Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - faruque

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 43
31
Islam / আত্মশুদ্ধির আলোচনা
« on: November 16, 2017, 09:55:09 AM »
আত্মশুদ্ধির আলোচনা



প্রশান্ত আত্মা ছাড়া আল্লাহর কাছে কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য নয়। সুস্থ কলব ছাড়া সেদিন কোনো কিছুই কাজে আসবে না।

তাই কলবের সুস্থতা অর্জন এবং তা বজায় রাখার সাধনায় ব্রতী হতে হবে আমাদের। মাটির এই দেহের সুস্থতার জন্য কত চেষ্টা-প্রচেষ্টা আমাদের। কিছু হলেই ডাক্তারখানায়, হাসপাতালে ছোটাছুটি করি। এই টেস্ট, সেই টেস্ট করে ওষুধের পর ওষুধ খাই সুস্থ হওয়ার জন্য। আচ্ছা ভাই, আমরা কি কখনো আত্মার কথা ভেবেছি? আমাদের কলব কতটুকু সুস্থ আছে তলিয়ে দেখেছি? অসুস্থ কলব সুস্থ করার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছি কি আমরা? কোরআনের বৈজ্ঞানিক মেশিনে এক্স-রে করে দেখেছি কি আমাদের হৃদয়ে কত ময়লা জমেছে? কখনো কি শরণাপন্ন হয়েছি কোনো আত্মার চিকিৎসকের কাছে? ‘ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমা ইউবআসুন। ইয়াওমা লা ইয়ানফাও মালু ওয়ালা বানুন। ইল্লা মান আতাল্লাহি বিকালবিন সালিম। ওগো পরওয়ার দেগার আমার! কেয়ামতের দিন তুমি আমাকে অপমানিত কর না। যেদিন সম্পদ ও সন্তান, প্রাচুর্য ও প্রতিপত্তি কোনো কিছুই উপকারে আসবে না।

একমাত্র উপকারে আসবে প্রশান্ত আত্মা-সুস্থ কলব। যে ব্যক্তি সুস্থ কলব নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াবে শুধু সেই মুক্তি পাবে’ (সূরা শোয়ারা : ৮৭৮-৮৯)।
মুসলিম মিল্লাতের পিতা সাইয়েদেনা ইবরাহিম (আ.) কেঁদে কেঁদে এ দোয়াই করেছেন জীবনভর। শুধু তাই নয়, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সুস্থ কলবওয়ালা হওয়ার জন্য, কলবের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য নিরন্তন প্রচেষ্টা করেছেন। যে প্রচেষ্টার নাম ‘জিহাদে আকবার’ দিয়েছেন আমাদের পেয়ারা নবী (সা.)। একবার তিনি (সা.) জিহাদ থেকে ফিরে সৈনিকদের বলছেন, ‘আমার সাহাবিরা শোন! এতক্ষণ আমরা ছোট জিহাদে ছিলাম। এখন আমাদের বড় জিহাদে নামতে হবে। এটা হলো নফসের সঙ্গে লড়াই করে কলবের সুস্থতা বজায় রাখার লড়াই। জেনে রাখ, এটাই জিহাদে আকবর বা বড় জিহাদ। ’

কলব সুস্থ করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। আল্লামা ইয়ার খান (রহ.) তার ‘দালায়েলুস সুলুক’ গ্রন্থে সংক্ষেপে এ দুটি পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, শরীরের মতো কলবও অসুস্থ হয়। কলবের অসুস্থতা হলো কুফরি চিন্তা-ভাবনা করা, মিথ্যা কথা বলা, হিংসা করা, বিদ্বেষভাব, অহংকার, রিয়া, আত্মগরিমা ইত্যাদি। এসব ধ্বংসাত্মক রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে একজন আত্মার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। একমাত্র আধ্যাত্মিক চিকিৎসকই পারবেন আত্মার এসব ব্যাধি সারিয়ে তুলে আপনাকে কলবে সালিম তথা সুস্থ কলবওয়ালা মানুষ হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড় করাতে।

অসুস্থ কলবকে সুস্থ করার পর দুটি গুরুত্বপূর্ণ করণীয় আছে। এ কলব যেন ফের রোগাক্রান্ত না হয় এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে না পড়ে। এ জন্য প্রয়োজন কলবকে শক্তিশালী করে তোলা। আর শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য। কলবের জন্য সুষম খাদ্য একটিই। আল্লাহ বলেন, ‘আলা বিজিকরিল্লাহি তাতমাইন্নুল কুলুব। মনোযোগ দিয়ে শোন! একমাত্র আল্লাহর জিকিরেই কলবের প্রশান্তি ও সুস্থতা রয়েছে। ’ কলবের সুস্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সুস্থ কলব ছাড়া আখেরাতে আল্লাহর কাছে আর কিছুই পেশ করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, দুনিয়ার জীবনে সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য, সুখী মানুষ হতে হলে সুস্থ কলবের অধিকারী হতে হবে। বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ মিশকাতুল মাসাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মানবদেহে একটি মাংসের টুকরো আছে। এটি সুস্থ থাকলে তার শরীর-মন সব সুস্থ থাকবে। আর এটি অসুস্থ হয়ে গেলে সবই অসুস্থ অসুন্দর হয়ে যাবে। সুন্দর জীবন অসুন্দরের থাবায় মলিন হয়ে পড়বে। ’ এরপর রসুল (সা.) ওই মাংসের টুকরোটির পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আলা ওয়াহিয়াল কলব। জেনে রাখো! সেটা হলো কলব। ’

