Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - imran986

Pages: [1] 2 3 ... 9
2

গাজর কেবল সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিকরও বটে। শীতকালিন সবজি হলেও প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়।

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে গাজর সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে ভারতীয় রন্ধনশিল্পী কুনাল কাপুরের দেওয়া পরামর্শগুলো এখানে দেওয়া হল।

গাজর পরিষ্কারের সঠিক উপায়

গাজর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরে তা ‘কিচেন তোয়ালে’ দিয়ে মুছে নিন। একটা ছুরির সাহায্যে গাজরের ওপরের পাতলা আবরণ তুলে নিতে হবে।

কুনাল জানান, গাজর কখনই উপরের পাতলা আবরণ না তুলে খাওয়া ঠিক না। এতে অনেক ক্ষুদ্র জীবাণু আটকে থাকতে পারে যা পাকস্থলীতে সংক্রমণের সৃষ্টি করে। এছাড়াও, এতে গাজরে ব্যবহৃত সারও থেকে যেতে পারে।

দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার উপায়

গাজর অনেকদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে এর পাতা ছাড়িয়ে ভালো মতো দুএকবার ধুয়ে নিন। এরপর তা একটা প্লাস্টিকের পাত্রে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন, খেয়াল রাখতে হবে যেন গাজর পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় থাকে।

বাক্সের ঢাকনা আটকে তা রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করুন।

কুনাল দুইদিন পর পর এই পানি পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন। এভাবে গাজর আট থেকে ১০ দিন ভালো রাখা যায়।

কাটা গাজর সংরক্ষণের উপায়
প্লাস্টিক বা কাচের পাত্রে টিস্যু রেখে তাতে কাটা গাজর রাখতে পারেন। পাত্রের মুখ বন্ধ করে রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করুন। তিন-চার দিন পর পর টিস্যু বদলে নিন।

রন্ধন শিল্পী কুনাল বলেন, “গাজর কখনই জিপ লক করে অথবা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা ঠিক নয়। কারণ এতে রয়েছে রাসায়নিক উপাদান যা খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আর্দ্রভাব আনে এবং গাজর দ্রুত নষ্ট করে ফেলে।”

ছবি: রয়টার্স।

Source: https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1793744.bdnews


3


দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলার পর আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কারও মধ্যে জ্বর, গলাব্যাথা, শুকনো কাশি বা শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কারও করোনাভাইরাস আক্রান্তের সন্দেহ হলে বা প্রশ্ন থাকলে যোগাযোগের জন্য হটলাইন চালু করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর।


নম্বরগুলো হলো: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।

নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। আপাতত একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

এ ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া; অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ না করা; হাঁচি–কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া এবং জনবহুল স্থানে চলাফেরা এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে আইইডিসিআর।

4

মানুষের জীনবিন্যাস লিপিবদ্ধ করার মধ্যে দিয়ে ক্যান্সারসহ অন্যান্য বংশগত রোগের কারণ-ধরন নির্ণয়ে বাংলাদেশেই প্রতিষ্ঠা হলো ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাব’।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) ‘হিউম্যান হোল জিনোম সিকোয়েন্সিং’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। 

এই ল্যাবের বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৩ দিনে ৪৮ জন মানুষের জিনের গঠন বৈশিষ্ট্য জানা যাবে বলে বিসিএসআইআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, “এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, বাংলাদেশের মানুষের জিনোমে নতুন ক্যান্সার মার্কারসহ অন্যান্য জেনেটিক রোগের মার্কার খুঁজে বের করা। অজানা রোগ নির্ণয়ও এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি।”

জিনবিন্যাস নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেশ থেকে বহু নমুনা বিদেশে পাঠাতে হওয়ায় বাংলাদেশের রাজস্ব হারানোর কথা বলেন তিনি।

“এই ল্যাব প্রতিষ্ঠার ফলে এখন আর কোটি টাকা খরচ করে যেতে হবে না বিদেশ,” বলেন মন্ত্রী।

এর আগে পাট ও ইলিশের জিআই স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশ থেকে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছিল বিদেশের ল্যাবে।

ইয়াফেস ওসমান বলেন,  “জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখন বাংলাদেশেই সে প্রযুক্তি নিয়ে আসা সম্ভব।”

এই ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা জানান,  বাংলাদেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে রোগ অনুযায়ী চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে তার উপযোগী ওষুধ প্রয়োগ করতে পারবেন।  অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগও করা যাবে নিখুঁতভাবে।

বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা বলছেন,  “এ প্রযুক্তি শুরু হওয়ার পর চিকিৎসা খাতে সময় ও অর্থ দুইই যেমন বেঁচে যাবে, তেমনিভাবে রোধ করা যাবে জেনেটিক তথ্য পাচারও।“

 জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবের প্রধান মো. সেলিম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “বিসিএসআইআরে সাম্প্রতিক বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক নোভাসেক-৬০০০ মেশিন দিয়ে প্রাথমিকভাবে মানুষের ক্যান্সার ও বংশগত রোগ সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করা হবে। এতে খুব সহজে, নির্ভুলভাবে এবং অল্প খরচে যে কোনো জেনেটিক রোগ শনাক্ত করা যাবে।” 
যুক্তরাষ্ট্রের ইলুমিনা প্রতিষ্ঠানের নোভাসেক-৬০০০ মেশিন কিনতে বিসিএসআইআরের খরচ হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।

সহজে রোগ শনাক্ত করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জেনেটিক রোগের মার্কার বা ধরন ও লক্ষণের সঙ্গে দেশের রোগীদের জেনেটিক রোগের মার্কারগুলো মিলিয়ে একটি মাইক্রো চিপে তথ্যাগার করা হবে। 

সেলিম খান বলেন, “প্রতি জন মানুষের সাড়ে ৩ টেরাবাইট ডেটা প্রডিউস হয়। সেক্ষেত্রে এই মেশিনে ১৬৮ টেরাবাইট ধারণ করা যাবে।”

এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ল্যাবের প্রধান মাকসুদ হোসেন।

নোভাসেকের মাধ্যমে জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসাতেও পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তিনি।

মাকসুদ  বলেন, “ হিউম্যান জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পাশাপাশি আমরা ব্যাকটেরিয়ারও সিকোয়েন্সিং করতে পারব। তখন অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা আরো স্পেসিফিক হবে।”

এখন  রোগীর শরীরে গড়পড়তা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ”আলাদাভাবে  জিনোম সিকোয়েন্স পেলে তার জন্য অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা সম্ভব হবে, পার্সোনালাইজ মেডিসিন প্রয়োগ করাও সহজতর হবে।”

প্রাথমিক ধাপে সেলিম খান ও তার ছয় সহযোগী ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ৪০ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক রোগী নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার তাদের রিসার্চ ল্যাবে ২০ জন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজও তারা শুরু করেছেন।

এই রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স বার করার কাজ শুরু করেছেন তারা।

সেলিম খান বলেন,  “তাদের মধ্যে  আমরা যদি ক্যান্সারের কোনো ইউনিক মার্কার পেয়ে যাই, তাহলে অন্যান্য ক্যান্সার নির্ণয়ও আমাদের জন্য সহজতর হবে।”

এই রিসার্চ ল্যাবে যে কেউ জিনোম সিকোয়েন্স করাতে চাইলে খরচ হবে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।  তবে ৪৮ জন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স এক সঙ্গে করলে ব্যক্তিগত খরচ হবে প্রায় দুই লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ল্যাব কর্তৃপক্ষ।

বিসিএসআইআরের ল্যাবে আনা এই নোভাসেক মেশিনের মাধ্যমে মানুষের জিনোম সিকোয়েন্স করা গেলেও উদ্ভিদ ও অন্যান্য জীবজন্তুর জিনোম সিকোয়েন্স বের করতে প্রয়োজন হবে আলাদা প্রযুক্তির।

ল্যাব প্রধান সেলিম খান বলেন, বিসিএসআইআরে জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে সেখানে আলাদা ইউনিটে উদ্ভিদ ও অন্যান্য জীবজন্তু নিয়ে কাজ করবেন তারা।

https://bangla.bdnews24.com/science/article1582674.bdnews

5

সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য দিনে যে পরিমাণ শারীরিক কর্মকাণ্ড করতে হয়, তা বাংলাদেশের প্রতি পাঁচটি শিশুর মধ্যে তিনটিই করছে না বলে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত দিনের এই সমীক্ষা চলাকালে ১৩ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের মাত্র ৪১ দশমিক ৪ শতাংশকে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। 

শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য প্রতি দিন এই পরিমাণ শারীরিক কর্মকাণ্ড করা উচিত বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও পরামর্শ রয়েছে।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় ‘২০১৮ বাংলাদেশ রিপোর্ট কার্ড অন ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ’ শিরোনামে সমীক্ষা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এই প্রথম শিশুদের জীবনাচরণ নিয়ে বৈশ্বিক গবেষণায়  বাংলাদেশের শিশু ও তরুণদের বিষয়টিও উঠে এসেছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনের লেখকরা বলছেন, শিশু-তরুণদের এই জীবনাচরণ জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যায় ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে এবং বাংলাদেশে বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় নেওয়া জরুরি। 

এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে সচেনতনতা, সোচ্চার হওয়া, সহায়ক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। এগুলো করা হলে অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশু-তরুণদের শারীরিক কর্মকাণ্ড তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তারা। 

যাতায়াতে শারীরিক পরিশ্রম, স্কুলে স্কুলে খেলাধুলার আয়োজন, এলাকায় খেলাধুলার ব্যবস্থা, জাতীয়ভাবে শারীরিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

গবেষক দলের প্রধান আসাদ খান বলেন, এগুলোর পাশাপাশি অ্যাক্টিভ লাইফস্টাইল নিয়ে একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ ও তদারকিও গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক আসাদ খান ‘অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান। এই সংগঠনই অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের শিশুদের নিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

তাদের প্রতিবেদনের সারাংশই ‘ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়া শুধু ইচ্ছার বিষয় নয়, তা জীবনের জন্যই প্রয়োজন।

অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের সভাপতি মার্ক ট্রেম্বলে এক বিবৃতিতে বলেছেন, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা শিশুরা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সমস্যায় পড়ার ঝুঁকিতে থাকে। সে কারণে সবাইকে এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

“এই প্রজন্মকে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন এবং দ্রুত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে তাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তাই তাদের স্বাস্থ্যবান ও ভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে হবে, যাতে তারা পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকতে ও সফল হতে পারে।”

https://bangla.bdnews24.com/health/article1566756.bdnews

6


বিশ্বজুড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বে ৪০ কোটি ৬০ লাখ মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ কোটি ১০ লাখে। যার অর্ধেকের বেশিই ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হবেন বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।

‘দ্য লানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ চীনে ১৩ কোটি, ভারতে নয় কোটি ৮০ লাখ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিন কোটি ২০ লাখ মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন।

ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য এবং আরও ১৪টি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।

গবেষকদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঞ্জয় বসু বলেন, “আগামী ১২ বছরে বয়স, নগরায়ন এবং খাদ্যাভাস ও কায়িক শ্রমের অভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া আশেঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে।”

https://bangla.bdnews24.com/world/article1563506.bdnews

7

Professor Dr. Yousuf Mahbubul Islam, Vice Chancellor of Daffodil International University addressing as chief guest at the seminar on ‘Spot Recruitment of Medical Scribe’ jointly organized by Daffodil International University (DIU) and SI2, a concern of countries largest business conglomerate Square Group.

Daffodil International University (DIU) and SI2, a concern of countries largest business conglomerate Square Group jointly organized a seminar on ‘Spot Recruitment of Medical Scribe’ at 71 Milonayoton of DIU on 5 June 2018. Professor Dr. Yousuf Mahbubul Islam, Vice Chancellor of DIU was present in the program as the chief guest. Presided over by Professor Dr. Ahmad Ismail Mustafa, Dean, Faculty of Allied Health Science of DIU, Mr. Md. Esam Ebne Yousuf siddique, Chief Administrative Officer( CAO) of Square Hospital and SI2 Limited was present as the resource Person in the program. The program was also addressed by Mr. Nawshad Pervez, GM (HR) of Square Hospital and SI2 Limited, Mr. Md. Nazmul Hassain, In charge-Operation of SI2, Ms. Josephine Alexander, Coordinator (Business Development) of SI2, Mr. Mahmudul Hasan, Coordinator of SI2 and Mr. Hemayetul Haque Nayeem, Medical Scribe of SI2 and Mr. Abu Taher Khan, Director of Career Development Center (CDC) of DIU. The Seminar was conducted by Al Safayat, Administrative Officer of CDC.
Aiming to spot recruitment of Medical Scribe position, SI2 arranged this seminar especially for the students of Daffodil International University. Skilljobs.com was the career partner of the event.

 

A large number of interested students dropped their Resume on the spot and took part in MCQ test just after the program. Successful candidates will be asked for a Viva examination and viva passed candidates will get opportunity to take part in an 18 week long training session which will be conducted by SI2. Finally SI2 will give appointment letter as Medical Scribe to those candidates who would have successfully completed the training session.


