Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Fatema Yeasmin

Pages: [1]
1


অনেকে ধারণা করেন, চার্জ পূর্ণ হয়ে গেলে চার্জারের সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে ব্যাটারির ক্ষতি হবে
সারারাত ধরে মোবাইল চার্জ দেওয়া কি ভালো? আইপ্যাডের অ্যাডাপ্টর দিয়ে আইফোনে চার্জ দিলে কি কোনো ক্ষতি হবে? স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহারে যতখানি অভিজ্ঞতাই থাকুক না কেন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে আমাদের মনে অসংখ্য প্রশ্ন জাগে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান বা ধারণা পাওয়া গেলেও এর সবগুলোই সঠিক নয়। কনজুমার প্রযুক্তি নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি মিথ বা ধারণা প্রচলিত রয়েছে, যা প্রায়ই আমাদের ভুল ধারণা হিসেবে প্রমাণিত হয়। সম্প্রতি ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডার আমাদের প্রচলিত আটটি ভুল ধারণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ম্যাক কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করে না
অনেকেরই ধারণা, অ্যাপলের তৈরি ম্যাক কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করে না। কিন্তু অ্যাপলের জনপ্রিয় এই কম্পিউটারও ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। আগে অ্যাপল দাবি করত যে, তাদের কম্পিউটার পিসিতে ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে না। কিন্তু ২০১২ সালে বেশ কিছু ম্যাক কম্পিউটারের ট্রোজান আক্রমণের পর অ্যাপল তাদের এই দাবি থেকে সরে আসে।

ইনকগনিটো ব্রাউজিং আপনাকে আড়াল করে
ব্রাউজারের ইনকগনিটো ও প্রাইভেট মোডে ব্রাউজিং করলে পরিচয় গোপন রেখে ব্রাউজিং করা যায়—এমন ধারণা অনেকেরই। গুগল ক্রোমের ইনকগনিটো মোড ও সাফারির প্রাইভেট মোডে ব্রাউজ করলে ওই ব্রাউজার আপনার ওয়েব ব্রাউজিং হিস্টোরি ট্র্যাক করবে না, বুকমার্ক আনবে বা আপনার অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয় লগইন করবে না। তাই বলে পরিচয় গোপন রেখে ব্রাউজিং করার সুবিধা এই মোডে পাওয়া যায় না।

চার্জ দেওয়া অবস্থায় ফোন ফেলে রাখলে ব্যাটারি নষ্ট হয়
ব্যাটারির চার্জ পূর্ণ হয়ে গেলেও অনেকেই চার্জার সরিয়ে নিতে ভুলে যান এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সারারাত ফোনটি চার্জারের সঙ্গেই সংযুক্ত থেকে যায়। অনেকেই ধারণা করেন, এতে ফোনের ব্যাটারি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এতে ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত মেলেনি। আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয় যা যথেষ্ট স্মার্ট, তাই চার্জ পূর্ণ হয়ে গেলে ব্যাটারিতে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

অধিক মেগাপিক্সেল মানেই উন্নত ক্যামেরা
১২ মেগাপিক্সেল আর ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার মধ্যে পার্থক্য কী? আদতে তেমন কোনো পার্থক্য চোখে পড়ে না। ছবির মান নির্ভর করে ক্যামেরা সেন্সর কী পরিমাণ আলো গ্রহণ করে তার ওপর। সাধারণত বড় সেন্সরে বড় পিক্সেল থাকে এবং পিক্সেল যত বড় হয় এটি তত বেশি আলো গ্রহণ করতে পারে। তাই মেগাপিক্সেলের সংখ্যার চেয়ে মেগাপিক্সেল আকার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রযুক্তি বিশ্লেষক ম্যাথিউ প্যানজারিনো মেগাপিক্সেলের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, ধরুন ঝড়বৃষ্টিতে একটি অঙ্গুষ্ঠানা (সেলাইয়ের জন্য আঙুলের টোপর) ধরে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করছেন। আপনার অঙ্গুষ্ঠানা যত বড় হবে, তত বেশি বৃষ্টি আপনি তত কম সময়ের মধ্যে ধরতে পারবেন। মেগাপিক্সেলের রূপক অর্থে অঙ্গুষ্ঠানা ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আপনি যদি কয়েকটি অঙ্গুষ্ঠানার পরিবর্তে কয়েকটি বালতি দিয়ে চেষ্টা করেন আরও ভালোভাবে বৃষ্টির ফোঁটা ধরতে পারবেন।

