Daffodil International University

Outsourcing => Freelancing => Topic started by: ariful892 on October 30, 2013, 12:09:50 PM

Title: Captcha code breaking at Bangladesh
Post by: ariful892 on October 30, 2013, 12:09:50 PM
বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যাপচা কোড ভাঙা হয়। খুব কম খরচে  দ্রুতগতিতে ক্যাপচা কোড ভাঙতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যানসার ও অনলাইন কর্মীদের ব্যবহার করে ক্যাপচা নিয়ে কাজ করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সিমন ফ্রেশার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গ্রেগ মরির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/360x0x1/uploads/media/2013/10/28/526e0dc7bf7e0-new-dataentry-pic-copy.jpg)
কম্পিউটার বিজ্ঞানী গ্রেগ মরি জানিয়েছেন, একটি সাইটে অসংখ্য ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা বা স্প্যাম পাঠানোর ক্ষেত্রে ক্যাপচা কোডের বাধা পেরোতে হয়। হাতে করে এ কাজ করা অনেক জটিল। তাই কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে তা ব্যবহারের কথা ভাবা হয়। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার সহজে যাতে সাইটে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সাইট নির্মাতারা ক্যাপচা কোড বসিয়ে দেন। এ ধরনের ক্যাপচা কোডের বাধা যাতে সহজে পেরেনো যায় এজন্য সহজেই ফ্রিল্যানসার সাইট থেকে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। আর এ ধরনের কাজে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদেরই বেশি বেছে নেওয়া হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষক গ্রেগ আরও জানিয়েছেন, ঘণ্টাপ্রতি মাত্র ৫০ সেন্টস করে পারিশ্রমিক দিয়ে প্রতি মিনিটে সাতটিরও বেশি ক্যাপচা কোড ভাঙার জন্য বলা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের কাজকে বলা হয় ‘ক্যাপচা ডাটা এন্ট্রি’।

‘কমপ্লিটলি অটোমেটেড পাবলিক টিউরিং টেস্ট টু টেল কম্পিউটারস অ্যান্ড হিউম্যানস অ্যাপার্ট’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে এই ক্যাপচা। পঞ্চাশের দশকে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অ্যালান টিউরিং প্রবর্তিত টিউরিং টেস্ট বা কম্পিউটারের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষণের কাজে ক্যাপচা কোড ব্যবহার করা হয়।

অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইটে স্প্যামিং করার জন্য স্বয়ংক্রিয় নানা সফটওয়্যার ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা। এ কাজে ব্যবহূত সফটওয়্যারকে বলা হয় স্প্যামবট। এ স্প্যামবট ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা সাইটে স্প্যামিং করে। এ স্প্যামবট ঠেকাতে সাইটের সুরক্ষা হিসেবে ক্যাপচা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এ ক্যাপচা বাধা দূর করতেও তারা নানা পদ্ধতি গ্রহণ করে। এর মধ্যে একটি হলো ক্যাপচা ফার্মিং। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জটিল ক্যাপচাগুলো সংরক্ষণ করে কম খরচে সে কোডগুলো টাইপ করিয়ে নেওয়া হয়। পরে যা স্প্যামিংয়ের কাজে ব্যবহূত হয়। ডাটা এন্ট্রি কাজ হিসেবে ক্যাপচা কোড ভাঙার কাজ অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেওয়া হয়। এ ধরনের কাজ বাংলাদেশি ফ্রিল্যানসারদের লক্ষ্য করে পোস্ট করা হয় বলেই বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন।