Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - cmtanvir

Pages: 1 [2] 3 4 5
16
  বাংলাদেশের আর্থিক অঞ্চলভুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য লন্ডনভিত্তিক বিখ্যাত অর্থনৈতিক পত্রিকা ইউরো মানির ইমার্জিং মার্কেটের পক্ষ থেকে  এ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

১০ অক্টোবর শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১১ অক্টোবর রোববার পেরুর রাজধানী লিমার শেরাটন হোটেলে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভা উপলক্ষে লিমায় উপস্থিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও অন্যান্য প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

17
 সরকার, রাষ্ট্র তোমাকে কী দিল, কী পেলে, সেই হিসাব না করে, উদ্যোক্তা হয়ে নিজে কিছু করো।’ এভাবেই গতকাল শনিবার যশোরে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ ব্রিটিশ উদ্যোক্তা সাবিরুল ইসলাম।
Sabbirবিশ্বজোড়া খ্যাতি পাওয়া সাবিরুল তাঁর ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়ন’ কর্মসূচি নিয়ে ছুটছেন দেশে দেশে। তাঁর লক্ষ্য, ১০ লাখ তরুণকে উদ্বুদ্ধ করা। এর অংশ হিসেবেই এসেছিলেন যশোরে। গতকাল দুপুরে জেলা শহরের বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তৃতা দেন সাবিরুল। অনুষ্ঠানে দেশের ৪৪ জেলার তিন শর বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাবিরুল বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমাদের একধরনের প্রতিযোগিতা শেখানো হয়। কে কার চেয়ে ভালো ফল করল, কে কার চেয়ে বেশি ভালো চাকরি পেল। কিন্তু এগুলো কোনো জীবন হতে পারে না। আমি বলছি না যে চাকরি খারাপ। কিন্তু মূল কথা হলো, উদ্যোক্তা হতে হবে। আমাদের বাবা-মা চান, ছেলেমেয়েরা ভালো চাকরি করবে। নিজে কিছু করবে, এটা তাঁরা ভাবতে পারেন না।’ বিদেশে যাওয়ার প্রবণতার বিষয়ে সাবিরুল বলেন, ‘সবাই উন্নত দেশে যেতে চায়। কিন্তু আমি বাংলাদেশেই ভবিষ্যতের সব সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এ দেশের সঙ্গে আমার শিকড়ের সম্পর্ক। আমার পূর্বপুরুষের দেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারার মতো আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। নিজের লেখা বই এবং বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনাই আমার স্বপ্ন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিসিএমসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আশরাফুল কবির।

18
Jokes / Self Assessment.
« on: October 10, 2015, 04:55:23 PM »
একদিন ছেলেটি পড়ার ঔষধ দোকানে গিয়ে একটি বাক্স টেনে আনল দোকানের টেলিফোনটি নাগাল পাওয়ার জন্য। তারপর সে বাক্সটির উপর উঠে দাঁড়াল এবং টেলিফোনটি হাতে নিয়ে একটি নাম্বারে ডায়াল করল। দোকানদার ঘটনাটি লক্ষ্য করল এবং কথোপকথনটি শোনার চেষ্টা করলঃ
- ছেলেঃ জনাবা, আপনি কি আমাকে আপনার বাগানের ঘাস কাটার কাজটি দিতে পারবেন?
- - মহিলাঃ (ফোনের অন্য পাশ থেকে) ইতোমধ্যে বাগানের ঘাস কাটার জন্য একজন কর্মচারী আছে।
- ছেলেঃ জনাবা, যে এখন আপনার বাগানের ঘাস কাটে আমি তার চেয়ে অর্ধেক দামে কেটে দিব।
- - মহিলাঃ যে এখন আমার বাগানের ঘাস কাটে, আমি তার কাজে খুবই সন্তুষ্ট।
- ছেলেঃ (আরও বেশি আন্তরিকতার সাথে) জনাবা, আমি আপনার উঠান এবং বাড়ির চারপাশও ঝাড়ু দিয়ে দিব। ফলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন আপনি সবচেয়ে গোছানো বাড়িটি পাবেন।
- - মহিলাঃ থাক, ধন্যবাদ।
মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে ছেলেটি টেলিফোন নামিয়ে রাখল। দোকানমালিক, যিনি ঘটনাটি দেখছিলেন, তাড়াতাড়ি ছেলেটির কাছে ছুটে গেলেন।
- দোকানমালিকঃ বাবা, তোমার দৃষ্টিভঙ্গী আমার খুব পছন্দ হয়েছে; তোমার ইতিবাচক মনোভাব আমার ভাল লেগেছে এবং আমি তোমাকে একটি কাজ দিতে চাই।
- - ছেলেঃ থাক, ধন্যবাদ।
- দোকানমালিকঃ কিন্তু তুমি তো চাকরিটি পাওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করছিলে।
- - ছেলেঃ না জনাব, আমি শুধু আমার কাজর কতটা ভাল হচ্ছে তা মূল্যায়ণ করছিলাম। আমিই সে লোক যে ঐ মহিলার বাগানে কাজ করি।
এটাকেই বলা হয় আত্মমূল্যায়ণ, যা আপনাকে আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে উৎসাহিত করে এবং আপনার দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দেয়।

