Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - tasnuva

Pages: [1] 2 3 ... 23
1
রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান হল লবণ। লবণ ছাড়া রান্না করার কথা চিন্তা করা যায় না। রান্না ছাড়াও ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয় এই লবণ! কথা শুনে চোখ কপালে উঠে গেলে? অবাক হওয়ার কিছু নেই, লবণেরও আছে অনেকগুলো সৌন্দর্য উপকারিতা। গোসলের পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে, ব্রণ দূর করে ত্বক নরম করে থাকে। ত্বক চর্চায় লবণের এমনি কিছু ব্যবহার আসুন জেনে নেওয়া যাক।

১। ত্বকের মৃতকোষ দূর করা
৩ টেবিল চামচ মধুর সাথে ১ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। চক্রাকারে ম্যাসাজ করে এই প্যাকটি লাগিয়ে নিন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে দিবে। দুই দিন পর পর এটি ব্যবহার করুন।

২। বডি স্ক্রাব
সিকি কাপ লবণ এবং আধা কাপ অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। আপনি চাইলে এতে যেকোন এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি কোন কাপড়ে অথবা লুফায় লাগিয়ে শরীর ম্যাসাজ করুন। এই স্ক্রাব রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ত্বক নরম এবং পরিষ্কার করে থাকে।

৩। স্কিন টোন উন্নত করা
দুই টেবিল চামচ লবণ গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং লবণ ত্বকের ময়লা দূর করে দিবে।

৪। বলিরেখা দূর করতে
ত্বকে বলিরেখা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে স্যালাইন পানি দিয়ে প্রতিদিন ত্বক ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। কিছুদিন করার পর দেখবেন আপনার ত্বকের বলিরেখা গায়েব হয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতেও বলিরেখা পড়ছে না।

৫। ব্রণ দূর করতে
একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ লবণ এবং এক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো এর সাথে কিছু পরিমাণের টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ব্রণের উপর লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখুন ব্রণ দূর হয়ে গেছে।

৬। ব্ল্যাকহেডস দূর করতে
জেদী ব্ল্যাকহেডস দূর করে লবণ বেশ কার্যকর। এক টেবিল চামচ লবণ এবং গরম পানির সাথে মিশিয়ে সেটি দিয়ে ব্ল্যাকহেডসের স্থানগুলো ম্যাসাজ করুন। খেয়াল রাখবেন পানিতে যেন লবণ গলে না যায়। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।

2
অনেক অভিভাবকই রেগে গেলে কিংবা তার শিশু সন্তানটি কোনো ভুল করলে তার উপর চিৎকার করে রাগ দেখান। যখন আমরা রেগে যাই তখন আমরা নিজেরা কি করছি তার উপর একটিবারের জন্যও নজর দিই না। আমাদের গলার স্বর চড়তেই থাকে। অথবা আমরা জেনে বুঝেই চিৎকার করে কথা বলতে থাকি, মনে করি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের চিৎকার করাটাই উচিত।

কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই জানি শিশুদের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেই জিনিসটি বোঝানো সম্ভব। চিৎকার করাটা কোনো কিছুর সমাধান নয়, বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। একবার ভেবে দেখেছেন কি, আপনি যদি নিজের উপরে নিজের রাগের উপরে নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারেন তবে নিজের সন্তানের উপর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখবেন?

এর পরিবর্তে আপনি যদি শান্ত থেকে ঠাণ্ডা গলায় আপনার শিশুটির সাথে কথা বলেন, তাকে বোঝাতে পারেন তাহলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এছাড়াও আপনার চিৎকার করার ফলে শিশুটির উপরে যে প্রভাব পড়ছে তাও পড়বে না। এটি খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনুন, শিশুটির সাথে কথা বলার আগে নিজেকে শান্ত করে নিন। আপনার শিশুকে বোঝানোর দায়িত্ব আপনারই। তার সাথে চিৎকার করে কথা বলে তাকে বোঝাতে পারবেন না বরং সে আপনার এই বিষয়টিও শিখে নেবে।

১) প্রতিজ্ঞা করুন নিজেই
গবেষণায় দেখা যায় যখন মানুষ ঠাণ্ডা মাথায়, নিজের মুখে উচ্চারন করে কোনো প্রতিজ্ঞা করেন তখন তা ভঙ্গ না করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। অপরদিকে যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ করে বা ‘ইশ, আমি যদি এমনটি না করতাম’ এভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করে বললে সম্ভব হয় না। পরবর্তীতে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটে। তাই নিজের শিশুটির উপরে চিৎকার না করার প্রতিজ্ঞা ঠাণ্ডা মাথায়, মুখে বলে বা কাগজে লিখে করুন। এতে করে অনেকটা শান্ত রাখতে পারবেন নিজেকে।

