Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - mustafiz

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 35
31
Travel / Visit / Tour / সিলেট শহরের আশপাশে
« on: November 23, 2014, 05:38:19 PM »

হযরত শাহজালাল আর শাহ পরাণের স্মৃতিধন্য শহর সিলেট। ছোট্ট এই শহর আর আশপাশে বেড়ানোর উপযোগী অনেক জায়গা আছে।

একদিনেই বেড়ানো যায় এসব জায়গাগুলোতে। শহর সিলেট আর আশপাশের কিছু দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ বৃত্তান্ত নিয়েই এবারের বেড়ানোর আয়োজন।

হযরত শাহজালাল (র) এর মাজার

সিলেট শহর ভ্রমণে সর্বপ্রথম ঢুঁ দিতে পারেন হযরত শাহজালাল (র) এর মাজারে। শহরের প্রাণ কেন্দ্রেই অবস্থিত এটি। প্রধান রাস্তা থেকে কিছুটা পথ ভেতরে গেলে মূল মাজার কমপ্লেক্স। শুরুতেই সামনে দেখা যাবে দরগাহ মসজিদ।

বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের ফলে মসজিদটি বর্তমানে আধুনিক রূপ নিলেও, প্রথম এটি তৈরি হয়েছিল ১৪০০ খ্রীস্টাব্দে।

মসজিদের পাশেই রয়েছে মাজারে উঠার সিঁড়ি। গম্বুজ বিশিষ্ট একটি হল ঘরের মধ্য দিয়ে মাজারে প্রবেশ করতে হয়। এই হল ঘরের ঠিক পশ্চিমের ভবনটি ঘড়ি ঘর। ঘড়ি ঘরের আঙিনার পূর্ব দিকে যে তিনটি কবর রয়েছে তা হযরত শাহজালের ঘনিষ্ট তিনজন সঙ্গীর। এর দক্ষিণপাশে ছোট ঘরটি হযরত শাহজালালের চিল্লাখানা। কথিত আছে দুই ফুট চওড়া এ জায়গাতে তিনি জীবনের তেইশটি বছর ধ্যানমগ্ন কাটিয়েছেন।



উত্তরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে উঁচু ইটে বাঁধানো হযরত শাহজালাল (র) এর সমাধি। এটি নির্মাণ করা হয় ১৬৫৯ খ্রীষ্টাব্দে। এর পাশেই আছে ইয়েমেনের রাজা শাহজাদ আলীর কবর এবং ১৪১০ খ্রীস্টাব্দে সিলেটের শাসনকর্তা মুক্তালিব খান উজিরের কবর।

এখান থেকে পাওয়া একটি শিলালিপি অনুযায়ী জানা যায়, সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজশাহের শাসনকালে ১৩০৩ সালে হযরত শাহজালালের হাতে এ অঞ্চল বিজিত হয়। হিন্দু রাজা গৌর গোবিন্দকে পরাজিত করে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন তিনি। সে সময়ে তুরষ্কের কুনিয়া শহর থেকে তিনি ৩১৩ জন শিষ্যসহ এদেশে আসেন। বহু যুদ্ধে বিজয়ের পর এখানেই তিনি থেকে যান। ১৩৪০ খ্রীস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মাজার কমপ্লেক্সের ভেতরে পূর্ব পাশের পুকুরে আছে বহুকালের ঐতিহ্য গজার মাছ। শত শত জালালী-কবুতরও রয়েছে এখানে। মাজার কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশের একটি ঘরে এখনও রক্ষিত আছে হযরত শাহ জালালের ব্যবহৃত তলোয়ার, খাবার বাসন, বাটি ইত্যাদি।

লাক্কাতুরা চা-বাগান

সিলেট শহর থেকে বিমানবন্দর সড়ক ধরে কিছুদূর এগুলেই লাক্কাতুরা চা-বাগান। ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন এ বাগান ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগবে। সড়কের পাশেই প্রবেশ পথ। অনুমতি নিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে।

মালনিছড়া চা-বাগান

লাক্কাতুরা চা বাগান ছেড়ে বিমানবন্দরের দিকে একটু যেতেই চোখে পড়বে সুন্দর এই চা বাগান। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো এই চা-বাগান ১৮৫৪ সালে ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে। টিলা ঘেরা চা-বাগানের ভেতরে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করা যাবে সবুজের সৌন্দর্য। এছাড়া বানরও দেখেতে পাবেন।




শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশাববিদ্যালয়

সিলেট শহরের পাশে কুমারগাঁও এলাকায় অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘুরতে যেতে পারেন। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলামেলা ক্যাম্পাস ভালো লাগবে সবার।

ক্বিন ব্রিজ

সিলেট শহরের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা ক্বিন ব্রিজ। সুরমা সেতু নামেও এটি বেশ পরিচিত। ১৯৩৬ সালে নির্মাণ করা হয় লোহার তৈরি এ সেতু। ইংরেজ গভর্নর মাইকেল ক্বিনের নামেই এর নামকরণ করা হয়। ১১৫০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট প্রস্থ এ সেতুটি দেখতে ধনুকের মতো বাঁকানো। ১৯৭১ সালে পাক হানাদাররা ব্রিজটির একাংশ উড়িয়ে দেয়। পরে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের অর্থায়নে বিধ্বস্ত অংশটি পুনঃনির্মাণ করা হয়।


সুরমা নদীর চাঁদনীঘাটে আলী আমজাদের ঘড়িঘর। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
আলী আমজাদের ঘড়িঘর

ক্বিন ব্রিজের উত্তর পাড়ে আছে পুরান একটি ঘড়িঘর। সেতুর পাশের এ জায়গাটির নাম চাঁদনীঘাট। কাঁটা থেমে থাকলেও নানান ইতিহাসের সঙ্গী এ ঘড়িঘরটি আজও দাঁড়িয়ে আছে।

জানা যায় পৃথ্বিমপাশার বিখ্যাত জমিদার আলী আমজাদ খাঁ দিল্লীর চাঁদনীচকের শাহজাদী জাহানারার একটি ঘড়িঘর দেখে মুগ্ধ হন। তাই তিনি সুরমা নদীর তীরে চাঁদনীঘাটের কাছে অনুরূপ একটি ঘড়িঘর নির্মাণ করেন। এজন্যই সবাই একে জানেন আলী আমজাদের ঘড়ি নামে।

মনিপুরী জাদুঘর

শহরের সুবিদবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এ জাদুঘর। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায় মনিপুরীদের শত বছরের কৃষ্টি আর ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে এ জাদুঘরের মাধ্যমে। দেখা মিলবে কয়েকশ বছরের পুরানো ঘন্টা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত নানান দ্রব্যসামগ্রী, যুদ্ধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, মনিপুরীদের ঐতিহ্যবাহি হস্তশিল্প সামগ্রীসহ আরও অনেক কিছু।

এমসি কলেজ

সিলেট শহরে অবস্থিত প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুরারীচাঁদ কলেজ বা সিলেট এমসি কলেজ। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশাল জায়গাজুড়ে এ কলেজের ক্যাম্পাসে এখনও আছে অনেক পুরানো স্থাপনা।

