Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - mostafiz.eee

Pages: [1] 2 3 ... 6
1
EEE / রাডার স্টেশন
« on: July 22, 2015, 11:43:54 AM »
রাডার স্টেশন হল এক ধরনের মিনি সাইজের বেতার কিংবা টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রের মতো। এই কেন্দ্র থেকে আকাশে বেতার তরঙ্গ নিক্ষেপ করা হয়। যখন এই বেতার তরঙ্গ আকাশে কোনো কঠিন বস্তুতে আঘাত করে তখন প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে। এই প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গই ধরা পড়ে রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে। রাডারের গ্রাহক যন্ত্রের অংশটি প্রায় টেলিভিশনের মতো। এখানে প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গের আলোর সংকেতই পর্দায় ভেসে উঠে আলোর বিন্দু রূপে। রাডারের এই তরঙ্গ খুবই দ্রুত ছুটে যায় এবং দূরের বস্তুতে আঘাত করে আবার ফিরে আসে এবং আলোর বিন্দু হয়ে পর্দায় ভাসে উঠে - এই প্রক্রিয়াটি চোখের পলকে ঘটে যায়।

2
EEE / দ্য ফাদার অফ দ্য ডেফ
« on: July 22, 2015, 11:40:56 AM »
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল (৩মার্চ ১৮৪৭ - ২ আগস্ট ১৯২২) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত। তাঁকে 'দ্য ফাদার অফ দ্য ডেফ' নামে ডাকা হত। তাঁর বাবা, দাদা এবং ভাই সবাই একক অভিনয় ও বক্তৃতার কাজে জড়িত ছিলেন এবং তাঁর মা ও স্ত্রী উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন। টেলিফোন উদ্ভাবনের আগে থেকেই তিনি শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তাঁকেই টেলিফোনের প্রথম মার্কিন পেটেন্টের সম্মানে ভূষিত করা হয়।

পরবর্তী জীবনে বেল আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেন যার মধ্যে রয়েছে উড়ো নৌকা এবং বিমানচালনবিদ্যা। ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বেল। তাঁর সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন যে টেলিফোন, সেটিকেই তিনি এক উটকো ঝামেলা জ্ঞান করতেন। এ জন্যই নিজের গবেষণা ও অধ্যয়নকক্ষে কোনও টেলিফোন রাখতেন না। বেল মারা যাওয়ার পর আমেরিকার সকল টেলিফোনে এক মিনিটের জন্য অবিরাম রিং বাজানো হয়। মার্কিন প্রশাসনের ভাষ্য মতে যে মহান ব্যক্তি মানুষে-মানুষে যোগাযোগের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাঁকে উপযুক্ত সম্মান দেখানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছে।

3
EEE / স্পিকিং টেলিফোন
« on: July 22, 2015, 11:38:30 AM »
 টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল সবচেয়ে বেশী পরিচিত। মূলত বেল টেলিফোন যন্ত্রের প্রথম পেটেন্ট করেছিলেন বটে কিন্তু তিনি প্রথম আবিষ্কারক নন। এই দাবি করতে পারেন অ্যান্তেনিও মিউচি। তিনি ১৮৫৭ সালে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক টেলিফোন আবিষ্কারের গবেষণায় সফলতা লাভ করেন। আর ১৮৬৫ সালে ইটালিয়ান আবিষ্কারক ইনোচেনযো মেনজাডি একটি স্পিকিং টেলিফোন আবিষ্কার করেন। হাঙ্গেরিয়ান আবিষ্কারক থিবেদার পুশকাস সুইচবোর্ড ও পার্টি লাইন আবিষ্কার করে টেলিফোনকে ব্যবহার উপযোগী করে তুলেন। তবে এরা বেল এর প্রধান প্রতিযোগী নন।

4
EEE / হ্যালো Hello
« on: July 22, 2015, 11:36:51 AM »
আজ আমরা দিনে বহুবার উচ্চারণ করি হ্যালো শব্দটি। Hello শব্দটি প্রথম উচ্চারিত হয়ে ছিল আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল-এর মুখেই। হ্যালো তার বান্ধবীর নাম। পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো। কথিত আছে ১৮৭৬ সালে টেলিফোন আবিষ্কারের পর তিনি তার বান্ধবী হ্যালো কে-ই প্রথম ফোনটি করেছিলেন। যদিও বিতর্ক আছে আদৌ তার কোনো বান্ধবী ছিল কী-না। কারন মার্গারেট হেলো নামে কোন মহিলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি যাকে তিনি সত্যিকার ভালোবাসতেন। অনেকে বলেন বধির স্ত্রী ম্যাবেল হাবার্ড বেল ব্যাতীত তাঁর আর কোনো ভালোবাসার মানুষ ছিল না।

5
ফ্রেঞ্জ রিচেল্ট অস্ট্রিয়ায় জন্ম হওয়া ফরাসী দর্জি যাকে প্যারাসুটের আবিষ্কারক এবং পথিকৃৎ মনে করা হয় এবং তিনি উড়ন্ত দর্জি উপনামে অভিহিত হয়েছিলেন । রিচেল্ট একটা স্যুট এর ওপর কাজ করছিলেন যেটা বৈমানিকদের জন্য একটা প্যারসুট হিসেবে কাজ করবে যখন তারা বিমান থেকে লাফিয়ে পরবেন । তার নিজ বাসভবনের পাঁচতলা থেকে  প্যারসুট দিযে সফলভাবে ভুমিতে অবতরণ তাকে তার নতুন আবিস্কারের প্রতি আস্থা স্থাপনে উৎসাহিত  করে এবং তিনি আইফেল টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়েন । তার এ মুক্ত পতনের সময় স্যুট বিস্তৃত হয়ে প্যারাসুট হিসেবে কাজ করেনি এবং মুহূর্তেই তার প্রাণনাশ ঘটে ।

6
EEE / নিউটনের বিড়াল
« on: July 16, 2015, 11:40:25 AM »
নিউটন একবার একটা বিড়াল পুষেছিলেন। ইংল্যান্ডে যে ভয়াবহ শীত পড়ে, একথা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য শীত নিবারক বদ্ধ ঘরে বসবাস করত ইংল্যান্ডবাসীরা। তো নিউটনেরও ছিল তেমন এক ঘর। কিন্তু সমস্যা হলো বিড়ালটাকে নিয়ে। তার তো বাইরে যাবার দরকার হয়। তাই বিড়ালটা যাতে বাইরে আসা-যাওয়া করতে পারে এজন্য ঘরের দেয়ালে একটা ছোট্ট ছিদ্র করে দিলেন। এরপর বিড়ালটার একটা বাচ্চা হলো। একসময় সেটাও মায়ের সাথে বাইরে যেতে শুর করল। তখন নিউটনের মনে হলো দুই সাইজের দুটো বিড়ালের জন্য একটা ছিদ্র যথেষ্ট নয়। তো ছোট্ট বিড়াল ছানার জন্য আরেকটা ছিদ্র করলেন। সেটা করার পরই তাঁর মনে হলো, কত বোকামী তিনি করেছেন।

7
EEE / নিউটনের প্রিজম
« on: July 16, 2015, 11:39:40 AM »
একবার একজন লোক নিউটন এর বাড়িতে এসে একটা প্রিজম (তিনকোণা কাঁচ) দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এর দাম কত হতে পারে। সেই ব্যক্তি নিউটনের কাছে এই প্রিজমটি বিক্রির জন্যই এসেছিল। এ সময় নিউটন প্রিজমের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বললেন, এর প্রকৃত মূল্য নির্ণয় করা তাঁর সাধ্যের বাইরে। ফলে লোকটি বেশি দাম চাইল। নিউটন সেই দামেই প্রিজমটি কিনে ফেললেন। আমরা জেনে অবাক হই, পরবর্তীকালে এই প্রিজম থেকে তিনি উদ্ভাবন করেন বর্ণতত্ত্ব  (The theory of color)|

8
EEE / ফেসবুকে ভিডিও দেখা
« on: July 16, 2015, 11:35:57 AM »
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুক ঘোষনা করে তারা প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ভিডিও দেখার সুবিধা প্রদান করছে এবং ব্যবহারকারি, পাতা, এবং জনপ্রতিনিধিদের যে সব ভিডিও উন্মুক্ত সেগুলোর গণনা দেখাবে সবাইকে দেখার সুবিধা যোগ করবে। কোন ব্যবহারকারি একটি ভিডিও দেখার পর আরেকটি বাড়তি ভিডিও দেখার সুপারিশ করার বিষয়টি ফেসবুক নিশ্চিত করে। ৬৫ ভাগ ফেসবুকের ভিডিও দেখা হয় ফেসবুক মোবাইল থেকে যার ব্যবহারকারি দিন দিন বাড়ছে এবং ভিডিও দেখার হার ৫০ ভাগে এসে যায় মে থেকে জুলাই মাসে যখন আইসবাকেট চ্যালেঞ্জের হিড়িক পড়ে ফেসবুকে।

