Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shan_chydiu

Pages: 1 2 [3] 4 5 6
31
রাতজাগা মানুষের আই কিউ এবং সৃজনশীলতা যতই বেশি হোক না কেন, এই অভ্যাসের কারণে বাড়ছে তাদের ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি- বলছে নতুন এক গবেষণা।
রাতজাগা মানুষ(night owl) এবং খুব সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা (early bird) মানুষের ক্রনোটাইপ অর্থাৎ দেহঘড়ির বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে কাজ করেন কোরিয়ার একদল গবেষক। দেখা যায় অন্যদের তুলনায় রাতজাগা মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই দুই ধরণের মানুষ একই পরিমাণ ঘুমালেও রাতজাগা মানুষের এই ঝুঁকি বেশি হয়। কারণ রাত জেগে থাকার ফলে ঘুম কমে যায়, ঘুমের মান কমে এবং খাওয়ার সময়ও ওলট পালট হয়ে যায়। এসব কারণে দীর্ঘদিন রাতজাগার অভ্যাসের ফলে মেটাবলিজমে আসে পরিবর্তন।
এই গবেষণায় ৪৭ থেকে ৫৯ বছরের মাঝে ১,৬২০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। তাদের প্রত্যেকে নিজেদের ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার সময়, জীবনচর্চা এবং অভ্যাসের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করেন। এরপর DEXA এবং CT স্ক্যানের মাধ্যমে তাদের টোটাল বডি ফ্যাট, লিন বডি মাস এবং অ্যাবডমিনাল ফ্যাট পরিমাপ করা হয়। এর পর দেখা যায়, সবার মাঝে ৪৮০ জন সকাল সকাল ওঠেন এবং মাত্র ৯৫ জন রাতজাগা অভ্যাসের মানুষ। বাকিরা এই দুইয়ের মাঝামাঝি ধরণের ক্রনোটাইপের মানুষ।
দেখা যায় রাতজাগা অভ্যাসের মানুষদের বডি ফ্যাট এবং ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল হয়ে থাকে অন্যদের চাইতে বেশি। শুধু তাই নয় তাদের সারকোপেনিয়া হবার প্রবণতাও বেশি দেখা যায়। সারকোপেনিয়া হলো এমন এক জটিলতা যাতে রোগি ধীরে ধীরে পেশী হারাতে থাকেন। দেখা যায়, পুরুষদের মাঝে ডায়াবেটিস এবং সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বেশি হয় এবং নারীদের মাঝে মেদবহুল পেট এবং মেটাবলিক সিনড্রোম হতে দেখা যায় বেশি।
যদিও দেখা যায় রাতজাগা অভ্যাসের কারণে এসব মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, এক্ষেত্রে আসলে করার তেমন কিছু থাকে না কারণ অনেকের জেনেটিক মেকআপের ওপর ভিত্তি করেই এই অভ্যাস গড়ে ওঠে। কিন্তু আপনি যদি মনে করে থাকেন এমন রাত জাগার কারণে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, তবে আরেকবার চেষ্টা করে দেখুন জলদি ঘুমাতে যাওয়া ও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন কিনা।

মূল: Alena Hall , Huffington Post

32
খাবার খেতে বসলে মুখে এলাচ চলে গেলে মুখের স্বাদটাই মাটি হয়ে যায় অনেকের। মনে মনে ভাবতে থাকেন এলাচ খাবারে না দিলেই কি নয়? কিন্তু সত্যিই এই এলাচ রান্নাতে না ব্যবহার করলেই নয়। কারণ রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানো এলাচের অন্যতম কাজ। কিন্তু আপনি জানেন কি রান্না ছাড়াও আপনি এলাচ খেলে তা আপনার ১০ টি শারীরিক সমস্যা দূরে রাখবে? অনেকেই হয়তো বিষয়টি জানেন না। কিন্তু প্রতিদিন মাত্র ১ টি এলাচ খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না, নানা রকম সমস্যার সমাধান পাবেন।
১) এলাচ এবং আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।
২) দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।
৩) রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৪) এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৬) নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৭) গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
৮) এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল, ফ্রি র্যাহডিকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক।


সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট

33
Faculty Sections / ঝকঝকে থাক রান্নাঘর
« on: February 09, 2015, 04:35:34 PM »
রান্নাঘর - একটি বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানেই তৈরি হয় দেহের প্রয়োজন এবং জিভের রসনা। যেহেতু স্বাস্থ্যের সাথে সরাসরি জড়িত এ ঘরটি, তাই এখানকার পরিচ্ছন্নতাটাও বেশ জরুরি। রান্নাঘর পরিষ্কার না থাকলে রান্না বা খাওয়া, কোনোটাই আর ভালো লাগে না। রান্নাঘর ঝকঝকে রাখুন। দেখবেন রাঁধার আগ্রহ বেড়ে যাবে আরো কয়েকগুণ। রইলো কিছু টিপস।

