Daffodil International University
Bangladesh => Heritage/Culture => Topic started by: Lazminur Alam on August 03, 2016, 10:35:58 AM
-
We will post here all flowers of Bangladesh.
-
চালতা বৃহত্তর বঙ্গের তরু। নিচু এলাকা ও স্বাদু পানির এলাকায় ভালো জন্মে চালতাগাছ। চালতার বৈজ্ঞানিক নাম Dillenia indica। চালতা ফল এশীয় হাতিদের অতি প্রিয়। তাই এর ইংরেজি নাম Elephant apple। এ ফলের বীজের বিস্তারে এশীয় হাতিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে হাতির সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে বুনো পরিবেশে চালতাগাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
চালতার আচারের কদর বাংলাজুড়ে। কিন্তু রাজকীয় ও দৃষ্টিনন্দন চালতা ফুলের দিকে কজনই তাকায়? দীর্ঘ সবুজ পাতার মাঝে শুভ্র ও সুন্দর চালতা দেখতে খুবই মনোহারী। যদিও ঘন পাতার আচ্ছাদনে চালতা ফুল সহজেই চোখে পড়ে না। চালতা ফুলের সাদা ও নরম পাপড়িও ক্ষণস্থায়ী। দু-এক দিনেই ঝরে পড়ে। ফুলের প্রধান অংশগুলো দৃশ্যমান। সবার বাইরে থাকে পাঁচটি বৃতি। এই বৃতিই ফলে পরিণত হয়। বৃতির পরই পাঁচটি বৃহৎ পাপড়ি। পাপড়ির পরে একটি চাকতির মতো গোলাকার অংশে গর্ভদণ্ডকে ঘিরে অসংখ্য স্বর্ণালি পুংকেশর। গর্ভদণ্ডটি ঠিক মাঝখানে প্রায় ১৫টি গর্ভকেশর তারার মতো ছড়ানো থাকে।
চালতা কাঠের তৈরি নৌকা, গরুর গাড়ি গ্রামবাংলায় একসময় দেখা যেত। চালতা ফলে আছে ভিটামিন সি, ট্যানিন, শর্করা ও ম্যালক অ্যাসিড। ধীরে ধীরে চালতাগাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণ এলাকায় বিশেষত বৃহত্তর বরিশাল এলাকায় এখনো প্রচুর চালতাগাছ দেখা যায়।
-
চৈত্রের শুরু। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের প্লাজা ডিঙিয়ে পশ্চিম দিকে রাস্তার পাশে পৌঁছাতেই চোখ আটকে গেল দুটি ঝোপে। ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে ঝোপ দুটি। বেগুনি, গোলাপি, সাদা অসংখ্য ফুলে ডালপালা ভরা। সবুজ পাতায় পাতায় খেলা করছে বিচিত্ররঙা ফুলের দল, বাতাসে দুলছে। কাছে যেতেই ফুলগুলো তার সুমিষ্ট সুগন্ধ বিলিয়ে আরও কাছে টেনে নিল।
সত্যিই বিচিত্র এই ফুল! এ জন্যই বোধ হয় ব্রানফেলসিয়া ফুলের বাংলা নাম রাখা হয়েছে বিচিত্রা। ব্রানফেলসিয়া এর গণগত নাম, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Brunfelsia pauciflora। ব্রানফেলসিয়ার প্রায় ৫০টি প্রজাতি রয়েছে। বিশেষ করে ফুলের রং বদলানোর স্বভাব এই ফুলটিকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। ফুল ফোটার সময় ফুলের রং থাকে লালচে বেগুনি। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে রং ফিকে হতে থাকে, হয়ে যায় নীলচে গোলাপি, শেষে হয় সাদা। এই তিন রঙের ফুলই এক গাছে একসঙ্গে থাকে। ফলে গাছে ফুলগাছের শোভা হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। এ জন্য এ ফুলটির ইংরেজি নাম রাখা হয়েছে yesterday-today-and-tomorrow, বাংলায় দাঁড়ায় আজ-কাল-পরশু।
ষোড়শ শতকে এ ফুলের গণগত নাম ব্রানফেলসিয়া রাখা হয়েছে জনৈক জার্মান সাধু ওটো ব্রানফেলসের নাম থেকে। লাতিন শব্দ বনোডোরার সঙ্গেও এর সম্পর্ক আছে, যার অর্থ সুমিষ্ট সুগন্ধ। বিচিত্রা ফুলের গাছ ঝোপালো মাঝারি গুল্ম প্রকৃতির। গাছ দুই থেকে আড়াই মিটার লম্বা হয়। ঝোপ প্রায় দেড় মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বহু বছর বাঁচে। বছরের সব সময়ই গাছে পাতা থাকে। পাতার ওপর পিঠ গাঢ় সবুজ, নিচের পিঠ হালকা সবুজ। ফুল যখন ফোটে তখন রং থাকে লালচে বেগুনি, শেষে সাদা হয়ে যায়। ফুল যতই শোভাময়ী হোক না কেন, এর ফল কিন্তু বিষাক্ত।
গাছের আগার ডাল কেটে কলম করে এর চারা তৈরি করা যায়। বীজ থেকেও চারা হয়। এই ফুলের গাছ রোদে ভালো হয়। আংশিক ছায়াযুক্ত জায়গাতেও লাগানো যেতে পারে। বাগানে, টবে, ড্রামে ছাদের বাগানে লাগানো যায়। বছরে দুবার অর্থাৎ আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে গাছের গোড়ার মাটিতে জৈবসার দিলে গাছের বৃদ্ধি ও চেহারা ভালো হয়, ফুলও বেশি ফোটে। শুষ্ক মৌসুমে বা গাছের গোড়ার মাটি শুকিয়ে এলে সেচ দেওয়া উচিত। ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি প্রাঙ্গণেও আছে ব্রানফেলসিয়ার গাছ। ব্রানফেলসিয়ার আদিনিবাস ব্রাজিল।
Source: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1152626/ফুলের-নাম-বিচিত্রা
-
Thanks a lot for the informative post.