Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - 710001658

Pages: 1 [2] 3 4
16


কথা বলছিলাম ইন্টারনেট, ফেসবুকের গ্রুপ, নিউজ পোর্টাল এসব মাধ্যমে দেখা, শোনা এবং মাঝে মাঝেই আলাপ করা হয় এমন কিছু আধুনিক কুসংস্কার আর গুজব নিয়ে। আর গুজব ছড়ানোর লিস্টে টপ ফাইভেই গ্রিন টি রিলেটেড টপিক গুলো পাওয়া যাবে। গ্রিন টি খেলে এটা হয় ওটা হয়, মেয়েরা এটা খেতে পারবে না, অমুকে খেতে পারবে না তমুকে ছুঁতে পারবে না… এমন অজস্র বাণী রোজ যেমন ফেসবুকের গ্রুপ গুলোতে দেখি তেমনই দেখি সাজগোজের কমেন্ট সেকশনে!

তো চলুন এই গুজবগুলোর ভিত কতটুকু শক্ত একটু দেখে আসি।

১) গ্রিন টি খেলেই সবাই শুকিয়ে যায়!
প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে ‘গ্রিন টি’ আসলে কি? অনেকেই জানেন না যে গ্রিন টি আর আমাদের বাসায় রাখা জার  ভর্তি চা পাতা একই গাছ থেকে আসে। আমাদের চা পাতা যেভাবে গাছ থেকে ছিঁড়ে নেয়া হয়, সেই একই গাছের পাতা থেকে গ্রিন টির জন্য পাতা ছেড়া হয়। তাই ‘গ্রিন টি’ দেখেই এলিয়েন দেখার মতো আঁতকে ওঠার কোন কারণ নেই।



গ্রিন টি খেলেই কি আপনি শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবেন?- না। এতে আছে কিছু এক্সট্রা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা নরমাল চা পাতায় থাকে না।

কেন?- কারণ গ্রিন টি প্রসেস করার সময় কেয়ারফুলি এই উপাদান গুলোকে রক্ষা করা হয়। আর ব্ল্যাক টি বা ‘আমাদের চা পাতা’ প্রসেস করার সময় এক্সট্রা কালার, সুবাস, ক্যাফেইন- এসব যাতে বেশি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হয়। ফলে ব্ল্যাক টি তে ওই নির্দিষ্ট উপাদানগুলো কমে যায়।

গ্রিন টি ডেইলি ৩-৪ কাপ খেলে সর্বচ্চ ৭০ ক্যালরি কমতে পারে। কারণ গ্রিন টি মাত্র কিছু সময়ের জন্য আপনার দেহের ক্যালরি খরচ করার হার বাড়িয়ে দেয়। এই টাইম টুকু পার হয়ে গেলে আবার দেহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। ক্যালরি বার্ন আরও বেশি হয় কিসে জানেন? ব্ল্যাক কফিতে! কিন্তু রোজ ৪ কাপ কড়া ব্ল্যাক কফি খেলে ঘুম নষ্ট হয়ে, কন্সটিপেশন হয়ে এবং স্কিন নষ্ট হয়ে যে অবস্থা আপনার হবে সেটা কারই কাম্য নয়!! তাই একটু এক্সট্রা  ক্যালরি বার্ন করার জন্য হালকা গ্রিন টি-ই ডাক্তাররা দুধ চা, চিনি দেয়া রঙ চা বা কফি থেকে বেশি সাজেস্ট করেন।

তো? ডেইলি এই এক্সট্রা ৭০ ক্যালরি পুড়ে গেলেই কি আপনি মাসে ১০ কেজি কমিয়ে ফেলতে পারবেন? একটু তুলনা করি?

একটা ডিমে আছে ৮০ ক্যালরি।
ডিম ভাজায় আছে প্রায় ১০০ ক্যালরি।
একটা বড় সিঙ্গারায় আছে প্রায় ৩০০ ক্যালরি!!
ধরুন,  গ্রিন টি তো খাচ্ছিই!! ভেবে এক বিকেলে ৪ টা সিঙ্গারা খেয়ে ফেললেন? কি হবে তখন? কমবে ওজন?

উত্তরটা নিজেই দিন । অনেকে আবার শুকিয়ে যাওয়ার ভয়ে গ্রিন টি খান না। তাদের জন্যও একই কথা, গ্রিন টি আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে একটু হেল্প করে। এটা গ্রিন টির আরও অনেকগুলো বিশাল বিশাল উপকারিতার একটি মাত্র। তাই এই একটা পয়েন্ট-কেই মেইন ধরে নিয়ে গ্রিন টি খাবই না অথবা রোজ খালি গ্রিন টি-ই খাব, এমন একটা জেদ ধরে বসে থাকবেন না। এটা একটা হেল্পফুল বেভারেজ, সেভাবেই এটাকে দেখুন।

২) গ্রিন টি মেয়েদের খাওয়া ঠিক না, আয়রন কমে যায়!
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন অফ হেলথ, আমেরিকার জার্নাল ‘মেডিসিন প্লাস’ কি বলে দেখি-

গ্রিন টি তে থাকা ট্যানিন আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের আয়রন এবং বি-১২ ভিটামিন শোষণ একটু কমিয়ে দেয়। কারণ এই ট্যানিন অনু আয়রনের সাথে বিক্রিয়া করে তাকে বেঁধে ফেলে।

ওকে বোঝা গেল। তার মানে কি? বাপ বাপ বলে গ্রিন টি সব ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে ফেসবুকে “গ্রিন টিতে মৃত্যু” নামক পোস্ট লিখে ঢোল পিটাতে হবে? নাকি ব্রেন একটু ইউজ করব?একটু দেখব ‘আয়রন কমে’ বলেই বাংলার সব গ্রিন টি নামক ছাই পাশ খেকো মেয়েদের কালকেই অ্যানিমিয়া হয়ে যাবে কি না?

