Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Arfuna Khatun

Pages: [1]
1
গরমকালে রোজা রাখা বেশ কষ্টকর। কিন্তু সেহরি ও ইফতারে যথোপযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা ইফতারে এমন কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন যা উদরপূর্তির পাশাপাশি শরীরের সার্বিক পুষ্টিচাহিদা পূরণেও সহায়তা করে।

তিনি পরামর্শ দেন, “গরমকালে সারা দিন শরীর থেকে প্রচুর পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। রোজার দিনে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করা যায় না। তাই ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।”

পানির চাহিদা পূরণ করতে যে কোনো রসাল বা তরল খাবার যেমন- ফলের রস, শরবত, সুপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে।” বললেন এই অধ্যাপক।

তিনি আরও বলেন, “একবারে বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণে পানি পান করতে হবে।”

তবে কোনোভাবেই কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া সারাদিন কিছু না খেয়ে ইফতারে আজে বাজে খাবার না খাওয়াই ভালো- বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ।

তিনি বলেন, “ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে চাইলে অবশ্যই তেল সমৃদ্ধ ও ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। তাছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কেউ চাইলে হালকা মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। তবে তার পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

তার দেওয়া অন্যান্য পরামর্শগুলো হল-

সরাসরি মিষ্টি না খেয়ে মিষ্টি ফল, পুডিং খাওয়া যেতে পারে। ঠিক ইফতারের সময় দুধের তৈরি মিষ্টি খাবার যেমন- পায়েস, সেমাই ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে ইফতারি শেষে এই ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারে খেজুর একটি আদর্শ খাবার। মিষ্টি ফল হওয়ায় দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়াও এটি ডাইজেস্টিভ এনজাইম বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে যা খাবার হজমে সাহায্য করে।
কেবল খেজুরই নয় অন্য যে কোনো ফল ইফতারে রাখুন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজে পূরণ হবে। তাছাড়া ফল আঁশ বহুল হওয়ায় তা অন্যান্য খাবার হজমেও সাহায্য করে।
ইফতার ও সেহেরিতে আঁশজাতীয় ফল খাওয়া ভালো। কারণ এই ধরনের ফল বেশিক্ষণ পানি ধরে রাখতে পারে। তাই ফলমূল ও সবজি শরীরকে ‘ডিটক্সিফাইন’ হতে সাহায্য করে। ফলে শরীর সুস্থ থাকে ।
এইসময় অতিরিক্ত চা বা কফি এবং কোমল পানীয় পান করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চা ও কফি শরীরের পানি শূন্যতার সৃষ্টি করে। অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়।
ইফতারে পেট ঠাণ্ডা থাকে এমন খাবার যেমন দুধচিড়া বা দই-চিড়া অথবা মুড়ি খাওয়া ভালো। দই পেটের সার্বিক সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

অনেকে ইফতারে তেহারি, বিরিয়ানি ধরনের খাবার খান। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোনোভাবেই এই ধরনের খাবার ইফতারিতে খাওয়া উচিত না। কারণ এইগুলো পেট গরম করে, ফলে নানা রকমের পেটের অসুখ দেখা যায়।

তাই সুস্থ থাকতে ইফতারের সময় বেশি করে তরল খাবার ও ফলমূল খেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইফতার শুরু করার সময় খুব বেশি তাড়াহুড়া করে খাওয়া উচিত নয়। একটু সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত।

প্রথমে, দুতিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করা। তারপর কিছু সময়, আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ভারী খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

কারণ মস্তিষ্কে খাদ্য সংবেদন পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি খাওয়া শুরু করা হয় তবে অধিক ভোজনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।


