Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - utpalruet

Pages: 1 ... 13 14 [15]
211
This post will go a long way to make us aware of the unknown facts of fat.

212
মার্কিন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাইরেক্ট পিএইচডি করার সুযোগ আছে। অর্থাৎ, বিএসসি ডিগ্রিধারীরা সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পান। বাংলাদেশে অনেকের মাঝে একটা ভুল ধারণা দেখেছি -- পিএইচডি করতে গেলে আগে মাস্টার্স থাকা প্রয়োজন। অন্তত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা ঠিক না -- সুযোগ্য প্রার্থীদের সরাসরি পিএইচডিতে ভর্তি করা হয়। আর পিএইচডি করতে করতে মাস্টার্স ডিগ্রিটা নেয়া বা না নেয়া অনেক জায়গাতেই ছাত্রের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে। যেমন, আমার গ্র্যাড স্কুল ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স করতে হলে ৬টা কোর্স আর থিসিস লিখতে হতো। অনেক জায়গায় আবার ৬/৭টা কোর্স করলেই মাস্টার্স নেয়ার সুযোগ আছে।

এবারে দেখা যাক, মাস্টার্স আর পিএইচডির মধ্যে সুবিধা অসুবিধা কেমন।

১) ফান্ডিং

মাস্টার্স পর্যায়ে ফান্ড পাওয়াটা বেশ কঠিন। মার্কিন অর্থনীতির এই দুর্দিনে মাস্টার্স পর্যায়ের ফান্ড প্রায় গায়েব হয়ে গেছে। কাজেই মাস্টার্সে ভর্তি হলে অন্তত ১ম সেমিস্টারে ফান্ড পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। সেক্ষেত্রে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হবে, যা অনেক ক্ষেত্রেই নাগালের বাইরের পর্যায়ে।

স্টেইট ইউনিভার্সিটি, অর্থাৎ রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন কম। যেমন, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ে এক সেমিস্টারে খরচ পড়ে প্রায় ৩ থেকে ৬ হাজার ডলার, তবে বিদেশী ছাত্রদের জন্য বেশি চার্জ সহ মোট ফি প্রায় ১০/১২ হাজার ডলারের মতো। আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেই ফি এর পরিমাণ বেড়ে যাবে অনেকখানি। আমার এক সময়ের কর্মস্থল জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দিতে পারি, এখানে মাস্টার্স পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারের ফি প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার ডলার।

মাস্টার্সে ১ম সেমিস্টারে ভালো কাজ দেখিয়ে প্রফেসরের কাছ থেকে রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশিপ (আরএ) যোগাড় করতে পারলে টিউশন মাফ হতে পারে, আর বেতনও পাওয়া যেতে পারে।

পক্ষান্তরে, পিএইচডিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফান্ড দেয়া হয়, টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশীপ বা ফেলোশীপের মাধ্যমে। এর সাথে টিউশন ফীও মাফ করা হয়। যা বেতন দেয়া হয়, তা খুব বেশি না, তবে এদিক সেদিক করে বিদেশী ছাত্ররা ভালোই থাকতে পারে।

মাস্টার্সে ফান্ড দেয়া কম হয় বলে ভর্তির কড়াকড়িও কম, অ্যাডমিশন পাওয়া সহজ। পক্ষান্তরে পিএইচডির অ্যাডমিশন পাওয়াটা কঠিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই কয়েকশ মাস্টার্স ছাত্র থাকে, কিন্তু পিএইচডি ছাত্র নেয়া হয় জনা দশেক/বিশেক প্রতি বছরে।

২) সময়

মাস্টার্সে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই বছর। আর পিএইচডিতে জায়গা ভেদে ৫ থেকে ৭ বছর। কাজেই ভেবে নিন, আপনার হাতে এতোটা সময় আছে কি না। জব মার্কেটের অবস্থা পাল্টায় নিয়মিত। আর বিষয়ও পাল্টে যায় -- আজ যে বিষয়টি একেবারে হট টপিক, ৫ বছর পরে সেটার কথা ভুলে যেতে পারে সবাই।