প্রথমত, আয়রন আর বি-১২ শোষণ কমলে ছেলে মেয়ে, বাচ্চা বুড়ো সবারই কমবে । তাই মেয়ে মানেই আয়রন সমস্যায় ভোগে, মেয়ে মানেই গ্রিন টি নিষিদ্ধ এটা একেবারেই ভুল।

দ্বিতীয়ত, লেখাটা আবার পড়ুন, “আয়রন এবং বি-১২ শোষণ একটু কমিয়ে দেয়” মানে অলরেডি যে খাবার আপনার পাকস্থলীতে পরিপাক হচ্ছে সেখান থেকে দেহ একটু কম আয়রণ শোষণ করবে।

এই জার্নাল ‘কান নিয়েছে চিলে’-বলে পাড়া মাথায় তুলতে যারা ভালবাসেন তাদের জন্য আরও কি বলে দেখি-

– বেলজিয়ামের এক ইউনিভার্সিটি রিসার্চে খুব ক্লিয়ারলি দেখা গেছে যে- গ্রিন টি দেহের এক্সিজটিং আয়রন লেভেলে তারতম্য আনে না।

– গ্রিন টি-এর সাথে এক স্লাইস লেবুর রস খেলেই এই আয়রন শোষণজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। কারণ লেবুর ভিটামিন সি আয়রন শোষণ বাড়ায়। কাপের ভেতরে একটু লেবুর রস গ্রিন টি-এর স্বাদ বাড়াতেও সাহায্য করবে।

– এবং গ্রিন টি খাওয়ার সাথে অ্যানিমিয়া বা আয়রন ডিপ্লিশনের কোন সম্পর্কই আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। সুতরাং চিলের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ রাখতে পারেন।

৩) প্রেগন্যান্ট অবস্থায় গ্রিন টি খাওয়া!
আগের দুই পয়েন্টে হাস্যকর লজিকে গ্রিন টি না খাওয়ার কারণগুলো দেখেছি। এবার দেখি আরেক লজিক যেখানে বলা হয়- যেহেতু প্রেগন্যান্ট সেহেতু কফি বা দুধ চার বদলে রঙ চা বা গ্রিন টি খাওয়া ভালো!

এখানেও একই প্রশ্ন, রঙ চা, দুধ চা, গ্রিন টি- এই সব চা পাতা কোথা থেকে এসেছে সেটা কি আপনি জানেন? ভুলে গেলে প্রথম পয়েন্ট আবারো একটু দেখে আসুন। কফিতে থাকে প্রচুর ক্যাফেইন, রঙ চা ডেইলি ২-৩ কাপ খেলেও অতিরিক্ত ক্যাফেইন ইনটেক হয়ে যায়। দুধ চায়ের বেলায়ও একই, সাথে আছে আনহেলদি গুঁড়ো দুধ, কনডেনসড মিল্ক আর অতিরিক্ত চিনি। এসবই প্রেগন্যান্ট নারী এবং অনাগত শিশুর জন্য খারাপ।

কিন্তু গ্রিন টি ডেইলি ৩ কাপ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খেলে কি হবে? প্রথমত কম হলেও একটা পরিমাণে ক্যাফেইন আপনার দেহে ঢুকবে। যেটা কাম্য নয়। প্লাস গ্রিন টি-এর ট্যানিন অনাগত শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একারণে ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় গ্রিন টি-ও এড়িয়ে চলতে বলেন।



তো, গর্ভাবস্থায় কি খেতে পারেন? চা বা একটু উষ্ম বেভারেজ খাওয়ার হ্যাবিট থাকলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন ক্যামোমাইল টি, এটা ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। শুধু আদা চা খেতে পারেন (চা পাতা ছাড়া) , এটা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করবে।

শেষ কথা এই যে, এক মাত্র গর্ভবতী নারী ব্যতীত  আর কেউই গ্রিন টি খেয়ে বড় কোন ঝুঁকিতে পড়ছেন না। আর যেসব খুব ছোট খাটো দোষ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, তার ১০০ গুণ দিনে ৪-৫ কাপ পাম ওয়েল দিয়ে বানানো কনডেনসড মিল্ক আর ৩ চামচ চিনি দেয়া দুধ চা খেয়ে অলরেডি নিজের দেহে নিয়ে বসে আছি।

গ্রিন টি অন্যান্য বেভারেজের মতই একেবারেই নরমাল একটা ড্রিংক। প্রসেসিং এর কারণে আমাদের সাধারণ চা থেকে এটা একটু ভালো। তাই সাধারণ চা, এক্সট্রা চিনি- এসবের বদলে গ্রিন টি খেলে ভালো, খেতে না চাইলেও জোর করে খাওয়ার দরকার নেই। একে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আকাশে তোলা বা খেলেই অ্যানিমিয়া হবে, পড়ে বাচ্চা হবে না এসব গুজব রটিয়ে কাদায় ফেলা, দুটোই আপনার মূল্যবান সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

17
চীনে প্রায় ৫ লাখ লোকের ওপর এক গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম থেকে শারীরিক উপকার পেতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হবে।

তবে একসময় যে বলা হতো বেশি ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর, বিজ্ঞানীরা এখন সে মতবাদ পাল্টে ফেলেছেন।

''পুষ্টি সংক্রান্ত নানা গবেষণায় অনেক সময়ই কিছু না কিছু ফাঁক থেকে যায়, কিন্তু চীনে বড় এই সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে চালানো গবেষণা থেকে অন্তত একটা বিষয় পরিস্কার যে প্রতিদিন একটা ডিম খেলে তার থেকে হৃদযন্ত্র বা শরীরের রক্ত সঞ্চালনে কোন ঝুঁকি তৈরি হয়না, বরং প্রতিদিন একটা ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে'' - বলছেন ইংল্যাণ্ডে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিটা ফরুহি।

বহুদিন পর্যন্ত ডিমকে ''শরীরের শত্রু'' বলে প্রচার করা হয়েছে। ডিম স্যালমোনেলা জীবাণুর উৎস, ডিম শরীরে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়- এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই এসেছে।

কাজেই এখন ডিম নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতবাদ পাল্টে যাচ্ছে কেন? ক'টা ডিম শরীরের জন্য ভালো?