ব্যাটারির চার্জ একেবারে শেষ না হলে চার্জ দেওয়া যাবে না
স্মার্টফোনের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি-সম্পর্কিত এটি বহুল প্রচলিত একটি ধারণা। বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, ব্যাটারির চার্জ একেবারে শেষ হওয়ার আগেই চার্জ দেওয়া শুরু করলে কোনো ক্ষতি নেই; বরং তা ব্যাটারির আয়ুর পক্ষে ভালো। চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা পুরোপুরি হারানোর আগে ব্যাটারিকে চার্জ চক্রের একটা নির্দিষ্ট সীমা পার করতে হয়। তাই ব্যাটারি পুরোনো হয়ে গেলে ব্যাটারির আয়ু কমে যেতে থাকে। যখন চার্জ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়, তখন একটি চক্র শেষ হয়। ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে তাই কিছু চার্জ থাকা অবস্থায় আবার মোবাইল চার্জ দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

স্মার্টফোনের ডিসপ্লের রেজুলেশন বেশি হলে ভালো
এই নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেখিয়েছেন, স্মার্টফোনে স্ক্রিন রেজুলেশনের বিষয়টি তেমন কোনো বিষয়ই নয়। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোডো প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, ডিসপ্লেতে প্রতি ইঞ্চিতে ৩০০ পিক্সেলের বেশি হয়ে গেলে মানুষ আর খালি চোখে পার্থক্য ধরতে পারে না। এ বছরের শুরুতে স্মার্টফোন নির্মাতা এলজি জি৩ নামে কোয়াড এইচডি স্মার্টফোন তৈরি করেছে যার রেজুলেশন হচ্ছে ২৫৬০ বাই ১৪৪০, যা গড়পড়তা স্মার্টফোনের চেয়ে অনেক বেশি। গড়পড়তা হাই-এন্ডের স্মার্টফোনে ১৯২০ বাই ১০৮০ রেজুলেশনের ডিসপ্লে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের চোখ যেহেতু একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টের পর আর পিক্সেলের প্রভাব ধরতে পারে না তাই রেজুলেশনের এই সংখ্যা আসলে কোনো কাজে আসে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
বিশেষজ্ঞরা এলজির জি৩ স্মার্টফোনটির উচ্চ রেজুলেশনের ডিসপ্লের সঙ্গে ১০৮০ পিক্সেলের স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৫ স্মার্টফোনের রেজুলেশনের পার্থক্য বের করতে পরীক্ষা চালান। কিন্তু শার্পনেসের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য ধরতে পারেননি তাঁরা। এ কারণে এই অ্যাপলের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অধিক ঘনত্বের ডিসপ্লের পরিবর্তে ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতার দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছে।

আইপ্যাডের চার্জার দিয়ে আইফোন চার্জ দিলে ক্ষতি
আইপ্যাডের চার্জার দিয়ে আইফোন চার্জ দেওয়া ভালো নাকি খারাপ তার উত্তর শুধু হ্যাঁ বা না নিয়ে দেওয়া যায় না। অ্যাপলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১২ ওয়াটের আইপ্যাড অ্যাডাপ্টর দিয়ে আইফোন ও আইপ্যাড উভয়ই চার্জ দেওয়া যায়। অবশ্য ইলেকট্রনিকস বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এইআই সিস্টেমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা স্টিভ স্যান্ডলার দাবি করেছেন, নিয়মিত আইপ্যাডের চার্জার দিয়ে চার্জ দিতে থাকলে তা ব্যাটারির ওপর ধকল তৈরি করে। এতে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে বলে ব্যাটারিতে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না, নিজেই খেয়াল করে দেখতে পারেন।

কম্পিউটার প্রতিদিন বন্ধ করা ঠিক না
অনেকেই মনে করেন প্রতি রাতে কম্পিউটার বন্ধ করা ঠিক নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন রাতে কম্পিউটার বন্ধ করে রাখা ভালো। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপকে স্লিপ মোডে রেখে রাতে ঘুমাতে যান সকালে উঠে হয়তো আবার বুট আপ না করে সহজেই তা চালু করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, পিসি বন্ধ করলে শক্তি সাশ্রয় হয় এবং পিসির যন্ত্রাংশগুলোর ধকল কম হয়। এতে যন্ত্র টেকে বেশিদিন।

http://www.prothom-alo.com/technology/article

2


স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

প্রতিটি ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষেত্রেও তা-ই। স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরনের ওপর এর ব্যাটারির আয়ু নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে মুঠোফোনে চার্জ দেওয়ার পদ্ধতি ও চার্জারের ধরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন সারা রাত মুঠোফোন চার্জ দিয়ে রাখলে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির আয়ু কমে। অন্যদিকে সস্তা চার্জার ব্যবহারে স্মার্টফোন ও ব্যাটারির বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার কয়েকটি পরামর্শ জেনে নিন:

সব সময় নিজস্ব চার্জার
স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার সময় নিজস্ব চার্জার বিশেষ করে ফোনের সঙ্গে থাকা আসল চার্জারটি ব্যবহার করুন। স্মার্টফোনে মাইক্রো ইউএসবি পোর্টে অনেক চার্জার সমর্থন করতে পারে। তবে আসল চার্জার ব্যবহার না করলে ধীরে ধীরে ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে।

