Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - faruque

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 43
46
সহজ ৫টি নিয়মে দূর করুন অফিসের দুশ্চিন্তা



আমরা নিজের বাড়ির থেকে বেশি সময় অফিসেই থাকি। আর অফিসে থাকা মানেই অল্প বিস্তর দুশ্চিন্তা। যা কিনা ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে বিরক্তির জন্ম দেয়। এমনকী, এই টেনশনের ফলে গুরুতর মানসিক রোগেরও সমস্যা হতে পারে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন, পাঁচ নিয়মের কথা যার সাহায্যে আপনি খুব সহজেই দূর করতে পারবেন অফিসের দুশ্চিন্তা-

১। অযথা কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং পরিকল্পনা করে কাজ করুন। দরকার পড়লে প্রতিদিন একটা ডায়েরিতে লিখে রাখুন কী কী কাজ করতে হবে। এবার অফিসে গিয়ে সেইভাবেই কাজ শুরু করুন। সেই সঙ্গে জেনে রাখুন, কাজ শেষ বলে কিছু হয় না। কাজ বাড়তেই থাকে, আর তার মধ্যেই আপনাকে সব গুছিয়ে নিতে হবে। 

২। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিন। দেখবেন এতে কাজে মন বসবে।

৩। কখনই লাঞ্চ ডেক্সে বসে করবেন না। বরং ক্যাফেটেরিয়া বা ক্যান্টিনে গিয়েই প্রতিদিনের খাবার খান। এতে দুশ্চিন্তা কমবে। আর খেতে খেতে কলিগের সঙ্গে কাজের গল্প একদম নয়।

৪। নিজেকে সময় দিন। চেষ্টা করুন ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে।

৫। সপ্তাহে একবার কাছের কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন জীবন থেকে স্ট্রেশ দূর হবে। সম্ভব হলে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন।

47
পুরো কম্পিউটারের ব্যাক আপ এখন নতুন গুগল ড্রাইভে



দেরিতে হলেও ব্যাক আপ ও সিংক অ্যাপ চালু করেছে গুগল। এর ফলে আপনি পুরো কম্পিউটার সিস্টেম গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ২৮ জুন থেকে এ সিস্টেমটি চালু করা হয়েছে। 

এ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যে কোনো ছবি, ভিডিও এবং প্রয়োজনীয় নথি একই ফরম্যাটে গুগল ক্লাউডে রাখতে পারবেন। এতে ক্রাশ হওয়া কিংবা অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনায় ভয় থেকে আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন। অ্যাপটি ম্যাক বুক ও পিসিতে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফলে এখন থেকে পুরনো গুগল ড্রাইভ বা গুগল ফটো আপলোডারের প্রয়োজন হচ্ছে না। 

ফাইল রাখার জন্য আপাতত ১৫ গিগাবাইট ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। আরও জায়গার দরকার হলে ব্যবহারকারীকে সেটি কিনে নিতে হবে।  সূত্র : সি নেট


48
মাউসের ব্যবহার দেখেই মিথ্যুক চিনবে কম্পিউটার



কম্পিউটারে মাউসের ব্যবহারের ধরণ দেখেই চেনা যাবে মিথ্যুক। হ্যাঁ মাউস ঘোরানোর ধরন দেখেই বুঝা যাবে কম্পিউটারে করা কোনো প্রশ্নের উত্তরে কেউ মিথ্যা নাকি সত্যি বলছে।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইতালির পাভোদা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের এ গবেষণায় ব্যবহার করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা( আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স)। যা ভবিষ্যতে অনলাইনে ভুয়া রিভিউ ও জাল ইন্সুরেন্স শনাক্ত করতে সহায়তা করবে।

গবেষণাটি করতে গিয়ে অ্যালগোরিদম সিস্টেমে কিছু নমুনা উত্তর দেওয়া হয়। সেই নমুনার ভিত্তিতেই মাউস নাড়াচাড়ার ধরন বুঝেই কম্পিউটার সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কাজটি করবে।

গবেষণার জন্য ৬০ শিক্ষার্থীকে কম্পিউটারে কিছু প্রশ্ন করতে বলা হয়। উত্তরে কোনও কোনও শিক্ষার্থীকে পরিচয় গোপন করতে বলা হয়। 

যেখানে দেখা গেছে, যারা নিজেদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়েছে তারা মাউস নাড়িয়ে সরাসরি উত্তরে ক্লিক করেছেন। আর যাদেরকে নিজের সম্পর্কে ভুয়া তথ্য দিতে বলা হয়েছে তারা মাউস নাড়ানোর আগে অনেক্ষণ সময় নিয়েছেন। উত্তরও দিয়েছেন ঘুরিয়ে।

গবেষণা দলটির নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক গিউসেপি সারতোরি জানান, ‌আমাদের মানুষের মস্তিষ্ক এমনভাবে গঠিত যাতে সত্য কথাটিই সবার প্রথমে মনে পরে। কিন্তু যখন মিথ্যা কথা বলি তখন মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়া করতে সময় নেয়। কারণ তখন সত্য কথাটি গোপন করে মিথ্যা উত্তর সাজাতে ব্যস্ত থাকি। ’গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে অনলাইন জার্নাল প্লাস ওয়ানে।

49
এটিএম পিন ৪ সংখ্যা হওয়ার 'অদ্ভুত' কারণ



বর্তমানে টাকা তোলার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো 'অটোমেটেড টেলারিং মেশিন' বা এটিএম বুথ। এর ব্যবহার শুরু হওয়া অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেছে। যেকোন সময় টাকা তোলার সুবিধার জন্য দ্রুতই এটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন আমাদের সকলের মনেই থাকে, এটিএম পিন কেন শুধুমাত্র ৪ সংখ্যারই হয়? কিংবা কেন ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা আরো অন্যান্য পাসওয়ার্ডের মতো নানা শর্ত আরোপ করা থাকে না?