এখন বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল ডিম।

যেমন, ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

বৃটিশ ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের ড: ফ্র্যাঙ্কি ফিলিপস্ বলছেন, ''দিনে একটা - এমনকি দুটো ডিমও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।বেশি ডিম খাওয়ায় ভয়ের কোন কারণ নেই।''

ড. ফিলিপস্ বলছেন, এখানে সতর্কবাণী শুধু একটাই - ''একধরনের খাবার বেশি খেতে গিয়ে অন্য খাবারে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব পুষ্টি রয়েছে সেগুলো বাদ দেওয়া ভুল হবে।''

তিনি আরও বলছেন, ডিম যদিও ''প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ একটা উৎস'', কিন্তু একটা ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমাদের অন্যান্য খাবার থেকেও আমরা প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাই - যা অনেক সময়ই শরীরের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কাজেই ''অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে''।

২০০৭ সালে বৃটিশ হার্ট ফাউণ্ডেশন নামে একটি সংস্থা বলছে, কোলেস্টেরল বিষয়ে নতুন যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তার আলোকে সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম না খাওয়ার যে পরামর্শ তারা ২০০৭ সালে দিয়েছিল তা তারা তুলে নিচ্ছে।

কোলেস্টেরল কতটা?
বৃটেনের চিকিৎসকরা বলছেন "ডিমে যদিও কিছু কোলেস্টেরল আছে, কিন্তু আমরা অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় যেসব পদার্থ এর সঙ্গে খাই (যেগুলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট নামে পরিচিত) সেগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের যতটা ক্ষতি করে, ডিমের কোলেস্টেরল সে ক্ষতি করে না।''

এককথায়, কোলেস্টেরলের সমস্যার কথা যদি ভাবেন, ডিম সেখানে কোন ক্ষতির কারণ নয়। যে ক্ষতিকর চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে ডিম রান্না করছেন সেটা সমস্যা কারণ হতে পারে। কাজেই কীভাবে ডিম রাঁধবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণা অনুযায়ী, একটা প্রমাণ সাইজ ডিমে (৫৮ গ্রাম) ৪.৬ গ্রাম চর্বি থাকে- প্রায় এক চা-চামচ সমান। এর মাত্র এক চতুর্থাংশ হল স্যাচুরেটেড, যেটা শরীরে জমাট বাঁধতে পারে। এই স্যাচুরেটেড চর্বির অংশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।

এর সঙ্গে যদি আপনি রান্নার সময় মাখন বা ওইধরনের চর্বিযুক্ত জিনিস ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই সেইভাবে রাঁধা ডিম আপনার কোন উপকারে আসবে না।

ডিমে স্যালমোনেলা কি?
আশির দশকে বৃটেনের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিমের সঙ্গে স্যালেমোনেলা জীবাণুকে জড়িয়ে মন্তব্য করার পর বৃটেনে ডিম খাওয়া নিয়ে বিরাট ভীতি তৈরি হয়েছিল।

১৯৮৮-র ডিসেম্বরে মন্ত্রী এডউইনা কারি বলেছিলেন ''বৃটেনে যেসব ডিম বাজরে আসে তার বেশিরভাগেই স্যালমোনেলা জীবাণু রয়েছে।'' অবশ্য তার ওই মনএতব্যর জেরে পরে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

তবে আশির দশকে ডিমে স্যালমোনেলা জীবাণুর সংক্রমণের একটা সমস্যা ছিল। পরে নব্বইয়ের দশকে ডিম খামারিরা টিকা কর্মসূচি চালু করার পর এই জীবাণুর সমস্যা এখন আর নেই বললেই চলে।

কীভাবে ডিম রান্না করা উচিত?
ডিম রান্নার ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হল ডিম সিদ্ধ করা বা পানিতে ডিম পোচ করা।

বেশিরভাগ পুষ্টিবিদ ডিম ভাজা করে না খাবার পরামর্শ দেন। কারণ ডিম যে তেলে বা মাখনজাতীয় চর্বিতে ভাজা হয়, তার মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিমও পুষ্টিযুক্ত, যদি সেই ডিম স্যালমোনেলা জাতীয় জীবাণুমুক্ত হয়- অর্থাৎ জীবাণু না থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খামরিরা নিয়ে থাকেন।

জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপারে উদ্বেগ থাকলে ডিম রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

কীভাবে ডিম মজুত রাখা উচিত?
কখনও এমন ডিম কিনবেন না যা ভাঙা বা ফাটা- কারণে সামান্য ফাটা থাকলেও সেখানে ধুলোবালি বা জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

বিবিসির খাদ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল ডিম ফ্রিজে রাখুন - ডিম রাখার বিশেষ যে বাক্স ফ্রিজে থাকে সেখানে ডিম সবচেয়ে ভারো থাকে।

বাক্সের ভেতরে থাকলে ডিমের সাদা অংশ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকে। কিন্তু ডিমের কুসুম ভাল থাকে তিনদিন। বরফে হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা ও কুসুম ভাল থাবে তিন মাস পর্যন্ত।

একটা পাত্রে ঠাণ্ডা পানিতে গোটা ডিম রাখুন - যদি ডিম ডুবে পাত্রের তলায় চলে যায়, তাহলে বুঝবেন ডিম তাজা আছে। ডিম যদি ভেসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে ডিমটা তাজা নেই।

তবে অনেক সময়ই ডিমের বাক্সের গায়ে লেখা থাকে কোন্ তারিখের মধ্যে ডিম ব্যবহার করে ফেলতে হবে - যা হয় সাধারণত ডিম পাড়ার পর ২৮ দিন পর্যন্ত।

হৃদযন্ত্র বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ড: ফিলিপস্-এর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো ডিমে কাঁচা লবণ ছিটিয়ে খাবেন না।- বিবিসি

18


ফাইল ছবি

বাজারে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া কাঁচা-পাকা আম। ইফতারিতে ফলের আইটেম ও ফলের জুস বানাতে অনেকেই রাখেন আম। তবে একটা বিপদ আছেই।
সেটা হলো বেশিদিন টিকিয়ে রাখার জন্য আমের মধ্যে ফরমালিনসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো।

ফরমালিন যুক্ত আম খেলে কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

চলুন জেনে নেই বাজারের আমের কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন এতে ফরমালিন আছে কিনা।

রঙ

রঙ দেখেও চেনা যায় ফরমালিনযুক্ত আম। প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমে হলুদ এবং সবুজের একটা মিশেল থাকবে। অনেক সময় কাঁচাপাকা রঙেও দেখা যায়।

আবার আমার গায়ে সাদাটে ভাব ও কালো কালো দাগ থাকবে। কিন্তু ফরমালিনসহ অন্যান্য কেমিকেল দিয়ে পাকানো আমগুলো দেখতে সম্পূর্ণ হলুদ হবে। দেখতে খুব সুন্দর ও চকচকে হবে। কোন দাগ থাকবে না।

ভেতরের শাস

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটলে এর ভেতরের শাসটি হবে লালচে হলুদ রঙের কিন্তু ফরমালিন যুক্ত আমের ভেতরের অংশটি হবে হালকা অথবা গাঢ় হলুদ রঙের। এর মানে হলো বাইরে থেকে আমটি পাকা দেখালেও ভেতরটি পাকা নয়।