ওসমানী স্মৃতি জাদুঘর

সিলেট শহরের কোর্ট পয়েন্টের কাছে নাইওরপুলে আছে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর বাস ভবন ‘নূর মঞ্জিল’। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনায় এ ঘরে বসেছে ওসমানী স্মৃতি জাদুঘর। খোলা থাকে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। আর অক্টোবর থেকে মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এবং অন্যান্য সরকারী ছুটির দিনে জাতীয় জাদুঘর বন্ধ থাকে।

হযরত শাহ পরানের (র) মাজার

হযরত শাহ পরান ছিলেন হযরত শাহ জালালের ভাগ্নে। তিনিও ছিলেন একজন সাধক পুরুষ। শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দক্ষিণগাছের খাদিমপাড়ায় এই মাজার। বিশাল বটগাছের ছায়াতলে এ মাজারে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের পদচারণায় মুখরিত থাকে পুরো মাজার এলাকা।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশ পথে সরাসরি সিলেট যাওয়া যায়। ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে সিলেটের বাসগুলো ছাড়ে।

এ পথে গ্রীন লাইন পরিবহন, সৌদিয়া এস আলম পরিবহন, শ্যামলি পরিবহন ও এনা পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৮শ' থেকে ১ হাজার ১শ' টাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক সার্ভিস এনা পরিবহনের পরিবহনের নন এসি বাস সিলেটে যায়। ভাড়া ৪শ' থেকে সাড়ে ৪শ' টাকা।

এনা পরিবহনের বাসগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে টঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে সিলেট যায়।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪ টায় ছাড়ে কালনী এক্সপ্রেস। ভাড়া দেড়শ থেকে ১ হাজার ১৮ টাকা।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান যায় সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে।

কোথায় থাকবেন

সিলেট শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল আছে। শহরের নাইওরপুল এলাকায় হোটেল ফরচুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)। জেল সড়কে হোটেল ডালাস (০৮২১-৭২০৯৪৫)। ভিআইপি সড়কে হোটেল হিলটাউন (০৮২১-৭১৮২৬৩)। লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন (০৮২১-৮১৪৫০৭)। আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)। দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)। হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)। জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০)। তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮) ইত্যাদি।

এসব হোটেলে ৫শ' থেকে ৪ হাজার টাকায় রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে।

32
Travel / Visit / Tour / পুঠিয়ায় বেড়ানো
« on: November 23, 2014, 05:30:34 PM »

মন্দিরের শহর পুঠিয়া। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পুঠিয়া রাজবাড়ীর বিশাল চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি নজরকাড়া মন্দিরসহ আরো অনেক প্রাচীন স্থাপনা। একদিনের ভ্রমণ কর্মসূচীতে দেখে আসতে পারেন পুঠিয়ার এসব কিছু।

 

                                                                                      শিব মন্দির

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক থেকে সরু সড়কে সামান্য দক্ষিণে ঢুকলেই পুঠিয়া রাজবাড়ির প্রবেশপথ। এখানে পুকুর পাড়ে বিশাল আকারের মন্দিরের নাম শিব মন্দির। পুঠিয়ার রাণী ভুবন মোহিনী দেবী ১৮২৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

চারদিকে ৬৫ ফুট দীর্ঘ এই শিব মন্দির একটি উঁচু ভিতের উপরে নির্মিত। চার কোণায় চারটি আর কেন্দ্রে একটি রত্ন আছে। মন্দিরের দোতলায় একটি মাত্র কক্ষ আর চারপাশে দুই স্তরে বারান্দা। মূল কক্ষের ভিতরে আছে কষ্ঠি পাথরের বিশাল এক শিব লিঙ্গ।

এশিয়ার অন্যতম বড় শিব মন্দির হিসেবে খ্যাত এই স্থাপনার দেয়াল জুড়ে পৌরাণিক কাহিনী চিত্র খচিত।

পাশেই আছে গোল গম্বুজাকৃতির আরেকটি ছোট মন্দির। 


দোলমঞ্চ

শিব মন্দির ছাড়িয়ে একটু দক্ষিণে গেলেই চোখে পড়বে চারতলা বিশিষ্ট দোলমন্দির। দোলমঞ্চের আকারে মন্দিরটি ধাপে ধাপে উপরে উঠে গেছে। একদম উপরে আছে গম্বুজাকৃতির চূড়া। প্রত্যেক তলার চারপাশে টানা বারান্দা। ধরা হয় আনুমানিক নির্মাণকাল ঊনবিংশ শতাব্দির শেষ দশকে, নির্মাণ করেছিলেন পুঠিয়ার আরেক রাণী হেমন্ত কুমারী দেবী।

পুঠিয়া রাজবাড়ি

দোলমঞ্চের সামনের মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে মুখোমুখী দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল প্রাসাদ, পুঠিয়া রাজবাড়ি। রাণী হেমন্তকুমারী দেবীর শাশুড়ি মহারাণী শরৎসুন্দরী দেবীর সম্মানার্থে ১৮৯৫ সালে নির্মাণ করেন এ রাজবাড়ি।

বর্তমানে লষ্করপুর ডিগ্রী কলেজের একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রাসাদ। ভবনের পূবদিকে আছে রাণী পুকুর। রাজবাড়ির সম্ভ্রান্ত মহিলাদের গোসলের জন্য রাণী পুকুরের দেয়াল ঘেরা সান বাঁধানো ঘাটের অস্তিত্ব এখনো দেখা যায়।



গোবিন্দ মন্দির

পুঠিয়া রাজবাড়ির প্রাচীরের ভেতরে পোড়ামাটির অলঙ্করণে সমৃদ্ধ একটি মন্দির। বর্গাকারে নির্মিত এ মন্দিরের প্রত্যেক পাশের দৈর্ঘ্য ১৪.৬ মিটার। কেন্দ্রীয় কক্ষ ছাড়াও মন্দিরের চারপাশে বার্গাকার চারটি কক্ষ আছে।

২৫০ বছর পুরানো বলে প্রচলিত থাকলেও এর গায়ে চিত্রফলক দেখে ধারণা করা হয়, স্থাপনাটি ঊনবিংশ শতাব্দিতে নির্মিত।

বড় আহ্নিক মন্দির

পুঠিয়া রাজবাড়ির পশ্চিম পাশে দিঘি। এর পশ্চিম তীরেই রয়েছে পূর্ব মূখী বড় আহ্নিক মন্দির। কারুকায করা মন্দিরের নির্মাণ শৈলী বেশ আকর্ষণীয়।

গোপাল মন্দির

বড় আহ্নিক মন্দিরের পাশে দক্ষিণমূখী অবস্থানে আছে গোপাল মন্দির। ১৬.৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.৪৭ মিটার প্রস্থের এ মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৮ মিটার।