Mr. Md. Esam Ebne Yousuf siddique, Chief Administrative Officer( CAO) of Square Hospital and SI2 Limited  addressing as the Resource Person at the seminar on ‘Spot Recruitment of Medical Scribe’ jointly organized by Daffodil International University (DIU) and SI2, a concern of countries largest business conglomerate Square Group.

Addressing the recruitment program Mr. Md. Esam Ebne Yousuf siddique said that SI2 is a BPO company. Now more than fifty employees are working here. But very soon we will recruit five thousand plus employees. Today’s seminar is the part of that recruitment process.
Mr. Md. Esam Ebne Yousuf siddique also said, BPO is a thrust sector and now a day’s BPO Company is rapidly growing in Bangladesh. We need lots of skilled employees in BPO sector. Within few year BPO will make vital position after garments sector. So, students should develop their skills besides academic study from now, he added.

A partial view of the candidates attending at MCQ Test after the seminar

While addressing on the seminar Mr. Nawshad Pervez said, young people of Bangladesh are too much generous and talent. But, lack of proper career plan and English language efficiency, they are lagging behind from modern world. He urged the students to develop their English language efficiencies and soft skills.

8
আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে সবজি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও সব মাশরুম খাওয়ার যোগ্য নয়।


আমাদের দেশে সাধারণত কৌটাজাত মাশরুমের পাশাপাশি দেশীয়ভাবে প্রস্তুত প্যাকেটজাত মাশরুমও পাওয়া যায়। বাজার থেকে কেনার আগে এসব মাশরুম আসলেই খাওয়ার যোগ্য কিনা তা বোঝার জন্য রয়েছে কয়েকটি উপায়।

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বিষাক্ত মাশরুম চেনার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।

পুরানো মাশরুম: বলার অপেক্ষাই রাখে না, পঁচা বা পুরানো মাশরুম কেউ কিনতে যাবে। তবে কিছু বিষয় দেখতে হবে যেমন- মাশরুম হতে হবে তাজা, মোটামুটি শক্ত এবং বিশেষ করে থাকবে আস্ত। কোনো পোকা কিংবা প্রাণীর কামড়ে দেওয়া মাশরুম কেনা যাবে না।

ছাতার মতো মাশরুম: মাশরুম কথাটা শুনলেই সবার মনে প্রথমেই ভেসে উঠে ব্যাঙের ছাতা হিসেবে পরিচিত মাশরুমের কথা। তবে এই মাশরুম খাওয়া যায় না, বিষাক্ত। ছাতার মতো আকৃতির পাশাপাশি এর কাণ্ডে থাকে একটি সাদা রিং। পৃথিবীর সবচাইতে বিষাক্ত মাশরুম সম্ভবত ‘আমানিটাস’ মাশরুম। এই মাশরুমগুলো পুরানো হলে বাদামি রং ধারণ করে।

মোরেল মাশরুম: এই মাশরুমের উপরের অংশটি হয় কুঁচকানো এবং লম্বাটে। তবে মাশরুম পুরানো হলে বা শুকিয়ে গেলেও উপরের অংশ কুঁচকে যায়। তাই আসল মোরেল মাশরুম চেনা একটু কঠিন। মাশরুমের উপরের অংশ যদি এলোমেলোভাবে চুপসে থাকে এবং তা দেখতে যদি আলগা টুপির মতো মনে হয় তবে ওই মাশরুম খাওয়া যাবে না।

আরও উপায়: মিষ্টি গন্ধযুক্ত মাশরুম, ‘জ্যাক ও’ ল্যানটার্ন’ বা কমলা রংয়ের মাশরুম এবং হালকা বাদামি রংয়ের মাশরুম খাওয়ার যোগ্য নয়।

বাজার থেকে খোলা মাশরুম কেনার জন্য কিংবা প্রকৃতি থেকে তা সংগ্রহের জন্য এবিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। তাই অভিজ্ঞতা না থাকলে কৌটাজাত মাশরুম কেনাই নিরাপদ।

আর কৌটার মাশরুম কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিতে হবে। অনেক সময় কৌটাজাত মাশরুম সবটাই ব্যবহার করা হয়; বাড়তি মাশরুমগুলো ফ্রিজারে রেখে দেওয়া হয়।