আমের রস

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম বেশ মিষ্টি হয় এবং এতে অনেক বেশি রস থাকে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে রস অনেক কম থাকে। ভেতরটা পাকা থাকে ঠিকই কিন্তু রস কম বের হয়।

আমের বোটায় সুঘ্রাণ

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের বোটায় সুঘ্রাণ থাকবে কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমের বোটায় কোনও ঘ্রাণ থাকবে না। তাই কেনার আগে গন্ধ শুকে নিতে পারেন।

আমে মাছি বসবে

ফরমালিনমুক্ত আম মুখে দিলে টক মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যাবে। এছাড়াও এসব আমে মাছি বসবে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে তেমন কোনও স্বাদ পাওয়া যাবে না। এগুলোতে মাছিও বসে না। চিকিৎসকরা বলেন, ফরমালিনযুক্ত আম খেলে মুখের ভেতর হালকা জ্বালাপোড়া করতে পারে। কারো কারো পেটে ব্যথা, গলা জ্বলা ও ডাইরিয়াও হতে পারে।

19

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স বাজারে এনেছে ডিসিএল ব্র্যান্ডের তিনটি ইউপিএস। মডেলগুলো হলো ডি ৬৫০, ডি ৮৫০ ও ডি ১২০০। এসব ইউপিএস দেশের আবহাওয়ার উপযোগী, পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।

20


ধীরগতির ইন্টারনেট ও পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণের জন্য উবার লাইট নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে রাইডশেয়ারিং কোম্পানি উবার। অ্যাপটি প্রচলিত উবার অ্যাপের তুলনায় অনেক হালকা।

উবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতে উবারের রাইডার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের প্রধান পিটার ডেং এবং প্রোডাক্ট, ম্যাপস ও মার্কেটপ্লেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মানিক গুপ্তার উপস্থিতিতে উবার টেক ডে ২.০ অনুষ্ঠানে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হয়। অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা ধীরগতির ইন্টারনেটসহ যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। অ্যাপটি খুবই কম ডেটা ব্যবহায় ধীরগতির ইন্টারনেটেও নিরবচ্ছিন্নভাবে এটি চালানো সম্ভব। বর্তমানে অ্যাপটি পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ভারতে চালু হয়েছে এবং শিগগির অন্যান্য দেশেও চালু হবে।

মানিক গুপ্তা বলেন, ‘প্রতি মাসে সাড়ে সাত কোটি গ্রাহক আমাদের সেবা গ্রহণ করে। এটি পৃথিবীর সর্বমোট জনসংখ্যার খুবই সামান্য একটি অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করা এই বিশাল গ্রাহকের জন্য আমরা কিছু করতে চেয়েছি। উবার লাইট চালু তাই আমাদের একটি বড় সাফল্য।’

উবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন উবার লাইটের সাইজ ৫ এমবির চেয়েও কম। অ্যাপটিকে এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যেন এটি খুব দ্রুত পরিচালনা করা যায়। এটির রেসপন্স টাইম মাত্র ৩০০ মিলি সেকেন্ড। উবার লাইট অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয় অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে। গন্তব্য বাছাই করতে একটি বাটন ট্যাপের মতো কাজ করবে। এটি যত বেশি ব্যবহার করা হবে, উবার লাইট অ্যাপটি ততই বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। এতে নিরাপত্তা ফিচার হিসেবে আছে ইমারজেন্সি বাটন এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ট্রিপ শেয়ারিংয়ের সুযোগ। আঞ্চলিক ভাষায় উবার অ্যাপটি ব্যবহার করাসহ নতুন ফিচার ফিচার এতে যুক্ত হবে।

21

ভূমিকম্প শনাক্ত করতে সক্ষম হবে পানির নিচে থাকা সাবমেরিন কেবল।

একদিন যা ছিল অধরা, বিজ্ঞান তা ধরে দিচ্ছে। এক প্রযুক্তি আরেক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথ খুলে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সাবমেরিন কেবলগুলোর কথাই ধরুন। শুধু ইন্টারনেটের লাইন হিসেবেই নয়, সাবমেরিন কেবল ঘিরে নতুন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন গবেষকেরা। তাঁরা ভাবছেন, ভূমিকম্প শনাক্তে কার্যকর উপায় হতে পারে সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক।

ইকোনমিস্ট বলছে, পৃথিবীকে নজরদারির যে সুযোগ আগে ছিল না, এখন তা হাতের নাগালে। কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়, আগ্নেয়গিরির থেকে বের হওয়া ছাই-ধোঁয়া, মানুষের কার্যকলাপে ভূপ্রকৃতির পরিবর্তনের বিষয়গুলো এখন নজরদারি করা যায়। কয়েক দশক আগেও উন্নত ও ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর গোয়েন্দাদের কাছে উন্নত মানের ম্যাপ ও ছবি সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন গুগল ম্যাপের মতো বিনা মূল্যে সবার হাতের কাছে চলে এসেছে।

তবে পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলই পানির নিচে। সেখানে কী হচ্ছে, তা ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করা বেশি কঠিন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি (এনপিএল) গবেষক জিউসেপ্পি মাররা নতুন এক তত্ত্ব দিয়েছেন। তাঁর গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স সাময়িকীতে।

ওই নিবন্ধে, সমুদ্রের তলে একটি ভিন্নধর্মী অবকাঠামো ব্যবহার করে সমুদ্রের তলায় নজরদারি করার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি।

মাররা ও তাঁর সহকর্মীদের প্রস্তাব হচ্ছে, সমুদ্রের নিচে বসানো ১০ লাখ কিলোমিটার ফাইবার-অপটিক কেবলের নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানো। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে ইন্টারনেট যেতে পারে। একে বিশাল সাবমেরিন সেন্সর হিসেবে ব্যবহারের কথা বলছেন তাঁরা।