19
পানির অপর নাম জীবন। তবে ইদানিং এই অতি প্রযোজনীয় জিনিসটিতে মেশানো হচ্ছে ভয়ংকর সব রাসায়নিক দ্রব। কখনো কখনো সিনতাইকারীরা বোতলের পানির মধ্যে মিশিয়ে দিচ্ছে মারাত্বক ওষুধ। যা পান করার পর আপনি হয়তো কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে যেতে পারেন। তাই পানি কেনার আগে বা পানের আগে বোতলের গায়ে কী লেখা আছে তা একবার দেখে নিন। কিংবা কী আছে আসলে এই পানির ভেতরে। ভাবছেন পানির বোতল কিনতে দেখে নিতে হবে কি লেখা আছে।

তবে এখন থেকে পানির বোতল কেনার আগে কিছু বিষয় দেখে নেয়ার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেছে লিভিং ট্র্যাডিশনালি নামের একটি ওয়েবসাইট। সেখানে বলা হয়েছে, প্লাস্টিকের বোতলের গায়ে এইচডিপি (HDP), এইচডিপিই (HDPE), পিপিসহ (PP) বিভিন্ন বর্ণ লেখা থাকে। এই বর্ণগুলো দ্বারা বোঝানো হয় যে, এই পানির ভেতরে কিছু রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক পানি বাজারজাতকারী কোম্পানিকে বোতলের গায়ে এসব বিষয় লিখে জানাতে হয়।

এখন দেখে নিন বোতলের গায়ে লেখা থাকা সাংকেতিক বর্ণ বা শব্দগুলোর অর্থ কী। তাহলে পরের বার পানির বোতল কেনার সময় নিজেই বুঝতে পারবেন পানিতে কী কী আছে বা থাকতে পারে।

১। পিইটি বা পিইটিই (PET or PETE)

এই শব্দ বা বর্ণ লেখা থাকলে বুঝতে হবে এটি একবার ব্যবহারযোগ্য বোতল। অর্থাৎ পানি পানের পর বোতলটি ফেলে দিতে হবে বা নষ্ট করে ফেলতে হবে। কারণ এই ধরনের বোতল থেকে পরবর্তী সময়ে ভারী ধাতু এবং রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হতে পারে যা মানুষের শরীরের হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করতে পারে।

পিইটি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য বাজারজাতকরণের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্লাস্টিক। বেশির ভাগ পানির বোতলই এই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়।এটি একবার ব্যবহারের মতো করেই বানানো হয়। কারণ এগুলো বারবার ব্যবহারের ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে। এই ধরনের বোতল বিশুদ্ধ করা খুবই কঠিন এবং ঠিকমতো পরিষ্কার করতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করতে হয়।

২। এইচডিপি বা এইচডিপিই (HDP or HDPE)

যেসব বোতলের গায়ে এই বর্ণগুলো লেখা থাকে সেগুলো কার্যত কোনো রাসায়নিক পদার্থ নির্গমন করে না। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত এই ধরনের বোতলে বাজারজাত করা পানি কেনার পরামর্শ দেন। কারণ এগুলোকে বাজারের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানি বলে মনে করা হয়।