২) নিজের পরিবারের সাথে প্রতিজ্ঞা করুন
যদি নিজেকে করা প্রতিজ্ঞা নিয়ে আপনার কোনো সংশয় থেকে থাকে তাহলে পুরো পরিবারের সামনে একসাথে প্রতিজ্ঞা করুন। মানুষ অন্যের সাথে করা প্রতিজ্ঞা পূরণের চেষ্টা সবসময়েই করেন।

৩) থামুন, যেতে দিন এবং নিঃশ্বাস নিন
যখনই দেখবেন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন তখনই এই নিয়মটি পালন করুন। থামু, যেতে দিন এবং লম্বা নিঃশ্বাস নিন।
থামুনঃ যখনই মনে করবেন চিৎকার করতে যাচ্ছেন আপনি কথা বলা থামিয়ে দিন। কথা বলবেন না, এতে করে চিৎকারও হবে না।
যেতে দিনঃ সেই সময়ের জন্য বিষয়টি যেতে দিন। যখন মনে করবেন আপনি নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন তখন থেমে বিষয়টি যেতে দিন যদি না সেটি তাৎক্ষণিক সমাধানের কিছু হয়। পরেও ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলা সম্ভব।
লম্বা শ্বাস নিন ১০ বারঃ নিজেকে রিলাক্স করার জন্য লম্বা শ্বাস নিন ১০ বার।

৪) নিজেকে মনে করিয়ে দিন ‘আপনি পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষ এবং শিশুটি এখনো আপনার কাছ থেকেই শিখছে’
নিজের সন্তানের দিকে তাকান, তাকে বলুন, ‘আমি শান্ত হওয়ার চেষ্টা করছি অনেক। আমি চিৎকার করতে চাই না। আমরা শান্ত হয়ে আবার কথা বলা শুরু করবো’।

৫) নিজেকে শান্ত করার জন্য যা প্রয়োজন তাই করুন
আরও বেশ কয়েকবার লম্বা শ্বাস নিন, যোগব্যায়াম করুন, চোখে মুখে ঠাণ্ডা পানি দিন, অন্য কিছু করুন, যেভাবে পারুন নিজেকে শান্ত করুন। নিজেকে বোঝান, ‘আপনার শিশুটি ছেলেমানুষি করেছে, দুষ্টুমি করেছে কারণ সে এখনো ছোটো’।

৬) আবার চেষ্টা করুন
যখন নিজেকে শান্ত করতে পারবেন তখন নিজের শিশুটির দিকে তাকান, ভাবুন তিনি আপনারই সন্তান তাকে বোঝানোর দায়িত্ব আপনার, তাকে নরম গলায় এবং সঠিকভাবে বুঝিয়ে ভুল ধরিয়ে দেয়ারও দায়িত্ব আপনার। তাকে ঠাণ্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করুন।

সূত্রঃ parentdish.co.uk

3
Children / শিশুর টিকা
« on: March 20, 2016, 05:01:21 PM »
 দীর্ঘ ৯ মাস সাধনার পর একজন মা একটি শিশুর জন্ম দেন। জন্মের পর মা-বাবা, আত্মীয়-পরিজন পৃথিবীর নতুন এ অতিথিকে সুস্থ-সবল রাখতে কত কিছুই না করে থাকেন। একটা সময় আসে শিশুটিকে প্রয়োজনীয় টিকা দেয়ার। মা-বাবা ভাবতে থাকেন, আমরা আমাদের শিশুর প্রয়োজনীয় টিকাগুলো ঠিকমতো দিচ্ছি? সব ঠিকঠাক আছে তো? সাধারণত আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই শিশুদের প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। তাই আসুন জেনে নেই শিশুদের একান্ত প্রয়োজনীয় টিকা সম্পর্কে কিছু তথ্য...

পোলিও টিকা : পোলিও মারাত্মক একটি রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে শিশুকে অবশ্যই পোলিও টিকা দিতে হবে। এ টিকাটি চারটি ডোজে খাওয়াতে হয়। প্রথম ডোজটি শিশুর জন্মের দিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে খাওয়াতে হয়। পরবর্তী দুটি ডোজ চার সপ্তাহ পর পর খাওয়াতে হয়। চতুর্থ ডোজটি হামের টিকার সঙ্গে খাওয়াতে হয়।

বিসিজি টিকা : বিসিজি টিকাটি মারাত্মক রোগ যক্ষ্মা প্রতিরোধ করে। তাই এটিকে যক্ষ্মার প্রতিষেধক টিকা বলা হয়। সাধারণত জন্মের পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ টিকা দিতে হয়।

