Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - tnasrin

Pages: [1] 2 3 ... 5
1
সয়া সসের জন্ম নিয়ে নানা গল্প আছে। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য গল্পটা বলি। প্রায় দুই হাজার বছর আগে হানদের শাসনামলে চীনা ভিক্ষুরা ঠিক করলেন, তাঁরা আর আমিষ খাবেন না। সবাই নিরামিষভোজী হয়ে যাবেন। সেই সময় আমিষ স্পর্শ না করেও যাতে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা যায়, এ জন্য আমিষের বিকল্প নিরামিষ খোঁজা শুরু হলো। তখন বিশ্ব টফু (সয়াবিনের দুধ দিয়ে বানানো কার্ড ভাজা), সয়া দুধ, সয়া পনির, সয়া সস—এগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল। এখন তো বাংলাদেশেও সয়াবিনের নাগেট বা বড়ি ব্যাপক জনপ্রিয়।
সয়া সসের ব্যবহার
চীনে যেহেতু এ রান্নার অনুষঙ্গের জন্ম, তাই চীনা খাবারে সাধারণত ব্যবহার করা হয় সয়া সস। সয়া সস দুই ধরনের। একটা গাঢ়, আরেকটা হালকা। সাধারণত, আমরা গাঢ় সয়া সস বেশি ব্যবহার করি—মাংস মেরিনেট করে রাখতে আর সুশির সঙ্গে। হালকা সয়া সস সালাদে ব্যবহার করা হয় বেশি।
সয়া সসের প্রধান কাজ হলো খাবারকে সুস্বাদু করে তোলা। হজমে সহায়তা করা। কাঁচা লবণ ব্যবহার না করে শুধু সয়া সস দিয়েও রান্না করা যায়। কেননা, সয়া সসে প্রচুর লবণ আছে। এ ছাড়া অন্য উপাদানও আছে; যেগুলো লবণে নেই।
সয়া সসের উপকারিতা
সয়া সসে আছে খনিজ উপাদান, ভিটামিন বি, সেলেনিয়াম, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে এগুলো লড়াই করে। সয়া সসে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। হৃৎক্রিয়ার দক্ষতা বাড়ায়। হাড় মজবুত রাখতেও সাহায্য করে। সয়া সসের মূল উপাদান প্রোটিন। এ কারণে এটি শরীরের পেশি গঠনে সহায়তা করে।

প্রোটিন খেলে সাধারণত কম খিদে পায়। তাই সয়া সস দিয়ে রান্না করা খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মস্তিষ্কের ক্ষত দূর করতে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। খাবারের খুবই উপকারী একটা উপাদান হলো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। ‘অ্যান্টি–এজিং’–এ উপাদানটির গুণের শেষ নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ কারণে যেসব খাবারে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে, সেসব খাবার আপনি চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন। তাই সুস্বাদু সয়া সস আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্থান পেতেই পারে।
অপকারিতা
বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাসায়নিক হাইড্রোলাইসিস ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে উত্পাদিত সয়া সসই বেশি পাওয়া যায়। তাই কেনার সময় সাবধান। সাধারণত, কাচের বোতলে স্বচ্ছ বাদামি রঙের সয়া সস ভেজালমুক্ত। এখানে প্রচুর সোডিয়াম থাকে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপসহ লবণে সমস্যা, তাঁরা বুঝেশুনে, পরিমাণ মেনে খাবেন। এটি অন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে। সয়া সসে থাকা লবণ অন্ত্রের প্রাচীরের ক্ষতি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও ক্ষেত্রে সয়া সস এলার্জি আর মাইগ্রেনের কারণ। অকালগর্ভপাতের সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় না খাওয়াই ভালো।

