Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - turin

Pages: 1 [2]
16
                                                             শিল্পের সাফল্য যন্ত্রে নয় শ্রমিকে, নজির বাংলাদেশ

চোখ ধাঁধানো সাফল্য বাংলাদেশ ২০ বছর ধরে দেখছে। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হয়েছে এবং দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে অর্ধেকেরও বেশি। মূলত পোশাকশিল্পে ভর করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চীন এ ক্ষেত্রে যখন পিছিয়ে পড়ছে, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানটি ধরে রেখেছে। হংকং থেকে প্রকাশিত পত্রিকা এশিয়া টাইমস গতকাল শনিবার ‘বাংলাদেশ এ টেস্ট ফর দ্য নেক্সট ওয়েভ অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যানশিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে সাংবাদিক

 রবিন হারডিং লেখেন, ‘বাংলাদেশের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অন্যান্য দেশও চীনের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। ’ ‘উৎপাদকরা দল বেঁধে উড়ে যাচ্ছে এশিয়ার নতুন নতুন ভূখণ্ডের দিকে’ শিরোনামের এই লেখায় ব্যবহৃত ইনফোগ্রাফে দেখা যায়, বিশাল জনসংখ্যার দেশ চীনের তারকাখচিত লাল পতাকার পাখির সঙ্গে প্রায় সমানতালে উড়ে যাচ্ছে ছোট্ট দেশ বাংলাদেশের লাল-সবুজ রঙের উন্নয়নের রাজহাঁস।

ফিন্যানশিয়াল টাইমসের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্লকস টু নিউ কর্নারস অব এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ বছরে অর্থনীতিতে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কয়েক দশক আগেও যে দেশটির পরিচয় ছিল দরিদ্র ও দুর্ভিক্ষপীড়িত, সেই দেশটি এখন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। একইভাবে এগোচ্ছে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। বাংলাদেশসহ এসব দেশের লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি বলে দিচ্ছে একবিংশ শতাব্দীকে নতুন আকার দিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন নতুন শক্তির উদয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গার্মেন্ট রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে ফিন্যানশিয়াল টাইমস লিখেছে, পোশাকশিল্পে লাখ লাখ নারী কাজ করছে। এই শিল্পের সুবাদেই নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এশিয়া টাইমস লিখেছে, শিল্পে যন্ত্রের স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার ঘটিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারণার চেয়ে কায়িক শ্রমই যে বেশি কার্যকর তার উজ্জ্বল প্রমাণ বাংলাদেশ। সহজভাবে বললে, অটোমেশন তথা যন্ত্র যে এখনো মানবহস্তের যোগ্য বিকল্প হয়ে ওঠেনি তার উদাহরণ বাংলাদেশ।

দুটি প্রতিবেদনেই বলা হয়, স্থানীয় মজুরি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চীনের কারখানাগুলো এখন ব্যাপকভাবে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ও রোবটে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই কৌশল খুব একটা কাজে দেবে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ যেভাবে নিপুণ হাতে কাজ করে, সেই জায়গায় আসতে রোবটের হয়তো বা আরো কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। ফলে পোশাকের মতো অনেক সম্ভাবনাময় খাতে রোবটের খুব বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব খাতে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত পণ্যে ডিজাইনসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনতে হয়। আর এ জন্য আগামী দিনগুলোতেও দক্ষ-অদক্ষ শ্রমের ওপর নির্ভর করতে হবে। সেখানেই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ।

ফিন্যানশিয়াল টাইমস লিখেছে, চীনের বিকল্প হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। এ ক্ষেত্রে মূল্য সুবিধার দিক থেকে বাংলাদেশই এগিয়ে যাচ্ছে। চীন যেভাবে উন্নত দেশগুলোকে পেছনে ফেলে ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য অর্জন করেছে, সে পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও। ফিন্যানশিয়াল টাইমস মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান যে সাফল্য তার অনুকরণ করে আরো অনেকে চীনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারে। মধ্য অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই উৎপাদন হয়ে উঠেছে দারিদ্র্য থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রার মাধ্যম। যেহেতু পথটি এখনো খোলা, উন্নয়নের রাজহাঁসগুলো ডানা মেলতেই পারে এক দেশ থেকে আরেক দেশে .


Source:http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2017/08/13/531078

17
                                                                                মাউসের ক্লিকেই চালু হবে কম্পিউটার

 
সাধারণত সিপিইউর পাওয়ার বোতাম চেপেই ডেস্কটপ কম্পিউটার চালু করতে হয়। অনেক সময় পাওয়ার বোতাম কাজ না করলে সেটির বিকল্প হিসেবে কি-বোর্ড বা মাউস ব্যবহার করেও কম্পিউটার চালু করা যাবে। গিগাবাইট মাদারবোর্ডে এমন সুবিধা আছে। তা ছাড়া যেসব মাদারবোর্ডের বায়োস মেনুত পাওয়ার অন বাই কি-বোর্ড/মাউস সুবিধা আছে সেটিতেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কাজটি করা যাবে।

যা করতে হবে
কম্পিউটার চালু করে Delete বোতাম চেপে বায়োসে অপশনে সচল করুন। এখানে Power Management Setup অপশন নির্বাচন করে এন্টার বোতাম চাপুন। তালিকার বিভিন্ন সেবা থেকে Power on by Mouse নির্বাচন করে এন্টার চাপুন। এখানে Double Click নির্বাচন করে দিলে মাউসের দুই ক্লিক করেই কম্পিউটার চালু করা যাবে। এই তালিকা থেকে যদি Power on by Keyboard নির্বাচন করেন, তাহলে কি-বোর্ডের নির্দিষ্ট বোতাম চেপে কম্পিউটার চালু করা যাবে। তাই Power on by Keyboard থেকে Password নির্বাচন করুন। তাহলে এটির নিচে KB Power on Password আসবে। সেটিতে এন্টার চেপে পরপর দুবার পাসওয়ার্ড লিখে দিলে পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ কম্পিউটার চালু করতে পারবে না। Power on by Keyboard থেকে Keyboard 98 নির্বাচন করলে কি-বোর্ডের যেকোনো বোতাম চেপে কম্পিউটার চালু করা যাবে। কাজ শেষে F10 বোতাম চেপে পরের বার্তায় এন্টার চেপে সেটিংস সংরক্ষণ করুন। এখন কম্পিউটার শাটডাউন করে কিছুক্ষণ পর মাউসে ক্লিক বা কি-বোর্ডে যেকোনো বোতাম চাপলেই কম্পিউটার চালু হবে।

source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/1161616

18
                                               বৈষম্য বিলোপকে গুরুত্ব দিয়ে আজ আইপিইউ সম্মেলন শুরু
 