ডিপিটি টিকা : ডি তে ডিপথেরিয়া, পি তে পারটোসিস বা হুপিং কাশি ও টি তে টিটেনাস। তাই ডিপিটি টিকাটি এ তিনটি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এ তিনটি রোগই আলাদা আলাদাভাবে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত শিশুর জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে শুরু করে চার সপ্তাহ পর পর তিনটি ডোজ দিতে হয়। জেনে রাখা ভালো, এ টিকাটি ছয় সপ্তাহের আগে ও পাঁচ বছরের পর দেয়া যাবে না।

হামের টিকা : হাম শিশুদের জন্য মারাত্মক কষ্টদায়ক একটি রোগ। এ রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই শিশুকে হামের টিকা দিতে হবে। সাধারণত শিশুর ৯ মাস বয়সে এ টিকা দিতে হয়। মনে রাখতে হবে, এ টিকার সঙ্গে শিশুকে পোলিওর চতুর্থ ডোজের একটি ভিটামিন ক্যাপসুলও খাওয়াতে হবে।

হেপাটাইটিস-বি : হেপাটাইটিস-বি এর কারণে জন্ডিসসহ লিভারের নানা মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাই শিশুকে অবশ্যই দুই বছর বয়সের পর এ টিকাটি দিতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত এ টিকাটি দুটি ডোজে দেয়া হয়। প্রথম ডোজের ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়।

টাইফয়েড টিকা : টাইফয়েড এমনই মারাত্মক একটি ব্যাধি, যা আপনার শিশুর যে কোনো অঙ্গ বিকল করে দিতে পারে। এমনকি জীবন পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে। তাই শিশুকে অবশ্যই টাইফয়েডের টিকা সময় মতো দিতে হবে। সাধারণত শিশুকে দুই বছর বয়সের পর এ টিকা দিতে হয়। টাইফয়েডের টিকাটি তিন বছর পর পর দিতে হয়।

উপরে উল্লেখিত টিকাগুলো শিশুর জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এছাড়াও বর্তমানে অন্য নানা রোগের টিকা দেয়া হয়। টিকা দেয়ার পর শিশুর জ্বর আসতে পারে বা টিকার স্থান লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। অনেক সময় টিকা খাওয়ানোর পর পাতলা পায়খানাও হতে পারে। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এমনটি হলে টিকা দেয়ার ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই শিশু সুস্থ হয়ে উঠবে। মনে রাখতে হবে, শিশুকে সুস্থ-সবল একজন মানুষরূপে পৃথিবীতে স্থান করে দেয়া বাবা-মাসহ পরিবারের দায়িত্ব। তাই এ দায়িত্ব পালনে নিজে সচেষ্ট হোন ও অন্যকেও উৎসাহিত করুন। পরিশেষে সময়মতো আপনার শিশুকে টিকা দিন ও সুস্থ পরিবার নিয়ে ভালো থাকুন।

4
Children / গরমে শিশুর যত্ন
« on: March 20, 2016, 04:59:50 PM »
 গরমে শিশুর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এ সময় শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল ও পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মায়েদের বিশেষ যত্নবান হতে হবে। গরমে শিশুরা বড়দের তুলনায় অনেক বেশি ঘেমে যায়। এ সময় মরসুমজনিত নানা রকম ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়, তাই শিশুর প্রতি বিশেষ যত্নবান হলে ত্বকের অনেক সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।

প্রথমেই আসা যাক খাওয়া-দাওয়া প্রসঙ্গে : গরমে শিশুকে দিতে হবে প্রচুর পানীয় খাবার। ঘরে তৈরি নানারকম ফলের জুস, লেবুর সরবত, ডাবের পানি শিশুর জন্য ভীষণ উপকারী। এতে করে ঘেমে গিয়ে যে পরিমাণ পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায় তার ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়, এই সঙ্গে দিতে হবে শিশুর স্বাভাবিক খাবার। অত্যধিক গরমেও অনেক সময় শিশুরা খেতে চায় না। ঘেমে গেলে শিশুর কাপড় পাল্টে দিন। ঘেমে যাওয়া শরীর পাতলা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন। এ সময় শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান, গরমকালে অত্যধিক সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

শিশুর কোমল ত্বকের ওপর এক ধরনের সাহায্যকারী ব্যাক্টেরিয়া থাকে তা অত্যধিক সাবান ব্যবহার করে নষ্ট না করাই ভালো। কারণ, এরা নানা রকম সংক্রমণ থেকে শিশুর ত্বককে রক্ষা করে। সব সময় শিশুকে হালকা সুতির জামা পরাবেন, এমনকি বেড়াতে যাওয়ার সময়ও শিশু আরাম পাবে এমন পোশাক নির্বাচন করুন।

