35
« on: March 01, 2015, 02:58:06 PM »
মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে মানুষ বাঁচতেই পারে. এই গ্রহে তেজস্ক্রিয় বিকীরণের পরিমাণ পৃথিবীর কাছে কক্ষ পথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মতই. এই রকমের একটা মতে বিজ্ঞানীরা পৌঁছতে পেরেছেন ঐতিহাসিক ভাবে প্রথমবার মঙ্গল গ্রহের জমি থেকে পাঠানো বিকীরণ নিয়ে রিপোর্ট পাওয়ার পরে.
মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে মানুষ বাঁচতেই পারে. এই গ্রহে তেজস্ক্রিয় বিকীরণের পরিমাণ পৃথিবীর কাছে কক্ষ পথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মতই. এই রকমের একটা মতে বিজ্ঞানীরা পৌঁছতে পেরেছেন ঐতিহাসিক ভাবে প্রথমবার মঙ্গল গ্রহের জমি থেকে পাঠানো বিকীরণ নিয়ে রিপোর্ট পাওয়ার পরে. তা স্বত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানুষের যাত্রার বিষয়ে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় বিকীরণের থেকে রক্ষা পাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে এখনই কোনও পরিবর্তনের কথা ভাবছেন না.
মঙ্গল গ্রহে পাইলট সমেত মহাকাশযান পাঠানোর বিষয়ে তেজস্ক্রিয় বিকীরণই প্রধান বাধা হয়ে রয়েছে. প্রযুক্তিগত ভাবে তা সম্ভব ছিল সেই সত্তরের দশকের শুরু থেকেই. তেজস্ক্রিয় বিকীরণ থেকে বাঁচানোর জন্য কোনও হাল্কা প্রতিরোধক আবরণ এখনও সৃষ্টি করা সম্ভব হয় নি আর মহাকাশে সীসার পাত নিয়ে উড়ান সম্ভবও নয়. এখন হিসাব করে দেখা হয়েছে যে, সেই তিন বছর সময়, যা ধরে সেখানে অভিযান করা যেতে পারে, তাতে অভিযাত্রী দলের প্রত্যেক চতুর্থ সদস্যই এমন পরিমানে তেজস্ক্রিয় বিকীরণের শিকার হতে পারে, যার ফলে কর্কট রোগ থেকে মৃত্যু অনিবার্য. এই তিন বছর সময়ের মধ্যে হিসাব করা হয়েছে, সেই বাড়তি সময়কেও, যা প্রয়োজন হবে, পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য উপযুক্ত মুহূর্তের অপেক্ষায়. তা হতে পারে এক বছরেরও বেশী সময়. আর যদি এই সময়ে অভিযাত্রীদের উপরে তেজস্ক্রিয় বিকীরণ প্রভাব না ফেলে, তবে প্রয়োজন পড়বে নতুন করে হিসাব করার, এই কথা উল্লেখ করে মস্কোর রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিশেষজ্ঞা এলেনা ভরোবিয়েভাবলেছেন
“প্রতিটি নতুন তথ্যই আমাদের ধারণাকে শুদ্ধ করে দেয়. এই ধরনের শুদ্ধ করার ফলে এমন হবে যে, মহাকাশচারীদের রক্ষার জন্য ব্যবস্থারও সেই সঙ্গে বদল হবে. কিন্তু আমি মনে করি যে, সব মিলিয়ে এটা আপাততঃ সেই ধারণাকে কোন ভাবে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে না, যা আমাদের রয়েছে মঙ্গল গ্রহে মহাকাশচারী প্রেরণ নিয়ে”.
অভিযানের সময়ে বিপজ্জনক রকমের তারা মণ্ডলের বিকীরণ থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও উপায় নেই. তার ওপরে মঙ্গল গ্রহের কোনও চৌম্বক ক্ষেত্র নেই, যা সূর্যের বাড়তি বিকীরণ থেকে রক্ষা করতে পারত, যেমন হয়ে থাকে আমাদের বিশ্বে. তাই এই কথা উল্লেখ করে রুশ বিজ্ঞান একাডেমীর চিকিত্সা ও জীববিদ্যা সমস্যা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান ভ্লাদিস্লাভ পেত্রভ বলেছেন:
“মঙ্গল গ্রহের বায়ু মণ্ডলের প্রস্থ – বিভিন্ন রকমের মহাকাশের বিকীরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপযুক্ত প্রতিরক্ষা দিতেই পারে. কিন্তু সূর্য পৃষ্ঠে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ফলে এই বিকীরণের পরিমান অনেক বেশীই হতে পারে আর তা অসুবিধার কারণও হতে পারে. মঙ্গল গ্রহে অভিযানের ক্ষেত্রে অসুবিধা একেবারেই অন্য চরিত্রের হতে পারে পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে উড়ানের সময়ে যা হয়ে থাকে, তার চেয়ে. তাদের মধ্যে একটি হল – তেজস্ক্রিয় বিকীরণের কারণে কাজ করার ক্ষমতা হারানো... ভগবান করুন এই রকমের ঘটনা যেন মঙ্গল গ্রহ অভিযানের সময়ে না হয়”.
মঙ্গল গ্রহে জীবনের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া নিয়ে যা বলা যেতে পারে, তা হল কিউরিওসিটি থেকে পাঠানো নতুন তথ্য সেই বিষয়ে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না. তেজস্ক্রিয় বিকীরণ একেবারেই জীবন্ত কোষের জন্য সবচেয়ে বড় মৃত্যুর কারণ নয়. পৃথিবীতেই একেক সময়ে পারমানবিক রিয়্যাক্টরের প্রথম আস্তরণেই জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া কলোনি দেখতে পাওয়া যা, যেখানে তেজস্ক্রিয় বিকীরণ খুবই ভয়ঙ্কর মাত্রায় হয়ে থাকে. আর মঙ্গলের পরিস্থিতিকে বৈজ্ঞানিকরা মোটেও জীবনের পক্ষে সবচেয়ে অনুপযুক্ত বলে ভাবেন না. কিন্তু সেই জিনিষ খুঁজে পাওয়া, যা দিয়ে জৈব চক্র গঠিত হয়ে থাকে, তা এখনও সম্ভব হয় নি. যদি জীবনের কোনও অস্তিত্বই খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে তার বিকাশের সম্বন্ধে ধারণাকেও আবার করে যাচাই করে দেখার কোনও কারণ নেই. এখনও প্রধান প্রশ্নের বিষয়েই কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই, কেন মঙ্গল গ্রহে প্রায় সমস্ত বায়ুমণ্ডল ও জল বিলুপ্ত হয়েছে, আর উষ্ণ আর্দ্র জলবায়ু পরিবর্তিত হয়েছে ঠাণ্ডা ও শুকনো আবহাওয়াতে।