যাতায়াত

রাজধানী ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যে কোন বাসে পুঠিয়া যাওয়া যায়। রাজশাহী থেকে পুঠিয়ার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। রাজশাহীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে নাটোরগামী বাসে চড়ে আসতে হবে পুঠিয়া। ভাড়া ৩৫-৪০ টাকা।

ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশপথে রাজশাহী যাওয়া যায়।

ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে গ্রীন লাইন ও দেশ ট্রাভেলসের এসি বাস যায় রাজশাহী। ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে শ্যমলি পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, বাবলু এন্টারপ্রাইজ প্রভৃতি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বাস যায় রাজশাহী। ভাড়া ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা।

ঢাকার কমলাপুর থেকে রোববার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেস এবং মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা এক্সপ্রেস।

ভাড়া এসি বার্থ ৯৪০ টাকা, এসি সিট ৬৩০ টাকা, স্নিগ্ধা ৫২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ৩১৫ টাকা।



থাকার জায়গা

পুঠিয়ায় পর্যটকদের থাকার ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই রাত কাটানোর জন্য রাজশাহী ভালো জায়গা। এ শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের বেশ কিছু হোটেল আছে। রুম হিসেবে ভাড়া ২শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা।

রাজশাহী চিড়িয়াখানার সামনে পর্যটন মোটেল, সাহেব বাজারে হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, বিন্দুরমোড় রেল গেইটে হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল, গণকপাড়ায় হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল, মালোপাড়ায় হোটেল সুকর্ণা ইন্টারন্যাশনাল, সাবেব বাজারে হামিদিয়া গ্রান্ড হোটেল, শিরোইলে হকস্‌ ইন, লক্ষীপুর মোড়ে হোটেল গ্যালাক্সি, সাহেব বাজরে হোটেল নিউ টাউন ইন্টারন্যাশনাল।

33
Travel / Visit / Tour / ছুটিতে খাগড়াছড়ি
« on: November 23, 2014, 05:25:28 PM »

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভ্রমণ স্বর্গ খাগড়াছড়ি। এই জেলায় ভ্রমণের জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। ঈদের ছুটিতে তাই বেড়িয়ে আসতে পারেন পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে।

বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার অন্যতম খাগড়াছড়ি। চট্টগ্রাম থেকে এই জেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ১২২ কিলোমিটার। চারিদিকে পাহাড়ের মাঝে অনেকটা সমতলে এই শহর।   

খাগড়াছড়ির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভ্রমণের জায়গা হল আলুটিলা পাহাড়। জেলা শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে মহাসড়কের পাশেই রয়েছে এই পাহাড়। প্রায় এক হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে পুরো খাগড়াছড়ি শহরকে পাখির চোখে দেখা যায়। এখান থেকে চেঙ্গি নদীকে দেখলে মনে হয়, সাপের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে ছুটে চলেছে।



আলুটিলা পাহাড়ের আরেকটি আকর্ষণীয় জায়গা হল, প্রাচীন একটি গুহা। পাহাড়ের নীচে গুহার ভেতর দিয়ে বয়ে চলছে শীতল জলধারা।

শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মনোরম এক প্রাকৃতিক ঝরনা রিছং। এটি আলুটিলা ছেড়ে সামনে আরও তিন কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের গা বেয়ে নামতে হয় এ ঝরনায়। বিশাল পাথরের একপাশ দিয়ে পানি বয়ে যায়।

খাগড়াছড়ি জেলাশহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সদর উপজেলার নুনছড়িতে উঁচু এক পাহাড়ের উপরে দেবতার পুকুর। এ পুকুরে উঠার পথ বেশ দুর্গম। শিশুদের নিয়ে এখানে বেড়াতে যাওয়া কষ্টকর।



খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে মেঘের কোলে বেড়ানোর জায়গা সাজেক। জায়গাটি রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানার অন্তর্গত হলেও খাগড়াছড়ি থেকে যাওয়াই সহজ।

খাগড়াছড়ি থেকে পাহাড়ি পথ বেয়ে যেতে এ পথে দেখা যাবে কাসালং আর মাসালং নদী। বাঘাইহাট সেনা ক্যাম্পের সামনে কাসালং এবং মাসালং নদী একত্রে এসে মিলেছে। সাজেকে যেতে হলে বাঘাইহাট ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। এখান থেকে পাহাড়ি পথগুলোও বেশ দুর্গম।

সাজেক যাওয়ার পথে আছে মাসালং বাজার। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষেরাই মূলত এ বাজারে জমায়েত হন। পাহাড়ি পথ বেয়ে মাথা বোঝাই বাজার সদাই নিয়ে বাড়ি ফেরেন তারা।


একেবারে সাজেকের পাহাড় চূড়ায় আছে আদিবাসীদের গ্রাম কংলাকপাড়া। এ গ্রামে উঠলে চারপাশে দেখা যায় দূরের পাহাড়ের সৌন্দর্য। খাগড়াছড়ি শহর থেকে চাঁদের গাড়ি (পুরানো জিপ) ভাড়া করে যেতে হবে সাজেক। সকালে গিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফিরতে হয়। রিজার্ভ চাঁদের গাড়ির ভাড়া সাধারণত আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

কীভাবে যাবেন

ঢাকার কমলাপুর থেকে বিআরটিসির এসি বাস যায় খাগড়াছড়ি। ভাড়া ৭শ’ টাকা। এছাড়া ফকিরাপুল ও কমলাপুর থেকে এস আলম, সৌদিয়া, ঈগল, শ্যামলী ও শান্তি পরিবহনের নন এসি বাসও চলাচল করে এ পথে। ভাড়া ৫২০ টাকা।



                                                       পাহাড়ী ঝরনা রিসাং। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম



কোথায় থাকবেন

খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল রয়েছে, ফোন ০৩৭১ ৬২০৮৪-৮৫। ঢাকার মহাখালীতে পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকেও এ হোটেলে বুকিং দেওয়া যায়।

হোটেলের নন এসি দ্বৈত কক্ষে ভাড়া ১ হাজার ৩শ’ টাকা এবং এসি কক্ষের ভাড়া ২ হাজার ১শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা।

এছাড়াও খাগড়াছড়ি শহরে সাধারণ মানের কিছু হোটেল হল: হোটেল শৈল সুবর্ণা, হোটেল গাইরিং এবং হোটেল ফোর স্টার। এসব হোটেলে ৫শ’ থেকে দেড় হাজার টাকায় কক্ষ মিলবে।

34

কাছেধারে কোনো দেশে ঘুরতে গেলে পছন্দসই যে কয়টা দেশের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম।


যাতায়াত

ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যেতে টিকিট কাটতে হবে ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, বাংলাদেশ বিমান ও মালয়েশিয়ান এয়ারে। সময়ভেদে টিকেটের দামের কম-বেশি হয়।

যাওয়া-আসার টিকেট মিলিয়ে ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের টিকিটের দাম পড়বে ২২ হাজার ৫শ' থেকে ২৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশ বিমানের টিকিট পাবেন ২৪ হাজার ৫শ' থেকে ৩০ হাজার টাকায়।