আজকাল বেশিরভাগ মা বেড়াতে যাওয়ার সময় শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শিশুর ত্বকের যে স্থানে সবচেয়ে বেশি র্যাশ বা ফুসকুড়ি হয় তা হলো ডায়াপারে আবৃত স্থান। তাই ঘন ঘন ডায়াপার বদলে দেবেন, দীর্ঘক্ষণ ধরে এক ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। কাপড়ের ডায়াপার ব্যবহার করলে সেটাকে প্লাস্টিকের প্যান্ট দিয়ে ঢাকবেন না। যদি ডায়াপার আবৃত স্থানটি লাল হয়, ডায়াপার পরানো বন্ধ করবেন। ডায়াপার আবৃত স্থানটি যথাসম্ভব শুকনো রাখতে চেষ্টা করবেন কোমল স্পর্শ, নরম আচ্ছাদন Diaper rash সেরে উঠতে সাহায্য করে।

গরমে অনেক মা-ই শিশুকে ঘন ঘন পাউডার লাগিয়ে দেন, এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেক সময় পাউডার শিশুর কোমল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। গরমকালে অধিক তেল ব্যবহার করাও ঠিক নয়। কারণ, এতে শিশুরা আরও বেশি ঘেমে যায়। অহেতুক শিশুকে কৃত্রিম কসমেটিক বা পোশাক পরানো উচিত নয় এতে করে স্পর্শজনিত নানারকম চর্মরোগ হতে পারে। তাই এই গরমে শিশুর সঠিক যত্ন নিন, আপনার শিশুকে সুস্থ রাখুন।

5
আসছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ। বরাবরের মতোই সংস্করণরটি নাম গোপন রাখা হয়েছে। কোড নাম হিসেবে ‘অ্যান্ড্রয়েড এন’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সংস্করণটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ ডেভেলপারদের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে। ১৮ মে গুগল আই/ও ২০১৬ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণ সংস্করণের ঘোষণা আসবে।
ব্যবহারকারীদের চাহিদার ভিত্তিতে অ্যান্ড্রয়েড ‘এন’এ যুক্ত করা হয়েছে মাল্টি উইন্ডো মুড। ফলে একই সঙ্গে পাশাপাশি দুটি অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে সহজেই প্রয়োজনীয় যেকোনো অ্যাপ সুইচ করে নেয়া যাবে। বেশি করে লেখা বা কোনো তথ্য কপি করতে এই ফিচারটি বেশ সহায়ক হবে ব্যবহারকারীদের জন্য।
নোটিফিকেশন থেকে মেসেজের উত্তর দেয়ার জন্য নতুন সংস্করণে যুক্ত হবে রিমোর্ট ইনপুট এপিআই সুবিধা।  এছাড়া সেটিং মেন্যুতে অনেক পরিবর্তন আনা হতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্মার্টফোনে চার্জ যেন দ্রুত শেষ না হয় এর জন্য আসতে পারে বিশেষ পাওয়ার সেটিং মুড।

ট্যাবলেট ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ইন্টারফেস যুক্তের পশাপাশি থাকবে ডাটা সেইভ মুড। নতুন সংস্করণটির ডেভেলপাররা নেক্সাস ৬পি, নেক্সাস ৫এক্স, নেক্সাস ৬ ও নেক্সাস ৯ ডিভাইসটি ইন্সটল করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ হচ্ছে ৬.০ মার্সম্যালো। এটি বাজারে আসার ৬ মাস পার হলেও তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। সক্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাত্র ২.৩ শতাংশে এই সংস্করণটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় নতুন সংস্করণটি বাজারে জনপ্রিয়তা পায় কিনা।

6
বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনেই ব্যবহার করা হচ্ছে শক্তিশালী ব্যাটারি। এছাড়া পাওয়ার ব্যাংক তো রয়েছেই। তারপরও চার্জ নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না ব্যবহারকারীরা। এবার হয়তো ব্যবহারকারীদের সেই দুশ্চিন্তা দূর হবে। উদ্ভাবিত হয়েছে এমন একটি মোবাইল চার্জার যা চলবে লবণ ও পানি দিয়ে। স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে এই প্রযুক্তি পণ্যটি দেখানো হয়েছে।
যাক নামের চার্জারটিতে কখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ শক্তি তৈরিতে এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নিষ্পত্তিযোগ্য কার্তুজ।
চার্জারটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জ্যাক’র প্রধান নির্বাহী  জর্ন ওয়েস্টারহোল্ম   বলেন, এই চার্জারটি ব্যাটারিভিত্তিক পাওয়ার ব্যাংকের থেকে অনেক ভালো সেবা দিতে সক্ষম।