আজ শনিবার থেকে শুরু হবে পাঁচ দিনের ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলন, যেখানে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বিলোপের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা হবে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘রিড্রেসিং ইনইকুয়েলিটিজ: ডেলিভারিং অন ডিগনিটি অ্যান্ড ওয়েল বিয়িং ফর অল’ (বৈষম্যের প্রতিকার: সকলের জন্য মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত)।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চত্বরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সম্মেলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানান আয়োজকেরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতি চর্চার ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বন্ধন জোরালো করার ক্ষেত্রে আইপিইউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন, গণতন্ত্রের সফল অভিযাত্রা ও সুদূরপ্রসারী উন্নত, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাগুলো আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সামনে তুলে ধরতে পারব।’
এবারের সম্মেলনে কেন বৈষম্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়টির সঙ্গে সহিংস উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসের যোগসূত্র কী সে প্রসঙ্গে আইপিইউ মহাসচিব মার্টিন চুনগুং বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) বিশ্বনেতারা একজনকে উন্নয়নের বাইরে না রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেসব কারণে লোকজন উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে পড়ে তার অন্যতম কারণ বৈষম্য। লোকজন কখনো কখনো মনে করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কারণে তাদের ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়েও একধরনের বৈষম্য তৈরি হয়। তাই বাংলাদেশের মতো বন্ধুপ্রতিম দেশে আইপিইউ সম্মেলনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলনে জঙ্গিবাদ ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে আইপিইউর কৌশল কী হবে, তা নিয়ে সংস্থার নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা হবে। আমরা মনে করি, শুধু সামরিকভাবে এটাকে মোকাবিলা করাটা ঠিক হবে না। জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো কী অর্থাৎ আমরা রোগের দিকে তাকাব না, সিম্পটমের দিকে তাকাব না—রোগটা কেন হচ্ছে সেই জায়গায় আমরা আমাদের দৃষ্টি দিতে চাই। এবং সেখানে সংসদের কী ভূমিকা থাকবে, সংসদ সদস্যদের কী ভূমিকা থাকবে—সেটি আমরা দেখব।’
গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জন্য আইপিইউকে কাজে লাগানো হবে কি না জানতে চাইলে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ঢাকায় আইপিইউ সম্মেলনের আয়োজন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশে বাংলাদেশের কূটনীতিক মিশন নেই, সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে সে দেশগুলোর কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। গণহত্যার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা তাঁদের অন্য দেশের সতীর্থদের কাছে যাওয়ার সুযোগ আছে।
আইপিইউ সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সদস্য দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা আছে কি না জানতে চাইলে মার্টিন চুনগুং বলেন, আইপিইউ কিন্তু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নয়। এটি কোনো পুলিশি সংস্থা নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে আইপিইউতে যে সিদ্ধান্ত হয়, সদস্য দেশগুলো দেশে ফিরে তাদের সংসদে তা প্রচার করেন। ফলে নৈতিক একধরনের বাধ্যবাধকতা আছে এই সিদ্ধান্তের।
আয়োজকেরা জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৩২ দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ মোট ১৬৪টি প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৮ জন নিবন্ধন করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪৫টি দেশের স্পিকার ও ৩৭টি দেশের ডেপুটি স্পিকার।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে রোমে অনুষ্ঠিত আইপিইউ কাউন্সিলের অংশ নিয়ে সংস্থায় যোগ দিয়েছিল। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ওই অধিবেশনে অংশ নেন।
সাবের হোসেন জানান, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে চালু হতে যাচ্ছে আইপিইউ টিভি। আর এই টিভির সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান।
এবারের সম্মেলনটি কীভাবে পরিবেশবান্ধব হচ্ছে তা নিয়ে আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ধরনের ব্যাপক পরিসরে বড় আয়োজন হলে তাতে কার্বন নিঃসরণ হয়ে থাকে। যেটুকু কার্বন নিঃসরণ হয়েছে, তা প্রশমনের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়ে পরিবেশ সুরক্ষার উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব আয়োজন নিশ্চিত হয়।

source:www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1130011/বৈষম্য-বিলোপকে-গুরুত্ব-দিয়ে-আজ-আইপিইউ-সম্মেলন-শুরু

19
Common Forum/Request/Suggestions / Global Money Week in Bangladesh
« on: April 03, 2017, 05:28:23 PM »
                                                                            Global money week

Continuing last 3 years, recently Daffodil International University has organized the Global Money Week 2017 on 1ST April on their own Campus. Deputy Governor of Bangladesh Bank was the Chief Guest of these program. Honorable Chairman of Daffodil Family, Vice Chancellor of Daffodil International University, Former Education secretary, Head of CRM in Simanto Bank, Managing Director of Renaissance, Education Manager of ACCA Bangladesh, Manager of British council, Rene cuartero from Child & Youth Finance International etc.  Peoples were present in this prestigious program.
Basically this program is organized for creating awareness among the students of different level. In our country students are rarely conscious about saving money. Even parents are not aware to teach their child about money. So it is need to convince the students about saving.
In our country parents are usually not like to give money to their children but in develop country parents are used to give money to their child and encourage them to save. They save money and used to buy their toys or chock let. Even some of them planning for summer campaign or higher study.
We need to bring this concept in our country and spread it countrywide. For this reason Daffodil International University has taken initiative to develop this concept in our country.
Daffodil International University in association with Jobsbd.  also organized this program on 2nd April in Chittagong. We are also planning to organize other big cities in Bangladesh.
The guests who joined the program in Dhaka has share their idea and concept how to develop this project in our country. Lots of opinion and concepts were come out from them. Also some students of our university has taken part on this program and share their idea.
Some of the speaker gave emphasize on opening Bank account of the children, but some were oppose as this program is already running and there are lots of formalities to be complete to open a bank account. Some are talking about home learning but if the parents are not educated who will teach the children. So lots of concepts, anti-concepts were come out and finally we make a conclusion what we exactly need to do for circulating the program country wide.
1st of all the banks should be come front to take initial initiative. In this case Bangladesh bank have to take 1st step for appreciating this project. Then others bank can be come. If Bangladesh bank emphasize on it then others bank must be come.
Every banks or other renowned companies has their own CSR fund. If they spend 10-15% of their CSR fund on this issue, it will be handsome contribution for this project.
In every school their need to council the students to save their money. School should encourage the students. Not only the school level students but also the college and university going students need to council about this issues. So we have to spread the message of saving in every educational institute.
We can make aware the lower level parents about saving. It is common that they are not conscious about the saving even they have no idea how to save or how to develop saving concept. So it is very much necessary to teach them. In this case NGOs's can help us to motivate the parents and to develop the concept among them.
Our 1st priority to develop this in our university, among the student of DIU. If we can do it our project will be succeed half time.   


20

                                                                                          তারপরও সহজ নয় শ্রীলঙ্কা

‘বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না’—সিরিজের আগে ক্রিকেটীয় সৌজন্য মেনে শ্রীলঙ্কা এটাই তো বলে এসেছে এত দিন। কিন্তু এবার? এই ‘সৌজন্য’ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ!
টেস্টে একটা সময় নিয়মিত বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন যেসব শ্রীলঙ্কান, তাঁরা কেউ এখন দলে নেই। মুত্তিয়া মুরালিধরন, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো লঙ্কান কিংবদন্তিরা দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছেন কবেই। এমনকি নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও এবার নেই। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টে জয়ের স্বাদ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ মনে হচ্ছে এটাই। না, কাজটা মোটেও সহজ হবে না মুশফিকদের জন্য। তারুণ্যনির্ভর এই শ্রীলঙ্কা দলে হেরাথ-চান্ডিমাল-ধনঞ্জয়াদের মতো খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের ক্ষমতা আছে হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানোর।
সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে-দিলশানরা যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে যেন রেখে গেছেন দিনেশ চান্ডিমালকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেলেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, তিনটিতেই করেছেন সেঞ্চুরি। গড়? চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো—১২৮.৩৩! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকা সেই গল টেস্টেও সেঞ্চুরি আছে চান্ডিমালের। এবারও যে ভোগাতে পারেন, তা জানিয়ে রেখেছেন মোরাতুয়ায় দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১৯০ রান করে।
মুশফিকদের চোখ রাঙাতে পারেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও। গত এক বছরে ৮ টেস্টে ৪৫ গড়ে ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৭৫ রান করে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। গত আগস্টে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ধবলধোলাইয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সিরিজে ৩ টেস্টে ৬৫ গড়ে ৩২৫ রান করে ছিলেন সবার ওপরে। ধনঞ্জয়ার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে গত অক্টোবর-নভেম্বরে জিম্বাবুয়াইনদের ধবলধোলাই করেছে শ্রীলঙ্কা।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নোটপ্যাডে রাখতে হবে কুশল মেন্ডিসের নামটা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত বছর শ্রীলঙ্কার যে দুর্দান্ত শুরু, সেিট তাঁর হাত ধরেই। পাল্লেকেলেতে প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫৩ রান করে কুশলের ১৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংসটির সৌজন্যেই। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা জেতে ১০৬ রানে। দারুণ এই জয়ে আত্মবিশ্বাসী শ্রীলঙ্কানরা পরে ধবলধোলাই করে অস্ট্রেলিয়াকে। ওই সিরিজে ৩ টেস্টে ৪৯.৩৩ গড়ে কুশল করেন ২৯৬ রান।
বাংলাদেশের জন্য হুমকি হতে পারেন দিমুথ করুনারত্নেও। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তিনিই। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে ২ টেস্টে ৬৬.৩৩ গড়ে ১৯৯ ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সমান ম্যাচে ৭০ গড়ে করেন ২৮০ রান। এই তিন তরুণের সঙ্গে জ্বলে উঠতে পারেন এক পুরোনো সেনানীও—উপুল থারাঙ্গা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের রেকর্ডটা ভীষণ উজ্জ্বল, ৩ ম্যাচে ৭৭.২৫ গড়ে করেছেন ৩০৯। টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ ১৬৫ রানও বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
বোলিংয়ে সবার আগে যাঁর নাম বলতে হবে, তিনি মুরালির বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের ভার বইছেন—রঙ্গনা হেরাথ। ২০১৫-এর অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা যে তিনটি সিরিজ জিতেছে প্রতিটিতে শীর্ষ উইকেটশিকারি বোলার ছিলেন হেরাথ। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর রেকর্ডটা মুত্তিয়া মুরালিধরনের মতো ভীষণ উজ্জ্বল না হলেও যথেষ্ট ভালো, ৬ টেস্টে নিয়েছেন ২৫ উইকেট। ২০১৩ সালের মার্চে গল টেস্টে অসাধারণ খেলার পর কলম্বোয় বাংলাদেশ হেরেছিল হেরাথের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কাছেই, ম্যাচে ১৫৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট।
এবারও বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর শুরু হচ্ছে গল টেস্ট দিয়ে। গলে অতীতে স্পিনারদের দাপটই দেখা গেছে। এই স্পিন-স্বর্গে মুত্তিয়া মুরালিধরনের পরই হেরাথের অবস্থান, ১৫ টেস্টে নিয়েছেন ৮৪ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেটের চরিত্র একই থাকলে ৩৮ বছর বয়সী লঙ্কান অধিনায়ক নিশ্চয়ই কঠিন পরীক্ষা নেবেন তামিমদের।
হেরাথের সঙ্গে বাংলাদেশকে ভাবতে হবে দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়েও। নিজের সর্বশেষ ৫ টেস্টে ২৩ উইকেট নেওয়া এই অফ স্পিনারের স্মৃতিতে নিশ্চয়ই ফিরে আসবে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গল টেস্ট। এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট পেয়েছিলেন পেরেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো বড় সাফল্য না পেলেও ‘চায়নাম্যান’ বোলার লক্ষ্মণ সান্দাকানের নামটিও মনে রাখতে হবে। এই ধরনের বোলিং খেলে তো অভ্যস্ত নন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
গত দুই বছরে দেশের মাঠে খেলা চারটি সিরিজের দুটিতে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া) শ্রীলঙ্কা জিতেছে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করে। আর হেরেছে উপমহাদেশের দল ভারত ও পাকিস্তানের কাছে। কোন দলে থাকবে বাংলাদেশ?

source:http://www.prothom-alo.com/sports/article/1098094/তারপরও-সহজ-নয়-শ্রীলঙ্কা

21

                                                                           ৫৫০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যাচ্ছে নাসা

প্রযুক্তি এগিয়েছে অনেক দূর। অভিযান চলছে চাঁদে, মঙ্গলে এমনকি অন্যান্য গ্রহেও। তবে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নক্ষত্র সূর্যে অভিযান, যেন পাগলের প্রলাপ! হ্যাঁ, সেটাই এবার সত্যি প্রমাণ করতে চলেছে নাসা। আগামী বছরেই সূর্যে এয়ারক্রাফট পাঠাচ্ছে নাসা।
নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালেই প্রথম রোবোটিক স্পেশক্রাফট সূর্যে পাঠাবে তারা। জ্বলন্ত সূর্যের আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে তার ৬০ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে প্রদক্ষিণ করবে এই মহাকাশযান। এই অভিযানের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘সোলার প্রোব প্লাস মিশন’। পৃথিবী থেকে ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকা সূর্যের কাছে গিয়ে ওই যান জেনে আসবে যে, কেন সূর্যের আবহাওয়া যতটা উত্তপ্ত, সূর্যের তল ততটা নয়।
নাসার গবেষক এরিক ক্রিশ্চান জানিয়েছেন, সূর্যের সারফেসে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে এই মহাকাশযান গিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে আনতে পারবে। তিনি জানান, সূর্যের তাপমাত্রা মাত্র ৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর তার আবহাওয়া প্রায় ২০ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোলার উইন্ডের গতি কিভাবে এত বেশি হয়, সেটাই জানা প্রয়োজন। উচ্চমাত্রার তাপ ঠেকাতে পারে এমন একটা আবরণ তৈরি করা হয়েছে। যাতে সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ার পর ওই তাপ ভিতরের যন্ত্রপাতিতে পৌঁছে সেগুলো নষ্ট করে দিতে না পারে। সূর্যকে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করবে ওই যান। প্রত্যেকবার সূর্যের দিকে একটু একটি করে এগিয়ে যাবে সেটি।
source:http://www.bd24live.com/bangla/article/121365/index.html