এ ব্যাপারে জানা যায়, স্কটিশ বৈজ্ঞানিক জন অ্যাড্রিয়ান শেফার্ড-ব্যারন এই মেশিন তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। মূলত তাকেই এটিএমের উদ্ভাবক বলা হয়। যদিও তিনি প্রথমে ৬ সংখ্যার পিনেরই সুপারিশ করেছিলেন, তবে বাধ সাধেন তার স্ত্রী ক্যারোলিন।

আর এর কারণটাও মজার! তার স্ত্রী ৪ সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যাবিশিষ্ট কোনো নম্বর মনে রাখতে পারতেন না। তাই স্বামীর সুপারিশ শুনে তিনি পত্রপাঠ তা খারিজ করে দেন। আর তাতেই অ্যাড্রিয়ান ৪ সংখ্যার পাসওয়ার্ডে সিলমোহর দেন। 

50
কর্মক্ষেত্রের জন্য সহায়ক কিছু অ্যাপস



তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে গতি পেয়েছে মানুষে প্রত্যেকটি কাজ। প্রতিনিয়ত সহজ থেকে সহজতর উপায়ের দিকেই ঝুকছে মানুষ। বেড়েছে নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্য, অ্যাপস ও সফটওয়্যারের ব্যবহারও। আর কর্মক্ষেত্রেও ব্যবহার বেড়েছে নানা ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপসের। 

সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা কাজের সুবিধার ক্ষেত্রে সহায়ক এমনই চারটি অ্যাপ নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন।

১. ওয়ান পাসওয়ার্ড:

প্রতিটি অ্যাকাউন্টের নিশ্চিত করবে ওয়ান পাসওয়ার্ড। অ্যাকাউন্ট খোলার পর ওয়ান পাসওয়ার্ডে প্রবেশ করতে ফিঙ্গারপ্রিন্টের প্রয়োজন হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পরিচয়পত্র, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সেভ করা যাবে।

২. স্লাক:

এটি একটি ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ। যা ব্যবহার করে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা, ফাইল শেয়ারিং কাজের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। যে বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে সে বিষয়গুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে (প্রজেক্ট, টিম, লোকেশন) ভাগ করে রাখা যাবে। এটা দিয়ে গোপনীয় তথ্যগুলো টিম মেম্বারদের কাছে পাঠানো যাবে। স্লাক থেকে যেকোনো তথ্য খুঁজতে সার্চ অপশনও ব্যবহার করা যায়।

৩. অ্যাসেমব্লা:

যারা সফটওয়্যার ডেভেলপ করেন তাদের জন্য অ্যাসেমব্লা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি আইওএস অ্যাপ। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যাপটি ডেভেলপাররা ব্যবহার করেন মূলত কোড আর টাস্কের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে। এতে টাস্কের অগ্রগতি, ক্লায়েন্ট ও টার্গেট সম্পর্কিত তথ্য সেভ করার সুবিধা রয়েছে। আইফোন কিংবা আইপ্যাড থেকেই টাস্কের টিকিট তৈরি ও আপডেট করা যাবে।

৪. ইনভিশন:

ডেভেলপাররা এখানে ডিজাইন আপলোড করে সেটির রিভিউ সম্পর্কে জানতে পারেন। ইন্সট্যান্ট ফিডব্যাক পাওয়ার কারণে অ্যাপ ডিজাইনিংয়ের ত্রুটিগুলো এখানে সহজেই ধরা পড়ে।

51
যে ১০টি তথ্য ফেসবুকে না রাখাই নিরাপদ!



বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর এক বিশাল সাম্রাজ্য এটি। আর সেখানে নিজ নিজ এ্যাকাউন্টগুলো নিরাপদ রাখতে কিছু পন্থা অবশ্যই মেনে চলতে হয়, জানতে হয় কোন বিষয়গুলো বন্ধুদের জানাবেন, আর কোনগুলো জানাবেন না। নিচে এমন ১০টি বিষয় তুলে ধরা হলো যা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে না রাখাই নিরাপদ-

১. ফোন নাম্বার:

ফেসবুকে নিজের ফোন নাম্বারের তথ্য না রাখাই উত্তম। কারণ এর মাধ্যমে হয়তো কখনো আপনি দুই-একজন শুভাকাঙ্খীর ফোন পেতে পারেন। তবে কখনো আবার উত্তক্ত্যকারীদের পাল্লায়ও পড়তে পারেন।

২. জন্মদিন:

আপনার জন্মদিনের তারিখ বা এর সাথে নাম, ঠিকানা হতে পারে আপনার গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা আরও সহজে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ব্যক্তিগত বিবরণ হস্তগত করে নিতে পারেন।

৩. অধিক সংখ্যক বন্ধু :

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবিন ডানবারের তত্ত্ব অনুযায়ী একজন মানুষ প্রায় ১৫০ জনের সাথে গভীর বন্ধুত্ব রক্ষা করতে পারে। ৩ হাজার ৩৭৫ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে পরীক্ষা করে ডানবার দেখান যে, ৪.১ জন হন আস্থাভাজন এবং ১৩.৬ জন মানসিক সঙ্কটের সময় সহমর্মিতা দেখায়। তাই নিষ্ক্রিয় বন্ধুদের ছাটাই করা সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর মিথষ্ক্রিয়ার জন্য উপযোগী।

৪. আপনার সন্তান বা পরিবারের ছোট সদস্যদের ছবি শেয়ার করা:

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সিটিউটের পরিচালক ভিক্টোরিয়া নাশ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্থাপন করেন, যেটি অনেকেই সমর্থন করে, একজন শিশু তার সম্পর্কে  কিরূপ তথ্য পরবর্তী  সময়ে অনলাইনে দেখতে চাইতে পারে? আগের প্রজন্ম এটা বিবেচনা করার প্রয়োজনই মনে করে না কিন্তু ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমের বিকাশ এই প্রশ্নটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

৫.রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস:

নতুন রিলেশন উদযাপন কারতে চাইলেও তা ফেসবুকে করা ঠিক নয়। কারণ সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে এবং পরবতীতে ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ থেকে ‘সিঙ্গেল’ স্ট্যাটাসে যাওয়াটা আরও বিব্রতকর নয়কি?