এইচডিপিই প্লাস্টিক দিয়ে সাধারণত দুধের বোতল, ডিটারজেন্টের বোতল বা তেলের বোতল তৈরি করা হয়। এ ছাড়া খেলনা ও প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরিতেও এইচডিপিই ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের প্লাস্টিক সহজেই পুনর্ব্যবহার করে কাজে লাগানো যায় এবং ব্যবহারের জন্যও সবচেয়ে নিরাপদ। এছাড়া সবচেয়ে কম খরচে এই ধরনের প্লাস্টিক পুনপ্রক্রিয়াজাত করে দ্বিতীয়বার ব্যবহার উপযোগী সামগ্রী তৈরি করা যায়।

৩। পিভিসি বা থ্রিভি (PVC or 3V)

এই ধরনের প্লাস্টিক থেকে দুই ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের হয় যা শরীরের হরমোনের ক্ষতি করতে পারে।

পিভিসি হলো এক ধরনের নরম, নমনীয় ধরনের প্লাস্টিক যা দিয়ে খাবার ঢাকার জন্য স্বচ্ছ পাতলা র্যাপিং শিট তৈরি হয়। এছাড়া ভোজ্য তেলের বোতল, শিশুর খেলনাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বাজারজাত করার বাক্স তৈরি করা হয়। বিশেষত কম্পিউটারের তার, প্লাস্টিক পাইপ ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে পিভিসি ব্যবহার করা হয়। সূর্যের আলো প্রতিরোধী হওয়ায় জানালার ফ্রেমসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয় এই প্লাস্টিক দিয়ে।

৪। এলডিপিই (LDPE)

এই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে বোতল তৈরি করা হয় না। তবে প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরি করা হয়ে থাকে। যদিও পানিতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ এই প্লাস্টিক ছড়ায় না।

 ddd
এলডিপিই দিয়ে সাধারণত ড্রাই ক্লিন করার জন্য ব্যাগ, সংকোচিত করা হয় এমনবোতল ও পাউরুটি বাজারজাতকরণের ব্যাগ তৈরি করা হয়। আজকাল বিভিন্ন মুদিরদোকানে বাজার সদাই রাখার জন্য যেসব ব্যাগ ব্যবহার করা হয় তা এই ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি।

৫। পিপি (PP)

এই ধরনের আধা স্বচ্ছ ও সাদা রঙের প্লাস্টিক দিয়ে বিভিন্ন রকমের সিরাপ ওদই বাজারজাত করার পাত্র তৈরি করা হয়।পলিপ্রোপাইলিন ধরনের প্লাস্টিক খুব শক্ত ও হালকা ওজনের হয়।

এর রয়েছে তাপ প্রতিরোধের চমৎকার ক্ষমতা। আদ্রতা রক্ষায় এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন শুকনা খাবারের বাক্সের ভেতরে এই ধরনের প্লাস্টিকের আস্তরণ দেয়া থাকে।

এতে বাইরের আদ্রতা থেকে খাবারটি মুক্ত থাকে।ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া যায় এমন ডায়াপার, প্লাস্টিকের বোতলের ঢাকনা, মার্জারিন ও দইয়ের পাত্র, আলুর চিপসের প্যাকেট, পানীয় পানের পাইপসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে এই প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।

৬। পিএস (PS)সাধারণত কফি খাওয়ার কাপ ও বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড খাবার বাজারজাত করতে এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের প্লাস্টিক কিছু ক্যান্সারের জন্য দায়ী পদার্থ নির্গমন করে।

20
Fruit / স্টিকার মারা ফল এর অর্থ
« on: October 10, 2015, 04:31:07 PM »
প্রতিদিন আমরা যা কিছু কিনে খাই, সব কিছুই যে ভেজালমুক্ত কিনা সেটা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বাংলাব্লগ সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে খুঁজে বের করেছে আমাদের দৈনন্দিন ভক্ষনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ফলের উপর স্টিকারগুলোর মানে। যাতে সবাই অন্তত স্টিকার মারা ফল এর উৎস বা উৎপাদন সম্পর্কে তথ্য পায়। সুপারমার্কেট বা কোনও ফলপট্টি থেকে আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি বা অন্য যে কোনও ফল কেনার সময় নিশ্চয় খেয়াল করেছেন ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে। কোন কিছু না ভেবেই, খুব ভালো বলে ধরে নিয়ে অনেক সময় বেশি দাম দিয়েও কিনে ফেলেন। ফলের গায়ে মারা স্টিকারে কী লেখা থাকে, ভালো করে দেখেছেন কখনও? বা যদি দেখেও থাকেন, তাহলে এর মানেটা কি বুঝতে পেরেছেন?