তবে ফ্রিজে রাখা বাড়তি মাশরুমের গায়ে যদি পিচ্ছিল পানীয় ভাব দেখা দেয় এবং কালচে রং ধরা শুরু করে তবে অবশ্যই সেগুলো ফেলে দিতে হবে। এরকম দেখা দিলে সহজেই বুঝে নিতে হবে মাশরুমগুলো নষ্ট হতে শুরু করেছে।

https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1499654.bdnews

9


Institutional Quality Assurance Cell (IQAC) of Daffodil International University (DIU) in cooperation with the Board of Accreditation for Engineering and Technical Education (BAETE), Bangladesh organized a day-long on-site Training Programme on “Outcome-Based Education for Accreditation” on 10 May, 2018 at the Banquet hall of the University. Professor Dr. S.M. Mahbub-Ul-HaqueMajumder, Pro-Vice Chancellor, Daffodil International University graced the inaugural session of the training programme as Chief Guest while Professor Dr. A. K. M. FazlulHaque, Director-IQAC & Associate Dean-Faculty of Engineering of Daffodil International University chaired the session. Dr. Sk. Abdul Kader Arafin anchored the programme.



Director-IQAC, DIU expressed his gratitude to the participants on behalf of the University for their participation in the onsite training programme. He also introduced the key facilitator of the training programme Professor AnisulHaque, Ph.D, Department of Electrical & Electronic Engineering, East West University and Member, BAETE, Bangladesh.The Chief Guest, in his inaugural speech, praised the joint initiative of IQAC-DIU and BAETE for arranging such a timely and effective training programme at DIU premises. He expressed his hope that the participating faculty members of concerned Departments would learn a lot from this type of programme which would also facilitate in getting IEB accreditation for their Departments. He also cordially requested the key facilitator to conduct the training in such a manner so that each participant can conceptualize the facts regarding outcome-based education and its impact on getting accreditation.
After the inaugural session, the key facilitator conducted the session on “Curriculum Design Based on Outcome”. In that session, he highlighted the issues like: Articulation of Vision/Mission/PEO, Program Outcomes (POs), CO writing, Gap Analysis, CO and course content revision, Revision of structure of courses, Key points, Course Outcomes (CO) to Program Outcomes (PO) mapping. After the lunch break, the key facilitator conducted another session on “Teaching and Assessment Based on Outcomes” where he emphasized on: Outcomes Driven Learning Activities, Final Year Design Project, Assessment of Outcomes Achievement, Rubrics for Assessment, Constructive Alignment, Continual Quality Improvement (CQI) and Bloom's Taxonomy of the Cognitive Domain etc.



 At the end of the programme Professor Dr. A. K. M. Fazlul Haque, Director-IQAC, DIU thanked the key facilitator for conducting an effective and in-depth training on the subject matter and urged the faculty members of concerned Departments to follow the lesson learnt from the training for continual quality improvement and facilitate respective Departments to become eligible to get national and international accreditation and provide standard quality of education accordingly. About fifty five faculty members of relevant engineering Departments took part in the day-long training programme.

10

অতিরিক্ত ওজন যেমন খারাপ তেমনি বয়স ও দেহের আকার অনুসারে ওজন কম হওয়াও ভালো না। তাই ওজন যারা বাড়াতে চান তাদের জন্য রইল কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি।

খাবার কম খাওয়া, ভিটামিনের স্বল্পতা, শারীরিক পরিশ্রম, উপবাস, চাপ, অপুষ্টি, যক্ষা, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, বংশগত কারণ, ঘুমের স্বল্পতা, হজমে জটিলতা ইত্যাদি কারণে অনেকের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কম হয়।

এই ধরনের জটিলতা না থাকলে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন বাড়ানোর বিভিন্ন রকম খাবার সম্পর্কে এখানে ধারণা দেওয়া হল।

ভাত: প্রতি রাতে ঘি দিয়ে ভাত খাওয়া দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

পিনাট বাটার: দৈনিক খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার যোগ করুন। রুটি, শেইক বা স্মুদিতে পিনাট বাটার মিশিয়ে খান, ওজন বাড়বে।

আম ও দুধ: একগ্লাস গরম দুধের সঙ্গে আম মিশিয়ে এক মাস খেয়ে দেখুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুতিন-বার খান।

মধু ও কলা: প্রাকৃতিক ও নিরাপদে যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে নিয়মিত কলা ও মধু খান, উপকার পাবেন।

ভাজা কাজু-বাদাম: ঘি দিয়ে কাজু-বাদাম সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর খান। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুবার খেতে পারেন।