সস্তা চার্জারকে না বলুন
অপরিচিত নির্মাতার তৈরি চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। কারণ এ ধরনের চার্জারে কোনো নিরাপত্তাপদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। এতে ফোনে অতিরিক্ত চার্জ বা ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। অ্যাডাপ্টারে সমস্যা দেখা দিলে ফোন ও ব্যাটারি দুটোই নষ্ট হতে পারে।

চার্জের সময় সুরক্ষা কেস খুলে রাখুন
অনেকেই ফোনের বাড়তি সুরক্ষার জন্য কেসিং ব্যবহার করেন। কিন্তু চার্জ দেওয়ার সময় কেসিং খুলে রাখা ভালো। সাধারণত ফোন চার্জ দিলে ব্যাটারি কিছুটা গরম হয়। কিন্তু ফোনের কেসিং থাকলে তাপ আটকে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়।

দ্রুতগতিতে চার্জ সুবিধাজনক নয়
সব সময় দ্রুতগতিতে চার্জ হয় এমন চার্জার সুবিধাজনক নয়। ব্যাটারি ভালো রাখতে দ্রুতগতির চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুতগতির চার্জার ফোনের ব্যাটারিতে উচ্চ ভোল্টেজ পাঠায়, যা দ্রুত তাপমাত্রা বাড়ায়। স্বাভাবিক চার্জিং পদ্ধতিতে চার্জ দিতে পারেন।

সারা রাত চার্জ নয়
সারা রাত ফোন চার্জে রাখা ঠিক নয়। অতিরিক্ত চার্জ ব্যাটারির ক্ষতি করে।

থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপস
অনেকে মুঠোফোনের ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ চালানোর জন্য থার্ড পার্টির অ্যাপস ব্যবহার করেন। ব্যাটারি দীর্ঘদিন টেকাতে এসব অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অনেক অ্যাপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে বলে ব্যাটারির ওপর প্রভাব ফেলে।

ফোন ৮০ শতাংশ চার্জ দিয়ে রাখুন
যখনই চার্জ দেবেন, তখন কমপক্ষে ব্যাটারির চার্জ ৮০ শতাংশ পূর্ণ করবেন। সব সময় শতভাগ চার্জ পূর্ণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সব চার্জ শেষ করে ফেলবেন না
স্মার্টফোনে ২০ শতাংশের ওপরে চার্জ থাকা অবস্থায় আবার চার্জে দেবেন না। বারবার ও অপ্রয়োজনীয় রিচার্জে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারির চার্জ একেবারে শূন্য করে ফেলবেন না। এতেও ব্যাটারির আয়ু কমতে থাকে।

শট-সার্কিট ঠেকাতে পাওয়ার ব্যাংক
ভোল্টেজ ওঠা-নামা, শট-সার্কিট, অতিরিক্ত চার্জ ঠেকাতে সক্ষম এমন পাওয়ার ব্যাংক কাজে লাগাতে পারেন। পাওয়ার ব্যাংকের সঙ্গে লাগানো অবস্থায় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। এতে স্মার্টফোন বেশি গরম হয় এবং ব্যাটারির ক্ষতি হয়। তথ্যসূত্র: টিএনএন।

http://www.prothom-alo.com/technology/article

 

 

3
কম্পিউটারে ডেটা নিরাপদ রাখতে উইন্ডোজ ১০-এ অনেক সুবিধা আছে। সমস্যাটা হলো সুবিধার পরিমাণ একটু বেশিই। আর নিরাপত্তা নিয়ে সব সুবিধা এক জায়গায় না থাকায় খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কোন কাজের জন্য কোন পাতা খুলতে হবে, তা জানা না থাকলে তো মোটামুটি অসম্ভব।
ব্যবহারকারীদের এই সমস্যা সমাধানে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০-এর নিরাপত্তা সেটিংস সহজ করা হচ্ছে। যাতে ব্যবহারকারীরা এক কন্ট্রোল প্যানেলেই নিরাপত্তার সব সুবিধাগুলো পেয়ে যান। আগামী এপ্রিলে উইন্ডোজ ১০-এর একটি নতুন হালনাগাদ আসছে। নতুন এই সংস্করণে ব্যবহারকারীদের জন্য থাকবে নতুন একটি ড্যাশবোর্ড যেখানে উইন্ডোজ ১০-এর সব নিরাপত্তাসুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে, সহজেই ইচ্ছামতো যখন যেটি প্রয়োজন সেটি ব্যবহার করা যাবে।
মাইক্রোসফট নতুন এই ড্যাশবোর্ডটির নাম দিয়েছে ‘উইন্ডোজ ডিফেন্ডার সিকিউরিটি সেন্টার’। নতুন এই সিকিউরিটি সেন্টারের বৈশিষ্ট্য হলো এতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০-এর নিরাপত্তা এবং যন্ত্রের সুরক্ষার জন্য পাঁচ ধরনের নিরাপত্তাসুবিধা আছে। সুবিধাগুলো হলো ভাইরাস এবং সাইবার হুমকি থেকে সুরক্ষা, যন্ত্রের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য, ফায়ারওয়াল ও নেটওয়ার্ক সুরক্ষা, অ্যাপ্লিকেশন ও ব্রাউজার নিয়ন্ত্রণ এবং ফ্যামিলি অপশন।
একই পাতা থেকে ব্যাটারি ব্যবহারের পরিসংখ্যান থেকে ম্যালওয়্যার স্ক্যানের সময় নির্ধারণ পর্যন্ত সবকিছুতেই পাওয়া যাবে। এই নতুন সিকিউরিটি সেন্টারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এতে ব্যবহারকারীরা তাদের যন্ত্রের নিরাপত্তা সম্পর্কে আরও বেশি ওয়াকিবহাল থাকবে এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা সহজ করতে সাহায্য করবে এটি।
মোখলেছুর রহমান, সূত্র: ফোর্বস