বাংলাব্লগ এর সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে কিছু তথ্য বের হয়ে এসেছে। তাহলে স্টিকারের মানেগুলো এখান থেকে বুঝে নিনঃ

১. স্টিকারে যদি দেখেন ৪ সংখ্যার কোড নম্বর রয়েছে এবং সেটা শুরু হচ্ছে ৩ বা ৪ দিয়ে, এর মানে হল, কোনও ফার্মে ওই প্রোডাক্টির চাষ হচ্ছে বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। যার অর্থ, কৃত্রিম সারে ব্যবহারের মাধ্যমেই চাষ হয়েছে।

২. যদি কোনও ফলের গায়ে ৫ সংখ্যার কোড দেওয়া স্টিকার দেখেন, যার শুরুটা ৯ দিয়ে, অর্থ, চিরাচরিত প্রথাতেই চাষ হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগেও যে ভাবে চাষ হত, সে ভাবেই। মানে, কোন রকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক দেওয়া হয় না। সম্পূর্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে, জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে চাষ হয়।

৩. স্টিকারে যদি ৫ ডিজিট কোড থাকে এবং শুরুটা ৮ সংখ্যা দিয়ে হয়, তার মানে ওই ফলটি  বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। সোজা বাংলায় এটা হাইব্রিড ফল। তবে রাসায়নিক সার দিয়েই সচরাচর এই হাইব্রিড ফলগুলোর চাষ হয়।
এটা পড়ে নিশ্চিত স্টিকার ভালো করে না-দেখে আর ফল কিনবেন না। তবে একটা কথা। অনেকেই মনে করেন এত দেখা দেখি করে ফল কেনা সম্ভব নয়। অনেকে মনে মনে এটা মেনেই নিয়েছেন, আল্লাহর নাম নিয়ে যা খাচ্ছি তাতেই শুকরিয়া। তবে সেক্ষেত্রে মুক্তমঞ্চ.কম আপনাদের জন্য সুন্দর একটি পরামর্শ প্রদান করবে। সেটা হলো যখন ফল কিনে খাবেনই, সেক্ষেত্রে ফলটা বাসায় নিয়ে বালতির ভেতরে কমপক্ষে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে অন্তত উপরে ব্যবহৃত কোন রাসায়নিক থাকলে সেটা পানির সাথে মিশে তলানিতে জমা হবে। নিরাপদে ফল খেতে পারবেন।

21
হযরত উমর (রা.) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং প্রধান সাহাবীদের অন্যতম। আবু বকরের মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নেন। উমর ইসলামি আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে আল ফারুক (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেয়া হয়। আমিরুল মুমিনিন উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে তাকেই প্রথম উমর হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০ হিজরি সনে দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.)-এর শাসনামলে বিখ্যাত সাহাবি আমর ইবনুল ‘আছ (রা.)-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুললেন,

হে আমীর! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোনো এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। অতঃপর তার পিতা-মাতাকে রাজি করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোষাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব।

আমর ইবনুল আছ তাদেরকে বললেন, ইসলামে এ কাজের কোনো অনুমোদন নেই। কেননা ইসলাম প্রাচীন সব জাহেলী রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দেয়। অতঃপর তারা পর পর তিন মাস পানির অপেক্ষায় কাটিয়েদিল। কিন্তু নীলনদের পানিতে হ্রাস-বৃদ্ধি কিছুই পরিলক্ষিত হ’ল না। অতঃপর সেখানকার অধিবাসীরা দেশত্যাগের কথা চিন্তা করতে লাগল। এ দুর্যোগময় অবস্থা দৃষ্টে সেনাপতি আমর ইবনুল আছ খলীফা উমর (রা.)-এর নিকটে পত্র প্রেরণ করলেন।

উত্তরে ওমর (রা.) লিখলেন, হে আমর! তুমি যা করেছ ঠিকই করেছ। আমি এ পত্রের মাঝে একটি পৃষ্ঠা প্রেরণ করলাম, যা তুমি নীলনদে নিক্ষেপ করবে।’ ওমরের পত্র যখন আমরের নিকটে পৌঁছাল, তখন তিনি পত্রটি খুলে তাতে এ বাক্যগুলি লিখিত দেখলেন, ‘আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন উমর-এর পক্ষ থেকে মিসরের নীলনদের প্রতি। যদি তুমি নিজে নিজেই প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে প্রবাহিত হয়ো না। আর যদি একক সত্তা, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তোমাকে প্রবাহিত করান, তবে আমরা আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত করেন।’