2
জীবন ভালো-মন্দের মিশেল। আনন্দ আর কান্নার সমন্বয়। তাই বলে আপনি যে কাঁচি দিয়ে ঘচাং করে মন্দ আর কান্না কেটে বাদ দিয়ে দেবেন, তা হবে না। কেননা, এ-ই জীবনের সৌন্দর্য। মন্দ আর কান্না আছে বলেই ভালো আর আনন্দের জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। কিন্তু যখন আপনার কিছুই ভালো লাগে না, খুবই কঠিন সময় যাচ্ছে, ভাঙচুর করতে ইচ্ছে করছে, নিদেনপক্ষে উল্টোপাল্টা কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি ঘটিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। অথবা অপর পক্ষকে মনে মনে আপনি যেগুলো বলছেন, সেগুলো চিৎকার করে শোনাতে ইচ্ছে করছে। তখন আপনি নিজেকে শান্ত রাখবেন কীভাবে? এই বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বিজনেস গ্রোথ মেন্টর। ইনস্টাগ্রামভিত্তিক এই অনলাইন মিডিয়ার জনপ্রিয়তা সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলেছে। অল্প সময়ে জুটিয়ে ফেলেছে ১৪ লাখ অনুসারী। দেখে নেওয়া যাক, কঠিন সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখতে কী করা যায়।
১. হুট করে আপনি এমন কিছু শুনলেন, যাতে মাথাটা হিটারের চেয়ে দ্রুতগতিতে উত্তপ্ত হয়ে গেল। তখন আপনি করবেন কী? ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন। খানিক হেঁটে বা দৌড়ে আসুন। যাতে শারীরিক পরিশ্রম হয়। হাঁটার ফলে এন্ডরফিনস, অক্সিটোসিন, ডোপামিন, এড্রেনালিন এমন সব ‘ফিল গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়। তাতে আপনার বেশ খানিকটা ভালো লাগবে।


 ২. যদি অফিস নিয়ে দিনের পর দিন ‘প্যারা খান’, বা কিছুতেই মন বসছে না, এমন অবস্থার ভেতর দিয়ে যান, তাহলে সবকিছু থেকে এক দিনের জন্য ছুটি নিন। ছুটি নিয়ে ফোন বন্ধ করে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসুন বা আপনার যা করতে ইচ্ছা করে, সেটা করুন। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। মনের কথা ভাগাভাগি করে নিন বা পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটান।

৩. এমন একজন মানুষের জন্য কিছু করুন, যাঁকে আপনি চেনেন না। ভবিষ্যতেও আর দেখা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যেমন আপনি কিছু শপিং করে বের হয়ে রাস্তার পাশে এক বৃদ্ধকে দিয়ে দিলেন। এ ধরনের কাজ আপনাকে ভেতর থেকে দীর্ঘ সময় একটা ভালো অনুভূতি দেবে, যা কিছু স্যাঁতসেঁতে বা আহত চিহ্ন আছে, সেগুলো সব ঢেকে যাবে, লীন হয়ে যাবে।

৪. এমন কোথাও বসুন, যেখানে আপনাকে কেউ দেখবে না। কিন্তু আপনি অনেককেই দেখতে পাবেন। যেমন একটা কফি শপে বসে আপনি হয়তো ঘণ্টাখানেক একটা গরম কফি হাতে ব্যস্ত রাস্তা, মানুষ আর আশপাশ পর্যবেক্ষণ করলেন। অথবা আপনার অফিসেই আপনি এমন একটি জায়গা খুঁজে পেতে পারেন। বাসার ছাদও হতে পারে এমন একটি স্থান। সেখান থেকে আশপাশের ব্যস্ততা, মানুষের জীবনযাপন, এককথায় ‘হ্যাপেনিং লাইফ অবজার্ভ’ করতে হবে। লাইফ হ্যাকসের গবেষণামতে, এতে আপনি নিজের জীবনকে ওই সামগ্রিকতার একটা ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে জুড়ে দিতে পারবেন। তখন আপনার নিজের ভেতরজুড়ে যে হতাশা, বিষণ্নতা বা ক্ষোভ জমে আছে, সেটা ছোট হয়ে আসবে।

৫. আপনি যে অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন, সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করুন। ডায়েরিতে পুরো বিষয়ের খুঁটিনাটি লিখে ফেলুন। এক পাশে আপনার নিজের শক্তিশালী দিকগুলোও নোট করে রাখতে পারেন। পুরোনো শখ, অভ্যাস বা কোনো সৃজনশীল কাজ নতুন করে শুরু করতে পারেন। পুরোনো সে রকম কোনো শখ না থাকলে নতুন করে শুরু করুন। এমন কিছু করুন, যেটা আপনি ছোটবেলায় করতেন। জীবন এত ‘সিরিয়াসলি’ নেবেন না। আনন্দে থাকুন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলুন। নেতিবাচক আলাপচারিতা থেকে দূরে থাকুন। পর্যাপ্ত ঘুমান। ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে উঠে দেখবেন, মন খারাপের ভাব অনেকটাই কমে গেছে।