বিষয়: বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কম্পিউটার


4
রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিতে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) বাংলার আয়োজনে বাংলা চ্যালেঞ্জ। যান্ত্রিক অনুবাদক গুগল ট্রান্সলেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্যই এ আয়োজন। এই চ্যালেঞ্জে গুগল ট্রান্সলেটরে কিছু বাংলা শব্দ দিতে হবে। শব্দটি ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করা হবে। এই চ্যালেঞ্জের প্রথম কাজ শব্দ দেওয়া। এরপর কয়েকজনকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে, যাতে তাঁরাও আপনার মতো কয়েকটি শব্দ গুগল অনুবাদকে দেন।
গতকাল উদ্বোধনী দিনে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এর বিষয় ছিল গুগলের ওপেন সোর্স লাইব্রেরি টেনসর ফ্লো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ডেপুটি একাডেমিক ডিরেক্টর মো. সরোয়ার হোসেন মোল্লা, জিডিজি বাংলার কমিউনিটি ম্যানেজার জাবেদ সুলতান, উপদেষ্টা কাজী হাসান ও দূত মো. লিয়াদ আলম।
আজ এ আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কাল সোমবার হবে পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষার ওপর কর্মশালা।

http://www.prothom-alo.com/technology/article/1084147/%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C

5
বই আমাদের কী উপকার করে, এ প্রশ্নের উত্তর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের চেয়ে ভালো আর কে দিতে পারেন! তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর, অসাধারণ একজন বক্তা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচির উদ্বোধনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি বলেছিলেন বই পড়ার উপকারিতার কথা।
বলো তো এটা কী? (হাত উঁচু করে দেখিয়ে)। (একজন ছাত্র: হাত।)

বলো তো একজন মানুষ তার নিজের কয় হাতের সমান?

(একজন ছাত্রী: সাড়ে তিন হাতের।)

এখন বলো তো শুধু নিজের হাতের সাড়ে তিন হাত লম্বা একটা ঘর হলে কি আমাদের চলে?

(একজন: চলে।) (সবার হাসি)

বেশ। তাহলে এসো সাড়ে তিন হাত লম্বা একটা লোহার বাক্স তৈরি করে তোমাকে তার মধ্যে ঢুকিয়ে তালা মেরে সারা রাত দাঁড় করিয়ে রাখি। দেখি কেমন লাগে তোমার?

(ছাত্রছাত্রীদের হাসি)

না, সাড়ে তিন হাত ঘর হলে আমাদের চলে না। বলো তো কত বড় ঘর আমাদের দরকার?

(একজন ছাত্রী: অনেক বড় ঘর।)

হ্যাঁ, যে মানুষ যত বড়, তার তত বড় ঘর দরকার। যে রাজা, তার বাঁচার জন্য গোটা রাজ্য লাগে। না হলে তার বাতাসের অভাব হয়ে যায়। তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।

কেবল বড়দের কেন, আমাদের সবারই বড় ঘর দরকার। নিশ্বাস নেওয়ার মতো, নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো বড়সড় একটা ঘর। আমরা তো আশরাফুল মাখলুকাত, কত বুদ্ধি, মেধা, আলো, প্রেম, ক্ষমা নিয়েই না আমাদের জন্ম! এমন যারা বড়, তাদের কি ছোট ঘর হলে চলে? এবার আমার একটা কথার উত্তর দাও। কেবল বড় ঘর হলেই কি আমাদের চলে? নাকি সে ঘরের মধ্যে আরও কিছু থাকতে হয়?

(সবাই নিঃশব্দ)

বলো তো যে ঘরের জানালা নেই, তার নাম কী?

(একজন ছাত্র: কবর!)

ঠিক বলেছ। কবরের জানালা নেই। কিন্তু আমরা অত আধ্যাত্মিক ঘরদোর নিয়ে টানাহেঁচড়া করব না। এসো আমরা এমন ঘর খুঁজি যে ঘর সব সময় আমাদের চারপাশে দেখি, অথচ যার জানালা রাখা হয় না—বলো তো কী নাম সেই ঘরের?

