Daffodil International University

General Category => Be Alert => Topic started by: mshahadat on August 03, 2014, 05:18:13 PM

Title: তরুণেরা কি আত্মকেন্দ্রিক?
Post by: mshahadat on August 03, 2014, 05:18:13 PM
তরুণেরা কি শুধু নিজেদের কথাই ভাবেন? তাঁরা কি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছেন? নিজের পেশাগত উন্নতিই কি তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার—এই প্রজন্মের তরুণদের নিয়ে বড়দের কাছ থেকে প্রায়ই কিছু কথা শোনা যায়। আবার দেখা যায়, রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তরুণেরা। জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম কনজ্যুমার সলিউশন লিমিটেড তরুণদের নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। তাতে তরুণদের ভাবনা-চিন্তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদনে তার সারসংক্ষেপ থাকছে। তাছাড়া এ সময়ের তারুণ্যের বৈশিষ্ট্য কী, কী ভাবছেন তাঁরা, তাঁদের সম্পর্কে অভিজ্ঞদের ধারণাই বা কী—এসব নিয়ে অধুনার পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সফল কয়েকজন তরুণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনের কাছে। থাকল তাঁদের মতামতও।

জীবনবোধের পরিবর্তন এসেছে

আমি যেহেতু সংগীতের মানুষ, তাই অন্য বিষয়ে না বলে শুধু সংগীতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।
এখন সংগীতকলা একধরনের ‘শো বিজনেজ’-এ পরিণত হয়ে গেছে। এর সঙ্গে প্রচুর অর্থের ব্যাপার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পেশা হিসেবেও তাই জনপ্রিয়। ফলে আমাদের তরুণেরাও স্বাভাবিকভাবে সেই প্রবাহে গা ভাসিয়েছেন। পরিণতিতে ব্যাহত হচ্ছে সৃজনশীলতার মান। অবশ্য এর জন্য তরুণদের ঢালাওভাবে দায়ী করাটা যথার্থ হবে না। বর্তমান সময়কেও ভাবনায় আনতে হবে। বর্তমান পৃথিবীর সামগ্রিক জীবনযাত্রা এবং জীবনবোধের যে পরিবর্তন এসেছে, তা থেকে আমাদের তরুণেরা আলাদা কেউ নয়।
শিল্পচর্চা মানুষের মহৎ কর্মেরই একটি অংশ। সেই মহৎ কর্মে অবশ্যই বিনোদন থাকতে পারে। সেই বিনোদন থেকে অর্থও আসতে পারে। এটা তো ভালো লক্ষণ! কিন্তু শুধু অর্থের জন্য যদি বিনোদনকে ভাবা হয়, তবে তো নষ্ট হয়ে যায় শিল্পের শিল্পমান। আমাদের অগ্রজদের দেখেছি শিল্পের সৃজন দিয়ে তাঁরা দর্শক-শ্রোতাকে অনায়াসে মুগ্ধ করেছেন। শ্রোতাকে তাঁরা নিজের কাছে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু নিজেকে শ্রোতার কাছে নামিয়েনিয়ে যাননি। সেই কারণে হয়তো তাঁদের শেষবেলায় এসে দুস্থ শিল্পী হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। কিন্তু এখনো তাঁরা মানুষের মনে শিল্পী হিসেবেই বেঁচে আছেন। বর্তমান সময়ের তরুণ সম্প্রদায় হয়তো সেই আদর্শের অনুসারী নয়। পেশা নিয়ে সচেতন হোক বা আত্মকেন্দ্রিক হোক কিংবা দ্রুত সফলতা চাওয়াই হোক, আসলে তরুণেরা কী করবেন? এখন অর্থ উপার্জন নাকি সৃজনশীলতা—কোনটি বেছেনেবেন তা তাঁদেরকেই নিতে হবে।

