সমুদ্র পড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশ এবং জনশূন্য দ্বীপে যেতেন। মতবাদ তো শুধু দিলেই হবে না তার পক্ষে প্রমাণ এবং যুক্তিও দেখাতে হবে। বিভিন্ন ভূখণ্ডের ঘুরে উনি এইসব প্রমাণ ও তথ্য সংগ্রহ করতেন। সমুদ্রযাত্রায় ডারউইন বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ  ব্রাজিল, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, ফকল্যান্ড দ্বীপ ও গালাপাগোস প্রভৃতি দ্বীপসমূহ ভ্রমণ করেছেন।

তিনি তার ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত ‘অন দ্যা অরিজিন অব স্পেসিস (প্রজাতির উৎপত্তি)’ বইটিতে তার এই প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণাকে বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এত জায়গা ঘুরে ঘুরে যে তথ্যগুলো পেয়েছেন তা উনার মতবাদটিকে সমর্থন করে। এখন চাইলেই কেউ বলতে পারবেন না ডারউইনের মতবাদ সঠিক ছিল না। এই বইটিকে জীবের উৎপত্তি ও বিকাশ সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এছাড়া তার অন্যান্য কাজগুলির মধ্যে রয়েছে ‘দ্যা এক্সপ্রেশন অব ইমোশনস ইন ম্যান অ্যান্ড এনিম্যালস (মানুষ ও প্রাণীসমূহের আবেগীয় অভিব্যক্তি)’, ‘দ্যা ডিসেন্ট অব ম্যান, অ্যান্ড সিলেকশন ইন রিলেশন টু সেক্স (মানুষের ক্রমোন্নয়ন ও লৈঙ্গিক নির্বাচন)’, ‘দ্যা পাওয়ার অব মুভমেন্ট ইন প্ল্যান্টস’ এবং ‘দ্যা ফর্মেশন অব ভেজেটেবল মৌল্ড থ্রু দ্যা একশন অব ওয়ার্মস’।

ডারউইন তার বিবর্তন তত্ত্বটি দিয়ে বিভিন্ন প্রচলিত বৈজ্ঞানিক, ধার্মিক ও দার্শনিক মতবাদকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর ফলে তার এই ধারণাটি ভীষণ আলোচিত হয়ে ওঠে। যদিও শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশ মানুষই বিবর্তনবাদকে গ্রহণ করে নিয়েছেন, তবু আজও অনেকে এই ধারণার সত্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেন-এর সমর্থনে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ থাকার পরেও।

শেষ বয়সে ডারউইন নানা রোগে-শোকে আক্রান্ত হয়ে পড়লেও নিজের গবেষণাকার্য চালিয়ে যান এবং নিজের ধারণাগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন। একই সঙ্গে বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও নতুন সব ধারণার উৎপত্তি ঘটান।

বিজ্ঞানী ডারউইন সম্পর্কে আমাদের আজকের এই লেখাটা শেষ করব তাঁর খুব বিখ্যাত একটি উক্তি দিয়ে। উক্তিটি পড়লেই তোমরা বুঝবে উনি যে শুধু বড় বিজ্ঞানী ছিলেন তাই নয়। উনি একজন বড় মাপের মানুষও ছিলেন। উনি যেমন বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতেন তেমনি সমাজ নিয়েও ভাবতেন। সমাজকে খারাপ প্রথা থেকে দূরে রাখতে চাইতেন। তাই তো দাস প্রথার নিয়ে যখন মানুষ সোচ্চার, উনিও তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি মানুষ ধীরে ধীরে দাসত্বের বিরুদ্ধে কিভাবে সোচ্চার হয়ে উঠছে। ব্রিটেনের জন্য এটা কতই না গর্বের ব্যাপার হবে যদি সে প্রথম ইউরোপিয়ান দেশ হিসেবে এই প্রথাকে বিলুপ্ত করতে পারে।”

