Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Nusrat Jahan Bristy

Pages: [1] 2 3 ... 5
1
হুট করে রেগে যাওয়া কিংবা কোনো ঘটনার কথা শুনে অল্পতেই প্রতিক্রিয়া দেখাই আমরা। প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য আমরা কখনো বেছে নিই ফেসবুকের নীল দেয়াল, আবার কখনো অন্যের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। যেকোনো পরিস্থিতিতে সব সময় আমাদের স্থির মনোভাব প্রদর্শন করা উচিত। হুট করে রেগে গিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কখনোই ইতিবাচক আচরণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো স্কুল অব প্রফেশনাল সাইকোলজির পিএইচডি গবেষক ও মনোবিদ জেসমিন আক্তার বলেন, ‘প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন আমাদের স্বাভাবিক আচরণগুলোর একটি। ব্যক্তিত্ব ও মন কতটা প্রাণবন্ত তার ওপর নির্ভর করে আমরা কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে কী আচরণ করব। স্থিরভাবে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন সব সময় বুদ্ধিমানের কাজ।

ধীর গতিতে এগোন

যদি সম্ভব হয় কোনো ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন। ধৈর্য ধরে যতটা সম্ভব সঠিক তথ্য ও ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করুন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত ও পেছনের কারণ নিয়ে নিজেকে বারবার প্রশ্ন করুন। প্রশ্ন করুন—প্রতিক্রিয়া বা মতামতের, ভবিষ্যতে প্রভাব থাকবে কতটুকু। আপনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার হয়তো আগামীকালই কোনো মূল্য থাকবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রতিক্রিয়া না দেখালে ভবিষ্যতে তেমন ক্ষতি হয় না। প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে ভাবুন, স্থির থাকুন।Eprothomalo

ইতিবাচক থাকুন

যেকোনো ঘটনার সময়ই আমরা চাপ অনুভব করি। চাপের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়ি, বিক্ষিপ্ত হয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। এমন পরিস্থিতিতে যতই আমরা ঘটনা নিয়ে ভাবব, কারণ অনুসন্ধানে মনকে ব্যস্ত রাখব, ততই আমাদের শান্ত থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। পরিস্থিতি নিয়ে ‘এটা হলে কেমন হতো’, ‘ওটা না হলে কেমন হতো’-এমন দ্বিধায় জড়াবেন না। সব সময়ই নেতিবাচক কথা মন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচকভাবে মনকে স্থির রাখুন।

ভুল হলে, দুঃখ প্রকাশেও মন স্থির হতে পারে


‘যদি’ এড়িয়ে চলুন

‘ইশ্‌, যদি ব্যাপারটা এমন হতো’—এমন আক্ষেপে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। যেকোনো ঘটনা বা পরিস্থিতিতে যদি-সংক্রান্ত সব প্রশ্ন এড়িয়ে চলুন। যা হয়নি, যা হবে না তা নিয়ে ভেবে ভেবে মনকে বিক্ষিপ্ত করে নিজেকে অশান্ত করবেন না। এমন প্রশ্নে আসলে নিজের ভয় আর সংশয় প্রকাশ পায়।

শরীরের যত্ন নিন

যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা এক দিনের অভ্যাসে তৈরি হবে না। শরীরের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। টুকটাক ও হালকা ব্যায়াম করুন প্রতিদিন। পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে। যোগব্যায়াম করে মনে প্রশান্তি আনুন।

অভিযোগ না করে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন
অভিযোগ না করে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন

ক্যাফেইনকে ‘না’ বলুন

উত্তেজনাকর যেকোনো মুহূর্তে পারতপক্ষে চা-কফির মাত্রা কমিয়ে দিন। চা-কফির ক্যাফেইন আমাদের উদ্দীপ্ত করে, অ্যাড্রেনালিন হরমোনের প্রবাহ বাড়িয়ে উত্তেজিত করে দেয়। উত্তেজনাকর যেকোনো মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন।

বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন

যেকোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিজের মতামত প্রকাশের আগে বন্ধু বা বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে পারেন। আপনি হয়তো যেভাবে ভাবছেন, আপনার বন্ধুর ভাবনা অন্যরকম হতে পারে। অন্যের ভাবনা জানলে আপনার প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন আসতে পারে। আবার বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিলে পরিস্থিতির কারণগুলো আপনি বেশ পরিষ্কার জানতে পারেন।

নিজেকে মুক্ত করুন

খুব চাঞ্চল্যকর কোনো ঘটনায়     আমরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বাহবা নিতে চেষ্টা করি। এমনটা কখনোই করবেন না। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য নিজেকে সরিয়ে নিন অন্য কোনো কাজে। পার্কে ঘুরে আসতে পারেন কিংবা নিজের    কোনো প্রিয় বইয়ের পাতায় নিজেকে সরিয়ে নিন।

রাগ-প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে শিখুন

অন্যের ওপর রাগ প্রদর্শন আমাদের অনেকেরই বাজে অভ্যাস। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। রাগ সহজাত একটি আবেগ, যা নিয়ন্ত্রণ করতে কৌশলী হতে হবে। অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে অন্যদের মতামত জানতে হবে। অন্যের কথাকে সম্মান জানিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে হবে।

2
চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্য সরাসরি হোম ডেলিভারি দিতে বাংলাদেশে শপহুডসের যাত্রা শুরু হলো। পছন্দসই মান সম্মত ৮০ মিলিয়নের বেশি প্রোডাক্ট এখন পাওয়া যাবে শপহুডস স্টোরে।

চাইনিজ ম্যানুফেকচারার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো জিনিস আনাতে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ট্যাক্স, কাস্টম প্রোসেস সঙ্গে নানাবিধ প্রোডাক্ট ডেলিভারি জনিত সমস্যা।