এ হাদিসে বলা হয়েছে, কলব তথা আত্মা পরিশুদ্ধ থাকলে সব সুন্দর হয়ে ওঠে। তাই তো আল্লাহতায়ালা সুন্দর কলবগুলোকেই তাকওয়ার জন্য, জান্নাতের জন্য নির্বাচন করেন। আল্লাহ বলেন, ‘উলা ইকাল্লাজি নামতাহানাল্লাহু কুলুবুহুম লিত্তাকওয়া। সুস্থ আত্মাওয়ালাদের কলবই আল্লাহতায়ালা তাকওয়ার জন্য নির্বাচন করেন। ’ আর যাদের আত্মা অসুস্থ, কুৎসিত রোগে আক্রান্ত, তাদের কলবের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলছেন, ‘বাল রানা আলা কুলুবিহিম—যেন তাদের কলবে-আত্মায় মরীচিকা পড়েছে। ’ ‘লাহুম কুলুবুললা ইয়াফকহুনা বিহা—তাদের কলব দিয়ে তারা কিছুই বোঝে না। ’ একপর্যায় এ ধরনের কলবওয়ালা তাদের নিষ্ঠুরতা ও গাফিলতির কারণে জাহান্নামের উপযুক্ত হয়ে পড়ে।    আমরা দেখছি কত সুন্দর-পরিপাটি হয়ে ওমুক সাহেব হেঁটে যাচ্ছেন আসলে সে তো এক কলব-মরা মানুষ। তার ব্যাপারেই আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘খাতামাল্লাহু আলা কুলুবিহিম, ওয়ালা সাময়িহিম, ওয়ালা আবসারিম, গিশাওয়াহ। এ ধরনের মানুষের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছি। ফলে তারা শুনেও শোনে না, দেখেও দেখে না। ওয়ালাহুম আজাবুন আজিম। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। ’

হে আমার দরদি পাঠক ভাই-বোন! চোখ বন্ধ করে একটু ভাবুন, আমাদের আত্মা জীবিত না মৃত? সুস্থ না অসুস্থ? এ আত্মা নিয়ে কি দাঁড়াতে পারব আল্লাহর সামনে? মনে রাখবেন, সেদিন কিন্তু সম্পদের বাহাদুরি, আমলের জারিজুড়ি কোনো কিছুই কাজে আসবে না। ‘ইল্লা মান আতাল্লাহি বি কালবিন সালিম—শুধুমাত্র সুস্থ ও প্রশান্ত আত্মা সেদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর খোশ নসিব অর্জন করবে। হে আল্লাহ আমাদের পরিশুদ্ধ হওয়ার তৌফিক দিন।

32
যেভাবে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করবেন



স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহারে স্লো হয়ে যায়। এছাড়া আরো নানা সমস্যা হয়।

এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করা যায়।
১. প্রথমেই আপনার মোবাইল ফোন মেমোরিতে সংরক্ষিত ডাটা (ছবি, গান, ভিডিও, অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য) ব্যাকআপ করে রাখুন। কারণ, আপডেট হওয়ার সময় আপনার ফোনের ডাটা ডিলিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

২. তারপর Settings ওপেন করুন।

৩. নিচে স্ক্রল করে About Phone এ ক্লিক করুন।

৪. Software Updates এ ক্লিক করুন।

৫. Update/ Check for Updates এ ক্লিক করুন। এটি আপনার মোবাইল এর জন্য কোন আপডেট আছে কিনা তা চেক করবে।

আপডেট আছে কিনা তা নির্ভর করবে আপনার মোবাইল ফোনের উপর। নতুন আপডেট সব মোবাইল এর জন্য থাকে না।
যদি কোন আপডেট থাকে তাহলে তা ডাউনলোড হওয়া শুরু হবে। বড় সাইজের আপডেট এর জন্য আপনার ফোন টিকে Wi-Fi এ কানেক্ট করে রাখুন যাতে আপনার মেগাবাইট শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় না থাকে। 
৬. আপডেট যখন ডাউনলোড হওয়া শেষ হবে, তখন সেই আপডেট টি ইন্সটল হওয়ার জন্য মোবাইল ফোন টি রিস্টার্ট হবে এবং সম্পূর্ণ আপডেট প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশ কিছুক্ষন সময় লাগতে পারে। আপডেট চলাকালিন সময়ে মোবাইল ফোনটি চার্জার এ কানেক্ট করে রাখবেন যাতে মোবাইল এর চার্জ শেষ হয়ে না যায়। 

33
 

শটকাট ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই



অনেক সময় দেখা যায় কোন কারণ ছাড়াই কম্পিউটার শর্টকাট ফাইল-ফোল্ডারে ভরে গেছে। এবং সেগুলোকে বারবার ডিলিট করার পরও এ থেকে মুক্তি মিলছে না। এবং অনেক ফাইল-ফোল্ডার হারিয়েও যাচ্ছে। এ ধরনের সমস্যায় কমবেশি প্রায় সবাই পড়ছেন। এটি কোনো ভাইরাস নয়। এ হলো VBS Script (ভিজুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট)। এ যন্ত্রণা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

CMD ব্যবহার করে
১. ওপেন CMD (Command Prompt – DOS)
২. নিচের কমান্ডটি হুবহু লিখুন
attrib -h -s -r -a /s /d Name_drive:*.*
এবার Name_drive লেখাটিতে যে ড্রাইভটি আপনি শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত করতে চান সেটি লিখুন। যেমন: C ড্রাইভ ভাইরাসমুক্ত করতে চাইলে লিখুন attrib -h -s -r -a /s /d c:*.*
৩. এন্টার বাটন চাপুন
৪. এবার দেখবেন শর্টকাট ভাইরাস ফাইল ও ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এবার ওই ফাইল ও ফোল্ডারগুলো ডিলিট করে দিন।

.bat ব্যবহার করে
Bat ফাইল হলো নোটপ্যাডে লেখা একটি একজেকিউটেবল ফাইল। এতে ডাবল ক্লিক করলেই চালু হয়ে যায়।
১. নোটপ্যাড ওপেন করুন।
২. নিচের কোডটি হুবহু কপি-পেস্ট করুন

@echo off
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
@echo complete.

৩. এবার Name_Drive এর জায়গায় ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভের নাম লিখুন। যদি তিনটির বেশি ড্রাইভ আক্রান্ত হয় তাহলে কমান্ডটি শুধু কপি-পেস্ট করলেই চলবে।
৪. removevirus.bat এই নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করুন।
৫. এবার ফাইলটি বন্ধ করে ডাবল ক্লিক করে রান করুন।
৬. এবার দেখবেন আপনার শর্টকাট ভাইরাস ফাইল-ফোল্ডারগুলো সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন সব ডিলিট করে দিন।

এছাড়া নিচের কৌশলও নিতে পারেন:

আক্রান্ত পেনড্রাইভ থেকে বাঁচতে
১. RUN এ যান।
২. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
৩. Stop script after specified number of seconds: এ --- দিয়ে APPLY করুন। এবার কারো পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ঢুকবে না।