7
একটা সময় ছিল যখন ফোনে এক গিগাবাইট র‍্যামের কথা কল্পনাই করা যেত না। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধীরে ধীরে বেড়েছে র‍্যামের কলেবর। বর্তমানে বাজারে ৪ গিগাবাইটের র‍্যামের ফোনও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এবার স্মার্টফোনে র‍্যাম ব্যবহার এগিয়ে গেল আরেক ধাপ। আগামী মার্চে চীনা মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো বাজারের আনছে এক্সপ্লে৫ মডেলের একটি হ্যান্ডসেট। এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৬ গিগাবাইট র‍্যাম। মার্চের ১ তারিখে ফোনটি বাজারে ছাড়া হবে।ফোনটি চলবে স্ন্যাপড্রাগন৮২০ প্রসেসরে। এর কার্ভড স্ক্রিনে রয়েছে দুটি সাইড, যা অনেকটা স্যামসাংয়ের এইজ সিরিজের স্মার্টফোনের মত। ৬ জিবি র‍্যামের এই ফোনটিতে রয়েছে সোলার চার্জিং ফিচার। এই ফিচারটির কথা নিশ্চিত করেছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে স্মার্টফোনটির বেশকিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা গেছে, ভিভো এক্সপ্লে৫ এ ৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। চার হাজার ৩০০ মেগাহার্জের ব্যাটারি দেবে দীর্ঘস্থায়ী চার্জের নিশ্চয়তা। তবে ফোনটির দাম নিয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
শুধু যে ভিভো এক্সপ্লেতেই ৬ গিগাবাইট র‍্যাম ব্যবহার করা হয়েছে তা নয়, চীনা মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লিইকো’ও ৬ গিগাবাইট র‍্যাম বাজারে ছাড়তে পারে বলে গুজব রয়েছে। এছাড়া মোবাইল জায়ান্ট স্যামসাং ঘোষণা দিয়েছে, খুব শিগগির প্রতিষ্ঠানটি ৬ গিগাবাইট র‍্যামের ফোন বাজারে ছাড়বে।

8
 বছরজুড়ে হালকা শরীর ব্যথার সমস্যা থাকলেও শীতকালে তা বেড়ে যায় উল্লেখযোগ্য হারে। কারো হাড়ের জোড়ায়, কারো কোমরে, কারো পিঠে, কারো পায়ের মাংসে ব্যথা হয়। শীতের এই সময়টাতে সামান্য আঘাত পেলেও তার ব্যথা যেতেই চায় না- তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।

সাধারণ কাজ, ওঠাবসা বা প্রয়োজনীয় চলাফেরাতেও এই ব্যথা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই শীত আসার আগেই নিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। আজ থেকেই শুরু করতে পারেন এমন কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস যা আপনাকে দেবে মুক্ত সুস্থ শরীর। জেনে নেয়া যাক সহজ লভ্য এমন কিছু খাবার সম্পর্কে..

চেরি ফল –

সুমিষ্ট এই ফলটি দেহের পেশীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। চেরি ফলের জুস অথবা হালকা সেদ্ধ চেরি খেলে শরীরের যেকোনো ব্যথা দ্রুত দূর হয়।

আদা –

আদা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন খাবার তালিকায় কিছু পরিমান সতেজ বা শুকনা আদা থাকলে আমাদের পেশীর গঠনে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যথা বা আঘাত পাওয়া ব্যথা দূর করতেও আদার কার্যকরী গুণ রয়েছে।

রসুন –

ব্যথা প্রতিশেধক হিসেবে রসুনের ব্যবহার আমাদের অনেকেরই জানা। শারীরিক যেকোনো ব্যথায় এটি হালকা গরম তেল বা অলিভ অয়েলে রসুন পেস্ট মিশিয়ে শরীরে লাগান। এতে শরীরের যেকোনো ব্যথা খুব সহজেই দূর হবে। অনেকে প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া কাঁচা রসুন ভাতের সঙ্গে খান। এই অভ্যাসও আপনাকে বাত ব্যথা বা অন্যান্য ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।

আঙুর –

প্রতিদিন ১০০ গ্রাম আঙুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ব্যাক পেইন বা পিঠের ব্যথা দূর হতে বাধ্য। এই ফলে থাকা পুষ্টিকর বিশেষ উপাদান আপনার শরীরের রক্ত চলাচলকে সরল করে দিতে সক্ষম। এতে শরীরের ব্যথা দূর হয়।