5

কিছু জিনিস কখনও একসঙ্গে মিশতে চায় না! তোমারও হয়ত এমন কোনো বন্ধু আছে, যার সঙ্গে তোমার কোনোভাবেই মতে মিলে না। যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, ঠিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায় না। পানি আর তেলও কিন্তু একই সমস্যায় আছে। এদেরকে তুমি যতভাবেই মেশাও না কেন, এর কখনও এক হতে পারে না। অনেকে হয়ত চেষ্টা করে দেখেছ, কিন্তু সবসময়ই তেল পানির উপরেই ভেসে থেকেছে। আচ্ছা, চল আজ আমরা আবার একবার চেষ্টা করে দেখি। কে জানে, বিজ্ঞানের জাদু দিয়ে আমাদের সবার চেষ্টায় তেল আর পানি মিশেও যেতে পারে!
আমাদের যা যা লাগবে--

    কোমল পানীয়ের ছোট বোতল
    পানি
    খাবারের রঙ (খাবারে যেসব রঙ মেশানো হয়, এগুলো আম্মুর ফ্রিজেই পেয়ে যাবে। নাহলে বাজারে যে কোনো মুদি দোকানেই পাওয়া যায়)
    দুই টেবিল চামচ পরিমাণ রান্নার তেল
    ডিটারজেন্ট

 

যেভাবে করবে পরীক্ষা--

১। পানিতে কয়েক ফোঁটা খাবারের রঙ মেশাও। দেখবে পানি রঙিন হয়ে গিয়েছে।

২। এবার ওই রঙিন পানি দুই টেবিল চামচ পরিমাণ নিয়ে রান্নার তেলের সঙ্গে মিলিয়ে কোমল পানীয়ের বোতলের ভিতরে ঢাল।

৩। বোতলের ঢাকনাটি শক্ত করে আটকে যত জোরে পার, ঝাঁকাতে থাক।

৪। কিছুক্ষণ জোরে ঝাঁকানোর পর বোতলটিকে রেখে দিয়ে ভালো করে লক্ষ কর। মনে হবে তরলগুলো যেন সত্যি সত্যি মিশে যাচ্ছে! কিন্তু সেটা কেবল অল্প কিছুক্ষণের জন্যই। একটু পরেই আবার দেখা যাবে তেল ঠিকই পানির উপরে ভেসে উঠেছে।

কার্যকারণ:     

এমন হল কেন? নিশ্চয়ই ভাবতে বসেছ। পানি অন্য অনেক তরলের সঙ্গে মিশে দ্রবণ তৈরি করলেও তেলের সঙ্গে করতে পারে না। প্রত্যেক পদার্থই অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে তৈরি, যেগুলোকে বলা হয় অণু। পানির অণুগুলো নিজেদের মধ্যে অনেক শক্ত বন্ধনে আটকে আছে। তেলের অণুগুলোর মধ্যেও আভ্যন্তরীণ বন্ধন অনেক দৃঢ়। আর এ কারণেই ওরা নিজেদের মধ্যকার বন্ধন ভেঙে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না। পানির আর তেলের অণু পরস্পর থেকে আলাদা থাকে। এদের ঘনত্বও আলাদা। তেলের ঘনত্ব পানির থেকে কম। তাই তেল পানির উপরে ভেসে থাকে।

কিন্তু আমার মতো তোমারও যদি খুব ইচ্ছে করে পানি আর তেলকে মিশিয়ে দিতে, তাহলে এই দ্রবণে কিছুটা ডিটারজেন্ট যোগ কর। ডিটারজেন্টের অণু, পানি আর তেল উভয়ের অণুগুলোকে কাছে টানে। আর এর আকর্ষণ এতই জোড়ালো যে একসঙ্গে রাখলে তিনটাকেই মিলিয়ে ফেলতে পারে। এভাবে তৈরি হয় তৈলাক্ত ক্রিমের মতো একটি পদার্থ। এ কারণেই যখন প্লেটে তেল লেগে থাকে, তখন তা পরিস্কার করতে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়। ডিটারজেন্টের অণু প্লেট থেকে তেলটাকে তুলে নেয় আর সেইইসঙ্গে পানি দিয়ে প্লেটটা পরিষ্কার করে ফেলা যায়।

দেখেছ, কীভাবে মিশিয়ে দিলাম তেল আর পানিকে!

