Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Reza.

Pages: [1] 2 3 ... 53
1
Permanent Campus of DIU / Both side of story.
« on: October 15, 2020, 08:12:42 PM »
বোথ সাইড অফ স্টোরি।
ক্রেতাদের ভয় থাকে ঠকে যায় কিনা? আর বিক্রেতার ভয় থাকে লাভ হবে তো?
সব কর্মচারীই বসকে ভয় পায়। কিন্তু বসের মনেও যে অফিস ও কর্মচারী নিয়ে বিভিন্ন ভয় থাকে তার খবর কে রাখে? প্লেয়ারের ভয় থাকে গোল করতে পারবে তো? গোলকিপারের ভয় থাকে গোল ঠেকাতে পারবে তো?
স্টুডেন্টের মনে ভয় - পড়া বুঝতে পারবে তো? টিচারের মনে ভয় - পড়া বুঝাতে পারবে তো? রুগীর মনে ভয় - চিকিৎসায় ভালো হবে তো? ডাক্তারের মনে ভয় - ঠিক মত চিকিৎসা করতে পারবে তো?
মানুষের মনে ভয় - ক্ষমতাবানের বিরুদ্ধে কিছু বলে ফেললাম নাতো? ক্ষমতাবানের মনে শংকা - তার বিরুদ্ধে সবাই চলে যায় কিনা?
গৃহস্থের মনে চোরের ভয়। চোরের মনে গৃহস্থের ভয়।
যে যত আনাড়ি - তার মনে ততো বেশী ভয়। উল্টো ভাবে বলা যায় - যার মনে যত ভয় - সে ততো আনাড়ি।

2
Textile Engineering / Both side of story.
« on: October 15, 2020, 08:12:08 PM »
বোথ সাইড অফ স্টোরি।
ক্রেতাদের ভয় থাকে ঠকে যায় কিনা? আর বিক্রেতার ভয় থাকে লাভ হবে তো?
সব কর্মচারীই বসকে ভয় পায়। কিন্তু বসের মনেও যে অফিস ও কর্মচারী নিয়ে বিভিন্ন ভয় থাকে তার খবর কে রাখে? প্লেয়ারের ভয় থাকে গোল করতে পারবে তো? গোলকিপারের ভয় থাকে গোল ঠেকাতে পারবে তো?
স্টুডেন্টের মনে ভয় - পড়া বুঝতে পারবে তো? টিচারের মনে ভয় - পড়া বুঝাতে পারবে তো? রুগীর মনে ভয় - চিকিৎসায় ভালো হবে তো? ডাক্তারের মনে ভয় - ঠিক মত চিকিৎসা করতে পারবে তো?
মানুষের মনে ভয় - ক্ষমতাবানের বিরুদ্ধে কিছু বলে ফেললাম নাতো? ক্ষমতাবানের মনে শংকা - তার বিরুদ্ধে সবাই চলে যায় কিনা?
গৃহস্থের মনে চোরের ভয়। চোরের মনে গৃহস্থের ভয়।
যে যত আনাড়ি - তার মনে ততো বেশী ভয়। উল্টো ভাবে বলা যায় - যার মনে যত ভয় - সে ততো আনাড়ি।

3
ইংরেজীতে গুড উইল বলে একটি কথা আছে। যার বাংলা অর্থ হল - সুনাম। এই সুনাম বা গুড উইল শব্দটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেশী ব্যবহৃত হয়।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এই সুনাম বা গুড উইল হয় ভালো সার্ভিস বা পণ্য তৈরি করতে পারলে। একসময় ইলেক্ট্রনিক জিনিসের ক্ষেত্রে ফিলিপ্স ও ঘড়ির জগতে সিটিজেন বা ক্যাসিও অনেক সুনামের অধিকারী ছিল। মোবাইলের ক্ষেত্রে নোকিয়া, স্যামসন একচেটিয়া ভাবে সুনামের অধিকারী ছিল।
এইগুলো হল পণ্যের ক্ষেত্রে সুনাম।
সার্ভিস বা সেবা ক্ষেত্রে সুনামের অধিকারী হওয়া পণ্যের থেকে আরো কঠিন। এইখানে ক্রেতাদের সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যবহার কেমন সেই প্রসঙ্গও চলে আসে।
পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্যের মান ও সেবা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সাথে কর্মীদের ব্যবহার কেমন - এই ব্যাপারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারগুলোও খুব সহজবোধ্য।
কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা গুড উইলের ক্ষেত্রে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট বা উপাদান জানেন না। সেটি হল শুধু ক্রেতাদের সাথে ভালো আচার আচরণ করলে হবে না। তার নিজের কর্মীদের সাথেও ভালো ব্যাবহার করতে হবে। ক্রেতা বা কাস্টোমার কেবলমাত্র জিনিস ক্রয় করে সেগুলো ব্যবহার করেন। তারা হল এক্সটারনাল কাস্টোমার। কিন্তু এমপ্লয়ি বা নিজের কর্মীদের বলা হয় ইন্টারনাল কাস্টোমার।
সব সময় মনে রাখতে হবে যে এমপ্লয়ি বা ইন্টারনাল কাস্টোমারদের ফিডব্যাক বা মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক্সটারনাল কাস্টোমার বা ক্রেতাদের কথার থেকে কোম্পানির এমপ্লয়ির মতামত সবার কাছেই অনেক বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য।
ফুলের সুগন্ধ যেমন লুকিয়ে রাখা যায় না। ঠিক তেমন পচা মাছের দুর্গন্ধও লুকিয়ে রাখা যায় না। যতই ঢেকে রাখুন না কেন - এরা প্রকাশিত হবেই।
ঠিক তেমন যেকোন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরকে বঞ্চিত করে বা দুর্ব্যবহার করে কখনোই লুকিয়ে রাখা যায় না। যার ফলে সেই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ ধূলায় মিশে যাবে। কোন প্রতিষ্ঠানের নিজের কর্মী যদি সেই প্রতিষ্ঠানের বদনাম করে তবে তার পরিণাম সহজেই অনুমেয়। ময়রা যদি নিজেই নিজের মিস্টির বদনাম গায় তাহলে যা হতে পারে এইখানে তাই হবে।   বিশেষতঃ এই ইন্টারনেট ও ফেসবুকের যুগে।   
আবার কর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহার ও আচরন  প্রতিষ্ঠানের সোনালী ভবিষ্যৎ নিয়ে আসে।       
আমার পর্যবেক্ষণ বলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা কেউ অনেক দীর্ঘ কাল সফল ভাবে ব্যবসায়ে থাকতে পারে না। এর পিছনের কারণ হল তাদের কোন একনিষ্ঠ কর্মী থাকে না। না থাকার কারণ হল প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের সম্মানের সাথে বিবেচনা করেন না।

4
ইংরেজীতে গুড উইল বলে একটি কথা আছে। যার বাংলা অর্থ হল - সুনাম। এই সুনাম বা গুড উইল শব্দটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেশী ব্যবহৃত হয়।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এই সুনাম বা গুড উইল হয় ভালো সার্ভিস বা পণ্য তৈরি করতে পারলে। একসময় ইলেক্ট্রনিক জিনিসের ক্ষেত্রে ফিলিপ্স ও ঘড়ির জগতে সিটিজেন বা ক্যাসিও অনেক সুনামের অধিকারী ছিল। মোবাইলের ক্ষেত্রে নোকিয়া, স্যামসন একচেটিয়া ভাবে সুনামের অধিকারী ছিল।
এইগুলো হল পণ্যের ক্ষেত্রে সুনাম।
সার্ভিস বা সেবা ক্ষেত্রে সুনামের অধিকারী হওয়া পণ্যের থেকে আরো কঠিন। এইখানে ক্রেতাদের সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যবহার কেমন সেই প্রসঙ্গও চলে আসে।
পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্যের মান ও সেবা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সাথে কর্মীদের ব্যবহার কেমন - এই ব্যাপারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারগুলোও খুব সহজবোধ্য।
কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা গুড উইলের ক্ষেত্রে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট বা উপাদান জানেন না। সেটি হল শুধু ক্রেতাদের সাথে ভালো আচার আচরণ করলে হবে না। তার নিজের কর্মীদের সাথেও ভালো ব্যাবহার করতে হবে। ক্রেতা বা কাস্টোমার কেবলমাত্র জিনিস ক্রয় করে সেগুলো ব্যবহার করেন। তারা হল এক্সটারনাল কাস্টোমার। কিন্তু এমপ্লয়ি বা নিজের কর্মীদের বলা হয় ইন্টারনাল কাস্টোমার।
সব সময় মনে রাখতে হবে যে এমপ্লয়ি বা ইন্টারনাল কাস্টোমারদের ফিডব্যাক বা মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক্সটারনাল কাস্টোমার বা ক্রেতাদের কথার থেকে কোম্পানির এমপ্লয়ির মতামত সবার কাছেই অনেক বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য।
ফুলের সুগন্ধ যেমন লুকিয়ে রাখা যায় না। ঠিক তেমন পচা মাছের দুর্গন্ধও লুকিয়ে রাখা যায় না। যতই ঢেকে রাখুন না কেন - এরা প্রকাশিত হবেই।
ঠিক তেমন যেকোন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরকে বঞ্চিত করে বা দুর্ব্যবহার করে কখনোই লুকিয়ে রাখা যায় না। যার ফলে সেই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ ধূলায় মিশে যাবে। কোন প্রতিষ্ঠানের নিজের কর্মী যদি সেই প্রতিষ্ঠানের বদনাম করে তবে তার পরিণাম সহজেই অনুমেয়। ময়রা যদি নিজেই নিজের মিস্টির বদনাম গায় তাহলে যা হতে পারে এইখানে তাই হবে।   বিশেষতঃ এই ইন্টারনেট ও ফেসবুকের যুগে।   
আবার কর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহার ও আচরন  প্রতিষ্ঠানের সোনালী ভবিষ্যৎ নিয়ে আসে।       
আমার পর্যবেক্ষণ বলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা কেউ অনেক দীর্ঘ কাল সফল ভাবে ব্যবসায়ে থাকতে পারে না। এর পিছনের কারণ হল তাদের কোন একনিষ্ঠ কর্মী থাকে না। না থাকার কারণ হল প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের সম্মানের সাথে বিবেচনা করেন না।