সৈয়দ আবদুল হাদী, সংগীতশিল্পী
নিজেকে নিয়ে ভাবাটা দোষের নয়

আমার মনে হয়, তরুণদের এই ভাবনার ধরনটা এখন ভিন্ন। তাঁরা নিজের দক্ষতা বাড়ানো, আত্মিক উন্নয়ন—এসব নিয়ে ভাবেন। তাঁর নিজের উন্নতি মানে কিন্তু দেশের উন্নতি। তাই নিজেকে নিয়ে ভাবাটা দোষের নয়। তবে নিজের উন্নয়নের জন্য যদি অন্যের ক্ষতি হয়, তবে সেটা দোষের। বর্তমানে অনেক তারুণ্যনির্ভর সংগঠন গড়ে উঠেছে দেশে। তারা কিন্তু কাজ করছে দেশের জন্য, সমাজের জন্য। অনেক তরুণ শুরু করতে চাইলেও নানা বাধায় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। আমরা কি সেটাকে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাওয়া বলব? আমার মনে হয় সেটা ঠিক হবে না। বরং বড়দের উচিত তাঁকে উৎসাহ দেওয়া। আমাদের অনেকেই নতুন সব ধারণার জন্ম দিচ্ছেন। সেটাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, অভিভাবকেরা যদি সেদিকে উৎসাহ দেন, তাহলে তরুণেরা আরও বেশি কাজে লাগবেন। বড়দের উচিত তাঁর ভাবনাগুলোকে সম্মান দেখানো, সেখানে অনেক অসংগতি থাকতে পারে, সেটা আপনারা ঠিক

করভী রাখসান্দ, প্রতিষ্ঠাতা, জাগো ফাউন্ডেশন
তারুণেরা ঝুঁকে পড়েছেন সহজের দিকে

সম্প্রতি একটি সংকট আমাকে দারুণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। সেটি হচ্ছে, তরুণদের বিকাশের সংকট। শিশু থেকে তরুণ—বেড়ে ওঠার এই প্রক্রিয়াটি এখন খানিকটা জটিল হয়ে পড়েছে। ফলে দেখা যায়, তারুণেরা ঝুঁকে পড়েছেন সহজের দিকে। তাঁরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছেন। এর পেছনে অনেক কারণ। যেমন শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলা যেতে পারে। পেশাভিত্তিক শিক্ষার প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে, সাহিত্য জ্ঞান থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন তরুণেরা। তারপর যোগাযোগপ্রযুক্তি এতই হাতের নাগালে! খুব সহজেই তাঁরা অধরাকে ধরে ফেলছেন। দেখে ফেলছেন অদেখাকে। ফলে লোপ পাচ্ছে সাধনামূল্য। পারস্পরিক সম্পর্কগুলো বিবেচিত হচ্ছে অর্থমূল্যে। মানবিক সম্পর্কের মতো অমূল্য সম্পদটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। মহৎ কর্ম ও শিল্পকলার প্রতি কমে যাচ্ছে তাঁদের আগ্রহ। তরুণদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখা সম্ভব। সম্প্রতি বেঙ্গলের আয়োজনে ঢাকায় উচ্চাঙ্গ সংগীত অনুষ্ঠানে তরুণদের সরব উপস্থিতি তো তা-ই প্রমাণ করে। তারপর গণজাগরণ মঞ্চের কথা তো আছেই। আমি আশা করি, এই সংকটগুলো একদিন কেটে যাবে। আমাদের তরুণেরা হয়ে উঠবেন জাতির ভবিষ্যৎ পথচলার দিশারি।

মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব

তরুণরা আত্মকেন্দ্রিক এ ধারণা ঠিক নয়

আমাদের তরুণেরা আগের চেয়ে আরও বেশি বহির্মুখী। এই সময়ের তরুণেরা আত্মকেন্দ্রিক, এ ধারণা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একদমই ঠিক নয়। আজকাল হয়তো নানা ধরনের প্রযুক্তির সুবিধার কারণে অনেকে বাইরে কম বেরোচ্ছেন। তাই বলে তাঁরা শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবছেন না। ফেসবুকে তরুণেরা মতামত দিচ্ছেন নানা বিষয়ে, নানা ধরনের সামাজিক কাজ হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। একজন রোগীর জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন জানানো থেকে শুরু করে সামাজিক সমস্যা, রাষ্ট্র, খেলা, উৎসবসহ সব বিষয়েই তাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় জানাচ্ছেন নিজের মতামত। তাহলে আত্মকেন্দ্রিকতা কোথায়? সমাজের প্রয়োজনে আন্দোলনে নেমে যাচ্ছেন তরুণেরা। বাড়ছে তরুণদের সামাজিক কার্যক্রমভিত্তিক সংগঠনের সংখ্যা। তারা কাজ করছে দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

