Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - faruque

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 43
61
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

সব প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি রব্বুল আলামিন। দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, যিনি মুমিনের ইমান। তাঁর পরিবারবর্গ ও বংশধর, সাহাবায়ে কিরাম (রা.), আল্লাহর নেককার বান্দাদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ হোক অঝর ধারায়। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি কেবল মুত্তাকিদের জন্যই নির্ধারিত। রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ হলো আম্বিয়া আলাইহিস সালামদের সুন্নাত, আল্লাহতায়ালার মাহবুব বান্দাদের অভ্যাস আর আল্লাহর সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপন তথা নৈকট্য ও সন্তোষ অর্জনের অন্যতম পন্থা। তাহাজ্জুদের ফজিলত প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করুন; এটা আপনার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে)। ’ (সূরা বনি ইসরাইল : ৭৯)। তিনি আরও বলেন, ‘তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কার সঙ্গে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদের যে রুজি প্রদান করেছি, তা থেকে তারা দান করে। ’ (সূরা সিজদা : ১৬)।

তাহাজ্জুদ নামাজ নফসের রিয়াজাত ও তারবিয়াতের এক বিশেষ মাধ্যম। কারণ প্রভুর প্রেমে গভীর রাতে সুখশয্যা ত্যাগ করেই আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হতে হয়। এ নামাজ মন ও চরিত্রকে নির্মল ও পবিত্র করা এবং সত্য পথে অবিচল রাখার জন্য অপরিহার্য ও অতীব কার্যকর পন্থা। পবিত্র কোরআনের সূরা মুজ্জাম্মিলে এর উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কোরআন পাঠ বা জিকির একেবারে যথার্থ। ’ (সূরা মুজাম্মিল : ৬। ) অন্যত্র বলা হয়েছে,  ‘আর আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়। ’ (সূরা ফুরকান : ৬৪)। ইসলামের প্রাথমিক যুগে কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ী হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল যে তারা রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ দরবারে চোখের পানি ফেলতেন আর ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। যেমন কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ’ (সূরা আলে ইমরান : ১৭)।

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসেও তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বের কথা উল্লেখ রয়েছে। মিশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থকার সুনানে আহমদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি। আফদালুস সালাতি বাদাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি’ অর্থাৎ ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। ’ হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদিসে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে। তিনি তখন বলতে থাকেন কে আছো যে আমায় ডাকবে, আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব?’ (বুখারি ও মুসলিম)।

শরহে সুন্নাহর বরাত দিয়ে মিশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থকার বর্ণনা করেন, হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ খুশি হন। এক. যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের জন্য ওঠে এবং নামাজ পড়ে। দুই. মুসল্লি যারা নামাজের জন্য সারিবদ্ধভাবে কাতারে দাঁড়ায়। তিন. মুজাহিদ যারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়। ’ অনুরূপ আরেকটি হাদিস  রয়েছে, হজরত জাবির (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি। রাতের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত আছে যদি কোনো মুসলমান তা লাভ করে এবং আল্লাহর কাছে ইহ ও পরকালের কোনো কল্যাণ চায় আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে তা দেন। (মুসলিম)।

আসুন, আমরা তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করি, মনকে পবিত্র করি, আল্লাহর প্রিয় বান্দা হই। আল্লাহতায়ালা সবাইকে তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখক :  মুফাসসিরে কোরআন, ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।


62
সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে করণীয়



শুক্রবার সারা পৃথিবীতে হ্যাকাররা যে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে ১৫০টি দেশের ২ লক্ষ কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থা ইউরোপোল। বাংলাদেশেরও বেশ কিছু ব্যক্তি ও বড় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার এই হামলার শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। আরো আক্রমণের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ সোমবারও সাইবার আক্রমন হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

আক্রান্ত কম্পিউটারে ব্যবহারকারীরা কোন ফাইল খুলতে পারছেন না, এবং সেগুলো আটকে দিয়ে কমপিউটারের পর্দায় একটি বার্তার মাধ্যমে 'মুক্তিপণ' হিসেবে টাকা দাবি করা হচ্ছে।

