Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - faruque

Pages: [1] 2 3 ... 44
1
ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর কার্যকরী ৫টি উপায়!



তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ইন্টারনেট এখন প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয়। অফিস হোক বা বাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া বা মেইল চেক করা, সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই বাড়িতে এখন ওয়াইফাই রাউটার বসানোর চাহিদা বাড়ছে। কারণ, একদিকে যেমন একাধিক ডিভাইস এক সঙ্গে কানেক্ট করা যায়, তেমন ঘরের যে কোনও প্রান্তে বসে ইন্টারনেট সার্ফিং করা যায়।

তবে রাউটার বসালেও বেশ কিছু কারণে ইন্টারনেটের স্পিড ভালো মেলে না। এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই ওয়াই-ফাই স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দেখুন সেই ৫টি উপায় কী কী...

১. রাউটার বাড়ির মাঝখানে রাখুন:

সাধারণত কানেকশন নেওয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোনে রাউটার রেখে দেওয়াই দস্তুর। সবচেয়ে ভালো কভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়। অর্থাৎ, চোঙ থেকে আওয়াজ যে ভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোনও রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।

২. চোখের উচ্চতায় রাখুন:

মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

৩.  কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:
 
বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়ছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সকলের ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে। এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাঁকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।

৪. রিপিটার কানেক্ট করুন:

ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনও ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।

৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন:

রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। অথবা প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়র্কে থাকা যে কোনও ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেওয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।

2
Heart / হার্ট ব্লকের কারণ
« on: July 23, 2018, 11:21:43 AM »
হার্ট ব্লকের কারণ



রক্তনালির ভিতরে চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হতে হতে রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পথকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ (ব্লক) করে দেওয়াকেই হার্টে ব্লক বলা হয়ে থাকে। রক্তনালিতে চর্বিজাতীয় বস্তু খুব ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে। তাই হার্ট ব্লক খুবই ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যেমন ধরুন একটি ব্লক ১০% থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে ৮০%-এ পৌঁছাতে ব্যক্তিভেদে ১০ থেকে ৩০/৪০ বছর সময় লাগতে পারে। তাই বলা হয়ে থাকে, ব্যক্তি হার্ট ব্লক নিয়ে দীর্ঘসময় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। হার্ট ব্লকের সংখ্যা এবং পারসেন্টেজ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত রোগী কোনোরূপ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন না। হার্ট ব্লকের কারণে রোগীর হার্টের রক্ত সরবরাহের স্বল্পতা দেখা দেয়। হার্ট ব্লকের (%) পার্সেন্টেজ বৃদ্ধি পেলে ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। ফলশ্রুতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিশ্রম বা টেনশনকালীন সময়ে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ সময়ে রোগী বুকে চাপ, ব্যথা, বুক ধড়ফড় বা সহজে হয়রান বা পেরেশান হয়ে পড়েন। তবে দিনে দিনে রোগী ঘনঘন এসব অসুবিধায় পতিত হয়ে থাকেন। এভাবে বেশ কিছু বছর চলে যেতে পারে।

 দিনে দিনে ব্লকের তীব্রতা (পার্সেন্টেজ) বৃদ্ধি পেয়ে অসুস্থতাকে আরও জটিল করে তোলে। হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট স্ট্রোক এক ধরনের মারাত্মক অসুস্থতা। যার ফলশ্রুতিতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে এবং চিকিৎসা খুবই দ্রুততার সঙ্গে নিতে হয়। প্রায় সময়ই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। বহুবিধ কারণে হার্ট ব্লকের চর্বিজাতীয় বস্তুতে রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে। তাতে প্রদাহ দেখা দিতে পারে অথবা চর্বি জাতীয় বস্তুর ওপর রক্ত জমাটবেঁধে রক্তনালিতে রক্তপ্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বা মারাত্মক পর্যায়ে বন্ধ করে দিতে পারে। যার ফলে ওই ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ মারাত্মক পর্যায়ে কমে যাওয়ায় হার্টের ওই অংশের মাংশপেশি অক্সিজেন ও খাদ্য সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়ে অকেজো হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে হার্টের পাম্পিং পাওয়ার কমে যায়। হার্ট শারীরিক চাহিদা মাফিক পাম্প করে রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। রক্ত সরবরাহ মারাত্মক পর্যায়ে কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যুও ঘটে। হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যত রোগী ভর্তি হন তার মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক রোগীর আগে কোনো ধরনের হার্টের অসুস্থতা আছে তা তিনি কখনো জানতেন না বা বুঝতে পারেননি। বাকি অর্ধেক সংখ্যক রোগী আগে থেকেই হার্টের অসুস্থতায় ভুগতে ছিল বলে রোগীর জানা ছিল। এসব কিছু বিবেচনায় এনে এটা বলা যায় যে, হার্ট অ্যাটাক এক ধরনের দুর্ঘটনা। অনেককে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় মানে বহু বছর থেকে হার্টের অসুস্থতায় ভুগছেন কিন্তু কখনই হার্ট অ্যাটাক হয়নি। তবে এ কথা সত্য যে, হার্ট ব্লক ছাড়া খুব কমই হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে অর্থাৎ যাদের হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে তাদের প্রায় সবারই কোনো না কোনো পর্যায়ের হার্ট ব্লক থাকে, হতে পারে ব্লক প্রাথমিক পর্যায়ের বা জটিল পর্যায়ের। বর্তমানে হার্ট ব্লকে উপযুক্ত মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে সুচিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। সেই সঙ্গে রোগীকে অবশ্যই নিরাপদ মাত্রায় কায়িক শ্রমে অভ্যস্ত হতে হবে এবং হৃদবান্ধব খাদ্যাভ্যাস অনুশীলন করতে হবে। জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে হার্ট ব্লকের কারণে যাদের হার্ট ফেইলুর দেখা দিয়েছে অথবা হার্ট ব্লক অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের রিং, বাইপাস অথবা ইসিপি থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন হয়। তবে মনে রাখতে হবে, এসব পদ্ধতি গ্রহণ করেও রোগী সুস্থ থাকতে পারবে না, যদি না জীবনধারা পরিবর্তন না করে উপযুক্ত মেডিসিন গ্রহণ না করে এবং হৃদবান্ধব খাদ্যাভ্যাস অনুশীলন না করে।

ডা. এম শমশের আলী (কার্ডিওলজিস্ট), সিনিয়র কনসালটেন্ট (প্রা.), ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

3
ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরুর জন্য পাঁচটি জরুরী পদক্ষেপ!