5
Permanent Campus of DIU / Human mind & Environment
« on: August 26, 2020, 08:48:46 AM »
আজকে সারাদিনই প্রায় কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে কেটে গেল।
প্রতিদিন সকালে নয়টার মধ্যে কম্পিউটার ওপেন করার চেষ্টা করি। সকালে যে মন নিয়ে বসি - দিন বাড়ার সাথে সাথে তা পরিবর্তন হয়। যদিও রুমের অন্য সব কিছুই একই থাকে।
সকালে কমপিউটারের সামনে বসি অস্থিরতা নিয়ে। সাথে আসতে থাকে মোবাইলে কল। দিন বাড়ার সাথে সাথে ইমেইলের সংখ্যা কমে যায়। মোবাইলও শান্ত হয়। বিকেলের পর মনে হয় আরেকটি দিন শেষ হল।
শুরু হয় ফেসবুক খোলা। পেপারের খবর ছাড়াও বিভিন্ন টিভির সংবাদ দেখি। অনেক খবর ভালো লাগে। আবার অনেক খবরে মনের ভিতর আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন গুলো যদি কেবল মাত্র মনের ভিতর আবদ্ধ না থাকতো তাহলে এক একটা বিপ্লব বা রেভ্যুলেশন হয়ে যেত।
দেখেছি মানুষের মনের অবস্থাও অনেক সময় তাকে ক্লান্ত করে ফেলে। আবার অনেক সময় অনেক শারীরিক পরিশ্রম হলেও মন ভালো থাকলে ততটা ক্লান্ত লাগে না। মনের অবস্থার সাথে দিনের তাপমাত্রারও সম্পর্কও আছে। আছে ঝড় বৃষ্টি সহ আবহাওয়ার সাথে সম্পর্ক।
পাব্লিক বাস ব্যবহার করা আমার অভিজ্ঞতা বলে শীত শেষে মার্চ মাসে যখন গরম পড়া শুরু করে - তখনই পথে ঘাটে ঝগড়া ঝাটি বেশী হয়।
এক জায়গায় পেয়েছিলাম মানুষের শরীরে হরমোনের একটি সাইকেল আছে। বেলা ১১ টা থেকে মানুষ সক্রিয় হওয়া শুরু করে। আবার রাত ১১ টার পরে মানুষের শরীর নিস্ক্রিয় হওয়া শুরু করে। এইবার তার বিশ্রামের সময় শুরু হয়।
শব্দের সাথেও মনের অবস্থার যোগাযোগ আছে। ক্রমাগত বিরক্তিকর শব্দ মানুষকে বিরক্ত ও ক্লান্ত করে তোলে। কতটুকু আলো চারিদিকে তার সাথেও মনের অবস্থার সাথে যোগাযোগ আছে। এক কাপ চা খাওয়ার পর আমাদের মন ফুরফুরে হয়ে উঠে।
আমরা ভাবি আমরা কত বিচক্ষণ। কিন্তু আমাদের মন যে কখন কোন কারণে ভালো হয় বা মন খারাপ হয় - তা কি আমরা জানি?