এ আক্রমণ থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন বিবিসির ক্রিস ফক্স। তার মতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা এ আক্রমন প্রতিরোধে তিনটি কাজ করতে পারেন।

"একটি হচ্ছে, আপনার কম্পিউটার , ল্যাপটপ, আইপ্যাড, ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোনে এর প্রস্তুতকারকরা যে সব সফটওয়্যার আপডেট করতে বলেন, তা ঝুলিয়ে রাখবেন না। সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলুন। "

"অচেনা বা অপ্রত্যাশিত কোন ই-মেইল খুলবেন না, কোন এ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করবেন না। কোন অচেনা লিংকের ওপর ক্লিক করবেন না। "

"আপনার কম্পিউটার যদি এখনো পুরানো অপারেটিং সিস্টেম যেমন 'উইনডোজ এক্সপি' দিয়ে চলে - যার এখন আর কোন টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাওয়া যায় না - সেগুলো ব্যবহার করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ । এগুলো আপগ্রেড করুন, নতুন অপারের্টিং সিস্টেম ব্যবহার করুন - যেগুলোর নিরাপত্তার জন্য এর নির্মাতারা নিয়মিত আপডেট দিয়ে থাকেন। "

সোমবার পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি শেষের পর অফিস-আদালত খুললে আরো আক্রমণ হতে পারে - এমন আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপোলের প্রধান রব ওয়েইনরাইট বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের সিস্টেমের সবশেষ নিরাপত্তা প্যাচ আপডেট করেনি, তাদের উচিৎ হবে সোমবার সকালের আগেই তা করে নেয়া।

সূত্র: বিবিসি


63
যেভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপ বেড়েছে



অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভোগেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে না গেলে তা ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণগুলো জেনে রাখা খুব দরকার।

যদিও উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোন লক্ষণ বোঝা যায় না। একে তাই সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত মাপা হচ্ছে, ততক্ষণ বেশিরভাগ মানুষ বুঝতেই পারেন না যে, তার রক্তচাপ বেড়েছে। যে যে লক্ষণগুলি শরীরে অনুভব করলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
১) মাথার যন্ত্রণা।

২) চোখে ঝাপসা দেখা।

৩) বমি এবং মাথা ঘোরা।

৪) বুকে ব্যথা এবং শ্বাস নিতে সমস্যা।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2017/05/14/231499#sthash.nszkqzmZ.dpuf

64
ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হালাল জীবিকা

হালাল জীবিকা মুমিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। শারীরিক ও আর্থিক সব ধরনের ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হলো হালাল জীবিকা। হালালকে গ্রহণ ও হারামকে বর্জনের মধ্যেই রয়েছে মুমিনের দুনিয়া ও আখিরাত সফলতা। তাই হালাল উপার্জন ও হালাল খাদ্য গ্রহণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম।

পবিত্র কোরআনে হালাল খাদ্য গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানব জাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র খাবার খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিও না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’। (সূরা বাকারাহ, আয়াত : ২)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নামাজ শেষ করে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে। ’ (সূরা জুমা : ১০)।

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হজরত সাহল বিন আবদুল্লাহ বলেন, তিনটি জিনিসের মধ্যে নাজাত রয়েছে। ১. হালাল খাবার গ্রহণ করা, ২. ফরজসমূহ আদায় করা এবং ৩. নবী করিম (সা.)-এর পূর্ণ অনুসরণ করা। হজরত সাঈদ বিন ইয়াজিদ বলেন, ‘পাঁচটি গুণে ইলমের পূর্ণতা রয়েছে। আর তা হলো আল্লাহকে চেনা, হক বুঝা, আল্লাহর জন্য ইখলাছপূর্ণ আমল করা, সুন্নাহ মোতাবেক আমল ও হালাল খাদ্য গ্রহণ করা। এ পাঁচটির একটিও নষ্ট হলে কোনো আমল আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। ’ (তাফসিরে কুরতুবি, ২/২০৮)।