২০১১ সালের ৬ই জুলাই ফেসবুকের ভিডিও কল সেবা চালু করা হয় স্কাইপকে তাদের প্রযুক্তি অংশীদার করে। এতে স্কাইপ রেস্ট এপিআই ব্যবহার করে এক-থেকে-এক ব্যবস্থায় কল করা যায়।

9
ফটোগ্রাফীর পুরো কারিগরী ব্যপারটাকে খুব সহজ দুটো ধারনায় ভেঙ্গে ফেলা যায়। এক: যেকোন একটা দৃশ্য হতে যেই আলো আসছে, সেটাকে কোন ভাবে ধরে ফেলে একটা পর্দায় প্রতিফলিত করা। দুই: সেই প্রতিফলিত দৃশ্যকে স্থায়ীভাবে একটা মাধ্যমে ধারন করা। প্রথম ব্যপারটি, তথা কোন একটা বিষয়বস্তুকে পর্দায় প্রতিফলিত করার বিষয়টি বহু আগে থেকেই জানা ছিল। একটি অন্ধকার চারকোনা বাক্সের সামনে তলে একটি সুইয়ের খোঁচার সমান ছিদ্র থাকলে এবং ঠিক বিপরীত দিককার তলে একটা সাদা পর্দা দেয়া হলে সেই পর্দায় উল্টোভাবে সামনের দৃশ্য ধরা পড়ে। ছিদ্রটার যায়গায় যদি একটা কাচের লেন্স বসিয়ে দেয়া যায়, তাহলে যে এই ছবি আরো স্পষ্ট হয়ে আসে, সেটা সেই ১৪০০ সালের দিকেই মানুষ জানতে পেরেছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এই ছবিকে স্থায়ীভাবে ধরার প্রযুক্তি আবিস্কার করতে লেগে যায় ৪০০ বছরেরও বেশী। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হল যে কোন একটি প্লেটকে ‘আলোক সংবেদী (light sensetive)’ রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে কোটিং করে সেখানে ছবি প্রতিফলিত করলে ছবির বিভিন্ন অংশের আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে ওই প্লেটের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন মাত্রায় বিক্রিয়া হয়। ফলশ্রুতিতে ছবিটা ফুটে ওঠে প্লেটের উপর। সমস্যা হল অন্য যায়গায়…এই ছবিকে স্থায়ী রুপ দেয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ১৮০০ সালের গোড়ার দিকে লুই ডাগের (Louis Duguerre) এবং জোসেফ নিয়েপ (Joseph Niepce) এর যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরী হয় ‘ডাগেরোটাইপ (Duguerrotype)’ প্রসেস, যেখানে সিলভার হ্যালাইড নামের আলোক সংবেদী একটা যৌগের প্রলেপকে ব্যবহার করা হয় ছবি ধারনের মাধ্যম হিসেবে। তবে ছবি তোলার শখ হলে মিনিট পনেরো মাথা না নাড়িয়ে বসে থাকা লাগতো ক্যামেরার সামনে!  যাই হোক। এই মুল প্রসেসগুলোতো আয়ত্ত্বে চলে আসলো। এরপর শুরু হল প্রযুক্তির উন্নয়ন। ডগেরোটাইপ ছিল পজিটিভ প্রসেস, অর্থাৎ সরাসরি মুল ছবিটিই চলে আসতো পর্দায়, যদিও এক্সপোজার টাইম ছিল অনেক বেশি। পরবর্তীতে দেখা গেল, ছবির উল্টো ছবিটা (অর্থাৎ নেগেটিভ) অনেক দ্রুতগতিতেই পর্দায় ধরা পড়ে। এটা জানার পর, এক্সপোজার টাইম অনেক কমে গেল, একটা ছবি তোলার জন্য কাউকে আর ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হতো না ক্যামেরার সামনে। ১৮০০ সালের শেষের দিকে জর্জ ইস্টম্যান উদ্ভাবন করলেন একধরনের ফিল্ম যেটাকে রোল আকারে পেঁচিয়ে ক্যামেরায় ভরে ফেলা যেত। ব্যাস! ক্যামেরা হয়ে গেল এইবার মানুষের হাতের নাগালের বিষয়, পোর্টেবল। জগতখ্যাত ‘ইস্টম্যান কোডাক’ তারই গড়া কোম্পানী।