মালয়েশিয়ান এয়ারের টিকিটের দাম ২৭ হাজার থেকে ৩৬ হাজার ৫শ' টাকা।

ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সময়ে পার্থক্য ২ ঘণ্টা। তাই গভীর রাতে এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর ঝামেলা এড়াতে রাতের বিমানে রওনা দেওয়াই উত্তম।

হোটেল

মালয়েশিয়ার সব হোটেলেই চেক ইন করার সময় দুপুর ১২টা। তাই সকালে কুয়ালালামপুর পৌঁছে হোটেল খুঁজতে বেরুলে পড়তে পারেন ঝামেলায়। তাই আগেই হোটেল বুকিং করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

অসংখ্য হোটেলের মধ্যে টাইমস স্কয়ার, পার্ক রয়্যাল, ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল, রয়্যাল বেনতান ইত্যাদি পর্যটকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।

টাইমস স্কয়ার ও পার্ক রয়্যালে সকালের বুফে নাস্তাসহ দিনপ্রতি খরচ পড়বে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল ও রয়্যাল বেনতানে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যেই থাকতে পারবেন।

পরিবার নিয়ে গেলে নিতে পারেন টাইমস স্কয়ারের স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টগুলো। রান্না-বান্নাসহ সকল ঘরোয়া পরিবেশই পাওয়া যাবে এই অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে। তবে দিনপ্রতি গুনতে হবে ১৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।

এছাড়া ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল ও রয়্যাল বেনতানে পাবেন সর্বোচ্চ চারজনের প্যাকেজ, খরচ ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে এই দুই প্যাকেজে নেই সকালের নাস্তার ব্যবস্থা।

ঘোরাঘুরি

মালয়েশিয়ায় আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে একটি হল কুয়ালামপুরের কাছেই পাহাঙ্গে অবস্থিত গেনটিন হিল রিসোর্ট।

ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য পরিচিত তিতিওয়াঙ্গসা পাহাড়ি অঞ্চলের এই রিসোর্টে পাবেন থিম পার্ক, কেবল কার, ক্যাসিনো ইত্যাদি।

কুয়ালালামপুরের মধ্যেই আছে টুইন টাওয়ার নামে খ্যাত প্যাট্রোনাস টাওয়ার। ১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার। দুই টাওয়ারের মাঝের ব্রিজকে বলা হয় স্কাই ব্রিজ। ৫০ রিঙ্গিত বা ১২শ' টাকার বিনিময়ে দর্শনার্থীরা উঠতে পারবেন এই স্কাইব্রিজে।

মালয়েশিয়া গিয়ে লাঙ্কাউই না গেলে হয়ত সমস্ত খরচই বৃথা। কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। কি নেই এখানে, কেবল কার, ঝরনা, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আরও কত কি।

একটু ভিন্ন স্বাদের জন্য একটি নৌকা ভাড়া করে চলে যেতে পারেন ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের ভেতর। সেখানেও আছে বাদুরের গুহা, ঈগলের গুহা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান।

কুয়ালালামপুর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরেই আছে আরেকটি পর্যটন এলাকা পেনাঙ্গ। এখানকার মূল আকর্ষণ কেবল ট্রেন। প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য আট রিঙ্গিত আর ছোট ও বৃদ্ধদের জন্য চার রিঙ্গিতের বিনিময়ে এই ট্রেনে চড়ে যেতে পারবেন পেনাঙ্গ পর্বতে।

আর মালয়েশিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চলে যেতে পারেন মালাক্কা সিটি। কেনাকাটার জন্য যেতে পারেন প্যাভিলিয়ন, টাইমস স্কয়ার, বিবি প্লাজা, সানওয়ে পিরামিড মার্কেট ইত্যাদি শপিং মলগুলোতে।

পৃথিবীর সবগুলো ব্র্যান্ডের পণ্যই পাবেন এই মার্কেটগুলোয়। এছাড়া মালয়েশিয়ার স্থানীয় পণ্যগুলোও গুণগত মান সম্পন্ন, দামও ক্রয়সীমার মধ্যেই।

আর ইলেক্ট্রনিকস পণ্য কিনতে চাইলে অবশ্যই যেতে হবে ল-ইয়েট প্লাজা।

খাওয়া-দাওয়া

সবধরণের ফাস্টফুড চেইনের স্বাদ নিতে পারবেন মালয়েশিয়ায়। কমতি নেই স্থানীয় খাবারের। সকালের নাস্তায় দুই রিঙ্গিতের বিনিময়ে খেতে পারেন চানারুটি।

দুপরের খাবারে খেতে পারেন মিক্সড ফ্রাইড রাইস নাসিগরেঙ্গ, খরচ পড়বে সাত থেকে আট রিঙ্গিত।

এছাড়াও আছে পাকিস্তানি ও বাঙালি রেস্তোরা। পাবেন কাচ্চি বিরিয়ানি, তন্দুরি চিকেন, কাবাব ইত্যাদি।

২০ রিঙ্গিত বা ৫শ' টাকাতেই ভরপেট খেতে পারবেন এই রেস্তোরাগুলোয়।

ডেজার্ট হিসেবে বেছে নিতে পারেন সিক্রেট রেসিপির কেক।

35
Kidneys / About kidney
« on: November 23, 2014, 05:04:12 PM »
 মানবদেহের কিডনি নিয়ে মানুষের কৌতূহল যেমন আছে তেমনি কিডনি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাও কম নয়। মহান স্রষ্টা মানবদেহের জন্য দু’টি কিডনি দিয়েছেন। যদি কারও একটি কিডনি অকেজো হয়ে যায় অথবা কোন কারণে ফেলে দিতে হয় তাহলে মাত্র একটি কিডনি নিয়েও মানুষ সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারে। তাই দু’টি কিডনি মহান রাব্বুল আল-আমীনের অশেষ নেয়ামত। আর আপনি জানেন কি কিডনি আমাদের কি উপকার করে এবং কেমনভাবে উপকার করে।

এটা সত্যি সত্যি এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। মানবদেহের প্রতিটি কিডনিতে রয়েছে এক মিলিয়ন থেকে দেড় মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ নেফ্রন। আর এই নেফ্রনকে বলা হয় কিডনির একক। এই নেফ্রনসমূহ অতিশয় সরু নলের মত। প্রতিটি নেফ্রনের দৈর্ঘ্য ৩ সেমি বা এক ইঞ্চির খানিকটা বেশি। এসব নেফ্রন যদি একটা একটা করে লম্বা করা যায় তাহলে এই নেফ্রন নামক নলের দীর্ঘ হবে কয়েক মাইল।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিটি কিডনির নেফ্রনের দৈর্ঘ্য হবে ৪৫ লক্ষ সেমি বা ২৮ মাইল। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো কিডনির প্রধান কাজ হলো আমাদের শরীরের হার্ট যে রক্ত সরবরাহ করে তা কিডনির সরু নালীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং কিডনিই আমাদের রক্তকে ফিল্টার করে আবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি প্রতিনিয়ত শত শত লিটার রক্ত কিডনির সরু নেফ্রনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অথচ কোথাও বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে না।