6
Textile Engineering / Human mind & Environment
« on: August 26, 2020, 08:48:11 AM »
আজকে সারাদিনই প্রায় কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে কেটে গেল।
প্রতিদিন সকালে নয়টার মধ্যে কম্পিউটার ওপেন করার চেষ্টা করি। সকালে যে মন নিয়ে বসি - দিন বাড়ার সাথে সাথে তা পরিবর্তন হয়। যদিও রুমের অন্য সব কিছুই একই থাকে।
সকালে কমপিউটারের সামনে বসি অস্থিরতা নিয়ে। সাথে আসতে থাকে মোবাইলে কল। দিন বাড়ার সাথে সাথে ইমেইলের সংখ্যা কমে যায়। মোবাইলও শান্ত হয়। বিকেলের পর মনে হয় আরেকটি দিন শেষ হল।
শুরু হয় ফেসবুক খোলা। পেপারের খবর ছাড়াও বিভিন্ন টিভির সংবাদ দেখি। অনেক খবর ভালো লাগে। আবার অনেক খবরে মনের ভিতর আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন গুলো যদি কেবল মাত্র মনের ভিতর আবদ্ধ না থাকতো তাহলে এক একটা বিপ্লব বা রেভ্যুলেশন হয়ে যেত।
দেখেছি মানুষের মনের অবস্থাও অনেক সময় তাকে ক্লান্ত করে ফেলে। আবার অনেক সময় অনেক শারীরিক পরিশ্রম হলেও মন ভালো থাকলে ততটা ক্লান্ত লাগে না। মনের অবস্থার সাথে দিনের তাপমাত্রারও সম্পর্কও আছে। আছে ঝড় বৃষ্টি সহ আবহাওয়ার সাথে সম্পর্ক।
পাব্লিক বাস ব্যবহার করা আমার অভিজ্ঞতা বলে শীত শেষে মার্চ মাসে যখন গরম পড়া শুরু করে - তখনই পথে ঘাটে ঝগড়া ঝাটি বেশী হয়।
এক জায়গায় পেয়েছিলাম মানুষের শরীরে হরমোনের একটি সাইকেল আছে। বেলা ১১ টা থেকে মানুষ সক্রিয় হওয়া শুরু করে। আবার রাত ১১ টার পরে মানুষের শরীর নিস্ক্রিয় হওয়া শুরু করে। এইবার তার বিশ্রামের সময় শুরু হয়।
শব্দের সাথেও মনের অবস্থার যোগাযোগ আছে। ক্রমাগত বিরক্তিকর শব্দ মানুষকে বিরক্ত ও ক্লান্ত করে তোলে। কতটুকু আলো চারিদিকে তার সাথেও মনের অবস্থার সাথে যোগাযোগ আছে। এক কাপ চা খাওয়ার পর আমাদের মন ফুরফুরে হয়ে উঠে।
আমরা ভাবি আমরা কত বিচক্ষণ। কিন্তু আমাদের মন যে কখন কোন কারণে ভালো হয় বা মন খারাপ হয় - তা কি আমরা জানি?

7
Textile Engineering / Memories of my first job.
« on: August 18, 2020, 10:58:30 PM »
চাকুরী জীবনের প্রায় ২১ বছর পার করলাম। কত স্মৃতি, কত মানুষ, কত ঘটনা। সব কথা মনে করতে গেলে আস্তে আস্তে মাথার উপর চাপ পড়ে। কত মানুষের কথা মনে আছে। সব ক্ষেত্রে যে শুধু বসেদের কথা মনে আছে তা নয়। কিছু মানুষকে মনে আছে তাদের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নিষ্ঠার জন্য। কে অনেক উপরে উঠেছে, কে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো আছে। তার থেকে মনে আছে বেশী - কে কেমন ছিল।
আমি নিশ্চিত সবার স্মৃতিতেই প্রথম চাকুরী অনেক বেশী ভাবে নাড়া দেয়। প্রথম চাকুরীতে এডজাস্ট করা সব থেকে সহজ।
টেক্সটাইল ফ্যাক্টরীর চাকুরী দিয়ে শুরু। শিফটিং ডিউটি। কখনও সেই ভোর সকালে আলো ফোটার আগে মাইক্রবাসে উঠে ফ্যাক্টোরীর দিকে রওনা দেয়া। কখনও আবার রাতে সবাই যখন খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন নাইট শিফটে কাজ শুরু করা। সারা রাত জেগে কাজ করা। টেক্সটাইল ফ্যাক্টোরী গুলো যেন এক জেগে থাকা ভিন্ন এক শহর। এখানে কারো রাতে ঘুমানোই ব্যতিক্রম ঘটনা। এর পর আবার সারাদিন ঘুমানো।
আমাদের পেশার জগতে বহু ব্যতিক্রমি পেশা আছে যেগুলো সম্পর্কে অন্য মানুষেরা খুব কমই জানেন। তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেক ভিন্ন। এপ্রিল-মে মাসের গরমে এসি ছাড়া থাকাই কেউ ভাবতেও পারে না। সেখানে ডায়িং ফ্লোরের গরমে কিভাবে ওয়ার্কাররা একনিষ্ট ভাবে কাজ করে চলে। মেশিন খুলে ফুটন্ত বাথের স্যাম্পল চেক করে। প্রচন্ড গরমে ওয়ার্কারদের দেখেছি কত আনন্দের সাথে লেবু, গুড় আর লবণের শরবত খেতে। আবার শীতকালের শৈত্য প্রবাহের সময় ডায়িং ফ্লোরে কাজ করা কত আরামদায়ক সবার কাছে।
ভালো লাগতো যখন কাজ শেষে আবার মাইক্র করে বাসায় ফিরে আসতাম। আশুলিয়ার রাস্তা তখন ফাকা ফাকাই থাকতো। ভোরের বা রাত ৯ টার আশুলিয়ার রাস্তা অনেক মনোরম ও নয়নাভিরাম মনে হত।
কত কথা কত ঘটনা কত মানুষ হারিয়ে যায়। সব গুলো যদি লেখার অক্ষরে আবদ্ধ করা যেত !!

8
Permanent Campus of DIU / Memories of my first job.
« on: August 18, 2020, 10:58:05 PM »
চাকুরী জীবনের প্রায় ২১ বছর পার করলাম। কত স্মৃতি, কত মানুষ, কত ঘটনা। সব কথা মনে করতে গেলে আস্তে আস্তে মাথার উপর চাপ পড়ে। কত মানুষের কথা মনে আছে। সব ক্ষেত্রে যে শুধু বসেদের কথা মনে আছে তা নয়। কিছু মানুষকে মনে আছে তাদের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নিষ্ঠার জন্য। কে অনেক উপরে উঠেছে, কে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো আছে। তার থেকে মনে আছে বেশী - কে কেমন ছিল।
আমি নিশ্চিত সবার স্মৃতিতেই প্রথম চাকুরী অনেক বেশী ভাবে নাড়া দেয়। প্রথম চাকুরীতে এডজাস্ট করা সব থেকে সহজ।
টেক্সটাইল ফ্যাক্টরীর চাকুরী দিয়ে শুরু। শিফটিং ডিউটি। কখনও সেই ভোর সকালে আলো ফোটার আগে মাইক্রবাসে উঠে ফ্যাক্টোরীর দিকে রওনা দেয়া। কখনও আবার রাতে সবাই যখন খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন নাইট শিফটে কাজ শুরু করা। সারা রাত জেগে কাজ করা। টেক্সটাইল ফ্যাক্টোরী গুলো যেন এক জেগে থাকা ভিন্ন এক শহর। এখানে কারো রাতে ঘুমানোই ব্যতিক্রম ঘটনা। এর পর আবার সারাদিন ঘুমানো।
আমাদের পেশার জগতে বহু ব্যতিক্রমি পেশা আছে যেগুলো সম্পর্কে অন্য মানুষেরা খুব কমই জানেন। তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেক ভিন্ন। এপ্রিল-মে মাসের গরমে এসি ছাড়া থাকাই কেউ ভাবতেও পারে না। সেখানে ডায়িং ফ্লোরের গরমে কিভাবে ওয়ার্কাররা একনিষ্ট ভাবে কাজ করে চলে। মেশিন খুলে ফুটন্ত বাথের স্যাম্পল চেক করে। প্রচন্ড গরমে ওয়ার্কারদের দেখেছি কত আনন্দের সাথে লেবু, গুড় আর লবণের শরবত খেতে। আবার শীতকালের শৈত্য প্রবাহের সময় ডায়িং ফ্লোরে কাজ করা কত আরামদায়ক সবার কাছে।
ভালো লাগতো যখন কাজ শেষে আবার মাইক্র করে বাসায় ফিরে আসতাম। আশুলিয়ার রাস্তা তখন ফাকা ফাকাই থাকতো। ভোরের বা রাত ৯ টার আশুলিয়ার রাস্তা অনেক মনোরম ও নয়নাভিরাম মনে হত।
কত কথা কত ঘটনা কত মানুষ হারিয়ে যায়। সব গুলো যদি লেখার অক্ষরে আবদ্ধ করা যেত !!

9
Permanent Campus of DIU / Copy cats.
« on: August 18, 2020, 10:49:24 PM »
বি টি ভি তে একটি ধারাবাহিক বাংলা নাটক দেখাতো। নাম ছিল সংসপ্তক। বাংলা অভিধানে এর মানে খুজে দেখেছিলাম। সংসপ্তক তাকেই বলা হয় যে কিনা পরাজয় জেনেও লড়াই করে যায়।
৯০ এর দশকে একটি ইংরেজি মুভির নাম শুনতাম। সেটি হল নো রিট্রিট - নো সারেন্ডার। এর অর্থ হল যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবেও না অথবা আত্মসমর্পণও করবে না। সংক্ষেপে বললে ডু অর ডাই। হয় জয় নয় মৃত্যু।
আমি ভাবি আমাদের কথা। আমরা স্বপ্ন দেখি। কখনও মুভি দেখে, গান শুনে বা বই পড়ে। অনেক উন্নত মানের স্বপ্ন আমাদের মনে ঘুরে চলে।
কিন্তু আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা কয়জন আমাদের স্বপ্নের নায়ক বা হিরোর জীবন যাপন করি? কয়জন অন্যায়ের প্রতিবাদ করি?
আমরা কয়জন আমাদের ভয়, লোভ-লালসাকে জয় করে সত্য কথা বলতে পারি? কয়জন আমরা আমাদের বিশ্বাস ও সৎ আদর্শের কথা প্রকাশ করি?
আমরা মুভির হিরোর চলন বলন বা চুলের স্টাইল অনুকরণ করি। কিন্তু ওই পর্যন্তই আমাদের দৌড়।
আসল জীবনে আমরা সবাই হিরো হতে পারি। শুধু যদি সত্য প্রকাশের জন্য আমাদের ভয় গুলোকে জয় করতে পারি তাহলেই।

10
Textile Engineering / Copy cats.
« on: August 18, 2020, 10:48:39 PM »
বি টি ভি তে একটি ধারাবাহিক বাংলা নাটক দেখাতো। নাম ছিল সংসপ্তক। বাংলা অভিধানে এর মানে খুজে দেখেছিলাম। সংসপ্তক তাকেই বলা হয় যে কিনা পরাজয় জেনেও লড়াই করে যায়।
৯০ এর দশকে একটি ইংরেজি মুভির নাম শুনতাম। সেটি হল নো রিট্রিট - নো সারেন্ডার। এর অর্থ হল যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবেও না অথবা আত্মসমর্পণও করবে না। সংক্ষেপে বললে ডু অর ডাই। হয় জয় নয় মৃত্যু।
আমি ভাবি আমাদের কথা। আমরা স্বপ্ন দেখি। কখনও মুভি দেখে, গান শুনে বা বই পড়ে। অনেক উন্নত মানের স্বপ্ন আমাদের মনে ঘুরে চলে।
কিন্তু আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা কয়জন আমাদের স্বপ্নের নায়ক বা হিরোর জীবন যাপন করি? কয়জন অন্যায়ের প্রতিবাদ করি?
আমরা কয়জন আমাদের ভয়, লোভ-লালসাকে জয় করে সত্য কথা বলতে পারি? কয়জন আমরা আমাদের বিশ্বাস ও সৎ আদর্শের কথা প্রকাশ করি?
আমরা মুভির হিরোর চলন বলন বা চুলের স্টাইল অনুকরণ করি। কিন্তু ওই পর্যন্তই আমাদের দৌড়।
আসল জীবনে আমরা সবাই হিরো হতে পারি। শুধু যদি সত্য প্রকাশের জন্য আমাদের ভয় গুলোকে জয় করতে পারি তাহলেই।

11
Textile Engineering / The business target.
« on: August 18, 2020, 10:47:26 PM »
রাজনীতির ইংরেজী হল 'পলিটিক্স'। রাজনীতি বলতে সেইসব নীতিকে বলা হয় যেসব নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি জাতি বা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু এই সংজ্ঞা এখন অর্থহীন। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ পর্যায়েও এটি নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহার হয়। ভিলেজ পলিটিক্স একটি খুব পরিচিত ও ঘৃণ্য শব্দ। এখন পলিটিক্স বলতে নীতিহীন কর্মকাণ্ডকে বোঝানো হয়। যেখানে ক্ষমতা ও পেশীশক্তির চর্চা যেখানে সেখানেই পলিটিক্স শব্দটি প্রযোজ্য।
পলিটিক্স আর বিজনেজ - এই দুইটা পৃথিবীকে চালিত করে। রাজনীতি যেমন তার অর্থ হারিয়েছে। ঠিক তেমন বিজনেসও তার অর্থ হারিয়েছে। বিজনেসের একটি ঘৃণ্য উপায় হচ্ছে ঠকানো। আমাদের প্রায় সব বিজনেসই মানুষের শ্রম নির্ভর। যে কোন বিসনেসের উদ্দেশ্য থাকে খরচ কমানো ও মুনাফা বৃদ্ধি। একটি বইয়ে পড়েছিলাম একটা সময় আমেরিকানরা ভাবতো জিনিশ বেশী দামে বিক্রি করতে পারলেই বেশী মুনাফা হয়। তাই তারা জিনিসের কোয়ালিটি নয় - বিক্রয় প্রতিনিধিদের চতুরতার উপর জোর দিল। তখন তাদের দেশে বিজনেস স্টাডিজের বিষয় গুলোতে জোর দেয়া হয়। দেশের স্টুডেন্টরাও এই বিষয় গুলো শেখার জন্য ঝাপিয়ে পড়লো।
অপরপক্ষে জাপানীরা বিশ্বাস করতো জিনিশের কোয়ালিটি ভালো হলে তার বিক্রয় বাড়বে - তাহলেই মুনাফা বেশী হবে। তাই তারা জোর দিল সাইন্স আর ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট গুলোতে। যাতে করে কোয়ালিটি পণ্য তৈরি হয়।
এই দুই দেশের ফলাফল আমরা সবাই জানি।
আমি ভাবি আমাদের বিজনেস ভাবনা নিয়ে। কোনটা জরুরী? কোয়ালিটি না বেশী মূল্যে বিক্রয়?
তবে সব শেষে এইটা বলা উচিৎ। মানুষকে ঠকানো ও নিজের কর্মীদের বঞ্চিত করে মুনাফা করা হল সর্বনিকৃষ্ট উপায়। যে সব দেশে দুর্বল আইনী ব্যবস্থা ও পেশী শক্তির ব্যবহার সাধারণ ব্যাপার সেই সব দেশে এই স্ট্রাটেজীর প্রয়োগ দেখা যায়।