22
                                                 গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া

                                              ব্যবসায় খরচ বাড়বে, বাড়বে পণ্যের দাম

 
গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ব্যবসায় খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বাড়বে। রপ্তানিসহ সব দেশীয় শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে উৎপাদনকারী ও ভোক্তাস্বার্থ রক্ষা করা হয়নি।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি জানিয়েছে উভয় সংগঠন। গত বৃহস্পতিবার বাসাবাড়ি ও কলকারখানায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম দুই দফায় বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়।
ডিসিসিআই মনে করে, বর্তমানে গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে চাহিদামাফিক গ্যাসসংযোগ প্রদান করা যাচ্ছে না। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি এবং পণ্য পরিবহনসহ সব ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে খরচ বাড়বে। এতে খুচরা বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে; মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে। তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
ডিসিসিআই আরও বলেছে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে। তাই ভবিষ্যতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়লে দেশের কৃষি খাত, বিশেষ করে ধান উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ইএবি বলেছে, মাছ, হিমায়িত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক, চামড়া ও তৈরি পোশাকের মতো রপ্তানি খাতের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এসব রপ্তানি খাতের সক্ষমতাও কমে যাবে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে যখন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষমতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি একটি বড় বাধা হবে।
ইএবি আরও বলেছে, ইউরো অঞ্চলে ইউরোর দরপতন বা অস্বাভাবিক অবমূল্যায়ন, ব্রেক্সিটের প্রভাব ছাড়াও বিদেশি ক্রেতাদের ক্রমাগত কম দরে পণ্য কেনার ফলে বাংলাদেশ অসম অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতায় পড়েছে। এ ছাড়া রানা প্লাজা ধসের পর কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নিশ্চিত করতে গিয়ে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে একরকম দিশেহারা। এ অবস্থায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি রপ্তানি খাতের ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
ইএবির মতে, রপ্তানিমুখী সব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়ার অন্যতম দুটি প্রধান উপাদানের একটি হলো গ্যাস। গ্যাসের দাম বাড়লে সার্বিক উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন আরও কষ্টসাধ্য হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ এবং সক্ষমতা হারাতে থাকবে।
ইএবি আরও বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর কমে যাওয়ায় প্রতিযোগী দেশ যেমন: ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া একাধিকবার জ্বালানি পণ্যের দর সমন্বয় করেছে। ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক ডলারের বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। গত চার বছরে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম এবং টাকা অতিমূল্যায়িত হয়েছে।

source:http://www.prothom-alo.com/economy/article/1090135/ব্যবসায়-খরচ-বাড়বে-বাড়বে-পণ্যের-দাম

23
                                                                            অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়লেন মুশফিক
গতকাল স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন ইমরুল কায়েস। আজ দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে আগের ইনিংসে আঙুলে চোট পাওয়া অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। কিন্তু তাঁর দৃঢ়তা পূর্ণ ইনিংসটা হঠাৎ থামল এক বাউন্সারে। মাথায় আঘাত পাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক।
আঙুলের চোট নিয়ে ব্যাট করতে নামা মুশফিককে আউট করার জন্য একটা পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। টানা শর্ট বল করে যাওয়া। একবার ক্যাচও তুলে দিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেটিকে ব্যতিক্রম ভেবে নিলে, বাকি সময়টা সাহসিকতার অনন্য গল্প লিখে চলেছেন মুশফিক। টিম সাউদির এক বাউন্সারে হঠাৎ থমকে যেতে হলো সবাইকে। বলের লাইন থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়ায়, হেলমেটে লাগে সাউদির সে বাউন্সার। সঙ্গে সঙ্গে উইকেটে শুয়ে পড়েন মুশফিক। সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের ফিজিও মাঠে গিয়েছেন। মাঠে ছুটে গেছেন তামিম ইকবালও। বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর মাঠ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। দলের এক সূত্র জানিয়েছে, আপাতত অবস্থা গুরুতর মনে হচ্ছে না। তবে সাবধানতার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর আগে আহত (অবসর) হয়ে কালই মাঠ ছেড়েছেন ইমরুল। তামিমের সঙ্গে একটি রান শেষ করতে গিয়ে ডাইভ দিয়েছিলেন। এরপরই কাতরাতে থাকলেন মাটিতে শুয়ে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ইমরুল মাঠে নামবেন কি না-এর উত্তর এখনো মেলেনি। তবে দলের প্রয়োজনে সবার শেষে নামতেও পারেন বলে একটা সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু সে নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না।
কাগজে কলমে তাই ৫ উইকেট পরলেও আদতে ৭ উইকেট ধরে নেওয়াটাই ভালো। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ১২৬, লিড ১৮২ রানের। একমাত্র ভরসা হয়ে আছেন সাব্বির রহমান (২৮ *)।

source:www.prothom-alo.com/sports/article/1060667/অ্যাম্বুলেন্সে-করে-মাঠ-ছাড়লেন-মুশফিক

24
                                                                          সানি জুবায়েরের ফাইটার রোবট


 সানি জুবায়ের।পড়ে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে। এই বয়সেই নিজের মতো করে বানিয়েছে একটি রোবট। এটি ফাইটার রোবট। সানি নাম দিয়েছে এফআর ২১। নিরাপত্তার কাজে লাগবে এই রোবট। এটি অগ্নিকাণ্ডে, উদ্ধারকাজে, বোমা শনাক্ত করার কাজে ব্যবহার করা যাবে। আবার চাকা লাগানো রোবট যদি কোথাও যেতে না পারে বা ওপর থেকে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে সেখানে এই রোবটের অংশ হিসেবে রয়েছে ড্রোন বা চালকহীন বিমান। ফাইটার রোবট বানিয়ে এরই মধ্যে বেশ কটি পুরস্কারও জিতেছে সানি।

 
এক বছরে সাফল্য

সানি জুবায়ের এক বছর ধরে বানিয়েছে এই রোবট। গতকাল রোববার বনশ্রী এলাকায় সানিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল তার এই রোবটের সবকিছু। বাবা নাসির উদ্দিন ও মা শাহানাজ আফরোজের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে সানি জুবায়ের সবার বড়। ও জানাল এই ফাইটার রোবট তৈরিতে তার মা এবং নানা আশরাফুজ জামান সব সময় সহযোগিতা করেছেন।

সানি জুবায়ের বলল, ‘অনেক দিন ধরেই রোবটবিজ্ঞান নিয়ে নানা কিছু পড়ছি আর কাজ করছি। সব সময় ভেবেছি দেশের জন্য কিছু করার। গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় আমার খুব খারাপ লেগেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ দ্রুত আনা সম্ভব।’