অতঃপর আমর (রা.) পত্রটি নীলনদে নিক্ষেপ করলেন। পর দিন শনিবার সকালে মিসরবাসী দেখল, আল্লাহ তা‘আলা এক রাত্রে নীলনদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। তারপর থেকে আজও পর্যন্ত নীলনদ প্রবাহিতই রয়েছে। কখনো শুষ্ক হয়নি। (সূত্র : আল-বিদায়াহ ৭/১০০; তারীখু দিমাশক ৪৪/৩৩৭; তাবাকাতুশ শাফিয়া আল-কুবরা ২/৩২৬)।

22
একটি গাছের শেকড় যেমনটি তার পত্র পল্লবে ছড়িয়ে দেয় প্রাণ, শক্তি ও সৌন্দর্য; ঠিক তেমনি মানবদেহে রক্ষিত হৃদয় থেকে উৎসারিত শক্তিতেই পরিচালিত হয় তার চোখ, কান, হাত-পাসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। মানুষের হৃদয়গভীরে যখন হিংস্রতা বাসা বেঁধে ঠিকানা গড়ে তোলে, তখনই মানুষের হাত পা ও অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গ লিপ্ত হয় হিংস্রতায়। এমনই হাজারো হিংস্র হৃদয়ের মানুষের বসবাস ছিল আরবের মরুর বুকে। সেই সব ডাকাত লুটেরা ও হিংস্র মানুষদের ভিড়ে শান্তির সুবাতাস বয়ে দেয়ার লক্ষ্যে প্রেরিত হলেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম। তিনি এলেন এবং হিংস্র হৃদয়গুলোর প্রতি আদরে ছুঁড়ে মারলেন শান্তির বাণী, সম্প্রীতির বাণী। প্রতিমুহূর্তে তিনি বাধাগ্রস্থ হলেন, তবুও তিনি থামলেন না। ছড়াতে থাকলেন সুবাস। হিংস্র হৃদয়ের দু’চারজনকে সত্যের পথে আনতে সক্ষম হলেন। তাদেরকে কালেমা পড়ালেন। এর পরেই নির্দেশ দিলেন ‘ তোমরা নামায আদায় করো’।

একি? নামাযে দাঁড়িয়ে হিংস্র মানবদের দানবীয় মনটা যেন গলিত মোমের ন্যায় বিগলিত হতে আরম্ভ করলো। ক্ষিপ্রমান মানুষগুলোর এ  কী হলো? তারা অঝোরে কাঁদছে কেন? ওরা অনুতপ্ত হতে আরম্ভ করলো। নামায ওদের বদলে দিতে সক্ষম হলো। এভাবেই মানুষ যখন নামাযে দাঁড়িয়ে তার তনুমন মহান প্রভুর দরবারে অবনত করে, তখন আরশ থেকে তার হৃদয়ে চুয়ে চুয়ে পড়ে শান্তির ফোটা ফোটা অমীয় সুধা।

নবীজির সা.-এর দাওয়াতের ধারাবাহিকতা ও প্রচেষ্টায় যারাই ইসলামের ছায়াতলে এলো, বিশ্বনবী সা. তাকে কালেমা পড়ালেন এবং সর্বপ্রথম নির্দেশ দিলেন নামাযের।
ইরশাদ হচ্ছে, ‘ নিশ্চয় নামায মানুষকে অন্যায় ও অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। অবশ্যই আল্লাহর যিকিরই উত্তম কাজ’।  – সূরা আনকাবুত: ৪৫।