একটি ছোট আকারের ব্যবসা প্রথমে ধারণা হিসেবে শুরু হয়, পরবর্তিতে ধারণাটিকে কার্যে পরিণত করতে হয়। অনেকেই ধারণাটিকে বাস্তবে পরিণত করতে গিয়ে ঝুঁকি ভেবে হতাশায় ভোগেন এবং এটাকে বোঝা মনে করেন। যে কোন বড় লক্ষ্যের মত এটাকে কতগুলো ছোট ছোট ধাপে ভাগ করলে ব্যবসা শুরু করার প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজে আয়ত্তে আনা সম্ভব। ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করার সহজ ধাপগুলো এখানে আলোচিত হল।

১. ব্যবসার ধারণাটি লেখা:
ছোট আকারের ব্যবসার চাবিকাঠি হল বিষয়গুলো সহজ এবং কম খরচের মধ্যে রাখা। ব্যয় শুধু টাকা পয়সার ক্ষেত্রে নয়, সময়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অনেকে তার ছোট আকারের ব্যবসায়িক ধারণাটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ফাঁদে আটকে ফেলেন। আমি সব সময় এক থেকে দুই পাতার একটি সহজ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করার পরামর্শ দিয়ে থাকি যার মধ্যে মৌলিক কৌশলসহ ব্যবসার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও ছক সন্নিবেশিত থাকে। যাকে ব্যবসায়িক ভাষায় বিজনেজ প্ল্যান বলে।

২. আইনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আপনাকে শহর অথবা পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একক মালিকানায় ব্যবসা শুরু করা ভাল কারণ এতে আপনার আইনগত বৈধতার সহায়ক তথ্যাদি এবং মাশুল দুইই কম লাগবে। আপনি এটাকে ব্যবসা হিসিবে নথিভুক্ত করতে পারেন যখন দেখবেন যে আপনার উদ্যোগটি প্রথম তিন অথবা ছয় মাসের মধ্যে লাভজনক এবং টেকসই হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।

৩. বাজেট নির্ধারণ করুন:
আমি খুব গুরুত্বের সাথে পরামর্শ দিব বাজেট যতদূর সম্ভব ছোট রাখতে। ব্যবসা শুরু করতে যতটুকু আপনি খরচ করতে সক্ষম হবেন ততটুকু আপনাকে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। ব্যবসায়ে আপনি যদি নিজে অর্থের যোগানদাতা হন তাহলে একটা সময় নির্ধারণ করুন যাতে বাজেট শেষ ও লাভ অর্জনের সময়ের সমম্বয় হয়। আপনার ব্যবসাটি এমনভাবে শুরু করুন যাতে করে আপনি ত্রিশ থেকে নব্বই দিনের মধ্যে বিনিয়োগকৃত মূলধন থেকে লাভ বের করতে পারেন। সাধারনত ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে এটা সম্ভব।

৪. ব্যবসার হিসাব চালু:
আপনার পছন্দমতো কোন ব্যাংকে আপনার ব্যবসার একটি হিসাব চালু করতে হবে। আপনার ব্যবসার ধরণ যেমনই হোক না কেন, ব্যবসায়ের হিসাবটি আপনার ব্যক্তিগত হিসাব থেকে আলাদা রাখতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসার হিসাবটি ব্যক্তিগত হিসাব থেকে আলাদা রাখেন না, যা একটি বড় ভুল। ব্যাংক থেকে কোন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করবেন না। শুধু হিসাবটি পরিচালিত করবেন যাতে করে ব্যবসায়ের টাকা ব্যক্তিগত টাকা থেকে আলাদা রাখা যায়।

৫. ব্যবসা শুরু করুন:
ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য কম্পিউটার অ্যাপস এবং বিভিন্ন উদ্ভাবনী উপায়ে বিনাখরচে আপনি আপনার পন্যের পরিচিতি বাড়াতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার ছোট অন্যসব ব্যবসায়িদের সঙ্গে আপনার ব্যবসার পণ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং জেনে নিতে পারেন তাদের কোন কোন বিষয়গুলো আপনার কাজে আসতে পারে। সব শেষে এখন আপনি আপনার পণ্য স্থানীয়ভাবে বাজারজাত শুরু করতে পারেন এবং আপনার পণ্য সম্পর্কে তাদের অভিমত ও প্রত্যাশা জেনে নিতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার কিছু পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে ছোট আকারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

সর্বোপরি আপনি অবশ্যই এই পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করে অনেক টাকা রোজগার করতে না পারলেও সমস্ত অর্থ এবং সময় বিনিয়োগ করার পূর্বে আপনার ছোট ব্যবসায়ের সক্ষমতা যাচাই করতে পারবেন।