ডুমুর ও কিশমিশ: ৩০ গ্রাম কিশমিশ এবং ছয়-সাতটি শুকনা ডুমুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরেদিন খান। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য একমাস এই রুটিন অনুসরণ করুন।

ঘি: এক টেবিল-চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খাবারে সঙ্গে খান, ওজন বাড়বে।

আলু: দুয়েক মাস নিয়মিত একটা করে সিদ্ধ আলু খেতে পারেন। ওজন বাড়বেই।

দুধ ও কলা: প্রতিদিন সকালে একটি করে কলা খান। আর এক গ্লাস দুধে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন, ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

কাঠবাদাম ও দুধ: ফুটন্ত দুধে একমুঠো কাঠ-বাদামের গুঁড়া মেশান। ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য আট থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এক মাস গরম কাঠবাদাম দুধ পান করুন, ভালো ফলাফল পাবেন।

11

Older adults with heart disease who regularly exercise, even a little bit, may live longer than they would without any physical activity, a Norwegian study suggests.

Researchers examined three decades of data on 3,307 adults who had been diagnosed with coronary heart disease after a heart attack or an episode of severe chest pain, known as angina, caused by inadequate blood supply to the heart. By the time half of the patients had been in the study for at least 15 years, 1,493 of them had died.

Compared to people who were inactive, participants who consistently got the minimum recommended amount of exercise for adults were 36 percent less likely to die during the study. If these very active people scaled back their workouts over time, they were still 26 percent less likely to die than sedentary individuals.

And even a little exercise was tied to a longer life.

People who consistently exercised, though less than the average, were still 19 percent less likely to die than sedentary participants. And if these less active individuals stopped exercising during the study they were still 18 percent less likely to die than people who never exercised at all.

“This is important as most individuals tend to change their levels of activity over time,” said lead study author Trine Moholdt, a researcher at the Norwegian University of Science and Technology in Trondheim.

“The take-home message for patients is that they should keep on moving,” Moholdt said by email. “And even if they have been inactive so far, it is never too late to start.”

The World Health Organization recommends that adults aged 18 to 64 get at least 150 minutes of moderate intensity aerobic exercise or at least 75 minutes of intense activity every week. Ideally, each exercise session should be at least 10 minutes long.

Moderate activities can include things like walking, gardening, ballroom dancing, water aerobics, or taking a leisurely bike ride. Vigorous exercise includes things like jogging, lap swimming, and cycling at a pace of at least 10 miles an hour, according to the American Heart Association.

When participants joined the current study, they were typically in their late 60s. Almost half of them were inactive, and many were overweight or obese.

Losing weight didn’t appear linked to better survival odds, researchers report in the Journal of the American College of Cardiology.

Instead, people who lost weight were 36 percent more likely to die of cardiovascular disease during the study. Gaining weight wasn’t associated with higher odds of premature death.

One of the study’s limitations is that researchers lacked data on whether any weight loss was intentional or related to health problems.

The analysis wasn’t a controlled experiment designed to prove whether or how changes in activity levels or weight might impact longevity.

“We have known for decades that maintaining a healthy weight and being physically active were independently associated with lower risks of experiencing a coronary heart disease event or of dying from any cause,” said Claude Bouchard of the Pennington Biomedical Research Center in Baton Rouge, Louisiana.

This study offers fresh evidence that it matters how people lose weight, Bouchard, author of an accompanying editorial, said by email.

“There is no doubt that weight loss or weight maintenance programs that incorporate exercise are healthier than programs based solely on caloric restriction, even though the latter carries also multiple health benefits,” Bouchard said.

12
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত করা খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ফরাসি গবেষকদের নতুন এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।

সোডা, কেক, মিষ্টি পানীয়, ইন্সট্যান্ট নুডুলস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, সসেজ, নাগেটস, মচমচে খাবার, বেকন, প্যাকেটজাত রুটির মত খাবারগুলোকে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার হিসাবে গণ্য করেছেন গবেষকরা।

১০৫,০০০ মানুষের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ ধরনের খাবার খাওয়া ১০ শতাংশ বাড়ালেও ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১২ শতাংশ বেড়ে যায়।

প্যারিসের সোরবোন এবং সাও পাওলো ইউনিভার্সিটির গবেষকদল বলছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১১ শতাংশ বেশি।