10
EEE / শূন্যের জন্ম
« on: July 06, 2015, 10:22:05 AM »
প্রথমে শূন্যের জন্ম হয়েছিল ব্যাবিলনীয়, মায়া আর ভারতীয় সভ্যতায়। তবে অনেকে বলে ব্যাবিলিয়ানদের কাছ থেকেই এসেছিল ভারতের প্রথম শূন্য। তবে সংখ্যা কী করে গুনতে হয় সেটা কিন্তু ব্যাবিলিয়ানরা শিখেছিল সুমেরীয়দের কাছে।

ওদের কাছে শুরুর অর্থ ছিল ফাঁকা। ওরা শূন্যের জায়গাটা ফাঁকাই রেখে দিত। তবে ব্যাবিলিয়ানরা জায়গাটাকে ফাঁকা না রেখে সেখানে রেখে দিত কাঠ বা বাঁশের টুকরা। তবে ওরাও কিন্তু সংখ্যা হিসেবে শূন্যের জন্ম দেয়নি তখনও।
এর প্রায় ৬০০ বছর পর মায়াসভ্যতায় শুরু হয় শূন্যের বেড়ে ওঠা। ওখানেই ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রথম জায়গা করে নেয় শূন্য। তবে এতকিছুর পরেও কিন্তু যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ এসবের ধারকাছ দিয়েও শূন্যকে নিয়ে যায়নি মায়ানরা।
তবে শূন্যকে সমীকরণের রূপ দিতে এগিয়ে আসে ভারতীয়রা। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫৮ সালে প্রথম শূন্য আসে ভারতে। এখানেই প্রথম শব্দটি সংকেতের রূপ নেয়। গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম শূন্যকে একটি গাঠনিক রূপ দেন। যোগ-বিয়োগের নিয়ম বানান। এর পরের কয়েক শতাব্দীতে হুট করে শূন্য চলে যায় চীন আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। বাগদাদে জন্ম নেয় শূন্যের আরবি রূপ। পারস্যের এক গণিতবিদ মুহাম্মাদ ইবনে মুসা আল খারিজমি প্রথম ভাবেন শূন্যকে একটি গোলাকার রূপ দেওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, বীজগণিত আবিষ্কার করেন তিনি। আবিষ্কার করেন দ্রুত গুণ আর ভাগ করবার নতুন নতুন পদ্ধতি।

স্পেনে কিছু নতুনত্ব পাওয়ার পর ইটালিতে গিয়ে গণিতবিদ ফিবোনাক্কির সহায়তায় আরও কিছুটা উন্নত হয় শূন্য। শূন্যকে ব্যবহার করে কোনো রকম অ্যাবাকাস ছাড়াই গণিত, বিশেষ করে পাটিগণিত করার উপায় বের করেন তিনি। অ্যাবাকাস চেন তো? অ্যাবাকাস হচ্ছে গণনা করার প্রাচীনতম যন্ত্র। সেখানে থাকত কতগুলো গোল গোল গুটি। এই গুটিগুলোকে একটি অক্ষপথ ধরে একপাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে গণনার কাজ চালান হত।
ফিবনক্কির পর শূন্যের অগ্রযাত্রা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল মাঝখানে ইতালিয়ার সরকার আরবীয় সংখ্যার উপর বেশ কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু সংখ্যাগুলো এতই জনপ্রিয়তা ততদিনে পেয়ে গিয়েছে যে অবৈধভাবেই সেগুলোকে ব্যবহার করতে থাকে ইতালিয়ানরা।
১৬০০ শতকের দিকে স্যার আইজাক নিউটন আর অন্যসব মনীষীদের সহায়তায় শূন্য পাকাপোক্ত একটিজায়গা করে নেয় গণিতের জগতে। সেই শূন্যই আমরা আজ পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছি। 