সবকিছু চলছে ঠিকঠাকভাবে। এমনকি কিডনির একটি সরু নালীও ছিঁড়ে যাচ্ছে না। এটা যদি কোন স্বাভাবিক সৃষ্টি হতো তা হলে নিশ্চয়ই অনবরত এই কিডনি ব্যবহার করা অসম্ভব হতো। শুধু তাই নয়, আমরা যত পানি অথবা ফ্লুইড গ্রহণ করি তাও কিডনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং কিডনির নিসৃত তরল পদার্থই ইউরিন হিসাবে ব­াডারে জমা হয় এবং পরে ইউরিন হিসাবে নিসৃত হয়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানবদেহের পাঁচটি ভাইটাল অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম।

কোন কারণে যদি দু’টি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়ে তবে জীবন বিপন্ন হবার আশংকা থাকে। তাই কিডনির সুস্থতা আমাদের অতি জরুরি। শুধু রক্ত ফিল্টার করা এবং ইউরিন নিঃসরণই নেফ্রনের কাজ নয়। এই নেফ্রন শরীরের বর্জও নিঃসরণ করে রক্তের ভলিউম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খনিজ লবণ নিয়ন্ত্রণসহ বহুবিধ কাজ করে।

36
আপনার ডান চোখের পাতা লাফাচ্ছে! তাহলে আজ আর অফিসে যাবেন না। নির্ঘাত্‍ কোনও অঘটন ঘটবেই ঘটবে। আর যদি বাম চোখের পাতা লাফায়, তাহলে বিন্দাস বাইরে বেরোন। খোশমেজাজেই কাটবে সারাদিন।

অনেকেই এই প্রচলিত কুসংস্কারে বিশ্বাস করে থাকেন। কিন্তু কেন চোখের পাতা লাফাচ্ছে, সেই কারণটা একবারও ভাবেন না। প্রধাণত পেশীর সংকোচনের ফলেই চোখের পাতা লাফায়। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগটির নাম Myokymia। দিনে দু-একবার হলে সেটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু সেটা যদি মাত্রারিক্ত হয় ও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

চোখের পাতা যে কাঁপছে, তা হয়তো পাশের কোনও ব্যক্তি দেখে ফেলেছেন বলে অনেকের ভুল ধারণা থাকে। আদতে, চোখের পাতা এত দ্রুত কেঁপে ওঠে, তা আপনি ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউ দেখতে বা বুঝতে পারেন না।

চোখের পাতা কাঁপা বা লাফানোর পিছনে ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ রয়েছে। তা হল,

১। মানসিক চাপ: কোনও কঠিন মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে গেল শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

২। ক্লান্তি: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনও কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। এর জন্য দরকার ঘুম। তাহলেই ঠিক সেরে যাবে।

৩। দৃষ্টি সমস্যা: দৃষ্টিগত কোনও সমস্যা থাকলে চোখের উপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ ধরে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৪। ক্যাফিন এবং এ্যালকোহল: অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যাফিন এবং এ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে। তাই এইসব বর্জন করাই শ্রেয়।

৫। চোখের শুষ্কতা: কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত এ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসানো কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যেকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন।

৬। পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা: পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়।।বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।

৭। এলার্জি: যাঁদের চোখে এলার্জি আছে, তাঁরা অনবরত চোখ চুলকান।ফলে চোখের জলের সঙ্গে হিস্টামিনও নির্গত হয়। এর কারণে চোখ কাঁপে বলে অনেকেই মনে করেন।
 

37
খাদ্যকে সুমিষ্ট করার জন্য মানব সভ্যতার গুহাযুগ থেকে শুরু করে মধুই ছিল প্রধান ও আদর্শ খাদ্য উপকরণ। এরপর মধুর জায়গাটি দখল করে নেয় চিনি। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাবের কারণে খাদ্য হিসেবে চিনি গত ছয় দশক ধরে ব্যাপক কুখ্যাতি অর্জন করে। এর বিপরীতে মধুকে চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেই বিবেচনা করা হতে থাকে। কিন্তু এবার মধুও চিনির মতোই কুখ্যাতি অর্জন করতে যাচ্ছে!

সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে চিনির কুখ্যাতির কারণে সুপার মার্কেটগুলোতে মধু বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। কারণ সাধারণত মধুকে চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য মনে করা হয়। বাজার গবেষণা বিষয়ক কোম্পানি মিন্টেল হিসেবে কষে দেখেছে, গত বছর বিশ্ব বাজারে ১১২ মিলিয়ন ইউরো মূল্যমানের মধু বিক্রি হয়েছে।

অতিরিক্ত চিনিসমৃদ্ধ খাবারে শিশুদের দাঁত ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়, আমাদের কোমর স্থুল হয়ে ওঠে এবং চামড়ার স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি চিনি আমাদের মেজাজ-মর্জি এবং ঘুমের প্যাটার্নেও বিঘ্ন ঘটায়।

সাধারণত মনে করা হয় যে, চিনির চেয়ে মধুই মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু আসলে তা কতটা সত্যি? এর উত্তরে বলা হয় যে, মধুর যে মিষ্টি উপাদান থাকে তার ৫৫ শতাংশই ফল-ফলাদি থেকে উৎপন্ন হয়। ফলে দানাদার চিনির চেয়ে মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিছুটা বেশি উপকারী। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে মধুও মানব স্বাস্থ্যের জন্য চিনির মতোই ক্ষতিকর হতে পারে। কারণগুলো হল-

চিনি ও মধুর মধ্যে উপাদানগত ও রাসায়নিক ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও এই দুটি খাদ্য গ্রহণের পর আমাদের শরীর একইরকম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মধুও পরিশোধিত দানাদার চিনির মতোই রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

চিনির মতো মধু খাওয়ার পর ও আমাদের অগ্নাশয় ইনসুলিন উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। আর ইনসুলিন শরীরকে মেদবহুল করে তোলে এবং ওজন বাড়িয়ে দেয়। পরিশোধিত দানাদার চিনির মতো মধুও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্থুলতা, হৃদরোগ, লিভারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মধুতে থাকা ফল-ফলাদি থেকে উৎপন্ন মিষ্টি উপাদান শরীর থেকে খনিজ পুষ্টি উপাদানগুলো বের করে দেয়।

আমাদের শরীর চিনির তুলনায় মধুকে হয়তো অনেক ধীর গতিতে শুষে নেয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়া একই।

সত্য হল, মধুতে চিনির চেয়েও বেশি ক্যালোরি থাকে। যেখানে এক চা চামচ মধুতে ২২ ক্যালোরি থাকে সেখানে ১ চা চামচ চিনিতে আছে ১৬ ক্যালোরি। অথচ লোকে সাধারণত মনে করে মধুতে চর্বির পরিমাণ কম। এ কারণে তারা মধু খাওয়ার সময় পরিমাণে একটু বেশিই খায়। যা তাদের জন্য হিতে বিপরীত হয়ে ওঠে।