আক্রান্ত কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত করতে
১. কী বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন।
২. PROCESS ট্যাবে যান।
৩. এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
৪. End Process এ ক্লিক করুন।
৫. এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।
৬. সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন।
৭. wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন।
৮. যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।
৯. এখন RUN এ যান।
১০. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
১১. Stop script after specified number of seconds: এ --- দিয়ে APPLY করুন।

ব্যাস, আপনার কম্পিউটার শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত। এবার পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাসও আর আপনার কম্পিউটারে ঢুকবে না।

সূত্র: ইন্টারনেট

34
আল্লাহর গোসা ও দয়ার ছায়া দুনিয়ায় পড়ে


হজরত আদম আলাইহিসসালাম হঠাৎ একদিন আরশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন সেখানে লেখা আছে— আশহাদু আল্লা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এ পৃথিবীটা দুটি অবস্থার ওপর নির্ভর করে মুসলমানদের এটা বিশ্বাস করতে হবে।


১. আল্লাহর গোসা। ২. আল্লাহর দয়া। দুনিয়াতে যা কিছু নয়, তা হয়তো আল্লাহর গোসার বহিঃপ্রকাশ নয়তো আল্লাহর দয়ার বহিঃপ্রকাশ। এর জন্য মাধ্যম হয় অন্য কিছু। যেমন আমি কথা বলি, মাইক তার মাধ্যম। রাগে কথা বলি মাইকে রাগ প্রকাশ পায়। আনন্দের স্বরে কথা বলি তাহলে মাইকে আনন্দের সুর প্রকাশ পায়। সারা পৃথিবীর মধ্যে যা হচ্ছে শান্তির বলেন আর অশান্তির বলেন, মূলত এগুলো আল্লাহর দু-অবস্থার বহিঃপ্রকাশ। তারই ক্রিয়া হচ্ছে কখনো সূর্যের তাপের মাধ্যমে, কখনো সয়লাবের মাধ্যমে, তুফানের মাধ্যমে, কখনো অগ্নিশিখার মাধ্যমে। আবার কখনো দেখা যায় সকালে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, ফলে দিলের মধ্যে শান্তি লাগে।

আসলে এগুলো আল্লাহপাকের দয়ার বহিঃপ্রকাশ। ঠাণ্ডায় শেষ রাতে ঘুম আসে, গরমের দিনেও শান্তি লাগে। কেন? আমরা চিন্তা করি না। আমাদের দেশের যত গুনাহগার চুরি করে, ডাকাতি করে, মদ পান করে, সে সময় সংখ্যায় কমে যায়। জানোয়ার পশু ঘুমিয়ে থাকে। মানবরূপী পশুরাও নিষ্ক্রিয় হয়ে ঘুমিয়ে থাকে, তখন জাগে কারা? আল্লাহপাক বলেন— ওবিল আসহারিহুম ইয়াসতাগফিরুল ‘রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে। ’ তখন কালিমায়ে তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ পড়ে, কোরআন তেলাওয়াতে অভ্যস্ত, তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত, আল্লাহর প্রেমিক তারা শেষ রাতে ঘুমায় না। সে সময় তাদের চোখে অশ্রু ঝরে, তারা হাত তুলে রাখে আল্লাহর দরবারে, কেউ নতশির হয়ে থাকে আল্লাহর দরবারে। কেউ নামাজ পড়ে, কেউ কোরআন তেলাওয়াত করে। আল্লাহপাক দেখেন যে, সারা পৃথিবীর মানুষগুলো ঘুমিয়ে আছে। আর আমার এ বান্দাগুলো গাত্রোত্থান করে আমার কাছে ভিক্ষুকের মতো হাত উঠিয়ে রেখেছে। এ সময় আল্লাহপাক শান্তি বর্ষণ করেন। ফলে মানুষ ফজরের আগে আরামে ঘুমায়। আল্লাহপাক প্রিয় বান্দাদের বলেন— তোমরা আমার জন্য রাতে জাগ্রত যখন রইলে, কাঁদলে, তবে ফজরের নামাজও পড়ে নাও। তাহলে আমি ধরে নেব যে, তোমরা সারা রাত কেঁদেছো।

বলছিলাম যে, আমরা আসলে চিন্তা করি না আল্লাহপাক বলেন, রাহমাতি সাবিকাত গাজাবি— প্রতিযোগিতায় আমার রাগ পরাজিত হয়েছে এবং রহমত বিজয়ী হয়েছে। মনে রেখ হে দুনিয়ার মানুষ! তোমাদের শাস্তি যা হয় এটা আসলে আমার রাগের বহিঃপ্রকাশ। মাধ্যম ইয়াহুদি-খ্রিস্টান হয়, সাপ-বিচ্ছুর হয়, বাঘ-ভাল্লুক হয়, বোমা হয়। মূল পরিচালনায় আমার অসন্তুষ্টি। তাই যদি তুমি নতশির হতে পার, ইস্তিগফার পড়তে পার, অনুতপ্ত হও, তাহলে তুমি কামিয়াব হবে। এ জন্য আমি এখানে লিখে রেখেছি রাহমাতি সাবিকাত গাজাবি।

আমার গোসার সামনে যখন দয়া শুরু হয়ে যায়। তখন গোসা নির্বাপিত হয়ে যায়। আর গোসা নির্বাপিত করার তরিকা হলো, তুমি নতশির হও। আমিত্ব ভাব বর্জন কর। একে অপরকে গ্রাস করার মনোভাব বর্জন কর। শান্তিপ্রিয় হও। আদম (আ.) কে যে শান্তির বাণী দিয়েছিলাম সেটা চালু কর।    আল্লাহপাক আমাদের তাওফিক দান করুন।    আমিন। 

লেখক : খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ, ঢাকা।

 

 

 

35




চে থাকার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কত কিছুই তো খেয়ে থাকি। আবার কত বিচিত্র অভ্যাস গড়ে তুলি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখি, যা খাচ্ছি বা যা করছি তা কতটা উপকারে আসে আমাদের? কিছু অভ্যাস আছে যেগুলোর কারণে আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান অঙ্গ হৃদপিণ্ড ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

 

আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী সেই অভ্যাসগুলো যেগুলো আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করছে।


 

১. নাকডাকা


নাকডাকা হতে পারে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। এর লক্ষণ হলো ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট। এর ফলে রক্তচাপ অনেক উচ্চহারে বেড়ে যেতে পারে। আর রক্তচাপ বাড়লে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। সুতরাং নাকডাকার আশু সমাধান করুন।

 