৬. লোকেশন সার্ভিস:

শুধুমাত্র এন্ড্রোয়েড বা আইফোনেই লোকেশন সার্ভিসটি রয়েছে। ২০১৫ সালে টেকক্রাঞ্চ জানায় যে, শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করে ৫০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী। অর্থাৎ এদের মধ্যে একই সংখ্যক অনলাইনে তাদের লোকেশন প্রকাশ করে দেয়।  এবং যে কেউ যারা তোমার ক্ষতি করতে চায় বা না চাইলেও জানতে পারে তুমি কোথায় আছো।

৭. ব্যবস্থাপক:

এই বিষয়টা সমাজের উচ্চস্থানীয়দের জন্যই প্রযোজ্য।  ফেসবুক একটি সামাজিক মাধ্যম এবং কিছু ক্ষেত্রে আলাপচারিতা হালকাও হতে পারে। কিন্তু কোম্পানির সিইও তোমার ওয়ালে প্রবেশ করতে পারে, তোমার প্রতিটি স্ট্যাটাস আপডেটেও তার প্রবেশাধিকার রয়েছে। তুমি তোমার কিছু আপডেট থেকে সিইওকে বাদ দিতে পারো কিন্তু তাতেও ঝামেলা কতটা কমাবে?

৮. অবস্থান সম্পর্কে ট্যাগ নয়:

মানুষ অনেক সময়ই ভুলে যায় তাদের বাসায় অবস্থানের ট্যাগ করাটা আসলে তার ঠিকানা সবাইকে দিয়ে দেওয়ার মতোই।

৯. কখন এবং কোথায় ছুটিতে যাচ্ছি:

একটি ফাইন্যানন্সিয়াল ওয়েবসাইট দিস ইস মানি জানায়, যেসব ভ্রমণকারীরা ছুটি কাটানোর সময় চুরির শিকার হয় এবং তারা যদি তাদের ছুটির পরিকল্পনা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে, তাহলে তাদের ইন্সুরেন্স দাবি গ্রহণযোগ্য হবে না।

১০. ক্রেডিট কার্ড বিবরণ: এটা কখনোই ভালো চিন্তা নয়। এতে আপনা ফতুর হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

52
ইসলাম আত্মনিগ্রহে বিশ্বাস করে না




ইসলাম আত্মনিগ্রহে বিশ্বাস করে না। বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি এমন মতবাদকে ইসলাম প্রত্যাখ্যান করেছে। ইবাদতের নামে নিজের সাধ্যের চেয়ে বেশি কিছু করতে হবে এমন ধারণাকেও উৎসাহিত করা হয়নি পবিত্র কোরআন এবং রসুল (সা.)-এর হাদিসে। জীবনযাপন এবং ইবাদত সর্বক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা বজায় রাখাই ইসলামের শিক্ষা।
মুসাফির বা পথিক যেমন অবিরত পথ অতিক্রম করে, অনুকূল সময়ে সফর করে, অবশিষ্ট সময়ে নিজেও বিশ্রাম নেয় এবং নিজের বাহনকেও বিশ্রামের সুযোগ দেয়, দীনের পথের পথিকের অবস্থাও তেমন হওয়া উচিত। নিজেকে সামর্থ্যের অতিরিক্ত কঠোরতার মধ্যে নিক্ষেপ করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরিকার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে নফল ইবাদতে কড়াকড়ি করা ইত্যাদি কারণে দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ির পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : নিজের মর্যাদাহানি করা মুমিন ব্যক্তির জন্য শোভা পায় না। সাহাবিগণ বললেন, মুমিন ব্যক্তি কেমন করে নিজের মর্যাদাহানি করতে পারে?  তিনি বলেন, নিজেকে সামর্থ্যের অতিরিক্ত পরীক্ষার সম্মুখীন করা (তিরমিযি থেকে মিশকাতে, বাব জামিউদ-দুআ)।

 উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট হয় যে মানুষ সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক আল্লাহ এবং তার রসুল (সা.) তেমনটিই চেয়েছেন। এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ির কোনো অবকাশ নেই। শরীর ও মনকে কষ্ট দিয়ে নয় বরং স্বাভাবিকতা বজায় রেখে সব কিছু করতে হবে। কেউ দেহ মনকে কষ্ট দিলে সওয়াব বেশি মিলবে ভাবলে তা ভুল করা হবে। কারণ আল্লাহ পরম দয়ালুময় সত্তা, তিনি চান না তার বান্দা কষ্ট পাক। আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন এই ভাবনায় আত্মনিগ্রহের পথ বেছে নেওয়া কোনোভাবেই পবিত্র কোরআন কিংবা হাদিসে রসুল (সা.) নির্দেশমতো পথ নয়। এ পথ পরিহার করাই উত্তম। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের কাঁধে ভর দিয়ে পা হেঁচড়ে যেতে দেখলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : এই ব্যক্তির কী হয়েছে? লোকেরা বলল, সে পদব্রজ আল্লাহর ঘর (কাবা) জিয়ারত করতে যাওয়ার মানত করেছে। তিনি বলেন : এই ব্যক্তিকে শাস্তির মধ্যে নিক্ষেপ করা থেকে মহান আল্লাহ মুক্ত। তিনি তাকে বাহনে চড়ে যেতে নির্দেশ দিলেন (বুখারি, মুসলিম, তিরমিযি, ইবনে মাজা, নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ (দারিমি)। কোনো কোনো লোক মনে করে, মানুষ নিজেকে যত বেশি কষ্ট ও কঠোরতার মধ্যে নিক্ষেপ করবে আল্লাহ তার প্রতি তত বেশি সন্তুষ্ট হবেন। উল্লিখিত হাদিসে এই ভ্রান্ত ধারণা সংশোধন করা হয়েছে। আমাদের উচিত হবে অযথা শরীর ও মনকে কষ্ট দেওয়ার পথ থেকে বিরত থাকা। কোনো ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতার পথ পরিহার করে বাড়াবাড়ির আশ্রয় না নেওয়া। আল্লাহ আমাদের সর্বক্ষেত্রে সহজ সরল পথে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।



53

হৃদয়খেকো ‘রিয়া’র সর্বনাশী ফাঁদ!