অর্পিতা হক, ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম (২০১২), খ ইউনিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সময় ও বাস্তবতার কারণে এমন হচ্ছে

এখনকার তরুণদের নিয়ে কথা হলে এ প্রসঙ্গগুলো আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যতাও রয়েছে। তবে এর জন্য শুধু তরুণদের দোষ দেওয়া যাবে না। কেননা সময় ও জীবনবোধ প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন ঘটায় মানুষের চিন্তা ও ভাবধারায়। এই পরিবর্তন কখনো নেতিবাচক, আবার কখনো ইতিবাচকও হয়। তাই বলে তরুণেরা স্বপ্ন দেখবেন না, সেটা তো হতে পারে না।
স্বপ্ন না দেখলে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান হতো না। শুধু খেলায় নয়, অন্য সব ক্ষেত্রেও তরুণেরা তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করছেন।
এই প্রজন্মকে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। সংগত কারণেই হয়তো তারা নিজেকে নিয়ে অতি মাত্রায় সচেতন। এর ফলে হয়ে উঠছে আত্মকেন্দ্রিক। এটি সময় ও জীবন বাস্তবতার কারণেই হচ্ছে। চাইলেই আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল

আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার জন্য পরিবার দায়ী

এখানে দুটি দিকই আছে বলে আমার মনে হয়। তরুণদের কিছু অংশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক কাজে অংশ নিচ্ছে। আবার আরেক অংশ শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। মুঠোফোন, কম্পিউটার ও সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমের ফলে এটা ঘটছে। আমরা যদি একটা পরিবারে যাই, তাহলে দেখব সেখানে চারজন মানুষ থাকলে চারজন মুঠোফোনে চারভাবে ব্যস্ত। পরিবারের মধ্যেও পারস্পরিক যোগাযোগ কমে গেছে। তাই আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার জন্য পরিবারও সমানভাবে দায়ী। অনেক অভিভাবক চান সন্তান সবকিছুতেই প্রথম হোক। সারাক্ষণ একটা প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দেওয়া হয় সন্তানকে। ফলে ছোটবেলা থেকেই সে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে শুধু নিজের লাভের কথা ভেবে।
আবার আমাদের তরুণেরাই রানা প্লাজাধসের পরে উদ্ধারকাজে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এই সময়ের তারুণ্য। তাই সব ধরনের প্রতিযোগিতা বা প্রথম হওয়ার প্রথা তুলে দিলে আমাদের তরুণেরা আরও বেশি দেশ বা সমাজ নিয়ে ভাববেন।

মাহমুদুল হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রকমারি ডটকম
তরুণদের হাত ধরে পরিবর্তন ঘটবে

অনেকের ভাবনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে। কেউ বলেন তাঁরা আত্মকেন্দ্রিক। কেউ বলেন এই প্রজন্ম উচ্ছন্নে গেছে। এমনই নানা ভাবনার জায়গা থেকে আমরা ২০১২ সালে একটা জরিপ চালাই তরুণদের ওপর। বাংলাদেশের পাঁচটি স্থানে আমরা জরিপটা পরিচালনা করি ‘কোয়ালিকেটিভ রিসার্চ’-পদ্ধতি অবলম্বন করে। যেটা আলোচনাভিত্তিক জরিপ। এখানে প্রতিজন তরুণ বা তরুণীর সঙ্গে আলোচনা ও তাঁর আচরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জরিপকাজ চালানো হয়। ‘জেন জেড’ শিরোনামের এই জরিপে আমরা তুলে এনেছি বর্তমান সময়ের তরুণদের নানা দিক। যেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে একটা বড় পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন তরুণেরা। সেটা যে দুম করে ঘটে যাচ্ছে তা নয়, ঘটছে একটা নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ধনী-গরিব, ক্ষমতাধর-সাধারণ—সব ধরনের তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই জরিপে।