 
এসব কিছুর দায়ভার কাঁধে নিয়ে কাংখিত পণ্য সরাসরি ঢাকায় পৌঁছে দিবে শপহুডস। ঠিকানা অনুযায়ী তা পৌঁছে যাবে বাসা পর্যন্তও।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শপহুডসের ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্টের রিভিউ দেখে অর্ডার দেয়ার সুবিধা আছে। যাতে আপনি আসলেই কোন প্রোডাক্টটি পেতে যাচ্ছেন তার একটা পরিস্কার ধারণা পান।

শপহুডস আপনাকে হুবহু সেই প্রোডাক্টটি দিবে যেটি দেখে আপনি অর্ডার কনফার্ম করবেন।

নির্ভেজাল কেনাকাটার জন্য শপহুডসের আছে সহজ প্যামেন্টের সুবিধা। সুবিধাজনক মাধ্যম ব্যবহার করে সহজেই পরিশোধ করা যাবে দাম আর তারপর সময় মত পৌঁছে যাবে আপনার পণ্য দ্রুততম সময়ে।

আপনার জামাকাপড় থেকে শুরু করে প্রতিদিন ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্য পর্যন্ত নিশ্চিন্তে অর্ডার দিতে শপহুডস দিচ্ছে ভালো মানের নিশ্চয়তা।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র যা এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তা এখন সরাসরি ম্যানুফেকচারারের কাছ থেকে এনে দিবে শপহুডস।

এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে www.shophoods.com এই ঠিকানায়।

3
বর্তমান অনলাইন প্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ চলে আসে। সংবাদ আসা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে সমস্যা তখনই হয় যখন সংবাদটি ভুয়া হয়।

তবে একটু সচেতন হলেই আমরা বুঝতে পারবো সংবাদটি ভুয়া কিনা।তাই ভুয়া সংবাদকে বিশ্বাস করার আগে কয়েকটি বিষয়ে যাচাই করুন। তাহলেই জানতে পারবেন সংবাদটি ভুয়া না সঠিক।

অবাস্তব কথাবার্তা

ভুয়া খবরের শিরোনামে পাঠককে চমকে দিতে অবাস্তব কথাবার্তা লেখা হয়ে থাকে। শেষে দাঁড়ির বদলে একটি বিস্ময়সূচক চিহ্ন দেওয়া হয়ে থাকে।

মূল ওয়েবসাইট

সন্দেহজনক ইউআরএল অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখলে মূল ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।

বানান ভুল

যে সূত্রে সংবাদটি আসছে সেটি কতটা নির্ভরযোগ্য তা যাচাই করা জরুরি। ভুয়া সংবাদ ছড়ানো ওয়েবসাইটগুলোতে বানান ভুল থাকে, খবরের ফরম্যাটে গণ্ডগোল থাকে।

ছবিও ভিডিওতে কারসাজি

ভুয়া খবরে ব্যবহৃত ছবি বা ভিডিওতে অনেক কারসাজি করা থাকে। সন্দেহ হলে যাচাই করা উচিত। এছাড়া ভুয়া খবরগুলোতে অনেক সময় ঘটনার দিনক্ষণে পরিষ্কার অসঙ্গতি চোখে পড়ে।

সংবাদমাধ্যম

লেখকের পরিচয় যাচাই করা উচিত। নাম ছাড়া লেখা কোনো সংবাদ নিয়ে সন্দিহান হতে হবে। অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত না হলে সেটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

কোনো সংবাদ পড়ার পর চিন্তা করুন। বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেই শুধু শেয়ার করবেন, না হলে নয়।


4
কলমি কাবাব বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। বিকালের চায়ের আড্ডায় বা অতিথি আপ্যায়নে খুব সহজে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন কলমি কাবাব।

আসুন দেখে নেই কীভাবে তৈরি করবেন কলমি কাবাব।

উপকরণ

মুরগী- ১ কেজি, টক দই- ৪০০ গ্রাম, মরিচ গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা- এ টেবিল চামচ, চাট মসলা- ২ চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো- ১ চা-চামচ, লেবুর রস- ২ চা-চামচ লবণ, তেল পরিমাণ মতো।

প্রণালি

মাংস বড় বড় টুকরো করে দু-দিক চিরে নিন। এবার সমস্ত মসলা লেবুর রস, চাট মসলা, দই মাংসে মাখিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টা রেখে দিন।

তারপর মাংসটা একটা পাত্রে বেক করে নিন ৩০ মিনিট। বেক হয়ে গেলে লেবুর রস ও চাট মসলা দিয়ে পরিবেশন করুন।

5
সন্তান অবাধ্য এই অভিযোগ অনেক বাবা-মা করে থাকেন।অবাধ্য ছেলে বা মেয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ে আত্মীয় বা বন্ধু মহলে আলোচনাও কম হয় না। কিন্তু ভেবে দেখেছেন, কেন কথা শোনে না আপনার সন্তান?

কথা না শোনা কি দোষ, না কি সেখানে কোনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে আপনার তরফ থেকে।

আসুন জেনে নেই সন্তান কথা না শুনলে কী করবেন।

নির্দেশের ভঙ্গিতে

নির্দেশের ভঙ্গিতে কথা বললে তা শিশুর পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বরং তাকে খেলার ছলে নির্দেশ দিন। সংক্ষেপে বলুন আর শিশুর বয়স অনুপাতে শব্দ প্রয়োগ করুন।

মনোবিদদের মতে, বেশির ভাগ শিশুই বুঝতে পারে না ঠিক কী করলে সে বকুনি খাবে না, এই টেনশন থেকেই সে কথা শোনার প্রবৃত্তি হারায়।

শিশুর কথার গুরুত্ব দিন

সন্তান যখন কথা বলে, কিছু বোঝাতে চায়, তখন তার কথার গুরুত্ব দেন কি? না কি সে সব পাত্তা না দিয়ে কেবল নিজের চাহিদা ও তার ভুল-ত্রুটি নিয়েই ধমক দিতে থাকেন? তা হলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বদলান। সন্তান অন্যায় করলেও তাকে তার স্বপক্ষের যুক্তিগুলো বলতে দিন। তা হলে সন্তানকে ঠিক পথে আনতে পারবেন।