লেখক: ব্যাংকার
তথ্যসুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ডটকম।

4
বৃক্ষরোপণে গুরুত্ব দেয় ইসলাম


মহান আল্লাহর সৃষ্টিবিধান মতে, গাছ ছাড়া কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। প্রাণিকুল বেঁচে থাকার প্রধান ও মূল উপকরণ হলো অক্সিজেন; যা গাছ থেকেই উৎপন্ন হয়। মানুষ প্রত্যেক শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিত্যাগ করে। কার্বন ডাইঅক্সাইড এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর গাছ সেই দূষিত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ এবং প্রাণিকুলের জন্য (বেঁচে থাকার মূল উপকরণ) অক্সিজেন বিতরণ করে। রব্বুল আলামিন গাছের সবুজ পাতার ক্লোরোফিল ও সূর্যের আলোর সমন্বয়ে এক ধরনের রন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে অক্সিজেনে পরিণত করেন। শুধু তাই নয়, নদী ও সমুদ্রপাড়ের প্রাণিকুলের জন্য গাছ ঢালস্বরূপ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা যে কোনো প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগ আঘাত হানলে সর্বপ্রথম তা মাথা পেতে নেয় বৃক্ষ বা গাছ। তাই এ কথা সর্বজনবিদিত, প্রাণিকুলের সুরক্ষা ও পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রিয় নবী (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করতেন। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বৃক্ষরোপণ করে, অতঃপর সেই বৃক্ষে যত ফল উৎপন্ন হয়, আল্লাহ উৎপাদিত ফল পরিমাণ সওয়াব তার আমলনামায় প্রদান করবেন।’ মুসনাদে আহমাদ।

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমান বৃক্ষরোপণ করল, অতঃপর তার থেকে যতটুকু অংশ ভক্ষণ করা হয়, তা বৃক্ষরোপণকারীর জন্য সদকা হয়ে যায়। আর যে অংশটুকু চুরি হয়ে যায়, তাও তার জন্য সদকা হয়ে যায়। যে অংশ হিংস্র জন্তু খায়, তাও তার জন্য সদকা হয়ে যায়। আর যতটুকু অংশ পাখি খায়, তাও তার জন্য সদকা হয়ে যায়। অর্থাৎ যে কেউ ওই গাছ থেকে সামান্য কিছু ফল ভক্ষণ করে, রব্বুল আলামিন এর বিনিময়ে বৃক্ষরোপণকারীকে সদকার সওয়াব দান করেন।’ মুসলিম। প্রকৃতির স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার বিশেষ নিয়ামত হলো বৃক্ষ বা গাছ। বৃক্ষ প্রাণিকুলকে রোদের প্রচণ্ড তাপ থেকে ছায়া দান করে। আমরা যত সুস্বাদু ফল-মূল ভক্ষণ করি, এগুলো সবই বৃক্ষ থেকে উৎপাদিত। মানবদেহের মরণব্যাধি অনেক রোগের ওষুধ এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি। প্রিয় নবী (সা.) যখন যুদ্ধের জন্য বাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন তাদের বলতেন, ‘সাবধান! বিনা কারণে বিজিত অঞ্চলের কোনো বৃক্ষ কর্তন করবে না।’

লেখক : মুফাসসিরে কোরআন ও ইসলামবিষয়ক গবেষক।

5
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৬ উপায়



যান্ত্রিক জীবনে বর্তমানে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন সবাই। ফলে বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বেড়েই চলেছে। অনেক চেষ্টা করেও কমানো যাচ্ছে। অবশ্য অনেক সময় আমাদের কিছু গাফিলতির কারণেও বাড়তে থাকে বিল। জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল বাঁচানোর ৬ উপায়। 

১. রান্না করতে করতে বার বার ওভেনের দরজা খুলবেন না। বাইরে থেকেই দেখে বোঝার চেষ্টা করুন। দরজা খুললে তাপমাত্রা কমে যায়। আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ওভেন বেশি বিদ্যুৎ ব্যয় হয়।

২. যখন মেশিন বা ইস্ত্রি ব্যবহার করবেন না তখন প্লাগ খুলে রাখুন। কারণ প্লাগ না খুলে সুইচ বন্ধ রাখলেও কিছুটা বিদ্যুৎ খরচ হয়। 

৩. যখন ঘরে থাকবেন না অপ্রয়োজনে আলো, পাখা চালিয়ে রাখবেন না। সুইচ অফ করে রাখুন।

৪. গরমকালে এসি চালালে তরতর করে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল। অপ্রয়োজনে এসি না চালিয়ে পাখা চালান। যদিও এখন শীতকাল চলে আসায় সেটাও প্রয়োজন হবে না। ফলে খরচ অনেক কমে যাবে। 

৫. কম্পিউটার যখন ব্যবহার করবেন না তখন চালিয়ে রাখবেন না। বন্ধ করে রাখুন অথবা স্লিপ মোডে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে। 

৬. অনেকেই বাড়িতে ডিশ ওয়াশার ব্যবহার করি। অনেক বাসন ধুয়ে নিন। কিন্তু হিট ড্রাই না করে বাতাসে শুকিয়ে নিন। 

6
Heart / ওজন কমায় আনারস
« on: July 05, 2018, 11:41:47 AM »
ওজন কমায় আনারস



মৌসুমী ফল আনারস অসংখ্য গুণে গুনান্বিত। এই ফল যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটায়, তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে জুড়ি নেই এর। চলুন জেনে নেই আনারসের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

১. আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

২. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৩. শুনতে অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। সকালে আনারস বা সালাদ হিসেবে এর ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

৪. আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৫. দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।

7
আপনার হার্টকে সুস্থ রাখুন



মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হৃৎপিণ্ড বা হার্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট সুস্থ থাকলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকবে। অসংক্রামক রোগ দিনদিন বেড়েই চলছে তার মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম, যা বিশ্বের এক নম্বর মরণ ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে তা অনেক সময় স্থায়ী রোগ হিসেবেই বিবেচিত হয়, সারা জীবন এ মারাত্মক ব্যাধি পুষতে হয় এবং অনেক ওষুধপত্র খেতে হয়। আবার হৃদরোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা জটিল ও ব্যয়বহুল এবং দেশের সব জায়গায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধাও দুর্লভ। এমনকি আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আনতে আনতেই রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করাই উত্তম। বিভিন্ন কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যাকে বলা হয় রিস্ক ফ্যাক্টর। কিছু কিছু সহজেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য, আর কিছু অনিয়ন্ত্রণযোগ্য। অনিয়ন্ত্রণযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হলো বয়স, লিঙ্গ ও বংশগত। নিয়ন্ত্রণযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরের মধ্যে রয়েছে ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য, ডায়াবেটিস, মুটিয়ে যাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, চর্বি জাতীয় খাদ্য বেশি এবং আঁশ জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া, মানসিক চাপ, মদ্যপান ইত্যাদি। অবহেলা না করে নিরাময়যোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলেই হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রতিরোধে করণীয় : ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য- যেমন জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সম্পূর্ণভাবে বর্জন করুন। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