(একজন ছাত্র: গুদাম?)

হ্যাঁ, গুদাম। গুদাম। সেই ঘর, যাতে জানালা নেই।

এখন বলো তো গুদামে কি মানুষ থাকতে পারে?

(ছাত্রেরা: না।)

সত্যি ওখানে মানুষ থাকা সম্ভব নয়। যার জীবন আছে, বিকাশ আছে, স্বপ্ন আছে, তার থাকা সম্ভব নয়। ওখানে যা থাকতে পারে, তা মানুষ নয়, মাল। চালের বস্তা, সিমেন্টের বস্তা, আলুর বস্তা, গমের বস্তা। বলো তো কেন মানুষ সেখানে থাকতে পারে না?

(একজন ছাত্রী: আলো নেই বলে।)

হ্যাঁ, আলো নেই। ঠিক। আর?

(একজন ছাত্র: বাতাস নেই বলে।)

হ্যাঁ, বাতাস নেই। আর?—

(একজন ছাত্রী: বাতাসের চলাচল নেই বলে।)

তোমাদের সব কথা ঠিক, সব সত্যি। আসলে চারপাশের আলো-ঝলমল বিপুল পৃথিবীটাই যে নেই ওর মধ্যে! চারপাশের দৃশ্যের জগৎ, রূপের জগৎ, আলোর জগৎ, মুক্তির জগৎ—কিছুই নেই। এ ঘর বদ্ধ। এ ঘরে জানালা নেই। অথচ এই যে বিরাট ঘরটায় এই মুহূর্তে তোমরা বসে আছ, কত জানালা দেখেছ এর? মনে হয় যেন জানালাই আছে ঘরটাতে, দেয়ালই নেই। কেন এত জানালা এতে? বলো তো একটা জানালা দিয়ে আমরা কী পাই? তাকাও না আমার ডান পাশের এই জানালা দিয়ে। কী দেখছ?

(একজন ছাত্র: একটা দৃশ্য।)

হ্যাঁ। গাছপালা, একটা পুকুরের খানিকটা আর একটা ছোট্ট মাঠ। এবার তাকাও পরের জানালা দিয়ে। একই দৃশ্য দেখছ কি? নাকি সম্পূর্ণ নতুন কিছু?

(ছাত্রেরা: সম্পূর্ণ নতুন।)

এবার তাকাও ওই জানালায়। আগের দৃশ্যগুলোই দেখছ, নাকি আরও নতুন কিছু?

(কয়েকজন ছাত্রছাত্রী: আরও নতুন কিছু।)

এবার তাকাও না সব কটি জানালা দিয়ে। কী দেখা যাচ্ছে? সারা বিশ্ব, তাই না?

হ্যাঁ, সারা পৃথিবী। তোমরা যাতে প্রাণখুলে এখানে বাঁচতে পারো, তার রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ সবকিছু জীবনের ভেতরে আহরণ করতে পারো, তাই এই ঘরে এত জানালা। গুদামের ভেতরে এই বিপুল বিশ্বজগৎ নেই। তাই সেখানে মানুষ বাঁচে না।

তোমরাই বলেছ বাঁচার জন্য বড় ঘর দরকার। বড় ঘর মানে কী? বড় ঘর মানে আলো-বাতাস-জানালা-দরজা-বিশ্বচরাচরওয়ালা একটা ঘর। এই ঘর বহু অনিন্দ্য জিনিস দিয়ে আমরা বানাতে পারি।

যেসব অনবদ্য জানালা দিয়ে আমরা জীবনের ঘর সুন্দর আর খোলামেলা করতে পারি, বই তার একটা। ওই যে জানালার কথা বললাম, আমরা কি একেকটা বইকে অমনি একেকটা জানালার সঙ্গে তুলনা করতে পারি?

(একজন ছাত্র: পারি!)

কীভাবে?

একেকটা জানালার মতো একেকটা বইও আমাদের আলাদা আলাদা জগৎ দেখায়।

ঠিক বলেছ। ধরো, প্রাচীন মিসরের ওপর একটা বই পড়লাম। কী হলো তখন? আমাদের চোখের সামনে প্রাচীন মিসর, ফারাও, পিরামিড আর মমির জগৎটা জ্বলজ্বল করে উঠল। যদি ক্যাপ্টেন কুকের ভ্রমণকাহিনি পড়ি, তবে তাঁর ভ্রমণপথ, অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার, প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপ, স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে তাঁর মৃত্যু—এসব ছবি চোখের ওপর জ্বলজ্বল করে উঠল। যদি চাঁদের অভিযানের গল্প পড়ি, তবে মহাশূন্যচারী, নভোযান, চাঁদের পিঠে মানুষের অবতরণ—এমন ছবিগুলো আমাদের চোখের সামনে জেগে উঠল। এমনিভাবে আমরা যদি এক এক করে এক হাজার বা পাঁচ হাজার বই পড়ে ফেলতে পারি, তবে কী হবে? আমাদের জীবনটা এক হাজার বা পাঁচ হাজার বড় উজ্জ্বল জানালাওয়ালা এক বিশাল খোলামেলা বিশ্ব হয়ে যাবে। আমরা একটা বিশাল বিচিত্র পৃথিবীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকব। বইয়ের এই অসম্ভব ক্ষমতার কথা তোমরা ভুলো না।