সানির মতে যুদ্ধক্ষেত্রে এমন রোবট ব্যবহার করে সেনাদের প্রাণহানি এবং ঝুঁকি কমানো সম্ভব। আবার সীমান্তেও এ রকম রোবট ব্যবহার করা যায়। ‘মানুষ ক্লান্ত হলেও যন্ত্র ক্লান্ত হয় না। তাই কম খরচে এ রকম রোবট তৈরি করে নানা কাজে এর ব্যবহার করা যায়।’ বলল, সানি জুবায়ের।

ফাইটার রোবট তৈরির জন্য চীন থেকে আমদানি করা ক্যামেরা, সেন্সর, মোটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে সানি। রোবটের বিভিন্ন অংশ পরিচালনার জন্য দরকারি প্রোগ্রাম নিজেই লিখেছেন। এই রোবট নিয়ন্ত্রণ করা যায় ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে। আবার দূরনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও রয়েছে। 

 

রোবটের ক্যামেরা

রোবটে ছয়টি ওয়েব ক্যামেরা রয়েছে। আর প্রতিটি ক্যামেরা ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারবে। অর্থাৎ রোবট যেখানে যাবে সেখানকার চারপাশটা পুরোপুরি দেখতে পাবে এবং ছবিও তুলতে পারবে। এই ক্যামেরা দিয়ে রোবট তার নিজ অবস্থানও দেখাতে পারবে। প্রত্যেকটি ক্যামেরা ইন্টারনেটে যুক্ত। ফলে নিয়ন্ত্রণকক্ষে বসে খুব সহজেই রোবট ও শত্রুর অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। পরবর্তী সময়ে এই রোবটটির ক্যামেরায় এমন জুম লেন্স যোগ করা হবে যাতে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়।

 

চিকিত্সা সরঞ্জাম বহন

অনেক সময় কোনো স্থানে বা যুদ্ধের ময়দানে আহত রোগীকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিতে হয়। এই রোবট ওষুধপত্র আহত ব্যক্তির কাছে সহজে নিয়ে যেতে পারবে।

আহত ব্যক্তিদের বহন

অনেক সময় দেখা যায়, আহত ব্যক্তির সংখ্যা বেশ কজন। এ কাজটিও যাতে রোবট করতে পারে, এ জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। রোবটটিতে ব্যবহার করা হবে ৪৯ সিসির একটি ইঞ্জিন। আর এর ফলে আহত সৈন্য কেবল রোবটে উঠে বসলেই রোবটটি তাকে চিকিৎসা দলের কাছে পৌঁছে দেবে। বর্তমানে এই সিস্টেম তৈরি করার কাজ চলছে।

 

বোমা শনাক্ত

মাটির নিচে বোমা পুঁতে রাখা হলে তা শনাক্ত করতে পারবে রোবটটি। একটু গভীরে থাকা বোমার অস্তিত্বও টের পায় এফআর ২১ নামের এই রোবট। বোমা পাওয়া গেলে রোবট একটা সংকেত দেবে। সেই সংকেত চলে যাবে নিয়ন্ত্রণকক্ষে। সঙ্গে সঙ্গে লাল একটি সতর্কসংকেত দেখা যাবে।

 

আগুন নেভানো

বাসাবাড়ি বা যেকোনো জায়গায় আগুন লেগে যেতে পারে। আর এসব ক্ষেত্রে রোবটটি সাহায্য করতে পারবে। রোবটে পানি মজুত থাকবে। যখন পানি বের করার সংকেত পাবে তখন চারটি ডিসি পাম্প পানি ও ফেনা ছিটাবে। যাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

জীবিত কি না

এই রোবটে তাপমাত্রা নির্ণায়ক সেন্সর ব্যবহৃত হয়েছে। এর কাজ হলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া ব্যক্তি জীবিত না মৃত তা নির্ণয় করা। এটি মূলত শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করে ফলাফল জানাবে।

 

পানিতেও চলবে

সাধারণ সড়ক ছাড়াও পানিতে চলতে পারে এই রোবট। এ কাজটি যেন করতে পারে সে জন্য রোবটে বিশেষ মোটর ব্যবহার করা হয়েছে।

 ..
আছে ড্রোনও
রোবটের সংগ্রহ করা ছবি ও তথ্যগুলো ড্রোনে থাকা ডিস্কে সংরক্ষিত হবে। রোবটটি হঠাৎ থেমে গেলে বা ব্যস্ত থাকলে ড্রোনটিকে নিয়ন্ত্রণকক্ষে পাঠাবে সব তথ্যসহ।

ফাইটার রোবটের অর্জন
ফাইটার রোবট তৈরি করে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে সানি জুবায়ের। জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ২০১৫, আইডিয়াল বিজ্ঞান মেলা ২১০৬, বিএএফ শাহিন কলেজ বিজ্ঞান মেলা ২০১৬, বুয়েট বিজ্ঞান মেলা ২০১৬, উইলস লিটল স্কুল বিজ্ঞান মেলা ২০১৬ এবং আদমজী কলেজের বিজ্ঞান মেলা ২০১৬-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সানি। ও জানায় রোবটের মান উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে ১ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে।

সানির চাওয়া নিরাপত্তার জন্য ফাইটার রোবট তৈরি হোক দেশে।

source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/1055467/সানি-জুবায়েরের-ফাইটার-রোবট

25
                                                                                বছরজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন ধারা


বছরের শুরুতে ২০১৬ সাল নিয়ে অনেকে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তবে সব ভবিষ্যদ্বাণী ছাপিয়ে অনেক নতুন প্রযুক্তির শুরুটা হয়েছে এ বছরে, যেগুলোর আসার কথা ছিল আরও পরে। বছরজুড়ে প্রযুক্তির ধারা খুঁজতে গেলে যে তিনটি বিষয় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে সেগুলো হলো সফটওয়্যার নির্মাতাদের হার্ডওয়্যার তৈরিতে মনোযোগ, ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ বছরের এই তিন প্রবণতার ঘটনাগুলো দেখা যাক।

সফটওয়্যার নির্মাতাদের যন্ত্র নির্মাণে মনোযোগ
বছরটা ফিরে দেখতে গেলে একটা বিষয় খুব চোখে বাধে। তা হলো, এত দিন যাদের নিখাদ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচয় ছিল, হুট করেই তারা যন্ত্র নির্মাণে মনোযোগী হয়েছে। গুগলের ডে ড্রিম ভিআর, ওয়াই-ফাই, হোম আর পিক্সেল স্মার্টফোন নিয়ে মোটামুটি যন্ত্রনির্মাতার খ্যাতি পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। সে যন্ত্রগুলো বিশেষজ্ঞদের অনুমোদনও পেয়েছে। ই-কমার্স ওয়েব পোর্টাল আমাজন অবশ্য কিন্ডল ই-বুক রিডার নিয়ে আগে থেকেই যন্ত্রনির্মাতা হিসেবে পরিচিত ছিল। এর সঙ্গে স্মার্টহোম যন্ত্র হিসেবে ইকো বাজারে ছাড়ে তারা। একরকম রাতারাতিই জনপ্রিয়তা পায় যন্ত্রটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাট বাজারে ছাড়ে স্মার্ট চশমা। বছরজুড়েই যন্ত্র নির্মাণে ঝোঁক দেখা গিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর।