মনে রাখবেন, জীবন একটা ভ্রমণ। সেই ভ্রমণে ঝুঁকি, ক্লান্তি সবই আছে। আপনাকে কেবল মাথা ঠান্ডা রেখে ভ্রমণটা উপভোগ করতে হবে। এভাবে দেখবেন, আপনি ঠিকই গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। তারপর একটু থেমে নতুন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন।  আর যদি কোনো গন্তব্যে না-ও পৌঁছান, তাতে কী; নিশ্চিত করুন, যাত্রাটা আপনার মন্দ যায়নি।


4
nice post.....

5
informative post.....

8
যকৃতে চর্বি জমাকে ফ্যাটি লিভার বলে। ফ্যাটি লিভার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে—অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। আমাদের দেশের মানুষের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার প্রবণতা বেশি।
সাধারণত অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কম গুড কোলেস্টেরল বা এইচডিএল, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কার্বোহাইড্রেট ও চর্বির বিপাকে সমস্যার কারণে যকৃতে চর্বি জমে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। এই তিনটির মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাসই সবচেয়ে জরুরি।
যা খাবেন
কোলিন যুক্ত খাবার: যকৃতের চর্বি কাটাতে কোলিন যুক্ত খাবার, যেমন চিনাবাদাম, ইলিশ, পুঁটি মাছ, চিংড়ি, স্যামন, ফুলকপি, সয়াবিন ও ডিম নিয়মিত খেতে হবে।
সবুজ শাকসবজি: প্রতিদিন সবুজ শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, শালগম ও বাঁধাকপি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।
জটিল শর্করা: শর্করার উৎস হিসেবে জটিল আঁশযুক্ত শর্করা বেছে নিন। যেমন ওটস, ব্রাউন রাইস, হোল গ্রেইন আটা ইত্যাদি।
ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার: ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যকৃতের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ, যেমন টুনা, সার্ডিন, স্যামন, কাঠবাদাম, ওয়ালনাট, ফ্ল্যাক্সসিড ও অলিভ ওয়েল খেতে হবে নিয়মিত।
বিচি–জাতীয় খাবার: শিমের বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, কুমড়ার বিচি ও রেড কিডনি বিনসে প্রচুর ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদান ফ্যাটি লিভারের জন্য উপকারী।
দুগ্ধজাত খাবার: প্রতিদিন পরিমাণমতো দুধ বা দই খেতে হবে। এতে বিদ্যমান প্রোটিন যকৃৎকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
যা খাবেন না
শর্করা, বিশেষ করে সহজ শর্করা কমিয়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত শর্করাই চর্বি হিসেবে যকৃতে জমা হয়। তাই সাদা ভাত, মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, মিষ্টান্ন বা ডেজার্ট ও বেকারির খাবার যথাসম্ভব কমিয়ে দিন। এ ছাড়া অ্যালকোহল, সাদা আটা, তেলে ভাজা খাবার, কাঁচা লবণ, রেড মিট (গরু-খাসির মাংস) এড়িয়ে চলতে হবে।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা

9
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাস ঘিরে বেশির ভাগ আলোচনা মাস্ক ও গ্লাভস পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টিকে ঘিরে।
স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের মতো ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলো জীবাণুমুক্ত করার দিকেও নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্য গবেষকেরা বিভিন্ন সময় স্মার্টফোনে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করেছেন, যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যদি ডিভাইসে ব্যাকটেরিয়া থাকে তবে বারবার হাত ধুয়েও কোনো কাজ হবে না।
এক গবেষণায় জানা গেছে, শৌচাগারের চেয়ে তিন গুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনের পর্দায়। ইনস্যুরেন্সটুগো নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই গবেষণা চালায়। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের পর্দায় থাকা এসব জীবাণু ত্বকের রোগসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ হতে পারে। পরীক্ষা করা স্মার্টফোনগুলোর পর্দার প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে গড়ে ৮৪ দশমিক ৯ ইউনিট জীবাণু পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কমোড ও এর হাতলে থাকে সর্বোচ্চ ২৪ ইউনিট জীবাণু।
ইনস্যুরেন্সটুগো নামের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গ্যারি বিস্টোন বলেন, ‘আমরা সাধারণত সব সময় স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়েই ঘুরি। এভাবেই নানা জায়গা থেকে ওই ফোনে বাসা বাঁধে জীবাণু।’
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। মূলত ভার্চ্যুয়াল জগতে সার্বক্ষণিক থাকার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক গবেষণায় জীবাণুর বিস্তারে স্মার্টফোনের ভূমিকার বিষয়টি জোরালো হয়েছে।
স্মার্টফোন ও অন্য ডিভাইস থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে যা করবেন:
১. একই পকেটে স্মার্টফোন ও রুমাল রাখবেন না। এতে আপনার ডিভাইসে থাকা জীবাণু রুমালের মাধ্যমে সহজে মুখে পৌঁছে যেতে পারে।
২. ফোন কল করার সময় সরাসরি ফোন কানে ধরার বদলে হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভাইরাস ফোন থেকে মুখে পৌঁছাবে না।
৩. যে কম্পিউটার একাধিক ব্যক্তি বারবার ব্যবহার করেন, সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেতে বসে বা পাবলিক কম্পিউটারে বসতে হলে স্টেরিল গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন।
৪. আপনার স্মার্টফোন যদি আইপি ৬৮ মানের বা পানিরোধী হয়, তবে তা সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফোন পরিষ্কারের আগে অবশ্যই তা বন্ধ করে নেবেন।
৫. হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা পরিষ্কারক কোনো উপাদানের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে গ্যাজেট পরিষ্কার করার কথা ভাবা যেতে পারে। যদিও এ প্রক্রিয়ায় ডিভাইস পরিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
৬. ল্যাপটপ পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে টিস্যু দিয়ে ল্যাপটপের প্রতিটি কোনা পরিষ্কার করতে হবে। এ জন্য শুরুতে ল্যাপটপ বন্ধ রাখতে হবে।
৭. এয়ারফোনও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কাজে লাগাতে পারে।
৮. ফোন ও ল্যাপটপ পরিষ্কারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন।
৯. দিনে অন্তত একবার আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো পরিষ্কার রাখুন।
১০. অসুস্থ বা সন্দেহভাজন কারও ডিভাইস ধরার আগে সতর্ক থাকুন। নিজের ডিভাইস অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আগেও সচেতন হন। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।

10
Thanks for sharing this.

11
very informative

13
কম্পিউটারের সামনে বসলেই হলো। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সময় চলে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যাঁরা পড়ালেখা করছেন দীর্ঘসময়, তাঁদেরও কাটাতে হয় চেয়ারে বসেই। তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে ডিজাইন, পরিকল্পনা পর্যন্ত সব হচ্ছে এক জায়গায় বসেই। আগে হয়তো প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র নিজের অফিসের একটা ক্যাবিনেট থেকে বের করে নিতে হতো, এখন কম্পিউটারে জমা সেই ফাইলের সফট কপি বেরিয়ে আসে একটা ক্লিকেই। তাই কাজের ফাঁকে চেয়ার ছেড়ে ওঠা হয় কম। এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করার সুবিধা অনেক, তবে একটানা বসে কাজ করতে করতে পিঠ বা কোমরব্যথার বিপাকেও পড়ছেন অনেকে। মূলত ভুল ভঙ্গিতে বসার কারণেই এসব সমস্যা হয়ে থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান শামসুন নাহার জানালেন, কাজের সময় আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসা উচিত। যাঁরা দীর্ঘসময় বসে কাজ করেন, তাঁদের ঘাড় ও কোমরব্যথার আশঙ্কা বেশি। তাই এমন চেয়ারে বসে কাজ করতে হবে, যেটি আমাদের মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা অনুসরণ করে বানানো হয়েছে।
আমাদের কোমরের ওপরের অংশটা স্বাভাবিকভাবেই একটু সামনের দিকে বেঁকে থাকে। সোজা চেয়ারগুলোতে বসলে এই অংশ নিয়েই বাধে বিপত্তি, কারণ চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে বসতে গেলে এই অংশের সঙ্গে চেয়ারের কোনো সংযোগ থাকে না। এভাবে দীর্ঘসময় বসে থাকলে কোমরব্যথা হতে পারে।
পিঠ ও কোমরে ব্যথা এড়াতে জেনে নিন অধ্যাপক শামসুন নাহারের পরামর্শ—

