Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - ishaquemijee

Pages: [1] 2 3 ... 21
1
মহান আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। তিনি বান্দার ভুলত্রুটি, পাপতাপ, যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা ও মার্জনা করেন এবং দয়া করুণা বর্ষণ করেন।

আল্লাহ বান্দাকে নানানভাবে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে; তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যারা তাদের প্রতি মসিবত আপতিত হলে বলে, “নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।” তাদের প্রতি তাদের রবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)।

বান্দা ইস্তিগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) করলে আল্লাহ আজাব দূর করে দেন। কোরআনের বর্ণনা, ‘আপনি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না এবং তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করলে তখনো আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৩৩)

মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করে তার মধ্যে পাপ-পুণ্যের সম্ভাবনা দিয়ে রেখেছেন। তাই দোষে-গুণে মানুষ।


কোরআনে রয়েছে, ‘অতঃপর আল্লাহ তাতে (মানব সত্তায়) অপরাধ প্রবণতা ও তাকওয়া বা সতর্কতার জ্ঞান দান করলেন।’ (সুরা শামছ, আয়াত: ৮)। ‘আর আমি তাকে (ভালো-মন্দ, সত্যাসত্য, ন্যায়-অন্যায়) দুটি পথ দেখিয়ে দিয়েছি (যাতে সে সঠিক পথ চিনে চলতে পারে)।’ (সুরা বালাদ, আয়াত: ১০)

নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সব মানুষই অপরাধী, তাদের মাঝে উত্তম হলো তওবাকারী।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ)। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ গুনাহ মাফের উদ্দেশ্যে ইস্তিগফার করাকে নিজের ওপর আবশ্যক করে নেয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে তিনটি পুরস্কার দেবেন—তার জীবনের কঠিন অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করবেন, তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন, তাকে অচিন্তনীয় ও অকল্পনীয় স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে অগণিত মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘দুর্ভাগা তারা, যারা রমজান পেয়েও মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভ করতে পারল না।’ (বুখারি)


মহান আল্লাহর একটি গুণ হচ্ছে ক্ষমা করা। আল্লাহ বলেন, ‘হে (নবী মুহাম্মদ সা.)! আপনি আমার বান্দাদের বলে দিন, আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা হিজর, আয়াত: ৪৯)

হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, ‘বান্দা যদি দৈনিক সত্তর বার অপরাধ করে এবং সত্তর বার ক্ষমা চায়, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ প্রিয় নবীজি (সা.) দৈনিক সত্তর বারের অধিক বা এক শ বার ইস্তিগফার তথা ক্ষমাপ্রার্থনা করতেন। অথচ তিনিসহ সব নবী–রাসুল ছিলেন মাসুম বা সম্পূর্ণ নিষ্পাপ। কারণ, তওবা ও ইস্তিগফার স্বতন্ত্র ইবাদত; এতে আল্লাহ খুশি হন।

তওবা ও ইস্তিগফারের জন্য কোরআন ও হাদিসে বহু দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দোয়াটি হচ্ছে সাইয়েদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমার শ্রেষ্ঠ আবেদন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি কেউ সকাল–সন্ধ্যায় বিশ্বাসের সঙ্গে সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠ করে, সে যদি ওই দিন রাতে বা দিবসে ইন্তেকাল করে, তাহলে সে জান্নাতি হবে।’

সাইয়েদুল ইস্তিগফার হলো: ‘আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা; খলাকতানি ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাততু, আউযু বিকা মিন শাররি মা ছনাতু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুউ লাকা বিযাম্বি; ফাগফির লি, ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্‌ -যুনুবা ইল্লা আন্তা।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নাই; আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনারই বান্দা, আর আমি আছি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ওপর আমার সাধ্যমতো; আমি আপনার কাছে পানাহ ও আশ্রয় চাই আমার অনাসৃষ্টির অকল্যাণ এবং অপকার ও ক্ষতি হতে। আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি আপনার সব নিয়ামত আরও স্বীকার করছি আপনার সমীপে আমার সব অপরাধ। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন; আর অবশ্যই আপনি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নেই।’ (বুখারি: ৬৩২৩ ও মুসলিম)।

2
রমজানের সিয়ামের বিশেষ অনুষঙ্গ তারাবির সালাত। রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের বাড়তি নেয়ামত হলো নামাজে তারাবি।

পবিত্র রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে রাতে তারাবির নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত, যা আল্লাহর কাছে অতি পছন্দনীয়।

তারাবি শব্দটি একটি আরবি পরিভাষা। এর আভিধানিক অর্থ হলো আরাম করা, বিশ্রাম করা, ধীরে ধীরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা ইত্যাদি।

তারাবির নামাজের ফাঁকে ফাঁকে যেহেতু কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া হয় এবং নামাজের সময় প্রলম্বিত করে ইবাদতের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়, এ জন্য একে তারাবির নামাজ বলা হয়ে থাকে।

পবিত্র মাহে রমজানের বিশেষ ইবাদত হলো তারাবির নামাজ। এই নামাজ প্রতিদিন এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর এবং বিতরের আগে আদায় করা হয়।

২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, গুরুত্বের দিক থেকে ওয়াজিবের কাছাকাছি। ওজর বা অপারগতা ছাড়া তারাবির নামাজ পরিত্যাগ করা বড় গুনাহ।

পবিত্র কুরআন নাজিলের মাসে নামাজের মাধ্যমে কুরআন খতম অশেষ সওয়াবের। এটা জামাত সহকারে আদায় করতে পারলে অপরিসীম ফজিলত রয়েছে।

আমাদের দেশে দুই ধরণের তারাবি প্রচলিত। একটি হলো সুরা তারাবি এবং অন্যটি হলো খতম তারাবি। সুরা তারাবি হলো পবিত্র কুরআনের যে কোন সুরা দিয়ে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা।

খতম তারাবি হলো রমজান মাসে সম্পূর্ণ কুরআন সহকারে তারাবি আদায় করা। উভয় পদ্বতিই ইসলাম অনুমোদন করে। তবে খতমে তারাবিতে সওয়াব বেশি। সুরা তারাবির মাধ্যমে নামাজ আদায় করলেও নামাজ আদায় হবে।

তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম:

এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। আর এ নামজকেই ‘তারাবির নামাজ’ বলা হয়।

তারাবি নামাজের নিয়ত:

আরবি এবং বাংলা উভয়ভাবে নিয়ত করা যাবে। আরবি নিয়ত হচ্ছে,

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

 নাওয়াাইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ, সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

বাংলায় নিয়ত হচ্ছে, আমি কেবলামুখি হয়ে দুই রাকাআত তারাবির সুন্নতে মুয়াাক্কাদাহ নামাজের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। (জামাআত হলে যোগ করতে হবে এ ইমামের পেছনে পড়ছি)।

তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতেও এভাবে নিয়ত করা যাবে যে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে পড়ছি।

নামাজ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
 

তারাবির নামাজ কিভাবে পড়বেন:

দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়া। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেয়া।

বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। তারপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা।

তারাবি নামাজের দোয়া

তারাবি নামাজে প্রতি চার রাকাত পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা এই দোয়াটি পড়ে থাকেন। দোয়াটি হলো-

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

তবে মনে রাখতে হবে, তারাবি নামাজ বিশুদ্ধ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এই দোয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দোয়া না পড়লে তারাবি নামাজ হবে না, কোনোভাবেই এমন মনে করা যাবে না। মূলত এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

এ সময় কুরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়াই পড়া যাবে। আলেমদের মতে, তারাবি নামাজে চার রাকাত পর বিশ্রামের সময়টিতে কুরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, কোনো কারণবশত যদি একদিন তারাবির নামাজ পড়তে না পারেন তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। নামাজ না পড়ার শাস্তির ভোগ করতে হবে। সমাজের অনেকেই মনে করেন তারাবির নামাজ আদায় না করলে রোজা হবে না, অথচ এমন কোন কথা কুরআন-হাদিসে নেই। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা।
Collected:

3
এই মৌসুমে ঘরে ঘরে জ্বর। টাইফয়েড, ডেঙ্গু, কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি ঋতু পরিবর্তনের কারণেও মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে বমি, পেটব্যথা, পুরো শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা ও অরুচির সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে রোগী। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার।