শিরোনাম দেখে অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন, রিয়া একটি মেয়ের নাম। মেয়েটি হয়তো খুবই সুন্দরী, চপল এবং ধড়িবাজ প্রকৃতির প্রতারক। সে তার ভুবনমোহিনী রূপের মায়াজালে দুর্বল চিত্তের পুরুষের হৃদয়ে ভয়ানক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সময়-সুযোগ বুঝে মস্ত বড় সর্বনাশ ঘটায়। ফাঁদে পড়া পুরুষটির হৃদয় ভেঙে চুরমার করে দিয়ে নিরাপদে দ্রুত কেটে পড়ে। আপনি হয়তো এ কথাও ভাবতে পারেন, রিয়ার মতো মেয়েদের কারণে যুগ-যুগান্তরে, কাল-কালান্তরে এবং দেশ-দেশান্তরে যুদ্ধ-বিগ্রহ, ফ্যাতনা-ফ্যাসাদ এবং দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ সৃষ্টি হয়ে মানব সভ্যতাকে বারবার পেছনে ঠেলে দিয়েছে। রিয়া সম্পর্কে আপনার ভাবনা যাই হোক না কেন সে ব্যাপারে আমি মাথা ঘামাব না। আমি বরং আপনাকে এমন এক রিয়ার সর্বনাশী কুকীর্তির কিছু নমুনা জানাব যা কিনা আপনার কল্পনার রিয়ার তুলনায় লক্ষ-কোটি গুণ বেশি বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে মানুষের আত্মা বা হৃদয় খেয়ে ফেলে। দুনিয়া ও আখিরাতে মানুষের জীবন-জীবিকা, মানসম্মান, পদ-পদবি এবং জৌলুসকে বরবাদ করে দেয়। আরবি শব্দ রিয়ার আদি উৎস ‘রা’ ‘আ’ যার অর্থ লোক দেখানো বা লোকজনকে দেখানোর জন্য উপরে তুলে ধরা। ইসলামী পরিভাষায় রিয়াকে বলা হয় গুপ্ত শিরক বা ছোট শিরক। আপনারা শিরক বা অংশীদারিত্বের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন। আল্লাহ কখনো শিরক বরদাস্ত করেন না এবং সাধারণ ইবাদত-বন্দেগিতে শিরককারীর গুনাহ মোচন হয় না। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যদি আমরা তার অন্যান্য সৃষ্টিকুলের দিকে তাকাই তবে লক্ষ্য করব যে, কোনো প্রাণীই কিছু কিছু সম্পর্কের অংশীদারিত্ব বরদাস্ত করে না।

স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা-সন্তান ইত্যাদি সম্পর্কের বাইরে দাতা-গ্রহীতা, নিয়োগকর্তা, কর্মচারী, শাসক-প্রজা, বিচারক-বিচারপ্রার্থী, আশ্রয়দাতা-আশ্রয়প্রার্থী সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ কোনো দিন তার মর্যাদার সঙ্গে অন্য কারও অংশীদারিত্ব বরদাস্ত করে না। শিরক বা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিরককারী যে পরিমাণ অপমান দ্বারা আল্লাহকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে তা অন্য কোনো গুনাহের দ্বারা একেবারেই অসম্ভব। রিয়ার তিনটি সাধারণ স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে মানুষ তার সৎ কর্ম, কোনো বিষয়ের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য অথবা ভালো মানুষী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য এমনভাবে জাহির করতে থাকে যাতে লোকজনের মনে লোকটি সম্পর্কে এক ধরনের সম্ভ্রম ও মর্যাদা তৈরি হয়ে যায়। রিয়াকারীর যাবতীয় কৌশল কেবল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হয়ে থাকে। তারা চায় লোকজন বেশি বেশি তার সম্পর্কে জানুক এবং ভক্তি শ্রদ্ধায় গদগদ হয়ে তার কদম মুবারকে ঝাঁপিয়ে পড়ুক। দ্বিতীয় স্তরে, রিয়াকারী মানুষের জন্য নানারকম ফাঁদ তৈরি করে। নিজের সততা, জ্ঞান, ক্ষমতা, বুদ্ধিসত্তা এবং পরোপকারী মনোভাবকে নিঃস্বার্থ প্রমাণ করার জন্য সে নানা কৌশল ও ফন্দিফিকির শুরু করে। মানুষ তাকে দাতা হাতেম তাঈ, মহাজ্ঞানী লোকমান বা ওলিকুল শিরোমনি ভেবে তোয়াজ-তদবির সহকারে তার কাছে আনুগত্য প্রকাশ করুক এবং মাথানত করুক এমন মনোবাসনা নিয়ে সে লোক দেখানো ভালো কর্ম, ভালো আচরণ এবং ইবাদত বন্দেগি করতে থাকে।