খেলাধুলা

সন্তান যখন তার বন্ধু বা স্কুলের গল্প বলে, বা আপনার সঙ্গে খেলতে চায় তখন তা আমল দেন? অনেক সময়ই দেখা যায়, সন্তান কথা বললে যে সব অভিভাবক পাত্তা দেন না, তাদের সন্তানদের মধ্যে এ নিয়ে চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়। অবচেতনে সেই ক্ষোভ বুঝতে পারে না সন্তানও। কিন্তু তার প্রভাব তৈরি হয় আচরণে।

ইচ্ছাকৃতই বাবা-মায়ের অবাধ্য

অনেক সন্তান আছে, যারা ইচ্ছাকৃতই বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়। খুব ছোটবেলাতেই এমন স্বভাবের হদিশ পেলে তাকে প্রথমেই শাসন করে আরও একগুঁয়ে করে তুলবেন না। তার চেয়ে তার এই অভ্যাস বদলাতে তার বেড়ে ওঠায় কিছু নিয়মশৃঙ্খলা আনুন।

সন্তানের সমালোচনা

সারাক্ষণ সন্তানের সমালোচনাই করে যান? অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে খাটো করেন? এতে সন্তাম বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়। এমন স্বভাব নিজের থাকলে আগে তা বদলান। সন্তান যেন কখনও আপনার কাছে তার নিজের মূল্য নিয়ে সংশয়ে না থাকে।

কড়া শাসন

সামান্য অবাধ্য হলেই কি তাকে কড়া শাসন করে ফেলেন? এমন হলে নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণ করুন। সন্তানের হিতে যে কাজটা করছেন, তা যেন তার মনে উল্টো প্রভাব ফেলে আপনাকেই তার দূরের মানুষ করে না তোলে। তার চেয়ে ছোটখাটো ভুল করলে একটু বন্ধুর মতো বোঝান না, দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।




 

 







6
প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ।দেশের রাস্তাগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ঝরে যায় কতো প্রাণ। তবে একটু সচেতন থাকলে এবং কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখলে ঠেকানো যেতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা।

রাস্তায় বের হলে নিরাপদে আবার ঘরে ফিরতে পারবো, এই আশাও করতে পারিনা আমরা। রাস্তায় চলাচলের কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব।


 
রাস্তায় চলার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

১. রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ি দেখে পার হবেন।

২. ফোনে কথা বলবেন না।

৩. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন।

৪. ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করুন।

৫. জেব্রা ক্রসিং না থাকলে সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে দেখে পার হোন।

৬. রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণের লাইটের সংকেত দেখে নিতে হবে।

৭. লাল বাতি মানে থামুন, হলুদ বাতিতে তৈরি হও, সবুজে সামনে চলতে শুরু করতে হবে।

৮. পাবলিক বাসে ওঠা ও নামার সময় সতর্ক থাকুন।

৯. আমাদের দেশে গাড়িগুলো সাধারণত রাস্তার বাম দিক দিয়ে চলে তাই ডানপাশ দিয়ে হাঁটুন।

১০. বাইক চালানোর সময় ফুটপাতে ওঠাবেননা।

১১. গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, সর্তক থাকুন।
রাস্তায় নিরাপদে থাকতে, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।

7
Faculty Sections / নানা স্বাদে ডিম
« on: July 17, 2018, 02:39:12 PM »

টার্কিশ এগ কারি

উপকরণ: জলপাই তেল ৩ টেবিল চামচ, বড় পেঁয়াজ (কুচি) ১টি, ক্যাপসিকাম লাল, সবুজ, হলুদ কুচি ৩টি, টমেটো কুচি ৩ কাপ, রসুন ৪ কোয়া (কুচি), লবণ স্বাদ অনুসারে, ডিম ৬টি, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ ও পুদিনাপাতা সাজানোর জন্য।

প্রণালি: প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, টমেটো কুচি, গোলমরিচের গুঁড়া, লবণ ৫ থেকে ৭ মিনিট ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। প্যানের মধ্যে একটু জায়গা করে ডিম ছেড়ে দিতে হবে। অনেকটা পোচের মতো দেখতে হবে। আবারও এর ওপর লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, পুদিনাপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর পরিবেশন।

 



ডিম সবজি তরকারি

উপকরণ: সেদ্ধ ডিম ৪টি, চিচিঙ্গা (খোসা ছাড়িয়ে গোল করে কাটা) ২টি, ছোট আলু ৪টি, সবুজ টমেটো ২টি, ছোট চিংড়ি ১০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কোয়া ৩টি, কাঁচা মরিচ ৫টি, নারিকেলের দুধ ৩ কাপ, লবণ ও হলুদ প্রয়োজনমতো, সাদা জিরা ও সরিষা (ফোড়নের জন্য) অল্প পরিমাণ ও তেল ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি: প্রথমে ডিমগুলো সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। ডিমে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। ওই তেলে জিরা, সরষে আর কারি পাতার ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে এর মধ্যে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে হালকা করে ভাজতে হবে। এবার একে একে সব সবজি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। এবার এতে চিংড়ি মাছ বাটা, লবণ ও ডিমগুলো মেশাতে হবে। কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। সবশেষে দুধ, কারি পাতা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

 



ডিম-আলুর সালাদ

উপকরণ: আলু ৫টি, ডিম ৩টি, সেলারি পাতা কুচি আধা কাপ, সেলারি পাতা কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, সরষে বাটা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া পরিমাণমতো ও মেওনেজ সিকি কাপ।

প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখতে হবে। ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে রাখতে হবে। একটু বড় পাত্রে আলু, ডিম, পেঁয়াজ, সেলারি, সরষে বাটা, গোলমরিচ ও মেওনেজ একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।

 



ডিমের সবুজ সালাদ

উপকরণ: সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ ৫টি, লেটুসপাতা প্রয়োজনমতো, লবণ স্বাদ অনুসারে, গোলমরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, সালাদ ড্রেসিং প্রয়োজনমতো ও তাবাস্কো সস সামান্য।