6
Teaching & Research Forum / Re: Qualitative research
« on: December 02, 2014, 10:30:33 AM »
Very helpful post.

7
Thanks for this post.

8
বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে ক্রমাগত নতুন নতুন ফিচারযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আসছে। আর এসব প্রযুক্তির দামও কম নয়। সম্প্রতি মার্কো ডি’সুজা ব্যাখ্যা করেছেন কি কারণে ১০ হাজারের বেশি মূল্যের স্মার্টফোন কেনা উচিত নয়। এক প্রতিবেদনে তার যুক্তিগুলো তুলে ধরেছে ডিএনএ ইন্ডিয়া।
মার্কোর মতে, স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড নাম এখন অনেক ক্রেতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যদিও তা নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নয়। কারণ ব্র্যান্ড নামের কারণেই কিছু প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত মূল্যের স্মার্টফোন বাজারে এনে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নতুন উচ্চগতির প্রসেসরসমৃদ্ধ স্মার্টফোন দিয়ে থ্রিডি গেমস খেলা অনেক সহজ হলেও তা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়।
স্মার্টফোনের যেসব কাজ গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে রয়েছে ফোন করা, মেসেজ পাঠানো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, সাধারণ গেম ব্যবহার ও ইন্টারনেট ব্যবহার। এর বাইরে রয়েছে নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা ও ছবি তোলা।
স্মার্টফোনের এ কাজগুলোর তালিকা যখন আপনার পূরণ হয়ে যায়, তখন আর এজন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার কোনো মানে হয় না, মন্তব্য মার্কোর। তিনি যুক্তি দেন, স্মার্টফোনের ৯৫ ভাগ কাজই যদি সাধারণ ফোন দিয়ে করা যায় তাহলে আর বেশি কনফিগারেশনের বড় স্মার্টফোনের দরকার কী? পর্যাপ্ত অর্থ থাকলে তা দিয়ে অন্য কোনো মূল্যবান বস্তু কেনা যেতে পারে।

9
 বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের তিন মাইল গভীরে 'ব্ল্যাক সি ডেভিল' নামের এক অদ্ভুত মাছের ছবি তুলেছেন। এই 'রহস্যময় ও বিশ্রী' মাছটির বসবাস মহাসমুদ্রের তলদেশে। বিজ্ঞানীরা মাছটির ব্যাপারে আগে থেকে জানলেও গত ১৭ নভেম্বর প্রথম সমুদ্রের তলদেশে এর ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বলে রিপোর্টে প্রকাশ করেছে সিএনএন।
২০০৩ সালে 'ফাইন্ডিং নিমো' নামে একটি অ্যানিমেশন মুভিতে এরকম একটি মাছকে দেখানো হয়েছিল, যেটি নিমো আর ডোরিকে আক্রমণ করে প্রায় গিলেই ফেলেছিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র প্রাণিবিজ্ঞানী ব্রুস রবিনসন এবং তার দল, মনটিরে বে অ্যাকুয়ারিয়াম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহায়তায় সমুদ্রের তলায় এই অভিযানটি পরিচালনা করেন। বিরল এই মাছটিকে ক্যামেরাবন্দী করার জন্য 'ডন রিকেটস' নামে একটি দূর নিয়ন্ত্রিত যানকে সমুদ্রের ১৯ হাজার ফুট গভীরে প্রেরণ করেন। সেখানেই দেখা পাওয়া যায় এই মাছটির।
এই বিশেষ ধরনের মাছটিকে জীববিজ্ঞানের ভাষায় 'এঙ্গলারফিশ' বলা হয়। এ ধরনের মাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এদের মাথায় মাংসল উজ্জ্বল একটি পিণ্ড থাকে যা দেখে শিকার আকৃষ্ট হয়। এছাড়াও মাছটির অবিশ্বাস্যরকম বড় দাঁতাল চোয়াল রয়েছে যা দিয়ে বড় শিকারকে অনায়াসেই ঘায়েল করতে পারে সে।
এর আগেও মাছটিকে ছয় বার ক্যামেরাবন্দী করা হলেও বিজ্ঞানী দলটির নেতা রবিনসন দাবী করেছেন যে এবারই প্রথম এত গভীরে মাছটিকে তার নিজ এলাকায় ভিডিও করা হয়েছে।