11
EEE / ইন্টারনেটের ইতিহাস
« on: July 06, 2015, 10:19:59 AM »
ইন্টারনেটের ইতিহাস শুরু হয়, ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের অগ্রগতির সাথে সাথে ১৯৫০ সালে। ইন্টারনেট সম্পর্কে জনসাধারণ প্রথম ধারণা প্রবর্তিত হয়েছিল, যখন কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যাপক লিওনার্ড ক্রাইনরক তার গবেষণাগার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) থেকে অর্পানেটের মাধ্যমে একটি বার্তাস্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআরআই) তে পাঠান। নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের দ্বিতীয় অংশ সেখানে স্থাপিত করা হয়েছিল। ১৯৬০ সালের শেষ দিকে এবং ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে প্যাকেট সুইচিং নেটওয়ার্ক যেমন ইউকের এনপিএল, সিক্লিডিস, মেরিট নেটওয়ার্ক, টিমনেট এবং টেলেনেট এর অর্পানেটে, মার্ক I বিভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহার করে উন্নত করা হয়। অর্পানেট বিশেষ নেতৃত্ব দেয় ইন্টারনেটওয়ার্কিং এর প্রোটোকলের উন্নয়নের জন্য, যেখানে নেটওয়ার্কসমূহের একাধিক পৃথক নেটওয়ার্ক একটি নেটওয়ার্কের সাথে যোগ করা যেতে পারে।
অর্পানেটের অ্যাক্সেসের জন্য ১৯৮১ সালে একে সম্প্রসারিত করা হয়, যখন ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) কম্পিউটার সাইন্স নেটওয়ার্কের (সিএসএনএটি) উন্নয়ন করে এবং আবার ১৯৮৬ সালে যখন এনএসএফনেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সুপার কম্পিউটার সাইটগুলোতে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়। ১৯৮০ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে বাণিজ্যিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা (আইএসপির) আবির্ভাব হতে থাকে। ১৯৯০ সালে অর্পানেট কর্মবিরত করা হয়। ১৯৯৫ সালে ইন্টারনেটকে বানিজ্যিক পণ্যে পরিণত হয়, যখন এনএসএফনেট কর্মবিরত হয়, ইন্টারনেট ব্যবহারের বাণিজ্যিক বহন শেষ নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে ফেলা হয়।
১৯৯০ সালের মাঝামাঝি থেকে, ইন্টারনেট সংস্কৃতিতে ও বানিজ্যে এবং কাছাকাছি-তাৎক্ষণিক যোগাযোগ যেমন, ইলেকট্রনিক মেইল, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (ভিওআইপি) "ফোন কল", দ্বি-মুখ ইন্টারেক্টিভ ভিডিও কল এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবসহ ইন্টারনেট ফোরাম, ব্লগ, সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা এবংঅনলাইনে কেনাকাটার ওয়েব সাইটসমূহে একটি বিপ্লবী প্রভাব বিস্তার করে।
গবেষণার এবং শিক্ষা সম্প্রদায় অব্যাহত বিকাশ এবং উন্নত নেটওয়ার্ক যেমন, এনএসএফস'র অতি উচ্চ-দ্রুতগতির ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক পরিষেবা (ভিবিএনএস), ইন্টারনেট২এবং জাতীয় ল্যামডারেল ব্যবহার করে। বড় ধরণের তথ্য আদান-প্রদান হয়ে থাকে উচ্চতর গতিসম্পন্ন ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের মধ্যে যা ১-Gbit/s, ১০-Gbit/s, বা আরও বেশি হয়।
আজ ইন্টারনেট অনলাইন তথ্য, ব্যবসা, বিনোদন এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর জন্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