বুদ্ধিমত্তা হয়েছে কৃত্রিম, গাড়ি হারিয়েছে চালক
কিংবদন্তি দক্ষিণ কোরীয় গো খেলোয়াড় লি সে-দোলকে হারিয়ে গুগলের ডিপমাইন্ড প্রকল্পের আলফা গো কম্পিউটার আলোচনার শীর্ষে চলে আসে।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও চৌকস করতে বছরজুড়েই চেষ্টা ছিল গুগলের। গুগলের কথা বাদ দিলেও আরও পত্রিকার শিরোনামে আরও অনেকবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসেছে।
গুগল, টেসলা মোটরস, এমনকি পরিবহন সেবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাবি করা উবারও এ বছরে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে।

ভিআর ভিআর ভিআর
বছরের শুরুতে লাস ভেগাসের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস) থেকে শুরু করে যত তথ্যপ্রযুক্তির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সবগুলোতেই ছিল ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি যন্ত্রের উপস্থিতি। মেলা থেকে সে প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়েছে ভ্রমণ, রিয়েল এস্টেট, চিকিৎসা প্রযুক্তি, বিনোদন এবং গেমিং শিল্পে। কিছুটা ধীরগতিতে হলেও স্বল্পমূল্যের জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে ভিআর প্রযুক্তি।

source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/1047201/বছরজুড়ে-তথ্যপ্রযুক্তির-নতুন-ধারা

26
                                                                         দেশেই স্মার্ট বাড়ির প্রযুক্তি


প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়ির নিয়ন্ত্রণ। স্মার্ট হোমের ধারণা তো এমনই। এতে মানুষের কসরত যেমন কমে, জীবনযাত্রাও সহজ হয়। স্মার্ট বাড়ির জন্য বেশ কয়েকটি পণ্য তৈরি করেছে দেশি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলম্বটেক বিডি। আর তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাঁদেরই ‘স্মার্ট হোম সাইনপালস’ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে। গতকাল রোববার ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে কথা হয় অ্যাপলম্বটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাইফুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের মধ্যে নয়, বহির্বিশ্বেও নিজেদের প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে চাই। দেশীয় ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করাতে চাই।’

 

অ্যাপই বৈদ্যুতিক বোর্ডের নিয়ন্ত্রক

ধরুন, মাঝরাতে আপনার ঘুম ভেঙে গেল। বাতি জ্বালাতে হবে? অ্যাপের মাধ্যমেই তা পারবেন। একইভাবে বন্ধও করতে পারবেন। এর জন্য অ্যাপের এনাবল ও ডিজাবল বাটনে চাপ দিলেই হবে। একইভাবে ফ্যানও বন্ধ বা চালু করা যাবে। এর জন্য দরকার পড়বে প্রতিষ্ঠানটির তৈরি বিশেষ এক বৈদ্যুতিক বোর্ডের। এসব বোর্ডে টাচ প্রযুক্তি সংযুক্ত আছে। বোর্ডে থাকা সুইচ স্পর্শ করলেই বন্ধ বা চালু করা যাবে। সাইফুল্লাহ জানালেন, তাঁদের বোর্ডে রয়েছে ব্লুটুথ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত হয় বোর্ড।

 

গতি ও আলো কমানো-বাড়ানো
ফ্যান না হয় অ্যাপের মাধ্যমে চালু করলেন। কিন্তু এর গতি বাড়ানো বা কমাতে কি রেগুলারেটরের প্রয়োজন পড়বে? সাইফুল্লাহ বললেন, ‘অ্যাপেই পারা যাবে গতি বাড়ানো বা কমানো। আর আমাদের বোর্ডের সুইচে সময় নিয়ে টাচ করলে কমানো-বাড়ানো যাবে।’
আর আলো কমানো-বাড়ানোর জন্য তাঁরা বিশেষ এক এলইডি বাতি তৈরি করেছেন। শুধু কমানো-বাড়ানো নয়, চাইলে ঠিক করে দেওয়া যাবে কত ওয়াটে জ্বলবে বাতি। তাও করতে হবে অ্যাপে। তাঁদের বাতি ছাড়া সাধারণ বাতিতে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

নির্দিষ্ট মানুষ ছাড়া দরজা খুলবে না
আপনার বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কোন রুম কে খুলতে পারবে, তা-ও আপনি ঠিক করে দিতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজন পড়বে অ্যাপলম্বটেকের স্মার্ট ক্যামেরার। এতে নির্দিষ্ট মানুষের ছবি যোগ করে দিতে হবে। এর বাইরে কেউ খোলার চেষ্টা করলে সংকেতের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিবে অ্যাপটি। কেউ এলেও তা জানা যাবে।

গ্রাহক ঠিক করবেন বিদ্যুৎ খরচ
এপলম্বটেক স্মার্ট এনার্জি মিটার নামের একটি মিটার উদ্ভাবন করেছে, যা বাড়ির প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই মিটার ব্যবহার করলে গ্রাহক অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর মাসিক বিল নিজে থেকেই ঠিক করে নিতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ইতিমধ্যে এ মিটার ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।

 

বাতি জ্বলবে মানুষের উপস্থিতিতে

প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি বাতি তৈরি করেছে, যেটি মানুষের উপস্থিতিতে জ্বলে উঠবে। সুইচ অন রাখলেই হবে। তার মানে এই নয় যে দিনের আলোতে জ্বলবে। সাইফুল্লাহ বলেন, এতে এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে দিনের আলোতে জ্বলবে না। অন্যদিকে রাতের বেলা মানুষের উপস্থিতিতে জ্বলে উঠবে। এ জন্য ১০ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে।

 

বাইরে থেকেও বাড়ির নিয়ন্ত্রণ

ধরুন, আপনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। আর ঘরে প্রবেশের আগেই বাতি বা শীতাতপযন্ত্র চালু করতে চান। সেটি অ্যাপের মাধ্যমে পারবেন। এ জন্য তাঁদের উদ্ভাবিত স্মার্ট রাউটার ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতেই মূলত রাউটারকে সংযুক্ত করা। এপলম্বটেকের সিইও বলেন, ম্যানুয়ালিও তা ঠিক করে দেওয়া যাবে। ঘরের একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে পৌঁছালে তা চালু হয়ে যাবে। আর তা জিপিআরএসের মাধ্যমে শনাক্ত হবে।

 

তানিয়া রহমান ও মো. সাইফুল্লাহ l প্রথম আলোপ্রবাসী দম্পতির উদ্ভাবন স্মার্ট বাড়ির প্রযুক্তি

