Daffodil International University
Faculty of Science and Information Technology => Science and Information => Topic started by: tany on April 09, 2019, 01:42:37 PM
-
মঙ্গলের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নতুন একটি রোবট।বায়ুমণ্ডল থেকে পৃষ্ঠে অবতরণে এর ৭ মিনিট সময় লেগেছে।
‘লাল মাটির গ্রহে’ পা রেখেই ইনসাইট মিশনের এ রোবটটি ছবি ও তথ্য পাঠানো শুরু করেছে, জানিয়েছে বিবিসি।
কম্পনের তথ্য ও তাপমাত্রা থেকে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিষয়ে ধারণা নিতেই এ অভিযান চালাচ্ছে নাসা। মার্কিন এ মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানায়, গ্রিনিচ মান সময় সোমবার রাত ৭টা ৫৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৫৩ মিনিটে) ইনসাইটের এ রোবটটি মঙ্গলে নামে।
অবতরণের পরপরই মিশনটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রোপালশান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বিজ্ঞানীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
নাসার প্রধান প্রশাসক জেমস ব্রিডেনস্টাইন ইনসাইটের সফল ‘ল্যান্ডিংয়ের’ এ দিনটিকে ‘অভূতপূর্ব’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ফোনে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
রোবটটি এখন মঙ্গলের বিস্তৃত, সমতল একটি অঞ্চলে অবস্থান করছে; নিরক্ষরেখার কাছের ওই এলাকাটিকে ‘এলিসিয়াম প্ল্যানেসিয়া’ নামে ডাকা হচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ও এর গতি ছিল তীব্র বেগে ছুটে যাওয়া বুলেটের চেয়ে বেশি। চ্যালেঞ্জটা ছিল এরপরই- গতি কমিয়ে মঙ্গলপৃষ্ঠে নিরাপদে অবতরণের।
একটি তাপনিরোধক যন্ত্র, প্যারাসুট আর রকেটের সমন্বয়ে মিনিট সাতেকের মধ্যেই সেই চ্যালেঞ্জ উৎরে যায় ইনসাইট।
নাসা জানিয়েছে, তারা রোবটে থাকা ফরাসী-ব্রিটিশ সিসমোমিটার দিয়ে মঙ্গলের কম্পনের তথ্য জানতে চায়। এর মাধ্যমে লাল গ্রহটির কেন্দ্র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। জানা যাবে, মঙ্গলের ভূ-অভ্যন্তরে থাকা বস্তুর কাঠামো সম্পর্কেও।
গ্রহটি নিজের অক্ষের চারপাশে কীভাবে কম্পিত হয় তা জানতে ইনসাইটের রোবটটিতে রাখা হয়েছে রেডিও ট্রান্সমিশন সিস্টেমও।
মঙ্গল এখন কতখানি সক্রিয় তা বুঝতে লাল এ গ্রহের মাটিও খুঁড়তে চায় নাসা। সে কারণেই রোবটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ৫ মিটার পর্যন্ত খননে পারদর্শী এমন যন্ত্রও।
“আপনি যদি একটি সাধারণ ডিম ও রান্না করা ডিম নেন এবং একসঙ্গে ঘোরান, তাহলে তাদের কম্পনে ভিন্নতা দেখতে পাবেন। এর কারণ হচ্ছে ডিমের ভেতর থাকা তরল পদার্থের অবস্থান। আজ পর্যন্ত আমরা জানি না, মঙ্গলের কেন্দ্র কী তরল, না কঠিন কিছু দিয়ে তৈরি। জানিনা এটি কত বড়। ইনসাইট আমাদের এসব তথ্য জানাবে,” বলেছেন নাসার ডেপুটি প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট সুজানে স্ম্রেকার।
source: bdnews24
-
WoW...Information...!
-
Informative
-
informative
-
Informative