নিয়মিত হাঁটুন ও ব্যায়াম করুন। কম চর্বি ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন খাশি বা গরুর গোস্ত, কলিজা, মগজ, গিলা, গুর্দা কম খেতে হবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই চর্বিজাতীয় যেমন পোলাও, বিরিয়ানি, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। বেশি আঁশযুক্ত খাবার, প্রচুর শাকসবজি ও টাটকা ফলমূল বেশি করে খান। যে কোনো মাছ এমনকি সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো। তরকারিতে প্রয়োজনীয় লবণের বাইরে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে, তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরকে যেমন সুস্থ রাখতে হবে, তেমনি মনকেও রাখতে হবে সুস্থ। তাই মানসিক ও শারীরিক চাপ পরিহার করতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম, সময় মতো ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দেওয়া, শখের কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এবং মন প্রফুল্ল থাকে। সুস্থ হার্ট মানেই সুস্থ মানুষ, সুস্থ জীবন। আর সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই হার্ট সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।

লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ

মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

8




প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে স্মার্টফোনের অন্যতম একটি সমস্যা হলো- ব্যবহারের মাঝখানে খুবই গরম হয়ে যায়। স্মার্টফোন গরম হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। তবে অতিরিক্ত গরম বিপদের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হবার কারণ এবং সমাধান জানা দরকার।

কি পরিমান গরম হওয়া স্বাভাবিক:
আপনার ফোন কম দামি বলে বেশি গরম হয়, তা ঠিক নয়। স্বাভাবিকভাবে স্মার্টফোন ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বাই মোডেও যদি ফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয় তবে বুঝবেন আপনর ফোনে সমস্যা আছে।

ব্যাটারি:
মোবাইল কম্পানিগুলো বর্তমানে স্মার্টফোন দিন দিন পাতলা করছে। তবে তার তুলনায় ব্যাটারির প্রযুক্তি তেমন উন্নত হয়নি। ব্যাটারি যত বেশি দুর্বল হবে ফোন তত বেশি তাপ উৎপন্ন  করবে। ব্যাটারি চার্জ নেওয়ার সময় অথবা ডিচার্জ হওয়ার সময়েও ফোন বেশি গরম হয়ে থাকে।

প্রসেসর:
স্মার্টফোন গরম হওয়ার একটি করণ হচ্ছে প্রসেসর গরম হওয়া। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্টফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর এমন একটি ডিভাইস যা সবসময় কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই করেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন দিয়ে প্রসেসর তৈরী হয়ে থাকে। প্রসেসর স্মার্টফোনের বডির সাথে লাগানো থাকে যার ফলে তাপ অনুভব হয়।

দুর্বল নেটওয়ার্ক:
ফোন গরম হওয়ার আরেকটি করণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক। আপনার ফোনে যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকে তখন সিগনাল যায় আর আসে। আবার ওয়াইফাই ব্যবহারে সিগন্যালের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য ফোনে বেশি চাপ পরে, যার ফলে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে।

স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তির উপায়:
সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ফোনে যেন চার্জ থাকে।  একসাথে বেশি অ্যাপস চালু করে রাখবেন না। ফোনের অতিরিক্ত অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি জায়গা নিয়ে নিচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করলে বা ফোনে অতিরিক্ত গেমস খেললে গরম হয় এটা একেবারেই ঠিক নয়।

র‌্যাম ও ক্যাশ মেমোরি সবসময় পরিস্কার রাখুন।  অপ্রয়োজনীয় ম্যাসেজ ডিলিট করুন। ফোনে কোন অ্যানিমিশন চালু থাকলে বন্ধ করুন। ফোনে এমন কভার ব্যবহার করুন যেন কভারটি চামরার হয়। বাহিরের তাপে যেন ফোন গরম না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

সবসময় ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি, সবসময় ডেটা চালু করে রাখা উচিত নয়।

বিডি প্রতিদিন/ ২ জুলাই ২০১৮/ ওয়াসিফ

9
দ্বিতীয় তারাবিহর তেলাওয়াত নিয়ে আলোচনা



১৮ মে শুক্রবার বাদ ইশা দ্বিতীয় তারাবিহতে কুরআনুল কারীমের সূরা বাকারার ২০৪ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত ও সূরা আল ইমরানের শুরু থেকে ৯১ নং আয়াত পর্যন্ত মোট দেড়পারা তেলাওয়াত করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি সংক্ষেপে কিছু কিছু আয়াতের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। ইসলামের নিয়ম কানুন পালনের ক্ষেত্রে কেউ কেউ  নিজেদের ইচ্ছেমত ও সুবিধামত আমল করে থাকেন।

অথচ ইসলামে এর কোন অবকাশ নেই। ২০৮ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমানুদখুলু ফিসসিলমি কাফফাহ। অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর।  তাহলে ২/১ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কিছু সুন্নাত আর কিছু বিজাতীয় কালচার অনুস্মরণ করে আমরা কিভাবে নাজাতের আশা করতে পারি? 