কী খাবেন

স্যুপ: জ্বর হলে মুরগির মাংস ও সবজি দিয়ে স্যুপ করে খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় রোগী দ্রুত শক্তি পায় এবং সুস্থ হয়। প্রোটিন রোগীকে দ্রুত আরোগ্য লাভে সাহায্য করে। স্যুপ খেতেও সহজ।

ডিম: ডিম–সবজি দিয়ে স্যুপ কিংবা সেদ্ধ ডিম রাখুন খাবারে। ডিমের প্রোটিন আপনাকে বাড়তি শক্তি জোগাবে।

ফলের শরবত: লেবু, কমলা, মাল্টা, বেদানা ও আনারসের জুস খাবেন। এগুলোয় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।


দইয়ের লাচ্ছি: দই হচ্ছে প্রোবায়োটিকস। এ সময় জ্বরে পেটব্যথা, বদহজম ও পাতলা পায়খানার সমস্যা হয় অনেকের। তাই খাবার তালিকায় টক দই কিংবা দইয়ের লাচ্ছি রাখতে পারেন। পেট ঠান্ডা রাখবে। হজম ভালো হবে।

ডাবের পানি: ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়ামসহ অন্যান্য মিনারেল রয়েছে, যা রোগীর শরীরে পর্যাপ্ত পানি ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে।

শেক: কলা–দুধ কিংবা কলা–আম দিয়ে শেক করে দিতে পারেন। দুধ ও ফলের শেক, দুধ ও বাদামের শেক দ্রুত জ্বর সারাতে সাহায্য করবে। তবে জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা পেটব্যথা থাকলে কোনো ধরনের শেক দেবেন না।

ফল: মৌসুমি ফল ও কলা খেতে পারেন। ফলে বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

জাউ ভাত: ভারী ও সহজপাচ্য খাবার হিসেবে রোগীকে এক বা দুবেলা জাউ ভাত দিতে পারেন। সঙ্গে কবুতর বা মুরগির মাংসের ঝোল। চাইলে চাল, ডাল, মাংস, পেঁপে বা অন্য সবজি দিয়ে পাতলা খিচুড়িও করতে পারেন। জ্বরের কারণে রোগী দুর্বল হয়ে যায়। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে শর্করাজাতীয় খাবারের বিকল্প নেই। শর্করা হিসেবে জাউ ভাত বা পাতলা খিচুড়ি দিতে পারেন।

যা খাওয়া যাবে না
রোগীকে বাইরের খাবার, তৈলাক্ত ভাজাপোড়া ও অর্ধসেদ্ধ খাবার দেবেন না। অতিরিক্ত চা-কফি বুক ধড়ফড়ানি বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, জ্বরে নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়। তবে আদা চা, লেবু চা ও মধু দিয়ে লিকার চা খেতে পারেন।


4
এই সেই ঐতিহাসিক বদর প্রান্তর

আজ ১৭ রমজান। এ দিন সংঘটিত হয়েছিল বদরের যুদ্ধ। ইসলামের ইতিহাসে দিনটির গুরুত্ব বিশেষ। ২ হিজরির ১৭ রমজান মদিনার মুসলমান এবং মক্কার অমুসলমানদের মধ্যে এ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের আগে চলে বেশ কিছু খণ্ডযুদ্ধ। তবে বদরের যুদ্ধ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম বড় আকারের যুদ্ধ।

ইসলামের এই প্রথম সামরিক যুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমান বাহিনী বিজয়ী হয়। এই বিজয় অন্যদের কাছে এই বার্তা পৌঁছায় যে মুসলমানরা আরবে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলে নেতা হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অবস্থান দৃঢ় হয়।


মক্কা থেকে মদিনা যাওয়ার পুরোনো রাস্তায় যাওয়ার পথে বদরের প্রান্তর পড়ে। আধুনিকভাবে নির্মিত রাস্তায় অনেক কম সময়ে মদিনা পৌঁছানো যায়।

হজের পরে এক শুক্রবার মদিনার যাওয়ার পথে পড়ল বদরের প্রান্তর। সেখানে বেশ কয়েকটি পুরোনো বাড়ি। কোনোটির দরজা আছে, ছাদ নেই। কোনোটির আবার ছাদ আছে, কিন্তু দরজা নেই। বালুময় দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ছুটে চলছে গাড়ি।

গাড়িচালক এক সময় জানালেন, আমরা আবুজার গাফফার উপত্যকা অতিক্রম করছি।

এর কিছুক্ষণ পরে বদর উপত্যকার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে একজন বললেন, ‘এটা মালাইকা পাহাড়।’ সড়কের দুই পাশে উঠেছে আধুনিক দালান। আরও একটু এগিয়ে যেতেই সামনে হাতের বাঁ পাশে একটি বড় শ্বেত পাথর।


লেখকের পেছনের এই নাম ফলেক বদরযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সাহাবীদের নাম লেখা রয়েছে।
লেখকের পেছনের এই নাম ফলেক বদরযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সাহাবীদের নাম লেখা রয়েছে।
বদরযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা সেখানে খোদাই করে রাখা হয়েছে। দেখা গেল, তালিকায় ১৪ জনের নাম রয়েছে। অনেকেই ছবি তুললেন। শহীদদের নামফলকের পাথরটির উল্টো দিকেই বদরের যুদ্ধক্ষেত্র। দেয়াল দিয়ে জায়গাটা ঘিরে রাখা। গাড়ি এগিয়ে ডান দিকে ঘুরে সামান্য সামনে নিয়ে গেল। সেখানে মসজিদে আরিস।

মহাসড়কের দুই পাশে ধু ধু বালি। মাঝেমধ্যে বালুর টিলা ও পাহাড়। ধু ধু বালুতে চোখ অবসন্ন হয়ে আসে। গাড়ি ছুটে সাঁই সাঁই করে। থামার কোনো নামগন্ধ নেই।

আরও প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পরে গাড়িচালক বললেন, সামনে একটা মিষ্টি পানির কুয়া আছে। নাম ‘বিরে শিফা’। এটি ছিল দূষিত ও বিষাক্ত পানির কুয়া। পরে রাসুল (সা.) এখানে থুতু নিক্ষেপ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে এটি সুপেয় পানির কুয়ায় পরিণত হয়। আমরা সবাই নেমে পড়লাম। অনেকেই বোতল নিয়ে পানি পান করছে। আমরাও পানি পান করলাম।

বদরের যুদ্ধ হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে পরিচালনা করেন। আল আরিশ পাহাড়ের পাদদেশে মুসলিম বাহিনীর শিবির স্থাপিত হলো। তাই পানির কুয়াগুলো তাদের আয়ত্তে ছিল। আর নবী করিম (সা.) সৈন্য সমাবেশের জন্য এমন একটি জায়গা বেছে নেন, যেখানে সূর্যোদয়ের পর যুদ্ধ হলে কোনো মুসলমান সৈন্যের চোখে সূর্যকিরণ পড়বে না।

প্রাচীন আরব রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথমে মল্লযুদ্ধ হয়। অমুসলিমদের সেনাসংখ্যা ছিল এক হাজার। আর ছিল একশটি ঘোড়া, ছয়শ লৌহবর্ম এবং অসংখ্য উট। অমুসলিমদের সেনাপতি ছিলেন ওতবা বিন রবিআ। যুদ্ধে সত্তর জন অমুসলিম নিহত হন এবং বন্দীও হন সত্তর জন।

মুসলমানদের বাহিনীর সেনাসংখ্যা ছিল ৩১৩ জন। মুহাজির ছিলেন ৮২ জন, বাকি সবাই আনসার। আওস গোত্রের ৬১ জন এবং খাজরাজ গোত্রের ১৭০ জন। মুসলিমদের উট ও ঘোড়ার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭০টি ও ২টি। যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর ১৪ জন শহীদ হন।

এই যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল নবীজি (সা.)-এর প্রধান শত্রু আবু জাহেলের নিহত হওয়া। এ প্রসঙ্গে দুই কিশোরের অসম সাহসিকতা নিয়ে একটি বীরত্বের কাহিনি প্রচলিত আছে।

ফেরদৌস ফয়সাল


5


মাদকাসক্তি আধুনিক সভ্যতার ভয়ংকরতম ব্যাধিগুলোর অন্যতম। বলারও অপেক্ষা রাখে না, মাদক পরিবার-পরিজন ও জ্ঞাতি-বংশকে এমন বিপদ-বিপর্যয়ের মাঝে ফেলে দেয়, যা থেকে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়ে।