হালাল জীবিকা অর্জনে রসুল (সা.) উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কেউ কখনো খায় না। আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন’। (বুখারি, হা/২০৭২)। হালাল রিজিক ভক্ষণ ছাড়া আল্লাহ ইবাদত কবুল করেন না। এ সম্পর্কে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে দেহের গোশত হারাম মালে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম মালে গঠিত দেহের জন্য জাহান্নামই সমীচীন’। (সহিহুল জামে : হা/৪৫১৯)। হুজুর (সা.) আরও বলেন, ‘হারাম দ্বারা পরিপুষ্ট দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না’। (সিলসিলাতুস সহিহা : হা/২৬০৯)।

আমরা যারা নানাভাবে হারামের সঙ্গে জড়িত, আমাদের অবশ্যই কোরআন এবং সহি হাদিসের এ কথাগুলো গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। হারাম থেকে বেরিয়ে হালালের পথ ধরতে হবে। তা না হলে রসুল (সা.)-এর ঘোষণা অনুযায়ী জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুন ছাড়া আখিরাতের জীবনে আমাদের জন্য আর কিছুই থাকবে না। ইবনে মাজায় বর্ণিত এক হাদিসে রসুল (সা.) বলেন, আল্লাহর নির্ধারিত রিজিক পূর্ণমাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোনো জীব-জন্তুই মারা যাবে না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয়-উপার্জনের চেষ্টা কর। রিজিক প্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদের তা উপার্জনে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত না করে। কেন না আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা কেবল তার আনুগত্যের মাধ্যমেই লাভ করা যায়। (ইবনে মাজাহ)।

লেখক :  ইসলামী গবেষক।


65
ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর ম্যালওয়্যার অ্যাটাক



ধীরে ধীরে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ব্রিটেনের এনএইচএস হ্যাকিং ম্যালওয়্যার। ইউরোপ, এশিয়ার একাধিক কোম্পানি ও ব্যক্তির কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কম্পিউটার, ল্যাপটপে থাকা ফাইল গুলি।

প্রথম এই ভাইরাসের অ্যাটাক হয় ব্রিটেনের ন্যাশানল হেল্থ সার্ভিসের সিস্টেমে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্পেন ও রাশিয়া।

এনএইচএস-য়ের চেয়েও বেশি পরিমাণ ক্ষতি ঘটাবে সক্ষম এই ভাইরাস। এমনই জানিয়েছেন সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম, অ্যানামোলি ল্যাবের সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর ত্রাভিশ ফারাল। টাকা দিলে তাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ফাইল গুলি পুনরায় ফিরে পাওয়া যাচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/tech-world/2017/05/13/231182#sthash.vEMIdY4O.dpuf



66
৫০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করলো উইন্ডোজ ১০



৫০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করলো সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম। বুধবার অনুষ্ঠিত মাইক্রোসফটের ডেভেলপার সম্মেলন ‘বিল্ড ২০১৭’তে এই তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেন, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম অল্প সময়ের গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৪০ কোটি ব্যবহারকারী ছিলো। এরপর মাত্র ৮ মাসে ১০ কোটি ব্যবহারকারী উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করায় দ্রুতই আমরা ৫০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করি। আশা করছি ২০১৮ সালের মধ্যে ১০০ কোটি গ্রাহক এই ওএসটি ব্যবহার করবেন।

তিনি আরও জানান, ইন্টারনেট নির্ভর হার্ডওয়্যার ও সেবার পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজেন্স বা এআইয়ের দিকে নজর দিচ্ছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, অফিস ৩৬৫ এর মাসিক বাণিজ্যিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এখন ১০০ মিলিয়ন। সেই সাথে করটার্নার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সঠিক কত সংখ্যক ব্যবহারকারী করটার্নার ব্যবহার করেন সেই সংখ্যা জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গুগলের ক্রোম ওএসের সাথে পাল্লা দিতে সম্প্রতি উইন্ডোজ ১০ এস নামে নতুন একটি বিশেষ সংস্করণ উন্মুক্ত করে মাইক্রোসফট। ধারণা করা যাচ্ছে এই সুবাদে কমদামী হার্ডওয়্যারযুক্ত ডিভাইসে আরও সহজে উইন্ডোজ ওএস ব্যবহার করা যাবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস



67
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার অ্যাটাকের সমাধান মিলেছে!