২১৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, যদি মদ ও জুয়া সম্বন্ধে তোমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করে তবে তুমি বল, এ দুটোই মহাপাপ। তিরমিজী শরীফে হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়, মদের সাথে সম্পর্ক রাখে এমন দশ শ্রেণীর ব্যক্তির উপর হুজুর (সা.) লা’নত করেছেন। আর তারা হলো, ১. যে লোক নির্যাস বের করে, ২. প্রস্তুতকারক, ৩. পানকারী, ৪. যে পান করায়, ৫. আমদানীকারক, ৬. যার জন্যে আমদানী করা হয়, ৭. বিক্রেতা. ৮. ক্রেতা. ৯. সরবরাহকারী ও ১০. এর লভ্যাংশ ভোগকারী।

বুখারী শরীফের ৪৮৬০ নং হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি লাত ও ওজ্জার নামে কসম করে সে যেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে। আর যে ব্যক্তি তার সাথীকে বলে এসো, আমরা জুয়া খেলি, তবে তার সদকা করা উচিৎ। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, জুয়া হলো মাইসির বা বঞ্চিত। আর সব রকমের জুয়াই হারাম।

২৩৩ নং আয়াত মোতাবেক শিশুদের স্তন্যপান করানো মাতার উপর ওয়াজিব আর মাতার ভরণ পোষণ পিতার উপর ওয়াজিব। ২৫৫ নং আয়াতকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। এ আয়াতের ফজিলত সম্বন্ধে অনেক হাদীস রয়েছে। নাসায়ী শরীফে এক হাদীসে রাসূলে কারীম (সা.) বলেন, যে লোক প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পাঠ করে তার জন্য বেহেশতে প্রবেশের পথে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া আর কোন অন্তরায় থাকে না।

২৭৫ নং আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা সুদকে হারাম করেছেন। আর ব্যবসাকে করেছেন হালাল। দুনিয়াতে হিন্দু, খ্রিস্টান. বৌদ্ধসহ হাজারো ধর্ম রয়েছে।

সূরা আলে ইমরানের ১৫ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, ইন্নাদ্দীনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম। অর্থাৎ ইসলামই হলো আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম। ৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম অন্বেষণ করে তা কখনও তার নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে না। অন্য ধর্মাবলম্বীরা পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকারীদের ব্যঙ্গ করে ২১ নং আয়াতে আল্লাহ  পাক বলেন, হে নবী, আপনি তাদের জাহান্নামের সুসংবাদ দেন। আর ৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ওয়াাল্লাহু লা ইউহিব্বুয যালিমীন। অর্থাৎ আল্লাহ যালিমদের ভালবাসেন না। আল্লাহর দীন থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, আল্লাহকে যারা অবিশ্বাস করেছে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তারা যদি আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তির বিনিময়ে পৃথিবী ভর্তি স্বর্ণ দিতে চায় তবু  কখনো তা গ্রহণ করা হবে না। বরং সূরা আলে ইমরানের ৯১ নং আয়াতে ওদের জন্যে পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ও কোন সাহায্যকারী থাকবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

লেখক: খতীব, দিউ বায়তুস সালাম জামে মসজিদ, কলেজ রোড, ফুলপুর, ময়মনসিংহ।

10
রমজানে শুধু খাবার নয় মন্দ থেকেও বিরত থাকতে হবে



রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। বিশ্বের সকল মুসলিম প্রতি বছর এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন। মাহে রমজান, আস্-সালাম, স্বাগতম হে রমজান’ এসব বলে মুসলমানরা বরণ করে নেন রমজানকে। রমজান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সুপরিচিত এক নাম। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

হযরত আদম (আ.), নূহ (আ.), মূসা (আ.), দাউদ (আ.)সহ সমস্ত নবীর উপর এ মাসে রোজা ফরজ ছিল। এটা নতুন কোন বিষয় নয়। বাইবেলেও রোজা রাখার নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহর পক্ষ থেকে এ মাস সকল জাতির জন্য হাদিয়াস্বরূপ। এতে রয়েছে আনন্দের বার্তা, তাকওয়া অর্জনের উত্তম পন্থা, নেকীর প্রেরণা, পরের মঙ্গল কামনা, দান খয়রাত, তিলাওয়াত, তারাবিহ্, সাহরী, ই’তিকাফ, শবে কদর, ইফতার, দোয়া অগণিত ও অফুরন্ত নেয়ামতরাশি এবং কঠিন সাধনার মাধ্যমে ইসলাহে নাফস বা আত্মসংশোধনমূলক শিক্ষা।

কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, যে তার নাফসকে সংশোধন করতে পেরেছে সে সফলকাম হয়েছে। হাদীসে এসেছে, তোমাদের শরীরের ভিতরে একটা টুকরা রয়েছে। যখন ওই টুকরাটা ভাল থাকবে, তখন পুরো শরীর বা মানুষটাই ভাল থাকবে। যখন ওই টুকরাটা মন্দ হয়ে যাবে, তখন পুরো মানুষটাই মন্দ হয়ে যায়। জেনে রাখ, ইহা হলো ক্বালব। এগুলো সংশোধন করার একটা উপায় হলো, রোজা রাখা।

প্র্যাক্টিকেল ক্লাস বা বিশেষ ট্রেনিং নেয়ার মাধ্যমে ওই ক্বালব, নাফস বা আত্মাকে সংশোধন করতে হবে। এজন্যে বিশেষ করে আল্লাহ পাক যে সময় বা তারিখ দান করেছেন এর নাম মাহে রমজান। রমজানের প্রত্যেক সুবহি সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল বালেগ নারী-পুরুষ কোন কিছু না খেয়ে কোন প্রকার অশ্লীল বা মন্দ কাজে নিজেকে না জড়িয়ে মাওলাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে রোজা রাখার নিয়্যাতে সারা দিনমান উপবাস থাকাকে সাওম বলে। সাওমের বহুবচন হলো সিয়াম। এটা একটা সাধনার নাম। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে প্রকৃত রোজা রাখতে হলে বিশেষ সাধনা বা তপস্যা ব্যতিত আদৌ সম্ভব নয়। কারণ, যেদিকে তাকানো যায়, সেদিকেই অশ্লীল বেহায়াপনা, অনিয়ম আল গুনাহ। গুনাহ ভাইরাস বা ঈমানের জন্য ক্যানসারস্বরূপ। যা রোজাকে আক্রমণ করে এর এ্যাকশান নষ্ট করে দেয়। এসব থেকে বাঁচতে হলে সিয়াম সাধনার বিকল্প নেই।