2
ইসলাম এক মহাসৌন্দর্যমণ্ডিত জীবনবিধান। মানুষের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করার উদ্দেশ্যে ইসলামের বহু বিধিবিধান দেওয়া হয়েছে। ইসলামে যদি কোনো জিনিস হারাম করা হয়, তাহলে তার পরিবর্তে কোনো উত্কৃষ্টতর জিনিসকে হালাল করে দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে অতীব উত্তম বিকল্প পেশ করা হয়েছে। সে বিকল্প এমন যে তার দ্বারা একদিকে যেমন সব বিপর্যয় সৃষ্টিকারী জিনিসের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, তেমনি হারাম জিনিসের ওপর নির্ভরশীলতা নিঃশেষ হয়ে যায়। যেমন—ইসলাম পাশা খেলার মাধ্যমে ভাগ্য জানা হারাম করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে ইস্তিখারার দোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ইস্তিখারার মাধ্যমে কোনো কাজের ভালো-মন্দ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ইসলাম সুদ খাওয়া হারাম করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে মুনাফাপূর্ণ ব্যবসা বৈধ করে দিয়েছে।

ইসলাম জুয়া খেলা হারাম করেছে, তার পরিবর্তে ঘোড়া, উট ও তীরের প্রতিযোগিতালব্ধ ধনসম্পদ গ্রহণ বৈধ করেছে। শর্ত হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত তা শরিয়তের পরিপন্থী না হয়।

ইসলাম পুরুষদের রেশম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তার পরিবর্তে সুতা, পশম, কাতানের বিভিন্ন সৌন্দর্যময় পোশাক বৈধ করেছে। ইসলাম জিনা-ব্যভিচার ও পুংমৈথুন হারাম করেছে। তার পরিবর্তে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে বৈধ উপায়ে যৌন সঙ্গম বৈধ করেছে। ইসলাম মাদকদ্রব্য হারাম করেছে। তার পরিবর্তে দেহ ও মনের উপকারী সুস্বাদু পানীয় হালাল করে দিয়েছে। ইসলাম খারাপ ও নিকৃষ্ট ধরনের খাদ্য হারাম করেছে। তার পরিবর্তে উত্তম, উত্কৃষ্ট ও ভালো খাদ্য হালাল করে দিয়েছে।

এভাবে ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আল্লাহ তাআলা একদিকে মানুষের জন্য কোনো কোনো জিনিস হারাম করেছেন, অন্যদিকে বহু জিনিস হালাল করে জীবনে বিপুল প্রশস্ততা এনে দিয়েছেন। একদিকের দুয়ার বন্ধ করে তিনি অন্যদিকের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আসলে ইসলামের বিধিবিধান স্রষ্টার আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য, মানুষের জীবন সংকীর্ণ করার জন্য নয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করতে চান; কিন্তু যারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা চায় তোমরা ভীষণভাবে সত্যপথ বিচ্যুত হও। আল্লাহ তোমাদের ভার লাঘব করতে চান। কেননা মানুষ তো দুর্বলতম সৃষ্টি। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৭-২৮)

লেখক : শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল মদিনা

3

★ এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।
★ মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪% আর মুরগীর ডিমে ৪% এবং প্রোটিনের পরিমান মুরগীর ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
★ কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী,
আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
★ কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
★ হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
★ কিডনী এবং লিভারের কর্মদক্ষতা দুর্বল থাকলে সবল করে।
★ হজম শক্তি বাড়ায় এবং এসিডিটি কমায়।
★ মস্তিষ্ক সতেজ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি সবল রাখে।
★কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
★ বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়।
★ দুর্বল বাচ্চা এবং বৃদ্ধরা প্রতিদিন ২/৩ টি কোয়েল পাখির ডিম গ্রহণ করলে ৩/৪ মাসের মধ্যে সবল হয়।