তবে গবেষক মাররার মূল লক্ষ্য ভূমিকম্প শনাক্ত করা।

ইকোনমিস্ট বলছে, পৃথিবীর ভূভাগে অনেক সিসমোগ্রাফ যন্ত্র বসানো রয়েছে। তবে সমুদ্রের নিচে ভূমিকম্প মাপার সেন্সরের ঘাটতি রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠে গুটিকয়েক স্থায়ী সেন্সর বসানো হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে অনেক ছোটখাটো ভূমিকম্পের কোনো রেকর্ড থাকে না। কারণ, এসব ভূমিকম্প মৃদু বলে তা দূরের ভূপৃষ্ঠে স্থাপিত সেন্সরগুলোতে ধরা পড়ে না।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, এনপিএল মূলত পরিমাপবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য গবেষণাগারে ফাইবার অপটিক কেবল দিয়ে সংযুক্ত। এটি অ্যাটমিক ঘড়ির সিনক্রোনাইজে ব্যবহৃত হয়। এই কেবলগুলো রাস্তার নিচ দিয়ে বসানো। এতে রাস্তায় যান ও মানুষ চলাচল করার ফলে ওই লাইনে শব্দ তৈরি হয়, যা সঠিক নাদ পরিমাপের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা সৃষ্টি হয় বলে অধিকাংশ সময় তা বাতিল হয়ে যায়। এখন এ শব্দ-গোলযোগের পদ্ধতিটিকেই কাজে লাগাতে চাইচেন গবেষক মাররা।

ভূকম্পন শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের নাদ ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছেন তিনি। তাঁর পরিকল্পনা হলো কেবলের মধ্যে থাকা কোনো অপটিক্যাল ফাইবারে উচ্চমানের লেজার বিম প্রেরণ করা। অন্য প্রান্তে ওই ফাইবার একই কেবলের অন্য আরেকটি ফাইবারের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা ফিরতি যাত্রা করে একটি লুপ বা ফাঁস তৈরি করে। কাছাকাছি ভূকম্পনের ফলে কোথাও সিসমিক তরঙ্গ তৈরি হলে এই লেজারের আলোকে তার দশা থেকে কিছুটা সরিয়ে দেবে। এ অসামঞ্জস্য বা গোলযোগ খুব ক্ষুদ্র। এই সূক্ষ্ম পার্থক্যের বিষয়টি ধরতে ফেমটোসেকেন্ডসের পার্থক্য ধরতে পারে, এমন যন্ত্রপাতি প্রয়োজন পড়বে। এক ফেমটোসেকেন্ড হচ্ছে এক সেকেন্ডের এক বিলিয়ন ভাগের এক মিলিয়নতম অংশ।

গবেষক মাররার ওই ধারণা দারুণ কাজে এসেছে। যেমন ২০১৬ সালে এনপিএল ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প শনাক্ত করতে পেরেছিল, যা মধ্য ইতালিতে আঘাত হানে। এটি ফাইবার অপটিক কেবলে ধরা যায়। লন্ডনে এনপিএলের কার্যালয় থেকে রিডিংয়ের ডেটা সেন্টারে ৭৯ কিলোমিটারে এটি ধরা পড়ে। ২০১৭ সালে মাল্টা ও সিসিলির মধ্যকার পানির নিচে থাকা ৯৬ কিলোমিটার কেবলের মধ্যে আরেকটি পরীক্ষা চালানো হয়। এটি ৩ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ধরতে পারে। ওই কেবল থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৮৯ কিলোমিটার দূরে।

গবেষকেরা বলছেন, সমুদ্রের তলায় থাকা কেবল ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে, এতে বহিঃশব্দ বা গোলযোগের মাত্রা কম হয়। সিসিলি-মাল্টার ওই কেবলে ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দের মাত্রা ছিল নগণ্য। তবে, গবেষকেরা এখনো তাঁদের পদ্ধতিটি পুরোপুরি সমুদ্রের নিচে থাকা দীর্ঘ কেবলের পরীক্ষা করেননি। তবে তাঁরা আশা করেন, তাঁরা যখন এ-সংক্রান্ত গবেষণা করবেন, আরও গোলযোগহীন সংকেত পাবেন। এতে বর্তমান সময়ে ধরা পড়ে না, এমন অনেক ভূকম্পনের তথ্য শনাক্ত করা সম্ভব। এটি ভূতাত্ত্বিকদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।

গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতির অন্যান্য ব্যবহারও রয়েছে। মূলত এই পদ্ধতিতে যেকোনো শব্দের উৎস ধরা যেতে পারে; বিশেষ করে তেল বা গ্যাসের খোঁজে ব্যবহার করা গ্যাস গানের ফলে ডলফিন বা তিমির জায়গা পরিবর্তনের মতো বিষয়টিও ধরা যেতে পারে।

যদিও যোগাযোগের জন্য তৈরি এ সাবমেরিন কেবল পৃথিবীর ৭০ ভাগ পানির নিচের পুরো উপাত্ত দিতে পারে, তবেই একে সত্যিকারের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বলা যাবে বলে মনে করেন গবেষকেরা।

22
When phone maker Oppo says that the Oppo Find X is almost all screen, it really means it. The Android handset is arresting to look at, mostly because its 6.4-inch display really does stretch across the entire phone face -- there isn't even a camera for taking selfies. Or rather, there is, but you won't see it until you open it like a push-pop.

The Oppo Find X, announced Tuesday at an event in Paris, has a screen that stretches from the very top of the phone, wraps around the sides and goes almost to the very bottom (the phone has a thin bottom bezel, aka a "chin"). The screen-to-body ratio is 93.8 percent, so when you're looking at the front of the phone, you're almost always looking at the display.

Opening up the camera app will cause the phone's "Stealth 3D" camera tray to slide up, exposing a 25-megapixel front-facing camera and a dual 16-megapixel and 20-megapixel rear camera.

The pop-up camera tray is similar to the pop-up selfie camera on the Vivo Nex, which, along with Oppo and OnePlus, operates under the umbrella of BKK Electronics.

find-x-product-image
Oppo
Oppo gave the Find X's front camera 3D face scanning to take better selfies and unlock your phone, though we're not certain yet how secure the face unlocking feature is at this point. It did work well on the company's previous flagship, the Oppo R15 Pro, though.

The Find X will sell globally in August, unlike past Oppo devices, which have been limited to Asia. Oppo will price the Find X at 999 euros for the 256GB version with VOOC fast charging (price and specs configuration may vary by country). That's about $1,159, £879 or AU$1,569.

There's also a Lamborghini edition of the phone, which will retail for 1,699 euros -- roughly $1,969, £1,499  or $AU2,669. For that jarring price, you'll get 512GB of storage, a carbon-fiber textured back and SuperVOOC charging, which Oppo says lets you charge the phone 100 percent in 35 minutes. It parallels Huawei, Oppo's Chinese rival, which has a similar partnership with Porsche.