12
Permanent Campus of DIU / The business target.
« on: August 18, 2020, 10:46:48 PM »
রাজনীতির ইংরেজী হল 'পলিটিক্স'। রাজনীতি বলতে সেইসব নীতিকে বলা হয় যেসব নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি জাতি বা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু এই সংজ্ঞা এখন অর্থহীন। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ পর্যায়েও এটি নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহার হয়। ভিলেজ পলিটিক্স একটি খুব পরিচিত ও ঘৃণ্য শব্দ। এখন পলিটিক্স বলতে নীতিহীন কর্মকাণ্ডকে বোঝানো হয়। যেখানে ক্ষমতা ও পেশীশক্তির চর্চা যেখানে সেখানেই পলিটিক্স শব্দটি প্রযোজ্য।
পলিটিক্স আর বিজনেজ - এই দুইটা পৃথিবীকে চালিত করে। রাজনীতি যেমন তার অর্থ হারিয়েছে। ঠিক তেমন বিজনেসও তার অর্থ হারিয়েছে। বিজনেসের একটি ঘৃণ্য উপায় হচ্ছে ঠকানো। আমাদের প্রায় সব বিজনেসই মানুষের শ্রম নির্ভর। যে কোন বিসনেসের উদ্দেশ্য থাকে খরচ কমানো ও মুনাফা বৃদ্ধি। একটি বইয়ে পড়েছিলাম একটা সময় আমেরিকানরা ভাবতো জিনিশ বেশী দামে বিক্রি করতে পারলেই বেশী মুনাফা হয়। তাই তারা জিনিসের কোয়ালিটি নয় - বিক্রয় প্রতিনিধিদের চতুরতার উপর জোর দিল। তখন তাদের দেশে বিজনেস স্টাডিজের বিষয় গুলোতে জোর দেয়া হয়। দেশের স্টুডেন্টরাও এই বিষয় গুলো শেখার জন্য ঝাপিয়ে পড়লো।
অপরপক্ষে জাপানীরা বিশ্বাস করতো জিনিশের কোয়ালিটি ভালো হলে তার বিক্রয় বাড়বে - তাহলেই মুনাফা বেশী হবে। তাই তারা জোর দিল সাইন্স আর ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট গুলোতে। যাতে করে কোয়ালিটি পণ্য তৈরি হয়।
এই দুই দেশের ফলাফল আমরা সবাই জানি।
আমি ভাবি আমাদের বিজনেস ভাবনা নিয়ে। কোনটা জরুরী? কোয়ালিটি না বেশী মূল্যে বিক্রয়?
তবে সব শেষে এইটা বলা উচিৎ। মানুষকে ঠকানো ও নিজের কর্মীদের বঞ্চিত করে মুনাফা করা হল সর্বনিকৃষ্ট উপায়। যে সব দেশে দুর্বল আইনী ব্যবস্থা ও পেশী শক্তির ব্যবহার সাধারণ ব্যাপার সেই সব দেশে এই স্ট্রাটেজীর প্রয়োগ দেখা যায়।

13
Thank you for your comment.

14
Textile Engineering / Days in corona.
« on: May 14, 2020, 10:39:28 PM »
কোভিডের কারণে সপ্তাহে এক দুইবার বের হওয়া হয়। দরকারী জিনিস কিনতে। আমাদের বাসার কাছেই উত্তরার বিডিআর বাজার। বাজারে ঢোকা অনেক আগেই বাদ দিয়েছি। যা কেনার তা বাজারের বাইরে ভ্যান গাড়ী থেকেই কিনে ফেলি। বাজারের বাইরের দৃশ্য পুরো পালটে গিয়েছে। আগে এইখানে থাকতো ফল ওয়ালারা। সবাই বাজার শেষে বের হয়ে খুশি মনে ফলমূল কিনত। মনে কিছুটা আতঙ্ক জাগে দেশ ও বিশ্বের অবস্থা নিয়ে। এইখানে এখন অভাবী মানুষেরা অপেক্ষায় থাকে। কখন কেউ বাজার করে বের হবে এর জন্য। আর তার কাছে সাহায্য চাইবে। আজকে এদেরকে একটু খেয়াল করে দেখালাম। আসল অভাবীরা রাস্তার দূরের ফুটপাথে বসে থাকে। দুই একজনের লজ্জা ও বিনয়ের সাথে সাহায্য চাওয়া দেখলেই বোঝা যায় এদের আগে কখনও অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে হয়নি আর চায়ওনি।
আবার দেখি কেউ বাজার করে বের হয়েছে। সাহায্য চাইতে চাইতে তার পিছনে চলেছে দুই তিন জন দরিদ্র মানুষ।
বাজারের পাশের রাস্তায় ন্যায্য মুল্যে জিনিস বিক্রি করতে একটি ট্রাক আসে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চাল ডাল তেল বিক্রি করে তারা। শুনে মনে হল বাজার বা দোকানের থেকে বড়জোর সব মিলিয়ে ২০০ - ৩০০ টাকা কম পড়ে তাদের। রাস্তাটা আরেক মাথায় আমাদের বাসা। প্রতিদিন দেখি কোন সকাল থেকে মানুষজন দাঁড়িয়ে আছে সিরিয়াল দিয়ে ওই ন্যায্য মুল্যের ট্রাকের অপেক্ষায়। কি রোদ কি বৃষ্টি।
বাজারের বাইরে রিক্সা ওয়ালাদের রিক্সা নিয়ে সিরিয়াল দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখি। আগের মত যাত্রীদের জন্য ডাকাডাকি নাই। যাত্রী পেলে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি ছাড়াই নীরবে গন্তব্যে যাত্রা শুরু করে। কেউ কেউ হয়তো সদয় হয়ে নির্দিষ্ট ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে।     
মন বলে অজানা আশংকার কথা। কোথায় যাচ্ছে পৃথিবী? অভাবী মানুষ দেখলে মনে হয় জীবনে কোন যুদ্ধ অবস্থা দেখি নাই। কিংবা কোন দুর্ভিক্ষ দেখি নাই। এখন কেন যেন অজানা আশংকায় মন ছেয়ে যায়।
দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের প্রতি সদয় হোন ও ক্ষমা করে দেন। দৃঢ় মনোবল ও বিশ্বাসের সাথে যেন আমরা এই পরীক্ষা পার হতে পারি।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।)