২০০৯ সালের ঘটনা। ডি-র‍্যাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিমন্ডা লোকসানে পড়ে। কর্মী ছাঁটাই করলে চাকরি হারান জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি মো. সাইফুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া রহমান। এর আগে দুজনে চাকরি করতেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিনির্মাতা ইনফিনিওন, সিমেন্স, ইন্টেলে। এবার চাকরি খোঁজা নয় বরং নিজেদেরই কিছু করার উদ্যোগ জন্ম দেয়। ‘তখন আমরা চিন্তা করলাম দুজনে মিলে কিছু করার। দেশে ফিরে কিছু করতে চাইলাম।’ বললেন সাইফুল্লাহ। সে সময় এক বন্ধু সাইফুল্লাহকে বলেন, দেশে গিয়ে সরাসরি কিছু করা কঠিন। এখানে (জার্মানি) কিছু তৈরি করে তবে দেশে যান। ‘এরপর ২০০৯ সালেই আমরা প্রতিষ্ঠা করলাম সাইনপালস।’

শুরু হলো সাইনপালসের গবেষণা। প্রথমেই তৈরি করা হলো বাংলাদেশের জন্য ‘ভেহিকল নেভিগেশন সিস্টেম’। আর তা থেকে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপলম্বটেক বিডি। আর সাধারণ মানুষ ব্যবহার করবে এমন পণ্য হিসেবে স্মার্ট বাড়ির প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মনোযোগ দেন তাঁরা।

source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/1042355/দেশেই-স্মার্ট-বাড়ির-প্রযুক্তি

27

                                                                           পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ


দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক আছে। তার মানে রপ্তানি আয় বাড়ছে। সে জন্য প্রবাসী আয়ে মন্দাভাব থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রা আয় নিয়ে হাঁসফাঁস তৈরি হয়নি।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ হাজার ২৮৮ কোটি ডলারের রপ্তানির চেয়ে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি। গত জুলাই বাদ দিলে বাকি চার মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক।
জাতিসংঘ সংস্থা এসকাপের এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর রপ্তানি আয়ে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের বেলায় এ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশ। পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
রপ্তানি আয়ের স্বস্তির বিপরীতে প্রবাসী আয় নিয়ে আছে শঙ্কা। কারণ, গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রবাসী আয় এখন সর্বনিম্ন। গত নভেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ৯৫ কোটি ডলার। এর আগে ২০১১ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ ৯০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল দেশে। এরপর প্রতি মাসেই আয় ছিল ১০০ কোটি ডলারের ওপরে।
পোশাকের ওপর ভর করেই চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের পণ্য রপ্তানি আয় সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। আলোচ্য সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ বা ১ হাজার ১১৩ কোটি ডলার এসেছে পোশাক রপ্তানি থেকে। চলতি অর্থবছর পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৮ কোটি ডলার।
জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির প্রথম আলোকে বলেন, ইউরোপে কিছুটা মন্দাভাব চলছে। অন্যদিকে বছরের এই সময়টাতে ক্রয়াদেশ তুলনামূলক কম থাকে। দুটি ঈদের কারণে সব কারখানা ১০-১৫ দিন বন্ধ ছিল। ফলে পোশাক রপ্তানি আয় কিছুটা কম হয়েছে। তা না হলে এ খাত থেকে আয় আরও বাড়ত বলে মনে করেন বিজিএমইএর এই নেতা।

আগামী ২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ৫ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বিজিএমইএ। সেটি অর্জন করতে হলে বছরে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করতে হবে। এ বিষয়ে মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক নয়। কারণ, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রবৃদ্ধি এখনো ৫ শতাংশ কম। তবে অর্থবছরের শেষের দিকে এসে বোঝা যাবে আমরা কতটুকু পিছিয়ে আছি।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

গত নভেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানিতে ২৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলারের আয় হয়। এটি গত নভেম্বরের চেয়ে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যে গত মাসেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়। আগস্টে হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও হস্তশিল্প পণ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি আছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ৫৩ কোটি ডলারের আয় হয়েছে। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের ৪৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের ৩৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রপ্তানি আয়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্যে ২৪ কোটি, কৃষিজাত পণ্যে ২২ কোটি, প্রকৌশল পণ্যে ১৭ কোটি, প্লাস্টিক পণ্যে ৫ কোটি, বিশেষায়িত বস্ত্রে ৪ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে।

source:http://www.prothom-alo.com/economy/article/1035023/পণ্য-রপ্তানি-আয়ে-প্রবৃদ্ধি-ধরে-রেখেছে-বাংলাদেশ

28
                                             বিদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, ‘বিদেশে বিনিয়োগের বিষয় আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেকে দূরে রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রকল্প পরিদর্শন করে মন্তব্য করেন—অর্থ পাচার হয়ে যেতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন কেস টু কেস ভিত্তিতে বিনিয়োগের অনুমতি দিচ্ছে। যাঁরা সুন্দর পোশাক পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভাইয়া ও তাঁদের স্ত্রী–কন্যাদের ভাবি ও ভাতিজি বলে সম্বোধন করছেন, তাঁরাই অনুমোদন পাচ্ছেন। বাকিরা অনুমতি পাচ্ছেন না।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে মসিউর রহমান বলেন, বিদেশে বিনিয়োগের বিষয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বে ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। তারাই সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর অনুমোদন নেবে। ফলে বেছে বেছে অনুমোদন দেওয়ার প্রবণতা কমবে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগসংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইনে আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সব বক্তা বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করেন।
মসিউর রহমান বলেন, দেশে এখন সঞ্চয় হচ্ছে অনেক। এটিই এখন সরকারের প্রধান দুশ্চিন্তার কারণ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘আমাকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগের মেয়াদের সময় উগান্ডায় জমি খুঁজতে বলেছিলেন। আমি জমি খুঁজে পেয়েছিলাম, কিন্তু বিনিয়োগের অনুমতি পাইনি। তিন বছর বাংলাদেশ ব্যাংকে দৌড়ঝাঁপ করে শেষ পর্যন্ত আশা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে আমাদের ছোট অর্থনীতির মধ্যে আটকে রাখলে দেশেরই ক্ষতি হবে।’
মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘দেশে এখন বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ নিয়ে বসে থাকলে অন্যায় করা হবে। আমরা যাঁরা উদ্যোক্তা, তাঁদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে কত দিনের মধ্যে এ অনুমোদন মিলবে, কী পরিমাণ মুনাফা দেশে আনতে হবে, তা বলা হয়নি।
এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা বলেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তাঁদের ক্ষমা করে সহজেই বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের যে আইন আছে, তা অনেক পুরোনো। এটাকে আধুনিক করে যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে, এ কারণে রেমিট্যান্স কমছে। যেসব প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করছে, সরকার তাদের দেশের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে পারে।
আবদুল মোনেম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মোনেম বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমাদের সুবিধামতো বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। আমরাই মুনাফা করে রেমিট্যান্স নিয়ে আসব।’
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ নিয়ে ভিন্নমত দিয়েছেন। যোগাযোগ করলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের এমন দাবির সঙ্গে আমি একমত না। বাংলাদেশ তো এখনো বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছে। তাহলে নিজের দেশ থাকতে কেন বিদেশে বিনিয়োগ করতে দেওয়া হবে। ছোট আকারে যেসব অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। এটা বেছে বেছে চলতে পারে। তবে বড় কোনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না।’

source:http://www.prothom-alo.com/economy/article/1022885/বিদেশে-বিনিয়োগের-সিদ্ধান্ত-নেবে-বাণিজ্যিক-ব্যাংক

