Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Asif.Hossain on October 12, 2013, 04:51:14 PM

Title: সুস্থ থাকুন ঈদে
Post by: Asif.Hossain on October 12, 2013, 04:51:14 PM
সুস্থ থাকুন ঈদে
ঈদে অতিরিক্ত খাবার বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে বদহজম, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, বদঢেঁকুরের মতো সমস্যা। যাদের আলসারের সমস্যা আছে তাদের বুকে জ্বলা বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত লবণ ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এসব থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন। পরিমিত গোশত খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব। যদি আলসারের সমস্যা থাকে, তবে আগে থেকেই ওমিপ্রাজল খেতে পারেন। এন্টাসিড বা ওমিপ্রাজল সেবন করতে পারেন। অনেকে মনে করেন, পেট পুরে গোশত খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান করলে বুঝি সব সমস্যার মুক্তি। এটা ঠিক নয়। সমস্যার মুক্তি তো মিলবেই না, দেখা দিতে পারে এসিডিটি। সালাদ ও ফলমূল বেশি করে খান। প্রচুর পানি পান করুন।

গরুর হাটে ধুলাবালি বেশি থাকে। হাটে গেলে নাকে মাস্ক পরে নিন। যাদের শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, হৃদরোগ আছে তারা হাটে যাবেন না।
অর্ধ-সিদ্ধ গোশত খেলে হতে পারে ডায়রিয়াসহ নানান পেটের পীড়া। তাই খুব ভালো করে গোশত জ্বাল দিতে হবে। পশু জবাইয়ের পরপরই গোশত রান্না বা ফ্রিজে রাখবেন না। কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে দিন। শহরে তরুণ ছেলেমেয়েদের এ সময় চলে বারবি কিউ উৎসব। খেয়াল রাখতে হবে গোশত পুরোপুরি সিদ্ধ হয়েছে কি-না।

পশুর চর্বি কোলেস্টেরলের আধার। এটি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অতিরিক্ত গোশত খাবেন না। আহার করুন পরিমিত। একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না।
হৃদরোগীরা বেশি পরিমাণ খেলে বুকে ব্যথা হতে পারে।
গোশতে কোলেস্টেরল বেশি থাকায় বেড়ে যেতে পারে আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা। তাই কম পরিমাণে খাওয়াই শ্রেয়। কোরবানি পশুর মস্তিষ্ক ও যকৃতে কোলেস্টেরল বেশি থাকে। এগুলো খাবেন না।

কিডনি রোগীরা আমিষ জাতীয় খাবারে হোন সতর্ক। যারা কিডনি রোগী কিন্তু ডায়ালাইসিস না করে অন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা প্রতিদিন ৩০-৪০ গ্রাম আমিষ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ২০ গ্রাম আমিষ থাকে। ডায়ালাইসিস করছেন এমন রোগীদের আমিষ জাতীয় খাবারে বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অতিরিক্ত খেলে দেখা দিতে পারে সমস্যা। এদের পানি পানের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। অতিরিক্ত পানি পানের কারণে হতে পারে হার্ট ফেইলিউর।
লিভার বা যকৃতের সমস্যা যেমন ক্রোনিক লিভার ডিজিজ খারাপ অবস্থায় পেঁৗছে থাকলে আমিষ জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবারে হতে পারে হেপাটিক এনকেফালোপ্যাথি। এ সমস্যায় রোগী অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যেতে পারেন। চাইলে দিনে এক টুকরা মাংস খেয়ে শামিল হতে পারেন ঈদের আনন্দে। অন্যরা স্বাভাবিক ব্যক্তিদের মতোই পরিমিত গোশত খেতে পারেন।

শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন রোগীরা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হোন। গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, হাঁসের ডিম, ইলিশ মাছ, বেগুন, নারেকেল, আনারস, পাকা কলায় ্রহতে পারে অ্যালার্জি। এ থেকে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। একবারে অনেক বেশি খেয়ে ফেললেও বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। যাদের কফে যক্ষ্মার জীবাণু আছে তারা কোলাকুলি করে বা যেখানে-সেখানে কফ ফেলে অন্যকে যক্ষ্মায় আক্রান্ত করতে পারেন।
 
এ ধরনের রোগী নিজেরাই একটু সচেতন হোন। জবাই করা পশুর রক্ত ও বর্জ্য যেখানে-সেখানে না ফেলে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলুন। জবাই করা জায়গা বিল্গচিং পাউডার বা স্যাভলন কিংবা ডেটল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
যারা ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন, যাত্রাপথে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না। ছোট শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন। বাড়ির আশপাশে পুকুর-ডোবা থাকলে শিশুদের কিছুতেই একা ছাড়বেন না। আপনি নিয়মিত যে ওষুধ সেবন করেন তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিন। সঙ্গে রাখুন নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যেমন ওরস্যালাইন, অ্যান্টাসিড, জিংক ট্যাবলেট। সঙ্গে রাখুন পরিচিত চিকিৎসকের মোবাইল নম্বর।

Source: রোগ শোকের কথা