Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Lima Rahman

Pages: [1] 2
1
নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে বা এমন সন্দেহ হলে প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশপাশের লোকজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর এবং শুকনো কাশি। আপনার এরকম লক্ষণ দেখা দিলেই সেল্ফ-আইসোলেশনে চলে যান - অর্থাৎ নিজেকে অন্যদের সংস্পর্শ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলুন। খবর বিবিসি বাংলার

এর উদ্দেশ্য হলো যাতে আপনার বাসা, পরিবার, কর্মস্থল, বা সামাজিক পরিমন্ডলে অন্য যে মানুষেরা আছেন - তাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে না পারে।

প্রশ্ন হলো: কি ভাবে এই সেল্ফ আইসোলেন করতে হবে?

ঘরে থাকুন
এক নম্বর: আপনাকে ঘরে থাকতে হবে।

কর্মস্থলে, স্কুলে বা লোকসমাগম হয় এমন যে কোন প্রকাশ্য স্থানে যাওয়া বন্ধ করে দিন।

কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট - অর্থাৎ বাস, ট্রেন, ট্রাম, ট্যাক্সি বা রিকশা যাই হোক না কেন।

কেমন ঘরে থাকতে হবে?
এমন একটা ঘরে থাকুন যাতে জানালা আছে, ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে।

বাসার অন্য লোকদের থেকে আলাদা থাকুন। আপনাকে কেউ যেন দেখতে না আসে তা নিশ্চিত করুন।

আপনার যদি বাজার-হাট করতে হয়, বা কোন ওষুধ বা অন্য কিছু কিনতে হয় - তাহলে অন্য কারো সাহায্য নিন। আপনার বন্ধু, পরিবারের কোন সদস্য বা ডেলিভারি-ম্যান এটা করতে পারে।

যারা আপনার জন্য খাবার বা জিনিসপত্র নিয়ে আসবে, তাদের বলুন আপনার ঘরের দরজার বাইরে সেগুলো রেখে যেতে।

বাড়ির অন্যদের কী করতে হবে?
ধরুন, আপনি এমন একটি বাড়িতে আছেন যেখানে একটি কমন রান্নাঘর আছে যা সবাই ব্যবহার করেন।

এ ক্ষেত্রে যার করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তার এমন সময় সেই রান্নাঘরটি ব্যবহার করা উচিত যখন অন্য কেউ সেখানে নেই।

তার উচিত হবে রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে খাওয়া।

ঘরের মেঝে, টেবিল চেয়ারের উপরিভাগ - এমন সারফেস গুলো প্রতিদিন তরল সাবান বা অন্য কোনো ক্লিনিং প্রোডাক্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন।

যদি নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা সম্ভব না হয় তাহলে কী করবেন?
যদি এমন হয় যে আপনি নিজেকে পরিবারের অন্য সদস্য বা ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ হলো একে অপরের সংস্পর্শে আসা যতটা সম্ভব সীমিত করুন।

যদি সম্ভব হয়, বাসার অন্য লোকদের থেকে কমপক্ষে ২ মিটার বা ৬ ফুট দূরে থাকুন।

ঘুমানোর সময় একা ঘুমান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ যাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক হতে পারে - যেমন বয়স্ক মানুষেরা - তাদের থেকে দূরে থাকুন।

বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে অন্যদের কী করতে হবে?
আইসোলেশনে থাকা কোন ব্যক্তির সাথে যারা এক বাড়িতে বসবাস করছেন, তাদের জন্য পরামর্শ হলো: তাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।

হাত ধোয়ার নিয়ম হলো, সাবান ও পানি ব্যবহার করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে - বিশেষ করে সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে আসার পর।

কোন কোন জিনিস শেয়ার করা যাবে না
আপনার বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে কোন তোয়ালে, টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা এরকম কোন টয়লেট্রিজ সবাই মিলে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির আলাদা একটি বাথরুম ব্যবহার করা উচিৎ। তা সম্ভব না হলে নিয়ম করুন যে যিনি আইসোলেশনে আছে - তিনি বাথরুম ব্যবহার করবেন সবার শেষে, এবং ব্যবহারের পর সম্ভব হলে সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন।

যিনি আইসোলেশনে আছেন তার ফেলা বা সংস্পর্শে আসা সব রকম আবর্জনা একটি বিনব্যাগে ভরে তা আবার আরেকটি ব্যাগে ভরুন।

যদি তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয় - তাহলে এই আবর্জনা কীভাবে ফেলতে হবে, সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

2
Common Forum / উচ্চশিক্ষা
« on: January 21, 2019, 09:55:36 PM »
বাংলাদেশে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট দুটি শাখা খুলছে

বাংলাদেশের দুটি শহরে শাখা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চলেছে ভারতের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওডিশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কিট) সহযোগী প্রতিষ্ঠান কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স (কিস)। এই দুটির একটি হবে যশোরে, অন্যটি ঢাকায়। গতকাল দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন কিট ও কিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অচ্যুত সামন্ত।

অচ্যুত সামন্ত বলেছেন, ওডিশায় তাঁর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রচুর ছাত্রছাত্রী আছে। তবে এত দিনে বাংলাদেশে কিছু করার স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। নতুন দুটি শাখা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে আবাসিক ও অবৈতনিক। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এই দুই প্রতিষ্ঠানে মাতৃভাষাতেই শিক্ষা পাবে। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পাবে।

Eprothom Aloঅচ্যুত সামন্ত জানিয়েছেন, যশোরেরটি হবে শুধু মেয়েদের জন্য। আর ঢাকারটি হবে শুধু ছেলেদের জন্য। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই এই দুটি প্রতিষ্ঠান চালু হবে। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় দুই একর এবং যশোরে ৫ একর জমির ওপর এই প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি হচ্ছে। যশোরেরটি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের বহু পুরোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাঁচতে শেখো’র সঙ্গে মিলিতভাবে। তবে কিস এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আর্থিক দায়ভার বহন করবে। অন্যদিকে ঢাকার প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে। তবে এ ক্ষেত্রে আর্থিক দায়ভার ড্যাফোডিলই বহন করবে। তারা শুধু কারিগরি সহায়তা দেবে।

ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে ১৯৯২ সালে অধ্যাপক সামন্ত একক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলেন কিট। এরপর গত ২০১৭ সালে তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম আদিবাসীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিস। বর্তমানে দুটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছে। অধ্যাপক সামন্ত বলেছেন, কিস প্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার ৫০০ আদিবাসী ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ছেলেমেয়ে ক্রীড়াবিদ হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক সামন্ত বলেছেন, ‘আমি খুব দরিদ্র ঘরের সন্তান। তাই গরিবদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে এসেছি শুরু থেকেই। আর আমার সেই মহৎ উদ্যোগই আমাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।’ তিনি মনে করেন, সমাজের বঞ্চিত মানুষকে মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারার অর্থ অন্ধকে দৃষ্টি দেওয়া। উপযুক্ত সুযোগ পেলে দুর্বলেরাও অসাধারণ ফল করতে পারে। তাঁর মতে, অশিক্ষাই দারিদ্র্য তৈরি করে। আর সাক্ষরতা দারিদ্র্যকে দূর করে। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগিয়ে চলতে চান। তিনি আরও বলেছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিট ইতিমধ্যেই বিশ্বে আলাদা স্বীকৃতি পেয়েছে।

3
ভেজালের বেড়াজালে বর্তমানে প্যাকেটজাত করা দুধের কোনটি আসল তা চেনা খুবই কঠিন। অন্যদিকে নকল দুধ চেনা নিয়ে মাথাও ঘামাচ্ছেন কেউ। ফলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক খেয়েই আসল দুধের পিপাসা মিটাচ্ছেন সবাই।
তবে একটু তুষ্টিতেই খুব সহজেই চেনা যেতে পারে প্যাকেটজাত কোন দুধ আসল আর কোনটা নকল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনে নিন সহজ ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতির কথা—