বসবেন যেভাবে
চেয়ারে সোজাভাবে বসুন। ঘাড় বা পিঠ বাঁকিয়ে বসবেন না। পিঠের নিচের অংশ ও চেয়ারের মধ্যে কোনো ফাঁকা রেখে বসা যাবে না। কম্পিউটার বা খাতা-কলমের কাজ যেটিই করুন না কেন, কাজের জিনিসগুলো রাখতে হবে সুবিধাজনক দূরত্বে। চেয়ার ও টেবিলের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব রাখা যাবে না। হাত ঝুলিয়ে কাজ করবেন না। লেখার সময় এবং কি-বোর্ড বা মাউসের কাজ করার সময় হাতের আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো অংশটাই যেন টেবিলের ওপর থাকে। পা দুটি আরামদায়কভাবে মেঝেতে রাখুন। ঊরু থাকবে মেঝের সমান্তরাল। শরীরের কোনো অংশই দোদুল্যমান বা আনসাপোর্টেড অবস্থায় রাখা যাবে না। সঠিক সমর্থন (সাপোর্ট) দিয়ে রেখে কাজ করতে হবে। সঠিক ভঙ্গিতে বসলে পিঠ বা কোমরে যেমন ব্যথা হবে না, তেমনি ঘাড়ব্যথা থেকেও মুক্ত থাকবেন।
অধ্যাপক শামসুন নাহার জানালেন, মিনিট বিশেক একটানা কাজ করার পর অন্তত এক মিনিটের জন্য হলেও অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য উঠে দাঁড়াতে পারেন। ২০ মিনিট পরপর বিরতি দেওয়া সম্ভব না হলেও আধা ঘণ্টা পরপর অবশ্যই বিরতি দিন। আধা ঘণ্টার বেশি সময় একটানা বসে কাজ করা যাবে না।

যেমন চেয়ার চাই
নিজের দেহের গঠন অনুযায়ী চেয়ার বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। সেটি সম্ভব না হলে এমন চেয়ার কিনুন, যেটির পেছনটা মেরুদণ্ডের মতোই বক্র। চেয়ারের উচ্চতা দেখে নিন, যাতে আপনার পা ঝুলে না থাকে; আবার কষ্টদায়ক ভঙ্গিতে পা ভাঁজ করে রাখতেও না হয়। রিভলভিং চেয়ারে না বসাই ভালো।

বিকল্প আছে কী?
চেয়ার কেনা কিংবা বানানো কোনোটারই সুযোগ না থাকলে ছোট কুশন ব্যবহার করতে পারেন। পিঠের নিচের অংশ ও চেয়ারের মধ্যের ফাঁকা অংশটাতে কুশন রেখে সঠিক ভঙ্গিতে বসে কাজ করতে পারেন।
অনেকে চেয়ারে বাড়তি ব্যাক রেস্ট (একটু বাঁকানো) লাগিয়ে নেন। এটি অবশ্য তেমন কার্যকর নয়। আবার পিঠব্যথায় কখনো কখনো একটু কাজে লাগলেও এটির ব্যবহারে ঘাড়ে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।

গাড়িতে চড়লে
যাঁরা লম্বা সময় গাড়ি চালান, তাঁরাও একই নিয়মে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। দেড়-দুই ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর ৫ মিনিট বিরতি দিন। এই ৫ মিনিটে একটু ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করে নিন। এমনকি যাঁরা দীর্ঘসময় গাড়িতে যাত্রী হিসেবে বসে থাকেন, তাঁদেরও এই নিয়মগুলো মেনে চলা প্রয়োজন।