12
EEE / পিথাগোরাসের সংখ্যা
« on: July 05, 2015, 11:23:10 AM »
পিথাগোরাস সব কিছু সংখ্যা দিয়ে চিন্তা করতেন । যেমন ১ হচ্ছে ঈশ্বরের সংখ্যা , ২ হচ্ছে নারী সংখ্যা , ৩ হচ্ছে পুরুষ সংখ্যা, ২+৩=৫ হচ্ছে বিবাহ সংখ্যা। তো তার এক জন শিষ্য জিজ্ঞাসা করল গুরু বন্ধুত্ব কী। পিথাগোরাস বললেন , ২২০ এবং ২৮৪ এর মধ্যে যে সর্ম্পক তাই বন্ধুত্ব। শুনেত শিষ্যের মাথা খারাপ!!!!!!তখন শিষ্য জিজ্ঞাসা করল কিভাবেঃ
২২০ এর উৎপাদক  - ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১২০,২২০;
২৮৪ এর উৎপাদক  - ১,২,৪,৭১,১৪২,২৮৪;
প্রকৃত উৎপাদক কী বুঝ? নিজেকে বাদ দিলে যা থাকে তাই । ২২০ এর উৎপাদক থেকে ২২০ বাদ দিলে কি থাকে - ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১২০;
আবার ২৮৪ এর উৎপাদক থেকে ২৮৪ বাদ দিলে কি থাকে - ১,২,৪,৭১,১৪২;
এখন বন্ধুত্ব কী!!!!
২২০ এর সকল উৎপাদক যোগ করলে হয় ১+২+৪+৫+১০+১১+২০+২২+৪৪+৫৫+১২০=২৮৪
২৮৪ এর সকল উৎপাদক যোগ করলে হয়
এবং ১+২+৪+৭১+১৪২=২২০
এদের বলে বন্ধুত্ব।

13
সাইরাকিউসের সম্রাট হিয়েরো এক স্বর্ণকারকে দিয়ে একটি সোনার মুকুট তৈরি করেছিল।মুকুট হাতে পাওয়ার পর সম্রাটের মনে হল এর মধ্যে খাদ মিশানো আছে। কিন্তু স্বর্ণকার খাদ এর কথা অস্বীকার করল।কিন্তু সম্রাটের মনের সন্দেহ দূর হল না ।তিনি আর্কিমিডিসকে সত্যতা নিরুপন করতে বললেন ।আর্কিমিডিস ভাবনায় পড়ে গেলেন। সম্রাটের আদেশ যাতে মুকুটের কোন ক্ষতি না হয় । আর্কিমিডিস ভেবে পান না মুকুট না ভেঙ্গে কেমন করে তার খাদ নির্ণয় করবেন ।কয়দিন কেটে  গেল।একদিন দুপুর বেলায় মুকুটের কথা ভাবতে ভাবতে সমস্ত পোশাক খুলে চৌবাচ্চাতে স্নান করতে নেমেছেন ।পানিতে শরীর ডুবাতেই আর্কিমিডিস লক্ষ করলেন কিছুটা পানি চৌবাচ্চা থেকে উপচে পড়ল।মুহূর্তে তার মাথায় এক নতুন চিন্তার উন্মেষ হল।এক লাফে চৌবাচ্চা থেকে উঠে পড়লেন।তিনি ভুলে গেলেন তার শরীরে কোন পোশাক নেই।সমস্যা সমাধানের আনন্দে নগ্ন অবস্থায় ছুটে গেলেন রাজ দরবারে।মুকুটের সমান ওজনের সোনা নিলেন।একমাত্র পানিতে মুকুটটি ডোবালেন ।দেখা গেল খানিকটা পানি উপচে পড়ল।এবার মুকুটের ওজনের সমান সোনা নিয়ে জলপূর্ণ পাত্রে ডোবানো হল।যে পরিমান পানি উপচে পড়লো তা থেকে দেখা গেল আগের উপচে পরা পানির থেকে তার ওজন আলাদা।আর্কিমিডিস বলেন মুকুটে খাদ মেশানো আছে।কারণ যদি মুকুট সম্পূর্ণ সোনা হতো তবে দুটি ক্ষেত্রে পানির ওজন সমান হতো।
এ আবিষ্কারের প্রমাণিত হল একটি বৈজ্ঞানিক সুত্র: “তরল পদার্থে কোন বস্তু নিমজ্জিত করলে সেই বস্তু কিছু পরিমান ওজন হারায়” ।বস্তু যে পরিমাণ ওজন হারায় সেই পরিমাণ ওজন অপসারিত তরলের ওজনের সমান।এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আর্কিমিডিসের সুত্র নামে বিখ্যাত।