এর প্রকৃত অর্থ হৃদয়াঙ্গম করতে হবে। খানা পিনা থেকে পেটকে বিরত রাখা পাশাপাশি মন্দ দেখা থেকে চোখকে, মন্দ শোনা থেকে কানকে, মন্দ চিন্তা থেকে মাথাকে এভাবে প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরঅবধি মুমিনকে মন্দ থেকে বিরত রাখার আমরণ সাধনা করে যেতে হবে। তাহলেই মাহে রমজানের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি বা এর মধ্যে থাকা ধনভান্ডার উদ্ধার করতে পারবে।

রমজানের ফজিলত সম্বন্ধে হুজুর (সা.) অনেক বাণী রেখে গেছেন। এক হাদীসে কুদসীতে নাবী কারীম (সা.) বলেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের সাওয়াব দশ গুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, কিন্তু রোজা ব্যতিত। কেননা, এটা আমার জন্য। আর এর পুরস্কার আমিই দিব। রোজার মাসকে শাহরুল্লাহ বা আল্লাহর মাস বলা হয়। অতএব, বুঝাই যাচ্ছে যে, এর গুরুত্ব কতটুকু।

তারাবীহের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে হুজুর (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তারাবীহের বিশ রাকায়াত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাকে প্রতি সিজদার পরিবর্তে ১ হাজার ৫শ নেকী দান করবেন। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির জন্য বেহেশতের মধ্যে লাল ইয়াকুত পাথর দিয়ে এমন একটি বাড়ি তৈরি করে দিবেন, যাতে ৬০ হাজার দরজা থাকবে এবং প্রত্যেক দরজায় লাল ইয়াকুতমন্ডিত একটি করে স্বর্ণের প্রাসাদ থাকবে। আরো যেসব হাদীসে হুজুর (সা.) বলে গেছেন শুনলে এসব নিয়ামতের প্রতি লোভ হয়। কিন্তু তা হাদসিলের জন্য আমল করতে যেন লোভ হয় না। এ রোগ থেকে আল্লাহ পাক আমাদেরকে সুস্থ্যতা দান করুন।

আজ এ রমজানে বিধর্মীদের কথা বলে হোটেল খোলা রেখে পর্দার আড়ালে যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। মানুষ মুখে যা বলছে তা করছে না। এই যে অমিল, এর কারণ কি? প্রকৃতপক্ষে যদি যথাযথভাবে সিয়াম সাধনা করা হতো তবে এমনটি হবার কথা নয়। কেন হচ্ছে? শিক্ষক, অফিসার বা যে কোন কর্মচারী তার পুরো ডিউটি না করে পুরো বেতন নিয়ে যাচ্ছেন, মাদরাসার সুপারের কাছে সুন্নাত পর্যুদস্ত হচ্ছে, দাঁড়ির উপর আযাব চলছে। আমল ঠিক নেই। তাহলে স্কুলের হেড মাস্টার কি করবেন? আর তাদের ছাত্রই বা কেমন হবে? কিছু সংখ্যক টাইটেল পাস প্রিন্সিপাল হুজুরদের নামাজ দেখে ভ্রাম্যমান স্কুলের ছাত্র অর্থাৎ তাবলীগ পাস অশিক্ষিত হুজুরদের কেবল হাসি পায়। দাওরা মাদরাসার মুহতামিম হয়েও রুকু থেকে সোজা না হয়ে সিজদায় চলে যায়। বড় মসজিদে ইমামতি করছেন কিন্তু ক্বিরাত সহীহ না।

দোয়ার আগে পরে দরুদ শরীফ পড়তে শোনা যায় না। পড়লেও দরুদ শুদ্ধ হয় না। এমন কেন হয়? এগুলো কি তাকওয়া বা রমজানের শিক্ষার পরিপন্থী নয়?  রমজানের প্রকৃত শিক্ষা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি বলেই এসব হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। আল্লাহ সব দেখেন, একথা মুখে স্বীকার করলেও কার্যত: মানা হচ্ছে না। রমজানের এ শিক্ষা যিনি নিয়েছেন তিনি কিভাবে এসব মন্দ কাজে জড়িত হন? অশিক্ষিত লোকেরা চেয়ে থাকেন শিক্ষিত বা আলিমের দিকে। কিন্তু তাদের এসব ভুল হলে কেমনে চলে? ছাত্রকে বলা হয় সিগারেট এনে দিতে। ডাক্তার চেম্বারে বসে ধুমপান করেন। টাখনুর নিচে প্যান্ট পরেন। এদের নিকট থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি আদর্শ শিখবেন? এগুলো রমজানের শিক্ষা নয়। আসলে আমরা রমজানের রোজা রাখছি ঠিকই কিন্তু এ থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না।

বলা হয়, এ মাস আসলে মুসলিম পরিবারগুলোতে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কিন্তু কেন? এর উত্তর হয়তো অনেকেরই জানা নেই। তবে মূল কারণ হালো, রমজান এমন এক মাস যা রোজাদারের গুনাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। এর প্রভাবে মালিকরা শ্রমিকদের কাজের চাপ কমিয়ে দেন।
মসজিদগুলোতে মুসল্লি বেড়ে যায়। ইফতারের সময় বিরাট আনন্দঘন পরিবেশের অবতারণা হয়। সর্বোপরি, গুনাহ ছারখার হয়ে যাওয়ার কারণে ওই রোজাদার ব্যক্তি ওলীতে পরিণত হয়ে যান। আর যে ওলী হয়ে গেল, তার সব হয়ে গেল। আমার মনে হয়, এটাও একটা কারণ। যাক, যার উসীলায় আমরা এসব পাচ্ছি তাকে নিশ্চয়ই কদর করা উচিৎ, তার দাবি পূরণ করা উচিৎ। করব, ইনশা-আল্লাহ। রমজানের দাবি পূরণ করতে হবে। মানুষ বলে, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। মূলত: কিছু দেয়ার মাধ্যমেই কিছু পাওয়ার অধিকার সৃষ্টি হয়। কাজেই আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে রমজানকে মূল্যায়ণ করব। রমজানের হক আদায় করব আমাদেরই স্বার্থে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