মধুতে খনিজ পুষ্টি উপাদান কম থাকে। মধুতেও নায়াসিন, রিবোফ্লাবিন, থায়ামিন ও ভিটামিন বি-সিক্স এর মতো খনিজ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিন্তু এসব উপাদান মধুর পুরো পুষ্টি উপাদানের মাত্র ২ শতাংশ গঠন করে।

অনেক বড় বড় কোম্পানিও মধু বাজারজাত করার আগে তা আগুনে তাপ দিয়ে ও ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধন করে। মূলত ব্যাকটেরিয়া ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্যই এমনটা করা হয়। কিন্তু এভাবে প্রক্রিয়াজাত করার সময় মধুতে থাকা খনিজ পুষ্টি উপাদানগুলোও হারিয়ে যায়।

লন্ডন স্মাইল ক্লিনিকে কর্মরত ড. জো বানসাল বলেন, গত মাসে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে তিন বছর বয়সে প্রতি ৮ জন শিশুর ১ জনই দাঁতের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের পাশাপাশি মধুও দাঁতের ক্ষয়রোগে সমান ভুমিকা পালন করে।

লন্ডন ওয়াটার হাউজ ইয়াং ক্লিনিক এর চিকিৎসক ড. মিকা ইনজেল বলেন, মধুতে থাকে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং কার্বস। মধুর এই উপাদানগুলোও ঠিক চিনির মতোই কোলাজেন বা মানবদেহের চামড়ার নিচের কোষের প্রধান গাঠনিক প্রোটিন কাঠামোকে ধ্বংস করে। আর মধুতে থাকা কিছু অতিরিক্ত ভিটামিন উপাদানও তা পুনরায় মেরামত করতে সক্ষম নয়।

সবচেয়ে বড় কথা হলো চিনি বা মধু এ দুটির কোনটিরই মানবদেহের জন্য অতিরিক্ত উপকারী কোনও পুষ্টিগুন নেই। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বলেছে, একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন যতটুকু ক্যালোরি দরকার হয় তার মাত্র ১০ শতাংশ চিনি বা মধু জাতীয় খাদ্য থেকে গ্রহণ করা যেতে পারে। একজন নারীর জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম বা সাড়ে ১২ চামচ আর একজন পুরুষের জন্য ৭০ গ্রাম বা সাড়ে ১৭ চামচ পরিমাণ চিনি বা মধু নিরাপদ।

তবে অ্যাকশন অন সুগার ক্যাম্পেইন এর সায়েন্স ডিরেক্টর কার্ডিওলোজিস্ট ড. অসীম মালহোত্রা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিদিনকার খাবারের বাইরে চিনি বা মধু গ্রহণের পরিমান ৬ চা চামচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছেন।

অসীম মালহোত্রা আরও বলেন, প্রতিদিনকার স্বাভাবিক খাবার থেকে আমাদের শরীর যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমাদের শরীরের এর চেয়ে বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটের কোনই প্রয়োজনীয়তা নেই।

Source: lastnewsbd.com

38
Food / ডার্ক চকলেটের উপকারিতা
« on: November 22, 2014, 03:15:32 PM »

মূল উপাদান হচ্ছে কোকো পাউডার, কোকো বাটার ও চিনি। আরও থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট’ বা জীবের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ।


ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়ার প্যাম আর.টাব (এমডি), দি ওহিও স্ট্যাট ইউনিভার্সিটির গ্যারি ওয়েঙ্ক (পিএইচডি), ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অফ নার্সিং রিসার্চ ম্যারি ইংলার (পিএইচডি)— এদের গবেষণার ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ডার্ক চকোলেটের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হয়।   

মস্তিষ্ক

কোকোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ পলিফেনলস নামে পরিচিত, যা রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।

হৃদযন্ত্র

কোকোর তিতা স্বাদের অন্যতম কারণ হল এর এপিক্যাটেকিন যৌগ, যা রক্ত চাপ কমাতে পারে। পাশাপাশি সপ্তাহে দুই আউন্স ডার্ক চকোলেট খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।

কর্মশক্তি

এই এপিক্যাটেকিন কোষের মাইটোক্রন্ডিয়াল’ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, আসল বিষয় হচ্ছে এটা এনার্জি বর্ধক। এতে আছে সামান্য পরিমাণ ক্যাফিইন। তাছাড়া চকলেটের রং যত গাঢ় হয় এতে উদ্দীপক রাসায়নিক পদার্থ থিওব্রোমিনের পরিমাণ ততই বেশি থাকে।

মানসিক অবস্থা

মন খারাপ হলেই চকলেট খান। কারণ এতে নেশার প্রাকৃতিক উপাদান এন্ডোরফিন্স ও সামান্য পরিমাণে অ্যানানডামাইড রয়েছে। তবে ঘাবড়াবেন না, এসব উপাদানে নেশা হবে না বরং মস্তিষ্কে সুখের অনুভূতি তৈরি করতে সাহায্য করবে।

তীব্র ইচ্ছা

কখনও কি এমন হয়েছে, খুব চকলেট খেতে ইচ্ছা করছে? চকলেট খেলেই মস্তিষ্কের সামনের ‍উপরের দিক উত্তেজিত হয়। যা থেকে শরীরে সুখের অনুভূতি তৈরি হতে সাহায্য করে।

ওজন কমায়

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একেবারেই চকলেট খায় না তাদের থেকে নিত্য চকলেটখোররা হালকা-পাতলা হয়। এটা জেনে আবার হাত ভরে চকলেট খাওয়া শুরু করেন না। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভালো না।

39
Life Style / লবণের বিশেষ ব্যবহার
« on: November 22, 2014, 02:02:09 PM »

খাবারের স্বাদ বাড়াতে আর রূপচর্চায় বহুদিন ধরেই লবণ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে আরও বেশ কিছু কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে স্বাদ-বর্ধক এই উপাদানটি। লবণের এমনই কিছু ব্যবহারের বিষয় উল্লেখ করা হলো এই প্রতিবেদনে।


- ত্বকে চুলকানী বা অন্য কোনো সমস্যায় হালকা গরম পানিতে লবণ গুলিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ভিজিয়ে রাখতে হবে। লবণ ত্বকের ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

- কাপড়ে কলমের কালি লেগে গেলে সেটা তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। এক্ষেত্রে কালির উপর খানিকটা লবণ ঘষে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে সাবান দিয়ে ধূয়ে ফেললেই দাগ চলে যাবে।

- অনেক সময় টিফিন নেওয়ার ব্যাগ বা সাধারণ ব্যাগের ভিতরে গন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্যাগের গন্ধ দূর করতে ব্যাগের সবকিছু বের করে লবণ ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর চেইন আটকে সারারাত রেখে দিতে হবে। সকালে ব্যাগ থেকে লবণ ঝেড়ে ফেলতে হবে। এতে ব্যাগের ভিতরের গন্ধ কমে আসবে।