15
Permanent Campus of DIU / Days in corona.
« on: May 14, 2020, 10:38:00 PM »
কোভিডের কারণে সপ্তাহে এক দুইবার বের হওয়া হয়। দরকারী জিনিস কিনতে। আমাদের বাসার কাছেই উত্তরার বিডিআর বাজার। বাজারে ঢোকা অনেক আগেই বাদ দিয়েছি। যা কেনার তা বাজারের বাইরে ভ্যান গাড়ী থেকেই কিনে ফেলি। বাজারের বাইরের দৃশ্য পুরো পালটে গিয়েছে। আগে এইখানে থাকতো ফল ওয়ালারা। সবাই বাজার শেষে বের হয়ে খুশি মনে ফলমূল কিনত। মনে কিছুটা আতঙ্ক জাগে দেশ ও বিশ্বের অবস্থা নিয়ে। এইখানে এখন অভাবী মানুষেরা অপেক্ষায় থাকে। কখন কেউ বাজার করে বের হবে এর জন্য। আর তার কাছে সাহায্য চাইবে। আজকে এদেরকে একটু খেয়াল করে দেখালাম। আসল অভাবীরা রাস্তার দূরের ফুটপাথে বসে থাকে। দুই একজনের লজ্জা ও বিনয়ের সাথে সাহায্য চাওয়া দেখলেই বোঝা যায় এদের আগে কখনও অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে হয়নি আর চায়ওনি।
আবার দেখি কেউ বাজার করে বের হয়েছে। সাহায্য চাইতে চাইতে তার পিছনে চলেছে দুই তিন জন দরিদ্র মানুষ। 
বাজারের পাশের রাস্তায় ন্যায্য মুল্যে জিনিস বিক্রি করতে একটি ট্রাক আসে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চাল ডাল তেল বিক্রি করে তারা। শুনে মনে হল বাজার বা দোকানের থেকে বড়জোর সব মিলিয়ে ২০০ - ৩০০ টাকা কম পড়ে তাদের। রাস্তাটা আরেক মাথায় আমাদের বাসা। প্রতিদিন দেখি কোন সকাল থেকে মানুষজন দাঁড়িয়ে আছে সিরিয়াল দিয়ে ওই ন্যায্য মুল্যের ট্রাকের অপেক্ষায়। কি রোদ কি বৃষ্টি।
বাজারের বাইরে রিক্সা ওয়ালাদের রিক্সা নিয়ে সিরিয়াল দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখি। আগের মত যাত্রীদের জন্য ডাকাডাকি নাই। যাত্রী পেলে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি ছাড়াই নীরবে গন্তব্যে যাত্রা শুরু করে। কেউ কেউ হয়তো সদয় হয়ে নির্দিষ্ট ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে।     
মন বলে অজানা আশংকার কথা। কোথায় যাচ্ছে পৃথিবী? অভাবী মানুষ দেখলে মনে হয় জীবনে কোন যুদ্ধ অবস্থা দেখি নাই। কিংবা কোন দুর্ভিক্ষ দেখি নাই। এখন কেন যেন অজানা আশংকায় মন ছেয়ে যায়।
দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের প্রতি সদয় হোন ও ক্ষমা করে দেন। দৃঢ় মনোবল ও বিশ্বাসের সাথে যেন আমরা এই পরীক্ষা পার হতে পারি।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।)

Pages: [1] 2 3 ... 53