২. অতিভোজন


ওজন বাড়াটা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। আর মিষ্টি পানীয়ের বদলে পানি পান করতে হবে।

 

৩. লাল মাংস খাওয়া


লাল মাংসে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। আর প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস হলে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি আরো বাড়ে।

 

৪. সারাদিন বসে থাকা/টিভি দেখা


ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বসে থাকলে তা আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও আপনি ব্যায়াম করছেন। কারণ দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া না করার ফলে রক্তে চর্বি এবং সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং একটানা বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।

 

৫. আতিথ্য ত্যাগ করা এবং অবসাদের চিকিৎসা না করানো


মানসিক চাপ, শত্রুতার অনুভূতি বা অবসাদগ্রস্ততা আপনার হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করছে। মানসিক চাপ অবদমন করলে তা আপনার দেহের জন্য মারত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করতে পরে। এর জন্য সামাজিক মেলামেশা বাড়াতে হবে।

 

৬. দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার না করা


গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁতের মাড়ির রোগের সঙ্গে হার্টের রোগের একটা শক্তিশালী সম্পর্ক আছে। মাড়ি পরিষ্কার না করলে দাঁতের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়ার আস্তরণ জমা হয়ে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যা আপনার হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুতরাং নিয়মিত দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করুন।

 

৭. মদপান


বেশি বেশি মদপান করলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওর এর ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া মদে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বাড়ায়। যার ফলেও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ফলে আজই মদপান ত্যাগ করুন।

 

 

 

হার্ট অ্যাটাকের যে ৬টি লক্ষণ আপনার এখনই জানা দরকার!

যখন অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহের অভাবে হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির একটা অংশ মরে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটে। আর রক্তের শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ফলে বা কোলেস্টেরল প্লাক জমার ফলে হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহের অভাব দেখা দেয়।

প্রথমবার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। কিন্তু বাকি ১০ শতাংশ বাঁচতে পারেন না হাসপাতালে যেতে দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে।

সুতরাং হার্ট অ্যাটাকের এই সাধারণ ৬টি লক্ষণ জেনে রাখুন। আর সেগুলো দেখা দেওয়া মাত্রই হাসপাতালে দৌড়ে যান এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে জীবন রক্ষা করুন।

১. বুকে তীব্র ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকের মাঝখানে হঠাৎ করেই তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। আর এই ব্যথা খুবই তীব্র এবং মোচড়ানোধর্মী ব্যথা। মনে হবে যেন কেউ আপনার বুকে নিষ্পেষণ করে হৃৎপিণ্ড থেকে প্রাণটি বের করে নিয়ে আসছে। অনেক সময় এই ব্যথা কিছুক্ষণ থাকার পর পুনরায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসলে চলে যায়। কিন্তু যদি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হয় তাহলে সেই ব্যথা বাহু, পিঠ, ঘাড় এবং মাথায়ও ছড়িয়ে পড়ে।

২. চোয়ালে বা দাঁতে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে আগে এই লক্ষণটি নারীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এর সঙ্গে বুকে ব্যথা থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে।

৩. তীব্র শ্বাসকষ্ট
এটি হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। পানিতে ডুবে গেলে যেমন শ্বাসকষ্ট হয় তেমনই তীব্র শ্বাসকষ্ট হয় হার্ট অ্যাটাকের আগে। বুকে ব্যথা শুরু হওয়ার আগে বা বুকের ব্যথার পাশাপাশি এই লক্ষণটি দেখা দিতে পারে।

৪. অতিরিক্ত ঘাম ঝরা
অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আগে সাধারণত লোকের শরীর থেকে অঝোরে হিম ঘাম ঝরতে থাকে। কিন্তু এর সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণগুলোও থাকবে তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে।

৫. বমিভাব এবং বমি
বুকের ব্যথা অনেক সময় পাকস্থলির ওপরের অংশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্যাস্ট্রিক ব্যথার সৃষ্টি হয়। যা থেকে হৃৎপিণ্ডে তীব্র প্রদাহ তৈরি হয়। ফলে বদহজম এবং বমির অনুভূতি হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের সময় বমিও হয়।

৬. বাহুতে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেক সময় বাম বাহু, কাঁধ, পিঠ এবং কখনো কখনো দেহের পুরো বাম পাশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে সব সময় বাম পাশেই এমন ব্যথা হবে এমন কোনো কথা নেই। দেহের অন্যদিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যথা।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলেই দেরি না করেই হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন। কারণ যত দেরি করবেন তত আপনার অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে।

 

 


সামুদ্রিক মাছের যত গুণ

সামুদ্রিক মাছ অনেকেরই প্রিয় খাবার। তবে স্বাদের চেয়েও বড় বিষয় হলো, উপকারিতার দিক দিয়ে এর গুরুত্ব। নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে বেশ কিছু সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। যেমন-

১. রোগ প্রতিরোধ
মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম সামুদ্রিক এসব মাছ। এতে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়োডিন গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে।

২. সহজে হজমযোগ্য আমিষ
সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস।

৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
এ ছাড়া এসব মাছে প্রচুর সিলেনিয়াম রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
স্যামন, ম্যাকরেল মাছ থেকে ভিটামিন-এ ও ডি পাওয়া যায়।

৪. হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

৫. কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
এ ধরনের মাছ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৬. ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার
ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।

৭. গর্ভবতী নারী ও শিশু
যেসব নারী তাদের গর্ভকালীন সপ্তাহে অন্তত ৩৪০ গ্রাম সামুদ্রিক খাবার খান তাদের সন্তান বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করে। সামুদ্রিক মাছের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কারণেই এমনটা হয়।

36
স্মার্টফোনের মেমরি শেষ! যেভাবে স্টোরেজ বাড়াবেন



স্মার্টফোন শুধুমাত্র ফোন করার জন্যই নয়, গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা ইত্যাদির জন্যই মূলত ব্যবহার করা হয়। কিন্তু স্মার্টফোনের সীমিত মেমরি স্টোরেজের জন্য তা সব সময়ে সম্ভব হয় না।

আবার আইওএস-এ মাইক্রোএসডি কার্ডও সাপোর্ট করে না। কিন্তু সব সমস্যারই সমধান হয়। তাই জেনে নিন কীভাবে আপনার স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়াবেন। 

অ্যানড্রয়েড ফোনে কীভাবে মেমরি ফাঁকা করবেন?