 

সূত্র: সময় প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তৃতাসংগ্রহ (দ্বিতীয় খণ্ড) এর ‘ব্রাক্ষ্মণের বাড়ির কাকাতুয়া’ থেকে সংগৃহীত



6
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের আয়োজনে গত শনিবার লোকবক্তৃতা সিরিজের সপ্তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপের সভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমান তরুণ উদ্যোক্তাদের গ্রামভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নারী শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার পথে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান সভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমানের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

prothom-alo.com/education/article/1075277/ড্যাফোডিল-ইন্টারন্যাশনাল-ইউনিভার্সিটিতে-লোকবক্তৃতা

7
দেশে বসেই যুক্তরাজ্যের গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি (ডিআইএ)। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে। আর ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে ডিআইএর ক্যাম্পাসে। কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা ‘বিএসসি অনার্স ইন বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি’ সনদ পাবেন। উচ্চমাধ্যমিক, এ-লেভেল অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত: www.daffodil.ac

Source: http://www.prothom-alo.com/education/article/959605/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%89%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87

8
আয়শা লস্কর ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই) পড়ার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু পরীক্ষাটা আশানুরূপ হয়নি। মেধাতালিকায় পিছিয়ে পড়েন। পরে ভর্তি হন পদার্থবিজ্ঞানে। অন্যদিকে কামরুল হাসান সব সময়ই ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় পদার্থবিজ্ঞান ছিল প্রিয় বিষয়। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকায় সেই সুযোগও ছিল। কিন্তু বাদ সাধেন পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশে চাকরির বাজারের কথা তুলে ধরে পরামর্শ দেন সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিইই) ভর্তি হতে। কামরুল ভর্তি হন ঠিকই, কিন্তু মন পড়ে থাকে পদার্থবিজ্ঞানে। খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
আয়শা ও কামরুলের হতাশা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয় শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের ছোট্ট একটা সিদ্ধান্তে। আয়শা এখন পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি সিএসইতে দ্বিতীয় স্নাতক ডিগ্রি নিচ্ছেন। আর কামরুল সিইই বিভাগের পাশাপাশি দ্বিতীয় স্নাতক করছেন পদার্থবিজ্ঞানে।
২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর শাবিপ্রবির ১২৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে স্নাতকে একই সঙ্গে দুই বিষয়ে পড়াশোনা করে দুটি স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, কোনো বিভাগের শিক্ষার্থী তাঁর বিভাগের পাশাপাশি অন্য বিভাগের নির্ধারিত অতিরিক্ত ক্রেডিট সম্পন্ন করে একই সঙ্গে দুটি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে নিজের বিভাগের বাইরে অন্য বিভাগে ভর্তির আবেদন করতে হবে। ওই বিভাগের আসনসংখ্যার বেশি আবেদন জমা হলে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।
গত বুধবার শাবিপ্রবির এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে আড্ডা হয় একই সঙ্গে দুই ডিগ্রি পেতে ভর্তি হওয়া প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। তাঁরা সবাই নিজ বিভাগের পাশাপাশি সিএসই বিভাগ থেকে দ্বিতীয় ডিগ্রি নিচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে, চলতি ডিসেম্বর মাসেই তাঁরা একই সঙ্গে দুটি ডিগ্রি পেতে যাচ্ছেন। অমৃতা দাস বলেন, ‘পরিসংখ্যান ও সিএসইতে একসঙ্গে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে।’ গণিত বিভাগের সাজিদ উল হাসান, মিনহাজুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান, নিয়াজ শাহরিয়ার, বন ও পরিবেশ বিভাগের তৌহিদ আন নূর ও ওমর সোহরাব, পদার্থবিজ্ঞানের জয়ন্ত মোদক ও সৈয়দ ওমর ফারুক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোহাম্মদ উল্লাহ, আবদুর রাজ্জাক ও আবদুল্লাহ আল ফাত্তাহ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের রুহশান আহমেদ, রসায়নের সাইফুদ্দিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আমিনুল ইসলামও একইভাবে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
দ্বিতীয় ডিগ্রি নেওয়া প্রথম ব্যাচের বেশ কয়েকটি কোর্স নিয়েছেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক শেখ নাবিল মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে পারে, তা আমি দেখেছি। অনেকেই খুবই ভালো করছে।’
সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. রেজা সেলিম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী তাঁদের নিজেদের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পান না। এ রকম একটি উদ্যোগ তাঁদের মূল বিষয়ের পাশাপাশি তাঁর কাঙ্ক্ষিত বিষয়েও পড়ার এবং একই সঙ্গে দ্বিতীয় একটি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে সিএসই বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই উদ্যোগ দেশের জন্যও মঙ্গলজনক।