আমরা জানতে চেয়েছি বর্তমান তরুণদের সম্পর্ক, চাহিদা, খাদ্য, সমাজ, দেশ, আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে। তাঁদের ভাবনার নানা দিক সরাসরি উঠে এসেছে এই জরিপে। দেখা গেছে, তাঁরা সব বিষয়ে সরাসরি কথা বলতেই পছন্দ করেন। ফ্যাশন-সচেতনতা বেড়েছে প্রায় সব তরুণের মধ্যে। তাঁরা অনেক বেশি আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। যেকোনো নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান রাখায় আগ্রহী। প্রযুক্তির মাধ্যমেই দেশের বড় পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন। বাড়িতে তাঁরা একধরনের আচরণ করেন, আবার বাড়ির বাইরে তাঁদের সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে দেখা যায়। সারাক্ষণ উচ্ছল আর আনন্দে থাকাটা পছন্দ। নিজেদের প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রবল তাঁদের। যে কারণে তাঁরা ফেসবুক, ব্লগ, মুঠোফোনে কথা বলে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পছন্দ করেন। স্বাস্থ্য না ফিটনেসের দিকে তাঁদের নজর বেশি। কীভাবে নিজেকে সুন্দর রাখা যায়, সেই প্রচেষ্টা আছে। ফাস্টফুড খাবারের প্রতি ঝোঁক আছে, পাশাপাশি নিজের ফিটসেন নষ্ট হলে সেটা কম করতে আগ্রহী।

গণমাধ্যমের কাছ থেকে তাঁরা অনেক কিছু শিখতে চান, জানতে চান। অনেক ক্ষেত্রে বইয়ের চেয়ে তাঁরা গণমাধ্যমকে গুরুত্ব দেন। অনেক বেশি আশাবাদী এই তরুণেরা। সবাই দেশের পরিবর্তন চান। তাঁরা অন্যের ওপর নির্ভর করতে চান না, নিজেরাই নিজের উন্নয়ন বা পরিবর্তন ঘটাতে চান। তরুণেরা একটা নিজস্ব শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আমার ধারণা।

রুহিনা হালিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ), কোয়ান্টাম কনজ্যুমার সলিউশন লিমিটেড

তরুণেরা দেশের কথা ভেবে কাজ করে

আমার এটা মনে হয় না যে তরুণেরা এখন আত্মকেন্দ্রিক। আমার তো মনে হয়, তারা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে কাজ করছে। আমি যেহেতু একজন ফুটবল খেলোয়াড়, তাই আমার ভাবনায় সব সময় খেলা থাকে। তাই বলে এই না যে আমি দেশ, পরিবার বা সমাজ নিয়ে ভাবি না। আমরা যেখানে যে অবস্থায় থাকি, দেশটা থাকে আমাদের হূদয়ে। আমাদের ভাবনায় থাকে পরিবার বা সমাজও। আমাদের ভালো কিছু করার যে লক্ষ্য, সেটা তো দেশের জন্যই। আমরা যখন একসঙ্গে থাকি, তখন একজন আরেকজনের কাজ নিয়ে আলোচনা করি। কেউ কোনো ভুল করলে সেটা নিয়ে আলোচনা করি, পরামর্শ দিই। এই সময়ের তরুণেরা নানা ধরনের কাজ করছে। নিজেরা নতুন কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব তো শুধু নিজের উন্নয়নের কথা ভেবে নয়; দেশের, পরিবারের বা সমাজের জন্যই তো এসব কাজ।

সুই নু প্রু মারমা, অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল

http://prothom-alojobs.com/index.php?NoParameter&Theme=article_zone_new&Script=articleviewdetails_new&ArticleID=176