আপনি যখনই অ্যানড্রয়েড ফোনের অ্যাপ নিয়ে কাজ করেন, তখনই আপনার ফোনে কিছু টেম্পোরারি ফাইল জমা হতে থাকে। একে বলে ক্যাশে ফাইল। যাতে দ্বিতীয়বার অ্যাপটি ব্যবহার করার সময়ে আর অ্যাপটি খুলতে দেরি না হয় তাই এই ফাইলগুলি জমা থাকে ফোনে। তাই সময়মতো এই ক্যাশে ফোল্ডার খালি করুন। এর জন্য ফোনের সেটিংস-এ যেতে হবে। সেখানে স্টোরেজে গিয়ে ক্যাশেড ডেটায় যেতে হবে। সেখানে ক্লিয়ার ডেটা সিলেক্ট করতে হবে। 

আপনার ফোনে অ্যানড্রয়েড ওরিও ভার্শনটি থাকলে, স্মার্ট স্টোরেজটি ইনস্টল করে নিন। যে সমস্ত ছবি গুগল ড্রাইভে সেভ হয়ে যাচ্ছে, সেই গুলি ৩০ দিন পর এই ফিচারটির মাধ্যমে নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যাবে। 

কী ভাবে অ্যাক্টিভেট করবেন স্মার্ট স্টোরেজ? সেটিংস-এ যান। সেখান থেকে স্টোরেজে গিয়ে স্মার্ট স্টোরেজ অ্যাক্টিভেট করে নিন। 

আইওএস-এ কী ভাবে স্টোরেজ বাঁচাবেন?

সেটিংস-এ যান। সেখান থেকে জেনারেল-এ গিয়ে স্টোরেজ অপসন-এ ক্লিক করুন। সেখানে দু’টি অপশন থাকে— ‘অফলোড আনইউজড অ্যাপ’ এবং ‘রিভিউ লার্জ অ্যাটাচমেন্টস’। ‘অফলোড আনইউজড অ্যাপ’-এ গিয়ে স্টোরেজ ফাইল ডিলিট করা যেতে পারে।   

37
Islam / মহররম মাস ও আশুরার ফজিলত
« on: September 26, 2017, 10:06:31 AM »
মহররম মাস ও আশুরার ফজিলত



মানব জাতির ইতিহাসে মহররম বিশেষত আশুরার ফজিলত অপরিসীম। এই পবিত্র মাসের ১০ তারিখে মহান আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেন।


দুনিয়ার প্রথম মানব-মানবী হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) শয়তানের ধোঁকায় পড়ে তাঁরা নিষিদ্ধ গন্দম ফল খেয়ে আল্লাহর দেওয়া কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হন। তাঁদের জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়।
আল্লাহর নির্দেশ ভঙ্গের অপরাধের ক্ষমা পেতে দিনের পর দিন আহাজারি করেন হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)। মহররমের ১০ তারিখে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। মহররম ও এ মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ আশুরা ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে উঠেছে কারবালার প্রান্তরে বিপথগামী শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর হাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৌহিত্র ইমাম হোসাইনের শাহাদাত বরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

আদি পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সঙ্গেও মহররম তথা আশুরার সম্পর্ক রয়েছে। মূর্তি-পূজারী রাজা নমরুদ আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত করেন। আল্লাহর নবীকে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল রাজা নমরুদ। কিন্তু আল্লাহ আশুরার ১০ তারিখে তাঁর প্রিয় নবী ও বান্দাকে রক্ষা করেন আগুন থেকে। রাজা নমরুদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায়।

হজরত নূহ (আ.)-এর নবুয়তের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ১০ মহররমের স্মৃতি। এ তারিখে মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি পায় হজরত নূহ-এর আমলের মানুষ। নূহ (আ.)-এর কিস্তি এই পবিত্র দিনে মাটি স্পর্শ করে। মাটিতে মানুষ আবার আবাদ শুরু করার সুযোগ পায়। হজরত সুলাইমান (আ.) মহররম মাসের ১০ তারিখে তাঁর রাজত্ব ফিরে পান। ফেরাউনের দম্ভ চূর্ণ হয় মহররম মাসের ১০ তারিখে। ফেরাউন মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীদের মিসর ত্যাগের অনুমতি দিলেও তার বাহিনীকে মুসা (আ.)-এর পেছনে লেলিয়ে দেন। তারা ধাওয়া করে হজরত মুসা (আ.) এবং তাঁর অনুসারীদের।

আল্লাহ তাঁর নবীর দোয়া কবুল করে সে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন। সাগরের মাঝে রাস্তা সৃষ্টি হয় আল্লাহর কুদরতে। সে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যান হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা। ফেরাউন বাহিনী তাদের পিছু নিলে সাগরের পানি তাদের গ্রাস করে। রসুল (সা.)-এর নাতি ইমাম হোসাইন কারবালার প্রান্তরে শহীদ হয়ে মানুষের হৃদয়ে আদর্শবাদিতার যে পতাকা উড্ডীন করেন তা চিরঅম্লান থাকবে।

ইয়াজিদের মনগড়া শাসন ব্যবস্থার বিরোধিতা করে তিনি মুসলিম জাতির জন্য কেয়ামত পর্যন্ত এক জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গেছেন। তার ওই আত্মত্যাগের ফলে এ কথাই প্রমাণিত হয়েছে যে, ইয়াজিদের শাসন ব্যবস্থা প্রিয় নবীজীর আদর্শের অনুকূলে ছিল না। তিনি তার মোকাবিলা না করলে ইয়াজিদের শাসন ব্যবস্থার পক্ষে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের ইজমা ছিল বলে প্রমাণিত হতো। পবিত্র আশুরার দিনে রসুলে কারীম (সা.)-এর এ মহান দৌহিত্রের শাহাদাত যুগে যুগে মুসলিম জাতিকে দীনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানির প্রেরণা জোগায়। মহররমকে কেন্দ্র করে অনেকে অবাঞ্ছিত কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেন। এটি মোটেও উচিত নয়।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

38
গুগল ড্রাইভে ফাইল খোঁজার সহজ উপায়!



