Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: khadija kochi on November 24, 2015, 12:26:08 AM

Title: হাতের কাছে রাখুন কিছু ওষ
Post by: khadija kochi on November 24, 2015, 12:26:08 AM
রমজান মাস শেষ হলেই উৎসবের ঈদ। নতুন পোশাক, মজার খাবারের জন্য সবার নানা রকম আয়োজন। এই আয়োজনের সঙ্গে ওষুধের আয়োজনটাও যুক্ত হওয়া জরুরি। কারণ, ঈদের সময় (বিশেষত ঈদের দিন) অনেক ওষুধের দোকান বন্ধ থাকে। জরুরি কোনো দরকার হলে তখন আর পাওয়া যাবে না। এক মাস রোজা রাখার পরে ঈদের নানা রকম খাবার, অনেকেরই বুকে জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রকম জটিলতায় আক্রান্ত হন। অনেকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খেয়ে অ্যাসিডিটি কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এমন ছোটখাটো সমস্যাগুলো যা নিজেই জরুরি কিছু ওষুধের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব, সেটা ওষুধের দোকান বন্ধের জন্য বা বাসায় না থাকার জন্য সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকেই কিনে রাখতে পারেন। বুকের জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটির জন্য বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ আছে। আপনার পছন্দমতো কিনে নিন। সেই সঙ্গে হঠাৎ পেট, হাত, পা, দাঁতে ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ কিনে রাখা জরুরি। যেকোনো কাটা, পুড়ে যাওয়া, পোকাকামড়ের জন্য দরকার অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম।
বাসায় রক্তে চিনির পরিমাণ মাপার যন্ত্র থাকলে সেই যন্ত্রের জন্য সুচ (নিডল) আছে কি না তা দেখে নিন। হাঁপানির রোগীদের জন্য ইনহেলার, নেবুলাইজার, নাকের ওষুধ এখন থেকেই গুছিয়ে রাখা দরকার।
অনেকের রাতে ঘুম আসে না। মাঝে মাঝে ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। রক্তচাপ কমে ও বাড়ে। এ ধরনের সমস্যায় যাঁরা কষ্ট পান, তাঁরা ঘুমের ওষুধ কাছে রাখবেন। ওরস্যালাইন, হট ওয়াটার ব্যাগ (দেহের কোনো জায়গায় তাপ দেওয়ার জন্য দরকার হয়), অ্যান্টিসেপটিক পেপার, কটন বাড (কান পরিষ্কারের জন্য), কাশি ও জরের ওষুধ এখন থেকেই বাসায় রাখার চেষ্টা করুন।
অনেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খান। যেমন উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বাতের ওষুধ, হরমোনের সমস্যাসহ এমন কিছু অসুখ রয়েছে, যেখানে নিয়মিত চেকআপ ও ওষুধ খেতে হয়। ঈদের দুই-তিন দিন পরেও অনেক সময় দোকান বন্ধ থাকে। তাই বাসায় ওষুধের জোগাড় এখন থেকেই করুন। আপনি যে ওষুধ খান, সেটাই কিনবেন। যেমন অ্যাসিডিটির জন্য বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ আছে। তবে সব অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ সবাই সবার সহনীয় নয়।
উৎসবের সময় ওষুধ বাসায় রাখার বিষয়ে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ ফ ম হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘ঈদের দিনগুলোতে আমাদের দেশের মানুষের জন্য অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ, খাবার স্যালাইন, হৃদরোগী যাঁরা জরুরি যে ওষুধ খান, তাঁরা কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য ওষুধ কিনে নিন। জিহ্বার নিচে অনেক হৃদরোগীদের ওষুধ দিতে হয়। এ ধরনের রোগীদের আরও যেসব ওষুধ খেতে হয়, সেগুলোও কিনতে হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শের কাগজ দেখে। আর এই সময় অনেকেই ডায়রিয়া ও সেই সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হন। এ জন্য চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বাসায় রাখা উচিত।
এ সময় আরও জরুরি জিনিস হলো প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট এইড বক্স। ছোটখাটো সমস্যাগুলো যেন তীব্র না হয়, তাই এই বক্সটি বিপদের বন্ধু। ওষুধপত্রের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন হাসপাতালের ঠিকানা রাখতে হবে হাতের কাছেই।