14
আমার সবাই আর্কিমিডিসের নাম জানি । তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে অনেক আবদান রেখেছেন।সম্রাট সাইরাকিউ এর শাসন আমলে তিনি ৪০ টি আবিষ্স্কার করেন। আর্কিমিডিসের একটি আবিস্কার হল পুল ও লিভার।একবার কোন একটি জাহাজ চরায় এমন ভাবে আটকে গিয়ে ছিল যে আর কোন ভাবেই পানিতে বাসানো সম্ভব হচ্ছিল না ।আর্কিমিডিস সব কিছু ভাল ভাবে দেখলেন ।তার মনে হল একমাত্র যদি এই জাহাজ টাকে উঁচু করে তূলা যায় তবে এই জাহাজ টাকে পানিতে ভাসানো সম্ভব। আর্কিমিডিসের কথা সবাই হেসে উড়িয়ে দিল। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আর্কিমিডিস আবিষ্কার করলেন লিভার ও পুল। তিনি জাহাজ ঘাটে একটা উঁচু জায়গায় লিভার খাটবার ব্যবস্থা করলেন ও তার মধ্যে বিরাট একটা দড়ির একটা প্রান্ত জাহাজের সাথে বেঁধে দিলেন। এই অদ্ভূত ব্যাপার দেথতে সম্রাট নিজেই আসলেন জাহাজ ঘাটায়। তারপর আর্কিমিডিস আর সম্রাট তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে দড়ি টা ধরে টান দিলেন। আর অবাক কাণ্ড সাথে সাথে নড়ে উঠল জাহাজ। চারিদিকে চিৎকার করে উঠে এইবার সবাই সম্রাটের সাথে দড়িতে হাত লাগালেন। সকলে মিলে টান দিতেই সত্যি সত্যি জাহাজ শূন্যে উঠতে আরম্ভ করল , তখন সম্রাট খুশিতে বুকে জরিয়ে ধরলেন আর্কিমিডিসকে।

15
ডিএনএ ফিঙ্গার-প্রিন্টিং (যাকে ডিএনএ প্রোফাইল বা জেনেটিক ফিঙ্গার-প্রিন্টিং ও বলা হয়), হল একটি অত্যাধুনিক শনাক্তকরণ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কোষের মধ্যে অবস্থিত ডিএনএ এর মাধ্যমে কোন মানুষকে সঠিক ভাবে শনাক্ত করা যায় । প্রতিটি মানুষের আঙুলের ছাপের যেমন স্বাতন্ত্র্যতা থাকে, তেমনি তার কোষস্থ  ডিএনএ এর গঠন ভঙ্গিতেও স্বাতন্ত্র্যতা দেখা যায় । দুটি মানুষের মধ্যে যেমন আঙুলের ছাপের পার্থক্য লক্ষণীয় তেমনি ডিএনএ সজ্জার মধ্যেও পার্থক্য দেখা যায় । ডিএনএ এর এমন পার্থক্যের ভিত্তিতে দুটি মানুষকে আলাদা করা যায় । সহোদর যমজ ছাড়া প্রত্যেক মানুষেরই ডিএনএ সজ্জা আলাদা । বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে জেনেছেন যে মানুষের ডিএনএ এর মধ্যে এমন কিছু নিউক্লিওটাইড রিপিট থাকে যা নির্দিষ্ট মাতা এবং পিতার সঙ্গে কেবলমাত্র তাদের সন্তানেরাই ভাগ করে নেয় । মানুষের ক্ষেত্রে শ্বেত-কণিকার বা শুক্ররসে, চুলের গোড়ায় অথবা অস্থিতে অবস্থিত কোষ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে ফিঙ্গার প্রিন্টিং করা হয়। ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং কে পূর্ণ জিনোম সজ্জাকরন এর সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয় ।
বহুদিন আগে থেকেই অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি বের করার যে চেষ্টা চলছিল, তাকে পূর্ণতা দেয় আঙুলের ছাপের মাধ্যমে শনাক্তের পদ্ধতি। কিন্তু ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের Leicester বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যালেক জেফ্রিস (Alec Jeffreys) ফরেনসিক গবেষণায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনলেন ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং আবিষ্কারের মাধ্যমে। ল্যাবটারিতে কাজ করার সময় তিনি একটি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ডিএনএ এর এক্স-রে ফিল্মের মধ্যে মিল খুঁজে পান, যা তার ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং পদ্ধতি আবিষ্কারের মুল ভিত্তি। বর্তমানে এই পদ্ধতি National DNA database এ ব্যাপক ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।

Pages: [1] 2 3 ... 6