১/ ভাল করে শুঁকে দেখুন। যদি দুধ থেকে সাবানের ফেনার গন্ধ বেরোয়, তাহলে সাবধান! আপনার কেনা দুধ নকল হতে পারে।
২/ প্যাকেট থেকে কাঁচা দুধ হাতের তালুতে সামান্য ঢেলে জিবে লাগান। যদি সামান্য মিষ্টি স্বাদ পান, তাহলে বুঝবেন আপনার কেনা দুধ নকল নয়।
৩/ খাঁটি দুধকে ফোটালে কখনই তার রং বদলায় না। কিন্তু নকল দুধের রং ফোটালে হালকা হলুদ হয়ে যায়।
৪/ অনেক সময় দুধের মধ্যে ওয়াশিং পাউডারও মিশিয়ে দেওয়া হয়। একটা কাচের পাত্রে দুধ নিয়ে ভাল করে ঝাঁকান। যদি বেশি ফেনা হয় এবং সেই ফেনা বহুক্ষণ স্থায়ী হয়, তাহলে কিন্তু চিন্তার কথা। সম্ভবত ওই দুধে ওয়াশিং পাউডার মেশানো আছে।

অনলাইন সংস্করণ

4


শবে বরাত বলুন আর লাইলাতুল বারায়াত বলুন কোন আকৃতিতে শব্দটি কুরআন মাজীদে খুজে পাবেন না। সত্য কথাটাকে সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন মাজীদে শবে বরাতের কোন আলোচনা নেই। সরাসরি তো দূরের কথা আকার ইংগিতেও নেই।

   অনেককে দেখা যায় শবে বরাতের গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের প্রথম চারটি আয়াত পাঠ করেন। আয়াতসমূহ হলঃ
حم ﴿১﴾ وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ ﴿২﴾ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ ﴿৩﴾ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ ﴿৪﴾ (الدخان: ১-৪)
অর্থঃ হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। (সূরা দুখান, ১-৪)
 
 শবে বরাত পন্থী আলেম উলামারা এখানে বরকতময় রাত বলতে ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন। আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে বরকতময় রাতের অর্থ ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা আল্লাহর কালাম বিকৃত করার মত অপরাধ। কারণঃ

(এক) কুরআন মাজীদের এ আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যা সূরা আল-কদর দ্বারা করা হয়। সেই সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ﴿১﴾ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ ﴿২﴾ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ﴿৩﴾ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ ﴿৪﴾ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ ﴿৫﴾
অর্থঃ আমি এই কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য মালাইকা (ফেরেশ্‌তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এই শান্তি ও নিরাপত্তা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা কাদর, ১-৫)

   অতএব বরকতময় রাত হল লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল বারায়াত নয়। সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল এই সূরা আল-কদর। আর এ ধরনের ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল-কুরআনের এক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াত দ্বারা করা হল সর্বোত্তম ব্যাখ্যা।

(দুই) সূরা দুখানের লাইলাতুল মুবারাকার অর্থ যদি শবে বরাত হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে বরাতে নাযিল হয়েছে। অথচ আমরা সকলে জানি আল-কুরআন নাযিল হয়েছে রামাযান মাসের লাইলাতুল কদরে।
যেমন সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآَنُ.
অর্থঃ রামাযান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন।

(তিন) অধিকাংশ মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন বরকতময় রাত বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে।
   তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী হওয়ার কারণে পরিত্যাজ্য। এ বরকতময় রাতের দ্বারা উদ্দেশ্য যদি শবে বরাত হয় তাহলে শবে কদর অর্থ নেয়া চলবেনা।

(চার) উক্ত আয়াতে বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা শবে বরাত করা হল তাফসীর বির-রায় (মনগড়া ব্যাখ্যা), আর বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা লাইলাতুল কদর দ্বারা করা হল কুরআন ও হাদীস সম্মত তাফসীর। সকলেই জানেন কুরআন ও হাদীস সম্মত ব্যাখ্যার উপসি'তিতে মনগড়া ব্যাখ্যা (তাফসীর বির-রায়) গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই।

(পাচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে কাসীর, কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা দুখানের ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ শবে বরাত নেয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। (তাফসীরে মায়ারেফুল কুরআন দ্রষ্টব্য)
ইমাম কুরতুবী (রহঃ) তাঁর তাফসীরে বলেছেনঃ “কোন কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল মধ্য শাবানের রাত (শবে বরাত)। কিন' এটা একটা বাতিল ধারণা।”
   অতএব এ আয়াতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ এর অর্থ লাইলাতুল কদর। শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়।

(ছয়) ইকরামা (রঃ) বরকতময় রজনীর যে ব্যাখ্যা শাবানের ১৫ তারিখ দ্বারা করেছেন তা ভুল হওয়া সত্ত্বেও প্রচার করতে হবে এমন কোন নিয়ম-কানুন নেই। বরং তা প্রত্যাখ্যান করাই হল হকের দাবী। তিনি যেমন ভুলের উর্ধ্বে নন, তেমনি যারা তার থেকে বর্ণনা করেছেন তারা ভুল শুনে থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়।

(সাত) শবে বরাতের গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত-মাউত, রিয্‌ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান- নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ করা হয়। আর শবে বরাত উদযাপনকারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন। তারা এর উপর ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের চেয়ে ১৫ শাবানের রাতকে বেশী গুরুত্ব দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত আয়াত উপস'াপন করেন তারা মানুষকে সঠিক ইসলামী আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে-প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না।

(আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস-ারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক।

5
Bangladesh Civil Service-BCS / General Knowledge :Bangladesh Affairs
« on: August 17, 2017, 04:11:57 PM »
সাম্প্রতিক__সাধারণ__জ্ঞানঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলী/ General Knowledge :Bangladesh Affairs
শিক্ষা বোর্ড - ১১ টি
শিক্ষা স্তর - ৪ টি
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ৩৯ টি
টেস্ট্রটাইল বিশ্ববিদ্যালয় - ১ টি
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় - ৪ টি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ৯৫ টি
সরকারি মেডিকেল কলেজ - ৩৬ টি
বেসকারি মেডিকেল কলেজ - ৬৪ টি
সরকারি ডেন্টাল কলেজ - ১ টি
সরকারি কলেজ - ৩৩৫ টি
সরকারি হাইস্কুল - ৩৩১ টি
জৈব সার খানা - ১ টি
পানি জাদুঘর - ১ টি
নদী বন্দর - ৩০ টি
সমুদ্র বন্দর - ৩ টি
স্হল বন্দর - ২৩ টি
গ্যাস ক্ষেত্র - ২৭ টি
সার কারখানা - ১৫ টি
সরকারি সার কারখানা - ৮ টি
সরকারি বস্র কল - ১৮ টি
পরিবেশ বান্ধব পোশাক কারখানা - ২৬ টি
সিমেন্ট কারখানা - ১৪ টি
সরকারি সিমেন্ট কারখানা - ৫ টি
সরকারি চিনি কল - ১৫ টি
চা বাগান - ১৬৬ টি
কাগজের কারখানা - ৭ টি
কয়লা ক্ষেত্র - ৫ টি
সরকারি পাটকল - ২৬ টি, চালু - ১৮ টি
সরকারি বস্রকল - ১৮ টি
তাঁত প্রশিক্ষন একাডেমী - ১ টি
পরমানু চিকিৎসা কেন্দ্র - ২৩ টি
নন জুট মিল - ৩ টি
ইপিজেড - ১০ টি, সরকারি - ৮টি
ইপিজেড বিনিয়োগকারী দেশ - ৩৭ টি
অস্র কারখানা - ১ টি
তেল শোধনাগার - ১ টি
জাহাজ নির্মাণ কারখানা - ৩ টি
রেয়ন মিল - ১ টি
পরিবেশ আদালত - ৩ টি
আবহওয়া কেন্দ্র - ৪ টি
বিভাগ - ৮ টি
জেলা - ৬৪ টি
বৃহত্তর জেলা - ১৯ টি
সিটি কর্পোরেশন - ১২ টি
উপজেলা - ৪৯৩ টি
পৌরসভা - ৩২৭ টি
থানা - ৬৪০ টি
ইউনিয়ন - ৪৫৬২ টি
গ্রাম - ৮৭৩৭২ টি