10
কোন কিছু সহজে না পাওয়া গেলে আমরা কথায় কথায় বলি ‘অমুকটা কি গাছে ধরে’। এমনি একটি দুর্লভ জিনিস হচ্ছে— বিদ্যুৎ।  তবে এখন সত্যি সত্যিই বিদ্যুৎ গাছে পাওয়া যাবে!
সম্প্রতি ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা ‘উইন্ড ট্রি’ বা ‘বায়ু গাছ’ নামের একটি প্রটোটাইপ কৃত্রিম গাছ তৈরি করেছেন যার একটি বাড়িতে বসানো হলে তা থেকেই পুরো বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ডেইলি মেইল-এর।
ফরাসি গবেষণা সংস্থা সিএনআরএসের একদল গবেষক এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন।
তাদের আবিষ্কৃত এই বায়ু গাছে প্লাস্টিকের পাতার মধ্যে বসানো থাকে টারবাইন। এই টারবাইন বাতাসে ঘুরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এতে সূর্যের আলোর সাহায্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হয় গ্লুকোজ ও অক্সিজেন। আর এই দুটি উপাদান থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হয়।
এ জন্য দরকার হবে একটি বায়োফুয়েল সেল তথা জৈবিক ব্যাটারি, যে সেলটিকে গবেষকরা একটি ক্যাকটাসের ভেতর প্রতিস্থাপন করে বিদ্যুৎ তৈরিতে সফল হয়েছেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কৃত্রিম উপায়ে বেশি পরিমাণে আলো নিক্ষেপ করার ফলে একটি বায়োফুয়েল সেল প্রতি বর্গসেন্টিমিটার ক্যাকটাস থেকে ৯ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পেরেছেন। ভবিষ্যতের পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই প্রযুক্তি একটি মাইল ফলক হতে পারে। এই প্রযুক্তির আরো উন্নয়ন ঘটনানো সম্ভব আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গবেষকেরা বলছেন, এ গাছ তৈরিতে খরচ হবে২৩ হাজার ৫০০ পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ২৮ লক্ষ টাকা । সাড়ে চার মাইল গতিতে বাতাস হলেই এ গাছ বিদ্যুৎ উত্পাদন করতে পারবে। বাড়ি, রাস্তার এলইডি বাতির বিদ্যুত্ জোগান দিতে এই কৃত্রিম গাছ ব্যবহার করা যাবে। ২০১৫ সাল নাগাদ এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাজারজাত করা হতে পারে।

11
EEE / Re: Tiny camera module alerts sleepy drivers
« on: December 01, 2014, 12:15:19 PM »
Interesting.

12
Everyone knows that but no one serious.

14
Faculty Sections / সাজগোজের পর
« on: November 10, 2014, 03:18:28 PM »
সেজেগুজে নিজেকে সুন্দর করে তোলা তো হলো। এরপরের করণীয়টা কি সবসময় মনে থাকে! পার্টি থেকে ফিরে আলসেমিতে অনেক সময় মেকআপটা তোলা হয়না। সেই নিয়েই ঘুম। তার ফল? ত্বকে ব্রণ, দাগসহ নানা সমস্যা।
এ নিয়ে রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, কোন পার্টিতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই তেল-চর্বিযুক্ত ভারী খাবার খাওয়া হয়। আর সাজের জন্য প্রচুর মেকআপ, হেয়ার স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এর কোনো কিছুই ত্বকের জন্য ভালো নয়। তাই অবশ্যই মেকআপ করে আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তা ঠিকমতো তুলে ফেলতে হবে। কেননা, সারা দিনের ভারী মেকআপ ত্বকের লোমকূপগুলোকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ভেতরে ঢুকতে পারে না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাই ভালোভাবে মেকআপ তুলে ফেলা উচিত। মেকআপ করার পর ত্বকের যত্নের কিছু উপায় বলে দিয়েছেন রাহিমা সুলতানা।