প্রণালি: প্যানে তেল গরম করে তাতে লেটুসপাতা দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। এর মধ্যে লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে প্রথমে লেটুসপাতা দিন, তাঁর ওপরে ডিমের সাদা অংশ দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে। সবশেষে সালাদ ড্রেসিং করে তাবাস্কো সস ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।

 



ডিম চিংড়ি

উপকরণ: সেদ্ধ করা মুরগির ডিম ৬টি, চিংড়ি (ছোট) ১ কাপ, মুরগির মাংসের কিমা ১০০ গ্রাম, বেরেস্তা ১ বাটি, আদা, রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বাদাম বাটা দেড় চা-চামচ, কাশ্মিরী মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, টমেটো পিউরি ১ চা-চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: কড়াইয়ে তেল দিয়ে সেদ্ধ করা ডিমগুলো সামান্য হলুদে মাখিয়ে অল্প ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর কড়াইয়ে আবারও তেল গরম করে মুরগির কিমা দিয়ে অল্প পরিমাণ হলুদ ও রসুন বাটা আর সামান্য লবণ দিয়ে কষিয়ে তুলে রাখতে হবে। এই তেলেই চিংড়ি হালকা ভেজে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ের তেলে একে একে বেরেস্তা, আদা বাটা, রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, টমেটো পিউরি, হলুদ ও কাশ্মিরী মরিচের গুঁড়া দিতে হবে। এরপর সব একসঙ্গে কষাতে হবে। এই কষানো মসলায় কিমা, চিংড়ি দিয়ে আবারও ভালো করে কষাতে হবে। তেল ছেড়ে এলে এর মধ্যে গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে। ২ মিনিট পর ভেজে রাখা ডিম পরিমাণমতো লবণ মাখিয়ে হালকা আঁচে রান্না করতে হবে। ঝোল ঘন হয়ে এলে ওপর থেকে ঘি দিয়ে এক-দুই মিনিট হালকা আঁচে রেখে ধনেপাতা কুচি ওপরে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


8
সৌন্দর্যচর্চায় দীর্ঘদিন ধরেই গোলাপজলের ব্যবহার দেখা যায়। গোলাপের আরও নানা গুণ আছে। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গোলাপের চা দারুণ উপকারী। এটি ক্লান্তিনাশক ও মেজাজ ভালো করার গুণসম্পন্ন। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় রান্নায় গোলাপ ফুলের নানা রকম ব্যবহার দেখা যায়। মিষ্টি সাজাতে বা গোলাপের শুকনো পাপড়ির শরবত তৈরিতে এর ব্যবহার রয়েছে।

এ ছাড়া প্রসাধনী তৈরিতেও এর ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু গোলাপ ব্যবহার করে ওজন কমানো যায়। এ জন্য গোলাপ চা ভালো উপায়। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজমে সহায়ক। বাড়িতে খুব সহজেই গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে চা তৈরি করতে পারেন।

চা তৈরির প্রক্রিয়া: কয়েক উপায়ে চা তৈরি করা যায়। শুকনো পাপড়ির সঙ্গে চায়ের গুঁড়া যোগ করে চা বানানো যায়। এ ছাড়া সতেজ গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে চা তৈরি করতে পারেন।

গোলাপ চায়ের ৫ গুণ
ব্যথানাশক: গোলাপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা গোলাপ চা খেলে ওজন কমাতে পারেন।

ক্ষুধানিবারক: গোলাপ চা ক্যাফেইনমুক্ত। তাই কফি বা চায়ের বিকল্প হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্ষুধানিবারক হিসেবে কাজ করে বলে ওজন বাড়ে না।

হজমশক্তিবর্ধক: শরীরে জন্য হজমশক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে গোলাপ। ওজন কমানোর জন্য পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কার্যকর রাখা জরুরি। গোলাপের চা পাচকতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে তাই গোলাপ চা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া সমস্যায় হারবাল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিষনাশক: গোলাপ চাকে বলা হয় বিষনাশক। মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধ ছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে গোলাপ চা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গোলাপ চায়ে থাকে ভিটামিন সি। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে আগে শরীরের সব রোগ দূর করা দরকার। শরীরের সংক্রমণ দূর করতে গোলাপের ভিটামিন সি কার্যকর।

9
এই গরম, আর্দ্রতা ও ভাপসা আবহাওয়ায় ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিজ জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে ৷ ভিজে শরীর ভালোভাবে না মুছলে, ভিজে কাপড় ভালোভাবে না শুকিয়ে গায়ে দিলে, রোদ না থাকায় স্যাঁতসেঁতে ঘর—ইত্যাদি কারণে বর্ষাকালে ত্বকের বেশ কিছু অসুখ হয় ৷

এই সময়ে যে কটি চর্মরোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে ঘামাচির পরই ছত্রাকজনিত চর্মরোগ অন্যতম। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, বর্ষাকালে লাগাতার বৃষ্টির কারণে প্রায়ই রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকে। রাস্তার এসব ময়লা পানি শিশুর ত্বকে লাগলে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে। ত্বক ভেজা থাকলে সহজেই ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। বৃষ্টির পানি লাগলে দ্রুত তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ও শরীর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে। আর যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়, তাদেরই এই রোগগুলো বেশি হতে দেখা যায়।

ছত্রাকের আক্রমণ

রোগটির চিকিৎসা দেওয়া হলে খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়। হতাশার দিক হচ্ছে যে কিছুদিন যেতে না-যেতেই পুনরায় দেখা দেয়। আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটু ভালো হওয়ামাত্রই রোগী ওষুধটি বন্ধ করে দেয়। আবার যারা ঠিকমতো ওষুধ ব্যবহার করে, তারাও কিন্তু ঠিকমতো ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করে বা রাখে না ফলে খুব সহজেই কাপড়-চোপড় থেকে পুনরায় ছত্রাক দেহে প্রবেশ করে এবং সে কারণেই এ রোগটি কিছুদিনের মধ্যে পুনরায় দেখা দিতে পারে।

কী কী ধরনের ছত্রাক রোগ এই সময়ে হতে পারে?

মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন: ১. দাদ ২. ছুলি ও ৩. ক্যানডিডিয়াসিস।

এই তিন ধরনের ছত্রাক প্রজাতির সবই মূলত ত্বকের বাইরের অংশকে আক্রমণ করে এবং সেই আক্রমণ স্যাঁতসেঁতে, নোংরা, ঘর্মাক্ত দেহে সবচেয়ে বেশি হতে দেখা যায়।

দাদ শরীরের যেকোনো স্থানে দেখা দিতে পারে। তবে দেখা গেছে সাধারণত তলপেট, পেট, কোমর, পাছা, পিঠ, মাথা, কুচকি ইত্যাদি স্থানে বেশি আক্রান্ত হয়।

টিনিয়া ভারছিকলার বা ছুলিও একটি ছত্রাকজনিত রোগ। গরমকালে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়, শীতকালে আবার এমনিতেই যেন মিলিয়ে যায়। আবার গরম এলে ঘাড়ের চামড়া ভিজে থাকে। সেখানেই সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। যা দেখতে হালকা বাদামি, সাদা গোলাকৃতি মতো দেখা যায়। বুকে, গলার দুপাশে ঘাড়ের পেছনে, পিঠে, বগলের নিচে, এমনকি সারা শরীরে হতে পারে। এতে ত্বক দেখতে সাদা হয়। তাই অনেকেই আবার একে শ্বেতী ভাবতেও শুরু করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শ্বেতীর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

ক্যানডিডিয়াসিসও একটি ছত্রাকজনিত চর্মরোগ। যাদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন শিশু-বৃদ্ধ কিংবা রোগাক্রান্ত, ডায়াবেটিস আক্রান্ত, দীর্ঘদিন ধরে যারা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেছে কিংবা যাদের ত্বকের ভাঁজ পানিতে অথবা ঘামে সব সময় ভেজা থাকে তাদেরই এই রোগটি বেশি হয় যারা সব সময় পানি নড়াচড়া করে, তাদের আঙুলের ফাঁকে, হাতের ভাঁজে, শিশুদের জিহ্বা, মহিলাদের যোনিপথে এবং গর্ভবতী নারীরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এতে ত্বকের আক্রান্ত স্থান একটু লালচে ধরনের দেখা যায় এবং সঙ্গে প্রচর চুলকানি হয়ে থাকে।

ছত্রাক থেকে দূরে থাকা যায় কীভাবে?

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছত্রাক সংক্রমণ প্রায় ১০০ ভাগ নিরাময় করা সম্ভব। তবে সেটা আবারও হতে পারে। কারণ, ত্বকে ফাঙ্গাস বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি হলে সেখানে ফাঙ্গাস বেড়ে উঠতে চেষ্টা করবে। তাই ফাঙ্গাস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেগুলো হচ্ছে পা, আঙুলের ফাঁক, নখের গোড়া ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আর ত্বক পরিষ্কার বা ধোয়ার পর শুষ্ক টাওয়েল দিয়ে ভেজা স্থান মুছে শুষ্ক করে ফেলতে হবে। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁক, ঊরুসন্ধির ভাঁজ, বগল, ঘাড়, মাথার চুল ইত্যাদি পুরোপুরি শুকনো না করলে সেখানে ফাঙ্গাস বেড়ে উঠতে পারে।

ত্বকের ছোঁয়াচে রোগ

স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া ত্বকের একটি ছোঁয়াচে রোগ। যে কেউ যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বর্ষাকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার এমনকি ঘনবসতিপূর্ণ ঘরে একত্রে বসবাস করে যেমন স্কুল, হোস্টেল, বস্তি এলাকায় তাদের মধ্যে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চুলকানি হলো প্রধান উপসর্গ আর রাতে সেই চুলকানি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ঘা হতে পারে।

কীভাবে ছড়ায়?

অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে একসঙ্গে বিছানায় শুলে কিংবা ব্যবহারকৃত কাপড় অন্য কেউ ব্যবহার করলে খুব সহজেই এ রোগ ছড়াতে পারে। কারণ জীবাণুটি ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্য দুই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শিশু-কিশোরেরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

অন্য রোগগুলোও কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে কিছু সাধারণ নিয়মকানুন যেমন: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত গোসল ইত্যাদি মেনে চললে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

এই সময়ের সচেতনতা

* এ সময় ভারী জামা-কাপড় না পরে হালকা রঙের সুতি পাতলা জামা পরুন। ঘামে ভিজে গেলে দ্রুত পাল্টে নিন। ভেজা কাপড় পরে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।

* প্রয়োজনে দিনে দুবার গোসল করুন। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ঘামে বা বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।

* এই সময় সারা দিন জুতা-মোজা না পরে বরং খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। তবে খালি পায়ে হাঁটবেন না। রাস্তায় এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেননা, এই পানিতে রয়েছে হাজার রকমের জীবাণু।

* ভেজা চুল ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে তবে বাঁধবেন, নইলে মাথার ত্বকে সমস্যা হতে পারে।

* বাড়িতে কারও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে শিশুদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।

* বর্ষার ফল খেতে হবে। বেল, কলা, পেয়ারা, শসা, টমেটো, গাজর, পাতিলেবু ও জাম্বুরা ত্বকে এনে দেয় প্রাণ।

 

10
২০১৬ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি সাতজনের একজন আক্রান্ত হয়েছেন বায়ুদূষণের কারণে। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

প্রাথমিকভাবে বলা হয়, মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও বসে বসে কাজ করার কারণে ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণ এ রোগের অন্যতম নিয়ামক। বায়ুদূষণ শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। রক্তের শর্করাকে শক্তিতে পরিণত করতে শরীরকে বাধা দেয়।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জিয়াদ আল-আলী বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আমরা বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণ ও ডায়াবেটিসের মধ্যে সুস্পষ্ট যোগসূত্র দেখতে পেয়েছি।’

চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী লেনসেট প্ল্যানেটরি হেলথে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ইউএন এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বায়ুদূষণের যে মাত্রাকে স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ মনে করছে, তা আসলে নিরাপদ নয়। বায়ুদূষণের সেই পর্যায়ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আল-আলী বলেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যবসাসংক্রান্ত লবি গ্রুপগুলো দাবি করছে, বর্তমান বায়ুদূষণের গাইডলাইনগুলো খুবই কঠোর। তা শিথিল করা উচিত। কিন্তু তথ্য প্রমাণে দেখা গেছে, এটি মোটেই যথেষ্ট নয়। আরও কঠোর হওয়া উচিত।

গবেষক দলটি ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্স ক্লিনিক এপিডেমোলজি সেন্টারের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিলে কাজটি করেছে। সেখানে ডায়াবেটিসের অতীত ইতিহাস নেই এমন ১৭ লাখ মার্কিন প্রবীণ ব্যক্তির তথ্য গবেষণা করে দেখা হয়।

গবেষণায় বায়ুদূষণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বায়ুদূষণের কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

বিশ্বজুড়ে ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বিশ্বে দ্রুত ক্রমবর্ধমান রোগের একটি।

11
প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে ব্যায়াম করবেন বলে ছয় মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রত্যয়টি কোনোভাবে বাস্তবের মুখ দেখছে না। আগামীকাল দেখিয়ে দেব ভেবে ঘুমাতে যান হয়তো, আর ঘুম ভাঙলে সব প্রত্যয় উবে যায়। কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যায়, তা নিয়ে এবারের আয়োজন।

অনুপ্রেরণা বনাম অভ্যাস
অনুপ্রেরণা আজ একরকম, কাল আরেক রকম। আপনি যদি অভ্যাস তৈরি করতে পারেন তাহলে ব্যায়াম থেকে শুরু করে প্রতিদিন যেকোনো কাজই করতে পারবেন।
প্রতিদিন যদি অনুপ্রেরণার জোরে ভোর পাঁচটায় ওঠার পরিকল্পনা করেন, তাহলে কোনো কোনো দিন নাও ঘুম ভাঙতে পারে। ভোরের একটু বৃষ্টি আর বিছানার ওম ছেড়ে ওঠা কি এত সহজ? উল্টো দিকে আপনি যদি অভ্যাস আর নিয়মে অনুরক্ত হন তাহলে রোদ-বৃষ্টি-শীত কোনো কিছুই আপনাকে সকালে উঠতে আটকাতে পারবে না।
পরিবেশ বদলে ফেলুন
একই পরিবেশে সব সময় থাকতে থাকতে অজান্তেই নিজেকে বিষাদের চক্রে আটকে ফেলি। নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবেশে না থেকে চারপাশে নতুন কিছু তৈরি করুন। নিজের ঘরটিকে ভিন্নভাবে গুছিয়ে নিন। অফিসের কাজের টেবিলকে একটু এদিক-সেদিক করে নিজের চারপাশে নতুন পরিবেশ তৈরি করুন। নতুন পরিবেশে আমাদের মস্তিষ্কে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। আগ্রহ আর মনের জোর বাড়াতে পরিবেশ বদলে নিন।

পোশাকে মনোযোগ দিন
মনের দুর্বলতা আর বিষণ্নতাকে প্রভাবিত করে আমরা কি পরছি তার ওপর। কোন রঙের পোশাক পরছি, কোন ধরনের পোশাকে নিজেকে আয়নার সামনে দেখি তা আমাদের অবচেতন মনের ওপর প্রভাব ফেলে। নিজেকে সামাজিক কোনো অবস্থানে ছোট মনে হলে পোশাক পরিবর্তন করুন। আপনাকে যে পোশাকে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়, তাই পরে নিজের মনের জোর বাড়ান।

অনুপ্রেরণার গল্প থেকে শিক্ষা নিন
অন্যদের সাফল্যের গল্প থেকে নিজের জন্য শিক্ষা খুঁজে নিন। অন্যদের ব্যর্থতা থেকে নিজের জন্য কী শিক্ষা হতে পারে, তা ভাবার চেষ্টা করুন। গল্পের পেছনের মূল ভাবনা কীভাবে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

ছোট ছোট লক্ষ্যে এগিয়ে যান
এক দিনে ২০ মাইল দৌড়ানো কি সম্ভব? হুট করেই এক দিন এমন দীর্ঘ পথ দৌড়ানো যেমন অসম্ভব, তেমনি এক দিনে হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস লেখাও অসম্ভব। আপনি যদি প্রতিদিন ২০ মিনিট করে লেখা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করেন, তাহলে একদিন ২০ মাইল ছাপিয়ে যেতে পারেন। ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে প্রতিদিন একটু একটু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন
হয়তো ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ভোর ছয়টা বাজলে অ্যালার্মের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করছেন। উল্টোভাবে চিন্তা করে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করুন। রাতে এমন সময় ঘুমান যেন ভোর ছয়টায় আপনার এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়। সময়কে নিজের জন্য আয়ত্ত করতে শিখুন।

12
বাংলাদেশে আমের মৌসুম মে থেকে আগস্ট-এই তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ গড়ে তিন কেজি করে আম খায়। পাকা-মিষ্টি আমের পুষ্টিগুণ অনেক, এটি কমবেশি সবার জানা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রথমবারের মতো জানা গেল, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের জন্য কতটা উপকারী আম। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বলছেন, আম রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া (পোস্ট মেনুপোসাল) ২৪ জন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নারীকে নিয়ে করা এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষকেরা বলছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর এই ফল।