 
হাঁফ ছেড়ে স্বস্তি! বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার অ্যাটাক আপাতত বন্ধ করার উপায় হাতে চলে এসেছে। ম্যালওয়ারটি[/img] নিয়ে কাজ করতে করতে আচমকাই একটি 'সুইচ' হাত আসে ব্রিটেনের এক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞের। যার মাধ্যমে আপাতত বন্ধ করা যাবে এই বিশাল সাইবাল অ্যাটাক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ সাইবার অ্যাটাকে আক্রান্ত। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। ভেঙে পড়েছে গোটা ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। প্রচুর তথ্য ইতিমধ্যেই চুরি হয়ে গেছে। সাইবার অ্যাটাক আটকাতে দাবি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার।

'অ্যাক্সিডেন্টাল হিরো' ওই প্রযু্ক্তিবিদ জানিয়েছেন, সামান্য কিছু ডলারের বিনিময়ে একটি ডোমেইনে রেজিস্টার করেন তিনি। যারপরই ওই অ্যাটাক আটকাতে সমর্থ হন। তিনি আরও জানিয়েছেন, 'ওয়ানাক্রাই (WannaCry)' এই কোড নামে 'কিলিং সুইচ' ডোমেইনটি, ম্যালওয়াটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাটাক বন্ধ করার জন্যই এই ব্যবস্থা করে রাখা।

'কিলিং' ডোমেইনটি দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ ওয়েবসাইটের মতই। সেখানে 'রিকোয়েস্ট' পাঠালে যদি পাল্টা রিকোয়েস্ট ফেরত আসে এবং ডোমেইনটি 'জীবিত' দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে যে 'কিল সুইচ' কাজ করেছে। এবং ম্যালওয়ারের ছড়িয়ে পড়া আটকানো গেছে। জানিয়েছেন ওই সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ।


বিডি প্রতিদিন/১৪ মে ২০১৭/হিমেল


68
চাওয়া-পাওয়ার ‘লাইলাতুল বরাত’



  • লাইলাতুল’ বা ‘শব’ অর্থ  রাত। আর বরাত অর্থ মুক্তি। এক কথায় লাইলাতুল বরাত অর্থ মুক্তির রাত। গুনা থেকে মুক্তির রাত। এ রাতটি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত ১৫তম রজনী। বায়হাকি ও ইবনে মাজায় এসেছে— হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যখন শাবান মাসের ১৫ রজনী আসে অর্থাৎ বরাতের রাত আসে, তখন তোমরা রাত জাগরণ কর! অর্থাৎ নফল ইবাদত কর। বিশেষভাবে নফল নামাজ পড় এবং পরদিন রোজা রাখ। কেননা আল্লাহ রব্বুল আলামিন এই রাতে প্রথম আসমানে চলে আসেন। তিনি তাঁর বান্দাদের ডেকে ডেকে বলতে থাকেন, তোমাদের কেউ ক্ষমা প্রার্থনা করার আছ কি? যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কেউ আমার কাছে রিজিক চাওয়ার আছ কি? যে রিজিক চাইবে, আমি তাকে রিজিক দান করব। কেউ বিপদগ্রস্ত বা রোগ-শোকগ্রস্ত আছ কি? আমার কাছে রোগ-শোক থেকে মুক্তি চাইবে, আমি তাকে মুক্তি দিয়ে দেব।