29
                                           যুক্তরাজ্যে শিক্ষা–পরবর্তী কাজের সুযোগ ফিরছে না


যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে কোর্স-পরবর্তী কাজের সুযোগ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করেছিল স্কটল্যান্ডের সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোর্স সম্পন্ন করার পর দুই বছর কাজ করার অনুমতি পেতেন। এটা পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট (পিএসডব্লিউ) নামে পরিচিত ছিল। ২০১০ সালে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে নানা কড়াকড়ি আরোপ করে। এরই অংশ হিসেবে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট বা পড়াশোনা-পরবর্তী কাজের ওই সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

স্কটল্যান্ড-বিষয়ক কমিটির (স্কটিশ অ্যাফেয়ার্স কমিটি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে অবস্থানের হার প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্য ও আর্থিকসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ লোকবলের যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-পরবর্তী কাজের সুযোগ ফিরিয়ে আনা উচিত।

দ্য ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার পক্ষ থেকেও সতর্ক করে দিয়ে বলা হয় যে, ভিসানীতির কারণে স্কটল্যান্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে মেধাবীদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে স্কটল্যান্ডে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পিএসডব্লিউ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়।

তবে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেছে, পিএসডব্লিউ ভিসায় অনেক গলদ ছিল। ওই ভিসার সুযোগ নিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই অদক্ষ কাজে লিপ্ত হতেন। অনেকে যুক্তরাজ্যে¯স্থায়ী হওয়ার জন্য এই ভিসাকে কাজে লাগাতেন। যাঁরা প্রকৃত মেধাবী, তাঁদের জন্য বর্তমান নিয়মেও পড়াশোনা শেষে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। স্কটল্যান্ডের জন্য অভিবাসনের আলাদা নিয়ম করা হলে তা সার্বিক অভিবাসন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে জটিল করে তুলবে বলেও জবাবে বলা হয়।

এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, বাথ ও ইমপেরিয়াল কলেজে বর্তমানে একটি পাইলট প্রকল্প চালু রয়েছে। এর মাধ্যমে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোর্স সম্পন্ন করা বিদেশি শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক দক্ষ কাজ খুঁজে নিয়ে ছয় মাসের বাড়তি ভিসা দেওয়া হচ্ছে।

স্কটিশ অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির এমপি পিট উইশর্ট সরকারের দেওয়া জবাব চরম হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন।


source: http://www.prothom-alo.com/international/article/1009821/যুক্তরাজ্যে-শিক্ষা–পরবর্তী-কাজের-সুযোগ-ফিরছে-না

30
IT Forum / How to join in Google as an employee
« on: October 16, 2016, 12:13:22 PM »
                                                                               গুগলে যোগ দিতে চাইলে

কর্মক্ষেত্র হিসেবে গুগল একটি চমৎকার প্রতিষ্ঠান হতে পারে। তবে সেখানে কাজের সুযোগ পাওয়াটা সহজ নয়। আর তা হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক পিয়েরে গোথিয়ের। গুগলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, সাক্ষাৎকার পর্বে বাদ পড়েন। এরপর তাঁকে করা সব প্রশ্ন এক ব্লগ পোস্টে প্রকাশ করেন তিনি।
প্রকৌশল পরিচালক পদে যোগ দিতে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে অংশ নেন পিয়েরে। টেলিফোনের ওপারে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী ১০টি প্রশ্ন করেন তাঁকে। মোটামুটি চারটি প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দেন, এরপর আর পারেননি। একপর্যায়ে রীতিমতো তর্ক জুড়ে দেন। নবম প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন, এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করার কারণ কী? গুগলে যোগ দেওয়ার সুযোগ যে পাননি, তা বলা বাহুল্য। কিছুটা রেগেই হোক কিংবা হতাশা থেকেই হোক, তাঁকে জিজ্ঞেস করা ১০টি প্রশ্নের সঙ্গে নিজের মতামত জুড়ে দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন।
সেই ১০টি প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো। কখনো গুগলে সাক্ষাৎকার দিতে চাইলে উত্তরগুলো তৈরি রাখতে পারেন। অন্তত কেমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় তা সম্পর্কে একটা ধারণা তো পাওয়া যায়।
১. সি প্রোগ্রামিং ভাষায় malloc()-এর বিপরীত ফাংশন কী?
২. কোন ইউনিক্স ফাংশনের মাধ্যমে সকেটে সংযোগ দেওয়া হয়?
৩. ম্যাক ঠিকানা সংরক্ষণ করতে কত বাইট প্রয়োজন?
৪. প্রয়োজনীয় সময় অনুযায়ী ক্রম করুন: সিপিইউ রেজিস্টার রিড, ডিস্ক সিক, কনটেক্সট সুইচ এবং সিস্টেম মেমোরি রিড।
৫. লিনাক্স ইনোড কী?
৬. কোন লিনাক্স ফাংশনের ফলাফলে ইনোড পাওয়া যায়?
৭. KILL সংকেতের নাম কী?
৮. অ্যারে বাছাই করতে কুইকশর্ট কেন সেরা পদ্ধতি?
৯. ১৬ বিট ভ্যালুর ১০ হাজারের অ্যারের বিটগুলো কীভাবে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে গণনা করবেন?
১০. টিসিপি সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে কী ধরনের প্যাকেটের বিনিময় করতে হয়?
প্রশ্ন করা হয়েছিল, উত্তর দিতে পারেনি। চাকরিটা পিয়েরের হয়নি। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু সে ব্লগ পোস্টে তিনি আরও কিছু কথা লিখেছেন নিজের সম্পর্কে, সে সাক্ষাৎকার সম্পর্কে। পিয়েরের কাছে মনে হয়েছে, তাঁর কিছু উত্তর ঠিক থাকলেও নিয়োগদাতা তা সঠিক বলে গ্রহণ করেননি।
১৮ বছর আগে পিয়েরে তাঁর নিজের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান চালু করেন। গুগলের বয়সও ১৮ বছর। ৩৭ বছর ধরে তিনি প্রোগ্রামিং সংকেত লেখার সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। তাঁর সব অভিজ্ঞতার কথা লিখে পিয়েরে প্রশ্ন রেখেছেন, নিয়োগ পাওয়া কি খুব কঠিন করে তুলছে গুগল? নাকি তাদের নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই?
source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/1000651/গুগলে-যোগ-দিতে-চাইলে

Pages: 1 [2]