অন্ধকার যুগে আরবরা ছিল মদ পানের প্রতি গভীরভাবে আসক্ত। তারা তাদের এ আসক্তি কথাসাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় নানাভাবে ফুটিয়ে তুলত। মদের গুণাগুণে রচিত কবিতাগুলো তাদের মজলিসে ছন্দের ঝংকার তুলত। বিভিন্ন আসরে আসরে বর্ণিত হতো এর রকমারি চমক ও চানোক্য। এমনকি মদের শ’খানেক নামও দিয়েছিল তারা।

ইসলাম এসে ক্রমান্বয়ে তাদের ওপর মদকে হারাম করে দিল। তাদের প্রথম ধাপে মদে মত্ত অবস্থায় নামাজ পড়া থেকে নিষেধ করা হলো। এরপর তাদের বলে দেওয়া হলো, মদের মধ্যে যেসব উপকারিতা রয়েছে, তার তুলনায় এর গোনাহ ও অপরাধের দিকটিই অধিক মারাত্মক। এরপর আল্লাহতায়ালা সূরা মায়িদার নিুোক্ত ব্যাপক তাৎপর্যবহ ও অকাট্য আয়াতটি নাজিল করলেন-‘হে ইমানদারগণ! নিশ্চয়ই খামরুন (মদ ও মাদক), মাইসিরুন (জুয়া), আনসাব্ (বলিদানের স্থান) এবং আজলাম (ভাগ্য গণনার শর)-শয়তানের অপবিত্র সব কাজ। বিধায় তোমরা তা পরিহার করে চলো। আশা করা যায়, তোমরা সফলতা লাভ করতে পারবে। নিশ্চই শয়তান চায়, মদ ও জুয়ার আবর্তে ফেলে সে তোমাদের পরস্পরের মাঝে দুশমনি ও জিঘাংসা সৃষ্টি করে দেবে এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। সুতরাং, (এখন এসব থেকে) তোমরা বিরত হবে কি? [সূরা মায়েদাহ- ৯০, ৯১]।

আল্লাহতায়ালা এ আয়াত দুটিতে মদ ও জুয়াকে একেবারে চূড়ান্ত ও কঠোর ভাষায় হারাম করে দিয়েছেন এবং একে বলিদানের স্থান এবং ভাগ্য গণনার শরের সঙ্গে উল্লেখ করে এ কাজ দুটিকে অপবিত্র ও পঙ্কিলতাপূর্ণ হিসাবে গণ্য করে নিয়েছেন। উল্লেখ্য, রিযসুন কথাটি যখন কুরআনে ব্যবহৃত, তখন সেটা শুধু অশ্লীল, জঘন্য, বীভৎস ও পঙ্কিল জাতীয় কিছু বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তদুপরি এ কাজ দুটিকে আবার শয়তানের কাজ বলে অভিহিত করেছেন; আর শয়তানের কাজই হলো অশ্লীল ও অসৎ কাজ করা। এখানে মদ্য পান ও জুয়াকে পরিহার করে চলার আহ্বান জানান হয়েছে; সঙ্গে এই পরিহারকে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সাফল্যের পানে ধাবিত হওয়ার পথ। আরও বলা হয়েছে, এ দুকাজের বিভিন্ন সামাজিক ক্ষতির কথা। বলা হয়েছে, এসব কাজ নামাজ থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখে, সৃষ্টি করে একে-অপরের মাঝে দুশমনি ও জিঘাংসা। মাদক এবং জুয়ার আরও অন্যতম ক্ষতি এই যে, তা নামাজ এবং আল্লাহর স্মরণের মতো দ্বীনের বিভিন্ন অপবিহার্য বিষয়-যা আত্মার রুহানি খোরাক-তা থেকে মানুষকে দূরে রাখে।

নবি করিম (সা.) যখন প্রথম মদ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন, তখন তিনি এদিকে মোটেও ভ্রুক্ষেপ করেননি যে, কোন্ কোন্ জিনিস থেকে মদ তৈরি করা হয়, বরং তার মূল দৃষ্টি ছিল-মদ মানুষের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া ঘটায় সে দিকে; আর সেটা হলো উন্মাদনা, নেশা ও মাদকতা। কাজেই যে জিনিসের মধ্যেই এ মাদকতা, নেশা ও মাতালতার শক্তি বিদ্যমান থাকবে, সেটিই খামরুন/মাদক/মদ হিসাবে বিবেচিত হবে-চাই মানুষ সেটাকে যে নাম বা উপনামে ডাকুক না কেন। চাই তা যে জিনিস থেকেই প্রস্তুত করা হোক না কেন। নবি করিম (সা.)-এর কাছে ‘মধু’ থেকে প্রস্তুতকৃত, কিংবা ‘ভুট্টা’ ও ‘যব’ ভিজিয়ে পরে তা ঘন করে যে মদ প্রস্তুত করা হয়-সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, বলেছিলেন ‘প্রত্যেক নেশাকর জিনিসই খামরুন (মাদক/মদ)। আর প্রত্যেক খমরুনই হারাম। [সহিহ মুসলিম-৩/১৫৮৮]।

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে হজরত ওমর (রা.) লোকজনের সামনে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন-‘খামরুন (মদ/মাদক) হলো তা, যা মস্তিষ্কে মাদকতা আনয়ন করে’। [সহিহ বুখারি-৪৩৪৩]। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-‘যে জিনিসের অধিক পরিমাণ মাতালতা/নেশা/মাদকতা সৃষ্টি করে, তার সামান্য পরিমাণও হারাম’। [সুনানে আবু দাউদ-৪/৮৭]।

মদ/মাদক চাই কম হোক বা বেশি। নবি করিম (সা.) সেটাকে শুধু হারাম করে দিয়েই ক্ষান্ত হননি বরং মাদক ব্যবসাকেও তিনি হারাম করে দিয়েছেন-চাই সেই ব্যবসাটি অমুসলিমদের সঙ্গেই করা হোক না কেন। সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্যই এ কাজ জায়েজ নয়, সে মাদক আমদানি-রপ্তানির কাজ করবে, অথবা মাদক বিক্রির দোকান দিয়ে বসবে, কিংবা কোনো মদের দোকানে চাকরি করবে। এ পর্যায়ে নবি করিম (সা.) মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দশ শ্রেণির ব্যক্তির ওপর অভিশাপ দিয়েছেন। তারা হলো-‘যে (মাদক তৈরির জন্য দ্রব্য নিংড়িয়ে/প্রক্রিয়াজাত করে) তা উৎপাদন করে, যে তা উৎপাদন করিয়ে নেয়, (অর্থাৎ যে মাদক উৎপাদন করতে বলে), যে তা সেবন করে, যে তা বহন করে, যার কাছে তা বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়, যে তা পরিবেশন করে, যে তা বিক্রি করে, যে তার মূল্য খায়, যে তা ক্রয় করে, এবং যার জন্য তা ক্রয় করা হয়’। [সুনানে তিরমিজি-১/২৪৩]।

সূরা মায়িদার পূর্বোল্লিখিত আয়াতটি যখন নাজিল হয়, তখন নবি করিম (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ খামরুন (মদ/মাদক) হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং, যে ব্যক্তিই এই আয়াতের কথা জানতে পারবে, তার কাছে এর কোনো কিছু থেকে থাকলে-সে আর (তা) সেবনও করতে পারবে না, (সেটা) বিক্রিও করতে পারবে না’। হাদিসের বর্ণনাকারী বলেন, লোকজন এ নির্দেশকে (তৎক্ষণাৎ সাদরে) গ্রহণ করে নিলেন। মদিনার রাস্তায় রাস্তায় তাদের যার কাছে এর যা কিছু ছিল, তারা তা বহিয়ে দিলেন’। [সহিহ মুসলিম ১৫৭৮]।

শেষ কথা হলো, সমাজ ও রাষ্ট্রে থেকে মাদক নির্মূলে ইসলাম নির্দেশিত পথের কোনো বিকল্প নেই এবং আল্লাহতে বিশ্বাসী কোনো মুমিন মুসলমানের জন্য মাদক সেবনের কোনো সুযোগ নেই।

 ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

6


ইলম আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো- জানা, বুঝা, হৃদয়ঙ্গম করা, জ্ঞান। পরিভাষায়- বিখ্যাত আরবী অভিধান ‘আল মুজামুল ওয়াসীত’ প্রণেতার মতে- ইলম বলা হয় কোনো কিছু সম্পর্কে যাবতীয় তত্ত্ব ও তথ্যানুসারে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.) এর কাছে সর্বপ্রথম ওহী প্রেরণ করে বলেন, ‘ইকরা’ অর্থাৎ পড়। এই পড়ার দ্বারাই মানুষের জ্ঞান অর্জিত হয়। জ্ঞান এমন একটি বিষয় যা মানুষকে উচ্চাসনে আসীন করতে পারে। যার দ্বারা মানুষের নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পৃথিবী জুড়ে।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (সুরা যুমার : ৯)। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন, আর যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে উচ্চমর্যাদা। (সুরা মুজাদালাহ : ১১)। আল্লাহ আরো বলেছেন, তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, তুমি বল রূহ আমার রবের আদেশ ঘটিত; এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে। (সুরা ইসরা : ৮৫)।
জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক নর-নারীর উপর দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ফরজ। রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, আমি হলাম জ্ঞানের শহর। জ্ঞানীর মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আবেদের উপর আলেমের মর্যাদা হলো সমস্ত তারার উপর চাঁদের মর্যাদার মতো। জ্ঞান অর্জন করার জন্য করতে হয় অনেক কষ্ট, সাধনা, পরিশ্রম। এই কষ্ট-সাধনা করে যারা জ্ঞান অর্জন করে তারাই পুরো পৃথিবী জুড়ে পরিচিতি পায়, পায় জ্ঞানের স্বীকৃতি। জ্ঞান অর্জন করার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। এজন্য বলা হয় দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন কর। রাসূল (সা.) বলেছেন, দ্বীনি জ্ঞান অন্বেষণের জন্য জন্য যে পথ চলতে থাকে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা বেহেশতের পথ সহজ করে দেন।
জ্ঞান শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে তা প্রকৃত জ্ঞান নয়। এজন্য বলা হয় জ্ঞান হলো যা বক্ষে থাকে, যা ছত্রে থাকে তা নয়। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা যার কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। (বুখারী ও মুসলিম)। হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুআবিয়াহ (রা.)-কে খুৎবায় বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী (সা.)কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের ইলম দান করেন। আমি তো বিতরণকারী মাত্র, আল্লাহই (জ্ঞান) দাতা। (সহিহ বুখারী : ৭১)।
জ্ঞান অর্জনের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) থেকে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন ফক্বীহ (আলিমে দ্বীন) শয়তানের কাছে হাজার আবিদ (ইবাদাতকারী) হতেও বেশি ভীতিকর। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)। ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সা.) বলেন, গাছের মধ্যে এমন একটি গাছ রয়েছে যার পাতা ঝরে পড়ে না এবং তা হলো মুসলিমের দৃষ্টান্ত।
তোমরা আমাকে বল তো সেটা কোন গাছ? তখন লোকজনের খেয়াল জঙ্গলের গাছপালার প্রতি গেল। আর আমার মনে হতে লাগল যে, সেটি খেজুর গাছ। আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘কিন্তু আমি লজ্জাবোধ করলাম।‘ সাহাবায়ে কিরাম (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনিই আমাদের তা বলে দিন।’ আল্লাহর রসূল (সা.) বলেন, তা হলো খেজুর গাছ।’ আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘তারপর আমি আমার পিতাকে আমার মনে যা এসেছিল তা বললাম।’ তিনি বললেন, ‘তুমি তখন তা বলে দিলে তা আমার নিকট এরূপ এরূপ জিনিস লাভ করার চেয়ে অধিক প্রিয় হতো।’ (সহিহ বুখারী : ১৩১)
অতএব জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দুনিয়াবি জ্ঞানও অর্জন করা এবং জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ ও ব্যবহার করা এবং আল্লাহর শিখিয়ে দেয়া এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করা ‘রব্বি যিদনী ইলমা’ অর্থাৎ হে প্রভু! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। (সুরা ত্বোহা : ১১৪)।

7


পবিত্র ঈদুল আজহা আসন্ন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেওয়া হয়েছে পশুর হাটগুলো। কোরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ছুটছে পশুর হাটে। তাই চলুন, হাটে যাওয়ার আগে জেনে নিই কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ এবং কোরবানির বৈশিষ্ট্য কেমন হবে।

যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ : ছয় প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ বা বৈধ। এসব পশু ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তা হলো উট, গরু, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া ও মহিষ। (হেদায়া : ৪/৪৪৮)

পশুর বয়স : দুম্বা, ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হলে এদের দ্বারা কোরবানি করা বৈধ। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া ও দুম্বা মোটাতাজা হলে এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো দেখা গেলে তা দিয়েও কোরবানি করা জায়েজ। গরু ও মহিষ পূর্ণ দুই বছর বয়সী হতে হবে। দুই বছরের কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। উট পাঁচ বছর বয়সের হতে হবে। এর কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৪৯)
কোরবানির পশু যেমন হওয়া উত্তম : কোরবানির পশু হবে ত্রুটিমুক্ত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মধ্যবয়সী ও দৃষ্টিনন্দন। পবিত্র কোরআনে যেমনটি ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসা বলল, আল্লাহ বলছেন, তা এমন গরু যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়—মধ্যবয়সী। সুতরাং তোমরা যা আদিষ্ট হয়েছ তা বাস্তবায়ন করো। ...আল্লাহ বলছেন তা হলুদ বর্ণের গরু, তার রং উজ্জ্বল গাঢ়—যা দর্শকদের আনন্দ দেয়। ...মুসা বলল, তিনি বলছেন, তা এমন এক গরু যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি—সুস্থ নিখুঁত। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬৮-৭১)

উল্লিখিত আয়াতের আলোকে ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন, কোরবানির পশু নিখুঁত, দৃষ্টিনন্দন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও মধ্যবয়সী হওয়া উত্তম। দৃষ্টিনন্দন যেকোনো রঙের পশু যেমন কোরবানি করা যাবে, তেমনি চাষাবাদে ব্যবহৃত হওয়ার পরও যদি সেই পশু ত্রুটিমুক্ত থাকে তবে তা কোরবানি করা যাবে।

8

বাজারে চলে এসেছে গ্রীষ্মের সুমিষ্ট ফল লিচু। সুস্বাদু লিচু পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য। লিচু যেমন তৃপ্তি জোগায় তেমনই শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। সুস্বাদু লিচুতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন যা শরীর সুস্থ রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

জেনে নিন লিচুর উপকারিতা:

১) প্রচুর পরিমাণে পানি এবং পটাসিয়াম পাওয়া যায় লিচু থেকে। কিডনিতে জমা হওয়া টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এগুলো। লিচু ইউরিক এসিডের ঘনত্বও কমায় যা কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাস করে।

২) লিচুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাংগানিজ এবং কপার। এসব উপাদান হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত লিচু খেলে হাড়ের ভঙ্গুরতা কমে এবং অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

৩) ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া লিচুর অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে দেয় না। তাই গ্রীষ্মের এই সময়টায় নিয়মিত লিচু খেলে সাধারণ সর্দি এবং ফ্লুতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

৪) ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন কে এবং ই পাওয়া যায় লিচু থেকে। এতে কম মাত্রায় রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন রয়েছে।

৫) গরমে নিয়মিত লিচু খেলে দৈনিক ভিটামিন বি৬-এর চাহিদার ১০ শতাংশ পাওয়া যায়। এটা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এবং প্রদাহজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।

৬) লিচুতে ক্যালোরি খুব কম। তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। হার্টের জন্য খুবই উপকারী লিচু। এতে রয়েছে অলিগোনল, যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে সাহায্য করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড আবার রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।

৭) লিচুতে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।

9

Shahada
This is the first and arguably most important pillar because it is when a person declares their belief in the one true God, Allah (SWT).

Salat
Those who follow Islam must make every effort to pray five times every day in order to cement their dedication to Allah (SWT) and strengthen their bond to Him.

Zakat
One of Allah’s (SWT) key teachings is that we must give charity to those less fortunate, and that is lamented in the third pillar known as Zakat.

Sawm
This is the pillar from which Ramadan is derived as it means ‘to fast’. Ramadan is observed by Muslims in order to target this pillar.