 নিজের অজান্তে তার কর্ম আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষ যেন তাকে তোয়াজ করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তৃতীয় স্তরে রিয়াকারী ধর্মের লেবাসে অতিমানব আখ্যা পাওয়ার জন্য লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগি শুরু করে। অতিরিক্ত নামাজ-কালাম, তসবিহ-তাহলিল, জিকির-আসকার, তাহজুদ-গুজার ইত্যাদি কর্মের মাধ্যমে সে মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে গুপ্ত শিরকে জড়িয়ে পড়ে। ফলে রিয়াকারীর তাবৎ আমল বরবাদ হয়ে যায়। দুনিয়াতে তার ভণ্ডামি জারিজুরি এক সময় প্রকাশ হয়ে পড়ে। তাছাড়া রিয়াকারী প্রকাশ্যে যত বড় সুনাম ও সুখ্যাতির অধিকারী হোন না কেন— তার নিজ ভুবনে তিনি সর্বদা জাহান্নামের কীট হিসেবে শাস্তিভোগ করতে থাকে। তার অন্তর, চোখ, শ্রবণশক্তি, ঘ্রাণশক্তি এবং অনুভূতিতে সব সময় জাহান্নামের অতৃপ্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। অন্যদিকে, তার মৃত্যুর পর তার স্থান যে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর সিজ্জিনে হবে তার ঘোষণাও পবিত্র কোরআনে আল্লাহ অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রিয়া থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

54
তারাবীহ নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত



তারাবী আরবী শব্দ, যা তারবিহাতুন শব্দের বহুবচন। যার অর্থ হলো, আরাম, প্রশান্তি অর্জন ও বিরতী দেওয়া। রমজান মাসে এশার নামাযের পর বিতর নামাযের পূর্বে (অন্য মাসের) অতিরিক্ত যেই সুন্নত নামায পড়া হয় তাকে তারাবীর নামায বলা হয়।  এই নামায কে কিয়ামে রমজানও বলা হয়।

পবিত্র রমজান মাস কল্যাণ  ও বরকতের মাস। রমজানের দিনে রোযা রাখাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র মুখ নিঃসৃত বাণী রাতের “কিয়াম” যাকে কিয়ামে রমযান বা তারাবী বলে, সুন্নত বানিয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: من قام رمضان ايمانا و احتسابا غفرله ماتقدم من ذنبه

অর্থাৎ যে ব্যক্তি ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পরকালীন প্রতিদান কামনায় রমযান মাসের রাতে কিয়াম করবে (তারাবী পড়বে ইমাম নববী রহ: মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থে লিখেছেন) তার অতীত জীবনের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখরী শরীফ ও মুসলিম)

তবে বিভিন্ন জনমতের কারণে তারাবীর নামাযকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাই রাখা হয়েছে, ফরজ করা হয়নি, কিন্তু এতে সন্দেহ নেই যে রমযানের উপকারিতা ও খায়ের বরকত পূর্ণরূপে লাভ করতে হলে তারাবী নামায পড়া জরুরী। 

তারাবী নামায পড়ার দ্বারা রমযান ও কুরআনের হক আদায় হবে, রোযার উদ্দেশ্য তাকওয়া হাসিলে সাহায্য পাওয়া যাবে,আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত ও মাগফিরাত, সর্বোপরি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে। তাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাদের জন্য উচিৎ তারাবীর প্রতি উদগ্রীব হওয়া ।

55
স্বাগতম হে মাহে রমজান





আমরা সমাজ জীবনে এবং ব্যক্তি জীবনে বেশ কটি মাসের প্রথম দিন উদযাপন করে থাকি। ওই দিনগুলো উদযাপনের জন্য পূর্ব প্রস্তুতিও থাকে। কিন্তু রমজানকে স্বাগত জানোনোর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে খুব একটা দেখা যায় না। অথচ ওই সব দিনগুলোর চেয়ে রমজান যে মূল্যবান ও মর্যাদাপূর্ণ তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

মহান রাব্বুল আলামিন রমজান মাসেই নাজিল করেছেন কোরআন, যাতে করে মানুষ ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ শাস্তি ও পুরস্কারের পার্থক্য নিরূপণ করতে পারে। যাতে রয়েছে হেদায়েত প্রাপ্তির আহ্বান (সূরা বাকারা-১৮৫)। 

এখন প্রশ্ন হতে পারে মানবজাতির কল্যাণ/হেদায়েতের সঙ্গে রমজানের সম্পর্ক কী?  প্রথমত হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টির সেরাজীব হচ্ছে মানুষ, স্রষ্টা যাদের সৃষ্টি করেছেন তাদের কাছে তাঁর কিছু পাওনা আছে। তাঁরই প্রাপ্যতা কীভাবে সৃষ্টিকুল আদায় করবে তার নির্দেশনাসহ মানুষ কীভাবে তার ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্র জীবন পরিচালনা করবে তার বিশদ বিবরণ তাদের দায়বদ্ধতা এবং অবাধ্যতার কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি ও আনুগত্যশীলদের পুরস্কার/নেয়ামত প্রাপ্তির ঘোষণা কোরআন পাকে বিশদভাবে তিনি বর্ণনা করেছেন। যাতে করে মানুষ কণ্টকাকীর্ণ পথ পরিহার করে মসৃণ সুন্দর পথে চলতে পারে। 

হারামকে পরিহার করে হালালকে গ্রহণ এবং শাস্তিকে ভয় করে শান্তির আলয়কে গ্রহণ করতে পারে। আর রমজান মাসকে কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই কারণে যে, রমজানে মানুষ আল্লাহকে বেশি করে ভয় করে। পৃথিবীর সব নেয়ামত তুচ্ছ মনে করে মানুষ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব পানাহার এবং তার জৈবিক চাহিদার লোভ পূরণ থেকে বিরত থাকে। এ মাসে একজন রোজাদার ব্যক্তিকে কেউ শত লোভ দেখিয়েও আহার করাতে পারবে না এমনকি রোজাদার ব্যক্তির কণ্ঠনালি শুকিয়ে মৃত্যুর ঘণ্টা বেজে উঠলেও সে হুঁশ থাকতে ইফতারির সময় না হওয়া পর্যন্ত একফোঁটা পানিও পান করবে না।   