 রসুল (সা.) আরও বলেন, এভাবে আল্লাহ একেকটা বিষয় উল্লেখ করে করে বলতে থাকেন, অমুক অমুকটা চাওয়ার কে আছ? আমি তাকে দান করব। আল্লাহ সুবহে সাদিক পর্যন্ত ডেকে ডেকে বলতে থাকেন। আমার কাছে চাও, আমার কাছে চাও, আমার কাছে চাও। উল্লিখিত হাদিসের বর্ণনা দ্বারা বোঝা গেল, লাইলাতুল বরাতে রব্বুল আলামিনের দয়া, করুণা ও ক্ষমা বান্দার খুব কাছে চলে আসে। সুতরাং বোঝা গেল, উল্লিখিত রাতটি আল্লাহর কাছে চাওয়ার রাত। কী কী চাইতে হবে তা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। এক. আল্লাহর কাছে তামাম গুনা থেকে মুক্তির জন্য চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব গুনা থেকে মুক্তি নিয়ে কোনো বান্দা কবরে গেলে সে জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা অর্জন করল। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে : ‘তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথপ্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম। ’ (সূরা বাকারা : ৫)। একজন মানুষের জীবনের সব ক্ষেত্রে সফলতা আসে আল্লাহর ভয়কে দিলে  (অন্তরে) রেখে আল্লাহর বিধিবিধান মানার মধ্যে। যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর পর যারাই আল্লাহর ভয় দিলে রেখে শরিয়তের ওপর নিজেদের চালিয়েছেন তারাই জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন। বস্তুত  ইমানদার ব্যক্তিরাই এ কথা বুঝতে পারেন যে, এই নশ্বর দুনিয়ার কোনো বস্তুই আমাদের জন্য স্থায়ী নয়। আমাদের জান ও মালের একমাত্র মালিক আল্লাহ। তাই তো ইমানদার ব্যক্তিরা সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর ইবাদতে মশগুল হয়ে যান। আল্লাহর বিশেষ দিন ও রাতকে ইবাদত করার জন্য মহামূল্যবান মনে করেন। যদি কখনো শয়তানের ধোঁকায় কোনো গুনা হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে খালিস দিলে তওবা করেন এবং গুনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। বুখারির মধ্যে বড় একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সারসংক্ষেপ হলো : বনি ইসরায়েলের মধ্যে একটি অনিন্দ্যসুন্দরী মহিলা ছিল। তার সুন্দরের আকর্ষণে অনেক মানুষ মুগ্ধ হয়ে যেত। একবার এক লোক ওই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তার সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে কুমতলবে তার পাশে গিয়ে বসে পড়ল।

পরক্ষণেই তার অন্তরে আল্লাহর স্মরণ ও ভয় এসে গেল। সে আপন মনে বলতে লাগল, হায় আল্লাহ! আমি এ কী করছি। আমি কোন মুখে তোমার সামনে দাঁড়াব। এই
লেখক : মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও খতিব, বারিধারা, ঢাকা।

69
নতুন সার্চ টুল আনতে যাচ্ছে স্ন্যাপচ্যাট



ব্যবহারকারীদের অনুসন্ধান অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে যাচ্ছে চ্যাটিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট। ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে অনুসন্ধানকে আরও সহজ করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নতুন ‘স্টোরিজ’ ফিচার তৈরি করে এতে সার্চ অপশন আনা হবে। আর এতে ব্যবহার করা হবে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি। স্ন্যাপচ্যাটে যেসব ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করা হয় সেগুলোকে ‘স্ন্যাপস’ বলে। অ্যাপটির ‘আওয়ার  স্টোরি’ অপশনে এগুলো পোস্ট করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে গ্রাহক স্লাইড শো পোস্ট করতে পারেন যা ২৪ ঘণ্টা পর নিজে থেকে মুছে যায়। নতুন সার্চ ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহক এসব ছবিই সার্চ করতে পারবেন বলে জানানো হয়।