Hajj
All able-bodied Muslims are expected to make at least pilgrimage to Mecca – the location where the first words of Allah were revealed to the Prophet Muhammad (PBUH).

10

Your quad muscles will perform knee extensions and hip flexions.  Machine exercises can be included.

Quad muscle exercises will involve squats, leg presses, machine squats, lunges, step exercises, as well as leg extensions.

If you don’t have a squat rack then try the following exercises (obviously many will involve to some degree, the hamstrings, glutes, adductors as well):

BB back squats, BB front squats, sissy squats, Smith machine squats, DB squats, one-legged squats, jump squats, Zecher squats (without a rack, you will have to use free BB with weights)
leg presses, one-legged leg press, machine hack squats.

lunges, walking lunges with weights (DBs or BBs), back lunge, split leg lunges, steps ups, diagonal step ups
machine leg extensions, cable leg extensions[/color]

11
টিভি পর্দায় বাহারি খাবারের বিজ্ঞাপনে কারও খিদে বাড়ুক আর না বাড়ুক, শিশুরা কিন্তু তাদের মগজে চিপস, চকলেট আর পিৎজার মজাদার প্রলোভনটি জমিয়ে রাখে। তাইতো রাস্তায় বের হলে তারা বলে ওঠে চকলেট দাও, বার্গার দাও, কুড়কুড়ে অথবা পটেটো চিপস দাও।

তাদের এই আবদারে না করলে পরের দৃশ্য যে কী হতে পারে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। তাই হরহামেশাই শিশুদের এই ইমোশনাল আবদারের নির্মম শিকার হতে হয়। নির্মম এ কারণে যে, শিশুর নাছোড়বান্দা অনুরোধে ওর হাতে যা তুলে দেয়া হয় তার পরিণতি অনেক ভয়াবহ। কেননা বিজ্ঞাপনে অনেক চটকদার কথা থাকলেও প্যাকেটজাত এসব পণ্যে কোন পুষ্টি থাকে না। এসব পুষ্টিহীন ‘জাঙ্ক ফুড’ শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে এক বড় অন্তরায়।

শিশুর প্রথম পাঁচ বছরে প্রায় ৮৫ ভাগ বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটে। ফলে শিশু বাড়ন্ত অবস্থায় ভাষা, রঙ, শব্দ, সংখ্যা সহজে বুঝতে পারে। শুধু তাই না, শিশু সামাজিক মেলামেশা ও ছোটখাটো দক্ষতাও শিখতে শুরু করে। শিশুর এই বুদ্ধিবিকাশে অনেকগুলো কারণ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবার তার মধ্যে অন্যতম।

সুষম খাবার শিশুর শারীরিক ও মানসিক গড়নে অনিবার্য বিষয়। শিশুর জন্য অনিবার্য এই খাদ্য দর্শন আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বাস্তবায়ন যে কত কঠিন তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে। তাই বলে কি হাল ছাড়া যাবে? কখনোই না। কেননা খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্লান্তিহীনভাবে চটকদার বিজ্ঞাপনের অজুহাতে যদি আপনার শিশুর হাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দিতে সফল হয়, তাহলে আপনি সন্তানের স্বাস্থ্যময় জীবনের জন্য ধৈর্যহারা হবেন কেন?

ড. সামিরা আরাফাত বলেন, শিশুর বাড়ন্ত অবস্থায় শরীর আর ব্রেইন দুটোর জন্য যথাযথ খাবার দরকার। বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলসবজি, মাছ কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার শিশুর শরীর গঠনতো বটেই বুদ্ধিও বাড়ায়। আমাদের হাতের কাছে সহজেই অনেক খাবার পাওয়া যায়। অভিভাবকদের জানা দরকার কোন খাবারগুলোর পুষ্টিমান অনেক বেশি শিশুবান্ধব।

❏ শস্য জাতীয় খাবার: ব্রেইনকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে শস্য জাতীয় খাবার। আটা বা কিংবা ছাতু দিয়ে তৈরি খাবার দিতে পারেন আপনার শিশুকে। রুটি, বিস্কুট বানিয়ে বৈচিত্র্য যোগ করলে শিশু আগ্রহী হতে পারে। তবে প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

❏ স্ট্রবেরি: আজকাল দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ভিনদেশি ফল স্ট্রবেরি। আর কালো জামতো আছেই। এই ফলগুলোতে আছে উঁচু মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা শিশুর স্মরণশক্তি এবং মেধা বাড়াতে সাহায্য করে। সরাসরি খেতে না চাইলে জুস বানিয়ে দিতে পারেন অথবা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে।

❏ ডিমের নানা পদ: শিশুদের কাছে ডিম খুবই পছন্দের খাবার। ডিমে আছে প্রোটিন। সেইসঙ্গে আছে ভিটামিন বি টু, জিঙ্ক, আয়রন, মিনারেল আর কপার। সেদ্ধ এবং মামলেটসহ নানা পদে আর ঢঙে শিশুর খাবারে ডিম যুক্ত করুন।

❏ দই-লাচ্ছি: দইয়ে আছে প্রবায়োটিক নামে এক অসামান্য উপাদান যা হজমে ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক পুষ্টিগুণ। যেসব শিশু জুস খেতে পছন্দ করে তাদের দইয়ের লাচ্ছি বানিয়ে দিতে পারেন। দইয়ের সাথে কয়েক টুকরো ফল যোগ করতে পারেন।

❏ কাঁটাবিহীন মাছ: মাছে আছে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি। শিশুর অন্যতম ব্রেইন ফুড, কিন্তু শিশুরা সহজে মাছ খেতে চায় না। কাঁটা কম এরকম মাছ দিয়ে শিশুর অভ্যাস তৈরি করুন। সামুদ্রিক মাছে কাঁটা কম এবং পুষ্টিগুণ অনেক। তবে ভাঁজা মাছে পুষ্টিগুণ অনেকটা হারিয়ে যায়।

❏ বাদাম: বুদ্ধিবিকাশে ভালমানের ফ্যাট খুবই দরকারী। বিভিন্ন জাতের বাদামে আছে ভালো মানের ফ্যাট। সেইসাথে প্রোটিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম। শরীরের সাথে এই উপাদানগুলো শিশুর বুদ্ধিও বাড়ায়। এছাড়া পিনাট বাটার বাজারে পাওয়া যায়। রুটি বা পাউরুটির সাথে যোগ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

❏ সবুজ শাক: শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সবুজ শাক সবজির বিকল্প নেই। ভিটামিন এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি নিয়মিত রাখুন খাবার টেবিলে। খেয়াল করুন কী ধরনের সবজি আপনার শিশু পছন্দ করে। অনেক সবজি না চাপিয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে শিশুকে সবজি খেতে দিন। সবজিতে আরও আছে ফাইবার যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্লাড পেশার ও কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে ব্রকলি, ফুলকপিতে আছে নানা উপকারী উপাদান। শসা-টমেটো শিশুরা পছন্দ করলে তাই এগিয়ে দিন।

❏ ওটমিল: ওটমিলে আছে শক্তিশালী ফাইবার যা নিয়মিত খেলে রক্তপ্রবাহ সচল থাকে। চিন্তায় গতি আনতে যা খুব জরুরি। ওটমিলের সাথে লো-ফ্যাট মিল্ক, কলা যোগ করতে পারেন। বৈচিত্র্য আনতে কয়েক টুকরো ফল যোগ করতে পারেন। তবে মিষ্টি আনতে চিনির বদলে মধু মেশাতে পারেন।

❏ পর্যাপ্ত পানি পান: শিশুর পানি পানে আমাদের অবহেলার অন্ত নেই। অথচ পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে শিশুর ইউরিন কিংবা পানিশূন্যতা সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে ক্লান্তিতে শিশু আলসে হয়ে পড়ে। নিয়মিত পানি পানে শিশুর মধ্যে গতি আসবে। পানি শরীর থেকে নানারকম বাজে টক্সিক বের করে দেয়।

❏ চর্বিবিহীন মাংস: মাংস খেতে শিশুরা অনেক আগ্রহী। কিন্তু ফার্মের মুরগির বদলে শিশুকে দেশি মুরগি দিন। গরুর মাংস থেকে চর্বি ছেঁটে রান্না করুন। মাংসে আছে প্রোটিনসহ কয়েকধরনের ভিটামিন যা শিশুর হাড় গঠনেও সাহায্য করে।

❏ ডার্ক চকলেট: চকলেট পছন্দ করে না এমন শিশু পাওয়া যাবে না। শিশুর এই পছন্দকে কাজে লাগিয়ে ডার্ক চকলেট খেতে দিন। এই চকলেটে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেনট উপাদান যা শিশুর মস্তিষ্ক ও শরীরের ধমনির রক্ত প্রবাহ বাড়ায়।

আলোচিত খাবার ছাড়াও শিশুকে দুধের সাথে কাচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া বাজারের সয়াবিন না খাইয়ে সরিষা বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।

সব যে একইসঙ্গে বা প্রতিদিন খাওয়াতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। সময় সুযোগ আর শিশুর মুড বুঝে পরিবেশন করুন। তবে এখন থেকেই আপনাকে ভাবতে হবে শিশু কী খাবে এবং কেন খাবে?