এভাবে দলে দলে অমানুষেরা ইসলামের ছায়াতলে অবস্থান নিল এবং নামাযের মাধ্যমে নিজেকে মহান প্রভুর সামনে বিলীন করে দিয়ে হৃদয়ে সমাগম ঘটালো ঝলমলে তারার। লুটেরা আরবেরা হয়ে উঠলো বিশ্ব শান্তির প্রতিক। ধীরে ধীরে আরবের পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সব সন্মানিত মানুষেরা ছড়িয়ে পড়লেন দুনিয়াজুড়ে। শান্তির পসড়া সাজিয়ে তারা যেখানেই বসে পড়লেন সেখানেই গড়ে উঠলো ঐতিহাসিক মসজিদ। গড়ে উঠলো নামাযের বিশাল বিশাল জামাত। বিশ্বের তাবৎ মানুষেরা ছুটে আসতে আরম্ভ করলেন সেই জামাতে শরীক হওয়ার অভিপ্রায়ে। কারণ, বিশ্ব মানবতা চেয়ে চেয়ে দেখেছে হৃদয়ের প্রশান্তি এই নামাযের কাতারে বিদ্যমান। আজো বিদ্যমান সেই ছুটে চলা। শান্তির পাণে। নামাযের পথে।
চলুন, আমরাও ছুটে চলি সেই জামাতে। শান্তির হাতছানি পেতে। কাতারে কাতারে।
লেখক: মুফতী সালাহুদ্দীন মাসউদ:

23
ইসলাম মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম মনে করে, রাগ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায়া খারাপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই রাগান্বিত অবস্থায় ক্ষমা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকার পরও প্রতিশোধ না নেয় এবং ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তার এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

রাগ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এক সাহাবি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অল্প কথায় কিছু নসিহত করুন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। সাহাবি কয়েকবার বললেন, আরও নসিহত করুন। প্রত্যেকবারই রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। -বোখারি শরীফ

সাধারণত কোনো কারণ ছাড়া মানুষ ক্রুদ্ধ হয় না। এর মধ্যে কোনো কোনো কারণ গ্রহণযোগ্য, আবার কোনো কোনোটি অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। ব্যর্থতা, অযৌক্তিক প্রত্যাশা, হিংসা-বিদ্বেষ ও অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানোর মতো কিছু অভ্যাস ও ঘটনার পাশাপাশি অবিচার, জুলুম ও দারিদ্রের মতো সামাজিক অসঙ্গতিগুলো মানুষের রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে রাগ প্রকাশের ধরনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কিছু লোক আছে, একজনের ওপর রাগ পুষে রেখে অন্যের ওপর তার প্রকাশ ঘটায়। অনেকে আবার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ কেউ আছেন, শত অন্যায়ের পরও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান না। এ ধরনের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ভালো নয়। তবে যারা রাগকে কৌশলে সংবরণ করে সেই শক্তিকে ভালো কাজে লাগাতে পারেন, তারাই প্রকৃত সফলকাম।

বস্তুত রাগ মানুষের জীবনকে সহজেই বিষাক্ত করে তুলতে পারে। রাগের মাথায় এমন সব কাজ ঘটে যাতে পারে- যা ব্যক্তি, সমাজ তথা গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই রাগ হলে আলেমরা ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শোয়ে পড়ে।’ -তিরমিজি
আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুন নেভাতে লাগে পানি। তাই যখন তোমরা রেগে যাবে, তখন অজু করে নেবে।’ আর মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

24
English / Re: Learn a word every day
« on: October 10, 2015, 01:32:09 PM »
thanks

25
English / Re: Svetlana Alexievich wins 2015 Nobel prize in literature
« on: October 10, 2015, 01:29:42 PM »
it is infotmative,thanks for sharing.