পৃথিবীর সব কাজের তদারকি আছে, আছে পাহারাদারও কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে রোজাদারের পিছনে কোনো পাহারাদার নেই এখানে সে নিজেই নিজের পাহারাদার। এটাই হচ্ছে আল্লাহ ভীতির সেরা নিদর্শন। কাজেই এই মাসকে তিনি প্রত্যেক মানুষের জীবনে বার বার এনে দিয়ে তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যাতে করে বেশি বেশি কোরআন পাঠ করে তারাবির নামাজে কোরআনের বাণীসমূহ প্রতি বছর পড়ার ও বুঝার সুযোগ পেয়ে অতীতের কৃত কর্মের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে তওবা করতে পারে। 
রমজানকে আশীর্বাদ স্বরূপ মেনে নিয়ে আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামত গ্রহণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে আমরা রোজাদাররা মিথ্যাচার, গিবত ও চোগলখোরি প্রভৃতি থেকে বিরত থাকব। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা এবং মিথ্যা কর্ম পরিত্যাগ না করে, তার পানাহার পরিত্যাগ আল্লাহর কোনো দরকার নাই’ (বুখারি-মুসলিম)।

হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন ‘সওম বা রোজা আমারই জন্যে, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব’। রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কাজেই রমজান মাসের রোজা আমাদের জন্য আল্লাহর বড় নেয়ামত স্বরূপ এসেছে। আদম সন্তান বলতেই পাপী তবে সেই ব্যক্তি উত্তম পাপী যে কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। সেই ব্যক্তিই উত্তম যে ক্ষমা চেয়ে অনাচার-পাপাচারের পথে পুনরায় অগ্রসর না হয়। আদম সন্তান হিসেবে আমাদের মধ্যেও ভালো কাজ মন্দকাজের সংমিশ্রণ আছে। এ জন্য মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য তার ক্ষমার দ্বার বহুভাবে উন্মুক্ত করে রেখেছেন। তন্মধ্যে রমজান মাসের রোজা অন্যতম। তিনি রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধকে মৃগনাভীর সুগন্ধি হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। তাই আমরা এ মুখে এ মাসে বেশি বেশি তওবা করি আমাদের কবিরাহ গুনাহর জন্য। 

রমজানের রোজা দ্বারা অতীতের কৃত গুনাহ মাফ লাইলাতুল কদরের রাতে এবাদত-বন্দেগি দ্বারা হাজার মাসের ইবাদত করার ফজিলত অর্জন করে মিজানে আমল নামা ওজনের প্রাক্কালে নেকির পাল্লা ভারি হওয়ার সুযোগ লাভ বা আল্লাহপাকের অনুগ্রহ লাভ করতে পারি। রমজানের এত অসংখ্য নেয়ামত আসা সত্যেও যারা উপেক্ষা করবে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। যার পরিণতি জাহান্নামের আগুন যার তীব্রতা পৃথিবীর আগুনের চেয়ে সত্তর গুণ বেশি। কাজেই আমরা যখন সবাই কর্ণ-চক্ষু দ্বারা আল্লাহর বিধানাবলি শুনতে ও দেখতে পেরেছি এবং তা অনুধাবন করার যথেষ্ট জ্ঞানও আছে তাই আল্লাহর বাণী, ‘এ জীবনের চেয়ে আখিরাতের জীবন অনেক শ্রেষ্ঠ এবং চিরস্থায়ী’ (সূরা আল আলা)। এ জীবনের জন্য কাজ করি ও আমল করি। আমরা তওবা করে পরিচ্ছন্ন হই। আমরা যে যে পেশায় নিয়োজিত থাকি না কেন রমজান এসেছে রমজানের পবিত্রতা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে রক্ষা করব। আমরা মিথ্যাচার করব না, লাভের আশায় অতিরিক্ত মূল্যে মানব দেহে ক্ষতি হয় এমন উপাদান মিশ্রিত করে খাদ্য বিক্রয় করব না।

রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের কর্মে নিয়োজিত যারা আছি তারা সমস্যা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকের ভূমিকা পালন করব। স্পিড মানি নামে উদ্ভূত শব্দ পরিহার করে হালাল উপার্জন দিয়ে হারাম থেকে বাঁচব, এ মাসের বন্দেগির সামর্থ্য পেয়ে আল্লাহর বড় রহমত জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই চাইব। আল্লাহ্ সুবহানুতায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসের রোজা পালনের সামর্থ্য দিয়ে এর পবিত্রতা রক্ষার তওফিক দিন। আমিন।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/islam/2017/05/28/235549#sthash.4T3gDDJg.dpuf

56
৮ উপায়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বাঁচান





যত দিন যাচ্ছে, স্মার্টফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ বেড়েই চলেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও অ্যাপের বহর যেভাবে বাড়ছে, তাতে ইন্টার্নাল স্টোরেজ সবসময়ই কম মনে হয়। কিন্তু, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টার্নাল স্টোরেজ বাঁচানোর কিছু পদ্ধতি আছে। যা ফলো করলে একসঙ্গে অনেকটাই জায়গা বাঁচিয়ে নেওয়া যাবে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর ৮টি পদ্ধতি রইল পাঠকদের জন্য।

ক্যাশে ও ডেটা ক্লিয়ার: ফোনের অ্যাপ ম্যানেজারে যান। সেখানে গিয়ে অ্যাপগুলি সিলেক্ট করুন। তারপর তার ডেটা ও ক্যাশে ডিলিট করুন। এতে পুরোনো অ্যাপ পছন্দ মুছে গেলেও একসঙ্গে অনেক GB বেঁচে যায়। তবে মনে রাখবেন, অ্যাপ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশে বাড়বে এবং আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে ডেটা সাইজ বাড়বে।

পুরোনো ডাউনলোড ডিলিট: অনেক সময়ই আমরা বহু ফাইল ডাউনলোডের পর তা ডিলিট করতে ভুলে যায়। এর ফলে ওই ফাইলগুলি জায়গা নিয়ে বসে থাকে। তাই একদিন সময় করে ডাউনলোডস ফোল্ডারে যান। পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি সিলেক্ট করে দিন ডিলিট টিপে। দেখবেন, অনেকটা হালকা হবে ফোনটি!