6
“ যখন আমি ছোট ছিলাম, আমার মা আমাদের জন্য রান্না করতেন। তিনি সারাদিন প্রচুর পরিশ্রম করার পর রাতের খাবার তৈরি করতেন। এক রাতে তিনি বাবাকে এক প্লেট সবজি আর একেবারে পুড়ে যাওয়া রুটি খেতে দিলেন। আমি অপেক্ষা করছিলাম বাবার প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটা দেখার জন্য। কিন্তু বাবা চুপচাপ রুটিটা খেয়ে নিলেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন স্কুলে আমার আজকের দিনটা কেমন গেছে।

আমার মনে নেই বাবাকে সেদিন আমি কি উত্তর দিয়ে ছিলাম কিন্তু এটা মনে আছে যে, মা পোড়া রুটি খেতে দেয়ার জন্য বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এর উত্তরে বাবা মা’কে যা বলেছিলেন সেটা আমি কোনদিন ভুলব না। বাবা বললেন, ‘প্রিয়তমা, পোড়া রুটিই আমার পছন্দ।’

পরবর্তীতে সেদিন রাতে আমি যখন বাবাকে শুভরাত্রি বলে চুমু খেতে গিয়েছিলাম তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে তিনি কি আসলেই পোড়া রুটিটা পছন্দ করেছিলেন কিনা। বাবা আমাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তোমার মা আজ সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং তিনি অনেক ক্লান্ত ছিলেন। তাছাড়া একটা পোড়া রুটি খেয়ে মানুষ কষ্ট পায় না বরং মানুষ কষ্ট পায় কর্কশ ও নিষ্ঠুর কথায়। জেনে রেখো, জীবন হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ জিনিস এবং ত্রুটিপূর্ণ মানুষের সমষ্টি।

আমি কোনক্ষেত্রেই সেরা না বরং খুব কম ক্ষেত্রেই ভাল বলা যায়। আর সবার মতোই আমিও জন্মদিন এবং বিভিন্ন বার্ষিকীর তারিখ ভুলে যাই। এ জীবনে আমি যা শিখেছি সেটা হচ্ছে, আমাদের একে অপরের ভুলগুলোকে মেনে নিতে হবে এবং সম্পর্কগুলোকে উপভোগ করতে হবে।

জীবন খুবই ছোট; প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে অনুতপ্ত বোধ করার কোন মানেই হয় না। যে মানুষগুলো তোমাকে যথার্থ মূল্যায়ন করে তাদের ভালোবাসো আর যারা তোমাকে মূল্যায়ন করে না তাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হও।”

তখন ১৯৪১ সাল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। আমরা থাকতাম রামেশ্বরম শহরে। এখানে আমাদের পরিবার বেশ কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে সময় পার করছিল। আমার বয়স তখন মাত্র ১০ বছর। কলম্বোতে যুদ্ধের দামামা বাজছে, আমাদের রামেশ্বরমেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। খাবার থেকে শুরু করে নিত্যব্যবহার্য পণ্য, সবকিছুরই দারুণ সংকট।

আমাদের সংসারে পাঁচ ভাই, পাঁচ বোন। তাদের মধ্যে তিনজনের আবার নিজেদেরও পরিবার আছে, সব মিলিয়ে এক এলাহি কাণ্ড। আমার দাদি ও মা মিলে সুখে-দুঃখে এই বিশাল সংসার সামলে রাখতেন।

আমি প্রতিদিন ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে অঙ্ক শিক্ষকের কাছে যেতাম। বছরে মাত্র পাঁচজন ছাত্রকে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে পড়াতেন। আমার মা আশিয়াম্মা ঘুম থেকে উঠতেন আমারও আগে। তিনি আমাকে গোসল করিয়ে, তৈরি করে তারপর পড়তে পাঠাতেন।

পড়া শেষে সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ি ফিরতাম। তারপর তিন কিলোমিটার দূরের রেলস্টেশনে যেতাম খবরের কাগজ আনতে। যুদ্ধের সময় বলে স্টেশনে ট্রেন থামত না, চলন্ত ট্রেন থেকে খবরের কাগজের বান্ডিল ছুড়ে ফেলা হত প্ল্যাটফর্মে। আমার কাজ ছিল সেই ছুড়ে দেওয়া কাগজের বান্ডিল সারা শহরে ফেরি করা, সবার আগে গ্রাহকের হাতে কাগজ পৌঁছে দেওয়া।

কাগজ বিক্রি শেষে সকাল আটটায় ঘরে ফিরলে মা নাশতা খেতে দিতেন। অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই দিতেন, কারণ আমি একই সঙ্গে পড়া আর কাজ করতাম। সন্ধ্যাবেলা স্কুল শেষ করে আবার শহরে যেতাম লোকজনের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করতে। সেই বয়সে আমার দিন কাটত শহরময় হেঁটে, দৌড়ে আর পড়াশোনা করে।

একদিন সব ভাইবোন মিলে খাওয়ার সময় মা আমাকে রুটি তুলে দিচ্ছিলেন, আমিও একটা একটা করে খেয়ে যাচ্ছিলাম (যদিও ভাত আমাদের প্রধান খাবার, কিন্তু রেশনে পাওয়া যেত গমের আটা)। খাওয়া শেষে বড় ভাই আমাকে আলাদা করে ডেকে বললেন, ‘কালাম, কী হচ্ছে এসব? তুমি খেয়েই চলছিলে, মাও তোমাকে তুলে দিচ্ছিল। তার নিজের জন্য রাখা সব কটি রুটিও তোমাকে তুলে দিয়েছে। এখন অভাবের সময়, একটু দায়িত্বশীল হতে শেখো। মাকে উপোস করিয়ে রেখো না।’ শুনে আমার শিরদাঁড়া পর্যন্ত শিউরে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে মায়ের কাছে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলাম।

মাত্র পঞ্চম শ্রেণিতে পড়লেও পরিবারে ছোট ছেলে হিসেবে আমার একটা বিশেষ স্থান ছিল। আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। কেরোসিন দিয়ে বাতি জ্বালানো হতো; তাও শুধু সন্ধ্যা সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত। মা আমাকে কেরোসিনের ছোট্ট একটা বাতি দিয়েছিলেন, যাতে আমি অন্তত রাত ১১টা পর্যন্ত পড়তে পারি। আমার চোখে এখনো পূর্ণিমার আলোয় মায়ের মুখ ভাসে।আমার মা ৯৩ বছর বেঁচে ছিলেন। ভালোবাসা আর দয়ার এক স্বর্গীয় প্রতিমূর্তি ছিলেন আমার মা। মা, এখনো সেদিনের কথা মনে পড়ে,যখন আমার বয়স মোটে ১০। সব ভাইবোনের ঈর্ষাভরা চোখের সামনে তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাতাম।

সেই রাত ছিল পূর্ণিমার। আমার পৃথিবী শুধু তোমাকে জানত মা! আমার মা! এখনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠি। চোখের জল গড়িয়ে পড়ে। তুমি জানতে ছেলের কষ্ট মা। তোমার আদরমাখা হাত আমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দিত।

তোমার ভালোবাসা, তোমার স্নেহ, তোমার বিশ্বাস আমাকে শক্তি দিয়েছিল মা। সৃষ্টিকর্তার শক্তিতে ভয়কে জয় করতে শিখিয়েছিল।

[সূত্র: এ পি জে আবদুল কালামের নিজস্ব ওয়েবসাইট। ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার]

7
বিডিলাইভ রিপোর্ট: নিম্নোক্ত কিছু ফোন নাম্বার থেকে মিস কলের শিকার হয়েছেন! যেমন +375602605281, +37127913091 +37178565072 +56322553736 +37052529259।

অথবা, এমন কিছু নম্বর যার শুরুতে এই code গুলি ছিল +375 +371 +381, এই টাইপের নম্বর থেকে একটা মিসড কল হলে অথবা কিছুক্ষণ রিং বেজে বন্ধ হয়ে গেলে, আপনি যদি এই সকল নম্বরের মধ্যে কোনো একটায় কল ব্যাক করেন তবে আপনার ব্যালেন্স থেকে 15-30$ কেটে নেওয়া হবে, আর তিন সেকেন্ডের মধ্যে আপনার কনট্যাক্ট লিস্ট এর সম্পূর্ণ কপি তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