26
আমাদের সকলের স্ট্রেস হবার অনেক কারণ জানা রয়েছে। কোন কিছু নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করলে মূলত আমাদের মাঝে চাপের সৃষ্টি হয়। যা প্রথমে আমাদের রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করে। এই চাপ সৃষ্টি হবার পেছনে বিভিন্ন ধরণের কারণ থাকতে পারে। কিন্তু কিছু বিস্ময়কর কারণ রয়েছে যা হয়ত আমাদের অজানা। আসুন সে সকল অজানা কারণ নিয়েই আজ আলোচনা করা যাক-
১. শব্দ দূষণ:
অতিরিক্ত আওয়াজের মাঝে থাকলে যে কেউ অস্বস্তিকর বোধ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের গবেষণায় পাওয়া গেছে আপনি যদি অতিরিক্ত আওয়াজের মাঝে প্রতিদিন আপনার সময় অতিবাহিত করেন তাহলে তা স্ট্রেসের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। এতে হার্টের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. বন্ধু:
বন্ধুদের কারণে আমাদের শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক সকল দিকে প্রভাব পড়ে। তাদের সাথে আমাদের অনেক অনুভব জড়িয়ে থাকে। অনেক সময় কারণে-অকারণে তাদের নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় স্ট্রেসের সৃষ্টি হয়।
৩. ইন্টারনেট সার্ফিং এবং ঘুমানোর সময় ম্যাসেজিং:
দীর্ঘক্ষণ কোন কাজ করলেই তা স্ট্রেসের সৃষ্টি করতে পারে। ঘুমাতে যাবার অন্তত ১ ঘণ্টা পূর্বে সকল গেজেট অফ করে রাখা উচিৎ। এতে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সকল ধরণের সমস্যা থেকে আপনি মুক্ত থাকবেন।
৪. ঘুমের অভাব:
যথেষ্ট ঘুমের জন্য যদি আপনার নিজেকে জোর করতে হয় তাহলে স্ট্রেসের এটি একটি কারণ হতে পারে। ডাক্তারদের মতে আমাদের প্রতিদিন সর্বনিম্ন সাত থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমানো উচিৎ। এতে আপনার মনের উদ্বেগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে।
৫. যথেষ্ট চর্চা না করা:
আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ ব্যায়াম যদি না করেন তাহলে এটা ব্যাপকভাবে আপনার ক্ষতি করতে পারে। এতে আপনার শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে যা পরবর্তীতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি সম্ভব হয়, তাহলে একটি দৈনিক ভিত্তিতে সকালে ও প্রতি সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যায়াম করার সময় খুঁজে নিন।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

27
ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন বাধার সৃষ্টি হলে অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় ক্ষতি হলে ব্রেইন স্ট্রোক হয়। ব্রেইন স্ট্রোক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই রক্তক্ষরণ সাধারণত ইস্কিমিয়া ব্লকেজ অর্থাৎ রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণে হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, স্থুলতা, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে কোন বাধার সৃষ্টি হলেই মূলত ব্রেইন স্ট্রোক হয়। তবে এর কিছু সতর্কতা সংকেত রয়েছে।
১. মুখ বেকে যাওয়া:
রোগীর মুখের এক পাশে যদি অসাড়তা অনুভব করে অথবা রোগীর মুখের এক পাশ যদি বেকে যায়, তাহলে তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সে সময় রোগীকে হাসতে বলবেন। যদি সে হাসতে না পারে, তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ব্রেইন স্ট্রোক এর প্রধান লক্ষণ মুখ বেকে যাওয়া এবং হাসতে না পারা।

২. হাতে দুর্বলতা:
একজন স্ট্রোকের রোগীর এক হাত অথবা উভয় হাত অবশ বা দুর্বলতা অনুভব করে। যা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। আপনি স্ট্রোকের রোগীকে হাত উপরে উঠানোর জন্য অনুরোধ করুন। সে তার হাত উপরে উঠাতে পারবেন না। উপর দিকে উঠাতে নিলে তার হাত নিচের দিকে নেমে আসবে।

৩. কথা বলতে অসুবিধা:
একজন স্ট্রোকের রোগী ঠিকমত কথা বলতে পারবে না। তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য একই প্রশ্ন বারবার করুন। দেখবেন তারা সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। তারা একই প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর দিবে।

৪. ভারসাম্য ঠিক থাকবে না:
একজন স্ট্রোকের রোগী তাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন না। তারা চলাচলের সময় সমন্বয়ের অভাব অনুভব করে। তারা বিভিন্ন অসুবিধায় ভুগতে থাকে।

৫. মাথায় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করা:
কোন কারণ ছাড়াই হটাৎ প্রচণ্ড মাথা ব্যাথার অনুভব হতে পারে। সাধারণত এটি হেমোরেজিক স্ট্রোকের প্রতি ইঙ্গিত করে।