লবঙ্গ –

লবঙ্গ এমন একটি মসলা যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে দেহের নানা ধরনের উপকারী গুণ বহন করে। বিভিন্ন ধরণের দাঁতের ব্যথা নির্মূলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য যেকোনো ব্যথা নির্মূলে লবঙ্গের গুড়া অলিভ অয়েলে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে- দারুণ উপকার মেলা সম্ভব।

9
. রাঙিয়ে তুলুন খাবারের থালা –

পুরনো প্রবাদে রয়েছে, খাবারের থালা যদি বেশি রঙিন হয় তবে সুস্বাস্থ্যের আশা করতে পারেন আপনি। তাই খাবারের থালাকে সাজিয়ে তুলুন বিভিন্ন রঙের সবজি দিয়ে।

সবজিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যেগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই খাবারের থালাকে সাজিয়ে তুলুন ফুলকপি, গাজর, বিট-পালং ইত্যাদি সবজি দিয়ে।

৪. পেঁয়াজ ও রসুন –

খাবারের তালিকায় অবশ্যই পেঁয়াজ এবং রসুন রাখুন। এগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে ভালো কাজ করে।

৫. হয়ে উঠুন নিরামিষভুজী –

গরু, খাসি বা লাল মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের মাংসগুলো ক্যানসার তৈরিতে সাহায্য করে। সম্প্রতি গবেষণায় বলা হয়, মাংস খাওয়া বাদ দিয়ে খাদ্যাভ্যাসে যদি প্রচুর পরিমাণ সবজি রাখা যায় তবে সেটি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেশি পোড়া খাবারও এড়িয়ে চলুন।

৬. ভেষজ খাবার –

কিছু ভেষজ জাতীয় খাবারে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা ক্যানসারের কোষ ঝিল্লি তৈরি ব্ন্ধ করতে কার্যকরী। ভেষজ জাতীয় খাবার যেমন অশ্বগন্ধা, তুলসি, ত্রিফলা ইত্যাদি। তাই এ ধরনের খাবারের অভ্যাস করতে পারেন।

10
 ২. সবুজ সবজি গ্রহণ –

বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। শীতকাল সবজির জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। সবুজ সবজি যেমন : পালং,মেথি ইত্যাদি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই রাখতে পারেন।

স্যুপ, রুটি-পরোটা এবং ডাল তৈরিতে এসব সবজি ব্যবহার করতে পারেন। তাজা সুবজ সবজি ক্যানসারের উপাদানগুলোর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

11
 একটু সচেতন হয়ে দৈনন্দিন খাদ্যাভাস এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। গবেষকদের মতে, ক্যানসার প্রতিরোধে সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধে ছয়টি খাদ্যের পরামর্শ।

১. এড়িয়ে চলুন ক্যানসারে জন্য দায়ী উপাদান –

এমন খাদ্যদ্রব্য বা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা উচিত নয় যেগুলোতে ক্যানসার হওয়ার উপাদান বা কারসিনোজেন্স রয়েছে। এটি দেহের কোষীয় বিপাকীয় পদ্ধতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কারসিনোজেন্স তৈরির অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান, টোবাকো এবং অ্যালকোহল গ্রহণ।

এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য ত্যাগ করলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস এবং রাসায়নিক দ্রব্য থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব ব্যক্তিরা গ্যাস বা রাসায়নিক কারখানায় কাজ করেন তাঁদের অনেক বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য এড়িয়ে চলুন। এগুলোতেও ক্যানসার হওয়ার উপাদান থাকে। নিয়মিত তাজা ফল এবং সবজি গ্রহণ করুন।

12
 সারা বিশ্বে জনপ্রিয় যত পানীয় রয়েছে তার একটি হলো চা। শুধু জনপ্রিয় নয় চা উপকারীও। অনেকেরই প্রতিদিন অন্তত এক কাপ চা না হলে চলে না। আর শীতের দিনে তো গরম চায়ের যেন তুলনাই নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ের সাথে যদি আদা যুক্ত হয় তা হলে এর উপকারীতা বাড়ে কয়েকগুণ।

কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি। শীতকালে আদা-চায়ের বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো-

১। শ্বাসকষ্ট কমায় –

শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শীতজনিত শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূরকরতেও এই চা বেশ কর্যকর।

২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় –

শীতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে আদা-চা। নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চায় শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া আদা-চা শীতে হালকা জ্বর-কাশি দূর করে।

৩। ব্যথা কমায় –

যাদের বয়স একটু বেশি; শীতে তাদের কষ্ট হয় বেশি। শরীরের নানা জায়গায় তাদের ব্যথা দেখা দেয়। আদা দেহের পেশী ও হাড়ের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ কারণে ব্যথা হলে চায়ের সাথে সামান্য আদা খাওয়া ভালো।

৪। হজমে সহায়ক –

আদা হজমেও সহায়ক। তাই কারো হজমে সমস্যা থাকলে আদা-চা তার জন্য উপকারী হতে পারে। পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করে আদা চা। অনেকেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আদা-চা খুবই উপকারী। আদা-চা অল্প সময়ের মধ্যেই ওই অস্বস্তি দূর করে।

৫। বমি রোধে কার্যকরী –

বাসে বা ট্রেনে উঠলে অনেকের বমির ভাব হয়।এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তাই যাত্রার আগে এক কাপ আদা-চা পান উপকারী।

৬। মানসিক চাপ কমায় –

মানসিক চাপ দূর করেতে সহায়তা করে আদা-চা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।

13
 বেদানা কার না প্রিয়। ক্লান্তি মেটাতে এক গ্লাস বেদানার জুস সবারই পছন্দ। সেই সাথে বেদানার রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণাবলি। চলুন জেনে নিই বেদানার উপকারিতা।

ডাইরিয়ার সমস্যায় বেদানা খুবই উপকারী। দিনে দুই তিন বার বেদানার জুস খেতে পারলে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া যায়।

শীতের সময় জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি থেকে বাঁচার জন্য বেদানার জুস খেতে পারেন।

অজীর্ণ রোগের উপশমে বেদানার রস উপকারী।

বমিভাব দূর করতে হলে মধু ও বেদানার রস সম পরিমাণে মিশিয়ে পান করুন।

বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যার ফলে আপনার শরীরের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হার্টে অক্সিজেন সরবরাহে ও রক্ত চলাচল ভালো রাখতে বেদানার রস উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, তিন মাস প্রতিদিন এক কাপ করে বেদানার রস খেলে হার্টের মাসলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।

ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-সি, সাইট্রিক অ্যাসিড ট্যানিন-সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেদানার রস উপকারী।

গর্ভবতী নারীরা চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে বেদানা খেতে পারেন। এতে শরীরে রক্ত-সঞ্চালন বাড়ে এবং শিশুর ব্রেইনে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

গলাব্যথা কমাতেও বেদানার জুস খেতে পারেন।

এক কাপ বেদানার জুসে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর চাঙা থাকে।

একটা বেদানায় রয়েছে ১০৫ গ্রাম ক্যালরি, ১২৪ গ্রাম পানি, ১.৪৬ গ্রাম প্রোটিন, ৩৯৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৯.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি

মনে রাখুন

আপনি নিয়মিত কোনো ওষুধ খেলে বেদানা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

বেদানা কেনার সময় ভারি ও দাগবিহীন বেদানা কিনবেন।

বেদানার জুস জামাকাপড়ে ফেলবেন না। দাগ হয়ে যাবে।

বেদানার জুস তৈরি করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলুন, বেশিক্ষণ রাখবেন না।

14
 শীত মৌসুম এলেও অভ্যাসবসত ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান, আইসক্রিম খাওয়া বা রাতের বেলায় ফ্যান ছেড়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণে গলায় ব্যথা হয়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেশি হয়।

গলায় ব্যথা হলে কথা বলা, খাবার খাওয়া এমনকি পানিপানেও কষ্ট হয়। একে সাধারণত টনসিলের সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। এ রোগে আমাদের দেশে অনেক শিশুই ভুগে থাকে। শীতের সময় টনসিল প্রদাহের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

টনসিল ও এডিনয়েড এক ধরনের লসিকাগ্রন্থি, যা আমাদের গলার ভেতরে শ্বাস ও খাদ্যনালীর মুখে অবস্থিত। শ্বাস ও পরিপাকতন্ত্রের প্রবেশপথে প্রহরী হিসেবে টনসিল ও এডিনয়েড কাজ করে।

এরা খাদ্য ও বায়ুবাহিত ক্ষতিকারক পদার্থ ও রোগজীবাণু ধ্বংস করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। টনসিল ও এডিনয়েড শিশুদের চার থেকে ১০ বছর বয়সের মধ্যে খুব সক্রিয় থাকে।

এই সময়েই শিশুরা টনসিল ও এডিনয়েডের প্রদাহে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এডিনয়েড সাধারণত বয়ঃসন্ধিক্ষণে ছোট হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে বিলীন হয়ে যায়।

শিশুরা সাধারণত টনসিল ও এডিনয়েডের প্রদাহ ছাড়াও টনসিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য নানা জটিল রোগে ভুগে থাকে। তাই টনসিল ও এডিনয়েডের অসুখ অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
রোগের কারণ –