4
Faculty Sections / সেরা ২০ টি নাম
« on: April 16, 2017, 04:42:39 PM »

১। উলফাত = স্নেহ

২। উমাইর = বুদ্ধিমান
৩। উমাইদ = আশা

৪। সাহিম = সংগী

৫। আফিয়া = সু-সাস্থবান

৬। আরশ = ছাদ

৭। আইদিন = নিরাপদ

৮। আরিবা = শুবেচ্ছা

৯। আযিন = সুন্দর ১০। আলেম = বিজ্ঞানী

১১। তাহছিন = সজ্জা

১২। তামাদুর = উজ্জ্বল

১৩। বুশরা = সু-খবর

১৪। বাহিযা = খুশি

১৫। ওয়াছিফা = সভ্য

১৬। যারার = দ্রুত

১৭। ফাওজা = বিজয়

১৮। ফাতিন = সুন্দর

১৯। ইলতিমাস = আবদার

২০। ইসরার = গোপন

5
১) শৌখিন পর্দা ফোল্ড করে রেখে গরমকালে বাঙালির অতি পরিচিত পর্দা টাঙান জানলায়। এতে বাইরের তাপ সবচেয়ে ভাল আটকানো যায়। আগে অফিস-কাছারিতে এমন পর্দা পানিতে ভিজিয়ে দেয়া হত। কিন্তু এখন তা না করলেও চলবে। বাইরের তাপ পর্দায় আটকে রেখে বাকি ব্যবস্থা অন্যভাবে করুন।
২) কাচের জানলা যাদের, তারা পর্দার বদলে শৌখিন ‘ব্লাইন্ডস ইনস্টল’ করতে পারেন। এতেও পুরোপুরি আটকানো যায় বাইরের তাপ।

৩) গরমের সময়ে ওভারহেড ট্যাঙ্কে বেশি পানি রাখবেন না। কারণ পানি তাড়াতাড়ি গরম হয়ে আগুনের মতো হয়ে যায়। গরম পানির ভাপ সব সময়েই বেশি। তাই সেই পানি যখন ব্যবহার করবেন তার গরম বাষ্প ঘরও গরম করে তুলবে। তাই প্রয়োজন মতো অল্প অল্প পানি তুলে ব্যবহার করুন। এতে পানিটাও ঠান্ডা পাওয়া যাবে।

৪) সূর্যাস্তের পরে ঘরের জানলা-দরজা খুলে দিন। ঠান্ডা বাতাসে ঘরের গুমোট হাওয়া দুরকরে। অতি পরিচিত ঘর ঠান্ডা করার পদ্ধতি। কিন্তু নিয়ম করে করা হয়ে ওঠে না অনেক সময়।

৫) বাড়ির পাশে পতিত জমি থাকলে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বড় গাছ লাগান। এতে সারাদিন বাড়িতে রোদ পড়ার হাত থেকে বাঁচবেন। ঘরও অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকবে।

৬) বেশ কিছু ইন্ডোর প্লান্ট রয়েছে, যা বাড়ির মধ্যে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। যেমন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম ইত্যাদি। ঘরের বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলি।

৭) বাড়ির মধ্যে কয়েকটি জায়গায় বড় মাটির মালসায় করে পানি রাখুন ও তাতে কয়েকটি সুগন্ধি ফুল ফেলে দিন। দিনে দু’তিনবার পানি পরিবর্তন করে নিন। ঠান্ডা পানির বাষ্পে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ভ্যাপসা গন্ধও হবে না।

৮) তুলার বালিশের পরিবর্তে বাজরার বালিশ ব্যবহার করুন গরমকালে। তুলার বালিশ খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।

৯) সন্ধেবেলা ছাড়াও দুপুরের আগে আর একবার ঘরের সব দরজা-জানলা খুলে হাওয়া খেলতে দিন। মুখোমুখি জানলা খুলে দিলে সবচেয়ে ভাল। ঘরের গুমোট খুব ভাল দূর হয়।

১০) সাধারণ বাল্ব-টিউব পাল্টে ব্যবহার করুন এলইডি বাল্ব। কারণ ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব থেকে গরম হয়ে যায় ঘর।

১১) দিনে দু’বার করে ঘর ও জানলার স্ল্যাব ভাল করে মুছুন। এতেও ঘর ঠান্ডা হতে সাহায্য করবে।

১২) ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে পাখার ব্লেড একটু অন্যভাবে লাগান, যাতে পাখা ঘোরে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ। এভাবে পাখা ঘুরলে গরম হাওয়া নীচে নামবে না, বরং উল্টোটাই হবে।