৩) খাটুনি

মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের খাটুনির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। মাস্টার্সের কোর্স রিকয়ারমেন্ট পিএইচডির প্রায় অর্ধেক, আর থিসিসের পার্থক্যও বিশাল (অনেক জায়গায় কোর্স করলেই চলে)। মাস্টার্সের থিসিস প্রায় ক্ষেত্রেই একটি মাত্র প্রজেক্ট নির্ভর, যেখানে পিএইচডি থিসিসে একাধিক রিসার্চ পেপারের কাজ নিয়ে বেশ বড় আকারের কাজ করতে হয়। এক সেমিস্টার খেটেই এক্সপেরিমেন্ট সহ মাস্টার্স থিসিস অনেকে লিখে ফেলে, যেখানে পিএইচডির গবেষণা শেষ হবার পরে থিসিস লিখতেই অনেকের এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। কাজেই কয়েক বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করার মতো উদ্যম বজায় রাখতে পারবেন কি না, সেটা আগেই ভেবে দেখুন।

৪) চাকুরি

আপনার লক্ষ্য যদি হয় কোনো মার্কিন কোম্পানিতে চাকুরি পাওয়া, তাহলে তার জন্য মাস্টার্স করাই যথেষ্ট। অধিকাংশ চাকুরির জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি হলেই চলে। আর ২ বছর পড়েই চাকুরির বাজারে ঢুকতে পারছেন, যা বড় একটা সুবিধা।

অনেক চাকুরিতেই পিএইচডি থাকাটা কোনো অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে ধরা হয় না। উদাহরণ দেই - গুগলে বিএসসি, মাস্টার্স, বা পিএইচডি সব রকমের লোকজনই নেয়া হয়। মাস্টার্সের চাইতে পিএইচডিতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় বেশি লাগে। কাজেই আজ যিনি মাস্টার্স নিয়েই ঢুকছেন সেখানে, ৩/৪ বছর পরে স্টক অপশন, বেতন, আর বোনাস সব মিলে কয়েক মিলিয়ন ডলার এগিয়ে থাকবেন। অধিকাংশ টেক কোম্পানিতেই পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে শুরুতে অল্প একটু বেশি বেতন থাকে, কিন্তু ৩/৪ বছর আগে যোগ দেয়া মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা সেই সময়টাতে তার চেয়ে অনেক বেশিই সুবিধা পেয়ে গেছে। কাজেই চাকুরির বাজারের অনেক জায়গাতেই পিএইচডি বা মাস্টার্সের কোনো পার্থক্য নেই।

অবশ্য একাডেমিক ও রিসার্চ লাইনে আবার পিএইচডি অপরিহার্য। কাজেই আপনার লক্ষ্য যদি হয় একাডেমিক বা রিসার্চ লাইনে থাকা, সেক্ষেত্রে পিএইচডি করতেই হবে।

# যেসব জিনিষ বিবেচনা করবেন

- আপনার মূল লক্ষ্য কী -- রিসার্চ/একাডেমিক লাইন, নাকি চাকুরি?
- ফান্ড পাবেন কি পাবেন না? ফান্ড না পেলে টিউশন ফি অন্তত ১ম সেমিস্টারে দিতে পারবেন কি?
- ৫/৬ বছর আরো পড়ার ধৈর্য্য আছে কি?

সব বিচার করে বেছে নিন, পিএইচডি নাকি মাস্টার্স, কোনটিতে আবেদন করবেন। উল্লেখ্য, একবার একটা বেছে নিলে অন্যটাতে যেতে পারবেন না, তা কিন্তু না। দরকার হলে পরেও প্রোগ্রাম পাল্টানো যায়, যদিও সেটা সময়সাপেক্ষ। সব ফ্যাক্টর বিবেচনা করে আপনার জন্য যেটা সর্বোত্তম, সেটাই বেছে নিন।

পিছু নিন আপনার স্বপ্নের।

213
যারা আম্রিকা বা বিদেশ যাচ্ছেন

 

১. গুগলে সার্চ দিয়ে ওই শহরের প্রতিমাসের গড় তাপমাত্রা দেখে নিন। সে হিসেবে শীতের বা গরমের কাপড় নিয়ে নিন

 

২. পর্যাপ্ত পরিমান টি শার্ট আর জিন্স আনুন। কমপক্ষে ৪ জোড়া। বাংলাদেশে অনেক সস্তা। প্রথম কিছু দিন ডলারকে টাকায় কনভার্ট করে কিছুই কিনতে পারবেন না। একটা ফরমাল ড্রেস আনুন (কোট, ড্রেস প্যান্ট, টাই, ফরমাল সু )