অনলাইনে ফাইল সংরক্ষণের জন্য বেশ জনপ্রিয় সেবা গুগল ড্রাইভ। একজন ব্যবহারকারী বিনামূল্যে ১৫ গিগাবাইট জায়গা পেয়ে থাকেন এতে।

এ ড্রাইভে ছবি,ভিডিও, ডকুমেন্ট, অডিও, ছবিসহ সব ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
এতে অনেক ফাইল রাখলে সহজেই প্রয়োজনীয় ফাইল পেতে অনেক সময় বেগ পেতে হয়। তবে সার্চ টুল ব্যবহার করলে সহজেই তা খুঁজে পাওয়া যায়। কিভাবে সার্চ অপশন ব্যবহার করে আরও সহজে গুগল ড্রাইভ থেকে কোনো ফাইল খুঁজে পাওয়া যাবে তা এ টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হলো।

প্রথমে গুগল ড্রাইভে ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর উপর ‘search drive’-এ যে ফাইল প্রয়োজন বা খুঁজে পেতে হবে তা নামটি লিখতে হবে।

এরপর এ বক্সের ডান পাশে থাকা অ্যারো চিহ্নে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নতুন একটি অপশন প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে যে ফাইলটি সার্চ করতে হবে- সেটি কি ধরনের, কবে ফাইল রাখা হয়েছিলো কিংবা ফাইলটি কার সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছিলো ইত্যাদি তথ্যগুলো দিয়ে নিচে থাকা সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তাহলে মুর্হূতের মধ্যে আরও কম সময়ে প্রয়োজনীয় ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যাবে গুগল ড্রাইভে।

39
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন যেভাবে



বর্তমান এই প্রযুক্তি নির্ভর যুগে ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু আপনার ফেসবুক কতটা নিরাপদ? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে।

ফলে বিপদে পড়ছেন অনেকেই।
তবে এ সমস্যা সমাধানের উপায় আছে। একটু সতর্কতার সাথে ফেসবুক ব্যবহার করলেই হ্যাকারদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই কীভাবে।

বিনামূল্যে নোটিফিকেশন সুবিধা
ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে টেক্সট মেসেজ নোটিফিকেশন সুবিধা প্রদান করছে ফেসবুক। যখন কোনো কম্পিউটার অথবা মোবাইল থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকা হবে তখন টেক্সট মেসেজ নোটিফিকেশন আপনার কাছে যাবে। এরপর বুঝতে পারবেন কে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করছে।

দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন
বিপদের হাত থেকে কিছুটা নিরাপদ রাখতে ফেসবুক 'টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন' সুবিধা চালু করেছে। এটি ব্যবহার করলে প্রতিবার নতুন ডিভাইস/ব্রাউজারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবায় (উদাহরণস্বরূপ ফেসবুকে) সাইন-ইন করার সময় ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড ইনপুট করার পরেও সেখানে আরেকটি পিন কোড দিতে হবে। এই কোডটি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আসে। এগুলোকে সিকিউরিটি কোডও বলা হয়, যা প্রতিবারই সার্ভার থেকে পাঠানো হয়।

ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং সেলফোন নম্বর
দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন সক্রিয় থাকা যে কোনো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইলে কমপক্ষে তিনটি বিষয় দখলে থাকতে হবে। সেগুলো হচ্ছে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং যে মোবাইল নম্বরে সেবাটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে। ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড নিয়ে নিলেও একই সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাকারের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ফেসবুকে সাইন-ইন করার সময় সিস্টেম যখন মোবাইলে এসএমএসে আসা পিন চাইবে তখন সেটি তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। আর এই যাত্রায় আপনার অ্যাকাউন্টটিও হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে। লগইন অ্যাপ্রুভাল চালু করতে চাইলে প্রথমে আপনার ফেসবুকে সাইন-ইন করুন।

এরপর ফেসবুক Account Settings > Security সেকশনে থাকা Login Approvals-এর Require me to enter a security code each time an unrecognized computer or device tries to access my account-এ চেক মার্ক করুন। এবার Next ক্লিক করে মোবাইলে SMS এ প্রাপ্ত কোড লিখে Next চাপুন এবং Save বাটনে ক্লিক করুন।

বিজ্ঞাপনে সতর্কতা
বিজ্ঞাপনে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে উল্লেখ করে কিছু লিখতে পারবেন না। মনে করুন, আপনি শার্ট বিক্রি করেন। বিজ্ঞাপনে এই 'শার্টটি ভালো' বলার সুযোগ থাকলেও 'শার্টটি ভালো গ্রেগ' লেখার সুযোগ নেই।

এছাড়াও কোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে কোনো শপিং ওয়েবসাইট বা বিজ্ঞাপনের পাতায় পৌঁছে যেতে পারেন। আপনাকে সেখানে নিয়ে ফেলতে পারলে তাতেও সাইবার দুর্বৃত্তদের যথেষ্ট লাভ। কারণ কোনো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা ওয়েবসাইটে ক্লিক বাড়াতে পারলেই প্রতি ক্লিকের জন্য অর্থ পায় তারা। সঙ্গে বহু ক্ষেত্রে সেই ওয়েবপেজের হাতে চলে আসতে পারে আপনার গোপন নথিও।

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা
ফেসবুকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনের অভাব নেই। কিন্তু হ্যাকাররা অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আইডির নিয়ন্ত্রণ কব্জা করে থাকে। অনেক অ্যাপ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এগুলো ব্যবহার করে থাকি কিন্তু ব্যবহার শেষে সেগুলো মুছে ফেলতে কিংবা নিষ্ক্রিয় করতে ভুলে যাই। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপটি কতটুকু নিরাপদ তা ব্যবহারের আগে ভালো করে যাচাই করে নিন।

এন্টিভাইরাস ব্যবহার
আপনার পিসির জন্য কিলগার অথবা রিমোট অ্যাকসেস ট্রোজান [RAT] খুবই বিপজ্জনক। এগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য সঠিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

ফেসবুকের মেইল থেকে সতর্ক
ফেসবুক থেকে কোন মেইল এলে সতর্ক থাকুন। ইনবক্সে ঢুকেই যদি মেলে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে বসেন, বিপদে পড়বেন। কারণ ওই মেইল হয়তো ফেসবুক থেকে আসেইনি। ইদানীং কিছু অত্যাধুনিক কৌশল কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা ওঁত পেতে রয়েছে আপনার সর্বস্ব হাতানোর জন্য। নেটওয়ার্কিং সাইটে আপনার গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে তারা। ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার উপস্থিতি কিছুদিন টের না পেলেই একটি বিশেষ ধরনের মেইল ও তার সঙ্গে লিঙ্ক পাঠাচ্ছে আপনার ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মেইল আইডিতে। সেই মেইলে লেখা থাকছে, ‘আপনি বেশ কিছুদিন ফেসবুকে ছিলেন না। আপনার মেসেজগুলো শিগগিরই ডিলিট হতে চলেছে। এর সঙ্গেই আপনাকে দুটো অপশন দেওয়া হবে। 'ভিউ মেসেজ' এবং 'গো টু ফেসবুক'। এর কোন একটিতে ক্লিক করলেই আপনার যাবতীয় তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে।