Oppo Find X specs
6.4-inch OLED screen
16-megapixel and 20-megapixel dual camera
25-megapixel front-facing camera (with face unlock)
Qualcomm Snapdragon 845 processor
8GB RAM
Up to 256GB of storage
Color OS 5.1 on top of Android
VOOC fast charging

https://www.cnet.com/news/oppo-find-x-an-all-screen-phone-with-cameras-that-slide-out/

23
Apple has released beta 2 to developers of its flagship operating systems for iOS 12, tvOS 12, macOS 10.14 and watchOS two weeks after its World Wide Developers Conference (WWDC) where it released the first beta’s to developers.

It’s hard to predict when we’ll see a public beta of the various OS’s this early in the release cycle. It’s more likely that these will appear later in the beta lifecycle as stability increases and Apple lock down features and its UI.

As expected, Beta 2 introduces a number of changes and refinements to the features introduced in the beta 1 releases.

Notable new features in iOS 12 beta 2
Battery Usage - features redesigned charts and wording
Screen Time - features some UI tweaks and you now have the ability to view Screen Time By Device - facilitated via Family Sharing
Notifications - You can now toggle Siri Suggestions for individual apps via the Notifications section of the Settings app.
Password Autofill - Tweaked UI for autofilling a password from iCloud Keychain.
Face ID - iPhone X now says "Scanning with Face ID” when unlocking content using Face ID.
Photos - Readability improvements by increasing the text size for the "Media Types" and "Albums" listings in the Photos app.
iPhone apps on iPad - iPhone apps on iPad now displayed in a modern device size (iPhone 6) improving usability.
New Apple Watch identifiers referenced - Referenced model numbers include MTUD2, MTUK2, MTX92 and more!
Notable new features in watchOS 5 beta 2
The major change in watchOS 5 beta 2 is that the Walkie-Talkie feature is now available.

Using FaceTime Audio protocols, Walkie-Talkie allows you to select a contact to initiate a conversation with. Once they accept, it’s simply a case of holding down the talk button to chat. The same goes for the person on the other end. Podcasts - now work.

Notable new features in tvOS 12 beta 2
Dolby Atmos support now available within settings: Settings>Video and Audio>Surround Sound>Spatial Audio: Dolby Atmos On

Still no sign of the new Arial screensaver from the International Space Station or the ability for Siri to provide the location of the current Arial screensaver on show.

Notable new features in macOS 10.14 beta 2
We’re not currently aware of any notable new features in MacOS 10.14 beta 2.


We’re currently in the process of installing iOS 12 beta 2 and we’ll be bringing you our hands-on of iOS 12 beta 2 shortly.

24


যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত বৈজ্ঞানিক সুপার কম্পিউটার উন্মুক্ত করেছেন। এ সুপার কম্পিউটারটি প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব সম্পন্ন করতে পারে। শক্তি উৎপাদন, উন্নত পদার্থ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলোর গবেষণাকাজে এ কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (ওআরএনএল) তৈরি সুপার কম্পিউটারটির নাম ‘সামিট’। বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার টাইটানের চেয়ে এটি আট গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। নির্দিষ্ট কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে তিন বিলিয়নের বেশি হিসাব সম্পন্ন করতে পারবে এটি।

সুপার কম্পিউটারটি তৈরিতে মার্কিন কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম ও চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া একসঙ্গে কাজ করেছে। এটি মূলত আইবিএম এসি ৯২২ সিস্টেম, যাতে ৪ হাজার ৬০৮ কম্পিউটার সার্ভার রয়েছে। প্রতিটি সার্ভারে দুটি ২২ কোর আইবিএম পাওয়ার ৯ প্রসেসর ও ছয়টি এনভিডিয়া টেসলা ভি১০০ গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট অ্যাকসিলেটর রয়েছে।

সামিট আসার আগে বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের মালিক দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সামিটের মাধ্যমে আবার সুপার কম্পিউটারের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে ফিরছে দেশটি।
দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে আইবিএম ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সুপার কম্পিউটারটি উন্মুক্ত করে।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার হচ্ছে চীনের সানওয়ে তাইহু লাইট। এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ২০০ পেটাফ্লপস বা প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব করার ক্ষমতা। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সামিট সুপার কম্পিউটারটি তাইহু লাইটের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে কাজ করতে সক্ষম হবে।

২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি সুপার কম্পিউটারটি কম বিদ্যুৎ খরচে চলতে সক্ষম। তাইহু লাইটে যেখানে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে, সেখানে সামিটে লাগবে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বছরে দুবার গতির বিচারে সেরা ৫০০ সুপার কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করে টপ ৫০০ নামের প্রতিষ্ঠান। জার্মান এবং মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে টপ ৫০০। এ মাসের শেষ দিকে নতুন র‍্যাঙ্কিং প্রকাশিত হলে সামিট সুপার কম্পিউটার হিসেবে শীর্ষে চলে আসবে।

25


অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক টিম পেইন বুঝতে পেরেছেন, ট্রেন্ট ব্রিজে টস জিতে ইংল্যান্ডকে আগে ব্যাট করতে পাঠানোর ‘পেইন’টা কী! কী বলবেন—বোলারদের তুলাধোনা, কচুকাটা, নাকের জল চোখের জল এক করা? যা-ই বলুন, সেটাই আজ করেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ ৬ উইকেটে ৪৮১ করেছে ইংলিশরা, ওয়ানডেতে এটিই এখন সর্বোচ্চ স্কোর।

আগের রেকর্ডটাও ছিল ইংল্যান্ডের। সেটিও এই ট্রেন্ট ব্রিজে। ২০১৬ সালের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৪৪৪ করেছিল ইংল্যান্ড। সেটিও সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে। আজও তা-ই। নিজেদের রেকর্ড ভাঙল ইংলিশরা। আগের রেকর্ডে বড় অবদান ছিল অ্যালেক্স হেলসের। সেদিন ১৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এসেছিল ইংলিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে। আজও তাঁর ব্যাট কথা বলল, হেলস অবশ্য থেমেছেন ১৪৭ রানে। তবে এর আগে বেয়ারস্টোর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট ও মরগানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে জুটিতে তাণ্ডব চালিয়েছেন হেলস।

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নিয়ে যে ইংল্যান্ড ছেলেখেলা করবে, সেটি বোঝা গেছে জেসন রয়-বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটিতেই। তাঁদের উদ্বোধনী জুটি এনে দিয়েছে ১১৭ বলে ১৫৯ রানের উড়ন্ত সূচনা। রয় ৬১ বলে ৮২ করে ফিরলেও বেয়ারস্টো থেমেছেন ১৩৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। ইংল্যান্ডের প্রথম দুই জুটি মিলে এসেছে ৩১০ রান, সেটিও ৩৪ ওভারে! ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৫০০ করা কঠিন ছিল না ইংল্যান্ডের! উইকেটে যে ততক্ষণে বারুদ ছোটাতে শুরু করেছেন এউইন মরগান। ইংলিশ অধিনায়ক ৩০ বলে করে গেছেন ৬৭ রান। মরগান-হেলসের চতুর্থ উইকেট জুটি ৭১ বলে যোগ করেছে ১২৪ রান।

অস্ট্রেলীয় বোলারদের এমন বেদম প্রহারের পরও ৫০০ শেষ পর্যন্ত হয়নি। তবে যে স্কোরটা ইংল্যান্ড পেয়েছে, সেটিকে পর্বত, এভারেস্ট—যা ইচ্ছে বলতে পারেন!