14
আমি দুধজাতীয় কিছু খাই না—এটা খেলে পেটে সমস্যা হয়’, ‘মাছটাছ খাই না, গন্ধ লাগে, বমি বমি লাগে’—অনেকেই নানান খাবার নিয়ে এমন অভিযোগ করেন। খাওয়া নিয়ে এমন বাছবিচার করতে দেখা যায় শিশুসহ বড়দেরও।

|দেখা যায়, একটি শিশু ছোটবেলা থেকে পূর্বধারণাপ্রসূত বিশ্বাস থেকে কোনো মাছ না খেয়েই বড় হচ্ছে। এতে সে বিচিত্র সব খাবারের স্বাদ তো পেলই না, পুষ্টিগুণ থেকেও বঞ্চিত হলো। কোনো শিশু হয়তো প্রতি বেলায় মুরগি খেতে চায় বলে অন্যান্য খাবার আর গ্রহণই করে না। এভাবে নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণের প্রবণতা অনেক শিশুরই থাকে। সব সময় যে এটা কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য হয়, তা নয়, বেশির ভাগ সময় শিশু তার অপছন্দের খাদ্যটি সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শোনে, নেতিবাচক আচরণ দেখে এবং বাবা-মায়েরা নিজেদের অজান্তেই শিশুটির মনে বিশেষ খাদ্যটি সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে। এতে শিশুটি অভ্যস্ত হয়ে যায়। তার বিশ্বাস দৃঢ় হয়। এরপর হাজার সাধাসাধির পরও শিশু আর সেই খাবার খেতে চায় না। পরিণত বয়সেও তার স্বাদগ্রন্থি ওই বিশেষ খাদ্যের উপযোগী হয় না বলে নির্দিষ্ট খাবারগুলো আর খেতেই পারে না।

‘অ্যাভয়ড্যান্ট/রেসট্রিকটিভ ফুড ইনটেক ডিসঅর্ডার’ নামের একটি বিশেষ খাদ্যাভ্যাসজনিত মানসিক সমস্যার কারণে বিশেষ রং, আকৃতি বা গন্ধের খাদ্যের প্রতি বিতৃষ্ণা থাকে। এ সমস্যায় আক্রান্ত শিশু বা ব্যক্তির ওজন কমতে থাকে, শরীরের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না, পুষ্টিহীনতা হয়, পছন্দের খাবারের প্রতি একধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তার মনোসামাজিক আচরণগুলোরও পরিবর্তন হতে থাকে। এই সমস্যা ছাড়াও ‘অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি)’ বা ‘অটিজম’ আছে, এমন শিশু বা ব্যক্তিদের মধ্যেও খাবার নিয়ে খুঁতখুঁতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এমন সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের পর্যায়েই মা–বাবাকে দায়িত্ব নিয়ে নানা ধরনের, নানা স্বাদের ও নানা রঙের সুষম খাবার খাওয়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করতে হবে। কোনো খাবার নিয়ে মা–বাবা কখনোই বিরূপ মন্তব্য করবেন না। শিশু এটা খায় না ওটা খায় না—এ অজুহাতে তাকে একই ধরনের খাদ্য সব সময় পরিবেশন করবেন না। বৈচিত্র্যময় খাবার পরিবেশন করুন নানাভাবে, নানান কায়দায়, এতে আগ্রহ তৈরি হবে। শিশু দু–এক বেলা যদি খাবার না–ও খায়, তাতে বিচলিত না হয়ে তার দীর্ঘমেয়াদি উৎকর্ষের জন্য খাবারে বৈচিত্র্য আনুন। যেকোনো পরিবেশে, যেকোনো এলাকায়, যেকোনো ধরনের খাবারে শিশুকে অভ্যস্ত করতে চেষ্টা করুন। এরপরও কারও মধ্যে যদি এই খাবার বাছাবাছির সমস্যা প্রকটভাবে দেখা দেয়, তবে প্রথমে দেখতে হবে ওসিডি কিংবা অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। থাকলে মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ

সহযোগী অধ্যাপক, শিশু–কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

Pages: [1] 2 3 ... 5