Source: Prothom Alo

http://m.prothom-alo.com/education/article/1033043/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF

9
কলস উদ্ভিদ। নামটা যেমন সুন্দর, দেখতেও তেমন সুন্দর এই উদ্ভিদ। তবে হ্যাঁ, সুন্দর হলেও পোকামাকড়দের কাছে কিন্তু সে এক আতঙ্কের নাম। ছোটখাটো পোকাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে ফাঁদে ফেলতে ওস্তাদ।

কলস উদ্ভিদের ইংরেজি নাম পিচার প্ল্যান্ট। বাংলায় কলস উদ্ভিদ ছাড়াও কলসগাছ নামেও পরিচিত এটি। পাতাগুলো কলসের মতো দেখতে হওয়ায় এটির এমন নামকরণ হয়েছে। এটি এক ধরনের মাংসাশী উদ্ভিদ।

কলস উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রজাতির হয়। প্রায় ৮০টি প্রজাতির কলস উদ্ভিদ রয়েছে পৃথিবীতে। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই উদ্ভিদ পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকা, মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার, শ্রীলংকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রজাতির কলস উদ্ভিদ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে কলসগাছ নেই।

বিভিন্ন রকম কলস উদ্ভিদের পাতাগুলো বিভিন্ন রকম হয়। তবে মূল গঠন একই রকম। সবগুলোই দেখতে ফোলা কলসের মতো লাগে। ভেতরের অংশটা থাকে ফাঁপা। পাতার মুখের কাছে ঢাকনাও থাকে। প্রজাতি ভেদে পাতার রং, আকার, আকৃতি নানা রকম হয়। দৈর্ঘ্যে ২ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ২ ফুট পর্যন্ত হতে পারে কলসি উদ্ভিদের পাতা।

কলসের মতো পাতাই হচ্ছে কলসগাছের শিকার করার অস্ত্র। এগুলো সাধারণত রঙিন হয়। কলসের সঙ্গে যুক্ত পাতাটি নলের মতো হয়। এই নলের শুরুতে থাকে প্রবেশমুখ। প্রবেশমুখে উৎপন্ন হয় এক ধরনের মধু। নলের শেষ প্রান্ত ফাঁপা ও পেয়ালার মতো আকৃতির হয়। এই অংশে জমা হয় বৃষ্টির পানি।প্রবেশমুখ সবসময় খোলা থাকে। মধুর লোভে ও রংচঙে পাতা দেখে আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন রকমের পোকামাকড় পাতার তা দিয়ে ভেতরে ঢোকে। নলের ভেতরের অংশ পিচ্ছিল হওয়ায় পোকাগুলো আর উঠতে পারে না, বরং পিছলে আরো নিচে পড়ে যায়। নলের শেষ প্রান্তে অসংখ্য শুঙ্গ থাকে।
এগুলো সব পার হয়ে পোকাগুলো পড়ে যায় জমা হওয়া পানির ভেতরে। তারপর সেখান থেকে আর তারা বের হতে পারে না। এরপর পরিপাকে সাহায্যকারী এক ধরনের রস বেরিয়ে এসে পোকার শরীরের নরম অংশ গলিয়ে ফেলে উদ্ভিদের দেহে শোষিত হতে সাহায্য করে। শক্ত অংশগুলো জমা হয় কলসির নিচের অংশে। এভাবেই ফাঁদে ফেলে শিকার ধরে কলস উদ্ভিদ।

আকৃতিতে বড় পিচার প্ল্যান্ট ছোট ছোট পোকামাকড় ছাড়াও ইঁদুর এবং ব্যাঙও শিকার করে।

রংচঙে কলস উদ্ভিদ দেখে আকৃষ্ট হয়ে এর কাছে আসতে বাধ্য হয় যেকোনো পোকাই। আর তারপর হতভাগ্য পোকাগুলো পরিণত হয় উদ্ভিদটির খাদ্যে। সেজন্য সুন্দর দেখতে উদ্ভিদটাকে নিষ্ঠুর বললেও ক্ষতি নেই। কলস উদ্ভিদ নামক এই উদ্ভিদটি একটা মনভোলানো ফাঁদই বটে!