এদিকে সম্প্রতি ফেসবুকসহ  ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপেও একই ফিচার চালু করা হয়েছে। তবে, ফিচার নকল করার কথা ফেসবুক বরাবর অস্বীকার করে আসছে। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে স্ন্যাপচ্যাটের ১০ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

70
ফেসবুক কমেন্টে আসছে জিআইএফ সুবিধা



সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এবার পোস্টের কমেন্টে জিআইএফ (গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। তবে এই পরীক্ষা কেবল কিছু সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য চালু করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র এনগ্যাজেটে এক ই-মেইলে জানান, ‘আমরা কমেন্টে জিআইএফ সুবিধা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করছি আর আমরা যখন পারবো তখন আরও বেশি জানাব ব্যবহারকারীদের, কিন্তু এখন আবারও বলছি এটি শুধুই একটি পরীক্ষা। ’

ফেসবুকের এই জিআইএফ সুবিধা বর্তমানে মেসেঞ্জারে চালু থাকা জিআইএফ এর মতোই কাজ করবে। এই সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা জিফি বা টেনরের মতো জিফ সরবরাহকারীদের থেকে জিআইএফ নিয়ে কমেন্টে পোস্ট করতে পারবে। তবে ফেসবুক বিশ্বের কোন অংশের ব্যবহারকারীদের দিয়ে এই সুবিধা চালাচ্ছে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।


71
নাসার মহাকাশ স্টেশনের তথ্যে ভুল ধরেছে ব্রিটিশ কিশোর



স্কুলের পদার্থবিদ্যার প্রজেক্ট করতে গিয়েই ন্যাশনাল এরোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) তথ্যে ভুল ধরেছে ১৭ বছরের কিশোর মাইলস সলোমন। সেই কিশোর জানিয়েছে, নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যে রেডিয়েশন সেন্সর রয়েছে তা সঠিকভাবে কাজ করছে না। আর সেই কারণেই নাসার তথ্যে ভুল হচ্ছে। 

পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নাসা জানিয়েছে, ব্রিটিশ কিশোর মাইলস সলোমনের দাবি ঠিক। মহাকাশ স্টেশনে যে রেডিয়েশন সেন্সর রয়েছে তা ভুল তথ্য ধরছে। 
 
তথ্য বিভ্রাটের বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে আবিষ্কার করার পরই নাসাকে মেইল পাঠায় ওই কিশোর। জবাবে নাসার পক্ষ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরের এই অনুসন্ধানকে প্রশংসা করা হয়েছে। ভুলটি ঠিক করতে মাইলস সলোমনকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রণও জানিয়েছে নাসা। 


72
অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন অথচ এই CODE গুলো জানেন না?



মোবাইল দুনিয়ায় এখন চলছে স্মার্টফোনের জয়জয়কার চলছে। আর সেসব স্মার্টফোনের বেশির ভাগই অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর। সব অ্যানড্রোয়েড ফোনেরই আছে কিছু জরুরি কোড। যা অনেকের কাছে অজানা। এই কোড জানা থাকলে আপনি আপনার মোবাইলের জরুরি কাজগুলো খুব সহজে সমাধা করতে পারবেন। এই অ্যানড্রয়েড ফোনের জরুরি কিছু কোড তুলে ধরা হলো-

১. ভয়েস ডায়াল মোড অ্যাক্টিভ করতে *#*#8351#*#*
২. সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন পেতে *#12580*269#
৩. ক্যামেরার যাবতীয় তথ্যর জন্য *#*#34971539#*#*
৪. মোবাইলের বেসিক ইনফরমেশন জানতে *#*#4636#*#*
৫. ফ্যাক্টরি রিসেট সেটিংয়ের জন্য *#*#7780#*#*
৬. ব্লুটুথ ঠিক আছে কিনা জানার জন্য *#*#232331#*#*
৭. র‌্যামের মেমোরি ভার্সান জানার জন্য *#*#3264#*#*
৮. মোবাইলের আইএমইআই নম্বর জানার জন্য ডায়াল করুন *#06#