আপনার ফোনে যদি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস্ অথবা ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের তথ্য সেভ করা থাকে তবে সেগুলোও তারা কপি করতে সক্ষম হবে। জেনে নিন এই সকল ফোন কোন কোন জায়গা থেকে করা হয় ও কোন জঙ্গিগোষ্ঠি করে থাকে… +375 is from Belarus +93 is From Afghanistan +371 is code for Lativa +381 is from Serbia +563 is code of Valparaiso +370 is code of Vilnius +255 is code of Tanzania … এই সকল ফোন ISIS জঙ্গিরা করে থাকে।

সবাই সাবধান হোন। ভুল করেও ফোন রিসিভ করবেন না ও কল ব্যাক করবেন না। আপনার ফোন থেকে কখনও #90 ও #09 প্রেস করবেন না। কোনো নম্বর থেকে ফোন করে আপনাকে প্রলোভন মূলক কোনো কথা বলে যদি #90 ও #09 চাপতে বলা হয়, দয়া করে তা কখনওই করবেন না। এতে আপনার ফোনের সিম কার্ড ক্লোনিং করে, আপনার নম্বরের আর একটি সিম কার্ড বানিয়ে নেবে তারা। তারপর আপনার নম্বর ব্যবহার করে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করবে, যার বিন্দুমাত্রও আপনি টের পাবেন না। ফোন ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করুন, সর্বদা সতর্ক থাকুন। সৌজন্যেঃ র‌্যাব-১

8
 আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ
অনেক দ্বীনী ভাই আছেন যারা সহীহ নিয়মে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করতে ইচ্ছুক। তাই তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, লাইলাতুল কদরে আমরা কি কি ইবাদত করতে পারি? এই রকম ভাই এবং সকল মুসলিম ভাইদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্তাকারে কিছু উল্লেখ করা হল। [ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ]

প্রথমতঃ আল্লাহ তাআ’লা আমাদের বলে দিয়েছেন যে, এই রাত এক হাজার মাসের থেকেও উত্তম। অর্থাৎ এই এক রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের থেকেও উত্তম। [আল্ মিসবাহ আল্ মুনীর/১৫২১]
তাই এই রাতটি ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করাই হবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
দ্বিতীয়তঃ জানা দরকার যে ইবাদত কাকে বলে? ইবাদত হচ্ছে, প্রত্যেক এমন আন্তরিক ও বাহ্যিক কথা ও কাজ যা, আল্লাহ পছন্দ করেন এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকেন। [মাজমুউ ফাতাওয়া,১০/১৪৯]

উক্ত সংজ্ঞার আলোকে বলা যেতে পারে যে ইবাদত বিশেষ এক-দুটি কাজে সীমাবদ্ধ নয়। তাই আমরা একাধিক ইবাদতের মাধ্যমে এই রাতটি অতিবাহিত করতে পারি। নিম্নে কিছু উৎকৃষ্ট ইবাদত উল্লেখ করা হলঃ

১- ফরয নামায সমূহ ঠিক সময়ে জামাআ’তের সাথে আদায় করা।
যেমন মাগরিব, ইশা এবং ফজরের নামায। তার সাথে সাথে সুন্নতে মুআক্কাদা, তাহিয়্যাতুল মসজিদ সহ অন্যান্য মাসনূন নামায আদায় করা।

২- কিয়ামে লাইলাতুল্ কদর করা।
অর্থাৎ রাতে তারবীহর নামায আদায় করা। নবী (সাঃ) বলেনঃ
“যে ব্যক্তি ঈমান ও নেকীর আশায় লাইলাতুল কদরে কিয়াম করবে (নামায পড়বে) তার বিগত গুনাহ ক্ষমা করা হবে”। [ফাতহুল বারী,৪/২৯৪]
এই নামায জামাআতের সাথে আদায় করা উত্তম। অন্যান্য রাতের তুলনায় এই রাতে ইমাম দীর্ঘ কিরাআতের মাধ্যমে নামায সম্পাদন করতে পারেন। ইশার পর প্রথম রাতে কিছু নামায পড়ে বাকী নামায শেষ রাতে পড়াতে পারেন। একা একা নামায আদায়কারী হলে সে তার ইচ্ছানুযায়ী দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তে পারে।

৩- বেশী বেশী দুআ করা।
তন্মধ্যে সেই দুআটি বেশী বেশী পাঠ করা যা নবী (সাঃ) মা আয়েশা (রাযিঃ) কে শিখিয়েছিলেন।
মা আয়েশা নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর লাভ করি, তাহলে কি দুআ করবো? তিনি (সাঃ) বলেনঃ বলবে, (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী”। [আহমদ,৬/১৮২] অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। ক্ষমা পছন্দ কর, তাই আমাকে ক্ষমা কর”।

এছাড়া বান্দা পছন্দ মত দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণকর যাবতীয় দুআ করবে। সে গুলো প্রমাণিত আরবী ভাষায় দুআ হোক কিংবা নিজ ভাষায় হোক। এ ক্ষেত্রে ইবাদতকারী একটি সুন্দর সহীহ দুআ সংকলিত দুআর বইয়ের সাহায্য নিতে পারে। সালাফে সালেহীনদের অনেকে এই রাতে অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে দুআ করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কারণ এতে বান্দার মুক্ষাপেক্ষীতা, প্রয়োজনীয়তা ও বিনম্রতা প্রকাশ পায়, যা আল্লাহ পছন্দ করেন।

৪- যিকর আযকার ও তাসবীহ তাহলীল করা।
অবশ্য এগুলো দুআরই অংশ বিশেষ। কিন্তু বিশেষ করে সেই শব্দ ও বাক্য সমূহকে যিকর বলে, যার মাধ্যমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করা হয়। যেমন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্ হামদু ল্লিল্লাহ” “সুবহানাল্লাহ”, “আল্লাহুআকবার” “আস্তাগফিরুল্লাহ”, “লা হাওলা ওয়ালা কুউআতা ইল্লা বিল্লাহ”। ইত্যাদি।

৫- কুরআন তিলাওয়াত।
কুরআন পাঠ একটি বাচনিক ইবাদত, যা দীর্ঘ সময় ধরে করা যেতে পারে। যার এক একটি অক্ষর পাঠে রয়েছে এক একটি নেকী। নবী (সাঃ) বলেনঃ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি অক্ষর পড়বে, সে তার বিনিময়ে একটি নেকী পাবে… আমি একথা বলছি না যে, আলিফ,লাম ও মীম একটি অক্ষর; বরং আলিফ একটি অক্ষর লাম একটি অক্ষর এবং মীম একটি অক্ষর”। [তিরমিযী, তিনি বর্ণনাটিকে হাসান সহীহ বলেন]
এছাড়া কুরআন যদি কিয়ামত দিবসে আপনার সুপারিশকারী হয়, তাহলে কতই না সৌভাগ্যের বিষয়! নবী (সাঃ) বলেনঃ
“তোমরা কুরআন পড়; কারণ সে কিয়ামত দিবসে পাঠকারীর জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে”। [মুসলিম]

৬- সাধ্যমত আল্লাহর রাস্তায় কিছু দান-সাদকা করা।
নবী (সাঃ) বলেনঃ
“সাদাকা পাপকে মুছে দেয়, যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়”। [সহীহুত তারগবি]

শবে কদরের একটি রাতে এই রকম ইবাদতের মাধ্যমে আপনি ৮৩ বছর ৪ মাসের সমান সওয়াব অর্জন করতে পারেন। ইবাদতের এই সুবর্ণ সুযোগ যেন হাত ছাড়া না হয়। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন। আমীন!
উল্লেখ থাকে যে, ইবাদতের উদ্দেশ্যে বৈষয়িক কাজ-কর্মও ইবাদতে পরিণত হয়। যেমন রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খাওয়া, রাত জাগার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম সেরে নেওয়া। তাই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের উদ্দেশ্যে বান্দা যেসব দুনিয়াবী কাজ করে সেগুলোও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
আশা করি আপনাদের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত কিছু আইডিয়া দিতে পেরেছি। ওয়ামা তাওফীক ইল্লা বিল্লাহ্