লেখক: খতীব, দিউ বায়তুস সালাম জামে মসজিদ, কলেজ রোড, ফুলপুর, ময়মনসিংহ।

11
ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে গতি কম? যা করবেন



অনলাইনে থাকার জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পাশাপাশি এখন অনেকেই হরেক রকম মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করেন। এদের একটি হলো ওয়াইফাই। এই ডিভাইসটি এখন বেশি জনপ্রিয়। তবে বিভিন্ন কারণে তা পুরোদমে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।  নিচে তাই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

রাউটার আপগ্রেড : পুরনো অনেক রাউটারই ধীরগতিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। আর এ সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রয়োজন দ্রুতগতির রাউটার। এক্ষেত্রে আপনার রাউটারের গতি দেখে নিন। এটি যদি আপনার ইন্টারনেটের লাইনের তুলনায় কম গতির হয় তাহলে রাউটার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে।

রাউটারের অবস্থান :  ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর সবচেয়ে কাছাকাছি স্থানে কোনো বাধা ছাড়া রাউটার রাখার চেষ্টা করুন। বাড়িতে বহু ভারি ফার্নিচার থাকলে সেগুলোর আড়ালে নয় বরং সেগুলোর উপরে রাউটার বসান। এতে বাধামুক্তভাবে রাউটার আপনার ডিভাইসগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে। এছাড়া বাড়ির এক প্রান্তে না রেখে তা বাড়ির মাঝামাঝি স্থানে বসানোই যুক্তিসঙ্গত।
চ্যানেল পরিবর্তন : আপনার রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি অন্য যন্ত্রপাতির ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে কনফ্লিক্ট করছে কি না, তা জেনে রাখুন। আপনার রাউটার যদি ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তাহলে তা কর্ডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ, ব্লুটুথ, সিসিটিভি ইত্যাদির সঙ্গে কনফ্লিক্টের সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে ৫ গিগাহার্জ কিংবা ভিন্ন কোনো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

বাধা এড়ান : রাউটারের সঙ্গে আপনার ডিভাইসের মাঝে দ্রুত যোগাযোগের পথে বহু জিনিসই বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এসব বাধার মধ্যে রয়েছে ধাতব দরজা, অ্যালুমিনিয়াম কাঠামো, ওয়াল ইনসুলেশন, পানির ট্যাংক বা অ্যাকুরিয়াম, আয়না, হ্যালোজেন লাইট, গ্লাস ও কংক্রিট। এ ধরনের বাধাগুলো যেখানে সবচেয়ে কম সেখানেই প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা রাউটার স্থাপন করুন।
সফটওয়্যার আপডেট : রাউটার ও ইন্টারনেট সরবরাহের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়মিত আপগ্রেড হয়। একটু খেয়াল রেখে রাউটার ও মোবাইল ডিভাইস বা পিসির সফটওয়্যার আপডেট করে নিলে ইন্টারনেটের ভালো গতি পাওয়া যেতে পারে।
এক্সটেন্ডার : নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য এক্সটেন্ডার পাওয়া যায়। আপনার ওয়াইফাই রাউটার থেকে দূরে কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এক্সটেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিবেশী : আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ কোনো প্রতিবেশী ব্যবহার করলে এতে আপনার ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। তাই প্রতিবেশীদের থেকে সাবধান। অবশ্য কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে একটি গতিশীল ইন্টারনেট নিয়ে তা শেয়ার করে ব্যবহার করাও একটি ভালো বুদ্ধি।

নিরাপত্তা বাড়ান : ওয়াইফাই ইন্টারনেটের জন্য WEP বাদ দিয়ে কিছুটা নিরাপদ WPA/WPA2 ব্যবহার করুন। এটি ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনও প্রয়োজনীয়।

গোপন রাখুন : ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে আপনার নাম ও ডিভাইসের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তার বদলে সাংকেতিক নাম ও অত্যন্ত গোপনীয় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

টিন ফয়েল ব্যবহার করুন : ওয়াইফাই রাউটারের অ্যান্টেনার বাইরে ডিশ অ্যান্টেনার মতো বা অন্য কোনো উপায়ে টিনের ফয়েল ব্যবহার করে সিগন্যাল বাড়ানো সম্ভব। অন্য উপায়গুলো কাজ না করলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

12
হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার



হজমশক্তি কমে গেলে দেহে পুষ্টির অভাবে বাসা বাঁধা শুরু করে নানা ধরণের রোগ। এমনকি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ওজনও। তাই আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখা এবং হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।

এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে দেহ সুস্থ রাখবে-

আদা হজমের শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। আদায় রয়েছে ‘জিনজারোলস’ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকক্রিয়া দ্রুত করে। সকালে এক কাপ আদা চা এবং রান্নায় আদার ব্যবহার কিংবা কাঁচা আদা খাওয়া পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।

রসুন দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোন ধরণের ঠাণ্ডা কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুন দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।

দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা দেহের ফ্যাটি এসিড হজম করতে সাহায্য করে। এবং এটি আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী।

13
নাস্তার আগে রসুন খাওয়ার উপকারিতা



রসুনের প্রাকৃতিক গুণের কথা কমবেশি আমাদের সবারই জানা। রসুন যে মানব স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি তা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তবে অনেকেই এটি খেতে পারেন না বা খেতে অস্বস্তি অনুভব করেন। বলা হয়ে থাকে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে রসুন বিশেষ করে কাঁচা রসুন গ্রহণ বেশ উপকারি। তবে অনেকেই খালি পেটে খেতে পারেন না।

যেভাবে খাবেন : 
খালি পেটে রসুন খেতে হবে সকালের নাস্তার করার আগেই। অনেকে চিবিয়ে খেতে পারেন না কারণ রসুলের এক ধরনের কড়া ঝাঁঝ আছে। সেক্ষেত্রে পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। তবে রসুন চিবিয়ে খাওয়াটাই উত্তম।

রসুনের উপকারিতা :
রসুন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। গবেষকদের মত, খালি পেটে রসুন গ্রহণ হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। পেটে হজমের সমস্যা থাকলে তাও দূর করে। এছাড়া এটি স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা  দূরীকরণে, পেটের অন্যান্য গণ্ডগোলজনিত অসুখ যেমন ডায়রিয়া সারাতে, শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করণে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতে ভূমিকা রাখরসুন পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে। খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে কাজ করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। এটি হজম ও ক্ষুদা বাড়াতে সাহায্য করে।

অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে রসুন। গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে। সকালে খাবারের আগে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন। রসুন খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়।

14
স্মার্টফোন গরম হয় কেন? জেনে নিন সমাধান



বর্তমান এই প্রযুক্তিনির্ভর যুগে প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে স্মার্টফোনের অন্যতম একটি সমস্যা হলো- ব্যবহারের মাঝখানে খুবই গরম হয়ে যায়। স্মার্টফোন গরম হওয়ার বেশ কিছু কারণও আছে। তবে অতিরিক্ত গরম বিপদের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হবার কারণ এবং সমাধান জানা দরকার।

ব্যাটারি:
মোবাইল কম্পানিগুলো বর্তমানে স্মার্টফোন দিন দিন পাতলা করছে। তবে তার তুলনায় ব্যাটারির প্রযুক্তি তেমন উন্নত হয়নি। ব্যাটারি যত বেশি দুর্বল হবে ফোন তত বেশি তাপ উৎপন্ন  করবে। ব্যাটারি চার্জ নেওয়ার সময় অথবা ডিচার্জ হওয়ার সময়েও ফোন বেশি গরম হয়ে থাকে।

কি পরিমান গরম হওয়া স্বাভাবিক:
আপনার ফোন কম দামি বলে বেশি গরম হয়, তা ঠিক নয়। স্বাভাবিকভাবে স্মার্টফোন ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বাই মোডেও যদি ফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয় তবে বুঝবেন আপনর ফোনে সমস্যা আছে।

দুর্বল নেটওয়ার্ক:
ফোন গরম হওয়ার আরেকটি করণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক। আপনার ফোনে যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকে তখন সিগনাল যায় আর আসে। আবার ওয়াইফাই ব্যবহারে সিগন্যালের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য ফোনে বেশি চাপ পরে, যার ফলে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে।

প্রসেসর:
স্মার্টফোন গরম হওয়ার একটি করণ হচ্ছে প্রসেসর গরম হওয়া। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্টফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর এমন একটি ডিভাইস যা সবসময় কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই করেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন দিয়ে প্রসেসর তৈরী হয়ে থাকে। প্রসেসর স্মার্টফোনের বডির সাথে লাগানো থাকে যার ফলে তাপ অনুভব হয়।

স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তির উপায়:
সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ফোনে যেন চার্জ থাকে। একসাথে বেশি অ্যাপস চালু করে রাখবেন না। ফোনের অতিরিক্ত অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি জায়গা নিয়ে নিচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করলে বা ফোনে অতিরিক্ত গেমস খেললে গরম হয় এটা একেবারেই ঠিক নয়।

র‌্যাম ও ক্যাশ মেমোরি সবসময় পরিস্কার রাখুন।  অপ্রয়োজনীয় ম্যাসেজ ডিলিট করুন। ফোনে কোন অ্যানিমিশন চালু থাকলে বন্ধ করুন। ফোনে এমন কভার ব্যবহার করুন যেন কভারটি চামরার হয়। বাহিরের তাপে যেন ফোন গরম না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

সবসময় ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি, সবসময় ডেটা চালু করে রাখা উচিত নয়।

15
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন? তাহলে সাবধান



ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের এতটাই চাহিদা যে রেলস্টেশন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বহু রেস্তোরাঁ এমনকি বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থাও গ্রাহক টানতে এখন এর দ্বারস্থ হয়েছে। যার ফলে, এই সব স্থানে গেলে কোন পাসওয়ার্ড ছাড়াই বিনামূল্যে ‘ওয়াইফাই’ কানেক্ট করা যায়।

এসব ‘ওয়াইফাই’ নেটওয়ার্কের জন্য একটি ‘হটস্পট’ মেশিন লাগে। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় এই ‘হটস্পট’ মেশিনের ভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে, এই ‘হটস্পট’-এর সঙ্গে সংযোগ থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপেও সেই ভাইরাস ঢুকে যায়। এরমধ্যে এমন কিছু ভাইরাস থাকে যাদের কাজ হলো ডিভাইসের ভিতর থেকে যাবতীয় তথ্য বের করে হ্যাকারকে পাঠিয়ে দেওয়া।

অনেক সময় পাবলিক ‘ওয়াইফাই’ জোনে নানা সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো থাকে। যাতে এই ‘ওয়াইফাই’ জোনে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপগুলোকে সাবধানে ব্যবহার করার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই মানুষ এইসব সাইনবোর্ডকে পাত্তা দেয়না।

‘ফ্রি ওয়াইফাই’ জোনে একজনের স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর ‘ডেটা কমিউনিকেশন’ পড়ে ফেলতে পারে অন্য কেউ। এছাড়াও, কোনভাবে হ্যাকাররা যদি মোবাইলে থাকা ব্যাংকিং ডিটেলস, যেমন অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ডেবিট কার্ড নম্বর, পিন নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, পিন নম্বর পেয়ে যায়, তাহলে নিঃস্ব হতে পারে ব্যবহারকারী।

এইসব ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ কানেকশনে কোন পাসওয়ার্ড তো থাকেই না, এমনকি এর রাউটারও অত্যন্ত নিম্নমানের হয়। ফলে, ‘ফ্রি ওয়াইফাই’-এ কানেক্ট হওয়া স্মার্টফোন খুব সহজেই হ্যাক করা যায়।

তাই, সুরক্ষিত ‘ওয়াই-ফাই জোন’ ছাড়া কোথাও মোবাইল বা ল্যাপটপ কানেক্ট না করতেই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Pages: [1] 2 3 ... 44