- অনেক সময় ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সঙ্গে যুক্ত ব্যাগ বা টিউবে ঘর পরিষ্কারের সময় আবর্জনার সঙ্গে পোকামাকড় বা মাছির ডিম জমা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের ব্যাগে খানিকটা লবণ ছরিয়ে রাখলে মাছির ডিম মরে যাবে।

40

বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে সাগরকন্যা খ্যাত অপরূপ এক জায়গা কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়নে অবস্থিত এ জায়গায় আছে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত।


একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার মতো জায়গা দ্বিতীয়টি আর এদেশে নেই। অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কুয়াকাটায় আছে বেড়ানোর মতো আরও নানান আকর্ষণ।

সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটার বেলাভূমি বেশ পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।

কুয়াকাটার সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এ বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।

শুঁটকি পল্লী

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে।

গঙ্গামতির জঙ্গল

কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি।

ক্রাব আইল্যান্ড

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূবদিকে গঙ্গামতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরও সামনে গেল আছে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।

ফাতরার বন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। সুন্দরবনের সব বেশিষ্ট এ বনে থাকলেও নেই তেমন কোন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মেলে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিন নৌকায়।

কুয়াকাটার কুয়া

কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে। তবে কয়েক বছর আগে অদূরদর্শী ও কুরুচিকর সংস্কারের ফলে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ার অবস্থান।

জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তার এখানে একটি কূপ খণন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি কুয়াকাটা নামে পরিচিতি পায়।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কাঠের তৈরি এই মন্দির কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের মধ্যে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।

কেরানিপাড়া

সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রাখানদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুণন। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে আছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত আছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক পথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হল ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী, সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা।

ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী যায় এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চ। ভাড়া প্রথম শ্রেণীর একক কেবিন ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বৈত কেবিন ১ হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

কুয়াকাটা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার বাস সার্ভিস আছে। এছাড়া ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহনের বাস যায় কুয়াকাটা। ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।

এছাড়া কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকেও প্রতিদিন সকাল ও রাতে কুয়াকাটার বাস ছাড়ে।

41
সকালের ঘুম ঘুম ভাব দূর করতে অথবা বিকেলের ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ কফির তুলনাই হয় না। কিন্তু চট করে নিজেকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য কফির চাইতেও কার্যকরী একটি পানীয় আছে আপনার আমার হাতের কাছেই। জানতে চান সেটা কি?

কফি আমাদের ঘুম ঘুম ভাব কাটিয়ে দিতে পারে সত্যি। কিন্তু আমাদের মনোযোগ বাড়াতে আসলে তা তেমন কার্যকরী নয়। এর পাশাপাশি কফির খারাপ কিছু প্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকে কফি পান করার পর অস্থির অনুভব করেন। কারও কারও আবার পেট ব্যাথা হতে দেখা যায়। এছাড়াও বিকেলের দিকে কফি পানের ফলে ঘুমের অনিয়ম হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর ঘুম না হলে বরং পরের দিন আপনার ক্লান্তি আরও বেশি হবে।

তাহলে ক্লান্তি কাটাতে কফির বদলে কোন পানীয় বেছে নেবেন? উত্তরটা হলো, পানি। একেবারেই সাধারণ, বিশুদ্ধ এক গ্লাস পানি। শুনতে অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু একেবারেই সাধারণ এক গ্লাস পানি কফির প্রয়োজনীয়তা দূর করে দিতে পারে। সারা দিনে শরীরে যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয় তা মেটানোর প্রতি মনযোগী নই আমরা অনেকেই। এ কারণে শরীর পানিশূন্যতায় ভুগতে থাকে আর আমাদের মনোযোগ যায় নষ্ট হয়ে। এ কারণে সারা দিনই পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর ক্লান্তিটুকু দূর করার জন্য শরীরের পানির অভাব দূর করাটা খুবই জরুরী। কেউ কেউ এই ক্লান্তি দূর করতে কফির সাহায্য নেন, কেউ ধূমপানের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু পানি পান করার দিকে কারও খেয়াল থাকে না।

হঠাৎ করেই নিয়মিত পানি পানে অভ্যস্ত হতে সময় লাগতে পারে কারও কারও। এ কারণে স্ন্যাক্স হিসেবে ফল ও সবজি খেলেও ক্লান্তি কাটিয়ে তোলা সম্ভব, কারণ এদের মাঝেও থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি। গাজর, শশা, আপেল, এসবই স্ন্যাক্স হিসেবে ভালো। কিন্তু পানির চাইতে উপকারি আর কিছু হতে পারে না। তাই শরীরে পানির অভাব পূরণ করুণ, থাকুন ক্লান্তি থেকে দূরে।

42
পিঠের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীর কথা আগের তুলনায় আজকাল অনেক বেশি শোনা যায়৷ চলুন জেনে নেয়া যাক এর মূল কারণ এবং কী ভাবে পিঠব্যথা এড়িয়ে চলা যায়৷

কারণ:
শতকরা ৮০ ভাগ রোগীর পিঠব্যথার কারণ পুরোপুরিভাবে জানা সম্ভব হয়না৷ তবে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হলে যে পিঠব্যথা বাড়ে, সে কথাই বিশেষজ্ঞরা বলেন৷ তবে এই ব্যথা কারো হঠাৎ করে হয় আবার কারো বা নিয়মিত থাকে৷ সুখের কথা যে বেশিরভাগ পিঠব্যথারই কারণ তেমন গুরুতর নয়৷

সিরিয়াস কারণ
হাড়ের ব্যথা, অবশ অনুভূতি, নার্ভের কোনো ক্ষতি, পক্ষাঘাতের লক্ষণ, কোনো ধরনের ইনফেকশন, শিরদাঁড়া অথবা কোনো ধরনের টিউমার– এ সব কারণে পিঠব্যথা হয়ে থাকে৷ এ ধরনের ব্যথায় সরাসরি ডাক্তার অর্থোপেডিক্স-এর সাথে কথা বলা উচিত৷

মানসিক যন্ত্রণা থেকে পিঠব্যথা:
প্রফেসর উলরিশ টি এগলে বলেন, ‘মানসিক ক্লান্তি, কষ্ট, অবসাদ, যন্ত্রণা থেকে পিঠব্যথা হয়ে থাকে৷ পিঠব্যথা শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে এবং স্ট্রেসের কারণে ছড়িয়ে দেয় পিঠে’৷

সামাজিক কারণেও হতে পারে
পিঠব্যথাকে সামাজিক ব্যথাও বলা হয়ে থাকে৷ কারণ চাকরিস্থলে মবিং, পারিবারিক কলহ, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেও হয়৷ তাছাড়া ডাক্তার যদি কোনো রোগীর পিঠব্যথাকে তেমন গুরুত্ব না দেয়, তা থেকে পিঠব্যথা বেড়ে যেতে পারে বা নতুন করে ব্যথা শুরু হতে পারে৷