সংগ্রহ: নেট

10
It is for all time, though it is not possible.

11
ল্যাপটপ কম্পিউটারের ব্যাটারি একসময় কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। নিচে ব্যাটারির কিছু সাধারণ যত্নের কথা তুলে ধরা হলো—
 ব্যাটারির চার্জ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে তখনই এটি চার্জ করে নেওয়া ভালো। ল্যাপটপের চার্জের স্তর ১০০% হলে ব্যাটারি চার্জ নেওয়া বন্ধ করে সরাসরি বিদ্যুৎ থেকে শক্তি নিয়ে চলতে থাকে।
 ল্যাপটপের ব্যাটারি পুরো চার্জ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে ব্যাটারিকে ঠান্ডা করে নিন। দুই ঘণ্টা পর আবার ল্যাপটপ চালু করে ডেস্কটপের ডান পাশে নিচে ব্যাটারির আইকনে ডান ক্লিক করে Power Option চালু করুন। এখানে পাওয়ার প্ল্যান থেকে Balanced (recommended)-এর Change plan settings-এ ক্লিক করুন। আবার Change Advanced power settings-এ ক্লিক করে সেটি খুলুন। এবার Battery-তে ক্লিক করে Critical battery action-এর on battery-তে Hibernate নির্বাচন করে দিন। এটি আগে থেকেও করে দেওয়া থাকতে পারে। তখন নতুন করে আর করার দরকার নেই। Critical battery level-এর on battery এবং Plugged in-এ ৫% নির্ধারণ করে দিন।
 কম্পিউটার হাইবারনেটে চলে যাওয়ার আগেই অন্য যেকোনো কাজ করে ব্যাটারির চার্জকে নিঃশেষ করে নিন। হাইবারনেট বিশেষ পাওয়ার সংরক্ষণ সুবিধা আছে। কাজ শেষে কম্পিউটার বন্ধ হলে ঘণ্টা খানেক পর আবারও চার্জ করে ব্যবহার করুন।
 উইন্ডোজ ভিস্তা এবং ৭ অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ছবিভিত্তিক আবহ ও থিম ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমায়। তাই যাঁদের ল্যাপটপে চার্জ কম থাকে, তাঁরা Windows 7 Basic Theme থিম ব্যবহার করুন। এটি ডেস্কটপে ডান ক্লিক করে Personalize-এ পাওয়া যাবে।

12
Gmail’s Android app just became an even better solution for users with multiple email accounts.

Google's latest update to the Android version of the app added a new "all in boxes" view and improved the way email threads are organized for non-Google email accounts, reports the tech-based daily Mash able.

The latest update builds on many of the improvements introduced in the last major update, which added support for email other types of email accounts like Yahoo and Outlook. Monday's update takes this a step further by improving how the app handles emails from different types of accounts.

Users who have multiple accounts, including from email providers other than Google, are now able to see all of their emails from all their connected accounts in the "all in boxes" view.
Previously users needed to manually switch between accounts to see all their messages; it wasn't possible to see everything in one place.
Gmail now also supports nested email threads from all accounts — so lengthy emails with multiple replies will appear as a single thread, rather than several separate messages. Gmail has always done this with Google email accounts, but the app didn't previously support this feature for non-Gmail accounts.
The update also added better search features with improved autocomplete, faster animations and larger attachments previews.
Google didn't say when a similar update would be rolling out to the app's iPhone users. But the company tends to update its Android apps first, with similar updates launching later on IOS.

www.the_daily_star_online_newspaper

13
উড়োজাহাজের তথ্যের আধার
 

.ব্ল্যাকবক্স
কোনো বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে বা একেবারে বিধ্বস্ত হলে উদ্ধারকারীরা ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ করেন। কারণ, এতে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষিত থাকে। আর সেগুলো দেখে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করার সুযোগ থাকে। জার্মানির একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ আল্পস পর্বতমালার ফরাসি অংশের একটি দুর্গম এলাকায় ১৫০ জন আরোহীসহ গত মঙ্গলবার বিধ্বস্ত হয়। ফ্রান্সের উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির ধাতব ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পেয়েছেন
সিভিআর
ককপিট ভয়েস রেকর্ডার
বিমানের ক্রু সদস্যদের সঙ্গে দূরবর্তী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীদের আলাপচারিতা ধারণ বা রেকর্ড করার সময়সীমা: ২ ঘণ্টা
আবরণ/ক্যাসিং
টিকে থাকতে
পারে
 ১ ঘণ্টা,
১১০০০
সেলসিয়াস তাপমাত্রায়
 ১ মাস, পানির ৬০০০ মিটার গভীরের পরিবেশে
পানির নিচে অবস্থান শনাক্ত করার আলোক-সংকেত
এটি নিমজ্জিত অবস্থায় শ্রবণাতীত (আলট্রাসনিক) তরঙ্গ তৈরি করে ৯০ দিন পর্যন্ত।
ভূপৃষ্ঠে দুই কিলোমিটার দূরে থেকেও সেই সংকেত শনাক্ত করা যায়
এফডিআর
ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার
এটি উড়োজাহাজের কারিগরি
তথ্য-উপাত্ত রেকর্ড ও সংরক্ষণ করে। যেমন: তাপমাত্রা, গতি, উচ্চতা
ও বাঁক নেওয়ার তথ্য
রেকর্ড করার সময়সীমা: ২৫ ঘণ্টা
সূত্র: এএফপি ও বিইএ

http://www.prothom-alo.com/technology/article

Pages: [1]