73
ফেইসবুকের বিরক্তিকর নোটিফিকেশন বন্ধ করবেন যেভাবে



তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বাড়ছে ব্যবহারীর সংখ্যা তবে এ মাধ্যমটির যেমন অনেক সুবিধা আছে তেমনি রয়েছে অনেক বিড়ম্বনাও। যেমন প্রতিদিন সকালে ফেইসবুক নোটিফিকেশন দিয়ে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেয় গত কয়েক বছর ধরে এ দিনে কি ঘটেছিল। কোন স্ট্যাটাস বা ছবি শেয়ার করেছিলেন সে সম্পর্কে জানা যায় এ নোটিফিকেশন থেকে।

এতে পুরানো অনেক স্মৃতি নতুন করে আনন্দ বা বেদনার জন্ম দেয়। তবে কেউ এসব নোটিফিকেশনকে বিরক্তির কারণ হিসেবে মনে করলে তা বন্ধ করতে পারবেন।

যেভাবে ফেইসবুকের স্মৃতিচারণমূলক নোটিফিকেশন বন্ধ রাখবেন তা এ টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হলো।

ফেইসবুকে লগইনের পর আপনাকে এ ঠিকানায় যেতে হবে। https://www.facebook.com/onthisday





সেখানে আজকের দিনে বা গত বছর কিংবা এর আগের বছরগুলোতে ফেইসবুকে আপনি যেসব পোস্ট দিয়েছেন বা শেয়ার করেছেন তা দেখতে পাবেন।

এখন আপনি প্রতিদিনের নোটিফিকেশন বন্ধ করতে চাইলে ‘notifications’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

তারপর তিনটি অপশন দেখা যাবে। যেখান থেকে ‘all memories’ নিবার্চন করলে প্রতিটি ঘটনা নোটিফিকেশন আকারে জানাবে ফেইসবুক।

‘Highlights’ নির্বাচন করলে আগের সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনাগুলো নোটিফিকেশন আকারে জানাবে। আর যদি ‘none’ নির্বাচন করেন তাহলে কোনো নোটিফিকেশন আসবে না।

তাই যদি আপনি প্রতিদিন এ স্মৃতিচারণমূলক নোটিফিকেশনে বিরক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ‘none’ নির্বাচন করে দিলেই হবে।


74
স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ



স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ব্যবহারকারীদের জন্য জরুরি। আপনার স্মার্টফোনে ব্যাংকের হিসাব, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি থাকার কারণে হ্যাকারদের অন্যতম লক্ষ্য এই যন্ত্রটি। এটাকে হ্যাক করতে পারলেই আপনার সব তথ্য তাদের হাতে চলে যাবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলে গেলে সব টাকা উধাও করে ফেলতে পারে তারা। তাই যন্ত্রটিকে নিরাপদে রাখুন। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন, তা জেনে নিন-

* সবার আগে এনক্রিপশন
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ফোনের সব তথ্য এনক্রিপ্ট করার সুযোগ দেয়। যন্ত্রটি প্রতিবার চালু করার সময় একটি পাসওয়ার্ড লাগে সব তথ্য ডিক্রিপ্ট করতে। কাজটি বিরক্তিকর ও সময় সাপেক্ষ মনে হতে পারে। কিন্তু হ্যাকাররা যখন আপনার ফোনে ঢুঁ মারবে, তখন বুঝবেন কতটা নিরাপত্তা দিয়েছে এনক্রিপশন সিস্টেম।

* একটি অ্যান্টি-ভাইরাস রাখুন
যদি ওয়েবসাইট ব্রাউজ করেন এবং বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোড করেন, তবে একটি ভালো মানের অ্যান্টি-ভাইরাস ডাউনলোড করে নিন। এটি আপনাকে অনেক বিপদ থেকে বাঁচাবে। বিশেষ করে যদি সামান্য অর্থ ব্যয় করে নর্টন বা কারপারস্কি ব্যবহার করেন, তবে সব ধরনের ভাইরাস থেকে আপনি নিরাপদে থাকবেন।