 

৩. আপনি যদি চশমা বা লেন্স ব্যবহার করেন। মাস্ট তিন জোড়া এক্সট্রা আনবেন। এখানে খরচ বেশী পড়বে (যদিও আমি নিজে কোনদিন কিনিনি)

Extra: সস্তায় ৭-২০ ডলারে চশমা কিনতে পারবেন এইখানে:http://www.zennioptical.com/ (লিংক দিয়েছেন: রাগিব ভাই )

 

৪. বই এখানে অনেক দামি। অনেক সময় লাইব্রেরিতে টেক্সট বই পাওয়া যায় না। পরিচিত কেউ যদি আপনার ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে, তাদের কাছ থেকে জেনে সস্তা বই নীলক্ষেত থেকে কিনে আনতে পারেন

 

৫. অবশ্যই মশলা (গরুর, মুরগীর, মাছের, জিরা, হলুদ, মরিচ, ইত্যাদি ) নিয়ে আনবেন। অনেক অনেক, কমপক্ষে ৬ মাস রান্না করতে পারবেন এমন পরিমান। ১ কেজি মাংসের মসলা এর দাম ২৪০ টাকা। তাও বড় শহর ছাড়া পাওয়া যায় না।

 

৬. যদি সম্ভব হয়। ড্রাইভিং শিখে লাইসেন্স (ইন্টারন্যাশনাল ইন ইংলিশ) নিয়ে আসবেন। এইখানে ড্রাইভিং শিখে (আপনার গাড়ি থাকবে না), লাইসেন্স নেওয়াতে ঝক্কি আছে।

 

৭. প্রিয়জনের কিছু ছবি প্রিন্ট আউট করে নিয়ে আসবেন অবশ্যই। যতই ফেসবুকে বা ড্রপবক্সে থাকুক না কেনো।

 

৮. ষ্টেশনারীর দামও বেশি। কিছু নোটবুক, পেপার পেন্সিল নিয়ে আসতে পারেন। খুব বেশি আনার দরকার নাই। কয়েকদিন পর ডিপার্টমেন্ট এর ফ্রি প্রিন্টারের কাগজ চুরি করা শিখে যাবেন।

 

৯. নিজেকেই নিজে জিগ্যেস করুন। আপনার ঘুম থেকে উঠার পর, ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কি কি লাগে। সেই সব এই দেশে যদি না পাওয়া যায়, তাইলে সেটা নিয়ে আসতে হবে। এখন আপনার যদি মনে হয়, বাংলাদেশী ট্রাডিশোনাল টয়লেট তো এখানে পাওয়া যাবে না। তাইলে আমার কিছু বলার নাই।

 

১০. এক জোড়া হাফ প্যান্ট, দুইটা ত্রি কোয়াটার, স্যান্ডল, কেডস, মোজা, ৩ জোড়া আন্ডার গার্মেন্ট ইত্যাদি। যদি লুঙ্গি, গামছা লাগে, অবশ্যি আনবেন ৪টি করে। পাঞ্জাবি পায়জামা কমপক্ষে ৩টি। একটা দেশের পতাকাও আনবেন, ছোট হলেও। এবং ৩ টি বাংলাদেশী টি-শার্ট (যেগুলা বাংলাদেশের কথা বলে)

 

১১. কলেজে যাওয়ার ব্যাগ (ব্যাক প্যাক) দুইটা মাস্ট। পার্স (মেয়েদের) এখানে দাম বেশি। চিরুনি এর দাম বেশি বলে মনে হয়। গত তের বছরে আমি চিরুনি ব্যবহার করিনি, তাই জানিনা দাম কেমন।

 

১২. বডি লোশন, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, সেভিং ক্রিম, রেজার, হেয়ার জেল, আফটার শেভ আনার দরকার নাই। এখানে সস্তা।

 

১৩. ভালো লাগেজ কিনবেন। প্লেনে উঠানোর সময় কিন্তু ওরা আছাড় দিবে। তাই ভেঙ্গে গেলে আবার এইদেশে কিনতে গেলে (দেশে ফিরার টাইমে) অনেক দাম পড়বে। দুইটা বড় একটা ছোট কিনবেন।

 