নিজে যা করা যেতে পারে
পিঠব্যথার জন্য সবচেয়ে জরুরি শারীরিকভাবে অ্যাকটিভ থাকা৷ হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, ব্যায়াম ইত্যাদি৷ তবে প্রতিদিন তা নিয়মিতভাবে করতে হবে৷ কিছুদিন করার পর যেটা ভালো লাগবে, সেটা বেছে নিয়ে নিয়মিত করলে ব্যথার সমস্যা কেটে যেতে পারে৷ বিশেষ করে যারা সারাদিন বসে থাকার কাজ করেন, তাদের অবশ্যই কোনো না কোনো ব্যায়াম করা উচিত বলে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য৷

মাসাজ
মাসাজ বা গরম তাপ পিঠব্যথায় বেশ উপকারে আসে৷ কারণ মাসাজ বা গরম তাপে শরীরের ভেতরে ভালোভাবে রক্ত চলাচল করে ফলে অনেক আরাম হয়৷ পিঠব্যথা যদি তিন মাসে ভালো না হয়, অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷

ব্যায়াম
অর্থোপেডিক্স ডাক্তার মারকুস স্লিটেনভল্ফ বলেন, ‘পিঠব্যথায় যত কম সম্ভব ওষুধ সেবন করুন এবং সে তুলনায় শরীরটাকে বেশি করে সচল রাখুন’।

বিশেষ পোশাক
পিঠব্যাথা থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া বা ভালোভাবে শরীরকে চালানোর জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের পোশাক৷

উদ্বেগহীন জীবনযাপন
বিশেষজ্ঞের মতে, উদ্বেগহীন জীবনযাপন করলে পিঠব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ যোগব্যায়ামও মাঝে মাঝে বেশ সাহায্য করে পিঠব্যথার ক্ষেত্রে৷

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনো এর কোনো ইনজেকশন নেওয়া উচিত নয়৷

43
বাইরে খেতে গেলে মূল খাবার অর্ডার দেয়ার পরপরই আমরা যে জিনিসটি অর্ডার করি তা হলো কোমল পানীয়। ঝাঁঝালো, মিষ্টি এই পানীয়টি যেন আমাদের জীবনেরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড গরমে কিংবা অকারণেই এই কোমল পানীয় পান করছেন সব বয়সের মানুষ। কোমল পানীয় ভালো নয়, সে কথা কমবেশি সপবাই জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, কোমল পানীয় কী ভীষণ ক্ষতিকর আপনার শরীরের জন্য? জেনে নিন কোমল পানীয়ের ব্যাপারে এমন কিছু সত্য, যেগুলো জানার পর এসব পানের ইচ্ছা আপনার একেবারে কমে যাবে।

দাঁত ধ্বংস করে দেয়
অস্ট্রেলিয়ার এডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায়, কোমলপানীয়তে থাকে উচ্চমাত্রার এসিডিক উপাদান। এই উপাদানগুলো দাঁতের স্থায়ী করে দিতে পারে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই। দাঁতের এনামেল এর ক্ষতি এবং দাঁত ক্ষয়ের পাশাপাশি দাঁতে দাগও ফেলে দেয় কোমল পানীয়। বিশেষ করে শিশুদের দাঁতের জন্য কোমল পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকর।

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মেদ জমা
নিয়মিত কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জমে যায় মেদ। কোমল পানীয়ে গ্রহণ করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় লিভারের মেদ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মেদ। ফলে নানান রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়
ইউরোপ ও জাপানের দুটি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফলাফল ছিলো একই। আর তা ছিলো নিয়মিত কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাসে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কমে যায়। কোমল পানীয়তে উপস্থিত BVO নামের একটি উপাদান পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। যারা কোমল পানীয় এড়িয়ে চলেন তাদের চাইতে নিয়মিত কোমল পানীয় পানকারীদের যৌন ক্ষমতা কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

আসক্তি
নিয়মিত কোমল পানীয় পান করতে করতে ধীরে ধীরে কোমল পানীয়ের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। তখন কোমল পানীয় না খেলে তৃষ্ণা মেটে না কিছুতেই। কোমল পানীয়ের এই আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই ছাড়া কঠিন।

বয়সের ছাপ ফেলে দ্রুত
নিয়মিত কোমল পানীয় খেলে চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়। ত্বকে বলিরেখা, ত্বকের শুষ্কতা, চোখের নিচে ভাঁজ পড়া এবং আরো নানান রকমের সমস্যা হতে পারে। ফলে কম বয়সেই বুড়িয়ে যেতে হয়।

কিডনির ক্ষতি
যারা প্রতিনিয়ত কোমল পানীয় পান করেন তাদের কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিয়মিত কোমল পানীয় পানে দ্রুত কিডনি নষ্ট হয়ে যায় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

44
 অবসাদে ভোগেন না এমন লোক পৃথিবীতে মনে হয় নেই।কিংবা বিরক্তিকর মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন না- এরকম মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ, ব্যস্ততম জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী এই দুই উপদ্রব। সমস্যা যেমন আছে, তেমনি তার সমাধানও রয়েছে।


আকুপ্রেসারের সাহায্যে অল্প সময়ে রেহাই পেতে পারেন আপনি। তবে কীভাবে? আপনার বাম হাতের বুড়ো আর তর্জনী, এই দুই আঙুলের মাঝখানে যে মাংসপেশী (চীনা চিকিৎসা শাস্ত্রে একে ‘হকু স্পট’ বলে) রয়েছে সেখানে ডান হাতের তর্জনী ও বুড়ো আঙুল দুটি দিয়ে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড চাপ দিন। ম্যাজিকের মতো অবসাদ ও মাথাব্যথা চলে যাবে।

45
Pharmacy / তেঁতুল (Tamarindus indica)
« on: November 20, 2014, 04:38:05 PM »
তেঁতুলের নাম শুনলেই জিবে জল আসে সবার৷ অনেকেরই ধারণা, তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়৷ অনেকের ধারণা, তেঁতুল বেশি খেলে ওজন কমে যাবে৷ আসলে তেঁতুল শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী৷ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম৷ এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন খনিজ যেমন: পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম৷ তেঁতুল ত্বক, চুল, দাঁত ও হাড়কে করে মজবুত এবং রাতকানা, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় সংক্রমণজনিত সমস্যাগুলোও দূর করে৷


তেঁতুলের ভেষজ ও পুষ্টিগুণ

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণুরোধক গুণ আছে তেঁতুলের৷ তাই এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়৷

প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় কাটাছেঁড়া শুকাতে সাহায্য করে৷

রক্তের কোলেস্টেরল কমায়৷

শরীরের মেদ কমাতেও সাহায্য করে৷

খিদে ও রুচি বাড়ায়৷

গর্ভাবস্থায় বমিভাব দূর করে৷

মুখের লালা তৈরি হয়, ফলে মুখ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে৷

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে৷

মুখে ঘা ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে৷

পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যেকোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি৷

প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ২৪০ ক্যালরি শক্তি রয়েছে৷

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 35