৬. স্বল্পমেয়াদী মেমরি
৭. কালো-আউট বা চাক্ষুষ বৈকল্য
৮. চাপল্য/ভারসাম্যহীনতা

28
thanks for sharing

29
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবং এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির নাম ও মেয়াদাকাল
১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
মেয়াদ: ১১ইএপ্রিল ১৯৭১ইং থেকে ১২ই জানুয়ারী ১৯৭২ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ)
২। সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী)
মেয়াদ: ১১ ই এপ্রিল ১৯৭১ইং হতে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ)
৩। বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী
মেয়াদ: ১২ইং জানুয়ারী ১৯৭২ ইং থেকে ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭৩ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ)
৪। মোহম্মদ মোহম্মদ উল্লাহ ।
মেয়াদ: ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭৩ইং থেকে ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ)
৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
মেয়াদ: ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ইং থেকে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ)
৬। খন্দকার মোশতাক আহম্মদ
মেয়াদ: ১৫ ই আগষ্ট ১৯৭৫ইং থেকে ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ)
৭। বিচারপতি আবু সাদাত মোহম্মদ সায়েম ।
মেয়াদ: ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ইং থেকে ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ইং পর্যন্ত।
৮। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ।
মেয়াদ: ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ ইং থেকে ৩০শে মে ১৯৮১ইং পর্যন্ত। (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
৯। বিারপতি আব্দুস সাত্তার (অস্থায়ী)
মেয়াদ: ৩০শে মে ১৯৮১ইং থেকে ২৪শে মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত ।(বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
১০। হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদ ।
মেয়াদ: ২৪শে মার্চ ১৯৮২ইং থেকে ২৭শে মার্চ ১৯৮২ ইং পর্যন্ত। (জাতীয় পার্টি)
১১। বিচারপতি এ.এফ.এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী
মেয়াদ: ২৭শে মার্চ ১৯৮২ ইং থেকে ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং পর্যন্ত (জাতীয় পার্টি)
১২। হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদ ।
মেয়াদ: ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ইং পর্যন্ত (জাতীয় পার্টি)
১৩। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (অস্থায়ী)
মেয়াদ: ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ইং থেকে ১০ই অক্টোবর ১৯৯১ ইং পর্যন্ত (নির্দলীয়,তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান)
১৪। বিচারপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস
মেয়াদ: ১০ই অক্টোবর ১৯৯১ ইং থেকে ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং পর্যন্ত (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
১৫। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মদ ।
মেয়াদ: ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং থেকে ১৪ই ডিসেম্বর ২০০১ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ কর্তৃক নির্বাচিত)
১৬। অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ।
মেয়াদ: ১৪ই ডিসেম্বর ২০০১ইং থেকে ২১শে জুন ২০০২ ইং পর্যন্ত (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
১৭। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ।
মেয়াদ: ২১শে জুন ২০০২ ইং থেকে ৬ই সেপ্টেম্বর ২০০২ পর্যন্ত (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
১৮। অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ ।
মেয়াদ: ৬ই সেপ্টেম্বর ২০০২ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ ইং পর্যন্ত (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
১৯। অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ।
মেয়াদ: ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ ইং থেকে ২০ মার্চ ২০১৩ ইং পর্যন্ত (আওয়ামী লীক, মাহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সে বছরের ২০ মার্চ বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন )
২০। এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
মেয়াদ: ২০ মার্চ ২০১৩ইং থেকে (আওয়ামী লীগ)

30
Reduce Fat /Weight Loss / ৫টি ঘরোয়া নিরাময়ঃ
« on: October 08, 2015, 02:54:12 PM »

→ ১.হাসতে গিয়েও হাসতে পারছেন না?

একটু সরিষার তেল এবং লবন মিশিয়ে
দাঁতে লাগান, দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা
আর মজবুত।

→ ২. নিজকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন।
খালি পায়ে দৌঁড়াতে ভাল লাগে?
এটি আপনার পা কে শক্তিশালী এবং
সচল করে।…

→ ৩. জ্বর হলে বেশি করে পানীয় এবং
ফলের রস যেমন- বেদানা বা কমলার রস খান।

→ ৪. খাওয়ায় অরুচি ও ক্ষধা মন্দা হলে
১-৩ গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে
কুচিয়ে নিন এবং তার সাথে লবন এবং
কয়েক ফোটা লেবুর রস
মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে ৭-৮ দিন
খান।

→ ৫. মধু খাওয়ায় সতর্কতা। নিন্ম লিখিত
খাবারের সাথে মধু খাওয়া যাবে না।
→ ক. মধুর সাথে কোন গরম খাবার।
→ খ. সমান মাত্রায় মধু এবং ঘি।
→ গ. মধু ও ঘোল।
→ ঘ. মধু ও খিচুরী।

Pages: 1 [2] 3 4 5