একাধিক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ
একই ব্যবহারকারীর একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা আগেও নিষিদ্ধ ছিল। তবে খুব একটা কড়াকড়ি ছিল না। এখন এ বিষয়ে ফেসবুক খুব কঠোর নিয়ম মেনে চলছে। ফলে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

ছবি পোস্টে সতর্কতা
ফেসবুক ছবির ব্যাপারে ভীষণ সেনসেটিভ। ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ছবিকেও নগ্নতা বলে গণ্য করে। লরেন ফেরারি নামের এক ব্যবহারকারী ফেসবুকে তার পাঁচ বছরের শিশুর ছবি দিয়েছিলেন, যেখানে সে নার্সের ভূমিকায় অভিনয় করছে। এমন নিরীহ ছবি পোস্ট করাও এখন অনেক ঝামেলার। গত বছরের নভেম্বরে প্যারিস হামলার পরে জেসন ম্যানফর্ড নামের এক ব্যবহারকারীর ফেসবুক প্রোফাইল ছবি বেশ কয়েকবার সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ, তার সে ছবিতে নানা রঙে বেশ কয়েকটি বাক্য লেখা ছিল।

ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালায় উল্লেখ আছে, আপনি এমন কোনো বিষয়বস্তু পোস্ট করতে পারবেন না, যাতে ভয়ভীতি, ঘৃণা কিংবা অপ্রীতিকর কিছু প্রকাশ পায়। এমন কোনো ছবি পোস্ট করতে পারবেন না, যা দৃশ্যমান সহিংসতা কিংবা নগ্নতা প্রকাশ করে। ফেসবুকের এই নিয়ম এমনিতে ঠিকঠাক মনে হলেও অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তারা অনেক ব্যক্তিগত কথাও লিখতে পারছেন না। স্বাধীন মত প্রকাশেও বাধা তৈরি করছে বলে অভিযোগ অনেকের।

40
বন্ধ হচ্ছে গুগল ড্রাইভ অ্যাপের ডেস্কটপ সংস্করণ



গ্রাহকদের জন্য ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণ ও প্রবেশাধিকার সহজ করতে কাজ করছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গুগল। আর এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে সিস্টেমে এবং পুরনো কিছু সেবাকেও বিদায় জানাতে হবে।

এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ম্যাক ও উইন্ডোজ প্লাটফর্মের জন্য গুগল ড্রাইভ অ্যাপ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ গুগল ড্রাইভের বিকল্প হিসেবে এরই মধ্যে তাদের দুটি সেবা চালু রয়েছে। এর একটি হলো ব্যাকআপ অ্যান্ড সিঙ্ক, গ্রাহকরা এটি গুগল ড্রাইভের বিকল্প হিসেবে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে গুগল ফটোসে ছবি ও ফাইল সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।

পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণের জন্য ড্রাইভ ফাইল স্ট্রিম সেবাটিও ব্যবহার করতে পারবে গুগল ড্রাইভ ব্যবহারকারীরা। এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের জন্য এটি চলতি বছরের মার্চে চালু করা হয়েছিল।

বিডি প্রতিদিন/ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান

41
আমাদের সেরা ইউনিভার্সিটিগুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তারা কি করে?

ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকা গুলো যেদিন মহা আনন্দে খবর প্রকাশ করেছে- ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি এবার ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং এ পুরো পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মাঝে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, সেই দিন আমরা বাংলাদেশিরা ব্যস্ত ছিলাম টেলিভিশনে মাহফুজুর রহমানের গান নিয়ে!

আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত এই নিয়ে হাসাহাসি এবং সমালোচনা করছে!

তাদের এই হাসাহাসি কিংবা সমালোচনা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওই র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে স্থান করে নিতে পারেনি।

গত কয়েক বছর ধরেই ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং কর্মকর্তারা ক্রমাগত নিজেদের সমালোচনা করে গেছেন। এর কারণ হচ্ছে অ্যামেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের ছাপিয়ে প্রথম দ্বিতীয় স্থান করে নিচ্ছিলো। অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজেদের নিয়ে সমালোচনা করার ফলাফল হচ্ছে- তারা এখন পৃথিবীর সেরাদের তালিকায় এক এবং দুই নাম্বারে আছে।

আর আমাদের সেরা ইউনিভার্সিটি গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা'রা কি করে?

তারা ব্যস্ত কিভাবে নিজেদের জাহির করা যায় সেটা নিয়ে!- "আমি'ই সেরা, দেশের অন্য কোথাও আবার পড়াশুনা হয় নাকি!"; এই হচ্ছে আমাদের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মনোভাব! অথচ পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর র‌্যাংকিং এ ১২ লাখ জনসংখ্যার এস্তনিয়ার দুটো বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৬০০ এর মাঝে স্থান পাচ্ছে (যার একটাতে আমি নিজেই এখন পড়াচ্ছি)। শুধু তাই না, আফ্রিকার অতি দরিদ্র দেশ গুলোর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও স্থান পায়। আর ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে সেখানে হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না!