12
Common Forum/Request/Suggestions / Ethical Principles
« on: August 05, 2021, 10:45:00 PM »


Integrity: To behave in accordance with ethical principles, and act in good faith, intellectual honesty and fairness.

Accountability: To take responsibility for one’s actions, decisions and their consequences.

Independence and impartiality: To conduct oneself with the interests of WHO only in view and under the sole authority of the Director-General, and to ensure that personal views and convictions do not compromise ethical principles, official duties or the interests of WHO.

Respect: To respect the dignity, worth, equality, diversity and privacy of all persons.

Professional Commitment: To demonstrate a high level of professionalism and loyalty to the Organization, its mandate and objectives.

14

মাস্ক সম্পর্কে জানার কী আছে এবং আপনার পরিবারে কীভাবে এর ব্যবহার শুরু করবেন
ইউনিসেফ

মাস্ক কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সহায়তা করে। তবে অনেক বাবা-মাই  লক্ষ্য করে থাকবেন যে শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবহার শুরু করাটা মোটেও সহজ নয়।

জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি দেশে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে, প্রথমবারের মতো মাস্ক পরার কারণে ২০২০ সাল তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আপনি যদি আগে কখনো মাস্ক ব্যবহার না করে থাকেন, তবে আপনার সম্ভবত এবিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকবে। আপনাকে আপনার পরিবারের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্তটি নিতে সহায়তা করার জন্য, আমরা কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে কীভাবে মাস্ক পরতে  এবং সঠিকভাবে এর যত্ন নিতে হয় এবং কীভাবে সফলতার সঙ্গে আপনার পরিবারে এর ব্যবহার শুরু করা যায় সে সম্পর্কিত সর্বশেষ বিশেষজ্ঞ তথ্য সংগ্রহ করেছি:

কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সাধারণ তথ্যের জন্য, এর লক্ষণগুলো কী, কীভাবে এটি ছড়ায় এবং কীভাবে নিজেকে এবং আপনার শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে জানতে পড়ুন কোভিড-১৯: বাবা-মায়েদের কী করা উচিত।

 

> মাস্ক নিয়ে যে সব প্রশ্ন প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা হয়

> মাস্ক কীভাবে পরবেন তার চেকলিস্ট

> মাস্ক সম্পর্কে কীভাবে আপনার সন্তানের সাথে কথা বলবেন

মুখে মাস্ক কেন পরতে হবে?

কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান উপায় হলো শ্বাসনালী থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা (ড্রপলেট), যা মানুষ কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় বেরিয়ে আসে। যদিও গবেষণা চলমান রয়েছে, তবে আমরা এখন জানি যে, ভাইরাস এমন মানুষের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে যাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এর অর্থ হচ্ছে, কিছু মানুষ সংক্রমিত হতে পারে, এমনকি কোনো ধরনের উপলব্ধি ছাড়াই।

এটি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেশি – এমন স্থানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে অন্যদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সবসময় সম্ভব নয়, যে কারণে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে মনে রাখবেন, কেবল একটি মাস্ক কোভিড-১৯ এর বিস্তারকে আটকাবে না – আমাদের সবাইকেই শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং ঘন ঘন হাত ধোয়ার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। একসঙ্গে এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা কোভিড-১৯ কে পরাহত করতে পারি।

 

আমার পরিবারের জন্য কী ধরনের মাস্ক নেওয়া উচিত?
নন-মেডিকেল মাস্ক (কাপড়ের মাস্ক): আপনি এবং আপনার পরিবার যদি এমন কোনো জায়গায় বাস করেন যেখানে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেশি এবং যদি কোভিড-১৯ এর কোনো উপসর্গ না থাকে, সেক্ষেত্রে নন-মেডিকেল মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

মেডিকেল মাস্ক: মহামারিজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী মেডিকেল মাস্কের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আপনি বা পরিবারের কোনো সদস্য কোভিড-১৯ এর কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন (৬০ বছরের বেশি বয়সী বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত) কিংবা আপনি যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কারো পরিচর্যায় নিয়োজিত থাকেন, তবে সেক্ষেত্র মেডিকেল মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার যদি কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকে তবে অন্যদের সুরক্ষার জন্য মেডিকেল মাস্ক পরা উচিত।

 

কোন ধরনের কাপড়ের মাস্ক সবচেয়ে ভালো?

কাপড়ের মাস্ক বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এগুলো চাইলে আপনি ঘরে বানাতে পারেন বা দোকান থেকে কিনতে পারেন। যদিও কাপড়ের মাস্কের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে, তবে এগুলোর কার্যকারিতা নির্ভর করে এতে ব্যবহৃত কাপড়ের ধরন এবং কয় স্তরের কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তিন স্তরের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয় যেখানে:

ভেতরের স্তরটি তৈরি হবে সুতি কাপড়ের মতো শোষণকারী উপকরণ দিয়ে
মাঝের স্তরে থাকবে পলিপ্রোপাইলিনের মতো বোনা নয় এমন উপকরণ
বাইরের স্তরটি তৈরি হবে পলিয়েস্টার বা পলিয়েস্টার মিশ্রণের মতো শোষণকারী নয় এমন উপকরণ দিয়ে
আপনি মুখ ঢেকে রাখার জন্য যে ধরনের মাস্কই বেছে নেন না কেন, এটা এমন হতে হবে যাতে নাক, মুখ ও চিুবক ঢেকে রাখা যায় এবং রাবারের বন্ধনী বা গিট দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।

 

আমার পরিবারের কখন মাস্ক পরা উচিত?

আপনি যেখানে থাকেন সেখানে আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট কোনো পরিস্থিতিতে মাস্ক পরতে বলছে কিনা এবং বয়স-ভিত্তিক কোনো পরামর্শ দিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানুন।

আপনার শিশুর মাস্ক পরা উচিত কিনা তা নির্ভর করে তাদের বয়স এবং নিরাপদে ও যথাযথভাবে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষমতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর। আরও তথ্যের জন্য ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা দেখুন।

যদি আপনার এলাকায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়, তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন – এমন জনাকীর্ণ পরিস্থিতিতে সবসময় কাপড়ের মাস্ক পরা উচিত। জনাকীর্ণ স্থান এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা আবদ্ধ জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে যাওয়া যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।

মাস্কের ব্যবহার এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে প্রচুর ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে, সুতরাং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আপনার জাতীয় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতো বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

 

কখন আপনার মাস্ক পরা উচিত নয়?