26


মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য বিরক্তি সৃষ্টিকারী বিজ্ঞাপন আসতে যাচ্ছে। মেসেঞ্জারে ব্যক্তিগত বার্তা চালাচালি করার সময় স্বয়ংক্রিয় চালু হয় এমন ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখাবে ফেসবুক। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোডের এক খবরে বলা হয়েছে, ভিডিও বিজ্ঞাপন বিক্রি করার নতুন একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছে ফেসবুক। মেসেঞ্জারের ভেতরে কারও কাছ থেকে পাওয়া বার্তার পরই এ বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। অর্থাৎ চ্যাট করার সময় বিজ্ঞাপন দেখতে হবে ব্যবহারকারীকে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনমুক্ত চ্যাট করার দিন শেষ!

মেসেঞ্জারের ভেতর প্রথম বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয় ১৮ মাস আগে। ওই সময় ‘স্ট্যাটিক’ বিজ্ঞাপন দেখানো হতো। অর্থাৎ তখন ভিডিও বিজ্ঞাপন চালু করেনি ফেসবুক। কিন্তু এখন ভিডিও বিজ্ঞাপন চালু করলে ফেসবুকের লাভ বেশি। কারণ, ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুক বেশি আয় করে এবং এতে খরচ বেশি।

এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ফেসবুকের ভেতর বিজ্ঞাপন দেখানোর আর কোনো জায়গা নেই তাদের। এরপর থেকে মেসেঞ্জার ও মার্কেটপ্লেসে বিজ্ঞাপন দেখাতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

মেসেঞ্জারের ভেতর অটোপ্লে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হলে ব্যবহারকারীদের কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। এ বিষয়ে মেসেঞ্জারের বিজ্ঞাপন বিভাগের পরিচালক স্টেফানোস লুকাকোস বলেন, মানুষের বিরক্তির কারণ সম্পর্কে তাঁরা অবগত। ব্যবহারকারীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। মানুষ এসব বিজ্ঞাপন দেখতে অভ্যস্ত হন, নাকি মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেন, সেটা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

স্টেফানো বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রধান গুরুত্ব হচ্ছে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। মেসেঞ্জারের ভেতর অটোপ্লে ভিডিও বিজ্ঞাপন কাজ করবে কি না আমরা এখনে জানি না। যখন সাধারণ বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে, তখন খুব বেশি পরিবর্তন চোখে পড়েনি। তবে ভিডিও একটু আলাদা হতে পারে। তবে খুব বেশি পার্থক্য হয়তো হবে না।’

27
Football / এ আরেক ‘মেসি’
« on: June 20, 2018, 09:47:36 AM »


গেল কয়েক মাসে রেজা পারাসতেশ ইরানে রীতিমতো মহাতারকা হয়ে উঠেছেন। লিওনেল মেসির ‘লুক অ্যালাইক’ প্রতিযোগিতা এখন বিশ্বে চললে শিরোপাটা বুঝি রেজা পারাসতেশই জিতবেন। মেসির চেহারার সঙ্গে রেজার চেহারা অনেকটাই মিল।

মেসির লুক অ্যালাইক হওয়ার হ্যাপাও কম নয়। খবর বেরিয়েছিল, ইরানি মেসি নাকি রুশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এই খবর অবশ্য রেজা উড়িয়ে দিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামেও তিনি হিরো হয়ে উঠেছেন। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সঙ্গে এত মিলের কারণে যে তার খ্যাতির বিড়ম্বনা, একথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের সঙ্গে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে তাকে।

এই প্রথম অবশ্য হ্যাপার মধ্যে পড়েননি রেজা। গেল বছর একবার পুলিশ স্টেশনে কাটিয়ে আসতে হয়েছে এই শিক্ষার্থীকে। তার গাড়ি জব্দ করা হয়েছিল।

হামাদান শহরের পথের মাঝে তাকে নিয়ে ভক্তরা এমন হইচই করতে থাকে যে, রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। সবাই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। রেজা সানন্দে খ্যাতি উপভোগ করার শাস্তিতে শেষে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজের গাড়িটা হারান।

তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে এবার বিশ্বকাপের দেশ রাশিয়ায়। হঠাৎ খবর, পথ থেকে রাশিয়ার পুলিশ মেসির মতো দেখতে রেজাকে গ্রেফতার করেছে। রেজা এখন মস্কোয়। তার দেশ খেলছে। কিন্তু তাকে নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। মস্কোয় তাকে নাকি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন ইরানি মেসি, ইরানে গুজবটা ছড়িয়ে পড়েছে যে, মস্কোয় জনগণের ভোগান্তির কারণ হওয়ায় আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা অসত্য। ভিডিওতেই দেখুন আসলে কি ঘটেছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভক্তরা আমার সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন। এর ফলে যানজট দেখা দেয়। মস্কোর পুলিশ আমাকে এসকর্ট করে ক্রেমলিন ওয়ালের দিকে নিয়ে যায়। আমাদের মধ্যে চমৎকার আলাপ হয়। তারাও আমার সঙ্গে সেলফি তুলেছে।

28


মিস আক্তার, বয়স ২০ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে। গত ৩ মাস ধরে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভব করছে। পরীক্ষার আগে ব্যথা বাড়ে, বসে থাকলে হয়, কখনও শোয়ার পরও হয়। পরিশ্রম করলে ব্যথা বাড়ে না। ব্যথা কখনও ডান পাশেও হয়, পিঠের দিকে যায়।

চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, রক্তের ডায়াবেটিস ও চর্বির মাত্রা, বুকের এক্স-রে ও পেটের আল্টাসনোগ্রাম করালেন। রিপোর্ট স্বভাবিক। এরপরও ডাক্তার তাকে ইটিটি করাতে বললেন। মিস আক্তার অবাক হলেন, সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও ইটিটি করাতে হবে কেন?