SD কার্ডে অ্যাপ ইনস্টল: সবসময় স্মার্টফোনের OS-এর উপর চাপ কেন দেবেন? কিছু অ্যাপ মাইক্রো SD কার্ডে পাঠিয়ে দিন। এতে জায়গাও বাঁচবে এবং স্মার্টফোনটি দ্রুত কাজও করবে।

স্মার্ট স্টোরেজ: পিক্সেল বা নেক্সাস জাতীয় স্মার্টফোনগুলিতে স্মার্ট স্টোরেজ থাকে। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো ফাইলের অনলাইন ব্যাকআপ বানিয়ে তা ডিলিট করে দেয়।

গুগল ফটোস: সাধারণ গ্যালারি স্টোরেজ না বাড়িয়ে গুগল ফটোসে ফটো ব্যাকআপ করাই যেতে পারে। এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা ফটো দেখতেও পারবেন পাশাপাশি এডিটও করতে পারবেন। বাড়তি পাওনা গ্যালারি স্টোরেজ কমবে।

ডকুমেন্টস সেভ করতে ক্লাউড স্টোরেজ: ডকুমেন্টস ফোনে সেভ না করে ক্লাউডে করা যায়। এর ফলে তা হারানোর আশঙ্কা যেমন থাকে না। একইসঙ্গে ফোনের জায়গাও বাঁচে। ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজ যথেষ্ট জনপ্রিয়।

লাইট অ্যাপ ব্যবহার করুন: ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলির কিন্তু লাইট ভার্সন রয়েছে। এর ফলে আপনার স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ে এবং OS-ও ফাস্ট কাজ করে।

ডিভাইসের ওয়েস্ট স্ক্যান করান: সি ক্লিনারের নাম নিশ্চয়ই জানেন। এছাড়াও রয়েছে ডিস্ক ইউসেজ বা স্টোরেজ অ্যানালাইজার-এর মতো অ্যাপ। যা আপনার মোবাইলের অতিরিক্ত ওয়েস্টকে মুছে দেয়। এর ফলে স্টোরেজও বাঁচে।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/tech-world/2017/05/27/235243#sthash.H1f5343z.dpuf

57
ফেসবুকে অটো প্লে ভিডিও বন্ধ করবেন যেভাবে





অফিসে কাজের ফাঁকে ফেসবুকে হোম ফিড দেখছেন। হঠাৎ জোরে শব্দ করে কোনো ভিডিও চালু হয়ে গেল। তখন কিছুটা হলেও অপ্রস্তুত হতে হয়। ফেসবুকে ভিডিও দেখতে অটো প্লে নামের নতুন ফিচারের কারণেই আচমকা ভিডিও চালু হয়।

এ কারণে ফেসবুকের হোম পেইজ দেখার সময় ভিডিওয়ের প্লে বাটনে ক্লিক না করলেও ভিডিও চালু হয়ে যায়। চাইলে অবশ্য অটো প্লে বন্ধ রাখা যায়। কিভাবে কাজটি করতে হবে এ টিউটোরিয়ালে তা তুলে ধরা হলো।

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে:

ফেসবুক অ্যাপে লগইন করার পর ডান পাশে সেটিংস আইকনে (তিনটি লাইন বাটন) ক্লিক করতে হবে। তারপর ক্রলডাউন করে ‘app settings’-এ ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে ‘Videos in News Feed Start with Sound’ অপশনটিতে ট্যাপ করে অফ করে দিতে হবে।

আইওএস ডিভাইসে ক্ষেত্রে:

ফেইসবুকে অ্যাপে লগইনের পর ডান পাশে থাকা সেটিংস বাটনে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে ‘settings’-এ গিয়ে Account Settings-এ যেতে হবে। এরপর Sounds-এ গিয়ে ‘Videos in News Feed Start with Sound’ অপশনটি বন্ধ করে দিতে হবে।

তাহলে ফেইসবুক ফিডে দেখতে না চাইলে ভিডিও অটো প্লে হবে না।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/tech-world/2017/05/23/234156#sthash.cz5jvXUP.dpuf

58
মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় ‘জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহ’ শুরু



রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সেবা, ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচার-প্রসার ও ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়াতে দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে আয়োজন করা হচ্ছে ‘জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহ’। ঢাকায় বড় এক্সপোসহ বাংলাদেশের সবকটি উপজেলায় পালিত হবে দেশের সর্ববৃহৎ এই ইন্টারনেট উৎসব।

আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার রাজধানীর ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহ ২০১৭’। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স কোম্পানি, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান, ওয়েব পোর্টাল, ডিভাইস কোম্পানিসহ ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। থাকবে নানা আয়োজন।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবারের ইন্টারনেট সপ্তাহের আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লাহ্। সভাপতিত্ব করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/tech-world/2017/05/21/233618#sthash.kdCUThfI.dpuf

59
ঢাকায় দ্রুত ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া



সাইফুল হাসান শামীম নিজে একজন চিকিৎসক হলেও জ্বর নিয়ে বেশ ঝামেলাতেই পড়েছিলেন। তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না, ওষুধ খাওয়ার পরও তার জ্বর কীভাবে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে উঠে যায়।

এরপর তিনি একটি হাসপাতালে যান, সেখান থেকে তার রক্তের নমুনা পাঠানো হয় রোগ পর্যবেক্ষণকারী সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর-এ। পরীক্ষার পর উত্তর আসে, তার চিকুনগুনিয়া হয়েছে।

জ্বরাক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পর মঙ্গলবার শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জ্বর হওয়ার পর গিটে গিটে ব্যথায় তিনি হাঁটতে পর্যন্ত পারছিলেন না।

“এখন হাঁটতে পারছি, তবে সামান্য ব্যথা রয়েছে,” বলেন তিনি।

শামীমের মতো অনেকেই এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন চিকুনগুনিয়ায়; বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরে দ্রুত ছড়াচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ।