নবজাতক ও ছোট শিশু বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন যেকোনো মানুষসহ যারা অন্যের সহায়তা ছাড়া মাস্ক খুলতে অক্ষম তাদের কারোরই মাস্ক পরা উচিত নয়।

ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচওর পরামর্শ হচ্ছে, ৫ বছরে বা তার কম বয়সের শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই। এটি শিশু সুরক্ষার উপর নির্ভর করে এবং এটা স্বীকৃত যে, শিশুরা বিভিন্ন বয়সে বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকে।

কিছু দেশে শিশুদের মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে ভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, তাই আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বয়স-ভিত্তিক কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যদি তারা ৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরানোর নির্দেশনা দেয়, তবে মাস্কের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শিশুকে আপনার বা অন্য কোনো সেবাদানকারীর চোখের সামনে রেখে সরাসরি তত্ত্বাবধান করা উচিত।

আপনার বা পরিবারের কোনও সদস্যের যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে বা এমন কোনো অক্ষমতা থাকে যার কারণে মাস্ক ব্যবহার করা কঠিন হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কী করা সবচেয়ে ভালো হবে সে বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শরীরচর্চার সময় এমন স্থান বাছাই করুন যেখানে মাস্ক পরার প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে ঘর বা এমন কোনো স্থান (যেমন বাইরে কোথাও) বাছাই করতে পারেন যেখানে আপনি অন্যদের থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। শিশু এবং বয়স্কদের খেলাধুলা বা শারীরিক কার্যকলাপের সময় মাস্ক পরা উচিত নয়, যাতে এটি তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করতে না পারে। ঘাম মাস্ককে ভিজিয়ে ফেলতে পারে, যা নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা তৈরি করবে এবং জীবাণুর বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

 

আমার শিশুদের জন্য মাস্ক বাছাই করার সময় আমার কী দেখা উচিত?

অনেক মাস্ক বড়দের জন্য বানানো এবং এগুলো সঠিকভাবে শিশুদের মুখে লাগে না। আপনি যদি মাস্ক কেনেন তবে এমন মাস্ক কিনুন যা আপনার শিশুর জন্য যথাযথ আকৃতি অনুসারে বানানো হয়েছে। আপনি আপনার শিশুদের জন্য মাস্ক কিনে আনেন বা নিজে বানিয়ে দেন, উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্য রাখুন যাতে মাস্ক শিশুর মুখ, নাক ও থুতনি ভালোভাবে ঢেকে রাখে এবং গালের পাশে কোনো ফাঁকা জায়গা না থাকে বা তাদের চোখ ঢেকে না যায়। শিশুরা মাস্ক পরে দ্রুততার সঙ্গে হাঁটা বা কথা বলার সময় যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নিঃশ্বাস নিতে পারে তা নিশ্চিত করুন।

 

কাপড়ের মাস্ক কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়

দিনে কমপক্ষে একবার সম্ভব হলে গরম পানি দিয়ে (কমপক্ষে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আঁচে) সাবান বা গুড়া সাবান ব্যবহার করে কাপড়ের মাস্ক ধুয়ে নিন। মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে, কাপড়ের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত উষ্ণতার সেটিং ব্যবহার করুন। হাতে ধোয়ার ক্ষেত্রে, গরম সাবান পানি ব্যবহার করুন। ধোয়ার পরে মাস্কটি পুনরায় পরার আগে ভালভাবে শুকানো উচিত। মাস্ক একটি পরিষ্কার ব্যাগে সংরক্ষণ করুন।

সঠিকভাবে মাস্ক পরতে হয় কীভাবে
   

Correctly masks wearing
 

আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার আশেপাশে থাকা অন্য সবার সুরক্ষার জন্য মাস্ক সঠিকভাবে পরিধান করা, খোলা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিবারের সঙ্গে এই তালিকাটি অনুসরণ করার চর্চা করুন, যাতে এটি একটি নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়।
 

মাস্ক পরার সময়
সব সময় সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পর মাস্ক পরা শুরু করুন।
মাস্কটি পরিষ্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এতে ছিদ্র বা গর্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। মাস্কটি ময়লা বা নষ্ট হলে এটি পরবেন না।
মাস্কটি এমনভাবে পরুন যাতে মুখ, নাক এবং চিবুক ভালোভাবে ঢেকে থাকে এবং পাশে কোনো ফাঁক না থাকে।
মাস্ক পরা অবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্যে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হোন।
 
মাস্ক পরিহিত অবস্থায়
মাস্কটি ময়লা হলে বা ভিজে গেলে তা বদলে ফেলুন।
মাস্কটিকে টেনে নাক বা চিবুকের নিচে নামাবেন না বা এটি আপনার মাথায় পরবেন না – কার্যকারিতার জন্য মাস্কটি দিয়ে মুখ ও নাক পুরোপুরি ঢেকে রাখা উচিত।
পরিহিত অবস্থায় মাস্কটি স্পর্শ করবেন না।

পরামর্শ: আপনি এবং আপনার পরিবার যদি মাস্ক খুলে রাখার এবং দিনের বেলায় এগুলো পুনরায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন, তবে এগুলো সংরক্ষণের জন্য মুখবন্ধ করা যায় এমন পরিষ্কার ব্যাগ ব্যবহার করুন। আপনার পরিবারের প্রতিটি মাস্কের জন্য আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করুন। মাস্কটি ব্যাগে রাখার সময় বা ব্যাগ থেকে বের করার সময় সম্ভাব্য দূষণ এড়াতে ইলাস্টিক বন্ধনী বা গিটগুলোতে ধরুন (মাস্কের পৃষ্ঠ স্পর্শ না করে)। এটি পরিধানের আগে আপনার হাত ধোয়ার কথা মনে রাখবেন।


মাস্ক খোলার সময়
মাস্কটি খোলার আগে দুই হাত ধুয়ে নিন।
ইলাস্টিক বন্ধনী বা গিটগুলো ধরে মাস্কটি খুলুন। মাস্কের সামনে অংশে স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
মাস্ক খোলার পর আপনার দুই হাত ধুয়ে নিন।
কাপড়ের মাস্ক প্রতিবার ব্যবহারের পরে ধুয়ে ফেলা এবং একটি পরিষ্কার ব্যাগে সংরক্ষণ করা উচিত।
মেডিকেল মাস্কগুলো একবার ব্যবহার উপযোগী এবং ব্যবহারের পর এগুলো ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়া উচিত।

 

৬টি সাধারণ ভুল পরিহার করা
Use of masks during COVID-19
Adobe Stock/Veronika
বাম থেকে ডানে:

টেনে নাকে নিচে নামাবেন না
থুতনি উন্মুক্ত রাখবেন না
টেনে থুতনির নিচে নামাবেন না
মাস্ক পরার সময় এটি স্পর্শ করবেন না
ঢিলাঢালা মাস্ক পরবেন না
ময়লা, নষ্ট বা ভেজা মাস্ক পরবেন না

আপনার শিশুদের সঙ্গে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলুন
কোভিড-১৯ মহামারিটি বিশ্বজুড়ে পারিবারিক জীবনকে হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছে, যা মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং দুঃখবোধ তৈরি করেছে। বোধগম্যভাবে মাস্ক অনেক শিশুর মাঝেও এই ধরনের অনুভূতির জন্ম দিতে পারে, বিশেষ করে এমন জায়গায়গুলোতে যেখানে তারা মাস্ক পরতে অভ্যস্ত নয়। ছোট শিশুদের জন্য মাস্ক পরা বিভ্রান্তিকর ও ভীতিকর হতে পারে।

আপনার পরিবার যদি এর আগে মাস্ক পরে না থাকে তবে আপনার শিশুদের সঙ্গে এটি নিয়ে কথা বলার সময় খোলামেলা ও সহায়ক উপায় অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক পরার একটি অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বারবার মনে করিয়ে দিন যে এর ধারাবাহিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশুদের এটাও মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদের নিজেদের এবং অন্য সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরার পাশাপাশি সবসময় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও (যেমন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন হাত ধোয়া) গ্রহণ করা উচিত।

আপনার পরিবারে মাস্কের ব্যবহার শুরুতে সহায়তা করতে এখানে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো:

 

সততা বজায় রাখুন
আপনার শিশুদের সঙ্গে বয়স-উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করুন এবং তাদের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল হোন। এটা স্বীকার করুন যে, মাস্ক আমাদের কারোর জন্যই খুব সুখকর কোনো বিষয় নয়। তবে কীভাবে মাস্ক পরিধান করে আমরা সমাজের প্রবীণ এবং অনেক বেশি দুর্বল সদস্যসহ আমাদের চারপাশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করতে পারি তা ব্যাখ্যা করুন । মাস্ক পরার অর্থ হচ্ছে, আমরা একে অপরের প্রতি যত্নশীল।

তাদের মনে করিয়ে দিন যে, কোভিড-১৯ থামাতে অনেক বিশেষজ্ঞ কঠোর পরিশ্রম করছেন। তবে তাদের প্রচেষ্টাকে সফল করতে প্রয়োজন আমাদের সহায়তা এবং এর অর্থ সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা।