১৪. ল্যাপটপ সস্তা। ফোন সস্তা। তাই দেশের থেকে আনার দক্কার নাই। ফকিরা একটা ফোন রাখবেন যাতে প্লেনে উঠে পাশে কে বসছে সেটা গার্লফ্রেন্ডকে বলতে পারেন। ক্ষেত্রবিশেষে সত্যি কথা চেপে যেতে পারেন। তবে সফটওয়্যার অনেক দামি। BCS কম্পুটার সিটিতে একটা চক্কর মারতে পারেন। পাইরেটেড কিছু ব্যবহার করতে চাইলে নিজের রিস্কে করেন।

 

১৫. সমসময় আপনি ইনফরমাল জিন্স, টি শার্ট পড়বেন। তাই বেশি ফর্মাল শার্ট আনার দরকার নাই। তবে কয়েকটা আনতে হবে। চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য।

 

১৬. আপনি সর্বোচ্চ ১০হাজার ডলার সঙ্গে করে আনতে পারেন। সেগুলা সাবধানে রাখবেন। কখনই মূল লাগেজে দিবেন না। বড় লাগেজ হারিয়ে যেতে পারে।

 

১৭. কিছু কয়েন সাথে রাখবেন। জরুরি ফোন দেয়ার জন্য। এয়ারপোর্ট এ কয়েন দিয়ে ফোনবুথ থাকে। কাউকে বললেই দেখিয়ে দিবে। আর কোনো কারণে আপনার ফ্লাইট ডিলে হলে অবশ্যই যে আপনাকে পিক আপ করতে আসবে তাকে জানাতে হবে। অনেক এয়ারপোর্ট এ ফ্রি ওয়াই ফাই থাকে। কয়েকটা ট্রাই করলে একটা পেয়েও যেতে পারেন।

 

১৮. ভার্সিটি এর ইন্টারন্যাশনাল অফিসের ফোন নম্বর অবশ্যই রাখবেন। জরুরি কিছু হলে যাতে যোগাযোগ করতে পারবেন।

 

১৯. পাসপোর্ট, I-20, জরুরি কাগজ পত্র সর্বদা নিজের সঙ্গে রাখবেন। কোথাও রেখে বাথরুমে হলেও যাবেন না। একবার ব্যাগ থেকে বের করলে

সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলবেন। খুবই সাবধানে রাখবেন। এইগুলা ছাড়া ঢুকতে পারবেন না। আর ইমিগ্রেসন অফিসারকে লম্বা উত্তর দেবার দরকার নাই। শুধু যা জিগ্যেস করবে তার উত্তর দিবেন।

 

২০. তরল কোনো খাবার লাগেজে দিবেন না। তবে মায়ের হাতের আচার পলিথিনে ভালো করে প্যাক করে আনবেন। যাতে অন্যকিছুর সাথে মিশে না যায়।

 

২১. বউ বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেন। তবে বাচ্চা সঙ্গে থাকলে তাকে গাড়িতে স্পেশাল সিটে বসাতে হবে। সেকথা, আপনাকে যে পিক করতে আসবে তাকে আগেই বলে দিতে হবে। প্রথম প্রথম বউ বাচ্চার একটু কষ্ট হবে, আপনার বাসা ঠিক করা নাও থাকতে পারে, ফার্নিচার থাকবে না। বেবী ফুড এইসব। তাই অনেকে ১মাস বা ১ সেমিস্টার পরে বউ বাচ্চা আনা। সেক্ষেত্রে বাচ্চ্চা এবং লাগেজ নিয়ে এয়ারপোর্ট এ বউয়ের অনেক কষ্ট হয়। এখন সেটা আপনার বিবেচনা।

২১+. কষ্ট করে, মশারী বা কয়েল আনা লাগবে না। যদি সারাজীবন তুলার বালিশ বেশি নাক ঢেকে ঘুমিয়ে থাকলে এখানকার ফোমের বালিশে প্রথম কয়েকদিন সমস্যা হতে পারে। চিন্তার কোনো কারণ নাই, দুই দিন পরে ঠিক হয়ে যাবে। বরং দুই বছর পরে বাংলাদেশে গেলে, তুলার বালিশ শক্ত মনে হবে। অবশ্য বাংলাদেশে গেলে আপনি অনেক কিছুতেই নাক সিটকাবেন, কারণ, "দুই দিনের বৈরাগী, ভাতেরে কয় অন্ন"।

Pages: 1 ... 13 14 [15]