Daffodil International University

Career Development Centre (CDC) => Career Planning => Career Guidance => Guidance for Job Market => Topic started by: mshahadat on August 03, 2014, 04:57:04 PM

Title: যখন আপনি শিক্ষানবিশ
Post by: mshahadat on August 03, 2014, 04:57:04 PM
‘ক্লাসে শিক্ষকেরা আমাদের কত-কী শিখিয়েছেন৷ মোটা মোটা বই পড়ে একেকটা পরীক্ষায় পাস করেছি৷ আর এখন আমাকে কিনা সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বসে বসে চেকের ওপর সিল মারতে হয়৷ এই যদি হয় কাজ, তাহলে এত কিছু পড়লাম কেন?’ মন খারাপ করা গলায় বলছিলেন সোহেল (ছদ্মনাম)৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি৷ শিক্ষানবিশ অর্থাৎ ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দিয়েছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে৷ শিক্ষানবিশি প্রতিবেদন ঠিকভাবে শেষ হলেই মাথায় পরবেন সমাবর্তনের টুপি৷

ব্যবসায় প্রশাসন, প্রকৌশলবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাংবাদিকতাসহ এখন অনেক বিষয়েই স্নাতক পর্যায়ের শেষভাগে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশি করতে হয়৷ আসলে এটা কর্মজীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেওয়ার একটা সুযোগ৷ কোনো প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষানবিশের কাজের ধরন কেমন হতে পারে? তাঁর প্রতি অফিসের অন্য কর্মকর্তাদের আচরণই বা কেমন হওয়া উচিত? এসব নিয়ে কথা হলো সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে৷

শিক্ষানবিশদের জন্য
গ্রো এন এক্সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুখ্য পরামর্শক এম জুলফিকার হোসেন বলেন, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শেখা৷ হতাশ হয়ে আপনি যদি শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, দিন শেষে ক্ষতিটা কিন্তু আপনার৷ অনেক শিক্ষানবিশ কর্মী অভিযোগ করেন, অফিসে তাঁদের দিয়ে ফটোকপি করিয়ে আনার মতো ছোটখাটো কাজ করানো হয়৷ মনে রাখতে হবে, কোনো কাজই ছোট নয়৷ প্রতিটি কাজ গুরুত্ব সহকারে করতে হবে৷
গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সুফল শোনা হলো সুমাইয়া আফরিনের কাছ থেকে৷ একটি মুঠোফোন কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেছিলেন৷ এখন সেখানেই নিয়োগ পেয়েছেন৷ বললেন, ‘প্রথম দিকে আমার তেমন কোনো কাজ ছিল না৷ সহকর্মীরা বোধহয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ দিতে ঠিক ভরসা পেতেন না৷ কিন্তু আমি আশপাশের সবার কাজ খুব ভালোভাবে লক্ষ করতাম৷ না বুঝলে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতাম৷ এভাবে দেখা গেল অনেক কিছু শিখে গেছি৷ এখন তো চাকরিও স্থায়ী হয়ে গেছে৷’

মনে রাখতে হবে, শিক্ষানবিশ বলে কাজে হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ নেই৷ দ্রুত কর্মদক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি অফিসের আদবকেতাও শিখে নিতে হবে৷ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজের সেরাটুকু দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে৷ শিক্ষানবিশি প্রতিবেদন তৈরির সময়ও তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান, দুটিরই প্রয়োগ থাকা জরুরি৷

শিক্ষানবিশদের প্রতি আচরণ
শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন বলে একটি প্রতিষ্ঠান কাউকে হেলাফেলা করতে পারে না৷ কর্মকর্তাদের সচেতন হতে হবে৷ একজন শিক্ষানবিশকে যেভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে, তেমনি তাঁকে শেখানোর দায়িত্বও অফিসে সিনিয়রদের নিতে হবে৷ এমন মত এম জুলফিকার হোসেনের৷ তিনি মনে করেন, শিক্ষানবিশ কর্মীকে মাঝেমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া উচিত৷ তবে অবশ্যই সমন্বয়ক হিসেবে সঙ্গে কাউকে থাকতে হবে, যেন কাজটি ঠিকভাবে হয়, আবার নতুন লোকটিও কাজের চাপে অসহায় বোধ না করেন৷ অফিসের একজন নতুন কর্মীকে শুরুতেই কাজের চাপে ফেলে ঘাবড়ে দেওয়া ঠিক নয়৷ অফিসে পুরোনোদের উচিত শেখানোর মানসিকতা নিয়ে একজন শিক্ষানবিশ কর্মীকে সহযোিগতা করা৷

সূত্র: প্রথমআলো