শিশুর দুর্বল স্বাস্থ্য, অপুষ্টি, এলার্জি জনিত অসুখ কারণে টনসিল প্রদাহ বাড়তে পারে। দাঁত, নাক ও সাইনাসের প্রদাহ এবং ঠাণ্ডার প্রতি খুব বেশি সংবেদনশীলতা রোগ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

ভাইরাস ও বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও এই রোগ জটিল রূপ ধারণ করে। সাধারণত স্কুল থেকে এ রোগ শিশুদের মধ্যে সংক্রমিত হয়। তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস এবং সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অবহেলা ইত্যাদি এ রোগের কারণ।
রোগের লক্ষণ –

গলায় তীব্র ব্যথা এবং ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। শিশু সাধারণত কিছু খেতে চায় না। ঢোক গেলার সময় কানের ভেতর ব্যথা লাগতে পারে। মাঝে মাঝে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। জ্বরের সঙ্গে অনেক সময় কাঁপুনি, খিচুনি, মাথাব্যথা ও সারা শরীরে ব্যথাও থাকে।

তাছাড়া গলার উপরিভাগের লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায় ও ব্যথা থাকে। সর্দি থাকা, নাক বন্ধ থাকা, নাকের নিঃসরণ, মুখে দুর্গন্ধ, খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি এবং গলার উপরিভাগের লসিকাগ্রন্থি সব সময় ফুলে থাকে। তাছাড়া টনসিল ও এডিনয়েডের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এ রোগের সবচেয়ে মারাত্মক দিক হলো, এসব শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতিবন্ধকতা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তাদের শ্বাস ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। যেমন- পালমোনারি হাইপারটেনশন, হৃদরোগ এবং হঠাৎ হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়ে ঘুমের মধ্যে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
চিকিৎসা –

রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে ঠাণ্ডা খাওয়া পরিহার করতে হবে। দাঁত ও মুখের সঠিক পরিচর্যা, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, হালকা শরীরচর্চা করতে হবে। এরপরও উপশম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও প্রতিবন্ধকতা জনিত সমস্যায়-টনসিল ও এডিনয়েড অপারেশনের মাধ্যমে ফেলে দেওয়া ভালো।

15
 চুলের অস্বস্তিকর একটি সমস্যা হল খুশকি। সমস্যাটি ভীষণ রকম অস্বস্তিকর হলেও সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এটি দূর করা সম্ভব। একটু সচেতন হলে এ সমস্যা এড়ানোও সম্ভব। স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই আমাদের ত্বকের মৃত কোষগুলো ঝরে যায়। মাথার ত্বকের এই মৃতকোষই খুশকি। এ মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার ফলে খুশকি বেশি হয়। অনেক সময় সেবোরিক ডার্মাটাইটিস নামক রোগের কারণে খুশকি হতে পারে। তবে এ রোগে খুশকির পাশাপাশি মাথার ত্বকে ছোট ছোট দানার মতো কিছু গোটা হয়ে থাকে এবং রোগীর মাথার ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি হয়। জেনে নিন খুশকির সমস্যা সমাধানের কৌশল

১। খুশকির কারণ যা-ই হোক না কেন, খুশকি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু। খুশকির সমস্যায় কিটোকোনাজল ও জিংক পাইরিথিওন নামক উপাদানসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করা প্রয়োজন।

২। খুশকি খুব বেশি হলে এক দিন পরপর খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।

৩। অল্প পরিমাণ খুশকি হলে দু-তিন দিন পরপর খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
তেমন সমস্যা না থাকলেও এই মৌসুমে সপ্তাহে একবার খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪। আমলা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।

৫। দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। খুশকি দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৬। তিন থেকে পাঁচ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে মাথার ত্বকে ভালোমতো লাগান। এক ঘণ্টা পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন এবং তারপর শ্যাম্পু করে নিন।

৭। প্রথমে পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। এরপর মাথার ত্বকে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা ঘষে নিন। তারপর চুল ধুয়ে নিন। তবে বেকিং সোডা ব্যবহারের পর চুলে শ্যাম্পু লাগাবেন না। খুশকির জন্য দায়ী ছত্রাকগুলোর ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বেকিং সোডা। এর ফলে প্রাথমিকভাবে চুলে একটু শুষ্কভাব দেখা দিতে পারে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ধীরে ধীরে চুল আবার আর্দ্রতা ফিরে পাবে।

এছাড়া ও
১। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সব কটি পুষ্টি উপাদানই রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
২। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে চেষ্টা করুন।
৩। সব সময় পরিষ্কার চিরুনি ব্যবহার করুন।
৪। কখনোই অন্যের চিরুনি ব্যবহার করবেন না।
৫। চুলে বা মাথার ত্বকে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না একদমই।

Pages: [1] 2 3 ... 23