রোগ তত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর ভাইরাসঘটিত রোগটির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।

এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশা থেকেই চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের ভাইরাস। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে।

ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম বলে চিকিৎসকরা জানান।

চিকুনগুনিয়া প্রথম ধরা পড়ে ১৯৫২ সালে আফ্রিকায়, পরে বিশ্বের অন্য দেশেও তার বিস্তার ঘটে। বাংলাদেশে প্রথম ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় এই রোগ দেখা গেলেও পরে বিচ্ছিন্ন দু-একটি রোগী ছাড়া এ রোগের বিস্তার আর বাংলাদেশে লক্ষ্য করা যায়নি বলে আইডিসিআর জানায়।

বর্ষার পর পর যখন মশার উপদ্রব বাড়ে, তখন চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

এবার মৌসুমের শুরুতে অতিবর্ষণের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপও লক্ষ্য করছেন বলে জানান আইইডিসিআরের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

তবে কী পরিমাণ রোগী আক্রান্ত হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।

ডা. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষার জন্য সব নমুনা আমরা হাতে পাইনি। এমনকি জ্বর হওয়ার পর পাঁচ দিন পর যে সব নমুনা আমাদের কাছে এসেছে, আমরা তা পরীক্ষা করিনি। কারণ তাতে ফলস রিপোর্ট আসে।”

এই এডিস এজিপ্টি মশা চিকনগুনিয়ার বাহক- ছবি: রয়টার্স এই এডিস এজিপ্টি মশা চিকনগুনিয়ার বাহক- ছবি: রয়টার্স
একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “মশা খুব দ্রুতই একজন থেকে অন্যজনের দেহে এই রোগ নিয়ে যায়। তাই মশারি ব্যবহার করতে হবে, এমনকি দিনের বেলায়ও।”

আইইডিসিআর বলছে, এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার সময় কামড়ায়।

চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই। প্রথমে জ্বর আসে, এরপর হয় গায়ে ব্যথা।

“তবে চিকুনগুনিয়ায় ভীষণ ব্যথা হয়, অনেক সময় নড়াচড়াই করা যায় না। ব্যথা হয় সব অস্থিসন্ধিতে,” বলেন ডা. আলমগীর।

গিটে গিটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাবও চিকনগুনিয়ার লক্ষণ।

চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নাই। সাধারণত রোগটি এমনি এমনিই সেরে যায়, তবে কখনও কখনও গিটের ব্যথা দীর্ঘদিন থাকতে পারে।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। গিটের ব্যথার জন্য ঠাণ্ডা পানির সেক এবং হালকা ব্যয়ামও করা যেতে পারে।

প্রাথমিক উপসর্গ ভালো হওয়ার পর যদি গিটের ব্যথা ভালো না হয় তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আইইডিসিআর। এক্ষেত্রে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেওয়ার পাশাপাশি এই পতঙ্গের আবাসস্থল ধ্বংস করতে বলা হয়েছে।

বাসার আশেপাশে ফেলানো মাটির পাত্র, কলসী, বালতি, ড্রাম, ডাবের খোলা ইত্যাদি যে সব স্থানে পানি জমতে পারে, সেখানে এডিস মশা প্রজনন করে। তাই এসব স্থানে যেন পানি জমতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে এবং নিয়মিত বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করতে হবে।



60
নারকেল তেলের অজানা কিছু ব্যবহার



আমরা সাধারণত চুলের যত্নে ব্যবহার করি নারকেল তেল। কেউ কেউ আবার ত্বক পরিচর্চার জন্যও ব্যবহার করে এটি। ববে এখানেই এর পুষ্টিগুণ শেষ নয়। নারকেল তেলকে বলা হয় 'মিরাকেল অয়েল'। কারণ চুল কিংবা ত্বক পরিচর্চার পাশাপাশি অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করে থাকে এই নারকেল তেল। আসুন জেনে নেই নারকেল তেলের এমন অজানা কিছু ব্যবহার।

১। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে বগলে কিছু পরিমাণ নারকেল তেল ম্যাসাজ করে লাগান। নারকেল তেলে থাকা উপাদান ঘাম শুষে নেয়, যা দুর্গন্ধ হওয়া রোধ করে।

২। হজমের সমস্যা দূর করতে
নারকেল তেলে কিছু উপকারি ফ্যাট রয়েছে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান পাকস্থলীর ইনফেকশন দূর করে। ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়।

৩। অনিদ্রা দূর করতে
ঘুমের সমস্যা দূর করে দেবে নারকেল তেল। প্রতিদিন তিন টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল পান করুন। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া ঠিক রাখে। যা আপনাকে ভালো ঘুমে সহায়তা করে।

৪। ছোটখাটো জ্বালাপোড়া
হঠাৎ করে হাত পুড়ে গেলে সেখানে কিছু পরিমাণ নারকেল তেল ব্যবহার করুন। দেখবেন জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে গেছে। কিছুক্ষণ পর পর পুড়ে যাওয়া স্থানে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।

৫। এ্যার্নাজি বৃদ্ধিতে
খাবার উপযুক্ত নারকেল তেল প্রতিদিন খেলে তা দেহের এনার্জি বৃদ্ধি করে। এছাড়া নারকেল তেলের থাকা অ্যাসিড মস্তিষ্ক রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। তবে রান্নায় বিশুদ্ধ নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিত।

৬। ব্যথা প্রশমিত করতে
জয়েন্টের ব্যথা কিংবা হাঁটু ব্যথাতে কুসুম গরম নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

৭। ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে নারকেল ব্যবহার করা হয়। লোশন ব্যবহার না করে ত্বকে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং রিংকেল দূর করে দেয়।

৮। বলিরেখা দূর করতে
বলিরেখা এবং রিংকেল প্রতিরোধ করতে নারকেলের জুড়ি নেই। দিনে দুইবার ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে লাগান। এটি নিয়মিত করুন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে।

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 43