আর আমাদের সবার জন্য এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শুধুমাত্র মাস্ক পরলেই তা আমাদের নিরাপদ করবে না, আমাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে এবং আমাদের বাড়ির বাইরের লোকদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

 

শুনুন এবং সহানুভূতিশীল হউন
আপনার শিশুরা কী চিন্তা করে তা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের মাঝে উদ্বেগের কোনো লক্ষণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখুন। এক্ষেত্রে শারীরিক ভাষায় বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন। যতটা ভালোভাবে সম্ভব তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার সব উত্তর জানা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক – এটি আমাদের সবার জন্যই একটি নতুন পরিস্থিতি। তাদের মনে করিয়ে দিন যে, তারা যে কোনো সময় যে কোনো প্রশ্ন বা উদ্বেগ নিয়ে যে কোন সময়ে আপনার কাছে আসতে পারে। তারা কেমন বোধ করছে তা নিয়মিত খেয়াল রাখুন। তাদের বয়স অনুসারে কথোপকথন শুরু করার জন্য এবং তারা যে তথ্য পাচ্ছে তা নির্ভরযোগ্য কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে, তারা তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে এবিষয়ে কী শুনছে।

 

ঘরেই শুরু করুন
বাড়িতে কিছুক্ষণ একসঙ্গে সবাই মাস্ক পরার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার শিশুদের মাস্ক পরাতে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করার জন্য সময় বাড়ান। ওপরের চেকলিস্টটি ব্যবহার করে একত্রে মাস্ক পরিধান করা, মাস্ক পরে থাকা এবং খুলে ফেলার বিষয়গুলো নিয়ে চর্চা করুন।

মনে রাখবেন যে, ছোট শিশুরা হাসির মতো দৃশ্যমান যোগাযোগের ইঙ্গিতগুলোর ওপর বেশি নির্ভর করে, তাই তাদের সঙ্গে মাস্ক পরেই কণ্ঠ ব্যবহার করে হাসার চর্চা করুন। মাস্ককে শিশুদের কাছে আরও পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আপনি তাদের পছন্দের কোনো খেলনা প্রাণীর মুখেও মাস্ক পরিয়ে দিতে পারেন।

 

আপনার শিশুদের সম্পৃক্ত করুন
বর্তমানে অনেক রঙ এবং নকশার মাস্ক তৈরি হচ্ছে এবং শিশুরা নিজেদের প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এগুলোকে সুযোগ হিসেবে দেখবে। মজার কোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মাস্ক বা এর কাপড় বেছে নিতে দিন এবং যত বেশি সম্ভব তাদের সম্পৃক্ত করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশুরা মাস্ক যত বেশি পছন্দ করবে তত বেশি তাদের মাস্ক পরার সম্ভাবনা বাড়বে, এমনকি আপনি আশেপাশে না থাকলেও।

 

ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করুন
সফলভাবে মাস্ক পরা একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তোলার মতোই, তাই সঠিক আচরণ প্রদর্শন এবং পুনরাবৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে মাস্ক পরার গুরুত্বের পুনরাবৃত্তির উপায় খুঁজে বের করুন এবং আপনি যদি এমন কিছু দেখেন, যা সঠিক নয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে মনে করিয়ে দিতে আপনার পরিবারকে উৎসাহ দিন। শিশুরা যে কোনো বিচ্যুতি দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করতে পারে, তাই আপনি যে উদাহরণ তৈরি করেছেন সেগুলো মনে রাখুন এবং একইসঙ্গে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে পরামর্শ মেনে চলতে আপনার পরিবারের চারপাশের আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবকে উৎসাহ দিন।
Collected:Unicef

15
Body Fitness / How To Use Gym Equipment For Beginners
« on: July 02, 2021, 03:16:20 PM »

The first time you walk into a gym might be a little daunting! It can seem like everyone else is super fit and confident, and it can be easy to feel overwhelmed.

For those women who have struggled to find the confidence to begin their fitness journey, knowing how to use gym equipment correctly can help you to start working out confidently.

It can be tempting to head straight for the cardio section and avoid the machines (we’ve all been there). However, there is no need for you to miss out on the benefits of training with strength equipment!

Jump to:

Best gym equipment for beginners
Lat pull-down
Seated row
Bench press
Leg press
Assisted pull-up
Smith machine
Cable machine

How to use gym equipment effectively

Strength training can help build muscle, maintain strength and increase bone density. It can also boost your metabolism for hours after your workout, helping to burn fat.

Best gym equipment for beginners
To help you gain the confidence you need to build strength on the machines, here’s our guide to some essential gym equipment used in the Sweat programs.

1. Lat pull-down
The lat pull-down machine targets your ‘latissimus dorsi’ (or ‘lats’), one of the largest muscles in your back. Lat pull-downs also engage your biceps and shoulders. Working your lats can help to improve posture and protect your spine during other exercises while sculpting and strengthening the muscles in your back.

The lat pull-down can help you build strength, particularly if your goal is to do a pull-up. As your pulling strength increases, you’ll be able to move on to the assisted pull-up machine and eventually to an unassisted pull-up.

2. Seated row
The seated cable row also works on your lats, focusing on the mid-back to engage the back of the shoulders, biceps and rhomboids. If you sit at a desk all day, this exercise can help to strengthen the postural muscles, building a stronger back and better posture.

3. Bench press
The barbell bench press is a compound exercise that works several muscles at once, including the pectorals (chest muscles) and the anterior deltoids (front of the shoulders). Unlike push-ups, the bench press engages these muscles without placing as much strain on your wrists and shoulders.

When you start doing a bench press for the first time, lifting a barbell may be too heavy. You can begin with a dumbbell bench press or the chest press machine — you can even do a chest press on a cable machine.

Once you progress to the barbell, the width of your grip will determine which muscles you load more. A close-grip barbell bench press will primarily engage the triceps, as well as the chest and front of the shoulders. A wider grip will focus on the chest, also using the front of the shoulders and triceps. You can start with just the bar and add weight as your strength and confidence increase.

4. Leg press
The leg press allows you to lift heavy weights with your legs to build strength, without the risk of compromising your form. The movement uses similar muscles to the squat, but the weight has a fixed range of movement to limit the risk of injury. 

When performing the leg press exercise, ensure your hips are in contact with the backrest of the seat. This is to ensure the force of the weight doesn’t shift onto your tailbone and lower back. Your knees should track straight during the movement, rather than collapsing inward or bowing out to the side.

5. Assisted pull-up
Many women say that they can’t do a pull-up, but the truth is that with the right equipment, anyone can do pull-ups! The assisted pull-up machine offsets your body weight which will allow you to build strength gradually.

Assisted pull-ups require you to stabilise your entire body, so you work more muscles than you do with a lat pull-down.

As you get stronger, you’ll be able to decrease the offset. Take it slowly and only do as many reps as you can complete while maintaining the correct good form.

If there isn’t an assisted pull-up machine available, you can use a long resistance band to offset your weight.

Loop the band around the bar and insert one of your feet into the loop, with the other foot on top to stabilise yourself. Choose a band that allows you to complete 5-10 pull-ups — as you get stronger, you can use a lighter band.

6. Smith machine
The Smith machine is a vertical bar that moves within fixed steel rails. It’s an alternative to using free weights or barbells and can feel safer for those who are new to lifting. The Smith machine can facilitate a bench press, shoulder press and squats.

When using the Smith machine, consider your form, and orientate your body around the bar to complete the exercise safely and correctly.

You can also substitute the Smith machine when other equipment in the gym is being used.

7. Cable machine
The free-motion dual-cable machine can be used to work out almost any part of your body through a variety of resistance exercises. It uses stacked weights which you can adjust by placing the pin in the weight stack.

There are two key reasons that the cable machine could be a central piece of equipment for your workouts. First, it allows you to work at all angles, rather than just vertically against the force of gravity. Second, it provides continuous tension throughout the entire range of motion. You can’t always achieve this with free weights!

Using the cable machine, you can challenge your muscles through the full range of movement, allowing for more control, greater flexibility and reduction of any imbalances. The pull of the cable forces you to stabilise your core, activating more muscles groups in your body to burn energy and build functional strength.

You can use this machine while standing, seated or kneeling — it’s worth getting comfortable when using this versatile piece of equipment!

Try the cable machine for chest fly, upright row, standing trunk rotations like the ‘woodchop’ and during tricep workouts.   

Pages: [1] 2 3 ... 21