 তৈলাক্ত ত্বক হলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পুরো মুখে লোশন মেখে কিছুক্ষণ রাখুন। পরে তুলা দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলুন।
 শুষ্ক ত্বক হলে তুলাতে পানি আর তেল মিশিয়ে তা দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করা যেতে পারে।
 হালকা মেকআপ করলে তুলায় ক্লিনজার মেখে মুখটা পরিষ্কার করা যেতে পারে।
 কম ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
 মুখ পরিষ্কার শেষে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
 ভারি মেকঅঅপ করা হলে এর পর টানা কয়েক দিন মুখে প্যাক ব্যবহার করা ভালো।
 ত্বক তৈলাক্ত হলে পাকা পেঁপে বা পাকা কলা চটকে প্যাক তৈরি করে মুখে মাখতে হবে।
 চালের গুঁড়া, টকদই, শশা, গাজরের রস, মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে চাইলে ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
 শুষ্ক ত্বক হলে ময়দা, দুধ, মধু, মুলতানি মাটি দিয়ে পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুল নিয়ে হেলাফেলা করা উচিত নয়। চুলের বিশেষ যত্নের কথাও বলেন তিনি।
 হেয়ার সেপ্র, আয়রন মেশিন বা বিভিন্ন রকমের হেয়ার ক্রিম ব্যবহারে চুল জট পাকিয়ে যায়। তাই তেল দিয়ে আগে জট ছাড়াতে হবে।
 তেল মাখা চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
 ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
 নিয়মিত তেলের সঙ্গে মেথি, আমলকী মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করা যেতে পারে।
 চুলে নিয়মিত মেহেদি দেওয়া ভালো।
 চুলের গোড়ায় লেবুর রস দিয়ে ম্যাসেজ করা যেতে পারে। তবে বেশি সময় ধরে না করাই ভালো।
এসব যত্নআত্তির পাশাপাশি পার্টিতে খাবারের দিকেও লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি। তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। অন্যদিকে ভারী খাবারের সঙ্গে সালাদ আর তরল খাবার বেশি খেতে পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি প্রচুর ফলমূল, সবজি খেতে হবে এমনটাই মনে করেন তিনি। কেননা সুস্থ, সুন্দর ও সজীব ত্বক সবারই কাম্য।

15
Faculty Sections / এখনকার যত্ন
« on: November 10, 2014, 03:16:02 PM »
বর্ষার সময় আমাদের ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতার কারণে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ত্বক পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পায় না। এ কারণে ত্বকে কালচে ভাব দেখা যায়। এ সময় দিনে কয়েকবার করে মুখ ধোয়া উচিত। বর্ষায় ত্বকের যত্ন সম্পর্কে জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

শুষ্ক ত্বক
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক চা-চামচ গোলাপজল ও এক চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বক
গোলাপজল অথবা দুধের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে পুরো মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। মুখ ধুয়ে পানির ভাগ বেশি এমন কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

স্বাভাবিক ত্বক
পেস্তা বাদামের গুঁড়ো, গোলাপজল ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। বছরের এ সময়ে দিনে দুবার মুখ ধুতে হবে। ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ রোধ করবে, এমন সাবান ও পাউডার ব্যবহার করা উচিত। ভারী মেকআপ একদম নয়। পাশাপাশি ভারী ময়েশ্চারাইজারও এড়িয়ে গেলে ভালো হয়।

   
     
   চুলের যত্ন
আর্দ্রতার কারণে বা ভেজা রাখার কারণে চুলের গোড়ায় ছত্রাকের সংক্রমণ হয়ে যায়। এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ারও উপায় আছে। চুল ধুয়ে ব্লো ড্রাই করে নিতে হবে। অথবা ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। চুল যাতে সুন্দর ও ঝলমলে থাকে, সে জন্য সপ্তাহে এক দিন এ প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। মেহেদির সঙ্গে চার চামচ লেবুর রস, চার চা-চামচ কফি এবং দুটি ডিম ও টক দই মিশিয়ে দিলে চুল অনেক সুন্দর হবে।
চুলে কোনো ধরনের প্যাক বা শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। রক্ত চলাচল বৃদ্ধির পাশাপাশি চুলের গোড়া এতে পুষ্টি পাবে। এ ছাড়া চুল ভালো রাখার জন্য প্রোটিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করা দরকার।

বর্ষার খাওয়াদাওয়া
বর্ষায় আমাদের হজমশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। এ কারণে খাওয়াটা এ সময় একটু হালকা হলেই ভালো।
হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য জিরা, ধনে, মরিচ, হলুদ ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে।
প্রতিদিন দুধ খেতে হবে। এ ছাড়া তিতা খাবার, যেমন—করলা, মেথি, তুলসী, নিম খেতে হবে। বর্ষায় চা তো চাই-ই চাই। তবে একটু ভিন্ন স্বাদের জন্য পুদিনা পাতা, আদা দিয়েই না হয় পান করুন। অতিরিক্ত তেল, ঝাল, মসলা দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে না। মাছ-মাংস কম খেলেই ভালো।

Pages: [1] 2 3 ... 16