9
 কুরআনুল কারিম আল্লাহ তা‘আলার কালাম, যা তিনি জিবরিল ‘আলাইহিস সালামের মাধ্যমে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। অতএব যে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর ইমান রাখে, তার উপর কুরআনুল কারিমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও অপমানের স্থান থেকে তা রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। কোনো মুসহাফ/ কুরআন যদি পুরনো হয়, ছিড়ে যায় ও তার পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তাহলে এমন জায়গায় রাখা যাবে না, যেখানে অপমানের সম্মুখীন হয়, ময়লা-আবর্জনায় পতিত হয়, মানুষ বা জীব-জন্তু দ্বারা পিষ্ট হয়।
পুরনো কুরআন যদি বাঁধাই করে পাঠ উপযোগী করা সম্ভব হয়, তাহলে পরিত্যক্ত না রেখে ব্যবহার করাই শ্রেয়। অনুরূপ প্রকাশক বা কারো অবহেলা ও ভুলের কারণে কুরআনুল কারিম যদি ভুল ছাপা হয়, আর সংশোধন করা সম্ভব হয়, তাহলে সংশোধন করে পাঠ উপযোগী করা জরুরি।
পুরনো বা ভুলছাপার কুরআন যদি পাঠ উপযোগী করা সম্ভব না হয়, তাহলে অসম্মান ও বিকৃতি থেকে সুরক্ষার জন্য মুসহাফগুলো পোড়ানো কিংবা নিরাপদ স্থানে দাফন করা জরুরি।
শায়খ সালেহ আল-ফাওযান বলেন: “পোড়ানো ও দাফন করা উভয় পদ্ধতি সাহাবিদের থেকে প্রমাণিত”।[1]

প্রথম পদ্ধতি: পুরনো কিংবা ভুলছাপার কুরআন যদি দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে পবিত্র স্থানে দাফন করবে, যেখানে ভবিষ্যতে অপমানের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এবং যা দাফনকারীর দৃষ্টিতে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। মসজিদ বা মসজিদের জায়গায় দাফন করতে কোনো সমস্যা নেই। অনেক সালফে সালেহীন রহ. তাদের পুরনো কুরআন মসজিদে দাফন করেছেন। ইমাম আহমদ রহ. বলেন: “আবুল জাওযা রাহিমাহুল্লাহর একটি কুরআন পুরনো হয়ে গিয়েছিল, অতঃপর মসজিদে গর্ত করা হয়, তিনি সেখানে তা দাফন করেন”।[2]

দ্বিতীয় পদ্ধতি: পুরনো, ব্যবহার অনুপযুক্ত ও ভুলছাপার কুরআন সুরক্ষার দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে পোড়ানো। উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কুরাইশি হরফের কুরআন রেখে অবশিষ্ট কুরআন পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইমাম বুখারি রহ. বর্ণনা করেন:
«فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى حَفْصَةَ أَنْ أَرْسِلِي إِلَيْنَا بِالصُّحُفِ نَنْسَخُهَا فِي الْمَصَاحِفِ ثُمَّ نَرُدُّهَا إِلَيْكِ ، فَأَرْسَلَتْ بِهَا حَفْصَةُ إِلَى عُثْمَانَ ، فَأَمَرَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ ، وَسَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ ، فَنَسَخُوهَا فِي الْمَصَاحِفِ ...وَأَرْسَلَ إِلَى كُلِّ أُفُقٍ بِمُصْحَفٍ مِمَّا نَسَخُوا ، وَأَمَرَ بِمَا سِوَاهُ مِنْ الْقُرْآنِ فِي كُلِّ صَحِيفَةٍ أَوْ مُصْحَفٍ أَنْ يُحْرَقَ».
“... অতঃপর উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট বলে পাঠান, আমার নিকট মুসহাফগুলো পাঠিয়ে দিন, আমরা তা একাধিক মুসহাফে নকল করে আপনার নিকট ফেরত পাঠাব। অতঃপর তিনি উসমানের নিকট তা পাঠিয়ে দেন। উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জায়েদ ইবনে সাবেত, আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, সায়িদ ইবনে আস ও আব্দুর রহমান ইবনে হারেস ইবনে হিশামকে নির্দেশ দেন, তারা অনেক মুসহাফ তৈরি করেন... অতঃপর তাদের লিখিত এক-এক কপি তিনি প্রত্যেক অঞ্চলে প্রেরণ করেন এবং বিভিন্ন সহিফা ও মুসহাফসমূহে সংরক্ষিত কুরআনের অন্যান্য অংশ পোড়ানোর নির্দেশ দেন”।[3]
উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু যখন কুরাইশি হরফের কুরআন রেখে অবশিষ্ট মুসহাফ পোড়ানোর নির্দেশ দেন, তখন কোনো সাহাবি তার বিরোধিতা করেননি। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু যদিও ইখতিলাফ করেছেন, কিন্তু তা কুরআন পোড়ানো সংক্রান্ত ছিল না, বরং তার ইখতিলাফ ছিল এক হরফের কুরআন রেখে অন্যান্য ভাষার কুরআন নিঃশেষ করা সংক্রান্ত।
মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন রহ. বলেন: “যদি মুসহাফ পোড়ানো হয়, তাহলে ভালো করে পুড়ে ছাই করা জরুরি, কারণ অনেক সময় পোড়ানোর পরও হরফ অবশিষ্ট থাকে”।[4]
পুরনো কুরআন দাফন করা অপেক্ষা পোড়ানো উত্তম। কারণ সাহাবিদের উপস্থিতিতে উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কুরাইশি ভাষা ব্যতীত অন্যান্য ভাষার কুরআন পুড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ত কখনো উপর থেকে মাটি সরে গেলে দাফনকৃত কুরআনের অসম্মান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পোড়ানো ও পোড়ানোর পর ছাইগুলো দাফন করা অধিক শ্রেয়। [উল্লেখ্য বর্তমানে সাউদী আরবস্থ বাদশাহ ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং প্রেসে পোড়ানোর মেশিন রয়েছে সেখানে ভুল বা নষ্ট মুসহাফকে পোড়ানো হয়, যাকে মাহরাক্বা বলা হয়। (সম্পাদক)]

তৃতীয় পদ্ধতি: মিশিনের সাহায্যে মুসহাফের পৃষ্ঠাগুলো টুকরো টুকরো করে আরবি হরফগুলো নিঃশেষ করা, যদিও ভালো করে টুকরো করা খুব কঠিন কাজ। কেউ কেউ এ পদ্ধতি সমর্থন করলেও অনেকে তা অপছন্দ করেছেন।

চতুর্থ পদ্ধতি: অনেকে ব্যবহার অনুপযুক্ত কুরআন বা তার পৃষ্ঠাগুলো পানিতে ফেলে দেন, তার কোনো দলিল আমাদের জনা নেই। কোনো আদর্শ পূর্বপুরুষ এরূপ করেছেন মর্মে আমাদের নিকট কোনো তথ্য নেই। দ্বিতীয়ত পানিতে ভাসমান যে কোনো কাগজ ময়লা ও আবর্জনার স্থানে গিয়ে ঠেকতে পারে, তাই এ পদ্ধতি গ্রহণ করা ঠিক নয়।
শায়খ আব্দুর রহমান সুহাইম বলেন: “কুরআনুল কারিমের পুরনো ও ব্যবহার অনুপযুক্ত পৃষ্ঠা প্রযুক্তির সাহায্যে পুনরায় ব্যবহার করা বা অন্য কোনো কাজে লাগানো বৈধ নয়, বরং নিরাপদ স্থানে দাফন করা কিংবা পোড়ানো জরুরি”।[5]
দোয়া ও যিকর সংক্রান্ত কাগজে যদি আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত বা তার অংশ বিশেষ থাকে, তাহলে অবশ্যই তার সাথে সম্মানের ব্যবহার করা জরুরি। অনুরূপ হাদিসের কিতাবের সাথে সম্মানের আচরণ করা জরুরি, যদিও তার মর্যাদা কুরআনের সমান নয়। পড়ে থাকা কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম অবশ্যই সম্মানের স্থানে রাখবে, যদিও রাস্তায় চলার সময় এগুলো তালাশ করে করে হাঁটা জরুরি নয়। আল্লাহ ভালো জানেন।

10
দেশের বিভিন্ন স্থানেই বইছে হালকা থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে তীব্র গরমে হাসফাঁস অবস্থা সবার। এমন গরমে এসি' র মতো প্রশান্তি আর কোনো কিছুতেই পাওয়া যায় না। কিন্তু সবারতো আর এসি কেনার সামর্থ্য নেই। তবে কয়েকটি নিয়ম মানলে আপনার ঘরটি এসি ছাড়াই অনেক শীতল থাকবে। জেনে নিন সেগুলো...

দরজা: দিনের বেলা যদি ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন তাহলে বাতাস চলাচল করতে পারবে না। এতে রাতেও ঘর গুমোট হয়ে থাকবে। তাই দরজা খুলে রাখুন।

জানলা: দিনে বন্ধ রাখুন। রাতে শোওয়ার সময় জানলা খুলে ঘুমান। এতে ঘরে বাতাস চলাচল করবে।

বরফ-পাখা: পাখার কোনাকুনি এক বাটি বরফ রাখুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ঘরে ঠান্ডা বাতাস ভরে গেছে।

সুতির চাদর: গরম কালে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করলে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। নিয়মিত বদলান বেডকভার ও বেডশিট। এতে ঠান্ডা শুধু নয়, ফ্রেশও লাগবে।

পাখা: ঘরের পাখা এমন ভাবে সেট করুন যাতে ক্লকওয়াইজের বদলে বেশি জোরে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ ঘোরে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ঋতু অনুযায়ী পাখা ঘোরার দিক বদলান।

পূর্ব-পশ্চিম: এই দুই দিকের জানলাতেই সানশেড লাগান।

বাথরুম, রান্নাঘর: বাথরুম, রান্নাঘরের এক্সহস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন। এতে ভিতরের গুমোট, গরম বাতাস বেরিয়ে যাবে।

11
রমজানে রোগী কীভাবে রোজা রাখবেন, নিয়মিতভাবে গ্রহণকৃত ওষুধগুলোর কী হবে; ইনহেলার, স্প্রে, ড্রপ কি রোজা রেখে গ্রহণ করা যাবে ইত্যাদি চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইসলামি গবেষকদের মতামতের আলোকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা গবেষণাপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধের আলোকে রচিত এই নিবন্ধÑ

 

রোগী কোন অবস্থায় রোজা রাখতে পারবেন, কখন পারবেন নাÑ এ বিষয়ে ধর্মীয় দিকনিদের্শনা থাকলেও অসুস্থ অবস্থায় যারা রোজা রাখতে চান, তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ প্রয়োগ নিয়ে ডাক্তার ও রোগীদের মধ্যে সংশয় এবং বিভ্রান্তি দেখা যায়। এ নিয়ে ডাক্তারাও অনেক সময় অসুবিধায় পড়েন। রোজা থাকাকালীন কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিতÑ তা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেন না। এসব বিভ্রান্তি দূর করতে ১৯৯৭ সালের জুনে মরক্কোয় অনুষ্ঠিত নবম ফিকাহ চিকিৎসা সম্মেলন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সম্মেলনে জেদ্দা ইসলামিক ফিকাহ একাডেমি, আল আজহার ইউনিভার্সিটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আলেকজান্দ্রিয়া, মিসর এবং ইসলামিক শিক্ষাবিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (আইএসইএসসিও) প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনে মূল আলোচনার বিষয় ছিল রোজা অবস্থায় যেসব পরীক্ষা এবং ওষুধ প্রয়োগে রোজা নষ্ট হবে না এ বিষয়ে সঠিক দিকনিদের্শনা দেওয়া। ইসলামি চিন্তবিদরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা করে রোজা অবস্থায় ওষুধ প্রযোগ এবং পরীক্ষা সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত দেনÑ যা ২০০৪ সালে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ অবস্থায় যেসব ওষুধ গ্রহণ এবং পরীক্ষা করালে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না, তা হলোÑ

রোজা অবস্থায় চোখ, নাক ও কানের ড্রপ, স্প্রে, ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে। হার্টের এনজাইনার সমস্যার জন্য বুকব্যথা উঠলে ব্যবহৃত নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট বা স্প্রে জিহ্বার নিচে ব্যবহার করা যাবে। শিরাপথে খাদ্য উপাদান ছাড়া কোনো ওষুধ ত্বক, মাংসপেশি, হাড়ের জোড়ায় ইনজেকশন হিসেবে প্রযোগ করলে রোজার ক্ষতি হবে না। তবে রোজা রাখা অবস্থায় স্যালাইন বা গ্লুকোজজাতীয় কোনো তরল শিরাপথে গ্রহণ করা যাবে না।

চিকিৎসার প্রয়োজনে রোজা রেখে অক্সিজেন কিংবা চেতনানাশক গ্যাস গ্রহণে রোজা নষ্ট হবে না। এ ছাড়া চিকিৎসার প্রয়োজনে ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট, ব্যান্ডেজ, প্লাস্টার ইত্যাদি ব্যবহার এবং এসব উপাদান ত্বকের গভীরে প্রবেশ করলেও রোজার সমস্যা হবে না। রোজা রেখে দাঁত তোলা যাবে এবং ফিলিং ও ড্রিল ব্যবহার করা যাবে। দাঁত পরিষ্কারের সময় অসাবধানতাবশত কোনো কিছু গিলে ফেললেও রোজার নষ্ট হবে না।

রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে এবং কাউকে রক্তদানে কোনো বাধা নেই। একই সঙ্গে রক্ত গ্রহণ করতেও বাধা নেই। রোজা রেখে চিকিৎসার জন্য যোনিপথে ট্যাবলেট কিংবা পায়ুপথে সাপোজিটরি ব্যবহারে রোজার ভাঙবে না। এমনকি পরীক্ষা জন্য যোনিপথ কিংবা পায়ুপথে চিকিৎসক বা ধাত্রী আঙুল প্রবেশ করালেও রোজা নষ্ট হবে না। এছাড়া রোজা রেখে জরায়ু পরীক্ষার জন্য হিস্টরোস্কপি এবং আইইউসিডি ব্যবহার করা যাবে। হার্ট কিংবা অন্য কোনো অঙ্গের এনজিওগ্রাফি করতে যদি কোনো রোগ নির্ণয়ক দ্রবণ শরীরে প্রবেশ করানো হয়েলও রোজার ক্ষতি হবে না। একইভাবে কোনো অঙ্গের অভ্যন্তরীণ চিত্রধারণের জন্য ওই অঙ্গে কোনো ক্যাথেটার বা নালির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তরল রঞ্জক প্রবেশ করালে রোজা নষ্ট হবে না।

রোগ নির্ণয়ের জন্য এন্ডোস্কপি বা গ্যাস্ট্রস্কপি করালেও রোজা নষ্ট হয় না। তবে এন্ডোস্কপি বা গ্যাস্ট্রস্কপি করার সময় ভেতরে তরল কিংবা অন্য কোনো কিছু প্রবেশ করানো যাবে নাÑ যেগুলোর খাদ্যগুণ রয়েছে। রোজা রাখা অবস্থায় না গিলে মাউথওয়াশ, মুখের স্প্রে ব্যবহার করা যাবে এবং গড়গড়া করা যাবে। রোজা রেখে লিভারসহ অন্য কোনো অঙ্গের বায়োপসি করা যাবে। রোজা রাখা অবস্থায় পেরিটোনিয়াল কিংবা মেশিনে কিডনি ডায়ালাইসিস করা যাবে।

সূত্র : ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল

12
প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা হলো কিন্তু নাম মনে পড়ছেনা। আবার ড্রয়ারের চাবি কোথায় রেখেছেন তা ভুলে সারাবাড়ি মাথায় তোলা ইত্যাদি আমাদের জীবনে হরহামেশাই ঘটে। কখনও তা বড়ো আকার ধরণ করে। তখনই হয় বিপত্তি।

বয়সের সাথে সাথে স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া স্বাভাবিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর থেকে একজন মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। অনেকেই এটিকে রোগ ভেবে ভুল করেন। সবসময়ই এটি রোগ নয়। আবার বয়স ছাড়াও কখনও কখনও ভুলে যাওয়ার বাতিক লক্ষ্য করা যায়। মাঝে মধ্যে ভুলে যাওয়া মানেই স্মৃতিশক্তির কঠিন সমস্যা নয়। এক নজরে দেখে নিন বয়স ছাড়াও কি কি কারণে ভুলে যাওয়ার সমস্যা বা স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে।

০ পারিবারিক ঝামেলার আধিক্য

০ মাথায় আঘাত

০ থাইরয়েডের সমস্যা

০ ডায়াবেটিকস

০ হাই কোলেস্টরল

০ ক্লান্তি

০ বিষন্নতা

০ নিঃসঙ্গতা

ভুলে যাওয়ার বিভিন্নতা

বিভিন্নরকমভাবে ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে

০ সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যাওয়া এবং চেষ্টা করেও মনে করতে না পারা

০ কথা বলার সময় বহুল ব্যবহৃত শব্দ মনে করতে না পারা

০ পরিচিত রাস্তা ভুলে যাওয়া

০ কোনও জিনিস যে জায়গায় রাখার কথা সেখানে না রেখে সম্পূর্ণ অন্য জায়গায় রাখা

০ কাজের প্ল্যান করতে না পারা অথবা প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে না পারা

০ সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনিচ্ছা ০ অজানা জায়গা সম্পর্কে অহেতুক আশংকা

০ নিয়মিত অভ্যাসমূলক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার প্রবণতা ০ ব্যক্তিত্বের নেগেটিভ পরিবর্তন ইত্যাদি।

ভুলে যাওয়া যখন রোগ

ভুলবশত ভুলে যাওয়া এক দুইবার হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে বারবার হতে থাকলে অবশ্যই সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। যে কোন ধরনের ভুলে যাওয়ার মেডিকেল নাম অ্যামনেজিয়া। এর আবার নানা ভাগ আছে।

অ্যালজাইমার্স ঃ এই রোগে সাধারণত মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের এই রোগ হয়। তবে ৮০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বংশগত কারণে ষাটের আগেও এই রোগ হতে পারে। থাইরয়েড নিঃসরণ হ্রাস পেলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় কথা বলতে সমস্যা হওয়া, হাত পায়ের দ্বারা সাধারণ কাজ করতে না পারা, এইমাত্র যা করলেন বা বললেন তা ভুলে যাওয়া, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোথায় যাবেন মনে করতে না পরা ইত্যাদি।

ডিমেনসিয়া ঃ এই রোগ বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরণগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। ফলে স্মৃতিভ্রংশ হয়। ডিমেনসিয়ার বিশেষত্ব হলো ভুলে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটে। কারণ মস্তিষ্কের সামনের অংশ ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে। ডিমেনসিয়া রোগে এই অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফলে ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হয়। সাধারণত ৮০ বছরের পর ডিমেনসিয়া হয়। তবে অনেক সময় নিজের অজান্তেই মস্তিস্কে ছোট ছোট স্ট্রোকের ফলে কোষ শুকিয়ে যেতে থাকে। সেক্ষেত্রে ৮০’র আগেও ডিমেনসিয়া হতে পারে।

প্রতিকার

০ মস্তিষ্কের নিউরোসেল সক্রিয় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
০ শরীর সচল রাখতে হবে ফলে তা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ঘটাবে
০ মাথায় বড় আঘাত থেকে সতর্ক থাকতে হবে
০ রক্তচাপ, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে
০ চর্বি কম খেতে হবে
০ ধূমপান সর্বাগ্রে বর্জনীয়
০ বই পড়ার অভ্যাস ডিমেনসিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে

মনে রাখার ম্যাজিক

প্রিয় পাঠক আবার ভেবে বসবেন না যে কোনো ম্যাসিজ শিখিয়ে দিচ্ছি। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে মস্তিষ্কের গঠন বিশ্লেষণ করে একটি পন্থা আবিষ্কৃত হয়েছে। যার নাম নেমোনিক্স। এটিকেই মগজাস্ত্রের তুরুপের তাস বলা হয়। নাম, তারিখ, তালিকা সবকিছু মনে রাখার এটি এক অনন্য পদ্ধতি। তবে এজন্য তুখোড় বুদ্ধিমান বা মোটাফ্রেমের চশমা পরে থিতু হবার প্রয়োজন নেই। এর প্রাথমিক ব্যবহার বুঝতে পারলেই আপনি অনুভব করবেন কেন এটিকে ম্যাজিক বলা হয়েছে। নেমোনিক্স বহুরকম হয় তবে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পন্থা হচ্ছে কল্পনা এবং অনুষঙ্গ। এই পদ্ধতিতে আপনি যদি কারও নাম মনে রাখতে না পারেন তবে তার নামের সাথে মিল রেখে যেকোনো পরিচিত বস্তুর ছবি আঁকুন আপনার কল্পনায়। একবার যদি কল্পনার জাল বুনে ফেলতে পারেন তবে তার নাম ভোলার চান্স থাকবেনা বললেই চলে।

আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে রোমান রুম পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আপনি যা মনে রাখতে চাচ্ছেন তার সাথে পরিচিত একটি প্রেক্ষাপটে কল্পনা করুন। ধরা যাক আপনি সদাই করতে গিয়ে কাগজ আর পেন্সিল কিনবেন। চিন্তা করুন, একটি বাচ্চা কাগজ ছিড়ে কুটি কুটি করছে আর পেন্সিল দিয়ে এঁকে সারাবাড়ির দেয়াল নষ্ট করছে। দেখবেন সহজেই মনে রাখতে পারছেন।

আরও করণীয়

০ মস্তিষ্ক সজাগ রাখুন। খবরের কাগজ পড়ুন, সামাজিক অনুষ্ঠানে যান, সকলের সঙ্গে মিশুন
০ নিয়মিত অনুশীলন করুন
০ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
০ রক্তচাপ ও কোলস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করুন
০ কাঁচা লবন কম খাবেন
০ রাতে সারাদিনের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করুন
০ কবিতা পড়ুন, গান শুনুন, ছবি দেখুন
০ মন খুলে হাসুন। হাসতে পারলে আপনি ফুরফুরে থাকবেন।

13
বিডিলাইভ ডেস্ক: নিয়মানুবর্তিতাঃ ডিসিপ্লিন হলো একটা শিশুর লাইফে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বাবা মা হিসেবে ডিসিপ্লিন নিয়ে কখনোই ছাড় দেয়া ঠিক না। একবার সে অবাধ্য হয়ে গেলে বারবার একই কাজ করার চেষ্টা করবে। কথা না শুনলে ছোটখাট শাস্তি দিন।


অর্থের যথাযথ ব্যবহারঃ লাইফের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ দরকার হয়। একটা ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবারই অর্থের প্রয়োজন। তাই বাবা মা হিসেবে উচিত আপনার শিশুকে ছোট থেকেই অর্থের সঠিক ব্যাবহার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। আপনার সমর্থ থাকলেই আপনার শিশুর হাতে অতিরিক্ত অর্থ দিবেন না কারন পরবর্তীতে সে আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। যথাসম্ভব শিশুকে অর্থ উপার্জনের উপায় এবং যথাযথ ব্যাবহার শিক্ষা দিতে হবে।

চাপ প্রয়োগ না করাঃ আপনার শিশুর রেজাল্ট ভালো খারাপ যাই হোক না কেন সবসময় খুব সহজভাবে মেনে নিবার চেষ্টা করবেন। আপনার শিশু ক্লাসে প্রথম হলে অবশ্যই তাকে কিছু সারপ্রাইজ দিন। এতে আপনার শিশুর পরবর্তী পদক্ষেপে প্রচেষ্টা আরো বেড়ে যাবে। তবে ক্লাসে রেজাল্ট খারাপ হলে উৎসাহ দিন পরবর্তীতে ভালো করার। কখনোই হার্ট করে কথা বলবেন না। এটা শিশুকে মানসিক চাপে ফেলে দেয়। আমাদের দেশের ৬০% বাবা মা এই ভুলটা করে যেটা আপনার ছোট্ট শিশুর সাথে কখনোই করা উচিত না।

অন্যের দুঃখ কষ্ট উপলব্ধি করাঃ আপনার শিশু যেন মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখে ব্যাথিত হয় সে ব্যাপারে শিক্ষা দিন। একটা অসহায় মানুষকে হেল্প করার মাঝে যে সুখ সেটাকে তার ভিতরে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনার সন্তান ছোট বেলায় সব থেকে আপনাকে বেশি ফলো করে সেহেতু তার সামনে সবসময় ভালো ভালো কাজ করবেন এবং তাকেও করতে উৎসাহী করবেন।

সত্য বলার অভ্যেস গড়ে তোলাঃ শিশুরা প্রায়শই মিথ্যার আশ্রয় নেয় বাবা মা’র শাস্তির ভয়ে। ছোট থেকেই সত্য বলার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। একবার ছোট বেলায় এই অভ্যেস টা তৈরি করে দিতে পারলে আজীবনের জন্য স্থায়ী হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সে সত্য বললেও এমনভাবে উত্তর দিবেন যেন সে বুঝে মিথ্যা বলাটা কতোটা খারাপ এবং একবার মিথ্যেবাদী প্রমান হলে ভবিষ্যতে আর কেউ তাকে বিলিভ করবে না। এসব ছোট খাট ব্যাপার আপনার শিশুর মাথায় সেট করে দিন।

ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলাঃ নিজের ভুলটা স্বীকার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সেটা যতই খারাপ হোক। নিজের ভুল না দেখে যেন অন্যের উপর ব্লেম না দেয় সে ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে। চেষ্টা করবেন ভুলটা যেন আপনার শিশু নিজেই অনুধাবন করে।

আত্মসমালোচনাঃ অন্যের মধ্যে খারাপ দিক খোঁজার আগে অবশ্যই আপনার শিশু যেন নিজের খারাপ দিকগুলো ফিল করতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষা দিতে হবে। তার খারাপ দিকগুলো সবসময় তার কাছে তুলে ধরতে হবে এবং সাথে ভালো একটা সমাধান দিতে হবে।

নিজে থেকেই সমস্যা সমাধান করতে দেয়াঃ আপনার শিশুর সমস্যাগুলো তাকেই সমাধান করতে দিন। আপনি তার সমস্যার সমাধানে কখনোই আগ্রহ দেখাবেন না। যেমন সে স্কুলে হোম ওয়ার্ক করবে। সেটা নিজেকেই তৈরি করতে দিন অথবা হোম ওয়ার্ক জমা না দেয়ায় তাকে এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। সেটাও আপনার শিশুকেই প্রস্তুত করতে দিন। এতে আপনার শিশু সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হতে শিখবে।

ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলাঃ নিজের ভুলটা স্বীকার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সেটা যতই খারাপ হোক। নিজের ভুল না দেখে যেন অন্যের উপর ব্লেম না দেয় সে ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে। চেষ্টা করবেন ভুলটা যেন আপনার শিশু নিজেই অনুধাবন করে।

সময়জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমঃ সময়জ্ঞান এবং কঠোর পরিশ্রম এই দুটো হচ্ছে আপনার বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চারা কাগুজে বইয়ে এগুলো সম্পর্কে পড়ে ঠিকই তবে হাতে কলে শিক্ষা আপনাকেই দিতে হবে বাচ্চার অভিবাবক হিসেবে। বিভিন্নভাবে তাকে কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহী করা এবং সাকসেস হলে যথাযথ পুরষ্কার দেয়া।

 
সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে উৎসাহী করাঃ ছোট বয়সে আপনার শিশুর মন সব থেকে বেশি কোমল থাকে। এই সময়টাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাষ স্থাপনের উপযুক্ত সময়। এতে আপনার শিশু আপনা থেকেই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবে সৃষ্টিকর্তার ভয়ে। তাই সময় পেলে আপনার শিশুকে ধর্ম সম্পর্কে ধারনা দিন।

14
Public Health / Apple hired 65% more women in the past year
« on: August 19, 2015, 07:46:58 PM »
Apple Inc said it had hired over 11,000 women globally in the past year – 65% more than the previous year – to boost employee diversity.
 

“In the first 6 months of this year, nearly 50% of the people we’ve hired in the United States are women, Black, Hispanic, or American,” CEO Tim Cook said on the company’s website.

 

Cook maintained there was “a lot” more work to be done. Apple had 92,600 full-time employees as of September 2014.

 

Diversity reports in the recent past have spurred a national debate about the lack of diversity at Silicon Valley’s tech companies and how to improve gender and race ratios.

 

Google said in June 21% of tech hires last year were women, boosting overall number of women in technical roles by 1%, as part of efforts to increase diversity.

15
বিডিলাইভ ডেস্ক: শিক্ষকতা মহান পেশা। আর এই প্রবাদ বাক্যকে যেন আরো নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন ভারতের স্কুলশিক্ষক এ টি আব্দুল মালিক। ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে ১৯ বছর ধরে প্রতিদিন তিনি নদী সাঁতরে পার হন। স্কুলের শিক্ষক হাজিরা খাতায় নেই এ মহান শিক্ষকের একদিনের অনুপস্থিতি। এই স্কুল শিক্ষকের নাম এ টি আব্দুল মালিক। ১৯৯২ সাল থেকে কেরালার মুসলিম লোয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তিনি। বাড়ি থেকে তাঁর স্কুলে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে দুটি।

প্রথমটি হচ্ছে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুবার বাস বদল করতে হবে, এরপর আবার দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হবে। আর এতে সময় লাগবে অন্তত তিন ঘণ্টা। দ্বিতীয় রাস্তাটি হচ্ছে বাড়ি থেকে হেঁটে স্থানীয় কাদালুন্দিপুঝা নদীর তীরে যেতে হয়। আর এতে সময় লাগে ১০ মিনিট। এরপর এই নদী সাঁতরে তীরে উঠে হাঁটতে হয় অন্তত তিন মিনিট। এরপর পৌঁছে যান তার প্রিয় শিক্ষার্থীদের কাছে।

এটি আব্দুল মালিক জানান, প্রতিদিন নদী সাঁতরে স্কুলে যেতে তার সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হয়। এছাড়া গাড়িতে যেতে হলে অনেকদিন নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পৌঁছানো যায় না। নদীর তীরে পৌঁছে তিনি তার পোশাক এবং অন্যান্য জিনিষপত্র প্লাষ্টিক ব্যাগে ভরিয়ে ফেলেন। চোখে পানিরোধক চশমা পরে প্লাষ্টিকের সেই ব্যাগ এক হাতে পানির ওপরে ধরে পারি দেন নদী। স্থানীয়দের কাছে এই শিক্ষক পরিচিতি পেয়েছেন জীবন্ত ঘড়ি হিসেবে। তিনি যখন প্রতিদিন পানিতে নামেন তখন ঘড়ির কাটা থাকে ঠিক ৯টায়।

এরপর নদীর তীরে ওঠে কাপড় পড়ে পৌঁছান স্কুলে। সেখানে হাসিমুখে অপেক্ষায় থাকে তার শিক্ষার্থীরা। মাসিক বেতন যা পান তাতেই খুশি এই শিক্ষক। বলেন, আমার কোনো সমস্যা ছিল না, এখনো নেই। আব্দুল মালিকের আশা পরিবেশ ও নদীরক্ষায় তার এই কাজ অনেককেই উৎসাহ দিবে। এছাড়া তিনি মাঝে মাঝেই শিক্ষার্থীদের নিয়েও সাঁতার কাটতে বের হন। এর মাধ্যমে নিজেকেও ফিট রাখা যায় বলেও জানান এই শিক্ষক।

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা তাকে সম্মাননা জানান। যুক্তরাজ্যের একজন মানসিক চিকিৎসক এই শিক্ষকের মহান এই ত্যাগের জন্য একটি নৌকা উপহার দেন। কিন্তু এর আগেই কেটে গেছে ১৯ বছর। নদী সাঁতরেই ইংলিশ চ্যানেলের সমপরিমাণ (৭০০ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম করেছেন তিনি।

Pages: [1] 2