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে মানুষের ওজন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং কলেস্টরেলও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর এ সবই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে নতুন গবেষণার ফল প্রকাশ পেয়েছে। এ গবেষণায় গবেষকরা গড়ে ৪৩ বছর বয়সী ১০৪,৯৮০ জন মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। এদের ২২ শতাংশ পুরুষ এবং ৮৭ শতাংশই নারী।

খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও বয়স এবং পারিবাকি ইতিহাসের মত ক্যান্সারের অন্যান্য ঝুঁকিগুলোও গবেষণায় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গড়ে ৫ বছর সময়ে তাদের ওপর গবেষণা চালানো হয়।

গবেষণার সময় গড়ে ১৮% মানুষের খাবার ছিল অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত। গড়ে প্রতি বছর ১০ হাজার জনের মধ্যে ৭৯ জনের ক্যান্সার দেখা গেছে। প্রক্রিয়াজাত খাবার ১০% বাড়ানোয় বছরে প্রতি ১০ হাজারে অতিরিক্ত ৯ জনের ক্যান্সার ধরা পড়ে।

গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে আগামী কয়েক দশকে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যাও যে বাড়তে পারে এ গবেষণা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

তবে গবেষণার ফলের বিষয়য়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরো বড় পরিসরে গবেষণা চালানো প্রয়োজন বলেও তারা মত দিয়েছেন।

গবেষণায় ফল, শাক সবজি, চাল, পাস্তা, মাংস, মাছ, দুধ, ডিমের মত খাবার খাওয়ায় ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম পরিলক্ষিত হয়েছে।

তাছাড়া, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: টিনজাত শাকসবজি, পনীর, খোলা রুটি খাওয়ার সঙ্গেও ক্যান্সারের তেমন কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

13
ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের একটি অন্যতম ও প্রধান কারণ। যাঁরা দৈনিক ২ থেকে ৩ প্যাকেট সিগারেট সেবন করেন বা ২০-৩০ বছর ধরে ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যক্তিরই ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তাই বলে যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁরা কি একেবারেই নিরাপদে থাকেন? অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। এমনকি নারীরাও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই ধূমপান করেন না বলে কিছু উপসর্গকে অবহেলা করবেন, তা হয় না।

* পরিবেশের ও কর্মক্ষেত্রের নানা দূষণ, গাড়ির ধোঁয়া ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই কাঠ বা কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। শিল্পকারখানায় কাজ করার সময় মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।

* নারী ও অধূমপায়ীদের ভিন্ন ধরনের ক্যানসার হয়ে থাকে। পরোক্ষ ধূমপানও অন্যদের ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।


* বেশ কিছুদিনের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর, ওজন হ্রাস ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যানসারের পরিচিত লক্ষণ। তবে কিছু অপরিচিত উপসর্গ নিয়েও ফুসফুসের ক্যানসার দেখা দিতে পারে। যেমন-গলার স্বর পরিবর্তন। ধূমপায়ী বা ব্রংকাইটিসের রোগীর সাধারণ কাশির ধরন পরিবর্তন। বুকে বা কাঁধে ব্যথা। ৫০ শতাংশ রোগী বুক বা কাঁধের ব্যথা নিয়েই কেবল চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে পারেন। ঘন ঘন নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ হতে পারে একটি লক্ষণ।

* খুসখুসে কাশি বা শ্বাসকষ্টও এর লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় আমরা এগুলোকে অ্যালার্জি বা হাঁপানি ভেবে অবহেলা করি।

* দেহের অন্য কোনো অঙ্গের ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধতে পারে। ব্রেস্ট, কোলন, প্রোস্টেট ক্যানসার ফুসফুসে বেশি ছড়ায়। এ ধরনের রোগের ইতিহাস থাকলে ফুসফুসজনিত কোনো উপসর্গকেই অবহেলা করা যাবে না।

ডা. মো. আজিজুর রহমান,
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
সোর্স – প্রথম আলো।

14
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগটি এতদিন দুই ধরনের বলে আমরা জেনে আসলেও বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, রোগটির আসলে আলাদা পাঁচটি ধরন আছে।

নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের গবেষকরা এ দাবি করেছেন। তারা বলছেন, পাঁচটি ভিন্ন ধরনের রোগ হিসাবেই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করা উচিত।

অথচ চিকিৎসকরা কেবল ডায়াবেটিসকে টাইপ-১ ও টাইপ-২, এ দুই ধারায় ভাগ করেই এতদিন যাবৎ চিকিৎসা করে আসছেন।