6
 প্রচুর পানি পান করুন...।
গরমের দিনে এমনিতেই একটু বেশি পানি পান করা উচিত। কারণ এ সময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর পানি স্বল্পতায় ভোগে। তা ছাড়া যারা কায়িক পরিশ্রম বেশি করেন এবং অনেকক্ষণ রোদে অবস্থান করেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি পানি পানের ব্যাপারে বাড়তি আগ্রহ থাকতে হবে। শরীরের পানি ও লবণ ঘাটতি মেটানোর জন্য মুখে খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। শিশুরা নিজ থেকে পানি পান করতে ততটা আগ্রহী থাকে না। তাই শিশুকে এই গরমে পরিমাণ মতো পানি অবশ্যই পান করাতে হবে, যাতে শিশুর শরীরে পানি স্বল্পতার সৃষ্টি না হয়।
পানি স্বল্পতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। গরমের সময় প্রস্রাব হলুদাভ বর্ণের হলে বুঝতে হবে শরীরে পানি স্বল্পতার সৃষ্টি হয়েছে। অন্য কোনো অসুখ বিশেষ করে হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের কোনো উপসর্গ না থাকলে প্রস্রাবের হলুদাভ রঙ থেকেই শরীরের পানি স্বল্পতা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। প্রস্রাব হলুদাভ রঙের হলে সাথে সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে। যতক্ষণ না প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক হবে ততক্ষণ এই পানি পান চালিয়ে যেতে হবে। শরীর বেশি অসুস্থ হলে স্যালাইন পানি পান করা ভালো। তবে অন্য পানীয় পানে বিশেষ কোনো উপকার নেই। বিশেষ করে অ্যালকোহলযুক্ত বেভারেজ পান করলে শরীরে আরো বেশি পানি স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। তাই পানি স্বল্পতারোধ করতে গিয়ে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করলে শরীর আরো বেশি পানি হারাবে।
চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন
প্রচণ্ড গরমে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে। এই পরিস্থিতিতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম লাগবে। পারলে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা পরিবেশে বিশ্রাম নিতে হবে, পান করে নিতে হবে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি।
শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে পরিচ্ছন্ন গোসল
পরিচ্ছন্নতার জন্য গরমকালে দু’বার গোসল করে নেয়া ভালো। দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বারবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তবে গোসলে বিশেষ ধরনের সাবান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ব্যবহারে উপকার আছে।

7
মেসেঞ্জারে ‘এম’ নামের ডিজিটাল সহকারী সেবা চালু করেছে ফেইসবুক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এ সেবাটি বার্তা বিনিময়ের সময় ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে। বন্ধুদের পাঠানো বার্তার উত্তর কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়েও পরামর্শ দেবে। ব্যবহারকারীরা অবস্থানের তথ্যসহ গাড়িভাড়া এমনকি তাদের বন্ধুদের অ্যাকাউন্টে অর্থও পাঠাতে পারে ‘এম’। মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের ভার্চুয়াল সহকারী সেবার আদলে তৈরি এ সেবা সহজেই ব্যবহার করা যাবে।

মেসেঞ্জারকে আরো কার্যকর  করতেই এ সেবা চালু করা হয়েছে—জানিয়েছেন ফেইসবুকের পণ্য ব্যবস্থাপক লরেন্ট ল্যান্ডোসকি। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাবেন। শিগগিরই বিভিন্ন দেশে সেবাটি চালু করা হবে।

 

8
যাঁরা হার্টের সমস্যা ভুগছেন তাঁদের হাঁটা, তাই চি, যোগাসন, ব্যালান্স ট্রেনিংয়ের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আর যদি সময় বের করতে না পারেন তা হলে বিছানা করা, কাপড় কাচা, নিয়মিত বাজার করার মতো কাজও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কার্ডিওলজিস্ট ড্যানিয়েল ফোরম্যান বলেন, 'বয়স্ক রোগিরা চিকিৎসকের কাছে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের শুধু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার সঙ্গেই যদি ঘরের কাজকর্ম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা তা হলে ঝুঁকি যেমন কমে, তেমনই শারীরিক শক্তি বাড়ে, ভারসাম্যও উন্নত হয়। 