আম নিয়ে এই গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের গবেষকেরা। তাঁরা দেখেছেন, আম খাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর রক্তনালি শিথিল হয়ে যায়। এটাই রক্তচাপ কমার কারণ। আমের আরও একটি উপকারের কথা বলেছেন গবেষকেরা। তা হলো, আম খাওয়ার পর অন্ত্র বেশি সক্রিয় হয়।

হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে আমের কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্বে এটিই প্রথম কোনো গবেষণা। চলতি জুন মাসেই আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশনের বার্ষিক সম্মেলনে (নিউট্রিশন-২০১৮) গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এই গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ম্যাঙ্গো বোর্ড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

গবেষকেরা বলছেন, আমে কার্বলিক অ্যাসিডের মিশ্রণ থাকে। যা স্বাস্থ্য সুরক্ষার সম্ভাব্য উপকরণ। গবেষকেরা মনে করেন, আমে থাকা সক্রিয় যৌগ স্বাস্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আম নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, বয়স বেশি হওয়ার কারণে যেসব নারীর মাসিক স্বাভাবিক কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তাঁদের শরীরে হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে। মাসিক বন্ধ হওয়া নারীদের রক্তচাপ বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে।

বিভিন্ন শস্য, সবজি ও ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমা শাহীন। তিনি বলেন, আমের রাসায়নিকের হরমোনজনিত প্রভাব আছে, যা গ্রন্থিবাত, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

পদ্ধতি ও ফলাফল
মাসিক বন্ধ হওয়া ২৪ জন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নারীকে দৈনিক ৩৩০ গ্রাম মিষ্টি আম খেতে দেওয়া হতো। গবেষণার জন্য পরপর ১৪ দিন তাঁদের ওই পরিমাণ আম থেকে খাওয়ানো হয়। আম খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর এসব নারীর হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, রক্তের নমুনা ও শ্বাসপ্রশ্বাস পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, সিস্টোলিক রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। হৃৎস্পন্দনের সময় রক্তনালির দেয়ালে প্রবহমান রক্ত যে চাপ প্রয়োগ করে, সেটাই সিস্টোলিক রক্তচাপ (রক্তচাপ মাপার সময় ওপরের সংখ্যা)।

গবেষকেরা দেখেছেন, আম খাওয়ার পর পালস প্রেশার বা ধমনি স্পন্দন চাপও কমে। স্পন্দন চাপ হচ্ছে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক (রক্তচাপ মাপার সময় নিচের সংখ্যা) রক্তচাপের মধ্যকার সংখ্যার পার্থক্য। আম খেলে এই পার্থক্য কম হয়। গবেষকেরা শ্বাসপ্রশ্বাসে হাইড্রোজেন ও মিথেনের পরিমাণও মেপে দেখেন। অন্ত্রে অণুজীবের সক্রিয়তায় এসব গ্যাস তৈরি হয়। ২৪ জন নারীর মধ্যে ৬ জনের নিশ্বাসে মিথেন পাওয়া যায়। এই ছয়জনের মধ্যে তিনজনের আম খাওয়ার পর মিথেনের পরিমাণ কমে। এর অর্থ তাঁদের অন্ত্র ভালো ছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম আম উৎপাদনকারী দেশ। চিকিৎসকেরা বলছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া প্রয়োজন।

13
ইফতারে প্রতিদিন এক আইটেম খেতে নিশ্চয়ই ভালোলাগে না? তাই ইফতারে রেসিপিতে আনতে পারেন ভিন্ন স্বাদ। তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফিশ চপ।


 
আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মুখরোচক ফিশ চপ।

উপকরণ

কোরাল মাছ ১০০ গ্রাম, পানি ৫০ মি.লি., তেল ১০ মি.লি., ময়দা ৬০ গ্রাম, আলু ৫ টুকরা, মোজেরেলা চিজ ২০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ১০ গ্রাম, নাগেটস মিক্স ৫ টেবিল চামচ, কোরাল মাছ ১০০ গ্রাম।

প্রণালি
আলু, কাঁচা মরিচ ধুয়ে কেটে নিতে হবে। ফ্রাই প্যানে তেল নিয়ে কোরাল মাছ দিয়ে তাতে আলুর টুকরা এবং কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দিন।

এবার নর নাগেটস মিক্স দিয়ে ১০ মিনিট ভাজুন। মিক্সটি ঠান্ডা হতে দিন। এবার হাতের সাহায্যে আলুগুলো ম্যাশ করে নিন। এতে মোজেরেলা চিজ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

ছোট ছোট ফিশ চপ তৈরি করুন। আরেকটি পাত্রে ৩ টেবিল চামচ নাগেটস মিক্স, ময়দা এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন।

এবার ময়দার মিশ্রণে ফিশ চপগুলো ডুবিয়ে নিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন। বাদামি রং ধারণ করলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


 

14
আপনি জানেন কি শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি। অনেক বাবা-মা হয় তো জানেন না শিশুর মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো তিনটি জিনিস জানা জরুরি।


 
আপনি হয় তো জানেন শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য ঠিক কতটা পুষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু আপনি কি এটি জানেন যে, কোন শিশুর প্রাথমিক বছরগুলোতে, তার মস্তিষ্কের সব থেকে দ্রুত বিকাশ ঘটে এবং সেই বিকাশের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পুষ্টির। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রাথমিক বছরগুলোতে মস্তিষ্কের বিকাশ

২-৬ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের মস্তিষ্কের বহুল মাত্রায় বিকাশ ঘটে। পুষ্টিবিজ্ঞান বলেছে, মাত্র ৬ বছরের মধ্যেই বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে যায় ৯০ শতাংশ।

এই সময়ের মধ্যে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ লাখ নিউরাল সংযোগ হয়। দক্ষ কার্যকারিতার জন্য, একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সংযোগকারিতা হ্রাস পায়, যার নাম প্রাণিং।


 
এটিই হল সেই সময়, যখন মস্তিষ্ক তার ভেতরের জটিল নেটওয়ার্ক সংযোগগুলোকে পুনর্বিন্যাস করে, যা পরবর্তী জীবনে কোনো মানুষের উপলব্ধি, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সামাজিক দক্ষতা ইত্যাদি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

এই প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট আকর্ষণীয়ও বটে। প্রথমে দেখা ও শোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর জন্য সংযোগ এবং সংবেদনশীল উপায়গুলো বিকশিত হয়। এর পরবর্তী ধাপে শিশুদের ভাষা ও অন্যান্য জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।

এই সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা এবং তাদের শিশুদের যত্ন নেওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি শিশুদের মস্তিষ্কের সামগ্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সুনিশ্চিত করা

শারীরিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য শিশুর ঠিক কতটা পুষ্টি প্রয়োজন, তার দিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে চান বাবা-মায়েরা। কিন্তু কীভাবে তারা বাচ্চাদের মস্তিষ্কের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রদান করতে পারেন?