- বেশির ভাগ সময় রান্নাঘর অগোছালো, অপরিষ্কার দেখায় শুধুমাত্র যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে। রান্নাঘরের প্রতিটা জিনিস - বাসনপত্র, মশলাপাতি, বঁটি, ছুরি ইত্যাদি যাই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন। যাদের মডিউলার কিচেন রয়েছে, তাদের জন্য অবশ্য ব্যাপারটা অনেকটাই সহজ। বাসনপত্র প্রয়োজন অনুযায়ী সাজিয়ে রাখুন। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কড়াই, ফ্রাইং প্যান, প্লেট, বাটি ইত্যাদি ক্যাবিনেটের সামনের দিকে রাখুন। চামচ, কাঁটাচামচ একটি সুদৃশ্য গ্লাসে খাবার টেবিলেই সাজিয়ে রাখুন। প্রয়োজনের সময় বেশি খুঁজতে হবে না।

- রান্না করার পর পরই চুলার চারপাশ, ওভেন, সিঙ্ক পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে তেল-মশলার দাগ বসে যেতে পারবে না। রান্নাঘরে দুর্গন্ধও হবে না। খেয়াল রাখুন, সিঙ্কের মুখে কিছু যেন আটকে না থাকে।

- কিচেন সিঙ্কে বাসনপত্র ধোয়ার পর তুলে রাখার আগে ভালো করে মুছে নিন। তবে বাসন মোছার জন্য স্পঞ্জ বা কাপড় ব্যবহার না করে কিচেন টিস্যু ব্যবহার করুন। এতে জীবাণু কম ছড়াবে।

- রান্না করার সময় খাবার ছলকে পড়ে চুলার আশেপাশে শক্ত হয়ে গেলে এক চামচ লবণ আর গরম পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। খাবারের দাগ বা তেলতেলে ভাব কোনোটাই থাকবে না।

- সপ্তাহে একবার কিচেনের সিঙ্ক পরিষ্কার করুন। প্রথমে পাইপের মুখে আধা কাপ বেকিং পাউডার ঢেলে দিন। তারপর আধা কাপ সাদা ভিনেগার ঢেলে সিঙ্কের মুখটা ঢেকে দিন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে ৫-৬ কাপ গরম পানি ঢেলে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যে ব্লকেজ সরে যাবে।

- কড়াই বা প্যানের তলায় কোনো খাবার পুড়ে লেগে গেলে ১ চামচ ডিটারজেন্ট আর ২ কাপ পানি ঢেলে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। পাত্রের তলায় লেগে থাকা খাবার আলগা হয়ে যাবে। ব্লেন্ডার বা মিক্সি পরিষ্কার করতে হলেও কন্টেনারে ২ কাপ গরম পানি ঢেলে মিডিয়াম স্পিডে চালিয়ে দিন। চারপাশে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

- রান্নাঘরে একটা ঢাকনাওয়ালা ময়লা ফেলার বালতি অবশ্যই রাখবেন। বালতির মধ্যে একটা কাগজের বা প্লাস্টিকের ব্যাগ পেতে রাখুন যাতে ময়লা ফেলতে সুবিধা হয়। প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিনই ফেলে দেয়ার চেষ্টা করবেন, জমিয়ে রাখবেন না।

- রান্নাঘরের দেয়ালে প্লাস্টিক পেইন্ট করান। তাহলে সহজেই সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারবেন। টাইলস লাগানো থাকলে নিয়মিত স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন।

তথ্যসূত্র: রান্নাঘরের টুকিটাকি (সম্পাদিত)

34
হুট করে অনেক শীত আবার একটু আধটু গরম, এই ধরণের আবহাওয়াতে সর্দি-ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এবং তার থেকেই শুধু হয় গলা খুসখুস করা কাশি। কিন্তু এই ধরণের সর্দি-ঠাণ্ডা অনেক বিরক্তিকরও বটে। কারণ, এই কাশি সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। ঔষধেও কাজ হয় না একেবারেই। কিন্তু যদি ৭ টি খাবার বুঝে শুনে খেতে পারেন এবং নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই সর্দি-ঠাণ্ডা ও গলা খুশখুসে ভাব পিছু ছাড়বে। জানতে চান সেই খাবারগুলো কী কী? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।

১) কলা
কলা একটি নন-অ্যাসিডিক খাবার যা গলা খুশখুসে ভাব কমাতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। এছাড়াও কলা একটি লো গ্লাইসেমিক খাবার যা ঠাণ্ডা-সর্দি ভাব কমায়।
২) আদা চা
প্রাচীনকাল থেকেই গলা খুশখুসে ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয় আদা চা। ২ কাপ পানিতে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে খুশখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বেশ সহজেই। কারণ আদা মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৩) লেবু ও মধুর মিশ্রণ
সমপরিমাণ লেবুর রস এ মধুর মিশ্রন গলার ভেতরের ইনফ্লেমেশন কমায় এবং ঠাণ্ডা লেগে গলার ভেতর সরু হয়ে আসার ফলে যে সমস্যা তৈরি হয় তা দূর করতে সহায়তা করে।
৪) ডিমের সাদা অংশ
ঠাণ্ডা লেগে গলায় ব্যথা হওয়া অনেক স্বাভাবিক ঘটনা। এই সমস্যা দূর করতে নেশ সহায়তা করে ডিমের সাদা অংশ। কারণ ডিমের সাদা অংশ গলার ভেতরের গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ইনফ্লেমেশন দূর করে।
৫) চিকেন স্যুপ
ঠাণ্ডা-সর্দি ও খুসখুসে কাশি কমাতে গরম পানীয় অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এই তালিকার অন্যতম একটি নাম চিকেন স্যুপ। কারণ চিকেন স্যুপে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা গলা খুসখুসের জন্য দায়ী ভাইরাস এবং মিউকাস কমায়।
৬) সেদ্ধ গাজর
গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। বিশেষ করে শীতকালীন এই সকল সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চাইতে ভালো সবজি হচ্ছে এই গাজর। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে সর্দি-ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের দেহই কাজ করে থাকে। তবে সর্দি-ঠাণ্ডা ও কাশির সময় কাঁচা না খেয়ে সেদ্ধ করা গাজর খাওয়া উচিত।

সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট

35
রান্না, রূপচর্চায় ও ওষুধে নানা ধরনের পাতা বা হার্বস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন তুলশী , পুদিনা , ধনে পাতা ইত্যাদি । তবে জানেন কি, কোন পাতায় কী গুণাবলী রয়েছে ? না জেনে থাকলে আসুন জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন পাতার নানান রকম গুণাবলীর কথা ।

তুলসী বা বেসিল –
স্যুপ , সালাদ ও আমিষ নানা রকমের রান্নায় বেসিল হার্বস ব্যবহার করা হয়ে থাকে । ফ্রেশ বেসিলে আছে ফলিক এসিড আর শুকনো বেসিলে আছে পটাশিয়াম , আয়রন ও ক্যালসিয়াম । তুলশীতে রয়েছে অ্যাণ্টি ক্যানসার উপাদান । সর্দি কাশি কম করতেও তুলশী পাতার তুলনা নেই ।

পুদিনা বা মিণ্ট –
চকলেট , চুইংগাম এর মতো নানা ধরনের খাবারে পুদিনা বা মিণ্টের ফ্লেভার প্রায়ই পাওয়া যায় । পুদিনা পাতায় রয়েছে মেন্থল যা পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে । এছাড়া পুদিনা বদ হজম দূর করতেও সাহায্য করে । মাথা ধরা ও বমি ভাব এর সমস্যা দূর করতে পুদিনা পাতা হাতে নিয়ে একটু থেঁতলে নিন । তারপর নাকের কাছে ধরুন । পুদিনার ফ্রেশ গন্ধ আপনাকে নিমেষেই সতেজ করে তুলবে । সর্দি–কাশি সারাতেও পুদিনা দারুন ভাবে সাহায্য করে ।

ধনে পাতা –
ধনে পাতায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা লিভার ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে । এছাড়া গোটা ধনেতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন । বদহজমেও ধনে পাতা দারুন উপকারি ।

পার্সলে পাতা –
পার্সলেতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন । ত্বকের সমস্যা দূর করতে ও হজমে সাহায্য করে পার্সলে । অ্যাজমা , সর্দি কাশির সমস্যাতেও পার্সলে বড় ভূমিকা নেয় । এছাড়া পার্সলে পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ।

অরিগ্যানো –
এক গবেষণায় দেখা গেছে রান্নার হার্বসের ভেতরে অরিগ্যানোতে রয়েছে সব থেকে বেশি পরিমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । এছাড়া অরিগ্যানোতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ , ক্যালসিয়াম , ভিটামিন সি ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড । হজমেও সাহায্য করে অরিগ্যানো ।

রোজমেরি –
ম্যাঙ্গানিজ , ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ রোজমেরি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে শরীরের পক্ষেও দারুন উপকারি । রোজমেরি দুর্বলতা জনিত নানা সমস্যা যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি , লো ব্লাড প্রেশার ও মাথা ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে । রোজমেরিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ।


36
মস্তিষ্ক আমাদের সম্পূর্ণ দেহের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কেননা এই মস্তিকে রাখা আমাদের সমস্ত স্মৃতি, এই মস্তিষ্কই হচ্ছে আমাদের মন আর আমাদের পরিচয়ের ধারক। এই মস্তিষ্কই হচ্ছে আমাদের বুদ্ধিমত্তার উৎস। আপনার মস্তিষ্ক কর্মক্ষম মানে আপনি আরও অনেক বেশি বুদ্ধিমান। সব কাজ সহজে করতে পারবেন, সবকিছু সহজে বুঝতে পারবেন, হয়ে উঠবেন একজন সফল মানুষ। কিন্তু কীভাবে বৃদ্ধি করবেন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা? জেনে নিন ৭টি গোপন কৌশল ।

১) একবারে একটি কাজ করুন। কখনোই একাধিক বড় কাজে এক সময়ে মস্তিষ্ক ব্যবহার করবেন না। এতে কোন কাজটিই শতভাগ নিখুঁত হবে না, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভাগ হয়ে যাবে।

২) মস্তিষ্কে অপ্রয়োজনীয় তথ্য জমা করবেন না। আপনার কম্পিউটারে যেমন অপ্রয়োজনীয় ছবি বা কন্টেন্ট রাখেন না আপনি, কম্পিউটারের ভালোর জন্য সব ডিলিট করে দেন। মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও তাই। এমন কোন কিছু মনে রাখার চেষ্টা করবেন না যেটা আপনার প্রয়োজন নেই।