হার্টের সমস্যার থেরাপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ঘরের কাজ করা, হাঁটা, সিঁড়ি ভাঙা। এগুলো নিয়মিত না করার কারণেই ৭৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। '

9
কারই বা ভালো লাগে ঠাণ্ডার কারণে কফ, সর্দি আর কাশি নিয়ে সারাদিন কাটাতে! প্রতিবছর শীতকালেই আমাদের অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে যায় তাই এ সময় ঠাণ্ডা লাগলে কি করা উচিত তা আমাদের সবারই জানা দরকার। জানা থাকলে ঠাণ্ডা লাগার চিকিৎসা ঘরে বসেই করা যায়।

চলুন জেনে নেয়া যাক সহজেই এই শীত কালে ঠাণ্ডা লাগার চিকিৎসা আমরা কিভাবে ঘরে বসেই করতে পারি।

    ৩-৪ টুকরো আদা, ২-৪ কোয়া রসুন, ২-৩ টি দারুচিনি, ৫-৬ টি গোলমরিচ একটি বাটিতে নিয়ে শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে তারপর এই মিশ্রিত উপাদান দিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন ১-২ বার পান করুন। এটি পান করলে কফ ও কাশির পরিমাণ এবং সর্দি দিয়ে নাক বন্ধের সমস্যা কমে যায়।
    কফের পরিমাণ বেশী থাকলে ২ টি মধ্যম আকারের পেয়াজ, এক গ্লাস পানি এবং এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে নিন এবং কফ বেশী থাকলে প্রতিদিন পান করুন।
    ঠাণ্ডা লাগলে অনেকেই কাশির জন্য ঘুমাতে পারেন না এজন্য এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ ভালো মানের হলুদের গুঁড়ো এবং আদার রস মিশিয়ে পান করুন এটি খেলে কাশির পরিমাণ কমে যায়। তবে গলায় কফ বেশী থাকলে গরম দুধের পরিবর্তে গরম পানি ব্যবহার করুন।
    ঠাণ্ডা লাগলে অনেকের কফ জমে গলা বসে থাকে যা কখনো কখনো বেশ কষ্টকর। তাই গলায় সবসময় কফ জমাট হয়ে থাকলে মাঝে মাঝে কয়েকটি দারুচিনি চিবোতে পারেন, এতে গলায় কফ জমে থাকার পরিমাণ হ্রাস পায়।
    ঠাণ্ডা লাগলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন প্রতিদিন । সারাদিনে কমপক্ষে ১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। কণ্ঠ নালীকে আর্দ্র রাখতে বেশী বেশী পানি খাওয়া জরুরী। পানি কম খেলে গলায় কফের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
    কারো কারো ঠাণ্ডার সময় গলার টনসিলে অনেক ব্যথা হয় এমনকি কথা বলাও কখনো কখনো কঠিন হয়ে যেতে পারে। সাধারণত টনসিলে প্রদাহ হবার কারণে এমন ব্যথা হয় এজন্য গরম পানি নিন তাতে এক টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়ো বা এক টেবিল চামচ হলুদের রস মিশান এবং উষ্ণ অবস্থায় পান করুন তবে অবশ্যই উষ্ণতা গলায় সহনীয় হতে হবে।
    টনসিলের ব্যথা ও গলার কফ কমাতে অল্প একটু খানি মাথা ব্যথায় ব্যবহার করার উপযোগী বাম গলায় মালিশ করুন এরপর ইস্ত্রি দিয়ে একটি মোটা কাপড় গরম করুন এবং সহনীয় তাপমাত্রায় কাপরটি দিয়ে গলায় সে%ক নিন।
    রাতে কাশির জন্য ঘুম হচ্ছেনা? তাহলে আদা কুচি কুচি করে কেটে তা অল্প একটু খানি লবণ দিয়ে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খান এটি খেলে কাশিতে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি গলার কফের পরিমাণও হ্রাস পায়।


Pages: [1]