মিস আক্তার, ইটিটি ট্রেডমিলে ৬ থেকে ৯ মিনিট হাঁটলেন, যদিও কারও কারও আরও বেশি হাঁটার প্রয়োজন হয়। সঙ্গে ইসিজি ও ইকো রিপোর্ট ছিল। হাঁটার সময় তার বুকে তীব্র ব্যথা বা রক্ত চাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়নি। ইসিজিতেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।

ইটিটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসল। ডাক্তার জানালেন, এর অর্থ হচ্ছে- হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ৭০% বেশি ব্লক থাকার আশঙ্কা কম। অর্থাৎ রক্তনালীতে যে ব্লক নেই তা বলা যাবে না। ইটিটি নেগেটিভ হলেও হার্টঅ্যাটাক হতে পারে। ৭০%-এর কম ব্লক ফেটে গিয়ে থ্রম্বোসিস হয়ে রক্তনালী জমাট বেঁধে হার্টঅ্যাটাক হতে পারে।

জানা দরকার, ইটিটি নেগেটিভ হলে যাদের এক বা একাধিক রিস্ক সেক্টর আছে- যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপায়ী, রক্তে উচ্চমাত্রা কোলেস্টরেল এবং ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সিটি এনজিওগ্রাম বা ইনভেসিভ এজিওগ্রাম করা উচিত। হার্টঅ্যাটাকের পরেও ইটিটি করা যায়।

অধ্যাপক ডা. মো. তৌফিকুর রহমান (ফারুক)

মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা

মোবাইল ফোন : ০১৭৭৭৭৫১২৫১।

29
Science Discussion Forum / NASA plans to send mini-helicopter to Mars
« on: June 12, 2018, 09:24:35 AM »

The US space agency said Friday it plans to launch the first-ever helicopter to Mars in 2020, a miniature, unmanned drone-like chopper that could boost our understanding of the Red Planet.

The US space agency said Friday it plans to launch the first-ever helicopter to Mars in 2020, a miniature, unmanned drone-like chopper that could boost our understanding of the Red Planet.

Known simply as "The Mars Helicopter," the device weighs less than four pounds (1.8 kilograms), and its main body section, or fuselage, is about the size of a softball.

It will be attached to the belly pan of the Mars 2020 rover, a wheeled robot that aims to determine the habitability of the Martian environment, search for signs of ancient life, and assess natural resources and hazards for future human explorers.

Mars 2020 is planned for launch in July 2020 with an arrival on the surface of Mars expected in February 2021.

"NASA has a proud history of firsts," said NASA Administrator Jim Bridenstine in a statement.

"The idea of a helicopter flying the skies of another planet is thrilling."

No nation has ever flown an helicopter on Mars before.

The undertaking began in August 2013 as a technology development project at NASA's Jet Propulsion Laboratory.

In order to fly in Mars' thin atmosphere, the space helicopter has to be super light, yet as powerful as possible.

"The altitude record for a helicopter flying here on Earth is about 40,000 feet (12,100 meters)," said Mimi Aung, Mars Helicopter project manager at NASA's Jet Propulsion Laboratory.

"The atmosphere of Mars is only one percent that of Earth, so when our helicopter is on the Martian surface, it's already at the Earth equivalent of 100,000 feet up (30,500 meters)," she added.

Engineers built the copter's twin, counter-rotating blades to "bite into the thin Martian atmosphere at almost 3,000 rpm -- about 10 times the rate of a helicopter on Earth," said a NASA statement.

The helicopter is equipped with "solar cells to charge its lithium-ion batteries, and a heating mechanism to keep it warm through the cold Martian nights."

Controllers on Earth will command the Mars Helicopter, which was designed to receive and interpret commands from the ground.

Plans are being laid for a 30-day flight test, with five flights going incrementally further each time, up to a few hundred yards (meters).

Its first flight calls for a brief vertical climb of 10 feet (three meters), followed by hovering for a half minute.

NASA views the copter as a "high-risk, high-reward technology demonstration," it said.

If successful, it could be a model for scouting on future Mars missions, able to access places the human-built rovers cannot reach.

If it fails, it will not impact the Mars 2020 mission.

"The ability to see clearly what lies beyond the next hill is crucial for future explorers," said NASA's Thomas Zurbuchen, associate administrator for the science mission directorate.

"We already have great views of Mars from the surface as well as from orbit. With the added dimension of a bird's-eye view from a 'marscopter,' we can only imagine what future missions will achieve."

30


প্রযুক্তির এই যুগে সব কিছুই এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায় অনলাইনে। আগে কাগজের পত্রিকার অপেক্ষায় থাকতে হতো চাকরির খোঁজখবর নেয়ার জন্য। এখন যুগ পাল্টে গেছে, মানুষ অনলাইনে সহজেই পাচ্ছে চাকরির সব তথ্য। চাকরির জন্য সিভিও পাঠানো যাচ্ছে অনলাইনে।
 
ওয়েবসাইটের পাশাপাশি এখন অ্যাপেও মিলে চাকরির খবর। জনপ্রিয় চাকরি খোঁজার প্রতিষ্ঠান জবরিমাইন্ড২৪ ডটকম। প্রতিষ্ঠানটি এতোদিন তাদের সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দিয়ে থাকলেও এবার প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের সেবা চালু করেছে।  সম্প্রতি তারা জবরিমাইন্ড২৪ নামে একটি অ্যাপস এর উদ্বোধন করে। চাকরির সব তথ্য পাওয়া যাবে অ্যাপসটিতে।
 
জবরিমাইন্ড২৪ ডটকম এর প্রধান কর্ণধার সোহাগ জানান, সরকারি ও বেসরকারি সব চাকরির তথ্য পাওয়া যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। সহজে ব্যবহার উপযোগী করেই অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অনেকেই সঠিক চাকরির খোঁজ পায় না, চাকরির খোঁজ দিতেই আমরা বিশ্বমানের অ্যাপ নিয়ে হাজির হয়েছি । এই অ্যাপের মাধ্যমে মিলবে চাকরি সব তথ্য। শুধু ঢাকার ভিতরের চাকরির খবর না, জেলা-উপজেলার চাকরির খবরও মিলবে এই অ্যাপে।  অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর পাওয়া যাচ্ছে। ডাউনলোড লিংক: https://goo.gl/Ftu1PU.

Pages: 1 [2] 3 4