৩) যখন গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ করবেন, তখন এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকুন যা আপনার মনযোগ কেড়ে নেয়। যেমন ধরুন সেল ফোন বা ফেসবুক বা বন্ধুদের সংস্পর্শ। একলা একটা কাজ গভীর মন দিয়ে করলে মস্তিষ্ক অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে না বিধায় কাজ ভালো হয়।

৪) বড় চিন্তা করুন, বড় স্বপ্ন দেখুন। বাস্তব হবে কি হবে না, সেটা ভাবার আগে প্ল্যান করুন যে কীভাবে বাস্তব করা যায়। খুঁটিনাটি সমস্ত কিছু হিসাব করে করে রাখুন। বারবার ঝালাই করুন। এতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

৫) মস্তিষ্ককে খাটানোর জন্য সঠিক সময় বেছে নিন। সাধারণত একটা লম্বা ঘুমের পর মস্তিষ্ক একদম সতেজ থাকে আর তখন দারুণ হয় সকল কাজ। তাই রাতের লম্বা ঘুমের পর সকালেই মস্তিষ্ককে দিয়ে জরুরী সব কাজ করিয়ে নিন।

৬) নিজের কর্মক্ষেত্রে হোক বা জীবনে, সর্বদাই নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করুন। এতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে।

৭) মস্তিষ্ককে শেখার সুযোগ দিন, তাকে উৎসাহিত করুন। আমরা যখন নিজের আগ্রহের কিছু শিখি বা চর্চা করি, মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। তাই নিজের আগ্রহকে মূল্য দিন।

সূত্র-
সাইকোলজি টু ডে


37
লেখাপড়া বেশিক্ষণ মনে রাখতে পারেন না? কোন পড়া সহজে মুখস্থ হতে চায় না, কিংবা কঠিন কিছু বারবার চেষ্টা করেও শিখতে পারেন না? যতই চেষ্টা করুন না কেন, পরীক্ষার হলে গিয়ে সব ভুলে যান? আপনার সমস্ত সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এই ফিচারে। জেনে নিন খুব সহজে কোন কিছু শিখে ফেলার দারুণ কার্যকরী ও বৈজ্ঞানিক ৫টি কৌশল। কেবল লেখাপড়া নয়, অন্য যে কোন কিছু শিখতেও কাজে আসবে।

১) চোখ দেখবে, কান শুনবে, মস্তিষ্ক বুঝবে
কঠিন পড়াগুলো জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়ুন। তবে কেবল জোরে উচ্চারণ করলেই হবে না, শুনতে হবে খুব মন দিয়ে। একই সাথে বিষয়টা বোঝার চেষ্টাও করতে হবে। যে অংশ্তি বুঝতে পারবেন না, সেটি একাধিক বার করে পড়ুন।

২) লিখে লিখে পড়া অভ্যাস করুন
যেটা পড়বেন, সেটা না দেখে লেখার চেষ্টা করুন। লিখে মিলিয়ে নিন যে ঠিক হলো কিনা। ঠিক না হলে আবার লিখুন। কয়েকবার লিখলেই রপ্ত হয়ে যাবে।

৩) আছে বিশেষ সময়
কঠিন কিছু শিখতে হলে নিজেকে জোর করে পড়ার টেবিলে বসাবেন না। শুধুমাত্র তখনই চেষ্টা করুন। যখন আপনি খুব আগ্রহ বোধ করছেন শেখার। নাহলে রাতের বেলায় পড়তে বসুন। যেন পড়া শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এতে পড়া সহজে মনে থাকবে।

৪) মস্তিষ্ককে সময় দিন
একটা কিছু ঝানার পর মস্তিষ্কের সময় প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো গুছিয়ে সংরক্ষন করতে। মূলত আপনার ঘুমের সময়ে মস্তিষ্ক এই কাজটি করে। তাই চেষ্টা করুন খুব কঠিন কিছু পড়া শেষ করার মত ১০ মিনিট ঘুমিয়ে নিতে। এই সময়ে মস্তিষ্ক সব ডাটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেবে। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহজলে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সমস্ত পড়া অবশ্যই একবার রিভিশন করে তবেই ঘুমাতে যাবেন।

৫) কিছু বিশেষ পদ্ধতি
ছোট্ট কিছু কৌশল অবলম্বন করুন নিজের সাথে। যেমন ধরুন, পড়াটি না শেখা পর্যন্ত টেবিল ছেড়ে উঠবেন না। কিংবা এটা শেখা হলে এক কাপ চা খাবেন। এমন ছোট ছোট পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন নিজের জন্য। একটা কঠিন পড়া শেষ করে মিনিট পাঁচেক গল্প করে নিলেও মন ফ্রেশ হয়।

সূত্র- সাইকোলজি ডট কম


38
সাইনোসাইটিস - যারা এতে আক্রান্ত তারাই একমাত্র বুঝতে পারবেন এর ব্যথা কতটা ভয়ানক। সাইনোসাইটিসের ব্যথা সবসময়ই একটু আধটু থাকে, তবে যখন এর অ্যাটাক হয় তখন ব্যথায় পাগল হয়ে যায় মানুষ।

সাইনোসাইটিস ডায়াবেটিসের মতোই জীবনব্যাপী একটি সমস্যা। তবে এটা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যে তা আর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। প্রাচীন জলচিকিত্‍সার মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের চিকিত্‍সা করা সম্ভব।