* অচেনা উৎস থেকে অ্যাপ নয়
গুগল প্লে এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরস থেকে যাবতীয় অ্যাপ এবং গেম ডাউনলোড করুন। অ্যাপ ডাউনলোড করার অসংখ্য উৎস রয়েছে। এসব জায়গা থেকে অ্যাপ নেবেন না। তাহলে সহজেই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করবে আপনার ফোনে। আর সেখানেই হ্যাকারদের কারসাজি।

* আপ-টু-ডেট থাকুন
অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে বিভিন্ন সময় আপডেট আসতেই থাকে। স্মার্টফোনের সব সফটওয়্যারের যে আপ-টু-ডেট আসে তা ইনস্টল করে নিন। পুরনো সংস্করণ হ্যাকারদের আক্রমণের কাছে দুর্বল হয়ে পড়ে। কোনো নিরাপদ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে আপ-টু-ডেট থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

* অচেনা ওয়াই-ফাই ব্যবহার নয়
প্রযুক্তির যন্ত্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা সবাইকে সাবধান করে দেন। অচেনা কোনো ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন না। এমনকি পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবস্থাতেও যথেষ্ট ফাঁক থাকে। এগুলো গলে সহজেই প্রবেশ করে হ্যাকাররা। কেবল নিজের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন। 

সূত্র: ইন্টারনেট।


75

ফেসবুকে কেউ আনফ্রেন্ড করলে নোটিফিকেশন পাবেন যেভাবে



বর্তমানে ফেসবুক সবার কাছে খুব জনপ্রিয় এক মাধ্যম। নতুন বন্ধুত্ব তৈরিতে এর জবাব নেই। কিন্তু কখনও কখনও ফেসবুক-বন্ধুত্বও তৈরি করে তিক্ততা। সে ক্ষেত্রে অপছন্দের বন্ধুকে আনফ্রেন্ড করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সে রকমভাবে আপনিও ফেসবুকে কারো অপছন্দের তালিকায় পড়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকেও আপনার কোনো ফেসবুক-বন্ধু আনফ্রেন্ড করে দিতে পারেন।

ফেসবুক কিন্তু এ সমস্ত ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো নোটিফিকেশন পাঠায় না। তা হলে অজস্র বন্ধুর মধ্যে কে আপনাকে হঠাৎ আনফ্রেন্ড করল, তা জানার উপায় কী? উপায় অতি সহজ। জেনে নিন—

১. প্রথমে গুগল ক্রোম খুলুন।
২. ডান দিকের উপরের কোণের তিনটি ডট-এ ক্লিক করে ‘সেটিংস’ অপশন-এ যান।
৩. ‘এক্সটেনশনস’-এ ক্লিক করুন।
৪. পেজ-এর এক দম নীচে ‘গেট মোর এক্সটেনশনস’-এ ক্লিক করুন।
৫. সার্চ বক্স-এ লিখুন ‘আনফ্রেন্ড ফাইন্ডার’(‘unfriend finder’)।
৬. সার্চ রেজাল্ট-এ ঠিক অপশনটির পাশে ‘অ্যাড টু ক্রোম’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন। এক্সটেনশনটি অ্যাড হয়ে যাবে আপনার ব্রাউজারে।
৭. এ বার ক্রোম ব্যবহার স্বাভাবিক ভাবে ফেসবুক-এ লগ ইন করুন।
৮. একেবারে ডান দিকের উপরের কোণে আনফ্রেন্ড ফাইন্ডারের আইকনটিতে ক্লিক করুন। এই এক্সটেনশন দেখিয়ে দেবে, কে আপনাকে আনফ্রেন্ড করেছেন। এমনকী নতুন কেউ আপনাকে আনফ্রেন্ড করলেই আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে আসবে।

তবে এই এক্সটেনশন কেবল মাত্র গুগল ক্রোমের ডেস্কটপ ভার্সনেই কাজ করবে। মোবাইলে এর এক্সটেনশন অ্যাড করা যাবে না।


Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 43