তবে অন্যের সমালোচনা করতে আমাদের জুড়ি মেলা ভার! আমরা কবে বুঝতে শিখবো পৃথিবীর সভ্য এবং উন্নত দেশ গুলো সভ্য এবং উন্নত হয়েছে অন্যের সমাচলোনা করে নয়, বরং নিজেদের সমালোচনা করে।

42
যেভাবে স্প্যামের শিকার হচ্ছেন হোয়াট্‌সঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা



বিশ্বের জনপ্রিয় চ্যাট অ্যাপ হোয়াট্‌সঅ্যাপের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে স্প্যামের হাতছানি। ক্লিক করলেই অগোচরে ঢুকে যেতে পারে অযথা অ্যাডওয়্যার।

রেডিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউএগজিট নামে এক ইউজার মেসেজ করে জানান, হোয়াট্‌সঅ্যাপে কাস্টমাইজড অপশন পরিবর্তন করতে গিয়ে, একটি মেসেজ পান। তাতে বলা হয়েছে, হোয়াট্‌সঅ্যাপে আপনার পছন্দমতো রং পরিবর্তন করুন। আর সেখানেই রয়েছে বিপদ। হোয়াট্‌সঅ্যাপের রং পরিবর্তন করতে গেলে ১২ জন বন্ধুকে শেয়ার করতে হবে ওই মেসেজ। 

এর পরের স্টেপে বলা হচ্ছে, ডেস্কটপেই পরিবর্তন করা যাবে হোয়াট্‌সঅ্যাপের রং। ডেস্কটপে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে হোয়াট্‌সঅ্যাপ খুলতে গেলে ব্ল্যাকহোয়াটস নামে একটি এক্সটেনশন ইন্সটল করার নোটিফিকেশন আসবে। টেক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ ধরনের নোটিফিকেশন আদতে একটি স্প্যাম।

হোয়াট্‌সঅ্যাপে এমন স্প্যাম নতুন নয়। এর আগেও একাধিক বার স্প্যামের শিকার হয়েছেন হোয়াট্‌সঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। চলতি বছরেই হোয়াট্‌সঅ্যাপে ঘুরতে থাকে একটি মেসেজ। সেটি হল  “হোয়াট্‌সঅ্যাপ ব্যবহারে টাকা লাগবে। ” যদি দশ জনকে এই মেসেজ ফরোয়ার্ড করা যায়, তা হলে ফ্রি হয়ে যাবে।

43
ছোট্ট একটি ভুলেই হ্যাক হতে পারে আপনার স্মার্টফোন



কর্মব্যস্ত দিনের মাঝে স্মার্টফোনটি চার্জে দিতে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। অনেক সময় কম্পিউটারে বসে কাজ করছেন, হঠাৎ খেয়াল করলেন আপনার স্মার্টফোনটির চার্জ একেবারেই নেই।

এমন সময় আমরা যা করি, ডেটা কেবল ফোনের সঙ্গে যুক্ত কম্পিউটারের সঙ্গে লাগিয়ে ফোনটিকে চার্জে বসিয়ে দেই। কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, এমন করার ফলে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে!
সম্প্রতি এমনটাই দাবি করছে ক্যাসপার্সকি ল্যাব। বিশ্বখ্যাত অ্যান্টি ভাইরাস প্রস্তুতকারী সংস্থার গবেষক অ্যালেক্সি কোমারভ সতর্ক করে বলছেন, 'আপনার ডিভাইস আইডি ট্র্যাক করে নিঃশব্দে তাতে অ্যাডওয়্যার কিংবা র‌্যানসামওয়্যার ঢুকিয়ে দেওয়া হতে পারে। '

কম্পিউটারের মাধ্যমে ফোন চার্জে বসালে কী কী তথ্য় চুরি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাসপার্সকি জানিয়েছে, ফোনের নাম, নির্মাতা, সিরিয়াল নম্বর, অপারেটিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য, ফাইল সিস্টেম, ইলেকট্রনিক চিপ আইডি সবকিছুই চলে যেতে পারে হ্যাকারদের দখলে।

তবে এ বিপদ এড়ানোর উপায় আছে। এর কিছু সাবধান দিয়েছেন গবেষকরা। 

১. ইউএসবি চার্জিং পয়েন্ট ও কম্পিউটার কেনার সময় একমাত্র বিশ্বস্ত কোম্পানিরই কিনুন। 
২. মোবাইল ফোনকে সব সময় পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখুন। কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশনের মতো ব্যবস্থা থাকলে তো কথাই নেই। 
৩. ফোনে সব সময় অ্যান্টি ভাইরাস ইনস্টল করে রাখুন। 

বিডি-প্রতিদিন/২৫ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ

44
হজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেয় : মক্কা গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম



পবিত্র শহর মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের খতিব ও ইমাম বলেছেন, হজ যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো মুসলিম উম্মার প্রতি একতা ও সব ধরনের মতবিরোধ পরিত্যাগ করা।

সারা বিশ্ব থেকে হজের উদ্দেশ্যে এবার প্রায় দেড় মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সৌদির পবিত্র শহর মক্কায় গিয়েছেন।

 শুক্রবার মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে খুতবা পাঠের সময় ইমাম শেইখ সালে আল তালিব তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় সর্বশক্তিমান আল্লাহর আরাধনা ও ধর্মীয় পবিত্র স্থান রক্ষায় ব্যয় করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, 'মুসলিমদের মধ্যে যে কোনো ধরনের বিভাজন ও সংঘাত তাদের জাহিলিয়ার অন্ধকার দিনগুলোতে (ইসলাম অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব সময়) টেনে নিয়ে যাবে। ' সূত্র : সৌদি গেজেট

45
ওয়াইফাই স্পিড কয়েক গুণ বাড়ানোর ৫টি উপায়!




তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ইন্টারনেট এখন প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয়। অফিস হোক বা বাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া বা মেইল চেক করা, সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োজন।

তাই বাড়িতে এখন ওয়াইফাই রাউটার বসানোর চাহিদা বাড়ছে। কারণ, এক দিকে যেমন একাধিক ডিভাইস এক সঙ্গে কানেক্ট করা যায়, তেমন ঘরের যে কোনও প্রান্তে বসে ইন্টারনেট সার্ফিং করা যায়। 
তবে রাউটার বসালেও বেশ কিছু কারণে ইন্টারনেটের স্পিড ভালো মেলে না। এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই ওয়াই-ফাই স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দেখুন সেই ৫টি উপায় কী কী...

১. রাউটার বাড়ির মাঝখানে রাখুন:

সাধারণত কানেকশন নেওয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোনে রাউটার রেখে দেওয়াই দস্তুর। সবচেয়ে ভালো কভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়। অর্থাৎ, চোঙ থেকে আওয়াজ যে ভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোনও রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।

২. চোখের উচ্চতায় রাখুন:

মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

৩.  কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:
 
বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়ছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সকলের ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে। এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাঁকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।

৪. রিপিটার কানেক্ট করুন:

ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনও ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।

৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন:

রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। অথবা প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়র্কে থাকা যে কোনও ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেওয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 43