কীভাবে করবেন
ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধোওয়ার আগে এক হাতের আজলা ভরে পানি নিন। এই পানিতে নাক ডুবিয়ে শ্বাস টেনে ধীরে ধীরে নাকের ভেতর পানি ভরে নিন। কয়েক সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন। এভাবে ৫ মিনিট করুন। প্রথম প্রথম খুব সমস্যা হবে। শ্বাসনালীতে পানি চলে গিয়ে অস্বস্তি হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে অভ্যাস করুন। প্রথমে অল্প কয়েকবার শ্বাস টেনে নাকের ভেতর পানি নিন। পরে আস্তে আস্তে সময় বাড়ান। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই পদ্ধতিতে জলচিকিত্‍সা করলে সাইসাইটিসের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

তথ্যসূত্র: Herminia de Guzman-Ladion, Healing Wonders of Herbs, 1992


39
আটা ও ময়দা আমরা সাধারণত রুটি, পরোটা এবং পিঠা ধরণের খাবার তৈরির কাজেই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে খাবার তৈরি ছাড়াও আটা বা ময়দার রয়েছে আরও নানা ব্যবহার। এবং এই সকল ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। চলুন তবে আজকে জেনে নিই আটা ও ময়দার কিছু অজানা কার্যকরী ব্যবহার সম্পর্কে।

১) আঠা তৈরি
কোনো কাজে আঠা লাগবে, কিন্তু বাড়িতে কোথাও আঠা খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে এক কাজ করুন। ২ টেবিল চামচ আটা বা ময়দায় পানি দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে তা চুলায় জ্বাল করতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর যখন দেখবেন মিশ্রণটি ফুটে পানের গায়ে লেগে যাচ্ছে বুঝবেন আপনার আঠা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই আঠা বেশ শক্তিশালী।

২) ড্রাই শ্যাম্পু হিসেবে
চুল শ্যাম্পু করা নেই কিন্তু বাইরে গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যেতে হবে। ভাবছেন কি করবেন? চুলে কিছুটা ময়দা বা আটা ছিটিয়ে নিন। এরপর চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। ময়দা বা আটা চুলের তেল শুষে নেবে। এরপর ভালো করে চুল ঝেড়ে ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন।

৩) পোকা মাকড় দূর করতে
ঘরের জানালায় পুরু করে ময়দা বা আটার একটি লাইন তৈরি করে দিন। এতে করে পিঁপড়া বা অন্যান্য পোকামাকড় ঘরে ঢুকবে না। এছাড়া যখন পিঁপড়ার কোনো লাইন দেখতে পাবেন তখন তার উপরেও ছিটিয়ে দিতে পারেন আটা বা ময়দা।

৪) কপারের জিনিসপত্র পরিষ্কার করতে
সমপরিমাণ লবণ, ভিনেগার ও ময়দা বা আটা নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ কপারের জিনিসের উপরে লাগান। শুকিয়ে এলে ঘষে তুলে ফেলুন। ব্যস, দেখবেন একেবারে ঝকঝকে হয়ে গিয়েছে।

৫) প্রাকৃতিক স্ক্রাব
ত্বকের জন্য স্ক্রাবিং অনেক বেশি জরুরী। এবং কেমিক্যাল সমৃদ্ধ স্ক্রাবারের চাইতে প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের গুণ অনেক বেশি। ১ চা চামচ আটা বা ময়দায় ১ চা চামচ দুধ নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে অল্প শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর আঙুলের আগা দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সব চাইতে ভালো ফল পাবেন যদি চালের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।

৬) ফল পাকাতে
ভুল করে কিনে ফেলেছেন সামান্য কাঁচা কলা বা অন্য ফল? তাহলে তা ময়দা বা আটার ভেতর রেখে দিন। ১ দিনেই বেশ পেকে যাবে ফল।

৭) আলু গাছের পোকা তাড়াতে
শখ করে লাগানো আলু গাছ পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় ঠিক রাখতে পারছেন না? গাছের উপরে ছিটিয়ে দিন ময়দা বা আটা। পোকামাকড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

40
হুট করেই ঠাণ্ডা পড়েছে, এখন জ্বর-সর্দি-কাশি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি। ছোট বাচ্চাদের খুব বেশি ওষুধ খাওয়ানো যায় না। তারা খেতে চায় না আর খাওয়ানো উচিতও নয়। জেনে নিন রসুনের ব্যবহারে এমন দুটি টিপস, যেটা ঝটপট এই বিচ্ছিরি অসুখগুলো কমাতে দারুণ সহায়ক। কেবল ছোটদের নয়, কাজে আসবে বড়দেরও!
খেতে হবে রসুন
চটজলদি সর্দি কাশি জ্বর কমাতে রসুন খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তবে কাঁচা নয়, অবশ্যই রান্না করে। রসুনের অ্যান্টিসেপটিক গুণাবলী এসব অসুখের সাথে লড়াই করতে দারুণ সক্ষম। শরীর থেকে দূষিত টক্সিক উপাদান অপসারন করতে ও ঝটপট জ্বর কমাতেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার।
সর্দি কাশি বা জ্বরে খাবারে রসুনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিন। বড়রা ডালে বা তরকারির সাথে আস্ত রসুন দিয়েই খেয়ে ফেলতে পারেন। ছোটদের তৈরি করে দিতে পারেন গারলিক স্যুপ। যদি তারা গারলিক স্যুপ খেতে না চায়, তাহলে চিকেন স্যুপেই ৬/৭ কোয়া রসুন জ্বাল দিন মিনিট দশেক। তারপর রসুন তুলে ফেলে খেতে দিন।
রসুনের তেল
চটজলদি সর্দি কাশি জ্বর কমাতে রসুনের তেল খুবই উপকারী। সাধারণ সয়াবিন বা অলিভ অয়েল নিন, এতে কয়েক টুকরো রসুন হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ব্যস, তৈরি আপনার গারলিক অয়েল। চাইলে দোকান থেকেও কিনতে পারেন। এই তেল খাবারে, স্যুপে, রান্নায় ব্যবহার করুন। হালকা গরম করে ছোট বাচ্চাদের বুকে মালিশ করে দিতে পারেন। শীতের অসুখ দ্রুত পালাবে।

41
এমন বহু সবজি আছে যেগুলোর উৎপত্তি বা প্রচলন কিছু বছর আগে। হয়তো কয়েক শো বছর আগেও খাদ্য হিসাবে সেগুলোর পরিচিতি ছিল না। এছাড়াও এখন আছে সবজির নানান রকম হাইব্রিড প্রজাতি। এত শত সবজির ভিড়ে একটি প্রাচীন সবজি হলো বাঁধাকপি। হাজার হাজার বছর আগেও মিশরীয়ান সম্রাটরা বাঁধাকপি খেতেন। প্রাচীন মিশরীয়ান রাজীকীয় রেসিপিগুলোতে দেখা যায় বাঁধাকপির ব্যবহার।
আমাদের দেশে বাঁধাকপি খুব বেশি পুরনো নয়। বাংলাদেশে ১৯৬০-এর দশকে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রচণ্ড সস্তা মূল্যের এই সবজিটিকে অনেকেই অবহেলার চোখে দেখেন। কেননা তারা জানেন না সাধারণ সবজিটি কত শত গুণের আধার।
বাঁধাকপি Cruciferae পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Brassica Oleracea Var. Capitata L. বাঁধাকপির অগ্রভাগের স্ফীত কচিপাতাসমূহই খাওয়ার জন্যই এর চাষ করা হয়। পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরের উত্তর উপকূলবর্তী দেশসমূহ বাঁধাকপির উত্পত্তি স্থান বলে ধারণা করা হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪.৭ গ্রাম শর্করা, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন 'বি'-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন 'বি'-২ ও ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন 'সি'। তাছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৩১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ৬০০ মাক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৬ কিলোক্যালোরী খাদ্যশক্তি থাকে।
সবজিটি নানা ধরনের ভিটামিনে সমৃদ্ধ। আছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার, ফসফরাসসহ আছে প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদান। আছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১ ও বি-২। আছে ভিটামিন ই, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। আরও আছে ভিটামিন কে , বিটা ক্যারোটিন ও আরও অসংখ্য জরুরী পুষ্টি উপাদান।
কীভাবে খাওয়া ভালো?
বাঁধাকপি সবচাইতে ভালো কাঁচা অবস্থায় সালাদ খাওয়া। মিহি করে বাঁধাকপি কুচিয়ে নিন। তারপর সরষে তেল বা মেয়নেজের সাথে মেখে খেতে পারেন। সাথে যোগ করতে পারেন গাজর বা কাঁচা পেঁপে, পিঁয়াজ, মরিচ। এই শীতের দিনে দারুণ লাগবে খেতে। এছাড়াও সবজি ভাজিতে বা নানান রকম স্ন্যাক্সে পুর হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। খেতে পারেন বাঁধাকপির স্যুপ। বাঁধাকপি দিয়ে রান্না করা যায় মাংস ও নানান রকম পায়েস। এছাড়া বাঁধাকপির আচারও হয়।

42
উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের শরীরের ফ্যাটের একটি রাসায়নিক রূপকে ট্রাইগ্লিসারাইডস বলা হয়। মানুষের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডস পরিবাহিত হয় ব্লাড প্লাজমার দ্বারা। অপ্রয়োজনীয় ট্রাইগ্লিসারাইডস ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমে যায়। যে কোন প্রাকৃতিক স্নেহজাতীয় পদার্থেই ট্রাইগ্লিসারাইডস থাকে। তবে শুধু ফ্যাট নয়, কার্বোহাইড্রেট খেলেও ট্রাইগ্লিসারাইডস বেড়ে যায় কারণ বেশিরভাগ কার্বোহাইড্রেটকে শরীর ট্রাইগ্লিসারাইডসে পরিণত করতে পারে।
শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ওবেসিটি, প্যানক্রিয়াটাইটিসের সম্ভবনাও বাড়িয়ে তোলে অত্যধিক ট্রাইগ্লিসারাইডস। স্টেরয়েডস, ডাইউরেটিকস এবং বার্থ কন্ট্রোল পিলের জন্যে অনেক সময় রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে ২০০ মিগ্রা/ ডেসিলিটারের বেশি ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে তা বিপজ্জনক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
ট্রাইগ্লিসারাইডস সমস্যা থেকে দূরে থাকতে যা করবেন

১। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে লো ফ্যাট, লো কার্ব ডায়েট চালু করুন।
২। নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট মাঝারি বেগে করুন।
৩। নিজের আইডিয়াল বডি ওয়েট জেনে নিন। যে করেই হোক সেই ওজনে পৌঁছাবার চেষ্টা করুন।
৪। ধূমপান এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করুন।
৫। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
৬। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলুন।


তথ্যঃ সানন্দা

43
ডিমের কদর আছে আমাদের সবার কাছেই। রান্নাবান্নায় জরুরি বলে তো বটেই, পুষ্টিকর ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে ডিম থাকে সবারই বাড়িতে। কিন্তু ডিম ব্যবহারের পর এর যে খোসা আমরা ফেলে দেই, তা কিন্তু আসলে মোটেই ফেলনা নয়। ডিমের খোসায় আছে ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, যে কারণে ক্যালসিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে এটি অসাধারণ। বেশ কিছু রোগ নিরাময়ে এটি উপকারী।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ছাড়াও ডিমের খোসায় থাকে আয়রন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফ্লোরিন, ক্রোমিয়াম এবং মলিবডেনাম। এ কারণে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে একে ব্যবহার করার উপদেশ দিয়ে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এক চা চামচ ডিমের খোসা গুঁড়োর ওজন মোটামুটি ৫ গ্রাম এবং এতে ১৬০০-১৮০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। বয়সের ওপর ভিত্তি করে দৈনিক ১.৫ থেকে ৩ গ্রাম পর্যন্ত ডিমের খোসার গুঁড়ো খাওয়াটা কার্যকরী। দেখে নিন কী করে ডিমের খোসা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আপনার কাজে আসতে পারে।
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সক্রিয় রাখতে
৮টি ডিমের খোসা নিন, এদেরকে ভালো করে ধুয়ে ও শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরপর দুটি লেবুর রস চিপে নিন এই গুঁড়োর ওপর। এই মিশ্রণ কয়েকদিন ফ্রিজে রেখে দিন। যখন লেবুর রসে গুঁড়ো সম্পূর্ণ গলে যাবে, তখন এর সাথে মিশিয়ে নিন এক লিটার পানি ও এক কেজি মধু। মিশ্রণটি ৭ দিন রেখে দিন। এরপর প্রতিদিন খাবার পর ১ টেবিল চামচ করে খেতে পারেন, দিনে দুই থেকে চার বার।
গ্যাস্ট্রিক বা আলসারজনিত ক্র্যাম্প
এক টেবিল চামচ ডিমের খোসা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন সমপরিমাণ চিনি ও জায়ফল গুঁড়োর সাথে। দিনে তিনবার এক টেবিল চামচ এই মিশ্রণ পানিতে মিশিয়ে পান করুন, ২০ দিন পর্যন্ত।
রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য
৪-৫ টি ডিমের খোসা পরিষ্কার করে গুঁড়ো করে নিন। ৩০০ মিলি পানি ঢেলে দিন এর ওপর। পানি ও ডিমের খোসা গুঁড়োর এই মিশ্রণ ফ্রিজে রাখুন ১ সপ্তাহ। এর পর সাধারন পানির মতো একে পান করুন। লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে ২-৩ গ্লাস পান করুন দৈনিক।

44
কথায় আছে মনের জোর সব চাইতে বড় জোর। মনে জোর থাকলে অনেক কিছুই করে ফেলা সম্ভব। মনের জোরের সাথে আত্মবিশ্বাসের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। মানসিকভাবে শক্ত থাকতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব বলে মনে হয়। অপরপক্ষে মানসিক ভাবে দুর্বলতা কাজ করলে অনেক সম্ভব কাজকেও অসম্ভব মনে হতে থাকে।
আপনার সফলতা বিফলতা অনেকাংশে এই মানসিক দুর্বলতা ও জোরের ওপর নির্ভর করে থাকে। তাই মানসিক দুর্বলতা ও হতাশা দূর করে ফেলা অনেক জরুরী। কিন্তু অনেকেই সহজে নিজের মনকে শক্ত করতে পারেন না। ভেতরে ভেতরে দুর্বলই রয়ে যান। এর প্রভাব পড়ে জীবনের ওপরে। তাই আজকে জানুন মানসিক দুর্বলতাকে ঝেড়ে ফেলার দারুণ কিছু উপায়।

১) নিজের জন্য সময় বের করুন
সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে একটি অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে বসে খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে মেডিটেশন করে নেয়া। এতে করে মনে শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় এবং নিজেকে ভালো করে চিনে নেয়া যায়। মনটাকে কিছুটা হলেও শক্ত করে নেয়া যায়। তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় এভাবে নিজের জন্য বের করে নিন।
২) পরিমাণ মতো ঘুমান
ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ঘুম কিন্তু আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়। এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ ভাবে জরুরী। ঘুম না হলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় যা আরও বেশি মানসিক দুর্বলতার সৃষ্টি করে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে করে শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই শক্তি অর্জন করতে পারবেন।
৩) দিনের সমস্যা দিনেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন
একটি সমস্যা নিয়ে বারবার এবং একটানা অনেক দিন ভাবতে থাকবেন না। কারণ আপনি যতো ভাববেন ততো সমস্যার সমাধান না করতে পারলে তা নিয়ে নিজের ওপর ভরসা হারাবেন এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন। তাই দিনের সমস্যা দিনেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। টানা মানসিক চাপ নেবেন না একেবারেই।
৪) নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয় মানসিক সুস্থতার জন্যও নিয়মিত ব্যায়াম করা অনেক বেশি জরুরী। যখন আমরা ব্যায়াম করি তখন আমাদের মস্তিষ্ক ‘এন্ডোরফিন’ নামক হরমোন নিঃসরণ করে যা আমাদের খুশি থাকতে সহায়তা করে। এভাবে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে। তাই প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যায়াম বা হাঁটাচলা আপনার মানসিক দুর্বলতা দূর করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
৫) শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম অনেক কার্যকরী
যখনই অনেক বেশি নার্ভাস ও ভীত বোধ করবেন তখন জোরে জোরে গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। গভীর ভাবে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এরপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে করতে থাকুন। এতে করে দুশ্চিন্তা, নার্ভাসবোধ বা ভয় ধরণের অনুভূতি কেটে যাবে দ্রুত।
৬) মানুষকে সহযোগিতা করুন
নিজের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি ফিরে পাওয়া বা অর্জনের সব চাইতে ভালো উপায় হচ্ছে অন্যকে সাহায্য করা। অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে তা যে পরিমাণ মানসিক শান্তি আপনাকে দেবে তাতে আপনি নিজের প্রতি ভরসা পাবেন এবং নিজের মানসিক দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

45
শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন বেবি পাউডার দিয়ে কী এমন সমস্যার সমাধান হয়? আমরা মনে করি বেবি পাউডার তো শুধু বাচ্চাদের জন্যই, কেননা তাদের ত্বকের সুরক্ষায় বেবি পাউডার ব্যবহার করা হয়। তবে এই এই সামান্য বেবি পাউডার দিয়েও কিন্তু রোজকার জীবনের নানা রকম সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। চলুন কথা না বাড়িয়ে জলদি জেনে নেই বেবি পাউডারের ৫টি ভিন্নধর্মী ব্যবহার।

১। শখের নেকলেসে প্যাচ লেগে গিয়েছে? এক নেকলেসের সাথে অন্য নেকলেসের চেন এমন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে যে খুলতেই পারছেন না। কী করবেন তখন? দেরি না করে নেকলেসের প্যাচ লেগে যাওয়া অংশে সামান্য বেবি পাউডার দিয়ে দিন। তারপর একটি পিন নিয়ে আস্তে আস্তে প্যাচ খুলে ফেলুন।

২। আমাদের সবার বাড়িতেই কম বেশি আসবাবপত্র থাকে। এবং কাঠের আসবাব থেকে মাঝে মাঝেই একটু স্যাঁতসেঁতে গন্ধ বের হয় এবং উজ্জ্বলতাও হারায় আসবাবের। কী করবেন ভাবছেন? সামান্য বেবি পাউডার নিয়ে আসবাবপত্রের ভেতরে কোনায় কোনায় সামান্য করে পাউডার ছড়িয়ে দিন এবং মাঝে মাঝে পরিষ্কার নরম কাপড়ে বেবি পাউডার নিয়ে আসবাবপত্রে ঘষুন। দেখবেন কিছুটা হলেও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৩। অনেক সময় ছবি, প্রয়োজনীয় কার্ড অনেকদিন পড়ে থাকার কারনে একটির সাথে আরেকটি লেগে যায়। টান দিয়ে খুলতে গেলেই ছিঁড়ে যায়। তাই এই সমস্যার সমাধান হল লেগে যাওয়া কার্ডগুলোতে সামান্য বেবি পাউডার ছিটিয়ে দেয়া। দেখবেন একটু পর এমনিতেই খুলে যাবে আটকে যাওয়া কার্ডগুলো।

৪। বাড়িতে পিঁপড়ার সমস্যা কার নেই? এই পিঁপড়া বিশেষ করে রান্না ঘরে খুব যন্ত্রণা দিয়ে থাকে আমাদের। অবশ্য এই পিঁপড়া তাড়াতেও আছে সহজ সমাধান। যেদিক দিয়ে পিপড়ার আগমন ঘটে আপনার ঘরে, সেই জায়গাগুলোতে বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিন। দেখবেন পিপড়ার আক্রমন কমে গিয়েছে।

৫। জুতা পরার সময় মোজা পরা হয়ে থাকে, কারণ যাতে পা না ঘেমে যায় এবং ঘেমে গেলেও মোজা সেই ঘাম শুষে নেয়। পায়ের ঘাম ও ঘাম থেকে হওয়া দুর্গন্ধ অনেকের জন্য বিশাল সমস্যা। মোজা পড়ার আগে আপনার পায়ে সামান্য বেবি পাউডার মেখে নিন। দেখবেন পাও ঘামবে না, বাজে ঘন্ধও হবেনা।

তথ্য সূত্রঃ healthdigezt.com


Pages: 1 2 [3] 4 5 6