নিচে এমন কিছু অপরিহার্য পুষ্টির কথা বলা হল, যা বাচ্চাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- ডেকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড (ডিএইচএ)

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

মূল নার্ভাস সিস্টেমের অন্তর্বর্তী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা কুঠুরিগুলোর বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এ ধরনের পুষ্টিগ্রহণ যে কোনো শিশুর বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

ডিএইচএ

ডিএইচএর অভাবের ফলে শিশুদের বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন মানসিক চাপ, আবেগপ্রবণতা ইত্যাদি। কিন্তু শিশুদের রোজকার ডায়েটে খুব কম পরিমাণেই ডিএইচএ পাওয়া যায়।

ক্লোরিন

স্মৃতিশক্তি তৈরি এবং তা ধারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তার মাধ্যমে ক্লোরিন বিশেষভাবে শিশুদের মস্তিষ্কের সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে।

আয়রন

রক্তে অক্সিজেনের বাহক হিসেবে আয়রন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সবারই জানা। শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় আয়রনের অভাব নার্ভাস সিস্টেমের মধ্যে প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। শিশুদের শেখার বা শিখতে চাওয়ার অভ্যাসকে ধরে রাখার জন্য আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন-বি

ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের মধ্যে ৮টি ভিটামিন রয়েছে। এ ভিটামিনগুলো মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটার এবং শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আয়োডিন ও জিংক নার্ভাস সিস্টেম ও সাধারণ মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে স্বাদ-গন্ধের মতো সংবেদনশীল প্রক্রিয়াগুলোর বিকাশের নেপথ্যে রয়েছে জিংক।

প্রাথমিক বছরগুলোতে কোনো শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য এ পুষ্টিগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেক বাবা-মায়েই জানেন না যে বাচ্চাদের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ঠিক কতটা পরিমাণে পুষ্টিগ্রহণ প্রয়োজন।

পাশাপাশি খিদে কম পাওয়ার দরুন বাচ্চারা খায়ও কম। বলাবাহুল্য, কোনো প্রাপ্তবয়স্কোর তুলনায় বাচ্চাদের তিন ভাগের এক ভাগ খিদে পায়। ফলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুলো গ্রহণ করা হয়ে পড়ে আরও কঠিন

15
সারা দিন রোজা রাখার কারণে অ্যাসিডিটি হয় অনেকের। যদি আপনার বুক, গলা জ্বলে ও গ্যাস ফর্ম করে তবে বুঝতে হবে আপনার অ্যাসিডিটি হচ্ছে। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস আর স্বাস্থ্যকর খাবার অ্যাসিডিটি আপনাকে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে।


 
অ্যাসিডিটি কেন হয়?

অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া খেলে, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করার আগে যদি কেউ অ্যাসিডিটি দূর করার ওষুধ না খায়, যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের আগে কেউ যদি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না খায়। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে।

এছাড়া ধূমপান আর অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন গ্রহণ অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ। আমাদের পাকস্থলী পরিপাক প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একধরনের অ্যাসিড নিঃসরণ করে। আর অ্যাসিডিটি তখনই হয় যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অ্যাসিড নিঃসরণ হয়।

সময় থাকতেই অ্যাসিডিটির প্রতি সচেতন হন। অ্যাসিডিটির জন্য দামিদামি ওষুধ কেনার দরকার নেই, কিছু সাধারণ উপাদান যা আমাদের রান্নাঘরেই পাওয়া যায় তা দিয়েই অ্যাসিডিটি দূর করতে পারবেন।

আসুন জেনে নেই রোজায় অ্যাসিডিটি কীভাবে দূর করবেন।

ঘৃতকুমারী

পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সঙ্গে অ্যাসিডিটির সমস্যাও সমাধান করে দেয় ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা। এক আউন্স ঘৃতকুমারীর রসের সঙ্গে ২ আউন্স পানি মিশিয়ে পান করুন।

ভিটামিন ডি

পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে তা পরিপাকতন্ত্রের ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে। ডিম, কড লিভার অয়েল, দুধ, মাছ ভিটামিন ডি এর উৎস।

চিপস, কুকিজ, পিৎজা

প্রসেসড ফুড যেমন- চিপস, কুকিজ, পিৎজা পরিপাকতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়াল ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই অ্যাসিডিটি তাড়াতে প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকুন এবং তাজা সবজি এবং ফলমূল খান।

বেকিং সোডা

এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন আর মুহূর্তেই চনমনে হয়ে উঠুন। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী বা যাদের সোডিয়াম খাওয়া মানা আছে তারা এই পদ্ধতি মানতে যাবেন না যেন।

শসার সালাদ

ভাজাভুজির সঙ্গে শসার সালাদ খেয়ে দেখুন অ্যাসিডিটি আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে।

আদা

আদা পাচনতন্ত্রকে ঠাণ্ডা করে। আদা সব প্রকার পেটের পীড়া, গ্যাস প্রতিরোধক। অ্যাসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে এক কাপ গরম পানিতে হাফ চা চামচ আদা কুচি মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।


Pages: [1] 2 3 ... 5