Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Food Poisoning => Topic started by: Md.Shahjalal Talukder on April 20, 2017, 09:16:33 AM
-
গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ডায়রিয়া হচ্ছে। ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতায় খাবার স্যালাইন বা ওআরএস শিশুর জীবন বাঁচায়। কিন্তু এই খাবার স্যালাইন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তির কারণে অনেক সময় শিশুর ক্ষতিও হতে পারে। আসুন জেনে নিই এসব ভ্রান্তি সম্পর্কে।
মা খেলেই হবে?
ছোট শিশুর ডায়রিয়া হলে স্তন্যদানকারিণী মা নিজেই স্যালাইন খান, ভাবেন এতেই হবে। শিশুকে আলাদা করে খাওয়ানোর দরকার নেই। এতে আসলে কোনোই লাভ হয় না। বাচ্চার ডায়রিয়া হলে তাকেই স্যালাইন দিতে হবে। শিশুর বয়স ৬ মাসের কম হলেও স্যালাইন খাওয়াতে বাধা নেই।
স্যালাইন কম মেশাতে হবে?
অনেকেরই বিশ্বাস, বাচ্চা ছোট বলে অল্প অল্প করে স্যালাইন বানাতে হবে অর্থাৎ স্যালাইনের প্যাকেট পুরোটা না মিশিয়ে সামান্য পাউডার নিয়ে অল্প পানি দিয়ে বানানো যাবে। আাসলে স্যালাইনের প্যাকেটে যে উপাদান আছে, তা কাজ করতে হলে পুরো আধা লিটার পানি দিয়েই দ্রবণ তৈরি করতে হবে। পানি কিংবা স্যালাইন কোনোটাই কম-বেশি করে মেশানো যাবে না। বরং অল্প পানিতে বেশি স্যালাইনের গুঁড়া দিলে কাজ তো হবেই না, বরং কিডনির সমস্যা হতে পারে।
ফিডারে ঢেলে খাওয়াবেন?
স্যালাইন তৈরি করে ফিডারে ঢেলে খাওয়ানো যাবে না। যত ছোট শিশুই হোক, বারবার পরিষ্কার চামচ দিয়ে খাওয়াতে হবে।
ঠান্ডা লাগলে স্যালাইন নিষেধ?
অনেকের ধারণা, ঠান্ডা লাগলে বাচ্চাকে স্যালাইন খাওয়ানো যাবে না কিংবা স্যালাইন খাওয়ালে বাচ্চার কাশি হবে। এটাও সত্য নয়। স্যালাইন খাওয়ালে বাচ্চার ঠান্ডা লাগার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেউ কেউ ঠান্ডা লাগার ভয়ে গরম পানিতে স্যালাইন বানান। গরম পানিতে স্যালাইনের উপাদানগুলোর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
কী করবেন?
স্যালাইন বানানোর আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে ভুলবেন না। না খাওয়ানো স্যালাইন পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে রাখবেন ও ১২ ঘণ্টা পর ফেলে দেবেন।
ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল