Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: khadija kochi on April 30, 2018, 11:29:54 AM
-
বসের ঝাড়ি খাননি এমন চাকরিজীবী খুঁজে পাওয়া ভার। বসের ঝাড়ি খেয়ে তো আর মুখে হাসি আসবে না। কাজেই মেজাজ খারাপ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে কী প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তা ভাবনার বিষয়। কারণ ওই ঝাড়ির প্রতিক্রিয়া যথাযথ না হলে, তা আপনার হাতে বরখাস্তের নোটিশও ধরিয়ে দিতে পারে। কাজেই সাবধান তো হতেই হবে। হাজার হোক রুটি-রুজির ব্যাপার।
যদি দেখেন যে বস আপনাকে হয়রানি বা উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করছেন, তবে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ বা আইনজীবীর কাছে যেতে পারেন। কিন্তু কাজের বিষয় নিয়েই বকা খেলে একটু ভেবে দেখতে হবে। একটু চিন্তা করে দেখুন। দোষ কি আপনার ছিল, নাকি আপনি বলির পাঁঠা? বস কি নিজের হতাশা আপনার ওপর ঝাড়লেন? নাকি আপনাকে বাগে পেতে তক্কে তক্কেই ছিলেন তিনি?
অনেকগুলো প্রশ্ন হয়ে গেল। তবে এসবের উত্তরেই কিন্তু সমাধান লুকিয়ে আছে। বসের বকাঝকার বিপরীতে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া না দেখানোই ভালো
। উল্টো চিৎকার করে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বলার চেয়ে বেশি বেশি শোনার অভ্যাস গড়তে হবে। বসের অভিযোগ শুনতে শুনতেই তৈরি করতে হবে নিজের যৌক্তিক উত্তর।
১. আলাদাভাবে বসুন
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সবার সামনে বকাঝকা শুরু করলে তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে আনুষ্ঠানিক আলাপে বসার প্রস্তাব দিতে পারেন। যতটা বিন
য়ের সঙ্গে শান্তভাবে এই প্রস্তাব দেবেন, ততই মঙ্গল। আলাদাভাবে বসলে বস যেমন আপনার সমস্যাগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারবেন, তেমনি আপনিও এর জবাব দেওয়ার সুযোগ পাবেন। অফিসে সবার সামনে ভরা হাটে এই প্রত্যুত্তর দেওয়া কিছুটা কঠিন। তবে আপনাকেও অভিযোগ মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
২. নিজেকে ব্যাখ্যা করুন
একটি বিষয় মনে রাখবেন, বসের তোপের মুখে অবশ্যই আপনাকে যথাসম্ভব শান্ত থাকতে হবে। তবে নিশ্চুপ থাকতে হবে, এমন নয়। আপনার ‘ভুল’ কাজের ব্যাখ্যা নিয়ে যদি বস ভুল বুঝে থাকেন, তবে অবশ্যই তা ভাঙাতে হবে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে চলবে না। বস উত্তর চাইলে চুপ না থেকে কথা বলতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে হবে। যদি উত্তর যৌক্তিক হয়, তবে ভালো বস হলে তিনি শান্ত হয়ে আসবেন।
৩. ভুল হলে মেনে নিন
নিজের ভুল স্বীকার করায় কোনো লজ্জা নেই। এতে আপনার ভালো বৈ মন্দ হবে না। কখনো নিজের ভুলের অজুহাত দেবেন না। ভুল ভুলই। সেটি স্বীকার না করে উল্টো অজুহাত দিলে কর্মী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নেয় কর্তাদের মনে। তাই ভুল নিয়ে তর্কে না জড়ানোই ভালো। বরং স্পষ্টভাবে নিজের ভুল স্বীকার করে নিন। ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতনের কাছে পরামর্শ নিন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন। আপনার এই কাজে বস শান্ত হওয়ার পাশাপাশি বাহবাও দিতে পারেন।
৪. পাল্টা চিৎকার নয়
মনে রাখবেন, কোনো অফিসের বড় কর্তা আপনার মতোই রক্তে-মাংসে গড়া একজন মানুষ। রাগ তাঁর হতেই পারে। বস হলেই একজন ব্যক্তি পুরোপুরি খারাপ হয়ে যান না। তাই পাল্টা চিৎকার না করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করুন। পাল্টা চিৎকার পরিস্থিতি শুধু খারাপই করবে। এর চেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করুন। নিজেই যদি সমাধান দিতে পারেন, তবে দেখবেন কিছুক্ষণ আগে চিৎকার করে অফিস মাথায় তোলা ব্যক্তিটিই নরম হয়ে এসেছেন।
৫. সতর্ক থাকুন
কর্মস্থলে চেঁচামেচি একজন কর্মীকে মানসিকভাবে বেশ দুর্বল করে দেয়। অনেক সময় আরেকজনের ভুলের কারণেও আপনাকে অযথা বকা খেতে হতে পারে। তবে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ করার মানে নেই। আবার মন খারাপ করে কান্নাকাটি করলে আপনারই ক্ষতি। এতে কাজে মনঃসংযোগ কমে গিয়ে ভুল হবে আরও বেশি। তাই ঠান্ডা মাথায় বকা হজম করে কাজে নৈপুণ্য দেখাতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে আবার একই ভুল যেন না হয়।
একটি কথা মনে রাখবেন। আপনাকে বসের চেয়েও বেশি সফল হতে হবে। ক্ষণিকের জন্য এই লক্ষ্যকে অসম্ভব বলে মনে হলেও, দীর্ঘ মেয়াদে এ সংকল্পই আপনাকে সফলতার দরজায় পৌঁছে দেবে। সুতরাং মনঃকষ্টে না ভুগে উদ্যমী হওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবেই পড়ে যেতে পারেন বসের সুনজরে।
-
:)
-
:)
-
ঝাড়ি খেতে খেতে শেষ। বস তো কথাই শুনে না। ??? :-[ :-X :'(
-
Good one......
-
:)
-
:)
-
:)
-
helpful post..
-
nice post..