কিন্তু নতুন গবেষণায় রোগটির আরও জটিল যে ধারাগুলোর সন্ধান মিলেছে তাতে এখন এর চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলেই গবেষকরা আশাবাদী।

বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ১১ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, কিডনির অসুখ এমনকি অঙ্গচ্ছেদের ঝুঁকি বাড়ে।

টাইপ-১ ডায়াবেটিস দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অসুখ। এতে দেহে ইনসুলিন তৈরি ব্যাহত হয়। ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত হরমোনের অভাব হয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের কারণে হয়। এতে দেহে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ইনসুলিন কাজ করে না।

বিবিসি জানায়, সুইডেনের ‘লুন্ড ইউনিভার্সিটি’ এবং ‘ইন্সটিটিউট অব মলিকুলার মেডিসিন ফিনল্যান্ড’ এর গবেষকরা ১৪ হাজার ৭৭৫ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন।

‘দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি’ এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীদের পাঁচটি গুচ্ছে ভাগ করা যায়।

পাঁচ ধরনের ডায়াবেটিস হচ্ছে:

ক্লাস্টার-১: এটি মূলত টাইপ ১ ডায়াবেটিসের মতো। যা তীব্র মাত্রার অটো ইমিউন ডায়াবেটিস। তরুণ বয়সীরা এতে আক্রান্ত হয় এবং দেহে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন হয় না।

ক্লাস্টার ২:  এক্ষেত্রেও দেহে ইনসুলিনের তীব্র অভাব দেখা দেয়। এটিও অনেকটা টাইপ-১ ডায়াবেটিসের মতো। রোগী তরুণ, স্বাস্থ্যবান হওয়ার পরও ইনসুলিন উৎপাদনে ঘাটতি থাকে। যদিও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতা এর জন্য দায়ী নয়।

ক্লাস্টার ৩:  এ ধরনের ডায়াবেটিস হয় মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কারণে। এদের দেহে ইনসুলিন তৈরি হলেও তা কাজ করে না।

ক্লাস্টার ৪:  এ ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ওজন দায়ী। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ওজন হওয়ার পরও এ ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের শারিরীক কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে।

ক্লাস্টার ৫:  বয়সের কারণে এ ধরনের ডায়াবেটিস হয়। সব ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে এ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের বয়স বেশি হয় এবং এদের ক্ষেত্রে রোগের প্রকোপ হয় অনেক কম।

গবেষক অধ্যাপক লেইফ গ্রুপ বিবিসি’কে বলেন, “আমরা রোগের প্রকোপ অনুযায়ী নির্ভুল চিকিৎসার জন্য একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

15
নিচে যে সকল কারণে আমাদের নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিৎ তা আলোচনা করা হল:

চোখের যত্নে মিষ্টি কুমড়াঃ মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বা বিটাক্যারোটিন তাই এই সবজিটি চোখের জন্য খুবই ভালো। আমাদের রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিটা-ক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিন মত ক্যারটিনয়েড সমূহ চোখের ছানি পড়া রোধ সহ চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে। শুধু চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ এর অভাবজনিত অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া যোগ করুন।

রোগ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়াঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টি কুমড়া একটি অত্যন্ত উপকারি সবজি, প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া খেলে শরীরে রোগ ব্যাধির সংক্রমণ কমে যায়। মিষ্টি কুমড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই মানবদেহকে ক্যান্সার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এবং মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতেঃ কম ক্যালোরি এবং প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকায় মিষ্টি কুমড়া ওজন কমাতে একটি উপযুক্ত খাবার। যারা তাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা সানন্দে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ যারা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন তারা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন কারন মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে, যা শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।তাছাড়া মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে।

ত্বক উজ্বল করেঃ ত্বক উজ্বল করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই উজ্জ্বল চুল ও চকচকে ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন, বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে। তাছড়া মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক যা ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

খাদ্য হজমেঃ মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহে মিষ্টি কুমড়ার তুলনা হয়না।

তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপাদান দেহের কিডনি, লিভার, হার্টকে সুস্থ রাখে, বাতের ব্যথাসহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার প্রশমন ঘটায়। কুমড়োর ফাইবার দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে দেহকে স্ট্রোক করার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। মিষ্টি কুমড়া ও কুমড়ার বীজ গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে অকাল প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় তাই গর্ভবতী মায়েরা তাদের অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যর জন্য নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।

Pages: [1] 2 3 ... 9